• পৃথিবীর অক্ষ নড়ে গেছে! আমরা কি বুঝতেই পারছি না বিপদ আসছে?

    জানলে আপনি চমকে যাবেন — পৃথিবীর অক্ষ ৩১.৫ ইঞ্চি সরে গেছে! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ৮০ সেন্টিমিটার যেন বেশি কিছু নয়, কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এর প্রভাব হতে পারে মারাত্মক।

    কেন এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে?
    মানুষের লাগামহীন পানি উত্তোলনই মূল অপরাধী
    আমরা মাটির নিচ থেকে এত বিপুল পরিমাণ পানি তুলে নিচ্ছি, যে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
    এর ফলে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর ঘূর্ণনের অক্ষ — যা আগে সহস্র বছরেও ঘটত না, তা এখন ঘটছে কয়েক দশকের মধ্যে!

    কী কী ঘটতে পারে এর প্রভাবে?
    বিজ্ঞানীরা বলছেন এই অক্ষচ্যুতি প্রভাব ফেলতে পারে —
    1. আবহাওয়ার স্বাভাবিক ধারায়
    2. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায়
    3. বিশ্ব জলবায়ুর স্থিতিশীলতায়
    এমনকি কোনো অঞ্চলে অসম বৃষ্টি, খরা, কিংবা চরম জলবায়ুর ঘটনাও বাড়তে পারে!

    আপনি কী ভাবছেন এই অক্ষচ্যুতি নিয়ে? নিচে কমেন্ট করে জানান আপনার মতামত।

    #Amezing #facts #earth #viralpost2025
    #highlightseveryonefollowers
    #likefollowsharecomment
    Geography zone- ভূগোল বলয়
    🌍 পৃথিবীর অক্ষ নড়ে গেছে! আমরা কি বুঝতেই পারছি না বিপদ আসছে? 🔺জানলে আপনি চমকে যাবেন — পৃথিবীর অক্ষ ৩১.৫ ইঞ্চি সরে গেছে! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ৮০ সেন্টিমিটার যেন বেশি কিছু নয়, কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এর প্রভাব হতে পারে মারাত্মক। 🔺কেন এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে? মানুষের লাগামহীন পানি উত্তোলনই মূল অপরাধী আমরা মাটির নিচ থেকে এত বিপুল পরিমাণ পানি তুলে নিচ্ছি, যে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 🌐 এর ফলে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর ঘূর্ণনের অক্ষ — যা আগে সহস্র বছরেও ঘটত না, তা এখন ঘটছে কয়েক দশকের মধ্যে! ⚠️ কী কী ঘটতে পারে এর প্রভাবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন এই অক্ষচ্যুতি প্রভাব ফেলতে পারে — 1. 🌧️ আবহাওয়ার স্বাভাবিক ধারায় 2. 🌊 সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায় 3. 🌡️বিশ্ব জলবায়ুর স্থিতিশীলতায় এমনকি কোনো অঞ্চলে অসম বৃষ্টি, খরা, কিংবা চরম জলবায়ুর ঘটনাও বাড়তে পারে! আপনি কী ভাবছেন এই অক্ষচ্যুতি নিয়ে? নিচে কমেন্ট করে জানান আপনার মতামত। #Amezing #facts #earth #viralpost2025 #highlightseveryonefollowers #likefollowsharecomment Geography zone- ভূগোল বলয়
    0 Commentarios 0 Acciones 390 Views
  • Name : Sergei Krikalev (Soviet union)

