২০০৭ সালে ডেভিড বেকহ্যাম এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন যা ফুটবল দুনিয়াকে অবাক করে দিল।
তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারকা সমৃদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস এর এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিবেন। যেখানে বছরে তার বেতন মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার।
সবাই ভাবল এ তো পাগলামি! কারণ রিয়ালে তিনি বছরে ১৮ মিলিয়ন ডলার পেতেন, মানে প্রায় ৭০% কম বেতন নিতে রাজি হলেন তাও আবার বিশ্বসেরা কোনো দলের জন্য না,না বিশ্বসেরা কোনো লিগও সেটি ছিলো না।
তাহলে কেন গেলেন বেকহ্যাম? এর পিছনে ছিলো বেকহ্যাম এর এক ব্যবসায়িক মাস্টারক্লাস প্ল্যান।
বেতন কম হলেও বেকহ্যামের চুক্তিতে ছিল এক অদ্ভুত শর্ত তিনি এলএ গ্যালাক্সির সব রকম আয়ের একটা অংশ পাবেন।
যেমন: টিকিট বিক্রি, জার্সি ও সামগ্রী বিক্রি, খাবার-পানীয় বিক্রি, স্পনসরশিপ চুক্তি সব কিছুর থেকে তার ভাগ আসবে। এমন চুক্তি আগে কোনো ফুটবলার করেননি।
কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরেকটা গোপন শর্ত ছিল।
চুক্তি অনুযায়ী বেকহ্যাম অবসরের পর মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে এমএলএসএর একটি নতুন দল কেনার অধিকার পাবেন।
যখন এমএলএস তখনও তেমন জনপ্রিয় নয়, তখন এমন সুযোগ কেউ কেন চাইবে এ নিয়ে অনেক সমালোচনা তো ছিলোই। কিন্ত বেকহ্যাম এর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী।
বেকহ্যাম সই করার পরপরই এলএ গ্যালাক্সি হঠাৎ করে ১১,০০০ নতুন সিজন টিকিট বিক্রি করলো, অথচ তিনি তখনো জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি।
তার জার্সি এমএলএস এর ইতিহাসে দ্রুততম বিক্রি হওয়া জার্সি বনে গেল।
যেখানে গ্যালাক্সির স্টেডিয়ামে কেবল ১২,০০০ দর্শক খেলা দেখতে আসতো। বেকহ্যাম এর প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামে ভিড় জমলো প্রায় ৬৬,০০০ মানুষের।
টিভি রেটিং তিন গুণ বাড়ল।
স্পনসরশিপ চুক্তি একের পর এক আসতে লাগল।
এমএলএস তখন এক নতুন নিয়ম চালু করল 'বেকহ্যাম রুল' যার ফলে দলগুলো বেতন সীমার বাইরে গিয়ে বড় তারকা সই করাতে পারবে।
ফলে লিগ, যা ২০০২ সালে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলো।
২০১২ সালের মধ্যে বেকহ্যাম দুইবার এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হলেন এবং লিগের অর্থনৈতিক কাঠামো পাল্টে দিলেন।
তার বছরে আয় আসতে লাগলো প্রায় ৪২ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলারের মতো। যা রিয়ালে পাওয়া বেতনের প্রায় আড়াই গুণ। যেই মিডিয়া তার ক্যারিয়ার শেষ হবে এমন তকমা দিচ্ছিলো,সেই মিডিয়ার কাছে তিনি হয়ে উঠলেন মার্কেটিং জিনিয়াস।
২০১৪ সালে তিনি চমক দিয়ে তার ২৫ মিলিয়ন ডলারের অপশন ব্যবহার করে মায়ামিতে একটি এমএলএস দল (ইন্টার মায়ামি) নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। তখন অন্যরা নতুন দল কিনতে দিচ্ছিল ২০০–৩২৫ মিলিয়ন ডলার, আর তিনি কিনলেন মাত্র ২৫ মিলিয়নে।
তবে দল গড়া সহজ ছিল না শুরুতে। স্টেডিয়াম চুক্তি ভেঙে গেল, বিনিয়োগকারী পালাল, সমালোচনা চলল। ছয় বছর ধরে প্রায় থেমে ছিল প্রকল্প,কিন্তু বেকহ্যাম হাল ছাড়েননি।
২০২০ সালে ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ খেলল।
