• জাপান সফলভাবে একটি বিশাল আকারের পানির নিচের টারবাইন পরীক্ষা ও স্থাপন করেছে, যা সমুদ্রের স্রোত থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে। এটি নবায়নযোগ্য সামুদ্রিক জ্বালানির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

    IHI Corporation দ্বারা তৈরি এই টারবাইন সিস্টেমের নাম ‘Kairyu’, যেখানে বিপরীতমুখী ঘূর্ণায়মান দুটি ব্লেড রয়েছে যা প্রায় ৫০ মিটার গভীরে সমুদ্রতলে বেঁধে রাখা হয়।

    এই প্রোটোটাইপ কুরোশিও স্রোতে পরীক্ষা করা হয়েছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সমুদ্রস্রোতগুলোর একটি এবং জাপানের পূর্ব উপকূল বরাবর প্রবাহিত হয়।

    প্রায় ২০ মিটার লম্বা এবং ৩৩০ টন ওজনের এই টারবাইন সর্বোচ্চ ১০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।

    এই প্রকল্পটিকে জাপানের নিউ এনার্জি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (NEDO) সমর্থন করছে।

    বর্তমানে এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ একটি ছোট কমিউনিটি বা দ্বীপের কিছু অংশের জন্য যথেষ্ট হলেও, দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিটিকে আরও বড় আকারে বাস্তবায়ন করে জাপানের দূরবর্তী দ্বীপ ও উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য স্থিতিশীল, স্বল্প-কার্বন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা।

    জাপান, যা প্রাকৃতিক সম্পদে সীমিত এবং আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, সমুদ্রের স্রোত, জোয়ার ও ঢেউ থেকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে দেখছে।
    জাপান সফলভাবে একটি বিশাল আকারের পানির নিচের টারবাইন পরীক্ষা ও স্থাপন করেছে, যা সমুদ্রের স্রোত থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে। এটি নবায়নযোগ্য সামুদ্রিক জ্বালানির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। IHI Corporation দ্বারা তৈরি এই টারবাইন সিস্টেমের নাম ‘Kairyu’, যেখানে বিপরীতমুখী ঘূর্ণায়মান দুটি ব্লেড রয়েছে যা প্রায় ৫০ মিটার গভীরে সমুদ্রতলে বেঁধে রাখা হয়। এই প্রোটোটাইপ কুরোশিও স্রোতে পরীক্ষা করা হয়েছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সমুদ্রস্রোতগুলোর একটি এবং জাপানের পূর্ব উপকূল বরাবর প্রবাহিত হয়। প্রায় ২০ মিটার লম্বা এবং ৩৩০ টন ওজনের এই টারবাইন সর্বোচ্চ ১০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এই প্রকল্পটিকে জাপানের নিউ এনার্জি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (NEDO) সমর্থন করছে। বর্তমানে এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ একটি ছোট কমিউনিটি বা দ্বীপের কিছু অংশের জন্য যথেষ্ট হলেও, দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিটিকে আরও বড় আকারে বাস্তবায়ন করে জাপানের দূরবর্তী দ্বীপ ও উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য স্থিতিশীল, স্বল্প-কার্বন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। জাপান, যা প্রাকৃতিক সম্পদে সীমিত এবং আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, সমুদ্রের স্রোত, জোয়ার ও ঢেউ থেকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে দেখছে।
    0 Comments 0 Shares 528 Views
  • পৃথিবী প্রতি ২৬ সেকেন্ডে একবার করে কেঁপে উঠছে! এই কম্পন এতটাই মৃদু যে আমরা টের পাই না, কিন্তু সিসমোমিটার (ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র) এটা বুঝতে পারে। এটি আবিস্কারের ৬৫ বছরের মধ্যে নানা গবেষণা হলেও এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি পৃথিবী কেন এমনভাবে বারবার কেঁপে ওঠে।

    এই কম্পন প্রথম শনাক্ত করেন বিজ্ঞানী জ্যাক অলিভার। তিনি দেখেন, এটি আসছে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। পরে ১৯৮০ সালে ভূতত্ত্ববিদ গ্যারি হোলকম্ব আবিষ্কার করেন, ঝড়ের সময় এই কম্পন সবচেয়ে শক্তিশালী হয়।

    দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবারও এটি শনাক্ত করেন এবং উৎস নির্ধারণ করেন আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের গিনি উপসাগরে। ঠিক কী কারণে এটি হচ্ছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।

    ২০১১ সালে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষক গ্যারেট ইউলার আরও নির্দিষ্টভাবে দেখান, এর উৎস গিনি উপসাগরের "বাইট অব বনি" এলাকা। তার মতে, সমুদ্রের ঢেউ যখন মহাদেশীয় প্রান্তে আঘাত করে, তখন সমুদ্রতল কেঁপে ওঠার কারণে এই কম্পন হয়। তবে চীনের কিছু বিজ্ঞানীর মতে, এর পেছনে কারণ হতে পারে কাছের সাও টোমে (Sao Tome) দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। জাপানের আসো (Aso) আগ্নেয়গিরি থেকেও একই ধরনের কম্পন পাওয়া গেছে।

    তবুও প্রশ্ন রয়েই গেছে, বিশ্বে আরও অনেক মহাদেশীয় প্রান্ত ও আগ্নেয়গিরি থাকলেও এমন স্পন্দন সেখান থেকে আসে না। শুধু এই বিশেষ জায়গাতেই কেনো? প্রায় ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও এর আসল কারণ অজানা, যা ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের জন্য কৌতূহল ও অনুসন্ধানের বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।