    পৃথিবীকে ৫ হাজার বার প্রদক্ষিণ করা এই মানুষ টার সাথে ৩১১ দিন ধরে কেউ যোগাযোগ করেনি। কারন এই মানুষটা যে দেশের নাগরিক ছিল সেই দেশ টাই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে উধাও হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই ৩১১ দিন ধরে ৫ হাজার বার পৃথিবীকে চক্কর কাটতে হয়েছিল। হতভাগা এই মহাকাশ চারির নাম সর্গেই কনস্ট্যানটিনোভিচ ক্রিকালেভ । প্রথম জীবনে যিনি ছিলেন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। পরবর্তীকালে তিনি রকেট সায়েন্টিস্ট হিসাবে যোগদান করেন,তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে । ধিরে ধিরে তিনি প্রশিক্ষন নিয়ে হয়ে উঠেন একজন মহাকাশচারি।মোটামুটি ভাবে আমরা সবাই জানি মহাকাশে প্রতিটি দেশেরই কিছু স্যাটেলাইট এবং কিছু দেশের স্পেসেস্টেশন থাকে, সেখানে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পৃথিবী থেকে ইঞ্জিনিয়ার দের মহাশূন্যে পাঠানো হয়।
    সেই কারণে ১৯৯১ সালের মে মাসে ক্রিকালেভ কে পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে পাঠানো হয় MIR স্পেস স্টেশনটির রুটিন চেক আপের জন্য। ক্রিকালেভ মহাশূন্যে পারি দেয়ার সময় থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়ন জুরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। ফলে ক্রিকালেভ যে মাত্র পাঁচ মাসের জন্য মহাশূন্যে থাকতে গেছিল।কিন্তু দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ঝামেলা এবং বৈদেশিক চাপে ভেঙ্গে পড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন, তৈরি হয় রাশিয়ান ফেডারেশন নামে এক নতুন দেশ, যার ফলে আগের সমস্ত কাজকর্ম স্থগিত হয়ে যায়।ক্রিকালেভের কাছে শুধু একটাই রেডিও বার্তা পৌছায়, এখন আর কেউ তোমার মিশনের দায়িত্বে নেই। এবার যতদিন না নতুন করে কেউ তোমার সাথে যোগাযোগ করে তুমি অপেক্ষা করো। এর পর পৃথিবীর সাধে সম্পুর্ন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।এবার ভাবুন পৃথিবী থেকে ৪০০-৪৫০০ কিলোমিটার উপরে আপনি শুধু একা, কথা বলার কেউ নেই, আর কোনো দিন পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই।

    এদিকে খাবার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে, অক্সিজেন লেবেলও কমে আসছে, পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এবার ভাবুন রোজ ৪০০ কিলোমিটার উপর থেকে আপনি দিন ও রাত্রি হতে দেখছেন, প্রত্যেক দিন প্রায় ১৬ বার গোটা পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছেন,অথচ পৃথিবীর থেকে কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ টুকু করছে না।এমন নির্জন এবং ভয়ঙ্কর জেলখানায় ৩১১ দিন কাটিয়েছেন ক্রিকালেভ।

    এবার আসি এর কারণ কি ছিল? পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার সময় ক্রিকালেভ ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক কিন্তু মহাশূন্যে থাকা কালীন সময়ে ক্রিকালেভর দেশটাই উধাও হয়ে গেছিল । পৃথিবী থেকে একটা গোটা দেশ উধাও হয়ে যায়, তাই টেকনিক্যালি ক্রিকালেভর কোনো দেশেরই নাগরিকত্ব ছিল না, তাই তাকে ফিরিয়ে আনতে কেউই উদ্যোগ নেয়নি।সে প্রতিদিন পৃথিবীতে রেডিও সিগন্যাল পাঠাতো যাতে অপর প্রান্ত থেকে কেউ সারা দেয়। এই ভাবেই কেটে যাক প্রায় দশটা মাস।

    অবশেষে আচমকা পৃথিবী থেকে সাড়া আসে এবং ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে ৩১১ দিন মহাশূন্যে জেল কাটানোর পর পৃথিবীতে ফিরে আসেন। কিন্তু টানা প্রায় দশ মাস মহাশূন্যে থাকার ফলে ক্রিকালেভের চেহারা, ওজন, দৈহিক ক্ষমতা এবং মানসিক অবস্থা অনেকটাই পাল্টে যায়, প্রায় আট মাস সময় লেগেছে তাকে পুরোপুরি সুস্থ্য হতে।এর পরেও তিনি বহু বার মহাকাশে গেছেন। বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় অবসর জীবন যাপন করছেন।

