ওয়ারেন বাফেট: এক মহাধনীর সাদাসিধে জীবন
ওয়ারেন বাফেট—যাঁর নামের পাশেই জুড়ে থাকে বিলিয়নের গন্ধ। বর্তমান সময়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। চাইলে প্রতিদিন নতুন একটা গাড়ি কিনে নিতে পারেন, অথবা আলাদা শহরে আলাদা বাড়ি। কিন্তু বাস্তবটা ঠিক উল্টো।
তিনি আজও চালিয়ে বেড়ান ২০১৪ সালের একটা পুরনো
Cadillac XTS, যার গায়ে আবার শিলাবৃষ্টির দাগ পর্যন্ত রয়ে গেছে!
থাকেন সেই পুরনো বাড়িতে, যেটা কিনেছিলেন ১৯৫৮ সালে মাত্র ৩১,৫০০ ডলারে। ভোগবিলাসের জীবন তাঁর পছন্দ নয়। আর কথাবার্তায় যেমন সোজাসাপ্টা, জীবনও ঠিক তেমনই।
গাড়ি নয়, দরকারটাই বড় কথা:
২০০১ সালে এক বার্ষিক সভায় বাফেট বলেছিলেন—গাড়ি কিনি গতি দেখে না, ডিজাইন দেখে না, দেখি নিরাপত্তা কতটা।
“যে গাড়িতে দু’পাশেই এয়ারব্যাগ থাকে, ওজনটা ভালো—সেইটাই আমার পছন্দ,”—এভাবে একবার বুঝিয়েছিলেন নিজের যুক্তি।
২০১৪ সালে মেয়ের পরামর্শে নতুন গাড়ি কেনেন ঠিকই, কিন্তু তখনও বেছে নিয়েছিলেন একটা কম দামে পাওয়া, শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। কারণ তাঁর ভাষায়—“আমি বছরে ৩,৫০০ মাইলের বেশি গাড়ি চালাই না। এত কম চালালে নতুন গাড়ি কেনার দরকারটা কী?”
আর গাড়ি কিনতে গিয়ে আধা দিন সময় দিতে রাজি নন—বলেছিলেন, “জীবনের একটা আধা দিন এই কাজের পেছনে খরচ করতে চাই না।”
দামি নয়, টেকসই আর প্রয়োজনমাফিক হলেই চলে:
বাফেটের এই জীবনদর্শন কেবল গাড়ি বা বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর খরচ, বিনিয়োগ, এমনকি প্রতিদিনের নাস্তাও—সবকিছুতেই একটা ‘কমন সেন্স’ কাজ করে। তিনি নিজে বলেন, “অতিরিক্ত কিছু থাকলে সেটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।”
তাঁর মতে, জীবন মানে সাদামাটা সিদ্ধান্ত আর পরিষ্কার লক্ষ্য। লোক দেখানো কাজের প্রয়োজন নেই যদি তার কার্যকারিতা না থাকে। এই ভাবনাটাই তাঁকে করেছে অনন্য।
সম্পদের মালিক বটে, কিন্তু ‘মালিকানা’তে বিশ্বাসী নন:
বাফেট শুধু ব্যবসা জগতেই নয়, উদারতা আর দায়বদ্ধতার জায়গাতেও অনন্য। বহু বছর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মৃত্যুর আগে তাঁর মোট সম্পদের ৯৯ শতাংশ জনহিতকর কাজে বিলিয়ে দেবেন।
এই ভাবনা থেকেই বিল গেটসের সঙ্গে মিলে শুরু করেন ‘The Giving Pledge’—যেখানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা প্রতিজ্ঞা নেন তাঁদের সম্পদের বড় একটা অংশ মানবকল্যাণে দান করার।
এরপর থেকে তিনি নিয়মিতই দান করে যাচ্ছেন—শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য সহায়তা, এমন বহু খাতে। অথচ কোথাও নেই তাঁর নিজের নামে হাসপাতাল, বা কোনো বিলবোর্ড।
একবার বলেছিলেন—“আমার টাকা আমার চাহিদার অনেক বেশি। এটা এমন জায়গায় কাজে লাগুক, যেখানে জীবন বদলাবে।”
ওয়ারেন বাফেটের জীবন থেকে একটাই কথা স্পষ্ট—জীবনটা চাকচিক্যেময় না হয়ে বাস্তবতাভিত্তিক হলেই সবচেয়ে সুন্দর হয়।
আম্বানি যখন খরচ দেখিয়ে পরিচয় তৈরি করার চেষ্টা করে, সেখানে তিনি সহজতা, প্রয়োজন আর বিনয় দিয়ে প্রমাণ করেন—আসল বড়ত্ব দেখানোতে নয়, দায়িত্ব বুঝে চলায়।
একটা গাড়ি, একটা পুরনো বাড়ি, আর একটা সোজাসাপ্টা মন—এই দিয়েই একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারেন সবার চেয়ে বড়।
#MRKR
ওয়ারেন বাফেট—যাঁর নামের পাশেই জুড়ে থাকে বিলিয়নের গন্ধ। বর্তমান সময়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। চাইলে প্রতিদিন নতুন একটা গাড়ি কিনে নিতে পারেন, অথবা আলাদা শহরে আলাদা বাড়ি। কিন্তু বাস্তবটা ঠিক উল্টো।
তিনি আজও চালিয়ে বেড়ান ২০১৪ সালের একটা পুরনো
Cadillac XTS, যার গায়ে আবার শিলাবৃষ্টির দাগ পর্যন্ত রয়ে গেছে!
