Recent Updates
-
আপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন, সাপ তার নিজের চামড়া ফেলে দেয়? এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং এটি তার জীবনের একটি স্বাভাবিক ও দরকারি অংশ। সাপের চামড়া বদলানো বা যাকে বলে molting বা ecdysis, তা কেবল একটা শারীরিক প্রক্রিয়া নয়। এতে লুকিয়ে আছে এক গভীর বার্তা, যেটা শুধু প্রাণিবিজ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং ছড়িয়ে পড়ে সমাজ, সংস্কৃতি আর মানুষের মনোজগত পর্যন্ত।
সাপের শরীর যখন বাড়তে থাকে, তখন তার পুরনো চামড়া আর সহ্য করতে পারে না সেই বিস্তৃতি। সেটা আঁটসাঁট হয়ে যায়, দাগ পড়ে, আর কখনও কখনও হয়তো ক্ষতও তৈরি হয়। এই পুরনো আবরণ তখন আর কাজে আসে না। সাপ তখন ধীরে ধীরে গা ঘেঁষে, গাছের গুঁড়িতে ঘষে বা মাটির খোঁচায় ফেলে দেয় সেই পুরনো চামড়া। তার নিচে থাকে একেবারে নতুন, উজ্জ্বল আর সতেজ একটি আবরণ।
এখন আপনি ভাবতে পারেন, প্রাণীজগতের এই স্বাভাবিক বিষয় আমাদের সমাজের সঙ্গে কেমন করে মিলে যায়? এখানেই আসল কথাটা। প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি রাষ্ট্র বা জাতিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সেই বদলটা বাধা পায় পুরনো কাঠামো, পুরনো চিন্তা আর পুরনো অভ্যাসে। যেমন পুরনো চামড়া সাপের শরীরকে আটকে রাখে, তেমনই পুরনো পদ্ধতি কোনো একটি জাতিকে আটকে রাখে তার সম্ভাবনার পথে।
একটা সময় আসে, যখন সেই জাতির সাধারণ মানুষ অনুভব করে যে তারা আর আগের মতো থাকতে পারছে না। চারপাশে অন্যায়, অবিচার, অন্যরকম চাপ যেন তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে তুলেছে। তখনই শুরু হয় মনোজাগতিক চাপ, যেটা ধীরে ধীরে গড়িয়ে পড়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়ায়। পুরনো শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতি কিংবা মিথ্যার চাদর আর ধরা থাকে না। মানুষ তখন সেই চামড়া ছাড়তে চায়। যেটা এখন আর মানানসই নয়, যেটা গলা টিপে ধরেছে, সেটা তারা সরিয়ে ফেলতে চায়।
আপনি যদি ভেবে দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই পরিবর্তনও একধরনের molting। শুধু পার্থক্য হলো, এখানে রক্তমাংসের চামড়া নয়, বদলায় চিন্তা, বদলায় মূল্যবোধ, বদলায় নেতৃত্ব আর সমাজের চালচিত্র। এই বদল সহজে আসে না, কারণ পুরনো কিছু শক্তি সবসময়ই আঁকড়ে থাকতে চায় সেই পুরনো অবস্থান। কিন্তু ঠিক যেমন সাপ চাইলেই তার চামড়া ধরে রাখতে পারে না, তেমনি একসময় সমাজও আর আগের রূপে থাকতে পারে না। সময় তাকে বদলে দেয়।
এখানে বিজ্ঞানের একটা দারুণ ব্যাখ্যা আছে। প্রাণীজগতে ecdysis হলো টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। কারণ পুরনো চামড়া ধরে রাখলে সাপ অসুস্থ হয়ে পড়ে, চলাফেরা করতে পারে না, এমনকি মা-রা যেতে পারে। সমাজেও একই নিয়ম চলে। পরিবর্তনের দরজা বন্ধ থাকলে সেখানে এক ধরনের পচন শুরু হয়। মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, মনের ভেতর জমতে থাকে ক্ষোভ আর হতাশা। এসব একসময় বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণ হয়তো একদিনে আসে না, কিন্তু আসে ঠিক তখনই, যখন আর ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না।
আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন এমন উদাহরণ অসংখ্য। ছোট-বড় সব সমাজেই সময় এসে গেছে যখন মানুষ বলেছে, এভাবে আর চলবে না। তারা নতুন কিছু চেয়েছে, একটা সতেজ শ্বাস নিতে চেয়েছে। সেই চাওয়াটাই হয় সমাজের নতুন চামড়া। আর যারা পুরনোটা আঁকড়ে ধরে রাখে, তারা একসময় হারিয়ে যায়।
তাই, সাপের এই চামড়া বদলের ঘটনা শুধু প্রকৃতির একটা বিস্ময় নয়, এটা আমাদের জন্য এক শিক্ষাও। আপনার সমাজ, আপনার দেশ, এমনকি আপনার নিজের জীবনও হয়তো এমন এক পর্যায়ে আছে যেখানে পুরনো কিছু ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। প্রশ্ন হলো, আপনি সেটা অনুভব করতে পারছেন কি না।
Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষীআপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন, সাপ তার নিজের চামড়া ফেলে দেয়? এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং এটি তার জীবনের একটি স্বাভাবিক ও দরকারি অংশ। সাপের চামড়া বদলানো বা যাকে বলে molting বা ecdysis, তা কেবল একটা শারীরিক প্রক্রিয়া নয়। এতে লুকিয়ে আছে এক গভীর বার্তা, যেটা শুধু প্রাণিবিজ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং ছড়িয়ে পড়ে সমাজ, সংস্কৃতি আর মানুষের মনোজগত পর্যন্ত। সাপের শরীর যখন বাড়তে থাকে, তখন তার পুরনো চামড়া আর সহ্য করতে পারে না সেই বিস্তৃতি। সেটা আঁটসাঁট হয়ে যায়, দাগ পড়ে, আর কখনও কখনও হয়তো ক্ষতও তৈরি হয়। এই পুরনো আবরণ তখন আর কাজে আসে না। সাপ তখন ধীরে ধীরে গা ঘেঁষে, গাছের গুঁড়িতে ঘষে বা মাটির খোঁচায় ফেলে দেয় সেই পুরনো চামড়া। তার নিচে থাকে একেবারে নতুন, উজ্জ্বল আর সতেজ একটি আবরণ। এখন আপনি ভাবতে পারেন, প্রাণীজগতের এই স্বাভাবিক বিষয় আমাদের সমাজের সঙ্গে কেমন করে মিলে যায়? এখানেই আসল কথাটা। প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি রাষ্ট্র বা জাতিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সেই বদলটা বাধা পায় পুরনো কাঠামো, পুরনো চিন্তা আর পুরনো অভ্যাসে। যেমন পুরনো চামড়া সাপের শরীরকে আটকে রাখে, তেমনই পুরনো পদ্ধতি কোনো একটি জাতিকে আটকে রাখে তার সম্ভাবনার পথে। একটা সময় আসে, যখন সেই জাতির সাধারণ মানুষ অনুভব করে যে তারা আর আগের মতো থাকতে পারছে না। চারপাশে অন্যায়, অবিচার, অন্যরকম চাপ যেন তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে তুলেছে। তখনই শুরু হয় মনোজাগতিক চাপ, যেটা ধীরে ধীরে গড়িয়ে পড়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়ায়। পুরনো শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতি কিংবা মিথ্যার চাদর আর ধরা থাকে না। মানুষ তখন সেই চামড়া ছাড়তে চায়। যেটা এখন আর মানানসই নয়, যেটা গলা টিপে ধরেছে, সেটা তারা সরিয়ে ফেলতে চায়। আপনি যদি ভেবে দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই পরিবর্তনও একধরনের molting। শুধু পার্থক্য হলো, এখানে রক্তমাংসের চামড়া নয়, বদলায় চিন্তা, বদলায় মূল্যবোধ, বদলায় নেতৃত্ব আর সমাজের চালচিত্র। এই বদল সহজে আসে না, কারণ পুরনো কিছু শক্তি সবসময়ই আঁকড়ে থাকতে চায় সেই পুরনো অবস্থান। কিন্তু ঠিক যেমন সাপ চাইলেই তার চামড়া ধরে রাখতে পারে না, তেমনি একসময় সমাজও আর আগের রূপে থাকতে পারে না। সময় তাকে বদলে দেয়। এখানে বিজ্ঞানের একটা দারুণ ব্যাখ্যা আছে। প্রাণীজগতে ecdysis হলো টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। কারণ পুরনো চামড়া ধরে রাখলে সাপ অসুস্থ হয়ে পড়ে, চলাফেরা করতে পারে না, এমনকি মা-রা যেতে পারে। সমাজেও একই নিয়ম চলে। পরিবর্তনের দরজা বন্ধ থাকলে সেখানে এক ধরনের পচন শুরু হয়। মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, মনের ভেতর জমতে থাকে ক্ষোভ আর হতাশা। এসব একসময় বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণ হয়তো একদিনে আসে না, কিন্তু আসে ঠিক তখনই, যখন আর ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না। আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন এমন উদাহরণ অসংখ্য। ছোট-বড় সব সমাজেই সময় এসে গেছে যখন মানুষ বলেছে, এভাবে আর চলবে না। তারা নতুন কিছু চেয়েছে, একটা সতেজ শ্বাস নিতে চেয়েছে। সেই চাওয়াটাই হয় সমাজের নতুন চামড়া। আর যারা পুরনোটা আঁকড়ে ধরে রাখে, তারা একসময় হারিয়ে যায়। তাই, সাপের এই চামড়া বদলের ঘটনা শুধু প্রকৃতির একটা বিস্ময় নয়, এটা আমাদের জন্য এক শিক্ষাও। আপনার সমাজ, আপনার দেশ, এমনকি আপনার নিজের জীবনও হয়তো এমন এক পর্যায়ে আছে যেখানে পুরনো কিছু ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। প্রশ্ন হলো, আপনি সেটা অনুভব করতে পারছেন কি না। Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী0 Comments 0 Shares 201 ViewsPlease log in to like, share and comment! -
This is Zihadur Rahman, tomorrow I will be moving to the USA for higher study by the grace of Almighty. I will be out of management of Black Bird Ai but I will have ownership. I will no longer do any work. Responsibility is given to Md sharif and Choyon.
Thanks
Zihadur RahmanThis is Zihadur Rahman, tomorrow I will be moving to the USA for higher study by the grace of Almighty. I will be out of management of Black Bird Ai but I will have ownership. I will no longer do any work. Responsibility is given to Md sharif and Choyon. Thanks Zihadur Rahman0 Comments 0 Shares 145 Views -
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর জোনাকি পোকা দেখবে না, বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছেভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর জোনাকি পোকা দেখবে না, বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে 🥺0 Comments 0 Shares 74 Views
-
১৬ বছর একা, সঙ্গী নেই, তবু ডিম পাড়ল কুমির!
২০১৮ সালে এক আশ্চর্য ঘটনা চমকে দেয় বিজ্ঞানী সমাজকে। একটি স্ত্রী আমেরিকান কুমির, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সম্পূর্ণ একা থেকেছে সে, কোনো পুরুষ কুমিরের সংস্পর্শ ছাড়াই ডিম পাড়ে!
প্রথমে মনে হয়েছিল- এটা হয়তো নিছক কাকতালীয়। কিন্তু যখন ডিমগুলোর জিনগত পরীক্ষা করা হয়, তখন বেরিয়ে আসে এক বিস্ময়কর সত্য- একটি ডিমে সম্পূর্ণ সুগঠিত ভ্রূণ ছিল, যার জিনগত গঠন প্রায় ১০০% তার মায়ের মতো ছিল।
এটা হলো পার্থেনোজেনেসিস, অর্থাৎ 'ভার্জিন বার্থ' বা কুমারী থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা।
পার্থেনোজেনেসিস আগে পাখি, সাপ এবং কিছু মাছের মধ্যে দেখা গেছে, কিন্তু কখনোই কুমিরের মতো প্রাচীন এবং শীর্ষস্তরের শিকারী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়নি।
যদিও সেই কুমিরের বাচ্চাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এবং ডিমগুলোও ফোটেনি, তবু এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে প্রতিকূল পরিবেশে কুমিরের মতো প্রাণীও একা থাকলে জিনগতভাবে নিজেকে পুনরুৎপাদন করতে পারে।
আরও রোমাঞ্চকর বিষয় হলো- বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ক্ষমতা হয়তো এসেছে কোটি কোটি বছর আগের ডাইনোসরের যুগ থেকে। কুমির, পাখি, এমনকি ডাইনোসরের পূর্বপুরুষদের মধ্যে এই আত্মপ্রজননের সক্ষমতা ছিল।
.
.
#itihaser_golpo #itihasergolpo১৬ বছর একা, সঙ্গী নেই, তবু ডিম পাড়ল কুমির! ২০১৮ সালে এক আশ্চর্য ঘটনা চমকে দেয় বিজ্ঞানী সমাজকে। একটি স্ত্রী আমেরিকান কুমির, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সম্পূর্ণ একা থেকেছে সে, কোনো পুরুষ কুমিরের সংস্পর্শ ছাড়াই ডিম পাড়ে! প্রথমে মনে হয়েছিল- এটা হয়তো নিছক কাকতালীয়। কিন্তু যখন ডিমগুলোর জিনগত পরীক্ষা করা হয়, তখন বেরিয়ে আসে এক বিস্ময়কর সত্য- একটি ডিমে সম্পূর্ণ সুগঠিত ভ্রূণ ছিল, যার জিনগত গঠন প্রায় ১০০% তার মায়ের মতো ছিল। এটা হলো পার্থেনোজেনেসিস, অর্থাৎ 'ভার্জিন বার্থ' বা কুমারী থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা। পার্থেনোজেনেসিস আগে পাখি, সাপ এবং কিছু মাছের মধ্যে দেখা গেছে, কিন্তু কখনোই কুমিরের মতো প্রাচীন এবং শীর্ষস্তরের শিকারী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়নি। যদিও সেই কুমিরের বাচ্চাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এবং ডিমগুলোও ফোটেনি, তবু এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে প্রতিকূল পরিবেশে কুমিরের মতো প্রাণীও একা থাকলে জিনগতভাবে নিজেকে পুনরুৎপাদন করতে পারে। আরও রোমাঞ্চকর বিষয় হলো- বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ক্ষমতা হয়তো এসেছে কোটি কোটি বছর আগের ডাইনোসরের যুগ থেকে। কুমির, পাখি, এমনকি ডাইনোসরের পূর্বপুরুষদের মধ্যে এই আত্মপ্রজননের সক্ষমতা ছিল। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo0 Comments 0 Shares 186 Views -
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাথে ‘টাইগার শার্ক ২০২৫’-এর ৪১তম পর্বের সমাপ্তি উপলক্ষে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসেডর ট্রেসি জ্যাকবসন। এই যৌথ সামরিক মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত ছিল চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, নিখুঁত নিশানা অনুশীলন এবং পানিতে উদ্ধার কার্যক্রম।
এই অংশগ্রহণ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দৃঢ় অংশীদারিত্বের প্রতীক এবং একটি নিরাপদ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে।
U.S. Chargé d’Affaires Ambassador Tracey Jacobson joined the Bangladesh Navy to mark the conclusion of the 41st iteration of Tiger Shark 2025, a joint military exercise integrating medical training, marksmanship, and water rescue.
This symbolizes the strong U.S.-Bangladesh partnership and reaffirms our commitment to a safer, stronger, and more prosperous Indo-Pacific.
Credit: US Embassyবাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাথে ‘টাইগার শার্ক ২০২৫’-এর ৪১তম পর্বের সমাপ্তি উপলক্ষে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসেডর ট্রেসি জ্যাকবসন। এই যৌথ সামরিক মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত ছিল চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, নিখুঁত নিশানা অনুশীলন এবং পানিতে উদ্ধার কার্যক্রম। এই অংশগ্রহণ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দৃঢ় অংশীদারিত্বের প্রতীক এবং একটি নিরাপদ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে। 🇺🇸🤝🇧🇩 U.S. Chargé d’Affaires Ambassador Tracey Jacobson joined the Bangladesh Navy to mark the conclusion of the 41st iteration of Tiger Shark 2025, a joint military exercise integrating medical training, marksmanship, and water rescue. This symbolizes the strong U.S.-Bangladesh partnership and reaffirms our commitment to a safer, stronger, and more prosperous Indo-Pacific. 🇺🇸🤝🇧🇩 Credit: US Embassy0 Comments 0 Shares 116 Views -
আচ্ছা হঠাৎ করে যদি একদিন আপনার জীবনে সব বদলে যায়, কেমন লাগবে? অনু আগারওয়াল, আশিকী সিনেমার নায়িকা। ৯০ দশকে নায়ক রাহুল রায়ের সাথে মিলে তিনি সুপারডুপার এই সিনেমা উপহার দেন। করতে থাকেন নানা বিজ্ঞাপন আরো অনেক কাজ।
বলিউডের মিষ্টি মেয়ে খ্যাত অনু পড়াশোনায়ও টপ ছিলেন। দিল্লী বিশ্বিবদ্যালয় থেকে স্নাতকে স্বর্ণপদক পান। পরপর ১৫ টির বেশী সিনেমা সাইন করে ফেলেন। আর ঠিক তখনি একদিন ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি। মুখের ভেতর অসংখ্য কাঁচ ঢুকে যায়। টানা ২৯ দিন তিনি কোমায় থাকেন।
বাঁচার আশা এরকম ছেড়ে দেয় ডাক্তাররা। কিন্তু অনু আগারওয়াল ফিরে আসেন কোমা থেকে। তবে হারিয়ে ফেলেন স্মৃতিশক্তি। চেহারায়ও অনেক পরিবর্তন। কাঁটাছেড়া, কেমন জানি ভয়াবহ অবস্থা।
নিজেকে এবং পরিবারকে চিনতে পারেন না। অনুর মা তাকে তার অভিনীত সিনেমার ভিডিও দেখাতেন। এভাবে বছর চলে যায়।ধীরে ধীরে সব কাজ থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়।অনেক সময় লাগে অনু আগারওয়াল এর স্মৃতি ফিরে পেতে।
কিন্তু এরপর তিনি আর বলিউডে ফেরেননি। আধ্যাত্মিক জীবন বেছে নেন। বস্তির শিশুদের পড়ান আর যোগ ব্যায়াম শেখান। সাধারণ জীবন যাপন শুরু করেন। বিয়ে না করে থেকে যান একা। চলে যান চেনা পরিসরের বাইরে।
কি অদ্ভুত মানুষের জীবন তাই না? এক লহমায় ভেঙ্গে যেতে পারে সকল অর্জন, সাফল্য, গৌরব কিংবা সাজানো সব কিছু। অথচ আমরা সেটা ভাবি না। আমরা বড়াই করি, অহংকার দেখাই। আদৌ কি সেটা উচিত। জীবন ভীষণ অনিশ্চিত। আপনি আমি কেউ জানি আগামীকাল কি হতে যাচ্ছে।
So be polite, be simple
© Papry Routhআচ্ছা হঠাৎ করে যদি একদিন আপনার জীবনে সব বদলে যায়, কেমন লাগবে? অনু আগারওয়াল, আশিকী সিনেমার নায়িকা। ৯০ দশকে নায়ক রাহুল রায়ের সাথে মিলে তিনি সুপারডুপার এই সিনেমা উপহার দেন। করতে থাকেন নানা বিজ্ঞাপন আরো অনেক কাজ। বলিউডের মিষ্টি মেয়ে খ্যাত অনু পড়াশোনায়ও টপ ছিলেন। দিল্লী বিশ্বিবদ্যালয় থেকে স্নাতকে স্বর্ণপদক পান। পরপর ১৫ টির বেশী সিনেমা সাইন করে ফেলেন। আর ঠিক তখনি একদিন ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি। মুখের ভেতর অসংখ্য কাঁচ ঢুকে যায়। টানা ২৯ দিন তিনি কোমায় থাকেন। বাঁচার আশা এরকম ছেড়ে দেয় ডাক্তাররা। কিন্তু অনু আগারওয়াল ফিরে আসেন কোমা থেকে। তবে হারিয়ে ফেলেন স্মৃতিশক্তি। চেহারায়ও অনেক পরিবর্তন। কাঁটাছেড়া, কেমন জানি ভয়াবহ অবস্থা। নিজেকে এবং পরিবারকে চিনতে পারেন না। অনুর মা তাকে তার অভিনীত সিনেমার ভিডিও দেখাতেন। এভাবে বছর চলে যায়।ধীরে ধীরে সব কাজ থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়।অনেক সময় লাগে অনু আগারওয়াল এর স্মৃতি ফিরে পেতে। কিন্তু এরপর তিনি আর বলিউডে ফেরেননি। আধ্যাত্মিক জীবন বেছে নেন। বস্তির শিশুদের পড়ান আর যোগ ব্যায়াম শেখান। সাধারণ জীবন যাপন শুরু করেন। বিয়ে না করে থেকে যান একা। চলে যান চেনা পরিসরের বাইরে। কি অদ্ভুত মানুষের জীবন তাই না? এক লহমায় ভেঙ্গে যেতে পারে সকল অর্জন, সাফল্য, গৌরব কিংবা সাজানো সব কিছু। অথচ আমরা সেটা ভাবি না। আমরা বড়াই করি, অহংকার দেখাই। আদৌ কি সেটা উচিত। জীবন ভীষণ অনিশ্চিত। আপনি আমি কেউ জানি আগামীকাল কি হতে যাচ্ছে। So be polite, be simple © Papry Routh0 Comments 0 Shares 120 Views -
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ঘটে যাওয়া একটি বজ্রপাত বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ৫১৫ মাইল বা ৮২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বজ্রপাতকে ইতিহাসের দীর্ঘতম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে মিসৌরির কানসাস সিটি পর্যন্ত বিস্তৃত। যা ইউরোপের প্যারিস থেকে ভেনিস পর্যন্ত দূরত্বের সমান। এই বজ্রপাতটি পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের বজ্রপাত। এর আগের রেকর্ডটিও গ্রেট প্লেইন্স নামের একই অঞ্চলে ঘটেছিল। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিলের ওই বজ্রপাতটি ছিল ৭৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ।
২০১৬ সাল থেকে স্যাটেলাইটভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন বিস্তৃত বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সর্বশেষ ভূ-স্থির কক্ষপথে থাকা আবহাওয়া স্যাটেলাইটের সহায়তায় ২০১৭ সালের বজ্রপাতটি শনাক্ত করা হয়।
স্যাটেলাইট চিত্র দিয়ে বজ্রপাতের বিভিন্ন অংশে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক শাখাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে স্থলভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে বজ্রপাতের সময় ও দূরত্ব পরিমাপ করা হতো, তবে এতে সীমাবদ্ধতা থাকত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
-
#বিজ্ঞানপোকা #BigyanPoka২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ঘটে যাওয়া একটি বজ্রপাত বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ৫১৫ মাইল বা ৮২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বজ্রপাতকে ইতিহাসের দীর্ঘতম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে মিসৌরির কানসাস সিটি পর্যন্ত বিস্তৃত। যা ইউরোপের প্যারিস থেকে ভেনিস পর্যন্ত দূরত্বের সমান। এই বজ্রপাতটি পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের বজ্রপাত। এর আগের রেকর্ডটিও গ্রেট প্লেইন্স নামের একই অঞ্চলে ঘটেছিল। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিলের ওই বজ্রপাতটি ছিল ৭৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। ২০১৬ সাল থেকে স্যাটেলাইটভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন বিস্তৃত বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সর্বশেষ ভূ-স্থির কক্ষপথে থাকা আবহাওয়া স্যাটেলাইটের সহায়তায় ২০১৭ সালের বজ্রপাতটি শনাক্ত করা হয়। স্যাটেলাইট চিত্র দিয়ে বজ্রপাতের বিভিন্ন অংশে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক শাখাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে স্থলভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে বজ্রপাতের সময় ও দূরত্ব পরিমাপ করা হতো, তবে এতে সীমাবদ্ধতা থাকত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। - #বিজ্ঞানপোকা #BigyanPoka0 Comments 0 Shares 125 Views -
প্রথম নোবেল পুরস্কার (পদার্থবিজ্ঞান) প্রাপক:
নাম: উইলহেল্ম কনরাড রন্টজেন (Wilhelm Conrad Röntgen)
জন্ম: ২৭ মার্চ ১৮৪৫
মৃত্যু: ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩
দেশ: জার্মানি (Germany)
পুরস্কার প্রাপ্তির বছর: ১৯০১ সালপ্রথম নোবেল পুরস্কার (পদার্থবিজ্ঞান) প্রাপক: নাম: উইলহেল্ম কনরাড রন্টজেন (Wilhelm Conrad Röntgen) জন্ম: ২৭ মার্চ ১৮৪৫ মৃত্যু: ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ দেশ: জার্মানি (Germany) পুরস্কার প্রাপ্তির বছর: ১৯০১ সাল -
তাপ দাহের পর বৃষ্টিতো সবাই উপভোগ করেছেন। এর মাঝে ভূমিকম্পের কিছু খবর দেই। ইদানীং রাস্তা দিয়ে হাটি আর দেখছি সবাই বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। ১৫ ফিট রাস্তা ভবন করেছেন ১০ তলা।একবার ভাবুনতো যদি বাংলাদেশে ৮ মাত্রা একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয় তাহলে এই বিল্ডিং সহ আপনি মাটিতে তলিয়ে যাবেন। আপনাকে সেই মূহুর্তে উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব।
