• পৃথিবী প্রতি ২৬ সেকেন্ডে একবার করে কেঁপে উঠছে! এই কম্পন এতটাই মৃদু যে আমরা টের পাই না, কিন্তু সিসমোমিটার (ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র) এটা বুঝতে পারে। এটি আবিস্কারের ৬৫ বছরের মধ্যে নানা গবেষণা হলেও এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি পৃথিবী কেন এমনভাবে বারবার কেঁপে ওঠে।

    এই কম্পন প্রথম শনাক্ত করেন বিজ্ঞানী জ্যাক অলিভার। তিনি দেখেন, এটি আসছে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। পরে ১৯৮০ সালে ভূতত্ত্ববিদ গ্যারি হোলকম্ব আবিষ্কার করেন, ঝড়ের সময় এই কম্পন সবচেয়ে শক্তিশালী হয়।

    দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবারও এটি শনাক্ত করেন এবং উৎস নির্ধারণ করেন আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের গিনি উপসাগরে। ঠিক কী কারণে এটি হচ্ছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।

    ২০১১ সালে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষক গ্যারেট ইউলার আরও নির্দিষ্টভাবে দেখান, এর উৎস গিনি উপসাগরের "বাইট অব বনি" এলাকা। তার মতে, সমুদ্রের ঢেউ যখন মহাদেশীয় প্রান্তে আঘাত করে, তখন সমুদ্রতল কেঁপে ওঠার কারণে এই কম্পন হয়। তবে চীনের কিছু বিজ্ঞানীর মতে, এর পেছনে কারণ হতে পারে কাছের সাও টোমে (Sao Tome) দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। জাপানের আসো (Aso) আগ্নেয়গিরি থেকেও একই ধরনের কম্পন পাওয়া গেছে।

    তবুও প্রশ্ন রয়েই গেছে, বিশ্বে আরও অনেক মহাদেশীয় প্রান্ত ও আগ্নেয়গিরি থাকলেও এমন স্পন্দন সেখান থেকে আসে না। শুধু এই বিশেষ জায়গাতেই কেনো? প্রায় ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও এর আসল কারণ অজানা, যা ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের জন্য কৌতূহল ও অনুসন্ধানের বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।

    তাসিনুল সাকিফ
    লেখক, বিজ্ঞান্বেষী

    সূত্র : পপুলার মেকানিকস

    #EarthScience #Geology #SeismicMystery #26SecondPulse #ScienceUnsolved #গবেষণা
    পৃথিবী প্রতি ২৬ সেকেন্ডে একবার করে কেঁপে উঠছে! এই কম্পন এতটাই মৃদু যে আমরা টের পাই না, কিন্তু সিসমোমিটার (ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র) এটা বুঝতে পারে। এটি আবিস্কারের ৬৫ বছরের মধ্যে নানা গবেষণা হলেও এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি পৃথিবী কেন এমনভাবে বারবার কেঁপে ওঠে। এই কম্পন প্রথম শনাক্ত করেন বিজ্ঞানী জ্যাক অলিভার। তিনি দেখেন, এটি আসছে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। পরে ১৯৮০ সালে ভূতত্ত্ববিদ গ্যারি হোলকম্ব আবিষ্কার করেন, ঝড়ের সময় এই কম্পন সবচেয়ে শক্তিশালী হয়। দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবারও এটি শনাক্ত করেন এবং উৎস নির্ধারণ করেন আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের গিনি উপসাগরে। ঠিক কী কারণে এটি হচ্ছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি তারা। ২০১১ সালে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষক গ্যারেট ইউলার আরও নির্দিষ্টভাবে দেখান, এর উৎস গিনি উপসাগরের "বাইট অব বনি" এলাকা। তার মতে, সমুদ্রের ঢেউ যখন মহাদেশীয় প্রান্তে আঘাত করে, তখন সমুদ্রতল কেঁপে ওঠার কারণে এই কম্পন হয়। তবে চীনের কিছু বিজ্ঞানীর মতে, এর পেছনে কারণ হতে পারে কাছের সাও টোমে (Sao Tome) দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। জাপানের আসো (Aso) আগ্নেয়গিরি থেকেও একই ধরনের কম্পন পাওয়া গেছে। তবুও প্রশ্ন রয়েই গেছে, বিশ্বে আরও অনেক মহাদেশীয় প্রান্ত ও আগ্নেয়গিরি থাকলেও এমন স্পন্দন সেখান থেকে আসে না। শুধু এই বিশেষ জায়গাতেই কেনো? প্রায় ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও এর আসল কারণ অজানা, যা ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের জন্য কৌতূহল ও অনুসন্ধানের বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তাসিনুল সাকিফ লেখক, বিজ্ঞান্বেষী সূত্র : পপুলার মেকানিকস #EarthScience #Geology #SeismicMystery #26SecondPulse #ScienceUnsolved #গবেষণা
    0 Commentaires 0 Parts 934 Vue
  • আমার যে বন্ধুটি কোনদিন গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ দেখেননি এবং সেখানে ডুব দিবেন না তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি মাউন্ট এভারেস্টের চকচকে চূড়া দূর থেকে দেখেননি তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি বিস্তীর্ণ প্রেইরীর তেপান্তরের মাঠ আর সেখানে চরে বেড়ানো বাইসনের পাল দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি আকাশ ঝলমল করা সবুজ অরোরার (মেরুজ্যোতি) আলোর নিচে বসে হতবাক গগন পানে তাকিয়ে থাকবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জিনিস কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি সুন্দরবনের গভীর নিস্তব্ধতা চিরে ঈগলের তীক্ষ ডাক আর বাঘের ছমছমে গর্জন শুনবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি সাহারা মরুভূমির বালিয়াড়িতে বিমুগ্ধ বিস্ময়ে আরোহণ করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি আন্দেজের ইনকা শহর মাচু পিচুর চাতালে দাঁড়িয়ে মেঘের চাদরে নিজেকে জড়াবেন না কোনদিন, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি উত্তরের পাতাঝরা বনের শরতের রঙবেরঙের ক্যানভাসে শুয়ে শরতকে অনুভব করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি আফ্রিকার লিমপোপো নদীর তীরে লক্ষ লক্ষ হরিণ, জেব্রার গ্রেট মাইগ্রেশন দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি নীল নদের জলে পা ভিজিয়ে পিরামিডের দিকে মানুষের সৃষ্টিশীলতায় বোবা বিস্ময় নিয়ে তাকায় নাই তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    কিন্তু আমার যে বন্ধুটা সূর্যোদয় দেখেনি, দেখেনি কী করে পূর্ব দিগন্ত থেকে বিন্দু বিন্দু আলো জমে তীরের মত তারা দিগন্ত দখল করে নেয়, কিভাবে অন্ধকার এক জগত অপূর্ব আলোয় হেসে ওঠে- তার জন্য আমার মন খারাপ হয়।

    কারণ সে পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন, একটু ভোরে উঠলেই দিনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টা দেখতে পারত। একটা নতুন দিনের জন্ম দেখতে পারত।

    তার এবং তাদের জন্য আমার মন খারাপ হয়।

    আপনি কবে শেষবারের মতো সূর্যোদয় দেখেছেন?

    Good morning, Planet Earth!

    তাবুর মধ্যে থেকে দেখা দৃশ্য
    আমার যে বন্ধুটি কোনদিন গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ দেখেননি এবং সেখানে ডুব দিবেন না তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি মাউন্ট এভারেস্টের চকচকে চূড়া দূর থেকে দেখেননি তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি বিস্তীর্ণ প্রেইরীর তেপান্তরের মাঠ আর সেখানে চরে বেড়ানো বাইসনের পাল দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি আকাশ ঝলমল করা সবুজ অরোরার (মেরুজ্যোতি) আলোর নিচে বসে হতবাক গগন পানে তাকিয়ে থাকবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জিনিস কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি সুন্দরবনের গভীর নিস্তব্ধতা চিরে ঈগলের তীক্ষ ডাক আর বাঘের ছমছমে গর্জন শুনবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি সাহারা মরুভূমির বালিয়াড়িতে বিমুগ্ধ বিস্ময়ে আরোহণ করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি আন্দেজের ইনকা শহর মাচু পিচুর চাতালে দাঁড়িয়ে মেঘের চাদরে নিজেকে জড়াবেন না কোনদিন, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি উত্তরের পাতাঝরা বনের শরতের রঙবেরঙের ক্যানভাসে শুয়ে শরতকে অনুভব করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি আফ্রিকার লিমপোপো নদীর তীরে লক্ষ লক্ষ হরিণ, জেব্রার গ্রেট মাইগ্রেশন দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি নীল নদের জলে পা ভিজিয়ে পিরামিডের দিকে মানুষের সৃষ্টিশীলতায় বোবা বিস্ময় নিয়ে তাকায় নাই তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। কিন্তু আমার যে বন্ধুটা সূর্যোদয় দেখেনি, দেখেনি কী করে পূর্ব দিগন্ত থেকে বিন্দু বিন্দু আলো জমে তীরের মত তারা দিগন্ত দখল করে নেয়, কিভাবে অন্ধকার এক জগত অপূর্ব আলোয় হেসে ওঠে- তার জন্য আমার মন খারাপ হয়। কারণ সে পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন, একটু ভোরে উঠলেই দিনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টা দেখতে পারত। একটা নতুন দিনের জন্ম দেখতে পারত। তার এবং তাদের জন্য আমার মন খারাপ হয়। আপনি কবে শেষবারের মতো সূর্যোদয় দেখেছেন? Good morning, Planet Earth! তাবুর মধ্যে থেকে দেখা দৃশ্য
    0 Commentaires 0 Parts 289 Vue
  • ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস ক্রিকেটের মেগা ফাইনালে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। দলের হয়ে বিধ্বংসী শতক হাঁকিয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ৪৭ বলে তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এবং ৬০ বলে অপরাজিত ১২০ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন। ১২টি চার ও ৭টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। এর পাশাপাশি জেপি ডুমিনিও ২৮ বলে অপরাজিত ৫০ রান করে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। পাকিস্তানের হয়ে শারজিল খান ৭৬ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেললেও তা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
    ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস ক্রিকেটের মেগা ফাইনালে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। দলের হয়ে বিধ্বংসী শতক হাঁকিয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ৪৭ বলে তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এবং ৬০ বলে অপরাজিত ১২০ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন। ১২টি চার ও ৭টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। এর পাশাপাশি জেপি ডুমিনিও ২৮ বলে অপরাজিত ৫০ রান করে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। পাকিস্তানের হয়ে শারজিল খান ৭৬ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেললেও তা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
    0 Commentaires 0 Parts 66 Vue
  • দক্ষিণ আফ্রিকার বাবেম্বা গোত্রে, কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ বা ভুল করলে, বাকি সবাই মিলে তাকে গ্রামের মধ্যিখানে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে, তারা সবাই মিলে টানা

    দুই দিন ওই ব্যক্তিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে এবং এপর্যন্ত করে আসা তার ভালো কাজ ও ভালো ব্যবহারগুলোর স্মৃতিচারণ করতে থাকে মুগ্ধ হয়ে।

    অপরাধ করা সেই ব্যক্তিটিকে তারা তিরস্কার করে না, লাঞ্ছিত করে না, অপমান করে না। তারা বিশ্বাস করে: পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই ভালো; কিন্তু, মাঝেমধ্যে ভুল করে ফেলে মানুষ, যে-ভুলের অর্থ─ মানুষটি আশেপাশের মানুষের সহযোগিতা আর ভালোবাসার অভাবে তীব্র যন্ত্রণায় কাঁদছে।

    মানুষটিকে তারা তার অতীতের সমস্ত ভালো'র স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে, সেই ভালোতে তার আশেপাশের অন্যদের জীবন কীভাবে পালটে গেছে, কতোটা উপকার হয়েছে অন্যের, সেসব গল্প বলতে-বলতে, বুকে জড়িয়ে নেয় একে-একে। ওসময়, ভুল করা মানুষটি, এতো মমতা, এমন প্রেম, মানবিকতার অমন রূপময়তা সহ্য করতে না-পেরে, ডুকরে ওঠে। সে তার ভুল বুঝতে পারে। সে, শুধরে যায়, মানুষের ভালোবাসায়। মানুষের ভালোবাসা কী না পারে!