থাকেন সেই পুরনো বাড়িতে, যেটা কিনেছিলেন ১৯৫৮ সালে মাত্র ৩১,৫০০ ডলারে। ভোগবিলাসের জীবন তাঁর পছন্দ নয়। আর কথাবার্তায় যেমন সোজাসাপ্টা, জীবনও ঠিক তেমনই।
গাড়ি নয়, দরকারটাই বড় কথা:
২০০১ সালে এক বার্ষিক সভায় বাফেট বলেছিলেন—গাড়ি কিনি গতি দেখে না, ডিজাইন দেখে না, দেখি নিরাপত্তা কতটা।
“যে গাড়িতে দু’পাশেই এয়ারব্যাগ থাকে, ওজনটা ভালো—সেইটাই আমার পছন্দ,”—এভাবে একবার বুঝিয়েছিলেন নিজের যুক্তি।
২০১৪ সালে মেয়ের পরামর্শে নতুন গাড়ি কেনেন ঠিকই, কিন্তু তখনও বেছে নিয়েছিলেন একটা কম দামে পাওয়া, শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। কারণ তাঁর ভাষায়—“আমি বছরে ৩,৫০০ মাইলের বেশি গাড়ি চালাই না। এত কম চালালে নতুন গাড়ি কেনার দরকারটা কী?”
আর গাড়ি কিনতে গিয়ে আধা দিন সময় দিতে রাজি নন—বলেছিলেন, “জীবনের একটা আধা দিন এই কাজের পেছনে খরচ করতে চাই না।”
দামি নয়, টেকসই আর প্রয়োজনমাফিক হলেই চলে:
বাফেটের এই জীবনদর্শন কেবল গাড়ি বা বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর খরচ, বিনিয়োগ, এমনকি প্রতিদিনের নাস্তাও—সবকিছুতেই একটা ‘কমন সেন্স’ কাজ করে। তিনি নিজে বলেন, “অতিরিক্ত কিছু থাকলে সেটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।”
তাঁর মতে, জীবন মানে সাদামাটা সিদ্ধান্ত আর পরিষ্কার লক্ষ্য। লোক দেখানো কাজের প্রয়োজন নেই যদি তার কার্যকারিতা না থাকে। এই ভাবনাটাই তাঁকে করেছে অনন্য।
সম্পদের মালিক বটে, কিন্তু ‘মালিকানা’তে বিশ্বাসী নন:
বাফেট শুধু ব্যবসা জগতেই নয়, উদারতা আর দায়বদ্ধতার জায়গাতেও অনন্য। বহু বছর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মৃত্যুর আগে তাঁর মোট সম্পদের ৯৯ শতাংশ জনহিতকর কাজে বিলিয়ে দেবেন।
এই ভাবনা থেকেই বিল গেটসের সঙ্গে মিলে শুরু করেন ‘The Giving Pledge’—যেখানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা প্রতিজ্ঞা নেন তাঁদের সম্পদের বড় একটা অংশ মানবকল্যাণে দান করার।
এরপর থেকে তিনি নিয়মিতই দান করে যাচ্ছেন—শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য সহায়তা, এমন বহু খাতে। অথচ কোথাও নেই তাঁর নিজের নামে হাসপাতাল, বা কোনো বিলবোর্ড।
একবার বলেছিলেন—“আমার টাকা আমার চাহিদার অনেক বেশি। এটা এমন জায়গায় কাজে লাগুক, যেখানে জীবন বদলাবে।”
ওয়ারেন বাফেটের জীবন থেকে একটাই কথা স্পষ্ট—জীবনটা চাকচিক্যেময় না হয়ে বাস্তবতাভিত্তিক হলেই সবচেয়ে সুন্দর হয়।
আম্বানি যখন খরচ দেখিয়ে পরিচয় তৈরি করার চেষ্টা করে, সেখানে তিনি সহজতা, প্রয়োজন আর বিনয় দিয়ে প্রমাণ করেন—আসল বড়ত্ব দেখানোতে নয়, দায়িত্ব বুঝে চলায়।
একটা গাড়ি, একটা পুরনো বাড়ি, আর একটা সোজাসাপ্টা মন—এই দিয়েই একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারেন সবার চেয়ে বড়।
#MRKR
🧓 ওয়ারেন বাফেট: এক মহাধনীর সাদাসিধে জীবন
ওয়ারেন বাফেট—যাঁর নামের পাশেই জুড়ে থাকে বিলিয়নের গন্ধ। বর্তমান সময়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। চাইলে প্রতিদিন নতুন একটা গাড়ি কিনে নিতে পারেন, অথবা আলাদা শহরে আলাদা বাড়ি। কিন্তু বাস্তবটা ঠিক উল্টো।
তিনি আজও চালিয়ে বেড়ান ২০১৪ সালের একটা পুরনো
Cadillac XTS, যার গায়ে আবার শিলাবৃষ্টির দাগ পর্যন্ত রয়ে গেছে!