বাংলাদেশের ভূমিকম্পের অঞ্চল প্রধানত ৫ ভাগে বিভক্ত
বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে কারণ এটি কয়েকটি সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ ফল্ট লাইনের (fault lines) কাছে অবস্থিত। বাংলাদেশে প্রধানত ৫টি প্রধান ফল্ট লাইন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো ভূমিকম্প সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারে
বাংলাদেশে প্রধান ভূমিকম্প ফল্ট লাইনসমূহ:
1. ডাউকি ফল্ট (Dauki Fault)
• অবস্থান: সিলেট অঞ্চলের দক্ষিণে
• এটি একটি অত্যন্ত সক্রিয় ফল্ট, ভারতের মেঘালয় ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত।
• এটি বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটাতে সক্ষম।
2. চিটাগাং–ত্রীপুরা ফল্ট (Chittagong-Tripura Fold Belt)
• অবস্থান: পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে
• এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি।
3. মধুপুর ফল্ট (Madhupur Fault)
• অবস্থান: টাঙ্গাইল ও গাজীপুর অঞ্চল দিয়ে যায়
• ঢাকার খুব কাছাকাছি হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ।
4. নর্থ সিলেট ফল্ট (North Sylhet Fault)
• অবস্থান: সিলেটের উত্তরাঞ্চল
• এটি সিলেট শহরকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।
5. ভারতীয় ও বার্মিজ মেগাথ্রাস্ট ফল্ট লাইন (Assam Subduction Zone )
• অবস্থান: বাংলাদেশ ও ভারতের আসাম সীমান্ত বরাবর
• এটি ভারতীয় ও বার্মা টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল এবং বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রাখে।
এর মধ্যেসবচেয়ে বড় বিপদের কারন হলো ভারতীয় ও বার্মিজ মেগাথ্রাস্ট ফল্ট লাইন।
এটি একটি বড় টেকটোনিক প্লেট, যা ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং হিমালয়ের একটি বড় অংশকে ধারণ করে।
ভারতীয় প্লেট এটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরছে প্রতি বছর প্রায় ৫ সেমি হারে। এই প্লেটটি ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে উত্তরে এবং বার্মিজ প্লেটের সাথে পূর্বদিকে ধাক্কা খাচ্ছে।
এই সংঘর্ষ হিমালয়ের উচ্চতা বাড়াচ্ছে এবং একই সাথে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে।
বার্মিজ প্লেটকে কখনো কখনো সাবপ্লেট (subplate) বা মাইক্রোপ্লেট হিসেবেও ধরা হয়।
এটি মূলত মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে বিস্তৃত।এটি ভারতীয় প্লেটের পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং ভারতীয় প্লেটের চাপের মুখে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। ভারতীয় প্লেট, বার্মিজ প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের ত্রিমুখী সংযোগস্থল হচ্ছে বাংলাদেশ, বিশেষ করে
ভারতের আসাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর , নোয়াখালী , চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমার আরাকান পর্যন্ত বিস্তৃত।
ভারতীয় প্লেট ও বার্মিজ প্লেট একে অপরের নিচে ও উপর দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে, যাকে বলে subduction।
এই কারণে সেখানে Assam Subduction Zone বা মেগাথ্রাস্ট ফল্ট তৈরি হয়েছে, যা ভয়াবহ ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। ধারনা করা হয় পোস্ট টি যখন পরছেন তখন থেকে আগামী ৩০ বছরের যেকোন মুহূর্তে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব না তবে যদি আমরা সবাই ভূমিকম্প থেকে বাচার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখি তাহলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)তাপ দাহের পর বৃষ্টিতো সবাই উপভোগ করেছেন। এর মাঝে ভূমিকম্পের কিছু খবর দেই। ইদানীং রাস্তা দিয়ে হাটি আর দেখছি সবাই বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। ১৫ ফিট রাস্তা ভবন করেছেন ১০ তলা।একবার ভাবুনতো যদি বাংলাদেশে ৮ মাত্রা একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয় তাহলে এই বিল্ডিং সহ আপনি মাটিতে তলিয়ে যাবেন। আপনাকে সেই মূহুর্তে উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব। বাংলাদেশের ভূমিকম্পের অঞ্চল প্রধানত ৫ ভাগে বিভক্ত বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে কারণ এটি কয়েকটি সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ ফল্ট লাইনের (fault lines) কাছে অবস্থিত। বাংলাদেশে প্রধানত ৫টি প্রধান ফল্ট লাইন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো ভূমিকম্প সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারে ✅ বাংলাদেশে প্রধান ভূমিকম্প ফল্ট লাইনসমূহ: 1. ডাউকি ফল্ট (Dauki Fault) • অবস্থান: সিলেট অঞ্চলের দক্ষিণে • এটি একটি অত্যন্ত সক্রিয় ফল্ট, ভারতের মেঘালয় ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত। • এটি বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটাতে সক্ষম। 2. চিটাগাং–ত্রীপুরা ফল্ট (Chittagong-Tripura Fold Belt) • অবস্থান: পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে • এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি। 3. মধুপুর ফল্ট (Madhupur Fault) • অবস্থান: টাঙ্গাইল ও গাজীপুর অঞ্চল দিয়ে যায় • ঢাকার খুব কাছাকাছি হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। 4. নর্থ সিলেট ফল্ট (North Sylhet Fault) • অবস্থান: সিলেটের উত্তরাঞ্চল • এটি সিলেট শহরকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে। 5. ভারতীয় ও বার্মিজ মেগাথ্রাস্ট ফল্ট লাইন (Assam Subduction Zone ) • অবস্থান: বাংলাদেশ ও ভারতের আসাম সীমান্ত বরাবর • এটি ভারতীয় ও বার্মা টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল এবং বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রাখে। এর মধ্যেসবচেয়ে বড় বিপদের কারন হলো ভারতীয় ও বার্মিজ মেগাথ্রাস্ট ফল্ট লাইন। এটি একটি বড় টেকটোনিক প্লেট, যা ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং হিমালয়ের একটি বড় অংশকে ধারণ করে। ভারতীয় প্লেট এটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরছে প্রতি বছর প্রায় ৫ সেমি হারে। এই প্লেটটি ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে উত্তরে এবং বার্মিজ প্লেটের সাথে পূর্বদিকে ধাক্কা খাচ্ছে। এই সংঘর্ষ হিমালয়ের উচ্চতা বাড়াচ্ছে এবং একই সাথে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। বার্মিজ প্লেটকে কখনো কখনো সাবপ্লেট (subplate) বা মাইক্রোপ্লেট হিসেবেও ধরা হয়। এটি মূলত মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে বিস্তৃত।এটি ভারতীয় প্লেটের পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং ভারতীয় প্লেটের চাপের মুখে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। ভারতীয় প্লেট, বার্মিজ প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের ত্রিমুখী সংযোগস্থল হচ্ছে বাংলাদেশ, বিশেষ করে ভারতের আসাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর , নোয়াখালী , চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমার আরাকান পর্যন্ত বিস্তৃত। ভারতীয় প্লেট ও বার্মিজ প্লেট একে অপরের নিচে ও উপর দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে, যাকে বলে subduction। এই কারণে সেখানে Assam Subduction Zone বা মেগাথ্রাস্ট ফল্ট তৈরি হয়েছে, যা ভয়াবহ ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। ধারনা করা হয় পোস্ট টি যখন পরছেন তখন থেকে আগামী ৩০ বছরের যেকোন মুহূর্তে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব না তবে যদি আমরা সবাই ভূমিকম্প থেকে বাচার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখি তাহলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)0 Comments 0 Shares 140 Views -
রিং অফ ফায়ার কি?
সম্প্রতি সময় গত ৩০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে, রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরে ৮.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ রাশিয়া, জাপান, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল। অঞ্চলটি রিং অফ ফায়ার এর অন্তর্ভুক্ত।
রিং অফ ফায়ার হল, প্রশান্ত মহাসাগরের প্রান্ত বরাবর অবস্থিত বলিভিয়া, চিলি, ইকুয়েডর, পেরু, কোস্টারিকা, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বেশিরভাগ অংশের চারপাশে অবস্থিত প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘোড়ার নালের আকৃতির একটি বেল্ট, যা তার তীব্র ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চল যেখানে অনেকগুলি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং ভূমিকম্প হয়।
পৃথিবীর সমস্ত সমস্ত ভূমিকম্পের প্রায় 90 শতাংশই রিং অফ ফায়ার বরাবর ঘটে এবং পৃথিবীর সমস্ত সক্রিয় আগ্নেয়গিরির 75 শতাংশ এই রিং দ্বারা চিহ্নিত।
প্রশান্ত মহাসাগরের আগ্নেয়গিরি (রিং অফ ফায়ার) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:
#অবস্থান:
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারপাশে একটি ঘোড়ার নালের মতো আকৃতির এলাকা জুড়ে রিং অফ ফায়ার বিস্তৃত। এই অঞ্চলে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ খুবই সাধারণ।
#গঠন:
রিং অফ ফায়ার মূলত টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের কারণে গঠিত হয়েছে। এখানে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট অন্যান্য প্লেটের নিচে প্রবেশ করে এবং গলিত শিলা (ম্যাগমা) উপরে উঠে এসে আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি করে।
#ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত:
এই অঞ্চলে প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে প্রচুর ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। রিং অফ ফায়ার পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি।
#গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
রিং অফ ফায়ার-এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো:
ভূমিকম্প: এই অঞ্চলে প্রায়শই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
#আগ্নেয়গিরি: এখানে অসংখ্য সক্রিয় ও সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
#ভূ-তাপীয় কার্যকলাপ: এই অঞ্চলে ভূ-তাপীয় শক্তিও (geothermal energy) প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান।
#উদাহরণ:
রিং অফ ফায়ার-এর কিছু বিখ্যাত আগ্নেয়গিরি হলো:
অ্যালিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ (Aleutian Islands)
কিলুয়ার (Kilauea)
ফুজিয়ামা (Mount Fuji)
নতুন দ্বীপ (A new island formed by volcanic eruption)
@ ফারুক হোসেনরিং অফ ফায়ার কি? সম্প্রতি সময় গত ৩০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে, রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরে ৮.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ রাশিয়া, জাপান, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল। অঞ্চলটি রিং অফ ফায়ার এর অন্তর্ভুক্ত। রিং অফ ফায়ার হল, প্রশান্ত মহাসাগরের প্রান্ত বরাবর অবস্থিত বলিভিয়া, চিলি, ইকুয়েডর, পেরু, কোস্টারিকা, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বেশিরভাগ অংশের চারপাশে অবস্থিত প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘোড়ার নালের আকৃতির একটি বেল্ট, যা তার তীব্র ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চল যেখানে অনেকগুলি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং ভূমিকম্প হয়। পৃথিবীর সমস্ত সমস্ত ভূমিকম্পের প্রায় 90 শতাংশই রিং অফ ফায়ার বরাবর ঘটে এবং পৃথিবীর সমস্ত সক্রিয় আগ্নেয়গিরির 75 শতাংশ এই রিং দ্বারা চিহ্নিত। প্রশান্ত মহাসাগরের আগ্নেয়গিরি (রিং অফ ফায়ার) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য: #অবস্থান: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারপাশে একটি ঘোড়ার নালের মতো আকৃতির এলাকা জুড়ে রিং অফ ফায়ার বিস্তৃত। এই অঞ্চলে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ খুবই সাধারণ। #গঠন: রিং অফ ফায়ার মূলত টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের কারণে গঠিত হয়েছে। এখানে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট অন্যান্য প্লেটের নিচে প্রবেশ করে এবং গলিত শিলা (ম্যাগমা) উপরে উঠে এসে আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি করে। #ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত: এই অঞ্চলে প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে প্রচুর ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। রিং অফ ফায়ার পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি। #গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য: রিং অফ ফায়ার-এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো: ভূমিকম্প: এই অঞ্চলে প্রায়শই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। #আগ্নেয়গিরি: এখানে অসংখ্য সক্রিয় ও সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। #ভূ-তাপীয় কার্যকলাপ: এই অঞ্চলে ভূ-তাপীয় শক্তিও (geothermal energy) প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান। #উদাহরণ: রিং অফ ফায়ার-এর কিছু বিখ্যাত আগ্নেয়গিরি হলো: অ্যালিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ (Aleutian Islands) কিলুয়ার (Kilauea) ফুজিয়ামা (Mount Fuji) নতুন দ্বীপ (A new island formed by volcanic eruption) @ ফারুক হোসেন0 Comments 0 Shares 146 Views -
❝দিলীপ কুমার ❞
~ দ্যা ট্রাজেডি কিং অফ বলিউড
সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেভিকা রানী তার স্টুডিও " বোম্বে টকিজ" এ বসে আছেন। হঠাৎ ই তার কাছে এক ছেলে আসে অভিনয় করার আশায়। অনেক বাছ - বিচার করার পড়ে তিনি ছেলেটিকে নামমাত্র স্যালারির এক জব অফার করেন। কিন্তু ছেলের নাম নিয়েই পড়েন ঝামেলায় । তখনকার সময়ে সে ছেলের ফ্যামিলির দেয়া নাম " মোহাম্মদ ইউসুফ খান " নিয়ে এই ছেলে যে বেশিদূর যেতে পারবে না তা তিনি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন। এ জন্যে সে তাকে তিনটি নাম দিয়ে যেকোন একটি বেছে নেয়ার কথা বলেন। প্রথম দুই নাম পছন্দ না হওয়ায় সেই ছেলে তৃতীয় নামটিই বেছে নেন যে নাম দিয়ে আজকে তিনি সবার পরিচিত - " দিলীপ কুমার " .
-
১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক অঞ্চলে দিলীপ কুমারের জন্ম। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তার পিতা তার ১১ ভাইবোনের সাথে তাকেও মুম্বাই নিয়ে এসে থাকতে থাকেন। প্রথম জীবনে পারিবারিক ফলের ব্যবসায় যোগ দিলেও দিলীপ কুমারের মন পড়ে থাকতো অন্য কোন জায়গায়। তাই সে পুনেতে চলে যায় আর সেখানে এক ক্যান্টিনে কাজ করা শুরু করে এবং পরে সেখানে এক স্যান্ডউইচ শপ ও খোলে। কিন্তু দোকানের কন্ট্রাক্ট শেষ হবার পরে আবারো মুম্বাই ফিরে আসে আর সেখানে একদিন সে ড. মাসানীর সাথে সে "বোম্বে টকিজ " এ যায়। সেখানেই দেভিকা রানীর সাথে তার দেখা হয় যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
দেভিকা রানীর ষ্টুডিও থেকেই তার প্রথম ছবি
" জোয়ার ভাটা " মুক্তি পায় কিন্তু দিলীপ কুমার সে রকম পরিচিতি পায় না। তবে সে ঠিকই তখনকার সময়ের ষ্টার " অশোক কুমার " এর নজরে পড়ে যায় ।ফলে আরো কয়েকটি রোলের অফার আসে। আরো কয়েকটি অসফল ছবির পরে " জুগনু " ছবি দিয়ে সে খানিকটা পরিচিতি পায়।আর তার পরবর্তী দুই ছবি " শহীদ " আর মেহবুব খানের " আন্তাজ " এর পরে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি যার ভিতরে আন্তাজ ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি।
-
৫০ এর দশকেই তার আসল স্টারডম শুরু হয়। দিলীপ কুমার অভিনয় করতে থাকেন একের পর এক ট্রাজিক মুভিতে যা তাকে ট্রাজেডি কিং এর উপাধি এনে দেয়। এ সময়েই তিনি যোগান ,বাবুল ,দিদার ,দাগ, উড়ান খোটালা ,দেবদাস ,ইহুদি ,মধুমতি ইত্যাদি ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করেন। দাগ ছবিতে শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রথম filmfare best actor award জিতে নেন। দেবদাস ছবিতে সুচিত্রা সেন আর ভৈজন্তিমালার বিপরীতে করা দেবদাস চরিত্রকে বর্তমানে পঞ্চাশ এর দশকের বলিউডের অন্যতম সেরা চরিত্র হিসেবে ধরা হয়।
-
তবে শুধু ট্রাজিক রোলেই নয় ,বিভিন্ন সামাজিক ছবি যেমন ফুটপাথ , নয়া দৌড় , মুসাফির ,পয়গাম এর মতো ছবিতে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেও দিলীপ কুমার দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয় কেড়ে নেন। এছাড়াও আজাদ আর কোহিনুর ছবিতেও তার দুর্দান্ত অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। দিলীপ কুমারকে " ট্রাজেডি কিং " নামে বলার কারণে তার বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল রোলগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসেনি।সে সময়ে " কোহিনুর " ছবিতে সীতার বাজানোর জন্য সীতার শেখা থেকে নয়া দৌড় এ রিকশা চালানো সহ বিভিন্ন রকমের মেথড এক্টিং এর কারণে তাকে ভারতের অন্যতম সেরা মেথড এক্টরের ভিতরেও রাখা যায়।
-
ষাটের দশকের শুরুতেই তার অভিনীত কে.আসিফের " মুঘল - ই - আজম " মুক্তি পায় যা ভারতীয় ছবির ইতিহাসের সব বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দেয়। শাহজাদা সেলিমের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তায় দিলীপ কুমার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।এর পরের বছর সে "গঙ্গা যমুনা" নামের আরেক বিখ্যাত ছবিতে প্রযোজনা আর অভিনয় করেন যা তাকে ন্যাশনাল এওয়ার্ড পাইয়ে দেয়। এর পরে কয়েকটি অসফল ছবির পড়ে সে "রাম অউর শাম " এ ডাবল চরিত্রে অভিনয় করে আবারো বিশাল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়াও ১৯৬৮ সালে তার আরো দুই ছবি " আদমি "এবং " সংঘর্ষ " বক্স অফিসে হিট হয় যা তাকে আইকনে পরিণত করে ।
-
সত্তরের দশকে দিলীপ কুমার বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্টাল রোল করেন,যার ভিতরে এক বাংলা ভাষার ছবি " সাগিনা" ও ছিল।এর ভিতরে দাস্তান আর বৈরাগ বক্স অফিসে খুব বেশি আয় না করলেও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। এদিকে তার আরেক ছবি " গোপী " বেশ ভালো ব্যবসা করলেও ১৯৭৬ সালে তিনি অভিনয় থেকে পাঁচ বছরের অবসর নেন।
-
আশির দশকে ফিরে আসার পরপরই সে ক্রান্তি নামের ছবিতে অভিনয় করেন যা ঐবছরের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবিতে পরিণত হয়। এর পরেই সে বিধাতা , শক্তি ,মশাল ,দুনিয়া নামক ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন যার বেশিরভাই ব্যবসাসফল হয়।১৯৮৬ সালে তিনি অভিনয় করেন সুভাষ ঘাই এর " কার্মা " নামক ছবিতে যাকে আশির দশকের অন্যতম সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে বর্তমানে মানা হয় । তবে ৯০ এর দশকে তিনি খুব বেশি ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেননি। তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি " কিলা " তে সে ডাবল রোলে অভিনয় করেন যা খুব বেশি সাফল্য পায়নি।
-
পর্দার ভিতরের সাথে সাথে পর্দার বাইরেও দিলীপ কুমার তার
সময়ে ছিলেন সমান জনপ্রিয়। দিলীপ কুমারের সাথে প্রথম রোমান্সের খবর শোনা যায় কামিনী কৌশালের সাথে। পরে ভৈজন্তিমালার সাথে তার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোনটিই মধুবালার মত জনপ্রিয় হতে পারেনি। পর্দার ট্রাজিক কাহিনীর মতো তাদের বাস্তব জীবনের কাহিনীও ট্রাজিক। মধুবালার বাবার অমতে তাদের বিয়ে সে সময়ে হয় না। তার আর মধুবালার রোমান্স এবং বিচ্ছেদের কাহিনী সে সময়ে বলিউডে ছিল " টক অফ দ্যা টাউন " .পরে সে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে সে তাকে ছেড়ে আসমা খানের সাথে ঘর বাধে। সে বিয়েও অবশ্য খুব বেশিদিন টিকেনি।
-
মূলত অভিনেতা হলেও দিলীপ কুমার একই সাথে লেখক ,চিত্রনাট্যকার , এমনকি কবি ও । বিভিন্ন ছবিতে তার পোয়েটিক ডায়লগ তার সিগনেচার স্টাইল বলা যায়।
"Kaun kambakth hai jo bardasht karne ke liye peeta hai ,main to peeta hoon ke bas saans le sakoon" এর মতো আইকনিক ডায়লগ কে তিনি তার তার পোয়েটিক স্টাইলে বলে অন্যরকম জনপ্রিয়তায় নিয়ে গেছেন। আর তার মেথড এক্টিং সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় ভাষায় বলা যায় সে হলো আল্টিমেট মেথড এক্টর , আর জাভেদ আখতারের ভাষায় বলা যায় সে হলো মেথড এক্টিং এর জন্মদাতা।
-
সম্মাননার দিক থেকে দিলীপ কুমার অদ্বিতীয়।তিনি মোটমাট ১৯ বার filmfare best actor এর নমিনেশন পান যার ভিতরে আটবার ( দাগ ,আজাদ , দেবদাস ,নয়া দৌড় ,কোহিনুর , লিডার , রাম অউর শাম ,শক্তি ) তা জিতে নেন। এছাড়াও "গঙ্গা যমুনা " ছবির জন্য তিনি ন্যাশনাল এওয়ার্ড ও পান। দাদাসাহেব ফালকে ,পদ্ম বিভূষণ , CNN-IBN Lifetime Achievement Award থেকে শুরু করে দেশে বিদেশে আরো নানা ধরণের এওয়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন তিনি।
Some Facts about Dilip Kumar
ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ড জেতার জন্য "গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস " এ তার নাম আছে।
-
