• আলোরনা দুর্গ:
    গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী।

    দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো।

    কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত।

    আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত।

    এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা।

    আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।

    সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান।

    আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত।

    আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ।
    #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    আলোরনা দুর্গ: গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী। দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো। কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত। আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত। এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা। আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান। আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ। #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    0 Комментарии 0 Поделились 48 Просмотры
  • হরিতকি পাতার ও ফলের ৫০টি গুণাগুণ ও ব্যাখ্যা

    শরীরের ভিতরের যত্নে (Internal Health Benefits):

    1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: হরিতকি গুঁড়া রাতে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।

    2. হজমশক্তি বাড়ায়: খাওয়ার পরে হরিতকি খেলে খাবার সহজে হজম হয়।

    3. গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল কমায়: পেটের এসিড ব্যালান্স করে।

    4. লিভার সুস্থ রাখে: লিভারের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে।

    5. রক্ত পরিশোধন করে: শরীরের টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করে।

    6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।

    7. কোলেস্টেরল কমায়: খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

    8. ওজন কমাতে সাহায্য করে: বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে মেদ ঝরে।

    9. বমি ভাব কমায়: পেট ঠান্ডা করে বমি বমি ভাব দূর করে।

    10. শরীরে শক্তি জোগায়: নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয়।

    রোগ প্রতিরোধে (Immunity & Infection):

    11. ইমিউনিটি বাড়ায়: সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।

    12. কাশি ও সর্দি কমায়: গলায় কফ কমায় ও স্বস্তি দেয়।

    13. ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী: পাতার রস বা বাটা কণ্ঠনালীকে প্রশমিত করে।

    14. গলার ব্যথা উপশম করে: গরম জলে পাতার রস মিশিয়ে গার্গল করুন।

    15. জ্বর কমায়: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

    16. অ্যালার্জি রোধ করে: অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করে।

    17. ফুসফুসের যত্ন নেয়: শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে।

    18. হাঁপানিতে উপকারী: শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে।

    19. পাইলস ও ফিস্টুলা উপকারী: বাওয়েল মুভমেন্ট সহজ করে।

    20. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।

    মানসিক স্বাস্থ্যে (Mind & Nerve):

    21. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্নায়ু সতেজ রাখে ও মনোযোগ বাড়ায়।

    22. ঘুমের সমস্যা দূর করে: রাতে খেলে ঘুম ভালো হয়।

    23. স্ট্রেস কমায়: মানসিক প্রশান্তি আনে।

    24. মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে: অতিরিক্ত উত্তেজনা কমায়।

    25. মাইগ্রেন উপশমে কার্যকর: মাথা ব্যথা কমায় নিয়মিত খেলে।

    চুল ও ত্বকের যত্নে (Beauty & Hair):

    26. চুল পড়া কমায়: চুলের গোড়া মজবুত করে।

    27. খুশকি দূর করে: স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে।

    28. চুল ঘন করে: প্যাক হিসেবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

    29. ব্রণ কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে।

    30. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

    31. চুলের আগা ফাটা কমায়: তেলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

    32. ফোড়া ঘা শুকায়: পাতার পেস্ট ঘায়ের উপর লাগান।

    33. চুল কালো করে: নিয়মিত ব্যবহারে স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে।

    34. চুলে চকমক ভাব আনে: হরিতকি প্যাক দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝলমলে হয়।

    35. ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায়: আক্রান্ত স্থানে পাতা বাটা লাগান।

    মুখ ও দাঁতের যত্নে (Oral Care):

    36. মাড়ির রক্ত পড়া কমায়: হরিতকি গুঁড়া দিয়ে কুলকুচি করুন।

    37. দাঁতের ব্যথা উপশম করে: গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করুন হালকা করে।

    38. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করুন।

    39. ক্যানকার সোর কমায়: পাতার রস তুলোয় নিয়ে লাগান।

    40. দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা দূর করে: হরিতকি গুঁড়ার কুলকুচি সাহায্য করে।

    পেট ও হজমতন্ত্রের যত্নে (Digestive Health):

    41. বদহজম দূর করে: খাওয়ার পর অল্প হরিতকি খেলে উপকার মেলে।

    42. গ্যাস কমায়: পেট ফাঁপা হলে হরিতকি উপকারী।

    43. ডায়রিয়ায় উপকারী: পাতার রস সামান্য হালকা করে খাওয়ানো যেতে পারে।

    44. পেট ব্যথা উপশম করে: সেদ্ধ পানি পান করলে আরাম মেলে।

    45. অজীর্ণতা দূর করে: অতিরিক্ত খাওয়ার পর হরিতকি খেলে হজম সহজ হয়।

    বিভিন্ন সাধারণ উপকারিতা (General Benefits):

