• আমরা ঘুমকে প্রায়ই অবহেলা করি। ভাবি, একটু কম ঘুম হলে তেমন কিছু হবে না।
    কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। ঘুম শুধু বিশ্রামের সময় নয়, এটি আমাদের মস্তিষ্কের পরিচ্ছন্নতা ও পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। যখন আমরা ঘুমাই, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে পরিষ্কার করে, ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করে এবং স্মৃতিকে সংগঠিত করে। কিন্তু ঘুমের অভাবে এই প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়, এমনকি ভয়ঙ্করভাবে উল্টেও যেতে পারে। গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কোষগুলো এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করতে শুরু করে, নিজের কাঠামো ধ্বংস করে ফেলে।

    - ভালো ঘুমে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে ফেলে।

    - ঘুম কম হলে, এই কোষগুলো অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে নিজেদেরই ক্ষতি করে।

    - অ্যাস্ট্রোসাইট কোষ "স্নায়ু সংযোগ" খেয়ে ফেলতে পারে—মনে রাখার ক্ষমতা কমে।

    - মাইক্রোগ্লিয়াল কোষের অতিরিক্ত কাজ অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি বাড়ায়।

    - পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে নিজের কাঠামো নষ্ট করতে শুরু করে।
    আমরা ঘুমকে প্রায়ই অবহেলা করি। ভাবি, একটু কম ঘুম হলে তেমন কিছু হবে না। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। ঘুম শুধু বিশ্রামের সময় নয়, এটি আমাদের মস্তিষ্কের পরিচ্ছন্নতা ও পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। যখন আমরা ঘুমাই, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে পরিষ্কার করে, ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করে এবং স্মৃতিকে সংগঠিত করে। কিন্তু ঘুমের অভাবে এই প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়, এমনকি ভয়ঙ্করভাবে উল্টেও যেতে পারে। গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কোষগুলো এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করতে শুরু করে, নিজের কাঠামো ধ্বংস করে ফেলে। - ভালো ঘুমে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে ফেলে। - ঘুম কম হলে, এই কোষগুলো অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে নিজেদেরই ক্ষতি করে। - অ্যাস্ট্রোসাইট কোষ "স্নায়ু সংযোগ" খেয়ে ফেলতে পারে—মনে রাখার ক্ষমতা কমে। - মাইক্রোগ্লিয়াল কোষের অতিরিক্ত কাজ অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি বাড়ায়। - পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে নিজের কাঠামো নষ্ট করতে শুরু করে।
    0 Comments 0 Shares 738 Views
  • "আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
    কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
    মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন
    “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!!"

    কবিতা টি নিশ্চই সবার চেনা.....কবির নাম বলতে পারবেন ?
    ......চলুন আমিই বলে দিচ্ছি!

    ---
    ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে, বাংলার সমাজে যখন নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি এক ক্রমবর্ধমান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, তখনই উদিত হয়েছিলেন এক বিশিষ্ট কবি, সমাজসেবিকা ও একজন আদর্শ মাতার প্রতিচ্ছবি—কুসুমকুমারী দাস (১৮৭৫–১৯৪৮)। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের জননী, কিন্তু তাঁর নিজের জীবন, সাহিত্যচর্চা ও সমাজসেবামূলক কাজও তাঁকে স্বতন্ত্র মহিমায় অধিষ্ঠিত করে।

    কুসুমকুমারীর জন্ম হয় ১৮৭৫ সালে। তিনি কলকাতার বিথুন স্কুলে শিক্ষালাভ করেন, যা ছিল সে সময়ে নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান। তাঁর সাহিত্যচর্চার বীজ রোপিত হয় পিতার হাতে। তাঁর পিতা চন্দ্রনাথ দাস হালকা রচনার কবি ছিলেন এবং তাঁর কাছ থেকেই কুসুমকুমারী লেখালেখির প্রতি আকৃষ্ট হন।
    ১৮৯৪ সালে, ১৯ বছর বয়সে, কুসুমকুমারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সত্যানন্দ দাস-এর সঙ্গে। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান জন্মগ্রহণ করেন—প্রখ্যাত কবি জীবনানন্দ দাস, অশোকানন্দ দাস, ও কন্যা সুচরিতা দাস। জীবনানন্দের আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গঠনে কুসুমকুমারীর প্রভাব গভীর ও স্থায়ী ছিল।
    --
    কুসুমকুমারী দাস নিয়মিত কবিতা লিখতেন। তাঁর রচনাগুলি প্রকাশিত হত সে সময়কার উল্লেখযোগ্য পত্র-পত্রিকায়—‘মুকুল’, ‘ব্রাহ্মবাদী’ ও ‘প্রবাসী’-তে। তিনি নিয়মিত ব্যক্তিগত ডায়েরি লিখতেন, যদিও দুর্ভাগ্যবশত সেসবের বেশিরভাগই তাঁর নিজের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত বা হারিয়ে যায়।

    তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা “আদর্শ ছেলে”, যা বাংলার শিশুসাহিত্যে এক অমর স্থান লাভ করেছে। এই কবিতার প্রথম দুটি চরণ আজও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য ও নৈতিক শিক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়—

    > আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
    কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
    মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন
    “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!!

    এই কবিতা একটি আদর্শ মানবিক চরিত্রের দিকনির্দেশনা দেয়, যা বাংলার শিশুদের মনে মূল্যবোধ গঠন করতে সাহায্য করেছে যুগ যুগ ধরে।
    -
    কেবল গৃহিণী ও কবি নন, কুসুমকুমারী দাস ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজসেবিকা। বরিশাল মহিলা সভা (Barisal Women Society)-র তিনি সম্পাদক ছিলেন। এই সংগঠন সমাজকল্যাণে অসামান্য অবদান রাখে—অভাবী কন্যাদের সাহায্য, ধাত্রী প্রশিক্ষণ, বালিকাদের বিদ্যালয় স্থাপন, এবং নারীদের গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা ছিল এর মূল লক্ষ্য।
    তিনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সদস্য, এবং ১৩১৯ থেকে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত নারী দিবস প্রার্থনায় আচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি কখনো কখনো তিনি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সমাবেশেও আচার্য পদে অভিষিক্ত হন, যা সে সময়কার সমাজে নারীদের জন্য এক বিরল সম্মান।
    --
    কুসুমকুমারী দাস তাঁর সময়ের একজন প্রগতিশীল নারী ছিলেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও মাতৃত্ব একত্রে তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি ছিলেন নারী শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নের এক নিঃশব্দ যোদ্ধা, যাঁর জীবনপ্রবাহ পরোক্ষে হলেও জীবনানন্দ দাশের মতো কবির মানসগঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।

    তাঁর রেখে যাওয়া “মানুষ হইতে হবে”-র পণ আজও আমাদের সমাজে নৈতিক চেতনার এক অনন্য বার্তা হিসেবে প্রতিধ্বনিত হয়।

    কলমে সুরজ মন্ডল
    Mr. Hotch Potch

    চিত্র ও তথ্য - উইকিপিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম

    ইতিহাসের নানা অধ্যায় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন..

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেল -
    https://youtube.com/@talpata_mr.hotchpotch?si=GH6oNo0zh1SSkB8b

    WhatsApp Channel
    https://whatsapp.com/channel/0029Vaa7cYoJ93wOSMU4ku1I

    Follow Us on Instagram
    https://www.instagram.com/talpata_history?igsh=Z3Z5N21qNnRsbWxx