বিভিন্ন ছবিতে ট্রাজিক রোল প্লে করতে করতে সে ডিপ্রেশনে পরে যান এবং সাইক্রিয়াটিস্ট তাকে এ ধরণের রোল করা থেকে বিরত থাকতে বলেন।
-
স্ক্রিপ্ট চুজিং এর ক্ষেত্রে দিলীপ কুমার বরাবরই খুঁতখুঁতে ছিলেন। এ স্বভাবের কারণে তিনি "মাদার ইন্ডিয়া" এর আইকনিক রোল বিরজু থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেন যা পরবতীতে বিশাল হিট হয়েছিল। শুধু বলিউড নয় , পরিচালক ডেভিড লিন তাকে তার বিখ্যাত ছবি "লরেন্স অফ আরাবিয়া " তে অভিনয়ের অফার দিলে সেটাও তিনি ফিরিয়ে দেন।
-
একমাত্র ব্যক্তি যে পাকিস্তানের নিশান - ই- ইমতিয়াজ আর ভারতের পদ্ম বিভূষণ এ ভূষিত হয়েছেন।
-
পাঁচ দশকের ও বেশি সময় ধরে চলা মুভি ক্যারিয়ারে মোট ৬৩ টি ছবিতে অভিনয় করেন।
-
মাঝে রাজনীতিতে ঢুকে তিনি একবার রাজ্যসভার সদস্য ও হয়েছেন।
-
সত্যজিৎ রায়ের মতে "the ultimate method actor" খ্যাত দিলীপ কুমার অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান সহ অসংখ্য অভিনেতার আইডল।
-
দিলীপ কুমারের বায়োগ্রাফি নিয়ে লেখা বই "The Substance and the Shadow" ওই বছরের অন্যতম সেরা বিক্রিত বায়োগ্রাফি যা আমাজনে দুই সপ্তাহ বেস্ট সেলার লিস্টে ছিল।❝দিলীপ কুমার ❞ ~ দ্যা ট্রাজেডি কিং অফ বলিউড সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেভিকা রানী তার স্টুডিও " বোম্বে টকিজ" এ বসে আছেন। হঠাৎ ই তার কাছে এক ছেলে আসে অভিনয় করার আশায়। অনেক বাছ - বিচার করার পড়ে তিনি ছেলেটিকে নামমাত্র স্যালারির এক জব অফার করেন। কিন্তু ছেলের নাম নিয়েই পড়েন ঝামেলায় । তখনকার সময়ে সে ছেলের ফ্যামিলির দেয়া নাম " মোহাম্মদ ইউসুফ খান " নিয়ে এই ছেলে যে বেশিদূর যেতে পারবে না তা তিনি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন। এ জন্যে সে তাকে তিনটি নাম দিয়ে যেকোন একটি বেছে নেয়ার কথা বলেন। প্রথম দুই নাম পছন্দ না হওয়ায় সেই ছেলে তৃতীয় নামটিই বেছে নেন যে নাম দিয়ে আজকে তিনি সবার পরিচিত - " দিলীপ কুমার " . - ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক অঞ্চলে দিলীপ কুমারের জন্ম। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তার পিতা তার ১১ ভাইবোনের সাথে তাকেও মুম্বাই নিয়ে এসে থাকতে থাকেন। প্রথম জীবনে পারিবারিক ফলের ব্যবসায় যোগ দিলেও দিলীপ কুমারের মন পড়ে থাকতো অন্য কোন জায়গায়। তাই সে পুনেতে চলে যায় আর সেখানে এক ক্যান্টিনে কাজ করা শুরু করে এবং পরে সেখানে এক স্যান্ডউইচ শপ ও খোলে। কিন্তু দোকানের কন্ট্রাক্ট শেষ হবার পরে আবারো মুম্বাই ফিরে আসে আর সেখানে একদিন সে ড. মাসানীর সাথে সে "বোম্বে টকিজ " এ যায়। সেখানেই দেভিকা রানীর সাথে তার দেখা হয় যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দেভিকা রানীর ষ্টুডিও থেকেই তার প্রথম ছবি " জোয়ার ভাটা " মুক্তি পায় কিন্তু দিলীপ কুমার সে রকম পরিচিতি পায় না। তবে সে ঠিকই তখনকার সময়ের ষ্টার " অশোক কুমার " এর নজরে পড়ে যায় ।ফলে আরো কয়েকটি রোলের অফার আসে। আরো কয়েকটি অসফল ছবির পরে " জুগনু " ছবি দিয়ে সে খানিকটা পরিচিতি পায়।আর তার পরবর্তী দুই ছবি " শহীদ " আর মেহবুব খানের " আন্তাজ " এর পরে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি যার ভিতরে আন্তাজ ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি। - ৫০ এর দশকেই তার আসল স্টারডম শুরু হয়। দিলীপ কুমার অভিনয় করতে থাকেন একের পর এক ট্রাজিক মুভিতে যা তাকে ট্রাজেডি কিং এর উপাধি এনে দেয়। এ সময়েই তিনি যোগান ,বাবুল ,দিদার ,দাগ, উড়ান খোটালা ,দেবদাস ,ইহুদি ,মধুমতি ইত্যাদি ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করেন। দাগ ছবিতে শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রথম filmfare best actor award জিতে নেন। দেবদাস ছবিতে সুচিত্রা সেন আর ভৈজন্তিমালার বিপরীতে করা দেবদাস চরিত্রকে বর্তমানে পঞ্চাশ এর দশকের বলিউডের অন্যতম সেরা চরিত্র হিসেবে ধরা হয়। - তবে শুধু ট্রাজিক রোলেই নয় ,বিভিন্ন সামাজিক ছবি যেমন ফুটপাথ , নয়া দৌড় , মুসাফির ,পয়গাম এর মতো ছবিতে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেও দিলীপ কুমার দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয় কেড়ে নেন। এছাড়াও আজাদ আর কোহিনুর ছবিতেও তার দুর্দান্ত অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। দিলীপ কুমারকে " ট্রাজেডি কিং " নামে বলার কারণে তার বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল রোলগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসেনি।সে সময়ে " কোহিনুর " ছবিতে সীতার বাজানোর জন্য সীতার শেখা থেকে নয়া দৌড় এ রিকশা চালানো সহ বিভিন্ন রকমের মেথড এক্টিং এর কারণে তাকে ভারতের অন্যতম সেরা মেথড এক্টরের ভিতরেও রাখা যায়। - ষাটের দশকের শুরুতেই তার অভিনীত কে.আসিফের " মুঘল - ই - আজম " মুক্তি পায় যা ভারতীয় ছবির ইতিহাসের সব বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দেয়। শাহজাদা সেলিমের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তায় দিলীপ কুমার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।এর পরের বছর সে "গঙ্গা যমুনা" নামের আরেক বিখ্যাত ছবিতে প্রযোজনা আর অভিনয় করেন যা তাকে ন্যাশনাল এওয়ার্ড পাইয়ে দেয়। এর পরে কয়েকটি অসফল ছবির পড়ে সে "রাম অউর শাম " এ ডাবল চরিত্রে অভিনয় করে আবারো বিশাল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়াও ১৯৬৮ সালে তার আরো দুই ছবি " আদমি "এবং " সংঘর্ষ " বক্স অফিসে হিট হয় যা তাকে আইকনে পরিণত করে । - সত্তরের দশকে দিলীপ কুমার বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্টাল রোল করেন,যার ভিতরে এক বাংলা ভাষার ছবি " সাগিনা" ও ছিল।এর ভিতরে দাস্তান আর বৈরাগ বক্স অফিসে খুব বেশি আয় না করলেও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। এদিকে তার আরেক ছবি " গোপী " বেশ ভালো ব্যবসা করলেও ১৯৭৬ সালে তিনি অভিনয় থেকে পাঁচ বছরের অবসর নেন। - আশির দশকে ফিরে আসার পরপরই সে ক্রান্তি নামের ছবিতে অভিনয় করেন যা ঐবছরের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবিতে পরিণত হয়। এর পরেই সে বিধাতা , শক্তি ,মশাল ,দুনিয়া নামক ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন যার বেশিরভাই ব্যবসাসফল হয়।১৯৮৬ সালে তিনি অভিনয় করেন সুভাষ ঘাই এর " কার্মা " নামক ছবিতে যাকে আশির দশকের অন্যতম সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে বর্তমানে মানা হয় । তবে ৯০ এর দশকে তিনি খুব বেশি ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেননি। তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি " কিলা " তে সে ডাবল রোলে অভিনয় করেন যা খুব বেশি সাফল্য পায়নি। - পর্দার ভিতরের সাথে সাথে পর্দার বাইরেও দিলীপ কুমার তার সময়ে ছিলেন সমান জনপ্রিয়। দিলীপ কুমারের সাথে প্রথম রোমান্সের খবর শোনা যায় কামিনী কৌশালের সাথে। পরে ভৈজন্তিমালার সাথে তার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোনটিই মধুবালার মত জনপ্রিয় হতে পারেনি। পর্দার ট্রাজিক কাহিনীর মতো তাদের বাস্তব জীবনের কাহিনীও ট্রাজিক। মধুবালার বাবার অমতে তাদের বিয়ে সে সময়ে হয় না। তার আর মধুবালার রোমান্স এবং বিচ্ছেদের কাহিনী সে সময়ে বলিউডে ছিল " টক অফ দ্যা টাউন " .পরে সে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে সে তাকে ছেড়ে আসমা খানের সাথে ঘর বাধে। সে বিয়েও অবশ্য খুব বেশিদিন টিকেনি। - মূলত অভিনেতা হলেও দিলীপ কুমার একই সাথে লেখক ,চিত্রনাট্যকার , এমনকি কবি ও । বিভিন্ন ছবিতে তার পোয়েটিক ডায়লগ তার সিগনেচার স্টাইল বলা যায়। "Kaun kambakth hai jo bardasht karne ke liye peeta hai ,main to peeta hoon ke bas saans le sakoon" এর মতো আইকনিক ডায়লগ কে তিনি তার তার পোয়েটিক স্টাইলে বলে অন্যরকম জনপ্রিয়তায় নিয়ে গেছেন। আর তার মেথড এক্টিং সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় ভাষায় বলা যায় সে হলো আল্টিমেট মেথড এক্টর , আর জাভেদ আখতারের ভাষায় বলা যায় সে হলো মেথড এক্টিং এর জন্মদাতা। - সম্মাননার দিক থেকে দিলীপ কুমার অদ্বিতীয়।তিনি মোটমাট ১৯ বার filmfare best actor এর নমিনেশন পান যার ভিতরে আটবার ( দাগ ,আজাদ , দেবদাস ,নয়া দৌড় ,কোহিনুর , লিডার , রাম অউর শাম ,শক্তি ) তা জিতে নেন। এছাড়াও "গঙ্গা যমুনা " ছবির জন্য তিনি ন্যাশনাল এওয়ার্ড ও পান। দাদাসাহেব ফালকে ,পদ্ম বিভূষণ , CNN-IBN Lifetime Achievement Award থেকে শুরু করে দেশে বিদেশে আরো নানা ধরণের এওয়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন তিনি। 📌Some Facts about Dilip Kumar ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ড জেতার জন্য "গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস " এ তার নাম আছে। - বিভিন্ন ছবিতে ট্রাজিক রোল প্লে করতে করতে সে ডিপ্রেশনে পরে যান এবং সাইক্রিয়াটিস্ট তাকে এ ধরণের রোল করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। - স্ক্রিপ্ট চুজিং এর ক্ষেত্রে দিলীপ কুমার বরাবরই খুঁতখুঁতে ছিলেন। এ স্বভাবের কারণে তিনি "মাদার ইন্ডিয়া" এর আইকনিক রোল বিরজু থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেন যা পরবতীতে বিশাল হিট হয়েছিল। শুধু বলিউড নয় , পরিচালক ডেভিড লিন তাকে তার বিখ্যাত ছবি "লরেন্স অফ আরাবিয়া " তে অভিনয়ের অফার দিলে সেটাও তিনি ফিরিয়ে দেন। - একমাত্র ব্যক্তি যে পাকিস্তানের নিশান - ই- ইমতিয়াজ আর ভারতের পদ্ম বিভূষণ এ ভূষিত হয়েছেন। - পাঁচ দশকের ও বেশি সময় ধরে চলা মুভি ক্যারিয়ারে মোট ৬৩ টি ছবিতে অভিনয় করেন। - মাঝে রাজনীতিতে ঢুকে তিনি একবার রাজ্যসভার সদস্য ও হয়েছেন। - সত্যজিৎ রায়ের মতে "the ultimate method actor" খ্যাত দিলীপ কুমার অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান সহ অসংখ্য অভিনেতার আইডল। - দিলীপ কুমারের বায়োগ্রাফি নিয়ে লেখা বই "The Substance and the Shadow" ওই বছরের অন্যতম সেরা বিক্রিত বায়োগ্রাফি যা আমাজনে দুই সপ্তাহ বেস্ট সেলার লিস্টে ছিল।0 Comments 0 Shares 205 Views -
❝দিলীপ কুমার ❞
~ দ্যা ট্রাজেডি কিং অফ বলিউড
সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেভিকা রানী তার স্টুডিও " বোম্বে টকিজ" এ বসে আছেন। হঠাৎ ই তার কাছে এক ছেলে আসে অভিনয় করার আশায়। অনেক বাছ - বিচার করার পড়ে তিনি ছেলেটিকে নামমাত্র স্যালারির এক জব অফার করেন। কিন্তু ছেলের নাম নিয়েই পড়েন ঝামেলায় । তখনকার সময়ে সে ছেলের ফ্যামিলির দেয়া নাম " মোহাম্মদ ইউসুফ খান " নিয়ে এই ছেলে যে বেশিদূর যেতে পারবে না তা তিনি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন। এ জন্যে সে তাকে তিনটি নাম দিয়ে যেকোন একটি বেছে নেয়ার কথা বলেন। প্রথম দুই নাম পছন্দ না হওয়ায় সেই ছেলে তৃতীয় নামটিই বেছে নেন যে নাম দিয়ে আজকে তিনি সবার পরিচিত - " দিলীপ কুমার " .
-
১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক অঞ্চলে দিলীপ কুমারের জন্ম। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তার পিতা তার ১১ ভাইবোনের সাথে তাকেও মুম্বাই নিয়ে এসে থাকতে থাকেন। প্রথম জীবনে পারিবারিক ফলের ব্যবসায় যোগ দিলেও দিলীপ কুমারের মন পড়ে থাকতো অন্য কোন জায়গায়। তাই সে পুনেতে চলে যায় আর সেখানে এক ক্যান্টিনে কাজ করা শুরু করে এবং পরে সেখানে এক স্যান্ডউইচ শপ ও খোলে। কিন্তু দোকানের কন্ট্রাক্ট শেষ হবার পরে আবারো মুম্বাই ফিরে আসে আর সেখানে একদিন সে ড. মাসানীর সাথে সে "বোম্বে টকিজ " এ যায়। সেখানেই দেভিকা রানীর সাথে তার দেখা হয় যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
দেভিকা রানীর ষ্টুডিও থেকেই তার প্রথম ছবি
" জোয়ার ভাটা " মুক্তি পায় কিন্তু দিলীপ কুমার সে রকম পরিচিতি পায় না। তবে সে ঠিকই তখনকার সময়ের ষ্টার " অশোক কুমার " এর নজরে পড়ে যায় ।ফলে আরো কয়েকটি রোলের অফার আসে। আরো কয়েকটি অসফল ছবির পরে " জুগনু " ছবি দিয়ে সে খানিকটা পরিচিতি পায়।আর তার পরবর্তী দুই ছবি " শহীদ " আর মেহবুব খানের " আন্তাজ " এর পরে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি যার ভিতরে আন্তাজ ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি।
-
৫০ এর দশকেই তার আসল স্টারডম শুরু হয়। দিলীপ কুমার অভিনয় করতে থাকেন একের পর এক ট্রাজিক মুভিতে যা তাকে ট্রাজেডি কিং এর উপাধি এনে দেয়। এ সময়েই তিনি যোগান ,বাবুল ,দিদার ,দাগ, উড়ান খোটালা ,দেবদাস ,ইহুদি ,মধুমতি ইত্যাদি ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করেন। দাগ ছবিতে শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রথম filmfare best actor award জিতে নেন। দেবদাস ছবিতে সুচিত্রা সেন আর ভৈজন্তিমালার বিপরীতে করা দেবদাস চরিত্রকে বর্তমানে পঞ্চাশ এর দশকের বলিউডের অন্যতম সেরা চরিত্র হিসেবে ধরা হয়।
-
তবে শুধু ট্রাজিক রোলেই নয় ,বিভিন্ন সামাজিক ছবি যেমন ফুটপাথ , নয়া দৌড় , মুসাফির ,পয়গাম এর মতো ছবিতে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেও দিলীপ কুমার দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয় কেড়ে নেন। এছাড়াও আজাদ আর কোহিনুর ছবিতেও তার দুর্দান্ত অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। দিলীপ কুমারকে " ট্রাজেডি কিং " নামে বলার কারণে তার বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল রোলগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসেনি।সে সময়ে " কোহিনুর " ছবিতে সীতার বাজানোর জন্য সীতার শেখা থেকে নয়া দৌড় এ রিকশা চালানো সহ বিভিন্ন রকমের মেথড এক্টিং এর কারণে তাকে ভারতের অন্যতম সেরা মেথড এক্টরের ভিতরেও রাখা যায়।
-
ষাটের দশকের শুরুতেই তার অভিনীত কে.আসিফের " মুঘল - ই - আজম " মুক্তি পায় যা ভারতীয় ছবির ইতিহাসের সব বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দেয়। শাহজাদা সেলিমের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তায় দিলীপ কুমার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।এর পরের বছর সে "গঙ্গা যমুনা" নামের আরেক বিখ্যাত ছবিতে প্রযোজনা আর অভিনয় করেন যা তাকে ন্যাশনাল এওয়ার্ড পাইয়ে দেয়। এর পরে কয়েকটি অসফল ছবির পড়ে সে "রাম অউর শাম " এ ডাবল চরিত্রে অভিনয় করে আবারো বিশাল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়াও ১৯৬৮ সালে তার আরো দুই ছবি " আদমি "এবং " সংঘর্ষ " বক্স অফিসে হিট হয় যা তাকে আইকনে পরিণত করে ।
-
সত্তরের দশকে দিলীপ কুমার বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্টাল রোল করেন,যার ভিতরে এক বাংলা ভাষার ছবি " সাগিনা" ও ছিল।এর ভিতরে দাস্তান আর বৈরাগ বক্স অফিসে খুব বেশি আয় না করলেও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। এদিকে তার আরেক ছবি " গোপী " বেশ ভালো ব্যবসা করলেও ১৯৭৬ সালে তিনি অভিনয় থেকে পাঁচ বছরের অবসর নেন।
-
আশির দশকে ফিরে আসার পরপরই সে ক্রান্তি নামের ছবিতে অভিনয় করেন যা ঐবছরের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবিতে পরিণত হয়। এর পরেই সে বিধাতা , শক্তি ,মশাল ,দুনিয়া নামক ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন যার বেশিরভাই ব্যবসাসফল হয়।১৯৮৬ সালে তিনি অভিনয় করেন সুভাষ ঘাই এর " কার্মা " নামক ছবিতে যাকে আশির দশকের অন্যতম সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে বর্তমানে মানা হয় । তবে ৯০ এর দশকে তিনি খুব বেশি ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেননি। তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি " কিলা " তে সে ডাবল রোলে অভিনয় করেন যা খুব বেশি সাফল্য পায়নি।
-
পর্দার ভিতরের সাথে সাথে পর্দার বাইরেও দিলীপ কুমার তার
সময়ে ছিলেন সমান জনপ্রিয়। দিলীপ কুমারের সাথে প্রথম রোমান্সের খবর শোনা যায় কামিনী কৌশালের সাথে। পরে ভৈজন্তিমালার সাথে তার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোনটিই মধুবালার মত জনপ্রিয় হতে পারেনি। পর্দার ট্রাজিক কাহিনীর মতো তাদের বাস্তব জীবনের কাহিনীও ট্রাজিক। মধুবালার বাবার অমতে তাদের বিয়ে সে সময়ে হয় না। তার আর মধুবালার রোমান্স এবং বিচ্ছেদের কাহিনী সে সময়ে বলিউডে ছিল " টক অফ দ্যা টাউন " .পরে সে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে সে তাকে ছেড়ে আসমা খানের সাথে ঘর বাধে। সে বিয়েও অবশ্য খুব বেশিদিন টিকেনি।
-
মূলত অভিনেতা হলেও দিলীপ কুমার একই সাথে লেখক ,চিত্রনাট্যকার , এমনকি কবি ও । বিভিন্ন ছবিতে তার পোয়েটিক ডায়লগ তার সিগনেচার স্টাইল বলা যায়।
"Kaun kambakth hai jo bardasht karne ke liye peeta hai ,main to peeta hoon ke bas saans le sakoon" এর মতো আইকনিক ডায়লগ কে তিনি তার তার পোয়েটিক স্টাইলে বলে অন্যরকম জনপ্রিয়তায় নিয়ে গেছেন। আর তার মেথড এক্টিং সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় ভাষায় বলা যায় সে হলো আল্টিমেট মেথড এক্টর , আর জাভেদ আখতারের ভাষায় বলা যায় সে হলো মেথড এক্টিং এর জন্মদাতা।
-
সম্মাননার দিক থেকে দিলীপ কুমার অদ্বিতীয়।তিনি মোটমাট ১৯ বার filmfare best actor এর নমিনেশন পান যার ভিতরে আটবার ( দাগ ,আজাদ , দেবদাস ,নয়া দৌড় ,কোহিনুর , লিডার , রাম অউর শাম ,শক্তি ) তা জিতে নেন। এছাড়াও "গঙ্গা যমুনা " ছবির জন্য তিনি ন্যাশনাল এওয়ার্ড ও পান। দাদাসাহেব ফালকে ,পদ্ম বিভূষণ , CNN-IBN Lifetime Achievement Award থেকে শুরু করে দেশে বিদেশে আরো নানা ধরণের এওয়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন তিনি।
Some Facts about Dilip Kumar
ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ড জেতার জন্য "গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস " এ তার নাম আছে।
-
বিভিন্ন ছবিতে ট্রাজিক রোল প্লে করতে করতে সে ডিপ্রেশনে পরে যান এবং সাইক্রিয়াটিস্ট তাকে এ ধরণের রোল করা থেকে বিরত থাকতে বলেন।
-
স্ক্রিপ্ট চুজিং এর ক্ষেত্রে দিলীপ কুমার বরাবরই খুঁতখুঁতে ছিলেন। এ স্বভাবের কারণে তিনি "মাদার ইন্ডিয়া" এর আইকনিক রোল বিরজু থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেন যা পরবতীতে বিশাল হিট হয়েছিল। শুধু বলিউড নয় , পরিচালক ডেভিড লিন তাকে তার বিখ্যাত ছবি "লরেন্স অফ আরাবিয়া " তে অভিনয়ের অফার দিলে সেটাও তিনি ফিরিয়ে দেন।
-
একমাত্র ব্যক্তি যে পাকিস্তানের নিশান - ই- ইমতিয়াজ আর ভারতের পদ্ম বিভূষণ এ ভূষিত হয়েছেন।
-
পাঁচ দশকের ও বেশি সময় ধরে চলা মুভি ক্যারিয়ারে মোট ৬৩ টি ছবিতে অভিনয় করেন।
-
মাঝে রাজনীতিতে ঢুকে তিনি একবার রাজ্যসভার সদস্য ও হয়েছেন।
-
সত্যজিৎ রায়ের মতে "the ultimate method actor" খ্যাত দিলীপ কুমার অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান সহ অসংখ্য অভিনেতার আইডল।
-
