তাপ দাহের পর বৃষ্টিতো সবাই উপভোগ করেছেন। এর মাঝে ভূমিকম্পের কিছু খবর দেই। ইদানীং রাস্তা দিয়ে হাটি আর দেখছি সবাই বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। ১৫ ফিট রাস্তা ভবন করেছেন ১০ তলা।একবার ভাবুনতো যদি বাংলাদেশে ৮ মাত্রা একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয় তাহলে এই বিল্ডিং সহ আপনি মাটিতে তলিয়ে যাবেন। আপনাকে সেই মূহুর্তে উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব।
বাংলাদেশের ভূমিকম্পের অঞ্চল প্রধানত ৫ ভাগে বিভক্ত
বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে কারণ এটি কয়েকটি সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ ফল্ট লাইনের (fault lines) কাছে অবস্থিত। বাংলাদেশে প্রধানত ৫টি প্রধান ফল্ট লাইন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো ভূমিকম্প সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারে
বাংলাদেশে প্রধান ভূমিকম্প ফল্ট লাইনসমূহ:
1. ডাউকি ফল্ট (Dauki Fault)
• অবস্থান: সিলেট অঞ্চলের দক্ষিণে
• এটি একটি অত্যন্ত সক্রিয় ফল্ট, ভারতের মেঘালয় ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত।
• এটি বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটাতে সক্ষম।
2. চিটাগাং–ত্রীপুরা ফল্ট (Chittagong-Tripura Fold Belt)
• অবস্থান: পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে
• এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি।
3. মধুপুর ফল্ট (Madhupur Fault)
• অবস্থান: টাঙ্গাইল ও গাজীপুর অঞ্চল দিয়ে যায়
• ঢাকার খুব কাছাকাছি হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ।
4. নর্থ সিলেট ফল্ট (North Sylhet Fault)
• অবস্থান: সিলেটের উত্তরাঞ্চল
• এটি সিলেট শহরকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।
5. ভারতীয় ও বার্মিজ মেগাথ্রাস্ট ফল্ট লাইন (Assam Subduction Zone )
• অবস্থান: বাংলাদেশ ও ভারতের আসাম সীমান্ত বরাবর
• এটি ভারতীয় ও বার্মা টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল এবং বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রাখে।
এর মধ্যেসবচেয়ে বড় বিপদের কারন হলো ভারতীয় ও বার্মিজ মেগাথ্রাস্ট ফল্ট লাইন।
এটি একটি বড় টেকটোনিক প্লেট, যা ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং হিমালয়ের একটি বড় অংশকে ধারণ করে।
ভারতীয় প্লেট এটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরছে প্রতি বছর প্রায় ৫ সেমি হারে। এই প্লেটটি ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে উত্তরে এবং বার্মিজ প্লেটের সাথে পূর্বদিকে ধাক্কা খাচ্ছে।
এই সংঘর্ষ হিমালয়ের উচ্চতা বাড়াচ্ছে এবং একই সাথে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে।
বার্মিজ প্লেটকে কখনো কখনো সাবপ্লেট (subplate) বা মাইক্রোপ্লেট হিসেবেও ধরা হয়।
এটি মূলত মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে বিস্তৃত।এটি ভারতীয় প্লেটের পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং ভারতীয় প্লেটের চাপের মুখে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। ভারতীয় প্লেট, বার্মিজ প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের ত্রিমুখী সংযোগস্থল হচ্ছে বাংলাদেশ, বিশেষ করে
ভারতের আসাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর , নোয়াখালী , চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমার আরাকান পর্যন্ত বিস্তৃত।
ভারতীয় প্লেট ও বার্মিজ প্লেট একে অপরের নিচে ও উপর দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে, যাকে বলে subduction।
এই কারণে সেখানে Assam Subduction Zone বা মেগাথ্রাস্ট ফল্ট তৈরি হয়েছে, যা ভয়াবহ ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। ধারনা করা হয় পোস্ট টি যখন পরছেন তখন থেকে আগামী ৩০ বছরের যেকোন মুহূর্তে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব না তবে যদি আমরা সবাই ভূমিকম্প থেকে বাচার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখি তাহলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)