    46. বয়সের ছাপ কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে।

    47. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম থাকার কারণে।

    48. জীবনীশক্তি বাড়ায়: দুর্বল শরীরে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে।

    49. মাংসপেশি শক্ত করে: শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

    50. প্রাকৃতিক টনিক: প্রতিদিন খেলে পুরো শরীর সতেজ থাকে।

    ব্যবহার ও খাওয়ার ফর্মুলা (Usage Formula):

    পাতা:

    1. পাতার রস: ৫–৬টি পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান।

    2. পাতা সেদ্ধ: ঠান্ডা/গলা ব্যথায় পানির সঙ্গে সেদ্ধ করে গার্গল করুন।

    3. চর্মরোগে: পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান দিনে ২ বার।

    4. মুখের যত্নে: পাতার রস কুলকুচি হিসেবে ব্যবহার করুন।

    ফল/গুঁড়া:

    1. কোষ্ঠকাঠিন্য/পেট: ১ চা চামচ হরিতকি গুঁড়া রাতে গরম পানির সাথে।

    2. ডায়াবেটিস: সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ হরিতকি গুঁড়া।

    3. ত্বকের জন্য: মধু + হরিতকি গুঁড়া + গোলাপ জল = ফেসপ্যাক

    4. চুলের যত্নে: নারকেল তেলে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান।

    Haritaki - Nature’s Secret for Total Wellness!
    প্রতিদিন ১ চামচ হরিতকি = পেট, চুল, ত্বক, মন ও শক্তির যত্ন একসাথে!
    এখনই শুরু করুন আপনার হেলদি লাইফের যাত্রা!