দিলীপ কুমারের বায়োগ্রাফি নিয়ে লেখা বই "The Substance and the Shadow" ওই বছরের অন্যতম সেরা বিক্রিত বায়োগ্রাফি যা আমাজনে দুই সপ্তাহ বেস্ট সেলার লিস্টে ছিল।❝দিলীপ কুমার ❞ ~ দ্যা ট্রাজেডি কিং অফ বলিউড সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেভিকা রানী তার স্টুডিও " বোম্বে টকিজ" এ বসে আছেন। হঠাৎ ই তার কাছে এক ছেলে আসে অভিনয় করার আশায়। অনেক বাছ - বিচার করার পড়ে তিনি ছেলেটিকে নামমাত্র স্যালারির এক জব অফার করেন। কিন্তু ছেলের নাম নিয়েই পড়েন ঝামেলায় । তখনকার সময়ে সে ছেলের ফ্যামিলির দেয়া নাম " মোহাম্মদ ইউসুফ খান " নিয়ে এই ছেলে যে বেশিদূর যেতে পারবে না তা তিনি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন। এ জন্যে সে তাকে তিনটি নাম দিয়ে যেকোন একটি বেছে নেয়ার কথা বলেন। প্রথম দুই নাম পছন্দ না হওয়ায় সেই ছেলে তৃতীয় নামটিই বেছে নেন যে নাম দিয়ে আজকে তিনি সবার পরিচিত - " দিলীপ কুমার " . - ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক অঞ্চলে দিলীপ কুমারের জন্ম। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তার পিতা তার ১১ ভাইবোনের সাথে তাকেও মুম্বাই নিয়ে এসে থাকতে থাকেন। প্রথম জীবনে পারিবারিক ফলের ব্যবসায় যোগ দিলেও দিলীপ কুমারের মন পড়ে থাকতো অন্য কোন জায়গায়। তাই সে পুনেতে চলে যায় আর সেখানে এক ক্যান্টিনে কাজ করা শুরু করে এবং পরে সেখানে এক স্যান্ডউইচ শপ ও খোলে। কিন্তু দোকানের কন্ট্রাক্ট শেষ হবার পরে আবারো মুম্বাই ফিরে আসে আর সেখানে একদিন সে ড. মাসানীর সাথে সে "বোম্বে টকিজ " এ যায়। সেখানেই দেভিকা রানীর সাথে তার দেখা হয় যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দেভিকা রানীর ষ্টুডিও থেকেই তার প্রথম ছবি " জোয়ার ভাটা " মুক্তি পায় কিন্তু দিলীপ কুমার সে রকম পরিচিতি পায় না। তবে সে ঠিকই তখনকার সময়ের ষ্টার " অশোক কুমার " এর নজরে পড়ে যায় ।ফলে আরো কয়েকটি রোলের অফার আসে। আরো কয়েকটি অসফল ছবির পরে " জুগনু " ছবি দিয়ে সে খানিকটা পরিচিতি পায়।আর তার পরবর্তী দুই ছবি " শহীদ " আর মেহবুব খানের " আন্তাজ " এর পরে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি যার ভিতরে আন্তাজ ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি। - ৫০ এর দশকেই তার আসল স্টারডম শুরু হয়। দিলীপ কুমার অভিনয় করতে থাকেন একের পর এক ট্রাজিক মুভিতে যা তাকে ট্রাজেডি কিং এর উপাধি এনে দেয়। এ সময়েই তিনি যোগান ,বাবুল ,দিদার ,দাগ, উড়ান খোটালা ,দেবদাস ,ইহুদি ,মধুমতি ইত্যাদি ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করেন। দাগ ছবিতে শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রথম filmfare best actor award জিতে নেন। দেবদাস ছবিতে সুচিত্রা সেন আর ভৈজন্তিমালার বিপরীতে করা দেবদাস চরিত্রকে বর্তমানে পঞ্চাশ এর দশকের বলিউডের অন্যতম সেরা চরিত্র হিসেবে ধরা হয়। - তবে শুধু ট্রাজিক রোলেই নয় ,বিভিন্ন সামাজিক ছবি যেমন ফুটপাথ , নয়া দৌড় , মুসাফির ,পয়গাম এর মতো ছবিতে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেও দিলীপ কুমার দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয় কেড়ে নেন। এছাড়াও আজাদ আর কোহিনুর ছবিতেও তার দুর্দান্ত অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। দিলীপ কুমারকে " ট্রাজেডি কিং " নামে বলার কারণে তার বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল রোলগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসেনি।সে সময়ে " কোহিনুর " ছবিতে সীতার বাজানোর জন্য সীতার শেখা থেকে নয়া দৌড় এ রিকশা চালানো সহ বিভিন্ন রকমের মেথড এক্টিং এর কারণে তাকে ভারতের অন্যতম সেরা মেথড এক্টরের ভিতরেও রাখা যায়। - ষাটের দশকের শুরুতেই তার অভিনীত কে.আসিফের " মুঘল - ই - আজম " মুক্তি পায় যা ভারতীয় ছবির ইতিহাসের সব বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দেয়। শাহজাদা সেলিমের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তায় দিলীপ কুমার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।এর পরের বছর সে "গঙ্গা যমুনা" নামের আরেক বিখ্যাত ছবিতে প্রযোজনা আর অভিনয় করেন যা তাকে ন্যাশনাল এওয়ার্ড পাইয়ে দেয়। এর পরে কয়েকটি অসফল ছবির পড়ে সে "রাম অউর শাম " এ ডাবল চরিত্রে অভিনয় করে আবারো বিশাল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়াও ১৯৬৮ সালে তার আরো দুই ছবি " আদমি "এবং " সংঘর্ষ " বক্স অফিসে হিট হয় যা তাকে আইকনে পরিণত করে । - সত্তরের দশকে দিলীপ কুমার বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্টাল রোল করেন,যার ভিতরে এক বাংলা ভাষার ছবি " সাগিনা" ও ছিল।এর ভিতরে দাস্তান আর বৈরাগ বক্স অফিসে খুব বেশি আয় না করলেও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। এদিকে তার আরেক ছবি " গোপী " বেশ ভালো ব্যবসা করলেও ১৯৭৬ সালে তিনি অভিনয় থেকে পাঁচ বছরের অবসর নেন। - আশির দশকে ফিরে আসার পরপরই সে ক্রান্তি নামের ছবিতে অভিনয় করেন যা ঐবছরের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবিতে পরিণত হয়। এর পরেই সে বিধাতা , শক্তি ,মশাল ,দুনিয়া নামক ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন যার বেশিরভাই ব্যবসাসফল হয়।১৯৮৬ সালে তিনি অভিনয় করেন সুভাষ ঘাই এর " কার্মা " নামক ছবিতে যাকে আশির দশকের অন্যতম সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে বর্তমানে মানা হয় । তবে ৯০ এর দশকে তিনি খুব বেশি ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেননি। তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি " কিলা " তে সে ডাবল রোলে অভিনয় করেন যা খুব বেশি সাফল্য পায়নি। - পর্দার ভিতরের সাথে সাথে পর্দার বাইরেও দিলীপ কুমার তার সময়ে ছিলেন সমান জনপ্রিয়। দিলীপ কুমারের সাথে প্রথম রোমান্সের খবর শোনা যায় কামিনী কৌশালের সাথে। পরে ভৈজন্তিমালার সাথে তার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোনটিই মধুবালার মত জনপ্রিয় হতে পারেনি। পর্দার ট্রাজিক কাহিনীর মতো তাদের বাস্তব জীবনের কাহিনীও ট্রাজিক। মধুবালার বাবার অমতে তাদের বিয়ে সে সময়ে হয় না। তার আর মধুবালার রোমান্স এবং বিচ্ছেদের কাহিনী সে সময়ে বলিউডে ছিল " টক অফ দ্যা টাউন " .পরে সে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে সে তাকে ছেড়ে আসমা খানের সাথে ঘর বাধে। সে বিয়েও অবশ্য খুব বেশিদিন টিকেনি। - মূলত অভিনেতা হলেও দিলীপ কুমার একই সাথে লেখক ,চিত্রনাট্যকার , এমনকি কবি ও । বিভিন্ন ছবিতে তার পোয়েটিক ডায়লগ তার সিগনেচার স্টাইল বলা যায়। "Kaun kambakth hai jo bardasht karne ke liye peeta hai ,main to peeta hoon ke bas saans le sakoon" এর মতো আইকনিক ডায়লগ কে তিনি তার তার পোয়েটিক স্টাইলে বলে অন্যরকম জনপ্রিয়তায় নিয়ে গেছেন। আর তার মেথড এক্টিং সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় ভাষায় বলা যায় সে হলো আল্টিমেট মেথড এক্টর , আর জাভেদ আখতারের ভাষায় বলা যায় সে হলো মেথড এক্টিং এর জন্মদাতা। - সম্মাননার দিক থেকে দিলীপ কুমার অদ্বিতীয়।তিনি মোটমাট ১৯ বার filmfare best actor এর নমিনেশন পান যার ভিতরে আটবার ( দাগ ,আজাদ , দেবদাস ,নয়া দৌড় ,কোহিনুর , লিডার , রাম অউর শাম ,শক্তি ) তা জিতে নেন। এছাড়াও "গঙ্গা যমুনা " ছবির জন্য তিনি ন্যাশনাল এওয়ার্ড ও পান। দাদাসাহেব ফালকে ,পদ্ম বিভূষণ , CNN-IBN Lifetime Achievement Award থেকে শুরু করে দেশে বিদেশে আরো নানা ধরণের এওয়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন তিনি। 📌Some Facts about Dilip Kumar ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ড জেতার জন্য "গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস " এ তার নাম আছে। - বিভিন্ন ছবিতে ট্রাজিক রোল প্লে করতে করতে সে ডিপ্রেশনে পরে যান এবং সাইক্রিয়াটিস্ট তাকে এ ধরণের রোল করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। - স্ক্রিপ্ট চুজিং এর ক্ষেত্রে দিলীপ কুমার বরাবরই খুঁতখুঁতে ছিলেন। এ স্বভাবের কারণে তিনি "মাদার ইন্ডিয়া" এর আইকনিক রোল বিরজু থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেন যা পরবতীতে বিশাল হিট হয়েছিল। শুধু বলিউড নয় , পরিচালক ডেভিড লিন তাকে তার বিখ্যাত ছবি "লরেন্স অফ আরাবিয়া " তে অভিনয়ের অফার দিলে সেটাও তিনি ফিরিয়ে দেন। - একমাত্র ব্যক্তি যে পাকিস্তানের নিশান - ই- ইমতিয়াজ আর ভারতের পদ্ম বিভূষণ এ ভূষিত হয়েছেন। - পাঁচ দশকের ও বেশি সময় ধরে চলা মুভি ক্যারিয়ারে মোট ৬৩ টি ছবিতে অভিনয় করেন। - মাঝে রাজনীতিতে ঢুকে তিনি একবার রাজ্যসভার সদস্য ও হয়েছেন। - সত্যজিৎ রায়ের মতে "the ultimate method actor" খ্যাত দিলীপ কুমার অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান সহ অসংখ্য অভিনেতার আইডল। - দিলীপ কুমারের বায়োগ্রাফি নিয়ে লেখা বই "The Substance and the Shadow" ওই বছরের অন্যতম সেরা বিক্রিত বায়োগ্রাফি যা আমাজনে দুই সপ্তাহ বেস্ট সেলার লিস্টে ছিল।0 Comments 0 Shares 159 Views -
ইতালির টাসকানির পোগজিও ক্যান্টেরেলো থেকে চমৎকার একটি এট্রুস্কান টেরাকোটা সারকোফাগাস পাওয়া গেছে। এটি খ্রিস্টপূর্ব ১৫০-১৪০ সালের। সারকোফাগাসটি একটি মহিলার। তার নাম সিয়ান্তি হানুনিয়া টলেসনাসা, বুকের কাছে খোদাই করে লেখা রয়েছে তার নামটি । বহু বছর আগে এক সুশিক্ষিত জাতি ছিল এই এট্রুস্কানরা। সেই এট্রুস্কান জাতির কোন এক ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যের সারকোফাগাস এটি।
তার গায়ে সুসজ্জিত গাউন, পরতে পরতে ভাজ করা এক পোশাক, তার মাথায় রয়েছে টিয়ারা, কানে দুল, হাতে ব্রেসলেট ও গলার নেকলেস। এ সব কিছুই প্রমাণ করে তিনি এক উচ্চ সামাজিক মর্যাদার অধিকারী অভিযাত মহিলা ছিলেন। এক আরামদায়ক গদিতে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন, এক হাতে একটি খোলা আয়না ও অন্য হাত দিয়ে তিনি তার মাথার ঘোমটাটি টেনে ধরে আছেন।
সারকোফাগাসের থেকে পাওয়া তথ্য থেকে যানা যায় মহিলার বয়স প্রায় ৫০-৫৫ বছর হবে। কি অদ্ভুত ব্যাপার তাইনা? হাজার বছর আগে তৈরি এক সারকোফাগাসের আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার নানাদিক l জানতে পারি আজ থেকে কতশত বছর আগের মানুষের জীবন যাপন, তাদের কর্ম দক্ষতা l🔺ইতালির টাসকানির পোগজিও ক্যান্টেরেলো থেকে চমৎকার একটি এট্রুস্কান টেরাকোটা সারকোফাগাস পাওয়া গেছে। এটি খ্রিস্টপূর্ব ১৫০-১৪০ সালের। সারকোফাগাসটি একটি মহিলার। তার নাম সিয়ান্তি হানুনিয়া টলেসনাসা, বুকের কাছে খোদাই করে লেখা রয়েছে তার নামটি । বহু বছর আগে এক সুশিক্ষিত জাতি ছিল এই এট্রুস্কানরা। সেই এট্রুস্কান জাতির কোন এক ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যের সারকোফাগাস এটি। তার গায়ে সুসজ্জিত গাউন, পরতে পরতে ভাজ করা এক পোশাক, তার মাথায় রয়েছে টিয়ারা, কানে দুল, হাতে ব্রেসলেট ও গলার নেকলেস। এ সব কিছুই প্রমাণ করে তিনি এক উচ্চ সামাজিক মর্যাদার অধিকারী অভিযাত মহিলা ছিলেন। এক আরামদায়ক গদিতে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন, এক হাতে একটি খোলা আয়না ও অন্য হাত দিয়ে তিনি তার মাথার ঘোমটাটি টেনে ধরে আছেন। সারকোফাগাসের থেকে পাওয়া তথ্য থেকে যানা যায় মহিলার বয়স প্রায় ৫০-৫৫ বছর হবে। কি অদ্ভুত ব্যাপার তাইনা? হাজার বছর আগে তৈরি এক সারকোফাগাসের আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার নানাদিক l জানতে পারি আজ থেকে কতশত বছর আগের মানুষের জীবন যাপন, তাদের কর্ম দক্ষতা l0 Comments 0 Shares 70 Views -
‘মহামহোপাধ্যায়’ ও ‘শাস্ত্রী’ খ্যাত, পণ্ডিত মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী একজন বিখ্যাত সংস্কৃত বিশারদ, সংরক্ষণবিদ, ভাষাতাত্ত্বিক, সাহিত্যগবেষক, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যসন্ধানী, বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন ‘চর্যাপদ’র আবিষ্কারক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বাংলা’ ও ‘সংস্কৃত’ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা, প্রাবন্ধিক, খ্যাতনামা হিস্টোরিওগ্রাফার ও বাঙালি ভারততত্ত্ববিদ ৷ তিনি ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ই ডিসেম্বর খুলনা জেলার কুমিরা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । তবে তাদের আদি নিবাস ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার নৈহাটিতে ৷ তাঁর পারিবারিক নাম হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য ।
গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর হরপ্রসাদ কলকাতার সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন । কলকাতায় তিনি তাঁর বড়দা নন্দকুমার ন্যায়চঞ্চুর বন্ধু তথা বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ও পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে থাকতেন । ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে হরপ্রসাদ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে পাস করেন ফার্স্ট আর্টস পরীক্ষা । ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দ বি.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন । ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃতে সাম্মানিক হন । পরে এম.এ. পরীক্ষায় পাস করে তিনি 'শাস্ত্রী' উপাধি লাভ করেন । উক্ত পরীক্ষায় হরপ্রসাদই ছিলেন প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ একমাত্র ছাত্র ।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রথম গবেষণাপত্রটি ‘ভারত মহিলা’ নামে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । সেই সময় তিনি ছিলেন ছাত্র । পরে হরপ্রসাদ এই পত্রিকার নিয়মিত লেখকে পরিণত হন এবং নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন । হরপ্রসাদকে ভারততত্ত্ব বিষয়ে আগ্রহী করে তোলেন বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিদ রাজেন্দ্রলাল মিত্র । তিনি রাজেন্দ্রলালের ‘দ্য সংস্কৃত বুদ্ধিস্ট লিটারেচার অফ নেপাল’ গ্রন্থে সঙ্কলিত বৌদ্ধ পুরাণগুলির অনুবাদ শুরু করেন । এশিয়াটিক সোসাইটিতে তিনি রাজেন্দ্রলালের সহকারী ছিলেন ।
রাজেন্দ্রলালের মৃত্যুর পর সোসাইটিতে সংস্কৃত পুঁথি অন্বেষণ বিভাগের পরিচালক হন । অল্প কয়েকজন সহকারী নিয়ে হরপ্রসাদ ‘এশিয়াটিক সোসাইটি’র দশ হাজার পুঁথির ক্যাটালগ প্রস্তুত করেন ৷ এই ক্যাটালগের যে দীর্ঘ মুখবন্ধটি তিনি রচনা করেছিলেন, তা সংস্কৃত সাহিত্যের একটি মূল্যবান ইতিহাস । সংস্কৃত পুঁথি নিয়ে চর্চা করতে করতেই হরপ্রসাদ বাংলা পুঁথির বিষয়েও আগ্রহী হয়ে ওঠেন । পুঁথির সন্ধানে তিনি অনেকবার নেপাল গিয়েছিলেন । সেখানেই ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবিষ্কার করেন চর্যাগীতি বা চর্যাপদের পুঁথি ৷ এই পুঁথিগুলি নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেন এগুলিই বাংলা সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন ৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক বাংলা সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে, নেপালের রয়েল লাইব্রেরী থেকে বাংলা সাহিত্যের একমাত্র আদি নিদর্শন ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কার করেন ৷ ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে, চর্যাপদের পুঁথি নিয়ে রচিত তাঁর গবেষণাপত্র “হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোঁহা” নামে প্রকাশিত হয় ।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী অনেক প্রাচীন গ্রন্থ সংগ্রহ করে প্রকাশ করেছিলেন । তিনি সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত ‘রামচরিতম্’ বা ‘রামচরিতমানস’ পুঁথির সংগ্রাহক ৷ তিনি বহু গবেষণাপত্রও রচনা করেন । তিনি ছিলেন এক খ্যাতনামা ‘হিস্টোরিওগ্রাফার’ ৷ স্বীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ লাভ করেছিলেন বহু পুরস্কার ও সম্মান ৷
তাঁর রচিত বিখ্যাত সাহিত্যসৃষ্টিকর্মগুলি হলো:
‘বাল্মীকির জয়’
‘মেঘদূত ব্যাখ্যা’
‘বেণের মেয়ে’ (উপন্যাস)
‘কাঞ্চনমালা’ (উপন্যাস)
‘সচিত্র রামায়ণ’
‘প্রাচীন বাংলার গৌরব’
‘বৌদ্ধধর্ম’
‘শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ’ প্রভৃতি ৷
তাঁর উল্লেখযোগ্য ইংরেজি রচনাগুলি হল ‘মগধান লিটারেচার’, ‘সংস্কৃত কালচার ইন মডার্ন ইন্ডিয়া’ ও ‘ডিসকভারি অফ লিভিং বুদ্ধিজম ইন বেঙ্গল’ ইত্যাদি ৷
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’র বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন ৷ অধ্যাপনা ও সরকারি কাজের পাশাপাশি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী দু বছর ‘এশিয়াটিক সোসাইটি’র সভাপতি, বারো বছর ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’র সভাপতি এবং লন্ডনের ‘রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি’র সাম্মানিক সদস্য ছিলেন ৷ ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর ৭৮ বছর বয়সে এই মনীষী প্রয়াণবরণ করেন ৷
#bdcs #horprosadsastri #হরপ্রসাদশাস্ত্রী #banglaliterature #বাংলাসাহিত্য #সাহিত্য #itihaserkhojegiridhar #giridhardey #বাংলাদেশের_দুষ্প্রাপ্য_ছবি_সমগ্র #ইতিহাসেরখোঁজেগিরিধর‘মহামহোপাধ্যায়’ ও ‘শাস্ত্রী’ খ্যাত, পণ্ডিত মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী একজন বিখ্যাত সংস্কৃত বিশারদ, সংরক্ষণবিদ, ভাষাতাত্ত্বিক, সাহিত্যগবেষক, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যসন্ধানী, বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন ‘চর্যাপদ’র আবিষ্কারক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বাংলা’ ও ‘সংস্কৃত’ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা, প্রাবন্ধিক, খ্যাতনামা হিস্টোরিওগ্রাফার ও বাঙালি ভারততত্ত্ববিদ ৷ তিনি ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ই ডিসেম্বর খুলনা জেলার কুমিরা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । তবে তাদের আদি নিবাস ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার নৈহাটিতে ৷ তাঁর পারিবারিক নাম হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য । গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর হরপ্রসাদ কলকাতার সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন । কলকাতায় তিনি তাঁর বড়দা নন্দকুমার ন্যায়চঞ্চুর বন্ধু তথা বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ও পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে থাকতেন । ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে হরপ্রসাদ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে পাস করেন ফার্স্ট আর্টস পরীক্ষা । ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দ বি.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন । ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃতে সাম্মানিক হন । পরে এম.এ. পরীক্ষায় পাস করে তিনি 'শাস্ত্রী' উপাধি লাভ করেন । উক্ত পরীক্ষায় হরপ্রসাদই ছিলেন প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ একমাত্র ছাত্র । হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রথম গবেষণাপত্রটি ‘ভারত মহিলা’ নামে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । সেই সময় তিনি ছিলেন ছাত্র । পরে হরপ্রসাদ এই পত্রিকার নিয়মিত লেখকে পরিণত হন এবং নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন । হরপ্রসাদকে ভারততত্ত্ব বিষয়ে আগ্রহী করে তোলেন বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিদ রাজেন্দ্রলাল মিত্র । তিনি রাজেন্দ্রলালের ‘দ্য সংস্কৃত বুদ্ধিস্ট লিটারেচার অফ নেপাল’ গ্রন্থে সঙ্কলিত বৌদ্ধ পুরাণগুলির অনুবাদ শুরু করেন । এশিয়াটিক সোসাইটিতে তিনি রাজেন্দ্রলালের সহকারী ছিলেন । রাজেন্দ্রলালের মৃত্যুর পর সোসাইটিতে সংস্কৃত পুঁথি অন্বেষণ বিভাগের পরিচালক হন । অল্প কয়েকজন সহকারী নিয়ে হরপ্রসাদ ‘এশিয়াটিক সোসাইটি’র দশ হাজার পুঁথির ক্যাটালগ প্রস্তুত করেন ৷ এই ক্যাটালগের যে দীর্ঘ মুখবন্ধটি তিনি রচনা করেছিলেন, তা সংস্কৃত সাহিত্যের একটি মূল্যবান ইতিহাস । সংস্কৃত পুঁথি নিয়ে চর্চা করতে করতেই হরপ্রসাদ বাংলা পুঁথির বিষয়েও আগ্রহী হয়ে ওঠেন । পুঁথির সন্ধানে তিনি অনেকবার নেপাল গিয়েছিলেন । সেখানেই ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবিষ্কার করেন চর্যাগীতি বা চর্যাপদের পুঁথি ৷ এই পুঁথিগুলি নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেন এগুলিই বাংলা সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক বাংলা সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে, নেপালের রয়েল লাইব্রেরী থেকে বাংলা সাহিত্যের একমাত্র আদি নিদর্শন ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কার করেন ৷ ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে, চর্যাপদের পুঁথি নিয়ে রচিত তাঁর গবেষণাপত্র “হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোঁহা” নামে প্রকাশিত হয় । হরপ্রসাদ শাস্ত্রী অনেক প্রাচীন গ্রন্থ সংগ্রহ করে প্রকাশ করেছিলেন । তিনি সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত ‘রামচরিতম্’ বা ‘রামচরিতমানস’ পুঁথির সংগ্রাহক ৷ তিনি বহু গবেষণাপত্রও রচনা করেন । তিনি ছিলেন এক খ্যাতনামা ‘হিস্টোরিওগ্রাফার’ ৷ স্বীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ লাভ করেছিলেন বহু পুরস্কার ও সম্মান ৷ তাঁর রচিত বিখ্যাত সাহিত্যসৃষ্টিকর্মগুলি হলো: ‘বাল্মীকির জয়’ ‘মেঘদূত ব্যাখ্যা’ ‘বেণের মেয়ে’ (উপন্যাস) ‘কাঞ্চনমালা’ (উপন্যাস) ‘সচিত্র রামায়ণ’ ‘প্রাচীন বাংলার গৌরব’ ‘বৌদ্ধধর্ম’ ‘শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ’ প্রভৃতি ৷ তাঁর উল্লেখযোগ্য ইংরেজি রচনাগুলি হল ‘মগধান লিটারেচার’, ‘সংস্কৃত কালচার ইন মডার্ন ইন্ডিয়া’ ও ‘ডিসকভারি অফ লিভিং বুদ্ধিজম ইন বেঙ্গল’ ইত্যাদি ৷ মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’র বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন ৷ অধ্যাপনা ও সরকারি কাজের পাশাপাশি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী দু বছর ‘এশিয়াটিক সোসাইটি’র সভাপতি, বারো বছর ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’র সভাপতি এবং লন্ডনের ‘রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি’র সাম্মানিক সদস্য ছিলেন ৷ ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর ৭৮ বছর বয়সে এই মনীষী প্রয়াণবরণ করেন ৷ #bdcs #horprosadsastri #হরপ্রসাদশাস্ত্রী #banglaliterature #বাংলাসাহিত্য #সাহিত্য #itihaserkhojegiridhar #giridhardey #বাংলাদেশের_দুষ্প্রাপ্য_ছবি_সমগ্র #ইতিহাসেরখোঁজেগিরিধর0 Comments 0 Shares 233 Views -
আলি এক্সপ্রেস থেকে অনলাইনে ড্রিল মেশিন আর প্রেশার ওয়াশার অর্ডার করেছিলেন সিলভেস্টার ফ্রাঙ্কলিন নামের এই ব্যক্তি। খরচ করেছিলেন সব মিলিয়ে ৪০ ডলার। কিন্তু অনলাইনে তিনি কী পেয়েছিলেন জানেন? ড্রিল মেশিনের পরিবর্তে ওটার প্রিন্ট করা ছবি, আর প্রেশার ওয়াশারের বদলে একটা স্ক্রু!
.
.
#itihasergolpo #itihaser_golpo #Aliexpressআলি এক্সপ্রেস থেকে অনলাইনে ড্রিল মেশিন আর প্রেশার ওয়াশার অর্ডার করেছিলেন সিলভেস্টার ফ্রাঙ্কলিন নামের এই ব্যক্তি। খরচ করেছিলেন সব মিলিয়ে ৪০ ডলার। কিন্তু অনলাইনে তিনি কী পেয়েছিলেন জানেন? ড্রিল মেশিনের পরিবর্তে ওটার প্রিন্ট করা ছবি, আর প্রেশার ওয়াশারের বদলে একটা স্ক্রু! . . #itihasergolpo #itihaser_golpo #Aliexpress0 Comments 0 Shares 155 Views -
অবশেষে আজ ১ আগস্ট বাংলাদেশের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হলো।
এছাড়া পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫, ভারতের ওপর ২৫, ব্রাজিলের ওপর ১০, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯, মিয়ানমারের ওপর ৪০, ফিলিপাইনের ওপর ১৯, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।অবশেষে আজ ১ আগস্ট বাংলাদেশের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হলো। এছাড়া পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫, ভারতের ওপর ২৫, ব্রাজিলের ওপর ১০, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯, মিয়ানমারের ওপর ৪০, ফিলিপাইনের ওপর ১৯, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। -
পঙ্গু স্ত্রীকে শহর দেখাতে গিয়েই সৃষ্টি হলো রিকশা!