    #KusumkumariDas
    #BengaliPoet
    #WomenInLiterature
    #LegacyOfWords
    #PoetAndMother
    #VoiceOfBengal
    #UnsungHeroine
    #untoldhistory #UntoldStory #history
    "আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে? মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!!" কবিতা টি নিশ্চই সবার চেনা.....কবির নাম বলতে পারবেন ? ......চলুন আমিই বলে দিচ্ছি! --- ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে, বাংলার সমাজে যখন নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি এক ক্রমবর্ধমান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, তখনই উদিত হয়েছিলেন এক বিশিষ্ট কবি, সমাজসেবিকা ও একজন আদর্শ মাতার প্রতিচ্ছবি—কুসুমকুমারী দাস (১৮৭৫–১৯৪৮)। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের জননী, কিন্তু তাঁর নিজের জীবন, সাহিত্যচর্চা ও সমাজসেবামূলক কাজও তাঁকে স্বতন্ত্র মহিমায় অধিষ্ঠিত করে। কুসুমকুমারীর জন্ম হয় ১৮৭৫ সালে। তিনি কলকাতার বিথুন স্কুলে শিক্ষালাভ করেন, যা ছিল সে সময়ে নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান। তাঁর সাহিত্যচর্চার বীজ রোপিত হয় পিতার হাতে। তাঁর পিতা চন্দ্রনাথ দাস হালকা রচনার কবি ছিলেন এবং তাঁর কাছ থেকেই কুসুমকুমারী লেখালেখির প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৮৯৪ সালে, ১৯ বছর বয়সে, কুসুমকুমারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সত্যানন্দ দাস-এর সঙ্গে। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান জন্মগ্রহণ করেন—প্রখ্যাত কবি জীবনানন্দ দাস, অশোকানন্দ দাস, ও কন্যা সুচরিতা দাস। জীবনানন্দের আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গঠনে কুসুমকুমারীর প্রভাব গভীর ও স্থায়ী ছিল। -- কুসুমকুমারী দাস নিয়মিত কবিতা লিখতেন। তাঁর রচনাগুলি প্রকাশিত হত সে সময়কার উল্লেখযোগ্য পত্র-পত্রিকায়—‘মুকুল’, ‘ব্রাহ্মবাদী’ ও ‘প্রবাসী’-তে। তিনি নিয়মিত ব্যক্তিগত ডায়েরি লিখতেন, যদিও দুর্ভাগ্যবশত সেসবের বেশিরভাগই তাঁর নিজের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত বা হারিয়ে যায়। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা “আদর্শ ছেলে”, যা বাংলার শিশুসাহিত্যে এক অমর স্থান লাভ করেছে। এই কবিতার প্রথম দুটি চরণ আজও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য ও নৈতিক শিক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়— > আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে? মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!! এই কবিতা একটি আদর্শ মানবিক চরিত্রের দিকনির্দেশনা দেয়, যা বাংলার শিশুদের মনে মূল্যবোধ গঠন করতে সাহায্য করেছে যুগ যুগ ধরে। - কেবল গৃহিণী ও কবি নন, কুসুমকুমারী দাস ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজসেবিকা। বরিশাল মহিলা সভা (Barisal Women Society)-র তিনি সম্পাদক ছিলেন। এই সংগঠন সমাজকল্যাণে অসামান্য অবদান রাখে—অভাবী কন্যাদের সাহায্য, ধাত্রী প্রশিক্ষণ, বালিকাদের বিদ্যালয় স্থাপন, এবং নারীদের গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা ছিল এর মূল লক্ষ্য। তিনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সদস্য, এবং ১৩১৯ থেকে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত নারী দিবস প্রার্থনায় আচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি কখনো কখনো তিনি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সমাবেশেও আচার্য পদে অভিষিক্ত হন, যা সে সময়কার সমাজে নারীদের জন্য এক বিরল সম্মান। -- কুসুমকুমারী দাস তাঁর সময়ের একজন প্রগতিশীল নারী ছিলেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও মাতৃত্ব একত্রে তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি ছিলেন নারী শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নের এক নিঃশব্দ যোদ্ধা, যাঁর জীবনপ্রবাহ পরোক্ষে হলেও জীবনানন্দ দাশের মতো কবির মানসগঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। তাঁর রেখে যাওয়া “মানুষ হইতে হবে”-র পণ আজও আমাদের সমাজে নৈতিক চেতনার এক অনন্য বার্তা হিসেবে প্রতিধ্বনিত হয়। কলমে ✍️ সুরজ মন্ডল ©️Mr. Hotch Potch চিত্র ও তথ্য - উইকিপিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম ইতিহাসের নানা অধ্যায় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন.. আমাদের ইউটিউব চ্যানেল - https://youtube.com/@talpata_mr.hotchpotch?si=GH6oNo0zh1SSkB8b WhatsApp Channel https://whatsapp.com/channel/0029Vaa7cYoJ93wOSMU4ku1I Follow Us on Instagram https://www.instagram.com/talpata_history?igsh=Z3Z5N21qNnRsbWxx #KusumkumariDas #BengaliPoet #WomenInLiterature #LegacyOfWords #PoetAndMother #VoiceOfBengal #UnsungHeroine #untoldhistory #UntoldStory #history
    0 Comments 0 Shares 296 Views
  • লজ্জাবতী গাছের লজ্জা পাওয়ার পেছনে আছে এক চমকপ্রদ বিজ্ঞান। এই গাছের পাতায় স্পর্শ করলে বা ঝাঁকুনি দিলে তা হঠাৎ ভাঁজ হয়ে যায়, যাকে আমরা বলি "লজ্জা পাওয়া"। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি কোনো আবেগ নয়, বরং একটি স্বয়ংক্রিয় শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া। এর বৈজ্ঞানিক নাম থিগমোনাস্টি, অর্থাৎ স্পর্শে সাড়া দেওয়া আচরণ।

    পাতার গোড়ায় থাকে এক ধরনের বিশেষ কোষভিত্তিক গঠন, যার নাম পুলভিনাস। এখানে হঠাৎ করে পানির চাপের পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে পাতার কোষগুলো পানি হারিয়ে সংকুচিত হয় এবং পাতাগুলো ভাঁজ হয়ে যায়। এই পুরো প্রক্রিয়া ঘটে বিদ্যুৎ সংকেতের মাধ্যমে, যা গাছের কোষের অভ্যন্তরে আয়ন প্রবাহিত করে।

    এই আচরণ মূলত গাছের একটি প্রতিরক্ষা কৌশল। শিকারি প্রাণী বা কীটপতঙ্গ গাছের পাতায় হঠাৎ পরিবর্তন দেখে বিভ্রান্ত হতে পারে বা ভয় পেয়ে দূরে সরে যায়। তাই এটিকে "লজ্জা" বলা হলেও, এটি আসলে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বেঁচে থাকার এক বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবস্থা।
    লজ্জাবতী গাছের লজ্জা পাওয়ার পেছনে আছে এক চমকপ্রদ বিজ্ঞান। এই গাছের পাতায় স্পর্শ করলে বা ঝাঁকুনি দিলে তা হঠাৎ ভাঁজ হয়ে যায়, যাকে আমরা বলি "লজ্জা পাওয়া"। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি কোনো আবেগ নয়, বরং একটি স্বয়ংক্রিয় শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া। এর বৈজ্ঞানিক নাম থিগমোনাস্টি, অর্থাৎ স্পর্শে সাড়া দেওয়া আচরণ। পাতার গোড়ায় থাকে এক ধরনের বিশেষ কোষভিত্তিক গঠন, যার নাম পুলভিনাস। এখানে হঠাৎ করে পানির চাপের পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে পাতার কোষগুলো পানি হারিয়ে সংকুচিত হয় এবং পাতাগুলো ভাঁজ হয়ে যায়। এই পুরো প্রক্রিয়া ঘটে বিদ্যুৎ সংকেতের মাধ্যমে, যা গাছের কোষের অভ্যন্তরে আয়ন প্রবাহিত করে। এই আচরণ মূলত গাছের একটি প্রতিরক্ষা কৌশল। শিকারি প্রাণী বা কীটপতঙ্গ গাছের পাতায় হঠাৎ পরিবর্তন দেখে বিভ্রান্ত হতে পারে বা ভয় পেয়ে দূরে সরে যায়। তাই এটিকে "লজ্জা" বলা হলেও, এটি আসলে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বেঁচে থাকার এক বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবস্থা।
    0 Comments 0 Shares 74 Views
  • ম্যানটিস শ্রিম্প: যার ঘুষি ভাঙে কাঁচ, আর চোখ হার মানায় রোবটকেও!

    সমুদ্রের নীচে, যেখানে আলো ম্লান, শব্দ নিঃশব্দ আর বেঁচে থাকার জন্য যা দরকার তা হলো চতুরতা! সেখানেই বাস করে একটা রহস্যময় প্রাণী। খুব ছোট দেখতে, একটা চিংড়ির মতো। নাম Mantis Shrimp। কিন্তু এই নামের মধ্যে লুকিয়ে আছে যে শক্তি, যে রহস্য, তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।

    এর ঘুষি এতটাই জোরালো, যে তা দিয়ে অ্যাকুরিয়ামের কাঁচ ফেটে যায়। আর চোখ? আপনি, আমি, ক্যামেরা, এমনকি কিছু রোবট সেন্সর কেউই এদের চোখের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে না।

    এরা ঘুষি মারে ৮০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে! Mantis Shrimp-এর সামনে থাকে দুইটা শক্তিশালী ক্লাব যেন পাথরের হাতুড়ি! শিকার দেখলেই সে এত জোরে আঘাত করে, যে পানির নিচে সেই ঘুষির গতিতে একপ্রকার ছোট্ট শকওয়েভ তৈরি হয়। এটাই বলা হয় Cavitation Bubble। এই বুদবুদের বিস্ফোরণ এত তীব্র যে, যদি ঘুষি থেকে কেউ বেঁচেও যায়, এই শকওয়েভেই সে শেষ!

    এরা ঘুষি মারার সময় মাত্র ৩ মিলিসেকেন্ডে (এক চোখের পলকের চেয়েও কম) শক্তি ছুড়ে মারে, যার গতি বুলেটের সমান। পানির নিচে এত জোরে কেউ কিভাবে আঘাত করতে পারে এটাই বিজ্ঞানীদের এক বিশাল বিস্ময়!

    চোখে যে জিনিস এরা দেখে, আমরা তা কল্পনাও করতে পারি না! আপনার চোখে আছে মাত্র ৩ ধরনের রঙ শনাক্তকারী কোষ লাল, সবুজ আর নীল। কিন্তু ম্যানটিস শ্রিম্পের চোখে আছে ১৬টি!

    এরা শুধু আলাদা রঙ না, অতিবেগুনি রশ্মি (UV) এমনকি পোলারাইজড আলোও দেখতে পারে যা মানুষের পক্ষে একেবারেই অদৃশ্য!

    যার মানে, এই প্রাণীটা আমাদের চেনা দুনিয়ার বাইরেও কিছু দেখে! যেন সে সমুদ্রের নিচে এক বিকল্প বাস্তবতা দেখতে পায়। এটাই এমন একটা স্তর, যা বিজ্ঞানের সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরাও পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারেনি।

    এদের প্রতিটি চোখ ঘোরে আলাদাভাবে এবং প্রতিটি চোখেই এমন গঠন আছে যা দিয়ে তারা depth, movement, এমনকি পোলারিটি আলাদাভাবে চিনতে পারে। প্রতিটা চোখে যেন একটা করে ছোট কম্পিউটার বসানো!

    সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, এরা চোখেই অনেক কিছু প্রক্রিয়া করে ফেলে সেটা মস্তিষ্কে না পাঠিয়েই! অর্থাৎ চোখ-ই এদের অর্ধেক বুদ্ধির জায়গা!

    মানুষ ভাবে সে-ই সবকিছু জানে, কিন্তু প্রকৃতি চুপচাপ এমন সব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে একটা ছোট্ট প্রাণীর ভেতরে, যা পুরো বিজ্ঞানের চেহারাই বদলে দিতে পারে। একটা চিংড়ির মতো ছোট্ট প্রাণী, কিন্তু তার চোখ আর ঘুষি নিয়
    ম্যানটিস শ্রিম্প: যার ঘুষি ভাঙে কাঁচ, আর চোখ হার মানায় রোবটকেও! সমুদ্রের নীচে, যেখানে আলো ম্লান, শব্দ নিঃশব্দ আর বেঁচে থাকার জন্য যা দরকার তা হলো চতুরতা! সেখানেই বাস করে একটা রহস্যময় প্রাণী। খুব ছোট দেখতে, একটা চিংড়ির মতো। নাম Mantis Shrimp। কিন্তু এই নামের মধ্যে লুকিয়ে আছে যে শক্তি, যে রহস্য, তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। এর ঘুষি এতটাই জোরালো, যে তা দিয়ে অ্যাকুরিয়ামের কাঁচ ফেটে যায়। আর চোখ? আপনি, আমি, ক্যামেরা, এমনকি কিছু রোবট সেন্সর কেউই এদের চোখের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে না। এরা ঘুষি মারে ৮০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে! Mantis Shrimp-এর সামনে থাকে দুইটা শক্তিশালী ক্লাব যেন পাথরের হাতুড়ি! শিকার দেখলেই সে এত জোরে আঘাত করে, যে পানির নিচে সেই ঘুষির গতিতে একপ্রকার ছোট্ট শকওয়েভ তৈরি হয়। এটাই বলা হয় Cavitation Bubble। এই বুদবুদের বিস্ফোরণ এত তীব্র যে, যদি ঘুষি থেকে কেউ বেঁচেও যায়, এই শকওয়েভেই সে শেষ! এরা ঘুষি মারার সময় মাত্র ৩ মিলিসেকেন্ডে (এক চোখের পলকের চেয়েও কম) শক্তি ছুড়ে মারে, যার গতি বুলেটের সমান। পানির নিচে এত জোরে কেউ কিভাবে আঘাত করতে পারে এটাই বিজ্ঞানীদের এক বিশাল বিস্ময়! চোখে যে জিনিস এরা দেখে, আমরা তা কল্পনাও করতে পারি না! আপনার চোখে আছে মাত্র ৩ ধরনের রঙ শনাক্তকারী কোষ লাল, সবুজ আর নীল। কিন্তু ম্যানটিস শ্রিম্পের চোখে আছে ১৬টি! এরা শুধু আলাদা রঙ না, অতিবেগুনি রশ্মি (UV) এমনকি পোলারাইজড আলোও দেখতে পারে যা মানুষের পক্ষে একেবারেই অদৃশ্য! যার মানে, এই প্রাণীটা আমাদের চেনা দুনিয়ার বাইরেও কিছু দেখে! যেন সে সমুদ্রের নিচে এক বিকল্প বাস্তবতা দেখতে পায়। এটাই এমন একটা স্তর, যা বিজ্ঞানের সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরাও পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারেনি। এদের প্রতিটি চোখ ঘোরে আলাদাভাবে এবং প্রতিটি চোখেই এমন গঠন আছে যা দিয়ে তারা depth, movement, এমনকি পোলারিটি আলাদাভাবে চিনতে পারে। প্রতিটা চোখে যেন একটা করে ছোট কম্পিউটার বসানো! সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, এরা চোখেই অনেক কিছু প্রক্রিয়া করে ফেলে সেটা মস্তিষ্কে না পাঠিয়েই! অর্থাৎ চোখ-ই এদের অর্ধেক বুদ্ধির জায়গা! মানুষ ভাবে সে-ই সবকিছু জানে, কিন্তু প্রকৃতি চুপচাপ এমন সব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে একটা ছোট্ট প্রাণীর ভেতরে, যা পুরো বিজ্ঞানের চেহারাই বদলে দিতে পারে। একটা চিংড়ির মতো ছোট্ট প্রাণী, কিন্তু তার চোখ আর ঘুষি নিয়
    0 Comments 0 Shares 238 Views
  • ১৬ বছর একা, সঙ্গী নেই, তবু ডিম পাড়ল কুমির!

    ২০১৮ সালে এক আশ্চর্য ঘটনা চমকে দেয় বিজ্ঞানী সমাজকে। একটি স্ত্রী আমেরিকান কুমির, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সম্পূর্ণ একা থেকেছে সে, কোনো পুরুষ কুমিরের সংস্পর্শ ছাড়াই ডিম পাড়ে!

    প্রথমে মনে হয়েছিল- এটা হয়তো নিছক কাকতালীয়। কিন্তু যখন ডিমগুলোর জিনগত পরীক্ষা করা হয়, তখন বেরিয়ে আসে এক বিস্ময়কর সত্য- একটি ডিমে সম্পূর্ণ সুগঠিত ভ্রূণ ছিল, যার জিনগত গঠন প্রায় ১০০% তার মায়ের মতো ছিল।

    এটা হলো পার্থেনোজেনেসিস, অর্থাৎ 'ভার্জিন বার্থ' বা কুমারী থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা।

    পার্থেনোজেনেসিস আগে পাখি, সাপ এবং কিছু মাছের মধ্যে দেখা গেছে, কিন্তু কখনোই কুমিরের মতো প্রাচীন এবং শীর্ষস্তরের শিকারী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়নি।

    যদিও সেই কুমিরের বাচ্চাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এবং ডিমগুলোও ফোটেনি, তবু এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে প্রতিকূল পরিবেশে কুমিরের মতো প্রাণীও একা থাকলে জিনগতভাবে নিজেকে পুনরুৎপাদন করতে পারে।

    আরও রোমাঞ্চকর বিষয় হলো- বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ক্ষমতা হয়তো এসেছে কোটি কোটি বছর আগের ডাইনোসরের যুগ থেকে। কুমির, পাখি, এমনকি ডাইনোসরের পূর্বপুরুষদের মধ্যে এই আত্মপ্রজননের সক্ষমতা ছিল।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    ১৬ বছর একা, সঙ্গী নেই, তবু ডিম পাড়ল কুমির! ২০১৮ সালে এক আশ্চর্য ঘটনা চমকে দেয় বিজ্ঞানী সমাজকে। একটি স্ত্রী আমেরিকান কুমির, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সম্পূর্ণ একা থেকেছে সে, কোনো পুরুষ কুমিরের সংস্পর্শ ছাড়াই ডিম পাড়ে! প্রথমে মনে হয়েছিল- এটা হয়তো নিছক কাকতালীয়। কিন্তু যখন ডিমগুলোর জিনগত পরীক্ষা করা হয়, তখন বেরিয়ে আসে এক বিস্ময়কর সত্য- একটি ডিমে সম্পূর্ণ সুগঠিত ভ্রূণ ছিল, যার জিনগত গঠন প্রায় ১০০% তার মায়ের মতো ছিল। এটা হলো পার্থেনোজেনেসিস, অর্থাৎ 'ভার্জিন বার্থ' বা কুমারী থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা। পার্থেনোজেনেসিস আগে পাখি, সাপ এবং কিছু মাছের মধ্যে দেখা গেছে, কিন্তু কখনোই কুমিরের মতো প্রাচীন এবং শীর্ষস্তরের শিকারী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়নি। যদিও সেই কুমিরের বাচ্চাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এবং ডিমগুলোও ফোটেনি, তবু এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে প্রতিকূল পরিবেশে কুমিরের মতো প্রাণীও একা থাকলে জিনগতভাবে নিজেকে পুনরুৎপাদন করতে পারে। আরও রোমাঞ্চকর বিষয় হলো- বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ক্ষমতা হয়তো এসেছে কোটি কোটি বছর আগের ডাইনোসরের যুগ থেকে। কুমির, পাখি, এমনকি ডাইনোসরের পূর্বপুরুষদের মধ্যে এই আত্মপ্রজননের সক্ষমতা ছিল। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 Comments 0 Shares 196 Views
  • রিং অফ ফায়ার কি?