    সংগৃহীত #everyonehighlightsfollowers #everyoneシ#birbhumportal #viralpost2025シ #everyonehighlights
    Name : Sergei Krikalev (Soviet union) পৃথিবীকে ৫ হাজার বার প্রদক্ষিণ করা এই মানুষ টার সাথে ৩১১ দিন ধরে কেউ যোগাযোগ করেনি। কারন এই মানুষটা যে দেশের নাগরিক ছিল সেই দেশ টাই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে উধাও হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই ৩১১ দিন ধরে ৫ হাজার বার পৃথিবীকে চক্কর কাটতে হয়েছিল। হতভাগা এই মহাকাশ চারির নাম সর্গেই কনস্ট্যানটিনোভিচ ক্রিকালেভ । প্রথম জীবনে যিনি ছিলেন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। পরবর্তীকালে তিনি রকেট সায়েন্টিস্ট হিসাবে যোগদান করেন,তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে । ধিরে ধিরে তিনি প্রশিক্ষন নিয়ে হয়ে উঠেন একজন মহাকাশচারি।মোটামুটি ভাবে আমরা সবাই জানি মহাকাশে প্রতিটি দেশেরই কিছু স্যাটেলাইট এবং কিছু দেশের স্পেসেস্টেশন থাকে, সেখানে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পৃথিবী থেকে ইঞ্জিনিয়ার দের মহাশূন্যে পাঠানো হয়। সেই কারণে ১৯৯১ সালের মে মাসে ক্রিকালেভ কে পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে পাঠানো হয় MIR স্পেস স্টেশনটির রুটিন চেক আপের জন্য। ক্রিকালেভ মহাশূন্যে পারি দেয়ার সময় থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়ন জুরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। ফলে ক্রিকালেভ যে মাত্র পাঁচ মাসের জন্য মহাশূন্যে থাকতে গেছিল।কিন্তু দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ঝামেলা এবং বৈদেশিক চাপে ভেঙ্গে পড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন, তৈরি হয় রাশিয়ান ফেডারেশন নামে এক নতুন দেশ, যার ফলে আগের সমস্ত কাজকর্ম স্থগিত হয়ে যায়।ক্রিকালেভের কাছে শুধু একটাই রেডিও বার্তা পৌছায়, এখন আর কেউ তোমার মিশনের দায়িত্বে নেই। এবার যতদিন না নতুন করে কেউ তোমার সাথে যোগাযোগ করে তুমি অপেক্ষা করো। এর পর পৃথিবীর সাধে সম্পুর্ন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।এবার ভাবুন পৃথিবী থেকে ৪০০-৪৫০০ কিলোমিটার উপরে আপনি শুধু একা, কথা বলার কেউ নেই, আর কোনো দিন পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন কিনা তারও নিশ্চয়তা নেই। এদিকে খাবার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে, অক্সিজেন লেবেলও কমে আসছে, পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এবার ভাবুন রোজ ৪০০ কিলোমিটার উপর থেকে আপনি দিন ও রাত্রি হতে দেখছেন, প্রত্যেক দিন প্রায় ১৬ বার গোটা পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছেন,অথচ পৃথিবীর থেকে কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ টুকু করছে না।এমন নির্জন এবং ভয়ঙ্কর জেলখানায় ৩১১ দিন কাটিয়েছেন ক্রিকালেভ। এবার আসি এর কারণ কি ছিল? পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার সময় ক্রিকালেভ ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক কিন্তু মহাশূন্যে থাকা কালীন সময়ে ক্রিকালেভর দেশটাই উধাও হয়ে গেছিল । পৃথিবী থেকে একটা গোটা দেশ উধাও হয়ে যায়, তাই টেকনিক্যালি ক্রিকালেভর কোনো দেশেরই নাগরিকত্ব ছিল না, তাই তাকে ফিরিয়ে আনতে কেউই উদ্যোগ নেয়নি।সে প্রতিদিন পৃথিবীতে রেডিও সিগন্যাল পাঠাতো যাতে অপর প্রান্ত থেকে কেউ সারা দেয়। এই ভাবেই কেটে যাক প্রায় দশটা মাস। অবশেষে আচমকা পৃথিবী থেকে সাড়া আসে এবং ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে ৩১১ দিন মহাশূন্যে জেল কাটানোর পর পৃথিবীতে ফিরে আসেন। কিন্তু টানা প্রায় দশ মাস মহাশূন্যে থাকার ফলে ক্রিকালেভের চেহারা, ওজন, দৈহিক ক্ষমতা এবং মানসিক অবস্থা অনেকটাই পাল্টে যায়, প্রায় আট মাস সময় লেগেছে তাকে পুরোপুরি সুস্থ্য হতে।এর পরেও তিনি বহু বার মহাকাশে গেছেন। বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় অবসর জীবন যাপন করছেন। সংগৃহীত #everyonehighlightsfollowers #everyoneシ゚ #birbhumportal #viralpost2025シ #everyonehighlights
    0 Commentarios 0 Acciones 450 Views
