আমি মাঝে মাঝে আমার neighbourhood school এ volunteer এর কাজ করি, এত চমৎকার লাগে আমেরিকার স্কুল, শিক্ষক, খেলার মাঠ, পড়ানোর ধরন। আমাদের দেশের বাচ্চাগুলোর ব্যাগভর্তি করে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া আর বড় ক্লাসের কোচিং সংস্কৃতির কথা ভেবে একটু মনও খারাপ হয়। এরা কত আনন্দ নিয়ে শেখে । আমার মনে আছে আমাদের স্কুলে শুধু একটা খেলার মাঠই ছিলো, খেলার কিছু ছিল না।শিক্ষকের ভয়ে তটস্থ, মুখস্থ বিদ্যা, বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর ছিলো না কোন প্রাকটিক্যাল শেখার মাধ্যম, কি শিখেছি আর কি শিখি নাই মনে পরে না। নাহ, অনুযোগ না, কিছুটা আফসোস হয় একই পৃথিবীর ভিতরে মনে হয় ভিন্ন দুই গ্রহ।
আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায় তিন মাসের একটি দীর্ঘ সামার ব্রেক থাকে, যা অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার স্কুলগুলো এই দীর্ঘ ছুটিকে দেখে রিকভারি টাইম হিসেবে। শুধু পড়াশোনা থেকে নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটা সুযোগ হিসেবেও।
এই ছুটির সময়টা আমেরিকান শিশুরা নানা রকম সৃজনশীল কাজে অংশ নেয় যেমন ক্যাম্পে যায়, পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করে, খেলাধুলা, আর্ট, মিউজিক, কিংবা পার্ট-টাইম জবও করে। এতে তারা কেবল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা পায়।
এখানে আরো দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের হাতেই খাবার খাচ্ছে, নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে, লাঞ্চবক্স খুলে খাচ্ছে, খাওয়ার পরে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে গিয়ে জিনিস ফেলে আসছে। কাউকে বলার দরকার হয় না।খুদে খুদে বাচ্চারা কাজ গুলো করে এক বড় বড় ভাব নিয়ে যখন হাটে, দেখতেও ভারি ভালো লাগে। ওদের self eateem এভাবেই গড়ে ওঠে। আমাদের ক্লাস 9/10 এর অনেক বাবু!দের মায়েরা খাইয়ে দেয় (আমিও খাইছি মায়ের হাতে বুড়া বয়সে) এসব এখানে চিন্তাই করা যায় না!
আমেরিকান শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিশুর mental health টা যেমন গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তিত্ব গঠনের সুযোগ করে দেয়, ভদ্রতা শিখায়, আত্মনির্ভরশীল করে, সোসাল স্কিল বাড়ায়, এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখায় না। বাংলাদেশেও যদি শিক্ষার্থীদের চাপ কিছুটা কমিয়ে, ওদের শৈশবটাকে একটু উপভোগ করতে দিত, একটু ব্রেক পেত বাচ্চাগুলো, একটু life skill বা social skill শেখানো হত, তাহলে হয়তো আমরা আরো ব্যালান্সড, হ্যাপি এবং আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম পেতাম।
শিশুরা জন্ম নেয় ভালোবাসা আর আনন্দ নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য, প্রতিযোগিতার বোঝা টানার জন্য নয়। তাই প্যারেন্টদের বলবো, শুধু ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দিয়ে তাদের শৈশবটাকে কঠিন করে তুলবেন না। ভালো রেজাল্ট নয়, ভালো মানুষ হওয়াটাই যেন হয় আমাদের মূল লক্ষ্য।
Sajia Tonny
আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায় তিন মাসের একটি দীর্ঘ সামার ব্রেক থাকে, যা অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার স্কুলগুলো এই দীর্ঘ ছুটিকে দেখে রিকভারি টাইম হিসেবে। শুধু পড়াশোনা থেকে নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটা সুযোগ হিসেবেও।
এই ছুটির সময়টা আমেরিকান শিশুরা নানা রকম সৃজনশীল কাজে অংশ নেয় যেমন ক্যাম্পে যায়, পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করে, খেলাধুলা, আর্ট, মিউজিক, কিংবা পার্ট-টাইম জবও করে। এতে তারা কেবল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা পায়।
এখানে আরো দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের হাতেই খাবার খাচ্ছে, নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে, লাঞ্চবক্স খুলে খাচ্ছে, খাওয়ার পরে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে গিয়ে জিনিস ফেলে আসছে। কাউকে বলার দরকার হয় না।খুদে খুদে বাচ্চারা কাজ গুলো করে এক বড় বড় ভাব নিয়ে যখন হাটে, দেখতেও ভারি ভালো লাগে। ওদের self eateem এভাবেই গড়ে ওঠে। আমাদের ক্লাস 9/10 এর অনেক বাবু!দের মায়েরা খাইয়ে দেয় (আমিও খাইছি মায়ের হাতে বুড়া বয়সে) এসব এখানে চিন্তাই করা যায় না!
