• সূর্য এর মা (Sharmin Sathi) আন্টির স্টাটাস...
    Brave Kid
    "আমার ছেলে সূর্য সময়ের একটা ভিডিও দেখলাম। সেখানে সূর্য ওর স্কুল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে।
    এই ভিডিওটা অনেকে হয়তো দেখেছেন। সূর্য কীভাবে বেঁচে গেলো সে কথা বলি। সূর্য রবিবারে ক্লাসে না যাওয়ায় হোমওয়ার্ক ছাড়াই পরের দিন ২১ জুলাই সোমবার ক্লাসে গিয়েছে। সেজন্য ডিটেনশন ক্লাসে ওর ক্লাস টিচার যেতে বলে। ডিটেনশন ক্লাস বলতে যারা হোমওয়ার্ক করে না বা ক্লাসে পড়া দিতে পারে না তাদেরকে ছুটির পরে এক্সট্রা টাইম স্কুলে রেখে পড়া আদায় করে বাসায় পাঠানো হয়।
    সূর্যের ক্লাস টিচার বাপ্পি স্যার সূর্যসহ পাঁচজনকে বলে, তোমরা ওই কর্নারের ক্লাস রুমে যাও। আমি একটু পরে আসছি। সূর্যসহ পাঁচজন একেবারে ভবনের শেষ রুমের আগের রুমে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে বিকট আওয়াজ শুনে সূর্য পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে ওরই ক্লাসরুমের সামনে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। একজন ক্লাস রুম থেকে বের হতে গিয়ে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। ওরা ঘাবড়ে গিয়ে দ্রুত কর্নারের ক্লাস রুমে ঢুকে গেলো।
    ওদের ডিটেনশন রুম পর্যন্ত আগুন পৌঁছোতে পারেনি। রুমের ভেতর আগুনের তাপ এসে তাপমাত্রা ৭০° সেন্টিগ্রেডের মতো ছিল (সূর্যের কথা অনুযায়ী)। সূর্যের মনে হচ্ছিল শরীর তাপে পুড়ে যাচ্ছে। ওরা পাঁচজন জানালার কাছে গিয়ে শ্বাস নেবার চেষ্টা করছিল। কারণ তখন রুমের ভেতর কালো ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলো না। শ্বাস নিতে গেলে মনে হচ্ছিল ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে।
    পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হবার পর সূর্য ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই কয়েকজন ছাত্র ভীড়ের ভেতর থেকে হাত দিয়ে ইশারা করছে ডান দিকে যাবার জন্য। সূর্য ডান দিকে তাকাতেই দেখে ওখানে গ্রিল কেটে একটা বের হবার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ও দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে, আপনারা দাঁড়ান। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে আসছি। সূর্য তাড়াতাড়ি ওর বন্ধুদের ডেকে বাইরে নিয়ে আসলো। এরপর কার্নিশের ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে আগে বন্ধুদের নামার সুযোগ করে দিলো।
    আমার ছেলেকে আমি যে শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি তার যথাযথ ব্যবহার ও করে দেখালো জাতিকে। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার আর কোনো চিন্তা নেই। আমি কখনো ওকে বলিনি, বাবা, তোমাকে এ প্লাস পেতে হবে। কখনো বলিনি তোমাকে ফার্স্ট হতে হবে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম আমার ছেলে সূর্য যেন একজন মানবিক মানুষ হয়।"
    সূর্য এর মা (Sharmin Sathi) আন্টির স্টাটাস... Brave Kid ❤️ "আমার ছেলে সূর্য সময়ের একটা ভিডিও দেখলাম। সেখানে সূর্য ওর স্কুল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে। এই ভিডিওটা অনেকে হয়তো দেখেছেন। সূর্য কীভাবে বেঁচে গেলো সে কথা বলি। সূর্য রবিবারে ক্লাসে না যাওয়ায় হোমওয়ার্ক ছাড়াই পরের দিন ২১ জুলাই সোমবার ক্লাসে গিয়েছে। সেজন্য ডিটেনশন ক্লাসে ওর ক্লাস টিচার যেতে বলে। ডিটেনশন ক্লাস বলতে যারা হোমওয়ার্ক করে না বা ক্লাসে পড়া দিতে পারে না তাদেরকে ছুটির পরে এক্সট্রা টাইম স্কুলে রেখে পড়া আদায় করে বাসায় পাঠানো হয়। সূর্যের ক্লাস টিচার বাপ্পি স্যার সূর্যসহ পাঁচজনকে বলে, তোমরা ওই কর্নারের ক্লাস রুমে যাও। আমি একটু পরে আসছি। সূর্যসহ পাঁচজন একেবারে ভবনের শেষ রুমের আগের রুমে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে বিকট আওয়াজ শুনে সূর্য পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে ওরই ক্লাসরুমের সামনে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। একজন ক্লাস রুম থেকে বের হতে গিয়ে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। ওরা ঘাবড়ে গিয়ে দ্রুত কর্নারের ক্লাস রুমে ঢুকে গেলো। ওদের ডিটেনশন রুম পর্যন্ত আগুন পৌঁছোতে পারেনি। রুমের ভেতর আগুনের তাপ এসে তাপমাত্রা ৭০° সেন্টিগ্রেডের মতো ছিল (সূর্যের কথা অনুযায়ী)। সূর্যের মনে হচ্ছিল শরীর তাপে পুড়ে যাচ্ছে। ওরা পাঁচজন জানালার কাছে গিয়ে শ্বাস নেবার চেষ্টা করছিল। কারণ তখন রুমের ভেতর কালো ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলো না। শ্বাস নিতে গেলে মনে হচ্ছিল ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হবার পর সূর্য ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই কয়েকজন ছাত্র ভীড়ের ভেতর থেকে হাত দিয়ে ইশারা করছে ডান দিকে যাবার জন্য। সূর্য ডান দিকে তাকাতেই দেখে ওখানে গ্রিল কেটে একটা বের হবার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ও দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে, আপনারা দাঁড়ান। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে আসছি। সূর্য তাড়াতাড়ি ওর বন্ধুদের ডেকে বাইরে নিয়ে আসলো। এরপর কার্নিশের ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে আগে বন্ধুদের নামার সুযোগ করে দিলো। আমার ছেলেকে আমি যে শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি তার যথাযথ ব্যবহার ও করে দেখালো জাতিকে। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার আর কোনো চিন্তা নেই। আমি কখনো ওকে বলিনি, বাবা, তোমাকে এ প্লাস পেতে হবে। কখনো বলিনি তোমাকে ফার্স্ট হতে হবে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম আমার ছেলে সূর্য যেন একজন মানবিক মানুষ হয়।"
    0 Comments 0 Shares 38 Views
  • আলোরনা দুর্গ:
    গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী।

    দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো।

    কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত।

    আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত।

    এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা।

    আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।

    সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান।

    আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত।

    আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ।
    #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    আলোরনা দুর্গ: গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী। দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো। কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত। আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত। এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা। আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান। আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ। #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    0 Comments 0 Shares 48 Views
  • হরিতকি পাতার ও ফলের ৫০টি গুণাগুণ ও ব্যাখ্যা

    শরীরের ভিতরের যত্নে (Internal Health Benefits):

    1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: হরিতকি গুঁড়া রাতে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।

    2. হজমশক্তি বাড়ায়: খাওয়ার পরে হরিতকি খেলে খাবার সহজে হজম হয়।

    3. গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল কমায়: পেটের এসিড ব্যালান্স করে।

    4. লিভার সুস্থ রাখে: লিভারের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে।

    5. রক্ত পরিশোধন করে: শরীরের টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করে।

    6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।

    7. কোলেস্টেরল কমায়: খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

    8. ওজন কমাতে সাহায্য করে: বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে মেদ ঝরে।

    9. বমি ভাব কমায়: পেট ঠান্ডা করে বমি বমি ভাব দূর করে।

    10. শরীরে শক্তি জোগায়: নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয়।

    রোগ প্রতিরোধে (Immunity & Infection):

    11. ইমিউনিটি বাড়ায়: সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।

    12. কাশি ও সর্দি কমায়: গলায় কফ কমায় ও স্বস্তি দেয়।

    13. ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী: পাতার রস বা বাটা কণ্ঠনালীকে প্রশমিত করে।

    14. গলার ব্যথা উপশম করে: গরম জলে পাতার রস মিশিয়ে গার্গল করুন।

    15. জ্বর কমায়: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

    16. অ্যালার্জি রোধ করে: অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করে।

    17. ফুসফুসের যত্ন নেয়: শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে।

    18. হাঁপানিতে উপকারী: শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে।

    19. পাইলস ও ফিস্টুলা উপকারী: বাওয়েল মুভমেন্ট সহজ করে।

    20. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।

    মানসিক স্বাস্থ্যে (Mind & Nerve):

    21. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্নায়ু সতেজ রাখে ও মনোযোগ বাড়ায়।

    22. ঘুমের সমস্যা দূর করে: রাতে খেলে ঘুম ভালো হয়।

    23. স্ট্রেস কমায়: মানসিক প্রশান্তি আনে।

    24. মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে: অতিরিক্ত উত্তেজনা কমায়।

    25. মাইগ্রেন উপশমে কার্যকর: মাথা ব্যথা কমায় নিয়মিত খেলে।

    চুল ও ত্বকের যত্নে (Beauty & Hair):

    26. চুল পড়া কমায়: চুলের গোড়া মজবুত করে।

    27. খুশকি দূর করে: স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে।

    28. চুল ঘন করে: প্যাক হিসেবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

    29. ব্রণ কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে।

    30. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

    31. চুলের আগা ফাটা কমায়: তেলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

    32. ফোড়া ঘা শুকায়: পাতার পেস্ট ঘায়ের উপর লাগান।

    33. চুল কালো করে: নিয়মিত ব্যবহারে স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে।

    34. চুলে চকমক ভাব আনে: হরিতকি প্যাক দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝলমলে হয়।

    35. ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায়: আক্রান্ত স্থানে পাতা বাটা লাগান।

    মুখ ও দাঁতের যত্নে (Oral Care):

    36. মাড়ির রক্ত পড়া কমায়: হরিতকি গুঁড়া দিয়ে কুলকুচি করুন।

    37. দাঁতের ব্যথা উপশম করে: গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করুন হালকা করে।

    38. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করুন।

    39. ক্যানকার সোর কমায়: পাতার রস তুলোয় নিয়ে লাগান।

    40. দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা দূর করে: হরিতকি গুঁড়ার কুলকুচি সাহায্য করে।

    পেট ও হজমতন্ত্রের যত্নে (Digestive Health):

    41. বদহজম দূর করে: খাওয়ার পর অল্প হরিতকি খেলে উপকার মেলে।

    42. গ্যাস কমায়: পেট ফাঁপা হলে হরিতকি উপকারী।

    43. ডায়রিয়ায় উপকারী: পাতার রস সামান্য হালকা করে খাওয়ানো যেতে পারে।

    44. পেট ব্যথা উপশম করে: সেদ্ধ পানি পান করলে আরাম মেলে।

    45. অজীর্ণতা দূর করে: অতিরিক্ত খাওয়ার পর হরিতকি খেলে হজম সহজ হয়।

    বিভিন্ন সাধারণ উপকারিতা (General Benefits):

    46. বয়সের ছাপ কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে।

    47. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম থাকার কারণে।

    48. জীবনীশক্তি বাড়ায়: দুর্বল শরীরে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে।

    49. মাংসপেশি শক্ত করে: শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

    50. প্রাকৃতিক টনিক: প্রতিদিন খেলে পুরো শরীর সতেজ থাকে।

    ব্যবহার ও খাওয়ার ফর্মুলা (Usage Formula):

    পাতা:

    1. পাতার রস: ৫–৬টি পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান।

    2. পাতা সেদ্ধ: ঠান্ডা/গলা ব্যথায় পানির সঙ্গে সেদ্ধ করে গার্গল করুন।

    3. চর্মরোগে: পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান দিনে ২ বার।

    4. মুখের যত্নে: পাতার রস কুলকুচি হিসেবে ব্যবহার করুন।

    ফল/গুঁড়া:

    1. কোষ্ঠকাঠিন্য/পেট: ১ চা চামচ হরিতকি গুঁড়া রাতে গরম পানির সাথে।

    2. ডায়াবেটিস: সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ হরিতকি গুঁড়া।

    3. ত্বকের জন্য: মধু + হরিতকি গুঁড়া + গোলাপ জল = ফেসপ্যাক

    4. চুলের যত্নে: নারকেল তেলে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান।

    Haritaki - Nature’s Secret for Total Wellness!
    প্রতিদিন ১ চামচ হরিতকি = পেট, চুল, ত্বক, মন ও শক্তির যত্ন একসাথে!
    এখনই শুরু করুন আপনার হেলদি লাইফের যাত্রা!

