• দক্ষিণ ভারতের লাল বালির মরুভূমি: থেরি কাড়ু....

    যখন আমরা ভারতের মরুভূমির কথা ভাবি, তখন চোখে ভেসে ওঠে রাজস্থানের সোনালি বালিয়াড়ি। কিন্তু ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে তামিলনাড়ুর বুকেও রয়েছে এক আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক বিস্ময়—থেরি কাড়ু, এক লাল বালুর মরুভূমি, যা তার অনন্য রঙ, ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস এবং চলমান গঠনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

    অবস্থান ও বিস্তৃতি:-

    থেরি কাড়ু অবস্থিত তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন এবং তিরুনেলভেলি জেলায়। এটি প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এক বিস্ময়কর লাল বালির মরুভূমি, যা সাধারণ মরুভূমির তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা।

    বালুর রঙের রহস্য:-

    থেরি কাড়ুর বালু যে গভীর লাল রঙের, তার পেছনে রয়েছে ভূতাত্ত্বিক কারণ। এই বালিতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় লৌহ অক্সাইড, যা সূর্যালোকে প্রতিফলিত হয়ে এক গাঢ় লাল আভা সৃষ্টি করে। এই রঙই একে ভারতের অন্যান্য মরুভূমি থেকে আলাদা করে তুলেছে।

    গঠনের ইতিহাস:-

    থেরি কাড়ুর উৎপত্তি হাজার হাজার বছর আগে, Quaternary যুগে, যখন পৃথিবীতে চলছিল শেষ বরফ যুগ বা Last Glacial Maximum। সে সময় সমুদ্রের জলস্তর ছিল অনেক নিচে, এবং উপকূল অঞ্চলের অনেকটাই ছিল উন্মুক্ত। এই উন্মুক্ত সমুদ্রপৃষ্ঠ এবং পশ্চিমঘাটের লৌহসমৃদ্ধ শিলা থেকে বাতাসের মাধ্যমে বালুকণাগুলি এখানে এসে জমা হতে থাকে। এই দীর্ঘমেয়াদি বায়ুপ্রবাহজনিত (aeolian) প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে থেরি কাড়ুর বর্তমান ভূচিত্র।

    ভূবিজ্ঞানীদের মতে, এই অঞ্চল একসময় সমুদ্রের নিচে ছিল। সময়ের প্রবাহে বালির স্তর জমে জমে এখানে সৃষ্টি হয়েছে এক অনন্য ভূমিরূপ, যা শুধু প্রাকৃতিক নয়, ভূতাত্ত্বিকভাবেও অমূল্য।

    চলমান বালির বিস্ময়:-

    থেরি কাড়ুর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল এর চলমান বালিয়াড়ি। এখানে বালু এক জায়গায় স্থির থাকে না, বরং প্রতিনিয়ত বাতাসের প্রভাবে স্থান পরিবর্তন করে। এই গুণ একে পরিণত করেছে এক জীবন্ত ভূপ্রাকৃতিক গবেষণাগারে, যা এখনও সম্পূর্ণরূপে ক্ষয়প্রাপ্ত নয়।

    ড. ক্রিস্টি নির্মলা মেরি, মাদুরাইয়ের কৃষি কলেজের মাটির ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান বলেন, “থেরি কাড়ু কোনো ঐতিহ্যবাহী মরুভূমি নয়, বরং এটি একটি নতুন গঠিত, চলমান লাল বালুর ভূমি, যা আমাদের ভূগোল ও পরিবেশচর্চায় অমূল্য অবদান রাখছে।”

    প্রকৃতির লুকানো রত্ন:-

    যদিও তামিলনাড়ু মূলত পরিচিত সবুজ ধানক্ষেত, প্রাচীন মন্দির এবং উপকূলীয় সৌন্দর্যের জন্য, থেরি কাড়ু এই রাজ্যের এক ব্যতিক্রমী ও রহস্যময় ভূমি। এটি পর্যটক, গবেষক, ভূবিজ্ঞানী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য গন্তব্য।

    রাজস্থানের মরুভূমির রূপ আপনাকে মুগ্ধ করলেও, থেরি কাড়ুর লাল বালুর মরুভূমি আপনাকে ভাবাবে, বিস্মিত করবে এবং প্রকৃতির অসাধারণ ক্ষমতা সম্পর্কে নতুন করে জানাবে।

    এটি শুধুই একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য নয়—এ এক প্রাকৃতিক ঐতিহ্য, ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। তাই দক্ষিণ ভারতে ভ্রমণের সময় এই লুকিয়ে থাকা লাল মরুভূমিকে বাদ দেবেন না—কারণ প্রকৃতি এখানে নিজেই লিখেছে এক অনন্য কবিতা, লাল বালুর অক্ষরে।

    এই ধরনের নতুন নতুন তথ্যপূর্ণ পোস্ট পেতে হলে আমাদের পেজটিকে ফলো করবেন।।।

    Geography zone- ভূগোল বলয় #everyonefollowers #everyoneシ#india #facts #follower #like #unknown #geography #ad #desert #Tamilnadu
    🏞️ দক্ষিণ ভারতের লাল বালির মরুভূমি: থেরি কাড়ু....😲😲😲 🔸যখন আমরা ভারতের মরুভূমির কথা ভাবি, তখন চোখে ভেসে ওঠে রাজস্থানের সোনালি বালিয়াড়ি। কিন্তু ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে তামিলনাড়ুর বুকেও রয়েছে এক আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক বিস্ময়—থেরি কাড়ু, এক লাল বালুর মরুভূমি, যা তার অনন্য রঙ, ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস এবং চলমান গঠনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। 📍 অবস্থান ও বিস্তৃতি:- ▪️ থেরি কাড়ু অবস্থিত তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন এবং তিরুনেলভেলি জেলায়। এটি প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এক বিস্ময়কর লাল বালির মরুভূমি, যা সাধারণ মরুভূমির তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। 🔴 বালুর রঙের রহস্য:- ▪️ থেরি কাড়ুর বালু যে গভীর লাল রঙের, তার পেছনে রয়েছে ভূতাত্ত্বিক কারণ। এই বালিতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় লৌহ অক্সাইড, যা সূর্যালোকে প্রতিফলিত হয়ে এক গাঢ় লাল আভা সৃষ্টি করে। এই রঙই একে ভারতের অন্যান্য মরুভূমি থেকে আলাদা করে তুলেছে। 🌍 গঠনের ইতিহাস:- ▪️ থেরি কাড়ুর উৎপত্তি হাজার হাজার বছর আগে, Quaternary যুগে, যখন পৃথিবীতে চলছিল শেষ বরফ যুগ বা Last Glacial Maximum। সে সময় সমুদ্রের জলস্তর ছিল অনেক নিচে, এবং উপকূল অঞ্চলের অনেকটাই ছিল উন্মুক্ত। এই উন্মুক্ত সমুদ্রপৃষ্ঠ এবং পশ্চিমঘাটের লৌহসমৃদ্ধ শিলা থেকে বাতাসের মাধ্যমে বালুকণাগুলি এখানে এসে জমা হতে থাকে। এই দীর্ঘমেয়াদি বায়ুপ্রবাহজনিত (aeolian) প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে থেরি কাড়ুর বর্তমান ভূচিত্র। ▪️ ভূবিজ্ঞানীদের মতে, এই অঞ্চল একসময় সমুদ্রের নিচে ছিল। সময়ের প্রবাহে বালির স্তর জমে জমে এখানে সৃষ্টি হয়েছে এক অনন্য ভূমিরূপ, যা শুধু প্রাকৃতিক নয়, ভূতাত্ত্বিকভাবেও অমূল্য। 🌬️ চলমান বালির বিস্ময়:- ▪️ থেরি কাড়ুর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল এর চলমান বালিয়াড়ি। এখানে বালু এক জায়গায় স্থির থাকে না, বরং প্রতিনিয়ত বাতাসের প্রভাবে স্থান পরিবর্তন করে। এই গুণ একে পরিণত করেছে এক জীবন্ত ভূপ্রাকৃতিক গবেষণাগারে, যা এখনও সম্পূর্ণরূপে ক্ষয়প্রাপ্ত নয়। ▪️ ড. ক্রিস্টি নির্মলা মেরি, মাদুরাইয়ের কৃষি কলেজের মাটির ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান বলেন, “থেরি কাড়ু কোনো ঐতিহ্যবাহী মরুভূমি নয়, বরং এটি একটি নতুন গঠিত, চলমান লাল বালুর ভূমি, যা আমাদের ভূগোল ও পরিবেশচর্চায় অমূল্য অবদান রাখছে।” 🌿 প্রকৃতির লুকানো রত্ন:- ▪️ যদিও তামিলনাড়ু মূলত পরিচিত সবুজ ধানক্ষেত, প্রাচীন মন্দির এবং উপকূলীয় সৌন্দর্যের জন্য, থেরি কাড়ু এই রাজ্যের এক ব্যতিক্রমী ও রহস্যময় ভূমি। এটি পর্যটক, গবেষক, ভূবিজ্ঞানী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য গন্তব্য। 🔸 রাজস্থানের মরুভূমির রূপ আপনাকে মুগ্ধ করলেও, থেরি কাড়ুর লাল বালুর মরুভূমি আপনাকে ভাবাবে, বিস্মিত করবে এবং প্রকৃতির অসাধারণ ক্ষমতা সম্পর্কে নতুন করে জানাবে। 🔸 এটি শুধুই একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য নয়—এ এক প্রাকৃতিক ঐতিহ্য, ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। তাই দক্ষিণ ভারতে ভ্রমণের সময় এই লুকিয়ে থাকা লাল মরুভূমিকে বাদ দেবেন না—কারণ প্রকৃতি এখানে নিজেই লিখেছে এক অনন্য কবিতা, লাল বালুর অক্ষরে। 💠 এই ধরনের নতুন নতুন তথ্যপূর্ণ পোস্ট পেতে হলে আমাদের পেজটিকে ফলো করবেন।।। Geography zone- ভূগোল বলয় #everyonefollowers #everyoneシ゚ #india #facts #follower #like #unknown #geography #ad #desert #Tamilnadu
    0 Комментарии 0 Поделились 8 Просмотры
  • এটি শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত সিগিরিয়া রক ফোর্ট্রেস – এক বিস্ময়কর প্রাচীন স্থাপত্য, যা প্রকৃতি ও মানুষের দক্ষতার এক অনন্য সংমিশ্রণ।

    কেন এটা এত বিখ্যাত?
    সিগিরিয়া, যাকে “Lion Rock” নামেও ডাকা হয়, প্রায় ২০০ মিটার উঁচু একটি বিশাল পাথরের গঠন। এই পাথরের উপরে রয়েছে এক বিস্ময়কর রাজপ্রাসাদ ও দুর্গ, যা তৈরি করেছিলেন রাজা কাশ্যপ ৫ম শতকে। পুরো পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই দেখা মেলে এক বিস্ময়কর প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষ।

    কি কি আছে এই দুর্গে?

    রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ

    প্রাচীন জলাধার ও বাগান

    বিশ্ববিখ্যাত সিগিরিয়া ফ্রেস্কো – পাহাড়ের গায়ে আঁকা রহস্যময় নারীচিত্র

    “Mirror Wall” – এক চকচকে দেওয়াল যেখানে প্রাচীন পর্যটকরা কবিতা লিখে যেত

    সিংহমুখ প্রবেশপথ – সিঁড়ির নিচে ছিল বিশাল সিংহমুখ, যার মাথা এখন নেই

    ইউনেস্কোর স্বীকৃতি:
    ১৯৮২ সালে ইউনেস্কো একে World Heritage Site হিসেবে ঘোষণা করে।

    কেন দেখবেন?
    সিগিরিয়া শুধু একটি প্রাচীন দুর্গ নয়, এটি শ্রীলঙ্কার ইতিহাস, শিল্প ও প্রকৃতির এক চমৎকার মিলনস্থল। পাহাড়ের চূড়া থেকে চারপাশের দৃশ্যও শ্বাসরুদ্ধকর!

