Pinned Post
★★★Breaking.... ★★★
All money invested here will be given back with profit in future. But royalty will only be given under marketing and hardworking performance. Otherwise anyone can get their 80% money back instantly. This is not a show.
By Administrator.....
★★★Breaking.... ★★★ All money invested here will be given back with profit in future. But royalty will only be given under marketing and hardworking performance. Otherwise anyone can get their 80% money back instantly. This is not a show. By Administrator.....
Fire
Love
7
0 Comments 0 Shares 439 Views
Recent Updates
  • সম্প্রতি গবেষকরা এমন এক কোয়ান্টাম ম্যাটেরিয়াল দ্বারা গঠিত সুইচ তৈরি করেছে যেটা শুধু আলো ও তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে আপনার ডিভাইসকে হাজার হাজার গুন বেশি দ্রুত করে তুলতে পারে। হয়তো ভবিষ্যতে এই কোয়ান্টাম সুইচ হতে চলেছে সেন্ট্রাল প্রসেস যেখানে সিলিকনের আর প্রয়োজন পড়বেনা।

    নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্টো দে লা তোরে থার্মাল কোয়েঞ্চিং নামক একটি কৌশল এর মাধ্যমে একটি কোয়ান্টাম ম্যাটারিয়াল সুইচ তৈরি করতে পদার্থকে নিয়ন্ত্রিতভাবে উত্তপ্ত ও শীতল করে এমনভাবে প্রস্তুত করেছে যাতে সেটি একই মুহূর্তে সুপরিবাহী ও নিরোধক অবস্থার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।

    প্রযুক্তির বিপ্লবে সিলিকনের গতি ও শক্তি দিন দিন সীমিত সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে বিধায় বিজ্ঞানীরা এমন এক বিকল্পের সন্ধানে ছিলেন যেটি হবে আকারে খুবই ছোট আরো শক্তিশালী এবং অবিশ্বাস্যরকম দ্রুত। এই কোয়ান্টাম সুইচই হল তার এক অনন্য উদাহরণ।

    গবেষকরা IT-TaS2 নামক এমন এক পদার্থ কাজে লাগিয়েছেন যেটি মুহূর্তের মধ্যে দারুণভাবে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে এবং তৎক্ষনাৎ তা একেবারে বন্ধ ও করে দিতে পারে ঠিক যেমনভাবে একটি সুইচ কাজ করে।

    এখানে আগে এমনটা সম্ভব হতো শুধুমাত্র কিছু সেকেন্ডের জন্য খুব ঠান্ডা ও কাজেনিক তাপমাত্রায় সে গানের তারা এটি সম্ভব করে দেখিয়েছেন শুধুমাত্র আলো ব্যবহার করে তাও আবার কক্ষ তাপমাত্রায়।শুধু তাই নয় এটির স্থায়িত্ব ও এখন মাসের পর মাস ধরে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

    যেখানে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বিদ্যুৎ চালানোর জন্য কন্ডাক্টর ও আটকানোর জন্য ইনসুলেটর নামক দুটি উপাদান জরুরী সেখানে এই নতুন প্রযুক্তিতে কেবল আলোর দ্বারা কোয়ান্টাম সুইচ একাই দুটি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যার ফলে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যন্ত্রটির আকার ও আরো ক্ষুদ্র হয়ে যায়।

    কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা সবাই এমন মূহুর্তে পড়েছি যখন আমরা ভাবি ইস! যদি এটা আরও একটু তাড়াতাড়ি লোড হতো! ঠিক এই সমস্যাটির সমাধান হিসেবেই নতুন পথ হলো এই আগাম সম্ভাবনাটি। পদার্থবিদ গ্রেগরি ফিয়েটের মতে আলোর চেয়ে দ্রুত কিছু নেই। আর সেই আলো দিয়েই পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করছে তারা তাও আবার পদার্থবিদ্যার সর্বোচ্চ গতি দিয়ে।

    বর্তমানে প্রচলিত প্রসেসর গুলি কাজ করে গিগাহার্জ গতিতে কিন্তু এই প্রযুক্তি তা নিয়ে যেতে পারে টেরাহার্জ পর্যায়ে অর্থাৎ আগের তুলনায় হাজার গুণ বেশি গতি। এই আবিষ্কার কেবল ইলেকট্রনিক্সের গতি বাড়াবে না বরং আমাদের সামনে খুলে দিচ্ছে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার যা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে পুরো শিল্পখাতের গতি নিয়মই পাল্টে দিতে পারে!

    সাদিয়া সুলতানা হিমু
    লেখক, বিজ্ঞান্বেষী

    #বিজ্ঞান্বেষী #KBKh #quantumphysics #silicone
    সম্প্রতি গবেষকরা এমন এক কোয়ান্টাম ম্যাটেরিয়াল দ্বারা গঠিত সুইচ তৈরি করেছে যেটা শুধু আলো ও তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে আপনার ডিভাইসকে হাজার হাজার গুন বেশি দ্রুত করে তুলতে পারে। হয়তো ভবিষ্যতে এই কোয়ান্টাম সুইচ হতে চলেছে সেন্ট্রাল প্রসেস যেখানে সিলিকনের আর প্রয়োজন পড়বেনা। নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্টো দে লা তোরে থার্মাল কোয়েঞ্চিং নামক একটি কৌশল এর মাধ্যমে একটি কোয়ান্টাম ম্যাটারিয়াল সুইচ তৈরি করতে পদার্থকে নিয়ন্ত্রিতভাবে উত্তপ্ত ও শীতল করে এমনভাবে প্রস্তুত করেছে যাতে সেটি একই মুহূর্তে সুপরিবাহী ও নিরোধক অবস্থার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। প্রযুক্তির বিপ্লবে সিলিকনের গতি ও শক্তি দিন দিন সীমিত সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে বিধায় বিজ্ঞানীরা এমন এক বিকল্পের সন্ধানে ছিলেন যেটি হবে আকারে খুবই ছোট আরো শক্তিশালী এবং অবিশ্বাস্যরকম দ্রুত। এই কোয়ান্টাম সুইচই হল তার এক অনন্য উদাহরণ। গবেষকরা IT-TaS2 নামক এমন এক পদার্থ কাজে লাগিয়েছেন যেটি মুহূর্তের মধ্যে দারুণভাবে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে এবং তৎক্ষনাৎ তা একেবারে বন্ধ ও করে দিতে পারে ঠিক যেমনভাবে একটি সুইচ কাজ করে। এখানে আগে এমনটা সম্ভব হতো শুধুমাত্র কিছু সেকেন্ডের জন্য খুব ঠান্ডা ও কাজেনিক তাপমাত্রায় সে গানের তারা এটি সম্ভব করে দেখিয়েছেন শুধুমাত্র আলো ব্যবহার করে তাও আবার কক্ষ তাপমাত্রায়।শুধু তাই নয় এটির স্থায়িত্ব ও এখন মাসের পর মাস ধরে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। যেখানে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বিদ্যুৎ চালানোর জন্য কন্ডাক্টর ও আটকানোর জন্য ইনসুলেটর নামক দুটি উপাদান জরুরী সেখানে এই নতুন প্রযুক্তিতে কেবল আলোর দ্বারা কোয়ান্টাম সুইচ একাই দুটি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যার ফলে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যন্ত্রটির আকার ও আরো ক্ষুদ্র হয়ে যায়। কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা সবাই এমন মূহুর্তে পড়েছি যখন আমরা ভাবি ইস! যদি এটা আরও একটু তাড়াতাড়ি লোড হতো! ঠিক এই সমস্যাটির সমাধান হিসেবেই নতুন পথ হলো এই আগাম সম্ভাবনাটি। পদার্থবিদ গ্রেগরি ফিয়েটের মতে আলোর চেয়ে দ্রুত কিছু নেই। আর সেই আলো দিয়েই পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করছে তারা তাও আবার পদার্থবিদ্যার সর্বোচ্চ গতি দিয়ে। বর্তমানে প্রচলিত প্রসেসর গুলি কাজ করে গিগাহার্জ গতিতে কিন্তু এই প্রযুক্তি তা নিয়ে যেতে পারে টেরাহার্জ পর্যায়ে অর্থাৎ আগের তুলনায় হাজার গুণ বেশি গতি। এই আবিষ্কার কেবল ইলেকট্রনিক্সের গতি বাড়াবে না বরং আমাদের সামনে খুলে দিচ্ছে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার যা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে পুরো শিল্পখাতের গতি নিয়মই পাল্টে দিতে পারে! সাদিয়া সুলতানা হিমু লেখক, বিজ্ঞান্বেষী #বিজ্ঞান্বেষী #KBKh #quantumphysics #silicone
    0 Comments 0 Shares 680 Views
  • ২,০০০ বছর আগে রোমানরা ইতিমধ্যেই ডাইভিং ও পানির নিচে প্রকৌশলবিদ্যায় দক্ষতা অর্জন করেছিল।
    অক্সিজেন ট্যাংক, আধুনিক স্যুট কিংবা উন্নত প্রযুক্তি ছাড়াই, তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল—বন্দর নির্মাণ, জাহাজের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান, এমনকি সাগরের তলায় বিশাল স্থাপনা দাঁড় করানো।

    • প্রাচীন যন্ত্র দিয়ে পানির নিচে শ্বাস নেওয়া
    পানির নিচে দীর্ঘক্ষণ থাকতে, রোমান ডুবুরিরা বাঁশের নল বা ধাতব টিউব ব্যবহার করে পৃষ্ঠ থেকে বাতাস টানত। কিছু ক্ষেত্রে তারা "ডাইভিং বেল" ব্যবহার করত—বাতাস ভর্তি পাত্র মাথার ওপর বসানো হতো, যা আধুনিক ডাইভিং হেলমেটের মতো কাজ করত। এই পদ্ধতিতে তারা প্রায় ৩০ মিটার গভীরে নামতে পারত।

    • গভীর থেকে দৈত্য তুলতে পারা
    সবচেয়ে বিস্ময়কর সাফল্যের একটি ছিল প্রাচীন কিসারিয়ার ("বর্তমান ইসরায়েলের উপকূলে, ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের অংশে অবস্থিত কিসারিয়া") বন্দর, যা খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে হেরড দ্য গ্রেট নির্মাণ করেছিলেন। এটি বিশাল এক প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্মিত, যা সরাসরি পানির নিচে ঢালা হয়েছিল—এমন একটি কাজ যা আজকের প্রকৌশলীরাও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখবে।

    • তারা উদ্ভাবন করেছিল এমন কংক্রিট, যা পানিতে শক্ত হয়
    রোমের সবচেয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার ছিল হাইড্রোলিক কংক্রিট—চুন, আগ্নেয়গিরির ছাই ও কাঁকর মিশ্রণ, যা পানির সংস্পর্শে শক্ত হয়ে যায়। এই উপাদান হাজার বছর পরেও স্থিতিশীল ও টেকসই থাকে, এবং অনেক রোমান স্থাপনা আজও দাঁড়িয়ে আছে।

    • রোম শুধু সাম্রাজ্য গড়েনি—তারা গড়েছিল অসম্ভবকেও
    রোমানদের পানির নিচে নির্মাণ প্রযুক্তি এতটাই উন্নত ছিল যে আধুনিক বিজ্ঞান প্রায় ২,০০০ বছর পরে এসে তা বুঝতে ও নকল করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের উত্তরাধিকার শুধু স্থাপত্যেই নয়, সেই প্রকৌশল গোপনীয়তাতেও বেঁচে আছে, যা আমরা এখনও আবিষ্কার করে চলেছি।
    History Hunters
    ২,০০০ বছর আগে রোমানরা ইতিমধ্যেই ডাইভিং ও পানির নিচে প্রকৌশলবিদ্যায় দক্ষতা অর্জন করেছিল। অক্সিজেন ট্যাংক, আধুনিক স্যুট কিংবা উন্নত প্রযুক্তি ছাড়াই, তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল—বন্দর নির্মাণ, জাহাজের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান, এমনকি সাগরের তলায় বিশাল স্থাপনা দাঁড় করানো। • প্রাচীন যন্ত্র দিয়ে পানির নিচে শ্বাস নেওয়া পানির নিচে দীর্ঘক্ষণ থাকতে, রোমান ডুবুরিরা বাঁশের নল বা ধাতব টিউব ব্যবহার করে পৃষ্ঠ থেকে বাতাস টানত। কিছু ক্ষেত্রে তারা "ডাইভিং বেল" ব্যবহার করত—বাতাস ভর্তি পাত্র মাথার ওপর বসানো হতো, যা আধুনিক ডাইভিং হেলমেটের মতো কাজ করত। এই পদ্ধতিতে তারা প্রায় ৩০ মিটার গভীরে নামতে পারত। • গভীর থেকে দৈত্য তুলতে পারা সবচেয়ে বিস্ময়কর সাফল্যের একটি ছিল প্রাচীন কিসারিয়ার ("বর্তমান ইসরায়েলের উপকূলে, ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের অংশে অবস্থিত কিসারিয়া") বন্দর, যা খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে হেরড দ্য গ্রেট নির্মাণ করেছিলেন। এটি বিশাল এক প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্মিত, যা সরাসরি পানির নিচে ঢালা হয়েছিল—এমন একটি কাজ যা আজকের প্রকৌশলীরাও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখবে। • তারা উদ্ভাবন করেছিল এমন কংক্রিট, যা পানিতে শক্ত হয় রোমের সবচেয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার ছিল হাইড্রোলিক কংক্রিট—চুন, আগ্নেয়গিরির ছাই ও কাঁকর মিশ্রণ, যা পানির সংস্পর্শে শক্ত হয়ে যায়। এই উপাদান হাজার বছর পরেও স্থিতিশীল ও টেকসই থাকে, এবং অনেক রোমান স্থাপনা আজও দাঁড়িয়ে আছে। • রোম শুধু সাম্রাজ্য গড়েনি—তারা গড়েছিল অসম্ভবকেও রোমানদের পানির নিচে নির্মাণ প্রযুক্তি এতটাই উন্নত ছিল যে আধুনিক বিজ্ঞান প্রায় ২,০০০ বছর পরে এসে তা বুঝতে ও নকল করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের উত্তরাধিকার শুধু স্থাপত্যেই নয়, সেই প্রকৌশল গোপনীয়তাতেও বেঁচে আছে, যা আমরা এখনও আবিষ্কার করে চলেছি। History Hunters
    0 Comments 0 Shares 565 Views
  • ২০০৭ সালে ডেভিড বেকহ্যাম এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন যা ফুটবল দুনিয়াকে অবাক করে দিল।
    তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারকা সমৃদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস এর এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিবেন। যেখানে বছরে তার বেতন মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার।

    সবাই ভাবল এ তো পাগলামি! কারণ রিয়ালে তিনি বছরে ১৮ মিলিয়ন ডলার পেতেন, মানে প্রায় ৭০% কম বেতন নিতে রাজি হলেন তাও আবার বিশ্বসেরা কোনো দলের জন্য না,না বিশ্বসেরা কোনো লিগও সেটি ছিলো না।
    তাহলে কেন গেলেন বেকহ্যাম? এর পিছনে ছিলো বেকহ্যাম এর এক ব্যবসায়িক মাস্টারক্লাস প্ল্যান।

    বেতন কম হলেও বেকহ্যামের চুক্তিতে ছিল এক অদ্ভুত শর্ত তিনি এলএ গ্যালাক্সির সব রকম আয়ের একটা অংশ পাবেন।
    যেমন: টিকিট বিক্রি, জার্সি ও সামগ্রী বিক্রি, খাবার-পানীয় বিক্রি, স্পনসরশিপ চুক্তি সব কিছুর থেকে তার ভাগ আসবে। এমন চুক্তি আগে কোনো ফুটবলার করেননি।

    কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরেকটা গোপন শর্ত ছিল।
    চুক্তি অনুযায়ী বেকহ্যাম অবসরের পর মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে এমএলএসএর একটি নতুন দল কেনার অধিকার পাবেন।

    যখন এমএলএস তখনও তেমন জনপ্রিয় নয়, তখন এমন সুযোগ কেউ কেন চাইবে এ নিয়ে অনেক সমালোচনা তো ছিলোই। কিন্ত বেকহ্যাম এর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী।

    বেকহ্যাম সই করার পরপরই এলএ গ্যালাক্সি হঠাৎ করে ১১,০০০ নতুন সিজন টিকিট বিক্রি করলো, অথচ তিনি তখনো জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি।
    তার জার্সি এমএলএস এর ইতিহাসে দ্রুততম বিক্রি হওয়া জার্সি বনে গেল।

    যেখানে গ্যালাক্সির স্টেডিয়ামে কেবল ১২,০০০ দর্শক খেলা দেখতে আসতো। বেকহ্যাম এর প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামে ভিড় জমলো প্রায় ৬৬,০০০ মানুষের।
    টিভি রেটিং তিন গুণ বাড়ল।
    স্পনসরশিপ চুক্তি একের পর এক আসতে লাগল।

    এমএলএস তখন এক নতুন নিয়ম চালু করল 'বেকহ্যাম রুল' যার ফলে দলগুলো বেতন সীমার বাইরে গিয়ে বড় তারকা সই করাতে পারবে।
    ফলে লিগ, যা ২০০২ সালে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলো।

    ২০১২ সালের মধ্যে বেকহ্যাম দুইবার এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হলেন এবং লিগের অর্থনৈতিক কাঠামো পাল্টে দিলেন।
    তার বছরে আয় আসতে লাগলো প্রায় ৪২ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলারের মতো। যা রিয়ালে পাওয়া বেতনের প্রায় আড়াই গুণ। যেই মিডিয়া তার ক্যারিয়ার শেষ হবে এমন তকমা দিচ্ছিলো,সেই মিডিয়ার কাছে তিনি হয়ে উঠলেন মার্কেটিং জিনিয়াস।

    ২০১৪ সালে তিনি চমক দিয়ে তার ২৫ মিলিয়ন ডলারের অপশন ব্যবহার করে মায়ামিতে একটি এমএলএস দল (ইন্টার মায়ামি) নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। তখন অন্যরা নতুন দল কিনতে দিচ্ছিল ২০০–৩২৫ মিলিয়ন ডলার, আর তিনি কিনলেন মাত্র ২৫ মিলিয়নে।

    তবে দল গড়া সহজ ছিল না শুরুতে। স্টেডিয়াম চুক্তি ভেঙে গেল, বিনিয়োগকারী পালাল, সমালোচনা চলল। ছয় বছর ধরে প্রায় থেমে ছিল প্রকল্প,কিন্তু বেকহ্যাম হাল ছাড়েননি।

    ২০২০ সালে ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ খেলল।
    মাত্র দুই বছরের মধ্যে ক্লাবের মূল্য পৌঁছে গেল ৬০০ মিলিয়ন ডলারে অর্থাৎ তার বিনিয়োগের উপর ২,২০০% লাভ।

    ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বেকহ্যাম সবচাইতে বড় মাস্টারস্ট্রোক গেইমটা খেললেন। লিওনেল মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে নিয়ে এসে।
    না বার্সেলোনা, না সৌদি আরবের কোটি কোটি ডলার। মেসি এলেন বেকহ্যামের দলে, যা দশ বছর আগে অস্তিত্বই রাখত না।

    মেসি আসার পর ক্লাবের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো। বার্ষিক আয় ৬০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়নে পৌঁছালো। সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারী বেড়ে গেল ৫৫০%। টিকিটের দাম বেড়ে গেল ১,০৩৪%।

    অন্যরা যেখানে বেশি বেতন বেছে নিয়েছিল, বেকহ্যাম তখন বেছে নিলেন মালিকানা ও আয়ের অংশীদারিত্ব। অন্যরা ভেবেছে এক-দুই বছরের জন্য, তিনি ভেবেছেন পুরো ভবিষ্যৎ নিয়ে।
    তিনি শুধু একজন খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী। এভাবে বেকহ্যাম শুধু মাঠের খেলায় না জিতলেন মাঠের বাহিরের খেলায়ও।
    ২০০৭ সালে ডেভিড বেকহ্যাম এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন যা ফুটবল দুনিয়াকে অবাক করে দিল। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারকা সমৃদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস এর এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিবেন। যেখানে বছরে তার বেতন মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার। সবাই ভাবল এ তো পাগলামি! কারণ রিয়ালে তিনি বছরে ১৮ মিলিয়ন ডলার পেতেন, মানে প্রায় ৭০% কম বেতন নিতে রাজি হলেন তাও আবার বিশ্বসেরা কোনো দলের জন্য না,না বিশ্বসেরা কোনো লিগও সেটি ছিলো না। তাহলে কেন গেলেন বেকহ্যাম? এর পিছনে ছিলো বেকহ্যাম এর এক ব্যবসায়িক মাস্টারক্লাস প্ল্যান। বেতন কম হলেও বেকহ্যামের চুক্তিতে ছিল এক অদ্ভুত শর্ত তিনি এলএ গ্যালাক্সির সব রকম আয়ের একটা অংশ পাবেন। যেমন: টিকিট বিক্রি, জার্সি ও সামগ্রী বিক্রি, খাবার-পানীয় বিক্রি, স্পনসরশিপ চুক্তি সব কিছুর থেকে তার ভাগ আসবে। এমন চুক্তি আগে কোনো ফুটবলার করেননি। কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরেকটা গোপন শর্ত ছিল। চুক্তি অনুযায়ী বেকহ্যাম অবসরের পর মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে এমএলএসএর একটি নতুন দল কেনার অধিকার পাবেন। যখন এমএলএস তখনও তেমন জনপ্রিয় নয়, তখন এমন সুযোগ কেউ কেন চাইবে এ নিয়ে অনেক সমালোচনা তো ছিলোই। কিন্ত বেকহ্যাম এর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। বেকহ্যাম সই করার পরপরই এলএ গ্যালাক্সি হঠাৎ করে ১১,০০০ নতুন সিজন টিকিট বিক্রি করলো, অথচ তিনি তখনো জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি। তার জার্সি এমএলএস এর ইতিহাসে দ্রুততম বিক্রি হওয়া জার্সি বনে গেল। যেখানে গ্যালাক্সির স্টেডিয়ামে কেবল ১২,০০০ দর্শক খেলা দেখতে আসতো। বেকহ্যাম এর প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামে ভিড় জমলো প্রায় ৬৬,০০০ মানুষের। টিভি রেটিং তিন গুণ বাড়ল। স্পনসরশিপ চুক্তি একের পর এক আসতে লাগল। এমএলএস তখন এক নতুন নিয়ম চালু করল 'বেকহ্যাম রুল' যার ফলে দলগুলো বেতন সীমার বাইরে গিয়ে বড় তারকা সই করাতে পারবে। ফলে লিগ, যা ২০০২ সালে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলো। ২০১২ সালের মধ্যে বেকহ্যাম দুইবার এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হলেন এবং লিগের অর্থনৈতিক কাঠামো পাল্টে দিলেন। তার বছরে আয় আসতে লাগলো প্রায় ৪২ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলারের মতো। যা রিয়ালে পাওয়া বেতনের প্রায় আড়াই গুণ। যেই মিডিয়া তার ক্যারিয়ার শেষ হবে এমন তকমা দিচ্ছিলো,সেই মিডিয়ার কাছে তিনি হয়ে উঠলেন মার্কেটিং জিনিয়াস। ২০১৪ সালে তিনি চমক দিয়ে তার ২৫ মিলিয়ন ডলারের অপশন ব্যবহার করে মায়ামিতে একটি এমএলএস দল (ইন্টার মায়ামি) নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। তখন অন্যরা নতুন দল কিনতে দিচ্ছিল ২০০–৩২৫ মিলিয়ন ডলার, আর তিনি কিনলেন মাত্র ২৫ মিলিয়নে। তবে দল গড়া সহজ ছিল না শুরুতে। স্টেডিয়াম চুক্তি ভেঙে গেল, বিনিয়োগকারী পালাল, সমালোচনা চলল। ছয় বছর ধরে প্রায় থেমে ছিল প্রকল্প,কিন্তু বেকহ্যাম হাল ছাড়েননি। ২০২০ সালে ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ খেলল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে ক্লাবের মূল্য পৌঁছে গেল ৬০০ মিলিয়ন ডলারে অর্থাৎ তার বিনিয়োগের উপর ২,২০০% লাভ। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বেকহ্যাম সবচাইতে বড় মাস্টারস্ট্রোক গেইমটা খেললেন। লিওনেল মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে নিয়ে এসে। না বার্সেলোনা, না সৌদি আরবের কোটি কোটি ডলার। মেসি এলেন বেকহ্যামের দলে, যা দশ বছর আগে অস্তিত্বই রাখত না। মেসি আসার পর ক্লাবের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো। বার্ষিক আয় ৬০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়নে পৌঁছালো। সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারী বেড়ে গেল ৫৫০%। টিকিটের দাম বেড়ে গেল ১,০৩৪%। অন্যরা যেখানে বেশি বেতন বেছে নিয়েছিল, বেকহ্যাম তখন বেছে নিলেন মালিকানা ও আয়ের অংশীদারিত্ব। অন্যরা ভেবেছে এক-দুই বছরের জন্য, তিনি ভেবেছেন পুরো ভবিষ্যৎ নিয়ে। তিনি শুধু একজন খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী। এভাবে বেকহ্যাম শুধু মাঠের খেলায় না জিতলেন মাঠের বাহিরের খেলায়ও।
    0 Comments 0 Shares 551 Views
  • অদ্ভুত এক রহস্য!!!
    লিওনার্দো ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ের ছবি বলা হয়। কিন্তু মোনালিসার ছবিতে টর্চলাইট দিয়ে খুজেও সৌন্দর্য খুজে পাওয়াটা কঠিন!

    কিন্তু মোনালিসার ছবির সৌন্দর্য ঠিক মোনালিসাতে নয়। সৌন্দর্যটা এই ছবির রহস্যে! রং তুলিতে এই ছবি আকতে গিয়ে ভিঞ্চি জন্ম দিয়ে গেছেন অসংখ্য রহস্যের…

    ১৫০৩ সালে ভিঞ্চি মোনালিসা আকা শুরু করেন।
    ১৫১৫ সালে মোনালিসা আকার সময় তিনি রহস্যজনক ভাবে মৃত্যবরণ করেন।১২ বছর সময় নিয়ে আকা মোনালিসার ছবি সম্পূর্ণ না করেই তিনি মারা যান!

    অর্থাৎ আমরা মোনালিসার যে ছবিটি এখন দেখি
    সেটিতে আরো কিছু আঁকার বাকি ছিল...

    ভিঞ্চি মোনালিসাকে কোন কাগজ বা কাপড়ে নয়,
    এঁকেছিলেন পাতলা কাঠের উপর।অবাক করার বিষয় হলো মোনালিসার ছবিটিকে যদি বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে দেখা হয় তবে মোনালিসা তার হাসি পরিবর্তন করে!

    এ যেন এক রহস্যময়ী মোনালিসা!
    ১৭৭৪ সালে সর্বপ্রথম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে মোনালিসার ছবিটির দেখা মিলে।কিন্তু ছবিটা মিউজিয়ামে কিভাবে এল কিংবা কে আনল এমন প্রশ্নের উত্তর মিউজিয়ামের কর্মীরাই জানতোনা! কারণ তারা কাউকে ছবিটি নিয়ে আসতে দেখিনি!

    রহস্যময়ভাবে লুভর মিউজিয়ামে পৌছানো এই ছবি ১৯১১ সালে চুরি হয়ে যায়! রাতের আধারে চোরকে দেখে মিউজিয়ামের এক কর্মী পরদিনই চাকড়ি
    ছেড়ে পালিয়ে যায়।পরে সে বলেছিল সে চোরকে দেখেছে। সেই চোর আর কেউ নয়।প্রায় ৩৫০ বছর আগে মারা যাওয়া ভিঞ্চি!!

    ১০ বছর পর এই ছবিটি আবার ওই মিউজিয়ামে পাওয়া যায়।লুভর মিউজিয়াম কতৃপক্ষ ছবিটি সংরক্ষনের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে একটি নিরাপদ
    কক্ষ তৈরী করে। হয়ত ভাবছেন একটা ছবির জন্য এতো টাকা খরচ!! এই ছবির বর্তমান মূল্যের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা কিছুই নয়। মোনালিসা ছবির বর্তমান অর্থমূল্য ৭৯০ মিলিয়ন ডলার।টাকায় পরিমানটা ৫৩৮০ কোটি টাকা!!

    মোনালিসা কে? প্রশ্নটির উত্তর ভিঞ্চি নিজেও দিয়ে যাননি।২০০৫ সালে খুজে পাওয়া এক চিঠিতে অনেকে মোনালিসার পরিচয় খুজে পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

    ১৫০৩ সালে লেখা এই চিঠিতে ভিঞ্চির বন্ধু ফ্রান্সিস জিয়াকন্ড তার স্ত্রী লিসা জিয়াকন্ডের একটি ছবি আঁকতে ভিঞ্চিকে অনুরোধ করেন। আর ওই সময় ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি আঁকা শুরু করেন।

    ২০০৪ সালে বিজ্ঞানী পাস্কেল পাটে মোনালিসার ছবিকে আলাদা ভাগে ভাগ করে হাইডেফিনেশন ক্যামেরায় ছবি তোলেন। পাস্কেল আবিষ্কার করেন যে ভিঞ্চি যে রং ব্যাবহার করেছিলেন তার স্তর ৪০ মাইক্রোমিটার। অর্থাৎ একটি চিকন চুলের থেকেও পাতলা! পাস্কেল আরো আবিষ্কার করেন যে মোনালিসার ছবিতে আরো ৩টি চিত্র আছে। তাদের একটি সাথে লিসা জিয়াকন্ডের মুখের মিল খুজে পাওয়া যায়।সম্ভবত ভিঞ্চি বন্ধুর অনুরোধে লিসার ছবিটিই আঁকছিলেন। কিন্তু তিনি এমন কিছু দেখেছিলেন যা পুরো ছবিতে অন্য এক নতুন মুখের জন্ম দিয়ে দিয়েছে!

    সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক সার্ভেতে মোনালিসা সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য পাওয়া যায়।মোনালিসাকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় সে হাসছে। কিন্তু কাছে গিয়ে তার দিকে তাকালে মনে হয় সে গভীরভাবে কোন কিছু চিন্তা করছে। মোনালিসার চোখের দিকে তাকালে তাকে হাসিখুশি মনে হয়। কিন্তু তার ঠোটের দিকে তাকালেই সে হাসি গায়েব!

    সান্দারলেন্ড ভার্সিটির ছাত্ররা মোনালিসার ছবির বামপাশ থেকে আল্ট্রা ভায়োলেট পদ্ধতি ব্যাবহার করে ভিঞ্চির লেখা একটি বার্তা উদ্ধার করে। বার্তাটি ছিল " লারিস্পোস্তা তোভাকি"। যার অর্থ "উত্তরটা এখানেই আছে।"

    যুগের পর যুগ মানুষকে মুগ্ধ করে আসা মোনালিসার এই ছবি দেখে জন্ম নেয়া হাজার প্রশ্নের মাঝে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, এই ছবি দিয়ে ভিঞ্চি কি বোঝাতে চেয়েছিলেন?"

    প্যারানোরমাল ম্যাগাজিনের একদল তরুন ছাত্র উত্তরটা বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। অবশেষে তারা যা জানিয়েছে সেটাও চমকে দেয়ার মত!

    ভিঞ্চি মোনালিসার ছবির বামপাশে গোপন বার্তা
    দিয়েছিলেন "উত্তর টা এখানেই আছে"।

    সে বাম পাশকে আয়নার কাছে আনলে একটা ছবি
    তৈরী হয়। অবাক করার বিষয় এই তৈরী হওয়া ছবির জীবটিকে ভিঞ্চি ১৫০০ সালের দিকে দেখেছিলেন!

    ছবিটা একটা এলিয়েনের!!!