    তাসিনুল সাকিফ
    লেখক, বিজ্ঞান্বেষী

    সূত্র : পপুলার মেকানিকস

    #EarthScience #Geology #SeismicMystery #26SecondPulse #ScienceUnsolved #গবেষণা
    পৃথিবী প্রতি ২৬ সেকেন্ডে একবার করে কেঁপে উঠছে! এই কম্পন এতটাই মৃদু যে আমরা টের পাই না, কিন্তু সিসমোমিটার (ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র) এটা বুঝতে পারে। এটি আবিস্কারের ৬৫ বছরের মধ্যে নানা গবেষণা হলেও এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি পৃথিবী কেন এমনভাবে বারবার কেঁপে ওঠে। এই কম্পন প্রথম শনাক্ত করেন বিজ্ঞানী জ্যাক অলিভার। তিনি দেখেন, এটি আসছে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। পরে ১৯৮০ সালে ভূতত্ত্ববিদ গ্যারি হোলকম্ব আবিষ্কার করেন, ঝড়ের সময় এই কম্পন সবচেয়ে শক্তিশালী হয়। দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবারও এটি শনাক্ত করেন এবং উৎস নির্ধারণ করেন আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের গিনি উপসাগরে। ঠিক কী কারণে এটি হচ্ছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি তারা। ২০১১ সালে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষক গ্যারেট ইউলার আরও নির্দিষ্টভাবে দেখান, এর উৎস গিনি উপসাগরের "বাইট অব বনি" এলাকা। তার মতে, সমুদ্রের ঢেউ যখন মহাদেশীয় প্রান্তে আঘাত করে, তখন সমুদ্রতল কেঁপে ওঠার কারণে এই কম্পন হয়। তবে চীনের কিছু বিজ্ঞানীর মতে, এর পেছনে কারণ হতে পারে কাছের সাও টোমে (Sao Tome) দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। জাপানের আসো (Aso) আগ্নেয়গিরি থেকেও একই ধরনের কম্পন পাওয়া গেছে। তবুও প্রশ্ন রয়েই গেছে, বিশ্বে আরও অনেক মহাদেশীয় প্রান্ত ও আগ্নেয়গিরি থাকলেও এমন স্পন্দন সেখান থেকে আসে না। শুধু এই বিশেষ জায়গাতেই কেনো? প্রায় ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও এর আসল কারণ অজানা, যা ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের জন্য কৌতূহল ও অনুসন্ধানের বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তাসিনুল সাকিফ লেখক, বিজ্ঞান্বেষী সূত্র : পপুলার মেকানিকস #EarthScience #Geology #SeismicMystery #26SecondPulse #ScienceUnsolved #গবেষণা
    0 Comments 0 Shares 829 Views
  • আমার মাইগ্রেন আছে, আমার সাথে ভালো ব্যবহার করুন। আমরা ভালো থাকিই বা কয়দিন?

    বেশি গরম পড়লে আমাদের মাথা ব্যথা করে আবার বেশি শীত পড়লেও মাথা ব্যথা করে! এখন বৃষ্টির সিজন। বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লেও মাথা ব্যথা করে!

    মাইগ্রেন রোদে গেলে বাড়ে, আগুনের তাপে বাড়ে, চোখে আলো পড়লে বাড়ে, খুব সাউন্ডে বাড়ে!

    একটু এদিক সেদিক হলেই ব্যথা এসে হাজির!

    তাই বলছি যাদের মাইগ্রেন আছে, তাদের একটু স্পেশাল কেয়ার করা উচিত! আমাদের জীবনে কিন্তু শান্তি খুব কম থাকে।'

    ©জোভান আহমেদ
    আমার মাইগ্রেন আছে, আমার সাথে ভালো ব্যবহার করুন। আমরা ভালো থাকিই বা কয়দিন? বেশি গরম পড়লে আমাদের মাথা ব্যথা করে আবার বেশি শীত পড়লেও মাথা ব্যথা করে! এখন বৃষ্টির সিজন। বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লেও মাথা ব্যথা করে! মাইগ্রেন রোদে গেলে বাড়ে, আগুনের তাপে বাড়ে, চোখে আলো পড়লে বাড়ে, খুব সাউন্ডে বাড়ে! একটু এদিক সেদিক হলেই ব্যথা এসে হাজির! তাই বলছি যাদের মাইগ্রেন আছে, তাদের একটু স্পেশাল কেয়ার করা উচিত! আমাদের জীবনে কিন্তু শান্তি খুব কম থাকে।' ©জোভান আহমেদ
    0 Comments 0 Shares 668 Views
  • পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৩৪৪ জনের মৃ/ত্যু
    পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৩৪৪ জনের মৃ/ত্যু
    0 Comments 0 Shares 647 Views

  • বন্যা-ভূমিধসে বিপর্যস্ত পাকিস্তান | Pakistan | Flood Update | Channel 24
    বন্যা-ভূমিধসে বিপর্যস্ত পাকিস্তান | Pakistan | Flood Update | Channel 24
    0 Comments 0 Shares 619 Views
  • মা এখনও অংক বোঝেনা, ১টা রুটি চাইলে ২টা নিয়ে আসে। কোথাও যাওয়ার সময় ২০ টাকা চাইলে ৫০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়।

    মা ইংরেজিও বোঝে না, I h ‘a ‘t ‘e u বললে উ ‘ল্টো না বুঝে ছেলেকে ভালোবেসে বুকে টেনে নেয়।

    মা মি /থ্যে /বা /দী, না খেয়ে বলে খেয়েছি। পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবারটা ছেলের জন্য যত্ন করে তুলে রাখে।

    মা বো 'কা, সারাজীবন বো 'কা 'র মতো রান্নাঘর আর আমাদের ভা ‘লো ‘ম ‘ন্দে ‘র পিছনে কাটিয়ে দেয়।

    মা চো /র, বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাবো বললে রাতেই বাবার পকেট থেকে টাকা চু /রি করে আমাকে দিয়ে দেয়।

    মা নি /র্ল /জ্জ, মাকে কতবার বলি আমার জিনিসে যেন হাত না দেয়। তবুও মা নি /র্ল /জ্জে /র মতো আমার পড়ে থাকা এলোমেলো জিনিসগুলো নিজের হাতে গুছিয়ে রাখে।

    মা বে /হা /য়া, আমি কথা না বললেও জোর করে এসে বে /হা /য়া /র মতো গায়ে পড়ে কথা বলে। রাতে ঘুমের ঘোরে আমাকে দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে যায়।

    মায়ের কোন ক 'ম 'ন 'সে 'ন্স নেই, আমার প্লেটে খাবার কম দেখলে কেমন জানি করে। খোকা এতো খাবার কম কেন? এই বলে প্লেটটা ভর্তি করে দেয়। এতো খাওয়ার পরেও মায়ের চোখে যেন কত দিনের না খাওয়া ছেলে।