বাংলাদেশের ভূমিকম্পের অঞ্চল প্রধানত ৫ ভাগে বিভক্ত
বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে কারণ এটি কয়েকটি সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ ফল্ট লাইনের (fault lines) কাছে অবস্থিত। বাংলাদেশে প্রধানত ৫টি প্রধান ফল্ট লাইন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো ভূমিকম্প সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারে
বাংলাদেশে প্রধান ভূমিকম্প ফল্ট লাইনসমূহ:
1. ডাউকি ফল্ট (Dauki Fault)
• অবস্থান: সিলেট অঞ্চলের দক্ষিণে
• এটি একটি অত্যন্ত সক্রিয় ফল্ট, ভারতের মেঘালয় ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত।
• এটি বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটাতে সক্ষম।
2. চিটাগাং–ত্রীপুরা ফল্ট (Chittagong-Tripura Fold Belt)
• অবস্থান: পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে
• এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি।
3. মধুপুর ফল্ট (Madhupur Fault)
• অবস্থান: টাঙ্গাইল ও গাজীপুর অঞ্চল দিয়ে যায়
• ঢাকার খুব কাছাকাছি হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ।
4. নর্থ সিলেট ফল্ট (North Sylhet Fault)
• অবস্থান: সিলেটের উত্তরাঞ্চল
• এটি সিলেট শহরকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।
5. ভারতীয় ও বার্মিজ মেগাথ্রাস্ট ফল্ট লাইন (Assam Subduction Zone )
• অবস্থান: বাংলাদেশ ও ভারতের আসাম সীমান্ত বরাবর
• এটি ভারতীয় ও বার্মা টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল এবং বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রাখে।
এর মধ্যেসবচেয়ে বড় বিপদের কারন হলো ভারতীয় ও বার্মিজ মেগাথ্রাস্ট ফল্ট লাইন।
এটি একটি বড় টেকটোনিক প্লেট, যা ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং হিমালয়ের একটি বড় অংশকে ধারণ করে।
ভারতীয় প্লেট এটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরছে প্রতি বছর প্রায় ৫ সেমি হারে। এই প্লেটটি ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে উত্তরে এবং বার্মিজ প্লেটের সাথে পূর্বদিকে ধাক্কা খাচ্ছে।
এই সংঘর্ষ হিমালয়ের উচ্চতা বাড়াচ্ছে এবং একই সাথে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে।
বার্মিজ প্লেটকে কখনো কখনো সাবপ্লেট (subplate) বা মাইক্রোপ্লেট হিসেবেও ধরা হয়।
এটি মূলত মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে বিস্তৃত।এটি ভারতীয় প্লেটের পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং ভারতীয় প্লেটের চাপের মুখে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। ভারতীয় প্লেট, বার্মিজ প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের ত্রিমুখী সংযোগস্থল হচ্ছে বাংলাদেশ, বিশেষ করে
ভারতের আসাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর , নোয়াখালী , চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমার আরাকান পর্যন্ত বিস্তৃত।
ভারতীয় প্লেট ও বার্মিজ প্লেট একে অপরের নিচে ও উপর দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে, যাকে বলে subduction।
এই কারণে সেখানে Assam Subduction Zone বা মেগাথ্রাস্ট ফল্ট তৈরি হয়েছে, যা ভয়াবহ ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। ধারনা করা হয় পোস্ট টি যখন পরছেন তখন থেকে আগামী ৩০ বছরের যেকোন মুহূর্তে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব না তবে যদি আমরা সবাই ভূমিকম্প থেকে বাচার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখি তাহলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)