    ভিনগ্রহের এলিয়েন...!!!
    অদ্ভুত এক রহস্য!!! লিওনার্দো ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ের ছবি বলা হয়। কিন্তু মোনালিসার ছবিতে টর্চলাইট দিয়ে খুজেও সৌন্দর্য খুজে পাওয়াটা কঠিন! কিন্তু মোনালিসার ছবির সৌন্দর্য ঠিক মোনালিসাতে নয়। সৌন্দর্যটা এই ছবির রহস্যে! রং তুলিতে এই ছবি আকতে গিয়ে ভিঞ্চি জন্ম দিয়ে গেছেন অসংখ্য রহস্যের… ১৫০৩ সালে ভিঞ্চি মোনালিসা আকা শুরু করেন। ১৫১৫ সালে মোনালিসা আকার সময় তিনি রহস্যজনক ভাবে মৃত্যবরণ করেন।১২ বছর সময় নিয়ে আকা মোনালিসার ছবি সম্পূর্ণ না করেই তিনি মারা যান! অর্থাৎ আমরা মোনালিসার যে ছবিটি এখন দেখি সেটিতে আরো কিছু আঁকার বাকি ছিল... ভিঞ্চি মোনালিসাকে কোন কাগজ বা কাপড়ে নয়, এঁকেছিলেন পাতলা কাঠের উপর।অবাক করার বিষয় হলো মোনালিসার ছবিটিকে যদি বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে দেখা হয় তবে মোনালিসা তার হাসি পরিবর্তন করে! এ যেন এক রহস্যময়ী মোনালিসা! ১৭৭৪ সালে সর্বপ্রথম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে মোনালিসার ছবিটির দেখা মিলে।কিন্তু ছবিটা মিউজিয়ামে কিভাবে এল কিংবা কে আনল এমন প্রশ্নের উত্তর মিউজিয়ামের কর্মীরাই জানতোনা! কারণ তারা কাউকে ছবিটি নিয়ে আসতে দেখিনি! রহস্যময়ভাবে লুভর মিউজিয়ামে পৌছানো এই ছবি ১৯১১ সালে চুরি হয়ে যায়! রাতের আধারে চোরকে দেখে মিউজিয়ামের এক কর্মী পরদিনই চাকড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।পরে সে বলেছিল সে চোরকে দেখেছে। সেই চোর আর কেউ নয়।প্রায় ৩৫০ বছর আগে মারা যাওয়া ভিঞ্চি!! ১০ বছর পর এই ছবিটি আবার ওই মিউজিয়ামে পাওয়া যায়।লুভর মিউজিয়াম কতৃপক্ষ ছবিটি সংরক্ষনের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে একটি নিরাপদ কক্ষ তৈরী করে। হয়ত ভাবছেন একটা ছবির জন্য এতো টাকা খরচ!! এই ছবির বর্তমান মূল্যের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা কিছুই নয়। মোনালিসা ছবির বর্তমান অর্থমূল্য ৭৯০ মিলিয়ন ডলার।টাকায় পরিমানটা ৫৩৮০ কোটি টাকা!! মোনালিসা কে? প্রশ্নটির উত্তর ভিঞ্চি নিজেও দিয়ে যাননি।২০০৫ সালে খুজে পাওয়া এক চিঠিতে অনেকে মোনালিসার পরিচয় খুজে পেয়েছেন বলে দাবি করেন। ১৫০৩ সালে লেখা এই চিঠিতে ভিঞ্চির বন্ধু ফ্রান্সিস জিয়াকন্ড তার স্ত্রী লিসা জিয়াকন্ডের একটি ছবি আঁকতে ভিঞ্চিকে অনুরোধ করেন। আর ওই সময় ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি আঁকা শুরু করেন। ২০০৪ সালে বিজ্ঞানী পাস্কেল পাটে মোনালিসার ছবিকে আলাদা ভাগে ভাগ করে হাইডেফিনেশন ক্যামেরায় ছবি তোলেন। পাস্কেল আবিষ্কার করেন যে ভিঞ্চি যে রং ব্যাবহার করেছিলেন তার স্তর ৪০ মাইক্রোমিটার। অর্থাৎ একটি চিকন চুলের থেকেও পাতলা! পাস্কেল আরো আবিষ্কার করেন যে মোনালিসার ছবিতে আরো ৩টি চিত্র আছে। তাদের একটি সাথে লিসা জিয়াকন্ডের মুখের মিল খুজে পাওয়া যায়।সম্ভবত ভিঞ্চি বন্ধুর অনুরোধে লিসার ছবিটিই আঁকছিলেন। কিন্তু তিনি এমন কিছু দেখেছিলেন যা পুরো ছবিতে অন্য এক নতুন মুখের জন্ম দিয়ে দিয়েছে! সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক সার্ভেতে মোনালিসা সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য পাওয়া যায়।মোনালিসাকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় সে হাসছে। কিন্তু কাছে গিয়ে তার দিকে তাকালে মনে হয় সে গভীরভাবে কোন কিছু চিন্তা করছে। মোনালিসার চোখের দিকে তাকালে তাকে হাসিখুশি মনে হয়। কিন্তু তার ঠোটের দিকে তাকালেই সে হাসি গায়েব! সান্দারলেন্ড ভার্সিটির ছাত্ররা মোনালিসার ছবির বামপাশ থেকে আল্ট্রা ভায়োলেট পদ্ধতি ব্যাবহার করে ভিঞ্চির লেখা একটি বার্তা উদ্ধার করে। বার্তাটি ছিল " লারিস্পোস্তা তোভাকি"। যার অর্থ "উত্তরটা এখানেই আছে।" যুগের পর যুগ মানুষকে মুগ্ধ করে আসা মোনালিসার এই ছবি দেখে জন্ম নেয়া হাজার প্রশ্নের মাঝে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, এই ছবি দিয়ে ভিঞ্চি কি বোঝাতে চেয়েছিলেন?" প্যারানোরমাল ম্যাগাজিনের একদল তরুন ছাত্র উত্তরটা বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। অবশেষে তারা যা জানিয়েছে সেটাও চমকে দেয়ার মত! ভিঞ্চি মোনালিসার ছবির বামপাশে গোপন বার্তা দিয়েছিলেন "উত্তর টা এখানেই আছে"। সে বাম পাশকে আয়নার কাছে আনলে একটা ছবি তৈরী হয়। অবাক করার বিষয় এই তৈরী হওয়া ছবির জীবটিকে ভিঞ্চি ১৫০০ সালের দিকে দেখেছিলেন! ছবিটা একটা এলিয়েনের!!! ভিনগ্রহের এলিয়েন...!!! ©️
    0 Comments 0 Shares 553 Views
  • আপনি যদি ভেবে থাকেন বিমান সংরক্ষণ মানেই স্রেফ এটিকে কোথাও পার্ক করে রাখা, তাহলে আপনি একদম ভুল করছেন না, আবার একদম ঠিকও করছেন না। কারণ, বিমান হলো এমন এক বস্তু, যাকে ঠিক গ্যারাজে ঢুকিয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা যায় না। এতে থাকে ৬০ ফুট লম্বা ডানা, একেকটি ইঞ্জিনের ওজন প্রায় ৪,০০০ কেজি, আর প্রতিটি ছোটখাট বিমানেরও ন্যূনতম ১০ লাখের ওপরে যন্ত্রাংশ থাকে।

    এখানে আসল চ্যালেঞ্জটা হলো—এই বিমানের শরীর যেন মরিচা না ধরে, ইঞ্জিন যেন উল্টাপাল্টা না করে, আর ককপিটের নেভিগেশনগুলো যাতে ঠিকঠাক থাকে।। এজন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর গাণিতিক হিসাব।

    প্রথমত, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। বিমানের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেন ঘামতে না শুরু করে, তার জন্য হ্যাঙ্গারে তাপমাত্রা রাখতে হয় ২১ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। যদি এটি এক ডিগ্রি বাড়ে, তাহলে বিমানের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশের সম্প্রসারণ ঘটে ০.০০০১২ মিটার প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে। এটা শুনে মনে হতে পারে তেমন কিছু না, কিন্তু একটা বোয়িং ৭৭৭-এর ডানার দৈর্ঘ্য ৬০.৯ মিটার। কাজেই এক ডিগ্রিতে সেটি প্রায় ০.০০৭৩ মিটার বা ৭.৩ মিলিমিটার বাড়ে—মানে প্রায় একটা জামার বোতামের সমান। আর একটা জামার বোতামের সমান উল্টাপাল্টা ঘটনা মানেই মাঝ আকাশে বিশাল বিপদ।

    এবার আসি আর্দ্রতার কথায়। বিমানের ভেতর যদি বেশি আর্দ্রতা থাকে, তাহলে ইলেকট্রনিক সার্কিট বোর্ডে পানির কণা জমে গিয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে যেতে পারে। আর বিমানে শর্ট সার্কিট মানে অনেক সময় ‘আউচ!’ নয়, বরং ‘আউট!’ বলা। তাই আর্দ্রতা রাখতে হয় ৪৫% থেকে ৫০% এর মধ্যে। যদি ৫৫% হয়, তাহলে ককপিটের কাচে পানি জমে এবং পাইলটকে তখন নিজ হাতে উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়—যা সাধারণত তাদের জিএমএস (গ্লোবাল মেস সেন্স) স্কোরের সাথে যায় না।

    আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—টায়ারের সংরক্ষণ। বিমানের টায়ার দেখতে যতটা বড় এবং গম্ভীর, ততটাই সংবেদনশীল। একটি বিমানের টায়ার প্রতি স্কয়ার ইঞ্চিতে ২০০ PSI চাপ সহ্য করতে পারে, যা এক হাড়ভাঙা টেনিস বলের চাপের ১৪ গুণ বেশি। তাই দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলে টায়ার সমানভাবে চাপ না পেলে তা একপাশে বসে যেতে পারে। সমাধান? প্রতি ১৮ দিন অন্তর টায়ার ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে হয়, যেন সব অংশ সমানভাবে বসে। বিমানের টায়ার যেন “চেয়ার পটেটো” না হয়ে পড়ে!

    বিমানের ইঞ্জিন হলো এই গল্পের রাজা। ইঞ্জিন ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা হয়ে উঠতে পারে একজন সর্দিলাগা রোগীর মত। আপনি জানেন কি, প্রতি ৬ দিন অন্তর ইঞ্জিন ঘোরানো না হলে তার টারবাইন ব্লেডে ধুলো জমে গিয়ে ৪.৫% কর্মক্ষমতা কমে যায়? এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি ৩০ দিন ইঞ্জিন বন্ধ থাকে, তাহলে তাতে খনিজ তেল জমে গিয়ে একধরনের “অ্যালগেব্রিক ক্লগিং” হয়, যেখানে তেলের ঘনত্বের মান চলে যায় ১.৩৮ cP থেকে ২.২৯ cP—মানে এটি ঘন হয়ে আঠার মতো হয়ে যায়। তেল দিয়ে বিমান চালানো যায়, আঠা দিয়ে নয়।

    অনেকেই ভাবেন, বিমানের পেইন্ট বা রং শুধু দেখতে ভালো লাগার জন্য। আসলে এটি হল একধরনের তাপ-নিয়ন্ত্রক শিল্ড। যদি আপনি একটি সাদা রঙের বিমানকে মরুভূমিতে ফেলে রাখেন, তাও সে অন্তত ৪.৮ ডিগ্রি কম গরম হবে কালো রঙের তুলনায়। আর এই গরমের পার্থক্য মানে বিমানের ফিউজেলাজে প্রতি বর্গমিটারে ১২.৬ নিউটন অতিরিক্ত বল পড়বে—যা একেকটা স্ক্রুর ওপর ১.৮ কেজির চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি ভাবেন "বাহ! এটাও কি হিসাব করার জিনিস?"—তাহলে আপনি সম্ভবত বিমান প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করেননি, তাই আপনাকে দোষ দেওয়া যায় না।

    আর হ্যাঁ, পাখি! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—পাখি। আপনি যতই বিমানকে হ্যাঙ্গারে রাখুন না কেন, পাখিরা পছন্দ করে এর গা বেয়ে উঠে বসে থাকতে। প্রতি বছর শুধু এই পাখির বিষ্ঠার কারণে বিমানের বাহ্যিক অংশ পরিষ্কার করতে ব্যয় হয় প্রায় $১.৭ মিলিয়ন। আর বিমানে যদি পাখি বাসা বাঁধে, তবে সেটা হয় একেবারে জ্বালানি পাম্পের পাশে। একবার এক বিমানে ১৪টি চড়ুইয়ের বাসা পাওয়া গিয়েছিল—একটি ইঞ্জিনের মধ্যে। এতে শুধু পরিষ্কারের খরচই যায় $২৩,০০০।

    এবার আসি অদ্ভুত এক গবেষণায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে থাকা বিমানগুলোর ইন্টারনাল সেন্সররা ‌মানসিকভাবে‌ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একে বলে “instrument lag depression syndrome”—একধরনের অবস্থান যেখানে Altimeter বা উচ্চতা মাপার যন্ত্র ভুল তথ্য দিতে শুরু করে। ৩০ দিন পর দেখা যায়, প্রকৃত উচ্চতা ৩০০০ ফুট হলেও সেন্সর দেখায় ২৫০০ বা ৩৫০০।

    এই অবস্থায় কিছু বিমান সংস্থা তাদের বিমানগুলিকে "ঘুরতে" বের করে—মানে, সপ্তাহে একবার অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য আকাশে ওড়ানো হয়। যাতে বিমানের যন্ত্রপাতি মনে করে তারা এখনও জীবিত, এবং তাদের চাকরি এখনও আছে। একে বলে “maintenance flight,” কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে এটিকে ডাকা হয় “mental health flight.”

    মজার কথা হলো, বেশ কিছু সংস্থা আবার বিমানের মধ্যে “আনান্দ উৎসব” করে বিমান চালু রাখে—মানে ইঞ্জিন স্টার্ট করে, এয়ার কন্ডিশন চালায়, আলো জ্বালে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভুয়া বোর্ডিং করিয়ে ছবি তোলে। এসব কিছুই শুধুমাত্র যন্ত্রগুলোকে বোঝাতে যে, তারা অবহেলিত নয়। আপনি যদি ভাবেন, “বাহ, বিমানেরও অনুভূতি আছে?”—তাহলে আপনি একধাপ এগিয়ে আছেন মানবিক প্রযুক্তির দৃষ্টিভঙ্গিতে।

    এখন প্রশ্ন আসে—এই বিমানের সব কিছুর হিসাব রাখে কে? উত্তর—এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স লগ। এটি হলো একধরনের বিমান ডায়েরি, যেখানে লেখা থাকে—“আজ ডানার নিচে ২.১ মিলিমিটার চিপ দেখা গেছে। সম্ভবত লেজ ঘষা লেগেছে।” এটি প্রতি দিন, প্রতি ঘণ্টা, এমনকি প্রতি মিনিটে আপডেট করতে হয়। গড়পড়তা একটি বোয়িং ৭৮৭-এর মেইন্টেন্যান্স রিপোর্ট বছরে প্রায় ২,৩০০ পৃষ্ঠার হয়ে থাকে। এতো বড় বই লেখার জন্য একজন সাহিত্যের লোকের চেয়ে একজন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বেশি প্রয়োজন হয়।

    শেষমেশ, একটি বিষয় বলা দরকার—বিমান সংরক্ষণ মানেই শুধু যন্ত্রপাতির যত্ন নয়, বরং এটি একধরনের পোষ্য পালনের মতো। আপনি যেমন আপনার বিড়ালকে খাওয়ান, তার গায়ে হাত বুলান, মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান—তেমনি বিমানকেও “খাওয়াতে” হয় (ফুয়েল দিয়ে), তার শরীর ঘষে পরিষ্কার করতে হয়, এবং মাঝে মাঝে ওড়াতে হয় যেন তার মন খারাপ না হয়।

    তাই পরিশেষে বলা যায়, বিমান সংরক্ষণ শুধু বিজ্ঞান নয়, এটি শিল্প। এটি এমন এক ললিতকলা যেখানে গণিতের সূত্র, পদার্থবিদ্যার নিয়ম এবং খানিকটা হৃদয়ের আবেগ মিশে তৈরি হয় এক সুপ্ত ও শক্তিশালী জীবনরক্ষা প্রক্রিয়া। যদি কখনো কোনো বিমানে উঠে বসেন, মনে রাখবেন—এই উড়ন্ত দৈত্যটা অনেক গুনতি, অনেক ঘাম এবং শ্রমের বিনিময়েই আপনাকে নিয়ে উড়াল দিতে যাচ্ছে।

    আপনি যখন জানালার বাইরে তাকিয়ে ভাববেন, “আহা! আকাশ কত নীল!”—ঠিক তখনই বিমানের সেন্সররা হিসাব কষছে, “আমি কি এখনও উচ্চতায় ৩২,০০০ ফুটে, নাকি পাইলট কফির সময় ভুলে গেছেন অটোপাইলট অন করতে?”

    © Tubelight Media 2025

    আরও সুন্দর সুন্দর গল্প পড়তে চাইলে এখনই Taking Over BD পেজে যোগ দিন!

    আমাদের পোস্টে শেয়ার করুন, লাইক দিন, আর কমেন্ট করে যুক্ত হয়ে যান।
    আশা করি আমাদের প্রতিটি গল্প আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবে।