  • বাজার থেকে যে প্যাকেটজাত তরল দুধ কিনে আনেন তার গায়ে লেখা থাকে ‘পাস্তুরিত তরল দুধ’ বা ‘পাস্তুরাইজড মিল্ক’। জানেন কি? এই ‘পাস্তুরিত’ শব্দটির সাথে একজন বিজ্ঞানীর নাম লুকিয়ে আছে? তার নাম লুই পাস্তুর।
    বিশ্ববরেণ্য ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন, অণুজীবই অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়ের পচনের জন্য দায়ী। তিনি নিজে চিকিৎসক ছিলেন না, কিন্তু চিকিৎসা জগতে রেখে গেছেন সবচেয়ে অমূল্য অবদান। আবিস্কার করে গেছেন জলাতঙ্ক রোগের কারণ এবং তার মহামুল্যবান প্রতিষেধক টিকা।
    আজকের এই দিনে জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কার করে তিনি পৃথিবীর সর্বকালের সর্বাধিক মানুষের কল্যাণ সাধন করে অমর হয়ে আছেন "লুই পাস্তুর"।
    ঘটনাস্থল ফ্রান্সের প‍্যারিস নগরী।
    দিনটি ছিল ৬ জুলাই ১৮৮৫, বহুদূর থেকে একজন মা উপস্থিত হলেন প্যারিসে বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরের গবেষণাগারে। তাঁর সঙ্গে ৯ বছরের সন্তান জোসেফ মিয়েস্টার। দুদিন আগে স্কুলে যাওয়ার পথে এই বালকটিকে পাগলা (সংক্রামিত) কুকুর ভীষণভাবে কামড়ে দিয়েছে। ডাক্তাররা একবাক্যে বলে দিয়েছেন, ছেলেটির বাঁচার মোটেই কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ বালকটির দেহে মোট ১৪টি কামড়ের দগদগে দাগ। এমন কামড়ে অচিরেই তার ভাইরাসজনিত রোগ জলাতঙ্ক দেখা দেবে এবং অসহনীয় যন্ত্রণায় তিলে তিলে মারা যাবে ছেলেটি। সে সময় তা-ই হতো, জলাতঙ্কের রেবিস ভাইরাস ঠেকাবার কোনো উপায় জানা ছিল না মানুষের। রেবিসের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তীব্র খিঁচুনি ও পক্ষাঘাতে দুঃসহ কষ্টে রোগীর মৃত্যু হয়। প্রতিবছর জলাতঙ্কে অগণিত মানুষ প্রাণ হারায়।
    দিশেহারা জননী কেঁদেই আকুল। চিকিৎসককে জানালেন, সত্যিই কি কোনো উপায় নেই? যত টাকা লাগে, লাগুক। কিন্তু আমার ছেলেকে বাঁচাতে হবে।
    চিকিৎসক পরামর্শ দিলেন, কাছাকাছি একজন রসায়নবিদ রয়েছেন, নাম— লুই পাস্তুর এবং শুনেছি তিনি জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন, আপনি বরং আপনার ছেলেকে তাঁর কাছেই নিয়ে যান।
    আশায় বুক বেঁধে মা ছেলেকে নিয়ে ছুটলেন লুই পাস্তুরের কাছে।
    লুই পাস্তুর অনেক দিন আগে থেকেই এমন মারাত্মক রোগের প্রতিষেধক উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি রেবিস ভাইরাসে সংক্রামিত খরগোশের অস্থি-মজ্জা শুকিয়ে নিয়ে (দুর্বল) রেবিস ভাইরাসকে টিকা হিসেবে সংক্রামিত কুকুরের দেহে প্রয়োগ করে বেশ কিছু কুকুরকে সংক্রমণমুক্ত করেছিলেন। অনেকটা বিষে বিষক্ষয়। তিনি বুঝতে পারলেন, জলাতঙ্ক নিরাময়ে মহৌষধের সন্ধান তিনি পেয়েছেন। এখন বাকি শুধু মানবদেহে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
    পাস্তুর যোসেফ জননীকে জানালেন, তিনি জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন, ঠিক কথা। কিছুটা সাফল্যও এসেছে। কিন্তু মানুষের শরীরে এর পরীক্ষা হয়নি। তাই আপনার ছেলেকে তিনি টিকা দেব কি করে? যদি ভয়ংকর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তখন ওইটুকু ছেলে তা সহ‍্য করবে কি করে?
    যোশেফের মা জানালেন, তাঁর ছেলে তো এমনিতেই মারা যাবে, তাহলে ওর শরীরেই আপনি আপনার প্রতিষেধক প্রয়োগ করুন।
    অবশেষে মায়ের পীড়াপিড়িতে যোশেফকে টিকা দিলেন লুই পাস্তুর। এদিকে সন্তানকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার একান্ত আশা নিয়ে একজন অসহায় মা যখন তাঁর দ্বারে এসে দাঁড়ালেন, তখন তিনি অনেকটা বাধ্য হয়েই বালকটির দেহে নিজের উদ্ভাবিত প্রতিষেধক প্রয়োগ করলেন। পরবর্তী কয়েক দিন ধরে নির্দিষ্ট মাত্রার প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ করে বালকটিকে সুস্থ করে তুললেন আর আতঙ্কগ্রস্ত মায়ের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনলেন। আবিষ্কার হলো জলাতঙ্কের কার্যকর প্রতিষেধক টিকা, মানুষের হাতে পরাভূত হলো আরেকটি অতি ভয়ংকর ভাইরাসঘটিত রোগ।
    আর জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কারক হিসেবে অমর হয়ে রইলেন লুই পাস্তুর (ডিসেম্বর ২৭, ১৮২২ – সেপ্টেম্বর ২৮, ১৮৯৫)।