    #সিগিরিয়া
    #প্রাচীনইতিহাস
    #বিশ্বঐতিহ্য
    #শ্রীলঙ্কাভ্রমণ
    এটি শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত সিগিরিয়া রক ফোর্ট্রেস – এক বিস্ময়কর প্রাচীন স্থাপত্য, যা প্রকৃতি ও মানুষের দক্ষতার এক অনন্য সংমিশ্রণ। 🟠 কেন এটা এত বিখ্যাত? সিগিরিয়া, যাকে “Lion Rock” নামেও ডাকা হয়, প্রায় ২০০ মিটার উঁচু একটি বিশাল পাথরের গঠন। এই পাথরের উপরে রয়েছে এক বিস্ময়কর রাজপ্রাসাদ ও দুর্গ, যা তৈরি করেছিলেন রাজা কাশ্যপ ৫ম শতকে। পুরো পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই দেখা মেলে এক বিস্ময়কর প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষ। 🟠 কি কি আছে এই দুর্গে? রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ প্রাচীন জলাধার ও বাগান বিশ্ববিখ্যাত সিগিরিয়া ফ্রেস্কো – পাহাড়ের গায়ে আঁকা রহস্যময় নারীচিত্র “Mirror Wall” – এক চকচকে দেওয়াল যেখানে প্রাচীন পর্যটকরা কবিতা লিখে যেত সিংহমুখ প্রবেশপথ – সিঁড়ির নিচে ছিল বিশাল সিংহমুখ, যার মাথা এখন নেই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি: ১৯৮২ সালে ইউনেস্কো একে World Heritage Site হিসেবে ঘোষণা করে। কেন দেখবেন? সিগিরিয়া শুধু একটি প্রাচীন দুর্গ নয়, এটি শ্রীলঙ্কার ইতিহাস, শিল্প ও প্রকৃতির এক চমৎকার মিলনস্থল। পাহাড়ের চূড়া থেকে চারপাশের দৃশ্যও শ্বাসরুদ্ধকর! #সিগিরিয়া #প্রাচীনইতিহাস #বিশ্বঐতিহ্য #শ্রীলঙ্কাভ্রমণ
    0 Комментарии 0 Поделились 41 Просмотры
  • আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের রহস্য: সাধারণ থেকে অসাধারণের খোঁজ!

    কিংবদন্তী বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein)-এর বুদ্ধিমত্তা ছিল প্রবাদপ্রতীম। কিন্তু তার এই অবিশ্বাস্য প্রতিভার উৎস কি তার মস্তিষ্কের কোনো বিশেষ গঠনের মধ্যে লুকিয়ে ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার যাত্রাটি এক বিস্ময়কর কাহিনীর জন্ম দিয়েছিল।

    ১৯৫৫ সালে প্রিন্সটন, নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (Princeton, New Jersey, USA), মহাধমনী / অ্যাওর্টা ফেটে যাওয়ার (ruptured aorta) কারণে আলবার্ট আইনস্টাইন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন ডক্টর টমাস হার্ভে (Dr. Thomas Harvey)। আইনস্টাইনের ইচ্ছানুযায়ী তার দেহ দাহ করা হলেও, ডক্টর হার্ভে অনুমতি ছাড়াই গোপনে মস্তিষ্কটি নিজের কাছে রেখে দেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, এই অসাধারণ মস্তিষ্কটি নিয়ে গবেষণা করে এর রহস্য উন্মোচন করা। শুধু তাই নয়, তিনি আইনস্টাইনের চোখ দুটিও সংরক্ষণ করেছিলেন।

    কিন্তু এরপর কেটে যায় বহু বছর, ডক্টর হার্ভের প্রতিশ্রুত কোনো গবেষণাপত্রই প্রকাশিত হয় না। বিষয়টি প্রায় চাপা পড়ে গিয়েছিল। অবশেষে ১৯৭৮ সালে, একজন রিপোর্টার বহু খোঁজাখুঁজির পর কানসাসে ডক্টর হার্ভের হদিস পান। সেখানে এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য অপেক্ষা করছিল। হার্ভে তার অফিসের একটি বিয়ার কুলার (beer cooler) থেকে বের করে আনেন কয়েকটি মেসন জার(Mason Jar), যার ভেতরে ফরমালিনে ডোবানো ছিল আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ২৪০টি খণ্ডাংশ।

    হার্ভে জানান, তিনি মস্তিষ্কটির নমুনা সারা দেশের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে বেশিরভাগ বিজ্ঞানীই বলেছিলেন যে, এটি দেখতে আর দশটা সাধারণ মস্তিষ্কের মতোই।

    তবে পরবর্তীকালের গভীর গবেষণা কিছু বিস্ময়কর তথ্য সামনে নিয়ে আসে। দেখা যায়, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের গঠন সাধারণ মানুষের চেয়ে কিছু ক্ষেত্রে আলাদা ছিল:

    * তার মস্তিষ্কের মিড-ফ্রন্টাল লোব (mid frontal lobe)-এ সাধারণ মানুষের মতো তিনটি নয়, বরং চারটি ভাঁজ ছিল।
    * তার উভয় প্যারাইটাল লোব (parietal lobe) ছিল অদ্ভুত আকারের এবং অপ্রতিসম। গণিত, যুক্তি এবং স্থানিক চিন্তার (spatial thinking) সাথে যুক্ত মস্তিষ্কের এই অংশটি তার ক্ষেত্রে বেশ প্রশস্ত ছিল, যা তার গাণিতিক প্রতিভার কারণ হতে পারে বলে মনে করা হয়।
    * তার ডান মোটর স্ট্রিপ (motor strip)-এ একটি বিশেষ স্ফীত অংশ ছিল, যা সাইন অফ ওমেগা (Sign of Omega) নামে পরিচিত। এই বৈশিষ্ট্যটি সাধারণত দক্ষ বেহালাবাদকদের মধ্যে দেখা যায়, যারা তাদের বাম হাতের আঙুল নিপুণভাবে ব্যবহার করেন। আর আইনস্টাইন যে সারাজীবন বেহালা বাজাতে ভালোবাসতেন, তা তো সবারই জানা।
    * মস্তিষ্কের দুটি গোলার্ধকে সংযোগকারী কর্পাস ক্যালোসাম (corpus callosum) অংশটি ছিল বেশ পুরু। এর ফলে হয়তো তার মস্তিষ্কের উভয় অংশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল।
    * তার নিউরনগুলোও বেশ ঘন সন্নিবিষ্ট ছিল এবং নিউরন প্রতি গ্লিয়াল কোষের (glial cells) সংখ্যাও ছিল বেশি, যা দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়ক হতে পারে।

    তবে এই গবেষণা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। সমালোচকদের মতে, মাত্র একটি মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয় এবং একে আইনস্টাইনের প্রতিভার একমাত্র কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাটাও অবৈজ্ঞানিক।

    এই চুরির জন্য ডক্টর হার্ভেকে চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। তিনি তার মেডিকেল লাইসেন্স এবং কর্মজীবন—দুটোই হারান। অবশেষে, মস্তিষ্কের বেশিরভাগ অংশই প্রিন্সটন মেডিকেল সেন্টারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে তা আজও সযত্নে সংরক্ষিত আছে।

    তবে আপনি যদি এই কিংবদন্তী মস্তিষ্কের অংশবিশেষ নিজের চোখে দেখতে চান, তারও সুযোগ রয়েছে। ফিলাডেলফিয়ার মুটার মিউজিয়াম (Philadelphia Mütter Museum)-এ আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের কিছু খণ্ডাংশ আজও প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে, যা এক কিংবদন্তী বিজ্ঞানীর মৃত্যুর পরেও তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া রহস্যের সাক্ষী হয়ে রয়েছে।

    #Einstein #AlbertEinstein #EinsteinsBrain #Science #Mystery #Genius #History #Neurology #BrainFacts #MutterMuseum #ScientificDiscovery
    #আইনস্টাইন #আইনস্টাইনেরমস্তিষ্ক #বিজ্ঞান #মস্তিষ্করহস্য #জিনিয়াস #ইতিহাস #নিউরোসায়েন্স #বৈজ্ঞানিকতথ্য #রহস্য
    আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের রহস্য: সাধারণ থেকে অসাধারণের খোঁজ! 🧠✨🔍 কিংবদন্তী বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein)-এর বুদ্ধিমত্তা ছিল প্রবাদপ্রতীম। 👨‍🔬💡 কিন্তু তার এই অবিশ্বাস্য প্রতিভার উৎস কি তার মস্তিষ্কের কোনো বিশেষ গঠনের মধ্যে লুকিয়ে ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার যাত্রাটি এক বিস্ময়কর কাহিনীর জন্ম দিয়েছিল। 📖 ১৯৫৫ সালে প্রিন্সটন, নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (Princeton, New Jersey, USA), মহাধমনী / অ্যাওর্টা ফেটে যাওয়ার (ruptured aorta) কারণে আলবার্ট আইনস্টাইন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 💔 তার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন ডক্টর টমাস হার্ভে (Dr. Thomas Harvey)। 🧑‍⚕️ আইনস্টাইনের ইচ্ছানুযায়ী তার দেহ দাহ করা হলেও, ডক্টর হার্ভে অনুমতি ছাড়াই গোপনে মস্তিষ্কটি নিজের কাছে রেখে দেন। 🤫🧠 তার উদ্দেশ্য ছিল, এই অসাধারণ মস্তিষ্কটি নিয়ে গবেষণা করে এর রহস্য উন্মোচন করা। শুধু তাই নয়, তিনি আইনস্টাইনের চোখ দুটিও সংরক্ষণ করেছিলেন। 👀 কিন্তু এরপর কেটে যায় বহু বছর, ডক্টর হার্ভের প্রতিশ্রুত কোনো গবেষণাপত্রই প্রকাশিত হয় না। ⏳ বিষয়টি প্রায় চাপা পড়ে গিয়েছিল। অবশেষে ১৯৭৮ সালে, একজন রিপোর্টার বহু খোঁজাখুঁজির পর কানসাসে ডক্টর হার্ভের হদিস পান। 📰🕵️‍♀️ সেখানে এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য অপেক্ষা করছিল। হার্ভে তার অফিসের একটি বিয়ার কুলার (beer cooler) থেকে বের করে আনেন কয়েকটি মেসন জার(Mason Jar), যার ভেতরে ফরমালিনে ডোবানো ছিল আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ২৪০টি খণ্ডাংশ। 🧪🧠✂️ হার্ভে জানান, তিনি মস্তিষ্কটির নমুনা সারা দেশের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। 🔬 প্রাথমিকভাবে বেশিরভাগ বিজ্ঞানীই বলেছিলেন যে, এটি দেখতে আর দশটা সাধারণ মস্তিষ্কের মতোই। 🤷‍♂️ তবে পরবর্তীকালের গভীর গবেষণা কিছু বিস্ময়কর তথ্য সামনে নিয়ে আসে। 🔬🔍🤯 দেখা যায়, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের গঠন সাধারণ মানুষের চেয়ে কিছু ক্ষেত্রে আলাদা ছিল: * 💥 তার মস্তিষ্কের মিড-ফ্রন্টাল লোব (mid frontal lobe)-এ সাধারণ মানুষের মতো তিনটি নয়, বরং চারটি ভাঁজ ছিল। * 💥 তার উভয় প্যারাইটাল লোব (parietal lobe) ছিল অদ্ভুত আকারের এবং অপ্রতিসম। গণিত, যুক্তি এবং স্থানিক চিন্তার (spatial thinking) সাথে যুক্ত মস্তিষ্কের এই অংশটি তার ক্ষেত্রে বেশ প্রশস্ত ছিল, যা তার গাণিতিক প্রতিভার কারণ হতে পারে বলে মনে করা হয়। ➕✖️📐 * 💥 তার ডান মোটর স্ট্রিপ (motor strip)-এ একটি বিশেষ স্ফীত অংশ ছিল, যা সাইন অফ ওমেগা (Sign of Omega) নামে পরিচিত। এই বৈশিষ্ট্যটি সাধারণত দক্ষ বেহালাবাদকদের মধ্যে দেখা যায়, যারা তাদের বাম হাতের আঙুল নিপুণভাবে ব্যবহার করেন। আর আইনস্টাইন যে সারাজীবন বেহালা বাজাতে ভালোবাসতেন, তা তো সবারই জানা। 🎻🎶 * 💥 মস্তিষ্কের দুটি গোলার্ধকে সংযোগকারী কর্পাস ক্যালোসাম (corpus callosum) অংশটি ছিল বেশ পুরু। এর ফলে হয়তো তার মস্তিষ্কের উভয় অংশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। 🔗 * 💥 তার নিউরনগুলোও বেশ ঘন সন্নিবিষ্ট ছিল এবং নিউরন প্রতি গ্লিয়াল কোষের (glial cells) সংখ্যাও ছিল বেশি, যা দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়ক হতে পারে। ⚡ তবে এই গবেষণা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। ⚖️🤔 সমালোচকদের মতে, মাত্র একটি মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয় এবং একে আইনস্টাইনের প্রতিভার একমাত্র কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাটাও অবৈজ্ঞানিক। 🚫 এই চুরির জন্য ডক্টর হার্ভেকে চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। 😔 তিনি তার মেডিকেল লাইসেন্স এবং কর্মজীবন—দুটোই হারান। 🚫🧑‍⚕️ অবশেষে, মস্তিষ্কের বেশিরভাগ অংশই প্রিন্সটন মেডিকেল সেন্টারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে তা আজও সযত্নে সংরক্ষিত আছে। 🔐 তবে আপনি যদি এই কিংবদন্তী মস্তিষ্কের অংশবিশেষ নিজের চোখে দেখতে চান, তারও সুযোগ রয়েছে। 👀 ফিলাডেলফিয়ার মুটার মিউজিয়াম (Philadelphia Mütter Museum)-এ আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের কিছু খণ্ডাংশ আজও প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে, যা এক কিংবদন্তী বিজ্ঞানীর মৃত্যুর পরেও তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া রহস্যের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। 🏛️❓ #Einstein #AlbertEinstein #EinsteinsBrain #Science #Mystery #Genius #History #Neurology #BrainFacts #MutterMuseum #ScientificDiscovery #আইনস্টাইন #আইনস্টাইনেরমস্তিষ্ক #বিজ্ঞান #মস্তিষ্করহস্য #জিনিয়াস #ইতিহাস #নিউরোসায়েন্স #বৈজ্ঞানিকতথ্য #রহস্য
    0 Комментарии 0 Поделились 82 Просмотры
  • বিশ্বের অন্যতম দামী পতঙ্গ : স্ট্যাগ বিটল...