    চলুন, গল্পের জগতে হারিয়ে যাই!
    আপনি যদি ভেবে থাকেন বিমান সংরক্ষণ মানেই স্রেফ এটিকে কোথাও পার্ক করে রাখা, তাহলে আপনি একদম ভুল করছেন না, আবার একদম ঠিকও করছেন না। কারণ, বিমান হলো এমন এক বস্তু, যাকে ঠিক গ্যারাজে ঢুকিয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা যায় না। এতে থাকে ৬০ ফুট লম্বা ডানা, একেকটি ইঞ্জিনের ওজন প্রায় ৪,০০০ কেজি, আর প্রতিটি ছোটখাট বিমানেরও ন্যূনতম ১০ লাখের ওপরে যন্ত্রাংশ থাকে। এখানে আসল চ্যালেঞ্জটা হলো—এই বিমানের শরীর যেন মরিচা না ধরে, ইঞ্জিন যেন উল্টাপাল্টা না করে, আর ককপিটের নেভিগেশনগুলো যাতে ঠিকঠাক থাকে।। এজন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর গাণিতিক হিসাব। প্রথমত, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। বিমানের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেন ঘামতে না শুরু করে, তার জন্য হ্যাঙ্গারে তাপমাত্রা রাখতে হয় ২১ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। যদি এটি এক ডিগ্রি বাড়ে, তাহলে বিমানের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশের সম্প্রসারণ ঘটে ০.০০০১২ মিটার প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে। এটা শুনে মনে হতে পারে তেমন কিছু না, কিন্তু একটা বোয়িং ৭৭৭-এর ডানার দৈর্ঘ্য ৬০.৯ মিটার। কাজেই এক ডিগ্রিতে সেটি প্রায় ০.০০৭৩ মিটার বা ৭.৩ মিলিমিটার বাড়ে—মানে প্রায় একটা জামার বোতামের সমান। আর একটা জামার বোতামের সমান উল্টাপাল্টা ঘটনা মানেই মাঝ আকাশে বিশাল বিপদ। এবার আসি আর্দ্রতার কথায়। বিমানের ভেতর যদি বেশি আর্দ্রতা থাকে, তাহলে ইলেকট্রনিক সার্কিট বোর্ডে পানির কণা জমে গিয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে যেতে পারে। আর বিমানে শর্ট সার্কিট মানে অনেক সময় ‘আউচ!’ নয়, বরং ‘আউট!’ বলা। তাই আর্দ্রতা রাখতে হয় ৪৫% থেকে ৫০% এর মধ্যে। যদি ৫৫% হয়, তাহলে ককপিটের কাচে পানি জমে এবং পাইলটকে তখন নিজ হাতে উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়—যা সাধারণত তাদের জিএমএস (গ্লোবাল মেস সেন্স) স্কোরের সাথে যায় না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—টায়ারের সংরক্ষণ। বিমানের টায়ার দেখতে যতটা বড় এবং গম্ভীর, ততটাই সংবেদনশীল। একটি বিমানের টায়ার প্রতি স্কয়ার ইঞ্চিতে ২০০ PSI চাপ সহ্য করতে পারে, যা এক হাড়ভাঙা টেনিস বলের চাপের ১৪ গুণ বেশি। তাই দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলে টায়ার সমানভাবে চাপ না পেলে তা একপাশে বসে যেতে পারে। সমাধান? প্রতি ১৮ দিন অন্তর টায়ার ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে হয়, যেন সব অংশ সমানভাবে বসে। বিমানের টায়ার যেন “চেয়ার পটেটো” না হয়ে পড়ে! বিমানের ইঞ্জিন হলো এই গল্পের রাজা। ইঞ্জিন ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা হয়ে উঠতে পারে একজন সর্দিলাগা রোগীর মত। আপনি জানেন কি, প্রতি ৬ দিন অন্তর ইঞ্জিন ঘোরানো না হলে তার টারবাইন ব্লেডে ধুলো জমে গিয়ে ৪.৫% কর্মক্ষমতা কমে যায়? এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি ৩০ দিন ইঞ্জিন বন্ধ থাকে, তাহলে তাতে খনিজ তেল জমে গিয়ে একধরনের “অ্যালগেব্রিক ক্লগিং” হয়, যেখানে তেলের ঘনত্বের মান চলে যায় ১.৩৮ cP থেকে ২.২৯ cP—মানে এটি ঘন হয়ে আঠার মতো হয়ে যায়। তেল দিয়ে বিমান চালানো যায়, আঠা দিয়ে নয়। অনেকেই ভাবেন, বিমানের পেইন্ট বা রং শুধু দেখতে ভালো লাগার জন্য। আসলে এটি হল একধরনের তাপ-নিয়ন্ত্রক শিল্ড। যদি আপনি একটি সাদা রঙের বিমানকে মরুভূমিতে ফেলে রাখেন, তাও সে অন্তত ৪.৮ ডিগ্রি কম গরম হবে কালো রঙের তুলনায়। আর এই গরমের পার্থক্য মানে বিমানের ফিউজেলাজে প্রতি বর্গমিটারে ১২.৬ নিউটন অতিরিক্ত বল পড়বে—যা একেকটা স্ক্রুর ওপর ১.৮ কেজির চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি ভাবেন "বাহ! এটাও কি হিসাব করার জিনিস?"—তাহলে আপনি সম্ভবত বিমান প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করেননি, তাই আপনাকে দোষ দেওয়া যায় না। আর হ্যাঁ, পাখি! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—পাখি। আপনি যতই বিমানকে হ্যাঙ্গারে রাখুন না কেন, পাখিরা পছন্দ করে এর গা বেয়ে উঠে বসে থাকতে। প্রতি বছর শুধু এই পাখির বিষ্ঠার কারণে বিমানের বাহ্যিক অংশ পরিষ্কার করতে ব্যয় হয় প্রায় $১.৭ মিলিয়ন। আর বিমানে যদি পাখি বাসা বাঁধে, তবে সেটা হয় একেবারে জ্বালানি পাম্পের পাশে। একবার এক বিমানে ১৪টি চড়ুইয়ের বাসা পাওয়া গিয়েছিল—একটি ইঞ্জিনের মধ্যে। এতে শুধু পরিষ্কারের খরচই যায় $২৩,০০০। এবার আসি অদ্ভুত এক গবেষণায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে থাকা বিমানগুলোর ইন্টারনাল সেন্সররা ‌মানসিকভাবে‌ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একে বলে “instrument lag depression syndrome”—একধরনের অবস্থান যেখানে Altimeter বা উচ্চতা মাপার যন্ত্র ভুল তথ্য দিতে শুরু করে। ৩০ দিন পর দেখা যায়, প্রকৃত উচ্চতা ৩০০০ ফুট হলেও সেন্সর দেখায় ২৫০০ বা ৩৫০০। এই অবস্থায় কিছু বিমান সংস্থা তাদের বিমানগুলিকে "ঘুরতে" বের করে—মানে, সপ্তাহে একবার অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য আকাশে ওড়ানো হয়। যাতে বিমানের যন্ত্রপাতি মনে করে তারা এখনও জীবিত, এবং তাদের চাকরি এখনও আছে। একে বলে “maintenance flight,” কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে এটিকে ডাকা হয় “mental health flight.” মজার কথা হলো, বেশ কিছু সংস্থা আবার বিমানের মধ্যে “আনান্দ উৎসব” করে বিমান চালু রাখে—মানে ইঞ্জিন স্টার্ট করে, এয়ার কন্ডিশন চালায়, আলো জ্বালে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভুয়া বোর্ডিং করিয়ে ছবি তোলে। এসব কিছুই শুধুমাত্র যন্ত্রগুলোকে বোঝাতে যে, তারা অবহেলিত নয়। আপনি যদি ভাবেন, “বাহ, বিমানেরও অনুভূতি আছে?”—তাহলে আপনি একধাপ এগিয়ে আছেন মানবিক প্রযুক্তির দৃষ্টিভঙ্গিতে। এখন প্রশ্ন আসে—এই বিমানের সব কিছুর হিসাব রাখে কে? উত্তর—এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স লগ। এটি হলো একধরনের বিমান ডায়েরি, যেখানে লেখা থাকে—“আজ ডানার নিচে ২.১ মিলিমিটার চিপ দেখা গেছে। সম্ভবত লেজ ঘষা লেগেছে।” এটি প্রতি দিন, প্রতি ঘণ্টা, এমনকি প্রতি মিনিটে আপডেট করতে হয়। গড়পড়তা একটি বোয়িং ৭৮৭-এর মেইন্টেন্যান্স রিপোর্ট বছরে প্রায় ২,৩০০ পৃষ্ঠার হয়ে থাকে। এতো বড় বই লেখার জন্য একজন সাহিত্যের লোকের চেয়ে একজন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বেশি প্রয়োজন হয়। শেষমেশ, একটি বিষয় বলা দরকার—বিমান সংরক্ষণ মানেই শুধু যন্ত্রপাতির যত্ন নয়, বরং এটি একধরনের পোষ্য পালনের মতো। আপনি যেমন আপনার বিড়ালকে খাওয়ান, তার গায়ে হাত বুলান, মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান—তেমনি বিমানকেও “খাওয়াতে” হয় (ফুয়েল দিয়ে), তার শরীর ঘষে পরিষ্কার করতে হয়, এবং মাঝে মাঝে ওড়াতে হয় যেন তার মন খারাপ না হয়। তাই পরিশেষে বলা যায়, বিমান সংরক্ষণ শুধু বিজ্ঞান নয়, এটি শিল্প। এটি এমন এক ললিতকলা যেখানে গণিতের সূত্র, পদার্থবিদ্যার নিয়ম এবং খানিকটা হৃদয়ের আবেগ মিশে তৈরি হয় এক সুপ্ত ও শক্তিশালী জীবনরক্ষা প্রক্রিয়া। যদি কখনো কোনো বিমানে উঠে বসেন, মনে রাখবেন—এই উড়ন্ত দৈত্যটা অনেক গুনতি, অনেক ঘাম এবং শ্রমের বিনিময়েই আপনাকে নিয়ে উড়াল দিতে যাচ্ছে। আপনি যখন জানালার বাইরে তাকিয়ে ভাববেন, “আহা! আকাশ কত নীল!”—ঠিক তখনই বিমানের সেন্সররা হিসাব কষছে, “আমি কি এখনও উচ্চতায় ৩২,০০০ ফুটে, নাকি পাইলট কফির সময় ভুলে গেছেন অটোপাইলট অন করতে?” © Tubelight Media 2025 ✨ আরও সুন্দর সুন্দর গল্প পড়তে চাইলে এখনই 👉 Taking Over BD 👈 পেজে যোগ দিন! আমাদের পোস্টে 🎈 শেয়ার করুন, 👍 লাইক দিন, আর 🗣️ কমেন্ট করে যুক্ত হয়ে যান। আশা করি ❤️ আমাদের প্রতিটি গল্প 🌙 আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবে। 🔥 চলুন, গল্পের জগতে হারিয়ে যাই! ❤️
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 299 Views
  • 1.NEWS -এর পূর্ণরূপ North, East, West, South, (নিউজ) নর্থ, ইষ্ট, ওয়েষ্ট, সাউথ
    2.E-MAIL -এর পূর্ণরূপ Electronic Mail, (ই-মেইল) ইলেকট্রনিক মেইল
    3.GIF -এর পূর্ণরূপ Graphics interchange format, (গিফ) গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরমেট
    4.Date -এর পূর্ণরূপ Day and Time Evolution, (ডেট) ডে এন্ড টাইম ইভোলুশন।
    5.LCD -এর পূর্ণরূপ Liquid crystal display, (এলসিডি) লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে
    6. IT -এর পূর্ণরূপ Information technology, (আইটি) ইনফরমেশন টেকনোলজি
    7.IP -এর পূর্ণরূপ Internet protocol , (আইপি) ইন্টারনেট প্রোটোকল
    8.CD -এর পূর্ণরূপ Compact Disk, (সিডি) কম্প্যাক্ট ডিস্ক
    9.DVD -এর পূর্ণরূপ Digital Video Disk, (ডিভিডি) ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক
    10.PDF -এর পূর্ণরূপ Portable document format, (পিডিএফ) পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট
    11.OS -এর পূর্ণরূপ Operating System, (ওসি) অপারেটিং সিস্টেম
    12.ISO -এর পূর্ণরূপ International standards organization(কম্পিউটার ফাইল), International Organization for Standardization(বিশ্ব মার্ক), (আইএসও) ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানিজশন,
    13.PC -এর পূর্ণরূপ Personal Computer, (পিসি) পার্সোনাল কম্পিউটার
    14.CPU -এর পূর্ণরূপ Central Processing Unit, (সিপিইউ) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট
    15.RAM -এর পূর্ণরূপ Random Access Memory, (রেম) রান্ডম এক্সেস মেমোরি
    16.ROM -এর পূর্ণরূপ Read Only Memory, (রোম) রিড অনলি মেমোরি
    17.BIOS -এর পূর্ণরূপ Basic Input Output System, (বায়োস) বেসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম
    18.HDD -এর পূর্ণরূপ Hard Disk Drive, (এইচডিডি) হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ
    19.HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol.
    20.HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol Secure.
    21.URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator.
    22.VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information Resourc Under Seized.
    23.HTML -এর পূর্ণরূপ Hyper Text Mark Up Language, (এইচটিএমএল) হাইপার টেক্সট মার্ক উপ ল্যাঙ্গুয়েজে
    24.KB -এর পূর্ণরূপ Kilo Byte, (কেবি) কিলো বাইট
    25.MB -এর পূর্ণরূপ Mega Byte, (এমবি) মেগা বাইট
    26.GB -এর পূর্ণরূপ Giga Byte, (জিবি) গিগা বাইট
    27.TB -এর পূর্ণরূপ Tera Byte ,(টিবি) তেরা বাইট
    28.FDD -এর পূর্ণরূপ Floppy Disk Drive, (এফডিডি) ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ
    অজয়
    29.WiMAX -এর পূর্ণরূপ Worldwide Interoperability for Microwave Access
    (উইমাক্স) ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টেরোপেরাবিলিটি ফর মাইক্রোওয়েভ এক্সেস
    30.SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module.
    31. 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation.
    32.GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile Communication.
    33.CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple Access.
    34.UMTS এর পূর্ণরূপ — Universal Mobile Telecommunication System.
    35.ICT -এর পূর্ণরূপ Information and Communication Technology , (আইসিটি) ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি
    36.WWW -এর পূর্ণরূপ World Wide Web, (WWW) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব
    37.V.C- এর পূর্ণরূপ — Vice Chancellor, (ভিসি) ভাইস-চ্যাঞ্চেলর
    38.D.C- এর পূর্ণরূপ— District Commissioner/ Deputy Commissioner,(ডিসি) ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার/ ডেপুটি কমিশনার
    39.A.M - এর পূর্ণরূপ — Ante meridian.
    40.P.M - এর পূর্ণরূপ — Post meridian.
    41.GPA,5 - এর পূর্ণরূপ—Grade point Average
    42.J.S.C - এর পূর্ণরূপ — Junior School Certificate.
    43.J.D.C - এর পূর্ণরূপ — Junior Dakhil Certificate.
    44.S.S.C - এর পূর্ণরূপ — Secondary School Certificate.
    45.H.S.C - এর পূর্ণরূপ — Higher Secondary Certificate.
    অজয়
    46.B. A - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Arts.
    47.M.A. - এর পূর্ণরূপ — Master of Arts.
    48.M.D. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Medicine./ Managing director.
    49.M.S. - এর পূর্ণরূপ — Master of Surgery.
    50.B.Sc. Ag. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Science in Agriculture .
    51.M.Sc.Ag.- এর পূর্ণরূপ — Master of Science in Agriculture.
    52.B.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Science.
    53.M.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Master of Science.
    54.D.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Science.
    55.B.C.O.M - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Commerce.
    56.M.C.O.M - এর পূর্ণরূপ — Master of Commerce.
    57.B.ed - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of education.
    58.B.B.S - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Business Studies.
    59.B.S.S - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Social Science/Study.
    60.B.B.A - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Business Administration
    61.M.B.A - এর পূর্ণরূপ — এর পূর্নরূপ — Masters of Business Administration.
    62.B.C.S - এর পূর্ণরূপ — Bangladesh Civil Service.
    অজয়
    63.M.B.B.S. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Medicine, Bachelor of Surgery.
    64.Ph.D./ D.Phil. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Philosophy (Arts & Science)
    65.D.Litt./Lit. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Literature/ Doctor of Letters.
    66.Dr. - এর পূর্ণরূপ — Doctor.
    67.Mr. - এর পূর্ণরূপ — Mister.
    68.Mrs. - এর পূর্ণরূপ — Mistress.
    69.M.P. - এর পূর্ণরূপ — Member of Parliament.
    70.M.L.A. - এর পূর্ণরূপ— Member of Legislative Assembly.
    71.M.L.C - এর পূর্ণরূপ — Member of Legislative Council.
    72.P.M. - এর পূর্ণরূপ — Prime Minister.
    73.V.P - এর পূর্ণরূপ — Vice President./ Vice Principal.
    অজয়
    74.V.C- এর পূর্ণরূপ — Vice Chancellor.
    75.D.C- এর পূর্ণরূপ— District Commissioner/ Deputy Commissioner.
    76.S.P- এর পূর্ণরূপ — Superintendent of police
    77.S.I - এর পূর্ণরূপ — Sub Inspector Police.
    78.CGPA-এর পূর্নরূপ–Cumulative Grade Point Average
    79.Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity.
    80.RTS এর পূর্ণরূপ — Real Time Streaming
    81.AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave
    82.SIS এর পূর্ণরূপ — Symbian OS Installer File
    83.AMR এর পূর্ণরূপ — Adaptive Multi-Rate Codec
    অজয়
    84.JAD এর পূর্ণরূপ — Java Application Descriptor
    85. JAR এর পূর্ণরূপ — Java Archive
    86.MP3 এর পূর্ণরূপ — MPEG player lll
    87.3GPP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Partnership Project
    88.3GP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Project
    89.AAC এর পূর্ণরূপ — Advanced Audio Coding
    90.BMP এর পূর্ণরূপ — Bitmap
    91.JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic Expert Group
    92.SWF এর পূর্ণরূপ — Shock Wave Flash
    93.WMV এর পূর্ণরূপ — Windows Media Video
    94.WMA এর পূর্ণরূপ — Windows Media Audio
    95.WAV এর পূর্ণরূপ — Waveform Audio
    96.PNG এর পূর্ণরূপ — Portable Network Graphics
    97.DOC এর পূর্ণরূপ — Docoment (Microsoft Corporation)
    98.M3G এর পূর্ণরূপ — Mobile 3D Graphics
    99.M4A এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 Audio File
    100.NTH এর পূর্ণরূপ — Nokia Theme(series 40)
    101.THM এর পূর্ণরূপ — Themes (Sony Ericsson)
    102.MMF এর পূর্ণরূপ — Synthetic Music Mobile Application File
    103.NRT এর পূর্ণরূপ — Nokia Ringtone
    104.XMF এর পূর্ণরূপ — Extensible Music File
    105.WBMP এর পূর্ণরূপ — Wireless Bitmap Image
    106.DVX এর পূর্ণরূপ — DivX Video
    107.HTML এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Markup Language
    108.WML এর পূর্ণরূপ — Wireless Markup Language
    109.CRT — Cathode Ray Tube.
    110.DAT এর পূর্ণরূপ — Digital Audio Tape.
    111.DOS এর পূর্ণরূপ — Disk Operating System.
    112.GUI এর পূর্ণরূপ — Graphical User Interface.
    113.ISP এর পূর্ণরূপ — Internet Service Provider.
    114.TCP এর পূর্ণরূপ — Transmission ControlProtocol.
    115.UPS এর পূর্ণরূপ — Uninterruptible Power Supply.
    116.HSDPA এর পূর্ণরূপ — High Speed Downlink Packet Access.
    117.EDGE এর পূর্ণরূপ — Enhanced Data Rate for
    118.GSM [Global System for Mobile Communication]
    119.VHF এর পূর্ণরূপ — Very High Frequency.
    120.UHF এর পূর্ণরূপ — Ultra High Frequency.
    121.GPRS এর পূর্ণরূপ — General Packet Radio Service.
    122.WAP এর পূর্ণরূপ — Wireless Application Protocol.
    123.ARPANET এর পূর্ণরূপ — Advanced Research Project Agency Network.
    124.IBM এর পূর্ণরূপ — International Business Machines.
    125.HP এর পূর্ণরূপ — Hewlett Packard.
    126.AM/FM এর পূর্ণরূপ — Amplitude/ Frequency Modulation.
    127.WLAN এর পূর্ণরূপ — Wireless Local Area Network
    128.USB এর পূর্ণরূপ — Universal Serial Bus.
    129.HD এর পূর্ণরূপ — High Definition
    130.APK এর পূর্ণরূপ — Android application package.
    131.BCS এর পূর্ণরূপ — Bangladesh Civil Service
    132.NCTB এর পূর্ণরূপ — National Curriculam & Text Book
    133.DPE এর পূর্ণরূপ — Directorate of Primary Education
    134.MBA এর পূর্ণরূপ — Master of Business Administration
    অজয়
    135.LLB এর পূর্ণরূপ — Bachelor Of Law
    136.VIP এর পূর্ণরূপ — Very Important Person
    137.UNICEF এর পূর্ণরূপ — United Nations International Children's Emergency Fund
    138.OK এর পূর্ণরূপ — All Correct
    139.এক্সেল — এক্সেল একটি হিসাব রক্ষার কাজে ব্যবহৃত প্রোগ্রাম।
    140.FBC এর পূর্ণরূপ — Federal bureau corporation
    141.fb এর পূর্ণরূপ — Foreign body/ Facebook
    142.ABC এর পূর্ণরূপ — Alphabetically Based Computerized
    143.DDR এর পূর্ণরূপ — Double data rate
    144.VAT – এর পূর্নরূপ — Value Added Tax (মুল্য সংযোজন কর)
    145.XY এর পূর্ণরূপ — Male Chromosome
    146.XXY এর পূর্ণরূপ — Klinefelter Syndrome chromosomes
    147.A-Level এর পূর্নরূপ — Advanced Level
    148.BL এর পূর্নরূপ — Bachelor Of Law
    149.YAHOO--Yet Another Hierarchical Officious Oracle.
    150.BTV এর পূর্নরূপ — Bangladesh Television
    151.LP এর পূর্নরূপ — Long Playing
    অজয়
    152.PIN এর পূর্নরূপ — Postal Index Number
    153.KG এর পূর্নরূপ — KiloGram / Kindergarten
    154.Mbps. = Mega bits per second
    MB/s. = Mega byte per second
    155.DJ- এর পূর্নরূপ — Disc jockey
    156.OTG – এর পূর্নরূপ — On The Go2021 Year
    1.NEWS -এর পূর্ণরূপ North, East, West, South, (নিউজ) নর্থ, ইষ্ট, ওয়েষ্ট, সাউথ
    2.E-MAIL -এর পূর্ণরূপ Electronic Mail, (ই-মেইল) ইলেকট্রনিক মেইল
    3.GIF -এর পূর্ণরূপ Graphics interchange format, (গিফ) গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরমেট
    4.Date -এর পূর্ণরূপ Day and Time Evolution, (ডেট) ডে এন্ড টাইম ইভোলুশন।
    5.LCD -এর পূর্ণরূপ Liquid crystal display, (এলসিডি) লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে
    6. IT -এর পূর্ণরূপ Information technology, (আইটি) ইনফরমেশন টেকনোলজি
    7.IP -এর পূর্ণরূপ Internet protocol , (আইপি) ইন্টারনেট প্রোটোকল
    8.CD -এর পূর্ণরূপ Compact Disk, (সিডি) কম্প্যাক্ট ডিস্ক
    9.DVD -এর পূর্ণরূপ Digital Video Disk, (ডিভিডি) ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক
    10.PDF -এর পূর্ণরূপ Portable document format, (পিডিএফ) পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট
    11.OS -এর পূর্ণরূপ Operating System, (ওসি) অপারেটিং সিস্টেম
    12.ISO -এর পূর্ণরূপ International standards organization(কম্পিউটার ফাইল), International Organization for Standardization(বিশ্ব মার্ক), (আইএসও) ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানিজশন,
    অজয়
    13.PC -এর পূর্ণরূপ Personal Computer, (পিসি) পার্সোনাল কম্পিউটার
    14.CPU -এর পূর্ণরূপ Central Processing Unit, (সিপিইউ) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট
    15.RAM -এর পূর্ণরূপ Random Access Memory, (রেম) রান্ডম এক্সেস মেমোরি
    16.ROM -এর পূর্ণরূপ Read Only Memory, (রোম) রিড অনলি মেমোরি
    17.BIOS -এর পূর্ণরূপ Basic Input Output System, (বায়োস) বেসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম
    18.HDD -এর পূর্ণরূপ Hard Disk Drive, (এইচডিডি) হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ
    19.HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol.
    অজয়
    20.HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol Secure.
    21.URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator.
    22.VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information Resourc Under Seized.
    23.HTML -এর পূর্ণরূপ Hyper Text Mark Up Language, (এইচটিএমএল) হাইপার টেক্সট মার্ক উপ ল্যাঙ্গুয়েজে
    24.KB -এর পূর্ণরূপ Kilo Byte, (কেবি) কিলো বাইট
    25.MB -এর পূর্ণরূপ Mega Byte, (এমবি) মেগা বাইট
    26.GB -এর পূর্ণরূপ Giga Byte, (জিবি) গিগা বাইট
    27.TB -এর পূর্ণরূপ Tera Byte ,(টিবি) তেরা বাইট
    28.FDD -এর পূর্ণরূপ Floppy Disk Drive, (এফডিডি) ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ
    অজয়
    29.WiMAX -এর পূর্ণরূপ Worldwide Interoperability for Microwave Access
    (উইমাক্স) ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টেরোপেরাবিলিটি ফর মাইক্রোওয়েভ এক্সেস
    30.SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module.
    31. 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation.
    32.GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile Communication.
    33.CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple Access.
    অজয়
    34.UMTS এর পূর্ণরূপ — Universal Mobile Telecommunication System.
    35.ICT -এর পূর্ণরূপ Information and Communication Technology , (আইসিটি) ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি
    36.WWW -এর পূর্ণরূপ World Wide Web, (WWW) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব
    37.V.C- এর পূর্ণরূপ — Vice Chancellor, (ভিসি) ভাইস-চ্যাঞ্চেলর
    38.D.C- এর পূর্ণরূপ— District Commissioner/ Deputy Commissioner,(ডিসি) ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার/ ডেপুটি কমিশনার
    39.A.M - এর পূর্ণরূপ — Ante meridian.
    40.P.M - এর পূর্ণরূপ — Post meridian.
    41.GPA,5 - এর পূর্ণরূপ—Grade point Average
    42.J.S.C - এর পূর্ণরূপ — Junior School Certificate.
    43.J.D.C - এর পূর্ণরূপ — Junior Dakhil Certificate.
    44.S.S.C - এর পূর্ণরূপ — Secondary School Certificate.
    অজয়
    45.H.S.C - এর পূর্ণরূপ — Higher Secondary Certificate.
    46.B. A - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Arts.
    47.M.A. - এর পূর্ণরূপ — Master of Arts.
    48.M.D. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Medicine./ Managing director.
    49.M.S. - এর পূর্ণরূপ — Master of Surgery.
    50.B.Sc. Ag. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Science in Agriculture .
    51.M.Sc.Ag.- এর পূর্ণরূপ — Master of Science in Agriculture.
    অজয়
    52.B.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Science.
    53.M.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Master of Science.
    54.D.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Science.
    55.B.C.O.M - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Commerce.
    56.M.C.O.M - এর পূর্ণরূপ — Master of Commerce.
    57.B.ed - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of education.
    58.B.B.S - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Business Studies.
    59.B.S.S - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Social Science/Study.
    60.B.B.A - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Business Administration
    61.M.B.A - এর পূর্ণরূপ — এর পূর্নরূপ — Masters of Business Administration.
    62.B.C.S - এর পূর্ণরূপ — Bangladesh Civil Service.
    63.M.B.B.S. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Medicine, Bachelor of Surgery.
    অজয়
    64.Ph.D./ D.Phil. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Philosophy (Arts & Science)
    65.D.Litt./Lit. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Literature/ Doctor of Letters.
    66.Dr. - এর পূর্ণরূপ — Doctor.
    67.Mr. - এর পূর্ণরূপ — Mister.
    68.Mrs. - এর পূর্ণরূপ — Mistress.
    69.M.P. - এর পূর্ণরূপ — Member of Parliament.
    70.M.L.A. - এর পূর্ণরূপ— Member of Legislative Assembly.
    71.M.L.C - এর পূর্ণরূপ — Member of Legislative Council.
    72.P.M. - এর পূর্ণরূপ — Prime Minister.
    73.V.P - এর পূর্ণরূপ — Vice President./ Vice Principal.
    74.V.C- এর পূর্ণরূপ — Vice Chancellor.
    75.D.C- এর পূর্ণরূপ— District Commissioner/ Deputy Commissioner.
    অজয়
    76.S.P- এর পূর্ণরূপ — Superintendent of police
    77.S.I - এর পূর্ণরূপ — Sub Inspector Police.
    78.CGPA-এর পূর্নরূপ–Cumulative Grade Point Average
    79.Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity.
    80.RTS এর পূর্ণরূপ — Real Time Streaming
    81.AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave
    82.SIS এর পূর্ণরূপ — Symbian OS Installer File
    83.AMR এর পূর্ণরূপ — Adaptive Multi-Rate Codec
    84.JAD এর পূর্ণরূপ — Java Application Descriptor
    85. JAR এর পূর্ণরূপ — Java Archive
    86.MP3 এর পূর্ণরূপ — MPEG player lll
    87.3GPP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Partnership Project
    88.3GP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Project
    89.AAC এর পূর্ণরূপ — Advanced Audio Coding
    90.BMP এর পূর্ণরূপ — Bitmap
    91.JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic Expert Group
    92.SWF এর পূর্ণরূপ — Shock Wave Flash
    অজয়
    93.WMV এর পূর্ণরূপ — Windows Media Video
    94.WMA এর পূর্ণরূপ — Windows Media Audio
    95.WAV এর পূর্ণরূপ — Waveform Audio
    96.PNG এর পূর্ণরূপ — Portable Network Graphics
    97.DOC এর পূর্ণরূপ — Docoment (Microsoft Corporation)
    98.M3G এর পূর্ণরূপ — Mobile 3D Graphics
    99.M4A এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 Audio File
    100.NTH এর পূর্ণরূপ — Nokia Theme(series 40)
    101.THM এর পূর্ণরূপ — Themes (Sony Ericsson)
    102.MMF এর পূর্ণরূপ — Synthetic Music Mobile Application File
    103.NRT এর পূর্ণরূপ — Nokia Ringtone
    104.XMF এর পূর্ণরূপ — Extensible Music File
    105.WBMP এর পূর্ণরূপ — Wireless Bitmap Image
    106.DVX এর পূর্ণরূপ — DivX Video
    107.HTML এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Markup Language
    108.WML এর পূর্ণরূপ — Wireless Markup Language
    অজয়
    109.CRT — Cathode Ray Tube.
    110.DAT এর পূর্ণরূপ — Digital Audio Tape.
    111.DOS এর পূর্ণরূপ — Disk Operating System.
    112.GUI এর পূর্ণরূপ — Graphical User Interface.
    113.ISP এর পূর্ণরূপ — Internet Service Provider.
    114.TCP এর পূর্ণরূপ — Transmission ControlProtocol.
    115.UPS এর পূর্ণরূপ — Uninterruptible Power Supply.
    116.HSDPA এর পূর্ণরূপ — High Speed Downlink Packet Access.
    117.EDGE এর পূর্ণরূপ — Enhanced Data Rate for
    118.GSM [Global System for Mobile Communication]
    119.VHF এর পূর্ণরূপ — Very High Frequency.
    120.UHF এর পূর্ণরূপ — Ultra High Frequency.
    121.GPRS এর পূর্ণরূপ — General Packet Radio Service.
    122.WAP এর পূর্ণরূপ — Wireless Application Protocol.
    123.ARPANET এর পূর্ণরূপ — Advanced Research Project Agency Network.
    124.IBM এর পূর্ণরূপ — International Business Machines.
    125.HP এর পূর্ণরূপ — Hewlett Packard.
    126.AM/FM এর পূর্ণরূপ — Amplitude/ Frequency Modulation.
    127.WLAN এর পূর্ণরূপ — Wireless Local Area Network
    অজয়
    128.USB এর পূর্ণরূপ — Universal Serial Bus.
    129.HD এর পূর্ণরূপ — High Definition
    130.APK এর পূর্ণরূপ — Android application package.
    131.BCS এর পূর্ণরূপ — Bangladesh Civil Service
    132.NCTB এর পূর্ণরূপ — National Curriculam & Text Book
    133.DPE এর পূর্ণরূপ — Directorate of Primary Education
    134.MBA এর পূর্ণরূপ — Master of Business Administration
    135.LLB এর পূর্ণরূপ — Bachelor Of Law
    136.VIP এর পূর্ণরূপ — Very Important Person
    137.UNICEF এর পূর্ণরূপ — United Nations International Children's Emergency Fund
    138.OK এর পূর্ণরূপ — All Correct
    139.এক্সেল — এক্সেল একটি হিসাব রক্ষার কাজে ব্যবহৃত প্রোগ্রাম।
    140.FBC এর পূর্ণরূপ — Federal bureau corporation
    অজয়
    141.fb এর পূর্ণরূপ — Foreign body/ Facebook
    142.ABC এর পূর্ণরূপ — Alphabetically Based Computerized
    143.DDR এর পূর্ণরূপ — Double data rate
    144.VAT – এর পূর্নরূপ — Value Added Tax (মুল্য সংযোজন কর)
    145.XY এর পূর্ণরূপ — Male Chromosome
    146.XXY এর পূর্ণরূপ — Klinefelter Syndrome chromosomes
    147.A-Level এর পূর্নরূপ — Advanced Level
    148.BL এর পূর্নরূপ — Bachelor Of Law
    149.YAHOO--Yet Another Hierarchical Officious Oracle.
    150.BTV এর পূর্নরূপ — Bangladesh Television
    151.LP এর পূর্নরূপ — Long Playing
    152.PIN এর পূর্নরূপ — Postal Index Number
    153.KG এর পূর্নরূপ — KiloGram / Kindergarten
    154.Mbps. = Mega bits per second
    MB/s. = Mega byte per second
    155.DJ- এর পূর্নরূপ — Disc jockey
    156.OTG – এর পূর্নরূপ — On The Go
    -
    Follow sikkhabarta educational post
    1.ℹ️NEWS -এর পূর্ণরূপ North, East, West, South, (নিউজ) নর্থ, ইষ্ট, ওয়েষ্ট, সাউথ 2.ℹ️E-MAIL -এর পূর্ণরূপ Electronic Mail, (ই-মেইল) ইলেকট্রনিক মেইল 3.ℹ️GIF -এর পূর্ণরূপ Graphics interchange format, (গিফ) গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরমেট 4.ℹ️Date -এর পূর্ণরূপ Day and Time Evolution, (ডেট) ডে এন্ড টাইম ইভোলুশন। 5.ℹ️LCD -এর পূর্ণরূপ Liquid crystal display, (এলসিডি) লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে 6.ℹ️ IT -এর পূর্ণরূপ Information technology, (আইটি) ইনফরমেশন টেকনোলজি 7.ℹ️IP -এর পূর্ণরূপ Internet protocol , (আইপি) ইন্টারনেট প্রোটোকল 8.ℹ️CD -এর পূর্ণরূপ Compact Disk, (সিডি) কম্প্যাক্ট ডিস্ক 9.ℹ️DVD -এর পূর্ণরূপ Digital Video Disk, (ডিভিডি) ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক 10.ℹ️PDF -এর পূর্ণরূপ Portable document format, (পিডিএফ) পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট 11.ℹ️OS -এর পূর্ণরূপ Operating System, (ওসি) অপারেটিং সিস্টেম 12.ℹ️ISO -এর পূর্ণরূপ International standards organization(কম্পিউটার ফাইল), International Organization for Standardization(বিশ্ব মার্ক), (আইএসও) ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানিজশন, 13.ℹ️PC -এর পূর্ণরূপ Personal Computer, (পিসি) পার্সোনাল কম্পিউটার 14.ℹ️CPU -এর পূর্ণরূপ Central Processing Unit, (সিপিইউ) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট 15.ℹ️RAM -এর পূর্ণরূপ Random Access Memory, (রেম) রান্ডম এক্সেস মেমোরি 16.ℹ️ROM -এর পূর্ণরূপ Read Only Memory, (রোম) রিড অনলি মেমোরি 17.ℹ️BIOS -এর পূর্ণরূপ Basic Input Output System, (বায়োস) বেসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম 18.ℹ️HDD -এর পূর্ণরূপ Hard Disk Drive, (এইচডিডি) হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ 19.ℹ️HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol. 20.ℹ️HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol Secure. 21.ℹ️URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator. 22.ℹ️VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information Resourc Under Seized. 23.ℹ️HTML -এর পূর্ণরূপ Hyper Text Mark Up Language, (এইচটিএমএল) হাইপার টেক্সট মার্ক উপ ল্যাঙ্গুয়েজে 24.ℹ️KB -এর পূর্ণরূপ Kilo Byte, (কেবি) কিলো বাইট 25.ℹ️MB -এর পূর্ণরূপ Mega Byte, (এমবি) মেগা বাইট 26.ℹ️GB -এর পূর্ণরূপ Giga Byte, (জিবি) গিগা বাইট 27.ℹ️TB -এর পূর্ণরূপ Tera Byte ,(টিবি) তেরা বাইট 28.ℹ️FDD -এর পূর্ণরূপ Floppy Disk Drive, (এফডিডি) ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ অজয় 29.ℹ️WiMAX -এর পূর্ণরূপ Worldwide Interoperability for Microwave Access (উইমাক্স) ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টেরোপেরাবিলিটি ফর মাইক্রোওয়েভ এক্সেস 30.ℹ️SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module. 31. 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation. 32.ℹ️GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile Communication. 33.ℹ️CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple Access. 34.ℹ️UMTS এর পূর্ণরূপ — Universal Mobile Telecommunication System. 35.ℹ️ICT -এর পূর্ণরূপ Information and Communication Technology , (আইসিটি) ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি 36.ℹ️WWW -এর পূর্ণরূপ World Wide Web, (WWW) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব 37.ℹ️V.C- এর পূর্ণরূপ — Vice Chancellor, (ভিসি) ভাইস-চ্যাঞ্চেলর 38.ℹ️D.C- এর পূর্ণরূপ— District Commissioner/ Deputy Commissioner,(ডিসি) ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার/ ডেপুটি কমিশনার 39.ℹ️A.M - এর পূর্ণরূপ — Ante meridian. 40.ℹ️P.M - এর পূর্ণরূপ — Post meridian. 41.ℹ️GPA,5 - এর পূর্ণরূপ—Grade point Average 42.ℹ️J.S.C - এর পূর্ণরূপ — Junior School Certificate. 43.ℹ️J.D.C - এর পূর্ণরূপ — Junior Dakhil Certificate. 44.ℹ️S.S.C - এর পূর্ণরূপ — Secondary School Certificate. 45.ℹ️H.S.C - এর পূর্ণরূপ — Higher Secondary Certificate. অজয় 46.ℹ️B. A - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Arts. 47.ℹ️M.A. - এর পূর্ণরূপ — Master of Arts. 48.ℹ️M.D. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Medicine./ Managing director. 49.ℹ️M.S. - এর পূর্ণরূপ — Master of Surgery. 50.ℹ️B.Sc. Ag. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Science in Agriculture . 51.ℹ️M.Sc.Ag.- এর পূর্ণরূপ — Master of Science in Agriculture. 52.ℹ️B.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Science. 53.ℹ️M.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Master of Science. 54.ℹ️D.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Science. 55.ℹ️B.C.O.M - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Commerce. 56.ℹ️M.C.O.M - এর পূর্ণরূপ — Master of Commerce. 57.ℹ️B.ed - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of education. 58.ℹ️B.B.S - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Business Studies. 59.ℹ️B.S.S - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Social Science/Study. 60.ℹ️B.B.A - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Business Administration 61.ℹ️M.B.A - এর পূর্ণরূপ — এর পূর্নরূপ — Masters of Business Administration. 62.ℹ️B.C.S - এর পূর্ণরূপ — Bangladesh Civil Service. অজয় 63.ℹ️M.B.B.S. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Medicine, Bachelor of Surgery. 64.ℹ️Ph.D./ D.Phil. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Philosophy (Arts & Science) 65.ℹ️D.Litt./Lit. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Literature/ Doctor of Letters. 66.ℹ️Dr. - এর পূর্ণরূপ — Doctor. 67.ℹ️Mr. - এর পূর্ণরূপ — Mister. 68.ℹ️Mrs. - এর পূর্ণরূপ — Mistress. 69.ℹ️M.P. - এর পূর্ণরূপ — Member of Parliament. 70.ℹ️M.L.A. - এর পূর্ণরূপ— Member of Legislative Assembly. 71.ℹ️M.L.C - এর পূর্ণরূপ — Member of Legislative Council. 72.ℹ️P.M. - এর পূর্ণরূপ — Prime Minister. 73.ℹ️V.P - এর পূর্ণরূপ — Vice President./ Vice Principal. অজয় 74.ℹ️V.C- এর পূর্ণরূপ — Vice Chancellor. 75.ℹ️D.C- এর পূর্ণরূপ— District Commissioner/ Deputy Commissioner. 76.ℹ️S.P- এর পূর্ণরূপ — Superintendent of police 77.ℹ️S.I - এর পূর্ণরূপ — Sub Inspector Police. 78.ℹ️CGPA-এর পূর্নরূপ–Cumulative Grade Point Average 79.ℹ️Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity. 80.ℹ️RTS এর পূর্ণরূপ — Real Time Streaming 81.ℹ️AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave 82.ℹ️SIS এর পূর্ণরূপ — Symbian OS Installer File 83.ℹ️AMR এর পূর্ণরূপ — Adaptive Multi-Rate Codec অজয় 84.ℹ️JAD এর পূর্ণরূপ — Java Application Descriptor 85.ℹ️ JAR এর পূর্ণরূপ — Java Archive 86.ℹ️MP3 এর পূর্ণরূপ — MPEG player lll 87.ℹ️3GPP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Partnership Project 88.ℹ️3GP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Project 89.ℹ️AAC এর পূর্ণরূপ — Advanced Audio Coding 90.ℹ️BMP এর পূর্ণরূপ — Bitmap 91.ℹ️JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic Expert Group 92.ℹ️SWF এর পূর্ণরূপ — Shock Wave Flash 93.ℹ️WMV এর পূর্ণরূপ — Windows Media Video 94.ℹ️WMA এর পূর্ণরূপ — Windows Media Audio 95.ℹ️WAV এর পূর্ণরূপ — Waveform Audio 96.ℹ️PNG এর পূর্ণরূপ — Portable Network Graphics 97.ℹ️DOC এর পূর্ণরূপ — Docoment (Microsoft Corporation) 98.ℹ️M3G এর পূর্ণরূপ — Mobile 3D Graphics 99.ℹ️M4A এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 Audio File 100.ℹ️NTH এর পূর্ণরূপ — Nokia Theme(series 40) 101.ℹ️THM এর পূর্ণরূপ — Themes (Sony Ericsson) 102.ℹ️MMF এর পূর্ণরূপ — Synthetic Music Mobile Application File 103.ℹ️NRT এর পূর্ণরূপ — Nokia Ringtone 104.ℹ️XMF এর পূর্ণরূপ — Extensible Music File 105.ℹ️WBMP এর পূর্ণরূপ — Wireless Bitmap Image 106.ℹ️DVX এর পূর্ণরূপ — DivX Video 107.ℹ️HTML এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Markup Language 108.ℹ️WML এর পূর্ণরূপ — Wireless Markup Language 109.ℹ️CRT — Cathode Ray Tube. 110.ℹ️DAT এর পূর্ণরূপ — Digital Audio Tape. 111.ℹ️DOS এর পূর্ণরূপ — Disk Operating System. 112.ℹ️GUI এর পূর্ণরূপ — Graphical User Interface. 113.ℹ️ISP এর পূর্ণরূপ — Internet Service Provider. 114.ℹ️TCP এর পূর্ণরূপ — Transmission ControlProtocol. 115.ℹ️UPS এর পূর্ণরূপ — Uninterruptible Power Supply. 116.ℹ️HSDPA এর পূর্ণরূপ — High Speed Downlink Packet Access. 117.ℹ️EDGE এর পূর্ণরূপ — Enhanced Data Rate for 118.ℹ️GSM [Global System for Mobile Communication] 119.ℹ️VHF এর পূর্ণরূপ — Very High Frequency. 120.ℹ️UHF এর পূর্ণরূপ — Ultra High Frequency. 121.ℹ️GPRS এর পূর্ণরূপ — General Packet Radio Service. 122.ℹ️WAP এর পূর্ণরূপ — Wireless Application Protocol. 123.ℹ️ARPANET এর পূর্ণরূপ — Advanced Research Project Agency Network. 124.ℹ️IBM এর পূর্ণরূপ — International Business Machines. 125.ℹ️HP এর পূর্ণরূপ — Hewlett Packard. 126.ℹ️AM/FM এর পূর্ণরূপ — Amplitude/ Frequency Modulation. 127.ℹ️WLAN এর পূর্ণরূপ — Wireless Local Area Network 128.ℹ️USB এর পূর্ণরূপ — Universal Serial Bus. 129.ℹ️HD এর পূর্ণরূপ — High Definition 130.ℹ️APK এর পূর্ণরূপ — Android application package. 131.ℹ️BCS এর পূর্ণরূপ — Bangladesh Civil Service 132.ℹ️NCTB এর পূর্ণরূপ — National Curriculam & Text Book 133.ℹ️DPE এর পূর্ণরূপ — Directorate of Primary Education 134.ℹ️MBA এর পূর্ণরূপ — Master of Business Administration অজয় 135.ℹ️LLB এর পূর্ণরূপ — Bachelor Of Law 136.ℹ️VIP এর পূর্ণরূপ — Very Important Person 137.ℹ️UNICEF এর পূর্ণরূপ — United Nations International Children's Emergency Fund 138.ℹ️OK এর পূর্ণরূপ — All Correct 139.ℹ️এক্সেল — এক্সেল একটি হিসাব রক্ষার কাজে ব্যবহৃত প্রোগ্রাম। 140.ℹ️FBC এর পূর্ণরূপ — Federal bureau corporation 141.ℹ️fb এর পূর্ণরূপ — Foreign body/ Facebook 142.ℹ️ABC এর পূর্ণরূপ — Alphabetically Based Computerized 143.ℹ️DDR এর পূর্ণরূপ — Double data rate 144.ℹ️VAT – এর পূর্নরূপ — Value Added Tax (মুল্য সংযোজন কর) 145.ℹ️XY এর পূর্ণরূপ — Male Chromosome 146.ℹ️XXY এর পূর্ণরূপ — Klinefelter Syndrome chromosomes 147.ℹ️A-Level এর পূর্নরূপ — Advanced Level 148.ℹ️BL এর পূর্নরূপ — Bachelor Of Law 149.ℹ️YAHOO--Yet Another Hierarchical Officious Oracle. 150.ℹ️BTV এর পূর্নরূপ — Bangladesh Television 151.ℹ️LP এর পূর্নরূপ — Long Playing অজয় 152.ℹ️PIN এর পূর্নরূপ — Postal Index Number 153.ℹ️KG এর পূর্নরূপ — KiloGram / Kindergarten 154.ℹ️Mbps. = Mega bits per second MB/s. = Mega byte per second 155.ℹ️DJ- এর পূর্নরূপ — Disc jockey 156.ℹ️OTG – এর পূর্নরূপ — On The Go2021 Year 1.ℹ️NEWS -এর পূর্ণরূপ North, East, West, South, (নিউজ) নর্থ, ইষ্ট, ওয়েষ্ট, সাউথ 2.ℹ️E-MAIL -এর পূর্ণরূপ Electronic Mail, (ই-মেইল) ইলেকট্রনিক মেইল 3.ℹ️GIF -এর পূর্ণরূপ Graphics interchange format, (গিফ) গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরমেট 4.ℹ️Date -এর পূর্ণরূপ Day and Time Evolution, (ডেট) ডে এন্ড টাইম ইভোলুশন। 5.ℹ️LCD -এর পূর্ণরূপ Liquid crystal display, (এলসিডি) লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে 6.ℹ️ IT -এর পূর্ণরূপ Information technology, (আইটি) ইনফরমেশন টেকনোলজি 7.ℹ️IP -এর পূর্ণরূপ Internet protocol , (আইপি) ইন্টারনেট প্রোটোকল 8.ℹ️CD -এর পূর্ণরূপ Compact Disk, (সিডি) কম্প্যাক্ট ডিস্ক 9.ℹ️DVD -এর পূর্ণরূপ Digital Video Disk, (ডিভিডি) ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক 10.ℹ️PDF -এর পূর্ণরূপ Portable document format, (পিডিএফ) পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট 11.ℹ️OS -এর পূর্ণরূপ Operating System, (ওসি) অপারেটিং সিস্টেম 12.ℹ️ISO -এর পূর্ণরূপ International standards organization(কম্পিউটার ফাইল), International Organization for Standardization(বিশ্ব মার্ক), (আইএসও) ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানিজশন, অজয় 13.ℹ️PC -এর পূর্ণরূপ Personal Computer, (পিসি) পার্সোনাল কম্পিউটার 14.ℹ️CPU -এর পূর্ণরূপ Central Processing Unit, (সিপিইউ) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট 15.ℹ️RAM -এর পূর্ণরূপ Random Access Memory, (রেম) রান্ডম এক্সেস মেমোরি 16.ℹ️ROM -এর পূর্ণরূপ Read Only Memory, (রোম) রিড অনলি মেমোরি 17.ℹ️BIOS -এর পূর্ণরূপ Basic Input Output System, (বায়োস) বেসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম 18.ℹ️HDD -এর পূর্ণরূপ Hard Disk Drive, (এইচডিডি) হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ 19.ℹ️HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol. অজয় 20.ℹ️HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol Secure. 21.ℹ️URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator. 22.ℹ️VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information Resourc Under Seized. 23.ℹ️HTML -এর পূর্ণরূপ Hyper Text Mark Up Language, (এইচটিএমএল) হাইপার টেক্সট মার্ক উপ ল্যাঙ্গুয়েজে 24.ℹ️KB -এর পূর্ণরূপ Kilo Byte, (কেবি) কিলো বাইট 25.ℹ️MB -এর পূর্ণরূপ Mega Byte, (এমবি) মেগা বাইট 26.ℹ️GB -এর পূর্ণরূপ Giga Byte, (জিবি) গিগা বাইট 27.ℹ️TB -এর পূর্ণরূপ Tera Byte ,(টিবি) তেরা বাইট 28.ℹ️FDD -এর পূর্ণরূপ Floppy Disk Drive, (এফডিডি) ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ অজয় 29.ℹ️WiMAX -এর পূর্ণরূপ Worldwide Interoperability for Microwave Access (উইমাক্স) ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টেরোপেরাবিলিটি ফর মাইক্রোওয়েভ এক্সেস 30.ℹ️SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module. 31. 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation. 32.ℹ️GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile Communication. 33.ℹ️CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple Access. অজয় 34.ℹ️UMTS এর পূর্ণরূপ — Universal Mobile Telecommunication System. 35.ℹ️ICT -এর পূর্ণরূপ Information and Communication Technology , (আইসিটি) ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি 36.ℹ️WWW -এর পূর্ণরূপ World Wide Web, (WWW) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব 37.ℹ️V.C- এর পূর্ণরূপ — Vice Chancellor, (ভিসি) ভাইস-চ্যাঞ্চেলর 38.ℹ️D.C- এর পূর্ণরূপ— District Commissioner/ Deputy Commissioner,(ডিসি) ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার/ ডেপুটি কমিশনার 39.ℹ️A.M - এর পূর্ণরূপ — Ante meridian. 40.ℹ️P.M - এর পূর্ণরূপ — Post meridian. 41.ℹ️GPA,5 - এর পূর্ণরূপ—Grade point Average 42.ℹ️J.S.C - এর পূর্ণরূপ — Junior School Certificate. 43.ℹ️J.D.C - এর পূর্ণরূপ — Junior Dakhil Certificate. 44.ℹ️S.S.C - এর পূর্ণরূপ — Secondary School Certificate. অজয় 45.ℹ️H.S.C - এর পূর্ণরূপ — Higher Secondary Certificate. 46.ℹ️B. A - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Arts. 47.ℹ️M.A. - এর পূর্ণরূপ — Master of Arts. 48.ℹ️M.D. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Medicine./ Managing director. 49.ℹ️M.S. - এর পূর্ণরূপ — Master of Surgery. 50.ℹ️B.Sc. Ag. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Science in Agriculture . 51.ℹ️M.Sc.Ag.- এর পূর্ণরূপ — Master of Science in Agriculture. অজয় 52.ℹ️B.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Science. 53.ℹ️M.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Master of Science. 54.ℹ️D.Sc. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Science. 55.ℹ️B.C.O.M - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Commerce. 56.ℹ️M.C.O.M - এর পূর্ণরূপ — Master of Commerce. 57.ℹ️B.ed - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of education. 58.ℹ️B.B.S - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Business Studies. 59.ℹ️B.S.S - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Social Science/Study. 60.ℹ️B.B.A - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Business Administration 61.ℹ️M.B.A - এর পূর্ণরূপ — এর পূর্নরূপ — Masters of Business Administration. 62.ℹ️B.C.S - এর পূর্ণরূপ — Bangladesh Civil Service. 63.ℹ️M.B.B.S. - এর পূর্ণরূপ — Bachelor of Medicine, Bachelor of Surgery. অজয় 64.ℹ️Ph.D./ D.Phil. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Philosophy (Arts & Science) 65.ℹ️D.Litt./Lit. - এর পূর্ণরূপ — Doctor of Literature/ Doctor of Letters. 66.ℹ️Dr. - এর পূর্ণরূপ — Doctor. 67.ℹ️Mr. - এর পূর্ণরূপ — Mister. 68.ℹ️Mrs. - এর পূর্ণরূপ — Mistress. 69.ℹ️M.P. - এর পূর্ণরূপ — Member of Parliament. 70.ℹ️M.L.A. - এর পূর্ণরূপ— Member of Legislative Assembly. 71.ℹ️M.L.C - এর পূর্ণরূপ — Member of Legislative Council. 72.ℹ️P.M. - এর পূর্ণরূপ — Prime Minister. 73.ℹ️V.P - এর পূর্ণরূপ — Vice President./ Vice Principal. 74.ℹ️V.C- এর পূর্ণরূপ — Vice Chancellor. 75.ℹ️D.C- এর পূর্ণরূপ— District Commissioner/ Deputy Commissioner. অজয় 76.ℹ️S.P- এর পূর্ণরূপ — Superintendent of police 77.ℹ️S.I - এর পূর্ণরূপ — Sub Inspector Police. 78.ℹ️CGPA-এর পূর্নরূপ–Cumulative Grade Point Average 79.ℹ️Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity. 80.ℹ️RTS এর পূর্ণরূপ — Real Time Streaming 81.ℹ️AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave 82.ℹ️SIS এর পূর্ণরূপ — Symbian OS Installer File 83.ℹ️AMR এর পূর্ণরূপ — Adaptive Multi-Rate Codec 84.ℹ️JAD এর পূর্ণরূপ — Java Application Descriptor 85.ℹ️ JAR এর পূর্ণরূপ — Java Archive 86.ℹ️MP3 এর পূর্ণরূপ — MPEG player lll 87.ℹ️3GPP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Partnership Project 88.ℹ️3GP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Project 89.ℹ️AAC এর পূর্ণরূপ — Advanced Audio Coding 90.ℹ️BMP এর পূর্ণরূপ — Bitmap 91.ℹ️JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic Expert Group 92.ℹ️SWF এর পূর্ণরূপ — Shock Wave Flash অজয় 93.ℹ️WMV এর পূর্ণরূপ — Windows Media Video 94.ℹ️WMA এর পূর্ণরূপ — Windows Media Audio 95.ℹ️WAV এর পূর্ণরূপ — Waveform Audio 96.ℹ️PNG এর পূর্ণরূপ — Portable Network Graphics 97.ℹ️DOC এর পূর্ণরূপ — Docoment (Microsoft Corporation) 98.ℹ️M3G এর পূর্ণরূপ — Mobile 3D Graphics 99.ℹ️M4A এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 Audio File 100.ℹ️NTH এর পূর্ণরূপ — Nokia Theme(series 40) 101.ℹ️THM এর পূর্ণরূপ — Themes (Sony Ericsson) 102.ℹ️MMF এর পূর্ণরূপ — Synthetic Music Mobile Application File 103.ℹ️NRT এর পূর্ণরূপ — Nokia Ringtone 104.ℹ️XMF এর পূর্ণরূপ — Extensible Music File 105.ℹ️WBMP এর পূর্ণরূপ — Wireless Bitmap Image 106.ℹ️DVX এর পূর্ণরূপ — DivX Video 107.ℹ️HTML এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Markup Language 108.ℹ️WML এর পূর্ণরূপ — Wireless Markup Language অজয় 109.ℹ️CRT — Cathode Ray Tube. 110.ℹ️DAT এর পূর্ণরূপ — Digital Audio Tape. 111.ℹ️DOS এর পূর্ণরূপ — Disk Operating System. 112.ℹ️GUI এর পূর্ণরূপ — Graphical User Interface. 113.ℹ️ISP এর পূর্ণরূপ — Internet Service Provider. 114.ℹ️TCP এর পূর্ণরূপ — Transmission ControlProtocol. 115.ℹ️UPS এর পূর্ণরূপ — Uninterruptible Power Supply. 116.ℹ️HSDPA এর পূর্ণরূপ — High Speed Downlink Packet Access. 117.ℹ️EDGE এর পূর্ণরূপ — Enhanced Data Rate for 118.ℹ️GSM [Global System for Mobile Communication] 119.ℹ️VHF এর পূর্ণরূপ — Very High Frequency. 120.ℹ️UHF এর পূর্ণরূপ — Ultra High Frequency. 121.ℹ️GPRS এর পূর্ণরূপ — General Packet Radio Service. 122.ℹ️WAP এর পূর্ণরূপ — Wireless Application Protocol. 123.ℹ️ARPANET এর পূর্ণরূপ — Advanced Research Project Agency Network. 124.ℹ️IBM এর পূর্ণরূপ — International Business Machines. 125.ℹ️HP এর পূর্ণরূপ — Hewlett Packard. 126.ℹ️AM/FM এর পূর্ণরূপ — Amplitude/ Frequency Modulation. 127.ℹ️WLAN এর পূর্ণরূপ — Wireless Local Area Network অজয় 128.ℹ️USB এর পূর্ণরূপ — Universal Serial Bus. 129.ℹ️HD এর পূর্ণরূপ — High Definition 130.ℹ️APK এর পূর্ণরূপ — Android application package. 131.ℹ️BCS এর পূর্ণরূপ — Bangladesh Civil Service 132.ℹ️NCTB এর পূর্ণরূপ — National Curriculam & Text Book 133.ℹ️DPE এর পূর্ণরূপ — Directorate of Primary Education 134.ℹ️MBA এর পূর্ণরূপ — Master of Business Administration 135.ℹ️LLB এর পূর্ণরূপ — Bachelor Of Law 136.ℹ️VIP এর পূর্ণরূপ — Very Important Person 137.ℹ️UNICEF এর পূর্ণরূপ — United Nations International Children's Emergency Fund 138.ℹ️OK এর পূর্ণরূপ — All Correct 139.ℹ️এক্সেল — এক্সেল একটি হিসাব রক্ষার কাজে ব্যবহৃত প্রোগ্রাম। 140.ℹ️FBC এর পূর্ণরূপ — Federal bureau corporation অজয় 141.ℹ️fb এর পূর্ণরূপ — Foreign body/ Facebook 142.ℹ️ABC এর পূর্ণরূপ — Alphabetically Based Computerized 143.ℹ️DDR এর পূর্ণরূপ — Double data rate 144.ℹ️VAT – এর পূর্নরূপ — Value Added Tax (মুল্য সংযোজন কর) 145.ℹ️XY এর পূর্ণরূপ — Male Chromosome 146.ℹ️XXY এর পূর্ণরূপ — Klinefelter Syndrome chromosomes 147.ℹ️A-Level এর পূর্নরূপ — Advanced Level 148.ℹ️BL এর পূর্নরূপ — Bachelor Of Law 149.ℹ️YAHOO--Yet Another Hierarchical Officious Oracle. 150.ℹ️BTV এর পূর্নরূপ — Bangladesh Television 151.ℹ️LP এর পূর্নরূপ — Long Playing 152.ℹ️PIN এর পূর্নরূপ — Postal Index Number 153.ℹ️KG এর পূর্নরূপ — KiloGram / Kindergarten 154.ℹ️Mbps. = Mega bits per second MB/s. = Mega byte per second 155.ℹ️DJ- এর পূর্নরূপ — Disc jockey 156.ℹ️OTG – এর পূর্নরূপ — On The Go - Follow sikkhabarta educational post
    0 Comments 0 Shares 448 Views
  • Terence Tao scored over 700 on the SAT Math section at just 8 years old, earned a PhD by 20, and became the youngest tenured professor at UCLA shortly thereafter. Today, he is hailed as one of the greatest mathematicians in history.