    মা কে 'য়া 'র 'লে 'স, নিজের কোমর ও পিঠের ব্য /থা /য় ধুঁকে ধুঁকে মা /রা গেলেও কখনো ঔষধের কথা বলে না। অথচ আমাদের একটা কাশিতে তাঁর দিনটা যেন ওলটপালট হয়ে যায়। ডাক্তার, হাকিম সব এক করে বসে।

    মা আ ‘ন ‘স্মা ‘র্ট, অনেকের মায়ের মতো আমার মা দামি শাড়ি পড়ে না। ভ্যানিটিব্যাগ ঝুলিয়ে, স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘুরতেও যায়না। সারাদিন খালি রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের চিন্তায় পুরোনো হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেয়।

    মা স্বা /র্থ /প /র, নিজের সন্তান ও স্বামীর জন্য মা দুনিয়ার সব কিছু ত্যা ’গ করতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে খা /রা /প বোধহয় মা। তাই বুঝি আমরা তাঁদের এত ক /ষ্ট দেই। তবুও তাঁদের পরিবর্তন হয়না।

    প্রতিদিন এসব আচরণগুলো বারবার তাঁরা করে। একটু বড় হয়ে গেলেই আমরা তাদের বৃ /দ্ধা /শ্র /মে বা জীবন থেকে দূরে রাখি। তবুও তারা বো ‘কা ‘র মতো আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করে।

    সারাজীবনটা আমাদের খালি ভালোবাসা দিয়ে যায়, বিনিময়ে দিনে একবার হলেও সন্তানের মুখে আদর করে 'মা' ডাক শুনতে চায়। তাঁরা কত নি /র্বো /ধ, তাই না?
    মা এখনও অংক বোঝেনা, ১টা রুটি চাইলে ২টা নিয়ে আসে। কোথাও যাওয়ার সময় ২০ টাকা চাইলে ৫০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। মা ইংরেজিও বোঝে না, I h ‘a ‘t ‘e u বললে উ ‘ল্টো না বুঝে ছেলেকে ভালোবেসে বুকে টেনে নেয়। মা মি /থ্যে /বা /দী, না খেয়ে বলে খেয়েছি। পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবারটা ছেলের জন্য যত্ন করে তুলে রাখে। মা বো 'কা, সারাজীবন বো 'কা 'র মতো রান্নাঘর আর আমাদের ভা ‘লো ‘ম ‘ন্দে ‘র পিছনে কাটিয়ে দেয়। মা চো /র, বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাবো বললে রাতেই বাবার পকেট থেকে টাকা চু /রি করে আমাকে দিয়ে দেয়। মা নি /র্ল /জ্জ, মাকে কতবার বলি আমার জিনিসে যেন হাত না দেয়। তবুও মা নি /র্ল /জ্জে /র মতো আমার পড়ে থাকা এলোমেলো জিনিসগুলো নিজের হাতে গুছিয়ে রাখে। মা বে /হা /য়া, আমি কথা না বললেও জোর করে এসে বে /হা /য়া /র মতো গায়ে পড়ে কথা বলে। রাতে ঘুমের ঘোরে আমাকে দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে যায়। মায়ের কোন ক 'ম 'ন 'সে 'ন্স নেই, আমার প্লেটে খাবার কম দেখলে কেমন জানি করে। খোকা এতো খাবার কম কেন? এই বলে প্লেটটা ভর্তি করে দেয়। এতো খাওয়ার পরেও মায়ের চোখে যেন কত দিনের না খাওয়া ছেলে। মা কে 'য়া 'র 'লে 'স, নিজের কোমর ও পিঠের ব্য /থা /য় ধুঁকে ধুঁকে মা /রা গেলেও কখনো ঔষধের কথা বলে না। অথচ আমাদের একটা কাশিতে তাঁর দিনটা যেন ওলটপালট হয়ে যায়। ডাক্তার, হাকিম সব এক করে বসে। মা আ ‘ন ‘স্মা ‘র্ট, অনেকের মায়ের মতো আমার মা দামি শাড়ি পড়ে না। ভ্যানিটিব্যাগ ঝুলিয়ে, স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘুরতেও যায়না। সারাদিন খালি রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের চিন্তায় পুরোনো হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেয়। মা স্বা /র্থ /প /র, নিজের সন্তান ও স্বামীর জন্য মা দুনিয়ার সব কিছু ত্যা ’গ করতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে খা /রা /প বোধহয় মা। তাই বুঝি আমরা তাঁদের এত ক /ষ্ট দেই। তবুও তাঁদের পরিবর্তন হয়না। প্রতিদিন এসব আচরণগুলো বারবার তাঁরা করে। একটু বড় হয়ে গেলেই আমরা তাদের বৃ /দ্ধা /শ্র /মে বা জীবন থেকে দূরে রাখি। তবুও তারা বো ‘কা ‘র মতো আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করে। সারাজীবনটা আমাদের খালি ভালোবাসা দিয়ে যায়, বিনিময়ে দিনে একবার হলেও সন্তানের মুখে আদর করে 'মা' ডাক শুনতে চায়। তাঁরা কত নি /র্বো /ধ, তাই না?
    0 Comments 0 Shares 657 Views
  • সম্প্রতি গবেষকরা এমন এক কোয়ান্টাম ম্যাটেরিয়াল দ্বারা গঠিত সুইচ তৈরি করেছে যেটা শুধু আলো ও তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে আপনার ডিভাইসকে হাজার হাজার গুন বেশি দ্রুত করে তুলতে পারে। হয়তো ভবিষ্যতে এই কোয়ান্টাম সুইচ হতে চলেছে সেন্ট্রাল প্রসেস যেখানে সিলিকনের আর প্রয়োজন পড়বেনা।

    নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্টো দে লা তোরে থার্মাল কোয়েঞ্চিং নামক একটি কৌশল এর মাধ্যমে একটি কোয়ান্টাম ম্যাটারিয়াল সুইচ তৈরি করতে পদার্থকে নিয়ন্ত্রিতভাবে উত্তপ্ত ও শীতল করে এমনভাবে প্রস্তুত করেছে যাতে সেটি একই মুহূর্তে সুপরিবাহী ও নিরোধক অবস্থার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।

    প্রযুক্তির বিপ্লবে সিলিকনের গতি ও শক্তি দিন দিন সীমিত সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে বিধায় বিজ্ঞানীরা এমন এক বিকল্পের সন্ধানে ছিলেন যেটি হবে আকারে খুবই ছোট আরো শক্তিশালী এবং অবিশ্বাস্যরকম দ্রুত। এই কোয়ান্টাম সুইচই হল তার এক অনন্য উদাহরণ।