    সম্প্রতি সময় গত ৩০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে, রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরে ৮.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ রাশিয়া, জাপান, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল। অঞ্চলটি রিং অফ ফায়ার এর অন্তর্ভুক্ত।

    রিং অফ ফায়ার হল, প্রশান্ত মহাসাগরের প্রান্ত বরাবর অবস্থিত বলিভিয়া, চিলি, ইকুয়েডর, পেরু, কোস্টারিকা, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বেশিরভাগ অংশের চারপাশে অবস্থিত প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘোড়ার নালের আকৃতির একটি বেল্ট, যা তার তীব্র ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চল যেখানে অনেকগুলি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং ভূমিকম্প হয়।

    পৃথিবীর সমস্ত সমস্ত ভূমিকম্পের প্রায় 90 শতাংশই রিং অফ ফায়ার বরাবর ঘটে এবং পৃথিবীর সমস্ত সক্রিয় আগ্নেয়গিরির 75 শতাংশ এই রিং দ্বারা চিহ্নিত।

    প্রশান্ত মহাসাগরের আগ্নেয়গিরি (রিং অফ ফায়ার) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:

    #অবস্থান:
    প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারপাশে একটি ঘোড়ার নালের মতো আকৃতির এলাকা জুড়ে রিং অফ ফায়ার বিস্তৃত। এই অঞ্চলে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ খুবই সাধারণ।

    #গঠন:
    রিং অফ ফায়ার মূলত টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের কারণে গঠিত হয়েছে। এখানে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট অন্যান্য প্লেটের নিচে প্রবেশ করে এবং গলিত শিলা (ম্যাগমা) উপরে উঠে এসে আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি করে।

    #ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত:
    এই অঞ্চলে প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে প্রচুর ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। রিং অফ ফায়ার পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি।

    #গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
    রিং অফ ফায়ার-এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো:
    ভূমিকম্প: এই অঞ্চলে প্রায়শই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

    #আগ্নেয়গিরি: এখানে অসংখ্য সক্রিয় ও সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে।

    #ভূ-তাপীয় কার্যকলাপ: এই অঞ্চলে ভূ-তাপীয় শক্তিও (geothermal energy) প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান।

    #উদাহরণ:
    রিং অফ ফায়ার-এর কিছু বিখ্যাত আগ্নেয়গিরি হলো:
    অ্যালিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ (Aleutian Islands)
    কিলুয়ার (Kilauea)
    ফুজিয়ামা (Mount Fuji)
    নতুন দ্বীপ (A new island formed by volcanic eruption)

    @ ফারুক হোসেন
    রিং অফ ফায়ার কি? সম্প্রতি সময় গত ৩০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে, রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরে ৮.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ রাশিয়া, জাপান, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল। অঞ্চলটি রিং অফ ফায়ার এর অন্তর্ভুক্ত। রিং অফ ফায়ার হল, প্রশান্ত মহাসাগরের প্রান্ত বরাবর অবস্থিত বলিভিয়া, চিলি, ইকুয়েডর, পেরু, কোস্টারিকা, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বেশিরভাগ অংশের চারপাশে অবস্থিত প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘোড়ার নালের আকৃতির একটি বেল্ট, যা তার তীব্র ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চল যেখানে অনেকগুলি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং ভূমিকম্প হয়। পৃথিবীর সমস্ত সমস্ত ভূমিকম্পের প্রায় 90 শতাংশই রিং অফ ফায়ার বরাবর ঘটে এবং পৃথিবীর সমস্ত সক্রিয় আগ্নেয়গিরির 75 শতাংশ এই রিং দ্বারা চিহ্নিত। প্রশান্ত মহাসাগরের আগ্নেয়গিরি (রিং অফ ফায়ার) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য: #অবস্থান: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারপাশে একটি ঘোড়ার নালের মতো আকৃতির এলাকা জুড়ে রিং অফ ফায়ার বিস্তৃত। এই অঞ্চলে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ খুবই সাধারণ। #গঠন: রিং অফ ফায়ার মূলত টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের কারণে গঠিত হয়েছে। এখানে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট অন্যান্য প্লেটের নিচে প্রবেশ করে এবং গলিত শিলা (ম্যাগমা) উপরে উঠে এসে আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি করে। #ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত: এই অঞ্চলে প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে প্রচুর ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। রিং অফ ফায়ার পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি। #গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য: রিং অফ ফায়ার-এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো: ভূমিকম্প: এই অঞ্চলে প্রায়শই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। #আগ্নেয়গিরি: এখানে অসংখ্য সক্রিয় ও সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। #ভূ-তাপীয় কার্যকলাপ: এই অঞ্চলে ভূ-তাপীয় শক্তিও (geothermal energy) প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান। #উদাহরণ: রিং অফ ফায়ার-এর কিছু বিখ্যাত আগ্নেয়গিরি হলো: অ্যালিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ (Aleutian Islands) কিলুয়ার (Kilauea) ফুজিয়ামা (Mount Fuji) নতুন দ্বীপ (A new island formed by volcanic eruption) @ ফারুক হোসেন
    0 Comments 0 Shares 152 Views
  • আমি মাঝে মাঝে আমার neighbourhood school এ volunteer এর কাজ করি, এত চমৎকার লাগে আমেরিকার স্কুল, শিক্ষক, খেলার মাঠ, পড়ানোর ধরন। আমাদের দেশের বাচ্চাগুলোর ব‍্যাগভর্তি করে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া আর বড় ক্লাসের কোচিং সংস্কৃতির কথা ভেবে একটু মনও খারাপ হয়। এরা কত আনন্দ নিয়ে শেখে । আমার মনে আছে আমাদের স্কুলে শুধু একটা খেলার মাঠই ছিলো, খেলার কিছু ছিল না।শিক্ষকের ভয়ে তটস্থ, মুখস্থ বিদ‍্যা, বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর ছিলো না কোন প্রাকটিক‍্যাল শেখার মাধ্যম, কি শিখেছি আর কি শিখি নাই মনে পরে না। নাহ, অনুযোগ না, কিছুটা আফসোস হয় একই পৃথিবীর ভিতরে মনে হয় ভিন্ন দুই গ্রহ।

    আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায় তিন মাসের একটি দীর্ঘ সামার ব্রেক থাকে, যা অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার স্কুলগুলো এই দীর্ঘ ছুটিকে দেখে রিকভারি টাইম হিসেবে। শুধু পড়াশোনা থেকে নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটা সুযোগ হিসেবেও।

    এই ছুটির সময়টা আমেরিকান শিশুরা নানা রকম সৃজনশীল কাজে অংশ নেয় যেমন ক্যাম্পে যায়, পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করে, খেলাধুলা, আর্ট, মিউজিক, কিংবা পার্ট-টাইম জবও করে। এতে তারা কেবল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা পায়।

    এখানে আরো দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের হাতেই খাবার খাচ্ছে, নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে, লাঞ্চবক্স খুলে খাচ্ছে, খাওয়ার পরে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে গিয়ে জিনিস ফেলে আসছে। কাউকে বলার দরকার হয় না।খুদে খুদে বাচ্চারা কাজ গুলো করে এক বড় বড় ভাব নিয়ে যখন হাটে, দেখতেও ভারি ভালো লাগে। ওদের self eateem এভাবেই গড়ে ওঠে। আমাদের ক্লাস 9/10 এর অনেক বাবু!দের মায়েরা খাইয়ে দেয় (আমিও খাইছি মায়ের হাতে বুড়া বয়সে) এসব এখানে চিন্তাই করা যায় না!

    আমেরিকান শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিশুর ‍mental health টা যেমন গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তিত্ব গঠনের সুযোগ করে দেয়, ভদ্রতা শিখায়, আত্মনির্ভরশীল করে, সোসাল স্কিল বাড়ায়, এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখায় না। বাংলাদেশেও যদি শিক্ষার্থীদের চাপ কিছুটা কমিয়ে, ওদের শৈশবটাকে একটু উপভোগ করতে দিত, একটু ব্রেক পেত বাচ্চাগুলো, একটু life skill বা social skill শেখানো হত, তাহলে হয়তো আমরা আরো ব্যালান্সড, হ্যাপি এবং আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম পেতাম।

    শিশুরা জন্ম নেয় ভালোবাসা আর আনন্দ নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য, প্রতিযোগিতার বোঝা টানার জন্য নয়। তাই প্যারেন্টদের বলবো, শুধু ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দিয়ে তাদের শৈশবটাকে কঠিন করে তুলবেন না। ভালো রেজাল্ট নয়, ভালো মানুষ হওয়াটাই যেন হয় আমাদের মূল লক্ষ্য।