মাত্র দুই বছরের মধ্যে ক্লাবের মূল্য পৌঁছে গেল ৬০০ মিলিয়ন ডলারে অর্থাৎ তার বিনিয়োগের উপর ২,২০০% লাভ।
২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বেকহ্যাম সবচাইতে বড় মাস্টারস্ট্রোক গেইমটা খেললেন। লিওনেল মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে নিয়ে এসে।
না বার্সেলোনা, না সৌদি আরবের কোটি কোটি ডলার। মেসি এলেন বেকহ্যামের দলে, যা দশ বছর আগে অস্তিত্বই রাখত না।
মেসি আসার পর ক্লাবের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো। বার্ষিক আয় ৬০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়নে পৌঁছালো। সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারী বেড়ে গেল ৫৫০%। টিকিটের দাম বেড়ে গেল ১,০৩৪%।
অন্যরা যেখানে বেশি বেতন বেছে নিয়েছিল, বেকহ্যাম তখন বেছে নিলেন মালিকানা ও আয়ের অংশীদারিত্ব। অন্যরা ভেবেছে এক-দুই বছরের জন্য, তিনি ভেবেছেন পুরো ভবিষ্যৎ নিয়ে।
তিনি শুধু একজন খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী। এভাবে বেকহ্যাম শুধু মাঠের খেলায় না জিতলেন মাঠের বাহিরের খেলায়ও।
তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারকা সমৃদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস এর এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিবেন। যেখানে বছরে তার বেতন মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার।
সবাই ভাবল এ তো পাগলামি! কারণ রিয়ালে তিনি বছরে ১৮ মিলিয়ন ডলার পেতেন, মানে প্রায় ৭০% কম বেতন নিতে রাজি হলেন তাও আবার বিশ্বসেরা কোনো দলের জন্য না,না বিশ্বসেরা কোনো লিগও সেটি ছিলো না।
তাহলে কেন গেলেন বেকহ্যাম? এর পিছনে ছিলো বেকহ্যাম এর এক ব্যবসায়িক মাস্টারক্লাস প্ল্যান।
বেতন কম হলেও বেকহ্যামের চুক্তিতে ছিল এক অদ্ভুত শর্ত তিনি এলএ গ্যালাক্সির সব রকম আয়ের একটা অংশ পাবেন।
যেমন: টিকিট বিক্রি, জার্সি ও সামগ্রী বিক্রি, খাবার-পানীয় বিক্রি, স্পনসরশিপ চুক্তি সব কিছুর থেকে তার ভাগ আসবে। এমন চুক্তি আগে কোনো ফুটবলার করেননি।
কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরেকটা গোপন শর্ত ছিল।
চুক্তি অনুযায়ী বেকহ্যাম অবসরের পর মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে এমএলএসএর একটি নতুন দল কেনার অধিকার পাবেন।
যখন এমএলএস তখনও তেমন জনপ্রিয় নয়, তখন এমন সুযোগ কেউ কেন চাইবে এ নিয়ে অনেক সমালোচনা তো ছিলোই। কিন্ত বেকহ্যাম এর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী।
বেকহ্যাম সই করার পরপরই এলএ গ্যালাক্সি হঠাৎ করে ১১,০০০ নতুন সিজন টিকিট বিক্রি করলো, অথচ তিনি তখনো জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি।
তার জার্সি এমএলএস এর ইতিহাসে দ্রুততম বিক্রি হওয়া জার্সি বনে গেল।
যেখানে গ্যালাক্সির স্টেডিয়ামে কেবল ১২,০০০ দর্শক খেলা দেখতে আসতো। বেকহ্যাম এর প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামে ভিড় জমলো প্রায় ৬৬,০০০ মানুষের।
টিভি রেটিং তিন গুণ বাড়ল।
স্পনসরশিপ চুক্তি একের পর এক আসতে লাগল।
এমএলএস তখন এক নতুন নিয়ম চালু করল 'বেকহ্যাম রুল' যার ফলে দলগুলো বেতন সীমার বাইরে গিয়ে বড় তারকা সই করাতে পারবে।
ফলে লিগ, যা ২০০২ সালে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলো।