    গবেষকরা IT-TaS2 নামক এমন এক পদার্থ কাজে লাগিয়েছেন যেটি মুহূর্তের মধ্যে দারুণভাবে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে এবং তৎক্ষনাৎ তা একেবারে বন্ধ ও করে দিতে পারে ঠিক যেমনভাবে একটি সুইচ কাজ করে।

    এখানে আগে এমনটা সম্ভব হতো শুধুমাত্র কিছু সেকেন্ডের জন্য খুব ঠান্ডা ও কাজেনিক তাপমাত্রায় সে গানের তারা এটি সম্ভব করে দেখিয়েছেন শুধুমাত্র আলো ব্যবহার করে তাও আবার কক্ষ তাপমাত্রায়।শুধু তাই নয় এটির স্থায়িত্ব ও এখন মাসের পর মাস ধরে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

    যেখানে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বিদ্যুৎ চালানোর জন্য কন্ডাক্টর ও আটকানোর জন্য ইনসুলেটর নামক দুটি উপাদান জরুরী সেখানে এই নতুন প্রযুক্তিতে কেবল আলোর দ্বারা কোয়ান্টাম সুইচ একাই দুটি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যার ফলে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যন্ত্রটির আকার ও আরো ক্ষুদ্র হয়ে যায়।

    কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা সবাই এমন মূহুর্তে পড়েছি যখন আমরা ভাবি ইস! যদি এটা আরও একটু তাড়াতাড়ি লোড হতো! ঠিক এই সমস্যাটির সমাধান হিসেবেই নতুন পথ হলো এই আগাম সম্ভাবনাটি। পদার্থবিদ গ্রেগরি ফিয়েটের মতে আলোর চেয়ে দ্রুত কিছু নেই। আর সেই আলো দিয়েই পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করছে তারা তাও আবার পদার্থবিদ্যার সর্বোচ্চ গতি দিয়ে।

    বর্তমানে প্রচলিত প্রসেসর গুলি কাজ করে গিগাহার্জ গতিতে কিন্তু এই প্রযুক্তি তা নিয়ে যেতে পারে টেরাহার্জ পর্যায়ে অর্থাৎ আগের তুলনায় হাজার গুণ বেশি গতি। এই আবিষ্কার কেবল ইলেকট্রনিক্সের গতি বাড়াবে না বরং আমাদের সামনে খুলে দিচ্ছে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার যা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে পুরো শিল্পখাতের গতি নিয়মই পাল্টে দিতে পারে!

    সাদিয়া সুলতানা হিমু
    লেখক, বিজ্ঞান্বেষী

    #বিজ্ঞান্বেষী #KBKh #quantumphysics #silicone
    সম্প্রতি গবেষকরা এমন এক কোয়ান্টাম ম্যাটেরিয়াল দ্বারা গঠিত সুইচ তৈরি করেছে যেটা শুধু আলো ও তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে আপনার ডিভাইসকে হাজার হাজার গুন বেশি দ্রুত করে তুলতে পারে। হয়তো ভবিষ্যতে এই কোয়ান্টাম সুইচ হতে চলেছে সেন্ট্রাল প্রসেস যেখানে সিলিকনের আর প্রয়োজন পড়বেনা। নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্টো দে লা তোরে থার্মাল কোয়েঞ্চিং নামক একটি কৌশল এর মাধ্যমে একটি কোয়ান্টাম ম্যাটারিয়াল সুইচ তৈরি করতে পদার্থকে নিয়ন্ত্রিতভাবে উত্তপ্ত ও শীতল করে এমনভাবে প্রস্তুত করেছে যাতে সেটি একই মুহূর্তে সুপরিবাহী ও নিরোধক অবস্থার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। প্রযুক্তির বিপ্লবে সিলিকনের গতি ও শক্তি দিন দিন সীমিত সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে বিধায় বিজ্ঞানীরা এমন এক বিকল্পের সন্ধানে ছিলেন যেটি হবে আকারে খুবই ছোট আরো শক্তিশালী এবং অবিশ্বাস্যরকম দ্রুত। এই কোয়ান্টাম সুইচই হল তার এক অনন্য উদাহরণ। গবেষকরা IT-TaS2 নামক এমন এক পদার্থ কাজে লাগিয়েছেন যেটি মুহূর্তের মধ্যে দারুণভাবে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে এবং তৎক্ষনাৎ তা একেবারে বন্ধ ও করে দিতে পারে ঠিক যেমনভাবে একটি সুইচ কাজ করে। এখানে আগে এমনটা সম্ভব হতো শুধুমাত্র কিছু সেকেন্ডের জন্য খুব ঠান্ডা ও কাজেনিক তাপমাত্রায় সে গানের তারা এটি সম্ভব করে দেখিয়েছেন শুধুমাত্র আলো ব্যবহার করে তাও আবার কক্ষ তাপমাত্রায়।শুধু তাই নয় এটির স্থায়িত্ব ও এখন মাসের পর মাস ধরে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। যেখানে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বিদ্যুৎ চালানোর জন্য কন্ডাক্টর ও আটকানোর জন্য ইনসুলেটর নামক দুটি উপাদান জরুরী সেখানে এই নতুন প্রযুক্তিতে কেবল আলোর দ্বারা কোয়ান্টাম সুইচ একাই দুটি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যার ফলে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যন্ত্রটির আকার ও আরো ক্ষুদ্র হয়ে যায়। কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা সবাই এমন মূহুর্তে পড়েছি যখন আমরা ভাবি ইস! যদি এটা আরও একটু তাড়াতাড়ি লোড হতো! ঠিক এই সমস্যাটির সমাধান হিসেবেই নতুন পথ হলো এই আগাম সম্ভাবনাটি। পদার্থবিদ গ্রেগরি ফিয়েটের মতে আলোর চেয়ে দ্রুত কিছু নেই। আর সেই আলো দিয়েই পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করছে তারা তাও আবার পদার্থবিদ্যার সর্বোচ্চ গতি দিয়ে। বর্তমানে প্রচলিত প্রসেসর গুলি কাজ করে গিগাহার্জ গতিতে কিন্তু এই প্রযুক্তি তা নিয়ে যেতে পারে টেরাহার্জ পর্যায়ে অর্থাৎ আগের তুলনায় হাজার গুণ বেশি গতি। এই আবিষ্কার কেবল ইলেকট্রনিক্সের গতি বাড়াবে না বরং আমাদের সামনে খুলে দিচ্ছে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার যা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে পুরো শিল্পখাতের গতি নিয়মই পাল্টে দিতে পারে! সাদিয়া সুলতানা হিমু লেখক, বিজ্ঞান্বেষী #বিজ্ঞান্বেষী #KBKh #quantumphysics #silicone
    0 Comments 0 Shares 834 Views
  • আমরা ঘুমকে প্রায়ই অবহেলা করি। ভাবি, একটু কম ঘুম হলে তেমন কিছু হবে না।
    কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। ঘুম শুধু বিশ্রামের সময় নয়, এটি আমাদের মস্তিষ্কের পরিচ্ছন্নতা ও পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। যখন আমরা ঘুমাই, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে পরিষ্কার করে, ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করে এবং স্মৃতিকে সংগঠিত করে। কিন্তু ঘুমের অভাবে এই প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়, এমনকি ভয়ঙ্করভাবে উল্টেও যেতে পারে। গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কোষগুলো এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করতে শুরু করে, নিজের কাঠামো ধ্বংস করে ফেলে।