    #HaritakiBenefits #HerbalPower #NaturalWellness #HolisticHealing #DetoxNaturally #AyurvedicRemedy #HealthyFromWithin #PlantBasedHealing #AncientMedicine #RashidasRemedies #GreenHealthTips #DailyDetox #ImmunityBoost #SkincareNaturally #HairCareWithNature
    🌿 হরিতকি পাতার ও ফলের ৫০টি গুণাগুণ ও ব্যাখ্যা 🩺 শরীরের ভিতরের যত্নে (Internal Health Benefits): 1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: হরিতকি গুঁড়া রাতে খেলে পেট পরিষ্কার হয়। 2. হজমশক্তি বাড়ায়: খাওয়ার পরে হরিতকি খেলে খাবার সহজে হজম হয়। 3. গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল কমায়: পেটের এসিড ব্যালান্স করে। 4. লিভার সুস্থ রাখে: লিভারের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে। 5. রক্ত পরিশোধন করে: শরীরের টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করে। 6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। 7. কোলেস্টেরল কমায়: খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। 8. ওজন কমাতে সাহায্য করে: বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে মেদ ঝরে। 9. বমি ভাব কমায়: পেট ঠান্ডা করে বমি বমি ভাব দূর করে। 10. শরীরে শক্তি জোগায়: নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয়। 😷 রোগ প্রতিরোধে (Immunity & Infection): 11. ইমিউনিটি বাড়ায়: সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। 12. কাশি ও সর্দি কমায়: গলায় কফ কমায় ও স্বস্তি দেয়। 13. ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী: পাতার রস বা বাটা কণ্ঠনালীকে প্রশমিত করে। 14. গলার ব্যথা উপশম করে: গরম জলে পাতার রস মিশিয়ে গার্গল করুন। 15. জ্বর কমায়: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। 16. অ্যালার্জি রোধ করে: অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করে। 17. ফুসফুসের যত্ন নেয়: শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে। 18. হাঁপানিতে উপকারী: শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে। 19. পাইলস ও ফিস্টুলা উপকারী: বাওয়েল মুভমেন্ট সহজ করে। 20. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। 🧠 মানসিক স্বাস্থ্যে (Mind & Nerve): 21. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্নায়ু সতেজ রাখে ও মনোযোগ বাড়ায়। 22. ঘুমের সমস্যা দূর করে: রাতে খেলে ঘুম ভালো হয়। 23. স্ট্রেস কমায়: মানসিক প্রশান্তি আনে। 24. মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে: অতিরিক্ত উত্তেজনা কমায়। 25. মাইগ্রেন উপশমে কার্যকর: মাথা ব্যথা কমায় নিয়মিত খেলে। 💇‍♀️ চুল ও ত্বকের যত্নে (Beauty & Hair): 26. চুল পড়া কমায়: চুলের গোড়া মজবুত করে। 27. খুশকি দূর করে: স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে। 28. চুল ঘন করে: প্যাক হিসেবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। 29. ব্রণ কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। 30. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। 31. চুলের আগা ফাটা কমায়: তেলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। 32. ফোড়া ঘা শুকায়: পাতার পেস্ট ঘায়ের উপর লাগান। 33. চুল কালো করে: নিয়মিত ব্যবহারে স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে। 34. চুলে চকমক ভাব আনে: হরিতকি প্যাক দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝলমলে হয়। 35. ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায়: আক্রান্ত স্থানে পাতা বাটা লাগান। 🦷 মুখ ও দাঁতের যত্নে (Oral Care): 36. মাড়ির রক্ত পড়া কমায়: হরিতকি গুঁড়া দিয়ে কুলকুচি করুন। 37. দাঁতের ব্যথা উপশম করে: গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করুন হালকা করে। 38. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করুন। 39. ক্যানকার সোর কমায়: পাতার রস তুলোয় নিয়ে লাগান। 40. দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা দূর করে: হরিতকি গুঁড়ার কুলকুচি সাহায্য করে। 🍽️ পেট ও হজমতন্ত্রের যত্নে (Digestive Health): 41. বদহজম দূর করে: খাওয়ার পর অল্প হরিতকি খেলে উপকার মেলে। 42. গ্যাস কমায়: পেট ফাঁপা হলে হরিতকি উপকারী। 43. ডায়রিয়ায় উপকারী: পাতার রস সামান্য হালকা করে খাওয়ানো যেতে পারে। 44. পেট ব্যথা উপশম করে: সেদ্ধ পানি পান করলে আরাম মেলে। 45. অজীর্ণতা দূর করে: অতিরিক্ত খাওয়ার পর হরিতকি খেলে হজম সহজ হয়। 🌿 বিভিন্ন সাধারণ উপকারিতা (General Benefits): 46. বয়সের ছাপ কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে। 47. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম থাকার কারণে। 48. জীবনীশক্তি বাড়ায়: দুর্বল শরীরে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে। 49. মাংসপেশি শক্ত করে: শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়। 50. প্রাকৃতিক টনিক: প্রতিদিন খেলে পুরো শরীর সতেজ থাকে। 🥄 ব্যবহার ও খাওয়ার ফর্মুলা (Usage Formula): 🟩 পাতা: 1. পাতার রস: ৫–৬টি পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান। 2. পাতা সেদ্ধ: ঠান্ডা/গলা ব্যথায় পানির সঙ্গে সেদ্ধ করে গার্গল করুন। 3. চর্মরোগে: পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান দিনে ২ বার। 4. মুখের যত্নে: পাতার রস কুলকুচি হিসেবে ব্যবহার করুন। 🟨 ফল/গুঁড়া: 1. কোষ্ঠকাঠিন্য/পেট: ১ চা চামচ হরিতকি গুঁড়া রাতে গরম পানির সাথে। 2. ডায়াবেটিস: সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ হরিতকি গুঁড়া। 3. ত্বকের জন্য: মধু + হরিতকি গুঁড়া + গোলাপ জল = ফেসপ্যাক 4. চুলের যত্নে: নারকেল তেলে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। 🌿 Haritaki - Nature’s Secret for Total Wellness! প্রতিদিন ১ চামচ হরিতকি = পেট, চুল, ত্বক, মন ও শক্তির যত্ন একসাথে! 🧠💪 এখনই শুরু করুন আপনার হেলদি লাইফের যাত্রা! 🍀 #HaritakiBenefits #HerbalPower #NaturalWellness #HolisticHealing #DetoxNaturally #AyurvedicRemedy #HealthyFromWithin #PlantBasedHealing #AncientMedicine #RashidasRemedies #GreenHealthTips #DailyDetox #ImmunityBoost #SkincareNaturally #HairCareWithNature
    0 Comments 0 Shares 80 Views
  • সম্প্রতি ২৫ বছর বয়সী এক জাপানি যুবককে নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত স্মার্টফোন গেমিংয়ের কারণে তিনি এক বিরল ও মারাত্মক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন – যার নাম 'ড্রপড হেড সিন্ড্রোম' (Dropped Head Syndrome)।
    এই যুবক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথা নিচু করে ফোন দেখতেন, বিশেষ করে মোবাইল গেম খেলার সময়। এর ফলে তার ঘাড়ের পেশী এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তিনি আর মাথা সোজা করে রাখতে পারছিলেন না। তার ঘাড়ের পেছনে একটি স্পষ্ট স্ফীতি দেখা দেয় এবং এক্স-রেতে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো বিকৃত ও স্থানচ্যুত হওয়ার প্রমাণ মেলে। এমনকি তার গিলতেও সমস্যা হচ্ছিল, যার ফলে ওজনও কমে যায়।
    সাধারণত, ‘ড্রপড হেড সিন্ড্রোম’ স্নায়বিক বা পেশী সংক্রান্ত গুরুতর রোগের কারণে হয়, যেখানে ঘাড়ের পেশীগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে মাথা বুকের উপর ঝুঁকে থাকে। কিন্তু এই যুবকের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে দীর্ঘদিনের ভুল ভঙ্গিমার কারণে, যাকে চিকিৎসকরা ‘পোস্টুরাল ডিএইচএস’ (Postural DHS) বলছেন।
    কেন এমন হয়?
    আমাদের মাথার ওজন প্রায় ৪.৫-৫.৪ কেজি। কিন্তু যখন আমরা ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা নিচু করে স্মার্টফোন দেখি, তখন ঘাড়ের উপর প্রায় ২৭ কেজি (৬০ পাউন্ড) চাপ পড়ে! ভাবুন তো, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার ঘাড় একজন ৮ বছরের শিশুকে বহন করছে! এই দীর্ঘস্থায়ী চাপ মেরুদণ্ডের হাড়ের বিকৃতি, স্কার টিস্যু তৈরি এবং মারাত্মক ব্যথার কারণ হতে পারে।
    এই জাপানি যুবককে তার মাথা সোজা করার জন্য একাধিক জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তার মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অপসারণ করে ধাতব রড ও স্ক্রু বসানো হয়েছে।
    এই ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও, এর অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ‘টেক নেক’ (Tech Neck) এখন একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা।
    নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে?
    ১. ২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারের
    পর, ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকান।
    ২. ফোন বা ট্যাবলেট চোখের স্তরে রাখুন, প্রয়োজনে
    স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন।
    ৩. ঘাড়ের ব্যায়াম: ঘাড়ের পেশী শক্তিশালী করার
    ব্যায়াম করুন।
    ৪. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: বিশেষ করে দীর্ঘ গেমিং
    বা পড়ার সেশনগুলো ছোট ছোট বিরতি দিয়ে
    করুন।
    সম্প্রতি ২৫ বছর বয়সী এক জাপানি যুবককে নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত স্মার্টফোন গেমিংয়ের কারণে তিনি এক বিরল ও মারাত্মক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন – যার নাম 'ড্রপড হেড সিন্ড্রোম' (Dropped Head Syndrome)। এই যুবক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথা নিচু করে ফোন দেখতেন, বিশেষ করে মোবাইল গেম খেলার সময়। এর ফলে তার ঘাড়ের পেশী এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তিনি আর মাথা সোজা করে রাখতে পারছিলেন না। তার ঘাড়ের পেছনে একটি স্পষ্ট স্ফীতি দেখা দেয় এবং এক্স-রেতে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো বিকৃত ও স্থানচ্যুত হওয়ার প্রমাণ মেলে। এমনকি তার গিলতেও সমস্যা হচ্ছিল, যার ফলে ওজনও কমে যায়। সাধারণত, ‘ড্রপড হেড সিন্ড্রোম’ স্নায়বিক বা পেশী সংক্রান্ত গুরুতর রোগের কারণে হয়, যেখানে ঘাড়ের পেশীগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে মাথা বুকের উপর ঝুঁকে থাকে। কিন্তু এই যুবকের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে দীর্ঘদিনের ভুল ভঙ্গিমার কারণে, যাকে চিকিৎসকরা ‘পোস্টুরাল ডিএইচএস’ (Postural DHS) বলছেন। কেন এমন হয়? আমাদের মাথার ওজন প্রায় ৪.৫-৫.৪ কেজি। কিন্তু যখন আমরা ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা নিচু করে স্মার্টফোন দেখি, তখন ঘাড়ের উপর প্রায় ২৭ কেজি (৬০ পাউন্ড) চাপ পড়ে! ভাবুন তো, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার ঘাড় একজন ৮ বছরের শিশুকে বহন করছে! এই দীর্ঘস্থায়ী চাপ মেরুদণ্ডের হাড়ের বিকৃতি, স্কার টিস্যু তৈরি এবং মারাত্মক ব্যথার কারণ হতে পারে। এই জাপানি যুবককে তার মাথা সোজা করার জন্য একাধিক জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তার মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অপসারণ করে ধাতব রড ও স্ক্রু বসানো হয়েছে। এই ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও, এর অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ‘টেক নেক’ (Tech Neck) এখন একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা। নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? ১. ২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারের পর, ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকান। ২. ফোন বা ট্যাবলেট চোখের স্তরে রাখুন, প্রয়োজনে স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন। ৩. ঘাড়ের ব্যায়াম: ঘাড়ের পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম করুন। ৪. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: বিশেষ করে দীর্ঘ গেমিং বা পড়ার সেশনগুলো ছোট ছোট বিরতি দিয়ে করুন।
    0 Comments 0 Shares 49 Views
  • এক সময় খুব দেখতাম Mr. Bean নির্বাক হাসির এক কিংবদন্তি। উনার আসল নাম রোয়ান অ্যাটকিনসন।কোনো ধরনের অ-লীল অভিনয়, কিংবা মুখে কথা না বলেও রোয়ান অ্যাটকিনসন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
    ••
    রোয়ান অ্যাটকিনসনের জন্ম ৬ জানুয়ারি ১৯৫৫ সালে, ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল শহরে। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ছোটবেলায় রোয়ান ছিলেন খুব লাজুক ও তোতলানো স্বভাবের। এই তোতলামিই এক সময় হয়ে উঠেছিল তার বড় দুর্বলতা — কিন্তু সেখান থেকেই জন্ম নেয় এক অভিনয় প্রতিভা।
    ••
    তিনি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে মাস্টার্স করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক থাকলেও, তিনি কোনোদিনও ভাবেননি যে বিশ্ব তাকে একজন নির্বাক কমেডি কিংবদন্তি হিসেবে মনে রাখবে।
    ••
    অক্সফোর্ডে পড়াকালীন সময়ে থিয়েটার ও কমেডিতে অংশ নিতে শুরু করেন রোয়ান। এক সময় BBC-র জনপ্রিয় শো "Not the Nine O'Clock News"-এ অভিনয় করে নজর কাড়েন। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ১৯৯০ সালে, যখন তিনি ও তাঁর বন্ধু রিচার্ড কার্টিস মিলে তৈরি করেন 'Mr. Bean' নামের এক চরিত্র — একজন অদ্ভুত, নির্বাক, শিশুসুলভ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ।
    ••
    Mr. Bean মুখে কিছু না বলেই হাজার কথা বলে ফেলেন — একমাত্র তার শারীরিক ভাষা, মুখভঙ্গি ও টাইমিং দিয়ে। এই চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে মাত্র ১৪টি এপিসোড দিয়েই সে হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেডি চরিত্রগুলোর একটি।
    ••
    Mr. Bean-এর জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নিয়ে ১৯৯৭ সালে তৈরি হয় "Bean The Movie এরপর আসে Mr. Bean’s Holiday" (2007)। এছাড়া Mr. Bean-এর কার্টুন সিরিজও তৈরি হয়, যেখানে রোয়ান নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন।
    ••
    ব্যক্তি রোয়ান অ্যাটকিনসন বাস্তবে অত্যন্ত গম্ভীর, বুদ্ধিমান ও মিডিয়া-এভয়েডিং মানুষ। তিনি ব্যক্তিগত জীবনকে সবসময় মিডিয়ার আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি, তিনি একজন বিশাল গাড়িপ্রেমী (car enthusiast), এবং তার সংগ্রহে রয়েছে অসংখ্য বিলাসবহুল স্পোর্টস কার।
    ••
    রোয়ান অ্যাটকিনসনের জীবন একটি দারুণ শিক্ষা দেয় আমাদের দুর্বলতা থেকেই জন্ম নিতে পারে সবচেয়ে বড় শক্তি। একজন তোতলানো, লাজুক ছেলে হয়ে উঠেছেন বিশ্বখ্যাত কমেডিয়ান। Mr. Bean কেবল একটি চরিত্র নয়, এটি এক নিরব ভাষা — যা মুখে কিছু না বলেই কোটি হৃদয়ে জায়গা করে নেয়।তার বর্তমান বয়স প্রায় ৭০ বছর।
    এক সময় খুব দেখতাম Mr. Bean নির্বাক হাসির এক কিংবদন্তি। উনার আসল নাম রোয়ান অ্যাটকিনসন।কোনো ধরনের অ-লীল অভিনয়, কিংবা মুখে কথা না বলেও রোয়ান অ্যাটকিনসন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। •• রোয়ান অ্যাটকিনসনের জন্ম ৬ জানুয়ারি ১৯৫৫ সালে, ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল শহরে। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ছোটবেলায় রোয়ান ছিলেন খুব লাজুক ও তোতলানো স্বভাবের। এই তোতলামিই এক সময় হয়ে উঠেছিল তার বড় দুর্বলতা — কিন্তু সেখান থেকেই জন্ম নেয় এক অভিনয় প্রতিভা। •• তিনি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে মাস্টার্স করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক থাকলেও, তিনি কোনোদিনও ভাবেননি যে বিশ্ব তাকে একজন নির্বাক কমেডি কিংবদন্তি হিসেবে মনে রাখবে। •• অক্সফোর্ডে পড়াকালীন সময়ে থিয়েটার ও কমেডিতে অংশ নিতে শুরু করেন রোয়ান। এক সময় BBC-র জনপ্রিয় শো "Not the Nine O'Clock News"-এ অভিনয় করে নজর কাড়েন। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ১৯৯০ সালে, যখন তিনি ও তাঁর বন্ধু রিচার্ড কার্টিস মিলে তৈরি করেন 'Mr. Bean' নামের এক চরিত্র — একজন অদ্ভুত, নির্বাক, শিশুসুলভ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। •• Mr. Bean মুখে কিছু না বলেই হাজার কথা বলে ফেলেন — একমাত্র তার শারীরিক ভাষা, মুখভঙ্গি ও টাইমিং দিয়ে। এই চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে মাত্র ১৪টি এপিসোড দিয়েই সে হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেডি চরিত্রগুলোর একটি। •• Mr. Bean-এর জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নিয়ে ১৯৯৭ সালে তৈরি হয় "Bean The Movie এরপর আসে Mr. Bean’s Holiday" (2007)। এছাড়া Mr. Bean-এর কার্টুন সিরিজও তৈরি হয়, যেখানে রোয়ান নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। •• ব্যক্তি রোয়ান অ্যাটকিনসন বাস্তবে অত্যন্ত গম্ভীর, বুদ্ধিমান ও মিডিয়া-এভয়েডিং মানুষ। তিনি ব্যক্তিগত জীবনকে সবসময় মিডিয়ার আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি, তিনি একজন বিশাল গাড়িপ্রেমী (car enthusiast), এবং তার সংগ্রহে রয়েছে অসংখ্য বিলাসবহুল স্পোর্টস কার। •• রোয়ান অ্যাটকিনসনের জীবন একটি দারুণ শিক্ষা দেয় আমাদের দুর্বলতা থেকেই জন্ম নিতে পারে সবচেয়ে বড় শক্তি। একজন তোতলানো, লাজুক ছেলে হয়ে উঠেছেন বিশ্বখ্যাত কমেডিয়ান। Mr. Bean কেবল একটি চরিত্র নয়, এটি এক নিরব ভাষা — যা মুখে কিছু না বলেই কোটি হৃদয়ে জায়গা করে নেয়।তার বর্তমান বয়স প্রায় ৭০ বছর।
    0 Comments 0 Shares 40 Views
  • ডিসেম্বর ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন পাঁচ কাপের বেশি কফি পান করলে মস্তিষ্কের বয়স ৬.৭ বছর পর্যন্ত কমতে পারে।

    গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা যারা বেশি কফি পান করেন, তারা মনোযোগ, প্রসেসিং স্পিড, এবং ভিজুয়োমোটর কো-অর্ডিনেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো স্কোর করেছেন। এমনকি বয়স, লিঙ্গ এবং ধূমপানের বিষয়টি হিসাব করেও দেখা গেছে, তাদের শরীরে প্রদাহজনিত চিহ্ন তুলনামূলকভাবে কম।

    গবেষকরা মনে করছেন, এই উপকারের পেছনে রয়েছে কফিতে থাকা ক্যাফেইন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি৩, এবং প্রদাহ হ্রাসকারী যৌগ। বিশেষ করে অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন (AFib) রোগীদের জন্য কফি উপকারী হতে পারে, যারা মানসিক অবনতির ঝুঁকিতে থাকেন – কফি এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    আরও গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি কফি পান করলে মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড-বিটা (Aβ) প্রোটিন জমা হওয়ার হার কমে, যা আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া রোগের ঝুঁকি কমায়। যারা দিনে মাত্র এক বা দুই কাপ কফি পান করেন, তাদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।

    কফি মস্তিষ্কে বিষাক্ত অ্যামিলয়েড প্ল্যাক তৈরি কমিয়ে দিতে পারে, কারণ এটি Aβ প্রোটিন তৈরি এবং এর বিষক্রিয়া কমিয়ে দেয়। কফির বিভিন্ন উপাদান ক্যাফেইনের সঙ্গে মিলিত হয়ে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
    ডিসেম্বর ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন পাঁচ কাপের বেশি কফি পান করলে মস্তিষ্কের বয়স ৬.৭ বছর পর্যন্ত কমতে পারে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা যারা বেশি কফি পান করেন, তারা মনোযোগ, প্রসেসিং স্পিড, এবং ভিজুয়োমোটর কো-অর্ডিনেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো স্কোর করেছেন। এমনকি বয়স, লিঙ্গ এবং ধূমপানের বিষয়টি হিসাব করেও দেখা গেছে, তাদের শরীরে প্রদাহজনিত চিহ্ন তুলনামূলকভাবে কম। গবেষকরা মনে করছেন, এই উপকারের পেছনে রয়েছে কফিতে থাকা ক্যাফেইন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি৩, এবং প্রদাহ হ্রাসকারী যৌগ। বিশেষ করে অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন (AFib) রোগীদের জন্য কফি উপকারী হতে পারে, যারা মানসিক অবনতির ঝুঁকিতে থাকেন – কফি এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। আরও গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি কফি পান করলে মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড-বিটা (Aβ) প্রোটিন জমা হওয়ার হার কমে, যা আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া রোগের ঝুঁকি কমায়। যারা দিনে মাত্র এক বা দুই কাপ কফি পান করেন, তাদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। কফি মস্তিষ্কে বিষাক্ত অ্যামিলয়েড প্ল্যাক তৈরি কমিয়ে দিতে পারে, কারণ এটি Aβ প্রোটিন তৈরি এবং এর বিষক্রিয়া কমিয়ে দেয়। কফির বিভিন্ন উপাদান ক্যাফেইনের সঙ্গে মিলিত হয়ে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
    Wow
    1
    0 Comments 0 Shares 25 Views
  • মাছের মাথার ভেতর কোটি টাকার ব্যবসা.?