    #HaritakiBenefits #HerbalPower #NaturalWellness #HolisticHealing #DetoxNaturally #AyurvedicRemedy #HealthyFromWithin #PlantBasedHealing #AncientMedicine #RashidasRemedies #GreenHealthTips #DailyDetox #ImmunityBoost #SkincareNaturally #HairCareWithNature
    🌿 হরিতকি পাতার ও ফলের ৫০টি গুণাগুণ ও ব্যাখ্যা 🩺 শরীরের ভিতরের যত্নে (Internal Health Benefits): 1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: হরিতকি গুঁড়া রাতে খেলে পেট পরিষ্কার হয়। 2. হজমশক্তি বাড়ায়: খাওয়ার পরে হরিতকি খেলে খাবার সহজে হজম হয়। 3. গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল কমায়: পেটের এসিড ব্যালান্স করে। 4. লিভার সুস্থ রাখে: লিভারের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে। 5. রক্ত পরিশোধন করে: শরীরের টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করে। 6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। 7. কোলেস্টেরল কমায়: খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। 8. ওজন কমাতে সাহায্য করে: বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে মেদ ঝরে। 9. বমি ভাব কমায়: পেট ঠান্ডা করে বমি বমি ভাব দূর করে। 10. শরীরে শক্তি জোগায়: নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয়। 😷 রোগ প্রতিরোধে (Immunity & Infection): 11. ইমিউনিটি বাড়ায়: সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। 12. কাশি ও সর্দি কমায়: গলায় কফ কমায় ও স্বস্তি দেয়। 13. ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী: পাতার রস বা বাটা কণ্ঠনালীকে প্রশমিত করে। 14. গলার ব্যথা উপশম করে: গরম জলে পাতার রস মিশিয়ে গার্গল করুন। 15. জ্বর কমায়: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। 16. অ্যালার্জি রোধ করে: অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করে। 17. ফুসফুসের যত্ন নেয়: শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে। 18. হাঁপানিতে উপকারী: শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে। 19. পাইলস ও ফিস্টুলা উপকারী: বাওয়েল মুভমেন্ট সহজ করে। 20. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। 🧠 মানসিক স্বাস্থ্যে (Mind & Nerve): 21. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্নায়ু সতেজ রাখে ও মনোযোগ বাড়ায়। 22. ঘুমের সমস্যা দূর করে: রাতে খেলে ঘুম ভালো হয়। 23. স্ট্রেস কমায়: মানসিক প্রশান্তি আনে। 24. মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে: অতিরিক্ত উত্তেজনা কমায়। 25. মাইগ্রেন উপশমে কার্যকর: মাথা ব্যথা কমায় নিয়মিত খেলে। 💇‍♀️ চুল ও ত্বকের যত্নে (Beauty & Hair): 26. চুল পড়া কমায়: চুলের গোড়া মজবুত করে। 27. খুশকি দূর করে: স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে। 28. চুল ঘন করে: প্যাক হিসেবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। 29. ব্রণ কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। 30. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। 31. চুলের আগা ফাটা কমায়: তেলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। 32. ফোড়া ঘা শুকায়: পাতার পেস্ট ঘায়ের উপর লাগান। 33. চুল কালো করে: নিয়মিত ব্যবহারে স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে। 34. চুলে চকমক ভাব আনে: হরিতকি প্যাক দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝলমলে হয়। 35. ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায়: আক্রান্ত স্থানে পাতা বাটা লাগান। 🦷 মুখ ও দাঁতের যত্নে (Oral Care): 36. মাড়ির রক্ত পড়া কমায়: হরিতকি গুঁড়া দিয়ে কুলকুচি করুন। 37. দাঁতের ব্যথা উপশম করে: গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করুন হালকা করে। 38. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করুন। 39. ক্যানকার সোর কমায়: পাতার রস তুলোয় নিয়ে লাগান। 40. দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা দূর করে: হরিতকি গুঁড়ার কুলকুচি সাহায্য করে। 🍽️ পেট ও হজমতন্ত্রের যত্নে (Digestive Health): 41. বদহজম দূর করে: খাওয়ার পর অল্প হরিতকি খেলে উপকার মেলে। 42. গ্যাস কমায়: পেট ফাঁপা হলে হরিতকি উপকারী। 43. ডায়রিয়ায় উপকারী: পাতার রস সামান্য হালকা করে খাওয়ানো যেতে পারে। 44. পেট ব্যথা উপশম করে: সেদ্ধ পানি পান করলে আরাম মেলে। 45. অজীর্ণতা দূর করে: অতিরিক্ত খাওয়ার পর হরিতকি খেলে হজম সহজ হয়। 🌿 বিভিন্ন সাধারণ উপকারিতা (General Benefits): 46. বয়সের ছাপ কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে। 47. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম থাকার কারণে। 48. জীবনীশক্তি বাড়ায়: দুর্বল শরীরে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে। 49. মাংসপেশি শক্ত করে: শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়। 50. প্রাকৃতিক টনিক: প্রতিদিন খেলে পুরো শরীর সতেজ থাকে। 🥄 ব্যবহার ও খাওয়ার ফর্মুলা (Usage Formula): 🟩 পাতা: 1. পাতার রস: ৫–৬টি পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান। 2. পাতা সেদ্ধ: ঠান্ডা/গলা ব্যথায় পানির সঙ্গে সেদ্ধ করে গার্গল করুন। 3. চর্মরোগে: পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান দিনে ২ বার। 4. মুখের যত্নে: পাতার রস কুলকুচি হিসেবে ব্যবহার করুন। 🟨 ফল/গুঁড়া: 1. কোষ্ঠকাঠিন্য/পেট: ১ চা চামচ হরিতকি গুঁড়া রাতে গরম পানির সাথে। 2. ডায়াবেটিস: সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ হরিতকি গুঁড়া। 3. ত্বকের জন্য: মধু + হরিতকি গুঁড়া + গোলাপ জল = ফেসপ্যাক 4. চুলের যত্নে: নারকেল তেলে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। 🌿 Haritaki - Nature’s Secret for Total Wellness! প্রতিদিন ১ চামচ হরিতকি = পেট, চুল, ত্বক, মন ও শক্তির যত্ন একসাথে! 🧠💪 এখনই শুরু করুন আপনার হেলদি লাইফের যাত্রা! 🍀 #HaritakiBenefits #HerbalPower #NaturalWellness #HolisticHealing #DetoxNaturally #AyurvedicRemedy #HealthyFromWithin #PlantBasedHealing #AncientMedicine #RashidasRemedies #GreenHealthTips #DailyDetox #ImmunityBoost #SkincareNaturally #HairCareWithNature