Crimepatrol.news
আজ যে রিকশা আমাদের নগরজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ—তার জন্ম কিন্তু হয়েছিল ভালোবাসা থেকে। এক অসুস্থ স্ত্রীকে শহর ঘুরিয়ে দেখানোর ইচ্ছাই জন্ম দিয়েছিল এই মানবচালিত বাহনের।
কে প্রথম রিকশা তৈরি করেন?
অনেক ইতিহাসবিদের মতে, রিকশা (Rickshaw) আবিষ্কার হয়েছিল জাপানে, কিন্তু এই আবিষ্কারের পেছনের নকশাকার ছিলেন একজন মার্কিন মিশনারি—জোনাথন স্কোবি বা জোনাথন গোবলে।
১৮৬৯ সালে তিনি জাপানের ইয়োকোহামা শহরে ধর্ম প্রচারের কাজে থাকতেন।
তার স্ত্রী এলিজা গোবলে হাঁটতে অক্ষম ছিলেন। স্ত্রীকে শহর ঘুরিয়ে দেখাতে তিনি দুই চাকার, সামনে হাতলযুক্ত একটি বাহনের নকশা আঁকেন এবং কাঠ দিয়ে সেটি তৈরি করেন। এই বাহনের নাম তিনি দেন “জিনরিকশা” (人力車)—যার অর্থ “মানুষের শক্তিতে চালিত গাড়ি”।
তথ্যসূত্র:
• BBC বাংলা: রিকশার ইতিহাস ও আবিষ্কার
• Inventors and Innovations: Invention & Technology Magazine (Jonathan Goble)
• Wikipedia: Rickshaw – Origin & History
⸻
ইতিহাসে অন্য দাবিদারও আছেন
জাপানের তত্ত্ব:
১৮৬৯-৭০ সালের দিকে ইজুমি ইয়োসুকে, সুজুকি তোকুজিরো ও তাকায়ামা কোসুকে নামের তিন জাপানি নাগরিক দাবি করেন, তারা এই বাহনের প্রোটোটাইপ তৈরি করেন এবং সরকারিভাবে অনুমোদনও পান। এটি জাপানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি:
• জেমস বার্চ, নিউ জার্সির এক গাড়ি নির্মাতা, ১৮৬৭ সালে রিকশার অনুরূপ বাহন ডিজাইন করেছিলেন বলে জানান।
• আলবার্ট টোলম্যান, ম্যাসাচুসেটসের এক কামার, ১৮৪৮ সালে মিশনারীদের জন্য রিকশা তৈরি করেন বলে দাবি উঠে।
তথ্যসূত্র:
• Burlington County Historical Society Archives
• William E. Lewis, Through the Heartland on U.S. 20
• Wikipedia: History of Rickshaw Inventors
⸻
রিকশার যাত্রা বিশ্বজুড়ে
• জাপানে প্রথমদিকে রিকশা ছিল শুধু ধনী লোকদের বিলাসবহুল যান।
• পরে এটি চীন, ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসে।
• বাংলাদেশে রিকশা প্রথম আসে ১৯৩৮ সালে চট্টগ্রামে, পরে ১৯৪১ সালে ঢাকায়।
তথ্যসূত্র:
• Bangladesh National Museum Archives
• Wikipedia (Rickshaw in Bangladesh)
• BBC Bangla Historical Report, ২০১৮
⸻
সারসংক্ষেপ:
❝ এক পঙ্গু স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা থেকেই জন্ম নিয়েছিল এই যান। পরে তা হয়ে উঠেছে এশিয়ার কোটি মানুষের জীবনের অঙ্গ। ❞
⸻
আপনার শহরের রিকশাও কি একদিন কারও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি ছিল?
কমেন্টে লিখে জানান!
আর এ ধরনের মানবিক ইতিহাস জানতে ফলো করুন Crimepatrol.news
#বাংলারইতিহাস #বিডিনিউজ #ইতিহাসকথা
#BDHistory #RickshawDiaries #UntoldBDপঙ্গু স্ত্রীকে শহর দেখাতে গিয়েই সৃষ্টি হলো রিকশা! Crimepatrol.news আজ যে রিকশা আমাদের নগরজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ—তার জন্ম কিন্তু হয়েছিল ভালোবাসা থেকে। এক অসুস্থ স্ত্রীকে শহর ঘুরিয়ে দেখানোর ইচ্ছাই জন্ম দিয়েছিল এই মানবচালিত বাহনের। 📍 কে প্রথম রিকশা তৈরি করেন? অনেক ইতিহাসবিদের মতে, রিকশা (Rickshaw) আবিষ্কার হয়েছিল জাপানে, কিন্তু এই আবিষ্কারের পেছনের নকশাকার ছিলেন একজন মার্কিন মিশনারি—জোনাথন স্কোবি বা জোনাথন গোবলে। ১৮৬৯ সালে তিনি জাপানের ইয়োকোহামা শহরে ধর্ম প্রচারের কাজে থাকতেন। তার স্ত্রী এলিজা গোবলে হাঁটতে অক্ষম ছিলেন। স্ত্রীকে শহর ঘুরিয়ে দেখাতে তিনি দুই চাকার, সামনে হাতলযুক্ত একটি বাহনের নকশা আঁকেন এবং কাঠ দিয়ে সেটি তৈরি করেন। এই বাহনের নাম তিনি দেন “জিনরিকশা” (人力車)—যার অর্থ “মানুষের শক্তিতে চালিত গাড়ি”। 📚 তথ্যসূত্র: • BBC বাংলা: রিকশার ইতিহাস ও আবিষ্কার • Inventors and Innovations: Invention & Technology Magazine (Jonathan Goble) • Wikipedia: Rickshaw – Origin & History ⸻ 🧾 ইতিহাসে অন্য দাবিদারও আছেন 🛠️ জাপানের তত্ত্ব: ১৮৬৯-৭০ সালের দিকে ইজুমি ইয়োসুকে, সুজুকি তোকুজিরো ও তাকায়ামা কোসুকে নামের তিন জাপানি নাগরিক দাবি করেন, তারা এই বাহনের প্রোটোটাইপ তৈরি করেন এবং সরকারিভাবে অনুমোদনও পান। এটি জাপানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। 🛠️ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি: • জেমস বার্চ, নিউ জার্সির এক গাড়ি নির্মাতা, ১৮৬৭ সালে রিকশার অনুরূপ বাহন ডিজাইন করেছিলেন বলে জানান। • আলবার্ট টোলম্যান, ম্যাসাচুসেটসের এক কামার, ১৮৪৮ সালে মিশনারীদের জন্য রিকশা তৈরি করেন বলে দাবি উঠে। 📚 তথ্যসূত্র: • Burlington County Historical Society Archives • William E. Lewis, Through the Heartland on U.S. 20 • Wikipedia: History of Rickshaw Inventors ⸻ 🌍 রিকশার যাত্রা বিশ্বজুড়ে • জাপানে প্রথমদিকে রিকশা ছিল শুধু ধনী লোকদের বিলাসবহুল যান। • পরে এটি চীন, ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসে। • বাংলাদেশে রিকশা প্রথম আসে ১৯৩৮ সালে চট্টগ্রামে, পরে ১৯৪১ সালে ঢাকায়। 📚 তথ্যসূত্র: • Bangladesh National Museum Archives • Wikipedia (Rickshaw in Bangladesh) • BBC Bangla Historical Report, ২০১৮ ⸻ 🔍 সারসংক্ষেপ: ❝ এক পঙ্গু স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা থেকেই জন্ম নিয়েছিল এই যান। পরে তা হয়ে উঠেছে এশিয়ার কোটি মানুষের জীবনের অঙ্গ। ❞ ⸻ 📢 আপনার শহরের রিকশাও কি একদিন কারও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি ছিল? কমেন্টে লিখে জানান! আর এ ধরনের মানবিক ইতিহাস জানতে ফলো করুন 👉 Crimepatrol.news #বাংলারইতিহাস #বিডিনিউজ #ইতিহাসকথা #BDHistory #RickshawDiaries #UntoldBD -
একটি ব্রাজিলিয়ান স্টার্ট-আপ তৈরি করেছে এমন একটি এইআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট, যেটি প্রতি ঘন্টায় ১০০ টিরও বেশি চারা রোপন করতে পারে। এমনকি জায়গার গুণাগুণ বিবেচনা করে সেখানের জন্য সঠিক চারাও নির্ধারণ করতে পারে। ব্রাজিলে গণহারে আমাজন বন উজাড় চলছে। ফলে বন উজাড় হওয়া অঞ্চলগুলোতে দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে বৃক্ষরোপন করে পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্যই মূলত এই রোবট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বীজ ছিটানোরও কিছু রোবট রয়েছে যেগুলো প্রতি ঘন্টায় ১৮০০টি পর্যন্ত বীজ বপন করতে পারে এবং ২৪ ঘন্টা একটানা কাজ করে ৮৬,০০০ পর্যন্ত বীজ রোপন করতে পারে।একটি ব্রাজিলিয়ান স্টার্ট-আপ তৈরি করেছে এমন একটি এইআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট, যেটি প্রতি ঘন্টায় ১০০ টিরও বেশি চারা রোপন করতে পারে। এমনকি জায়গার গুণাগুণ বিবেচনা করে সেখানের জন্য সঠিক চারাও নির্ধারণ করতে পারে। ব্রাজিলে গণহারে আমাজন বন উজাড় চলছে। ফলে বন উজাড় হওয়া অঞ্চলগুলোতে দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে বৃক্ষরোপন করে পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্যই মূলত এই রোবট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বীজ ছিটানোরও কিছু রোবট রয়েছে যেগুলো প্রতি ঘন্টায় ১৮০০টি পর্যন্ত বীজ বপন করতে পারে এবং ২৪ ঘন্টা একটানা কাজ করে ৮৬,০০০ পর্যন্ত বীজ রোপন করতে পারে।0 Comments 0 Shares 140 Views
-
On the night of September 7-8, nearly 7 billion people — about 85% of the world population — will witness a total lunar eclipse!
A full Blood SuperMoon.
As the Moon drifts into Earth’s shadow, it will gradually transform from its familiar silver glow into a deep coppery-red hue, a breathtaking display caused by sunlight filtering through the Earth's atmosphere — often called the “Blood Moon.”
Why it’s iconic:
Witness the entire eclipse sequence, from penumbral shading to the dramatic totality.
The Moon’s crimson glow is unique to each eclipse, determined by atmospheric conditions on Earth.
One of the most widely visible eclipses in history, offering skywatchers across the globe a chance to experience this cosmic marvel.
Where and how to view:
USA: Best viewed late in the evening on September 7 into the early hours of September 8. The eclipse will be visible across most states; those on the East Coast will see it high in the sky, while the West Coast will catch it lower on the horizon during moonrise or moonset.
Europe: Observers will enjoy prime viewing conditions during the early morning hours of September 8. Clear skies will allow the Moon’s gradual transition into totality to be seen in its entirety.
Pro tip: Find a dark-sky location with a clear horizon for the most dramatic view. A pair of binoculars or a small telescope will reveal even more detail as Earth’s shadow slowly sweeps across the lunar surface.
This total lunar eclipse is a rare chance to witness the Moon’s metamorphosis with your own eyes — no special equipment required. Mark your calendar, gather loved ones, and prepare for one of nature’s most hauntingly beautiful shows!On the night of September 7-8, nearly 7 billion people — about 85% of the world population — will witness a total lunar eclipse! A full Blood SuperMoon. 🌕 As the Moon drifts into Earth’s shadow, it will gradually transform from its familiar silver glow into a deep coppery-red hue, a breathtaking display caused by sunlight filtering through the Earth's atmosphere — often called the “Blood Moon.” 🔭 Why it’s iconic: Witness the entire eclipse sequence, from penumbral shading to the dramatic totality. The Moon’s crimson glow is unique to each eclipse, determined by atmospheric conditions on Earth. One of the most widely visible eclipses in history, offering skywatchers across the globe a chance to experience this cosmic marvel. 🌍 Where and how to view: USA: Best viewed late in the evening on September 7 into the early hours of September 8. The eclipse will be visible across most states; those on the East Coast will see it high in the sky, while the West Coast will catch it lower on the horizon during moonrise or moonset. Europe: Observers will enjoy prime viewing conditions during the early morning hours of September 8. Clear skies will allow the Moon’s gradual transition into totality to be seen in its entirety. 📸 Pro tip: Find a dark-sky location with a clear horizon for the most dramatic view. A pair of binoculars or a small telescope will reveal even more detail as Earth’s shadow slowly sweeps across the lunar surface. 🗓️ This total lunar eclipse is a rare chance to witness the Moon’s metamorphosis with your own eyes — no special equipment required. Mark your calendar, gather loved ones, and prepare for one of nature’s most hauntingly beautiful shows!0 Comments 0 Shares 163 Views -
১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় ভৌতিক চলচ্চিত্র “Candyman”-এ অভিনেতা Tony Todd মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রটি ছিল ভয়ঙ্কর, রক্তমুখী ও রহস্যময় এক আত্মার, যার চারপাশে সবসময় মৌমাছিরা ঘিরে থাকে। সিনেমার এক বিশেষ দৃশ্যে, তাঁকে মুখের ভেতর বাস্তব মৌমাছি রাখতে হয়েছিল — CGI বা কম্পিউটার গ্রাফিক্সের পরিবর্তে বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে ভয় ধরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
এই দৃশ্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, কারণ মৌমাছির কামড়ে অ্যালার্জি বা বিপজ্জনক শারীরিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই অভিনেতা Tony Todd প্রযোজকদের সঙ্গে একটি বিশেষ চুক্তি করেন — যতবার তাকে মৌমাছি কামড়াবে, প্রতিবার তিনি $1,000 পাবেন।
চিত্রগ্রহণ চলাকালীন তিনি মোট ২৩ বার মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত হন, যার ফলে তিনি $23,000 অতিরিক্ত আয় করেন শুধু মৌমাছির দংশনের কারণে।
লেখা: সালেহ আহমেদ, টিম - বিজ্ঞানচক্র১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় ভৌতিক চলচ্চিত্র “Candyman”-এ অভিনেতা Tony Todd মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রটি ছিল ভয়ঙ্কর, রক্তমুখী ও রহস্যময় এক আত্মার, যার চারপাশে সবসময় মৌমাছিরা ঘিরে থাকে। সিনেমার এক বিশেষ দৃশ্যে, তাঁকে মুখের ভেতর বাস্তব মৌমাছি রাখতে হয়েছিল — CGI বা কম্পিউটার গ্রাফিক্সের পরিবর্তে বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে ভয় ধরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এই দৃশ্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, কারণ মৌমাছির কামড়ে অ্যালার্জি বা বিপজ্জনক শারীরিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই অভিনেতা Tony Todd প্রযোজকদের সঙ্গে একটি বিশেষ চুক্তি করেন — যতবার তাকে মৌমাছি কামড়াবে, প্রতিবার তিনি $1,000 পাবেন। চিত্রগ্রহণ চলাকালীন তিনি মোট ২৩ বার মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত হন, যার ফলে তিনি $23,000 অতিরিক্ত আয় করেন শুধু মৌমাছির দংশনের কারণে। লেখা: সালেহ আহমেদ, টিম - বিজ্ঞানচক্র0 Comments 0 Shares 104 Views -
অনেক, অনেক বছর আগে—যখন মানুষ সবে চাষাবাদ শিখছিল, তখনই এক আশ্চর্য গাছের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। এই গাছ একদিকে যেমন উঁচু, তেমনি এর ফল ছিল স্বাদে, পুষ্টিতে আর শক্তিতে ভরপুর। এই ফলের নাম খেজুর।
প্রায় সাত হাজার বছর আগে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার বাসিন্দা সুমেরিয়ানরা প্রথম এই খেজুর চাষ করেছিল। খেজুর গাছ তাদের জীবনের এতটাই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিল যে, তাদের ভাষায় এর অনেকগুলো নাম ছিল। ভাষাবিদরা বলেন, কিছু নাম এত পুরোনো যে, সেগুলো হয়তো সুমেরিয়ানদেরও আগের সময়ের মানুষদের কাছ থেকে এসেছে।
শুধু সুমেরিয়ানরা নয়—সেই সময়ের আরও এক মহান সভ্যতা, সিন্ধু উপত্যকার মানুষরাও খেজুর খেত। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে খ্রিস্টপূর্ব ছয় হাজার বছর আগে তাঁরা খেজুর খাওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত ছিলেন। গবেষকদের ধারণা, এখান থেকেই খেজুর ছড়িয়ে পড়ে আরও পূর্বের দেশে, এমনকি মিশরেও।
ভারতের প্রাচীনতম গ্রন্থ অথর্ববেদ-এ খেজুরকে বলা হয়েছে "আকাশে যা উজ্জ্বল, তাই খর্জুর।" অর্থাৎ এই গাছের গুণ ও সৌন্দর্য যেন আকাশের তারাদের মতোই উজ্জ্বল। সেখানে লেখা আছে, সূর্য তার প্রখর রশ্মিতে খেজুর গাছকে বারবার পরীক্ষা করেছে, কিন্তু খেজুর আরও বেশি আনন্দে জেগে উঠেছে।
এমনকি ইসলাম ধর্মেও খেজুরের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কুরআনে খেজুরের নাম এসেছে কুড়িবার—আটবার এককভাবে, আর বারোবার অন্য ফলের সঙ্গে। নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজেও খেজুর ভালোবাসতেন। সকালে তিনি সাতটি খেজুর আর এক গ্লাস দুধ খেয়ে দিন শুরু করতেন। খেজুরে থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি৬, নিয়াসিন ও প্রচুর ফাইবার, যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে এতে ভিটামিন সি নেই, সম্ভবত সে কারণেই নবীজী দুধ যোগ করতেন, যাতে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না থাকে। তাঁর বিশ্বাস ছিল, নিয়মিত খেজুর খেলে শয়তান মানুষের কাছে ঘেঁষতে পারে না।
খেজুরের প্রতি এই ভালোবাসা শুধু ইসলাম ধর্মে নয়, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মেও আছে। তাদের ধর্মগুরু আব্রাহামও নাকি খেজুর খুব পছন্দ করতেন।
আরও পেছনে গেলে দেখা যায়, প্রেম ও উর্বরতার সুমেরীয় দেবী "মিলিতা"কেও কল্পনা করা হতো খেজুর গাছের রূপে। আধুনিক গবেষণাও বলে, খেজুর খেলে প্রসব যন্ত্রণা কমে l
এদিকে আমরা? আমাদের দেশে খেজুর মানেই যেন শীতের সকাল, রস উঠেছে গাছে। সেই রস দিয়ে হয় নলেন গুড়, খেজুর পাতায় বানানো হয় ঝাঁটা, চাটাই। আর সেই খেজুর গাছেই এক সাধক গেয়ে গেছেন—
"খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধ মন..."
খেজুর শুধু একটি ফল নয়—এ এক ঐতিহ্য, ইতিহাস, প্রেম, শক্তি আর আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। পৃথিবীর প্রাচীনতম গাছগুলোর একটি হয়ে সে আজও আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে, চুপচাপ।অনেক, অনেক বছর আগে—যখন মানুষ সবে চাষাবাদ শিখছিল, তখনই এক আশ্চর্য গাছের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। এই গাছ একদিকে যেমন উঁচু, তেমনি এর ফল ছিল স্বাদে, পুষ্টিতে আর শক্তিতে ভরপুর। এই ফলের নাম খেজুর। প্রায় সাত হাজার বছর আগে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার বাসিন্দা সুমেরিয়ানরা প্রথম এই খেজুর চাষ করেছিল। খেজুর গাছ তাদের জীবনের এতটাই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিল যে, তাদের ভাষায় এর অনেকগুলো নাম ছিল। ভাষাবিদরা বলেন, কিছু নাম এত পুরোনো যে, সেগুলো হয়তো সুমেরিয়ানদেরও আগের সময়ের মানুষদের কাছ থেকে এসেছে। শুধু সুমেরিয়ানরা নয়—সেই সময়ের আরও এক মহান সভ্যতা, সিন্ধু উপত্যকার মানুষরাও খেজুর খেত। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে খ্রিস্টপূর্ব ছয় হাজার বছর আগে তাঁরা খেজুর খাওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত ছিলেন। গবেষকদের ধারণা, এখান থেকেই খেজুর ছড়িয়ে পড়ে আরও পূর্বের দেশে, এমনকি মিশরেও। ভারতের প্রাচীনতম গ্রন্থ অথর্ববেদ-এ খেজুরকে বলা হয়েছে "আকাশে যা উজ্জ্বল, তাই খর্জুর।" অর্থাৎ এই গাছের গুণ ও সৌন্দর্য যেন আকাশের তারাদের মতোই উজ্জ্বল। সেখানে লেখা আছে, সূর্য তার প্রখর রশ্মিতে খেজুর গাছকে বারবার পরীক্ষা করেছে, কিন্তু খেজুর আরও বেশি আনন্দে জেগে উঠেছে। এমনকি ইসলাম ধর্মেও খেজুরের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কুরআনে খেজুরের নাম এসেছে কুড়িবার—আটবার এককভাবে, আর বারোবার অন্য ফলের সঙ্গে। নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজেও খেজুর ভালোবাসতেন। সকালে তিনি সাতটি খেজুর আর এক গ্লাস দুধ খেয়ে দিন শুরু করতেন। খেজুরে থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি৬, নিয়াসিন ও প্রচুর ফাইবার, যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে এতে ভিটামিন সি নেই, সম্ভবত সে কারণেই নবীজী দুধ যোগ করতেন, যাতে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না থাকে। তাঁর বিশ্বাস ছিল, নিয়মিত খেজুর খেলে শয়তান মানুষের কাছে ঘেঁষতে পারে না। খেজুরের প্রতি এই ভালোবাসা শুধু ইসলাম ধর্মে নয়, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মেও আছে। তাদের ধর্মগুরু আব্রাহামও নাকি খেজুর খুব পছন্দ করতেন। আরও পেছনে গেলে দেখা যায়, প্রেম ও উর্বরতার সুমেরীয় দেবী "মিলিতা"কেও কল্পনা করা হতো খেজুর গাছের রূপে। আধুনিক গবেষণাও বলে, খেজুর খেলে প্রসব যন্ত্রণা কমে l এদিকে আমরা? আমাদের দেশে খেজুর মানেই যেন শীতের সকাল, রস উঠেছে গাছে। সেই রস দিয়ে হয় নলেন গুড়, খেজুর পাতায় বানানো হয় ঝাঁটা, চাটাই। আর সেই খেজুর গাছেই এক সাধক গেয়ে গেছেন— "খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধ মন..." খেজুর শুধু একটি ফল নয়—এ এক ঐতিহ্য, ইতিহাস, প্রেম, শক্তি আর আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। পৃথিবীর প্রাচীনতম গাছগুলোর একটি হয়ে সে আজও আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে, চুপচাপ।0 Comments 0 Shares 100 Views -
Meeting Co-founderMeeting Co-founder 🥰
-
ভেরা রুবিন টেলিস্কোপ ⚠️⚠️ভেরা রুবিন টেলিস্কোপের চোখে মিলল মিলিয়ন মিলিয়ন অজানা গ্যালাক্সির ঝলক!🌌🔭 অবিশ্বাস্য এক ইতিহাসের সূচনা করলো Vera C. Rubin Observatory, বিশ্বের বৃহত্তম জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক জরিপ টেলিস্কোপ। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এর প্রথম পূর্ণ আকাশচিত্র – আর তা নিঃসন্দেহে চোখ ধাঁধানো! এই বিশালাকৃতির টেলিস্কোপটি এক নজরে ধরেছে মহাবিশ্বের এক বিস্ময়কর দৃশ্যপট—যেখানে উজ্জ্বল ও আবছা...