    এটা গল্প না, বাস্তব সত্য!

    বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ যখন মাছের মাথা ফেলে দেয়, কিন্তু বিশ্বব্যাপী এই অংশটা কিনে নেয় লাখ লাখ টাকায়।
    কারণ মাছের মাথার ভেতরেই আছে এক ছোট্ট কিন্তু অমূল্য সম্পদ- পিটুইটারি গ্লান্ড (Pituitary Gland).!!

    পিটুইটারি গ্লান্ড কী?

    এটা মাছের ব্রেইনের নিচের অংশে থাকা হরমোন নিঃসরণকারী একটি ছোট গ্রন্থি। এটি মাছের প্রজনন বা “induced breeding” এর জন্য অপরিহার্য।

    বিশ্বের অনেক হ্যাচারি ও গবেষণাগারে এই গ্লান্ড থেকে GtH (Gonadotropic Hormone) সংগ্রহ করে ব্যবহার করা হয়।

    কেন এত চাহিদা? কোথায় ব্যবহৃত হয়?

    এই গ্লান্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়:

    Fish Hatchery Industry – কৃত্রিম প্রজনন করাতে
    Pharmaceutical Research – হরমোন গবেষণায়
    Aqua Tech Companies – প্রজনন বুস্টার ও ঔষধ প্রস্তুত করতে

    বিশ্বের যে দেশগুলোতে এর চাহিদা সবচেয়ে বেশঃ
    চীন
    ভিয়েতনাম
    থাইল্যান্ড
    ইন্দোনেশিয়া
    ফিলিপাইন

    এক কেজি পিটুইটারি গ্লান্ডের দাম কত?

    প্রতি কেজি গ্লান্ডের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে হয়:
    ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩০–৫০ লাখ টাকা)

    একটি গ্লান্ডের ওজন হয় মাত্র ৫–১০ মিলিগ্রাম
    ১ কেজি = প্রায় ৪,০০০–৫,০০০ মাছের গ্লান্ড

    কোন মাছের গ্লান্ড সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন?
    • রুই
    • কাতলা
    • মৃগেল
    • পাঙ্গাস
    • শিং
    • মাগুর
    • টেংরা, বোয়াল, বাইম

    এই মাছগুলোর গ্লান্ড সবচেয়ে কার্যকর ও মূল্যবান

    সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ

    গ্লান্ড সংগ্রহ করার পর এটি সংরক্ষণ করতে হয়:

    Deep Freeze (-40°C)
    অথবা Ethanol Solution-এ ডুবিয়ে
    পরে এটি কাঁচা বা প্রসেসড অবস্থায় রপ্তানি করা হয়

    রপ্তানি প্রক্রিয়া ও লাইসেন্স

    আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকেই এই গ্লান্ড রপ্তানি করতে পারেন, তবে আপনাকে নিতে হবেঃ

    ট্রেড লাইসেন্স
    ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন (BIN)
    VAT নম্বর
    রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (EPB) রেজিস্ট্রেশন
    মৎস্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন
    ফিশ প্রসেসিং ও এক্সপোর্ট লাইসেন্স

    কীভাবে বায়ার খুঁজবেন?

    বিদেশি হ্যাচারি কোম্পানি ও রিসার্চ ল্যাব
    Alibaba, Made-in-China, Tradekey-এর মতো B2B সাইট
    চীনের ডিলার বা এজেন্ট
    আন্তর্জাতিক ফিশারিজ ট্রেড ফেয়ার
    সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রমোশন

    কত টাকা ইনভেস্টমেন্ট লাগবে?
    • ছোট স্কেলে (ঘরে বসে গ্লান্ড কালেকশন): ৪০-৫০ হাজার টাকা
    • মিড স্কেল (সংরক্ষণ + নমুনা প্রেরণ): ১–২ লাখ টাকা
    • বড় স্কেলে প্রসেসিং ল্যাব ও এক্সপোর্ট সেটআপ: ৫–১০ লাখ টাকা

    বাংলাদেশে কোথায় বেশি সম্ভাবনা?
    • ময়মনসিংহ
    • রাজশাহী
    • খুলনা
    • বরিশাল
    • কুমিল্লা
    • সিলেট

    এই অঞ্চলে প্রতিদিন হাজার হাজার টন মাছ কাটাকাটি হয় — কিন্তু এই মূল্যবান গ্লান্ড অনেক সময় ফেলে দেওয়া হয় জাস্ট “অজ্ঞানতায়”।

    কেন এটা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
    • দেশের রপ্তানি আয় বাড়বে
    • মাছের সব অংশের ভ্যালু পাওয়া যাবে
    • উদ্যোক্তাদের নতুন লাভজনক খাত
    • বৈধভাবে রেমিটেন্স আনার সুযোগ
    • সরকারি সহায়তা থাকলে বছরে ৫০+ মিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব

    আপনার জন্য পরামর্শ:

    মাছের গ্লান্ড নিয়ে রিসার্চ করুন
    স্থানীয় মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন
    প্রশিক্ষণ নিন, তারপর লাইসেন্স নিন
    ১০০% বৈধভাবে এই ব্যবসা শুরু করুন
    আন্তর্জাতিক বায়ারদের সাথে কানেক্ট করুন

    #রপ্তানি
    #ইম্পোর্ট
    #startabusiness
    #importexport
    #এক্সপোর্ট
    #export
    #business
    #entrepreneur
    #মাছ_রপ্তানি
    #কোটি
    #পিটুইটারি
    মাছের মাথার ভেতর কোটি টাকার ব্যবসা.? 😲 এটা গল্প না, বাস্তব সত্য! বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ যখন মাছের মাথা ফেলে দেয়, কিন্তু বিশ্বব্যাপী এই অংশটা কিনে নেয় লাখ লাখ টাকায়। কারণ মাছের মাথার ভেতরেই আছে এক ছোট্ট কিন্তু অমূল্য সম্পদ- পিটুইটারি গ্লান্ড (Pituitary Gland).!! 🧠 পিটুইটারি গ্লান্ড কী? এটা মাছের ব্রেইনের নিচের অংশে থাকা হরমোন নিঃসরণকারী একটি ছোট গ্রন্থি। এটি মাছের প্রজনন বা “induced breeding” এর জন্য অপরিহার্য। বিশ্বের অনেক হ্যাচারি ও গবেষণাগারে এই গ্লান্ড থেকে GtH (Gonadotropic Hormone) সংগ্রহ করে ব্যবহার করা হয়। 🌍 কেন এত চাহিদা? কোথায় ব্যবহৃত হয়? এই গ্লান্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়: ✅ Fish Hatchery Industry – কৃত্রিম প্রজনন করাতে ✅ Pharmaceutical Research – হরমোন গবেষণায় ✅ Aqua Tech Companies – প্রজনন বুস্টার ও ঔষধ প্রস্তুত করতে বিশ্বের যে দেশগুলোতে এর চাহিদা সবচেয়ে বেশঃ 🇨🇳 চীন 🇻🇳 ভিয়েতনাম 🇹🇭 থাইল্যান্ড 🇮🇩 ইন্দোনেশিয়া 🇵🇭 ফিলিপাইন 💸 এক কেজি পিটুইটারি গ্লান্ডের দাম কত? প্রতি কেজি গ্লান্ডের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে হয়: ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩০–৫০ লাখ টাকা) 😲 একটি গ্লান্ডের ওজন হয় মাত্র ৫–১০ মিলিগ্রাম ১ কেজি = প্রায় ৪,০০০–৫,০০০ মাছের গ্লান্ড 🐟 কোন মাছের গ্লান্ড সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন? • রুই • কাতলা • মৃগেল • পাঙ্গাস • শিং • মাগুর • টেংরা, বোয়াল, বাইম এই মাছগুলোর গ্লান্ড সবচেয়ে কার্যকর ও মূল্যবান 🧊 সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ গ্লান্ড সংগ্রহ করার পর এটি সংরক্ষণ করতে হয়: ✅ Deep Freeze (-40°C) ✅ অথবা Ethanol Solution-এ ডুবিয়ে পরে এটি কাঁচা বা প্রসেসড অবস্থায় রপ্তানি করা হয় 📦 রপ্তানি প্রক্রিয়া ও লাইসেন্স আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকেই এই গ্লান্ড রপ্তানি করতে পারেন, তবে আপনাকে নিতে হবেঃ 🔹 ট্রেড লাইসেন্স 🔹 ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন (BIN) 🔹 VAT নম্বর 🔹 রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (EPB) রেজিস্ট্রেশন 🔹 মৎস্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন 🔹 ফিশ প্রসেসিং ও এক্সপোর্ট লাইসেন্স 📈 কীভাবে বায়ার খুঁজবেন? ✅ বিদেশি হ্যাচারি কোম্পানি ও রিসার্চ ল্যাব ✅ Alibaba, Made-in-China, Tradekey-এর মতো B2B সাইট ✅ চীনের ডিলার বা এজেন্ট ✅ আন্তর্জাতিক ফিশারিজ ট্রেড ফেয়ার ✅ সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রমোশন 💼 কত টাকা ইনভেস্টমেন্ট লাগবে? • ছোট স্কেলে (ঘরে বসে গ্লান্ড কালেকশন): ৪০-৫০ হাজার টাকা • মিড স্কেল (সংরক্ষণ + নমুনা প্রেরণ): ১–২ লাখ টাকা • বড় স্কেলে প্রসেসিং ল্যাব ও এক্সপোর্ট সেটআপ: ৫–১০ লাখ টাকা 📍 বাংলাদেশে কোথায় বেশি সম্ভাবনা? • ময়মনসিংহ • রাজশাহী • খুলনা • বরিশাল • কুমিল্লা • সিলেট এই অঞ্চলে প্রতিদিন হাজার হাজার টন মাছ কাটাকাটি হয় — কিন্তু এই মূল্যবান গ্লান্ড অনেক সময় ফেলে দেওয়া হয় জাস্ট “অজ্ঞানতায়”। ✅ কেন এটা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? • দেশের রপ্তানি আয় বাড়বে • মাছের সব অংশের ভ্যালু পাওয়া যাবে • উদ্যোক্তাদের নতুন লাভজনক খাত • বৈধভাবে রেমিটেন্স আনার সুযোগ • সরকারি সহায়তা থাকলে বছরে ৫০+ মিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব 🔥 আপনার জন্য পরামর্শ: ✅ মাছের গ্লান্ড নিয়ে রিসার্চ করুন ✅ স্থানীয় মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন ✅ প্রশিক্ষণ নিন, তারপর লাইসেন্স নিন ✅ ১০০% বৈধভাবে এই ব্যবসা শুরু করুন ✅ আন্তর্জাতিক বায়ারদের সাথে কানেক্ট করুন #রপ্তানি #ইম্পোর্ট #startabusiness #importexport #এক্সপোর্ট #export #business #entrepreneur #মাছ_রপ্তানি #কোটি #পিটুইটারি
    0 Comments 0 Shares 39 Views
  • আগুনে পুড়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা (১০ টিপস)

    1. তাপের উৎস থেকে সরান: সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আগুন/গরম বস্তু থেকে দূরে সরান। নিজে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন ।
    2. আগুন নিভান: মাটিতে গড়াগড়ি দিন, ভারী কম্বল জড়িয়ে বা পানি ঢেলে আগুন নিভান। জ্বলন্ত কাপড় খুলে ফেলুন ।
    3. ২০ মিনিট পানি ঢালুন : ক্ষতস্থানে সাধারণ ঠান্ডা পানি(বরফ নয়) প্রবাহিত করুন। এতে ব্যথা কমবে ও ক্ষতির গভীরতা কমবে ।
    4. কাপড়-গয়না খুলুন: পোড়া স্থানের আঁটসাঁট কাপড়, গয়না খুলে ফেলুন। চামড়ার সাথে লেগে গেলে টানবেন না ।
    5. ক্ষত ঢাকুন: জীবাণুমুক্ত গজ/পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢাকুন। পলিথিনও ব্যবহার করা যেতে পারে ।
    6. ব্যথা কমান : প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন খান (ডাক্তারের পরামর্শে) ।
    7. শরীর উষ্ণ রাখুন : আক্রান্তকে পরিষ্কার কম্বল/চাদর দিয়ে মুড়ে দিন ।
    8. অবস্থান সামঞ্জস্য করুন:
    - মুখ/চোখ পুড়লে: বসিয়ে রাখুন (ফোলা কমবে) ।
    - পা পুড়লে: শুইয়ে পা উঁচু করুন ।
    9. হাইড্রেশন দিন : জ্ঞান থাকলে পর্যাপ্ত পানি/লবণ-চিনির শরবত খাওয়ান ।
    10. জরুরি সহায়তা নিন:
    - বড় ক্ষত(হাতের তালুর চেয়ে বড়)
    - মুখ, হাত, যৌনাঙ্গ পুড়লে
    - বিদ্যুৎ/রাসায়নিক পোড়া।

    দাগ কমানোর ঘরোয়া উপায় (১০ টিপস)

    1. অ্যালোভেরা জেল: ক্ষত শুকালে দিনে ২-৩ বার লাগান। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও ত্বক রিপেয়ার করে ।
    2. মধু: জীবাণুনাশক হিসাবে ব্যবহার করুন। ক্ষত শুকানোর পর দাগে মাখুন ।
    3. পেঁয়াজের রস : দাগে রোজ ২ বার মালিশ করুন। অ্যান্টি-স্কারিং প্রপার্টি আছে ।
    4. ভিটামিন ই তেল : ক্যাপসুল ছিদ্র করে তেল দাগে মালিশ করুন ।
    5. আলুর রস: পাতলা আলুর ফালা দাগে ঘষুন। "ক্যাটেকোলেইস" এনজাইম দাগ হালকা করে ।
    6. টমেটো রস : দিনে ২ বার লাগান। ভিটামিন সি দাগ কমায় ।
    7. মেথি পেস্ট: ভেজানো মেথি বেটে পেস্ট করুন, ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ।
    8. ক্যামোমাইল চা : ঠান্ডা চা দাগে লাগান। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক রিজুভিনেট করে ।
    9. সিলিকন জেল: বার্ন বিশেষজ্ঞরা **জারজেল/লেভিসিকা ক্রিম** দাগ কমাতে পরামর্শ দেন
    10. সানস্ক্রিন: দাগ যুক্ত ত্বক রোদে ঢাকুন (SPF 30+)। UV রশ্মি দাগ গাঢ় করে ।