    Sajia Tonny
    আমি মাঝে মাঝে আমার neighbourhood school এ volunteer এর কাজ করি, এত চমৎকার লাগে আমেরিকার স্কুল, শিক্ষক, খেলার মাঠ, পড়ানোর ধরন। আমাদের দেশের বাচ্চাগুলোর ব‍্যাগভর্তি করে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া আর বড় ক্লাসের কোচিং সংস্কৃতির কথা ভেবে একটু মনও খারাপ হয়। এরা কত আনন্দ নিয়ে শেখে । আমার মনে আছে আমাদের স্কুলে শুধু একটা খেলার মাঠই ছিলো, খেলার কিছু ছিল না।শিক্ষকের ভয়ে তটস্থ, মুখস্থ বিদ‍্যা, বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর ছিলো না কোন প্রাকটিক‍্যাল শেখার মাধ্যম, কি শিখেছি আর কি শিখি নাই মনে পরে না। নাহ, অনুযোগ না, কিছুটা আফসোস হয় একই পৃথিবীর ভিতরে মনে হয় ভিন্ন দুই গ্রহ। আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায় তিন মাসের একটি দীর্ঘ সামার ব্রেক থাকে, যা অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার স্কুলগুলো এই দীর্ঘ ছুটিকে দেখে রিকভারি টাইম হিসেবে। শুধু পড়াশোনা থেকে নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটা সুযোগ হিসেবেও। এই ছুটির সময়টা আমেরিকান শিশুরা নানা রকম সৃজনশীল কাজে অংশ নেয় যেমন ক্যাম্পে যায়, পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করে, খেলাধুলা, আর্ট, মিউজিক, কিংবা পার্ট-টাইম জবও করে। এতে তারা কেবল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা পায়। এখানে আরো দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের হাতেই খাবার খাচ্ছে, নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে, লাঞ্চবক্স খুলে খাচ্ছে, খাওয়ার পরে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে গিয়ে জিনিস ফেলে আসছে। কাউকে বলার দরকার হয় না।খুদে খুদে বাচ্চারা কাজ গুলো করে এক বড় বড় ভাব নিয়ে যখন হাটে, দেখতেও ভারি ভালো লাগে। ওদের self eateem এভাবেই গড়ে ওঠে। আমাদের ক্লাস 9/10 এর অনেক বাবু!দের মায়েরা খাইয়ে দেয় (আমিও খাইছি মায়ের হাতে বুড়া বয়সে) এসব এখানে চিন্তাই করা যায় না! আমেরিকান শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিশুর ‍mental health টা যেমন গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তিত্ব গঠনের সুযোগ করে দেয়, ভদ্রতা শিখায়, আত্মনির্ভরশীল করে, সোসাল স্কিল বাড়ায়, এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখায় না। বাংলাদেশেও যদি শিক্ষার্থীদের চাপ কিছুটা কমিয়ে, ওদের শৈশবটাকে একটু উপভোগ করতে দিত, একটু ব্রেক পেত বাচ্চাগুলো, একটু life skill বা social skill শেখানো হত, তাহলে হয়তো আমরা আরো ব্যালান্সড, হ্যাপি এবং আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম পেতাম। শিশুরা জন্ম নেয় ভালোবাসা আর আনন্দ নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য, প্রতিযোগিতার বোঝা টানার জন্য নয়। তাই প্যারেন্টদের বলবো, শুধু ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দিয়ে তাদের শৈশবটাকে কঠিন করে তুলবেন না। ভালো রেজাল্ট নয়, ভালো মানুষ হওয়াটাই যেন হয় আমাদের মূল লক্ষ্য। Sajia Tonny
    Wow
    1
    0 Comments 0 Shares 231 Views
  • গরু চুরির ঋণ ১,০০১ গরুতে শোধ: Hyundai–এর বিস্ময়কর বাস্তব কাহিনি
    দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প ইতিহাসে একটি ঘটনা আজও বিস্ময়ের উদ্রেক করে—এক সময় গরু চুরি করে সিওলে পড়তে আসা এক দরিদ্র কিশোর, যিনি পরবর্তী জীবনে গড়ে তোলেন Hyundai-এর মতো বিশ্বখ্যাত শিল্প প্রতিষ্ঠান। বহু বছর পর, তিনি নিজের সেই গরু চুরির ঋণ প্রতীকীভাবে শোধ করেন—উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠান ১,০০১টি গরু। এ ঘটনা গল্প নয়, ইতিহাস।
    চুং জু-ইয়ং ছিলেন সেই মানুষ, যাঁর জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্য কোরিয়ার শিল্পায়নের প্রতীক।

    শৈশব ও গরু চুরির ঘটনা
    চুং জু-ইয়ং জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৫ সালে, উত্তর কোরিয়ার কাংওন প্রদেশের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর পড়াশোনার প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল। কিন্তু দারিদ্র্য ও পরিবারের বাধার কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সেই কিশোর তখন সিদ্ধান্ত নেন—যেকোনো মূল্যে তিনি সিওলে যাবেন।
    তৃতীয়বার চেষ্টা করার সময় পরিবারের একটি গরু বিক্রি করে তিনি ট্রেনের টিকিট কেনেন। এ ঘটনাকে আজ 'চুং জু-ইয়ং-এর গরু চুরি' বলে উল্লেখ করা হয়। বাস্তবে, এটি ছিল তাঁর জীবনের প্রথম ‘বিনিয়োগ’—শিক্ষা ও সম্ভাবনার পেছনে এক অসাধারণ ঝুঁকি।

    শ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা
    সিওলে পৌঁছার পর তিনি প্রথমে নির্মাণ শ্রমিক, পরে রিকশা মেরামতের দোকানে কাজ করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই নিজেই সেই দোকান কিনে ফেলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও কোরিয়ান যুদ্ধ তাঁর ব্যবসার ক্ষতি করলেও, তিনি হার মানেননি।
    ১৯৪৭ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন Hyundai Engineering and Construction। যুদ্ধবিধ্বস্ত কোরিয়ায় সড়ক, সেতু, ভবন নির্মাণের মতো প্রকল্পে Hyundai গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

    Hyundai-এর উত্থান ও বৈশ্বিক রূপ:
    পরবর্তী তিন দশকে চুং জু-ইয়ং শুধু নির্মাণ খাতে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি গড়ে তোলেন:
    √Hyundai Motors (গাড়ি নির্মাণ)
    √Hyundai Heavy Industries (বিশ্বের অন্যতম বড় জাহাজ নির্মাতা)
    √Hyundai Group (মোট ৬০টির বেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান)

    চুং জু-ইয়ং-এর নেতৃত্বে Hyundai কোরিয়ার অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়ায়। তাঁর সবচেয়ে পরিচিত উক্তি:
    “Have you tried?” — অর্থাৎ, “তুমি কি চেষ্টা করেছ?”

    ঋণ শোধ: ১,০০১টি গরুর উপহার

    ১৯৯৮ সালে , তখন তাঁর বয়স ৮৪, উত্তর কোরিয়ায় দুর্ভিক্ষ চলছিল। চুং জু-ইয়ং ডিএমজেড (DMZ) সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ১,০০১টি গরু পাঠান।
    এটি ছিল দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তির এক প্রতীকী উদ্যোগ, আবার তাঁর শৈশবের সেই গরু চুরির ঋণ শোধের এক ব্যতিক্রমী প্রতিফলন।
    তিনি নিজেই সেসময় বলেন, “আমি কিশোর বয়সে একটি গরু নিয়ে পালিয়েছিলাম। এখন ১,০০১টি গরু ফিরিয়ে দিচ্ছি।”

    চুং জু-ইয়ং-এর জীবনের এই ঘটনা কেবল ব্যবসার সাফল্যের গল্প নয়, এটি একজন মানুষের নৈতিক দায়বদ্ধতা, আত্মসম্মান ও দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে—
    যদি ইচ্ছাশক্তি থাকে দারিদ্র্য সাফল্যের পথে বাধা নয়,
    উদ্যোক্তা মানে শুধু মুনাফা করা নয়, সমাজ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখাও
    ভুল করলে স্বীকার করা ও সংশোধন করাই প্রকৃত নেতৃত্ব
    Hyundai আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী। আর চুং জু-ইয়ং কেবল দক্ষিণ কোরিয়ার নয়, বৈশ্বিক শিল্প নেতৃত্বের এক কিংবদন্তি। তাঁর জীবনের এই বাস্তব ঘটনা—একজন দরিদ্র কিশোরের সাহসী সিদ্ধান্ত থেকে গ্লোবাল কর্পোরেশনের জন্ম—অনুপ্রেরণার এক অনন্য অধ্যায়।
    এটি গল্প নয়, এটি ইতিহাস।
    #MRKR
    🐂 গরু চুরির ঋণ ১,০০১ গরুতে শোধ: Hyundai–এর বিস্ময়কর বাস্তব কাহিনি দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প ইতিহাসে একটি ঘটনা আজও বিস্ময়ের উদ্রেক করে—এক সময় গরু চুরি করে সিওলে পড়তে আসা এক দরিদ্র কিশোর, যিনি পরবর্তী জীবনে গড়ে তোলেন Hyundai-এর মতো বিশ্বখ্যাত শিল্প প্রতিষ্ঠান। বহু বছর পর, তিনি নিজের সেই গরু চুরির ঋণ প্রতীকীভাবে শোধ করেন—উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠান ১,০০১টি গরু। এ ঘটনা গল্প নয়, ইতিহাস। চুং জু-ইয়ং ছিলেন সেই মানুষ, যাঁর জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্য কোরিয়ার শিল্পায়নের প্রতীক। 👦 শৈশব ও গরু চুরির ঘটনা চুং জু-ইয়ং জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৫ সালে, উত্তর কোরিয়ার কাংওন প্রদেশের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর পড়াশোনার প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল। কিন্তু দারিদ্র্য ও পরিবারের বাধার কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সেই কিশোর তখন সিদ্ধান্ত নেন—যেকোনো মূল্যে তিনি সিওলে যাবেন। তৃতীয়বার চেষ্টা করার সময় পরিবারের একটি গরু বিক্রি করে তিনি ট্রেনের টিকিট কেনেন। এ ঘটনাকে আজ 'চুং জু-ইয়ং-এর গরু চুরি' বলে উল্লেখ করা হয়। বাস্তবে, এটি ছিল তাঁর জীবনের প্রথম ‘বিনিয়োগ’—শিক্ষা ও সম্ভাবনার পেছনে এক অসাধারণ ঝুঁকি। 🛠️ শ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা সিওলে পৌঁছার পর তিনি প্রথমে নির্মাণ শ্রমিক, পরে রিকশা মেরামতের দোকানে কাজ করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই নিজেই সেই দোকান কিনে ফেলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও কোরিয়ান যুদ্ধ তাঁর ব্যবসার ক্ষতি করলেও, তিনি হার মানেননি। ১৯৪৭ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন Hyundai Engineering and Construction। যুদ্ধবিধ্বস্ত কোরিয়ায় সড়ক, সেতু, ভবন নির্মাণের মতো প্রকল্পে Hyundai গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 🚀 Hyundai-এর উত্থান ও বৈশ্বিক রূপ: পরবর্তী তিন দশকে চুং জু-ইয়ং শুধু নির্মাণ খাতে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি গড়ে তোলেন: √Hyundai Motors (গাড়ি নির্মাণ) √Hyundai Heavy Industries (বিশ্বের অন্যতম বড় জাহাজ নির্মাতা) √Hyundai Group (মোট ৬০টির বেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান) চুং জু-ইয়ং-এর নেতৃত্বে Hyundai কোরিয়ার অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়ায়। তাঁর সবচেয়ে পরিচিত উক্তি: “Have you tried?” — অর্থাৎ, “তুমি কি চেষ্টা করেছ?” 🕊️ ঋণ শোধ: ১,০০১টি গরুর উপহার ১৯৯৮ সালে , তখন তাঁর বয়স ৮৪, উত্তর কোরিয়ায় দুর্ভিক্ষ চলছিল। চুং জু-ইয়ং ডিএমজেড (DMZ) সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ১,০০১টি গরু পাঠান। এটি ছিল দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তির এক প্রতীকী উদ্যোগ, আবার তাঁর শৈশবের সেই গরু চুরির ঋণ শোধের এক ব্যতিক্রমী প্রতিফলন। তিনি নিজেই সেসময় বলেন, “আমি কিশোর বয়সে একটি গরু নিয়ে পালিয়েছিলাম। এখন ১,০০১টি গরু ফিরিয়ে দিচ্ছি।” 🌱 চুং জু-ইয়ং-এর জীবনের এই ঘটনা কেবল ব্যবসার সাফল্যের গল্প নয়, এটি একজন মানুষের নৈতিক দায়বদ্ধতা, আত্মসম্মান ও দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে— ➡️যদি ইচ্ছাশক্তি থাকে দারিদ্র্য সাফল্যের পথে বাধা নয়, ➡️উদ্যোক্তা মানে শুধু মুনাফা করা নয়, সমাজ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখাও ➡️ভুল করলে স্বীকার করা ও সংশোধন করাই প্রকৃত নেতৃত্ব 🔚Hyundai আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী। আর চুং জু-ইয়ং কেবল দক্ষিণ কোরিয়ার নয়, বৈশ্বিক শিল্প নেতৃত্বের এক কিংবদন্তি। তাঁর জীবনের এই বাস্তব ঘটনা—একজন দরিদ্র কিশোরের সাহসী সিদ্ধান্ত থেকে গ্লোবাল কর্পোরেশনের জন্ম—অনুপ্রেরণার এক অনন্য অধ্যায়। এটি গল্প নয়, এটি ইতিহাস। #MRKR
    0 Comments 0 Shares 236 Views
  • ধরেন, কোন মানুষকে আপনি ব্যক্তিগতভাবে চিনেন না, কিন্তু সে সোশ্যাল মিডিয়াতে যা করে, তা দিয়ে কিন্তু আপনি তার সম্পর্কে একটা বেসিক আইডিয়া করতে পারবেন। কিছু বিষয় খেয়াল করবেন।