    0 Комментарии 0 Поделились 80 Просмотры
  • সম্প্রতি ২৫ বছর বয়সী এক জাপানি যুবককে নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত স্মার্টফোন গেমিংয়ের কারণে তিনি এক বিরল ও মারাত্মক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন – যার নাম 'ড্রপড হেড সিন্ড্রোম' (Dropped Head Syndrome)।
    এই যুবক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথা নিচু করে ফোন দেখতেন, বিশেষ করে মোবাইল গেম খেলার সময়। এর ফলে তার ঘাড়ের পেশী এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তিনি আর মাথা সোজা করে রাখতে পারছিলেন না। তার ঘাড়ের পেছনে একটি স্পষ্ট স্ফীতি দেখা দেয় এবং এক্স-রেতে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো বিকৃত ও স্থানচ্যুত হওয়ার প্রমাণ মেলে। এমনকি তার গিলতেও সমস্যা হচ্ছিল, যার ফলে ওজনও কমে যায়।
    সাধারণত, ‘ড্রপড হেড সিন্ড্রোম’ স্নায়বিক বা পেশী সংক্রান্ত গুরুতর রোগের কারণে হয়, যেখানে ঘাড়ের পেশীগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে মাথা বুকের উপর ঝুঁকে থাকে। কিন্তু এই যুবকের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে দীর্ঘদিনের ভুল ভঙ্গিমার কারণে, যাকে চিকিৎসকরা ‘পোস্টুরাল ডিএইচএস’ (Postural DHS) বলছেন।
    কেন এমন হয়?
    আমাদের মাথার ওজন প্রায় ৪.৫-৫.৪ কেজি। কিন্তু যখন আমরা ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা নিচু করে স্মার্টফোন দেখি, তখন ঘাড়ের উপর প্রায় ২৭ কেজি (৬০ পাউন্ড) চাপ পড়ে! ভাবুন তো, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার ঘাড় একজন ৮ বছরের শিশুকে বহন করছে! এই দীর্ঘস্থায়ী চাপ মেরুদণ্ডের হাড়ের বিকৃতি, স্কার টিস্যু তৈরি এবং মারাত্মক ব্যথার কারণ হতে পারে।
    এই জাপানি যুবককে তার মাথা সোজা করার জন্য একাধিক জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তার মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অপসারণ করে ধাতব রড ও স্ক্রু বসানো হয়েছে।
    এই ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও, এর অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ‘টেক নেক’ (Tech Neck) এখন একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা।
    নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে?
    ১. ২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারের
    পর, ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকান।
    ২. ফোন বা ট্যাবলেট চোখের স্তরে রাখুন, প্রয়োজনে
    স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন।
    ৩. ঘাড়ের ব্যায়াম: ঘাড়ের পেশী শক্তিশালী করার
    ব্যায়াম করুন।
    ৪. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: বিশেষ করে দীর্ঘ গেমিং
    বা পড়ার সেশনগুলো ছোট ছোট বিরতি দিয়ে
    করুন।
    সম্প্রতি ২৫ বছর বয়সী এক জাপানি যুবককে নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত স্মার্টফোন গেমিংয়ের কারণে তিনি এক বিরল ও মারাত্মক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন – যার নাম 'ড্রপড হেড সিন্ড্রোম' (Dropped Head Syndrome)। এই যুবক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথা নিচু করে ফোন দেখতেন, বিশেষ করে মোবাইল গেম খেলার সময়। এর ফলে তার ঘাড়ের পেশী এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তিনি আর মাথা সোজা করে রাখতে পারছিলেন না। তার ঘাড়ের পেছনে একটি স্পষ্ট স্ফীতি দেখা দেয় এবং এক্স-রেতে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো বিকৃত ও স্থানচ্যুত হওয়ার প্রমাণ মেলে। এমনকি তার গিলতেও সমস্যা হচ্ছিল, যার ফলে ওজনও কমে যায়। সাধারণত, ‘ড্রপড হেড সিন্ড্রোম’ স্নায়বিক বা পেশী সংক্রান্ত গুরুতর রোগের কারণে হয়, যেখানে ঘাড়ের পেশীগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে মাথা বুকের উপর ঝুঁকে থাকে। কিন্তু এই যুবকের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে দীর্ঘদিনের ভুল ভঙ্গিমার কারণে, যাকে চিকিৎসকরা ‘পোস্টুরাল ডিএইচএস’ (Postural DHS) বলছেন। কেন এমন হয়? আমাদের মাথার ওজন প্রায় ৪.৫-৫.৪ কেজি। কিন্তু যখন আমরা ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা নিচু করে স্মার্টফোন দেখি, তখন ঘাড়ের উপর প্রায় ২৭ কেজি (৬০ পাউন্ড) চাপ পড়ে! ভাবুন তো, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার ঘাড় একজন ৮ বছরের শিশুকে বহন করছে! এই দীর্ঘস্থায়ী চাপ মেরুদণ্ডের হাড়ের বিকৃতি, স্কার টিস্যু তৈরি এবং মারাত্মক ব্যথার কারণ হতে পারে। এই জাপানি যুবককে তার মাথা সোজা করার জন্য একাধিক জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তার মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অপসারণ করে ধাতব রড ও স্ক্রু বসানো হয়েছে। এই ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও, এর অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ‘টেক নেক’ (Tech Neck) এখন একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা। নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? ১. ২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারের পর, ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকান। ২. ফোন বা ট্যাবলেট চোখের স্তরে রাখুন, প্রয়োজনে স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন। ৩. ঘাড়ের ব্যায়াম: ঘাড়ের পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম করুন। ৪. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: বিশেষ করে দীর্ঘ গেমিং বা পড়ার সেশনগুলো ছোট ছোট বিরতি দিয়ে করুন।
    0 Комментарии 0 Поделились 49 Просмотры
  • বর্তমানে স্মার্টওয়াচ ও ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যান্ড আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই ব্যান্ডে ব্যবহৃত কিছু মেটেরিয়ালে রয়েছে PFAS অর্থাৎ Per- and Polyfluoroalkyl Substances ।