    কি কি করা যাবে না? (১০ সতর্কতা)

    1. বরফ/অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি : ব্যবহার করবেন না। ত্বকের টিস্যু আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।
    2. টুথপেস্ট/ডিম/তেল : লাগাবেন না। সংক্রমণ বাড়ায় ও চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটায় ।
    3. ফোসকা ফাটানো: নিজে ফাটালে ইনফেকশন হতে পারে। ডাক্তার দেখান ।
    4. আঠালো ব্যান্ডেজ : সরাসরি ক্ষতে লাগাবেন না। তুলা/টিস্যুও নয় ।
    5. দীর্ঘ সময় পানি ঢালা : ২০-৩০ মিনিটের বেশি নয়। শরীরের তাপমাত্রা বিপজ্জনকভাবে কমে যেতে পারে ।
    6. অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া ক্রিম: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বার্নল/মিল্কক্রিম ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করবেন না ।
    7. ঘরোয়া চিকিৎসায় ভরসা: শুধুমাত্র হালকা পোড়া (১ম ডিগ্রি) ঘরে চিকিৎসা করুন। গভীর ক্ষত হাসপাতালে নিন ।
    8. গর্ভবতীদের সতর্কতা: কোনও মলম ব্যবহার না করে সরাসরি ডাক্তার দেখান ।
    9. অনিরাপদ ড্রেসিং: অপরিষ্কার কাপড়/হাত দিয়ে ক্ষত স্পর্শ করবেন না ।
    10. শ্বাসকষ্ট উপেক্ষা😮‍💨: আগুনের ধোঁয়া শ্বাসনালিতে গেলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যান।

    > প্রতিরোধের টিপস:

    > - রান্নার সময় ঢিলেঢালা পোশাক এড়িয়ে চলুন, কিচেন অ্যাপ্রন ব্যবহার করুন ।
    > - শিশুদের গরম তেল/পানির নাগালের বাইরে রাখুন ।
    > - অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রান্নাঘরে রাখুন ।
    সারসংক্ষেপ:
    - প্রাথমিক চিকিৎসা = পানি + ক্ষত কভার + ব্যথানাশক।
    - দাগ = অ্যালোভেরা/সিলিকন জেল + সানপ্রোটেকশন।
    - এড়িয়ে চলুন = বরফ/ঘরোয়া পেস্ট/ফোসকা ফাটানো।


    গুরুতর পোড়ার লক্ষণ (থার্ড ডিগ্রি):
    - ত্বক কালো/সাদা, শক্ত, ব্যথাহীন ➜অবিলম্বে হাসপাতালে নিন ।
    🔥 আগুনে পুড়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা (১০ টিপস) 1. তাপের উৎস থেকে সরান👉: সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আগুন/গরম বস্তু থেকে দূরে সরান। নিজে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন । 2. আগুন নিভান🧯: মাটিতে গড়াগড়ি দিন, ভারী কম্বল জড়িয়ে বা পানি ঢেলে আগুন নিভান। জ্বলন্ত কাপড় খুলে ফেলুন । 3. ২০ মিনিট পানি ঢালুন 💧: ক্ষতস্থানে সাধারণ ঠান্ডা পানি(বরফ নয়) প্রবাহিত করুন। এতে ব্যথা কমবে ও ক্ষতির গভীরতা কমবে । 4. কাপড়-গয়না খুলুন💍: পোড়া স্থানের আঁটসাঁট কাপড়, গয়না খুলে ফেলুন। চামড়ার সাথে লেগে গেলে টানবেন না । 5. ক্ষত ঢাকুন🩹: জীবাণুমুক্ত গজ/পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢাকুন। পলিথিনও ব্যবহার করা যেতে পারে । 6. ব্যথা কমান 💊: প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন খান (ডাক্তারের পরামর্শে) । 7. শরীর উষ্ণ রাখুন 🛌: আক্রান্তকে পরিষ্কার কম্বল/চাদর দিয়ে মুড়ে দিন । 8. অবস্থান সামঞ্জস্য করুন🪑: - মুখ/চোখ পুড়লে: বসিয়ে রাখুন (ফোলা কমবে) । - পা পুড়লে: শুইয়ে পা উঁচু করুন । 9. হাইড্রেশন দিন 💧: জ্ঞান থাকলে পর্যাপ্ত পানি/লবণ-চিনির শরবত খাওয়ান । 10. জরুরি সহায়তা নিন🚑: - বড় ক্ষত(হাতের তালুর চেয়ে বড়) - মুখ, হাত, যৌনাঙ্গ পুড়লে - বিদ্যুৎ/রাসায়নিক পোড়া। 🌿 দাগ কমানোর ঘরোয়া উপায় (১০ টিপস) 1. অ্যালোভেরা জেল🌵: ক্ষত শুকালে দিনে ২-৩ বার লাগান। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও ত্বক রিপেয়ার করে । 2. মধু🍯: জীবাণুনাশক হিসাবে ব্যবহার করুন। ক্ষত শুকানোর পর দাগে মাখুন । 3. পেঁয়াজের রস 🧅: দাগে রোজ ২ বার মালিশ করুন। অ্যান্টি-স্কারিং প্রপার্টি আছে । 4. ভিটামিন ই তেল 💊: ক্যাপসুল ছিদ্র করে তেল দাগে মালিশ করুন । 5. আলুর রস🥔: পাতলা আলুর ফালা দাগে ঘষুন। "ক্যাটেকোলেইস" এনজাইম দাগ হালকা করে । 6. টমেটো রস 🍅: দিনে ২ বার লাগান। ভিটামিন সি দাগ কমায় । 7. মেথি পেস্ট🌿: ভেজানো মেথি বেটে পেস্ট করুন, ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন । 8. ক্যামোমাইল চা ☕: ঠান্ডা চা দাগে লাগান। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক রিজুভিনেট করে । 9. সিলিকন জেল💧: বার্ন বিশেষজ্ঞরা **জারজেল/লেভিসিকা ক্রিম** দাগ কমাতে পরামর্শ দেন 10. সানস্ক্রিন☀️: দাগ যুক্ত ত্বক রোদে ঢাকুন (SPF 30+)। UV রশ্মি দাগ গাঢ় করে । ⚠️ কি কি করা যাবে না? (১০ সতর্কতা) 1. বরফ/অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি ❄️: ব্যবহার করবেন না। ত্বকের টিস্যু আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় । 2. টুথপেস্ট/ডিম/তেল 🥚: লাগাবেন না। সংক্রমণ বাড়ায় ও চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটায় । 3. ফোসকা ফাটানো💢: নিজে ফাটালে ইনফেকশন হতে পারে। ডাক্তার দেখান । 4. আঠালো ব্যান্ডেজ 🩹: সরাসরি ক্ষতে লাগাবেন না। তুলা/টিস্যুও নয় । 5. দীর্ঘ সময় পানি ঢালা ⏳: ২০-৩০ মিনিটের বেশি নয়। শরীরের তাপমাত্রা বিপজ্জনকভাবে কমে যেতে পারে । 6. অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া ক্রিম💊: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বার্নল/মিল্কক্রিম ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করবেন না । 7. ঘরোয়া চিকিৎসায় ভরসা🏠: শুধুমাত্র হালকা পোড়া (১ম ডিগ্রি) ঘরে চিকিৎসা করুন। গভীর ক্ষত হাসপাতালে নিন । 8. গর্ভবতীদের সতর্কতা🤰: কোনও মলম ব্যবহার না করে সরাসরি ডাক্তার দেখান । 9. অনিরাপদ ড্রেসিং🦠: অপরিষ্কার কাপড়/হাত দিয়ে ক্ষত স্পর্শ করবেন না । 10. শ্বাসকষ্ট উপেক্ষা😮‍💨: আগুনের ধোঁয়া শ্বাসনালিতে গেলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যান। > 💡 প্রতিরোধের টিপস: > - রান্নার সময় ঢিলেঢালা পোশাক এড়িয়ে চলুন, কিচেন অ্যাপ্রন ব্যবহার করুন । > - শিশুদের গরম তেল/পানির নাগালের বাইরে রাখুন । > - অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রান্নাঘরে রাখুন । 📝 সারসংক্ষেপ: - প্রাথমিক চিকিৎসা = পানি + ক্ষত কভার + ব্যথানাশক। - দাগ = অ্যালোভেরা/সিলিকন জেল + সানপ্রোটেকশন। - এড়িয়ে চলুন = বরফ/ঘরোয়া পেস্ট/ফোসকা ফাটানো। ⚠️ গুরুতর পোড়ার লক্ষণ (থার্ড ডিগ্রি): - ত্বক কালো/সাদা, শক্ত, ব্যথাহীন ➜অবিলম্বে হাসপাতালে নিন ।
    0 Comments 0 Shares 23 Views
  • হরিতকি পাতার ও ফলের ৫০টি গুণাগুণ ও ব্যাখ্যা

    শরীরের ভিতরের যত্নে (Internal Health Benefits):

    1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: হরিতকি গুঁড়া রাতে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।

    2. হজমশক্তি বাড়ায়: খাওয়ার পরে হরিতকি খেলে খাবার সহজে হজম হয়।

    3. গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল কমায়: পেটের এসিড ব্যালান্স করে।

    4. লিভার সুস্থ রাখে: লিভারের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে।

    5. রক্ত পরিশোধন করে: শরীরের টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করে।

    6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।

    7. কোলেস্টেরল কমায়: খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

    8. ওজন কমাতে সাহায্য করে: বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে মেদ ঝরে।

    9. বমি ভাব কমায়: পেট ঠান্ডা করে বমি বমি ভাব দূর করে।

    10. শরীরে শক্তি জোগায়: নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয়।

    রোগ প্রতিরোধে (Immunity & Infection):

    11. ইমিউনিটি বাড়ায়: সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।

    12. কাশি ও সর্দি কমায়: গলায় কফ কমায় ও স্বস্তি দেয়।

    13. ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী: পাতার রস বা বাটা কণ্ঠনালীকে প্রশমিত করে।

    14. গলার ব্যথা উপশম করে: গরম জলে পাতার রস মিশিয়ে গার্গল করুন।

    15. জ্বর কমায়: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

    16. অ্যালার্জি রোধ করে: অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করে।

    17. ফুসফুসের যত্ন নেয়: শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে।

    18. হাঁপানিতে উপকারী: শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে।

    19. পাইলস ও ফিস্টুলা উপকারী: বাওয়েল মুভমেন্ট সহজ করে।

    20. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।

    মানসিক স্বাস্থ্যে (Mind & Nerve):

    21. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্নায়ু সতেজ রাখে ও মনোযোগ বাড়ায়।

    22. ঘুমের সমস্যা দূর করে: রাতে খেলে ঘুম ভালো হয়।

    23. স্ট্রেস কমায়: মানসিক প্রশান্তি আনে।

    24. মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে: অতিরিক্ত উত্তেজনা কমায়।

    25. মাইগ্রেন উপশমে কার্যকর: মাথা ব্যথা কমায় নিয়মিত খেলে।

    চুল ও ত্বকের যত্নে (Beauty & Hair):

    26. চুল পড়া কমায়: চুলের গোড়া মজবুত করে।

    27. খুশকি দূর করে: স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে।

    28. চুল ঘন করে: প্যাক হিসেবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

    29. ব্রণ কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে।

    30. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

    31. চুলের আগা ফাটা কমায়: তেলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

    32. ফোড়া ঘা শুকায়: পাতার পেস্ট ঘায়ের উপর লাগান।

    33. চুল কালো করে: নিয়মিত ব্যবহারে স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে।

    34. চুলে চকমক ভাব আনে: হরিতকি প্যাক দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝলমলে হয়।

    35. ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায়: আক্রান্ত স্থানে পাতা বাটা লাগান।

    মুখ ও দাঁতের যত্নে (Oral Care):

    36. মাড়ির রক্ত পড়া কমায়: হরিতকি গুঁড়া দিয়ে কুলকুচি করুন।

    37. দাঁতের ব্যথা উপশম করে: গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করুন হালকা করে।

    38. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করুন।

    39. ক্যানকার সোর কমায়: পাতার রস তুলোয় নিয়ে লাগান।

    40. দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা দূর করে: হরিতকি গুঁড়ার কুলকুচি সাহায্য করে।

    পেট ও হজমতন্ত্রের যত্নে (Digestive Health):

    41. বদহজম দূর করে: খাওয়ার পর অল্প হরিতকি খেলে উপকার মেলে।

    42. গ্যাস কমায়: পেট ফাঁপা হলে হরিতকি উপকারী।

    43. ডায়রিয়ায় উপকারী: পাতার রস সামান্য হালকা করে খাওয়ানো যেতে পারে।

    44. পেট ব্যথা উপশম করে: সেদ্ধ পানি পান করলে আরাম মেলে।

    45. অজীর্ণতা দূর করে: অতিরিক্ত খাওয়ার পর হরিতকি খেলে হজম সহজ হয়।

    বিভিন্ন সাধারণ উপকারিতা (General Benefits):

    46. বয়সের ছাপ কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে।

    47. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম থাকার কারণে।

    48. জীবনীশক্তি বাড়ায়: দুর্বল শরীরে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে।

    49. মাংসপেশি শক্ত করে: শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

    50. প্রাকৃতিক টনিক: প্রতিদিন খেলে পুরো শরীর সতেজ থাকে।

    ব্যবহার ও খাওয়ার ফর্মুলা (Usage Formula):

    পাতা:

    1. পাতার রস: ৫–৬টি পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান।

    2. পাতা সেদ্ধ: ঠান্ডা/গলা ব্যথায় পানির সঙ্গে সেদ্ধ করে গার্গল করুন।

    3. চর্মরোগে: পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান দিনে ২ বার।

    4. মুখের যত্নে: পাতার রস কুলকুচি হিসেবে ব্যবহার করুন।

    ফল/গুঁড়া:

    1. কোষ্ঠকাঠিন্য/পেট: ১ চা চামচ হরিতকি গুঁড়া রাতে গরম পানির সাথে।

    2. ডায়াবেটিস: সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ হরিতকি গুঁড়া।

    3. ত্বকের জন্য: মধু + হরিতকি গুঁড়া + গোলাপ জল = ফেসপ্যাক

    4. চুলের যত্নে: নারকেল তেলে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান।

    Haritaki - Nature’s Secret for Total Wellness!
    প্রতিদিন ১ চামচ হরিতকি = পেট, চুল, ত্বক, মন ও শক্তির যত্ন একসাথে!
    এখনই শুরু করুন আপনার হেলদি লাইফের যাত্রা!