    - ভালো ঘুমে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে ফেলে।

    - ঘুম কম হলে, এই কোষগুলো অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে নিজেদেরই ক্ষতি করে।

    - অ্যাস্ট্রোসাইট কোষ "স্নায়ু সংযোগ" খেয়ে ফেলতে পারে—মনে রাখার ক্ষমতা কমে।

    - মাইক্রোগ্লিয়াল কোষের অতিরিক্ত কাজ অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি বাড়ায়।

    - পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে নিজের কাঠামো নষ্ট করতে শুরু করে।
    আমরা ঘুমকে প্রায়ই অবহেলা করি। ভাবি, একটু কম ঘুম হলে তেমন কিছু হবে না। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। ঘুম শুধু বিশ্রামের সময় নয়, এটি আমাদের মস্তিষ্কের পরিচ্ছন্নতা ও পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। যখন আমরা ঘুমাই, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে পরিষ্কার করে, ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করে এবং স্মৃতিকে সংগঠিত করে। কিন্তু ঘুমের অভাবে এই প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়, এমনকি ভয়ঙ্করভাবে উল্টেও যেতে পারে। গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কোষগুলো এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করতে শুরু করে, নিজের কাঠামো ধ্বংস করে ফেলে। - ভালো ঘুমে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে ফেলে। - ঘুম কম হলে, এই কোষগুলো অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে নিজেদেরই ক্ষতি করে। - অ্যাস্ট্রোসাইট কোষ "স্নায়ু সংযোগ" খেয়ে ফেলতে পারে—মনে রাখার ক্ষমতা কমে। - মাইক্রোগ্লিয়াল কোষের অতিরিক্ত কাজ অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি বাড়ায়। - পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে নিজের কাঠামো নষ্ট করতে শুরু করে।
    0 Comments 0 Shares 740 Views
  • পৃথিবীর অনেক দেশে ক্লাসে ঘুমানো মানে অলসতা বা দায়িত্বহীনতা। কিন্তু জাপানে ব্যাপারটা একেবারেই ভিন্ন। সেখানে যদি কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়ে, তাকে অপমান নয় বরং ভক্তি ও পরিশ্রমের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

    কেন জাপানে ক্লাসে ঘুমানোকে সম্মানের চোখে দেখা হয়?
    ১। অত্যধিক পরিশ্রমের সংস্কৃতি
    জাপানি শিক্ষার্থীরা শুধু স্কুলেই নয়— জুকু (অতিরিক্ত কোচিং), ক্লাব অ্যাক্টিভিটি, এমনকি পার্ট-টাইম কাজেও যুক্ত থাকে। ফলে তারা প্রায়ই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

    ২। ঘুম মানেই পরিশ্রমের প্রমাণ
    ক্লাসে ঘুমানো মানে অলসতা নয়। বরং এটি বলে— "আমি এত পরিশ্রম করেছি, এখন আমার শরীর বিশ্রাম চাইছে।" এটি একধরনের সমাজ-স্বীকৃত ক্লান্তি।

    ৩। শ্রদ্ধাশীল শিক্ষকরা
    জাপানের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর ঘুমকে অপমানজনকভাবে নেন না। তারা বুঝতে চেষ্টা করেন— শিক্ষার্থী হয়তো রাতভর পড়াশোনা করেছে।

    ৪। ‘ইনেমুরি’ সংস্কৃতি
    জাপানে ‘ইনেমুরি’ মানে— সচেতনভাবে উপস্থিত থেকে ঘুমানো। অফিসে, ট্রেনে, এমনকি মিটিংয়েও কেউ ঘুমালে তাকে দায়িত্বশীল ও পরিশ্রমী মনে করা হয়।
    পৃথিবীর অনেক দেশে ক্লাসে ঘুমানো মানে অলসতা বা দায়িত্বহীনতা। কিন্তু জাপানে ব্যাপারটা একেবারেই ভিন্ন। সেখানে যদি কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়ে, তাকে অপমান নয় বরং ভক্তি ও পরিশ্রমের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। কেন জাপানে ক্লাসে ঘুমানোকে সম্মানের চোখে দেখা হয়? ১। অত্যধিক পরিশ্রমের সংস্কৃতি জাপানি শিক্ষার্থীরা শুধু স্কুলেই নয়— জুকু (অতিরিক্ত কোচিং), ক্লাব অ্যাক্টিভিটি, এমনকি পার্ট-টাইম কাজেও যুক্ত থাকে। ফলে তারা প্রায়ই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ২। ঘুম মানেই পরিশ্রমের প্রমাণ ক্লাসে ঘুমানো মানে অলসতা নয়। বরং এটি বলে— "আমি এত পরিশ্রম করেছি, এখন আমার শরীর বিশ্রাম চাইছে।" এটি একধরনের সমাজ-স্বীকৃত ক্লান্তি। ৩। শ্রদ্ধাশীল শিক্ষকরা জাপানের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর ঘুমকে অপমানজনকভাবে নেন না। তারা বুঝতে চেষ্টা করেন— শিক্ষার্থী হয়তো রাতভর পড়াশোনা করেছে। ৪। ‘ইনেমুরি’ সংস্কৃতি জাপানে ‘ইনেমুরি’ মানে— সচেতনভাবে উপস্থিত থেকে ঘুমানো। অফিসে, ট্রেনে, এমনকি মিটিংয়েও কেউ ঘুমালে তাকে দায়িত্বশীল ও পরিশ্রমী মনে করা হয়।
    0 Comments 0 Shares 641 Views
  • কথা গুলো ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন। ডাঃ জাকির নায়েক,Dr Jakir nail,#বাংলা_ওয়াজ​
    কথা গুলো ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন। ডাঃ জাকির নায়েক,Dr Jakir nail,#বাংলা_ওয়াজ​
    0 Comments 0 Shares 614 Views
  • ভেবেছিলাম বুয়েটে CSE তে পড়ব।
    ওমেকাতে পজিশনও খারাপ ছিল না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন কী হলো কয়েকটা অঙ্ক কোনোভাবেই মিলাতে পারলাম না। মনে করেছিলাম হয়তো চান্সই পাব না। রেজাল্টের পর দেখলাম কোনরকমে পেয়েছি, কিন্তু সিরিয়াল অনেক পেছনে। টেনেটুনে মেকানিকাল এ আসে, আরেকদিকে আর্কিটেকচার।