    Nicknamed the “Mozart of Mathematics,” Tao has authored more than 300 research papers and 17 books, with groundbreaking work in number theory, combinatorics, harmonic analysis, and partial differential equations.

    Among his many achievements:

    The Green–Tao theorem: Proving primes can form infinite arithmetic progressions

    Solving the Erdős discrepancy problem

    Making profound contributions to the Collatz conjecture

    A Fields Medalist and recipient of the MacArthur Genius Grant, Tao exemplifies how intellectual brilliance and humility can coexist. In an era shaped by technology and AI, his work is a testament to the enduring power of human genius.

    #thechronify
    #TerenceTao #MathGenius #FieldsMedalist #SATProdigy #MozartOfMath #NumberTheory #UCLA #GreenTaoTheorem #CollatzConjecture #ErdosProblem #HumanGenius #MathLegend #ScienceExplorist #ModernEinstein #PureMathematics
    Terence Tao scored over 700 on the SAT Math section at just 8 years old, earned a PhD by 20, and became the youngest tenured professor at UCLA shortly thereafter. Today, he is hailed as one of the greatest mathematicians in history. Nicknamed the “Mozart of Mathematics,” Tao has authored more than 300 research papers and 17 books, with groundbreaking work in number theory, combinatorics, harmonic analysis, and partial differential equations. Among his many achievements: The Green–Tao theorem: Proving primes can form infinite arithmetic progressions Solving the Erdős discrepancy problem Making profound contributions to the Collatz conjecture A Fields Medalist and recipient of the MacArthur Genius Grant, Tao exemplifies how intellectual brilliance and humility can coexist. In an era shaped by technology and AI, his work is a testament to the enduring power of human genius. #thechronify #TerenceTao #MathGenius #FieldsMedalist #SATProdigy #MozartOfMath #NumberTheory #UCLA #GreenTaoTheorem #CollatzConjecture #ErdosProblem #HumanGenius #MathLegend #ScienceExplorist #ModernEinstein #PureMathematics
    0 Comments 0 Shares 493 Views
  • Riemann Integral vs Lebesgue Integral:

    The Riemann and Lebesgue integrals are two different ways to define the integral of a function, with the Lebesgue integral being a more general and powerful approach. While the Riemann integral relies on partitioning the domain of the function into intervals, the Lebesgue integral partitions the range of the function into measurable sets, allowing it to handle a wider class of functions, including those with more complex discontinuities.

    The Riemann integral, developed by Bernhard Riemann in the mid-19th century, was the first rigorous definition of the integral of a function. However, it had limitations, particularly when dealing with highly discontinuous or unbounded functions, and when interacting with limits of sequences of functions. Henri Lebesgue, in the early 20th century, introduced the Lebesgue integral, which provides a more general framework and addresses these shortcomings.

    🩵Riemann Integral:
    Developed by Bernhard Riemann:
    In 1854, Riemann presented his definition of the integral as the foundation for real analysis.
    Focus:
    Riemann integration focuses on partitioning the domain (x-axis) of the function into intervals and approximating the area under the curve using rectangles.
    Limitations:
    It struggles with functions that have many discontinuities, especially if the set of discontinuities is not "negligible" (in a measure-theoretic sense). Also, it doesn't interact well with taking limits of sequences of functions, which is important in many areas like Fourier analysis.

    🩵Developed by Henri Lebesgue:
    Lebesgue introduced his integral in his 1902 doctoral thesis, "Intégrale, Longueur, Aire".
    Focus:
    Lebesgue integration partitions the range (y-axis) of the function, rather than the domain. It considers the measure of the sets of points that map to a given range value.
    Advantages:
    Generalization: It extends the concept of integration to a wider class of functions, including those with many discontinuities.
    Better analytical properties: It interacts more favorably with limits, allowing for easier manipulation of integrals in many situations.
    Addresses fundamental theorem of calculus: Lebesgue's integral was designed to handle more primitive functions than the Riemann integral.

    Source: Wikipedia
    Riemann Integral vs Lebesgue Integral: The Riemann and Lebesgue integrals are two different ways to define the integral of a function, with the Lebesgue integral being a more general and powerful approach. While the Riemann integral relies on partitioning the domain of the function into intervals, the Lebesgue integral partitions the range of the function into measurable sets, allowing it to handle a wider class of functions, including those with more complex discontinuities. The Riemann integral, developed by Bernhard Riemann in the mid-19th century, was the first rigorous definition of the integral of a function. However, it had limitations, particularly when dealing with highly discontinuous or unbounded functions, and when interacting with limits of sequences of functions. Henri Lebesgue, in the early 20th century, introduced the Lebesgue integral, which provides a more general framework and addresses these shortcomings. 🩵Riemann Integral: Developed by Bernhard Riemann: In 1854, Riemann presented his definition of the integral as the foundation for real analysis. Focus: Riemann integration focuses on partitioning the domain (x-axis) of the function into intervals and approximating the area under the curve using rectangles. Limitations: It struggles with functions that have many discontinuities, especially if the set of discontinuities is not "negligible" (in a measure-theoretic sense). Also, it doesn't interact well with taking limits of sequences of functions, which is important in many areas like Fourier analysis. 🩵Developed by Henri Lebesgue: Lebesgue introduced his integral in his 1902 doctoral thesis, "Intégrale, Longueur, Aire". Focus: Lebesgue integration partitions the range (y-axis) of the function, rather than the domain. It considers the measure of the sets of points that map to a given range value. Advantages: Generalization: It extends the concept of integration to a wider class of functions, including those with many discontinuities. Better analytical properties: It interacts more favorably with limits, allowing for easier manipulation of integrals in many situations. Addresses fundamental theorem of calculus: Lebesgue's integral was designed to handle more primitive functions than the Riemann integral. Source: Wikipedia
    0 Comments 0 Shares 85 Views
  • ঢাকায় গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আহত ১০

    এখানে আপনার জানার জন্য সবকিছু দেওয়া হলো:

    → ৫ আগস্ট ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে ১০ জন আহত হন

    → বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় এবং তা কাছের বৈদ্যুতিক তারেও ছড়িয়ে পড়ে

    → ‘৩৬ জুলাই’ উদযাপনে ছাত্র-জনতার প্রতীকী ‘হেলিকপ্টার’ বেলুন উড়ানোর সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে

    → আহত সবাইকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে

    → ড্রোনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়

    → ইনস্টিটিউটের ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ১০ জন আহত হলেও এখনো কারও মৃত্যু হয়নি

    Follow Yet Fresh for জাতীয় দুর্ঘটনা news
    ঢাকায় গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে আহত ১০ এখানে আপনার জানার জন্য সবকিছু দেওয়া হলো: → ৫ আগস্ট ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে ১০ জন আহত হন → বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় এবং তা কাছের বৈদ্যুতিক তারেও ছড়িয়ে পড়ে → ‘৩৬ জুলাই’ উদযাপনে ছাত্র-জনতার প্রতীকী ‘হেলিকপ্টার’ বেলুন উড়ানোর সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে → আহত সবাইকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে → ড্রোনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় → ইনস্টিটিউটের ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ১০ জন আহত হলেও এখনো কারও মৃত্যু হয়নি Follow Yet Fresh for জাতীয় দুর্ঘটনা news
    Sad
    1
    0 Comments 0 Shares 161 Views
  • I treat the way you treat me.
    A Leader, born to rule, not to be ruled.

    Maturity is when you realise, I see everything but nothing is mine.

    Death is the ultimate solution of life.

    Everybody enjoyes the victory,
    But nobody knows the history.

    People judge,this is their nature.
    Don’t care their judgment,That's attitude.

    Let them smile,
    Turn red back of them

    Man vs boy
    Spot the difference between good looking and good.

    My faith is lost, gone forever.


    You can be a bad student in 15 days,
    To be a good student, 15 years may not be enough.


    Silence is my best weapon, it will put you in darkness and make you rootless.


    Do not ask people about their foolishness, If you are not foolish, why are you thinking about this?


    All quote written by Zihadur Rahman, can be used but after given credit.
    I treat the way you treat me. A Leader, born to rule, not to be ruled. Maturity is when you realise, I see everything but nothing is mine. Death is the ultimate solution of life. Everybody enjoyes the victory, But nobody knows the history. People judge,this is their nature. Don’t care their judgment,That's attitude. Let them smile, Turn red back of them Man vs boy Spot the difference between good looking and good. My faith is lost, gone forever. You can be a bad student in 15 days, To be a good student, 15 years may not be enough. Silence is my best weapon, it will put you in darkness and make you rootless. Do not ask people about their foolishness, If you are not foolish, why are you thinking about this? All quote written by Zihadur Rahman, can be used but after given credit.
    0 Comments 0 Shares 141 Views
  • আপনাদের কল্পনাতেও আসবে না, কিন্তু সত্যিই এমন এক ঘটনা ঘটেছিল যেখানে একজন সাধারণ ব্যক্তি মাত্র ১২ ডলার খরচ করে এক মিনিটের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওয়েবসাইট ডোমেইন, Google. com এর মালিক হয়ে গিয়েছিলেন! ঘটনাটি ঘটে ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। যিনি এটি করেছিলেন, তাঁর নাম সানমে বেদ। তিনি ছিলেন গুগলেরই একজন প্রাক্তন কর্মচারী।

    ঘটনার শুরুটা ছিল একেবারে সাধারণ। সানমে রাতের বেলা গুগলের ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস, Google Domains এ ঘাঁটাঘাঁটি করছিলেন। হঠাৎ তিনি খেয়াল করেন, Google. com নামের ডোমেইনটি available দেখাচ্ছে। আপনি ভাবতেই পারেন, এটা নিশ্চয়ই কোনো সফটওয়্যারের ত্রুটি বা দেখার ভুল। কিন্তু না, তিনি চেষ্টা করে দেখলেন এবং চমকপ্রদভাবে Google. com সত্যিই তাঁর কেনার জন্য উন্মুক্ত।

    তিনি দেরি না করে ১২ ডলার দিয়ে ডোমেইনটি কিনে ফেললেন। মুহূর্তেই তিনি Google. com এর মালিক হয়ে গেলেন। শুধু মালিকই না, তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেই ডোমেইনের অ্যাডমিন প্যানেলে প্রবেশ করতে পারলেন। গুগলের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ মেইল, অ্যালার্ট, এমনকি কিছু নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্য তাঁর সামনে ভেসে উঠতে লাগল।

    তবে ঘটনাটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রায় এক মিনিট পরেই গুগল বুঝতে পারে কী ঘটেছে। তারা দ্রুত ডোমেইনটির মালিকানা ফিরিয়ে নেয় এবং সানমের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গুগল তখনো জানত না, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা কোনো হ্যাকিং ছিল না, বরং এটি ছিল তাদের নিজেদের সিস্টেমের একটি ফাঁকফোকর। আর সানমে পুরো বিষয়টি একেবারেই স্বচ্ছভাবে গুগলকে জানিয়ে দেন।

    এই সততার জন্য গুগল তাঁকে পুরস্কৃত করে। গুগলের বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামের আওতায় তাঁকে প্রথমে ৬০০৬.১৩ ডলার দেওয়া হয়। এই সংখ্যাটিকে উল্টোভাবে পড়লে দাঁড়ায় Google। পরবর্তীতে যখন গুগল জানতে পারে যে সানমে পুরস্কারটা পুরোটা দান করে দিয়েছেন একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে, তখন গুগল সেই অর্থ দ্বিগুণ করে দেয়।

    এই ঘটনাটি শুধু মজারই নয়, গুরুত্বপূর্ণও বটে। এটি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যেও কখনো কখনো মানবিক ভুল হতে পারে। আর একজন সচেতন, দায়িত্ববান ব্যক্তি সেই ভুল থেকে কোম্পানিকে বাঁচাতে কতটা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।

    Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    আপনাদের কল্পনাতেও আসবে না, কিন্তু সত্যিই এমন এক ঘটনা ঘটেছিল যেখানে একজন সাধারণ ব্যক্তি মাত্র ১২ ডলার খরচ করে এক মিনিটের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওয়েবসাইট ডোমেইন, Google. com এর মালিক হয়ে গিয়েছিলেন! ঘটনাটি ঘটে ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। যিনি এটি করেছিলেন, তাঁর নাম সানমে বেদ। তিনি ছিলেন গুগলেরই একজন প্রাক্তন কর্মচারী। ঘটনার শুরুটা ছিল একেবারে সাধারণ। সানমে রাতের বেলা গুগলের ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস, Google Domains এ ঘাঁটাঘাঁটি করছিলেন। হঠাৎ তিনি খেয়াল করেন, Google. com নামের ডোমেইনটি available দেখাচ্ছে। আপনি ভাবতেই পারেন, এটা নিশ্চয়ই কোনো সফটওয়্যারের ত্রুটি বা দেখার ভুল। কিন্তু না, তিনি চেষ্টা করে দেখলেন এবং চমকপ্রদভাবে Google. com সত্যিই তাঁর কেনার জন্য উন্মুক্ত। তিনি দেরি না করে ১২ ডলার দিয়ে ডোমেইনটি কিনে ফেললেন। মুহূর্তেই তিনি Google. com এর মালিক হয়ে গেলেন। শুধু মালিকই না, তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেই ডোমেইনের অ্যাডমিন প্যানেলে প্রবেশ করতে পারলেন। গুগলের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ মেইল, অ্যালার্ট, এমনকি কিছু নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্য তাঁর সামনে ভেসে উঠতে লাগল। তবে ঘটনাটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রায় এক মিনিট পরেই গুগল বুঝতে পারে কী ঘটেছে। তারা দ্রুত ডোমেইনটির মালিকানা ফিরিয়ে নেয় এবং সানমের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গুগল তখনো জানত না, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা কোনো হ্যাকিং ছিল না, বরং এটি ছিল তাদের নিজেদের সিস্টেমের একটি ফাঁকফোকর। আর সানমে পুরো বিষয়টি একেবারেই স্বচ্ছভাবে গুগলকে জানিয়ে দেন। এই সততার জন্য গুগল তাঁকে পুরস্কৃত করে। গুগলের বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামের আওতায় তাঁকে প্রথমে ৬০০৬.১৩ ডলার দেওয়া হয়। এই সংখ্যাটিকে উল্টোভাবে পড়লে দাঁড়ায় Google। পরবর্তীতে যখন গুগল জানতে পারে যে সানমে পুরস্কারটা পুরোটা দান করে দিয়েছেন একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে, তখন গুগল সেই অর্থ দ্বিগুণ করে দেয়। এই ঘটনাটি শুধু মজারই নয়, গুরুত্বপূর্ণও বটে। এটি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যেও কখনো কখনো মানবিক ভুল হতে পারে। আর একজন সচেতন, দায়িত্ববান ব্যক্তি সেই ভুল থেকে কোম্পানিকে বাঁচাতে কতটা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    0 Comments 0 Shares 206 Views
  • https://bbai.shop/movies.html
    https://bbai.shop/movies.html
    0 Comments 0 Shares 154 Views
  • ২০০৯ সালের ২৪শে নভেম্বর, ২৬ বছর বয়সী মেডিকেল ছাত্র জন এডওয়ার্ড জোনস তার ভাই ও বন্ধুদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা অঙ্গরাজ্যের “নাটি পাটি” (Nutty Putty) গুহা অন্বেষণে যান। গুহার ভেতরের “বার্থ ক্যানেল” নামক একটি সরু পথ অতিক্রম করার সময় তিনি ভুল করে আরেকটি অনাবিষ্কৃত সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েন।

    পথটি এতটাই সংকীর্ণ ছিল যে, জন মাত্র ১০ ইঞ্চি চওড়া ও ১৮ ইঞ্চি উঁচু একটি স্থানে মাথা নিচে ও পা উপরে থাকা অবস্থায় আটকে যান। প্রায় ৪০০ ফুট গভীরে, এক ভয়ংকর ফাঁ/দে আটকা পড়েন তিনি।

    খবর পেয়ে উদ্ধারকারীরা দ্রুত চলে আসেন। প্রায় ২৮ ঘন্টা ধরে চলে শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধার অভিযান। রশি এবং পুলির সাহায্যে একটি জটিল সিস্টেম তৈরি করে তাকে বের করার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, একটি পুলি ছিঁড়ে গেলে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

    বিজ্ঞানের চোখে এই মৃ/'ত্যু কতটা ভয়াবহ?

    দীর্ঘ সময় ধরে উল্টো অবস্থায় ঝুলে থাকায় জনের শরীরের সমস্ত রক্ত মাথায় জমা হতে শুরু করে। এর ফলে মস্তিষ্কে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয় এবং হৃদপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে পারছিল না। সোজা কথায়, তার হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুস ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ছিল। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘কম্প্রেশনাল অ্যাসফিক্সিয়া (Compressional Asphyxia)’। টানা ২৮ ঘন্টা এই অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করার পর জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা/রা যান।

    উদ্ধারকাজ এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল যে, তার মৃ/তদেহ বের করে আনা সম্ভব ছিল না। পরিবারের সাথে আলোচনা করে এক হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গু/হাটিকেই জনের স/মাধি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

    পরবর্তীতে, বি/স্ফোর/ক ব্যবহার করে গুহার ওই অংশটি ধসি/য়ে দেওয়া হয় এবং প্রবেশমুখ কংক্রিট দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সেই থেকে নাটি পাটি গুহা একাধারে একটি সমা/ধি এবং এক অব্যক্ত বেদনার স্মৃ/তিস্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

    অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique

    NOTE : THIS POST IS COPYRIGHT PROTECTED
    Don’t try to copy without permission..
    otherwise Facebook community can take actions.

    FJ
    ২০০৯ সালের ২৪শে নভেম্বর, ২৬ বছর বয়সী মেডিকেল ছাত্র জন এডওয়ার্ড জোনস তার ভাই ও বন্ধুদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা অঙ্গরাজ্যের “নাটি পাটি” (Nutty Putty) গুহা অন্বেষণে যান। গুহার ভেতরের “বার্থ ক্যানেল” নামক একটি সরু পথ অতিক্রম করার সময় তিনি ভুল করে আরেকটি অনাবিষ্কৃত সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েন। পথটি এতটাই সংকীর্ণ ছিল যে, জন মাত্র ১০ ইঞ্চি চওড়া ও ১৮ ইঞ্চি উঁচু একটি স্থানে মাথা নিচে ও পা উপরে থাকা অবস্থায় আটকে যান। প্রায় ৪০০ ফুট গভীরে, এক ভয়ংকর ফাঁ/দে আটকা পড়েন তিনি। খবর পেয়ে উদ্ধারকারীরা দ্রুত চলে আসেন। প্রায় ২৮ ঘন্টা ধরে চলে শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধার অভিযান। রশি এবং পুলির সাহায্যে একটি জটিল সিস্টেম তৈরি করে তাকে বের করার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, একটি পুলি ছিঁড়ে গেলে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিজ্ঞানের চোখে এই মৃ/'ত্যু কতটা ভয়াবহ? দীর্ঘ সময় ধরে উল্টো অবস্থায় ঝুলে থাকায় জনের শরীরের সমস্ত রক্ত মাথায় জমা হতে শুরু করে। এর ফলে মস্তিষ্কে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয় এবং হৃদপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে পারছিল না। সোজা কথায়, তার হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুস ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ছিল। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘কম্প্রেশনাল অ্যাসফিক্সিয়া (Compressional Asphyxia)’। টানা ২৮ ঘন্টা এই অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করার পর জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা/রা যান। উদ্ধারকাজ এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল যে, তার মৃ/তদেহ বের করে আনা সম্ভব ছিল না। পরিবারের সাথে আলোচনা করে এক হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গু/হাটিকেই জনের স/মাধি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, বি/স্ফোর/ক ব্যবহার করে গুহার ওই অংশটি ধসি/য়ে দেওয়া হয় এবং প্রবেশমুখ কংক্রিট দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সেই থেকে নাটি পাটি গুহা একাধারে একটি সমা/ধি এবং এক অব্যক্ত বেদনার স্মৃ/তিস্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique 🔔🔔 NOTE : THIS POST IS COPYRIGHT PROTECTED ©️ Don’t try to copy without permission.. otherwise Facebook community can take actions. 🌸FJ🌸
    0 Comments 0 Shares 230 Views
  • আমার যে বন্ধুটি কোনদিন গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ দেখেননি এবং সেখানে ডুব দিবেন না তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি মাউন্ট এভারেস্টের চকচকে চূড়া দূর থেকে দেখেননি তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি বিস্তীর্ণ প্রেইরীর তেপান্তরের মাঠ আর সেখানে চরে বেড়ানো বাইসনের পাল দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি আকাশ ঝলমল করা সবুজ অরোরার (মেরুজ্যোতি) আলোর নিচে বসে হতবাক গগন পানে তাকিয়ে থাকবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জিনিস কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি সুন্দরবনের গভীর নিস্তব্ধতা চিরে ঈগলের তীক্ষ ডাক আর বাঘের ছমছমে গর্জন শুনবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি সাহারা মরুভূমির বালিয়াড়িতে বিমুগ্ধ বিস্ময়ে আরোহণ করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি আন্দেজের ইনকা শহর মাচু পিচুর চাতালে দাঁড়িয়ে মেঘের চাদরে নিজেকে জড়াবেন না কোনদিন, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি উত্তরের পাতাঝরা বনের শরতের রঙবেরঙের ক্যানভাসে শুয়ে শরতকে অনুভব করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি আফ্রিকার লিমপোপো নদীর তীরে লক্ষ লক্ষ হরিণ, জেব্রার গ্রেট মাইগ্রেশন দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি নীল নদের জলে পা ভিজিয়ে পিরামিডের দিকে মানুষের সৃষ্টিশীলতায় বোবা বিস্ময় নিয়ে তাকায় নাই তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    কিন্তু আমার যে বন্ধুটা সূর্যোদয় দেখেনি, দেখেনি কী করে পূর্ব দিগন্ত থেকে বিন্দু বিন্দু আলো জমে তীরের মত তারা দিগন্ত দখল করে নেয়, কিভাবে অন্ধকার এক জগত অপূর্ব আলোয় হেসে ওঠে- তার জন্য আমার মন খারাপ হয়।

    কারণ সে পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন, একটু ভোরে উঠলেই দিনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টা দেখতে পারত। একটা নতুন দিনের জন্ম দেখতে পারত।

    তার এবং তাদের জন্য আমার মন খারাপ হয়।

    আপনি কবে শেষবারের মতো সূর্যোদয় দেখেছেন?

    Good morning, Planet Earth!

    তাবুর মধ্যে থেকে দেখা দৃশ্য
    আমার যে বন্ধুটি কোনদিন গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ দেখেননি এবং সেখানে ডুব দিবেন না তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি মাউন্ট এভারেস্টের চকচকে চূড়া দূর থেকে দেখেননি তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি বিস্তীর্ণ প্রেইরীর তেপান্তরের মাঠ আর সেখানে চরে বেড়ানো বাইসনের পাল দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি আকাশ ঝলমল করা সবুজ অরোরার (মেরুজ্যোতি) আলোর নিচে বসে হতবাক গগন পানে তাকিয়ে থাকবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জিনিস কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি সুন্দরবনের গভীর নিস্তব্ধতা চিরে ঈগলের তীক্ষ ডাক আর বাঘের ছমছমে গর্জন শুনবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি সাহারা মরুভূমির বালিয়াড়িতে বিমুগ্ধ বিস্ময়ে আরোহণ করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি আন্দেজের ইনকা শহর মাচু পিচুর চাতালে দাঁড়িয়ে মেঘের চাদরে নিজেকে জড়াবেন না কোনদিন, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি উত্তরের পাতাঝরা বনের শরতের রঙবেরঙের ক্যানভাসে শুয়ে শরতকে অনুভব করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি আফ্রিকার লিমপোপো নদীর তীরে লক্ষ লক্ষ হরিণ, জেব্রার গ্রেট মাইগ্রেশন দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি নীল নদের জলে পা ভিজিয়ে পিরামিডের দিকে মানুষের সৃষ্টিশীলতায় বোবা বিস্ময় নিয়ে তাকায় নাই তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। কিন্তু আমার যে বন্ধুটা সূর্যোদয় দেখেনি, দেখেনি কী করে পূর্ব দিগন্ত থেকে বিন্দু বিন্দু আলো জমে তীরের মত তারা দিগন্ত দখল করে নেয়, কিভাবে অন্ধকার এক জগত অপূর্ব আলোয় হেসে ওঠে- তার জন্য আমার মন খারাপ হয়। কারণ সে পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন, একটু ভোরে উঠলেই দিনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টা দেখতে পারত। একটা নতুন দিনের জন্ম দেখতে পারত। তার এবং তাদের জন্য আমার মন খারাপ হয়। আপনি কবে শেষবারের মতো সূর্যোদয় দেখেছেন? Good morning, Planet Earth! তাবুর মধ্যে থেকে দেখা দৃশ্য
    0 Comments 0 Shares 250 Views
  • কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।

    কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল বিচিত্র আর বহুবর্ণিল। তাঁর সেই জীবনের কতটুকুই-বা আমরা জানি? আজ নজরুলজয়ন্তীতে নজরুল-গবেষকদের লেখা বিভিন্ন বই ও পত্রিকা ঘেঁটে এখানে বিদ্রোহী কবি-সম্পর্কিত এমন ২০টি তথ্য তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন!

    ১. নজরুলের জীবন কোনো নিয়মের জালে আটকা ছিল না। যখন যা ভালো লাগত, তিনি তা-ই করতেন। দিন নেই, রাত নেই হই হই রব তুলে উঠে পড়তেন কোনো বন্ধুর বাড়িতে। তারপর চলত অবিরাম আড্ডা আর গান!

    ২. নজরুলের লেখার জন্য কোনো বিশেষ পরিবেশ লাগত না। গাছতলায় বসে যেমন তিনি লিখতে পারতেন, তেমনি ঘরোয়া বৈঠকেও তাঁর ভেতর থেকে লেখা বের হয়ে আসত।

    ৩. নজরুল ইসলাম কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ঝলমলে রঙিন পোশাক পরতেন। কেউ তাঁকে রঙিন পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, রঙিন পোশাক পরি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তথ্য দিয়েছেন, নজরুল তাঁর ঝলমলে পোশাকের ব্যাপারে বলতেন, ‘আমার সম্ভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। আমার তো মানুষকে বিভ্রান্ত করবার কথা!’

    ৪. নজরুলের পাঠাভ্যাস ছিল বহুমুখী। তিনি পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, বেদ, ত্রিপিটক, মহাভারত, রামায়ণ যেমন পড়তেন, তেমন পড়তেন শেলি, কিটস, কার্ল মার্ক্স, ম্যাক্সিম গোর্কিসহ বিশ্বখ্যাত লেখকদের লেখা। রবীন্দ্রনাথের ‘গীতবিতান’-এর সব কটি গান মুখস্থ করে ফেলেছিলেন তিনি!

    ৫. বাংলা গানে নজরুলই একমাত্র ব‌্যক্তি, যিনি সব ধরনের বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন। তাঁর গানের সংখ্যা অনেকে চার হাজার বললেও আসলে তিনি গান লিখেছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো, যার অধিকাংশই সংরক্ষণ করা যায়নি।

    ৬. বাঙালি কবিদের মধ্যে নজরুলই ছিলেন সবচেয়ে বেশি রসিক। তাঁর কথায় হাসির ঢেউ উঠত। হিরণ্ময় ভট্টাচার্য ‘রসিক নজরুল’ নামে একটি বই লিখেছেন। যাঁরা বইটি পড়েননি, তাঁদের পক্ষে বোঝা কষ্টকর নজরুল কী পরিমাণ রসিক ছিলেন! একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, একবার এক ভদ্রমহিলা নজরুলকে খুব স্মার্টলি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি পানাসক্ত?’ নজরুল বললেন, ‘না, বেশ্যাসক্ত!’ কবির কথায় ভদ্রমহিলার মুখ কালো হয়ে গেল। আর তক্ষুনি ব্যাখ্যা করলেন নজরুল, ‘পান একটু বেশি খাই। তাই বেশ্যাসক্ত, অর্থাৎ বেশি+আসক্ত = বেশ্যাসক্ত!’

    ৭. নজরুলের প্রেমে পড়েননি, এমন পুরুষ কিংবা নারী খুঁজে পাওয়া ভার। তাঁর চরম শত্রুরাও তাঁর ভালোবাসার শক্তির কাছে হার মেনেছেন। কবি বুদ্ধদেব বসু নজরুলকে প্রথম দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। তিনি লিখেছেন, ‘সেই প্রথম আমি দেখলাম নজরুলকে। এবং অন্য অনেকের মতো যথারীতি তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম!’ শুধু বুদ্ধদেব বসু নন, তাঁর স্ত্রী প্রতিভা বসুও নজরুলের প্রেমে পড়েছিলেন। সেই কাহিনি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘আয়না’ নামে একটি গল্প। কী অবাক কাণ্ড! স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একই লেখকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন!

    ৮. কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর পান ও চা খেতেন। লিখতে বসার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ চা আর এক থালা পান নিয়ে বসতেন তিনি। পান শেষ করে চা, এরপর আবার চা শেষ করে পান খেতেন। তিনি বলতেন, ‘লেখক যদি হতে চান/ লাখ পেয়ালা চা খান!’

    ৯. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের হস্তরেখা বিশারদ। তিনি অনেকের হাত দেখে যা বলতেন, তা-ই ঘটতে দেখা গেছে। একবার এক লোককে বললেন, আপনার বিদেশযাত্রা আছে, লোকটি সত্যিই কয়েক দিনের মধ‌্যে বিদেশ চলে গেল! আরেকজনকে বললেন, ‘আপনি পৃথিবীর বাইরে চলে যেতে পারেন।’ পরে ওই লোকটির মৃত্যু ঘটেছিল!