    #HaritakiBenefits #HerbalPower #NaturalWellness #HolisticHealing #DetoxNaturally #AyurvedicRemedy #HealthyFromWithin #PlantBasedHealing #AncientMedicine #RashidasRemedies #GreenHealthTips #DailyDetox #ImmunityBoost #SkincareNaturally #HairCareWithNature
    🌿 হরিতকি পাতার ও ফলের ৫০টি গুণাগুণ ও ব্যাখ্যা 🩺 শরীরের ভিতরের যত্নে (Internal Health Benefits): 1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: হরিতকি গুঁড়া রাতে খেলে পেট পরিষ্কার হয়। 2. হজমশক্তি বাড়ায়: খাওয়ার পরে হরিতকি খেলে খাবার সহজে হজম হয়। 3. গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল কমায়: পেটের এসিড ব্যালান্স করে। 4. লিভার সুস্থ রাখে: লিভারের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে। 5. রক্ত পরিশোধন করে: শরীরের টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করে। 6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। 7. কোলেস্টেরল কমায়: খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। 8. ওজন কমাতে সাহায্য করে: বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে মেদ ঝরে। 9. বমি ভাব কমায়: পেট ঠান্ডা করে বমি বমি ভাব দূর করে। 10. শরীরে শক্তি জোগায়: নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয়। 😷 রোগ প্রতিরোধে (Immunity & Infection): 11. ইমিউনিটি বাড়ায়: সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। 12. কাশি ও সর্দি কমায়: গলায় কফ কমায় ও স্বস্তি দেয়। 13. ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী: পাতার রস বা বাটা কণ্ঠনালীকে প্রশমিত করে। 14. গলার ব্যথা উপশম করে: গরম জলে পাতার রস মিশিয়ে গার্গল করুন। 15. জ্বর কমায়: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। 16. অ্যালার্জি রোধ করে: অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করে। 17. ফুসফুসের যত্ন নেয়: শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে। 18. হাঁপানিতে উপকারী: শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে। 19. পাইলস ও ফিস্টুলা উপকারী: বাওয়েল মুভমেন্ট সহজ করে। 20. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। 🧠 মানসিক স্বাস্থ্যে (Mind & Nerve): 21. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্নায়ু সতেজ রাখে ও মনোযোগ বাড়ায়। 22. ঘুমের সমস্যা দূর করে: রাতে খেলে ঘুম ভালো হয়। 23. স্ট্রেস কমায়: মানসিক প্রশান্তি আনে। 24. মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে: অতিরিক্ত উত্তেজনা কমায়। 25. মাইগ্রেন উপশমে কার্যকর: মাথা ব্যথা কমায় নিয়মিত খেলে। 💇‍♀️ চুল ও ত্বকের যত্নে (Beauty & Hair): 26. চুল পড়া কমায়: চুলের গোড়া মজবুত করে। 27. খুশকি দূর করে: স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে। 28. চুল ঘন করে: প্যাক হিসেবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। 29. ব্রণ কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। 30. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। 31. চুলের আগা ফাটা কমায়: তেলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। 32. ফোড়া ঘা শুকায়: পাতার পেস্ট ঘায়ের উপর লাগান। 33. চুল কালো করে: নিয়মিত ব্যবহারে স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে। 34. চুলে চকমক ভাব আনে: হরিতকি প্যাক দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝলমলে হয়। 35. ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায়: আক্রান্ত স্থানে পাতা বাটা লাগান। 🦷 মুখ ও দাঁতের যত্নে (Oral Care): 36. মাড়ির রক্ত পড়া কমায়: হরিতকি গুঁড়া দিয়ে কুলকুচি করুন। 37. দাঁতের ব্যথা উপশম করে: গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করুন হালকা করে। 38. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করুন। 39. ক্যানকার সোর কমায়: পাতার রস তুলোয় নিয়ে লাগান। 40. দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা দূর করে: হরিতকি গুঁড়ার কুলকুচি সাহায্য করে। 🍽️ পেট ও হজমতন্ত্রের যত্নে (Digestive Health): 41. বদহজম দূর করে: খাওয়ার পর অল্প হরিতকি খেলে উপকার মেলে। 42. গ্যাস কমায়: পেট ফাঁপা হলে হরিতকি উপকারী। 43. ডায়রিয়ায় উপকারী: পাতার রস সামান্য হালকা করে খাওয়ানো যেতে পারে। 44. পেট ব্যথা উপশম করে: সেদ্ধ পানি পান করলে আরাম মেলে। 45. অজীর্ণতা দূর করে: অতিরিক্ত খাওয়ার পর হরিতকি খেলে হজম সহজ হয়। 🌿 বিভিন্ন সাধারণ উপকারিতা (General Benefits): 46. বয়সের ছাপ কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে। 47. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম থাকার কারণে। 48. জীবনীশক্তি বাড়ায়: দুর্বল শরীরে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে। 49. মাংসপেশি শক্ত করে: শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়। 50. প্রাকৃতিক টনিক: প্রতিদিন খেলে পুরো শরীর সতেজ থাকে। 🥄 ব্যবহার ও খাওয়ার ফর্মুলা (Usage Formula): 🟩 পাতা: 1. পাতার রস: ৫–৬টি পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান। 2. পাতা সেদ্ধ: ঠান্ডা/গলা ব্যথায় পানির সঙ্গে সেদ্ধ করে গার্গল করুন। 3. চর্মরোগে: পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান দিনে ২ বার। 4. মুখের যত্নে: পাতার রস কুলকুচি হিসেবে ব্যবহার করুন। 🟨 ফল/গুঁড়া: 1. কোষ্ঠকাঠিন্য/পেট: ১ চা চামচ হরিতকি গুঁড়া রাতে গরম পানির সাথে। 2. ডায়াবেটিস: সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ হরিতকি গুঁড়া। 3. ত্বকের জন্য: মধু + হরিতকি গুঁড়া + গোলাপ জল = ফেসপ্যাক 4. চুলের যত্নে: নারকেল তেলে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। 🌿 Haritaki - Nature’s Secret for Total Wellness! প্রতিদিন ১ চামচ হরিতকি = পেট, চুল, ত্বক, মন ও শক্তির যত্ন একসাথে! 🧠💪 এখনই শুরু করুন আপনার হেলদি লাইফের যাত্রা! 🍀 #HaritakiBenefits #HerbalPower #NaturalWellness #HolisticHealing #DetoxNaturally #AyurvedicRemedy #HealthyFromWithin #PlantBasedHealing #AncientMedicine #RashidasRemedies #GreenHealthTips #DailyDetox #ImmunityBoost #SkincareNaturally #HairCareWithNature
    0 Comments 0 Shares 44 Views
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। বার্মার ঘন জঙ্গলে চলাফেরার জন্য ভারতীয় সেনাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে মধ্য ভারতের মাউয়ের সামরিক ছাউনিতে। সেই সেনাবিভাগে এক ভারতীয় রাজ্যের যুবরাজ ছিলেন। ছাউনির সবাই তাঁকে ‘প্রিন্স’ বলে ডাকত। প্রিন্স নিজে শিকারি, আর তা নিয়ে প্রায়ই মহা আস্ফালন করতেন। কিছু পেটোয়া চ্যালাচামুণ্ডা ছিল তাঁর। সবাইকে নিয়ে বিকেলে ক্লাবঘরে বসে নরক গুলজার হতো। বক্তা মূলত প্রিন্স, বাকিরা মুগ্ধ শ্রোতা। একদিন প্রসঙ্গ উঠল শিকারে অব্যর্থ হতে হলে কী দরকার? নিমেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, নাকি অব্যর্থ নিশানা? এক একজন এক একরকম মত দিলেন। কেউ বললেন তিনটি অথবা দু’টির যোগফল। প্রিন্স নিজে বললেন, ‘ওসব বাজে গল্প। অব্যর্থ নিশানাই শেষ কথা নয়।’ ঠিক তখনই ছাউনির ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ অফিসার বলে উঠলেন, ‘আরে! আজ দেখি আমাদের মধ্যে এক এক্সপার্ট রয়েছেন। শোনাই যাক না উনি কী বলেন?’

    সবাই তাকিয়ে দেখল এককোণে চুপচাপ বসে এতক্ষণ নির্বাক রোদে-পোড়া, শক্ত চেহারার বলিষ্ঠ এক প্রৌঢ় তাঁদের তর্ক শুনে মিটিমিটি হাসছেন। তাঁর উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন করায় এককথায় উত্তর দিলেন, ‘অব্যর্থ নিশানা। আর কিচ্ছু না!’ এই প্রথম প্রিন্সের কথাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলেন। যথারীতি তিনি ভয়ানক রেগে গেলেন। কে এই বৃদ্ধ! এত সাহসই বা তাঁর হয় কী করে? কোনওমতে রাগ চেপে প্রিন্স বললেন ‘আপনি প্রমাণ করতে পারবেন?’

    প্রৌঢ় আঙুল তুলে দেখালেন, ‘আচ্ছা, ওই দূরের গাছটা দেখ। একটা ওয়াই Y আকারের সরু ডালের মাঝের খাঁজে ছোট্ট একখানা পাখি বসে আছে। ডাল ভাঙবে না, কিন্তু পাখিটাকে মারতে হবে। পারবে?’ বিকেলের আলো পড়ে আসছে। চারিদিক ধোঁয়াটে ধূসর। প্রিন্স বললেন, ‘অসম্ভব! এই আলোতে নজরই চলে না, পাখি মারব কি করে?’

    উত্তরে প্রৌঢ় হাত বাড়িয়ে গাড়োয়ালী অনুচরের কাছ থেকে হেলায় একটা রাইফেল নিলেন, তুললেন, গুলি ছুঁড়লেন, বললেন, ‘কেন, এমনি করে?’ সবাই ছুটে গেলেন সেখানে। গিয়ে দেখা গেল ডালটি অভগ্ন, পাখিটি মৃত। কারও মুখে কথাটি সরে না। শেষে প্রিন্স কোনমতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এ কেমন করে সম্ভব?’ প্রৌঢ় মুচকি হেসে উত্তর দিলেন ‘শোন তবে, যখন রুদ্রপ্রয়াগের চিতাটাকে মারি..’ এইটুকু শুনেই প্রিন্স যা বোঝার বুঝে গিয়েছেন ‘বলেন কী!! আপনিই তবে...’

    ‘হ্যাঁ, এই অধমের নামই এডোয়ার্ড জেমস করবেট। সবাই ভালবেসে জিম নামে ডাকে।’

    জিম করবেট জন্মেছিলেন পাহাড়ঘেরা নৈনিতালে। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে। এই জুলাই মাসেরই ২৫ তারিখ। বাবা নৈনিতালের পোস্টমাস্টার। হ্রদ, নৈনিদেবীর মন্দির আর তার চারপাশের বন জঙ্গলে ঘুরে ঘুরেই করবেটের প্রথম প্রকৃতি প্রেম। তিনি লিখছেন, ‘দেবীর মন্দিরের চার মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে অন্যান্য জীবজন্তু ছাড়াও আমি বাঘ, চিতা, ভালুক আর সম্বর হরিণ দেখেছি, এবং একশো আটাশ জাতের পাখি চিনতে পেরেছি।’ করবেট জাতে সাহেব হলেও ছিলেন নিম্নবিত্ত ঘরের। পড়া স্কুলেই শেষ। আর বাল্যকাল কেটেছে নৈনিতালের তরাই অঞ্চলের সাধারণ, দরিদ্র কুমায়ুনীদের সঙ্গে—যাদের জন্য শেষজীবন পর্যন্ত অন্তরের টান বজায় ছিল তাঁর ।

    ১৮৯৫ সালে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে করবেট বেঙ্গল অ্যান্ড নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়েতে শর্তাধীন কাজে ঢুকে পড়েন। এই করবেট লাজুক, স্বল্পভাষী আর কঠোর পরিশ্রমী। সঙ্গে শিকারের অদম্য নেশা। যাকে বলে ইন্ট্রোভার্ট, তার আদর্শ উদাহরণ। ভবিষ্যতের যে করবেট শত শত মাইল হেঁটে রুদ্রপ্রয়াগের চিতাকে একটি গুলিতে মারেন, অথবা অরণ্য ও অরণ্যপ্রাণী বাঁচাতে প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেন, কিংবা গ্রামের বাংলোর বারান্দায় বসে গ্রামীণ মানুষদের ওষুধ-পথ্য-সুশ্রুষার ব্যবস্থা করেন কিন্তু বিন্দুমাত্র যশপ্রার্থী হন না, তাঁর শুরু কিন্তু এখান থেকেই।
    বিশ শতকের শুরুর দিকে চম্পাবতের এক বাঘিনি গোটা উত্তরাঞ্চলে ভয়ানক ত্রাসের সৃষ্টি করল। প্রায় এক দশক ধরে পুলিস, গুপ্ত শিকারি, এমনকী নেপালি গোর্খা রেজিমেন্ট পর্যন্ত সেটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। অনেকে বিশ্বাস করত এ কোন পশু নয়, কোন অতৃপ্ত আত্মা। ওই বাঘিনির আক্রমণে শুধুমাত্র নথিভূক্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩৬। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী আজ অবধি সর্বোচ্চ। যখন সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন তখন একেবারে নবিশ শিকারী তরুণ জিম করবেট চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলেন। তাঁর হাতেই খতম হল চম্পাবতের মানুষখাকী। ‘কুমায়ুনের মানুষখেকো’ (ম্যান-ইটার্স অব কুমায়ুন) বইতে একেবারে ছবির মত বর্ণনা আছে সেই হাড়হিম করা ঘটনার।

    ‘নদীর কাছে এগলাম যখন, ঝোপ ছেড়ে বাঘিনীনিটি সেই উঁচানে পাথরের উপর, আমি যে দিকে আছি সে দিকে বেরিয়ে এল। যখন ও বিশ ফুটের মধ্যে, বন্দুকটি তুললাম এবং আতঙ্কে দেখলাম যে নল দু’টি এবং ব্রিচ-ব্লকের মাঝখানে এক ইঞ্চির আট-তৃতীয়াংশ এক ফাঁক আছে। যখন দু’টি নলে ফায়ার করা হয় তখন বন্দুক ফাটেনি, সম্ভবত এখনও ফাটবে না, কিন্তু পিছু ধাক্কা খেয়ে কানা হয়ে যাবার বিপদ আছে। যাই হক, সে ঝুঁকি নিতেই হচ্ছে এবং যে পেল্লায় পুঁতিটি সাইটের কাজ করছিল, সেটি বাঘিনির হাঁ-করা মুখের দিকে নিশানা করে বসিয়ে আমি গুলি ছুঁড়লাম। হয়তো আমি উপর-নীচে নড়ে গিয়েছিলাম কিংবা হয়তো বেলনাকার বুলেটটি বিশ ফুট নির্ভুল পাঠাবার ক্ষমতা বন্দুকটির ছিল না। যাই হোক গুলিটি বাঘিনির মুখ ফসকাল এবং বিঁধল ওর ডান থাবায়, সেখান থেকে পরে আমি আঙুলের নখ দিয়ে সেটি সরিয়েছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে ও তখন শেষ অবস্থায় পৌঁছেছিল এবং পায়ের উপর আঘাতটি ওঁকে সমুখপানে টলিয়ে ফেলে দেবার কাজ যথেষ্টই করল। পাথরটার এক ধার দিয়ে মাথাটি ঝুঁকিয়ে ও মৃত্যুতে শান্ত হল।’

    রাতারাতি জিম করবেট এক কিংবদন্তিতে পরিণত হলেন। সেই শুরু। তারপর যেখানেই মানুষখেকো বাঘের অত্যাচার শুরু হতো, জিমকে ডেকে পাঠাতেন সেখানকার শাসক। কিংবা জিম নিজেই চলে যেতেন। ১৯০৭ থেকে ১৯৩৮’এর মধ্যে তিনি মোট ৩৩টি মানুষখেকোর শিকার করেন, যারা সব মিলিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষ মেরেছিল। এদের মধ্যে দু’খানি মানুষখেকো চিতাবাঘ। রুদ্রপ্রয়াগের মানুষখেকো চিতাবাঘ ভারতের ইতিহাসে প্রায় অমর হয়ে গেছে।

    ১২৬ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা চিতাটিকে নিয়ে করবেট নিজে লিখেছেন, ‘বাঘেরা যে-কারণে নরখাদক হয়, চিতারা সে-কারণে হয় না। আমাদের জঙ্গলের সকল জন্তুর মধ্যে চিতা সবচেয়ে সুন্দর, সাবলীল। জখম হলে, বা কোণঠাসা হলে সাহসে সে কারও চেয়ে কম যায় না। তবে এরা এমন মড়াখেকো, যে খিদের জ্বালায় জঙ্গলে যে মড়া পায়, তা-ই খায়। ঠিক আফ্রিকার জঙ্গলের সিংহদের মতো... ১৯১৮ সালে দেশ জুড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার মড়ক দেখা দেয়। ভারতে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা পড়ে। এ মড়কের কঠিন মূল্য দিতে হয় গাড়োয়ালকে। মহামারীর শেষে গাড়োয়ালের নরখাদক আত্মপ্রকাশ করে। ১৯১৮ সালের ৯ই জুন, বৈঁজি গ্রামে রুদ্রপ্রয়াগের নরখাদক চিতা প্রথম মানুষ মারে, নথিতে লেখা আছে। সর্বশেষ যে মৃত্যুর জন্য নরখাদকটি দায়ী, তা ১৯২৬ সালের ১৪ই এপ্রিল ভৈঁসোয়ারা গ্রামে ঘটে। সরকারি নথিতে লেখা আছে। এই দু’টি তারিখের মধ্যে ১২৫ জন মানুষ মারা পড়ে।’

    মাইলের পর মাইল হেঁটে প্রায় হতাশ হয়ে যখন ভাবছেন শিকারই ছেড়ে দেবেন, প্রায় দৈবক্রমে তিনি চিতাটিকে শিকার করলেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, ঠিক তারপরেই যা লিখলেন তা কোন দক্ষ শিকারীর দম্ভের আস্ফালন না, বরং পড়লে আজও মন ভিজে ওঠে।