    এটি এক ধরনের বিষাক্ত চিরস্থায়ী রাসায়নিক, যা ত্বক থেকে শোষিত হয়ে শরীরে ক্যানসার, লিভার ও কিডনির রোগের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, এমনটাই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা।

    এই রাসায়নিক সাধারণত ব্যান্ড, কেসিং বা স্ক্রিন কোটিংয়ে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি পানি, তেল ও ঘাম প্রতিরোধ করে এবং পণ্যকে টেকসই ও মসৃণ রাখে। তবে PFAS খুবই স্থিতিশীল, সহজে ভাঙে না—বরং শরীরে ও পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় থাকে। ঘাম এর শোষণ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে।

    গবেষণায় Nike, Apple, Fitbit, Google সহ ২২টি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ব্যান্ড পরীক্ষা করে ১৫ টিতেই PFAS শনাক্ত হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই মাত্রা ছিল বিপজ্জনকভাবে বেশি। যদিও কোন ব্যান্ডগুলোতে পাওয়া যায় সেটা উল্লেখ করা হয়নি।

    তাছাড়া গবেষণায় PFHxA-এর মতো কিছু রাসায়নিকও পাওয়া গেছে, যা সাধারণত কীটনাশক বা কার্পেটে ব্যবহৃত হয় এবং সরাসরি লিভার ক্ষতির সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংস্থা (EPA) বলেছে, এসব রাসায়নিকের কোনো মাত্রাই শরীরের জন্য নিরাপদ নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটছে।

    তাই স্মার্টওয়াচ বা ব্যান্ড কেনার সময় সচেতন হোন। PFAS-মুক্ত কি না, দেখে নিন। নিরাপদ বিকল্প হিসেবে সিলিকন ব্যান্ড বেছে নেওয়াই উত্তম।

    Compiled by: বিজ্ঞান্বেষী
    Source: American Chemical Society (ACS)
    #Bigganneshi
    বর্তমানে স্মার্টওয়াচ ও ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যান্ড আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই ব্যান্ডে ব্যবহৃত কিছু মেটেরিয়ালে রয়েছে PFAS অর্থাৎ Per- and Polyfluoroalkyl Substances । এটি এক ধরনের বিষাক্ত চিরস্থায়ী রাসায়নিক, যা ত্বক থেকে শোষিত হয়ে শরীরে ক্যানসার, লিভার ও কিডনির রোগের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, এমনটাই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা। এই রাসায়নিক সাধারণত ব্যান্ড, কেসিং বা স্ক্রিন কোটিংয়ে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি পানি, তেল ও ঘাম প্রতিরোধ করে এবং পণ্যকে টেকসই ও মসৃণ রাখে। তবে PFAS খুবই স্থিতিশীল, সহজে ভাঙে না—বরং শরীরে ও পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় থাকে। ঘাম এর শোষণ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে। গবেষণায় Nike, Apple, Fitbit, Google সহ ২২টি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ব্যান্ড পরীক্ষা করে ১৫ টিতেই PFAS শনাক্ত হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই মাত্রা ছিল বিপজ্জনকভাবে বেশি। যদিও কোন ব্যান্ডগুলোতে পাওয়া যায় সেটা উল্লেখ করা হয়নি। তাছাড়া গবেষণায় PFHxA-এর মতো কিছু রাসায়নিকও পাওয়া গেছে, যা সাধারণত কীটনাশক বা কার্পেটে ব্যবহৃত হয় এবং সরাসরি লিভার ক্ষতির সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংস্থা (EPA) বলেছে, এসব রাসায়নিকের কোনো মাত্রাই শরীরের জন্য নিরাপদ নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটছে। তাই স্মার্টওয়াচ বা ব্যান্ড কেনার সময় সচেতন হোন। PFAS-মুক্ত কি না, দেখে নিন। নিরাপদ বিকল্প হিসেবে সিলিকন ব্যান্ড বেছে নেওয়াই উত্তম। Compiled by: বিজ্ঞান্বেষী Source: American Chemical Society (ACS) #Bigganneshi
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 40 Просмотры
  • ডিসেম্বর ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন পাঁচ কাপের বেশি কফি পান করলে মস্তিষ্কের বয়স ৬.৭ বছর পর্যন্ত কমতে পারে।

    গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা যারা বেশি কফি পান করেন, তারা মনোযোগ, প্রসেসিং স্পিড, এবং ভিজুয়োমোটর কো-অর্ডিনেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো স্কোর করেছেন। এমনকি বয়স, লিঙ্গ এবং ধূমপানের বিষয়টি হিসাব করেও দেখা গেছে, তাদের শরীরে প্রদাহজনিত চিহ্ন তুলনামূলকভাবে কম।