২০১২ সালের মধ্যে বেকহ্যাম দুইবার এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হলেন এবং লিগের অর্থনৈতিক কাঠামো পাল্টে দিলেন।
তার বছরে আয় আসতে লাগলো প্রায় ৪২ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলারের মতো। যা রিয়ালে পাওয়া বেতনের প্রায় আড়াই গুণ। যেই মিডিয়া তার ক্যারিয়ার শেষ হবে এমন তকমা দিচ্ছিলো,সেই মিডিয়ার কাছে তিনি হয়ে উঠলেন মার্কেটিং জিনিয়াস।
২০১৪ সালে তিনি চমক দিয়ে তার ২৫ মিলিয়ন ডলারের অপশন ব্যবহার করে মায়ামিতে একটি এমএলএস দল (ইন্টার মায়ামি) নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। তখন অন্যরা নতুন দল কিনতে দিচ্ছিল ২০০–৩২৫ মিলিয়ন ডলার, আর তিনি কিনলেন মাত্র ২৫ মিলিয়নে।
তবে দল গড়া সহজ ছিল না শুরুতে। স্টেডিয়াম চুক্তি ভেঙে গেল, বিনিয়োগকারী পালাল, সমালোচনা চলল। ছয় বছর ধরে প্রায় থেমে ছিল প্রকল্প,কিন্তু বেকহ্যাম হাল ছাড়েননি।
২০২০ সালে ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ খেলল।
মাত্র দুই বছরের মধ্যে ক্লাবের মূল্য পৌঁছে গেল ৬০০ মিলিয়ন ডলারে অর্থাৎ তার বিনিয়োগের উপর ২,২০০% লাভ।
২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বেকহ্যাম সবচাইতে বড় মাস্টারস্ট্রোক গেইমটা খেললেন। লিওনেল মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে নিয়ে এসে।
না বার্সেলোনা, না সৌদি আরবের কোটি কোটি ডলার। মেসি এলেন বেকহ্যামের দলে, যা দশ বছর আগে অস্তিত্বই রাখত না।
মেসি আসার পর ক্লাবের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো। বার্ষিক আয় ৬০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়নে পৌঁছালো। সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারী বেড়ে গেল ৫৫০%। টিকিটের দাম বেড়ে গেল ১,০৩৪%।
অন্যরা যেখানে বেশি বেতন বেছে নিয়েছিল, বেকহ্যাম তখন বেছে নিলেন মালিকানা ও আয়ের অংশীদারিত্ব। অন্যরা ভেবেছে এক-দুই বছরের জন্য, তিনি ভেবেছেন পুরো ভবিষ্যৎ নিয়ে।
তিনি শুধু একজন খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী। এভাবে বেকহ্যাম শুধু মাঠের খেলায় না জিতলেন মাঠের বাহিরের খেলায়ও।
২০০৭ সালে ডেভিড বেকহ্যাম এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন যা ফুটবল দুনিয়াকে অবাক করে দিল।
তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারকা সমৃদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস এর এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিবেন। যেখানে বছরে তার বেতন মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার।
সবাই ভাবল এ তো পাগলামি! কারণ রিয়ালে তিনি বছরে ১৮ মিলিয়ন ডলার পেতেন, মানে প্রায় ৭০% কম বেতন নিতে রাজি হলেন তাও আবার বিশ্বসেরা কোনো দলের জন্য না,না বিশ্বসেরা কোনো লিগও সেটি ছিলো না।
তাহলে কেন গেলেন বেকহ্যাম? এর পিছনে ছিলো বেকহ্যাম এর এক ব্যবসায়িক মাস্টারক্লাস প্ল্যান।
বেতন কম হলেও বেকহ্যামের চুক্তিতে ছিল এক অদ্ভুত শর্ত তিনি এলএ গ্যালাক্সির সব রকম আয়ের একটা অংশ পাবেন।
যেমন: টিকিট বিক্রি, জার্সি ও সামগ্রী বিক্রি, খাবার-পানীয় বিক্রি, স্পনসরশিপ চুক্তি সব কিছুর থেকে তার ভাগ আসবে। এমন চুক্তি আগে কোনো ফুটবলার করেননি।
কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরেকটা গোপন শর্ত ছিল।