    এর মাঝে আবার ঢাকা ভার্সিটির IBA এর BBA তে রিটেনএ টিকলাম। তখন IBA এর গ্রাজুয়েটদের অনেক দাম। ভাবলাম IBA তে হয়ে গেলে সেখানেই পড়ব, কিন্তু কিভাবে যেন সেখানেও ভাইভা তে বাদ পড়ে গেলাম।

    তারপর ভাবলাম, আর্কিটেকচারে পড়ে দেশে একটা ফার্ম দিব, Creativity দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব। তাই মেকানিকাল এর এর চেয়ে আর্কিটেকচারই ভালো অপশন। ভর্তি হয়ে গেলাম সেখানেই। বন্ধুবান্ধব, বুয়েটে লাইফ ভালোই চলছিলো, কিন্তু অনেক আগে থেকেই বাইরে পড়তে যাবার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। শুরু করলাম বাইরে অ্যাডমিশন এর চেষ্টার।

    অনেকেই বললো এখন গিয়ে কী করবা, বুয়েটে শেষ করে মাস্টার্সএ যাও, Undergraduate এ গেলে নিজে টাকা দিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়লাম না। গেলাম ঢাকার idp তে, বললাম যে ANU তে নাকি ফুল স্কলারশিপ দেয়, কিভাবে কি করতে হবে? তারা বলল যে ইংলিশ মিডিয়াম হলে লাভ ছিল, বাংলা মিডিয়াম এর A+ এর দাম নাই। তারপরও নিজে থেকেই IELTS দিলাম, ANU তে অ্যাপ্লাই করলাম। কিন্তু লাভ হলোনা, শেষমেশ রিজেক্ট।

    অস্ট্রেলিয়া তো আমাকে পাত্তা দিলোনা, ভাবলাম আমেরিকায় চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু সেখানে আবার SAT আর TOEFL ছাড়া কিছু হয়না। সেগুলোও দিলাম। খুঁজে পেতে দেখলাম যে টপ ভার্সিটিগুলো চান্স পেলে financial aid দেয়। তাই ভাবলাম এবার তাহলে MIT তেই যাবো, বুয়েটে, ANU তো আর আমাকে বুঝলো না। সব ঠিকঠাক করে MIT তে অ্যাপ্লিকেশনও জমা দিলাম। (যদিও হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া এটা কেউ জানতো না)
    কিন্তু শেষমেশ এখানেও রিজেক্ট।

    এবার ঠিক করলাম জাপানে মনবসু (আসল উচ্চারণ "মনবুকাগাকুশো") স্কলারশিপে পড়তে যাব। অ্যাপ্লাই করলাম, রিটেনএ টিক লাম, আমাদের ৪ জনকে এম্ব্যাসি থেকে সিলেক্ট করে ভাইভা তে ডাকলো। ভাইভাও খুব ভালো হলো। আমাদের কজনের নাম জাপানের মিনিস্ট্রিতে পাঠালো। কিন্তু এবার কি হলো, বাংলাদেশ থেকে ওরা একজন কেও সিলেক্ট করলো না আর আমার জাপানের সপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।

    জাপানি rejection এর কদিনপরে দেখলাম Korean Government Scholarship এর সার্কুলার। এবার ভাবলাম তাহলে কোরিয়াতেই যাই, SNU বা KAIST এ পড়বো, খারাপ কি। আসার আগে অনেকেই বলেছিল, বুয়েট ছেড়ে যাচ্ছ, ঠিক করছো তো? Korean ডিগ্রির আবার দাম আছে নাকি? ওখানে তো মানুষ কুকুরের মাংস খায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে যে যেকোনো গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অনেক গর্বের একটা বিষয়, এখানে একজন স্টুডেন্ট তার দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পারে। এরকম সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক না। তাই সবকিছু উপেক্ষা করে বুয়েট ছেড়ে চলে আসলাম South Korea তে পড়তে।

    এখানে এসে ১ বছর language course এর পরে বুঝতে পারলাম যে আমি SNU বা KAIST এ পড়তে পারবো না, কারণ আমি ভার্সিটি ট্র্যাকে অ্যাপ্লাই করেছি। যেই ভার্সিটির মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করেছি সেখানেই পড়তে হবে। আর SNU বা KAIST এ পড়ার ইচ্ছাও আমার অপূর্ণই থেকে গেল।

    পাস করার আগে/পরে Google, Facebook, Apple, LinkedIn এ অনেক cv জমা দিয়েছি। কিন্তু কোথাও থেকেই কখনো কল পাইনি। মাঝে কল পেয়েছিলাম ThinkCell নামে ছোট একটা জার্মান কোম্পানি থেকে। সেখানে ইন্টারভিউও দিয়েছিলাম। আবারও প্রথম রাউন্ডেই বাদ।

    এর পরে একসময় গ্র্যাব থেকে ইন্টারভিউ এর কল পেয়েছিলাম। সেখানেও ইন্টারভিউ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়লাম।

    তারপরও হাল ছাড়িনি, চেষ্টা করে গিয়েছি।
    প্রথমেই থেমে গেলে হয়তো এতদূর আসা হতো না।

    বুয়েট এর CSE কিংবা এমআই টি তে পড়ার সুযোগ হয়তো হয়নি কিন্তু আজ যতদূর আসতে পেরেছি সেটাও বা খারাপ কী?