    গবেষকরা মনে করছেন, এই উপকারের পেছনে রয়েছে কফিতে থাকা ক্যাফেইন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি৩, এবং প্রদাহ হ্রাসকারী যৌগ। বিশেষ করে অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন (AFib) রোগীদের জন্য কফি উপকারী হতে পারে, যারা মানসিক অবনতির ঝুঁকিতে থাকেন – কফি এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    আরও গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি কফি পান করলে মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড-বিটা (Aβ) প্রোটিন জমা হওয়ার হার কমে, যা আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া রোগের ঝুঁকি কমায়। যারা দিনে মাত্র এক বা দুই কাপ কফি পান করেন, তাদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।

    কফি মস্তিষ্কে বিষাক্ত অ্যামিলয়েড প্ল্যাক তৈরি কমিয়ে দিতে পারে, কারণ এটি Aβ প্রোটিন তৈরি এবং এর বিষক্রিয়া কমিয়ে দেয়। কফির বিভিন্ন উপাদান ক্যাফেইনের সঙ্গে মিলিত হয়ে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
    ডিসেম্বর ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন পাঁচ কাপের বেশি কফি পান করলে মস্তিষ্কের বয়স ৬.৭ বছর পর্যন্ত কমতে পারে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা যারা বেশি কফি পান করেন, তারা মনোযোগ, প্রসেসিং স্পিড, এবং ভিজুয়োমোটর কো-অর্ডিনেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো স্কোর করেছেন। এমনকি বয়স, লিঙ্গ এবং ধূমপানের বিষয়টি হিসাব করেও দেখা গেছে, তাদের শরীরে প্রদাহজনিত চিহ্ন তুলনামূলকভাবে কম। গবেষকরা মনে করছেন, এই উপকারের পেছনে রয়েছে কফিতে থাকা ক্যাফেইন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি৩, এবং প্রদাহ হ্রাসকারী যৌগ। বিশেষ করে অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন (AFib) রোগীদের জন্য কফি উপকারী হতে পারে, যারা মানসিক অবনতির ঝুঁকিতে থাকেন – কফি এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। আরও গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি কফি পান করলে মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড-বিটা (Aβ) প্রোটিন জমা হওয়ার হার কমে, যা আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া রোগের ঝুঁকি কমায়। যারা দিনে মাত্র এক বা দুই কাপ কফি পান করেন, তাদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। কফি মস্তিষ্কে বিষাক্ত অ্যামিলয়েড প্ল্যাক তৈরি কমিয়ে দিতে পারে, কারণ এটি Aβ প্রোটিন তৈরি এবং এর বিষক্রিয়া কমিয়ে দেয়। কফির বিভিন্ন উপাদান ক্যাফেইনের সঙ্গে মিলিত হয়ে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
    Wow
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 25 Просмотры
  • নিজের শেকড় ভুলে যাওয়া অধম!
    মানুষ যত দূরই এগিয়ে যাক না কেন, যত বড় নাম বা সাফল্যই অর্জন করুক না কেন, তার ভিতরে এক অদৃশ্য শক্তি থাকে—সেটি হলো তার শেকড়। জন্মস্থান, পরিবার, পূর্বপুরুষদের জীবনসংগ্রাম, ভাষা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস—এসব মিলেই তৈরি হয় একেকটি মানুষের পরিচয় ও আত্মা।

    শুধু প্রবাসী নয়, শেকড়ে যুক্ত থাকা দরকার সবার!
    শুধু প্রবাসী নয়, দেশে থাকা মানুষও যখন নিজের শেকড়কে অবহেলা করে, তখন সে ধীরে ধীরে আত্মবিস্মৃত হয়। এমন অনেকে আছেন, যারা নিজের আদি নিবাস, পারিবারিক ইতিহাস, স্থানীয় সংস্কৃতি বা মাটির গন্ধকে তুচ্ছ ভাবে; নিজেদের অতীতকে “অপ্রয়োজনীয়” মনে করে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো—যে নিজের পেছনের ইতিহাস জানে না, সে সামনের পথ ঠিক কীভাবে চিনবে?