    পৃথিবীর সবচেয়ে দামী পোকাগুলোর মধ্যে একটি হল স্ট্যাগ বিটল। একটি স্ট্যাগ বিটলের দাম প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে! এই পোকাটি শুধু যে বিরল, তা-ই নয় — অনেক সংস্কৃতিতে এটি সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত। অনেকেই বিশ্বাস করেন, বাড়িতে একটি স্ট্যাগ বিটল থাকলে হঠাৎ ধনী হওয়া সম্ভব! এই বিশ্বাসই এর দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    বিশেষ বৈশিষ্ট্য:-

    স্ট্যাগ বিটল-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল এর বড় আকারের চোয়াল, যা দেখতে অনেকটা হরিণের শিং-এর মতো। এই চোয়াল মূলত পুরুষ স্ট্যাগ বিটলদের মধ্যে মেটিং-এর জন্য লড়াই করতে ব্যবহৃত হয়। পুরুষ স্ট্যাগ বিটলদের মধ্যে এই চোয়ালের আকৃতি ও আকারে ভিন্নতা দেখা যায়, যাকে বলা হয় "মেল পলিমরফিজম"।

    একটি গবেষণাপত্রে (Scientific Data Journal) বলা হয়েছে, স্ট্যাগ বিটল হচ্ছে বনজ পরিবেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পচনশীল জীবগোষ্ঠীর সদস্য, যা মৃত কাঠ ভেঙে পচন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

    আবাসস্থল ও বিস্তৃতি:-

    স্ট্যাগ বিটল ঠাণ্ডা আবহাওয়া সহ্য করতে পারে না এবং উষ্ণ, আর্দ্র আবহাওয়ায় ভালো থাকে। এরা সাধারণত বনাঞ্চলে দেখা যায়, তবে শহরের পার্ক, উদ্যান, বাগান, ঝোপঝাড় ও পুরনো ফলবাগানেও পাওয়া যায় — যেখানে প্রচুর মৃত কাঠ থাকে। মৃত কাঠ তাদের বেঁচে থাকার ও বংশবিস্তারের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

    খাদ্যাভ্যাস:-

    প্রাপ্তবয়স্ক স্ট্যাগ বিটল মূলত গাছের রস ও পচা ফলের রস খেয়ে বাঁচে। তবে এদের জীবনকাল খুব ছোট হওয়ায়, এরা সাধারণত বেঁচে থাকে তাদের লার্ভা অবস্থায় সঞ্চিত শক্তির উপর নির্ভর করে।

    স্ট্যাগ বিটলের লার্ভা (শিশু অবস্থায়) শুধু মৃত কাঠ খায়। এরা তাদের ধারালো চোয়াল দিয়ে কাঠ কুরে কুরে খায়। তবে, এরা জীবিত গাছ বা গুল্মের কোনো ক্ষতি করে না, তাই এরা পরিবেশের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।

    আয়ু ও দেহগত বৈশিষ্ট্য:-

    লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, একটি স্ট্যাগ বিটলের ওজন ২ থেকে ৬ গ্রাম হতে পারে এবং এদের গড় জীবনকাল ৩ থেকে ৭ বছর।

    পুরুষ বিটলের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫ থেকে ৭৫ মিমি,

    আর স্ত্রী বিটলের দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ৫০ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

    এই দীর্ঘ জীবনকাল ও বিশেষ দেহ গঠনই এদের আরও বিরল ও মূল্যবান করে তুলেছে।

    চিকিৎসায় ব্যবহার:-

    স্ট্যাগ বিটল কখনো কখনো ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। যদিও নির্দিষ্টভাবে কোথায় ও কিভাবে তা ব্যবহৃত হয়, সেই তথ্য পাওয়া যায়নি, তবুও এই ব্যবহারের দিকটি এর আর্থিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যে আরও যোগ করেছে।

    পরিবেশগত গুরুত্ব ও মূল্য:-

    স্ট্যাগ বিটল শুধু যে দামী একটি পোকা, তা-ই নয় — এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশবান্ধব জীব। মৃত কাঠ খেয়ে এরা পচন প্রক্রিয়া ও পুষ্টি চক্রে সাহায্য করে। এতে বনাঞ্চলের মাটি উর্বর হয় এবং বনের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।

    এছাড়াও, বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এদেরকে সৌভাগ্য, শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়। এই কারণে, স্ট্যাগ বিটল বিশ্বজুড়ে জ্ঞানীগুণী ও সংগ্রাহকদের কাছে এক রহস্যময় ও মূল্যবান জীব হিসেবে পরিচিত।

    একটি ছোট পোকা, স্ট্যাগ বিটল, তার সৌন্দর্য, বৈশিষ্ট্য, পরিবেশগত ভূমিকা ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের জন্য বিশ্বের অন্যতম দামী ও আকর্ষণীয় প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে, প্রকৃতির প্রতিটি জীবেরই একটি বিশেষ স্থান ও গুরুত্ব রয়েছে।

    আপনি যদি এই পতঙ্গটিকে পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করবেন।।
    কারণ এই একটি পতঙ্গ আপনাকে রাতারাতি আপনার সব ইচ্ছা পূরণ করতে সাহায্য করবে।

    আপনি কমেন্ট করে বলুন আপনি পেলে কি করবেন....🤷🏻‍♂️

    এইধরনের নতুন নতুন তথ্যপূর্ণ পোস্ট পেতে হলে আমাদের পেজটিকে ফলো করবেন।।

    Geography zone- ভূগোল বলয় #geography #facts #ad #Stag_beetle #like #everyoneシ#everyonefollowers #unknown #facts
    🏞️ বিশ্বের অন্যতম দামী পতঙ্গ : স্ট্যাগ বিটল...😲😲 🔸 পৃথিবীর সবচেয়ে দামী পোকাগুলোর মধ্যে একটি হল স্ট্যাগ বিটল। একটি স্ট্যাগ বিটলের দাম প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে! এই পোকাটি শুধু যে বিরল, তা-ই নয় — অনেক সংস্কৃতিতে এটি সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত। অনেকেই বিশ্বাস করেন, বাড়িতে একটি স্ট্যাগ বিটল থাকলে হঠাৎ ধনী হওয়া সম্ভব! এই বিশ্বাসই এর দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 🔹 বিশেষ বৈশিষ্ট্য:- ▪️ স্ট্যাগ বিটল-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল এর বড় আকারের চোয়াল, যা দেখতে অনেকটা হরিণের শিং-এর মতো। এই চোয়াল মূলত পুরুষ স্ট্যাগ বিটলদের মধ্যে মেটিং-এর জন্য লড়াই করতে ব্যবহৃত হয়। পুরুষ স্ট্যাগ বিটলদের মধ্যে এই চোয়ালের আকৃতি ও আকারে ভিন্নতা দেখা যায়, যাকে বলা হয় "মেল পলিমরফিজম"। একটি গবেষণাপত্রে (Scientific Data Journal) বলা হয়েছে, স্ট্যাগ বিটল হচ্ছে বনজ পরিবেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পচনশীল জীবগোষ্ঠীর সদস্য, যা মৃত কাঠ ভেঙে পচন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। 🔹 আবাসস্থল ও বিস্তৃতি:- ▪️ স্ট্যাগ বিটল ঠাণ্ডা আবহাওয়া সহ্য করতে পারে না এবং উষ্ণ, আর্দ্র আবহাওয়ায় ভালো থাকে। এরা সাধারণত বনাঞ্চলে দেখা যায়, তবে শহরের পার্ক, উদ্যান, বাগান, ঝোপঝাড় ও পুরনো ফলবাগানেও পাওয়া যায় — যেখানে প্রচুর মৃত কাঠ থাকে। মৃত কাঠ তাদের বেঁচে থাকার ও বংশবিস্তারের জন্য অত্যন্ত জরুরি। 🔹 খাদ্যাভ্যাস:- ▪️ প্রাপ্তবয়স্ক স্ট্যাগ বিটল মূলত গাছের রস ও পচা ফলের রস খেয়ে বাঁচে। তবে এদের জীবনকাল খুব ছোট হওয়ায়, এরা সাধারণত বেঁচে থাকে তাদের লার্ভা অবস্থায় সঞ্চিত শক্তির উপর নির্ভর করে। স্ট্যাগ বিটলের লার্ভা (শিশু অবস্থায়) শুধু মৃত কাঠ খায়। এরা তাদের ধারালো চোয়াল দিয়ে কাঠ কুরে কুরে খায়। তবে, এরা জীবিত গাছ বা গুল্মের কোনো ক্ষতি করে না, তাই এরা পরিবেশের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। 🔹 আয়ু ও দেহগত বৈশিষ্ট্য:- ▪️ লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, একটি স্ট্যাগ বিটলের ওজন ২ থেকে ৬ গ্রাম হতে পারে এবং এদের গড় জীবনকাল ৩ থেকে ৭ বছর। ▪️পুরুষ বিটলের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫ থেকে ৭৫ মিমি, ▪️ আর স্ত্রী বিটলের দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ৫০ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ▪️এই দীর্ঘ জীবনকাল ও বিশেষ দেহ গঠনই এদের আরও বিরল ও মূল্যবান করে তুলেছে। 🔹 চিকিৎসায় ব্যবহার:- ▪️ স্ট্যাগ বিটল কখনো কখনো ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। যদিও নির্দিষ্টভাবে কোথায় ও কিভাবে তা ব্যবহৃত হয়, সেই তথ্য পাওয়া যায়নি, তবুও এই ব্যবহারের দিকটি এর আর্থিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যে আরও যোগ করেছে। 🔹 পরিবেশগত গুরুত্ব ও মূল্য:- স্ট্যাগ বিটল শুধু যে দামী একটি পোকা, তা-ই নয় — এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশবান্ধব জীব। মৃত কাঠ খেয়ে এরা পচন প্রক্রিয়া ও পুষ্টি চক্রে সাহায্য করে। এতে বনাঞ্চলের মাটি উর্বর হয় এবং বনের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। এছাড়াও, বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এদেরকে সৌভাগ্য, শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়। এই কারণে, স্ট্যাগ বিটল বিশ্বজুড়ে জ্ঞানীগুণী ও সংগ্রাহকদের কাছে এক রহস্যময় ও মূল্যবান জীব হিসেবে পরিচিত। 🔸 একটি ছোট পোকা, স্ট্যাগ বিটল, তার সৌন্দর্য, বৈশিষ্ট্য, পরিবেশগত ভূমিকা ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের জন্য বিশ্বের অন্যতম দামী ও আকর্ষণীয় প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে, প্রকৃতির প্রতিটি জীবেরই একটি বিশেষ স্থান ও গুরুত্ব রয়েছে। 💠 আপনি যদি এই পতঙ্গটিকে পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করবেন।। কারণ এই একটি পতঙ্গ আপনাকে রাতারাতি আপনার সব ইচ্ছা পূরণ করতে সাহায্য করবে। 🔸 আপনি কমেন্ট করে বলুন আপনি পেলে কি করবেন....🤷🏻‍♂️ 💠 এইধরনের নতুন নতুন তথ্যপূর্ণ পোস্ট পেতে হলে আমাদের পেজটিকে ফলো করবেন।। Geography zone- ভূগোল বলয় #geography #facts #ad #Stag_beetle #like #everyoneシ゚ #everyonefollowers #unknown #facts
    0 Комментарии 0 Поделились 66 Просмотры
  • টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের লাস্ট এক বছরের সাফল্যের রহস্য কি!