তাপ দাহের পর বৃষ্টিতো সবাই উপভোগ করেছেন। এর মাঝে ভূমিকম্পের কিছু খবর দেই। ইদানীং রাস্তা দিয়ে হাটি আর দেখছি সবাই বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। ১৫ ফিট রাস্তা ভবন করেছেন ১০ তলা।একবার ভাবুনতো যদি বাংলাদেশে ৮ মাত্রা একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয় তাহলে এই বিল্ডিং সহ আপনি মাটিতে তলিয়ে যাবেন। আপনাকে সেই মূহুর্তে উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব।
বাংলাদেশের ভূমিকম্পের অঞ্চল প্রধানত ৫ ভাগে বিভক্ত
বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে কারণ এটি কয়েকটি সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ ফল্ট লাইনের (fault lines) কাছে অবস্থিত। বাংলাদেশে প্রধানত ৫টি প্রধান ফল্ট লাইন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো ভূমিকম্প সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারে
✅ বাংলাদেশে প্রধান ভূমিকম্প ফল্ট লাইনসমূহ:
1. ডাউকি ফল্ট (Dauki Fault)
• অবস্থান: সিলেট অঞ্চলের দক্ষিণে
• এটি একটি অত্যন্ত সক্রিয় ফল্ট, ভারতের মেঘালয় ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত।
• এটি বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটাতে সক্ষম।
2. চিটাগাং–ত্রীপুরা ফল্ট (Chittagong-Tripura Fold Belt)
• অবস্থান: পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে
• এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি।
3. মধুপুর ফল্ট (Madhupur Fault)
• অবস্থান: টাঙ্গাইল ও গাজীপুর অঞ্চল দিয়ে যায়
• ঢাকার খুব কাছাকাছি হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ।
4. নর্থ সিলেট ফল্ট (North Sylhet Fault)
• অবস্থান: সিলেটের উত্তরাঞ্চল
• এটি সিলেট শহরকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।
5. ভারতীয় ও বার্মিজ মেগাথ্রাস্ট ফল্ট লাইন (Assam Subduction Zone )
• অবস্থান: বাংলাদেশ ও ভারতের আসাম সীমান্ত বরাবর
• এটি ভারতীয় ও বার্মা টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল এবং বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রাখে।
এর মধ্যেসবচেয়ে বড় বিপদের কারন হলো ভারতীয় ও বার্মিজ মেগাথ্রাস্ট ফল্ট লাইন।
এটি একটি বড় টেকটোনিক প্লেট, যা ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং হিমালয়ের একটি বড় অংশকে ধারণ করে।
ভারতীয় প্লেট এটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরছে প্রতি বছর প্রায় ৫ সেমি হারে। এই প্লেটটি ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে উত্তরে এবং বার্মিজ প্লেটের সাথে পূর্বদিকে ধাক্কা খাচ্ছে।
এই সংঘর্ষ হিমালয়ের উচ্চতা বাড়াচ্ছে এবং একই সাথে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে।
বার্মিজ প্লেটকে কখনো কখনো সাবপ্লেট (subplate) বা মাইক্রোপ্লেট হিসেবেও ধরা হয়।
এটি মূলত মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে বিস্তৃত।এটি ভারতীয় প্লেটের পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং ভারতীয় প্লেটের চাপের মুখে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। ভারতীয় প্লেট, বার্মিজ প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের ত্রিমুখী সংযোগস্থল হচ্ছে বাংলাদেশ, বিশেষ করে
ভারতের আসাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর , নোয়াখালী , চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমার আরাকান পর্যন্ত বিস্তৃত।
ভারতীয় প্লেট ও বার্মিজ প্লেট একে অপরের নিচে ও উপর দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে, যাকে বলে subduction।
এই কারণে সেখানে Assam Subduction Zone বা মেগাথ্রাস্ট ফল্ট তৈরি হয়েছে, যা ভয়াবহ ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। ধারনা করা হয় পোস্ট টি যখন পরছেন তখন থেকে আগামী ৩০ বছরের যেকোন মুহূর্তে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব না তবে যদি আমরা সবাই ভূমিকম্প থেকে বাচার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখি তাহলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)
0 Comments
0 Shares
146 Views