    ‘এখানে পড়ে আছে একটি বুড়ো চিতা, অন্য চিতাদের সঙ্গে ওর এইমাত্র তফাত, যে ওর মুখটা ধূসর, ঠোঁটের উপর গোঁফ নেই। ভারতবর্ষে সবার চেয়ে ঘৃণ্য এবং সন্ত্রাসকারী জন্তু, যার একমাত্র অপরাধ—প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু মানুষের নিয়মের বিরুদ্ধে—সে মানুষের রক্তপাত করেছে। মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য নয়, শুধু নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য। সে এখন গর্তের ধারে থুতনি রেখে শুয়ে আছে, চোখদু’টি আধবোজা, তার শেষ ঘুমে শান্তি মগ্ন।’ অন্য আর দশটা শিকারীর থেকে এক মূহূর্তে জিম করবেট আলাদা হয়ে যান এখানেই। তাঁর শিকার নিতান্ত অভিযান, অ্যাডভেঞ্চার কিংবা স্পোর্টের জন্য নয়। মনেপ্রাণে তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘বাঘ উদারহৃদয় ভদ্রলোক। সীমাহীন তার সাহস। যে দিন বাঘকে বিলোপ করে দেওয়া হবে, যদি বাঘের সপক্ষে জনমত গড়ে না ওঠে বাঘ লোপ পাবেই, তা হলে ভারতের শ্রেষ্ঠতম প্রাণীর বিলোপে ভারত দরিদ্রতরই হবে।’ একমাত্র যখনই কোন বাঘ সাধারণ, নিরপরাধ মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, একমাত্র তখনই ঝলসে উঠেছে তাঁর রাইফেল। ১৯৩৮ সালের ৩০ নভেম্বর থাক-এর মানুষখেকো বাঘিনিকে হত্যার পর অফিসিয়ালি শিকার ত্যাগ করলেন। তারপর মেতে উঠলেন বাঘেদের অভয়াশ্রম তৈরির কাজে। বহু ভারতীয়কে নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করেছেন শুধু এই বিশ্বাসে, ‘ভারতীয়রা বেইমানি করে না।’

    ১৯৪৪ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশ পায় রেমন্ড শেপার্ডের ছবিতে সাজানো তাঁর লেখা বই ‘Man-Eaters of Kumaon’। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বেস্ট সেলার। এক বছরের মধ্যে হু-হু করে বিক্রি হয়ে যায় প্রায় লাখ পাঁচেক বই। এই বইয়েরই বাংলা অনুবাদের অদ্ভুত সুন্দর এক মলাট করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৫৩-এ প্রকাশিত প্রচ্ছদে দু’-মলাট জোড়া কালো আর হলদে বাঘের ছাল যেন ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। নীচের দিকে গুলির গর্ত যা পিছনের দিকে ফুঁড়ে চলে গেছে। গুলি ঢোকার সময় ফুটো ছোটো হয়। ফুঁড়ে বেরোবার সময় চ্যাপ্টা ও বড়ো হয়। সেটাও প্রচ্ছদ তৈরির সময় মাথায় রেখেছেন সত্যজিৎ। লেখক হলেও বেস্ট সেলার হতেন জিম। কিন্তু বই লিখলেন মাত্র ছ’টি।

    ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হল। নভেম্বরে বোন ম্যাগিকে সঙ্গে নিয়ে এস. এস. অ্যারোন্দা জাহাজে মোম্বাসা আর সেখান থেকে নাইরোবি হয়ে নায়েরি শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলেন জিম। ১৯৫৫ সালে আচমকা না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ওখানেই ছিলেন। আসলে জিমের ভয় ছিল স্বাধীন ভারতে হয়তো তাঁর উপরে অত্যাচার নেমে আসবে । জন্মসূত্রে ইংরেজ হওয়ায় তিনি হয়তো সুবিচার পাবেন না। তাঁর প্রিয় ভারতভূমি ছেড়ে যাবার আগে নৈনিতালের বাড়ি বিক্রি করে বহুদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী রাইফেল ও বন্দুকগুলো গভীর জঙ্গলে ‘সমাধিস্থ’ করে এসেছিলেন ভারতের সেরা শিকারী, যিনি মনেপ্রাণে চিরকাল এক ভারতীয় হয়েই থেকে গিয়েছেন। তা না হলে কে এমন করে লিখতে পারে-
    ‘আমার ভারত, যে ভারতকে আমি জানি, সেই ভারতে যে চল্লিশ কোটি মানুষের বাস, তার মধ্যে শতকরা নব্বই জনই সরল, সৎ, সাহসী, আর কঠোর পরিশ্রমী। ... সত্যিই এরা বড় গরিব। এদের প্রায়শই ‘ভারতের বুভুক্ষু কোটি-কোটি মানুষ’ বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যেই আমি বাস করেছি এবং এদের আমি ভালোবাসি। এই নরনারীদের কথাই এই বইয়ের পাতায় বলার চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধু, ভারতের সেই গরিবদের উদ্দেশে আমি আমার এই বইখানি শ্রদ্ধাভরে উৎসর্গ করলাম।’

    জন্মের সার্ধশতবর্ষে এই মনীষীকে প্রণাম।

    জিম করবেট ১৫০। বর্তমান পত্রিকায় গত ২০ জুলাই প্রকাশিত।

    লেখক - কৌশিক মজুমদার
    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। বার্মার ঘন জঙ্গলে চলাফেরার জন্য ভারতীয় সেনাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে মধ্য ভারতের মাউয়ের সামরিক ছাউনিতে। সেই সেনাবিভাগে এক ভারতীয় রাজ্যের যুবরাজ ছিলেন। ছাউনির সবাই তাঁকে ‘প্রিন্স’ বলে ডাকত। প্রিন্স নিজে শিকারি, আর তা নিয়ে প্রায়ই মহা আস্ফালন করতেন। কিছু পেটোয়া চ্যালাচামুণ্ডা ছিল তাঁর। সবাইকে নিয়ে বিকেলে ক্লাবঘরে বসে নরক গুলজার হতো। বক্তা মূলত প্রিন্স, বাকিরা মুগ্ধ শ্রোতা। একদিন প্রসঙ্গ উঠল শিকারে অব্যর্থ হতে হলে কী দরকার? নিমেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, নাকি অব্যর্থ নিশানা? এক একজন এক একরকম মত দিলেন। কেউ বললেন তিনটি অথবা দু’টির যোগফল। প্রিন্স নিজে বললেন, ‘ওসব বাজে গল্প। অব্যর্থ নিশানাই শেষ কথা নয়।’ ঠিক তখনই ছাউনির ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ অফিসার বলে উঠলেন, ‘আরে! আজ দেখি আমাদের মধ্যে এক এক্সপার্ট রয়েছেন। শোনাই যাক না উনি কী বলেন?’ সবাই তাকিয়ে দেখল এককোণে চুপচাপ বসে এতক্ষণ নির্বাক রোদে-পোড়া, শক্ত চেহারার বলিষ্ঠ এক প্রৌঢ় তাঁদের তর্ক শুনে মিটিমিটি হাসছেন। তাঁর উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন করায় এককথায় উত্তর দিলেন, ‘অব্যর্থ নিশানা। আর কিচ্ছু না!’ এই প্রথম প্রিন্সের কথাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলেন। যথারীতি তিনি ভয়ানক রেগে গেলেন। কে এই বৃদ্ধ! এত সাহসই বা তাঁর হয় কী করে? কোনওমতে রাগ চেপে প্রিন্স বললেন ‘আপনি প্রমাণ করতে পারবেন?’ প্রৌঢ় আঙুল তুলে দেখালেন, ‘আচ্ছা, ওই দূরের গাছটা দেখ। একটা ওয়াই Y আকারের সরু ডালের মাঝের খাঁজে ছোট্ট একখানা পাখি বসে আছে। ডাল ভাঙবে না, কিন্তু পাখিটাকে মারতে হবে। পারবে?’ বিকেলের আলো পড়ে আসছে। চারিদিক ধোঁয়াটে ধূসর। প্রিন্স বললেন, ‘অসম্ভব! এই আলোতে নজরই চলে না, পাখি মারব কি করে?’ উত্তরে প্রৌঢ় হাত বাড়িয়ে গাড়োয়ালী অনুচরের কাছ থেকে হেলায় একটা রাইফেল নিলেন, তুললেন, গুলি ছুঁড়লেন, বললেন, ‘কেন, এমনি করে?’ সবাই ছুটে গেলেন সেখানে। গিয়ে দেখা গেল ডালটি অভগ্ন, পাখিটি মৃত। কারও মুখে কথাটি সরে না। শেষে প্রিন্স কোনমতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এ কেমন করে সম্ভব?’ প্রৌঢ় মুচকি হেসে উত্তর দিলেন ‘শোন তবে, যখন রুদ্রপ্রয়াগের চিতাটাকে মারি..’ এইটুকু শুনেই প্রিন্স যা বোঝার বুঝে গিয়েছেন ‘বলেন কী!! আপনিই তবে...’ ‘হ্যাঁ, এই অধমের নামই এডোয়ার্ড জেমস করবেট। সবাই ভালবেসে জিম নামে ডাকে।’ জিম করবেট জন্মেছিলেন পাহাড়ঘেরা নৈনিতালে। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে। এই জুলাই মাসেরই ২৫ তারিখ। বাবা নৈনিতালের পোস্টমাস্টার। হ্রদ, নৈনিদেবীর মন্দির আর তার চারপাশের বন জঙ্গলে ঘুরে ঘুরেই করবেটের প্রথম প্রকৃতি প্রেম। তিনি লিখছেন, ‘দেবীর মন্দিরের চার মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে অন্যান্য জীবজন্তু ছাড়াও আমি বাঘ, চিতা, ভালুক আর সম্বর হরিণ দেখেছি, এবং একশো আটাশ জাতের পাখি চিনতে পেরেছি।’ করবেট জাতে সাহেব হলেও ছিলেন নিম্নবিত্ত ঘরের। পড়া স্কুলেই শেষ। আর বাল্যকাল কেটেছে নৈনিতালের তরাই অঞ্চলের সাধারণ, দরিদ্র কুমায়ুনীদের সঙ্গে—যাদের জন্য শেষজীবন পর্যন্ত অন্তরের টান বজায় ছিল তাঁর । ১৮৯৫ সালে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে করবেট বেঙ্গল অ্যান্ড নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়েতে শর্তাধীন কাজে ঢুকে পড়েন। এই করবেট লাজুক, স্বল্পভাষী আর কঠোর পরিশ্রমী। সঙ্গে শিকারের অদম্য নেশা। যাকে বলে ইন্ট্রোভার্ট, তার আদর্শ উদাহরণ। ভবিষ্যতের যে করবেট শত শত মাইল হেঁটে রুদ্রপ্রয়াগের চিতাকে একটি গুলিতে মারেন, অথবা অরণ্য ও অরণ্যপ্রাণী বাঁচাতে প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেন, কিংবা গ্রামের বাংলোর বারান্দায় বসে গ্রামীণ মানুষদের ওষুধ-পথ্য-সুশ্রুষার ব্যবস্থা করেন কিন্তু বিন্দুমাত্র যশপ্রার্থী হন না, তাঁর শুরু কিন্তু এখান থেকেই। বিশ শতকের শুরুর দিকে চম্পাবতের এক বাঘিনি গোটা উত্তরাঞ্চলে ভয়ানক ত্রাসের সৃষ্টি করল। প্রায় এক দশক ধরে পুলিস, গুপ্ত শিকারি, এমনকী নেপালি গোর্খা রেজিমেন্ট পর্যন্ত সেটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। অনেকে বিশ্বাস করত এ কোন পশু নয়, কোন অতৃপ্ত আত্মা। ওই বাঘিনির আক্রমণে শুধুমাত্র নথিভূক্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩৬। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী আজ অবধি সর্বোচ্চ। যখন সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন তখন একেবারে নবিশ শিকারী তরুণ জিম করবেট চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলেন। তাঁর হাতেই খতম হল চম্পাবতের মানুষখাকী। ‘কুমায়ুনের মানুষখেকো’ (ম্যান-ইটার্স অব কুমায়ুন) বইতে একেবারে ছবির মত বর্ণনা আছে সেই হাড়হিম করা ঘটনার। ‘নদীর কাছে এগলাম যখন, ঝোপ ছেড়ে বাঘিনীনিটি সেই উঁচানে পাথরের উপর, আমি যে দিকে আছি সে দিকে বেরিয়ে এল। যখন ও বিশ ফুটের মধ্যে, বন্দুকটি তুললাম এবং আতঙ্কে দেখলাম যে নল দু’টি এবং ব্রিচ-ব্লকের মাঝখানে এক ইঞ্চির আট-তৃতীয়াংশ এক ফাঁক আছে। যখন দু’টি নলে ফায়ার করা হয় তখন বন্দুক ফাটেনি, সম্ভবত এখনও ফাটবে না, কিন্তু পিছু ধাক্কা খেয়ে কানা হয়ে যাবার বিপদ আছে। যাই হক, সে ঝুঁকি নিতেই হচ্ছে এবং যে পেল্লায় পুঁতিটি সাইটের কাজ করছিল, সেটি বাঘিনির হাঁ-করা মুখের দিকে নিশানা করে বসিয়ে আমি গুলি ছুঁড়লাম। হয়তো আমি উপর-নীচে নড়ে গিয়েছিলাম কিংবা হয়তো বেলনাকার বুলেটটি বিশ ফুট নির্ভুল পাঠাবার ক্ষমতা বন্দুকটির ছিল না। যাই হোক গুলিটি বাঘিনির মুখ ফসকাল এবং বিঁধল ওর ডান থাবায়, সেখান থেকে পরে আমি আঙুলের নখ দিয়ে সেটি সরিয়েছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে ও তখন শেষ অবস্থায় পৌঁছেছিল এবং পায়ের উপর আঘাতটি ওঁকে সমুখপানে টলিয়ে ফেলে দেবার কাজ যথেষ্টই করল। পাথরটার এক ধার দিয়ে মাথাটি ঝুঁকিয়ে ও মৃত্যুতে শান্ত হল।’ রাতারাতি জিম করবেট এক কিংবদন্তিতে পরিণত হলেন। সেই শুরু। তারপর যেখানেই মানুষখেকো বাঘের অত্যাচার শুরু হতো, জিমকে ডেকে পাঠাতেন সেখানকার শাসক। কিংবা জিম নিজেই চলে যেতেন। ১৯০৭ থেকে ১৯৩৮’এর মধ্যে তিনি মোট ৩৩টি মানুষখেকোর শিকার করেন, যারা সব মিলিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষ মেরেছিল। এদের মধ্যে দু’খানি মানুষখেকো চিতাবাঘ। রুদ্রপ্রয়াগের মানুষখেকো চিতাবাঘ ভারতের ইতিহাসে প্রায় অমর হয়ে গেছে। ১২৬ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা চিতাটিকে নিয়ে করবেট নিজে লিখেছেন, ‘বাঘেরা যে-কারণে নরখাদক হয়, চিতারা সে-কারণে হয় না। আমাদের জঙ্গলের সকল জন্তুর মধ্যে চিতা সবচেয়ে সুন্দর, সাবলীল। জখম হলে, বা কোণঠাসা হলে সাহসে সে কারও চেয়ে কম যায় না। তবে এরা এমন মড়াখেকো, যে খিদের জ্বালায় জঙ্গলে যে মড়া পায়, তা-ই খায়। ঠিক আফ্রিকার জঙ্গলের সিংহদের মতো... ১৯১৮ সালে দেশ জুড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার মড়ক দেখা দেয়। ভারতে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা পড়ে। এ মড়কের কঠিন মূল্য দিতে হয় গাড়োয়ালকে। মহামারীর শেষে গাড়োয়ালের নরখাদক আত্মপ্রকাশ করে। ১৯১৮ সালের ৯ই জুন, বৈঁজি গ্রামে রুদ্রপ্রয়াগের নরখাদক চিতা প্রথম মানুষ মারে, নথিতে লেখা আছে। সর্বশেষ যে মৃত্যুর জন্য নরখাদকটি দায়ী, তা ১৯২৬ সালের ১৪ই এপ্রিল ভৈঁসোয়ারা গ্রামে ঘটে। সরকারি নথিতে লেখা আছে। এই দু’টি তারিখের মধ্যে ১২৫ জন মানুষ মারা পড়ে।’ মাইলের পর মাইল হেঁটে প্রায় হতাশ হয়ে যখন ভাবছেন শিকারই ছেড়ে দেবেন, প্রায় দৈবক্রমে তিনি চিতাটিকে শিকার করলেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, ঠিক তারপরেই যা লিখলেন তা কোন দক্ষ শিকারীর দম্ভের আস্ফালন না, বরং পড়লে আজও মন ভিজে ওঠে। ‘এখানে পড়ে আছে একটি বুড়ো চিতা, অন্য চিতাদের সঙ্গে ওর এইমাত্র তফাত, যে ওর মুখটা ধূসর, ঠোঁটের উপর গোঁফ নেই। ভারতবর্ষে সবার চেয়ে ঘৃণ্য এবং সন্ত্রাসকারী জন্তু, যার একমাত্র অপরাধ—প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু মানুষের নিয়মের বিরুদ্ধে—সে মানুষের রক্তপাত করেছে। মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য নয়, শুধু নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য। সে এখন গর্তের ধারে থুতনি রেখে শুয়ে আছে, চোখদু’টি আধবোজা, তার শেষ ঘুমে শান্তি মগ্ন।’ অন্য আর দশটা শিকারীর থেকে এক মূহূর্তে জিম করবেট আলাদা হয়ে যান এখানেই। তাঁর শিকার নিতান্ত অভিযান, অ্যাডভেঞ্চার কিংবা স্পোর্টের জন্য নয়। মনেপ্রাণে তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘বাঘ উদারহৃদয় ভদ্রলোক। সীমাহীন তার সাহস। যে দিন বাঘকে বিলোপ করে দেওয়া হবে, যদি বাঘের সপক্ষে জনমত গড়ে না ওঠে বাঘ লোপ পাবেই, তা হলে ভারতের শ্রেষ্ঠতম প্রাণীর বিলোপে ভারত দরিদ্রতরই হবে।’ একমাত্র যখনই কোন বাঘ সাধারণ, নিরপরাধ মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, একমাত্র তখনই ঝলসে উঠেছে তাঁর রাইফেল। ১৯৩৮ সালের ৩০ নভেম্বর থাক-এর মানুষখেকো বাঘিনিকে হত্যার পর অফিসিয়ালি শিকার ত্যাগ করলেন। তারপর মেতে উঠলেন বাঘেদের অভয়াশ্রম তৈরির কাজে। বহু ভারতীয়কে নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করেছেন শুধু এই বিশ্বাসে, ‘ভারতীয়রা বেইমানি করে না।’ ১৯৪৪ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশ পায় রেমন্ড শেপার্ডের ছবিতে সাজানো তাঁর লেখা বই ‘Man-Eaters of Kumaon’। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বেস্ট সেলার। এক বছরের মধ্যে হু-হু করে বিক্রি হয়ে যায় প্রায় লাখ পাঁচেক বই। এই বইয়েরই বাংলা অনুবাদের অদ্ভুত সুন্দর এক মলাট করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৫৩-এ প্রকাশিত প্রচ্ছদে দু’-মলাট জোড়া কালো আর হলদে বাঘের ছাল যেন ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। নীচের দিকে গুলির গর্ত যা পিছনের দিকে ফুঁড়ে চলে গেছে। গুলি ঢোকার সময় ফুটো ছোটো হয়। ফুঁড়ে বেরোবার সময় চ্যাপ্টা ও বড়ো হয়। সেটাও প্রচ্ছদ তৈরির সময় মাথায় রেখেছেন সত্যজিৎ। লেখক হলেও বেস্ট সেলার হতেন জিম। কিন্তু বই লিখলেন মাত্র ছ’টি। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হল। নভেম্বরে বোন ম্যাগিকে সঙ্গে নিয়ে এস. এস. অ্যারোন্দা জাহাজে মোম্বাসা আর সেখান থেকে নাইরোবি হয়ে নায়েরি শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলেন জিম। ১৯৫৫ সালে আচমকা না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ওখানেই ছিলেন। আসলে জিমের ভয় ছিল স্বাধীন ভারতে হয়তো তাঁর উপরে অত্যাচার নেমে আসবে । জন্মসূত্রে ইংরেজ হওয়ায় তিনি হয়তো সুবিচার পাবেন না। তাঁর প্রিয় ভারতভূমি ছেড়ে যাবার আগে নৈনিতালের বাড়ি বিক্রি করে বহুদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী রাইফেল ও বন্দুকগুলো গভীর জঙ্গলে ‘সমাধিস্থ’ করে এসেছিলেন ভারতের সেরা শিকারী, যিনি মনেপ্রাণে চিরকাল এক ভারতীয় হয়েই থেকে গিয়েছেন। তা না হলে কে এমন করে লিখতে পারে- ‘আমার ভারত, যে ভারতকে আমি জানি, সেই ভারতে যে চল্লিশ কোটি মানুষের বাস, তার মধ্যে শতকরা নব্বই জনই সরল, সৎ, সাহসী, আর কঠোর পরিশ্রমী। ... সত্যিই এরা বড় গরিব। এদের প্রায়শই ‘ভারতের বুভুক্ষু কোটি-কোটি মানুষ’ বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যেই আমি বাস করেছি এবং এদের আমি ভালোবাসি। এই নরনারীদের কথাই এই বইয়ের পাতায় বলার চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধু, ভারতের সেই গরিবদের উদ্দেশে আমি আমার এই বইখানি শ্রদ্ধাভরে উৎসর্গ করলাম।’ জন্মের সার্ধশতবর্ষে এই মনীষীকে প্রণাম। জিম করবেট ১৫০। বর্তমান পত্রিকায় গত ২০ জুলাই প্রকাশিত। লেখক - কৌশিক মজুমদার
    0 Comments 0 Shares 27 Views
  • বাংলাদেশি মেরিন ক্যাডেটদের চাকরির সংকট বাস্তবতা ও কারণসমূহ