    এখন অবশ্য জলাতঙ্কের চিকিৎসায় হিউম্যান ডিপ্লয়েড সেল্ কালচার ভ‍্যাকসিন ব‍্যবহৃত হয়। তবে পথপ্রদর্শক হিসেবে লুই পাস্তুর এবং যোশেফের জননী দুজনেই আজ চির স্মরণীয়।

    গুগল সহায়তায়
    সংগৃহীত।
    #viralpost2025シ #viralpost2025シ2025 #viralpost2025 #educationalcontent
    বাজার থেকে যে প্যাকেটজাত তরল দুধ কিনে আনেন তার গায়ে লেখা থাকে ‘পাস্তুরিত তরল দুধ’ বা ‘পাস্তুরাইজড মিল্ক’। জানেন কি? এই ‘পাস্তুরিত’ শব্দটির সাথে একজন বিজ্ঞানীর নাম লুকিয়ে আছে? তার নাম লুই পাস্তুর। বিশ্ববরেণ্য ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন, অণুজীবই অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়ের পচনের জন্য দায়ী। তিনি নিজে চিকিৎসক ছিলেন না, কিন্তু চিকিৎসা জগতে রেখে গেছেন সবচেয়ে অমূল্য অবদান। আবিস্কার করে গেছেন জলাতঙ্ক রোগের কারণ এবং তার মহামুল্যবান প্রতিষেধক টিকা। আজকের এই দিনে জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কার করে তিনি পৃথিবীর সর্বকালের সর্বাধিক মানুষের কল্যাণ সাধন করে অমর হয়ে আছেন "লুই পাস্তুর"। ঘটনাস্থল ফ্রান্সের প‍্যারিস নগরী। দিনটি ছিল ৬ জুলাই ১৮৮৫, বহুদূর থেকে একজন মা উপস্থিত হলেন প্যারিসে বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরের গবেষণাগারে। তাঁর সঙ্গে ৯ বছরের সন্তান জোসেফ মিয়েস্টার। দুদিন আগে স্কুলে যাওয়ার পথে এই বালকটিকে পাগলা (সংক্রামিত) কুকুর ভীষণভাবে কামড়ে দিয়েছে। ডাক্তাররা একবাক্যে বলে দিয়েছেন, ছেলেটির বাঁচার মোটেই কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ বালকটির দেহে মোট ১৪টি কামড়ের দগদগে দাগ। এমন কামড়ে অচিরেই তার ভাইরাসজনিত রোগ জলাতঙ্ক দেখা দেবে এবং অসহনীয় যন্ত্রণায় তিলে তিলে মারা যাবে ছেলেটি। সে সময় তা-ই হতো, জলাতঙ্কের রেবিস ভাইরাস ঠেকাবার কোনো উপায় জানা ছিল না মানুষের। রেবিসের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তীব্র খিঁচুনি ও পক্ষাঘাতে দুঃসহ কষ্টে রোগীর মৃত্যু হয়। প্রতিবছর জলাতঙ্কে অগণিত মানুষ প্রাণ হারায়। দিশেহারা জননী কেঁদেই আকুল। চিকিৎসককে জানালেন, সত্যিই কি কোনো উপায় নেই? যত টাকা লাগে, লাগুক। কিন্তু আমার ছেলেকে বাঁচাতে হবে। চিকিৎসক পরামর্শ দিলেন, কাছাকাছি একজন রসায়নবিদ রয়েছেন, নাম— লুই পাস্তুর এবং শুনেছি তিনি জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন, আপনি