    আমরা অনেকেই ভাবি সোশ্যাল মিডিয়া কেবল মানুষ যা দেখাতে চায় তাই প্রকাশ করে। কথাটা সত‍্য, কিন্তু মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলে, একজন ব্যক্তির পোস্ট, ভাষা, কমেন্টের ধরন এমনকি সে কার সাথে ইন্টার‍্যাক্ট করে, কিভাবে করে এসব কিছুই তার মানসিক গঠন ও ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে গভীর একটা ধারণা দেয়। একে বলা হয় behavioral leakage অর্থাৎ মানুষ যতই নিজেকে সাজিয়ে উপস্থাপন করুক না কেন, তার best version টা দেখানোর চেষ্টা করুক না কেন, তার অবচেতন মনের অবস্থা তার আচরণ আর ভাষার মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাবেই।

    যারা সবসময় অন্যের ভুল খোঁজে, ছোট ছোট বিষয়েও সমালোচনা করে বা নেতিবাচক কমেন্ট করে, তাদের মধ্যে অনেক সময় নিজের জীবন নিয়ে অস্বস্তি, অপূর্ণতা, বা নিজের অর্জন নিয়ে অসন্তুষ্টি কাজ করে। সাইকোলজিতে একে বলা হয় projection mechanism যেখানে একজন মানুষ নিজের দুর্বলতা বা ব্যর্থতা অন্যের মধ্যে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে, যেন নিজের কষ্টটা কিছুটা হলেও হালকা হয়।

    আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো repetitive behavior। একজন মানুষ যদি একই ধরণের পোস্ট বারবার করে, যেমন সবসময় অন্যকে দোষারোপ, নিজের অর্জন জোর করে প্রচার, বা বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়া, কেউ কিছু বললেই নিজের গায়ে টেনে ইস‍্যু তৈরী করা, তাহলে সেটা আর মুড নয়, সেটা তার personality trait-এর অংশ। এ ধরনের আচরণে দেখা যায় low emotional intelligence বা external validation dependency, যেখানে সে চায় বাইরে থেকে প্রশংসা, স্বীকৃতি পেতে।

    পক্ষান্তরে, আত্মবিশ্বাসী মানুষদের মধ্যে উচ্চমাত্রার emotional intelligence ও self-regulation থাকে, যার ফলে তারা নিজের সম্মান ও কোয়ালিট রক্ষা করে চলে।মনোবিজ্ঞানে দেখা গেছে, যারা নিজের মূল্যবোধ এবং সামাজিক অবস্থানকে সম্মান করেন, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেভাবে পরিণত এবং গঠনমূলক ভাষা ব্যবহার করেন, যা তাদের আত্মবিশ্বাস এবং ব্যক্তিত্বের প্রমাণ দেয়। তাদের ভাষা, ব‍্যবহার ও আচরন দেখলে আপনি সহজেই আলাদা করতে পারবেন।এই শালীন আচরণই তাদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ও মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

    On social media, your words, tone, and behavior silently speak volumes about your inner world. In the end, personality always leaks through performance.

    Sajia Tonny
    ধরেন, কোন মানুষকে আপনি ব্যক্তিগতভাবে চিনেন না, কিন্তু সে সোশ্যাল মিডিয়াতে যা করে, তা দিয়ে কিন্তু আপনি তার সম্পর্কে একটা বেসিক আইডিয়া করতে পারবেন। কিছু বিষয় খেয়াল করবেন। আমরা অনেকেই ভাবি সোশ্যাল মিডিয়া কেবল মানুষ যা দেখাতে চায় তাই প্রকাশ করে। কথাটা সত‍্য, কিন্তু মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলে, একজন ব্যক্তির পোস্ট, ভাষা, কমেন্টের ধরন এমনকি সে কার সাথে ইন্টার‍্যাক্ট করে, কিভাবে করে এসব কিছুই তার মানসিক গঠন ও ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে গভীর একটা ধারণা দেয়। একে বলা হয় behavioral leakage অর্থাৎ মানুষ যতই নিজেকে সাজিয়ে উপস্থাপন করুক না কেন, তার best version টা দেখানোর চেষ্টা করুক না কেন, তার অবচেতন মনের অবস্থা তার আচরণ আর ভাষার মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাবেই। যারা সবসময় অন্যের ভুল খোঁজে, ছোট ছোট বিষয়েও সমালোচনা করে বা নেতিবাচক কমেন্ট করে, তাদের মধ্যে অনেক সময় নিজের জীবন নিয়ে অস্বস্তি, অপূর্ণতা, বা নিজের অর্জন নিয়ে অসন্তুষ্টি কাজ করে। সাইকোলজিতে একে বলা হয় projection mechanism যেখানে একজন মানুষ নিজের দুর্বলতা বা ব্যর্থতা অন্যের মধ্যে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে, যেন নিজের কষ্টটা কিছুটা হলেও হালকা হয়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো repetitive behavior। একজন মানুষ যদি একই ধরণের পোস্ট বারবার করে, যেমন সবসময় অন্যকে দোষারোপ, নিজের অর্জন জোর করে প্রচার, বা বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়া, কেউ কিছু বললেই নিজের গায়ে টেনে ইস‍্যু তৈরী করা, তাহলে সেটা আর মুড নয়, সেটা তার personality trait-এর অংশ। এ ধরনের আচরণে দেখা যায় low emotional intelligence বা external validation dependency, যেখানে সে চায় বাইরে থেকে প্রশংসা, স্বীকৃতি পেতে। পক্ষান্তরে, আত্মবিশ্বাসী মানুষদের মধ্যে উচ্চমাত্রার emotional intelligence ও self-regulation থাকে, যার ফলে তারা নিজের সম্মান ও কোয়ালিট রক্ষা করে চলে।মনোবিজ্ঞানে দেখা গেছে, যারা নিজের মূল্যবোধ এবং সামাজিক অবস্থানকে সম্মান করেন, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেভাবে পরিণত এবং গঠনমূলক ভাষা ব্যবহার করেন, যা তাদের আত্মবিশ্বাস এবং ব্যক্তিত্বের প্রমাণ দেয়। তাদের ভাষা, ব‍্যবহার ও আচরন দেখলে আপনি সহজেই আলাদা করতে পারবেন।এই শালীন আচরণই তাদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ও মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। On social media, your words, tone, and behavior silently speak volumes about your inner world. In the end, personality always leaks through performance. Sajia Tonny
    0 Comments 0 Shares 142 Views
  • সময়ের শপথ — এক চতুর্থ মাত্রার বাস্তবতা

    "والعصر" — 'সময়ের শপথ'।

    আল্লাহ তাআ'লা কোরআনে সময়ের কসম খেয়েছেন। সময় কোনো সাধারণ বস্তু নয়। এটা এমন এক সত্য যা আমাদের প্রতিটি মুহূর্তকে গঠন করে, ধ্বংস করে কিংবা অমর করে।

    আধুনিক বিজ্ঞান বলে — সময় হলো চতুর্থ ডাইমেনশন (4th Dimension)। আমরা স্থান-কাল মিলিয়ে যেটাকে বলি Space-Time। অথচ আজ আমরা সেই সময়কে সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেই!