    "মানুষকে অপমান কোরো না।"

    ─ বাবেম্বা
    দক্ষিণ আফ্রিকার বাবেম্বা গোত্রে, কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ বা ভুল করলে, বাকি সবাই মিলে তাকে গ্রামের মধ্যিখানে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে, তারা সবাই মিলে টানা দুই দিন ওই ব্যক্তিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে এবং এপর্যন্ত করে আসা তার ভালো কাজ ও ভালো ব্যবহারগুলোর স্মৃতিচারণ করতে থাকে মুগ্ধ হয়ে। অপরাধ করা সেই ব্যক্তিটিকে তারা তিরস্কার করে না, লাঞ্ছিত করে না, অপমান করে না। তারা বিশ্বাস করে: পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই ভালো; কিন্তু, মাঝেমধ্যে ভুল করে ফেলে মানুষ, যে-ভুলের অর্থ─ মানুষটি আশেপাশের মানুষের সহযোগিতা আর ভালোবাসার অভাবে তীব্র যন্ত্রণায় কাঁদছে। মানুষটিকে তারা তার অতীতের সমস্ত ভালো'র স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে, সেই ভালোতে তার আশেপাশের অন্যদের জীবন কীভাবে পালটে গেছে, কতোটা উপকার হয়েছে অন্যের, সেসব গল্প বলতে-বলতে, বুকে জড়িয়ে নেয় একে-একে। ওসময়, ভুল করা মানুষটি, এতো মমতা, এমন প্রেম, মানবিকতার অমন রূপময়তা সহ্য করতে না-পেরে, ডুকরে ওঠে। সে তার ভুল বুঝতে পারে। সে, শুধরে যায়, মানুষের ভালোবাসায়। মানুষের ভালোবাসা কী না পারে! "মানুষকে অপমান কোরো না।" ─ বাবেম্বা
    0 Commentaires 0 Parts 143 Vue
  • আমি মাঝে মাঝে আমার neighbourhood school এ volunteer এর কাজ করি, এত চমৎকার লাগে আমেরিকার স্কুল, শিক্ষক, খেলার মাঠ, পড়ানোর ধরন। আমাদের দেশের বাচ্চাগুলোর ব‍্যাগভর্তি করে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া আর বড় ক্লাসের কোচিং সংস্কৃতির কথা ভেবে একটু মনও খারাপ হয়। এরা কত আনন্দ নিয়ে শেখে । আমার মনে আছে আমাদের স্কুলে শুধু একটা খেলার মাঠই ছিলো, খেলার কিছু ছিল না।শিক্ষকের ভয়ে তটস্থ, মুখস্থ বিদ‍্যা, বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর ছিলো না কোন প্রাকটিক‍্যাল শেখার মাধ্যম, কি শিখেছি আর কি শিখি নাই মনে পরে না। নাহ, অনুযোগ না, কিছুটা আফসোস হয় একই পৃথিবীর ভিতরে মনে হয় ভিন্ন দুই গ্রহ।

    আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায় তিন মাসের একটি দীর্ঘ সামার ব্রেক থাকে, যা অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার স্কুলগুলো এই দীর্ঘ ছুটিকে দেখে রিকভারি টাইম হিসেবে। শুধু পড়াশোনা থেকে নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটা সুযোগ হিসেবেও।

    এই ছুটির সময়টা আমেরিকান শিশুরা নানা রকম সৃজনশীল কাজে অংশ নেয় যেমন ক্যাম্পে যায়, পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করে, খেলাধুলা, আর্ট, মিউজিক, কিংবা পার্ট-টাইম জবও করে। এতে তারা কেবল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা পায়।

    এখানে আরো দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের হাতেই খাবার খাচ্ছে, নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে, লাঞ্চবক্স খুলে খাচ্ছে, খাওয়ার পরে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে গিয়ে জিনিস ফেলে আসছে। কাউকে বলার দরকার হয় না।খুদে খুদে বাচ্চারা কাজ গুলো করে এক বড় বড় ভাব নিয়ে যখন হাটে, দেখতেও ভারি ভালো লাগে। ওদের self eateem এভাবেই গড়ে ওঠে। আমাদের ক্লাস 9/10 এর অনেক বাবু!দের মায়েরা খাইয়ে দেয় (আমিও খাইছি মায়ের হাতে বুড়া বয়সে) এসব এখানে চিন্তাই করা যায় না!

    আমেরিকান শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিশুর ‍mental health টা যেমন গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তিত্ব গঠনের সুযোগ করে দেয়, ভদ্রতা শিখায়, আত্মনির্ভরশীল করে, সোসাল স্কিল বাড়ায়, এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখায় না। বাংলাদেশেও যদি শিক্ষার্থীদের চাপ কিছুটা কমিয়ে, ওদের শৈশবটাকে একটু উপভোগ করতে দিত, একটু ব্রেক পেত বাচ্চাগুলো, একটু life skill বা social skill শেখানো হত, তাহলে হয়তো আমরা আরো ব্যালান্সড, হ্যাপি এবং আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম পেতাম।

    শিশুরা জন্ম নেয় ভালোবাসা আর আনন্দ নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য, প্রতিযোগিতার বোঝা টানার জন্য নয়। তাই প্যারেন্টদের বলবো, শুধু ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দিয়ে তাদের শৈশবটাকে কঠিন করে তুলবেন না। ভালো রেজাল্ট নয়, ভালো মানুষ হওয়াটাই যেন হয় আমাদের মূল লক্ষ্য।