-
মোয়া পাখিমানুষ যখন নিউজিল্যান্ডের ভূমিতে প্রথম পা রাখে, তারা এক আশ্চর্যজনক ডানাবিহীন পাখির মুখোমুখি হয়। এই পাখির নাম মোয়া। এরা ডাইনরনিথিডি (Dinornithidae) পরিবারভুক্ত। ক্যাসোয়ারি বা ইমুর মতো তাদের কাছের আত্মীয় পাখিদের ডানা থাকলেও, বিবর্তনের কারণে মোয়াদের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ডানার হাড়ই হারিয়ে যায়, ফলে এরা সত্যিকার অর্থেই ছিল ফ্লাইটলেস মানে সম্পূর্ণ ডানাহীন। এরা উড়তে পারে না। এই বিশেষ অভিযোজন বৈশিষ্ট্য...0 Comments 0 Shares 145 Views
-
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার বাড়িতে মাত্র দুটি বাল্ব, দুটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। মো. আবদুল মান্নান নামের ওই ব্যক্তি এত অস্বাভাবিক বিল পেয়ে হতবাক। যেখানে তার আগের মাসগুলোতে বিল আসত ১০০-১৫০ টাকার মধ্যে। ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম এই বিলকে 'ভুল' বলে স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিল দ্রুত সংশোধন করা হবে এবং দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় মান্নানকে বারবার বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়াতে হওয়ায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার বাড়িতে মাত্র দুটি বাল্ব, দুটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। মো. আবদুল মান্নান নামের ওই ব্যক্তি এত অস্বাভাবিক বিল পেয়ে হতবাক। যেখানে তার আগের মাসগুলোতে বিল আসত ১০০-১৫০ টাকার মধ্যে। ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম এই বিলকে 'ভুল' বলে স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিল দ্রুত সংশোধন করা হবে এবং দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় মান্নানকে বারবার বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়াতে হওয়ায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।0 Comments 0 Shares 85 Views
-
ইউরোপীয় রাজপ্রাসাদ ⚠️#আপনি_কি_জানেন ✅বাংলার মাটিতে বিলেতের ছোঁয়া—এ যেন উপনিবেশিক ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল, যা আজও দাঁড়িয়ে আছে উত্তর ২৪ পরগণার ধান্যকুড়িয়ায়। আজ থেকে প্রায় দুই শতাব্দী তিরিশ বছর আগে, এই রাজকীয় প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন ধান্যকুড়িয়ার প্রভাবশালী জমিদার মহেন্দ্রনাথ গায়েন। পাটের ব্যবসার সুবাদে তিনি একদিকে যেমন অপার সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন, তেমনি অন্যদিকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে...0 Comments 0 Shares 164 Views
-
ধোলাভিরা গুজরাট হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শনএখানে আজও আছে ।
সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা (প্রায় 3300-1700 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), যা হরপ্পা সভ্যতা নামেও পরিচিত, এটি ছিল প্রাচীনতম নগর সভ্যতার মধ্যে একটি, যা মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং চীনের সভ্যতার সাথে মোটামুটি সমসাময়িক। এটি বর্তমানে পাকিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে সিন্ধু নদীর বন্যা সমভূমিতে অবস্থিত ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশে আরেকটি নগর সভ্যতার উত্থানের জন্য হরপ্পা সভ্যতার পতনের পর হাজার বছর সময় লেগেছে এই সত্য থেকে হরপ্পানদের পরিশীলিততা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রশংসা করা যায়। ধোলাভিরা হল একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যা ভারতের গুজরাটের কচ্ছের রণে অবস্থিত। প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎপতি যোশী এটি আবিষ্কার করেন। ধোলাভিরাকে সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং 27 জুলাই 2021-এ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের ট্যাগ দেওয়া ভারতের 40 তম সম্পদ হয়ে উঠেছে।
ধোলাভিরা হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি নির্ভেজাল এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নগর বসতি।
ধোলাভিরা 4500 বছর পুরানো বলে মনে করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক জগৎ পতি যোশী এটি 1967 সালে একটি টিলার উপর আবিষ্কার করেন। তবে, 1990 সালে এটির পদ্ধতিগত খনন করা হয়েছিল।
ধোলাভিরা বর্তমান কালের ধোলাভিরা গ্রামের কাছে কর্কটক্রান্তির উপর অবস্থিত (এটির নাম ধোলাভিরা গ্রাম থেকে এসেছে), যা খাদির বেট দ্বীপে অবস্থিত। গুজরাটের কচ্ছ জেলায় এই দ্বীপটি অবস্থিত।
যদিও বেশিরভাগ হরপ্পান শহরগুলি নদী বা অন্যান্য জলের উত্সের কাছে পাওয়া গিয়েছিল, ধোলাভীরা একটি দ্বীপে অবস্থিত। এর পেছনের প্রধান কারণগুলো হলো-
কৌশলগতভাবে কাঁচামাল এবং বিভিন্ন খনিজ (স্টেটাইট, তামার খোল, অ্যাগেট-কারনেলিয়ান, সীসা, ব্যান্ডেড চুনাপাথর ইত্যাদি) ব্যবহার করা।
অঞ্চলের মধ্যে একটি মসৃণ বাণিজ্য সহজতর করার জন্য এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চল এবং মেগানের সাথে বাহ্যিকভাবে বাণিজ্য করার জন্য। ধোলাভিরা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির মধ্যে একটি, প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎ পতি যোশী আবিষ্কৃত এবং এর স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। এর মধ্যে রয়েছে:
বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে- সোনা ও তামা, মাছের হুক, সিল, পুঁতি, পোড়ামাটির মৃৎপাত্র, কলস, পশুর মূর্তি ইত্যাদি।
কাঠের জীবাশ্মগুলি প্রাচীন শহরের কাছে একটি ফসিল পার্কে সংরক্ষিত ছিল।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা 10টি বড় পাথরের শিলালিপি খুঁজে পেয়েছেন। এগুলি সিন্ধু উপত্যকা লিপিতে খোদাই করা বিশ্বের প্রাচীনতম সাইন বোর্ড বলে মনে করা হয়।
সেখানে কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
এই আবিষ্কারগুলি ছাড়াও, ধোলাভিরা তার বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য বিখ্যাত যার মধ্যে রয়েছে
বাইরের দুর্গ।
9টি অনন্যভাবে ডিজাইন করা গেট।
জলাধারের ক্যাসকেডিং সিরিজ।
দুটি বহুমুখী স্থল।
বহু-স্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
অর্ধগোলাকার গঠন।
#Harappa #indusvalleycivilization #indusvalley #gujaratধোলাভিরা গুজরাট হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শনএখানে আজও আছে । সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা (প্রায় 3300-1700 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), যা হরপ্পা সভ্যতা নামেও পরিচিত, এটি ছিল প্রাচীনতম নগর সভ্যতার মধ্যে একটি, যা মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং চীনের সভ্যতার সাথে মোটামুটি সমসাময়িক। এটি বর্তমানে পাকিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে সিন্ধু নদীর বন্যা সমভূমিতে অবস্থিত ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশে আরেকটি নগর সভ্যতার উত্থানের জন্য হরপ্পা সভ্যতার পতনের পর হাজার বছর সময় লেগেছে এই সত্য থেকে হরপ্পানদের পরিশীলিততা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রশংসা করা যায়। ধোলাভিরা হল একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যা ভারতের গুজরাটের কচ্ছের রণে অবস্থিত। প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎপতি যোশী এটি আবিষ্কার করেন। ধোলাভিরাকে সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং 27 জুলাই 2021-এ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের ট্যাগ দেওয়া ভারতের 40 তম সম্পদ হয়ে উঠেছে। ধোলাভিরা হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি নির্ভেজাল এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নগর বসতি। ধোলাভিরা 4500 বছর পুরানো বলে মনে করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক জগৎ পতি যোশী এটি 1967 সালে একটি টিলার উপর আবিষ্কার করেন। তবে, 1990 সালে এটির পদ্ধতিগত খনন করা হয়েছিল। ধোলাভিরা বর্তমান কালের ধোলাভিরা গ্রামের কাছে কর্কটক্রান্তির উপর অবস্থিত (এটির নাম ধোলাভিরা গ্রাম থেকে এসেছে), যা খাদির বেট দ্বীপে অবস্থিত। গুজরাটের কচ্ছ জেলায় এই দ্বীপটি অবস্থিত। যদিও বেশিরভাগ হরপ্পান শহরগুলি নদী বা অন্যান্য জলের উত্সের কাছে পাওয়া গিয়েছিল, ধোলাভীরা একটি দ্বীপে অবস্থিত। এর পেছনের প্রধান কারণগুলো হলো- কৌশলগতভাবে কাঁচামাল এবং বিভিন্ন খনিজ (স্টেটাইট, তামার খোল, অ্যাগেট-কারনেলিয়ান, সীসা, ব্যান্ডেড চুনাপাথর ইত্যাদি) ব্যবহার করা। অঞ্চলের মধ্যে একটি মসৃণ বাণিজ্য সহজতর করার জন্য এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চল এবং মেগানের সাথে বাহ্যিকভাবে বাণিজ্য করার জন্য। ধোলাভিরা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির মধ্যে একটি, প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎ পতি যোশী আবিষ্কৃত এবং এর স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। এর মধ্যে রয়েছে: বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে- সোনা ও তামা, মাছের হুক, সিল, পুঁতি, পোড়ামাটির মৃৎপাত্র, কলস, পশুর মূর্তি ইত্যাদি। কাঠের জীবাশ্মগুলি প্রাচীন শহরের কাছে একটি ফসিল পার্কে সংরক্ষিত ছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদরা 10টি বড় পাথরের শিলালিপি খুঁজে পেয়েছেন। এগুলি সিন্ধু উপত্যকা লিপিতে খোদাই করা বিশ্বের প্রাচীনতম সাইন বোর্ড বলে মনে করা হয়। সেখানে কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। এই আবিষ্কারগুলি ছাড়াও, ধোলাভিরা তার বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য বিখ্যাত যার মধ্যে রয়েছে বাইরের দুর্গ। 9টি অনন্যভাবে ডিজাইন করা গেট। জলাধারের ক্যাসকেডিং সিরিজ। দুটি বহুমুখী স্থল। বহু-স্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অর্ধগোলাকার গঠন। #Harappa #indusvalleycivilization #indusvalley #gujarat0 Comments 0 Shares 277 Views -
১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই যখন কর্নেল তাহেরকে বলা হলো'আজ আপনার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।' আবু তাহের শুনে সংবাদ বাহককে ধন্যবাদ দিলেন। এরপর সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় তিনি তাঁর খাবার শেষ করলেন। এক হুজুর তাঁকে তওবা পড়াতে এলো।
.
তওবার কথা শুনে কর্নেল তাহের বলছিলেন, 'তোমাদের সমাজের পাপাচার আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আমি কখনো কোনো পাপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি নিষ্পাপ। তুমি এখন যেতে পারো, আমি ঘুমাবো।’
.
এরপর তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে গেলেন। রাত ৩টার দিকে তাঁকে জাগানো হলো। সময় জেনে নিয়ে তিনি দাঁত মাজলেন। তারপর শেভ করে গোসল করলেন।
.
উপস্থিত সবাই তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এলে তিনি বললেন,
‘আমি আমার পবিত্র শরীরে তোমাদের হাত লাগাতে চাই না।’ তারপর নিজেই তিনি তাঁর কৃত্রিম পা খানি লাগিয়ে প্যান্ট-জুতা পরে নিলেন। চমৎকার একটা শার্ট পরলেন। ঘড়িটি হাতে দিয়ে মাথার চুল আঁচড়ে নিলেন। তারপর উপস্থিত সবার সামনে আম খেলেন, চা খেলেন এবং সিগারেট খেয়ে সবাইকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, ‘তোমরা এমন মনমরা হয়ে পড়েছো কেন? মৃত্যুর চেহারায় আমি হাসি ফোটাতে চেয়েছিলাম। মৃত্যু আমাকে পরাভূত করতে পারে না।’
.
ফাঁসির আগে স্ত্রী লুত্ফাকে লেখা শেষ চিঠিতে তাহের বলেছিলেন, ‘আমাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। আমি আমার সমগ্র জাতির মধ্যে প্রকাশিত। আমাকে হত্যা করতে হলে সমগ্র জাতিকে হত্যা করতে হবে।’
যখন শেষ ইচ্ছে আছে কিনা তাহেরের জানতে চাওয়া হলো তখন তিনি বললেন, ‘আমার মৃত্যুর বদলে আমি সাধারণ মানুষের শান্তি কামনা করছি।’ এরপর ফাঁসির মঞ্চে আবৃত্তি করেন সেই অমর কবিতাখানি-
.
“জন্মেছি, সারা দেশটাকে কাঁপিয়ে তুলতে, কাঁপিয়ে দিলাম।
জন্মেছি, তোদের শোষণের হাত দুটো ভাঙব বলে, ভেঙে দিলাম।
জন্মেছি, মৃত্যুকে পরাজিত করব বলে, করেই গেলাম
জন্ম আর মৃত্যুর বিশাল পাথর রেখে গেলাম
পাথরের নিচে, শোষক আর শাসকের কবর দিলাম
পৃথিবী, অবশেষে এবারের মতো বিদায় নিলাম।”
.
উনি সেই কর্নেল তাহের তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে একমাত্র বাঙালি অফিসার হিসেবে পেয়েছিলেন ''মেরুন প্যারাস্যুট উইং' সম্মাননা।
.
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ কমান্ডারদের মধ্যে অন্যতম। যার অধীনে ছিলো ১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব।
.
জামালপুরের বক্সীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ছিলো পাকিস্তানি হানাদারদের শক্তিশালী বিওপি। আগেও ওখানে বেশ কয়েকটা অপারেশন হয়। সবগুলো ছিল অসফল। কিন্তু এবারের অপারেশনটা ছিলো ভিন্ন রকমের। তাঁদের সঙ্গে এসে যুক্ত হলো ভারতের মারাঠা রেজিমেন্ট, গোর্খা রেজিমেন্ট আর গার্ড রেজিমেন্ট। সবগুলোর কমান্ডে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার। সিদ্ধান্ত হয়েছিলো নেতৃত্ব দিবেন সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের।
.
১৩ নভেম্বর, ১৯৭১।
দুপুরে আবু তাহের তাঁর অধীনস্থ কমান্ডারদের নিয়ে আলোচনায় বসলেন। ঠিক হলো এদিন রাত ১২টার কামালপুর আক্রমণ করা হবে। ১৪ই নভেম্বর ছিল তাহেরের জন্মদিনও। আগেই ঠিক করা ছিল কর্নেল তাহেরের কোড হবে ‘কর্তা’। যে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ‘কর্তা’ নামে সম্বোধন করবে। ১৩ই নভেম্বর রাত ১১টায় রওনা হলেন সবাই। কামালপুরের আগেই বানরোড। তারও পেছনে তাহেরের কমান্ড পোস্ট। সেখানেই অবস্থান নিলেন কেউ কেউ। পাশেই ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার, গোর্খা রেজিমেন্টে কর্নেল বারাখ, মারাঠা রেজিমেন্টের কর্নেল বুলবুল ও গার্টস রেজিমেন্টের বারাট।
.
ঠিক করা হলো আর্টিলারি ফায়ারের পর শুরু হবে অপারেশন। রাত তখন ১২টা। মুহুর্মূহু শেল পড়ছে কামালপুর বিওপির উপরে। কর্নেল তাহেরের নির্দেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আর্টিলারি নিক্ষেপ করা হয়েছিলো। উপরে আলোর ঝলকানি। পাকিস্তানি সেনারা একটানা গুলিবর্ষণ করছে এদিকে। নির্দেশ ছিলো মুক্তিযোদ্ধারা চার্জ করবে ‘জয় বাংলা’ বলে। কিছুক্ষণ পর চারপাশ থেকে ‘জয় বাংলা’র চিৎকার। কর্নেল তাহেরের কাছে ছিল একটি ওয়াকিটকি। সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট মিজান হঠাৎই বললেন ‘কর্তা আমরা পাকিস্তানিদের প্রথম লাইনের বাঙ্কার দখল করে নিয়েছি।’ তখন আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুললেন মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে।
.
রাত তখন তিনটার মতো মিজানের সঙ্গে তাহেরের যোগাযোগ হচ্ছে না। ওয়াকিটকিতে তাহের বার বার জিজ্ঞেস করছেন, ‘মিজান, তুমি কোথায়?’ ওপাশে কোনো সাড়া নেই। তিনি চিন্তিত হয়ে গেলেন। এদিকে ভোর হয়ে আসছে। হঠাৎ কর্নেল তাহের কমান্ড পোস্ট থেকে উঠে ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ারকে বললেন ‘আমি ফ্রন্টে যাব।’ ক্লেয়ার অবাক হয়ে বলেন, ‘কেন!’ জবাবে তাহের বললেন, 'আমি আমার ছেলেদের দেখতে চাই।’ শেলের আঘাতে পাকিস্তানিদের বাঙ্কারগুলো ভেঙে গেছে এরই মধ্যে । পাকিস্তানী সেনারা বেরিয়ে আখক্ষেতে লুকোচ্ছে।
.
তাহের পজিশন নিয়ে নিয়ে এগোলেন। বান সড়কের ঢালে এসে বসলেন দুই পা ভাঁজ করে। এক পাশে তাঁর ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল অন্যপাশে তাহেরের আরেক ভাই শাখাওয়াত হোসেন বাহার, পেছনে তিন-চারজন পজিশনে। তাহের কলফ স্টিক দিয়ে পাকিস্তানিদের দেখালেই, ওদিকে গুলি করছেন বেলাল। এরমধ্যেই হঠাৎ একটা আওয়াজ হলো। বেলাল খেয়াল করলেন তাহের বেলালের ওপর পড়ে যাচ্ছেন। তাহের দেখলেন তাঁর বাঁ পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে কোন প্রকার ঝুলে আছে।এদিকে দূর থেকে পাকিস্তানি সেনারা চিৎকার করছে। ওরা বুঝে গিয়েছিলো কমান্ডার ধরনের কেউ শেলের আঘাতে আহত হয়েছে। এদিকে কর্নেল তাহের নিস্তেজ গেছেন। বানের জলের মতো রক্ত ঝরছে। হঠাৎই তাহেরের ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল হুট করে ভুল বুঝে ওয়াকিটকিতে বলে ফেললেন, ‘কর্তা ইজ ডেড।'
.
পাকিস্তানি সেনারা এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কর্নেল তাহেরের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখে মুক্তিযোদ্ধারা একটা কুঁড়েঘরের দরজা ভেঙে নিয়ে এলেন। সেখানে আবু তাহেরকে তুলে নেয়া হলো। কিন্তু এভাবে তো বেশি দূরে নেওয়া যাবে না। এরপর বেশ দূরে দৌড়ে গিয়ে বেলাল ভারতীয় বাহিনীর একটি জিপ এনে তুলে নিলেন। আবু তাহেরের তখনো মনোবল ভাঙ্গেনি। এরইমধ্যেই আনোয়ার দৌড়ে চলে আসলেন। তাঁকে দেখেই তাহের বললেন, ‘দেখো আমার মাথায় ওরা আঘাত করতে পারে নাই। তোমরা কামালপুর মুক্ত করবে। আমি ফিরে এসে যেন দেখি কামালপুর মুক্ত হয়েছে।’ এরপরই চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে কর্নেল তাহেরকে প্রথমে তুরা এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় গৌহাটিতে।
.
মুক্তিযুদ্ধে এই কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধার অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন তাঁর সব ভাইবোনেরা। তাহের ছাড়াও তাঁর ভাই আবু ইউসুফ পেয়েছেন বীরবিক্রম খেতাব। ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং শাখাওয়াত হোসেন বাহার পেয়েছিলেন বীর প্রতীক খেতাব। তাঁদের ভাই-বোনদের এই দলটিকে 'ব্রাদার্স প্লাটুন' নামে ডাকা হতো।
.
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এই শ্রেষ্ঠ কমান্ডারকে ১৯৭৬ সালের আজকের দিনে এক মিথ্যা, প্রহসন ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিলো। যার সঙ্গে মুছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো তাঁর দুর্ধর্ষ আর বীরত্বগাঁথা।
.
মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে পা হারানো একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে তাঁরই মুক্ত করা স্বদেশভূমিতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হলো। এরচেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে!
.