    ১. প্রতিবছর শত শত তরুণ ক্যাডেট দেশের Marine Academy গুলো থেকে পাস করে জীবনের প্রথম জাহাজে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রথম বছরেই তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও কম চাকরি পায়। বাকিরা বছরের পর বছর Sea Time-এর জন্য অপেক্ষা করে। অনেকেই হতাশ হয়ে ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়। এই তরুণরা কিন্তু একটি বিশেষায়িত ট্রেনিং সম্পন্ন করে শুধুমাত্র মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার উপযোগী হয়েছে। অন্য কোনো সেক্টরে তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রায় অসম্ভব। আরও দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, চার বছরের অনার্স কোর্সে মাত্র দুই বছর একাডেমিক ট্রেনিং করিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি এক বছর জাহাজে ইন্টার্নশিপ (Cadetship) এবং শেষের এক বছর একাডেমিতে ফিরে দুইটি সেমিস্টার কমপ্লিট করে তবেই তারা অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারে। ফলে এই পড়াশোনা সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে তারা বিসিএস কিংবা মাস্টার্সে পর্যন্ত আবেদন করতে পারে না। এটি নিঃসন্দেহে তাদের জন্য এক করুণ বাস্তবতা।
    ২. সরকারি ও বেসরকারি Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে, অথচ আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে সেই পরিমাণ চাহিদা নেই। Supply & Demand এর ভারসাম্য না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। অথচ এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে দেশের একমাত্র কর্তৃপক্ষ DG Shipping কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
    ৩. বাংলাদেশের পতাকাবাহী (BD Flag) জাহাজের সংখ্যা যেমন কম, তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো, এগুলোর অনেক মালিকই নিয়ম অনুযায়ী ক্যাডেট নিতে চান না। আবার ক্যাডেট নিয়োগ দিলে তাঁদের জন্য কোনো সরকারি প্রণোদনাও নেই, ফলে মালিকরা একে বোঝা হিসেবে দেখেন।
    ৪. অনেক বিদেশি কোম্পানির জাহাজ বাংলাদেশে আসে, কিন্তু আমাদের ক্যাডেটরা সেখানে সুযোগ পায় না। যদি সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করে, তাহলে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানির ম্যানেজার, ক্যাপ্টেন ও চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে এসব কোম্পানিকে রাজি করানো সম্ভব।
    ৫. চাকরির আশায় অনেক ক্যাডেট ম্যানিং এজেন্সিগুলোর শরণাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু যথাযথ মনিটরিং-এর অভাবে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সার্ভিস চার্জের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে, অথচ চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। একাডেমি কিংবা DG Shipping এর এই বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ বা দায়বদ্ধতা নেই। ফলে ক্যাডেটরা অসহায়। যারা সামর্থ্যবান তারা বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে জাহাজে ওঠার চেষ্টা করছে।
    ৬. Marine Academy গুলোর কারিকুলাম অনেকটাই পুরনো এবং নিয়মিত আপডেট হচ্ছে না। Maritime English, Soft Skills, Interview Preparation ও বাস্তবভিত্তিক ট্রেনিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। যার কারণে তারা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে ভালো করতে পারছে না। যেমন, এই বছর Oldendorff, OSM Thome, Hafnia এর মত কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে সাকসেস রেট ছিল ৫০ শতাংশেরও কম। কোম্পানিগুলো আশানুরূপ জ্ঞান ও দক্ষতা না পেয়ে হতাশ হয়েছে।
    ৭. সিঙ্গাপুর, ইউএই, ওমান, কাতারসহ গুরুত্বপূর্ণ Sign-on/Sign-off পোর্টগুলোতে Seafarer Visa পাওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। এই ভিসা জটিলতা চাকরি পাওয়ার পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার দ্রুত সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
    ৮. দেশে এমন অনেক সরকারি-বেসরকারি Maritime Academy গড়ে উঠেছে যাদের মান নিয়ন্ত্রণ নেই। অনুমোদন পেলেই তারা Intake শুরু করে দেয়, অথচ নেই যথাযথ ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি, ল্যাব, লাইব্রেরি বা অভিজ্ঞ শিক্ষক। এর ফলে প্রশিক্ষণের মান পড়ে যাচ্ছে, এবং দুর্বল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের কারণে চাকরির বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
    ৯. Institute of Marine Technology (IMT) মূলত Inland Shipping ও Shipbuilding সেক্টরের জন্য শিক্ষার্থী তৈরি করে। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে CDC সংগ্রহ এবং সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে মূল Marine Cadet দের চাকরি হরণ হওয়ার পাশাপাশি চাকরির বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তার চেয়েও বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, STCW রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ট্রেনিং ব্যতীত কাউকে Sea-going Vessel-এ জয়েন করালে IMO কর্তৃক বাংলাদেশ ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এর ফলে ভালো শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি Seafarer নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।