    Sajia Tonny
    আমি মাঝে মাঝে আমার neighbourhood school এ volunteer এর কাজ করি, এত চমৎকার লাগে আমেরিকার স্কুল, শিক্ষক, খেলার মাঠ, পড়ানোর ধরন। আমাদের দেশের বাচ্চাগুলোর ব‍্যাগভর্তি করে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া আর বড় ক্লাসের কোচিং সংস্কৃতির কথা ভেবে একটু মনও খারাপ হয়। এরা কত আনন্দ নিয়ে শেখে । আমার মনে আছে আমাদের স্কুলে শুধু একটা খেলার মাঠই ছিলো, খেলার কিছু ছিল না।শিক্ষকের ভয়ে তটস্থ, মুখস্থ বিদ‍্যা, বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর ছিলো না কোন প্রাকটিক‍্যাল শেখার মাধ্যম, কি শিখেছি আর কি শিখি নাই মনে পরে না। নাহ, অনুযোগ না, কিছুটা আফসোস হয় একই পৃথিবীর ভিতরে মনে হয় ভিন্ন দুই গ্রহ। আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায় তিন মাসের একটি দীর্ঘ সামার ব্রেক থাকে, যা অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার স্কুলগুলো এই দীর্ঘ ছুটিকে দেখে রিকভারি টাইম হিসেবে। শুধু পড়াশোনা থেকে নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটা সুযোগ হিসেবেও। এই ছুটির সময়টা আমেরিকান শিশুরা নানা রকম সৃজনশীল কাজে অংশ নেয় যেমন ক্যাম্পে যায়, পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করে, খেলাধুলা, আর্ট, মিউজিক, কিংবা পার্ট-টাইম জবও করে। এতে তারা কেবল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা পায়। এখানে আরো দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের হাতেই খাবার খাচ্ছে, নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে, লাঞ্চবক্স খুলে খাচ্ছে, খাওয়ার পরে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে গিয়ে জিনিস ফেলে আসছে। কাউকে বলার দরকার হয় না।খুদে খুদে বাচ্চারা কাজ গুলো করে এক বড় বড় ভাব নিয়ে যখন হাটে, দেখতেও ভারি ভালো লাগে। ওদের self eateem এভাবেই গড়ে ওঠে। আমাদের ক্লাস 9/10 এর অনেক বাবু!দের মায়েরা খাইয়ে দেয় (আমিও খাইছি মায়ের হাতে বুড়া বয়সে) এসব এখানে চিন্তাই করা যায় না! আমেরিকান শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিশুর ‍mental health টা যেমন গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তিত্ব গঠনের সুযোগ করে দেয়, ভদ্রতা শিখায়, আত্মনির্ভরশীল করে, সোসাল স্কিল বাড়ায়, এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখায় না। বাংলাদেশেও যদি শিক্ষার্থীদের চাপ কিছুটা কমিয়ে, ওদের শৈশবটাকে একটু উপভোগ করতে দিত, একটু ব্রেক পেত বাচ্চাগুলো, একটু life skill বা social skill শেখানো হত, তাহলে হয়তো আমরা আরো ব্যালান্সড, হ্যাপি এবং আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম পেতাম। শিশুরা জন্ম নেয় ভালোবাসা আর আনন্দ নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য, প্রতিযোগিতার বোঝা টানার জন্য নয়। তাই প্যারেন্টদের বলবো, শুধু ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দিয়ে তাদের শৈশবটাকে কঠিন করে তুলবেন না। ভালো রেজাল্ট নয়, ভালো মানুষ হওয়াটাই যেন হয় আমাদের মূল লক্ষ্য। Sajia Tonny
    Wow
    1
    0 Commentaires 0 Parts 241 Vue
  • অবশেষে আজ ১ আগস্ট বাংলাদেশের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হলো।
    এছাড়া পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫, ভারতের ওপর ২৫, ব্রাজিলের ওপর ১০, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯, মিয়ানমারের ওপর ৪০, ফিলিপাইনের ওপর ১৯, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
    অবশেষে আজ ১ আগস্ট বাংলাদেশের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হলো। এছাড়া পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫, ভারতের ওপর ২৫, ব্রাজিলের ওপর ১০, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯, মিয়ানমারের ওপর ৪০, ফিলিপাইনের ওপর ১৯, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
    Wow
    1
    0 Commentaires 0 Parts 130 Vue
  • নেলসন ম্যান্ডেলার দশ সূত্র।
    ১. ডিমান্ড রেসপেক্ট।
    যে তোমাকে শ্রদ্ধা করবে না তার মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দাও। সশব্দে বন্ধ করে দাও।
    ২. তাদের ভুল প্রমাণ করো।
    যারা বলে তুমি পারবে না, তোমার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে তাদের ভুল প্রমাণ করা। এর জন্য শুধু জেদ থাকলেই চলবে, আর কিছু লাগবে না।
    ৩. সময়কে ভালোবাসো।
    জীবনটা খুব দীর্ঘ নয় যে শুয়েবসে কাটাবে। চোখের পাতা পড়ছে, এক ভগ্নাংশ সেকেন্ড চলে যাচ্ছে। তাই সময়টা ব্যবহার করো। প্রতিটি মানুষ মৃত্যুশয্যায় সময় নিয়ে আফসোস করে। এর ব্যতিক্রম কখনো হয়নি, হবেও না।
    ৪. বিড়ালটি কালো না সাদা জানার দরকার নেই।
    আমার কাজটি হওয়াটাই জরুরি। তাই আমি সে পদ্ধতিতেই এগুবো যেটা আমাকে সফল করবে। বিড়ালটি কি সাদা না কালো তা আমার জানার দরকার নেই, শুধু সেটা ইঁদুর মারতে পারলেই হলো। তবে দুষ্ট বিড়াল হলে চলবে না, মানে, অসৎ পথ হলে চলবে না।
    ৫. বদলে দিতে চাও? আগে নিজে বদলাও।
    অনেককিছুই বদলে দিতে ইচ্ছে করে তাই না? তাহলে আগে নিজে বদলাও। আত্মশুদ্ধি ছাড়া অন্যকে শুদ্ধ করা যায় না। একজন মাতাল আরেকজন মাতালকে উপদেশ দিতে পারে না। দিস ইজ অ্যাবসার্ড।
    ৬. বড়ো মানুষ সব সময় বড়ো নয়।
    বড়ো মানুষকেই হিরো বানাতে হবে তা নয়।।যিনি তোমার ভালো চান, তিনিই তোমার হিরো। কারণ তিনিই তোমাকে পথ দেখাবেন। পত্রিকার ছবি থেকে উঠে এসে বিখ্যাত মানুষটি কখনোই তোমার হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন না।
    ৭. টেইক অ্যা স্টান্ড- নিজের মতে শক্ত থাকো।
    যদি তোমার মত ন্যায্য হয়, তাতেই অটল থাকো। সুপারি গাছের মতো বাতাস যেদিকে দোলে সেদিকে দুলবে না, মড়াৎ করে কোমর ভেঙে যাবে।
    ৮. আবেগ নয়, মগজ খাটাও।
    বেশিরভাগ ইমোশনাল সিদ্ধান্তের পরিণতি খারাপ হয়। তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে মাথা খাটিয়ে, তাহলেই পথের নিশানা পাবে। মাঝে মাঝে আবেগকে মগজের নিচে কবর দিতে হয়।
    ৯. নিঃশ্বাসের সাথে বিশ্বাস বদলিও না।
    তোমার বিশ্বাস হতে হবে অটল বিশ্বাস। যখন যার কোলে তাকে চুমু খেয়ে নিজের বিশ্বাস বদলে ফেলা মানে আত্মার মরণ। এটা করলে তুমি আর মানুষ থাকো না, মানুষের ছায়া হয়ে বেঁচে থাকো মাত্র।
    ১০. নীতির জন্য মৃত্যু, উজ্জ্বল মৃত্যু।
    আমি জানতাম যেকোনো মুহূর্তে আমার ফাঁসি হতে পারে, কিন্তু আমি আপোষ করিনি। নীতির জন্য আমার মৃত্যু হলেও তা হতো উজ্জ্বল মৃত্যু, যাকে ইতিহাস সম্মান করতো।
    নেলসন ম্যান্ডেলার দশ সূত্র। ১. ডিমান্ড রেসপেক্ট। যে তোমাকে শ্রদ্ধা করবে না তার মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দাও। সশব্দে বন্ধ করে দাও। ২. তাদের ভুল প্রমাণ করো। যারা বলে তুমি পারবে না, তোমার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে তাদের ভুল প্রমাণ করা। এর জন্য শুধু জেদ থাকলেই চলবে, আর কিছু লাগবে না। ৩. সময়কে ভালোবাসো। জীবনটা খুব দীর্ঘ নয় যে শুয়েবসে কাটাবে। চোখের পাতা পড়ছে, এক ভগ্নাংশ সেকেন্ড চলে যাচ্ছে। তাই সময়টা ব্যবহার করো। প্রতিটি মানুষ মৃত্যুশয্যায় সময় নিয়ে আফসোস করে। এর ব্যতিক্রম কখনো হয়নি, হবেও না। ৪. বিড়ালটি কালো না সাদা জানার দরকার নেই। আমার কাজটি হওয়াটাই জরুরি। তাই আমি সে পদ্ধতিতেই এগুবো যেটা আমাকে সফল করবে। বিড়ালটি কি সাদা না কালো তা আমার জানার দরকার নেই, শুধু সেটা ইঁদুর মারতে পারলেই হলো। তবে দুষ্ট বিড়াল হলে চলবে না, মানে, অসৎ পথ হলে চলবে না। ৫. বদলে দিতে চাও? আগে নিজে বদলাও। অনেককিছুই বদলে দিতে ইচ্ছে করে তাই না? তাহলে আগে নিজে বদলাও। আত্মশুদ্ধি ছাড়া অন্যকে শুদ্ধ করা যায় না। একজন মাতাল আরেকজন মাতালকে উপদেশ দিতে পারে না। দিস ইজ অ্যাবসার্ড। ৬. বড়ো মানুষ সব সময় বড়ো নয়। বড়ো মানুষকেই হিরো বানাতে হবে তা নয়।।যিনি তোমার ভালো চান, তিনিই তোমার হিরো। কারণ তিনিই তোমাকে পথ দেখাবেন। পত্রিকার ছবি থেকে উঠে এসে বিখ্যাত মানুষটি কখনোই তোমার হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন না। ৭. টেইক অ্যা স্টান্ড- নিজের মতে শক্ত থাকো। যদি তোমার মত ন্যায্য হয়, তাতেই অটল থাকো। সুপারি গাছের মতো বাতাস যেদিকে দোলে সেদিকে দুলবে না, মড়াৎ করে কোমর ভেঙে যাবে। ৮. আবেগ নয়, মগজ খাটাও। বেশিরভাগ ইমোশনাল সিদ্ধান্তের পরিণতি খারাপ হয়। তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে মাথা খাটিয়ে, তাহলেই পথের নিশানা পাবে। মাঝে মাঝে আবেগকে মগজের নিচে কবর দিতে হয়। ৯. নিঃশ্বাসের সাথে বিশ্বাস বদলিও না। তোমার বিশ্বাস হতে হবে অটল বিশ্বাস। যখন যার কোলে তাকে চুমু খেয়ে নিজের বিশ্বাস বদলে ফেলা মানে আত্মার মরণ। এটা করলে তুমি আর মানুষ থাকো না, মানুষের ছায়া হয়ে বেঁচে থাকো মাত্র। ১০. নীতির জন্য মৃত্যু, উজ্জ্বল মৃত্যু। আমি জানতাম যেকোনো মুহূর্তে আমার ফাঁসি হতে পারে, কিন্তু আমি আপোষ করিনি। নীতির জন্য আমার মৃত্যু হলেও তা হতো উজ্জ্বল মৃত্যু, যাকে ইতিহাস সম্মান করতো।
    Love
    2
    0 Commentaires 0 Parts 119 Vue
  • বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, সৌদি আরবে এখনও হযরত ওসমান (রাঃ) এর নামে দলিল করা সম্পত্তি রয়েছে। রয়েছে ব্যাংক একাউন্টও। সম্প্রতি শুরু হয়েছে ওসমান (রাঃ) এর মালিকানাধীন বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণের কাজ!

    কিন্তু ওসমান (রাঃ) এর প্রয়াণের এতো দিন পরেও কিভাবে তার নামে সহায় সম্পত্তি থেকে গেলো, তা কি আমরা জানি?

    সময়টা মহানবী (সাঃ) নবুওয়াত প্রাপ্তির ১৩তম বছর। মুসলমানরা মাত্র মক্কা ছেড়ে মদিনায় এসেছেন। অচেনা পরিবেশে দেখা দেয় সুপেয় পানির তীব্র সংকট। মদিনায় ‘বিরে রুমা’ বা রুমার কূপ নামে এক ইহুদির একটি কূপ ছিল। ইহুদি ব্যক্তিটি এ সুযোগে কূপের পানি মুসলমানদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করতে শুরু করলো।

    মক্কা থেকে সহায় সম্বল ছেড়ে দিয়ে আসা সাহাবাদের জন্য পানি কিনে আনাটা খুব কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো। সাহাবারা রাসূল (সাঃ) কে এই বিষয়ে অবগত করলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন- ‘তোমাদের মধ্যে কে আছো, যে এই কূপ মুসলমানদের জন্য ক্রয় করে দিবে। মুসলমানদের এই কূপ যে খরিদ করে দেবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে ঝর্ণা দান করবেন’। সুবহান আল্লাহ!

    রাসূল (সাঃ) এর কথায় হযরত ওসমান (রাঃ) ইহুদির কাছে এই কূপ ক্রয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করলে ইহুদি নাকচ করে দিলো। তখন তিনি বললেন- ‘পুরো কূপ বিক্রি না করলেও অর্ধেক বিক্রি করুন। এতে একদিন কূপের মালিক হব আমি আর আরেক দিন আপনি’।

    ইহুদি লোকটি তার প্রস্তাবে রাজি হলো। ওসমান (রাঃ) অর্ধেক কূপ ক্রয় করে বিনামূল্যে পানি বিতরণ করতে লাগলেন। লোকজন ওসমান (রাঃ) ক্রয় করা নির্ধারিত দিনে পানি সংগ্রহ করতো এবং পরের দিনের জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ করে রাখত।

    ইহুদির দিনে কেউ পানি সংগ্রহ করতে যেত না। ফলে তার পানির ব্যবসা মন্দা হওয়ায় নিজেই পুরো কূপ বিক্রির জন্য ওসমান (রাঃ) এর কাছে প্রস্তাব পেশ করে।

    ওসমান (রাঃ) সেই সময়ে ৩৫ হাজার রৌপ্য মুদ্রায় কূপটি কিনে মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ করে দেন।

    এ সময় এক ধনী লোক ওসমান (রাঃ) থেকে কূপটি দ্বিগুণ দামে খরিদ করতে চাইলে তিনি বলেন- ‘আমার চাহিদা এর চেয়ে আরও অনেক বেশি’। লোকটি মূল্য বাড়িয়ে বলতে লাগলো। ওসমান (রাঃ) জবাবে আবারো বলেলেন- ‘আমার চাহিদা এর চেয়ে আরও বেশি’।

    এভাবেই চলতে থাকলো কিছুক্ষণ। শেষে ধনী লোকটি জিজ্ঞেস করলো- ‘এমন কেউ কি আছে, যে আপনাকে কূপটির মূল্য ১০ গুণ বলেছে’? ওসমান (রাঃ) জবাবে বললেন- ‘আমার আল্লাহ আমাকে প্রতি নেকিতে ১০ গুণ বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছেন’। সুবহান আল্লাহ

    হযরত ওসমান (রাঃ) এর শাসনামলে এই কূপের চারপাশে খেজুর বাগান তৈরি হয়। সময়ের চাকা ঘুরে বহু উত্থান-পতনের পর সৌদি রাজপরিবার সৌদি আরবের রাজসিংহাসনে বসার সময় এই বাগানে খেজুর গাছের সংখ্যা ১৫৫০টিতে পৌঁছায়। সরকার বাগানের চারদিকে দেয়াল তৈরি করে দেয়।

    এরপর এই ভূসম্পত্তি হযরত ওসমান (রাঃ) এর নামে দলিল করে দেয় এবং তার নামে খুলে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। সৌদির কৃষি মন্ত্রণালয় এই বাগানের খেজুর বিক্রি করে অর্জিত অর্থ ওসমান (রাঃ) একাউন্টে জমা রাখে।