    ১০. মাঝেমধ্যে রাগান্বিত হলে নজরুল তাঁর সামনে যদি কোনো বই-খাতা পেতেন বা কাগজ পেতেন, তা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতেন।

    ১১. অর্থের ব্যাপারে নজরুল ছিলেন ভয়াবহ বেহিসাবি। হাতে টাকা এলেই তা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমোদ-ফুর্তি করে শেষ করে দিতেন। আর বলতেন, ‘আমি আমার হাতের টাকা বন্ধুদের জন্য খরচ করছি। আর যখন ওদের টাকা হবে ওরাও আমার জন্য খরচ করবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই।’

    ১২. নজরুল তাঁর দুই পুত্রের ডাকনাম সানি (কাজী সব্যসাচী) আর নিনি (কাজী অনিরুদ্ধ) রেখেছিলেন তাঁর দুই প্রিয় মানুষ সান ইয়াত-সেন ও লেনিনের নামানুসারে।

    ১৩. নজরুল তাঁর সন্তানদের খুবই ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি তাঁদের নিজ হাতে খাওয়াতেন আর ছড়া কাটতেন, ‘সানি-নিনি দুই ভাই/ ব্যাঙ মারে ঠুই ঠাই।’ কিংবা ‘তোমার সানি যুদ্ধে যাবে মুখটি করে চাঁদপানা/ কোল-ন্যাওটা তোমার নিনি বোমার ভয়ে আধখানা।’

    ১৪. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের জনদরদি মানুষ। একটি ঘটনা দিয়ে তার প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার এক দরিদ্র হিন্দু মেয়ের বিবাহ। কোনোরকমে কন্যা বিদায়ের আয়োজন চলছে। নজরুল খবরটি পেলেন। তিনি দ্রুত বাজারে গেলেন। এক হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে বিয়ের বাজার করলেন। তারপর ধুমধাম করে মেয়েটির বিয়ে হলো। মেয়ের বাবা নজরুলকে প্রণাম করে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমরা আপনাকে ভুলব না কোনো দিন।’ এমনই ছিলেন কবি। তাঁর বাড়িতে সাঁওতাল, গারো, কোল—সবাই দল বেঁধে আসতেন। আপ্যায়িত হতেন উৎসবসহকারে।

    ১৫. নজরুল কবিতা ও গানের স্বত্ব বিক্রি করে উন্নত মানের একটি ক্রাইসলার গাড়ি কিনতে পেরেছিলেন। এই গাড়ি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি।

    ১৬. নজরুল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা ভাড়া করে মাঝেমধ্যে প্রমোদভ্রমণে যেতেন।

    ১৭. নজরুলের দৃষ্টিশক্তি ছিল অসামান্য। তিনি গভীর অন্ধকারেও বহুদূরের কোনো জিনিস স্পষ্ট দেখতে পেতেন।

    ১৮. নজরুল ছিলেন অসম্ভব রকমের ক্রীড়াপ্রেমী। সময় পেলেই তিনি ফুটবল খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ছুটতেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। যেদিন বাড়ি থেকে সোজা খেলা দেখতে যেতেন, সেদিন দুই পুত্র সানি আর নিনিকে সঙ্গে নিতেন। একবার খেলা দেখতে গেছেন। স্টেডিয়ামে পাশে বসে আছেন হুমায়ূন কবির। খেলা ভাঙার পর ভিড়ের মধ্যে দুই পুত্র খানিকটা আড়ালে চলে গেল। হঠাৎ পেছন থেকে নজরুলের হাঁকডাক শোনা গেল, ‘সানি কোথায়? নিনি কোথায়?’ মাঠসুদ্ধ লোক হাঁ হয়ে নজরুলকে দেখছে। এরই মধ্যে দুই পুত্রকে ঠেসে ধরে ট্যাক্সি করে বাড়ি নিয়ে এসে তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।

    ১৯. নজরুল বেশ দক্ষ দাবাড়ু ছিলেন। যেদিন বিশেষ কোনো কাজ থাকত না, সেদিন তিনি দাবা খেলতেন। খেলায় এমন মগ্ন হতেন যে খাওয়া-নাওয়ার খেয়ালও থাকত না। মাঝেমধ্যে নজরুলের বাড়িতে দাবার আসর বসাতে আসতেন কাজী মোহাতার হোসেন ও হেম সোম।

    ২০. কলকাতায় নজরুলের তিনতলা বাড়ির সামনে ছিল একটা ন্যাড়া মাঠ। খেলা নিয়ে বহু কাণ্ড ঘটেছে ওই মাঠে। একবার জোর ক্রিকেট খেলা চলছে। নজরুল গ্যালারি অর্থাৎ বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলারত তাঁর দুই পুত্রকে জোর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বড় পুত্র সানি এল ব্যাট করতে। প্রথম বলেই ছয়! নজরুলের সে কি দাপাদাপি! ঠিক পরের বল আসার আগে তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘সানি, ওই রকম আরেকটা মার।’ ব্যস বাবার কথায় উত্তেজিত হয়ে দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ব্যাট চালাল পুত্র। ব্যাট অবশ্য বলে লাগল না। লাগল উইকেটকিপারের চোয়ালে! বেশ রক্তারক্তি অবস্থা! অবশেষে খেলা বন্ধ করা হলো।

    এমনই নানা রঙের মানুষ ছিলেন নজরুল। যাঁর জীবনে দুঃখ-কষ্টের অভাব ছিল না, আবার রং-রূপেরও অভাব ছিল না। পৃথিবীর খুব কম মানুষই বোধ হয় এমন মহাজীবনের অধিকারী হন। বুদ্ধদেব বসু যথার্থই বলেছিলেন, ‘কণ্ঠে তাঁর হাসি, কণ্ঠে তাঁর গান, প্রাণে তাঁর অফুরান আনন্দ—সব মিলিয়ে মনোলুণ্ঠনকারী এক মানুষ।’

    সংগৃহীত
    #nonflowers
    #everyonehighlightsfollowers
    #Bmw #foryou #karimascreation
    কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন। কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল বিচিত্র আর বহুবর্ণিল। তাঁর সেই জীবনের কতটুকুই-বা আমরা জানি? আজ নজরুলজয়ন্তীতে নজরুল-গবেষকদের লেখা বিভিন্ন বই ও পত্রিকা ঘেঁটে এখানে বিদ্রোহী কবি-সম্পর্কিত এমন ২০টি তথ্য তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন! 🌹১. নজরুলের জীবন কোনো নিয়মের জালে আটকা ছিল না। যখন যা ভালো লাগত, তিনি তা-ই করতেন। দিন নেই, রাত নেই হই হই রব তুলে উঠে পড়তেন কোনো বন্ধুর বাড়িতে। তারপর চলত অবিরাম আড্ডা আর গান! 🌹২. নজরুলের লেখার জন্য কোনো বিশেষ পরিবেশ লাগত না। গাছতলায় বসে যেমন তিনি লিখতে পারতেন, তেমনি ঘরোয়া বৈঠকেও তাঁর ভেতর থেকে লেখা বের হয়ে আসত। 🌹৩. নজরুল ইসলাম কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ঝলমলে রঙিন পোশাক পরতেন। কেউ তাঁকে রঙিন পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, রঙিন পোশাক পরি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তথ্য দিয়েছেন, নজরুল তাঁর ঝলমলে পোশাকের ব্যাপারে বলতেন, ‘আমার সম্ভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। আমার তো মানুষকে বিভ্রান্ত করবার কথা!’ 🌹৪. নজরুলের পাঠাভ্যাস ছিল বহুমুখী। তিনি পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, বেদ, ত্রিপিটক, মহাভারত, রামায়ণ যেমন পড়তেন, তেমন পড়তেন শেলি, কিটস, কার্ল মার্ক্স, ম্যাক্সিম গোর্কিসহ বিশ্বখ্যাত লেখকদের লেখা। রবীন্দ্রনাথের ‘গীতবিতান’-এর সব কটি গান মুখস্থ করে ফেলেছিলেন তিনি! 🌹৫. বাংলা গানে নজরুলই একমাত্র ব‌্যক্তি, যিনি সব ধরনের বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন। তাঁর গানের সংখ্যা অনেকে চার হাজার বললেও আসলে তিনি গান লিখেছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো, যার অধিকাংশই সংরক্ষণ করা যায়নি। 🌹৬. বাঙালি কবিদের মধ্যে নজরুলই ছিলেন সবচেয়ে বেশি রসিক। তাঁর কথায় হাসির ঢেউ উঠত। হিরণ্ময় ভট্টাচার্য ‘রসিক নজরুল’ নামে একটি বই লিখেছেন। যাঁরা বইটি পড়েননি, তাঁদের পক্ষে বোঝা কষ্টকর নজরুল কী পরিমাণ রসিক ছিলেন! একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, একবার এক ভদ্রমহিলা নজরুলকে খুব স্মার্টলি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি পানাসক্ত?’ নজরুল বললেন, ‘না, বেশ্যাসক্ত!’ কবির কথায় ভদ্রমহিলার মুখ কালো হয়ে গেল। আর তক্ষুনি ব্যাখ্যা করলেন নজরুল, ‘পান একটু বেশি খাই। তাই বেশ্যাসক্ত, অর্থাৎ বেশি+আসক্ত = বেশ্যাসক্ত!’ 🌹৭. নজরুলের প্রেমে পড়েননি, এমন পুরুষ কিংবা নারী খুঁজে পাওয়া ভার। তাঁর চরম শত্রুরাও তাঁর ভালোবাসার শক্তির কাছে হার মেনেছেন। কবি বুদ্ধদেব বসু নজরুলকে প্রথম দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। তিনি লিখেছেন, ‘সেই প্রথম আমি দেখলাম নজরুলকে। এবং অন্য অনেকের মতো যথারীতি তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম!’ শুধু বুদ্ধদেব বসু নন, তাঁর স্ত্রী প্রতিভা বসুও নজরুলের প্রেমে পড়েছিলেন। সেই কাহিনি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘আয়না’ নামে একটি গল্প। কী অবাক কাণ্ড! স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একই লেখকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন! 🌹৮. কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর পান ও চা খেতেন। লিখতে বসার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ চা আর এক থালা পান নিয়ে বসতেন তিনি। পান শেষ করে চা, এরপর আবার চা শেষ করে পান খেতেন। তিনি বলতেন, ‘লেখক যদি হতে চান/ লাখ পেয়ালা চা খান!’ 🌹৯. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের হস্তরেখা বিশারদ। তিনি অনেকের হাত দেখে যা বলতেন, তা-ই ঘটতে দেখা গেছে। একবার এক লোককে বললেন, আপনার বিদেশযাত্রা আছে, লোকটি সত্যিই কয়েক দিনের মধ‌্যে বিদেশ চলে গেল! আরেকজনকে বললেন, ‘আপনি পৃথিবীর বাইরে চলে যেতে পারেন।’ পরে ওই লোকটির মৃত্যু ঘটেছিল! 🌹১০. মাঝেমধ্যে রাগান্বিত হলে নজরুল তাঁর সামনে যদি কোনো বই-খাতা পেতেন বা কাগজ পেতেন, তা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতেন। 🌹১১. অর্থের ব্যাপারে নজরুল ছিলেন ভয়াবহ বেহিসাবি। হাতে টাকা এলেই তা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমোদ-ফুর্তি করে শেষ করে দিতেন। আর বলতেন, ‘আমি আমার হাতের টাকা বন্ধুদের জন্য খরচ করছি। আর যখন ওদের টাকা হবে ওরাও আমার জন্য খরচ করবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ 🌹১২. নজরুল তাঁর দুই পুত্রের ডাকনাম সানি (কাজী সব্যসাচী) আর নিনি (কাজী অনিরুদ্ধ) রেখেছিলেন তাঁর দুই প্রিয় মানুষ সান ইয়াত-সেন ও লেনিনের নামানুসারে। 🌹১৩. নজরুল তাঁর সন্তানদের খুবই ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি তাঁদের নিজ হাতে খাওয়াতেন আর ছড়া কাটতেন, ‘সানি-নিনি দুই ভাই/ ব্যাঙ মারে ঠুই ঠাই।’ কিংবা ‘তোমার সানি যুদ্ধে যাবে মুখটি করে চাঁদপানা/ কোল-ন্যাওটা তোমার নিনি বোমার ভয়ে আধখানা।’ 🌹১৪. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের জনদরদি মানুষ। একটি ঘটনা দিয়ে তার প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার এক দরিদ্র হিন্দু মেয়ের বিবাহ। কোনোরকমে কন্যা বিদায়ের আয়োজন চলছে। নজরুল খবরটি পেলেন। তিনি দ্রুত বাজারে গেলেন। এক হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে বিয়ের বাজার করলেন। তারপর ধুমধাম করে মেয়েটির বিয়ে হলো। মেয়ের বাবা নজরুলকে প্রণাম করে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমরা আপনাকে ভুলব না কোনো দিন।’ এমনই ছিলেন কবি। তাঁর বাড়িতে সাঁওতাল, গারো, কোল—সবাই দল বেঁধে আসতেন। আপ্যায়িত হতেন উৎসবসহকারে। 🌹১৫. নজরুল কবিতা ও গানের স্বত্ব বিক্রি করে উন্নত মানের একটি ক্রাইসলার গাড়ি কিনতে পেরেছিলেন। এই গাড়ি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি। 🌹১৬. নজরুল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা ভাড়া করে মাঝেমধ্যে প্রমোদভ্রমণে যেতেন। 🌹১৭. নজরুলের দৃষ্টিশক্তি ছিল অসামান্য। তিনি গভীর অন্ধকারেও বহুদূরের কোনো জিনিস স্পষ্ট দেখতে পেতেন। 🌹১৮. নজরুল ছিলেন অসম্ভব রকমের ক্রীড়াপ্রেমী। সময় পেলেই তিনি ফুটবল খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ছুটতেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। যেদিন বাড়ি থেকে সোজা খেলা দেখতে যেতেন, সেদিন দুই পুত্র সানি আর নিনিকে সঙ্গে নিতেন। একবার খেলা দেখতে গেছেন। স্টেডিয়ামে পাশে বসে আছেন হুমায়ূন কবির। খেলা ভাঙার পর ভিড়ের মধ্যে দুই পুত্র খানিকটা আড়ালে চলে গেল। হঠাৎ পেছন থেকে নজরুলের হাঁকডাক শোনা গেল, ‘সানি কোথায়? নিনি কোথায়?’ মাঠসুদ্ধ লোক হাঁ হয়ে নজরুলকে দেখছে। এরই মধ্যে দুই পুত্রকে ঠেসে ধরে ট্যাক্সি করে বাড়ি নিয়ে এসে তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন। 🌹১৯. নজরুল বেশ দক্ষ দাবাড়ু ছিলেন। যেদিন বিশেষ কোনো কাজ থাকত না, সেদিন তিনি দাবা খেলতেন। খেলায় এমন মগ্ন হতেন যে খাওয়া-নাওয়ার খেয়ালও থাকত না। মাঝেমধ্যে নজরুলের বাড়িতে দাবার আসর বসাতে আসতেন কাজী মোহাতার হোসেন ও হেম সোম। 🌹২০. কলকাতায় নজরুলের তিনতলা বাড়ির সামনে ছিল একটা ন্যাড়া মাঠ। খেলা নিয়ে বহু কাণ্ড ঘটেছে ওই মাঠে। একবার জোর ক্রিকেট খেলা চলছে। নজরুল গ্যালারি অর্থাৎ বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলারত তাঁর দুই পুত্রকে জোর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বড় পুত্র সানি এল ব্যাট করতে। প্রথম বলেই ছয়! নজরুলের সে কি দাপাদাপি! ঠিক পরের বল আসার আগে তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘সানি, ওই রকম আরেকটা মার।’ ব্যস বাবার কথায় উত্তেজিত হয়ে দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ব্যাট চালাল পুত্র। ব্যাট অবশ্য বলে লাগল না। লাগল উইকেটকিপারের চোয়ালে! বেশ রক্তারক্তি অবস্থা! অবশেষে খেলা বন্ধ করা হলো। এমনই নানা রঙের মানুষ ছিলেন নজরুল। যাঁর জীবনে দুঃখ-কষ্টের অভাব ছিল না, আবার রং-রূপেরও অভাব ছিল না। পৃথিবীর খুব কম মানুষই বোধ হয় এমন মহাজীবনের অধিকারী হন। বুদ্ধদেব বসু যথার্থই বলেছিলেন, ‘কণ্ঠে তাঁর হাসি, কণ্ঠে তাঁর গান, প্রাণে তাঁর অফুরান আনন্দ—সব মিলিয়ে মনোলুণ্ঠনকারী এক মানুষ।’ সংগৃহীত #nonflowers #everyonehighlightsfollowers #Bmw #foryou #karimascreation
    0 Comments 0 Shares 467 Views
  • Deri Kore Asben | দেরি করে আসবেন | Full Natok| Apurba & Sadia Ayman | New Natok 2025 | Capital Drama
    Deri Kore Asben | দেরি করে আসবেন | Full Natok| Apurba & Sadia Ayman | New Natok 2025 | Capital Drama
    0 Comments 0 Shares 95 Views
  • Intelligent Khiladi (Goodachari) Hindi Dubbed Movie | South Movie | Adivi Sesh, Sobhita Dhulipala
    Intelligent Khiladi (Goodachari) Hindi Dubbed Movie | South Movie | Adivi Sesh, Sobhita Dhulipala
    0 Comments 0 Shares 87 Views
  • 0 Comments 0 Shares 82 Views
  • শত কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ফ্লাইট এক্সপার্ট'র মালিক! | Flight Expert Scam | Air Ticket Booking
    শত কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ফ্লাইট এক্সপার্ট'র মালিক! | Flight Expert Scam | Air Ticket Booking
    0 Comments 0 Shares 105 Views
  • রাগ শুধু মনকে নয়, শরীরকেও কষ্ট দেয়। আবেগের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের ভেতর নানা জৈবিক পরিবর্তন ঘটে। আপনি যদি মাত্র এক মিনিটও প্রচণ্ড রাগ করে থাকেন তাহলে তখনই আপনার শরীরে স্ট্রেস হরমোন যেমন কর্টিসল হঠাৎ বেড়ে যায়। হার্টবিট দ্রুত হয়ে যায়, শরীরের ভেতরে প্রদাহের প্রক্রিয়া বাড়তে শুরু করে। এর ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম কয়েক ঘণ্টার জন্য দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন আপনার শরীর ভাইরাস বা জীবাণুর আক্রমণের জন্য আরও অসহায় হয়ে যায়।

    সমস্যা এখানেই শেষ হয় না। যদি আপনি প্রায়ই রেগে যান বা দীর্ঘদিন ধরে চাপ আর রাগ নিজের ভেতরে জমিয়ে রাখেন, সেটা আপনার জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি রাগ আর মানসিক চাপ হার্টের অসুখ, হজমের সমস্যা, উদ্বেগ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে। কিন্তু সুখবর হলো—রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখলে শরীরও সুস্থ থাকবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, কিছু সহজ অভ্যাস যেমন প্রতিদিন কিছুক্ষণ মননশীলতা বা mindfulness অনুশীলন, গভীর শ্বাস নেওয়া বা নিয়মিত ব্যায়াম আপনার মনকে শান্ত করবে এবং শরীরের ভেতর থেকে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করবে।

    তাই রেগে গিয়ে কিছু ভাঙচুর করার আগে বা চিৎকার করার আগে মনে রাখুন এই রাগ শুধু আপনার মেজাজ নষ্ট করছে না, আপনার শরীরের সুরক্ষা ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে দিচ্ছে।
    রাগ শুধু মনকে নয়, শরীরকেও কষ্ট দেয়। আবেগের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের ভেতর নানা জৈবিক পরিবর্তন ঘটে। আপনি যদি মাত্র এক মিনিটও প্রচণ্ড রাগ করে থাকেন তাহলে তখনই আপনার শরীরে স্ট্রেস হরমোন যেমন কর্টিসল হঠাৎ বেড়ে যায়। হার্টবিট দ্রুত হয়ে যায়, শরীরের ভেতরে প্রদাহের প্রক্রিয়া বাড়তে শুরু করে। এর ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম কয়েক ঘণ্টার জন্য দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন আপনার শরীর ভাইরাস বা জীবাণুর আক্রমণের জন্য আরও অসহায় হয়ে যায়। সমস্যা এখানেই শেষ হয় না। যদি আপনি প্রায়ই রেগে যান বা দীর্ঘদিন ধরে চাপ আর রাগ নিজের ভেতরে জমিয়ে রাখেন, সেটা আপনার জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি রাগ আর মানসিক চাপ হার্টের অসুখ, হজমের সমস্যা, উদ্বেগ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে। কিন্তু সুখবর হলো—রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখলে শরীরও সুস্থ থাকবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, কিছু সহজ অভ্যাস যেমন প্রতিদিন কিছুক্ষণ মননশীলতা বা mindfulness অনুশীলন, গভীর শ্বাস নেওয়া বা নিয়মিত ব্যায়াম আপনার মনকে শান্ত করবে এবং শরীরের ভেতর থেকে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করবে। তাই রেগে গিয়ে কিছু ভাঙচুর করার আগে বা চিৎকার করার আগে মনে রাখুন এই রাগ শুধু আপনার মেজাজ নষ্ট করছে না, আপনার শরীরের সুরক্ষা ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে দিচ্ছে।
    Love
    Wow
    2
    0 Comments 0 Shares 208 Views
  • কালাচ সাপঃ নিরবঘাতক বিষধরের ভয়ংকর রহস্য

    ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশ ও ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশই ঘটে কালাচ সাপের কারণে। এ সাপটিকে অনেকে বলেন “নীরব ঘাতক”, কারণ এরা তাদের শিকার বেছে নেয় রাতের আঁধারে, যখন সবাই নিশ্চিন্ত ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো—কালাচের কামড় অনেক সময় মানুষ টেরই পায় না, অথচ মুহূর্তের মধ্যে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। মাত্র ২০ মিলিগ্রাম নিউরোটক্সিন ইনজেক্ট করতে সক্ষম এ সাপ, যা একজন মানুষকে মারার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

    কালাচ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus caeruleus। “Bungarus” শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে, যার অর্থ বাঁকানো বা সর্পিল, আর “caeruleus” লাতিন শব্দ, যার মানে নীলাভ রঙ। বাংলাদেশে এদের কালো ঝকঝকে শরীর এবং সাদা আড়াআড়ি দাগের জন্য সহজেই চেনা যায়। দৈর্ঘ্য সাধারণত দেড় থেকে দুই মিটার হয়ে থাকে।

    কালাচ মূলত নিশাচর প্রাণী। দিনে এরা ঝোপঝাড়, ইঁদুরের গর্ত কিংবা মানুষের বসতবাড়ির অন্ধকার কোণে লুকিয়ে থাকে। রাতে বেরিয়ে শিকার করে প্রধানত অন্য সাপ, ব্যাঙ, গিরগিটি এবং মাঝে মাঝে ইঁদুর। এদের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো অত্যন্ত ধীরস্থির ও অল্প নড়াচড়ার স্বভাব, যা অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়।

    তাদের বিষের প্রকৃতি নিউরোটক্সিক। অর্থাৎ, এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ চালায়। প্রথমে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, পরে শ্বাসপ্রশ্বাসের পেশি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রে কামড় ব্যথাহীন হওয়ায় ভুক্তভোগী বিষক্রিয়ার শুরুটা বোঝতেই পারে না, ফলে চিকিৎসা বিলম্বিত হয়।

    বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষা ও শরৎকালে কালাচ সাপ বেশি সক্রিয় থাকে। গ্রামীণ এলাকায় ধানক্ষেত, পুকুরপাড় এবং মানুষের ঘরের ভেতরেও এদের দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সাপের কামড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো কালাচ সাপ।

    তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা ও প্রতিরোধই এ সমস্যার সমাধান। রাতে মশারি ব্যবহার, ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা কালাচ সাপের আক্রমণ কমাতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়, যা দ্রুত প্রয়োগ করলে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।

    কালাচ সাপের অস্তিত্ব আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, বিষধর হলেও প্রতিটি প্রাণীই প্রকৃতির ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ। ইঁদুর ও অন্যান্য ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে এরা পরিবেশকে পরোক্ষভাবে মানুষের জন্য নিরাপদ রাখে। তাই এদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেয়ে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

    বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো প্রকৃতিকে বোঝা, ভয় না পেয়ে সচেতন হওয়া এবং সাপের কামড় প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা।

    “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান।

    #ঘড়িয়ালবাংলা #কালাচসাপ #CommonKrait #বিষধরসরীসৃপ #SnakeBiteAwareness #ScienceFacts #WildlifeBangladesh #GhorialBangla
    কালাচ সাপঃ নিরবঘাতক বিষধরের ভয়ংকর রহস্য ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশ ও ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশই ঘটে কালাচ সাপের কারণে। এ সাপটিকে অনেকে বলেন “নীরব ঘাতক”, কারণ এরা তাদের শিকার বেছে নেয় রাতের আঁধারে, যখন সবাই নিশ্চিন্ত ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো—কালাচের কামড় অনেক সময় মানুষ টেরই পায় না, অথচ মুহূর্তের মধ্যে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। মাত্র ২০ মিলিগ্রাম নিউরোটক্সিন ইনজেক্ট করতে সক্ষম এ সাপ, যা একজন মানুষকে মারার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। কালাচ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus caeruleus। “Bungarus” শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে, যার অর্থ বাঁকানো বা সর্পিল, আর “caeruleus” লাতিন শব্দ, যার মানে নীলাভ রঙ। বাংলাদেশে এদের কালো ঝকঝকে শরীর এবং সাদা আড়াআড়ি দাগের জন্য সহজেই চেনা যায়। দৈর্ঘ্য সাধারণত দেড় থেকে দুই মিটার হয়ে থাকে। কালাচ মূলত নিশাচর প্রাণী। দিনে এরা ঝোপঝাড়, ইঁদুরের গর্ত কিংবা মানুষের বসতবাড়ির অন্ধকার কোণে লুকিয়ে থাকে। রাতে বেরিয়ে শিকার করে প্রধানত অন্য সাপ, ব্যাঙ, গিরগিটি এবং মাঝে মাঝে ইঁদুর। এদের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো অত্যন্ত ধীরস্থির ও অল্প নড়াচড়ার স্বভাব, যা অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়। তাদের বিষের প্রকৃতি নিউরোটক্সিক। অর্থাৎ, এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ চালায়। প্রথমে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, পরে শ্বাসপ্রশ্বাসের পেশি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রে কামড় ব্যথাহীন হওয়ায় ভুক্তভোগী বিষক্রিয়ার শুরুটা বোঝতেই পারে না, ফলে চিকিৎসা বিলম্বিত হয়। বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষা ও শরৎকালে কালাচ সাপ বেশি সক্রিয় থাকে। গ্রামীণ এলাকায় ধানক্ষেত, পুকুরপাড় এবং মানুষের ঘরের ভেতরেও এদের দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সাপের কামড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো কালাচ সাপ। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা ও প্রতিরোধই এ সমস্যার সমাধান। রাতে মশারি ব্যবহার, ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা কালাচ সাপের আক্রমণ কমাতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়, যা দ্রুত প্রয়োগ করলে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। কালাচ সাপের অস্তিত্ব আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, বিষধর হলেও প্রতিটি প্রাণীই প্রকৃতির ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ। ইঁদুর ও অন্যান্য ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে এরা পরিবেশকে পরোক্ষভাবে মানুষের জন্য নিরাপদ রাখে। তাই এদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেয়ে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো প্রকৃতিকে বোঝা, ভয় না পেয়ে সচেতন হওয়া এবং সাপের কামড় প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা। “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান। #ঘড়িয়ালবাংলা #কালাচসাপ #CommonKrait #বিষধরসরীসৃপ #SnakeBiteAwareness #ScienceFacts #WildlifeBangladesh #GhorialBangla
    0 Comments 0 Shares 342 Views
  • পৃথিবীর অক্ষ নড়ে গেছে! আমরা কি বুঝতেই পারছি না বিপদ আসছে?

    জানলে আপনি চমকে যাবেন — পৃথিবীর অক্ষ ৩১.৫ ইঞ্চি সরে গেছে! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ৮০ সেন্টিমিটার যেন বেশি কিছু নয়, কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এর প্রভাব হতে পারে মারাত্মক।

    কেন এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে?
    মানুষের লাগামহীন পানি উত্তোলনই মূল অপরাধী
    আমরা মাটির নিচ থেকে এত বিপুল পরিমাণ পানি তুলে নিচ্ছি, যে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
    এর ফলে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর ঘূর্ণনের অক্ষ — যা আগে সহস্র বছরেও ঘটত না, তা এখন ঘটছে কয়েক দশকের মধ্যে!

    কী কী ঘটতে পারে এর প্রভাবে?
    বিজ্ঞানীরা বলছেন এই অক্ষচ্যুতি প্রভাব ফেলতে পারে —
    1. আবহাওয়ার স্বাভাবিক ধারায়
    2. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায়
    3. বিশ্ব জলবায়ুর স্থিতিশীলতায়
    এমনকি কোনো অঞ্চলে অসম বৃষ্টি, খরা, কিংবা চরম জলবায়ুর ঘটনাও বাড়তে পারে!

    আপনি কী ভাবছেন এই অক্ষচ্যুতি নিয়ে? নিচে কমেন্ট করে জানান আপনার মতামত।

    #Amezing #facts #earth #viralpost2025
    #highlightseveryonefollowers
    #likefollowsharecomment
    Geography zone- ভূগোল বলয়
    🌍 পৃথিবীর অক্ষ নড়ে গেছে! আমরা কি বুঝতেই পারছি না বিপদ আসছে? 🔺জানলে আপনি চমকে যাবেন — পৃথিবীর অক্ষ ৩১.৫ ইঞ্চি সরে গেছে! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ৮০ সেন্টিমিটার যেন বেশি কিছু নয়, কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এর প্রভাব হতে পারে মারাত্মক। 🔺কেন এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে? মানুষের লাগামহীন পানি উত্তোলনই মূল অপরাধী আমরা মাটির নিচ থেকে এত বিপুল পরিমাণ পানি তুলে নিচ্ছি, যে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 🌐 এর ফলে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর ঘূর্ণনের অক্ষ — যা আগে সহস্র বছরেও ঘটত না, তা এখন ঘটছে কয়েক দশকের মধ্যে! ⚠️ কী কী ঘটতে পারে এর প্রভাবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন এই অক্ষচ্যুতি প্রভাব ফেলতে পারে — 1. 🌧️ আবহাওয়ার স্বাভাবিক ধারায় 2. 🌊 সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায় 3. 🌡️বিশ্ব জলবায়ুর স্থিতিশীলতায় এমনকি কোনো অঞ্চলে অসম বৃষ্টি, খরা, কিংবা চরম জলবায়ুর ঘটনাও বাড়তে পারে! আপনি কী ভাবছেন এই অক্ষচ্যুতি নিয়ে? নিচে কমেন্ট করে জানান আপনার মতামত। #Amezing #facts #earth #viralpost2025 #highlightseveryonefollowers #likefollowsharecomment Geography zone- ভূগোল বলয়
    0 Comments 0 Shares 370 Views
  • ম্যানটিস শ্রিম্প: যার ঘুষি ভাঙে কাঁচ, আর চোখ হার মানায় রোবটকেও!

    সমুদ্রের নীচে, যেখানে আলো ম্লান, শব্দ নিঃশব্দ আর বেঁচে থাকার জন্য যা দরকার তা হলো চতুরতা! সেখানেই বাস করে একটা রহস্যময় প্রাণী। খুব ছোট দেখতে, একটা চিংড়ির মতো। নাম Mantis Shrimp। কিন্তু এই নামের মধ্যে লুকিয়ে আছে যে শক্তি, যে রহস্য, তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।

    এর ঘুষি এতটাই জোরালো, যে তা দিয়ে অ্যাকুরিয়ামের কাঁচ ফেটে যায়। আর চোখ? আপনি, আমি, ক্যামেরা, এমনকি কিছু রোবট সেন্সর কেউই এদের চোখের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে না।

    এরা ঘুষি মারে ৮০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে! Mantis Shrimp-এর সামনে থাকে দুইটা শক্তিশালী ক্লাব যেন পাথরের হাতুড়ি! শিকার দেখলেই সে এত জোরে আঘাত করে, যে পানির নিচে সেই ঘুষির গতিতে একপ্রকার ছোট্ট শকওয়েভ তৈরি হয়। এটাই বলা হয় Cavitation Bubble। এই বুদবুদের বিস্ফোরণ এত তীব্র যে, যদি ঘুষি থেকে কেউ বেঁচেও যায়, এই শকওয়েভেই সে শেষ!

    এরা ঘুষি মারার সময় মাত্র ৩ মিলিসেকেন্ডে (এক চোখের পলকের চেয়েও কম) শক্তি ছুড়ে মারে, যার গতি বুলেটের সমান। পানির নিচে এত জোরে কেউ কিভাবে আঘাত করতে পারে এটাই বিজ্ঞানীদের এক বিশাল বিস্ময়!

    চোখে যে জিনিস এরা দেখে, আমরা তা কল্পনাও করতে পারি না! আপনার চোখে আছে মাত্র ৩ ধরনের রঙ শনাক্তকারী কোষ লাল, সবুজ আর নীল। কিন্তু ম্যানটিস শ্রিম্পের চোখে আছে ১৬টি!

    এরা শুধু আলাদা রঙ না, অতিবেগুনি রশ্মি (UV) এমনকি পোলারাইজড আলোও দেখতে পারে যা মানুষের পক্ষে একেবারেই অদৃশ্য!

    যার মানে, এই প্রাণীটা আমাদের চেনা দুনিয়ার বাইরেও কিছু দেখে! যেন সে সমুদ্রের নিচে এক বিকল্প বাস্তবতা দেখতে পায়। এটাই এমন একটা স্তর, যা বিজ্ঞানের সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরাও পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারেনি।

    এদের প্রতিটি চোখ ঘোরে আলাদাভাবে এবং প্রতিটি চোখেই এমন গঠন আছে যা দিয়ে তারা depth, movement, এমনকি পোলারিটি আলাদাভাবে চিনতে পারে। প্রতিটা চোখে যেন একটা করে ছোট কম্পিউটার বসানো!

    সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, এরা চোখেই অনেক কিছু প্রক্রিয়া করে ফেলে সেটা মস্তিষ্কে না পাঠিয়েই! অর্থাৎ চোখ-ই এদের অর্ধেক বুদ্ধির জায়গা!

    মানুষ ভাবে সে-ই সবকিছু জানে, কিন্তু প্রকৃতি চুপচাপ এমন সব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে একটা ছোট্ট প্রাণীর ভেতরে, যা পুরো বিজ্ঞানের চেহারাই বদলে দিতে পারে। একটা চিংড়ির মতো ছোট্ট প্রাণী, কিন্তু তার চোখ আর ঘুষি নিয়
    ম্যানটিস শ্রিম্প: যার ঘুষি ভাঙে কাঁচ, আর চোখ হার মানায় রোবটকেও! সমুদ্রের নীচে, যেখানে আলো ম্লান, শব্দ নিঃশব্দ আর বেঁচে থাকার জন্য যা দরকার তা হলো চতুরতা! সেখানেই বাস করে একটা রহস্যময় প্রাণী। খুব ছোট দেখতে, একটা চিংড়ির মতো। নাম Mantis Shrimp। কিন্তু এই নামের মধ্যে লুকিয়ে আছে যে শক্তি, যে রহস্য, তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। এর ঘুষি এতটাই জোরালো, যে তা দিয়ে অ্যাকুরিয়ামের কাঁচ ফেটে যায়। আর চোখ? আপনি, আমি, ক্যামেরা, এমনকি কিছু রোবট সেন্সর কেউই এদের চোখের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে না। এরা ঘুষি মারে ৮০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে! Mantis Shrimp-এর সামনে থাকে দুইটা শক্তিশালী ক্লাব যেন পাথরের হাতুড়ি! শিকার দেখলেই সে এত জোরে আঘাত করে, যে পানির নিচে সেই ঘুষির গতিতে একপ্রকার ছোট্ট শকওয়েভ তৈরি হয়। এটাই বলা হয় Cavitation Bubble। এই বুদবুদের বিস্ফোরণ এত তীব্র যে, যদি ঘুষি থেকে কেউ বেঁচেও যায়, এই শকওয়েভেই সে শেষ! এরা ঘুষি মারার সময় মাত্র ৩ মিলিসেকেন্ডে (এক চোখের পলকের চেয়েও কম) শক্তি ছুড়ে মারে, যার গতি বুলেটের সমান। পানির নিচে এত জোরে কেউ কিভাবে আঘাত করতে পারে এটাই বিজ্ঞানীদের এক বিশাল বিস্ময়! চোখে যে জিনিস এরা দেখে, আমরা তা কল্পনাও করতে পারি না! আপনার চোখে আছে মাত্র ৩ ধরনের রঙ শনাক্তকারী কোষ লাল, সবুজ আর নীল। কিন্তু ম্যানটিস শ্রিম্পের চোখে আছে ১৬টি! এরা শুধু আলাদা রঙ না, অতিবেগুনি রশ্মি (UV) এমনকি পোলারাইজড আলোও দেখতে পারে যা মানুষের পক্ষে একেবারেই অদৃশ্য! যার মানে, এই প্রাণীটা আমাদের চেনা দুনিয়ার বাইরেও কিছু দেখে! যেন সে সমুদ্রের নিচে এক বিকল্প বাস্তবতা দেখতে পায়। এটাই এমন একটা স্তর, যা বিজ্ঞানের সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরাও পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারেনি। এদের প্রতিটি চোখ ঘোরে আলাদাভাবে এবং প্রতিটি চোখেই এমন গঠন আছে যা দিয়ে তারা depth, movement, এমনকি পোলারিটি আলাদাভাবে চিনতে পারে। প্রতিটা চোখে যেন একটা করে ছোট কম্পিউটার বসানো! সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, এরা চোখেই অনেক কিছু প্রক্রিয়া করে ফেলে সেটা মস্তিষ্কে না পাঠিয়েই! অর্থাৎ চোখ-ই এদের অর্ধেক বুদ্ধির জায়গা! মানুষ ভাবে সে-ই সবকিছু জানে, কিন্তু প্রকৃতি চুপচাপ এমন সব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে একটা ছোট্ট প্রাণীর ভেতরে, যা পুরো বিজ্ঞানের চেহারাই বদলে দিতে পারে। একটা চিংড়ির মতো ছোট্ট প্রাণী, কিন্তু তার চোখ আর ঘুষি নিয়
    0 Comments 0 Shares 225 Views
  • আপনার গবেষণা পদ্ধতির সাতকাহন: লিনিয়ার রিগ্রেশন
    (Linear Regression in Research methodology)

    ধরুন, আপনি অনেকগুলো কাঁচামাল জোগাড় করেছেন। এখন সেই কাঁচামাল দিয়ে কী বানাবেন, কীভাবে বানাবেন, সেটাই হলো বিশ্লেষণের কাজ। আর এই বিশ্লেষণের দুনিয়ায় একটা দারুণ 'ম্যাজিক টুল' আছে, যার নাম লিনিয়ার রিগ্রেশন। এর নামটা একটু জটিল শোনালেও, এর কাজটা কিন্তু খুবই সহজ আর কাজের। চলুন, আজ আমরা এই লিনিয়ার রিগ্রেশনের আদ্যোপান্ত জেনে নিই, একদম A2Z!