    যেকোনো সাকসেস এর পেছনে এরকম হাজারো ব্যার্থতা থাকবে।

    So, don't let your failures define who you are.

    © Zulkarnine Mahmud (06-08)
    Software Engineer, Google
    ভেবেছিলাম বুয়েটে CSE তে পড়ব। ওমেকাতে পজিশনও খারাপ ছিল না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন কী হলো কয়েকটা অঙ্ক কোনোভাবেই মিলাতে পারলাম না। মনে করেছিলাম হয়তো চান্সই পাব না। রেজাল্টের পর দেখলাম কোনরকমে পেয়েছি, কিন্তু সিরিয়াল অনেক পেছনে। টেনেটুনে মেকানিকাল এ আসে, আরেকদিকে আর্কিটেকচার। এর মাঝে আবার ঢাকা ভার্সিটির IBA এর BBA তে রিটেনএ টিকলাম। তখন IBA এর গ্রাজুয়েটদের অনেক দাম। ভাবলাম IBA তে হয়ে গেলে সেখানেই পড়ব, কিন্তু কিভাবে যেন সেখানেও ভাইভা তে বাদ পড়ে গেলাম। তারপর ভাবলাম, আর্কিটেকচারে পড়ে দেশে একটা ফার্ম দিব, Creativity দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব। তাই মেকানিকাল এর এর চেয়ে আর্কিটেকচারই ভালো অপশন। ভর্তি হয়ে গেলাম সেখানেই। বন্ধুবান্ধব, বুয়েটে লাইফ ভালোই চলছিলো, কিন্তু অনেক আগে থেকেই বাইরে পড়তে যাবার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। শুরু করলাম বাইরে অ্যাডমিশন এর চেষ্টার। অনেকেই বললো এখন গিয়ে কী করবা, বুয়েটে শেষ করে মাস্টার্সএ যাও, Undergraduate এ গেলে নিজে টাকা দিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়লাম না। গেলাম ঢাকার idp তে, বললাম যে ANU তে নাকি ফুল স্কলারশিপ দেয়, কিভাবে কি করতে হবে? তারা বলল যে ইংলিশ মিডিয়াম হলে লাভ ছিল, বাংলা মিডিয়াম এর A+ এর দাম নাই। তারপরও নিজে থেকেই IELTS দিলাম, ANU তে অ্যাপ্লাই করলাম। কিন্তু লাভ হলোনা, শেষমেশ রিজেক্ট। অস্ট্রেলিয়া তো আমাকে পাত্তা দিলোনা, ভাবলাম আমেরিকায় চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু সেখানে আবার SAT আর TOEFL ছাড়া কিছু হয়না। সেগুলোও দিলাম। খুঁজে পেতে দেখলাম যে টপ ভার্সিটিগুলো চান্স পেলে financial aid দেয়। তাই ভাবলাম এবার তাহলে MIT তেই যাবো, বুয়েটে, ANU তো আর আমাকে বুঝলো না। 😛 সব ঠিকঠাক করে MIT তে অ্যাপ্লিকেশনও জমা দিলাম। (যদিও হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া এটা কেউ জানতো না) কিন্তু শেষমেশ এখানেও রিজেক্ট। এবার ঠিক করলাম জাপানে মনবসু (আসল উচ্চারণ "মনবুকাগাকুশো") স্কলারশিপে পড়তে যাব। অ্যাপ্লাই করলাম, রিটেনএ টিক লাম, আমাদের ৪ জনকে এম্ব্যাসি থেকে সিলেক্ট করে ভাইভা তে ডাকলো। ভাইভাও খুব ভালো হলো। আমাদের কজনের নাম জাপানের মিনিস্ট্রিতে পাঠালো। কিন্তু এবার কি হলো, বাংলাদেশ থেকে ওরা একজন কেও সিলেক্ট করলো না আর আমার জাপানের সপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। জাপানি rejection এর কদিনপরে দেখলাম Korean Government Scholarship এর সার্কুলার। এবার ভাবলাম তাহলে কোরিয়াতেই যাই, SNU বা KAIST এ পড়বো, খারাপ কি। আসার আগে অনেকেই বলেছিল, বুয়েট ছেড়ে যাচ্ছ, ঠিক করছো তো? Korean ডিগ্রির আবার দাম আছে নাকি? ওখানে তো মানুষ কুকুরের মাংস খায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে যে যেকোনো গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অনেক গর্বের একটা বিষয়, এখানে একজন স্টুডেন্ট তার দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পারে। এরকম সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক না। তাই সবকিছু উপেক্ষা করে বুয়েট ছেড়ে চলে আসলাম South Korea তে পড়তে। এখানে এসে ১ বছর language course এর পরে বুঝতে পারলাম যে আমি SNU বা KAIST এ পড়তে পারবো না, কারণ আমি ভার্সিটি ট্র্যাকে অ্যাপ্লাই করেছি। যেই ভার্সিটির মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করেছি সেখানেই পড়তে হবে। আর SNU বা KAIST এ পড়ার ইচ্ছাও আমার অপূর্ণই থেকে গেল। পাস করার আগে/পরে Google, Facebook, Apple, LinkedIn এ অনেক cv জমা দিয়েছি। কিন্তু কোথাও থেকেই কখনো কল পাইনি। মাঝে কল পেয়েছিলাম ThinkCell নামে ছোট একটা জার্মান কোম্পানি থেকে। সেখানে ইন্টারভিউও দিয়েছিলাম। আবারও প্রথম রাউন্ডেই বাদ। এর পরে একসময় গ্র্যাব থেকে ইন্টারভিউ এর কল পেয়েছিলাম। সেখানেও ইন্টারভিউ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়লাম। তারপরও হাল ছাড়িনি, চেষ্টা করে গিয়েছি। প্রথমেই থেমে গেলে হয়তো এতদূর আসা হতো না। বুয়েট এর CSE কিংবা এমআই টি তে পড়ার সুযোগ হয়তো হয়নি কিন্তু আজ যতদূর আসতে পেরেছি সেটাও বা খারাপ কী? যেকোনো সাকসেস এর পেছনে এরকম হাজারো ব্যার্থতা থাকবে। So, don't let your failures define who you are. © Zulkarnine Mahmud (06-08) Software Engineer, Google
    0 Comments 0 Shares 738 Views
  • ২,০০০ বছর আগে রোমানরা ইতিমধ্যেই ডাইভিং ও পানির নিচে প্রকৌশলবিদ্যায় দক্ষতা অর্জন করেছিল।
    অক্সিজেন ট্যাংক, আধুনিক স্যুট কিংবা উন্নত প্রযুক্তি ছাড়াই, তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল—বন্দর নির্মাণ, জাহাজের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান, এমনকি সাগরের তলায় বিশাল স্থাপনা দাঁড় করানো।