    হ্যাঁ আপনি বলতে পারেন যে আরব আমিরাতে বিপক্ষে হেরেছি পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছি। হ্যাঁ হেরেছি কিন্তু দেখেন ওই ম্যাচ গুলো আমাদের টি টোয়েন্টি বোলিংয়ের মূল অস্ত্র মুস্তাফিজুর রহমান ছিল না এবছর যার ইকোনমিটা ৩.৬। মুস্তাফিজ থাকল আরব আমিরাতের বিপক্ষে কখনোই সিরিজ হারতাম না।আর পাকিস্তানের ক্ষেত্রে বিষয়টা এতো এমন ব্যাটিং প্যারাডাইস হয়ে গিয়েছে যে বাংলাদেশ ভালো করলেও ব্যাটিংয়ের ফ্লো টা ধরে রাখতে পারেনি কারণ এমন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ অভ্যস্ত না। দেখেন পাকিস্তানে প্রত্যাকে ম্যাচেই আমরা প্রথম ১০ ওভার দারুণ ব্যাটিং করেছি কিন্তু লাস্ট গিয়ে আর সেটা ক্যারি করতে পারিনি। আর বোলিংয়ে ওখানেও মুস্তাফিজ না থাকায় আমাদের ভুগতে হয়েছে। ওভারল আমি বলবো বাংলাদেশ টি টোয়েন্টিতে একটি নতুন এরাতে আছে যেখানে সব ইয়ংস্টার এবং তারা পারফর্ম ও করছে। ভাগ্য সহায় এবং পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে এবার এশিয়া কাপ টা আমাদের হতে পারে আমার মনে হচ্ছে।

    আচ্ছা যেটা বলছিলাম রহস্য কি এই সাফল্যের! রহস্য আর কিছুই না আমাদের ব্যাটিং! লাস্ট এক বছরে আমাদের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। বাংলাদেশ টি টোয়েন্টিতে টানা এক বছর এমন ব্যাটিং আগে কখনো করেছে কিনা আমার জানা নেই। আপনারও ও জানা নেই কারণ কখনো তো করেইনি

    লাস্ট এক বছরে আমাদের দুই ওপেনার তামিম ও ইমনের পরিসংখ্যান টা দেখেন।

    ইনিংস রান স্ট্রাইক রেট গড়
    তামিম ১৪ ৩৪২ ১৪২.৫০ ২৬.৩
    ইমন ১৩ ৩৩৫ ১৬০.২৮ ২৮

    স্ট্রাইক রেট টা জাস্ট দেখেন । এতো বিধ্বংসী স্ট্রাইক রেটে তাও একজন না দুজন ওপেনারকেই ব্যাটিং করতে কখনো দেখেছেন কি বাংলাদেশের ইতিহাসে !! দেখেননি ১০০% নিশ্চিত। টি টোয়েন্টিতে সাফল্যের অন্যতম কারণ এই দুই বিধ্বংসী ওপেনার। এই ওপেনার আমার কাছে স্বপ্নের মতো। কখনো ভাবি নাই বাংলাদেশের এমন দুজন ওপেনার থাকবে যারা নিয়মিত ১৪০ এর আশেপাশে স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করবে। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ অনায়াসে প্রায় ম্যাচে ৫০-৬০ রান করবে যেখানে একটা সময় ৪০/৪৫ করতো ১০ ম্যাচে ১ ম্যাচ।

    আচ্ছা ওপেনার তো গেলো তার পরে আসেন ৩-৪ এ কি অবস্থা?
    লাস্ট ১ বছরে লিটন, হৃদয় কেমন করলো!

    ইনিংস রান স্ট্রাইক রেট গড়
    লিটন দাস ১৬ ৩৩৩ ১২৮.০৭ ২১
    তাওহীদ হৃদয় ১৩ ২৯৩ ১১৬.২ ২৬.৬

    স্ট্রাইক কিছুটা কম কিন্তু মিডল অর্ডারের কাজ ইনিংসটা ক্যারি করে ১২/১৩ ওভারে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া এবং জাকের, শামীমের জন্য একটা স্টেজ তৈরি করে দেওয়া যেখান থেকে তারা লাস্ট ৬ ওভারে ৭০/৮০ রান করবে। এবং জাকের শামীম তুলেছেও তেমন।

    ইনিংস রান স্ট্রাইক রেট গড়
    জাকের আলী ১৩ ২৭০ ১৪০.৬২ ২৭
    শামীম হোসেন ১১ ১৬৬ ১৬১.২ ২১

    দেখেন যখন আপনার দুই ওপেনার এবং দুই ফিনিশারের স্ট্রাইক রেট যখন ১৪০+ একটা ডিসেন্ট গড়ের সাথে আর কি লাগে।

    শুধু এতটুকুতেই ক্ষ্যান্ত না বাংলাদেশের ব্যাটিং ৭/৮ এ দারুণ সাপোর্ট দিয়ে গিয়েছে তানজিম সাকিব । ৯ ইনিংসে ২৩ গড়ে ১১৩.৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন।

    আপনার ব্যাটিং লাইনআপে ২৫+ গড়ের ৪ জন এবং ১৪০+ স্ট্রাইক রেটের ৪ জন। দিস ইজ ফুল কমপ্লিট টি টোয়েন্টি ব্যাটিং লাইনআপ! এই টিম টাকে সময় দিন ট্রফি দিতে বেশি দেরিতে করবে না আশা করছি যদি আমাদের বোলিং ঠিকঠাক সাপোর্ট দেয়।

    #BangladeshCricket #tanzidemonpair
    টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের লাস্ট এক বছরের সাফল্যের রহস্য কি! হ্যাঁ আপনি বলতে পারেন যে আরব আমিরাতে বিপক্ষে হেরেছি পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছি। হ্যাঁ হেরেছি কিন্তু দেখেন ওই ম্যাচ গুলো আমাদের টি টোয়েন্টি বোলিংয়ের মূল অস্ত্র মুস্তাফিজুর রহমান ছিল না এবছর যার ইকোনমিটা ৩.৬। মুস্তাফিজ থাকল আরব আমিরাতের বিপক্ষে কখনোই সিরিজ হারতাম না।আর পাকিস্তানের ক্ষেত্রে বিষয়টা এতো এমন ব্যাটিং প্যারাডাইস হয়ে গিয়েছে যে বাংলাদেশ ভালো করলেও ব্যাটিংয়ের ফ্লো টা ধরে রাখতে পারেনি কারণ এমন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ অভ্যস্ত না। দেখেন পাকিস্তানে প্রত্যাকে ম্যাচেই আমরা প্রথম ১০ ওভার দারুণ ব্যাটিং করেছি কিন্তু লাস্ট গিয়ে আর সেটা ক্যারি করতে পারিনি। আর বোলিংয়ে ওখানেও মুস্তাফিজ না থাকায় আমাদের ভুগতে হয়েছে। ওভারল আমি বলবো বাংলাদেশ টি টোয়েন্টিতে একটি নতুন এরাতে আছে যেখানে সব ইয়ংস্টার এবং তারা পারফর্ম ও করছে। ভাগ্য সহায় এবং পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে এবার এশিয়া কাপ টা আমাদের হতে পারে আমার মনে হচ্ছে। আচ্ছা যেটা বলছিলাম রহস্য কি এই সাফল্যের! রহস্য আর কিছুই না আমাদের ব্যাটিং! লাস্ট এক বছরে আমাদের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। বাংলাদেশ টি টোয়েন্টিতে টানা এক বছর এমন ব্যাটিং আগে কখনো করেছে কিনা আমার জানা নেই। আপনারও ও জানা নেই কারণ কখনো তো করেইনি 😄 লাস্ট এক বছরে আমাদের দুই ওপেনার তামিম ও ইমনের পরিসংখ্যান টা দেখেন। ইনিংস রান স্ট্রাইক রেট গড় তামিম ১৪ ৩৪২ ১৪২.৫০ ২৬.৩ ইমন ১৩ ৩৩৫ ১৬০.২৮ ২৮ স্ট্রাইক রেট টা জাস্ট দেখেন । এতো বিধ্বংসী স্ট্রাইক রেটে তাও একজন না দুজন ওপেনারকেই ব্যাটিং করতে কখনো দেখেছেন কি বাংলাদেশের ইতিহাসে !! দেখেননি ১০০% নিশ্চিত। টি টোয়েন্টিতে সাফল্যের অন্যতম কারণ এই দুই বিধ্বংসী ওপেনার। এই ওপেনার আমার কাছে স্বপ্নের মতো। কখনো ভাবি নাই বাংলাদেশের এমন দুজন ওপেনার থাকবে যারা নিয়মিত ১৪০ এর আশেপাশে স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করবে। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ অনায়াসে প্রায় ম্যাচে ৫০-৬০ রান করবে যেখানে একটা সময় ৪০/৪৫ করতো ১০ ম্যাচে ১ ম্যাচ। আচ্ছা ওপেনার তো গেলো তার পরে আসেন ৩-৪ এ কি অবস্থা? লাস্ট ১ বছরে লিটন, হৃদয় কেমন করলো! ইনিংস রান স্ট্রাইক রেট গড় লিটন দাস ১৬ ৩৩৩ ১২৮.০৭ ২১ তাওহীদ হৃদয় ১৩ ২৯৩ ১১৬.২ ২৬.৬ স্ট্রাইক কিছুটা কম কিন্তু মিডল অর্ডারের কাজ ইনিংসটা ক্যারি করে ১২/১৩ ওভারে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া এবং জাকের, শামীমের জন্য একটা স্টেজ তৈরি করে দেওয়া যেখান থেকে তারা লাস্ট ৬ ওভারে ৭০/৮০ রান করবে। এবং জাকের শামীম তুলেছেও তেমন। ইনিংস রান স্ট্রাইক রেট গড় জাকের আলী ১৩ ২৭০ ১৪০.৬২ ২৭ শামীম হোসেন ১১ ১৬৬ ১৬১.২ ২১ দেখেন যখন আপনার দুই ওপেনার এবং দুই ফিনিশারের স্ট্রাইক রেট যখন ১৪০+ একটা ডিসেন্ট গড়ের সাথে আর কি লাগে। শুধু এতটুকুতেই ক্ষ্যান্ত না বাংলাদেশের ব্যাটিং ৭/৮ এ দারুণ সাপোর্ট দিয়ে গিয়েছে তানজিম সাকিব । ৯ ইনিংসে ২৩ গড়ে ১১৩.৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। আপনার ব্যাটিং লাইনআপে ২৫+ গড়ের ৪ জন এবং ১৪০+ স্ট্রাইক রেটের ৪ জন। দিস ইজ ফুল কমপ্লিট টি টোয়েন্টি ব্যাটিং লাইনআপ! এই টিম টাকে সময় দিন ট্রফি দিতে বেশি দেরিতে করবে না আশা করছি যদি আমাদের বোলিং ঠিকঠাক সাপোর্ট দেয়। #BangladeshCricket #tanzidemonpair
    0 Комментарии 0 Поделились 130 Просмотры
  • বিচ্ছু নিয়ে অবাক করা ১০টি তথ্য:
    .
    ৪৫০ মিলিয়ন বছরের পুরনো!
    বিচ্ছুরা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন জীব — ডাইনোসরের আগেও এদের অস্তিত্ব ছিল!