আজ কর্নেল তাহেরের হত্যা দিবস। শ্রদ্ধায় স্মরণ করি বীরমুক্তিযোদ্ধা এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।
© সৌজন্যে: আহমাদ ইশতিয়াক (বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র)১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই যখন কর্নেল তাহেরকে বলা হলো'আজ আপনার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।' আবু তাহের শুনে সংবাদ বাহককে ধন্যবাদ দিলেন। এরপর সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় তিনি তাঁর খাবার শেষ করলেন। এক হুজুর তাঁকে তওবা পড়াতে এলো। . তওবার কথা শুনে কর্নেল তাহের বলছিলেন, 'তোমাদের সমাজের পাপাচার আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আমি কখনো কোনো পাপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি নিষ্পাপ। তুমি এখন যেতে পারো, আমি ঘুমাবো।’ . এরপর তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে গেলেন। রাত ৩টার দিকে তাঁকে জাগানো হলো। সময় জেনে নিয়ে তিনি দাঁত মাজলেন। তারপর শেভ করে গোসল করলেন। . উপস্থিত সবাই তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এলে তিনি বললেন, ‘আমি আমার পবিত্র শরীরে তোমাদের হাত লাগাতে চাই না।’ তারপর নিজেই তিনি তাঁর কৃত্রিম পা খানি লাগিয়ে প্যান্ট-জুতা পরে নিলেন। চমৎকার একটা শার্ট পরলেন। ঘড়িটি হাতে দিয়ে মাথার চুল আঁচড়ে নিলেন। তারপর উপস্থিত সবার সামনে আম খেলেন, চা খেলেন এবং সিগারেট খেয়ে সবাইকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, ‘তোমরা এমন মনমরা হয়ে পড়েছো কেন? মৃত্যুর চেহারায় আমি হাসি ফোটাতে চেয়েছিলাম। মৃত্যু আমাকে পরাভূত করতে পারে না।’ . ফাঁসির আগে স্ত্রী লুত্ফাকে লেখা শেষ চিঠিতে তাহের বলেছিলেন, ‘আমাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। আমি আমার সমগ্র জাতির মধ্যে প্রকাশিত। আমাকে হত্যা করতে হলে সমগ্র জাতিকে হত্যা করতে হবে।’ যখন শেষ ইচ্ছে আছে কিনা তাহেরের জানতে চাওয়া হলো তখন তিনি বললেন, ‘আমার মৃত্যুর বদলে আমি সাধারণ মানুষের শান্তি কামনা করছি।’ এরপর ফাঁসির মঞ্চে আবৃত্তি করেন সেই অমর কবিতাখানি- . “জন্মেছি, সারা দেশটাকে কাঁপিয়ে তুলতে, কাঁপিয়ে দিলাম। জন্মেছি, তোদের শোষণের হাত দুটো ভাঙব বলে, ভেঙে দিলাম। জন্মেছি, মৃত্যুকে পরাজিত করব বলে, করেই গেলাম জন্ম আর মৃত্যুর বিশাল পাথর রেখে গেলাম পাথরের নিচে, শোষক আর শাসকের কবর দিলাম পৃথিবী, অবশেষে এবারের মতো বিদায় নিলাম।” . উনি সেই কর্নেল তাহের তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে একমাত্র বাঙালি অফিসার হিসেবে পেয়েছিলেন ''মেরুন প্যারাস্যুট উইং' সম্মাননা। . মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ কমান্ডারদের মধ্যে অন্যতম। যার অধীনে ছিলো ১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব। . জামালপুরের বক্সীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ছিলো পাকিস্তানি হানাদারদের শক্তিশালী বিওপি। আগেও ওখানে বেশ কয়েকটা অপারেশন হয়। সবগুলো ছিল অসফল। কিন্তু এবারের অপারেশনটা ছিলো ভিন্ন রকমের। তাঁদের সঙ্গে এসে যুক্ত হলো ভারতের মারাঠা রেজিমেন্ট, গোর্খা রেজিমেন্ট আর গার্ড রেজিমেন্ট। সবগুলোর কমান্ডে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার। সিদ্ধান্ত হয়েছিলো নেতৃত্ব দিবেন সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের। . ১৩ নভেম্বর, ১৯৭১। দুপুরে আবু তাহের তাঁর অধীনস্থ কমান্ডারদের নিয়ে আলোচনায় বসলেন। ঠিক হলো এদিন রাত ১২টার কামালপুর আক্রমণ করা হবে। ১৪ই নভেম্বর ছিল তাহেরের জন্মদিনও। আগেই ঠিক করা ছিল কর্নেল তাহেরের কোড হবে ‘কর্তা’। যে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ‘কর্তা’ নামে সম্বোধন করবে। ১৩ই নভেম্বর রাত ১১টায় রওনা হলেন সবাই। কামালপুরের আগেই বানরোড। তারও পেছনে তাহেরের কমান্ড পোস্ট। সেখানেই অবস্থান নিলেন কেউ কেউ। পাশেই ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার, গোর্খা রেজিমেন্টে কর্নেল বারাখ, মারাঠা রেজিমেন্টের কর্নেল বুলবুল ও গার্টস রেজিমেন্টের বারাট। . ঠিক করা হলো আর্টিলারি ফায়ারের পর শুরু হবে অপারেশন। রাত তখন ১২টা। মুহুর্মূহু শেল পড়ছে কামালপুর বিওপির উপরে। কর্নেল তাহেরের নির্দেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আর্টিলারি নিক্ষেপ করা হয়েছিলো। উপরে আলোর ঝলকানি। পাকিস্তানি সেনারা একটানা গুলিবর্ষণ করছে এদিকে। নির্দেশ ছিলো মুক্তিযোদ্ধারা চার্জ করবে ‘জয় বাংলা’ বলে। কিছুক্ষণ পর চারপাশ থেকে ‘জয় বাংলা’র চিৎকার। কর্নেল তাহেরের কাছে ছিল একটি ওয়াকিটকি। সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট মিজান হঠাৎই বললেন ‘কর্তা আমরা পাকিস্তানিদের প্রথম লাইনের বাঙ্কার দখল করে নিয়েছি।’ তখন আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুললেন মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে। . রাত তখন তিনটার মতো মিজানের সঙ্গে তাহেরের যোগাযোগ হচ্ছে না। ওয়াকিটকিতে তাহের বার বার জিজ্ঞেস করছেন, ‘মিজান, তুমি কোথায়?’ ওপাশে কোনো সাড়া নেই। তিনি চিন্তিত হয়ে গেলেন। এদিকে ভোর হয়ে আসছে। হঠাৎ কর্নেল তাহের কমান্ড পোস্ট থেকে উঠে ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ারকে বললেন ‘আমি ফ্রন্টে যাব।’ ক্লেয়ার অবাক হয়ে বলেন, ‘কেন!’ জবাবে তাহের বললেন, 'আমি আমার ছেলেদের দেখতে চাই।’ শেলের আঘাতে পাকিস্তানিদের বাঙ্কারগুলো ভেঙে গেছে এরই মধ্যে । পাকিস্তানী সেনারা বেরিয়ে আখক্ষেতে লুকোচ্ছে। . তাহের পজিশন নিয়ে নিয়ে এগোলেন। বান সড়কের ঢালে এসে বসলেন দুই পা ভাঁজ করে। এক পাশে তাঁর ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল অন্যপাশে তাহেরের আরেক ভাই শাখাওয়াত হোসেন বাহার, পেছনে তিন-চারজন পজিশনে। তাহের কলফ স্টিক দিয়ে পাকিস্তানিদের দেখালেই, ওদিকে গুলি করছেন বেলাল। এরমধ্যেই হঠাৎ একটা আওয়াজ হলো। বেলাল খেয়াল করলেন তাহের বেলালের ওপর পড়ে যাচ্ছেন। তাহের দেখলেন তাঁর বাঁ পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে কোন প্রকার ঝুলে আছে।এদিকে দূর থেকে পাকিস্তানি সেনারা চিৎকার করছে। ওরা বুঝে গিয়েছিলো কমান্ডার ধরনের কেউ শেলের আঘাতে আহত হয়েছে। এদিকে কর্নেল তাহের নিস্তেজ গেছেন। বানের জলের মতো রক্ত ঝরছে। হঠাৎই তাহেরের ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল হুট করে ভুল বুঝে ওয়াকিটকিতে বলে ফেললেন, ‘কর্তা ইজ ডেড।' . পাকিস্তানি সেনারা এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কর্নেল তাহেরের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখে মুক্তিযোদ্ধারা একটা কুঁড়েঘরের দরজা ভেঙে নিয়ে এলেন। সেখানে আবু তাহেরকে তুলে নেয়া হলো। কিন্তু এভাবে তো বেশি দূরে নেওয়া যাবে না। এরপর বেশ দূরে দৌড়ে গিয়ে বেলাল ভারতীয় বাহিনীর একটি জিপ এনে তুলে নিলেন। আবু তাহেরের তখনো মনোবল ভাঙ্গেনি। এরইমধ্যেই আনোয়ার দৌড়ে চলে আসলেন। তাঁকে দেখেই তাহের বললেন, ‘দেখো আমার মাথায় ওরা আঘাত করতে পারে নাই। তোমরা কামালপুর মুক্ত করবে। আমি ফিরে এসে যেন দেখি কামালপুর মুক্ত হয়েছে।’ এরপরই চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে কর্নেল তাহেরকে প্রথমে তুরা এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় গৌহাটিতে। . মুক্তিযুদ্ধে এই কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধার অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন তাঁর সব ভাইবোনেরা। তাহের ছাড়াও তাঁর ভাই আবু ইউসুফ পেয়েছেন বীরবিক্রম খেতাব। ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং শাখাওয়াত হোসেন বাহার পেয়েছিলেন বীর প্রতীক খেতাব। তাঁদের ভাই-বোনদের এই দলটিকে 'ব্রাদার্স প্লাটুন' নামে ডাকা হতো। . মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এই শ্রেষ্ঠ কমান্ডারকে ১৯৭৬ সালের আজকের দিনে এক মিথ্যা, প্রহসন ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিলো। যার সঙ্গে মুছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো তাঁর দুর্ধর্ষ আর বীরত্বগাঁথা। . মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে পা হারানো একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে তাঁরই মুক্ত করা স্বদেশভূমিতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হলো। এরচেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে! . আজ কর্নেল তাহেরের হত্যা দিবস। শ্রদ্ধায় স্মরণ করি বীরমুক্তিযোদ্ধা এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। 🙏💕 © সৌজন্যে: আহমাদ ইশতিয়াক (বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র) -
খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৪৭০ সালে, প্রাচীন গ্রিসের এক শিল্পী তার ক্যানভাসে জীবনের একটি জ্বলজ্বলে মুহূর্ত তুলে ধরেছিল। একটি ছোট সাদা মাটির পাত্রে তিনি আঁকলেন একজন সাহসী অ্যামাজনের নারীর ছবি। এই মাটির পাত্রকে আলাবাস্ত্রন (Alabastron) বলে। তার ছবিতে সাহসী এক নারী প্যান্ট পরে আছে, এটি তখনকার গ্রীক সমাজের সাথে একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ন l তবে এই প্যান্টের গল্পে ছিল অদ্ভুত এক বীরত্বের ছাপ। তিনি যে বীর তা বোঝাই যাচ্ছে। কারণ নারীর হাতে রয়েছে শক্ত ঢাল, আর তার সঙ্গে ঝুলানো ছিল নকশাযুক্ত একটি কাপড়। কাঁধে ধনুকের ছবিও দেখা যাচ্ছে।
অ্যামাজনের নারী এবং তাদের কীর্তি অমর করে রেখেছে এই আলাবাস্ত্রন পাত্রটি। ছোট্ট এই পাত্রটিতে যেন ২ হাজার বছরেরও বেশি সময়ের গল্প লুকানো আছে। এ এক নারীর সাহস, তার যুদ্ধাংদেহী মনোভাব এবং সেই যুগের জীবনধারার সাথে পরিচিত করছে আমাদের । আজ, এই প্রাচীন শিল্পকর্মটি লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রয়েছে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এটিকে দেখে আর সেই অমর সাহসিকতার গল্প মনে করে।
Stay Curious SIS
Rabab Ahmed
Siddique’s international school
প্লিজ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে একবার ঘুরে আসবেন - https://bangla.staycurioussis.com/🔺খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৪৭০ সালে, প্রাচীন গ্রিসের এক শিল্পী তার ক্যানভাসে জীবনের একটি জ্বলজ্বলে মুহূর্ত তুলে ধরেছিল। একটি ছোট সাদা মাটির পাত্রে তিনি আঁকলেন একজন সাহসী অ্যামাজনের নারীর ছবি। এই মাটির পাত্রকে আলাবাস্ত্রন (Alabastron) বলে। তার ছবিতে সাহসী এক নারী প্যান্ট পরে আছে, এটি তখনকার গ্রীক সমাজের সাথে একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ন l তবে এই প্যান্টের গল্পে ছিল অদ্ভুত এক বীরত্বের ছাপ। তিনি যে বীর তা বোঝাই যাচ্ছে। কারণ নারীর হাতে রয়েছে শক্ত ঢাল, আর তার সঙ্গে ঝুলানো ছিল নকশাযুক্ত একটি কাপড়। কাঁধে ধনুকের ছবিও দেখা যাচ্ছে। অ্যামাজনের নারী এবং তাদের কীর্তি অমর করে রেখেছে এই আলাবাস্ত্রন পাত্রটি। ছোট্ট এই পাত্রটিতে যেন ২ হাজার বছরেরও বেশি সময়ের গল্প লুকানো আছে। এ এক নারীর সাহস, তার যুদ্ধাংদেহী মনোভাব এবং সেই যুগের জীবনধারার সাথে পরিচিত করছে আমাদের । আজ, এই প্রাচীন শিল্পকর্মটি লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রয়েছে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এটিকে দেখে আর সেই অমর সাহসিকতার গল্প মনে করে। Stay Curious SIS Rabab Ahmed Siddique’s international school প্লিজ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে একবার ঘুরে আসবেন - https://bangla.staycurioussis.com/0 Comments 0 Shares 121 Views -
ডিলিট করলেই কি সব শেষ? 😱 আপনার ডেটা কতটা সুরক্ষিত?🧠📁 Deleted Doesn’t Mean Gone Forever! – Recovering Data From Memory Cards, Hard Drives, or Devices আপনি কি ভাবছেন, আপনার ডিজিটাল ফাইলগুলো ডিলিট (delete) করে দিলেই সেগুলো চিরতরে মুছে যায়? ❗️আপনি ভাবছেন, delete দিলেই ফাইল চিরতরে মুছে যায়? Reality is scarier than that… এই ধারণাটি একটি মারাত্মক ভুল, যা আপনার ব্যক্তিগত এবং সংবেদনশীল ডেটাকে (sensitive data) ঝুঁকির...0 Comments 0 Shares 185 Views
-
এই হল আর্জেন্টিনার সান্তাক্রুজ প্রদেশে অবস্থিত পেরিটো মোরেনো হিমবাহ যা আসলে লস গ্লেসিয়ারেস নামক সুবিশাল জাতীয় উদ্যানের অন্যতম বিখ্যাত অংশ।
এখন প্রশ্ন হল হিমবাহ তো পৃথিবীতে অনেক আছে তবে এর কথা আলাদা করে বলছি কেন?
প্রায় দুশো পঞ্চাশ স্কয়ার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা এই হিমবাহ জলস্তর থেকে প্রায় সত্তর মিটার উঁচু। এর সম্পর্কে আলাদা করে বলার কারণ হল বরফ গলে ছোট হতে থাকা অন্যান্য প্রায় সব হিমবাহের থেকে উল্টো পথে হেঁটে পেরিটো মোরেনো ক্রমশ আরও বিস্তার লাভ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এই একটিমাত্র কারণই এই হিমবাহটিকে অনন্য করে তোলে। তাছাড়া এর শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য এবং হ্রদে পড়ে থাকা বরফ খণ্ডের ঘর্ষণের শব্দ প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটককে আকর্ষণ করে।
পেরিটো মোরেনো হিমবাহ সম্পর্কে একটি তথ্য যা সত্যিই আশ্চর্যের তা হল, এর বিশাল আকার থাকা সত্ত্বেও হিমবাহটি এখনও স্থিরভাবে অগ্রসর হচ্ছে। এই ঘটনাটি এটিকে বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র হিমবাহের মধ্যে একটি করে তুলেছে যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হ্রাস পাচ্ছে না। দিন দিন এটি দর্শকদের জন্য আরও চিত্তাকর্ষক এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
তবে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পরিবেশ দূষণ সম্ভবত একেও ক্ষতিগ্রস্ত করা শুরু করেছে।
ছবি: Curiosidadesএই হল আর্জেন্টিনার সান্তাক্রুজ প্রদেশে অবস্থিত পেরিটো মোরেনো হিমবাহ যা আসলে লস গ্লেসিয়ারেস নামক সুবিশাল জাতীয় উদ্যানের অন্যতম বিখ্যাত অংশ। এখন প্রশ্ন হল হিমবাহ তো পৃথিবীতে অনেক আছে তবে এর কথা আলাদা করে বলছি কেন? প্রায় দুশো পঞ্চাশ স্কয়ার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা এই হিমবাহ জলস্তর থেকে প্রায় সত্তর মিটার উঁচু। এর সম্পর্কে আলাদা করে বলার কারণ হল বরফ গলে ছোট হতে থাকা অন্যান্য প্রায় সব হিমবাহের থেকে উল্টো পথে হেঁটে পেরিটো মোরেনো ক্রমশ আরও বিস্তার লাভ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এই একটিমাত্র কারণই এই হিমবাহটিকে অনন্য করে তোলে। তাছাড়া এর শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য এবং হ্রদে পড়ে থাকা বরফ খণ্ডের ঘর্ষণের শব্দ প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটককে আকর্ষণ করে। পেরিটো মোরেনো হিমবাহ সম্পর্কে একটি তথ্য যা সত্যিই আশ্চর্যের তা হল, এর বিশাল আকার থাকা সত্ত্বেও হিমবাহটি এখনও স্থিরভাবে অগ্রসর হচ্ছে। এই ঘটনাটি এটিকে বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র হিমবাহের মধ্যে একটি করে তুলেছে যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হ্রাস পাচ্ছে না। দিন দিন এটি দর্শকদের জন্য আরও চিত্তাকর্ষক এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। তবে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পরিবেশ দূষণ সম্ভবত একেও ক্ষতিগ্রস্ত করা শুরু করেছে। ছবি: Curiosidades0 Comments 0 Shares 133 Views -
পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম আকাশে উড়েছিলেন একজন মুসলিম বিজ্ঞানী !
আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর পূর্বে, স্পেনে জন্ম নিয়েছিলেন এক অসাধারণ চিন্তাবিদ ও বিজ্ঞানী – আব্বাস ইবনে ফিরনাস!
তিনি এমন এক স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা সে যুগে কেউ কল্পনাও করতে পারত না—যদি পাখিরা আকাশে উড়তে পারে, তবে মানুষ কেন পারবে না?" এই প্রশ্নই তাকে উদ্ভাবনের পথে নিয়ে যায়। তার এই অভিনব পরিকল্পনার কথা যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, তখন অনেকেই তাকে উপহাস ও বিদ্রূপ করে। কিন্তু তারপরেও অসংখ্য জনতা কর্ডোভা শহরের টাওয়ারে আসে দেখার জন্যে !
অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এলো! আব্বাস ইবনে ফিরনাস নিজের বানানো গ্লাইডার নিয়ে ঝাঁপ দিলেন…
লোকজন অবাক হয়ে দেখলো – তিনি সত্যিই পাখির মতো উড়ছেন!
তিনি প্রায় ১০ মিনিট ধরে গ্লাইডারের মাধ্যমে আকাশে ভেসে বেড়ান, যা ছিল মানুষের আকাশে ওড়ার ইতিহাসে প্রথম সাফল্য।
তবে তার এই আবিষ্কার একদম নিখুঁত ছিল না। অবতরণের সময় তিনি বুঝতে পারেন, তার পরিকল্পনায় ল্যান্ডিংয়ের জন্য কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না, যার ফলে তিনি আহত হন। পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আধুনিক গ্লাইডার ও বিমানের ধারণা উন্নত করেন।! আর তাই আজকের আধুনিক এভিয়েশন প্রযুক্তির পেছনে তার এই দুঃসাহসিক প্রচেষ্টার অবদান অসীম।
Inspiration Media #unknownfacts #banglastory #aviationhistoryপৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম আকাশে উড়েছিলেন একজন মুসলিম বিজ্ঞানী ! আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর পূর্বে, স্পেনে জন্ম নিয়েছিলেন এক অসাধারণ চিন্তাবিদ ও বিজ্ঞানী – আব্বাস ইবনে ফিরনাস! তিনি এমন এক স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা সে যুগে কেউ কল্পনাও করতে পারত না—যদি পাখিরা আকাশে উড়তে পারে, তবে মানুষ কেন পারবে না?" এই প্রশ্নই তাকে উদ্ভাবনের পথে নিয়ে যায়। তার এই অভিনব পরিকল্পনার কথা যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, তখন অনেকেই তাকে উপহাস ও বিদ্রূপ করে। কিন্তু তারপরেও অসংখ্য জনতা কর্ডোভা শহরের টাওয়ারে আসে দেখার জন্যে ! অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এলো! আব্বাস ইবনে ফিরনাস নিজের বানানো গ্লাইডার নিয়ে ঝাঁপ দিলেন… লোকজন অবাক হয়ে দেখলো – তিনি সত্যিই পাখির মতো উড়ছেন! তিনি প্রায় ১০ মিনিট ধরে গ্লাইডারের মাধ্যমে আকাশে ভেসে বেড়ান, যা ছিল মানুষের আকাশে ওড়ার ইতিহাসে প্রথম সাফল্য। তবে তার এই আবিষ্কার একদম নিখুঁত ছিল না। অবতরণের সময় তিনি বুঝতে পারেন, তার পরিকল্পনায় ল্যান্ডিংয়ের জন্য কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না, যার ফলে তিনি আহত হন। পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আধুনিক গ্লাইডার ও বিমানের ধারণা উন্নত করেন।! আর তাই আজকের আধুনিক এভিয়েশন প্রযুক্তির পেছনে তার এই দুঃসাহসিক প্রচেষ্টার অবদান অসীম। ©️Inspiration Media #unknownfacts #banglastory #aviationhistory0 Comments 0 Shares 299 Views -
সক্রেটিস, সেই মহান দার্শনিক, যিনি তার প্রজ্ঞা, ধৈর্য এবং গভীর চিন্তনের জন্য সুপরিচিত ছিলেন, এমন একজন স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতেন, যিনি প্রতিনিয়ত তার সহনশীলতার পরীক্ষা নিতেন। তার স্ত্রী বিখ্যাত ছিলেন তীক্ষ্ণ ভাষা, প্রভাবশালী উপস্থিতি এবং অদম্য রাগের জন্য।
প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সক্রেটিসকে ঘর থেকে বের করে দিতেন, আর সক্রেটিস ফিরতেন সূর্য অস্ত যাওয়ার ঠিক আগে।
তবুও, এই কঠিন স্বভাবের স্ত্রীর প্রতি সক্রেটিস সবসময় সম্মান প্রদর্শন করতেন, এমনকি কৃতজ্ঞও ছিলেন। তিনি একবার বলেছিলেন, "আমার প্রজ্ঞার অনেকখানি আমার স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া। কারণ, এই প্রতিদিনের পরীক্ষাগুলো ছাড়া আমি কখনো শিখতে পারতাম না যে, প্রকৃত জ্ঞান নীরবতায় বাস করে, আর শান্তি মেলে স্থিরতায়।”
একদিন, তিনি যখন তার ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, তখন তার স্ত্রী রাগে চিৎকার করতে করতে এসে তার মাথায় পানি ঢেলে দিলেন। সক্রেটিস শান্তভাবে মুখ মুছতে মুছতে বললেন, "আহা, বজ্রপাতের পর বৃষ্টি তো স্বাভাবিক!"