থাকেন সেই পুরনো বাড়িতে, যেটা কিনেছিলেন ১৯৫৮ সালে মাত্র ৩১,৫০০ ডলারে। ভোগবিলাসের জীবন তাঁর পছন্দ নয়। আর কথাবার্তায় যেমন সোজাসাপ্টা, জীবনও ঠিক তেমনই।
🚗 গাড়ি নয়, দরকারটাই বড় কথা:
২০০১ সালে এক বার্ষিক সভায় বাফেট বলেছিলেন—গাড়ি কিনি গতি দেখে না, ডিজাইন দেখে না, দেখি নিরাপত্তা কতটা।
“যে গাড়িতে দু’পাশেই এয়ারব্যাগ থাকে, ওজনটা ভালো—সেইটাই আমার পছন্দ,”—এভাবে একবার বুঝিয়েছিলেন নিজের যুক্তি।
২০১৪ সালে মেয়ের পরামর্শে নতুন গাড়ি কেনেন ঠিকই, কিন্তু তখনও বেছে নিয়েছিলেন একটা কম দামে পাওয়া, শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। কারণ তাঁর ভাষায়—“আমি বছরে ৩,৫০০ মাইলের বেশি গাড়ি চালাই না। এত কম চালালে নতুন গাড়ি কেনার দরকারটা কী?”
আর গাড়ি কিনতে গিয়ে আধা দিন সময় দিতে রাজি নন—বলেছিলেন, “জীবনের একটা আধা দিন এই কাজের পেছনে খরচ করতে চাই না।”
🏡 দামি নয়, টেকসই আর প্রয়োজনমাফিক হলেই চলে:
বাফেটের এই জীবনদর্শন কেবল গাড়ি বা বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর খরচ, বিনিয়োগ, এমনকি প্রতিদিনের নাস্তাও—সবকিছুতেই একটা ‘কমন সেন্স’ কাজ করে। তিনি নিজে বলেন, “অতিরিক্ত কিছু থাকলে সেটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।”
তাঁর মতে, জীবন মানে সাদামাটা সিদ্ধান্ত আর পরিষ্কার লক্ষ্য। লোক দেখানো কাজের প্রয়োজন নেই যদি তার কার্যকারিতা না থাকে। এই ভাবনাটাই তাঁকে করেছে অনন্য।
💸 সম্পদের মালিক বটে, কিন্তু ‘মালিকানা’তে বিশ্বাসী নন:
বাফেট শুধু ব্যবসা জগতেই নয়, উদারতা আর দায়বদ্ধতার জায়গাতেও অনন্য। বহু বছর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মৃত্যুর আগে তাঁর মোট সম্পদের ৯৯ শতাংশ জনহিতকর কাজে বিলিয়ে দেবেন।
এই ভাবনা থেকেই বিল গেটসের সঙ্গে মিলে শুরু করেন ‘The Giving Pledge’—যেখানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা প্রতিজ্ঞা নেন তাঁদের সম্পদের বড় একটা অংশ মানবকল্যাণে দান করার।
এরপর থেকে তিনি নিয়মিতই দান করে যাচ্ছেন—শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য সহায়তা, এমন বহু খাতে। অথচ কোথাও নেই তাঁর নিজের নামে হাসপাতাল, বা কোনো বিলবোর্ড।
একবার বলেছিলেন—“আমার টাকা আমার চাহিদার অনেক বেশি। এটা এমন জায়গায় কাজে লাগুক, যেখানে জীবন বদলাবে।”
🍂 ওয়ারেন বাফেটের জীবন থেকে একটাই কথা স্পষ্ট—জীবনটা চাকচিক্যেময় না হয়ে বাস্তবতাভিত্তিক হলেই সবচেয়ে সুন্দর হয়।
আম্বানি যখন খরচ দেখিয়ে পরিচয় তৈরি করার চেষ্টা করে, সেখানে তিনি সহজতা, প্রয়োজন আর বিনয় দিয়ে প্রমাণ করেন—আসল বড়ত্ব দেখানোতে নয়, দায়িত্ব বুঝে চলায়।
একটা গাড়ি, একটা পুরনো বাড়ি, আর একটা সোজাসাপ্টা মন—এই দিয়েই একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারেন সবার চেয়ে বড়।
#MRKR