    সঞ্চিত অর্থ দিয়ে মদিনায় একটি বড় প্রপার্টি ক্রয় করা হয়েছে। যেখানে ‘হোটেল ওসমান বিন আফফান’ নামে একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণের কাজ চলছে। এই হোটেল থেকে প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন রিয়াল আয় হবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার। এই অর্থের অর্ধেক অসহায়-দুস্থদের মানবতার সেবায় ব্যয় করা হবে আর অর্ধেক হযরত ওসমান (রা.) ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে, যা দিয়ে বাগ্ন রক্ষণাবেক্ষন এবং বিভিন্ন ব্যয় নিরুপণ করা হবে।

    সুবহান আল্লাহ। ওসমান (রাঃ) এ দান আল্লাহ এমনভাবে গ্রহণ করে নিয়েছেন যে, কেয়ামত পর্যন্ত সেই দানের ধারা চালু থাকবে।
    বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, সৌদি আরবে এখনও হযরত ওসমান (রাঃ) এর নামে দলিল করা সম্পত্তি রয়েছে। রয়েছে ব্যাংক একাউন্টও। সম্প্রতি শুরু হয়েছে ওসমান (রাঃ) এর মালিকানাধীন বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণের কাজ! কিন্তু ওসমান (রাঃ) এর প্রয়াণের এতো দিন পরেও কিভাবে তার নামে সহায় সম্পত্তি থেকে গেলো, তা কি আমরা জানি? সময়টা মহানবী (সাঃ) নবুওয়াত প্রাপ্তির ১৩তম বছর। মুসলমানরা মাত্র মক্কা ছেড়ে মদিনায় এসেছেন। অচেনা পরিবেশে দেখা দেয় সুপেয় পানির তীব্র সংকট। মদিনায় ‘বিরে রুমা’ বা রুমার কূপ নামে এক ইহুদির একটি কূপ ছিল। ইহুদি ব্যক্তিটি এ সুযোগে কূপের পানি মুসলমানদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করতে শুরু করলো। মক্কা থেকে সহায় সম্বল ছেড়ে দিয়ে আসা সাহাবাদের জন্য পানি কিনে আনাটা খুব কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো। সাহাবারা রাসূল (সাঃ) কে এই বিষয়ে অবগত করলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন- ‘তোমাদের মধ্যে কে আছো, যে এই কূপ মুসলমানদের জন্য ক্রয় করে দিবে। মুসলমানদের এই কূপ যে খরিদ করে দেবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে ঝর্ণা দান করবেন’। সুবহান আল্লাহ! রাসূল (সাঃ) এর কথায় হযরত ওসমান (রাঃ) ইহুদির কাছে এই কূপ ক্রয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করলে ইহুদি নাকচ করে দিলো। তখন তিনি বললেন- ‘পুরো কূপ বিক্রি না করলেও অর্ধেক বিক্রি করুন। এতে একদিন কূপের মালিক হব আমি আর আরেক দিন আপনি’। ইহুদি লোকটি তার প্রস্তাবে রাজি হলো। ওসমান (রাঃ) অর্ধেক কূপ ক্রয় করে বিনামূল্যে পানি বিতরণ করতে লাগলেন। লোকজন ওসমান (রাঃ) ক্রয় করা নির্ধারিত দিনে পানি সংগ্রহ করতো এবং পরের দিনের জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ করে রাখত। ইহুদির দিনে কেউ পানি সংগ্রহ করতে যেত না। ফলে তার পানির ব্যবসা মন্দা হওয়ায় নিজেই পুরো কূপ বিক্রির জন্য ওসমান (রাঃ) এর কাছে প্রস্তাব পেশ করে। ওসমান (রাঃ) সেই সময়ে ৩৫ হাজার রৌপ্য মুদ্রায় কূপটি কিনে মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ করে দেন। এ সময় এক ধনী লোক ওসমান (রাঃ) থেকে কূপটি দ্বিগুণ দামে খরিদ করতে চাইলে তিনি বলেন- ‘আমার চাহিদা এর চেয়ে আরও অনেক বেশি’। লোকটি মূল্য বাড়িয়ে বলতে লাগলো। ওসমান (রাঃ) জবাবে আবারো বলেলেন- ‘আমার চাহিদা এর চেয়ে আরও বেশি’। এভাবেই চলতে থাকলো কিছুক্ষণ। শেষে ধনী লোকটি জিজ্ঞেস করলো- ‘এমন কেউ কি আছে, যে আপনাকে কূপটির মূল্য ১০ গুণ বলেছে’? ওসমান (রাঃ) জবাবে বললেন- ‘আমার আল্লাহ আমাকে প্রতি নেকিতে ১০ গুণ বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছেন’। সুবহান আল্লাহ হযরত ওসমান (রাঃ) এর শাসনামলে এই কূপের চারপাশে খেজুর বাগান তৈরি হয়। সময়ের চাকা ঘুরে বহু উত্থান-পতনের পর সৌদি রাজপরিবার সৌদি আরবের রাজসিংহাসনে বসার সময় এই বাগানে খেজুর গাছের সংখ্যা ১৫৫০টিতে পৌঁছায়। সরকার বাগানের চারদিকে দেয়াল তৈরি করে দেয়। এরপর এই ভূসম্পত্তি হযরত ওসমান (রাঃ) এর নামে দলিল করে দেয় এবং তার নামে খুলে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। সৌদির কৃষি মন্ত্রণালয় এই বাগানের খেজুর বিক্রি করে অর্জিত অর্থ ওসমান (রাঃ) একাউন্টে জমা রাখে। সঞ্চিত অর্থ দিয়ে মদিনায় একটি বড় প্রপার্টি ক্রয় করা হয়েছে। যেখানে ‘হোটেল ওসমান বিন আফফান’ নামে একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণের কাজ চলছে। এই হোটেল থেকে প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন রিয়াল আয় হবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার। এই অর্থের অর্ধেক অসহায়-দুস্থদের মানবতার সেবায় ব্যয় করা হবে আর অর্ধেক হযরত ওসমান (রা.) ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে, যা দিয়ে বাগ্ন রক্ষণাবেক্ষন এবং বিভিন্ন ব্যয় নিরুপণ করা হবে। সুবহান আল্লাহ। ওসমান (রাঃ) এ দান আল্লাহ এমনভাবে গ্রহণ করে নিয়েছেন যে, কেয়ামত পর্যন্ত সেই দানের ধারা চালু থাকবে।
    Love
    1
    0 Commentaires 0 Parts 259 Vue
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। বার্মার ঘন জঙ্গলে চলাফেরার জন্য ভারতীয় সেনাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে মধ্য ভারতের মাউয়ের সামরিক ছাউনিতে। সেই সেনাবিভাগে এক ভারতীয় রাজ্যের যুবরাজ ছিলেন। ছাউনির সবাই তাঁকে ‘প্রিন্স’ বলে ডাকত। প্রিন্স নিজে শিকারি, আর তা নিয়ে প্রায়ই মহা আস্ফালন করতেন। কিছু পেটোয়া চ্যালাচামুণ্ডা ছিল তাঁর। সবাইকে নিয়ে বিকেলে ক্লাবঘরে বসে নরক গুলজার হতো। বক্তা মূলত প্রিন্স, বাকিরা মুগ্ধ শ্রোতা। একদিন প্রসঙ্গ উঠল শিকারে অব্যর্থ হতে হলে কী দরকার? নিমেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, নাকি অব্যর্থ নিশানা? এক একজন এক একরকম মত দিলেন। কেউ বললেন তিনটি অথবা দু’টির যোগফল। প্রিন্স নিজে বললেন, ‘ওসব বাজে গল্প। অব্যর্থ নিশানাই শেষ কথা নয়।’ ঠিক তখনই ছাউনির ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ অফিসার বলে উঠলেন, ‘আরে! আজ দেখি আমাদের মধ্যে এক এক্সপার্ট রয়েছেন। শোনাই যাক না উনি কী বলেন?’

    সবাই তাকিয়ে দেখল এককোণে চুপচাপ বসে এতক্ষণ নির্বাক রোদে-পোড়া, শক্ত চেহারার বলিষ্ঠ এক প্রৌঢ় তাঁদের তর্ক শুনে মিটিমিটি হাসছেন। তাঁর উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন করায় এককথায় উত্তর দিলেন, ‘অব্যর্থ নিশানা। আর কিচ্ছু না!’ এই প্রথম প্রিন্সের কথাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলেন। যথারীতি তিনি ভয়ানক রেগে গেলেন। কে এই বৃদ্ধ! এত সাহসই বা তাঁর হয় কী করে? কোনওমতে রাগ চেপে প্রিন্স বললেন ‘আপনি প্রমাণ করতে পারবেন?’

    প্রৌঢ় আঙুল তুলে দেখালেন, ‘আচ্ছা, ওই দূরের গাছটা দেখ। একটা ওয়াই Y আকারের সরু ডালের মাঝের খাঁজে ছোট্ট একখানা পাখি বসে আছে। ডাল ভাঙবে না, কিন্তু পাখিটাকে মারতে হবে। পারবে?’ বিকেলের আলো পড়ে আসছে। চারিদিক ধোঁয়াটে ধূসর। প্রিন্স বললেন, ‘অসম্ভব! এই আলোতে নজরই চলে না, পাখি মারব কি করে?’

    উত্তরে প্রৌঢ় হাত বাড়িয়ে গাড়োয়ালী অনুচরের কাছ থেকে হেলায় একটা রাইফেল নিলেন, তুললেন, গুলি ছুঁড়লেন, বললেন, ‘কেন, এমনি করে?’ সবাই ছুটে গেলেন সেখানে। গিয়ে দেখা গেল ডালটি অভগ্ন, পাখিটি মৃত। কারও মুখে কথাটি সরে না। শেষে প্রিন্স কোনমতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এ কেমন করে সম্ভব?’ প্রৌঢ় মুচকি হেসে উত্তর দিলেন ‘শোন তবে, যখন রুদ্রপ্রয়াগের চিতাটাকে মারি..’ এইটুকু শুনেই প্রিন্স যা বোঝার বুঝে গিয়েছেন ‘বলেন কী!! আপনিই তবে...’