আমেরিকান শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিশুর mental health টা যেমন গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তিত্ব গঠনের সুযোগ করে দেয়, ভদ্রতা শিখায়, আত্মনির্ভরশীল করে, সোসাল স্কিল বাড়ায়, এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখায় না। বাংলাদেশেও যদি শিক্ষার্থীদের চাপ কিছুটা কমিয়ে, ওদের শৈশবটাকে একটু উপভোগ করতে দিত, একটু ব্রেক পেত বাচ্চাগুলো, একটু life skill বা social skill শেখানো হত, তাহলে হয়তো আমরা আরো ব্যালান্সড, হ্যাপি এবং আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম পেতাম।
শিশুরা জন্ম নেয় ভালোবাসা আর আনন্দ নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য, প্রতিযোগিতার বোঝা টানার জন্য নয়। তাই প্যারেন্টদের বলবো, শুধু ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দিয়ে তাদের শৈশবটাকে কঠিন করে তুলবেন না। ভালো রেজাল্ট নয়, ভালো মানুষ হওয়াটাই যেন হয় আমাদের মূল লক্ষ্য।
Sajia Tonny
আমি মাঝে মাঝে আমার neighbourhood school এ volunteer এর কাজ করি, এত চমৎকার লাগে আমেরিকার স্কুল, শিক্ষক, খেলার মাঠ, পড়ানোর ধরন। আমাদের দেশের বাচ্চাগুলোর ব্যাগভর্তি করে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া আর বড় ক্লাসের কোচিং সংস্কৃতির কথা ভেবে একটু মনও খারাপ হয়। এরা কত আনন্দ নিয়ে শেখে । আমার মনে আছে আমাদের স্কুলে শুধু একটা খেলার মাঠই ছিলো, খেলার কিছু ছিল না।শিক্ষকের ভয়ে তটস্থ, মুখস্থ বিদ্যা, বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর ছিলো না কোন প্রাকটিক্যাল শেখার মাধ্যম, কি শিখেছি আর কি শিখি নাই মনে পরে না। নাহ, অনুযোগ না, কিছুটা আফসোস হয় একই পৃথিবীর ভিতরে মনে হয় ভিন্ন দুই গ্রহ।
আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায় তিন মাসের একটি দীর্ঘ সামার ব্রেক থাকে, যা অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার স্কুলগুলো এই দীর্ঘ ছুটিকে দেখে রিকভারি টাইম হিসেবে। শুধু পড়াশোনা থেকে নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটা সুযোগ হিসেবেও।
এই ছুটির সময়টা আমেরিকান শিশুরা নানা রকম সৃজনশীল কাজে অংশ নেয় যেমন ক্যাম্পে যায়, পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করে, খেলাধুলা, আর্ট, মিউজিক, কিংবা পার্ট-টাইম জবও করে। এতে তারা কেবল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা পায়।
এখানে আরো দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের হাতেই খাবার খাচ্ছে, নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে, লাঞ্চবক্স খুলে খাচ্ছে, খাওয়ার পরে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে গিয়ে জিনিস ফেলে আসছে। কাউকে বলার দরকার হয় না।খুদে খুদে বাচ্চারা কাজ গুলো করে এক বড় বড় ভাব নিয়ে যখন হাটে, দেখতেও ভারি ভালো লাগে। ওদের self eateem এভাবেই গড়ে ওঠে। আমাদের ক্লাস 9/10 এর অনেক বাবু!দের মায়েরা খাইয়ে দেয় (আমিও খাইছি মায়ের হাতে বুড়া বয়সে) এসব এখানে চিন্তাই করা যায় না!
আমেরিকান শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিশুর mental health টা যেমন গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তিত্ব গঠনের সুযোগ করে দেয়, ভদ্রতা শিখায়, আত্মনির্ভরশীল করে, সোসাল স্কিল বাড়ায়, এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখায় না। বাংলাদেশেও যদি শিক্ষার্থীদের চাপ কিছুটা কমিয়ে, ওদের শৈশবটাকে একটু উপভোগ করতে দিত, একটু ব্রেক পেত বাচ্চাগুলো, একটু life skill বা social skill শেখানো হত, তাহলে হয়তো আমরা আরো ব্যালান্সড, হ্যাপি এবং আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম পেতাম।
শিশুরা জন্ম নেয় ভালোবাসা আর আনন্দ নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য, প্রতিযোগিতার বোঝা টানার জন্য নয়। তাই প্যারেন্টদের বলবো, শুধু ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দিয়ে তাদের শৈশবটাকে কঠিন করে তুলবেন না। ভালো রেজাল্ট নয়, ভালো মানুষ হওয়াটাই যেন হয় আমাদের মূল লক্ষ্য।
Sajia Tonny