    লিনিয়ার রিগ্রেশন আসলে কী? (What is Linear Regression?)
    আচ্ছা, আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, একজন শিক্ষার্থী যত বেশি সময় পড়াশোনা করে, তার পরীক্ষার নম্বর তত বাড়ে কেন? অথবা, একটি পণ্যের দাম বাড়লে তার বিক্রি কমে যায় কেন? এই 'কেন' আর 'কীভাবে'র সম্পর্কটা খুঁজে বের করার জন্যই লিনিয়ার রিগ্রেশনকে আমরা ব্যবহার করি।

    সহজ করে বললে, লিনিয়ার রিগ্রেশন হলো এমন একটি পরিসংখ্যানগত কৌশল, যা দুটি বা তার বেশি বিষয়ের মধ্যে একটা সরলরেখার মতো সম্পর্ক খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা একটা অদৃশ্য সুতো খুঁজে বের করার মতো, যা দুটি জিনিসকে একসঙ্গে বেঁধে রাখে। যেমন, পড়াশোনার সময় আর পরীক্ষার নম্বরের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে, তাই না? লিনিয়ার রিগ্রেশন সেই সম্পর্কটাকে একটা সরলরেখা দিয়ে প্রকাশ করে।

    এখানে দুটো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আছে, যাদেরকে আমরা 'চলক' (Variables) বলি:

    ১। স্বাধীন চলক (Independent Variable): এই হলো সেই 'কারণ' বা 'ইনপুট'। একে আপনি পরিবর্তন করতে পারেন, বা এটি নিজে নিজেই পরিবর্তিত হয় এবং অন্য কোনো কিছুকে প্রভাবিত করে। যেমন, পড়াশোনার সময়, বিজ্ঞাপনের খরচ, বা একটি বাড়ির আকার। ভাবুন তো, পড়াশোনার সময় বাড়লে বা কমলে পরীক্ষার নম্বরের ওপর একটা প্রভাব পড়ে, তাই না?

    ২। নির্ভরশীল চলক (Dependent Variable): আর এই হলো সেই 'ফলাফল' বা 'আউটপুট', যা স্বাধীন চলকের পরিবর্তনের কারণে প্রভাবিত হয়। যেমন, পরীক্ষার নম্বর, পণ্যের বিক্রি, বা বাড়ির দাম। এই চলকটি স্বাধীন চলকের উপর 'নির্ভর' করে।

    লিনিয়ার রিগ্রেশনের মূল লক্ষ্য হলো এই স্বাধীন ও নির্ভরশীল চলকের মধ্যে একটা গাণিতিক সম্পর্ক খুঁজে বের করা, যা দেখতে একটা সরলরেখার মতো। এই রেখার একটা সমীকরণ থাকে: Y=a+bX

    এখানে: Y হলো নির্ভরশীল চলক (ফলাফল): অর্থাৎ, আপনি যে জিনিসটা অনুমান করতে চান বা যার পরিবর্তন মাপতে চান।

    X হলো স্বাধীন চলক (কারণ): অর্থাৎ, যে জিনিসটা পরিবর্তনের কারণ হিসেবে কাজ করছে।

    a হলো ইন্টারসেপ্ট (Intercept): এটি অনেকটা গ্রাফের Y-অক্ষকে রেখাটি যেখানে ছেদ করে সেই বিন্দু। সহজ ভাষায়, যখন স্বাধীন চলক (X) এর মান শূন্য হয়, তখন নির্ভরশীল চলক (Y) এর আনুমানিক মান কত হবে, সেটাই a। যেমন, যদি আপনি একদমই পড়াশোনা না করেন (X=0), তাহলে আপনার পরীক্ষার নম্বর কত হতে পারে, তার একটা আনুমানিক ধারণা।

    b হলো স্লপ (Slope): এটি রেখার ঢাল বা খাড়া হওয়ার পরিমাণ নির্দেশ করে। এটি দেখায়, স্বাধীন চলক (X) এর মান যখন এক ইউনিট বাড়ে, তখন নির্ভরশীল চলক (Y) এর মান কতটুকু পরিবর্তন হয়। যেমন, যদি b এর মান ২ হয়, তার মানে পড়াশোনার সময় এক ঘণ্টা বাড়ালে পরীক্ষার নম্বর আনুমানিক ২ বাড়বে।

    কেন আমরা লিনিয়ার রিগ্রেশন ব্যবহার করি? (Why Use It?)

    এর প্রধান কাজ দুটো, যা গবেষণায় দারুণ কাজে আসে:
    A) সম্পর্ক বোঝা (Understanding Relationships): এটি আপনাকে বলে দেবে, আপনার চলকগুলোর মধ্যে আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি না, এবং সেই সম্পর্কটা কতটা শক্তিশালী। ধরুন, আপনি জানতে চান, বিজ্ঞাপনে খরচ বাড়ালে পণ্যের বিক্রি কি সত্যিই বাড়ে? যদি বাড়ে, তাহলে কতটা বাড়ে? লিনিয়ার রিগ্রেশন আপনাকে এই 'কতটা'র একটা সংখ্যাগত পরিমাপ দেবে।

    B) ভবিষ্যৎ অনুমান করা (Making Predictions): একবার সম্পর্কটা বুঝে গেলে, আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু অনুমান করতে পারি। ধরুন, আপনি দেখলেন যে, তাপমাত্রা বাড়লে আইসক্রিমের বিক্রি বাড়ে। লিনিয়ার রিগ্রেশন আপনাকে একটি মডেল দেবে, যার মাধ্যমে আপনি হয়তো বলতে পারবেন, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা যদি আরও বাড়ে, তাহলে আইসক্রিমের বিক্রি কেমন হতে পারে। এটি অনেকটা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার মতো, যেখানে আমরা অতীতের ডেটা ব্যবহার করে ভবিষ্যতের একটা ধারণা পাই।

    লিনিয়ার রিগ্রেশন কীভাবে কাজ করে? (How Does It Work?)
    লিনিয়ার রিগ্রেশন কাজ করে একটা সরলরেখা ব্যবহার করে। ভাবুন, আপনার কাছে কিছু ডেটা পয়েন্ট আছে, যেমন গ্রাফ পেপারে ছড়ানো কিছু বিন্দু। লিনিয়ার রিগ্রেশনের কাজ হলো এই বিন্দুগুলোর মাঝখান দিয়ে এমন একটা সরলরেখা আঁকা, যা সব বিন্দু থেকে 'গড়ে' সবচেয়ে কম দূরত্বে থাকে। এই 'সবচেয়ে কম দূরত্ব' খুঁজে বের করার জন্য কিছু গাণিতিক হিসাব-নিকাশ করা হয়, যাকে আমরা 'এরর মিনিমাইজেশন' বা 'অবশিষ্ট কমানো' বলি। অর্থাৎ, ডেটা পয়েন্টগুলো থেকে রেখার যে দূরত্ব, সেই দূরত্বগুলোকে যতটা সম্ভব ছোট করা হয়, যাতে রেখাটি ডেটার 'প্রবণতা' বা 'ট্রেন্ড'কে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখাতে পারে। এই রেখাটিই হলো আপনার রিগ্রেশন লাইন, যা আপনার ডেটার গল্পটা বলে।

    লিনিয়ার রিগ্রেশনের প্রকারভেদ (Types of Linear Regression)
    লিনিয়ার রিগ্রেশন মূলত দুটি প্রধান ধরনে বিভক্ত, নির্ভর করে আপনি কতগুলো স্বাধীন চলক ব্যবহার করছেন তার উপর:

    সাধারণ লিনিয়ার রিগ্রেশন (Simple Linear Regression): এখানে শুধু একটি স্বাধীন চলক এবং একটি নির্ভরশীল চলক থাকে।

    উদাহরণ: একজন ছাত্রের পড়াশোনার সময়ের (স্বাধীন চলক) সাথে তার পরীক্ষার নম্বরের (নির্ভরশীল চলক) সম্পর্ক। এখানে আপনি শুধু একটি কারণ (পড়াশোনার সময়) দিয়ে একটি ফলাফল (পরীক্ষার নম্বর) বোঝার চেষ্টা করছেন।

    মাল্টিপল লিনিয়ার রিগ্রেশন (Multiple Linear Regression): এখানে একাধিক স্বাধীন চলক এবং একটি নির্ভরশীল চলক থাকে।

    উদাহরণ: একটি বাড়ির দাম (নির্ভরশীল চলক) শুধু তার আকারের উপর নির্ভর করে না, বরং এলাকার অবস্থান, বাড়ির বয়স, রুমের সংখ্যা, বাথরুমের সংখ্যা – এই সবকিছুর উপর নির্ভর করে। মাল্টিপল রিগ্রেশন এই সব কারণ একসঙ্গে বিশ্লেষণ করে দেখায় যে, কোন কারণটি বাড়ির দামের উপর কতটা প্রভাব ফেলছে। এটি অনেকটা অনেকগুলো কারণ একসঙ্গে একটি ফলাফলের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা দেখার মতো।

    কিছু জরুরি কথা (Key Concepts): অবশিষ্ট (Residuals): রিগ্রেশন রেখাটি সব ডেটা পয়েন্টের উপর দিয়ে যায় না, কিছু পয়েন্ট রেখার উপরে বা নিচে থাকে। এই ডেটা পয়েন্ট এবং রেখার মধ্যে যে দূরত্ব, সেটিই হলো অবশিষ্ট বা এরর (error)। এটি দেখায়, আমাদের মডেল কতটা নিখুঁতভাবে অনুমান করতে পারছে। যত কম অবশিষ্ট, মডেল তত ভালো।

    সহসম্পর্ক (Correlation): এটি লিনিয়ার রিগ্রেশনের সাথে জড়িত একটি ধারণা। সহসম্পর্ক (যেমন পিয়ারসন কোরিলেশন কোএফিশিয়েন্ট) দুটি চলকের মধ্যে সম্পর্কের শক্তি এবং দিক (ইতিবাচক বা নেতিবাচক) পরিমাপ করে। লিনিয়ার রিগ্রেশন এই সম্পর্ককে একটি মডেলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। সহসম্পর্ক আপনাকে বলবে সম্পর্ক আছে কিনা, আর রিগ্রেশন আপনাকে বলবে সেই সম্পর্কটা কেমন এবং কীভাবে কাজ করে।

    অনুমান (Assumptions): লিনিয়ার রিগ্রেশন কিছু নির্দিষ্ট শর্তের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। যেমন, চলকগুলোর মধ্যে সম্পর্কটা যেন সত্যিই সরলরৈখিক হয়, ডেটা পয়েন্টগুলো যেন খুব বেশি ছড়ানো-ছিটানো না থাকে (আউটলায়ার না থাকে), এবং এররগুলো যেন এলোমেলোভাবে ছড়ানো থাকে। এই শর্তগুলো পূরণ হলে মডেলের ফলাফল আরও নির্ভরযোগ্য হয়।

    কখন ব্যবহার করবেন, কখন করবেন না? (When to Use, When Not to Use?)

    কখন ব্যবহার করবেন?: যখন আপনি দুটি বা তার বেশি চলকের মধ্যে একটি সরলরৈখিক সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন এবং সেই সম্পর্কটা বুঝতে চান। যখন আপনি একটি চলকের মান ব্যবহার করে অন্য একটি চলকের মান অনুমান করতে চান।

    যখন আপনি জানতে চান, কোন কারণগুলো (স্বাধীন চলক) একটি নির্দিষ্ট ফলাফলের (নির্ভরশীল চলক) উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে। যখন আপনি কোনো ধারাবাহিক ফলাফল (continuous outcome) যেমন, তাপমাত্রা, বিক্রি, নম্বর ইত্যাদি অনুমান করতে চান।

    কখন করবেন না?
    যদি চলকগুলোর মধ্যে কোনো সরলরৈখিক সম্পর্ক না থাকে (যেমন, সম্পর্কটি বক্ররেখার মতো বা এলোমেলো)। এক্ষেত্রে অন্য ধরনের রিগ্রেশন মডেল ব্যবহার করতে হতে পারে। যদি আপনার ডেটায় অনেক বেশি অস্বাভাবিক বা ভুল ডেটা (outliers) থাকে, যা রেখাটিকে ভুলভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই 'আউটলায়ার'গুলো ফলাফলকে ভুল পথে চালিত করতে পারে।

    যদি আপনার স্বাধীন চলকগুলো একে অপরের সাথে খুব বেশি সম্পর্কিত হয় (multicollinearity), তাহলে মাল্টিপল রিগ্রেশন ব্যবহার করা কঠিন হতে পারে। এটি অনেকটা এমন যে, দুটি কারণ একই রকম প্রভাব ফেলছে, তখন বোঝা কঠিন হয়ে যায় কোনটি আসল প্রভাবক।

    লিনিয়ার রিগ্রেশন হলো ডেটা বিশ্লেষণের এক দারুণ হাতিয়ার, যা আপনাকে ডেটার ভেতরের লুকানো গল্পগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। এটি শুধু সংখ্যা নয়, বরং সংখ্যার পেছনের কারণ ও প্রভাবকে বুঝতে শেখায়। আশা করি, এই বিস্তারিত আলোচনা আপনার লিনিয়ার রিগ্রেশন সম্পর্কে ধারণা আরও পরিষ্কার করেছে। আপনার যদি আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন!

    Md. Rony Masud
    BBA, MBA (DU), MS (Japan)
    আপনার গবেষণা পদ্ধতির সাতকাহন: লিনিয়ার রিগ্রেশন (Linear Regression in Research methodology) ধরুন, আপনি অনেকগুলো কাঁচামাল জোগাড় করেছেন। এখন সেই কাঁচামাল দিয়ে কী বানাবেন, কীভাবে বানাবেন, সেটাই হলো বিশ্লেষণের কাজ। আর এই বিশ্লেষণের দুনিয়ায় একটা দারুণ 'ম্যাজিক টুল' আছে, যার নাম লিনিয়ার রিগ্রেশন। এর নামটা একটু জটিল শোনালেও, এর কাজটা কিন্তু খুবই সহজ আর কাজের। চলুন, আজ আমরা এই লিনিয়ার রিগ্রেশনের আদ্যোপান্ত জেনে নিই, একদম A2Z! লিনিয়ার রিগ্রেশন আসলে কী? (What is Linear Regression?) আচ্ছা, আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, একজন শিক্ষার্থী যত বেশি সময় পড়াশোনা করে, তার পরীক্ষার নম্বর তত বাড়ে কেন? অথবা, একটি পণ্যের দাম বাড়লে তার বিক্রি কমে যায় কেন? এই 'কেন' আর 'কীভাবে'র সম্পর্কটা খুঁজে বের করার জন্যই লিনিয়ার রিগ্রেশনকে আমরা ব্যবহার করি। সহজ করে বললে, লিনিয়ার রিগ্রেশন হলো এমন একটি পরিসংখ্যানগত কৌশল, যা দুটি বা তার বেশি বিষয়ের মধ্যে একটা সরলরেখার মতো সম্পর্ক খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা একটা অদৃশ্য সুতো খুঁজে বের করার মতো, যা দুটি জিনিসকে একসঙ্গে বেঁধে রাখে। যেমন, পড়াশোনার সময় আর পরীক্ষার নম্বরের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে, তাই না? লিনিয়ার রিগ্রেশন সেই সম্পর্কটাকে একটা সরলরেখা দিয়ে প্রকাশ করে। এখানে দুটো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আছে, যাদেরকে আমরা 'চলক' (Variables) বলি: ১। স্বাধীন চলক (Independent Variable): এই হলো সেই 'কারণ' বা 'ইনপুট'। একে আপনি পরিবর্তন করতে পারেন, বা এটি নিজে নিজেই পরিবর্তিত হয় এবং অন্য কোনো কিছুকে প্রভাবিত করে। যেমন, পড়াশোনার সময়, বিজ্ঞাপনের খরচ, বা একটি বাড়ির আকার। ভাবুন তো, পড়াশোনার সময় বাড়লে বা কমলে পরীক্ষার নম্বরের ওপর একটা প্রভাব পড়ে, তাই না? ২। নির্ভরশীল চলক (Dependent Variable): আর এই হলো সেই 'ফলাফল' বা 'আউটপুট', যা স্বাধীন চলকের পরিবর্তনের কারণে প্রভাবিত হয়। যেমন, পরীক্ষার নম্বর, পণ্যের বিক্রি, বা বাড়ির দাম। এই চলকটি স্বাধীন চলকের উপর 'নির্ভর' করে। লিনিয়ার রিগ্রেশনের মূল লক্ষ্য হলো এই স্বাধীন ও নির্ভরশীল চলকের মধ্যে একটা গাণিতিক সম্পর্ক খুঁজে বের করা, যা দেখতে একটা সরলরেখার মতো। এই রেখার একটা সমীকরণ থাকে: Y=a+bX এখানে: Y হলো নির্ভরশীল চলক (ফলাফল): অর্থাৎ, আপনি যে জিনিসটা অনুমান করতে চান বা যার পরিবর্তন মাপতে চান। X হলো স্বাধীন চলক (কারণ): অর্থাৎ, যে জিনিসটা পরিবর্তনের কারণ হিসেবে কাজ করছে। a হলো ইন্টারসেপ্ট (Intercept): এটি অনেকটা গ্রাফের Y-অক্ষকে রেখাটি যেখানে ছেদ করে সেই বিন্দু। সহজ ভাষায়, যখন স্বাধীন চলক (X) এর মান শূন্য হয়, তখন নির্ভরশীল চলক (Y) এর আনুমানিক মান কত হবে, সেটাই a। যেমন, যদি আপনি একদমই পড়াশোনা না করেন (X=0), তাহলে আপনার পরীক্ষার নম্বর কত হতে পারে, তার একটা আনুমানিক ধারণা। b হলো স্লপ (Slope): এটি রেখার ঢাল বা খাড়া হওয়ার পরিমাণ নির্দেশ করে। এটি দেখায়, স্বাধীন চলক (X) এর মান যখন এক ইউনিট বাড়ে, তখন নির্ভরশীল চলক (Y) এর মান কতটুকু পরিবর্তন হয়। যেমন, যদি b এর মান ২ হয়, তার মানে পড়াশোনার সময় এক ঘণ্টা বাড়ালে পরীক্ষার নম্বর আনুমানিক ২ বাড়বে। কেন আমরা লিনিয়ার রিগ্রেশন ব্যবহার করি? (Why Use It?) এর প্রধান কাজ দুটো, যা গবেষণায় দারুণ কাজে আসে: A) সম্পর্ক বোঝা (Understanding Relationships): এটি আপনাকে বলে দেবে, আপনার চলকগুলোর মধ্যে আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি না, এবং সেই সম্পর্কটা কতটা শক্তিশালী। ধরুন, আপনি জানতে চান, বিজ্ঞাপনে খরচ বাড়ালে পণ্যের বিক্রি কি সত্যিই বাড়ে? যদি বাড়ে, তাহলে কতটা বাড়ে? লিনিয়ার রিগ্রেশন আপনাকে এই 'কতটা'র একটা সংখ্যাগত পরিমাপ দেবে। B) ভবিষ্যৎ অনুমান করা (Making Predictions): একবার সম্পর্কটা বুঝে গেলে, আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু অনুমান করতে পারি। ধরুন, আপনি দেখলেন যে, তাপমাত্রা বাড়লে আইসক্রিমের বিক্রি বাড়ে। লিনিয়ার রিগ্রেশন আপনাকে একটি মডেল দেবে, যার মাধ্যমে আপনি হয়তো বলতে পারবেন, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা যদি আরও বাড়ে, তাহলে আইসক্রিমের বিক্রি কেমন হতে পারে। এটি অনেকটা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার মতো, যেখানে আমরা অতীতের ডেটা ব্যবহার করে ভবিষ্যতের একটা ধারণা পাই। লিনিয়ার রিগ্রেশন কীভাবে কাজ করে? (How Does It Work?) লিনিয়ার রিগ্রেশন কাজ করে একটা সরলরেখা ব্যবহার করে। ভাবুন, আপনার কাছে কিছু ডেটা পয়েন্ট আছে, যেমন গ্রাফ পেপারে ছড়ানো কিছু বিন্দু। লিনিয়ার রিগ্রেশনের কাজ হলো এই বিন্দুগুলোর মাঝখান দিয়ে এমন একটা সরলরেখা আঁকা, যা সব বিন্দু থেকে 'গড়ে' সবচেয়ে কম দূরত্বে থাকে। এই 'সবচেয়ে কম দূরত্ব' খুঁজে বের করার জন্য কিছু গাণিতিক হিসাব-নিকাশ করা হয়, যাকে আমরা 'এরর মিনিমাইজেশন' বা 'অবশিষ্ট কমানো' বলি। অর্থাৎ, ডেটা পয়েন্টগুলো থেকে রেখার যে দূরত্ব, সেই দূরত্বগুলোকে যতটা সম্ভব ছোট করা হয়, যাতে রেখাটি ডেটার 'প্রবণতা' বা 'ট্রেন্ড'কে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখাতে পারে। এই রেখাটিই হলো আপনার রিগ্রেশন লাইন, যা আপনার ডেটার গল্পটা বলে। লিনিয়ার রিগ্রেশনের প্রকারভেদ (Types of Linear Regression) লিনিয়ার রিগ্রেশন মূলত দুটি প্রধান ধরনে বিভক্ত, নির্ভর করে আপনি কতগুলো স্বাধীন চলক ব্যবহার করছেন তার উপর: সাধারণ লিনিয়ার রিগ্রেশন (Simple Linear Regression): এখানে শুধু একটি স্বাধীন চলক এবং একটি নির্ভরশীল চলক থাকে। উদাহরণ: একজন ছাত্রের পড়াশোনার সময়ের (স্বাধীন চলক) সাথে তার পরীক্ষার নম্বরের (নির্ভরশীল চলক) সম্পর্ক। এখানে আপনি শুধু একটি কারণ (পড়াশোনার সময়) দিয়ে একটি ফলাফল (পরীক্ষার নম্বর) বোঝার চেষ্টা করছেন। মাল্টিপল লিনিয়ার রিগ্রেশন (Multiple Linear Regression): এখানে একাধিক স্বাধীন চলক এবং একটি নির্ভরশীল চলক থাকে। উদাহরণ: একটি বাড়ির দাম (নির্ভরশীল চলক) শুধু তার আকারের উপর নির্ভর করে না, বরং এলাকার অবস্থান, বাড়ির বয়স, রুমের সংখ্যা, বাথরুমের সংখ্যা – এই সবকিছুর উপর নির্ভর করে। মাল্টিপল রিগ্রেশন এই সব কারণ একসঙ্গে বিশ্লেষণ করে দেখায় যে, কোন কারণটি বাড়ির দামের উপর কতটা প্রভাব ফেলছে। এটি অনেকটা অনেকগুলো কারণ একসঙ্গে একটি ফলাফলের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা দেখার মতো। কিছু জরুরি কথা (Key Concepts): অবশিষ্ট (Residuals): রিগ্রেশন রেখাটি সব ডেটা পয়েন্টের উপর দিয়ে যায় না, কিছু পয়েন্ট রেখার উপরে বা নিচে থাকে। এই ডেটা পয়েন্ট এবং রেখার মধ্যে যে দূরত্ব, সেটিই হলো অবশিষ্ট বা এরর (error)। এটি দেখায়, আমাদের মডেল কতটা নিখুঁতভাবে অনুমান করতে পারছে। যত কম অবশিষ্ট, মডেল তত ভালো। সহসম্পর্ক (Correlation): এটি লিনিয়ার রিগ্রেশনের সাথে জড়িত একটি ধারণা। সহসম্পর্ক (যেমন পিয়ারসন কোরিলেশন কোএফিশিয়েন্ট) দুটি চলকের মধ্যে সম্পর্কের শক্তি এবং দিক (ইতিবাচক বা নেতিবাচক) পরিমাপ করে। লিনিয়ার রিগ্রেশন এই সম্পর্ককে একটি মডেলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। সহসম্পর্ক আপনাকে বলবে সম্পর্ক আছে কিনা, আর রিগ্রেশন আপনাকে বলবে সেই সম্পর্কটা কেমন এবং কীভাবে কাজ করে। অনুমান (Assumptions): লিনিয়ার রিগ্রেশন কিছু নির্দিষ্ট শর্তের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। যেমন, চলকগুলোর মধ্যে সম্পর্কটা যেন সত্যিই সরলরৈখিক হয়, ডেটা পয়েন্টগুলো যেন খুব বেশি ছড়ানো-ছিটানো না থাকে (আউটলায়ার না থাকে), এবং এররগুলো যেন এলোমেলোভাবে ছড়ানো থাকে। এই শর্তগুলো পূরণ হলে মডেলের ফলাফল আরও নির্ভরযোগ্য হয়। কখন ব্যবহার করবেন, কখন করবেন না? (When to Use, When Not to Use?) কখন ব্যবহার করবেন?: যখন আপনি দুটি বা তার বেশি চলকের মধ্যে একটি সরলরৈখিক সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন এবং সেই সম্পর্কটা বুঝতে চান। যখন আপনি একটি চলকের মান ব্যবহার করে অন্য একটি চলকের মান অনুমান করতে চান। যখন আপনি জানতে চান, কোন কারণগুলো (স্বাধীন চলক) একটি নির্দিষ্ট ফলাফলের (নির্ভরশীল চলক) উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে। যখন আপনি কোনো ধারাবাহিক ফলাফল (continuous outcome) যেমন, তাপমাত্রা, বিক্রি, নম্বর ইত্যাদি অনুমান করতে চান। কখন করবেন না? যদি চলকগুলোর মধ্যে কোনো সরলরৈখিক সম্পর্ক না থাকে (যেমন, সম্পর্কটি বক্ররেখার মতো বা এলোমেলো)। এক্ষেত্রে অন্য ধরনের রিগ্রেশন মডেল ব্যবহার করতে হতে পারে। যদি আপনার ডেটায় অনেক বেশি অস্বাভাবিক বা ভুল ডেটা (outliers) থাকে, যা রেখাটিকে ভুলভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই 'আউটলায়ার'গুলো ফলাফলকে ভুল পথে চালিত করতে পারে। যদি আপনার স্বাধীন চলকগুলো একে অপরের সাথে খুব বেশি সম্পর্কিত হয় (multicollinearity), তাহলে মাল্টিপল রিগ্রেশন ব্যবহার করা কঠিন হতে পারে। এটি অনেকটা এমন যে, দুটি কারণ একই রকম প্রভাব ফেলছে, তখন বোঝা কঠিন হয়ে যায় কোনটি আসল প্রভাবক। লিনিয়ার রিগ্রেশন হলো ডেটা বিশ্লেষণের এক দারুণ হাতিয়ার, যা আপনাকে ডেটার ভেতরের লুকানো গল্পগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। এটি শুধু সংখ্যা নয়, বরং সংখ্যার পেছনের কারণ ও প্রভাবকে বুঝতে শেখায়। আশা করি, এই বিস্তারিত আলোচনা আপনার লিনিয়ার রিগ্রেশন সম্পর্কে ধারণা আরও পরিষ্কার করেছে। আপনার যদি আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন! Md. Rony Masud BBA, MBA (DU), MS (Japan)
    0 Comments 0 Shares 248 Views
  • বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় দ্বীপ – সোকোত্রা (Socotra Island), ইয়েমেন

    পৃথিবীর বুকে যেন অন্য এক গ্রহ!
    সোকোত্রা দ্বীপকে বলা হয় "আর্থের এলিয়েন দ্বীপ",।

    এলিয়েন দ্বীপ বলার কারণ বুঝতে হলে জানতে হবে এখানকার গাছগুলো সম্পর্কে। এ দ্বীপের বেশিরভাগ উদ্ভিদই স্থানীয়। পৃথিবীর কোথাও এগুলোর দেখা মেলে না। এই স্থানীয় উদ্ভিদগুলো গড়ন এতটাই অদ্ভুত যে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের জীববিজ্ঞানীগণ জরিপ করে প্রায় ৭০০ প্রজাতির স্থানীয় উদ্ভিদ পেয়েছেন সারা পৃথিবীতে। আর সুকাত্রা দ্বীপে ৮২৫ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ৩০৭টি প্রজাতিই স্থানীয়, অর্থাৎ প্রায় ৩৭ শতাংশ উদ্ভিদ আপনি পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখতে পাবেন না। ২০০৪ সালে IUCN এর লাল তালিকায় সুকাত্রার ৩টি অতিবিপন্ন এবং ২৭টি বিপন্ন উদ্ভিদের নাম রয়েছে।

    এই দ্বীপের সবচেয়ে অদ্ভুত গাছ হলো ড্রাগন-ব্লাড ট্রি। হঠাৎ করে দেখলে ভয় পেয়ে যেতে পারেন বৃহৎ আকৃতির ব্যাঙের ছাতা ভেবে। অদ্ভুত গড়নের ছাতাকৃতির এই গাছটি থেকে লাল বর্ণের আঠালো পদার্থ বের হয়। ধারণা করা হয়, বহুকাল আগের ড্রাগনের রক্ত থেকে এই গাছের উৎপত্তি এবং সে অনুযায়ী এর নামকরণ! এই গাছের আঠা এখন রঙ তৈরিতে এবং বার্নিশের কাজে ব্যবহৃত হয়। খুব সম্ভবত ওষুধ হিসেবে এবং প্রসাধনী হিসেবেও এই উদ্ভিদের ব্যবহার ছিল।

    আরেকটি বিশেষ উদ্ভিদ হলো ডেন্ড্রোসসিয়াস। এটি এক প্রকারের শশা গাছ। বিভিন্ন আকৃতির কান্ডটি লম্বা হয়ে চূড়া তৈরি করে, যেখানে হলুদ, গোলাপী ফুল ফোটে। উভলিঙ্গ এই গাছের জন্ম এই দ্বীপের বয়সের দ্বিগুণ আগে বলে গবেষকদের ধারণা। ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এদের বংশবিস্তারের অনুকূল। এই উদ্ভিদগুলোর অদ্ভুত গড়নই এই দ্বীপকে ভিনগ্রহীদের দ্বীপ হিসেবে আখ্যায়িত করার মূল কারণ।

    কখনো সুযোগ পেলে সোকোত্রার এই বিস্ময়কে চোখে দেখার অভিজ্ঞতা নিন!
    #Socotra #Yemen #NatureWonder #DragonBloodTree #Biodiversity #UnescoHeritage
    🌴 বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় দ্বীপ – সোকোত্রা (Socotra Island), ইয়েমেন🦎🦋 পৃথিবীর বুকে যেন অন্য এক গ্রহ! সোকোত্রা দ্বীপকে বলা হয় "আর্থের এলিয়েন দ্বীপ",। 🧬 এলিয়েন দ্বীপ বলার কারণ বুঝতে হলে জানতে হবে এখানকার গাছগুলো সম্পর্কে। এ দ্বীপের বেশিরভাগ উদ্ভিদই স্থানীয়। পৃথিবীর কোথাও এগুলোর দেখা মেলে না। এই স্থানীয় উদ্ভিদগুলো গড়ন এতটাই অদ্ভুত যে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের জীববিজ্ঞানীগণ জরিপ করে প্রায় ৭০০ প্রজাতির স্থানীয় উদ্ভিদ পেয়েছেন সারা পৃথিবীতে। আর সুকাত্রা দ্বীপে ৮২৫ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ৩০৭টি প্রজাতিই স্থানীয়, অর্থাৎ প্রায় ৩৭ শতাংশ উদ্ভিদ আপনি পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখতে পাবেন না। ২০০৪ সালে IUCN এর লাল তালিকায় সুকাত্রার ৩টি অতিবিপন্ন এবং ২৭টি বিপন্ন উদ্ভিদের নাম রয়েছে। এই দ্বীপের সবচেয়ে অদ্ভুত গাছ হলো ড্রাগন-ব্লাড ট্রি। হঠাৎ করে দেখলে ভয় পেয়ে যেতে পারেন বৃহৎ আকৃতির ব্যাঙের ছাতা ভেবে। অদ্ভুত গড়নের ছাতাকৃতির এই গাছটি থেকে লাল বর্ণের আঠালো পদার্থ বের হয়। ধারণা করা হয়, বহুকাল আগের ড্রাগনের রক্ত থেকে এই গাছের উৎপত্তি এবং সে অনুযায়ী এর নামকরণ! এই গাছের আঠা এখন রঙ তৈরিতে এবং বার্নিশের কাজে ব্যবহৃত হয়। খুব সম্ভবত ওষুধ হিসেবে এবং প্রসাধনী হিসেবেও এই উদ্ভিদের ব্যবহার ছিল। আরেকটি বিশেষ উদ্ভিদ হলো ডেন্ড্রোসসিয়াস। এটি এক প্রকারের শশা গাছ। বিভিন্ন আকৃতির কান্ডটি লম্বা হয়ে চূড়া তৈরি করে, যেখানে হলুদ, গোলাপী ফুল ফোটে। উভলিঙ্গ এই গাছের জন্ম এই দ্বীপের বয়সের দ্বিগুণ আগে বলে গবেষকদের ধারণা। ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এদের বংশবিস্তারের অনুকূল। এই উদ্ভিদগুলোর অদ্ভুত গড়নই এই দ্বীপকে ভিনগ্রহীদের দ্বীপ হিসেবে আখ্যায়িত করার মূল কারণ। 👉 কখনো সুযোগ পেলে সোকোত্রার এই বিস্ময়কে চোখে দেখার অভিজ্ঞতা নিন! #Socotra #Yemen #NatureWonder #DragonBloodTree #Biodiversity #UnescoHeritage
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 285 Views
  • নিউজিল্যান্ডে পাখিরা উড়তে শেখেনি — কারণ সেখানে কোনো শিকারি ছিল না!

    বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে? কিন্তু এটাই সত্যি! নিউজিল্যান্ডের কিছু পাখি নাকি উড়তেই পারে না! ভাবছেন কেন?

    লক্ষ লক্ষ বছর ধরে নিউজিল্যান্ড ছিল এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। সেখানে ছিল না কোনো সাপ, বা বড় কোনো শিকারি প্রাণী। ফলে সেখানকার কিছু পাখিদের শিকারিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য উড়তে শেখার প্রয়োজনই পড়েনি!

    আর এ কারণেই, ধীরে ধীরে তারা উড়ার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছে!

    যেমন:

    কিউই পাখি (Kiwi): নিউজিল্যান্ডের জাতীয় প্রতীক হলেও, এই পাখি একদম উড়তে পারে না!

    কাকাপো (Kakapo): পৃথিবীর একমাত্র নিশাচর এবং উড়তে না পারা তোতাপাখি!

    এটা প্রমাণ করে, প্রকৃতি যদি নিরাপদ আশ্রয় দেয়, তাহলে প্রজাতির আচরণও বদলে যায়! সত্যিই দারুণ এক তথ্য, তাই না?
    নিউজিল্যান্ডে পাখিরা উড়তে শেখেনি — কারণ সেখানে কোনো শিকারি ছিল না! বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে? কিন্তু এটাই সত্যি! নিউজিল্যান্ডের কিছু পাখি নাকি উড়তেই পারে না! ভাবছেন কেন? লক্ষ লক্ষ বছর ধরে নিউজিল্যান্ড ছিল এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। সেখানে ছিল না কোনো সাপ, বা বড় কোনো শিকারি প্রাণী। ফলে সেখানকার কিছু পাখিদের শিকারিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য উড়তে শেখার প্রয়োজনই পড়েনি! আর এ কারণেই, ধীরে ধীরে তারা উড়ার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছে! যেমন: কিউই পাখি (Kiwi): নিউজিল্যান্ডের জাতীয় প্রতীক হলেও, এই পাখি একদম উড়তে পারে না! কাকাপো (Kakapo): পৃথিবীর একমাত্র নিশাচর এবং উড়তে না পারা তোতাপাখি! এটা প্রমাণ করে, প্রকৃতি যদি নিরাপদ আশ্রয় দেয়, তাহলে প্রজাতির আচরণও বদলে যায়! সত্যিই দারুণ এক তথ্য, তাই না?
    0 Comments 0 Shares 106 Views
  • সম্প্রতি ফেসবুকে বিপাশা হায়াত ও জয়া আহসানকে নিয়ে তুলনা করে কিছু পোস্ট দেখে সত্যি বলতে খুবই হতাশ হয়েছি। আমরা আসলে কথা বলার সময় খেয়ালই করি না কাকে নিয়ে বলছি, কেন বলছি, আমি কে বলার? পোস্ট টাইটেল, বিপাশা হায়াত আর জয়া আহসান সেইম এইজের হলেও জয়া আহসান glamorous আর বিপাশা হায়াত নাকি নিজের যত্ন নেন না, তাই নাকি এখন এমন দেখাচ্ছে ! আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কেমন দেখাচ্ছে?

    বিপাশা হায়াত চোখে মুখে ইনজেকশন দিয়ে ফ্রেশ থাকা ট্রেন্ডে হাঁটেননি, কারণ তাঁর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আছে। উনি চুলে কালার করেন না, কারণ বয়স ঢেকে রাখার মধ্যে হয়ত তিনি সৌন্দর্য খোঁজেন না। তার চোখেমুখে যে আত্মতৃপ্তি ও ভারসাম্য আছে, সেটা তো আজকের দিনে চকচকে চেহারার (ফিলার, ফিল্টার দেয়া) অনেকের মাঝেই নেই। একজন নারী ৫০ পেরিয়ে এসেও কি দারুন ফিটনেস, কি সুন্দর স্কিন!

    জয়া আহসান নিজের মতো করে গ্ল্যামার ধরে রেখেছেন, ক্যারিয়ারে এখনও অসাধারণ পারফর্ম করছেন। সেটাও প্রশংসনীয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, বিপাশা হায়াত পিছিয়ে পড়েছেন। যিনি নিজের শিল্পচর্চা, পরিবার, সন্তানদের প্রতিষ্ঠা আর শান্তিপূর্ণ জীবনকে বেছে নিয়েছেন। বিদেশে থাকেন, স্বনামধন‍্য পরিবারের শিক্ষিত নারী তিনি, নিজে এত বড় celebrity! সে তার যত্ন নেন না, যত্ন নেন আপনি? আপনারা?

    আমাদের মত দেশের সমস্যা হলো কাউকে নার্সি%^সিস্টিক গ্ল্যামার না দেখলেই ধরে নেই, তার সব শেষ। বয়স বাড়া, চুল পাকা হওয়া, স্কিনে ভাঁজ আসা, এসব কি অপরাধ? মানুষ কি প্লাস্টিকের তৈরি? বয়সের ছাপ সবার পরবে এতে সমস‍্যা কি? যে বয়সের যে সৌন্দর্য সেটা দেখানোকে অযত্ন বলে না, বলে Confidence!

    আত্মবিশ্বাস মানে হলো নিজের বয়সকে সম্মান করে, নিজের অস্তিত্বকে ভালোবেসে বাঁচা। বিপাশা হায়াত সেটা করে দেখাচ্ছেন, আর সেটা অনেকের চোখে সহ্য হচ্ছে না কারণ মানুষ আজকাল মেকি পারফেকশন ছাড়া সৌন্দর্য চিনতে শেখেনি।আর যারা এসব লিখছে আর প্রচার করছে তাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও রুচি যে আসলে নিম্নমানের এতে কোন সন্দেহ নাই, কি জঘন‍্য comparison, কি বাজে concept!

    আমি বলবো তুলনা না করে, নারীদের স্বতন্ত্রতাকে সম্মান করতে শিখুন। Whether it’s Jaya Ahsan’s timeless glamor or Bipasha Hayat’s graceful simplicity, both are powerful in their own right.

    বয়সের সৌন্দর্য আছে, অভিজ্ঞতার দীপ্তি আছে। আত্মবিশ্বাসই আসল গ্ল্যামার। And if appreciation feels too heavy, silence is always a wiser choice.

    Sajia Tonny
    সম্প্রতি ফেসবুকে বিপাশা হায়াত ও জয়া আহসানকে নিয়ে তুলনা করে কিছু পোস্ট দেখে সত্যি বলতে খুবই হতাশ হয়েছি। আমরা আসলে কথা বলার সময় খেয়ালই করি না কাকে নিয়ে বলছি, কেন বলছি, আমি কে বলার? পোস্ট টাইটেল, বিপাশা হায়াত আর জয়া আহসান সেইম এইজের হলেও জয়া আহসান glamorous আর বিপাশা হায়াত নাকি নিজের যত্ন নেন না, তাই নাকি এখন এমন দেখাচ্ছে ! আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কেমন দেখাচ্ছে? বিপাশা হায়াত চোখে মুখে ইনজেকশন দিয়ে ফ্রেশ থাকা ট্রেন্ডে হাঁটেননি, কারণ তাঁর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আছে। উনি চুলে কালার করেন না, কারণ বয়স ঢেকে রাখার মধ্যে হয়ত তিনি সৌন্দর্য খোঁজেন না। তার চোখেমুখে যে আত্মতৃপ্তি ও ভারসাম্য আছে, সেটা তো আজকের দিনে চকচকে চেহারার (ফিলার, ফিল্টার দেয়া) অনেকের মাঝেই নেই। একজন নারী ৫০ পেরিয়ে এসেও কি দারুন ফিটনেস, কি সুন্দর স্কিন! জয়া আহসান নিজের মতো করে গ্ল্যামার ধরে রেখেছেন, ক্যারিয়ারে এখনও অসাধারণ পারফর্ম করছেন। সেটাও প্রশংসনীয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, বিপাশা হায়াত পিছিয়ে পড়েছেন। যিনি নিজের শিল্পচর্চা, পরিবার, সন্তানদের প্রতিষ্ঠা আর শান্তিপূর্ণ জীবনকে বেছে নিয়েছেন। বিদেশে থাকেন, স্বনামধন‍্য পরিবারের শিক্ষিত নারী তিনি, নিজে এত বড় celebrity! সে তার যত্ন নেন না, যত্ন নেন আপনি? আপনারা? আমাদের মত দেশের সমস্যা হলো কাউকে নার্সি%^সিস্টিক গ্ল্যামার না দেখলেই ধরে নেই, তার সব শেষ। বয়স বাড়া, চুল পাকা হওয়া, স্কিনে ভাঁজ আসা, এসব কি অপরাধ? মানুষ কি প্লাস্টিকের তৈরি? বয়সের ছাপ সবার পরবে এতে সমস‍্যা কি? যে বয়সের যে সৌন্দর্য সেটা দেখানোকে অযত্ন বলে না, বলে Confidence! আত্মবিশ্বাস মানে হলো নিজের বয়সকে সম্মান করে, নিজের অস্তিত্বকে ভালোবেসে বাঁচা। বিপাশা হায়াত সেটা করে দেখাচ্ছেন, আর সেটা অনেকের চোখে সহ্য হচ্ছে না কারণ মানুষ আজকাল মেকি পারফেকশন ছাড়া সৌন্দর্য চিনতে শেখেনি।আর যারা এসব লিখছে আর প্রচার করছে তাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও রুচি যে আসলে নিম্নমানের এতে কোন সন্দেহ নাই, কি জঘন‍্য comparison, কি বাজে concept! আমি বলবো তুলনা না করে, নারীদের স্বতন্ত্রতাকে সম্মান করতে শিখুন। Whether it’s Jaya Ahsan’s timeless glamor or Bipasha Hayat’s graceful simplicity, both are powerful in their own right. বয়সের সৌন্দর্য আছে, অভিজ্ঞতার দীপ্তি আছে। আত্মবিশ্বাসই আসল গ্ল্যামার। And if appreciation feels too heavy, silence is always a wiser choice. Sajia Tonny
    0 Comments 0 Shares 165 Views
  • মাত্র ২৩ বছর বয়সে মার্ক জাকারবার্গের ৩ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল স্ন্যাপচ্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পিগেল। মাত্র ২১ বছর বয়সে স্ট্যানফোর্ডের ডর্ম রুমে বসে তিনি এমন একটি অ্যাপ তৈরি করেছিলেন, যা তাকে মাত্র ২৫ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার বানিয়েছিলো।

    ইভান স্পিগেলের বেড়ে ওঠা ছিল একটু অন্যরকম। তার বাবা-মা তাকে কখনো টিভি দেখতে দেননি, যা তাকে বই পড়তে এবং নিজের কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে নতুন কিছু তৈরি করতে উৎসাহিত করেছিল। তিনি নিজের কম্পিউটার নিজেই তৈরি করেছিলেন। এই অভিজ্ঞতা তাকে শিখিয়েছিল যে, বাইরে থেকে দেখতে জটিল মনে হলেও, যেকোনো জিনিসকে ভেঙে ছোট ছোট অংশে ভাগ করলে তা আর কঠিন থাকে না। স্কুলে তিনি প্রায়ই বুলিং-এর শিকার হতেন এবং নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। কিন্তু এই একাকীত্বই তাকে নিজের মতো করে চিন্তা করতে এবং প্রচলিত ধারণার বিরুদ্ধে প্রশ্ন করতে শিখিয়েছিল।

    স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি প্রোডাক্ট ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন, যার মূল দর্শন ছিল মানুষের সমস্যা শোনা, তার সাথে একাত্ম হওয়া এবং সেই সমস্যার সমাধানে নতুন কিছু তৈরি করা। স্ট্যানফোর্ডের সংস্কৃতি তাকে শিখিয়েছিল ছোটখাটো লাভের কথা না ভেবে, এমন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে যা বিলিয়ন মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ একটি ব্যবসা শুরু করা এতটাই কঠিন যে, যদি এর পেছনের স্বপ্নটা বড় না হয়, তবে সেই কষ্ট বৃথা।

    তার প্রথম স্টার্টআপ ফিউচার ফ্রেশম্যান ব্যর্থ হয়েছিল। এই ব্যর্থতা তাকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছিল:
    ১. যখন আপনি কোনো কাজের প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে ফেলবেন, তখন বুঝতে হবে পথ বদলানোর সময় এসেছে।
    ২. লম্বা সময় ধরে একটি প্রোডাক্টকে নিখুঁত করার চেষ্টা না করে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি সাধারণ সংস্করণ মার্কেটে ছাড়ুন এবং ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সরাসরি ফিডব্যাক নিন।

    স্ন্যাপচ্যাটের মূল ধারণাটি ছিল আসলেই খুব সহজ, এমন ছবি পাঠানো যা অল্প সময়ের মধ্যেই নিজে থেকে মুছে যাবে। কিন্তু এর পেছনের দর্শন ছিল গভীর।ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো যেখানে জীবনের নিখুঁত এবং স্থায়ী মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য তৈরি, স্ন্যাপচ্যাট ছিল জীবনের বাকি ৯৯% সাধারণ, অগোছালো এবং মজার মুহূর্তগুলোর জন্য। অ্যাপটা খোলার সাথে সাথেই যে ক্যামেরা অন হয়ে যেত, এটা ছিল সেই সময়ের জন্য একদম নতুন একটা ব্যাপার! অন্য সব অ্যাপের চেয়ে এটা স্ন্যাপচ্যাটকে অনেক আলাদা করে তুলেছিল। স্ন্যাপচ্যাটের আসল উদ্দেশ্য ছিল, ক্ষণিকের জন্য আসা সুন্দর মুহূর্তগুলো যেন আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়ার আগেই, আমরা সেগুলোকে ধরে রাখতে পারি।

    দয়া, মেধা এবং সৃজনশীলতা এটিই স্ন্যাপচ্যাটের মূল তিনটি ভ্যালু। তিনি বিশ্বাস করেন, একটি দয়ালু এবং নিরাপদ পরিবেশ ছাড়া সৃজনশীলতার বিকাশ সম্ভব নয়।

    তার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ববি মারফির একটা বিখ্যাত কথা আছে। তিনি বলতেন, একজন মানুষ একই সাথে ব্রিলিয়ান্ট এবং খারাপ ব্যবহারের হতে পারে না। তার মতে, যার মধ্যে আসল মেধা থাকে, তার মধ্যে দয়া ও বিনয়ও থাকবেই।

    মাত্র ২৩ বছর বয়সে মার্ক জাকারবার্গের ৩ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়াটা ছিল এক অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত। কিন্তু এর পেছনে ছিল তাদের নিজস্ব দর্শনের প্রতি গভীর বিশ্বাস। ফেসবুকের ব্যবসায়িক মডেল এবং সংস্কৃতির সাথে স্ন্যাপচ্যাটের দর্শনের কোনো মিল ছিল না। তারা জানতেন, ফেসবুকের অংশ হয়ে গেলে তাদের পক্ষে নিজেদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

    এর আগেই তারা কোম্পানির কিছু শেয়ার বিক্রি করে প্রত্যেকে ১০ মিলিয়ন ডলার করে পেয়েছিলেন, যা তাদের আর্থিকভাবে চিন্তামুক্ত করেছিল এবং বড় ঝুঁকি নেওয়ার সাহস জুগিয়েছিল।

    ইনস্টাগ্রাম যখন স্ন্যাপচ্যাটের স্টোরিজ ফিচারটি হুবহু নকল করে, তখন অনেকেই ভেবেছিল স্ন্যাপচ্যাট শেষ। কিন্তু ইভান এটিকে একটি ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেছিলেন। যখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলো আপনাকে নকল করে, তার মানে হলো আপনি সঠিক পথেই আছেন।

    এই অভিজ্ঞতা তাকে শিখিয়েছে যে, এমন কিছু তৈরি করতে হবে যা প্রযুক্তিগতভাবে এতটাই জটিল এবং একটি ইকোসিস্টেমের উপর নির্ভরশীল যে, তা নকল করা প্রায় অসম্ভব। যেমন, তাদের অগমেন্টেড রিয়ালিটি (AR) লেন্স।

    ইভান স্বীকার করেন যে, একটি পাবলিক কোম্পানি চালানো বেশ চাপের। তবে তিনি কাজকে খুব বেশি চাপ হিসেবে দেখেন না, কারণ বছরের পর বছর ধরে নানা রকম কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে করতে এটি তার জন্য স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

    তিনি সব সময় তার স্ত্রীর অবদানের কথা বলেন, যিনি তাকে মানসিকভাবে শান্ত থাকতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেন। তাদের নিয়ম হলো, রবিবার মানেই ফ্যামিলি ডে, যেদিন কোনো কাজ নয়, শুধু পরিবারের সাথে সময় কাটানো।

    তিনি মনে করেন, AI শিক্ষার জগতে এক বিপ্লব নিয়ে আসবে। এটি হবে একজন ব্যক্তিগত শিক্ষকের মতো, যা প্রতিটি ছাত্রকে তার নিজের গতিতে শিখতে সাহায্য করবে।

    AI মানুষের সৃজনশীলতাকে কেড়ে নেবে না, বরং এটি হবে সৃজনশীল মানুষদের হাতে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, যা তাদের ভাবনাকে আরও সহজে বাস্তবে রূপ দিতে সাহায্য করবে।

    সম্পূর্ণ পডকাস্ট The Diary Of A CEO ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পারবেন।
    মাত্র ২৩ বছর বয়সে মার্ক জাকারবার্গের ৩ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল স্ন্যাপচ্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পিগেল। মাত্র ২১ বছর বয়সে স্ট্যানফোর্ডের ডর্ম রুমে বসে তিনি এমন একটি অ্যাপ তৈরি করেছিলেন, যা তাকে মাত্র ২৫ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার বানিয়েছিলো। ইভান স্পিগেলের বেড়ে ওঠা ছিল একটু অন্যরকম। তার বাবা-মা তাকে কখনো টিভি দেখতে দেননি, যা তাকে বই পড়তে এবং নিজের কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে নতুন কিছু তৈরি করতে উৎসাহিত করেছিল। তিনি নিজের কম্পিউটার নিজেই তৈরি করেছিলেন। এই অভিজ্ঞতা তাকে শিখিয়েছিল যে, বাইরে থেকে দেখতে জটিল মনে হলেও, যেকোনো জিনিসকে ভেঙে ছোট ছোট অংশে ভাগ করলে তা আর কঠিন থাকে না। স্কুলে তিনি প্রায়ই বুলিং-এর শিকার হতেন এবং নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। কিন্তু এই একাকীত্বই তাকে নিজের মতো করে চিন্তা করতে এবং প্রচলিত ধারণার বিরুদ্ধে প্রশ্ন করতে শিখিয়েছিল। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি প্রোডাক্ট ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন, যার মূল দর্শন ছিল মানুষের সমস্যা শোনা, তার সাথে একাত্ম হওয়া এবং সেই সমস্যার সমাধানে নতুন কিছু তৈরি করা। স্ট্যানফোর্ডের সংস্কৃতি তাকে শিখিয়েছিল ছোটখাটো লাভের কথা না ভেবে, এমন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে যা বিলিয়ন মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ একটি ব্যবসা শুরু করা এতটাই কঠিন যে, যদি এর পেছনের স্বপ্নটা বড় না হয়, তবে সেই কষ্ট বৃথা। তার প্রথম স্টার্টআপ ফিউচার ফ্রেশম্যান ব্যর্থ হয়েছিল। এই ব্যর্থতা তাকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছিল: ১. যখন আপনি কোনো কাজের প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে ফেলবেন, তখন বুঝতে হবে পথ বদলানোর সময় এসেছে। ২. লম্বা সময় ধরে একটি প্রোডাক্টকে নিখুঁত করার চেষ্টা না করে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি সাধারণ সংস্করণ মার্কেটে ছাড়ুন এবং ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সরাসরি ফিডব্যাক নিন। স্ন্যাপচ্যাটের মূল ধারণাটি ছিল আসলেই খুব সহজ, এমন ছবি পাঠানো যা অল্প সময়ের মধ্যেই নিজে থেকে মুছে যাবে। কিন্তু এর পেছনের দর্শন ছিল গভীর।ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো যেখানে জীবনের নিখুঁত এবং স্থায়ী মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য তৈরি, স্ন্যাপচ্যাট ছিল জীবনের বাকি ৯৯% সাধারণ, অগোছালো এবং মজার মুহূর্তগুলোর জন্য। অ্যাপটা খোলার সাথে সাথেই যে ক্যামেরা অন হয়ে যেত, এটা ছিল সেই সময়ের জন্য একদম নতুন একটা ব্যাপার! অন্য সব অ্যাপের চেয়ে এটা স্ন্যাপচ্যাটকে অনেক আলাদা করে তুলেছিল। স্ন্যাপচ্যাটের আসল উদ্দেশ্য ছিল, ক্ষণিকের জন্য আসা সুন্দর মুহূর্তগুলো যেন আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়ার আগেই, আমরা সেগুলোকে ধরে রাখতে পারি। দয়া, মেধা এবং সৃজনশীলতা এটিই স্ন্যাপচ্যাটের মূল তিনটি ভ্যালু। তিনি বিশ্বাস করেন, একটি দয়ালু এবং নিরাপদ পরিবেশ ছাড়া সৃজনশীলতার বিকাশ সম্ভব নয়। তার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ববি মারফির একটা বিখ্যাত কথা আছে। তিনি বলতেন, একজন মানুষ একই সাথে ব্রিলিয়ান্ট এবং খারাপ ব্যবহারের হতে পারে না। তার মতে, যার মধ্যে আসল মেধা থাকে, তার মধ্যে দয়া ও বিনয়ও থাকবেই। মাত্র ২৩ বছর বয়সে মার্ক জাকারবার্গের ৩ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়াটা ছিল এক অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত। কিন্তু এর পেছনে ছিল তাদের নিজস্ব দর্শনের প্রতি গভীর বিশ্বাস। ফেসবুকের ব্যবসায়িক মডেল এবং সংস্কৃতির সাথে স্ন্যাপচ্যাটের দর্শনের কোনো মিল ছিল না। তারা জানতেন, ফেসবুকের অংশ হয়ে গেলে তাদের পক্ষে নিজেদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। এর আগেই তারা কোম্পানির কিছু শেয়ার বিক্রি করে প্রত্যেকে ১০ মিলিয়ন ডলার করে পেয়েছিলেন, যা তাদের আর্থিকভাবে চিন্তামুক্ত করেছিল এবং বড় ঝুঁকি নেওয়ার সাহস জুগিয়েছিল। ইনস্টাগ্রাম যখন স্ন্যাপচ্যাটের স্টোরিজ ফিচারটি হুবহু নকল করে, তখন অনেকেই ভেবেছিল স্ন্যাপচ্যাট শেষ। কিন্তু ইভান এটিকে একটি ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেছিলেন। যখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলো আপনাকে নকল করে, তার মানে হলো আপনি সঠিক পথেই আছেন। এই অভিজ্ঞতা তাকে শিখিয়েছে যে, এমন কিছু তৈরি করতে হবে যা প্রযুক্তিগতভাবে এতটাই জটিল এবং একটি ইকোসিস্টেমের উপর নির্ভরশীল যে, তা নকল করা প্রায় অসম্ভব। যেমন, তাদের অগমেন্টেড রিয়ালিটি (AR) লেন্স। ইভান স্বীকার করেন যে, একটি পাবলিক কোম্পানি চালানো বেশ চাপের। তবে তিনি কাজকে খুব বেশি চাপ হিসেবে দেখেন না, কারণ বছরের পর বছর ধরে নানা রকম কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে করতে এটি তার জন্য স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তিনি সব সময় তার স্ত্রীর অবদানের কথা বলেন, যিনি তাকে মানসিকভাবে শান্ত থাকতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেন। তাদের নিয়ম হলো, রবিবার মানেই ফ্যামিলি ডে, যেদিন কোনো কাজ নয়, শুধু পরিবারের সাথে সময় কাটানো। তিনি মনে করেন, AI শিক্ষার জগতে এক বিপ্লব নিয়ে আসবে। এটি হবে একজন ব্যক্তিগত শিক্ষকের মতো, যা প্রতিটি ছাত্রকে তার নিজের গতিতে শিখতে সাহায্য করবে। AI মানুষের সৃজনশীলতাকে কেড়ে নেবে না, বরং এটি হবে সৃজনশীল মানুষদের হাতে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, যা তাদের ভাবনাকে আরও সহজে বাস্তবে রূপ দিতে সাহায্য করবে। সম্পূর্ণ পডকাস্ট The Diary Of A CEO ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পারবেন।
    0 Comments 0 Shares 138 Views
  • ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মার্ক জাকারবার্গ একটা ছোট্ট অনলাইন প্রজেক্ট শুরু করেন। নাম ছিল “Thefacebook”। ওটা ছিল মূলত হার্ভার্ডের ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে যুক্ত হতে সাহায্য করার জন্য তৈরি একটি ডিজিটাল ডিরেক্টরি।

    কিন্তু সেই সাধারণ আইডিয়া খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়েও।

    জাকারবার্গ তখন বন্ধুদের সঙ্গে হাত মেলান। ডাস্টিন মোস্কোভিটজ, এডুয়ার্ডো স্যাভেরিনসহ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিয়ে দিন-রাত কাজ করতে থাকেন প্রজেক্টটি বড় করার জন্য।

    একসময় সিদ্ধান্ত নেন- পুরোপুরি ফেসবুকেই মনোযোগ দেবেন। তাই হার্ভার্ড ছেড়ে চলে যান সিলিকন ভ্যালিতে। সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন অধ্যায়।

    যে জিনিসটি একসময় ছিল শুধুমাত্র ছাত্রদের জন্য বানানো একটি ক্যাম্পাস সোশ্যাল ডিরেক্টরি, সেটাই আজ হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- ফেসবুক।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo #MarkZuckerberg
    ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মার্ক জাকারবার্গ একটা ছোট্ট অনলাইন প্রজেক্ট শুরু করেন। নাম ছিল “Thefacebook”। ওটা ছিল মূলত হার্ভার্ডের ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে যুক্ত হতে সাহায্য করার জন্য তৈরি একটি ডিজিটাল ডিরেক্টরি। কিন্তু সেই সাধারণ আইডিয়া খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়েও। জাকারবার্গ তখন বন্ধুদের সঙ্গে হাত মেলান। ডাস্টিন মোস্কোভিটজ, এডুয়ার্ডো স্যাভেরিনসহ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিয়ে দিন-রাত কাজ করতে থাকেন প্রজেক্টটি বড় করার জন্য। একসময় সিদ্ধান্ত নেন- পুরোপুরি ফেসবুকেই মনোযোগ দেবেন। তাই হার্ভার্ড ছেড়ে চলে যান সিলিকন ভ্যালিতে। সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন অধ্যায়। যে জিনিসটি একসময় ছিল শুধুমাত্র ছাত্রদের জন্য বানানো একটি ক্যাম্পাস সোশ্যাল ডিরেক্টরি, সেটাই আজ হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- ফেসবুক। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo #MarkZuckerberg
    0 Comments 0 Shares 185 Views
  • বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই, ২০২৫) নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে পার্কচেস্টার জামে মসজিদে নিহত NYPD পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন।

    বৃষ্টি উপেক্ষা করে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাকে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন।
    জানাজা শেষে দিদারুল ইসলামকে নিউ জার্সির লোরেল গ্রোভ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

    জানাজার আগে নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ দিদারুলের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি দিদারুল ইসলামকে মরণোত্তর 'ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেড' পদে পদোন্নতি দেওয়ার ঘোষণা দেন।

    উল্লেখ্য, ২৮ জুলাই ম্যানহাটনের একটি ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে দিদারুল ইসলাম নিহত হন। তিনি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়ে এসেছিলেন এবং সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে NYPD-তে কর্মরত ছিলেন। তিনি দুই সন্তানের বাবা ছিলেন এবং তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের প্রত্যাশা করছিলেন।
    বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই, ২০২৫) নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে পার্কচেস্টার জামে মসজিদে নিহত NYPD পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাকে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে দিদারুল ইসলামকে নিউ জার্সির লোরেল গ্রোভ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজার আগে নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ দিদারুলের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি দিদারুল ইসলামকে মরণোত্তর 'ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেড' পদে পদোন্নতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, ২৮ জুলাই ম্যানহাটনের একটি ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে দিদারুল ইসলাম নিহত হন। তিনি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়ে এসেছিলেন এবং সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে NYPD-তে কর্মরত ছিলেন। তিনি দুই সন্তানের বাবা ছিলেন এবং তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের প্রত্যাশা করছিলেন।
    Sad
    3
    0 Comments 0 Shares 162 Views
  • আপনি কি জানেন আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় রিস্ক কোনটি? কোনো রিস্ক না নেওয়া। বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা মার্ক কিউবান বলছেন, যারা নিরাপদ জীবন খোঁজে, তারা আসলে সবচেয়ে বড় জু**য়াটি খেলে আর সেই জু**য়ায় তারা প্রায় সবসময়ই হারে।

    মার্ক কিউবানের মতে, একজন সেরা উদ্যোক্তার তিনটি মূল গুণ থাকে:
    ১. পৃথিবী প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে, তাই সবসময় শেখার মানসিকতা থাকা অপরিহার্য।
    ২. নতুন কিছু শেখার সাথে সাথে নিজেকে এবং ব্যবসাকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা।
    ৩. বিক্রয় মানে শুধু পণ্য বিক্রি করা নয়, বরং অন্যের সমস্যার সমাধান করা এবং তাদের জীবনে ভ্যালু যোগ করা। তিনি ১২ বছর বয়সে ডোর-টু-ডোর গার্বেজ ব্যাগ বিক্রি করে এই শিক্ষা পেয়েছিলেন।

    কেন তিনি শার্ক ট্যাঙ্কে আছেন? কারণ এই শো-টি আমেরিকার (এবং বিশ্বের) প্রতিটি কোণায় থাকা তরুণদের স্বপ্ন দেখতে এবং রিস্ক নিতে অনুপ্রাণিত করে। এটি তাদের শেখায় যে, আপনার আইডিয়া যত ছোটই হোক না কেন, সঠিক চেষ্টা এবং প্রস্তুতি থাকলে আপনিও সফল হতে পারেন। শো-তে আসা প্রতিটি উদ্যোক্তা, সফল হোক বা ব্যর্থ, লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে নিজের স্বপ্নকে তুলে ধরার সাহস দেখায়, যা নিজেই একটি বিজয়।

    মার্ক কিউবানের প্রথম বিলিয়ন ডলারের গল্পটি ১৯৯০-এর দশকের ইন্টারনেট বিপ্লবের সাথে জড়িত। তিনি এবং তার পার্টনার এমন একটি সমস্যার সমাধান করেছিলেন যা তখন কেউ ভাবতেও পারেনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাইভ অডিও এবং ভিডিও স্ট্রিমিং (Broadcast. com)।

    তিনি স্বীকার করেন যে, বিলিয়নিয়ার হওয়ার জন্য ভাগ্যের প্রয়োজন হয়। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার সময়ে ইন্টারনেট ছিল সেই সুযোগ।

    যখন তিনি ইয়াহুর কাছে তার কোম্পানি $৫.৭ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেন, তখন তিনি পুরো অর্থ স্টকে পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন যে ইন্টারনেট একটি বাবল এবং এর পতন অনিবার্য। তাই তিনি লোভ না করে, নিজের সম্পদকে রক্ষা করার জন্য হেজিংয়ের মতো জটিল আর্থিক কৌশল ব্যবহার করেন।

    মার্ক কিউবান DEI (Diversity, Equity, and Inclusion) কে একটি সাধারণ ব্যবসায়িক কৌশল হিসেবে দেখেন, কোনো আদর্শগত বাধ্যবাধকতা হিসেবে নয়।
    Diversity: সেরা কর্মী পাওয়ার জন্য আপনার খোঁজার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করা।
    Equity: কর্মীদের সফল হওয়ার জন্য সঠিক সুযোগ এবং সমর্থন দেওয়া।
    Inclusion: একটি নিরাপদ এবং সহযোগিতামূলক কাজের পরিবেশ তৈরি করা।
    তার মতে, যে কোম্পানি DEI-কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে, তারা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকে কারণ তারা সেরা মেধা আকর্ষণ করতে পারে। এটি কোনো woke এজেন্ডা নয়, এটি একটি স্মার্ট ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত।

    তিনি AI নিয়ে আতঙ্কিত নন, বরং আশাবাদী। তিনি বিশ্বাস করেন যে, AI-কে ওপেন সোর্স রাখা একটি স্মার্ট ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত, যা আরও বেশি উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে। AI-এর আসল ঝুঁকি প্রযুক্তিগত নয়, বরং সামরিক ক্ষেত্রে এর ব্যবহার। AI কোনো একটি কোম্পানির হাতে কুক্ষিগত থাকবে না। লক্ষ লক্ষ ছোট ছোট মডেল তৈরি হবে, যা বিভিন্ন নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করবে।

    তরুণদের জন্য পরামর্শ:
    তোমার মধ্যে এমন কোনো একটি বিশেষ প্রতিভা লুকিয়ে আছে যা তোমাকে বিশ্বসেরা করতে পারে। সেই প্রতিভা খুঁজে বের করার জন্য তোমাকে কৌতূহলী হতে হবে এবং নতুন নতুন জিনিস চেষ্টা করতে হবে।

    প্রতিদিন সকালে হাসিমুখে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করো। সাফল্য মানে শুধু টাকা বা খ্যাতি নয়, সাফল্য মানে হলো জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করা।