    ‘হ্যাঁ, এই অধমের নামই এডোয়ার্ড জেমস করবেট। সবাই ভালবেসে জিম নামে ডাকে।’

    জিম করবেট জন্মেছিলেন পাহাড়ঘেরা নৈনিতালে। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে। এই জুলাই মাসেরই ২৫ তারিখ। বাবা নৈনিতালের পোস্টমাস্টার। হ্রদ, নৈনিদেবীর মন্দির আর তার চারপাশের বন জঙ্গলে ঘুরে ঘুরেই করবেটের প্রথম প্রকৃতি প্রেম। তিনি লিখছেন, ‘দেবীর মন্দিরের চার মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে অন্যান্য জীবজন্তু ছাড়াও আমি বাঘ, চিতা, ভালুক আর সম্বর হরিণ দেখেছি, এবং একশো আটাশ জাতের পাখি চিনতে পেরেছি।’ করবেট জাতে সাহেব হলেও ছিলেন নিম্নবিত্ত ঘরের। পড়া স্কুলেই শেষ। আর বাল্যকাল কেটেছে নৈনিতালের তরাই অঞ্চলের সাধারণ, দরিদ্র কুমায়ুনীদের সঙ্গে—যাদের জন্য শেষজীবন পর্যন্ত অন্তরের টান বজায় ছিল তাঁর ।

    ১৮৯৫ সালে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে করবেট বেঙ্গল অ্যান্ড নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়েতে শর্তাধীন কাজে ঢুকে পড়েন। এই করবেট লাজুক, স্বল্পভাষী আর কঠোর পরিশ্রমী। সঙ্গে শিকারের অদম্য নেশা। যাকে বলে ইন্ট্রোভার্ট, তার আদর্শ উদাহরণ। ভবিষ্যতের যে করবেট শত শত মাইল হেঁটে রুদ্রপ্রয়াগের চিতাকে একটি গুলিতে মারেন, অথবা অরণ্য ও অরণ্যপ্রাণী বাঁচাতে প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেন, কিংবা গ্রামের বাংলোর বারান্দায় বসে গ্রামীণ মানুষদের ওষুধ-পথ্য-সুশ্রুষার ব্যবস্থা করেন কিন্তু বিন্দুমাত্র যশপ্রার্থী হন না, তাঁর শুরু কিন্তু এখান থেকেই।
    বিশ শতকের শুরুর দিকে চম্পাবতের এক বাঘিনি গোটা উত্তরাঞ্চলে ভয়ানক ত্রাসের সৃষ্টি করল। প্রায় এক দশক ধরে পুলিস, গুপ্ত শিকারি, এমনকী নেপালি গোর্খা রেজিমেন্ট পর্যন্ত সেটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। অনেকে বিশ্বাস করত এ কোন পশু নয়, কোন অতৃপ্ত আত্মা। ওই বাঘিনির আক্রমণে শুধুমাত্র নথিভূক্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩৬। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী আজ অবধি সর্বোচ্চ। যখন সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন তখন একেবারে নবিশ শিকারী তরুণ জিম করবেট চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলেন। তাঁর হাতেই খতম হল চম্পাবতের মানুষখাকী। ‘কুমায়ুনের মানুষখেকো’ (ম্যান-ইটার্স অব কুমায়ুন) বইতে একেবারে ছবির মত বর্ণনা আছে সেই হাড়হিম করা ঘটনার।

    ‘নদীর কাছে এগলাম যখন, ঝোপ ছেড়ে বাঘিনীনিটি সেই উঁচানে পাথরের উপর, আমি যে দিকে আছি সে দিকে বেরিয়ে এল। যখন ও বিশ ফুটের মধ্যে, বন্দুকটি তুললাম এবং আতঙ্কে দেখলাম যে নল দু’টি এবং ব্রিচ-ব্লকের মাঝখানে এক ইঞ্চির আট-তৃতীয়াংশ এক ফাঁক আছে। যখন দু’টি নলে ফায়ার করা হয় তখন বন্দুক ফাটেনি, সম্ভবত এখনও ফাটবে না, কিন্তু পিছু ধাক্কা খেয়ে কানা হয়ে যাবার বিপদ আছে। যাই হক, সে ঝুঁকি নিতেই হচ্ছে এবং যে পেল্লায় পুঁতিটি সাইটের কাজ করছিল, সেটি বাঘিনির হাঁ-করা মুখের দিকে নিশানা করে বসিয়ে আমি গুলি ছুঁড়লাম। হয়তো আমি উপর-নীচে নড়ে গিয়েছিলাম কিংবা হয়তো বেলনাকার বুলেটটি বিশ ফুট নির্ভুল পাঠাবার ক্ষমতা বন্দুকটির ছিল না। যাই হোক গুলিটি বাঘিনির মুখ ফসকাল এবং বিঁধল ওর ডান থাবায়, সেখান থেকে পরে আমি আঙুলের নখ দিয়ে সেটি সরিয়েছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে ও তখন শেষ অবস্থায় পৌঁছেছিল এবং পায়ের উপর আঘাতটি ওঁকে সমুখপানে টলিয়ে ফেলে দেবার কাজ যথেষ্টই করল। পাথরটার এক ধার দিয়ে মাথাটি ঝুঁকিয়ে ও মৃত্যুতে শান্ত হল।’

    রাতারাতি জিম করবেট এক কিংবদন্তিতে পরিণত হলেন। সেই শুরু। তারপর যেখানেই মানুষখেকো বাঘের অত্যাচার শুরু হতো, জিমকে ডেকে পাঠাতেন সেখানকার শাসক। কিংবা জিম নিজেই চলে যেতেন। ১৯০৭ থেকে ১৯৩৮’এর মধ্যে তিনি মোট ৩৩টি মানুষখেকোর শিকার করেন, যারা সব মিলিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষ মেরেছিল। এদের মধ্যে দু’খানি মানুষখেকো চিতাবাঘ। রুদ্রপ্রয়াগের মানুষখেকো চিতাবাঘ ভারতের ইতিহাসে প্রায় অমর হয়ে গেছে।

    ১২৬ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা চিতাটিকে নিয়ে করবেট নিজে লিখেছেন, ‘বাঘেরা যে-কারণে নরখাদক হয়, চিতারা সে-কারণে হয় না। আমাদের জঙ্গলের সকল জন্তুর মধ্যে চিতা সবচেয়ে সুন্দর, সাবলীল। জখম হলে, বা কোণঠাসা হলে সাহসে সে কারও চেয়ে কম যায় না। তবে এরা এমন মড়াখেকো, যে খিদের জ্বালায় জঙ্গলে যে মড়া পায়, তা-ই খায়। ঠিক আফ্রিকার জঙ্গলের সিংহদের মতো... ১৯১৮ সালে দেশ জুড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার মড়ক দেখা দেয়। ভারতে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা পড়ে। এ মড়কের কঠিন মূল্য দিতে হয় গাড়োয়ালকে। মহামারীর শেষে গাড়োয়ালের নরখাদক আত্মপ্রকাশ করে। ১৯১৮ সালের ৯ই জুন, বৈঁজি গ্রামে রুদ্রপ্রয়াগের নরখাদক চিতা প্রথম মানুষ মারে, নথিতে লেখা আছে। সর্বশেষ যে মৃত্যুর জন্য নরখাদকটি দায়ী, তা ১৯২৬ সালের ১৪ই এপ্রিল ভৈঁসোয়ারা গ্রামে ঘটে। সরকারি নথিতে লেখা আছে। এই দু’টি তারিখের মধ্যে ১২৫ জন মানুষ মারা পড়ে।’

    মাইলের পর মাইল হেঁটে প্রায় হতাশ হয়ে যখন ভাবছেন শিকারই ছেড়ে দেবেন, প্রায় দৈবক্রমে তিনি চিতাটিকে শিকার করলেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, ঠিক তারপরেই যা লিখলেন তা কোন দক্ষ শিকারীর দম্ভের আস্ফালন না, বরং পড়লে আজও মন ভিজে ওঠে।

    ‘এখানে পড়ে আছে একটি বুড়ো চিতা, অন্য চিতাদের সঙ্গে ওর এইমাত্র তফাত, যে ওর মুখটা ধূসর, ঠোঁটের উপর গোঁফ নেই। ভারতবর্ষে সবার চেয়ে ঘৃণ্য এবং সন্ত্রাসকারী জন্তু, যার একমাত্র অপরাধ—প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু মানুষের নিয়মের বিরুদ্ধে—সে মানুষের রক্তপাত করেছে। মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য নয়, শুধু নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য। সে এখন গর্তের ধারে থুতনি রেখে শুয়ে আছে, চোখদু’টি আধবোজা, তার শেষ ঘুমে শান্তি মগ্ন।’ অন্য আর দশটা শিকারীর থেকে এক মূহূর্তে জিম করবেট আলাদা হয়ে যান এখানেই। তাঁর শিকার নিতান্ত অভিযান, অ্যাডভেঞ্চার কিংবা স্পোর্টের জন্য নয়। মনেপ্রাণে তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘বাঘ উদারহৃদয় ভদ্রলোক। সীমাহীন তার সাহস। যে দিন বাঘকে বিলোপ করে দেওয়া হবে, যদি বাঘের সপক্ষে জনমত গড়ে না ওঠে বাঘ লোপ পাবেই, তা হলে ভারতের শ্রেষ্ঠতম প্রাণীর বিলোপে ভারত দরিদ্রতরই হবে।’ একমাত্র যখনই কোন বাঘ সাধারণ, নিরপরাধ মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, একমাত্র তখনই ঝলসে উঠেছে তাঁর রাইফেল। ১৯৩৮ সালের ৩০ নভেম্বর থাক-এর মানুষখেকো বাঘিনিকে হত্যার পর অফিসিয়ালি শিকার ত্যাগ করলেন। তারপর মেতে উঠলেন বাঘেদের অভয়াশ্রম তৈরির কাজে। বহু ভারতীয়কে নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করেছেন শুধু এই বিশ্বাসে, ‘ভারতীয়রা বেইমানি করে না।’

    ১৯৪৪ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশ পায় রেমন্ড শেপার্ডের ছবিতে সাজানো তাঁর লেখা বই ‘Man-Eaters of Kumaon’। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বেস্ট সেলার। এক বছরের মধ্যে হু-হু করে বিক্রি হয়ে যায় প্রায় লাখ পাঁচেক বই। এই বইয়েরই বাংলা অনুবাদের অদ্ভুত সুন্দর এক মলাট করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৫৩-এ প্রকাশিত প্রচ্ছদে দু’-মলাট জোড়া কালো আর হলদে বাঘের ছাল যেন ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। নীচের দিকে গুলির গর্ত যা পিছনের দিকে ফুঁড়ে চলে গেছে। গুলি ঢোকার সময় ফুটো ছোটো হয়। ফুঁড়ে বেরোবার সময় চ্যাপ্টা ও বড়ো হয়। সেটাও প্রচ্ছদ তৈরির সময় মাথায় রেখেছেন সত্যজিৎ। লেখক হলেও বেস্ট সেলার হতেন জিম। কিন্তু বই লিখলেন মাত্র ছ’টি।

    ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হল। নভেম্বরে বোন ম্যাগিকে সঙ্গে নিয়ে এস. এস. অ্যারোন্দা জাহাজে মোম্বাসা আর সেখান থেকে নাইরোবি হয়ে নায়েরি শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলেন জিম। ১৯৫৫ সালে আচমকা না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ওখানেই ছিলেন। আসলে জিমের ভয় ছিল স্বাধীন ভারতে হয়তো তাঁর উপরে অত্যাচার নেমে আসবে । জন্মসূত্রে ইংরেজ হওয়ায় তিনি হয়তো সুবিচার পাবেন না। তাঁর প্রিয় ভারতভূমি ছেড়ে যাবার আগে নৈনিতালের বাড়ি বিক্রি করে বহুদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী রাইফেল ও বন্দুকগুলো গভীর জঙ্গলে ‘সমাধিস্থ’ করে এসেছিলেন ভারতের সেরা শিকারী, যিনি মনেপ্রাণে চিরকাল এক ভারতীয় হয়েই থেকে গিয়েছেন। তা না হলে কে এমন করে লিখতে পারে-
    ‘আমার ভারত, যে ভারতকে আমি জানি, সেই ভারতে যে চল্লিশ কোটি মানুষের বাস, তার মধ্যে শতকরা নব্বই জনই সরল, সৎ, সাহসী, আর কঠোর পরিশ্রমী। ... সত্যিই এরা বড় গরিব। এদের প্রায়শই ‘ভারতের বুভুক্ষু কোটি-কোটি মানুষ’ বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যেই আমি বাস করেছি এবং এদের আমি ভালোবাসি। এই নরনারীদের কথাই এই বইয়ের পাতায় বলার চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধু, ভারতের সেই গরিবদের উদ্দেশে আমি আমার এই বইখানি শ্রদ্ধাভরে উৎসর্গ করলাম।’