    সময় চলে যায় — শব্দহীন, অথচ অমোচনীয়!
    সময় কখনো ফেরে না — কেবল রেখে যায় স্মৃতি ও পরিণতি।
    সময়ই বলে দেয়, কে সফল আর কে ব্যর্থ।

    মানুষ তার জীবন নষ্ট করে ‘একদিন সময় হবে’ এই মিথ্যে আশায়।
    কিন্তু সময় কারো জন্য থামে না।
    তাই যারা সময়কে মূল্য দেয়, সময় তাদের জীবনকে অর্থবহ করে তোলে।

    সময়কে অবহেলা মানেই জীবনের সম্ভাবনাকে হত্যা করা।
    প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করছেন — কীভাবে আমরা সময় ব্যয় করি।

    কুরআন বলছে:
    "নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা নয়— যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্য ও ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।" (সূরা আসর)

    প্রার্থনা করি—
    আল্লাহ যেন আমাদের প্রতিটি সময় সঠিক কাজে ব্যয় করার তাওফিক দেন। যেন আমরা সময়ের কাছে নয়, সময় আমাদের কাছে সাক্ষী হয়।

    #সময়েরশপথ #TimeIsLife #QuranWisdom #4thDimension #আল্লাহরকসম #ReflectAndAct
    Dr-Barkot Hossain #NHL #animalwelfare #timelapse #communitybuilding #outdoorgear
    🕰️ সময়ের শপথ — এক চতুর্থ মাত্রার বাস্তবতা 🕰️ "والعصر" — 'সময়ের শপথ'। আল্লাহ তাআ'লা কোরআনে সময়ের কসম খেয়েছেন। সময় কোনো সাধারণ বস্তু নয়। এটা এমন এক সত্য যা আমাদের প্রতিটি মুহূর্তকে গঠন করে, ধ্বংস করে কিংবা অমর করে। আধুনিক বিজ্ঞান বলে — সময় হলো চতুর্থ ডাইমেনশন (4th Dimension)। আমরা স্থান-কাল মিলিয়ে যেটাকে বলি Space-Time। অথচ আজ আমরা সেই সময়কে সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেই! 🕊️ সময় চলে যায় — শব্দহীন, অথচ অমোচনীয়! 🕊️ সময় কখনো ফেরে না — কেবল রেখে যায় স্মৃতি ও পরিণতি। 🕊️ সময়ই বলে দেয়, কে সফল আর কে ব্যর্থ। 📌 মানুষ তার জীবন নষ্ট করে ‘একদিন সময় হবে’ এই মিথ্যে আশায়। কিন্তু সময় কারো জন্য থামে না। তাই যারা সময়কে মূল্য দেয়, সময় তাদের জীবনকে অর্থবহ করে তোলে। ➡️ সময়কে অবহেলা মানেই জীবনের সম্ভাবনাকে হত্যা করা। ➡️ প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করছেন — কীভাবে আমরা সময় ব্যয় করি। 📖 কুরআন বলছে: "নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে, তবে তারা নয়— যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্য ও ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।" (সূরা আসর) 🤲 প্রার্থনা করি— আল্লাহ যেন আমাদের প্রতিটি সময় সঠিক কাজে ব্যয় করার তাওফিক দেন। যেন আমরা সময়ের কাছে নয়, সময় আমাদের কাছে সাক্ষী হয়। #সময়েরশপথ #TimeIsLife #QuranWisdom #4thDimension #আল্লাহরকসম #ReflectAndAct Dr-Barkot Hossain #NHL #animalwelfare #timelapse #communitybuilding #outdoorgear
    0 Comments 0 Shares 247 Views
  • ধোলাভিরা গুজরাট হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শনএখানে আজও আছে ।
    সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা (প্রায় 3300-1700 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), যা হরপ্পা সভ্যতা নামেও পরিচিত, এটি ছিল প্রাচীনতম নগর সভ্যতার মধ্যে একটি, যা মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং চীনের সভ্যতার সাথে মোটামুটি সমসাময়িক। এটি বর্তমানে পাকিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে সিন্ধু নদীর বন্যা সমভূমিতে অবস্থিত ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশে আরেকটি নগর সভ্যতার উত্থানের জন্য হরপ্পা সভ্যতার পতনের পর হাজার বছর সময় লেগেছে এই সত্য থেকে হরপ্পানদের পরিশীলিততা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রশংসা করা যায়। ধোলাভিরা হল একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যা ভারতের গুজরাটের কচ্ছের রণে অবস্থিত। প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎপতি যোশী এটি আবিষ্কার করেন। ধোলাভিরাকে সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং 27 জুলাই 2021-এ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের ট্যাগ দেওয়া ভারতের 40 তম সম্পদ হয়ে উঠেছে।
    ধোলাভিরা হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি নির্ভেজাল এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নগর বসতি।
    ধোলাভিরা 4500 বছর পুরানো বলে মনে করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক জগৎ পতি যোশী এটি 1967 সালে একটি টিলার উপর আবিষ্কার করেন। তবে, 1990 সালে এটির পদ্ধতিগত খনন করা হয়েছিল।
    ধোলাভিরা বর্তমান কালের ধোলাভিরা গ্রামের কাছে কর্কটক্রান্তির উপর অবস্থিত (এটির নাম ধোলাভিরা গ্রাম থেকে এসেছে), যা খাদির বেট দ্বীপে অবস্থিত। গুজরাটের কচ্ছ জেলায় এই দ্বীপটি অবস্থিত।
    যদিও বেশিরভাগ হরপ্পান শহরগুলি নদী বা অন্যান্য জলের উত্সের কাছে পাওয়া গিয়েছিল, ধোলাভীরা একটি দ্বীপে অবস্থিত। এর পেছনের প্রধান কারণগুলো হলো-
    কৌশলগতভাবে কাঁচামাল এবং বিভিন্ন খনিজ (স্টেটাইট, তামার খোল, অ্যাগেট-কারনেলিয়ান, সীসা, ব্যান্ডেড চুনাপাথর ইত্যাদি) ব্যবহার করা।
    অঞ্চলের মধ্যে একটি মসৃণ বাণিজ্য সহজতর করার জন্য এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চল এবং মেগানের সাথে বাহ্যিকভাবে বাণিজ্য করার জন্য। ধোলাভিরা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির মধ্যে একটি, প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎ পতি যোশী আবিষ্কৃত এবং এর স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। এর মধ্যে রয়েছে:
    বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে- সোনা ও তামা, মাছের হুক, সিল, পুঁতি, পোড়ামাটির মৃৎপাত্র, কলস, পশুর মূর্তি ইত্যাদি।
    কাঠের জীবাশ্মগুলি প্রাচীন শহরের কাছে একটি ফসিল পার্কে সংরক্ষিত ছিল।
    প্রত্নতত্ত্ববিদরা 10টি বড় পাথরের শিলালিপি খুঁজে পেয়েছেন। এগুলি সিন্ধু উপত্যকা লিপিতে খোদাই করা বিশ্বের প্রাচীনতম সাইন বোর্ড বলে মনে করা হয়।
    সেখানে কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
    এই আবিষ্কারগুলি ছাড়াও, ধোলাভিরা তার বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য বিখ্যাত যার মধ্যে রয়েছে
    বাইরের দুর্গ।
    9টি অনন্যভাবে ডিজাইন করা গেট।
    জলাধারের ক্যাসকেডিং সিরিজ।
    দুটি বহুমুখী স্থল।
    বহু-স্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
    অর্ধগোলাকার গঠন।
    #Harappa #indusvalleycivilization #indusvalley #gujarat
    ধোলাভিরা গুজরাট হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শনএখানে আজও আছে । সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা (প্রায় 3300-1700 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), যা হরপ্পা সভ্যতা নামেও পরিচিত, এটি ছিল প্রাচীনতম নগর সভ্যতার মধ্যে একটি, যা মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং চীনের সভ্যতার সাথে মোটামুটি সমসাময়িক। এটি বর্তমানে পাকিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে সিন্ধু নদীর বন্যা সমভূমিতে অবস্থিত ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশে আরেকটি নগর সভ্যতার উত্থানের জন্য হরপ্পা সভ্যতার পতনের পর হাজার বছর সময় লেগেছে এই সত্য থেকে হরপ্পানদের পরিশীলিততা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রশংসা করা যায়। ধোলাভিরা হল একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যা ভারতের গুজরাটের কচ্ছের রণে অবস্থিত। প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎপতি যোশী এটি আবিষ্কার করেন। ধোলাভিরাকে সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং 27 জুলাই 2021-এ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের ট্যাগ দেওয়া ভারতের 40 তম সম্পদ হয়ে উঠেছে। ধোলাভিরা হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি নির্ভেজাল এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নগর বসতি। ধোলাভিরা 4500 বছর পুরানো বলে মনে করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক জগৎ পতি যোশী এটি 1967 সালে একটি টিলার উপর আবিষ্কার করেন। তবে, 1990 সালে এটির পদ্ধতিগত খনন করা হয়েছিল। ধোলাভিরা বর্তমান কালের ধোলাভিরা গ্রামের কাছে কর্কটক্রান্তির উপর অবস্থিত (এটির নাম ধোলাভিরা গ্রাম থেকে এসেছে), যা খাদির বেট দ্বীপে অবস্থিত। গুজরাটের কচ্ছ জেলায় এই দ্বীপটি অবস্থিত। যদিও বেশিরভাগ হরপ্পান শহরগুলি নদী বা অন্যান্য জলের উত্সের কাছে পাওয়া গিয়েছিল, ধোলাভীরা একটি দ্বীপে অবস্থিত। এর পেছনের প্রধান কারণগুলো হলো- কৌশলগতভাবে কাঁচামাল এবং বিভিন্ন খনিজ (স্টেটাইট, তামার খোল, অ্যাগেট-কারনেলিয়ান, সীসা, ব্যান্ডেড চুনাপাথর ইত্যাদি) ব্যবহার করা। অঞ্চলের মধ্যে একটি মসৃণ বাণিজ্য সহজতর করার জন্য এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চল এবং মেগানের সাথে বাহ্যিকভাবে বাণিজ্য করার জন্য। ধোলাভিরা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির মধ্যে একটি, প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎ পতি যোশী আবিষ্কৃত এবং এর স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। এর মধ্যে রয়েছে: বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে- সোনা ও তামা, মাছের হুক, সিল, পুঁতি, পোড়ামাটির মৃৎপাত্র, কলস, পশুর মূর্তি ইত্যাদি। কাঠের জীবাশ্মগুলি প্রাচীন শহরের কাছে একটি ফসিল পার্কে সংরক্ষিত ছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদরা 10টি বড় পাথরের শিলালিপি খুঁজে পেয়েছেন। এগুলি সিন্ধু উপত্যকা লিপিতে খোদাই করা বিশ্বের প্রাচীনতম সাইন বোর্ড বলে মনে করা হয়। সেখানে কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। এই আবিষ্কারগুলি ছাড়াও, ধোলাভিরা তার বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য বিখ্যাত যার মধ্যে রয়েছে বাইরের দুর্গ। 9টি অনন্যভাবে ডিজাইন করা গেট। জলাধারের ক্যাসকেডিং সিরিজ। দুটি বহুমুখী স্থল। বহু-স্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অর্ধগোলাকার গঠন। #Harappa #indusvalleycivilization #indusvalley #gujarat
    0 Comments 0 Shares 285 Views
  • Irish Elk –আইরিশ হরিণঃ পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম হরিণ