    পৃথিবীর প্রতিটি বড় উদ্ভাবন বা পরিবর্তন সাধারণ মানুষের হাত ধরেই এসেছে। তাই নিজেকে সবসময় প্রশ্ন করো, অন্য কেউ যদি পারে, তাহলে আমি কেন পারব না?
    আপনি কি জানেন আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় রিস্ক কোনটি? কোনো রিস্ক না নেওয়া। বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা মার্ক কিউবান বলছেন, যারা নিরাপদ জীবন খোঁজে, তারা আসলে সবচেয়ে বড় জু**য়াটি খেলে আর সেই জু**য়ায় তারা প্রায় সবসময়ই হারে। মার্ক কিউবানের মতে, একজন সেরা উদ্যোক্তার তিনটি মূল গুণ থাকে: ১. পৃথিবী প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে, তাই সবসময় শেখার মানসিকতা থাকা অপরিহার্য। ২. নতুন কিছু শেখার সাথে সাথে নিজেকে এবং ব্যবসাকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা। ৩. বিক্রয় মানে শুধু পণ্য বিক্রি করা নয়, বরং অন্যের সমস্যার সমাধান করা এবং তাদের জীবনে ভ্যালু যোগ করা। তিনি ১২ বছর বয়সে ডোর-টু-ডোর গার্বেজ ব্যাগ বিক্রি করে এই শিক্ষা পেয়েছিলেন। কেন তিনি শার্ক ট্যাঙ্কে আছেন? কারণ এই শো-টি আমেরিকার (এবং বিশ্বের) প্রতিটি কোণায় থাকা তরুণদের স্বপ্ন দেখতে এবং রিস্ক নিতে অনুপ্রাণিত করে। এটি তাদের শেখায় যে, আপনার আইডিয়া যত ছোটই হোক না কেন, সঠিক চেষ্টা এবং প্রস্তুতি থাকলে আপনিও সফল হতে পারেন। শো-তে আসা প্রতিটি উদ্যোক্তা, সফল হোক বা ব্যর্থ, লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে নিজের স্বপ্নকে তুলে ধরার সাহস দেখায়, যা নিজেই একটি বিজয়। মার্ক কিউবানের প্রথম বিলিয়ন ডলারের গল্পটি ১৯৯০-এর দশকের ইন্টারনেট বিপ্লবের সাথে জড়িত। তিনি এবং তার পার্টনার এমন একটি সমস্যার সমাধান করেছিলেন যা তখন কেউ ভাবতেও পারেনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাইভ অডিও এবং ভিডিও স্ট্রিমিং (Broadcast. com)। তিনি স্বীকার করেন যে, বিলিয়নিয়ার হওয়ার জন্য ভাগ্যের প্রয়োজন হয়। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার সময়ে ইন্টারনেট ছিল সেই সুযোগ। যখন তিনি ইয়াহুর কাছে তার কোম্পানি $৫.৭ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেন, তখন তিনি পুরো অর্থ স্টকে পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন যে ইন্টারনেট একটি বাবল এবং এর পতন অনিবার্য। তাই তিনি লোভ না করে, নিজের সম্পদকে রক্ষা করার জন্য হেজিংয়ের মতো জটিল আর্থিক কৌশল ব্যবহার করেন। মার্ক কিউবান DEI (Diversity, Equity, and Inclusion) কে একটি সাধারণ ব্যবসায়িক কৌশল হিসেবে দেখেন, কোনো আদর্শগত বাধ্যবাধকতা হিসেবে নয়। Diversity: সেরা কর্মী পাওয়ার জন্য আপনার খোঁজার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করা। Equity: কর্মীদের সফল হওয়ার জন্য সঠিক সুযোগ এবং সমর্থন দেওয়া। Inclusion: একটি নিরাপদ এবং সহযোগিতামূলক কাজের পরিবেশ তৈরি করা। তার মতে, যে কোম্পানি DEI-কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে, তারা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকে কারণ তারা সেরা মেধা আকর্ষণ করতে পারে। এটি কোনো woke এজেন্ডা নয়, এটি একটি স্মার্ট ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত। তিনি AI নিয়ে আতঙ্কিত নন, বরং আশাবাদী। তিনি বিশ্বাস করেন যে, AI-কে ওপেন সোর্স রাখা একটি স্মার্ট ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত, যা আরও বেশি উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে। AI-এর আসল ঝুঁকি প্রযুক্তিগত নয়, বরং সামরিক ক্ষেত্রে এর ব্যবহার। AI কোনো একটি কোম্পানির হাতে কুক্ষিগত থাকবে না। লক্ষ লক্ষ ছোট ছোট মডেল তৈরি হবে, যা বিভিন্ন নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করবে। তরুণদের জন্য পরামর্শ: তোমার মধ্যে এমন কোনো একটি বিশেষ প্রতিভা লুকিয়ে আছে যা তোমাকে বিশ্বসেরা করতে পারে। সেই প্রতিভা খুঁজে বের করার জন্য তোমাকে কৌতূহলী হতে হবে এবং নতুন নতুন জিনিস চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন সকালে হাসিমুখে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করো। সাফল্য মানে শুধু টাকা বা খ্যাতি নয়, সাফল্য মানে হলো জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করা। পৃথিবীর প্রতিটি বড় উদ্ভাবন বা পরিবর্তন সাধারণ মানুষের হাত ধরেই এসেছে। তাই নিজেকে সবসময় প্রশ্ন করো, অন্য কেউ যদি পারে, তাহলে আমি কেন পারব না?
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 172 Views
  • আমি মাঝে মাঝে আমার neighbourhood school এ volunteer এর কাজ করি, এত চমৎকার লাগে আমেরিকার স্কুল, শিক্ষক, খেলার মাঠ, পড়ানোর ধরন। আমাদের দেশের বাচ্চাগুলোর ব‍্যাগভর্তি করে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া আর বড় ক্লাসের কোচিং সংস্কৃতির কথা ভেবে একটু মনও খারাপ হয়। এরা কত আনন্দ নিয়ে শেখে । আমার মনে আছে আমাদের স্কুলে শুধু একটা খেলার মাঠই ছিলো, খেলার কিছু ছিল না।শিক্ষকের ভয়ে তটস্থ, মুখস্থ বিদ‍্যা, বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর ছিলো না কোন প্রাকটিক‍্যাল শেখার মাধ্যম, কি শিখেছি আর কি শিখি নাই মনে পরে না। নাহ, অনুযোগ না, কিছুটা আফসোস হয় একই পৃথিবীর ভিতরে মনে হয় ভিন্ন দুই গ্রহ।

    আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায় তিন মাসের একটি দীর্ঘ সামার ব্রেক থাকে, যা অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার স্কুলগুলো এই দীর্ঘ ছুটিকে দেখে রিকভারি টাইম হিসেবে। শুধু পড়াশোনা থেকে নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটা সুযোগ হিসেবেও।

    এই ছুটির সময়টা আমেরিকান শিশুরা নানা রকম সৃজনশীল কাজে অংশ নেয় যেমন ক্যাম্পে যায়, পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করে, খেলাধুলা, আর্ট, মিউজিক, কিংবা পার্ট-টাইম জবও করে। এতে তারা কেবল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা পায়।

    এখানে আরো দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের হাতেই খাবার খাচ্ছে, নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে, লাঞ্চবক্স খুলে খাচ্ছে, খাওয়ার পরে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে গিয়ে জিনিস ফেলে আসছে। কাউকে বলার দরকার হয় না।খুদে খুদে বাচ্চারা কাজ গুলো করে এক বড় বড় ভাব নিয়ে যখন হাটে, দেখতেও ভারি ভালো লাগে। ওদের self eateem এভাবেই গড়ে ওঠে। আমাদের ক্লাস 9/10 এর অনেক বাবু!দের মায়েরা খাইয়ে দেয় (আমিও খাইছি মায়ের হাতে বুড়া বয়সে) এসব এখানে চিন্তাই করা যায় না!

    আমেরিকান শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিশুর ‍mental health টা যেমন গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তিত্ব গঠনের সুযোগ করে দেয়, ভদ্রতা শিখায়, আত্মনির্ভরশীল করে, সোসাল স্কিল বাড়ায়, এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখায় না। বাংলাদেশেও যদি শিক্ষার্থীদের চাপ কিছুটা কমিয়ে, ওদের শৈশবটাকে একটু উপভোগ করতে দিত, একটু ব্রেক পেত বাচ্চাগুলো, একটু life skill বা social skill শেখানো হত, তাহলে হয়তো আমরা আরো ব্যালান্সড, হ্যাপি এবং আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম পেতাম।

    শিশুরা জন্ম নেয় ভালোবাসা আর আনন্দ নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য, প্রতিযোগিতার বোঝা টানার জন্য নয়। তাই প্যারেন্টদের বলবো, শুধু ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দিয়ে তাদের শৈশবটাকে কঠিন করে তুলবেন না। ভালো রেজাল্ট নয়, ভালো মানুষ হওয়াটাই যেন হয় আমাদের মূল লক্ষ্য।

    Sajia Tonny
    আমি মাঝে মাঝে আমার neighbourhood school এ volunteer এর কাজ করি, এত চমৎকার লাগে আমেরিকার স্কুল, শিক্ষক, খেলার মাঠ, পড়ানোর ধরন। আমাদের দেশের বাচ্চাগুলোর ব‍্যাগভর্তি করে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া আর বড় ক্লাসের কোচিং সংস্কৃতির কথা ভেবে একটু মনও খারাপ হয়। এরা কত আনন্দ নিয়ে শেখে । আমার মনে আছে আমাদের স্কুলে শুধু একটা খেলার মাঠই ছিলো, খেলার কিছু ছিল না।শিক্ষকের ভয়ে তটস্থ, মুখস্থ বিদ‍্যা, বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর ছিলো না কোন প্রাকটিক‍্যাল শেখার মাধ্যম, কি শিখেছি আর কি শিখি নাই মনে পরে না। নাহ, অনুযোগ না, কিছুটা আফসোস হয় একই পৃথিবীর ভিতরে মনে হয় ভিন্ন দুই গ্রহ। আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায় তিন মাসের একটি দীর্ঘ সামার ব্রেক থাকে, যা অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার স্কুলগুলো এই দীর্ঘ ছুটিকে দেখে রিকভারি টাইম হিসেবে। শুধু পড়াশোনা থেকে নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটা সুযোগ হিসেবেও। এই ছুটির সময়টা আমেরিকান শিশুরা নানা রকম সৃজনশীল কাজে অংশ নেয় যেমন ক্যাম্পে যায়, পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করে, খেলাধুলা, আর্ট, মিউজিক, কিংবা পার্ট-টাইম জবও করে। এতে তারা কেবল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা পায়। এখানে আরো দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের হাতেই খাবার খাচ্ছে, নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে, লাঞ্চবক্স খুলে খাচ্ছে, খাওয়ার পরে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে গিয়ে জিনিস ফেলে আসছে। কাউকে বলার দরকার হয় না।খুদে খুদে বাচ্চারা কাজ গুলো করে এক বড় বড় ভাব নিয়ে যখন হাটে, দেখতেও ভারি ভালো লাগে। ওদের self eateem এভাবেই গড়ে ওঠে। আমাদের ক্লাস 9/10 এর অনেক বাবু!দের মায়েরা খাইয়ে দেয় (আমিও খাইছি মায়ের হাতে বুড়া বয়সে) এসব এখানে চিন্তাই করা যায় না! আমেরিকান শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিশুর ‍mental health টা যেমন গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তিত্ব গঠনের সুযোগ করে দেয়, ভদ্রতা শিখায়, আত্মনির্ভরশীল করে, সোসাল স্কিল বাড়ায়, এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখায় না। বাংলাদেশেও যদি শিক্ষার্থীদের চাপ কিছুটা কমিয়ে, ওদের শৈশবটাকে একটু উপভোগ করতে দিত, একটু ব্রেক পেত বাচ্চাগুলো, একটু life skill বা social skill শেখানো হত, তাহলে হয়তো আমরা আরো ব্যালান্সড, হ্যাপি এবং আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম পেতাম। শিশুরা জন্ম নেয় ভালোবাসা আর আনন্দ নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য, প্রতিযোগিতার বোঝা টানার জন্য নয়। তাই প্যারেন্টদের বলবো, শুধু ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দিয়ে তাদের শৈশবটাকে কঠিন করে তুলবেন না। ভালো রেজাল্ট নয়, ভালো মানুষ হওয়াটাই যেন হয় আমাদের মূল লক্ষ্য। Sajia Tonny
    Wow
    1
    0 Comments 0 Shares 204 Views
  • ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের নায়িকা ববিতার এই ছবিটি ছাপা হয় নিউইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদনে।

    সেই সময় তাকে বিশ্বের সেরা দশ জন অভিনেত্রীর একজন বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো।

    মূলত সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অশনি সংকেত সিনেমা মুক্তির পরই তার সৌন্দর্য এবং অভিনয় প্রতিভা বিশ্ব দরবারে উঠে আসে।

    © Papri Routh
    ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের নায়িকা ববিতার এই ছবিটি ছাপা হয় নিউইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদনে। সেই সময় তাকে বিশ্বের সেরা দশ জন অভিনেত্রীর একজন বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো। মূলত সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অশনি সংকেত সিনেমা মুক্তির পরই তার সৌন্দর্য এবং অভিনয় প্রতিভা বিশ্ব দরবারে উঠে আসে। © Papri Routh
    0 Comments 0 Shares 141 Views
  • ১৮০০ সালের আগের যুগে বিজ্ঞানীরা বিদ্যুতের গতি সম্পর্কে অনেক কৌতূহল পোষণ করতেন। তখনকার পরীক্ষাগুলো ছিল অনেকটা আজকের তুলনায় ভিন্নরকম এবং অনেক সময় বেশ বিপজ্জনকও। একদম এমনই এক অদ্ভুত এবং চমকপ্রদ পরীক্ষা করেছিলেন ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী ও ধর্মযাজক জাঁ-অঁতোয়ান নোলেট। তিনি ১৭৪৬ সালে ২০০ জন কার্থুসিয়ান সন্ন্যাসীকে এক বড় একটি সার্কেল আকারে দাঁড় করান, যার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় এক মাইল বা ১.৬ কিলোমিটার। সন্ন্যাসীরা তাদের হাতে ব্রাসের লাঠি ধরে ছিলেন, যেগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরপর নোলেট তাদের শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করার জন্য লেইডেন জার থেকে বিদ্যুৎ চার্জ প্রেরণ করেন।

    নোলেটের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যুতের গতি নির্ণয় করা। তিনি ভেবেছিলেন, বিদ্যুতের তরঙ্গ ধীরে ধীরে সন্ন্যাসীদের দেহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে এবং তারা এক এক করে আঘাত পাবে। ঠিক যেন ফুটবল খেলার স্টেডিয়ামে দেখা যায়, দর্শকরা একের পর এক হাতে হাত দোলানোর মাধ্যমে ‘ওয়েভ’ তৈরি করে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। বিদ্যুৎ সারা সার্কেলের মধ্য দিয়ে প্রচণ্ড দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সন্ন্যাসীরা প্রায় একই সময়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ কারণে নোলেট সিদ্ধান্ত নিলেন যে বিদ্যুতের গতি সীমাহীন, অর্থাৎ এটা অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে চলে।

    বর্তমানে আমরা জানি, বিদ্যুতের গতি নির্ভর করে তার মাধ্যমের ওপর। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ সাধারণত প্রায় ২৭০,০০০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড বা আলোর গতি থেকে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি গতি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিদ্যুতের একক ইলেকট্রন আসলে ধীর গতিতে নড়াচড়া করে, প্রায় ০.০২ সেন্টিমিটার প্রতি সেকেন্ডের মতো। এই গতি সম্পর্কে পরিমাপ করার জন্য আজকের দিনে কারো শরীরের উপর এ ধরনের বিপজ্জনক পরীক্ষা করা হয় না।

    নোলেটের এই পরীক্ষা আমাদের বিদ্যুতের প্রকৃতি সম্পর্কে প্রথম ধারণা দিতে সাহায্য করেছিল। যদিও পরীক্ষা ছিল বিপজ্জনক এবং অনৈতিক বলেও বিবেচিত হতে পারে, তবুও এটি বিদ্যুতের গতি সম্পর্কে সেই যুগের জন্য একটি বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ছিল। আজকের দিনে আমরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই গতি অনেক বেশি নির্ভুলভাবে মাপতে পারি এবং নিরাপদে গবেষণা চালাতে পারি।
    ১৮০০ সালের আগের যুগে বিজ্ঞানীরা বিদ্যুতের গতি সম্পর্কে অনেক কৌতূহল পোষণ করতেন। তখনকার পরীক্ষাগুলো ছিল অনেকটা আজকের তুলনায় ভিন্নরকম এবং অনেক সময় বেশ বিপজ্জনকও। একদম এমনই এক অদ্ভুত এবং চমকপ্রদ পরীক্ষা করেছিলেন ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী ও ধর্মযাজক জাঁ-অঁতোয়ান নোলেট। তিনি ১৭৪৬ সালে ২০০ জন কার্থুসিয়ান সন্ন্যাসীকে এক বড় একটি সার্কেল আকারে দাঁড় করান, যার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় এক মাইল বা ১.৬ কিলোমিটার। সন্ন্যাসীরা তাদের হাতে ব্রাসের লাঠি ধরে ছিলেন, যেগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরপর নোলেট তাদের শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করার জন্য লেইডেন জার থেকে বিদ্যুৎ চার্জ প্রেরণ করেন। নোলেটের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যুতের গতি নির্ণয় করা। তিনি ভেবেছিলেন, বিদ্যুতের তরঙ্গ ধীরে ধীরে সন্ন্যাসীদের দেহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে এবং তারা এক এক করে আঘাত পাবে। ঠিক যেন ফুটবল খেলার স্টেডিয়ামে দেখা যায়, দর্শকরা একের পর এক হাতে হাত দোলানোর মাধ্যমে ‘ওয়েভ’ তৈরি করে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। বিদ্যুৎ সারা সার্কেলের মধ্য দিয়ে প্রচণ্ড দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সন্ন্যাসীরা প্রায় একই সময়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ কারণে নোলেট সিদ্ধান্ত নিলেন যে বিদ্যুতের গতি সীমাহীন, অর্থাৎ এটা অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে চলে। বর্তমানে আমরা জানি, বিদ্যুতের গতি নির্ভর করে তার মাধ্যমের ওপর। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ সাধারণত প্রায় ২৭০,০০০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড বা আলোর গতি থেকে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি গতি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিদ্যুতের একক ইলেকট্রন আসলে ধীর গতিতে নড়াচড়া করে, প্রায় ০.০২ সেন্টিমিটার প্রতি সেকেন্ডের মতো। এই গতি সম্পর্কে পরিমাপ করার জন্য আজকের দিনে কারো শরীরের উপর এ ধরনের বিপজ্জনক পরীক্ষা করা হয় না। নোলেটের এই পরীক্ষা আমাদের বিদ্যুতের প্রকৃতি সম্পর্কে প্রথম ধারণা দিতে সাহায্য করেছিল। যদিও পরীক্ষা ছিল বিপজ্জনক এবং অনৈতিক বলেও বিবেচিত হতে পারে, তবুও এটি বিদ্যুতের গতি সম্পর্কে সেই যুগের জন্য একটি বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ছিল। আজকের দিনে আমরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই গতি অনেক বেশি নির্ভুলভাবে মাপতে পারি এবং নিরাপদে গবেষণা চালাতে পারি।
    Sad
    1
    0 Comments 0 Shares 166 Views
  • Japan has developed robotic bees to help with crop pollination, addressing the global decline in bee populations. These tiny flying bots, equipped with cameras, sensors, and soft horsehair coated in a sticky gel, mimic the natural pollination process of real bees. Guided by AI, they can identify flowers, collect pollen, and transfer it efficiently between plants.

    The robotic bees are being tested in greenhouses and open fields, ensuring crops like fruits and vegetables receive proper pollination even when natural bee numbers are low. Their lightweight design allows them to hover and navigate complex floral patterns without damaging delicate plants.

    This innovation could safeguard global food production, especially in regions facing severe pollinator shortages. By blending robotics with nature’s design, Japan is offering a futuristic yet practical solution to one of agriculture’s biggest challenges.

    #AgriTech #BeeBots #FutureFarming
    Japan has developed robotic bees to help with crop pollination, addressing the global decline in bee populations. These tiny flying bots, equipped with cameras, sensors, and soft horsehair coated in a sticky gel, mimic the natural pollination process of real bees. Guided by AI, they can identify flowers, collect pollen, and transfer it efficiently between plants. The robotic bees are being tested in greenhouses and open fields, ensuring crops like fruits and vegetables receive proper pollination even when natural bee numbers are low. Their lightweight design allows them to hover and navigate complex floral patterns without damaging delicate plants. This innovation could safeguard global food production, especially in regions facing severe pollinator shortages. By blending robotics with nature’s design, Japan is offering a futuristic yet practical solution to one of agriculture’s biggest challenges. #AgriTech #BeeBots #FutureFarming
    0 Comments 0 Shares 303 Views
  • ভারতের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
    =============================
    সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়টি ভারতীয় কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

    নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ভারতীয় কোম্পানিগুলো হলো:
    ১. অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড
    ২. গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড
    ৩. জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেড
    ৪. রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি
    ৫. পারসিস্টেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড
    ৬. কাঞ্চন পলিমার

    এছাড়াও, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের আমদানি করা পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক এবং রাশিয়া থেকে তেল ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য অতিরিক্ত জরিমানা আরোপের ঘোষণাও দিয়েছে।

    এই পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক ঘাটতি এবং ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্পর্কের কারণে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ কিংবা যেসব সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে আছে, তা জব্দ করা হবে। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও কোম্পানিগুলোর বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া নিষিদ্ধ হবে।

    নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর যেকোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যেগুলোর অন্তত ৫০ শতাংশ মালিকানা তাদের হাতে, তা–ও একইভাবে নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হবে।
    ভারতের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ============================= সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়টি ভারতীয় কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ভারতীয় কোম্পানিগুলো হলো: ১. অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড ২. গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড ৩. জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেড ৪. রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি ৫. পারসিস্টেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড ৬. কাঞ্চন পলিমার এছাড়াও, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের আমদানি করা পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক এবং রাশিয়া থেকে তেল ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য অতিরিক্ত জরিমানা আরোপের ঘোষণাও দিয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক ঘাটতি এবং ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্পর্কের কারণে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ কিংবা যেসব সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে আছে, তা জব্দ করা হবে। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও কোম্পানিগুলোর বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া নিষিদ্ধ হবে। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর যেকোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যেগুলোর অন্তত ৫০ শতাংশ মালিকানা তাদের হাতে, তা–ও একইভাবে নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হবে।
    0 Comments 0 Shares 171 Views
  • Rare Red sprite lightning spotted over Salt Lake, Utah (USA)

    Late on the night of July 28, 2025, people across northern Utah looked up and witnessed something truly spectacular. Just after 10 PM, a brilliant red lightning display—known as a red sprite—lit up the sky above a thunderstorm near the Great Salt Lake. These eerie, jellyfish-like flashes appeared high above the storm clouds, surprising viewers from Salt Lake City all the way to Logan.

    The vivid red lights looked like glowing tendrils stretching down from bright orbs, almost like a glowing waterfall in the sky. While sprites are usually too quick and faint to see with the naked eye, clear skies and the perfect storm conditions made them visible this time—and they didn’t disappoint. Local photographers captured the moment in amazing detail.

    Experts believe we might see more of these rare phenomena in the western U.S. as storms become stronger due to changing climate patterns. So if you’re a skywatcher, keep your eyes—and cameras—on the skies. More surprises could be on the way.
    Rare Red sprite lightning spotted over Salt Lake, Utah (USA) 🌌 ⚡ Late on the night of July 28, 2025, people across northern Utah looked up and witnessed something truly spectacular. Just after 10 PM, a brilliant red lightning display—known as a red sprite—lit up the sky above a thunderstorm near the Great Salt Lake. These eerie, jellyfish-like flashes appeared high above the storm clouds, surprising viewers from Salt Lake City all the way to Logan. The vivid red lights looked like glowing tendrils stretching down from bright orbs, almost like a glowing waterfall in the sky. While sprites are usually too quick and faint to see with the naked eye, clear skies and the perfect storm conditions made them visible this time—and they didn’t disappoint. Local photographers captured the moment in amazing detail. Experts believe we might see more of these rare phenomena in the western U.S. as storms become stronger due to changing climate patterns. So if you’re a skywatcher, keep your eyes—and cameras—on the skies. More surprises could be on the way.
    0 Comments 0 Shares 174 Views
  • গরু চুরির ঋণ ১,০০১ গরুতে শোধ: Hyundai–এর বিস্ময়কর বাস্তব কাহিনি
    দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প ইতিহাসে একটি ঘটনা আজও বিস্ময়ের উদ্রেক করে—এক সময় গরু চুরি করে সিওলে পড়তে আসা এক দরিদ্র কিশোর, যিনি পরবর্তী জীবনে গড়ে তোলেন Hyundai-এর মতো বিশ্বখ্যাত শিল্প প্রতিষ্ঠান। বহু বছর পর, তিনি নিজের সেই গরু চুরির ঋণ প্রতীকীভাবে শোধ করেন—উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠান ১,০০১টি গরু। এ ঘটনা গল্প নয়, ইতিহাস।
    চুং জু-ইয়ং ছিলেন সেই মানুষ, যাঁর জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্য কোরিয়ার শিল্পায়নের প্রতীক।

    শৈশব ও গরু চুরির ঘটনা
    চুং জু-ইয়ং জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৫ সালে, উত্তর কোরিয়ার কাংওন প্রদেশের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর পড়াশোনার প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল। কিন্তু দারিদ্র্য ও পরিবারের বাধার কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সেই কিশোর তখন সিদ্ধান্ত নেন—যেকোনো মূল্যে তিনি সিওলে যাবেন।
    তৃতীয়বার চেষ্টা করার সময় পরিবারের একটি গরু বিক্রি করে তিনি ট্রেনের টিকিট কেনেন। এ ঘটনাকে আজ 'চুং জু-ইয়ং-এর গরু চুরি' বলে উল্লেখ করা হয়। বাস্তবে, এটি ছিল তাঁর জীবনের প্রথম ‘বিনিয়োগ’—শিক্ষা ও সম্ভাবনার পেছনে এক অসাধারণ ঝুঁকি।

    শ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা
    সিওলে পৌঁছার পর তিনি প্রথমে নির্মাণ শ্রমিক, পরে রিকশা মেরামতের দোকানে কাজ করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই নিজেই সেই দোকান কিনে ফেলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও কোরিয়ান যুদ্ধ তাঁর ব্যবসার ক্ষতি করলেও, তিনি হার মানেননি।
    ১৯৪৭ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন Hyundai Engineering and Construction। যুদ্ধবিধ্বস্ত কোরিয়ায় সড়ক, সেতু, ভবন নির্মাণের মতো প্রকল্পে Hyundai গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

    Hyundai-এর উত্থান ও বৈশ্বিক রূপ:
    পরবর্তী তিন দশকে চুং জু-ইয়ং শুধু নির্মাণ খাতে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি গড়ে তোলেন:
    √Hyundai Motors (গাড়ি নির্মাণ)
    √Hyundai Heavy Industries (বিশ্বের অন্যতম বড় জাহাজ নির্মাতা)
    √Hyundai Group (মোট ৬০টির বেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান)

    চুং জু-ইয়ং-এর নেতৃত্বে Hyundai কোরিয়ার অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়ায়। তাঁর সবচেয়ে পরিচিত উক্তি:
    “Have you tried?” — অর্থাৎ, “তুমি কি চেষ্টা করেছ?”

    ঋণ শোধ: ১,০০১টি গরুর উপহার

    ১৯৯৮ সালে , তখন তাঁর বয়স ৮৪, উত্তর কোরিয়ায় দুর্ভিক্ষ চলছিল। চুং জু-ইয়ং ডিএমজেড (DMZ) সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ১,০০১টি গরু পাঠান।
    এটি ছিল দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তির এক প্রতীকী উদ্যোগ, আবার তাঁর শৈশবের সেই গরু চুরির ঋণ শোধের এক ব্যতিক্রমী প্রতিফলন।
    তিনি নিজেই সেসময় বলেন, “আমি কিশোর বয়সে একটি গরু নিয়ে পালিয়েছিলাম। এখন ১,০০১টি গরু ফিরিয়ে দিচ্ছি।”

    চুং জু-ইয়ং-এর জীবনের এই ঘটনা কেবল ব্যবসার সাফল্যের গল্প নয়, এটি একজন মানুষের নৈতিক দায়বদ্ধতা, আত্মসম্মান ও দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে—
    যদি ইচ্ছাশক্তি থাকে দারিদ্র্য সাফল্যের পথে বাধা নয়,
    উদ্যোক্তা মানে শুধু মুনাফা করা নয়, সমাজ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখাও
    ভুল করলে স্বীকার করা ও সংশোধন করাই প্রকৃত নেতৃত্ব
    Hyundai আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী। আর চুং জু-ইয়ং কেবল দক্ষিণ কোরিয়ার নয়, বৈশ্বিক শিল্প নেতৃত্বের এক কিংবদন্তি। তাঁর জীবনের এই বাস্তব ঘটনা—একজন দরিদ্র কিশোরের সাহসী সিদ্ধান্ত থেকে গ্লোবাল কর্পোরেশনের জন্ম—অনুপ্রেরণার এক অনন্য অধ্যায়।
    এটি গল্প নয়, এটি ইতিহাস।
    #MRKR
    🐂 গরু চুরির ঋণ ১,০০১ গরুতে শোধ: Hyundai–এর বিস্ময়কর বাস্তব কাহিনি দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প ইতিহাসে একটি ঘটনা আজও বিস্ময়ের উদ্রেক করে—এক সময় গরু চুরি করে সিওলে পড়তে আসা এক দরিদ্র কিশোর, যিনি পরবর্তী জীবনে গড়ে তোলেন Hyundai-এর মতো বিশ্বখ্যাত শিল্প প্রতিষ্ঠান। বহু বছর পর, তিনি নিজের সেই গরু চুরির ঋণ প্রতীকীভাবে শোধ করেন—উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠান ১,০০১টি গরু। এ ঘটনা গল্প নয়, ইতিহাস। চুং জু-ইয়ং ছিলেন সেই মানুষ, যাঁর জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্য কোরিয়ার শিল্পায়নের প্রতীক। 👦 শৈশব ও গরু চুরির ঘটনা চুং জু-ইয়ং জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৫ সালে, উত্তর কোরিয়ার কাংওন প্রদেশের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর পড়াশোনার প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল। কিন্তু দারিদ্র্য ও পরিবারের বাধার কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সেই কিশোর তখন সিদ্ধান্ত নেন—যেকোনো মূল্যে তিনি সিওলে যাবেন। তৃতীয়বার চেষ্টা করার সময় পরিবারের একটি গরু বিক্রি করে তিনি ট্রেনের টিকিট কেনেন। এ ঘটনাকে আজ 'চুং জু-ইয়ং-এর গরু চুরি' বলে উল্লেখ করা হয়। বাস্তবে, এটি ছিল তাঁর জীবনের প্রথম ‘বিনিয়োগ’—শিক্ষা ও সম্ভাবনার পেছনে এক অসাধারণ ঝুঁকি। 🛠️ শ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা সিওলে পৌঁছার পর তিনি প্রথমে নির্মাণ শ্রমিক, পরে রিকশা মেরামতের দোকানে কাজ করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই নিজেই সেই দোকান কিনে ফেলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও কোরিয়ান যুদ্ধ তাঁর ব্যবসার ক্ষতি করলেও, তিনি হার মানেননি। ১৯৪৭ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন Hyundai Engineering and Construction। যুদ্ধবিধ্বস্ত কোরিয়ায় সড়ক, সেতু, ভবন নির্মাণের মতো প্রকল্পে Hyundai গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 🚀 Hyundai-এর উত্থান ও বৈশ্বিক রূপ: পরবর্তী তিন দশকে চুং জু-ইয়ং শুধু নির্মাণ খাতে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি গড়ে তোলেন: √Hyundai Motors (গাড়ি নির্মাণ) √Hyundai Heavy Industries (বিশ্বের অন্যতম বড় জাহাজ নির্মাতা) √Hyundai Group (মোট ৬০টির বেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান) চুং জু-ইয়ং-এর নেতৃত্বে Hyundai কোরিয়ার অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়ায়। তাঁর সবচেয়ে পরিচিত উক্তি: “Have you tried?” — অর্থাৎ, “তুমি কি চেষ্টা করেছ?” 🕊️ ঋণ শোধ: ১,০০১টি গরুর উপহার ১৯৯৮ সালে , তখন তাঁর বয়স ৮৪, উত্তর কোরিয়ায় দুর্ভিক্ষ চলছিল। চুং জু-ইয়ং ডিএমজেড (DMZ) সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ১,০০১টি গরু পাঠান। এটি ছিল দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তির এক প্রতীকী উদ্যোগ, আবার তাঁর শৈশবের সেই গরু চুরির ঋণ শোধের এক ব্যতিক্রমী প্রতিফলন। তিনি নিজেই সেসময় বলেন, “আমি কিশোর বয়সে একটি গরু নিয়ে পালিয়েছিলাম। এখন ১,০০১টি গরু ফিরিয়ে দিচ্ছি।” 🌱 চুং জু-ইয়ং-এর জীবনের এই ঘটনা কেবল ব্যবসার সাফল্যের গল্প নয়, এটি একজন মানুষের নৈতিক দায়বদ্ধতা, আত্মসম্মান ও দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে— ➡️যদি ইচ্ছাশক্তি থাকে দারিদ্র্য সাফল্যের পথে বাধা নয়, ➡️উদ্যোক্তা মানে শুধু মুনাফা করা নয়, সমাজ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখাও ➡️ভুল করলে স্বীকার করা ও সংশোধন করাই প্রকৃত নেতৃত্ব 🔚Hyundai আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী। আর চুং জু-ইয়ং কেবল দক্ষিণ কোরিয়ার নয়, বৈশ্বিক শিল্প নেতৃত্বের এক কিংবদন্তি। তাঁর জীবনের এই বাস্তব ঘটনা—একজন দরিদ্র কিশোরের সাহসী সিদ্ধান্ত থেকে গ্লোবাল কর্পোরেশনের জন্ম—অনুপ্রেরণার এক অনন্য অধ্যায়। এটি গল্প নয়, এটি ইতিহাস। #MRKR
    0 Comments 0 Shares 222 Views
  • বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তুলতেই সরব হলেন নদীয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন,

    ‘বাংলাদেশ থেকে ভারতে কেউ আসে না, কারণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অনেক সূচকে ভারতকে ছাড়িয়ে এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

    জিডিপি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো - সব দিক থেকেই বাংলাদেশ ভারতের তুলনায় এগিয়ে। বাংলাদেশিদের ভারতে মাইগ্রেশন নেওয়ার কোনো কারণই নেই।’
    বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তুলতেই সরব হলেন নদীয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ভারতে কেউ আসে না, কারণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অনেক সূচকে ভারতকে ছাড়িয়ে এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। জিডিপি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো - সব দিক থেকেই বাংলাদেশ ভারতের তুলনায় এগিয়ে। বাংলাদেশিদের ভারতে মাইগ্রেশন নেওয়ার কোনো কারণই নেই।’
    0 Comments 0 Shares 143 Views
  • ভবিষ্যতে তাসকিন আর কখনো মা*রা*মা*রিতে জড়াবেন না বলে থানায় অঙ্গিকার করেছেন তাসকিনের বাবা..

    গত কয়েকদিন আগে মধ্যরাতে মদ্যপান করে ছোটবেলার বন্ধুকে ডেকে এনে নিজ গাড়িতে মা*রধর করেন তাসকিন। পরে, সেই বন্ধু থানায় জিডি করলে সোস্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়ে। তাসকিন নিজ থেকেই চেয়েছেন মিচ্যুয়াল করতে।
    ফলে, গতকাল রাতে থানায় বসে বন্ধুর পরিবারের কাছে তাসকিন এমন আর করবেন না বলে অঙ্গিকার করেছেন তাসকিনের বাবা। তবে, জিডি এখনো তোলা হয় নি।

    #TaskinAhmed | #khelarpata
    ভবিষ্যতে তাসকিন আর কখনো মা*রা*মা*রিতে জড়াবেন না বলে থানায় অঙ্গিকার করেছেন তাসকিনের বাবা..🚨 গত কয়েকদিন আগে মধ্যরাতে মদ্যপান করে ছোটবেলার বন্ধুকে ডেকে এনে নিজ গাড়িতে মা*রধর করেন তাসকিন। পরে, সেই বন্ধু থানায় জিডি করলে সোস্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়ে। তাসকিন নিজ থেকেই চেয়েছেন মিচ্যুয়াল করতে। ফলে, গতকাল রাতে থানায় বসে বন্ধুর পরিবারের কাছে তাসকিন এমন আর করবেন না বলে অঙ্গিকার করেছেন তাসকিনের বাবা। তবে, জিডি এখনো তোলা হয় নি। #TaskinAhmed | #khelarpata
    0 Comments 0 Shares 162 Views
More Stories
BlackBird Ai
https://bbai.shop