    সমস্যা সমাধানে ৯টি বাস্তবসম্মত সুপারিশঃ
    ১. দেশের Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা চাকরির বাজার বিশ্লেষণ করে প্রতি বছর DG Shipping কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে সব একাডেমির সঙ্গে বৈঠক করে unemployed ক্যাডেটদের তালিকা করে পরবর্তী বছরের Intake নির্ধারণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ডিজি শিপিং প্রত্যেকটা একাডেমি কে তাদের জন্য ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট intake নির্দিষ্ট করে দিতে পারে। সরকারি বেসরকারি কোন একাডেমীর উচিত হবে না সেই ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট Intake এর বাইরে ক্যাডেট নেওয়া করা!
    ২. BD Flag জাহাজে ৪ জন করে ক্যাডেট রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার পোর্ট ডিউস ছাড়, অগ্রাধিকার ভিত্তিক বার্থিং ইত্যাদি প্রণোদনা দিতে পারে।
    ৩. বাংলাদেশে আসা বিদেশি জাহাজগুলোতে আমাদের ক্যাডেট নিয়োগে উৎসাহ দিতে Incentive Program চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশে কর্মরত আমাদের সিনিয়র অফিসারদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।
    ৪. Marine Academy-এর মেধা তালিকা অনুযায়ী স্বচ্ছ একটি Central Cadet Placement Portal গঠন করে Sea Time-এর সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। একাডেমিগুলো কোম্পানিগুলোর কাছে আবেদনপত্র পাঠাতে পারে বা Manning Agent দের তালিকা দিতে পারে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একাডেমিগুলির কমান্ড্যান্টগণ তাদের তত্ত্বাবধানে একটা টিম গঠন করতে পারে যারা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ক্যাডেটদের জন্য চাকরির চেষ্টা করতে পারে। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজে দেয়। একাডেমী গুলি বিভিন্ন কোম্পানিতে কে তাদের একাডেমি ভিজিট এবং ক্যাডেট নেওয়ার জন্য MoU সাইন করার ব্যবস্থা করতে পারে। অনেক বড় বড় কোম্পানি বিভিন্ন দেশের একাডেমি গুলির সাথে Collanoration এর চুক্তি করে।
    ৫. MLC 2006 অনুযায়ী কোনো ম্যানিং এজেন্ট ক্যাডেট বা সিফেয়ারারদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না। সব ম্যানিং এজেন্সিকে সরকারি নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
    ৬. Maritime Education কারিকুলাম STCW কনভেনশন অনুসারে নিয়মিত আপডেট করতে হবে। Maritime English, Interview Skills, CBT, এবং সিমুলেটর ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে।
    ৭. Seafarer Visa সমস্যার সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। G2G, G2B এবং B2B আলোচনার মাধ্যমে Seafarer Visa সহজীকরণে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে OK to Board ভিসাসহ সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব, USA এবং শেঙ্গেন ভিসার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
    ৮. নতুন Maritime Academy অনুমোদনের আগে অভিজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে Infrastructure, কোর্স, শিক্ষক, চাকরির বাজার ও চাহিদা যাচাই করে অনুমোদন দিতে হবে।
    ৯. IMT এবং Shipbuilding & Inland Shipping সংক্রান্ত ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা Sea-going Vessel-এ চাকরির চেষ্টা করলে তা প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাদের জন্য আলাদা চাকরির ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে হবে। তাদেরকে সার্টিফাইড ওয়েল্ডিং এন্ড শিপ বিল্ডিং প্রফেশনাল হিসেবে উত্তম ভাবে trained up করে সিঙ্গাপুর, সাউথ কোরিয়া এবং জাপান সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চাকরির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়াও তাদেরকে জাহাজের দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম পড়িয়ে দক্ষ ETO হিসাবে Trained up করে জাহাজে চাকরির জন্য CDC প্রদান করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের STCW 2010 রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে ট্রেনিং নিশ্চিত করতে হবে। এরপরও যদি তারা ইন্টারন্যাশনাল শিপিং এ ডেক এবং ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসাবে চাকরির জন্য CDC পাওয়ার দাবি করে তবে তাদের কে ডিজি শিপিং এর মার্চেন্ডশিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এবং STCW 2010 ম্যানিলা আমেনমেন্ট অনুসারে Pre-sea training সম্পন্ন করে ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং থেকে তাদের ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে CDC এর জন্য আবেদন করতে হবে। শিপিং মিনিস্টারের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং ছাড়া অন্য কোন অথরিটির Seaman Book বা CDC ইস্যু করার এখতিয়ার নাই।
    পরিশেষে এটাই বলতে চাই, এখনই যদি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে আগামী কয়েক বছরে দেশের মেরিটাইম ক্যারিয়ার এক চরম হতাশার মধ্যে পড়বে। পরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তাই এখনই সময় দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
    বাংলাদেশি মেরিন ক্যাডেটদের চাকরির সংকট বাস্তবতা ও কারণসমূহ ১. প্রতিবছর শত শত তরুণ ক্যাডেট দেশের Marine Academy গুলো থেকে পাস করে জীবনের প্রথম জাহাজে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রথম বছরেই তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও কম চাকরি পায়। বাকিরা বছরের পর বছর Sea Time-এর জন্য অপেক্ষা করে। অনেকেই হতাশ হয়ে ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়। এই তরুণরা কিন্তু একটি বিশেষায়িত ট্রেনিং সম্পন্ন করে শুধুমাত্র মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার উপযোগী হয়েছে। অন্য কোনো সেক্টরে তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রায় অসম্ভব। আরও দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, চার বছরের অনার্স কোর্সে মাত্র দুই বছর একাডেমিক ট্রেনিং করিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি এক বছর জাহাজে ইন্টার্নশিপ (Cadetship) এবং শেষের এক বছর একাডেমিতে ফিরে দুইটি সেমিস্টার কমপ্লিট করে তবেই তারা অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারে। ফলে এই পড়াশোনা সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে তারা বিসিএস কিংবা মাস্টার্সে পর্যন্ত আবেদন করতে পারে না। এটি নিঃসন্দেহে তাদের জন্য এক করুণ বাস্তবতা। ২. সরকারি ও বেসরকারি Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে, অথচ আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে সেই পরিমাণ চাহিদা নেই। Supply & Demand এর ভারসাম্য না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। অথচ এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে দেশের একমাত্র কর্তৃপক্ষ DG Shipping কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। ৩. বাংলাদেশের পতাকাবাহী (BD Flag) জাহাজের সংখ্যা যেমন কম, তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো, এগুলোর অনেক মালিকই নিয়ম অনুযায়ী ক্যাডেট নিতে চান না। আবার ক্যাডেট নিয়োগ দিলে তাঁদের জন্য কোনো সরকারি প্রণোদনাও নেই, ফলে মালিকরা একে বোঝা হিসেবে দেখেন। ৪. অনেক বিদেশি কোম্পানির জাহাজ বাংলাদেশে আসে, কিন্তু আমাদের ক্যাডেটরা সেখানে সুযোগ পায় না। যদি সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করে, তাহলে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানির ম্যানেজার, ক্যাপ্টেন ও চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে এসব কোম্পানিকে রাজি করানো সম্ভব। ৫. চাকরির আশায় অনেক ক্যাডেট ম্যানিং এজেন্সিগুলোর শরণাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু যথাযথ মনিটরিং-এর অভাবে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সার্ভিস চার্জের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে, অথচ চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। একাডেমি কিংবা DG Shipping এর এই বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ বা দায়বদ্ধতা নেই। ফলে ক্যাডেটরা অসহায়। যারা সামর্থ্যবান তারা বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে জাহাজে ওঠার চেষ্টা করছে। ৬. Marine Academy গুলোর কারিকুলাম অনেকটাই পুরনো এবং নিয়মিত আপডেট হচ্ছে না। Maritime English, Soft Skills, Interview Preparation ও বাস্তবভিত্তিক ট্রেনিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। যার কারণে তারা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে ভালো করতে পারছে না। যেমন, এই বছর Oldendorff, OSM Thome, Hafnia এর মত কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে সাকসেস রেট ছিল ৫০ শতাংশেরও কম। কোম্পানিগুলো আশানুরূপ জ্ঞান ও দক্ষতা না পেয়ে হতাশ হয়েছে। ৭. সিঙ্গাপুর, ইউএই, ওমান, কাতারসহ গুরুত্বপূর্ণ Sign-on/Sign-off পোর্টগুলোতে Seafarer Visa পাওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। এই ভিসা জটিলতা চাকরি পাওয়ার পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার দ্রুত সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। ৮. দেশে এমন অনেক সরকারি-বেসরকারি Maritime Academy গড়ে উঠেছে যাদের মান নিয়ন্ত্রণ নেই। অনুমোদন পেলেই তারা Intake শুরু করে দেয়, অথচ নেই যথাযথ ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি, ল্যাব, লাইব্রেরি বা অভিজ্ঞ শিক্ষক। এর ফলে প্রশিক্ষণের মান পড়ে যাচ্ছে, এবং দুর্বল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের কারণে চাকরির বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ৯. Institute of Marine Technology (IMT) মূলত Inland Shipping ও Shipbuilding সেক্টরের জন্য শিক্ষার্থী তৈরি করে। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে CDC সংগ্রহ এবং সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে মূল Marine Cadet দের চাকরি হরণ হওয়ার পাশাপাশি চাকরির বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তার চেয়েও বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, STCW রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ট্রেনিং ব্যতীত কাউকে Sea-going Vessel-এ জয়েন করালে IMO কর্তৃক বাংলাদেশ ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এর ফলে ভালো শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি Seafarer নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। সমস্যা সমাধানে ৯টি বাস্তবসম্মত সুপারিশঃ ১. দেশের Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা চাকরির বাজার বিশ্লেষণ করে প্রতি বছর DG Shipping কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে সব একাডেমির সঙ্গে বৈঠক করে unemployed ক্যাডেটদের তালিকা করে পরবর্তী বছরের Intake নির্ধারণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ডিজি শিপিং প্রত্যেকটা একাডেমি কে তাদের জন্য ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট intake নির্দিষ্ট করে দিতে পারে। সরকারি বেসরকারি কোন একাডেমীর উচিত হবে না সেই ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট Intake এর বাইরে ক্যাডেট নেওয়া করা! ২. BD Flag জাহাজে ৪ জন করে ক্যাডেট রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার পোর্ট ডিউস ছাড়, অগ্রাধিকার ভিত্তিক বার্থিং ইত্যাদি প্রণোদনা দিতে পারে। ৩. বাংলাদেশে আসা বিদেশি জাহাজগুলোতে আমাদের ক্যাডেট নিয়োগে উৎসাহ দিতে Incentive Program চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশে কর্মরত আমাদের সিনিয়র অফিসারদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে। ৪. Marine Academy-এর মেধা তালিকা অনুযায়ী স্বচ্ছ একটি Central Cadet Placement Portal গঠন করে Sea Time-এর সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। একাডেমিগুলো কোম্পানিগুলোর কাছে আবেদনপত্র পাঠাতে পারে বা Manning Agent দের তালিকা দিতে পারে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একাডেমিগুলির কমান্ড্যান্টগণ তাদের তত্ত্বাবধানে একটা টিম গঠন করতে পারে যারা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ক্যাডেটদের জন্য চাকরির চেষ্টা করতে পারে। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজে দেয়। একাডেমী গুলি বিভিন্ন কোম্পানিতে কে তাদের একাডেমি ভিজিট এবং ক্যাডেট নেওয়ার জন্য MoU সাইন করার ব্যবস্থা করতে পারে। অনেক বড় বড় কোম্পানি বিভিন্ন দেশের একাডেমি গুলির সাথে Collanoration এর চুক্তি করে। ৫. MLC 2006 অনুযায়ী কোনো ম্যানিং এজেন্ট ক্যাডেট বা সিফেয়ারারদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না। সব ম্যানিং এজেন্সিকে সরকারি নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৬. Maritime Education কারিকুলাম STCW কনভেনশন অনুসারে নিয়মিত আপডেট করতে হবে। Maritime English, Interview Skills, CBT, এবং সিমুলেটর ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৭. Seafarer Visa সমস্যার সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। G2G, G2B এবং B2B আলোচনার মাধ্যমে Seafarer Visa সহজীকরণে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে OK to Board ভিসাসহ সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব, USA এবং শেঙ্গেন ভিসার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ৮. নতুন Maritime Academy অনুমোদনের আগে অভিজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে Infrastructure, কোর্স, শিক্ষক, চাকরির বাজার ও চাহিদা যাচাই করে অনুমোদন দিতে হবে। ৯. IMT এবং Shipbuilding & Inland Shipping সংক্রান্ত ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা Sea-going Vessel-এ চাকরির চেষ্টা করলে তা প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাদের জন্য আলাদা চাকরির ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে হবে। তাদেরকে সার্টিফাইড ওয়েল্ডিং এন্ড শিপ বিল্ডিং প্রফেশনাল হিসেবে উত্তম ভাবে trained up করে সিঙ্গাপুর, সাউথ কোরিয়া এবং জাপান সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চাকরির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়াও তাদেরকে জাহাজের দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম পড়িয়ে দক্ষ ETO হিসাবে Trained up করে জাহাজে চাকরির জন্য CDC প্রদান করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের STCW 2010 রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে ট্রেনিং নিশ্চিত করতে হবে। এরপরও যদি তারা ইন্টারন্যাশনাল শিপিং এ ডেক এবং ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসাবে চাকরির জন্য CDC পাওয়ার দাবি করে তবে তাদের কে ডিজি শিপিং এর মার্চেন্ডশিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এবং STCW 2010 ম্যানিলা আমেনমেন্ট অনুসারে Pre-sea training সম্পন্ন করে ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং থেকে তাদের ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে CDC এর জন্য আবেদন করতে হবে। শিপিং মিনিস্টারের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং ছাড়া অন্য কোন অথরিটির Seaman Book বা CDC ইস্যু করার এখতিয়ার নাই। পরিশেষে এটাই বলতে চাই, এখনই যদি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে আগামী কয়েক বছরে দেশের মেরিটাইম ক্যারিয়ার এক চরম হতাশার মধ্যে পড়বে। পরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তাই এখনই সময় দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
    0 Comments 0 Shares 59 Views
  • নিজেকে ভুলতে পারি, তোকে যাবেনা ভোলা
    এই হলো আরেক জিনিস। মেডিকেলে পড়তে এসেছেন যখন, ইহাকে ভুলিয়া থাকা যাইবে না। সে প্যাথলজি হোক, ফার্মাকোলজি হোক কিংবা মেডিসিনই হোক।
    রোগী ব্যথা নিয়ে এলেই তাকে যে মনমতো একটা পেইনকিলার ধরায়ে দেয়া যাবে না, সেটা বোঝার জন্যেও এই চার্টের গুরুত্ব সীমাহীন।
    Lets start
    এটাই কোয়াকের সাথে এমবিবিএসের পার্থক্য গড়ে দেবে!
    তো, শুরু করা যাক °°° Cyclooxygenase°°° এর সহজ পাঠ।
    পোস্টের শুরুতেই দেখে নেই Robbin's এর সেই বিখ্যাত চার্টটা...
    √ Cyclooxygenase (COX) কী?
    ইহা হল একটা এনজাইম যা arachidonic acid থেকে prostanoids ( prostaglandin, prostacyclin, thromboxane) তৈরি করে।
    সত্যিকার অর্থে COX সরাসরি prostanoids তৈরি করেনা। COX শুধু arachidonic acid(AA) থেকে prostaglandin H2 তৈরি করে। এখন এই PGH2 থেকে বিভিন্ন এনজাইম দিয়ে বিভিন্ন PG তৈরি হয়।
    যেমন, platelet এ thromboxane synthase থাকে, যা দিয়ে PGH2 থেকে TXA2 (thromboxane A2) তৈরি হয়।
    বা, microvascular endothelium এ PGI2 synthase থাকে, যা দিয়ে PGH2 থেকে PGI2(prostacyclin) তৈরি হয়।
    √ COX কয় ধরনের?
    COX-1 & COX-2
    COX-1 এমনিতেই দেহের অধিকাংশ কোষে থাকে। এরা হাউজ-কিপিং রোল প্লে করে। যেমন, GIT তে cryoprotective বা, কিডনিতে fluid, electrolyte balance মেইনটেইন করে বা, platelet এর aggregation বন্ধ রাখে।
    অপরদিকে, COX-2 এনজাইম ইনফ্ল্যামেশন বা ক্যান্সারের স্টিমুলেশন পেলেই তবে তৈরি হয়।(সামান্য পরিমাণে কিছু কোষে নরম্যালি থাকে। যেমন, কিডনি।)
    এই দুই প্রকার এনজাইমকেই inhibit করে non-selective cox inhibitors যেমন, Diclofenac, Ketorolac, Indomethacin, Ibuprofen...
    আর শুধু COX-2 কে inhibit করে cox-2 selective inhibitors বা coxib. যেমন, Celecoxib, Etoricoxib...
    √ COX-2 inhibitors(coxib) ব্যবহারের সুবিধা, অসুবিধা কী?
    উপরের আলোচনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, COX-2 এমন সব prostaglandins তৈরি করে যেগুলো সাধারণত inflammation এ কাজ করে। তাই COX-2 কে ইনহিবিট করলে anti-inflammatory action পাওয়া যায়, কিন্ত COX-1 এর হাউজ-কিপিং ফাংশন এর উপর কোন প্রভাব পড়েনা।
    তাই, সাধারণ NSAIDs এর মত gastric ulcer এর সম্ভাবনা coxib এর ক্ষেত্রে কম।
    ঠিক এই কারণেই একটা সমস্যাও হয়,,, COXIB ব্যবহারে cardiovascular/cerebrovascular disease যেমন thrombosis, hypertension, stroke হতে পারে।
    কারণ, COXIB, ইনহিবিট করে PGI2 synthesis কে। আর unaffected থাকে TXA2 synthesis.
    আর, ছবিতে দেখুন, PGI2 এর কাজ হল, vasodilation করা আর inhibit platet aggregation করা। তাহলে, এটাকে ইনহিবিট করলে vasoconstriction আর platelet aggregation হবে।
    আবার, TXA2 কে ইনহিবিট করেনা বলে, TXA2 তার কাজ vasoconstriction আর platelet aggregation করে
    নিজেকে ভুলতে পারি, তোকে যাবেনা ভোলা এই হলো আরেক জিনিস। মেডিকেলে পড়তে এসেছেন যখন, ইহাকে ভুলিয়া থাকা যাইবে না। সে প্যাথলজি হোক, ফার্মাকোলজি হোক কিংবা মেডিসিনই হোক। রোগী ব্যথা নিয়ে এলেই তাকে যে মনমতো একটা পেইনকিলার ধরায়ে দেয়া যাবে না, সেটা বোঝার জন্যেও এই চার্টের গুরুত্ব সীমাহীন। Lets start এটাই কোয়াকের সাথে এমবিবিএসের পার্থক্য গড়ে দেবে! তো, শুরু করা যাক °°° Cyclooxygenase°°° এর সহজ পাঠ। পোস্টের শুরুতেই দেখে নেই Robbin's এর সেই বিখ্যাত চার্টটা... √ Cyclooxygenase (COX) কী? ইহা হল একটা এনজাইম যা arachidonic acid থেকে prostanoids ( prostaglandin, prostacyclin, thromboxane) তৈরি করে। সত্যিকার অর্থে COX সরাসরি prostanoids তৈরি করেনা। COX শুধু arachidonic acid(AA) থেকে prostaglandin H2 তৈরি করে। এখন এই PGH2 থেকে বিভিন্ন এনজাইম দিয়ে বিভিন্ন PG তৈরি হয়। যেমন, platelet এ thromboxane synthase থাকে, যা দিয়ে PGH2 থেকে TXA2 (thromboxane A2) তৈরি হয়। বা, microvascular endothelium এ PGI2 synthase থাকে, যা দিয়ে PGH2 থেকে PGI2(prostacyclin) তৈরি হয়। √ COX কয় ধরনের? COX-1 & COX-2 COX-1 এমনিতেই দেহের অধিকাংশ কোষে থাকে। এরা হাউজ-কিপিং রোল প্লে করে। যেমন, GIT তে cryoprotective বা, কিডনিতে fluid, electrolyte balance মেইনটেইন করে বা, platelet এর aggregation বন্ধ রাখে। অপরদিকে, COX-2 এনজাইম ইনফ্ল্যামেশন বা ক্যান্সারের স্টিমুলেশন পেলেই তবে তৈরি হয়।(সামান্য পরিমাণে কিছু কোষে নরম্যালি থাকে। যেমন, কিডনি।) এই দুই প্রকার এনজাইমকেই inhibit করে non-selective cox inhibitors যেমন, Diclofenac, Ketorolac, Indomethacin, Ibuprofen... আর শুধু COX-2 কে inhibit করে cox-2 selective inhibitors বা coxib. যেমন, Celecoxib, Etoricoxib... √ COX-2 inhibitors(coxib) ব্যবহারের সুবিধা, অসুবিধা কী? উপরের আলোচনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, COX-2 এমন সব prostaglandins তৈরি করে যেগুলো সাধারণত inflammation এ কাজ করে। তাই COX-2 কে ইনহিবিট করলে anti-inflammatory action পাওয়া যায়, কিন্ত COX-1 এর হাউজ-কিপিং ফাংশন এর উপর কোন প্রভাব পড়েনা। তাই, সাধারণ NSAIDs এর মত gastric ulcer এর সম্ভাবনা coxib এর ক্ষেত্রে কম। ঠিক এই কারণেই একটা সমস্যাও হয়,,, COXIB ব্যবহারে cardiovascular/cerebrovascular disease যেমন thrombosis, hypertension, stroke হতে পারে। কারণ, COXIB, ইনহিবিট করে PGI2 synthesis কে। আর unaffected থাকে TXA2 synthesis. আর, ছবিতে দেখুন, PGI2 এর কাজ হল, vasodilation করা আর inhibit platet aggregation করা। তাহলে, এটাকে ইনহিবিট করলে vasoconstriction আর platelet aggregation হবে। আবার, TXA2 কে ইনহিবিট করেনা বলে, TXA2 তার কাজ vasoconstriction আর platelet aggregation করে
    0 Comments 0 Shares 45 Views
More Results
BlackBird Ai
https://bbai.shop