চুক্তি অনুযায়ী বেকহ্যাম অবসরের পর মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে এমএলএসএর একটি নতুন দল কেনার অধিকার পাবেন।
যখন এমএলএস তখনও তেমন জনপ্রিয় নয়, তখন এমন সুযোগ কেউ কেন চাইবে এ নিয়ে অনেক সমালোচনা তো ছিলোই। কিন্ত বেকহ্যাম এর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী।
বেকহ্যাম সই করার পরপরই এলএ গ্যালাক্সি হঠাৎ করে ১১,০০০ নতুন সিজন টিকিট বিক্রি করলো, অথচ তিনি তখনো জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি।
তার জার্সি এমএলএস এর ইতিহাসে দ্রুততম বিক্রি হওয়া জার্সি বনে গেল।
যেখানে গ্যালাক্সির স্টেডিয়ামে কেবল ১২,০০০ দর্শক খেলা দেখতে আসতো। বেকহ্যাম এর প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামে ভিড় জমলো প্রায় ৬৬,০০০ মানুষের।
টিভি রেটিং তিন গুণ বাড়ল।
স্পনসরশিপ চুক্তি একের পর এক আসতে লাগল।
এমএলএস তখন এক নতুন নিয়ম চালু করল 'বেকহ্যাম রুল' যার ফলে দলগুলো বেতন সীমার বাইরে গিয়ে বড় তারকা সই করাতে পারবে।
ফলে লিগ, যা ২০০২ সালে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলো।
২০১২ সালের মধ্যে বেকহ্যাম দুইবার এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হলেন এবং লিগের অর্থনৈতিক কাঠামো পাল্টে দিলেন।
তার বছরে আয় আসতে লাগলো প্রায় ৪২ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলারের মতো। যা রিয়ালে পাওয়া বেতনের প্রায় আড়াই গুণ। যেই মিডিয়া তার ক্যারিয়ার শেষ হবে এমন তকমা দিচ্ছিলো,সেই মিডিয়ার কাছে তিনি হয়ে উঠলেন মার্কেটিং জিনিয়াস।
২০১৪ সালে তিনি চমক দিয়ে তার ২৫ মিলিয়ন ডলারের অপশন ব্যবহার করে মায়ামিতে একটি এমএলএস দল (ইন্টার মায়ামি) নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। তখন অন্যরা নতুন দল কিনতে দিচ্ছিল ২০০–৩২৫ মিলিয়ন ডলার, আর তিনি কিনলেন মাত্র ২৫ মিলিয়নে।
তবে দল গড়া সহজ ছিল না শুরুতে। স্টেডিয়াম চুক্তি ভেঙে গেল, বিনিয়োগকারী পালাল, সমালোচনা চলল। ছয় বছর ধরে প্রায় থেমে ছিল প্রকল্প,কিন্তু বেকহ্যাম হাল ছাড়েননি।
২০২০ সালে ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ খেলল।
মাত্র দুই বছরের মধ্যে ক্লাবের মূল্য পৌঁছে গেল ৬০০ মিলিয়ন ডলারে অর্থাৎ তার বিনিয়োগের উপর ২,২০০% লাভ।
২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বেকহ্যাম সবচাইতে বড় মাস্টারস্ট্রোক গেইমটা খেললেন। লিওনেল মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে নিয়ে এসে।
না বার্সেলোনা, না সৌদি আরবের কোটি কোটি ডলার। মেসি এলেন বেকহ্যামের দলে, যা দশ বছর আগে অস্তিত্বই রাখত না।
মেসি আসার পর ক্লাবের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো। বার্ষিক আয় ৬০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়নে পৌঁছালো। সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারী বেড়ে গেল ৫৫০%। টিকিটের দাম বেড়ে গেল ১,০৩৪%।
অন্যরা যেখানে বেশি বেতন বেছে নিয়েছিল, বেকহ্যাম তখন বেছে নিলেন মালিকানা ও আয়ের অংশীদারিত্ব। অন্যরা ভেবেছে এক-দুই বছরের জন্য, তিনি ভেবেছেন পুরো ভবিষ্যৎ নিয়ে।
তিনি শুধু একজন খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী। এভাবে বেকহ্যাম শুধু মাঠের খেলায় না জিতলেন মাঠের বাহিরের খেলায়ও।
0 Comments
0 Shares
551 Views