    জন্মের সার্ধশতবর্ষে এই মনীষীকে প্রণাম।

    জিম করবেট ১৫০। বর্তমান পত্রিকায় গত ২০ জুলাই প্রকাশিত।

    লেখক - কৌশিক মজুমদার
    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। বার্মার ঘন জঙ্গলে চলাফেরার জন্য ভারতীয় সেনাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে মধ্য ভারতের মাউয়ের সামরিক ছাউনিতে। সেই সেনাবিভাগে এক ভারতীয় রাজ্যের যুবরাজ ছিলেন। ছাউনির সবাই তাঁকে ‘প্রিন্স’ বলে ডাকত। প্রিন্স নিজে শিকারি, আর তা নিয়ে প্রায়ই মহা আস্ফালন করতেন। কিছু পেটোয়া চ্যালাচামুণ্ডা ছিল তাঁর। সবাইকে নিয়ে বিকেলে ক্লাবঘরে বসে নরক গুলজার হতো। বক্তা মূলত প্রিন্স, বাকিরা মুগ্ধ শ্রোতা। একদিন প্রসঙ্গ উঠল শিকারে অব্যর্থ হতে হলে কী দরকার? নিমেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, নাকি অব্যর্থ নিশানা? এক একজন এক একরকম মত দিলেন। কেউ বললেন তিনটি অথবা দু’টির যোগফল। প্রিন্স নিজে বললেন, ‘ওসব বাজে গল্প। অব্যর্থ নিশানাই শেষ কথা নয়।’ ঠিক তখনই ছাউনির ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ অফিসার বলে উঠলেন, ‘আরে! আজ দেখি আমাদের মধ্যে এক এক্সপার্ট রয়েছেন। শোনাই যাক না উনি কী বলেন?’ সবাই তাকিয়ে দেখল এককোণে চুপচাপ বসে এতক্ষণ নির্বাক রোদে-পোড়া, শক্ত চেহারার বলিষ্ঠ এক প্রৌঢ় তাঁদের তর্ক শুনে মিটিমিটি হাসছেন। তাঁর উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন করায় এককথায় উত্তর দিলেন, ‘অব্যর্থ নিশানা। আর কিচ্ছু না!’ এই প্রথম প্রিন্সের কথাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলেন। যথারীতি তিনি ভয়ানক রেগে গেলেন। কে এই বৃদ্ধ! এত সাহসই বা তাঁর হয় কী করে? কোনওমতে রাগ চেপে প্রিন্স বললেন ‘আপনি প্রমাণ করতে পারবেন?’ প্রৌঢ় আঙুল তুলে দেখালেন, ‘আচ্ছা, ওই দূরের গাছটা দেখ। একটা ওয়াই Y আকারের সরু ডালের মাঝের খাঁজে ছোট্ট একখানা পাখি বসে আছে। ডাল ভাঙবে না, কিন্তু পাখিটাকে মারতে হবে। পারবে?’ বিকেলের আলো পড়ে আসছে। চারিদিক ধোঁয়াটে ধূসর। প্রিন্স বললেন, ‘অসম্ভব! এই আলোতে নজরই চলে না, পাখি মারব কি করে?’ উত্তরে প্রৌঢ় হাত বাড়িয়ে গাড়োয়ালী অনুচরের কাছ থেকে হেলায় একটা রাইফেল নিলেন, তুললেন, গুলি ছুঁড়লেন, বললেন, ‘কেন, এমনি করে?’ সবাই ছুটে গেলেন সেখানে। গিয়ে দেখা গেল ডালটি অভগ্ন, পাখিটি মৃত। কারও মুখে কথাটি সরে না। শেষে প্রিন্স কোনমতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এ কেমন করে সম্ভব?’ প্রৌঢ় মুচকি হেসে উত্তর দিলেন ‘শোন তবে, যখন রুদ্রপ্রয়াগের চিতাটাকে মারি..’ এইটুকু শুনেই প্রিন্স যা বোঝার বুঝে গিয়েছেন ‘বলেন কী!! আপনিই তবে...’ ‘হ্যাঁ, এই অধমের নামই এডোয়ার্ড জেমস করবেট। সবাই ভালবেসে জিম নামে ডাকে।’ জিম করবেট জন্মেছিলেন পাহাড়ঘেরা নৈনিতালে। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে। এই জুলাই মাসেরই ২৫ তারিখ। বাবা নৈনিতালের পোস্টমাস্টার। হ্রদ, নৈনিদেবীর মন্দির আর তার চারপাশের বন জঙ্গলে ঘুরে ঘুরেই করবেটের প্রথম প্রকৃতি প্রেম। তিনি লিখছেন, ‘দেবীর মন্দিরের চার মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে অন্যান্য জীবজন্তু ছাড়াও আমি বাঘ, চিতা, ভালুক আর সম্বর হরিণ দেখেছি, এবং একশো আটাশ জাতের পাখি চিনতে পেরেছি।’ করবেট জাতে সাহেব হলেও ছিলেন নিম্নবিত্ত ঘরের। পড়া স্কুলেই শেষ। আর বাল্যকাল কেটেছে নৈনিতালের তরাই অঞ্চলের সাধারণ, দরিদ্র কুমায়ুনীদের সঙ্গে—যাদের জন্য শেষজীবন পর্যন্ত অন্তরের টান বজায় ছিল তাঁর । ১৮৯৫ সালে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে করবেট বেঙ্গল অ্যান্ড নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়েতে শর্তাধীন কাজে ঢুকে পড়েন। এই করবেট লাজুক, স্বল্পভাষী আর কঠোর পরিশ্রমী। সঙ্গে শিকারের অদম্য নেশা। যাকে বলে ইন্ট্রোভার্ট, তার আদর্শ উদাহরণ। ভবিষ্যতের যে করবেট শত শত মাইল হেঁটে রুদ্রপ্রয়াগের চিতাকে একটি গুলিতে মারেন, অথবা অরণ্য ও অরণ্যপ্রাণী বাঁচাতে প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেন, কিংবা গ্রামের বাংলোর বারান্দায় বসে গ্রামীণ মানুষদের ওষুধ-পথ্য-সুশ্রুষার ব্যবস্থা করেন কিন্তু বিন্দুমাত্র যশপ্রার্থী হন না, তাঁর শুরু কিন্তু এখান থেকেই। বিশ শতকের শুরুর দিকে চম্পাবতের এক বাঘিনি গোটা উত্তরাঞ্চলে ভয়ানক ত্রাসের সৃষ্টি করল। প্রায় এক দশক ধরে পুলিস, গুপ্ত শিকারি, এমনকী নেপালি গোর্খা রেজিমেন্ট পর্যন্ত সেটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। অনেকে বিশ্বাস করত এ কোন পশু নয়, কোন অতৃপ্ত আত্মা। ওই বাঘিনির আক্রমণে শুধুমাত্র নথিভূক্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩৬। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী আজ অবধি সর্বোচ্চ। যখন সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন তখন একেবারে নবিশ শিকারী তরুণ জিম করবেট চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলেন। তাঁর হাতেই খতম হল চম্পাবতের মানুষখাকী। ‘কুমায়ুনের মানুষখেকো’ (ম্যান-ইটার্স অব কুমায়ুন) বইতে একেবারে ছবির মত বর্ণনা আছে সেই হাড়হিম করা ঘটনার। ‘নদীর কাছে এগলাম যখন, ঝোপ ছেড়ে বাঘিনীনিটি সেই উঁচানে পাথরের উপর, আমি যে দিকে আছি সে দিকে বেরিয়ে এল। যখন ও বিশ ফুটের মধ্যে, বন্দুকটি তুললাম এবং আতঙ্কে দেখলাম যে নল দু’টি এবং ব্রিচ-ব্লকের মাঝখানে এক ইঞ্চির আট-তৃতীয়াংশ এক ফাঁক আছে। যখন দু’টি নলে ফায়ার করা হয় তখন বন্দুক ফাটেনি, সম্ভবত এখনও ফাটবে না, কিন্তু পিছু ধাক্কা খেয়ে কানা হয়ে যাবার বিপদ আছে। যাই হক, সে ঝুঁকি নিতেই হচ্ছে এবং যে পেল্লায় পুঁতিটি সাইটের কাজ করছিল, সেটি বাঘিনির হাঁ-করা মুখের দিকে নিশানা করে বসিয়ে আমি গুলি ছুঁড়লাম। হয়তো আমি উপর-নীচে নড়ে গিয়েছিলাম কিংবা হয়তো বেলনাকার বুলেটটি বিশ ফুট নির্ভুল পাঠাবার ক্ষমতা বন্দুকটির ছিল না। যাই হোক গুলিটি বাঘিনির মুখ ফসকাল এবং বিঁধল ওর ডান থাবায়, সেখান থেকে পরে আমি আঙুলের নখ দিয়ে সেটি সরিয়েছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে ও তখন শেষ অবস্থায় পৌঁছেছিল এবং পায়ের উপর আঘাতটি ওঁকে সমুখপানে টলিয়ে ফেলে দেবার কাজ যথেষ্টই করল। পাথরটার এক ধার দিয়ে মাথাটি ঝুঁকিয়ে ও মৃত্যুতে শান্ত হল।’ রাতারাতি জিম করবেট এক কিংবদন্তিতে পরিণত হলেন। সেই শুরু। তারপর যেখানেই মানুষখেকো বাঘের অত্যাচার শুরু হতো, জিমকে ডেকে পাঠাতেন সেখানকার শাসক। কিংবা জিম নিজেই চলে যেতেন। ১৯০৭ থেকে ১৯৩৮’এর মধ্যে তিনি মোট ৩৩টি মানুষখেকোর শিকার করেন, যারা সব মিলিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষ মেরেছিল। এদের মধ্যে দু’খানি মানুষখেকো চিতাবাঘ। রুদ্রপ্রয়াগের মানুষখেকো চিতাবাঘ ভারতের ইতিহাসে প্রায় অমর হয়ে গেছে। ১২৬ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা চিতাটিকে নিয়ে করবেট নিজে লিখেছেন, ‘বাঘেরা যে-কারণে নরখাদক হয়, চিতারা সে-কারণে হয় না। আমাদের জঙ্গলের সকল জন্তুর মধ্যে চিতা সবচেয়ে সুন্দর, সাবলীল। জখম হলে, বা কোণঠাসা হলে সাহসে সে কারও চেয়ে কম যায় না। তবে এরা এমন মড়াখেকো, যে খিদের জ্বালায় জঙ্গলে যে মড়া পায়, তা-ই খায়। ঠিক আফ্রিকার জঙ্গলের সিংহদের মতো... ১৯১৮ সালে দেশ জুড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার মড়ক দেখা দেয়। ভারতে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা পড়ে। এ মড়কের কঠিন মূল্য দিতে হয় গাড়োয়ালকে। মহামারীর শেষে গাড়োয়ালের নরখাদক আত্মপ্রকাশ করে। ১৯১৮ সালের ৯ই জুন, বৈঁজি গ্রামে রুদ্রপ্রয়াগের নরখাদক চিতা প্রথম মানুষ মারে, নথিতে লেখা আছে। সর্বশেষ যে মৃত্যুর জন্য নরখাদকটি দায়ী, তা ১৯২৬ সালের ১৪ই এপ্রিল ভৈঁসোয়ারা গ্রামে ঘটে। সরকারি নথিতে লেখা আছে। এই দু’টি তারিখের মধ্যে ১২৫ জন মানুষ মারা পড়ে।’ মাইলের পর মাইল হেঁটে প্রায় হতাশ হয়ে যখন ভাবছেন শিকারই ছেড়ে দেবেন, প্রায় দৈবক্রমে তিনি চিতাটিকে শিকার করলেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, ঠিক তারপরেই যা লিখলেন তা কোন দক্ষ শিকারীর দম্ভের আস্ফালন না, বরং পড়লে আজও মন ভিজে ওঠে। ‘এখানে পড়ে আছে একটি বুড়ো চিতা, অন্য চিতাদের সঙ্গে ওর এইমাত্র তফাত, যে ওর মুখটা ধূসর, ঠোঁটের উপর গোঁফ নেই। ভারতবর্ষে সবার চেয়ে ঘৃণ্য এবং সন্ত্রাসকারী জন্তু, যার একমাত্র অপরাধ—প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু মানুষের নিয়মের বিরুদ্ধে—সে মানুষের রক্তপাত করেছে। মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য নয়, শুধু নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য। সে এখন গর্তের ধারে থুতনি রেখে শুয়ে আছে, চোখদু’টি আধবোজা, তার শেষ ঘুমে শান্তি মগ্ন।’ অন্য আর দশটা শিকারীর থেকে এক মূহূর্তে জিম করবেট আলাদা হয়ে যান এখানেই। তাঁর শিকার নিতান্ত অভিযান, অ্যাডভেঞ্চার কিংবা স্পোর্টের জন্য নয়। মনেপ্রাণে তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘বাঘ উদারহৃদয় ভদ্রলোক। সীমাহীন তার সাহস। যে দিন বাঘকে বিলোপ করে দেওয়া হবে, যদি বাঘের সপক্ষে জনমত গড়ে না ওঠে বাঘ লোপ পাবেই, তা হলে ভারতের শ্রেষ্ঠতম প্রাণীর বিলোপে ভারত দরিদ্রতরই হবে।’ একমাত্র যখনই কোন বাঘ সাধারণ, নিরপরাধ মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, একমাত্র তখনই ঝলসে উঠেছে তাঁর রাইফেল। ১৯৩৮ সালের ৩০ নভেম্বর থাক-এর মানুষখেকো বাঘিনিকে হত্যার পর অফিসিয়ালি শিকার ত্যাগ করলেন। তারপর মেতে উঠলেন বাঘেদের অভয়াশ্রম তৈরির কাজে। বহু ভারতীয়কে নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করেছেন শুধু এই বিশ্বাসে, ‘ভারতীয়রা বেইমানি করে না।’ ১৯৪৪ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশ পায় রেমন্ড শেপার্ডের ছবিতে সাজানো তাঁর লেখা বই ‘Man-Eaters of Kumaon’। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বেস্ট সেলার। এক বছরের মধ্যে হু-হু করে বিক্রি হয়ে যায় প্রায় লাখ পাঁচেক বই। এই বইয়েরই বাংলা অনুবাদের অদ্ভুত সুন্দর এক মলাট করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৫৩-এ প্রকাশিত প্রচ্ছদে দু’-মলাট জোড়া কালো আর হলদে বাঘের ছাল যেন ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। নীচের দিকে গুলির গর্ত যা পিছনের দিকে ফুঁড়ে চলে গেছে। গুলি ঢোকার সময় ফুটো ছোটো হয়। ফুঁড়ে বেরোবার সময় চ্যাপ্টা ও বড়ো হয়। সেটাও প্রচ্ছদ তৈরির সময় মাথায় রেখেছেন সত্যজিৎ। লেখক হলেও বেস্ট সেলার হতেন জিম। কিন্তু বই লিখলেন মাত্র ছ’টি। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হল। নভেম্বরে বোন ম্যাগিকে সঙ্গে নিয়ে এস. এস. অ্যারোন্দা জাহাজে মোম্বাসা আর সেখান থেকে নাইরোবি হয়ে নায়েরি শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলেন জিম। ১৯৫৫ সালে আচমকা না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ওখানেই ছিলেন। আসলে জিমের ভয় ছিল স্বাধীন ভারতে হয়তো তাঁর উপরে অত্যাচার নেমে আসবে । জন্মসূত্রে ইংরেজ হওয়ায় তিনি হয়তো সুবিচার পাবেন না। তাঁর প্রিয় ভারতভূমি ছেড়ে যাবার আগে নৈনিতালের বাড়ি বিক্রি করে বহুদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী রাইফেল ও বন্দুকগুলো গভীর জঙ্গলে ‘সমাধিস্থ’ করে এসেছিলেন ভারতের সেরা শিকারী, যিনি মনেপ্রাণে চিরকাল এক ভারতীয় হয়েই থেকে গিয়েছেন। তা না হলে কে এমন করে লিখতে পারে- ‘আমার ভারত, যে ভারতকে আমি জানি, সেই ভারতে যে চল্লিশ কোটি মানুষের বাস, তার মধ্যে শতকরা নব্বই জনই সরল, সৎ, সাহসী, আর কঠোর পরিশ্রমী। ... সত্যিই এরা বড় গরিব। এদের প্রায়শই ‘ভারতের বুভুক্ষু কোটি-কোটি মানুষ’ বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যেই আমি বাস করেছি এবং এদের আমি ভালোবাসি। এই নরনারীদের কথাই এই বইয়ের পাতায় বলার চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধু, ভারতের সেই গরিবদের উদ্দেশে আমি আমার এই বইখানি শ্রদ্ধাভরে উৎসর্গ করলাম।’ জন্মের সার্ধশতবর্ষে এই মনীষীকে প্রণাম। জিম করবেট ১৫০। বর্তমান পত্রিকায় গত ২০ জুলাই প্রকাশিত। লেখক - কৌশিক মজুমদার
    0 Commentaires 0 Parts 176 Vue
  • প্রথম বলেই ছক্কা! তবে বোলার যখন বাবা আর ব্যাটসম্যান ছেলে, তখন মুহূর্তটা বিশেষ হয়ে ওঠে। আফগানিস্তানের শাপাগিজা ক্রিকেট লিগে ঘটেছে এমনই এক বিরল ঘটনা। তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকে তাঁর নিজের ছেলে হাসান ইসাখিল প্রথম বলেই বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
    গত শনিবার কাবুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শাপাগিজা ক্রিকেট লিগে মুখোমুখি হয়েছিল মোহাম্মদ নবীর দল মিস আইনাক নাইটস ও তাঁর ছেলে হাসান ইসাখিলের দল আমো শার্কস।
    প্রথমে ব্যাট করতে নামা আমো শার্কসের ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোহাম্মদ নবী। তখন স্ট্রাইকে থাকা তাঁর ছেলে হাসান ২৩ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে নবী প্রথম বলটি করতেই হাসান সজোরে ব্যাট চালিয়ে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান।
    অবিশ্বাস্য এই মুহূর্তের ভিডিও দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, ছক্কা হজম করার পর নবী কয়েক সেকেন্ড ছেলের দিকে তাকিয়ে থেকে ফের বোলিং মার্কে ফিরে যান। অন্যদিকে, ছেলে হাসান সামান্য হেসে নন-স্ট্রাইকারের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন, যেন বাবাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিতে চাননি তিনি।
    মাঠের এই বিরল দৃশ্য নিয়ে ধারাভাষ্যকাররাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। একজন বলেন, "মোহাম্মদ নবীকে সম্ভাব্য সেরা উপায়ে স্বাগত জানালেন ইসাখিল।" আরেকজন মজা করে যোগ করেন, "ভদ্রতা বলতে কি কিছুই নেই! তিনি আপনার বাবা, আর আপনি প্রথম বলেই এত বড় ছক্কা হাঁকালেন!"
    তবে ছেলের কাছে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে হারলেও দিন শেষে জয়ীর হাসি হেসেছেন বাবাই। হাসানের ৫২ রানের ইনিংসের পরও তাঁর দল আমো শার্কস ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে, মোহাম্মদ নবীর দল মিস আইনাক নাইটস ৩ ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। নবী নিজে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করে অপরাজিত থাকেন।
    ৪০ বছর বয়সী মোহাম্মদ নবী মূলত আফগানিস্তান জাতীয় দলে ছেলে হাসানের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন দেখেন। এই স্বপ্ন পূরণের জন্যই তিনি ওয়ানডে থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ১৮ বছর বয়সী হাসান ইসাখিল নির্বাচকদের নজরে আছেন। পিতা-পুত্রের এই জুটি শীঘ্রই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দেখা যাবে বলে আশা করছেন আফগান ক্রিকেটপ্রেমীরা।
    প্রথম বলেই ছক্কা! তবে বোলার যখন বাবা আর ব্যাটসম্যান ছেলে, তখন মুহূর্তটা বিশেষ হয়ে ওঠে। আফগানিস্তানের শাপাগিজা ক্রিকেট লিগে ঘটেছে এমনই এক বিরল ঘটনা। তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকে তাঁর নিজের ছেলে হাসান ইসাখিল প্রথম বলেই বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গত শনিবার কাবুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শাপাগিজা ক্রিকেট লিগে মুখোমুখি হয়েছিল মোহাম্মদ নবীর দল মিস আইনাক নাইটস ও তাঁর ছেলে হাসান ইসাখিলের দল আমো শার্কস। প্রথমে ব্যাট করতে নামা আমো শার্কসের ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোহাম্মদ নবী। তখন স্ট্রাইকে থাকা তাঁর ছেলে হাসান ২৩ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে নবী প্রথম বলটি করতেই হাসান সজোরে ব্যাট চালিয়ে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান। অবিশ্বাস্য এই মুহূর্তের ভিডিও দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, ছক্কা হজম করার পর নবী কয়েক সেকেন্ড ছেলের দিকে তাকিয়ে থেকে ফের বোলিং মার্কে ফিরে যান। অন্যদিকে, ছেলে হাসান সামান্য হেসে নন-স্ট্রাইকারের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন, যেন বাবাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিতে চাননি তিনি। মাঠের এই বিরল দৃশ্য নিয়ে ধারাভাষ্যকাররাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। একজন বলেন, "মোহাম্মদ নবীকে সম্ভাব্য সেরা উপায়ে স্বাগত জানালেন ইসাখিল।" আরেকজন মজা করে যোগ করেন, "ভদ্রতা বলতে কি কিছুই নেই! তিনি আপনার বাবা, আর আপনি প্রথম বলেই এত বড় ছক্কা হাঁকালেন!" তবে ছেলের কাছে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে হারলেও দিন শেষে জয়ীর হাসি হেসেছেন বাবাই। হাসানের ৫২ রানের ইনিংসের পরও তাঁর দল আমো শার্কস ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে, মোহাম্মদ নবীর দল মিস আইনাক নাইটস ৩ ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। নবী নিজে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করে অপরাজিত থাকেন। ৪০ বছর বয়সী মোহাম্মদ নবী মূলত আফগানিস্তান জাতীয় দলে ছেলে হাসানের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন দেখেন। এই স্বপ্ন পূরণের জন্যই তিনি ওয়ানডে থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ১৮ বছর বয়সী হাসান ইসাখিল নির্বাচকদের নজরে আছেন। পিতা-পুত্রের এই জুটি শীঘ্রই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দেখা যাবে বলে আশা করছেন আফগান ক্রিকেটপ্রেমীরা।
    0 Commentaires 0 Parts 192 Vue
  • ভাবতে পারছেন? একটা সাধারণ গাছ, শুধু অক্সিজেনই দেয় না—বায়ুর বিপজ্জনক কার্বনডাই-অক্সাইড (CO₂) টেনে নিয়ে তাকে স্থায়ীভাবে পাথরে রূপান্তরিত করে! শুনতে বিজ্ঞানের কল্পকাহিনী মনে হলেও, এই গাছগুলো আফ্রিকার বাস্তব মাটিতে দাঁড়িয়ে আছে।