তার জীবনের দাম্পত্য অধ্যায়ের সমাপ্তি আসে আরেকটি উত্তাল মুহূর্তে, যখন তিনি যথারীতি শান্ত ও নিশ্চুপ ছিলেন, আর তার স্ত্রী রাগে অস্থির হয়ে ওঠেন। অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে সেই রাতেই তার স্ত্রীর হৃদরোগে মৃত্যু ঘটে। সক্রেটিস তখনও স্থির — যেন কোনো বিশাল পাহাড়।
ইতিহাসে তার স্ত্রীর নাম বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু সক্রেটিসের নীরব সহনশীলতা আজ কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে।
এটি কেবল একটি দাম্পত্য দ্বন্দ্বের গল্প নয় — এটি এক স্মরণিকা: শক্তি সবসময় শব্দে নয়, অনেক সময় নীরবতায় প্রকাশ পায়। আর জীবনের কঠিনতম মুহূর্তগুলোতেই আসে সবচেয়ে বড় শিক্ষা।
আমরা ঠকেছি এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়েছি।।
আর প্রতিনিয়ত শিক্ষা নিয়েই যাচ্ছে।
Collectedসক্রেটিস, সেই মহান দার্শনিক, যিনি তার প্রজ্ঞা, ধৈর্য এবং গভীর চিন্তনের জন্য সুপরিচিত ছিলেন, এমন একজন স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতেন, যিনি প্রতিনিয়ত তার সহনশীলতার পরীক্ষা নিতেন। তার স্ত্রী বিখ্যাত ছিলেন তীক্ষ্ণ ভাষা, প্রভাবশালী উপস্থিতি এবং অদম্য রাগের জন্য। প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সক্রেটিসকে ঘর থেকে বের করে দিতেন, আর সক্রেটিস ফিরতেন সূর্য অস্ত যাওয়ার ঠিক আগে। তবুও, এই কঠিন স্বভাবের স্ত্রীর প্রতি সক্রেটিস সবসময় সম্মান প্রদর্শন করতেন, এমনকি কৃতজ্ঞও ছিলেন। তিনি একবার বলেছিলেন, "আমার প্রজ্ঞার অনেকখানি আমার স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া। কারণ, এই প্রতিদিনের পরীক্ষাগুলো ছাড়া আমি কখনো শিখতে পারতাম না যে, প্রকৃত জ্ঞান নীরবতায় বাস করে, আর শান্তি মেলে স্থিরতায়।” একদিন, তিনি যখন তার ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, তখন তার স্ত্রী রাগে চিৎকার করতে করতে এসে তার মাথায় পানি ঢেলে দিলেন। সক্রেটিস শান্তভাবে মুখ মুছতে মুছতে বললেন, "আহা, বজ্রপাতের পর বৃষ্টি তো স্বাভাবিক!" তার জীবনের দাম্পত্য অধ্যায়ের সমাপ্তি আসে আরেকটি উত্তাল মুহূর্তে, যখন তিনি যথারীতি শান্ত ও নিশ্চুপ ছিলেন, আর তার স্ত্রী রাগে অস্থির হয়ে ওঠেন। অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে সেই রাতেই তার স্ত্রীর হৃদরোগে মৃত্যু ঘটে। সক্রেটিস তখনও স্থির — যেন কোনো বিশাল পাহাড়। ইতিহাসে তার স্ত্রীর নাম বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু সক্রেটিসের নীরব সহনশীলতা আজ কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে। এটি কেবল একটি দাম্পত্য দ্বন্দ্বের গল্প নয় — এটি এক স্মরণিকা: শক্তি সবসময় শব্দে নয়, অনেক সময় নীরবতায় প্রকাশ পায়। আর জীবনের কঠিনতম মুহূর্তগুলোতেই আসে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আমরা ঠকেছি এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়েছি।। আর প্রতিনিয়ত শিক্ষা নিয়েই যাচ্ছে। 😕😕😕 Collected0 Comments 0 Shares 152 Views -
"আপনার সন্তান কি গোপনে মোবাইলে নিষিদ্ধ ভিডিও দেখছে?ভাবছেন যে, এতটুকু বয়সে সে তো এসব জানেই না?একটু শোনেন —""আমরা সন্তানকে মোবাইল দেই, চুপচাপ থাকার জন্য। খাওয়া খাওয়াতে, না ঘ্যানঘ্যান করতে – একটা ফোন হাতে ধরিয়ে দেই। কিন্তু খেয়াল রাখি কি, সে কী দেখছে, কাদের সাথে কথা বলছে, বা তার ব্রাউজিং হিস্টোরিতে কী আছে?" "বর্তমানে অ্যালগরিদম এমন, একবার ক্লিক করলেই আরেকবার দেখানোর ফাঁদে পড়ে যায়। একটা শর্ট ভিডিও থেকে শুরু হয়ে যেতে পারে এক ভয়ঙ্কর অভ্যাসের শুরু। ৯-১৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এখনই...0 Comments 0 Shares 181 Views
-
🔑 Password Monitor App - আমাদের অনলাইন নিরাপত্তা বাড়াতে এক অসাধারণ টুলঅনেক সময় ওয়েবসাইট বা অ্যাপ হ্যাক হলে ব্যবহার কারীর ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড ডার্ক ওয়েবে ছড়িয়ে পড়ে বা বিক্রি হয়ে যায় এই অবস্থায় একজন ব্যবহারকারী বুঝতেও পারেন না তার পাসওয়ার্ড ঝুঁকিতে আছে কিনা এই সমস্যার সমাধান দিতেই এসেছে পাসওয়ার্ড মনিটর অ্যাপ পাসওয়ার্ড মনিটর অ্যাপ এটি এমন একটি নিরাপত্তা অ্যাপ বা ফিচার যা আপনার ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে যদি...0 Comments 0 Shares 177 Views
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে একটি বিশেষ প্রস্তাবনা নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশের জন্য ইতিবাচক ফলাফল আসবে।
একই বৈঠকে চট্টগ্রামের জলিল টেক্সটাইল মিলের জমি সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, সরকার সার ও এলএনজি সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার আর প্রতীকী মূল্যে জমি বরাদ্দ দেবে না বলেও জানান তিনি।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে একটি বিশেষ প্রস্তাবনা নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশের জন্য ইতিবাচক ফলাফল আসবে। একই বৈঠকে চট্টগ্রামের জলিল টেক্সটাইল মিলের জমি সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, সরকার সার ও এলএনজি সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার আর প্রতীকী মূল্যে জমি বরাদ্দ দেবে না বলেও জানান তিনি।0 Comments 0 Shares 111 Views -
হারকিউলেনিয়াম থেকে সপ্তম ক্লিওপেট্রার একটি প্রতিকৃতি খুঁজে পাওয়া যায়। এটি বর্তমানে নেপলসের জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে রয়েছে। এই ছবিটি সম্পর্কে বিখ্যাত গবেষক ডক্টর জোয়ান ফ্লেচার তার নিজের মতন করে একটি ব্যখ্যা দিয়েছেন। ছবিটি ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পরেই আঁকা হয়েছিল। হারকিউলেনিয়ামের একটি ভিলাতে এই ছবিটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ছবিতে একটি লাল চুলওয়ালা মহিলাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে যার এই ছবি তার মুখের বৈশিষ্ট্য সূক্ষ্ম মুক্তা দিয়ে তৈরি রাজকীয় ডায়াডেম, চুলের ক্লিপ, চুলের স্টাইল সমস্ত কিছুই এক সময়কার জনপ্রিয় রানী ক্লিওপেট্রার মতন বলে ডক্টর জোয়ানের অভিমত l তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন এটি ক্লিওপেট্রারই ছবি। ক্লিওপেট্রা সৌন্দর্যের পূজারী ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষ হেয়ারড্রেসার ইরাস তার চুলের যত্ন নিত। ক্লিওপেট্রা যখন তার প্রজাদের সামনে দর্শন দিতেন তখন তিনি একটি কালো চুলের পরচুলা পরতেন। সেই পরচুলা পরা বহু ছবি আমরা দেখেছি। মসৃণ কালো চুলের পরচুলা তার খুব প্রিয় ছিল। তবে চিত্রের এই লাল চুলের মহিলার ছবিটির চারিদিকে রয়েছে মিশরীয় মোটিফের প্রমাণ। রাজকীয় ডায়াডেম পরা এই প্রতিকৃতিটি নিয়ে গবেষণার পরে এটিকে ক্লিওপেট্রা বলে মনে করা হচ্ছে। ছবিতে তার লাল চুল দেখে মনে করা হচ্ছে তিনি আলেকজান্ডারের মতনই স্বর্ণকেশী ছিলেন। আমরা জানি আলেকজান্ডার তার চুলকে লাল করবার জন্যে জাফরান ব্যবহার করতেন l ক্লিওপেট্রাও হয়তো তার চুলকে লাল করেছিলেন জাফরান ব্যবহারের মাধ্যমেই l
Rabab Ahmed
Stay Curious Sis
Siddiqui's International School
ছবির উৎস https://commons.wikimedia.org/wiki/File:Posthumous_painted_portrait_of_Cleopatra_VII_of_Egypt,_from_Herculaneum,_Italy.jpg🔺হারকিউলেনিয়াম থেকে সপ্তম ক্লিওপেট্রার একটি প্রতিকৃতি খুঁজে পাওয়া যায়। এটি বর্তমানে নেপলসের জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে রয়েছে। এই ছবিটি সম্পর্কে বিখ্যাত গবেষক ডক্টর জোয়ান ফ্লেচার তার নিজের মতন করে একটি ব্যখ্যা দিয়েছেন। ছবিটি ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পরেই আঁকা হয়েছিল। হারকিউলেনিয়ামের একটি ভিলাতে এই ছবিটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ছবিতে একটি লাল চুলওয়ালা মহিলাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে যার এই ছবি তার মুখের বৈশিষ্ট্য সূক্ষ্ম মুক্তা দিয়ে তৈরি রাজকীয় ডায়াডেম, চুলের ক্লিপ, চুলের স্টাইল সমস্ত কিছুই এক সময়কার জনপ্রিয় রানী ক্লিওপেট্রার মতন বলে ডক্টর জোয়ানের অভিমত l তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন এটি ক্লিওপেট্রারই ছবি। ক্লিওপেট্রা সৌন্দর্যের পূজারী ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষ হেয়ারড্রেসার ইরাস তার চুলের যত্ন নিত। ক্লিওপেট্রা যখন তার প্রজাদের সামনে দর্শন দিতেন তখন তিনি একটি কালো চুলের পরচুলা পরতেন। সেই পরচুলা পরা বহু ছবি আমরা দেখেছি। মসৃণ কালো চুলের পরচুলা তার খুব প্রিয় ছিল। তবে চিত্রের এই লাল চুলের মহিলার ছবিটির চারিদিকে রয়েছে মিশরীয় মোটিফের প্রমাণ। রাজকীয় ডায়াডেম পরা এই প্রতিকৃতিটি নিয়ে গবেষণার পরে এটিকে ক্লিওপেট্রা বলে মনে করা হচ্ছে। ছবিতে তার লাল চুল দেখে মনে করা হচ্ছে তিনি আলেকজান্ডারের মতনই স্বর্ণকেশী ছিলেন। আমরা জানি আলেকজান্ডার তার চুলকে লাল করবার জন্যে জাফরান ব্যবহার করতেন l ক্লিওপেট্রাও হয়তো তার চুলকে লাল করেছিলেন জাফরান ব্যবহারের মাধ্যমেই l Rabab Ahmed Stay Curious Sis Siddiqui's International School ছবির উৎস https://commons.wikimedia.org/wiki/File:Posthumous_painted_portrait_of_Cleopatra_VII_of_Egypt,_from_Herculaneum,_Italy.jpg -
আজ ভোরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুজন যাত্রী আবুধাবি থেকে ব্যাগে ভরে পাকিস্তানে তৈরি নিষিদ্ধ 'ডিউ ক্রিম' নিয়ে আসার সময় আটক হয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও বিমানবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তারা স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে এটি শনাক্ত করেন।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ২০২৩ সালে ক্ষতিকর মাত্রায় পারদ ও হাইড্রোকুইনোন থাকায় ডিউ ক্রিমসহ অনেক রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি, বিপণন ও আমদানি নিষিদ্ধ করে। এই ক্রিম ব্যবহারে চর্মরোগসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ভোরে আবুধাবিফেরত দুই যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে ৯২০ পিস ডিউ ক্রিম জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৯০ কার্টন সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ৯২০ পিস ডিউ ক্রিম এবং ১৯০ কার্টন সিগারেটের বাজারমূল্য প্রায় ৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। আটক যাত্রীরা হলেন ফেনীর নূরনবী ও হাটহাজারীর মো. মিজানুর রহমান। তাদের পাসপোর্ট নম্বর নথিভুক্ত করে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আজ ভোরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুজন যাত্রী আবুধাবি থেকে ব্যাগে ভরে পাকিস্তানে তৈরি নিষিদ্ধ 'ডিউ ক্রিম' নিয়ে আসার সময় আটক হয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও বিমানবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তারা স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে এটি শনাক্ত করেন। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ২০২৩ সালে ক্ষতিকর মাত্রায় পারদ ও হাইড্রোকুইনোন থাকায় ডিউ ক্রিমসহ অনেক রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি, বিপণন ও আমদানি নিষিদ্ধ করে। এই ক্রিম ব্যবহারে চর্মরোগসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ভোরে আবুধাবিফেরত দুই যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে ৯২০ পিস ডিউ ক্রিম জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৯০ কার্টন সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ৯২০ পিস ডিউ ক্রিম এবং ১৯০ কার্টন সিগারেটের বাজারমূল্য প্রায় ৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। আটক যাত্রীরা হলেন ফেনীর নূরনবী ও হাটহাজারীর মো. মিজানুর রহমান। তাদের পাসপোর্ট নম্বর নথিভুক্ত করে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।0 Comments 0 Shares 112 Views -
এক সময় ছেলেকে নিয়ে গর্ব করা বাবা, এখন তাসকিনের কথা শুনলেই লজ্জা পান। বুজতেই পারছেন না কার সঙ্গ পেয়ে নষ্ট হলেন তাসকিন.!!!
গতকাল রাতে নিজ মা*দক সেবনের পর বন্ধুদের ডেকে এনে নিজ গাড়িতে মে*রে হসপিটালে ভর্তি করান তাসকিন।
NEWS24 এর এক সাক্ষাতকারে হসপিটাল থেকে এ অভিযোগ করেন তার বন্ধুরা। তারা জানান, নারীসঙ্গ এবং মাদ*কের কারনেই তাসকিন এমন করেন মাঝে মাঝে৷ এ নিয়ে তার বাবাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি তো ওরে নিয়ে গর্ব করতাম, কার সঙ্গ পেয়ে এমন হয়ে গেলো আল্লাহ জানে'
এ ব্যাপারে আপনি কি ভাবছেন.?
#TaskinAhmed | #khelarpata | #BangladeshCricketএক সময় ছেলেকে নিয়ে গর্ব করা বাবা, এখন তাসকিনের কথা শুনলেই লজ্জা পান। বুজতেই পারছেন না কার সঙ্গ পেয়ে নষ্ট হলেন তাসকিন.!!! গতকাল রাতে নিজ মা*দক সেবনের পর বন্ধুদের ডেকে এনে নিজ গাড়িতে মে*রে হসপিটালে ভর্তি করান তাসকিন। NEWS24 এর এক সাক্ষাতকারে হসপিটাল থেকে এ অভিযোগ করেন তার বন্ধুরা। তারা জানান, নারীসঙ্গ এবং মাদ*কের কারনেই তাসকিন এমন করেন মাঝে মাঝে৷ এ নিয়ে তার বাবাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি তো ওরে নিয়ে গর্ব করতাম, কার সঙ্গ পেয়ে এমন হয়ে গেলো আল্লাহ জানে' এ ব্যাপারে আপনি কি ভাবছেন.? #TaskinAhmed | #khelarpata | #BangladeshCricket0 Comments 0 Shares 170 Views -
একটা মজাদার অবাস্তব থিউরি আছে পৃথিবী ও মানুষ নিয়ে। তা হলো- পৃৃথিবীটা আসলে মানুষের নয়, ছিলও না কখনো। পৃথিবীতে মানুষ মূলত আগন্তুক। সোজা ভাষায় যাকে বলে, এলিয়েন।
এইজন্য এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে সার্ভাইভ করা শারীরিক কন্ডিশনে সবচেয়ে দুর্বল প্রাণীটি হলো মানুষ। পৃথিবীর ন্যাচারের সাথে যারা এখনো খাপ খাওয়াতে পারেনি। একটা তেলাপোকার থেকেও যার সার্ভাইভাল ক্ষমতা কম।
অবাস্তব এই থিউরিটা সত্য মনে হয় অ্যাভাটার দেখলে। জেমস ক্যামেরন পৃথিবীর মানুষ নয়। নির্ঘাত এই ব্যক্তি পৃথিবীর বাইরে থেকে এসেছে। একটা মানুষের কল্পনাশক্তি এতটা বৃহদাকার স্কেলে এমন অপার্থিব লেভেলের কিভাবে হতে পারে নয়ত।
১৬ বছর আগে অ্যাভাটারের প্রথম কিস্তি যখন বের হয়েছিল, যে পরিমাণ মুগ্ধতা ছিল চোখে, তার কিঞ্চিতও ভাটা পড়েনি প্রথম কিস্তির ১৩ বছর দ্বিতীয় কিস্তি যখন বের হলো আর তা দেখার পর। সামনে আসছে তৃতীয় কিস্তি। আরেকটা এপিক এক্সপেরিয়েন্সের অপেক্ষায়।
অ্যাভাটারের গল্প আর দশটা সাই-ফাই সিনেমার মতোন। যেখানে এলিয়েন ভিলেন নয়, প্রকৃত ভিলেন মানুষ। এমন চর্চিত একটা কনসেপ্টে অ্যাভাটার নির্মাণ করেও এমন অভাবনীয় সাফল্য আর মানুষের এতটা মাথায় ঢুকে গেল কিভাবে এই সিনেমা? মানুষকে কতটা প্রভাবিত করেছে এই সিনেমা, একটা ছোট্ট উদাহারণ দিই আমি।
অ্যাভাটার সিনেমা প্যান্ডোরা নামে একটা গ্রহ কেন্দ্র করে। বাস্তবিক ওই গ্রহ নাই জানা সত্ত্বেও অ্যাভাটারের প্রথম কিস্তি দেখার পর অনেক মানুষ ডিপ্রেসড হয়ে গিয়েছিল। আর ওই বিষাদ থেকে একটা নতুন সিন্ড্রোম পর্যন্ত ওরা আবিষ্কার করে ফেলেছিল। যার নাম, পোস্ট-অ্যাভাটার ডিপ্রেশন সিন্ড্রোম। সংক্ষেপে প্যাডস। যদিই মেডিক্যালি রেকগনাইজড না।
পোস্ট-অ্যাভাটার ডিপ্রেশন সিন্ড্রোম বা অ্যাভাটার ব্লুজে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্যান্ডোরায় এত বেশী প্রবেশ করে ফেলে যে তাদের চারপাশের পৃথিবী ও মানুষজন তুচ্ছ হয়ে ওঠে। অর্থহীন আর বিষাদে ভরা এই পৃথিবী ছেড়ে ওরা প্যান্ডোরার মতো একটা স্বপ্ন স্বপ্ন জায়গায় চলে যেতে চায়। এমনকি, কারোর কারোর মাথায় সুইসাইডাল থটসও ঘোরাফেরা করেছে। যাতে মৃত্যুর পর পুনর্জন্মটা প্যান্ডোরায় হয়।
জেমস ক্যামেরনকে মানুষ বলে মনে হয় না আমার। তিনি বাস্তবিক অর্থেই একটা স্বপ্নের দুনিয়া নির্মাণ করে ফেলেছেন। সিনেমা আমার কাছে নিছক কোনো আড়াইঘণ্টার ভিজ্যুয়াল না। সিনেমা একটা কামরা। মানুষ মরে যায়, চলে যায়, মুছে যায়। ওই কামরা থেকে যায়। আরো দুইশো বছর পরও যদি কারোর ইচ্ছা হয় ওই কামরায় প্রবেশ করার। তবে সে কামরার দরজা খুলে প্রবেশ করতে পারবে। চাইলে বের হতে পারবে, চাইলে থেকেও যেতে পারবে ওখানে।
জেমস ক্যামেরন একটা আলাদা দুনিয়া বানিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। বর্তমান তো বটেই, অদূর ভবিষ্যতেও যখন আমরা পারিপার্শ্বিক জগত নিয়ে চরম বিতৃষ্ণা ও বিষাদে ভুগব, তখন হয়ত এই পোস্ট-অ্যাভাটার ডিপ্রেশন সিন্ড্রোমই হবে একমাত্র আরোগ্য। কোনো অসুস্থতা নয়, একটা সময় হয়ত এই সিন্ড্রোমই হবে অসুস্থতা থেকে বাঁচার ঔষধ।
হুমায়ূন আহমেদ তার একটা জীবনকথায় লিখেছিলেন- এই পৃথিবী বড়ই বিষাদময়। আমি এই পৃথিবী ছেড়ে অন্য কোনো পৃথিবীতে যেতে চাই, যে পৃথিবীতে কোনো মানুষ নেই। চারপাশে পত্রপুষ্প শোভিত বৃক্ষরাজি, আকারে চির পূর্নিমার চাঁদ। যে চাঁদের ছায়া পড়েছে ময়ূরাক্ষী নামের এক নদীতে। সেই নদীর স্বচ্ছ জলে সারাক্ষণ খেলা করে জোছনার ফুল। দূরের বন থেকে ভেসে আসে অপার্থিব সংগীত।
'জোছনার ফুল' নাম দিয়ে আজীবন বিভিন্ন লেখায় যে আরাধ্য জায়গার সন্ধান করে গিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ- আমার কাছে, তারই একটা ভিজ্যুয়াল রুপ হলো প্যান্ডোরা। হুমায়ূন আহমেদ অ্যাভাটার দেখে যেতে পেরেছেন কিনা জানি না, তিনি শুধু মানবমনে আজন্ম জন্ম নেওয়া ওই একটা আকাঙ্খার কথা ব্যক্ত করেছিলেন। একজীবনে কতবার আমরা এই বিষাদে ভরা পৃথিবী থেকে অন্য কোথাও চলে যেতে চাই, হিসেব নেই তার। পারি না। তাই প্যান্ডোরা আমাদের ওই জায়গা হয়ে ওঠে। হয়ে উঠে সাময়িক ওই আশ্রয়।
আরো একবার জেমস ক্যামেরনের দুনিয়ায় হারিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে অ্যাভাটারের তৃতীয় কিস্তি 'ফায়ার এন্ড অ্যাশ'। প্রথম কিস্তি ছিল মাটি কেন্দ্রিক, দ্বিতীয় কিস্তি জল। তৃতীয় কিস্তির ফোকাস হচ্ছে আগুন। সর্বমোট পাঁচটা কিস্তি হবে। বাকি দু'টোর একটা আসবে ২০২৯ সালে। আর ফাইনাল কিস্তি মুক্তির সম্ভাব্য সাল ২০৩১!
আপাতত, ডিসেম্বরের অপেক্ষায়। দেখা যাক, পরিবারের জন্য একটা মানুষ আর কতদূর যেতে পারে!
-- সাখাওয়াত হোসেনএকটা মজাদার অবাস্তব থিউরি আছে পৃথিবী ও মানুষ নিয়ে। তা হলো- পৃৃথিবীটা আসলে মানুষের নয়, ছিলও না কখনো। পৃথিবীতে মানুষ মূলত আগন্তুক। সোজা ভাষায় যাকে বলে, এলিয়েন। এইজন্য এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে সার্ভাইভ করা শারীরিক কন্ডিশনে সবচেয়ে দুর্বল প্রাণীটি হলো মানুষ। পৃথিবীর ন্যাচারের সাথে যারা এখনো খাপ খাওয়াতে পারেনি। একটা তেলাপোকার থেকেও যার সার্ভাইভাল ক্ষমতা কম। অবাস্তব এই থিউরিটা সত্য মনে হয় অ্যাভাটার দেখলে। জেমস ক্যামেরন পৃথিবীর মানুষ নয়। নির্ঘাত এই ব্যক্তি পৃথিবীর বাইরে থেকে এসেছে। একটা মানুষের কল্পনাশক্তি এতটা বৃহদাকার স্কেলে এমন অপার্থিব লেভেলের কিভাবে হতে পারে নয়ত। ১৬ বছর আগে অ্যাভাটারের প্রথম কিস্তি যখন বের হয়েছিল, যে পরিমাণ মুগ্ধতা ছিল চোখে, তার কিঞ্চিতও ভাটা পড়েনি প্রথম কিস্তির ১৩ বছর দ্বিতীয় কিস্তি যখন বের হলো আর তা দেখার পর। সামনে আসছে তৃতীয় কিস্তি। আরেকটা এপিক এক্সপেরিয়েন্সের অপেক্ষায়। অ্যাভাটারের গল্প আর দশটা সাই-ফাই সিনেমার মতোন। যেখানে এলিয়েন ভিলেন নয়, প্রকৃত ভিলেন মানুষ। এমন চর্চিত একটা কনসেপ্টে অ্যাভাটার নির্মাণ করেও এমন অভাবনীয় সাফল্য আর মানুষের এতটা মাথায় ঢুকে গেল কিভাবে এই সিনেমা? মানুষকে কতটা প্রভাবিত করেছে এই সিনেমা, একটা ছোট্ট উদাহারণ দিই আমি। অ্যাভাটার সিনেমা প্যান্ডোরা নামে একটা গ্রহ কেন্দ্র করে। বাস্তবিক ওই গ্রহ নাই জানা সত্ত্বেও অ্যাভাটারের প্রথম কিস্তি দেখার পর অনেক মানুষ ডিপ্রেসড হয়ে গিয়েছিল। আর ওই বিষাদ থেকে একটা নতুন সিন্ড্রোম পর্যন্ত ওরা আবিষ্কার করে ফেলেছিল। যার নাম, পোস্ট-অ্যাভাটার ডিপ্রেশন সিন্ড্রোম। সংক্ষেপে প্যাডস। যদিই মেডিক্যালি রেকগনাইজড না। পোস্ট-অ্যাভাটার ডিপ্রেশন সিন্ড্রোম বা অ্যাভাটার ব্লুজে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্যান্ডোরায় এত বেশী প্রবেশ করে ফেলে যে তাদের চারপাশের পৃথিবী ও মানুষজন তুচ্ছ হয়ে ওঠে। অর্থহীন আর বিষাদে ভরা এই পৃথিবী ছেড়ে ওরা প্যান্ডোরার মতো একটা স্বপ্ন স্বপ্ন জায়গায় চলে যেতে চায়। এমনকি, কারোর কারোর মাথায় সুইসাইডাল থটসও ঘোরাফেরা করেছে। যাতে মৃত্যুর পর পুনর্জন্মটা প্যান্ডোরায় হয়। জেমস ক্যামেরনকে মানুষ বলে মনে হয় না আমার। তিনি বাস্তবিক অর্থেই একটা স্বপ্নের দুনিয়া নির্মাণ করে ফেলেছেন। সিনেমা আমার কাছে নিছক কোনো আড়াইঘণ্টার ভিজ্যুয়াল না। সিনেমা একটা কামরা। মানুষ মরে যায়, চলে যায়, মুছে যায়। ওই কামরা থেকে যায়। আরো দুইশো বছর পরও যদি কারোর ইচ্ছা হয় ওই কামরায় প্রবেশ করার। তবে সে কামরার দরজা খুলে প্রবেশ করতে পারবে। চাইলে বের হতে পারবে, চাইলে থেকেও যেতে পারবে ওখানে। জেমস ক্যামেরন একটা আলাদা দুনিয়া বানিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। বর্তমান তো বটেই, অদূর ভবিষ্যতেও যখন আমরা পারিপার্শ্বিক জগত নিয়ে চরম বিতৃষ্ণা ও বিষাদে ভুগব, তখন হয়ত এই পোস্ট-অ্যাভাটার ডিপ্রেশন সিন্ড্রোমই হবে একমাত্র আরোগ্য। কোনো অসুস্থতা নয়, একটা সময় হয়ত এই সিন্ড্রোমই হবে অসুস্থতা থেকে বাঁচার ঔষধ। হুমায়ূন আহমেদ তার একটা জীবনকথায় লিখেছিলেন- এই পৃথিবী বড়ই বিষাদময়। আমি এই পৃথিবী ছেড়ে অন্য কোনো পৃথিবীতে যেতে চাই, যে পৃথিবীতে কোনো মানুষ নেই। চারপাশে পত্রপুষ্প শোভিত বৃক্ষরাজি, আকারে চির পূর্নিমার চাঁদ। যে চাঁদের ছায়া পড়েছে ময়ূরাক্ষী নামের এক নদীতে। সেই নদীর স্বচ্ছ জলে সারাক্ষণ খেলা করে জোছনার ফুল। দূরের বন থেকে ভেসে আসে অপার্থিব সংগীত। 'জোছনার ফুল' নাম দিয়ে আজীবন বিভিন্ন লেখায় যে আরাধ্য জায়গার সন্ধান করে গিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ- আমার কাছে, তারই একটা ভিজ্যুয়াল রুপ হলো প্যান্ডোরা। হুমায়ূন আহমেদ অ্যাভাটার দেখে যেতে পেরেছেন কিনা জানি না, তিনি শুধু মানবমনে আজন্ম জন্ম নেওয়া ওই একটা আকাঙ্খার কথা ব্যক্ত করেছিলেন। একজীবনে কতবার আমরা এই বিষাদে ভরা পৃথিবী থেকে অন্য কোথাও চলে যেতে চাই, হিসেব নেই তার। পারি না। তাই প্যান্ডোরা আমাদের ওই জায়গা হয়ে ওঠে। হয়ে উঠে সাময়িক ওই আশ্রয়। আরো একবার জেমস ক্যামেরনের দুনিয়ায় হারিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে অ্যাভাটারের তৃতীয় কিস্তি 'ফায়ার এন্ড অ্যাশ'। প্রথম কিস্তি ছিল মাটি কেন্দ্রিক, দ্বিতীয় কিস্তি জল। তৃতীয় কিস্তির ফোকাস হচ্ছে আগুন। সর্বমোট পাঁচটা কিস্তি হবে। বাকি দু'টোর একটা আসবে ২০২৯ সালে। আর ফাইনাল কিস্তি মুক্তির সম্ভাব্য সাল ২০৩১! আপাতত, ডিসেম্বরের অপেক্ষায়। দেখা যাক, পরিবারের জন্য একটা মানুষ আর কতদূর যেতে পারে! -- সাখাওয়াত হোসেন0 Comments 0 Shares 138 Views
More Stories