    বিচ্ছুরও জ্বলজ্বলে রহস্য!
    অন্ধকারে UV আলোতে বিচ্ছুর দেহ সবুজ বা নীলাভ আলোয় জ্বলে উঠে। কেন জ্বলে, বিজ্ঞানীরা আজও নিশ্চিত নন।

    ১ বছর না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে!
    বিচ্ছুরা অত্যন্ত ধৈর্যশীল শিকারি। দরকার হলে তারা ১২ মাস পর্যন্ত না খেয়ে টিকে থাকতে পারে।

    বিচ্ছু নিজের সন্তানদের পিঠে নিয়ে ঘোরে!
    জন্মের পর ছোট বিচ্ছুগুলো মা বিচ্ছুর পিঠে চড়ে বেড়ায়, যতক্ষণ না তারা নিজেরা টিকে থাকার মতো শক্তিশালী হয়।

    প্রায় ২০০০ প্রজাতির মধ্যে মাত্র ৩০টি বিষাক্ত!
    সব বিচ্ছু ভয়ংকর নয়। মাত্র অল্প কয়েকটি প্রজাতির বিষ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী।

    তাপমাত্রা সহ্য করার বিস্ময়কর ক্ষমতা!
    বিচ্ছু -২০°C থেকে ৫০°C পর্যন্ত তাপমাত্রায় টিকে থাকতে পারে!

    বিচ্ছু তার নিজেই নিজের শরীর খেয়ে ফেলে!
    খাবার না পেলে বিচ্ছু নিজের শরীরের অংশ গলিয়ে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে।

    নির্গত বিষ দিয়ে ওষুধ তৈরি হয়!
    বিচ্ছুর বিষ থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ—যেমন আর্থ্রাইটিস বা ক্যান্সার চিকিৎসায় গবেষণা চলছে।

    বিচ্ছু মাথাবিহীনও বেঁচে থাকতে পারে কয়েকদিন!
    কারণ তাদের নিউরাল সিস্টেম অনেকটাই শরীরজুড়ে ছড়িয়ে থাকে।

    চাঁদের আলোয় বিচ্ছু শিকার এড়িয়ে চলে!
    তারা চাঁদের আলো এড়িয়ে গর্তে লুকায়, কারণ অতিরিক্ত আলোতে শিকারীরা সহজে তাদের খুঁজে পায়।
    🦂 বিচ্ছু নিয়ে অবাক করা ১০টি তথ্য: . ৪৫০ মিলিয়ন বছরের পুরনো! বিচ্ছুরা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন জীব — ডাইনোসরের আগেও এদের অস্তিত্ব ছিল! বিচ্ছুরও জ্বলজ্বলে রহস্য! অন্ধকারে UV আলোতে বিচ্ছুর দেহ সবুজ বা নীলাভ আলোয় জ্বলে উঠে। কেন জ্বলে, বিজ্ঞানীরা আজও নিশ্চিত নন। ১ বছর না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে! বিচ্ছুরা অত্যন্ত ধৈর্যশীল শিকারি। দরকার হলে তারা ১২ মাস পর্যন্ত না খেয়ে টিকে থাকতে পারে। বিচ্ছু নিজের সন্তানদের পিঠে নিয়ে ঘোরে! জন্মের পর ছোট বিচ্ছুগুলো মা বিচ্ছুর পিঠে চড়ে বেড়ায়, যতক্ষণ না তারা নিজেরা টিকে থাকার মতো শক্তিশালী হয়। প্রায় ২০০০ প্রজাতির মধ্যে মাত্র ৩০টি বিষাক্ত! সব বিচ্ছু ভয়ংকর নয়। মাত্র অল্প কয়েকটি প্রজাতির বিষ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী। তাপমাত্রা সহ্য করার বিস্ময়কর ক্ষমতা! বিচ্ছু -২০°C থেকে ৫০°C পর্যন্ত তাপমাত্রায় টিকে থাকতে পারে! বিচ্ছু তার নিজেই নিজের শরীর খেয়ে ফেলে! খাবার না পেলে বিচ্ছু নিজের শরীরের অংশ গলিয়ে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে। নির্গত বিষ দিয়ে ওষুধ তৈরি হয়! বিচ্ছুর বিষ থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ—যেমন আর্থ্রাইটিস বা ক্যান্সার চিকিৎসায় গবেষণা চলছে। বিচ্ছু মাথাবিহীনও বেঁচে থাকতে পারে কয়েকদিন! কারণ তাদের নিউরাল সিস্টেম অনেকটাই শরীরজুড়ে ছড়িয়ে থাকে। চাঁদের আলোয় বিচ্ছু শিকার এড়িয়ে চলে! তারা চাঁদের আলো এড়িয়ে গর্তে লুকায়, কারণ অতিরিক্ত আলোতে শিকারীরা সহজে তাদের খুঁজে পায়।
    Wow
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 100 Просмотры
  • এই পার্কটি অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে, Bucks County-তে। জায়গাটির প্রধান আকর্ষণ হলো এক বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অদ্ভুত পাথরের স্তূপ, যেগুলোতে হাতুড়ি বা ধাতব কিছু দিয়ে আঘাত করলে “টুনটুন” বা ধ্বনিতরঙ্গের মতো শব্দ হয় – ঠিক যেন বাজনা!

    এই পাথরগুলো শব্দ করে কেন?
    কম্পনজনিত বৈশিষ্ট্য:
    এই পাথরগুলোর অনেকগুলোতে ধাতব ধ্বনির মতো শব্দ হয় কারণ এরা নির্দিষ্ট ধরণের কম্পন ধারণ করে – একে বলে sonorous resonance। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই পাথরগুলোকে জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে গেলে বা কেটে ফেললে তারা আর এই ধ্বনি তৈরি করে না।

    গঠন ও খনিজ উপাদান:
    পাথরগুলো সাধারণত diabase (igneous rock), যা খুব ঘন ও কঠিন। ধারণা করা হয় যে এর বিশেষ গঠন এবং অন্তর্গত চাপ একত্রে এই ধ্বনির জন্য দায়ী।

    আরও অদ্ভুত কিছু তথ্য
    সমস্ত পাথর এই রিংিং শব্দ করে না। প্রায় ৩০% পাথরই শুধুমাত্র এই শব্দ সৃষ্টি করতে পারে।

    কিছু গবেষক এগুলিকে পরীক্ষাগারে নিয়ে গিয়েও একই রকম শব্দ পেয়েছেন, তবে অনেকেই বলছেন, “পরিবেশ ও আশেপাশের পাথরগুলোর পারস্পরিক কম্পনই মূলত রহস্য।”

    এখানকার পাথরগুলোতে Xylo-সঙ্গীত তৈরি করার মতো স্কেল পাওয়া যায়, এবং কেউ কেউ পাথর দিয়ে বাদ্যযন্ত্রও বাজিয়ে থাকেন।

    পরিদর্শনের জন্য তথ্য
    Ringing Rocks County Park উন্মুক্তভাবে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা, এবং সেখানে একটি ছোট জলপ্রপাতও রয়েছে।

    অনেকে হাতুড়ি নিয়ে যায় এই রিংিং শব্দ পরীক্ষার জন্য (তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলা উচিত)।

    শেষ কথা
    এই “হামিং পাথর” বা “Ringing Rocks” হলো প্রকৃতির এক রহস্যময় বিস্ময়, যেখানে জড় বস্তু প্রাণ পায় শব্দের মাধ্যমে। এটা শুধু বিজ্ঞানীদেরই নয়, ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও দারুণ এক অভিজ্ঞতা।
    এই পার্কটি অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে, Bucks County-তে। জায়গাটির প্রধান আকর্ষণ হলো এক বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অদ্ভুত পাথরের স্তূপ, যেগুলোতে হাতুড়ি বা ধাতব কিছু দিয়ে আঘাত করলে “টুনটুন” বা ধ্বনিতরঙ্গের মতো শব্দ হয় – ঠিক যেন বাজনা! এই পাথরগুলো শব্দ করে কেন? কম্পনজনিত বৈশিষ্ট্য: এই পাথরগুলোর অনেকগুলোতে ধাতব ধ্বনির মতো শব্দ হয় কারণ এরা নির্দিষ্ট ধরণের কম্পন ধারণ করে – একে বলে sonorous resonance। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই পাথরগুলোকে জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে গেলে বা কেটে ফেললে তারা আর এই ধ্বনি তৈরি করে না। গঠন ও খনিজ উপাদান: পাথরগুলো সাধারণত diabase (igneous rock), যা খুব ঘন ও কঠিন। ধারণা করা হয় যে এর বিশেষ গঠন এবং অন্তর্গত চাপ একত্রে এই ধ্বনির জন্য দায়ী। আরও অদ্ভুত কিছু তথ্য সমস্ত পাথর এই রিংিং শব্দ করে না। প্রায় ৩০% পাথরই শুধুমাত্র এই শব্দ সৃষ্টি করতে পারে। কিছু গবেষক এগুলিকে পরীক্ষাগারে নিয়ে গিয়েও একই রকম শব্দ পেয়েছেন, তবে অনেকেই বলছেন, “পরিবেশ ও আশেপাশের পাথরগুলোর পারস্পরিক কম্পনই মূলত রহস্য।” এখানকার পাথরগুলোতে Xylo-সঙ্গীত তৈরি করার মতো স্কেল পাওয়া যায়, এবং কেউ কেউ পাথর দিয়ে বাদ্যযন্ত্রও বাজিয়ে থাকেন। পরিদর্শনের জন্য তথ্য Ringing Rocks County Park উন্মুক্তভাবে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা, এবং সেখানে একটি ছোট জলপ্রপাতও রয়েছে। অনেকে হাতুড়ি নিয়ে যায় এই রিংিং শব্দ পরীক্ষার জন্য (তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলা উচিত)। শেষ কথা এই “হামিং পাথর” বা “Ringing Rocks” হলো প্রকৃতির এক রহস্যময় বিস্ময়, যেখানে জড় বস্তু প্রাণ পায় শব্দের মাধ্যমে। এটা শুধু বিজ্ঞানীদেরই নয়, ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও দারুণ এক অভিজ্ঞতা।
    0 Комментарии 0 Поделились 165 Просмотры
  • সুইজারল্যান্ডে প্রথম দিন
    আমি অবশেষে সুইজারল্যান্ড পরিদর্শন করেছি, রহস্যে ঘেরা চমৎকার এই দেশটি সবাই আমাকে সবসময় আবিষ্কার করতে বলেছিল যে এটি আসলেই সৌন্দর্যের যোগ্য কিনা। আমরা লাওটারব্রুনেন ভ্যালির লাওটারব্রুনেন এর চমত্কার গ্রামটি ঘুরে দেখেছি যেখানে বিখ্যাত স্টবাক ফলস্‌ এর মতো অনেক ঝর্ণা রয়েছে এবং তারপরে হার্ডার কুল্মে একটি সূর্যাস্ত দেখার চেষ্টায় ইন্টারলাকেনে গিয়েছিলাম।
    সুইজারল্যান্ড ২০২৩ ট্র্যাভেল ভ্লগ
    সুইজারল্যান্ডে প্রথম দিন 🇨🇭 আমি অবশেষে সুইজারল্যান্ড পরিদর্শন করেছি, রহস্যে ঘেরা চমৎকার এই দেশটি সবাই আমাকে সবসময় আবিষ্কার করতে বলেছিল যে এটি আসলেই সৌন্দর্যের যোগ্য কিনা। আমরা লাওটারব্রুনেন ভ্যালির লাওটারব্রুনেন এর চমত্কার গ্রামটি ঘুরে দেখেছি যেখানে বিখ্যাত স্টবাক ফলস্‌ এর মতো অনেক ঝর্ণা রয়েছে এবং তারপরে হার্ডার কুল্মে একটি সূর্যাস্ত দেখার চেষ্টায় ইন্টারলাকেনে গিয়েছিলাম। সুইজারল্যান্ড ২০২৩ ট্র্যাভেল ভ্লগ
    Wow
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 170 Просмотры
  • AI কিভাবে আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ করছে? | আপনি ভাবতেও পারবেন না | AI Explained in Bangla | রহস্যযাত্রা
    AI কিভাবে আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ করছে? | আপনি ভাবতেও পারবেন না | AI Explained in Bangla | রহস্যযাত্রা
    Wow
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 115 Просмотры
  • মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর অনুরোধে সাড়া দিয়ে বিশ্বখ্যাত কোমল পানীয় নির্মাতা কোকাকোলা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পানীয় তৈরির রেসিপিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে। বুধবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, কোকাকোলা তাদের পণ্যে ভুট্টার সিরাপের বদলে আসল আখের চিনি ব্যবহার করতে সম্মত হয়েছে।