    আফ্রিকার গভীর বনে লুকিয়ে আছে প্রকৃতির এক আশ্চর্য ক্ষমতা। কিছু বিশেষ গাছ যেমন ইরোকো গাছ (Iroko Tree) এবং কেনিয়ার ফিগ গাছ (Ficus wakefieldii), এমন এক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় যা শুধুমাত্র গাছের দেহে CO₂ সংরক্ষণ করে না, বরং সেই CO₂ কে পরিণত করে চিরস্থায়ী চুনাপাথরে (Calcium Carbonate)।

    কীভাবে কাজ করে এই গাছগুলো?

    এরা প্রথমে CO₂ শোষণ করে তৈরি করে ক্যালসিয়াম অক্সালেট (Calcium Oxalate)।

    এরপর মাটির বিশেষ ব্যাকটেরিয়া এই অক্সালেটকে রূপান্তর করে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে, অর্থাৎ চুনাপাথরে।

    এর ফলে, গাছের শরীরে ও চারপাশের মাটিতে তৈরি হয় এমন পাথর যা হাজার হাজার বছর ধরে CO₂ আটকে রাখে।

    কোন কোন গাছ এই কাজটা করে?

    ইরোকো গাছ (Milicia excelsa) – পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় পাওয়া যায়।

    Ficus wakefieldii – কেনিয়ার সামবুরু অঞ্চলে বড় ফলদানকারী গাছ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী "পাথর তৈরি" গাছ।

    কেন গুরুত্বপূর্ণ এই গাছগুলো?

    সাধারণ গাছ মরে গেলে বা পুড়ে গেলে CO₂ আবার বায়ুতে ফিরে আসে।

    কিন্তু এই গাছগুলো সেই CO₂ কে স্থায়ীভাবে মাটির নিচে পাথর রূপে রেখে দেয়।

    মাটি করে তোলে আরও উর্বর, ফলে কৃষিক্ষেত্রে এর ব্যবহারও সম্ভব।

    এখনই সময় চিন্তা করার...

    আমরা যেখানে কার্বন ক্যাপচার প্রযুক্তি বানাতে বিলিয়ন ডলার খরচ করছি, সেখানে প্রাকৃতিকভাবেই এমন গাছ আমাদের পাশে রয়েছে—যেগুলো ঠিক সেই কাজটাই করে আরও কার্যকরভাবে।

    করণীয় কী হতে পারে?

    পরিবেশ সংরক্ষণে এই গাছগুলোকে বেশি করে লাগানো।

    গবেষণা করে এগুলোর ক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার করা।

    জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় এই গাছকে “প্রাকৃতিক অস্ত্র” হিসেবে ব্যবহার করা।

    আপনার মতামত দিন!
    এই ধরনের গাছ যদি আপনার এলাকায় লাগানো যায়, আপনি কি আগ্রহী হবেন? কমেন্টে জানান!

    #প্রকৃতি_বাঁচায়
    #CO2toStone
    #আফ্রিকার_অবিশ্বাস্য_গাছ
    #GreenFuture
    #BengaliScienceArticle
    ভাবতে পারছেন? একটা সাধারণ গাছ, শুধু অক্সিজেনই দেয় না—বায়ুর বিপজ্জনক কার্বনডাই-অক্সাইড (CO₂) টেনে নিয়ে তাকে স্থায়ীভাবে পাথরে রূপান্তরিত করে! শুনতে বিজ্ঞানের কল্পকাহিনী মনে হলেও, এই গাছগুলো আফ্রিকার বাস্তব মাটিতে দাঁড়িয়ে আছে। আফ্রিকার গভীর বনে লুকিয়ে আছে প্রকৃতির এক আশ্চর্য ক্ষমতা। কিছু বিশেষ গাছ যেমন ইরোকো গাছ (Iroko Tree) এবং কেনিয়ার ফিগ গাছ (Ficus wakefieldii), এমন এক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় যা শুধুমাত্র গাছের দেহে CO₂ সংরক্ষণ করে না, বরং সেই CO₂ কে পরিণত করে চিরস্থায়ী চুনাপাথরে (Calcium Carbonate)। কীভাবে কাজ করে এই গাছগুলো? এরা প্রথমে CO₂ শোষণ করে তৈরি করে ক্যালসিয়াম অক্সালেট (Calcium Oxalate)। এরপর মাটির বিশেষ ব্যাকটেরিয়া এই অক্সালেটকে রূপান্তর করে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে, অর্থাৎ চুনাপাথরে। এর ফলে, গাছের শরীরে ও চারপাশের মাটিতে তৈরি হয় এমন পাথর যা হাজার হাজার বছর ধরে CO₂ আটকে রাখে। 🌿 কোন কোন গাছ এই কাজটা করে? ইরোকো গাছ (Milicia excelsa) – পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় পাওয়া যায়। Ficus wakefieldii – কেনিয়ার সামবুরু অঞ্চলে বড় ফলদানকারী গাছ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী "পাথর তৈরি" গাছ। 🔷 কেন গুরুত্বপূর্ণ এই গাছগুলো? সাধারণ গাছ মরে গেলে বা পুড়ে গেলে CO₂ আবার বায়ুতে ফিরে আসে। কিন্তু এই গাছগুলো সেই CO₂ কে স্থায়ীভাবে মাটির নিচে পাথর রূপে রেখে দেয়। মাটি করে তোলে আরও উর্বর, ফলে কৃষিক্ষেত্রে এর ব্যবহারও সম্ভব। এখনই সময় চিন্তা করার... আমরা যেখানে কার্বন ক্যাপচার প্রযুক্তি বানাতে বিলিয়ন ডলার খরচ করছি, সেখানে প্রাকৃতিকভাবেই এমন গাছ আমাদের পাশে রয়েছে—যেগুলো ঠিক সেই কাজটাই করে আরও কার্যকরভাবে। করণীয় কী হতে পারে? পরিবেশ সংরক্ষণে এই গাছগুলোকে বেশি করে লাগানো। গবেষণা করে এগুলোর ক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার করা। জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় এই গাছকে “প্রাকৃতিক অস্ত্র” হিসেবে ব্যবহার করা। আপনার মতামত দিন! এই ধরনের গাছ যদি আপনার এলাকায় লাগানো যায়, আপনি কি আগ্রহী হবেন? কমেন্টে জানান! #প্রকৃতি_বাঁচায় #CO2toStone #আফ্রিকার_অবিশ্বাস্য_গাছ #GreenFuture #BengaliScienceArticle
    0 Commentaires 0 Parts 340 Vue
  • অ্যান্ডোরা বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে, আর বাংলাদেশের অবস্থান ১২৬তম। পাকিস্তান ৬৫, ভারত ৬৬ এবং আফগানিস্তান ১৪৪তম স্থানে।

    প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত হয় নাম্বিও সেফটি ইনডেক্স (Numbeo Safety Index)। ২০২৫ সালের নতুন প্রকাশিত সূচকে অবাক করা তথ্য উঠে এসেছে! এবার বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশের তকমা পেয়েছে ইউরোপের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র অ্যান্ডোরা। ফ্রান্স ও স্পেনের মাঝে পিরেনিস পর্বতমালায় অবস্থিত এই দেশটি অপরাধের সর্বনিম্ন হার এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এই সম্মান অর্জন করেছে। তাদের নিরাপত্তা সূচক ৮৪.৭।

    অন্যদিকে, বাংলাদেশের অবস্থান এই তালিকায় ১২৬তম। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৫৯তম, পাকিস্তান ৬৫তম এবং ভারত ৬৬তম স্থানে রয়েছে। এমনকী, ব্রিটেন ৮৭তম এবং যুক্তরাষ্ট্র ৮৯তম স্থানে রয়েছে, যা অনেককেই অবাক করেছে।

    শীর্ষ পাঁচে এশিয়া থেকে স্থান করে নিয়েছে তিনটি দেশ: সংযুক্ত আরব আমিরাত (৮৪.৫), কাতার (৮৪.২), এবং তাইওয়ান (৮২.৯)। ওমান (৮১.৭) এই তালিকায় ৫ম স্থানে রয়েছে। এশিয়ার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে জাপান ১০ম এবং চীন ১৫তম স্থানে রয়েছে।

    ২০২৫ সালের বিশ্বের শীর্ষ ১০টি নিরাপদ দেশের তালিকা:
    ১. অ্যান্ডোরা: ৮৪.৭
    ২. সংযুক্ত আরব আমিরাত: ৮৪.৫
    ৩. কাতার: ৮৪.২
    ৪. তাইওয়ান: ৮২.৯
    ৫. ওমান: ৮১.৭
    ৬. আইল অফ ম্যান: ৭৯
    ৭. হংকং (চীন): ৭৮.৫
    ৮. আর্মেনিয়া: ৭৭.৯
    ৯. সিঙ্গাপুর: ৭৭.৪
    ১০. জাপান: ৭৭.১

    তালিকায় একেবারে শেষে, ১৪৮তম স্থানে রয়েছে ভেনিজুয়েলা, যা ২০২৫ সালের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আফগানিস্তান রয়েছে ১৪৪তম স্থানে এবং গৃহযুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়া ১৪০তম স্থানে।
    অ্যান্ডোরা বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে, আর বাংলাদেশের অবস্থান ১২৬তম। পাকিস্তান ৬৫, ভারত ৬৬ এবং আফগানিস্তান ১৪৪তম স্থানে। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত হয় নাম্বিও সেফটি ইনডেক্স (Numbeo Safety Index)। ২০২৫ সালের নতুন প্রকাশিত সূচকে অবাক করা তথ্য উঠে এসেছে! এবার বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশের তকমা পেয়েছে ইউরোপের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র অ্যান্ডোরা। ফ্রান্স ও স্পেনের মাঝে পিরেনিস পর্বতমালায় অবস্থিত এই দেশটি অপরাধের সর্বনিম্ন হার এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এই সম্মান অর্জন করেছে। তাদের নিরাপত্তা সূচক ৮৪.৭। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অবস্থান এই তালিকায় ১২৬তম। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৫৯তম, পাকিস্তান ৬৫তম এবং ভারত ৬৬তম স্থানে রয়েছে। এমনকী, ব্রিটেন ৮৭তম এবং যুক্তরাষ্ট্র ৮৯তম স্থানে রয়েছে, যা অনেককেই অবাক করেছে। শীর্ষ পাঁচে এশিয়া থেকে স্থান করে নিয়েছে তিনটি দেশ: সংযুক্ত আরব আমিরাত (৮৪.৫), কাতার (৮৪.২), এবং তাইওয়ান (৮২.৯)। ওমান (৮১.৭) এই তালিকায় ৫ম স্থানে রয়েছে। এশিয়ার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে জাপান ১০ম এবং চীন ১৫তম স্থানে রয়েছে। ২০২৫ সালের বিশ্বের শীর্ষ ১০টি নিরাপদ দেশের তালিকা: ১. অ্যান্ডোরা: ৮৪.৭ ২. সংযুক্ত আরব আমিরাত: ৮৪.৫ ৩. কাতার: ৮৪.২ ৪. তাইওয়ান: ৮২.৯ ৫. ওমান: ৮১.৭ ৬. আইল অফ ম্যান: ৭৯ ৭. হংকং (চীন): ৭৮.৫ ৮. আর্মেনিয়া: ৭৭.৯ ৯. সিঙ্গাপুর: ৭৭.৪ ১০. জাপান: ৭৭.১ তালিকায় একেবারে শেষে, ১৪৮তম স্থানে রয়েছে ভেনিজুয়েলা, যা ২০২৫ সালের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আফগানিস্তান রয়েছে ১৪৪তম স্থানে এবং গৃহযুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়া ১৪০তম স্থানে।
    Love
    2
    0 Commentaires 0 Parts 211 Vue
Plus de résultats
BlackBird Ai
https://bbai.shop