    • প্রাচীন যন্ত্র দিয়ে পানির নিচে শ্বাস নেওয়া
    পানির নিচে দীর্ঘক্ষণ থাকতে, রোমান ডুবুরিরা বাঁশের নল বা ধাতব টিউব ব্যবহার করে পৃষ্ঠ থেকে বাতাস টানত। কিছু ক্ষেত্রে তারা "ডাইভিং বেল" ব্যবহার করত—বাতাস ভর্তি পাত্র মাথার ওপর বসানো হতো, যা আধুনিক ডাইভিং হেলমেটের মতো কাজ করত। এই পদ্ধতিতে তারা প্রায় ৩০ মিটার গভীরে নামতে পারত।

    • গভীর থেকে দৈত্য তুলতে পারা
    সবচেয়ে বিস্ময়কর সাফল্যের একটি ছিল প্রাচীন কিসারিয়ার ("বর্তমান ইসরায়েলের উপকূলে, ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের অংশে অবস্থিত কিসারিয়া") বন্দর, যা খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে হেরড দ্য গ্রেট নির্মাণ করেছিলেন। এটি বিশাল এক প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্মিত, যা সরাসরি পানির নিচে ঢালা হয়েছিল—এমন একটি কাজ যা আজকের প্রকৌশলীরাও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখবে।

    • তারা উদ্ভাবন করেছিল এমন কংক্রিট, যা পানিতে শক্ত হয়
    রোমের সবচেয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার ছিল হাইড্রোলিক কংক্রিট—চুন, আগ্নেয়গিরির ছাই ও কাঁকর মিশ্রণ, যা পানির সংস্পর্শে শক্ত হয়ে যায়। এই উপাদান হাজার বছর পরেও স্থিতিশীল ও টেকসই থাকে, এবং অনেক রোমান স্থাপনা আজও দাঁড়িয়ে আছে।

    • রোম শুধু সাম্রাজ্য গড়েনি—তারা গড়েছিল অসম্ভবকেও
    রোমানদের পানির নিচে নির্মাণ প্রযুক্তি এতটাই উন্নত ছিল যে আধুনিক বিজ্ঞান প্রায় ২,০০০ বছর পরে এসে তা বুঝতে ও নকল করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের উত্তরাধিকার শুধু স্থাপত্যেই নয়, সেই প্রকৌশল গোপনীয়তাতেও বেঁচে আছে, যা আমরা এখনও আবিষ্কার করে চলেছি।
    History Hunters
    ২,০০০ বছর আগে রোমানরা ইতিমধ্যেই ডাইভিং ও পানির নিচে প্রকৌশলবিদ্যায় দক্ষতা অর্জন করেছিল। অক্সিজেন ট্যাংক, আধুনিক স্যুট কিংবা উন্নত প্রযুক্তি ছাড়াই, তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল—বন্দর নির্মাণ, জাহাজের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান, এমনকি সাগরের তলায় বিশাল স্থাপনা দাঁড় করানো। • প্রাচীন যন্ত্র দিয়ে পানির নিচে শ্বাস নেওয়া পানির নিচে দীর্ঘক্ষণ থাকতে, রোমান ডুবুরিরা বাঁশের নল বা ধাতব টিউব ব্যবহার করে পৃষ্ঠ থেকে বাতাস টানত। কিছু ক্ষেত্রে তারা "ডাইভিং বেল" ব্যবহার করত—বাতাস ভর্তি পাত্র মাথার ওপর বসানো হতো, যা আধুনিক ডাইভিং হেলমেটের মতো কাজ করত। এই পদ্ধতিতে তারা প্রায় ৩০ মিটার গভীরে নামতে পারত। • গভীর থেকে দৈত্য তুলতে পারা সবচেয়ে বিস্ময়কর সাফল্যের একটি ছিল প্রাচীন কিসারিয়ার ("বর্তমান ইসরায়েলের উপকূলে, ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের অংশে অবস্থিত কিসারিয়া") বন্দর, যা খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে হেরড দ্য গ্রেট নির্মাণ করেছিলেন। এটি বিশাল এক প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্মিত, যা সরাসরি পানির নিচে ঢালা হয়েছিল—এমন একটি কাজ যা আজকের প্রকৌশলীরাও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখবে। • তারা উদ্ভাবন করেছিল এমন কংক্রিট, যা পানিতে শক্ত হয় রোমের সবচেয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার ছিল হাইড্রোলিক কংক্রিট—চুন, আগ্নেয়গিরির ছাই ও কাঁকর মিশ্রণ, যা পানির সংস্পর্শে শক্ত হয়ে যায়। এই উপাদান হাজার বছর পরেও স্থিতিশীল ও টেকসই থাকে, এবং অনেক রোমান স্থাপনা আজও দাঁড়িয়ে আছে। • রোম শুধু সাম্রাজ্য গড়েনি—তারা গড়েছিল অসম্ভবকেও রোমানদের পানির নিচে নির্মাণ প্রযুক্তি এতটাই উন্নত ছিল যে আধুনিক বিজ্ঞান প্রায় ২,০০০ বছর পরে এসে তা বুঝতে ও নকল করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের উত্তরাধিকার শুধু স্থাপত্যেই নয়, সেই প্রকৌশল গোপনীয়তাতেও বেঁচে আছে, যা আমরা এখনও আবিষ্কার করে চলেছি। History Hunters
    0 Comments 0 Shares 697 Views
More Results
BlackBird Ai
https://bbai.shop