    ট্রাম্প তাঁর পোস্টে লেখেন, "আমি কোকাকোলার সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি, তাঁরা যেন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া কোকে আসল আখের চিনি ব্যবহার করে। তাঁরা এতে সম্মত হয়েছে। আমি কোকাকোলাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।" তাঁর মতে, এই পরিবর্তন পানীয়টির স্বাদকে আরও উন্নত করবে এবং এটি একটি ‘সত্যিই ভালো’ পদক্ষেপ।

    তবে ট্রাম্পের এই দাবির বিষয়ে কোকাকোলা কোম্পানি সরাসরি কোনো সত্যতা স্বীকার করেনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোম্পানির মুখপাত্র রেসিপি পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত না করে বলেন, "কোকাকোলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আগ্রহের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা নিয়ে শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।" কোম্পানির এই রহস্যপূর্ণ জবাবে জল্পনা আরও বেড়েছে।

    বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত কোকাকোলায় ‘হাই-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ’ ব্যবহার করা হয়। তবে প্রাকৃতিক আখের চিনি দিয়ে তৈরি মেক্সিকান কোক যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয়, যা স্বাদের দিক থেকে ভিন্ন বলে অনেক ভোক্তা মনে করেন। ট্রাম্পের এই দাবি সত্যি হলে তা হবে মার্কিন কোকাকোলার জন্য একটি বড় ধরনের পরিবর্তন।

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোকাকোলার সম্পর্ক বরাবরই বেশ আলোচিত। হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন তিনি ‘ডায়েট কোক’-এর প্রতি তাঁর ভালোবাসার জন্য পরিচিত ছিলেন। এমনকি তাঁর ওভাল অফিসের ডেস্কে একটি বিশেষ বোতাম ছিল, যা চাপ দিলেই একজন সহকারী তাঁর জন্য ডায়েট কোক নিয়ে আসতেন। যদিও ব্যবসায়ী জীবনে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তাঁর কিছুটা বিরোধও ছিল।

    দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কোকাকোলার চেয়ারম্যান জেমস কুইন্সি তাঁকে উপহার হিসেবে একটি ডায়েট কোকের বোতল দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এবার তাঁর দাবিতে কোকাকোলার রেসিপি সত্যিই বদলাবে কি না, সেই উত্তর সময়ের হাতেই তোলা রইল।
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর অনুরোধে সাড়া দিয়ে বিশ্বখ্যাত কোমল পানীয় নির্মাতা কোকাকোলা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পানীয় তৈরির রেসিপিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে। বুধবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, কোকাকোলা তাদের পণ্যে ভুট্টার সিরাপের বদলে আসল আখের চিনি ব্যবহার করতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প তাঁর পোস্টে লেখেন, "আমি কোকাকোলার সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি, তাঁরা যেন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া কোকে আসল আখের চিনি ব্যবহার করে। তাঁরা এতে সম্মত হয়েছে। আমি কোকাকোলাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।" তাঁর মতে, এই পরিবর্তন পানীয়টির স্বাদকে আরও উন্নত করবে এবং এটি একটি ‘সত্যিই ভালো’ পদক্ষেপ। তবে ট্রাম্পের এই দাবির বিষয়ে কোকাকোলা কোম্পানি সরাসরি কোনো সত্যতা স্বীকার করেনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোম্পানির মুখপাত্র রেসিপি পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত না করে বলেন, "কোকাকোলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আগ্রহের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা নিয়ে শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।" কোম্পানির এই রহস্যপূর্ণ জবাবে জল্পনা আরও বেড়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত কোকাকোলায় ‘হাই-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ’ ব্যবহার করা হয়। তবে প্রাকৃতিক আখের চিনি দিয়ে তৈরি মেক্সিকান কোক যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয়, যা স্বাদের দিক থেকে ভিন্ন বলে অনেক ভোক্তা মনে করেন। ট্রাম্পের এই দাবি সত্যি হলে তা হবে মার্কিন কোকাকোলার জন্য একটি বড় ধরনের পরিবর্তন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোকাকোলার সম্পর্ক বরাবরই বেশ আলোচিত। হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন তিনি ‘ডায়েট কোক’-এর প্রতি তাঁর ভালোবাসার জন্য পরিচিত ছিলেন। এমনকি তাঁর ওভাল অফিসের ডেস্কে একটি বিশেষ বোতাম ছিল, যা চাপ দিলেই একজন সহকারী তাঁর জন্য ডায়েট কোক নিয়ে আসতেন। যদিও ব্যবসায়ী জীবনে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তাঁর কিছুটা বিরোধও ছিল। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কোকাকোলার চেয়ারম্যান জেমস কুইন্সি তাঁকে উপহার হিসেবে একটি ডায়েট কোকের বোতল দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এবার তাঁর দাবিতে কোকাকোলার রেসিপি সত্যিই বদলাবে কি না, সেই উত্তর সময়ের হাতেই তোলা রইল।
    Love
    Wow
    2
    0 Комментарии 0 Поделились 130 Просмотры
  • ভাবুন তো, একটামাত্র জিনিস, যার উপর নির্ভর করছে পুরো মহাবিশ্বের ভাগ্য। যে বস্তু খেলে মানুষ ভবিষ্যৎ দেখতে পারে, সময়ের ধারা বোঝে, বেঁচে থাকতে পারে কয়েকশ বছর, আর মহাকাশের অগণিত তারা পেরিয়ে ছুটে যেতে পারে অনন্তের দিকে। এমন কিছুর অস্তিত্ব কি শুধু কল্পনাই? হ্যাঁ, সেটা কল্পনা, কিন্তু এমন এক কল্পনা, যেটা আমাদের চোখে তুলে ধরে ভবিষ্যতের যুদ্ধ, ধর্ম আর লোভের এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। এটাই ডিউন ইউনিভার্স। আর এই মহাজগতের বুকে সবচেয়ে ক্ষমতাবান জিনিসটার নাম স্পাইস।

    না, এটা আপনার বাসার হালদার দোকান থেকে কেনা কোনো গরম মসলা না। এটার আসল নাম মেলাঞ্জ। গাঢ় কমলা রঙের এক ধরণের পাউডার। দেখতে নিরীহ, কিন্তু এর শক্তি বর্ণনা করা যায় না। একবার শরীরে ঢুকলে আপনার চিন্তা, অনুভব, সময় নিয়ে বোধ সবকিছু বদলে দিতে পারে এই বস্তু। এটা শুধু জীবন দীর্ঘ করে না, এটা ভবিষ্যৎও খুলে দেয়।

    আর এই মেলাঞ্জ পাওয়া যায় শুধু অ্যারাকিস নামের একটিমাত্র গ্রহে। মরুভূমির ভিতর লুকিয়ে থাকা এক নিষ্ঠুর, শুষ্ক পৃথিবী। পানি সেখানে এতটাই দামী, যেন এক ফোঁটা জল মানেই জীবন। অথচ সেই ধুলোর নিচেই লুকিয়ে আছে মহাবিশ্বকে শাসন করার মতো ক্ষমতা।

    অ্যারাকিসে স্পাইস হয় কীভাবে?
    এই রহস্যও ডিউন ইউনিভার্সকে করে তোলে এতটা ব্যতিক্রম। এখানকার বিশালাকৃতির ভয়ঙ্কর স্যান্ডওয়ার্মদের শরীরেই হয় স্পাইসের রাসায়নিক রূপান্তর। সেই স্যান্ডওয়ার্ম, যাদের একেকটা দৈর্ঘ্য কয়েকশ ফুট। এরা আবার নিজেই স্পাইসের রক্ষক। কেউ স্পাইস তুলতে গেলে, এই দানবেরা জেগে ওঠে মরুভূমির বুকে। তাই স্পাইস সংগ্রহ মানেই জীবন নিয়ে বাজি ধরা।

    এই ভয়, এই ক্ষমতা, এই ঝুঁকি—সব মিলে স্পাইস হয়ে উঠেছে গোটা মহাজগতের একমাত্র নির্ভরযোগ্য সম্পদ।
    কেউ একে বলে Spice is Life, কেউ আবার বলে Spice is Power। দুইটাই ঠিক। কারণ স্পাইস ছাড়া মহাবিশ্বের রাজনীতি, প্রযুক্তি, ধর্ম—কোনোটাই চলবে না।

    ডিউন ইউনিভার্সে স্পেসিং গিল্ড নামে এক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা মহাকাশ জাহাজ পরিচালনা করে। কিন্তু তারা জাহাজ চালায় না স্টিয়ারিং ধরে, বরং ভবিষ্যৎ দেখে পথ তৈরি করে। কীভাবে? নেভিগেটর নামে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা দীর্ঘদিন স্পাইস খেতে খেতে এমন এক পর্যায়ে চলে যায়, যেখানে তারা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সব রুট দেখতে পায়। সেই অনুযায়ী মহাকাশযান চালিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেয় যাত্রীদের।

    তাই স্পাইস না থাকলে মহাজাগতিক ভ্রমণও থেমে যাবে। একটা সময় ছিল, মানুষ ভাবতো জ্বালানি দিয়ে জাহাজ চলে। কিন্তু ডিউন বলে, না, জাহাজ চলে ভবিষ্যৎ দিয়ে। আর ভবিষ্যৎ তৈরি করে স্পাইস।