বরং আপনার ছেলেকে তাঁর কাছেই নিয়ে যান। আশায় বুক বেঁধে মা ছেলেকে নিয়ে ছুটলেন লুই পাস্তুরের কাছে। লুই পাস্তুর অনেক দিন আগে থেকেই এমন মারাত্মক রোগের প্রতিষেধক উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি রেবিস ভাইরাসে সংক্রামিত খরগোশের অস্থি-মজ্জা শুকিয়ে নিয়ে (দুর্বল) রেবিস ভাইরাসকে টিকা হিসেবে সংক্রামিত কুকুরের দেহে প্রয়োগ করে বেশ কিছু কুকুরকে সংক্রমণমুক্ত করেছিলেন। অনেকটা বিষে বিষক্ষয়। তিনি বুঝতে পারলেন, জলাতঙ্ক নিরাময়ে মহৌষধের সন্ধান তিনি পেয়েছেন। এখন বাকি শুধু মানবদেহে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা। পাস্তুর যোসেফ জননীকে জানালেন, তিনি জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন, ঠিক কথা। কিছুটা সাফল্যও এসেছে। কিন্তু মানুষের শরীরে এর পরীক্ষা হয়নি। তাই আপনার ছেলেকে তিনি টিকা দেব কি করে? যদি ভয়ংকর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তখন ওইটুকু ছেলে তা সহ‍্য করবে কি করে? যোশেফের মা জানালেন, তাঁর ছেলে তো এমনিতেই মারা যাবে, তাহলে ওর শরীরেই আপনি আপনার প্রতিষেধক প্রয়োগ করুন। অবশেষে মায়ের পীড়াপিড়িতে যোশেফকে টিকা দিলেন লুই পাস্তুর। এদিকে সন্তানকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার একান্ত আশা নিয়ে একজন অসহায় মা যখন তাঁর দ্বারে এসে দাঁড়ালেন, তখন তিনি অনেকটা বাধ্য হয়েই বালকটির দেহে নিজের উদ্ভাবিত প্রতিষেধক প্রয়োগ করলেন। পরবর্তী কয়েক দিন ধরে নির্দিষ্ট মাত্রার প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ করে বালকটিকে সুস্থ করে তুললেন আর আতঙ্কগ্রস্ত মায়ের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনলেন। আবিষ্কার হলো জলাতঙ্কের কার্যকর প্রতিষেধক টিকা, মানুষের হাতে পরাভূত হলো আরেকটি অতি ভয়ংকর ভাইরাসঘটিত রোগ। আর জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কারক হিসেবে অমর হয়ে রইলেন লুই পাস্তুর (ডিসেম্বর ২৭, ১৮২২ – সেপ্টেম্বর ২৮, ১৮৯৫)। এখন অবশ্য জলাতঙ্কের চিকিৎসায় হিউম্যান ডিপ্লয়েড সেল্ কালচার ভ‍্যাকসিন ব‍্যবহৃত হয়। তবে পথপ্রদর্শক হিসেবে লুই পাস্তুর এবং যোশেফের জননী দুজনেই আজ চির স্মরণীয়। গুগল সহায়তায় সংগৃহীত। #viralpost2025シ #viralpost2025シ2025 #viralpost2025 #educationalcontent
    0 Commentarios 0 Acciones 453 Views
BlackBird Ai
https://bbai.shop