    ভাবুন তো, একসময় পৃথিবীতে এমন এক হরিণ বিচরণ করত, যার উচ্চতা ছিল প্রায় দুই মিটার এবং শরীরের দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন মিটারেরও বেশি! শুধু তাই নয়, এদের শিংয়ের বিস্তৃতি ছিল প্রায় সাড়ে তিন মিটার, যা একটি ছোট গাড়ির প্রস্থের সমান। এরা হলো আইরিশ এলক বা আইরিশ হরিণ, বৈজ্ঞানিক নাম Megaloceros giganteus। এই নামের অর্থই হলো “বৃহৎ শিংওয়ালা দানব”। যদিও এরা এখন বিলুপ্ত, তবুও বিজ্ঞানীরা তাদেরকে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম হরিণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    আইরিশ এলক আসলে শুধুমাত্র আয়ারল্যান্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বরফ যুগে এরা ইউরোপ, এশিয়া এমনকি সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়েই বিচরণ করত। আয়ারল্যান্ডে তাদের জীবাশ্ম সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে বলেই এদের নাম হয়েছে আইরিশ এলক। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৭,৭০০ বছর আগে এই মহিমান্বিত প্রাণীর পৃথিবী থেকে বিলুপ্তি ঘটে।

    এদের শারীরিক গঠন ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। ওজন গড়ে ৫৪০ থেকে ৬০০ কেজি পর্যন্ত হতো। পুরুষ হরিণদের শিং এতটাই বিশাল ছিল যে, তার ওজনই হতে পারত প্রায় ৪০ কেজি। এই বিশাল শিং মূলত ছিল প্রদর্শনী ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য, যা স্ত্রী হরিণকে আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।

    বিজ্ঞানীরা ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, আইরিশ এলক বর্তমান হরিণ পরিবারের সাথেই সম্পর্কিত। তবে, আকারে তারা এতটাই বিশাল ছিল যে আজকের দিনে কোনো হরিণ প্রজাতিই তাদের সমকক্ষ নয়।

    তাদের খাদ্যাভ্যাস ছিল মূলত তৃণভোজী। গবেষণা বলছে, তারা খেত ঘাস, ঝোপঝাড় ও বনাঞ্চলের কচি ডালপালা। তবে বরফ যুগ শেষে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বনাঞ্চল কমে গিয়ে ঘাসভূমি বিলীন হতে শুরু করে। এর ফলে তাদের খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। একই সঙ্গে মানুষ যখন ধীরে ধীরে শিকার শুরু করল, তখন এই প্রাণীর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও মানুষের শিকারের চাপ—এই দুই কারণেই তাদের বিলুপ্তি ঘটে।

    আইরিশ এলক আমাদের জন্য এক বিরল শিক্ষা রেখে গেছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ প্রাণীও যদি পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারে, তবে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আজকের দিনে যখন জলবায়ু পরিবর্তন ও বন উজাড় আমাদের জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে, তখন আইরিশ হরিণের বিলুপ্তির গল্প আমাদের জন্য এক সতর্কবার্তা।

    আমরা যদি প্রকৃতির প্রতি যত্নবান হই এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সচেষ্ট হই, তবে বর্তমানের অনেক বিপন্ন প্রাণীকেও বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। তাই সচেতন হই, প্রকৃতিকে ভালোবাসি এবং প্রতিটি প্রাণীকে টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখি।

    “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান।

    #ঘড়িয়ালবাংলা #IrishElk #আইরিশহরিণ #বিলুপ্তপ্রাণী #ScienceFacts #WildlifeHistory #NatureConservation #GhorialBangla
    Irish Elk –আইরিশ হরিণঃ পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম হরিণ ভাবুন তো, একসময় পৃথিবীতে এমন এক হরিণ বিচরণ করত, যার উচ্চতা ছিল প্রায় দুই মিটার এবং শরীরের দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন মিটারেরও বেশি! শুধু তাই নয়, এদের শিংয়ের বিস্তৃতি ছিল প্রায় সাড়ে তিন মিটার, যা একটি ছোট গাড়ির প্রস্থের সমান। এরা হলো আইরিশ এলক বা আইরিশ হরিণ, বৈজ্ঞানিক নাম Megaloceros giganteus। এই নামের অর্থই হলো “বৃহৎ শিংওয়ালা দানব”। যদিও এরা এখন বিলুপ্ত, তবুও বিজ্ঞানীরা তাদেরকে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম হরিণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আইরিশ এলক আসলে শুধুমাত্র আয়ারল্যান্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বরফ যুগে এরা ইউরোপ, এশিয়া এমনকি সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়েই বিচরণ করত। আয়ারল্যান্ডে তাদের জীবাশ্ম সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে বলেই এদের নাম হয়েছে আইরিশ এলক। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৭,৭০০ বছর আগে এই মহিমান্বিত প্রাণীর পৃথিবী থেকে বিলুপ্তি ঘটে। এদের শারীরিক গঠন ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। ওজন গড়ে ৫৪০ থেকে ৬০০ কেজি পর্যন্ত হতো। পুরুষ হরিণদের শিং এতটাই বিশাল ছিল যে, তার ওজনই হতে পারত প্রায় ৪০ কেজি। এই বিশাল শিং মূলত ছিল প্রদর্শনী ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য, যা স্ত্রী হরিণকে আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। বিজ্ঞানীরা ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, আইরিশ এলক বর্তমান হরিণ পরিবারের সাথেই সম্পর্কিত। তবে, আকারে তারা এতটাই বিশাল ছিল যে আজকের দিনে কোনো হরিণ প্রজাতিই তাদের সমকক্ষ নয়। তাদের খাদ্যাভ্যাস ছিল মূলত তৃণভোজী। গবেষণা বলছে, তারা খেত ঘাস, ঝোপঝাড় ও বনাঞ্চলের কচি ডালপালা। তবে বরফ যুগ শেষে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বনাঞ্চল কমে গিয়ে ঘাসভূমি বিলীন হতে শুরু করে। এর ফলে তাদের খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। একই সঙ্গে মানুষ যখন ধীরে ধীরে শিকার শুরু করল, তখন এই প্রাণীর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও মানুষের শিকারের চাপ—এই দুই কারণেই তাদের বিলুপ্তি ঘটে। আইরিশ এলক আমাদের জন্য এক বিরল শিক্ষা রেখে গেছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ প্রাণীও যদি পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারে, তবে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আজকের দিনে যখন জলবায়ু পরিবর্তন ও বন উজাড় আমাদের জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে, তখন আইরিশ হরিণের বিলুপ্তির গল্প আমাদের জন্য এক সতর্কবার্তা। আমরা যদি প্রকৃতির প্রতি যত্নবান হই এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সচেষ্ট হই, তবে বর্তমানের অনেক বিপন্ন প্রাণীকেও বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। তাই সচেতন হই, প্রকৃতিকে ভালোবাসি এবং প্রতিটি প্রাণীকে টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখি। “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান। #ঘড়িয়ালবাংলা #IrishElk #আইরিশহরিণ #বিলুপ্তপ্রাণী #ScienceFacts #WildlifeHistory #NatureConservation #GhorialBangla
    0 Comments 0 Shares 357 Views
More Results
BlackBird Ai
https://bbai.shop