    ডিউনের গল্প মূলত যুদ্ধ আর শাসনের গল্প। কিন্তু তার শিকড় গিয়ে পোঁছে স্পাইসের নিচে। কে অ্যারাকিস শাসন করবে, কারা স্পাইস তুলবে, কে বিক্রি করবে, কে ব্যবহার করবে—এসব নিয়েই যুগে যুগে যুদ্ধ, হত্যা, ধ্বংস আর বংশধ্বংস ঘটে।

    ডিউনের মূল চরিত্র পল আত্রিদেসও প্রথমে জানতো না, এই মরুভূমির ধুলোতেই লুকিয়ে আছে তার নিয়তি। কিন্তু ধীরে ধীরে, ফ্রেমেনদের সাথে থেকে, এই তরুণ ছেলেটা হয়ে ওঠে ভবিষ্যদ্রষ্টা, নেতা, একজন জীবন্ত মিথ। স্পাইস তাকে শুধু যোদ্ধা বানায়নি, বানিয়েছে সময়ের কারিগর।

    স্পাইস এতটাই প্রভাবশালী যে একবার শরীরে গেলে চাইলেও কেউ আর তা ছাড়তে পারে না। যারা বহুদিন ধরে মেলাঞ্জ খায়, তারা স্পাইস ছাড়া বাঁচতেই পারে না। অনেকে মারা যায় অভাবে। এই আসক্তি শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে না—পুরো মহাবিশ্বের শাসকরাও স্পাইসের উপর নির্ভরশীল। ধর্মগুরুদের কাছে স্পাইস পবিত্র বস্তু। রাজাদের কাছে এটি সাম্রাজ্য বিস্তারের অস্ত্র।

    অ্যারাকিস শুধুই একটা গ্রহ না, এটা সেই জায়গা, যেখান থেকে ভবিষ্যতের নকশা লেখা হয়। মরুভূমির বুকে জন্মানো স্পাইসের প্রতিটি দানা একেকটা যুদ্ধ, একেকটা ধর্ম, একেকটা ইতিহাস। যারা সেই ধুলো ছুঁয়েছে, তারা জানে এর চেয়ে বড় আর কিছু নেই।

    ডিউন আমাদের শিখায়, সবকিছুর পিছনে থাকে একটা অদৃশ্য শক্তি। যা বাইরে থেকে নিরীহ মনে হলেও, তার ভিতর লুকিয়ে থাকে সিংহাসন কাঁপানোর ক্ষমতা। এই গল্প শুধু অ্যারাকিসের না, এই গল্প সেই অদৃশ্য লোভের, যা মানুষকে ভবিষ্যৎ দ্যাখাতে চায়, কিন্তু সে ভবিষ্যতের দাম চায় জীবন দিয়ে।
    ভাবুন তো, একটামাত্র জিনিস, যার উপর নির্ভর করছে পুরো মহাবিশ্বের ভাগ্য। যে বস্তু খেলে মানুষ ভবিষ্যৎ দেখতে পারে, সময়ের ধারা বোঝে, বেঁচে থাকতে পারে কয়েকশ বছর, আর মহাকাশের অগণিত তারা পেরিয়ে ছুটে যেতে পারে অনন্তের দিকে। এমন কিছুর অস্তিত্ব কি শুধু কল্পনাই? হ্যাঁ, সেটা কল্পনা, কিন্তু এমন এক কল্পনা, যেটা আমাদের চোখে তুলে ধরে ভবিষ্যতের যুদ্ধ, ধর্ম আর লোভের এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। এটাই ডিউন ইউনিভার্স। আর এই মহাজগতের বুকে সবচেয়ে ক্ষমতাবান জিনিসটার নাম স্পাইস। না, এটা আপনার বাসার হালদার দোকান থেকে কেনা কোনো গরম মসলা না। এটার আসল নাম মেলাঞ্জ। গাঢ় কমলা রঙের এক ধরণের পাউডার। দেখতে নিরীহ, কিন্তু এর শক্তি বর্ণনা করা যায় না। একবার শরীরে ঢুকলে আপনার চিন্তা, অনুভব, সময় নিয়ে বোধ সবকিছু বদলে দিতে পারে এই বস্তু। এটা শুধু জীবন দীর্ঘ করে না, এটা ভবিষ্যৎও খুলে দেয়। আর এই মেলাঞ্জ পাওয়া যায় শুধু অ্যারাকিস নামের একটিমাত্র গ্রহে। মরুভূমির ভিতর লুকিয়ে থাকা এক নিষ্ঠুর, শুষ্ক পৃথিবী। পানি সেখানে এতটাই দামী, যেন এক ফোঁটা জল মানেই জীবন। অথচ সেই ধুলোর নিচেই লুকিয়ে আছে মহাবিশ্বকে শাসন করার মতো ক্ষমতা। অ্যারাকিসে স্পাইস হয় কীভাবে? এই রহস্যও ডিউন ইউনিভার্সকে করে তোলে এতটা ব্যতিক্রম। এখানকার বিশালাকৃতির ভয়ঙ্কর স্যান্ডওয়ার্মদের শরীরেই হয় স্পাইসের রাসায়নিক রূপান্তর। সেই স্যান্ডওয়ার্ম, যাদের একেকটা দৈর্ঘ্য কয়েকশ ফুট। এরা আবার নিজেই স্পাইসের রক্ষক। কেউ স্পাইস তুলতে গেলে, এই দানবেরা জেগে ওঠে মরুভূমির বুকে। তাই স্পাইস সংগ্রহ মানেই জীবন নিয়ে বাজি ধরা। এই ভয়, এই ক্ষমতা, এই ঝুঁকি—সব মিলে স্পাইস হয়ে উঠেছে গোটা মহাজগতের একমাত্র নির্ভরযোগ্য সম্পদ। কেউ একে বলে Spice is Life, কেউ আবার বলে Spice is Power। দুইটাই ঠিক। কারণ স্পাইস ছাড়া মহাবিশ্বের রাজনীতি, প্রযুক্তি, ধর্ম—কোনোটাই চলবে না। ডিউন ইউনিভার্সে স্পেসিং গিল্ড নামে এক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা মহাকাশ জাহাজ পরিচালনা করে। কিন্তু তারা জাহাজ চালায় না স্টিয়ারিং ধরে, বরং ভবিষ্যৎ দেখে পথ তৈরি করে। কীভাবে? নেভিগেটর নামে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা দীর্ঘদিন স্পাইস খেতে খেতে এমন এক পর্যায়ে চলে যায়, যেখানে তারা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সব রুট দেখতে পায়। সেই অনুযায়ী মহাকাশযান চালিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেয় যাত্রীদের। তাই স্পাইস না থাকলে মহাজাগতিক ভ্রমণও থেমে যাবে। একটা সময় ছিল, মানুষ ভাবতো জ্বালানি দিয়ে জাহাজ চলে। কিন্তু ডিউন বলে, না, জাহাজ চলে ভবিষ্যৎ দিয়ে। আর ভবিষ্যৎ তৈরি করে স্পাইস। ডিউনের গল্প মূলত যুদ্ধ আর শাসনের গল্প। কিন্তু তার শিকড় গিয়ে পোঁছে স্পাইসের নিচে। কে অ্যারাকিস শাসন করবে, কারা স্পাইস তুলবে, কে বিক্রি করবে, কে ব্যবহার করবে—এসব নিয়েই যুগে যুগে যুদ্ধ, হত্যা, ধ্বংস আর বংশধ্বংস ঘটে। ডিউনের মূল চরিত্র পল আত্রিদেসও প্রথমে জানতো না, এই মরুভূমির ধুলোতেই লুকিয়ে আছে তার নিয়তি। কিন্তু ধীরে ধীরে, ফ্রেমেনদের সাথে থেকে, এই তরুণ ছেলেটা হয়ে ওঠে ভবিষ্যদ্রষ্টা, নেতা, একজন জীবন্ত মিথ। স্পাইস তাকে শুধু যোদ্ধা বানায়নি, বানিয়েছে সময়ের কারিগর। স্পাইস এতটাই প্রভাবশালী যে একবার শরীরে গেলে চাইলেও কেউ আর তা ছাড়তে পারে না। যারা বহুদিন ধরে মেলাঞ্জ খায়, তারা স্পাইস ছাড়া বাঁচতেই পারে না। অনেকে মারা যায় অভাবে। এই আসক্তি শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে না—পুরো মহাবিশ্বের শাসকরাও স্পাইসের উপর নির্ভরশীল। ধর্মগুরুদের কাছে স্পাইস পবিত্র বস্তু। রাজাদের কাছে এটি সাম্রাজ্য বিস্তারের অস্ত্র। অ্যারাকিস শুধুই একটা গ্রহ না, এটা সেই জায়গা, যেখান থেকে ভবিষ্যতের নকশা লেখা হয়। মরুভূমির বুকে জন্মানো স্পাইসের প্রতিটি দানা একেকটা যুদ্ধ, একেকটা ধর্ম, একেকটা ইতিহাস। যারা সেই ধুলো ছুঁয়েছে, তারা জানে এর চেয়ে বড় আর কিছু নেই। ডিউন আমাদের শিখায়, সবকিছুর পিছনে থাকে একটা অদৃশ্য শক্তি। যা বাইরে থেকে নিরীহ মনে হলেও, তার ভিতর লুকিয়ে থাকে সিংহাসন কাঁপানোর ক্ষমতা। এই গল্প শুধু অ্যারাকিসের না, এই গল্প সেই অদৃশ্য লোভের, যা মানুষকে ভবিষ্যৎ দ্যাখাতে চায়, কিন্তু সে ভবিষ্যতের দাম চায় জীবন দিয়ে।
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 137 Просмотры
  • আমরা যারা মার্ভেলের মুভিগুলো দেখে আসছি, একবার না একবার সবাই এ প্রশ্ন হয়তো ভেবেছি। থর, ওডিন, লোকি কি তারা সত্যিই দেবতা? না, এরা কি এমন কোনো এলিয়েন, যারা আমাদের সভ্যতার তুলনায় হাজার বছরের বেশি এগিয়ে? উত্তরটা সরল নয়। বরং, উত্তরটা যেন একটা আয়নার মতো—যে যেভাবে দেখে, সেটাই প্রতিফলিত হয়।

    ভাবুন তো, হাজার হাজার বছর আগে, যদি একদল মানুষের মতো দেখতে কেউ/কারা পৃথিবীতে নামে, যাদের হাতে এমন অস্ত্র যার গায়ে আগুন জ্বলে, যাদের শরীর রক্তমাংসের হলেও কোনো অস্ত্র তাদের কিছুই করতে পারে না, যারা আকাশে উড়ে আসে, আর হাত নেড়ে ঝড় নামিয়ে দেয়—তখনকার মানুষ কি বুঝবে ওটা প্রযুক্তি? না ঈশ্বর ভেবে মাথা নত করবে? অ্যাসগার্ডিয়ানরা ঠিক এমনই ছিলো। ফ্রস্ট জায়ান্টদের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে যখন ওডিন বা থরের মতো যোদ্ধারা পৃথিবীতে নেমেছিলো, তখন তাদের এই অতিমানবীয় শক্তি মানুষকে মুগ্ধ করেছিলো। মানুষ তখন বিজ্ঞানের ভাষা জানত না, তাই তারা ওই শক্তিকে ডেকে নিয়েছিলো—দেবতা বলে।

    তবে অ্যাসগার্ডিয়ানদের দায়ও কম নয়। তারা নিজেরাও এমনভাবে কথা বলত, এমন আচরণ করত, যেন তারা সত্যিই ঈশ্বর। ওডিন ছিলেন এক রাজাধিরাজ, যার কথায় জগত কাঁপত, এবং তার রাজ্যে আইন ছিলো যেন পুরাণের শাসন। আর থর? তিনি তো নিজেই বজ্রের অধিপতি। মানুষ দেখেছে তার হাতের মোলনির একবার ঘুরলেই আকাশ ফেটে পড়ছে।

    কিন্তু আসল সত্যটা একদম ভিন্ন জায়গায় লুকানো। মার্ভেল আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে—জাদু আর বিজ্ঞান, এই দুইয়ের মধ্যে কোনো কঠিন দেওয়াল নেই। বরং, কোনো সভ্যতা যদি এতটাই উন্নত হয়ে যায়, যেখানে তাদের প্রযুক্তিকে আমরা আর ব্যাখ্যা করতে পারি না, তখন সেটাই আমাদের কাছে জাদু বলে মনে হয়। এই ব্যাখ্যাটা থর নিজেই দিয়েছিলো "তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যাকে ম্যাজিক বলতো, তোমরা এখন যেটাকে সায়েন্স বলো—আমি এমন এক জায়গা থেকে এসেছি, যেখানে এই দুটো একই জিনিস।"

    এই কথায় লুকানো রয়েছে পুরো রহস্যের চাবিকাঠি। অ্যাসগার্ডিয়ানরা আসলে এমন এক সভ্যতার অংশ, যারা বিজ্ঞানের এমন স্তরে পৌঁছে গেছে, যা আমাদের কাছে অলৌকিক মনে হয়। বাইফ্রস্ট দিয়ে মুহূর্তেই এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাওয়া, মহাবিশ্বের শক্তিকে অস্ত্রে রূপান্তর করা, এমনকি কসমিক ফোর্স নিয়ন্ত্রণ করার মতো ক্ষমতা—এসব কিছুই আমাদের বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারে না। তাই আমরা বলে ফেলি—এটা ম্যাজিক।

    কিন্তু ওডিন নিজেই বলেছিলেন, "আমরা দেবতা নই। আমরা অমর নই, শুধু দীর্ঘজীবী। আমরা অলৌকিক না, কিন্তু অসাধারণ।" এই স্বীকারোক্তিই অ্যাসগার্ডের আসল পরিচয়। তাদের দৈহিক গঠন, ক্ষমতা, প্রযুক্তি, কল্পনা সব কিছু এমনভাবে তৈরি যে তারা আমাদের থেকে আলাদা। কিন্তু তারা নিখুঁত নয়। তারা ভুল করে, ভালোবাসে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি মরে যায়। ওডিন, ফ্রিগা, লোকি এরা সবাই মৃত্যুর স্বাদ পেয়েছে।

    এরা একদমই কোনো চিরন্তন ঈশ্বর নয়। এরা রক্তমাংসের মানুষ, কিন্তু এমন মানুষ যারা সময়, পদার্থ আর শক্তির নিয়ম নিজের মত করে মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। কিছু তত্ত্ব বলে, অ্যাসগার্ডিয়ানরা আসলে কোনো প্রাচীন এলিয়েন রেসের শাখা, আবার কিছু মতে, তারা এটার্নালসদের কাছাকাছি কোনো কসমিক সত্তা, যাদের দেহে অলফাদার ফোর্স বা স্টর্মফোর্স কাজ করে—এমন শক্তি, যা সময় আর বাস্তবতাকেও বাঁকাতে পারে।

    তবে এসব শক্তি থাকা সত্ত্বেও, তারা নিজেদের ভাঙে, গড়ে, পরিবর্তিত হয়। লোকি যেমন প্রথমে এক প্রতারক ছিলো, পরে নিজেই বাঁচাতে চেয়েছে সবকিছু। থর যেমন এক অহংকারী রাজপুত্র ছিলো, পরে নিজেই নিজের অস্ত্র ভেঙে দিয়েছে অহংকার হারাতে। এদের গল্পে তাই ঈশ্বরীয় ক্ষমতার চেয়ে বেশি ধরা দেয় এক মানবিক যুদ্ধ—নিজের ভিতরের লড়াই, নিজের দায়, ভালোবাসা আর আত্মত্যাগের গল্প।

    তাহলে? অ্যাসগার্ডিয়ানরা আসলে কি?

    অ্যাসগার্ডিয়ানরা নিজেদের দেবতা বলে দাবি করে না। বরং, মানুষের চোখে তারা দেবতাসদৃশ—কিন্তু তারা নিজেরা জানে, তাদেরও সীমা আছে। তারা যুদ্ধ করে, ভালোবাসে, ভুল করে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং একসময় মারা যায়। তারা যদি আসল দেবতা হতো, তাহলে ওডিনের মৃত্যু হতো না, ফ্রিগার আত্মত্যাগ হতো না, থরের এত আত্মসংঘর্ষ থাকতো না।

    এই দ্বিধা, এই ধোঁয়াশা—এইটুকুই অ্যাসগার্ডিয়ানদের আসল পরিচয়। তারা আমাদের কল্পনায় ঈশ্বর, কিন্তু বাস্তবে হয়তো এমনই কেউ, যাদের আমরা এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি।
    আমরা যারা মার্ভেলের মুভিগুলো দেখে আসছি, একবার না একবার সবাই এ প্রশ্ন হয়তো ভেবেছি। থর, ওডিন, লোকি কি তারা সত্যিই দেবতা? না, এরা কি এমন কোনো এলিয়েন, যারা আমাদের সভ্যতার তুলনায় হাজার বছরের বেশি এগিয়ে? উত্তরটা সরল নয়। বরং, উত্তরটা যেন একটা আয়নার মতো—যে যেভাবে দেখে, সেটাই প্রতিফলিত হয়। ভাবুন তো, হাজার হাজার বছর আগে, যদি একদল মানুষের মতো দেখতে কেউ/কারা পৃথিবীতে নামে, যাদের হাতে এমন অস্ত্র যার গায়ে আগুন জ্বলে, যাদের শরীর রক্তমাংসের হলেও কোনো অস্ত্র তাদের কিছুই করতে পারে না, যারা আকাশে উড়ে আসে, আর হাত নেড়ে ঝড় নামিয়ে দেয়—তখনকার মানুষ কি বুঝবে ওটা প্রযুক্তি? না ঈশ্বর ভেবে মাথা নত করবে? অ্যাসগার্ডিয়ানরা ঠিক এমনই ছিলো। ফ্রস্ট জায়ান্টদের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে যখন ওডিন বা থরের মতো যোদ্ধারা পৃথিবীতে নেমেছিলো, তখন তাদের এই অতিমানবীয় শক্তি মানুষকে মুগ্ধ করেছিলো। মানুষ তখন বিজ্ঞানের ভাষা জানত না, তাই তারা ওই শক্তিকে ডেকে নিয়েছিলো—দেবতা বলে। তবে অ্যাসগার্ডিয়ানদের দায়ও কম নয়। তারা নিজেরাও এমনভাবে কথা বলত, এমন আচরণ করত, যেন তারা সত্যিই ঈশ্বর। ওডিন ছিলেন এক রাজাধিরাজ, যার কথায় জগত কাঁপত, এবং তার রাজ্যে আইন ছিলো যেন পুরাণের শাসন। আর থর? তিনি তো নিজেই বজ্রের অধিপতি। মানুষ দেখেছে তার হাতের মোলনির একবার ঘুরলেই আকাশ ফেটে পড়ছে। কিন্তু আসল সত্যটা একদম ভিন্ন জায়গায় লুকানো। মার্ভেল আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে—জাদু আর বিজ্ঞান, এই দুইয়ের মধ্যে কোনো কঠিন দেওয়াল নেই। বরং, কোনো সভ্যতা যদি এতটাই উন্নত হয়ে যায়, যেখানে তাদের প্রযুক্তিকে আমরা আর ব্যাখ্যা করতে পারি না, তখন সেটাই আমাদের কাছে জাদু বলে মনে হয়। এই ব্যাখ্যাটা থর নিজেই দিয়েছিলো "তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যাকে ম্যাজিক বলতো, তোমরা এখন যেটাকে সায়েন্স বলো—আমি এমন এক জায়গা থেকে এসেছি, যেখানে এই দুটো একই জিনিস।" এই কথায় লুকানো রয়েছে পুরো রহস্যের চাবিকাঠি। অ্যাসগার্ডিয়ানরা আসলে এমন এক সভ্যতার অংশ, যারা বিজ্ঞানের এমন স্তরে পৌঁছে গেছে, যা আমাদের কাছে অলৌকিক মনে হয়। বাইফ্রস্ট দিয়ে মুহূর্তেই এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাওয়া, মহাবিশ্বের শক্তিকে অস্ত্রে রূপান্তর করা, এমনকি কসমিক ফোর্স নিয়ন্ত্রণ করার মতো ক্ষমতা—এসব কিছুই আমাদের বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারে না। তাই আমরা বলে ফেলি—এটা ম্যাজিক। কিন্তু ওডিন নিজেই বলেছিলেন, "আমরা দেবতা নই। আমরা অমর নই, শুধু দীর্ঘজীবী। আমরা অলৌকিক না, কিন্তু অসাধারণ।" এই স্বীকারোক্তিই অ্যাসগার্ডের আসল পরিচয়। তাদের দৈহিক গঠন, ক্ষমতা, প্রযুক্তি, কল্পনা সব কিছু এমনভাবে তৈরি যে তারা আমাদের থেকে আলাদা। কিন্তু তারা নিখুঁত নয়। তারা ভুল করে, ভালোবাসে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি মরে যায়। ওডিন, ফ্রিগা, লোকি এরা সবাই মৃত্যুর স্বাদ পেয়েছে। এরা একদমই কোনো চিরন্তন ঈশ্বর নয়। এরা রক্তমাংসের মানুষ, কিন্তু এমন মানুষ যারা সময়, পদার্থ আর শক্তির নিয়ম নিজের মত করে মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। কিছু তত্ত্ব বলে, অ্যাসগার্ডিয়ানরা আসলে কোনো প্রাচীন এলিয়েন রেসের শাখা, আবার কিছু মতে, তারা এটার্নালসদের কাছাকাছি কোনো কসমিক সত্তা, যাদের দেহে অলফাদার ফোর্স বা স্টর্মফোর্স কাজ করে—এমন শক্তি, যা সময় আর বাস্তবতাকেও বাঁকাতে পারে। তবে এসব শক্তি থাকা সত্ত্বেও, তারা নিজেদের ভাঙে, গড়ে, পরিবর্তিত হয়। লোকি যেমন প্রথমে এক প্রতারক ছিলো, পরে নিজেই বাঁচাতে চেয়েছে সবকিছু। থর যেমন এক অহংকারী রাজপুত্র ছিলো, পরে নিজেই নিজের অস্ত্র ভেঙে দিয়েছে অহংকার হারাতে। এদের গল্পে তাই ঈশ্বরীয় ক্ষমতার চেয়ে বেশি ধরা দেয় এক মানবিক যুদ্ধ—নিজের ভিতরের লড়াই, নিজের দায়, ভালোবাসা আর আত্মত্যাগের গল্প। তাহলে? অ্যাসগার্ডিয়ানরা আসলে কি? অ্যাসগার্ডিয়ানরা নিজেদের দেবতা বলে দাবি করে না। বরং, মানুষের চোখে তারা দেবতাসদৃশ—কিন্তু তারা নিজেরা জানে, তাদেরও সীমা আছে। তারা যুদ্ধ করে, ভালোবাসে, ভুল করে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং একসময় মারা যায়। তারা যদি আসল দেবতা হতো, তাহলে ওডিনের মৃত্যু হতো না, ফ্রিগার আত্মত্যাগ হতো না, থরের এত আত্মসংঘর্ষ থাকতো না। এই দ্বিধা, এই ধোঁয়াশা—এইটুকুই অ্যাসগার্ডিয়ানদের আসল পরিচয়। তারা আমাদের কল্পনায় ঈশ্বর, কিন্তু বাস্তবে হয়তো এমনই কেউ, যাদের আমরা এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি।
    Love
    2
    0 Комментарии 0 Поделились 133 Просмотры
Расширенные страницы
BlackBird Ai
https://bbai.shop