    শেকড়হীন মানুষ, গাছ থেকে ছেঁড়া পাতার মতো!
    একটি গাছ মাটি ছেড়ে বাঁচতে পারে না। শেকড় ছাড়া গাছ যেমন শুকিয়ে যায়, মানুষও তেমনি ভিতর থেকে শূন্য হয়ে পড়ে যদি সে নিজের শেকড় ভুলে যায়। আত্মপরিচয় শুধু বর্তমানের নয়—তা গঠিত হয় অতীতের ভাঙাগড়ার ভেতর দিয়ে।
    আধুনিকতা মানেই শেকড়বিচ্ছিন্নতা নয়
    বিশ্বায়ন, আধুনিকতা, নাগরিক জীবন—এসবের ভিড়ে অনেকেই ভাবে নিজের পুরোনো গল্প, ঐতিহ্য বা স্থানীয় সংস্কৃতির চর্চা "পিছিয়ে পড়া"র লক্ষণ। অথচ সত্যটা হলো, যারা শেকড় জানে না, তারা ভবিষ্যৎ গড়ার মাটি পায় না। যারা নিজেদের ছোটবেলার স্কুল, গ্রামীণ রীতি, পরিবারের গল্প ভুলে যায়, তারাই জীবনের গভীর সম্পর্কগুলো হারিয়ে ফেলে।
    শেকড় মানে কেবল জন্মস্থান নয়, আত্মার সংযোগ!
    নিজ শেকড় মানে শুধু কোথায় জন্মেছি তা নয়—মানে আমি কার ইতিহাস বহন করছি, কার ভাষায় প্রথম হাসতে শিখেছি, কোন গন্ধে মন নরম হয়েছে, কোন মায়ার মধ্যে বেড়ে উঠেছি। এই শেকড় জানলে মানুষ আত্মবিশ্বাসী হয়, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শেখে।
    মধুসূদনের পথ ভুলে, শেষতক শেকড়েই ফেরা!
    এই প্রসঙ্গে মাইকেল মধুসূদন দত্তের কথা না বললেই নয়।
    যিনি ইংরেজি সাহিত্যকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন, ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে মগ্ন ছিলেন, এবং ভাবতেন—"এ দেশ, এই ভাষা, এই সংস্কৃতি আমার নয়।" তিনি বিদেশে গিয়ে বুঝেছিলেন, নিজের মাতৃভাষা, মাটি আর মা—এদের ছাড়া মানুষ কেবল দেহ বয়ে বেড়ায়, আত্মা নয়। তাই তিনি ফিরে এলেন, বাংলায় লিখলেন, আর সেই শেকড়েই গেঁথে গেলেন চিরতরে।
    শেষজীবনে অভাব, অপমান, হতাশা সব সয়েও বলেছিলেন—"আহা, বাংলায় যদি লিখতে পারতাম আরও আগে!"

    শেকড় ভুলে যাওয়া মানে আত্মা হারিয়ে ফেলা!
    যে নিজের শেকড় ভুলে যায়, তার চেয়ে অধম আর কেউ নেই। নিজেকে জানতে হলে, ভালোবাসতে হলে, আগে জানতে হয়—আমি কে, কোথা থেকে এসেছি। শুধু ব্যক্তিগত নয়, জাতিগতভাবে, সাংস্কৃতিকভাবেও এই চেতনা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।
    🌱 নিজের শেকড় ভুলে যাওয়া অধম! মানুষ যত দূরই এগিয়ে যাক না কেন, যত বড় নাম বা সাফল্যই অর্জন করুক না কেন, তার ভিতরে এক অদৃশ্য শক্তি থাকে—সেটি হলো তার শেকড়। জন্মস্থান, পরিবার, পূর্বপুরুষদের জীবনসংগ্রাম, ভাষা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস—এসব মিলেই তৈরি হয় একেকটি মানুষের পরিচয় ও আত্মা। 🏠 শুধু প্রবাসী নয়, শেকড়ে যুক্ত থাকা দরকার সবার! শুধু প্রবাসী নয়, দেশে থাকা মানুষও যখন নিজের শেকড়কে অবহেলা করে, তখন সে ধীরে ধীরে আত্মবিস্মৃত হয়। এমন অনেকে আছেন, যারা নিজের আদি নিবাস, পারিবারিক ইতিহাস, স্থানীয় সংস্কৃতি বা মাটির গন্ধকে তুচ্ছ ভাবে; নিজেদের অতীতকে “অপ্রয়োজনীয়” মনে করে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো—যে নিজের পেছনের ইতিহাস জানে না, সে সামনের পথ ঠিক কীভাবে চিনবে? 🌳 শেকড়হীন মানুষ, গাছ থেকে ছেঁড়া পাতার মতো! একটি গাছ মাটি ছেড়ে বাঁচতে পারে না। শেকড় ছাড়া গাছ যেমন শুকিয়ে যায়, মানুষও তেমনি ভিতর থেকে শূন্য হয়ে পড়ে যদি সে নিজের শেকড় ভুলে যায়। আত্মপরিচয় শুধু বর্তমানের নয়—তা গঠিত হয় অতীতের ভাঙাগড়ার ভেতর দিয়ে। 🌍 আধুনিকতা মানেই শেকড়বিচ্ছিন্নতা নয় বিশ্বায়ন, আধুনিকতা, নাগরিক জীবন—এসবের ভিড়ে অনেকেই ভাবে নিজের পুরোনো গল্প, ঐতিহ্য বা স্থানীয় সংস্কৃতির চর্চা "পিছিয়ে পড়া"র লক্ষণ। অথচ সত্যটা হলো, যারা শেকড় জানে না, তারা ভবিষ্যৎ গড়ার মাটি পায় না। যারা নিজেদের ছোটবেলার স্কুল, গ্রামীণ রীতি, পরিবারের গল্প ভুলে যায়, তারাই জীবনের গভীর সম্পর্কগুলো হারিয়ে ফেলে। 🧬 শেকড় মানে কেবল জন্মস্থান নয়, আত্মার সংযোগ! নিজ শেকড় মানে শুধু কোথায় জন্মেছি তা নয়—মানে আমি কার ইতিহাস বহন করছি, কার ভাষায় প্রথম হাসতে শিখেছি, কোন গন্ধে মন নরম হয়েছে, কোন মায়ার মধ্যে বেড়ে উঠেছি। এই শেকড় জানলে মানুষ আত্মবিশ্বাসী হয়, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শেখে। 📖 মধুসূদনের পথ ভুলে, শেষতক শেকড়েই ফেরা! এই প্রসঙ্গে মাইকেল মধুসূদন দত্তের কথা না বললেই নয়। যিনি ইংরেজি সাহিত্যকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন, ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে মগ্ন ছিলেন, এবং ভাবতেন—"এ দেশ, এই ভাষা, এই সংস্কৃতি আমার নয়।" তিনি বিদেশে গিয়ে বুঝেছিলেন, নিজের মাতৃভাষা, মাটি আর মা—এদের ছাড়া মানুষ কেবল দেহ বয়ে বেড়ায়, আত্মা নয়। তাই তিনি ফিরে এলেন, বাংলায় লিখলেন, আর সেই শেকড়েই গেঁথে গেলেন চিরতরে। শেষজীবনে অভাব, অপমান, হতাশা সব সয়েও বলেছিলেন—"আহা, বাংলায় যদি লিখতে পারতাম আরও আগে!" 🕯️ শেকড় ভুলে যাওয়া মানে আত্মা হারিয়ে ফেলা! যে নিজের শেকড় ভুলে যায়, তার চেয়ে অধম আর কেউ নেই। নিজেকে জানতে হলে, ভালোবাসতে হলে, আগে জানতে হয়—আমি কে, কোথা থেকে এসেছি। শুধু ব্যক্তিগত নয়, জাতিগতভাবে, সাংস্কৃতিকভাবেও এই চেতনা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। ❤️✍️
    Sad
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 21 Просмотры
  • TSMC (Taiwan Semiconductor Manufacturing Company) — নামটি শুনে সাধারণ অনেকেই ভাবেন, এটি বোধহয় আরেকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
    কিন্তু বাস্তবে, এই কোম্পানিটি পুরো আধুনিক প্রযুক্তি বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র।
    আপনি যেই স্মার্টফোনটা হাতে ধরেছেন, ল্যাপটপ, গাড়ি, ড্রোন, এআই চিপ—সবকিছুর মস্তিষ্ক অর্থাৎ ‘চিপ’ তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠানই।
    TSMC ছাড়া আজকের প্রযুক্তির গতি যেন অক্সিজেন ছাড়াই দৌড়ানোর চেষ্টা।

    বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান?

    TSMC শুধুমাত্র তাইওয়ান নয়, বরং সারা বিশ্বের ৫০% এর বেশি অ্যাডভান্সড চিপ একা তৈরি করে।
    বিশেষ করে Apple, AMD, Nvidia, Qualcomm, Intel-এর মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলো তাদের চিপ ডিজাইন TSMC-কে দেয় এবং TSMC সেই ডিজাইন অনুযায়ী ন্যানো-স্কেলে চিপ বানায়।
    এটাই বলা হয়, “Apple হয়তো চিপ ডিজাইন করে, কিন্তু তা প্রাণ পায় TSMC-র স্পর্শে।”

    এআই যুগে TSMC-এর গুরুত্ব

    বর্তমানে AI (Artificial Intelligence) ভিত্তিক যেসব সুপার কম্পিউটার, ডেটা সেন্টার, এবং স্মার্ট ডিভাইস চলছে—তাদের চিপের ৭০% এর বেশি বানিয়েছে TSMC।
    বিশ্বজুড়ে AI-চালিত ভবিষ্যতের যত সম্ভাবনা, তার প্রায় সবই TSMC-এর সিলিকন জাদুর উপর নির্ভর করে।

    কেন পশ্চিমা বিশ্ব TSMC-এর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত?

    TSMC-এর প্রধান কারখানাগুলো তাইওয়ানে অবস্থিত।
    আর তাইওয়ান-চীন উত্তেজনার কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে—যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে পুরো পৃথিবীর চিপ সাপ্লাই থমকে যাবে।
    এই আশঙ্কায় আমেরিকা, জাপান, জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশ TSMC-কে নিজেদের দেশে কারখানা তৈরির জন্য বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দিচ্ছে।

    বাজারমূল্যে রেকর্ড

    TSMC-এর বাজারমূল্য প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার, যা একে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কিছু কোম্পানির কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছে।
    এটি এমন একটি কোম্পানি, যা অদৃশ্যভাবে সারা বিশ্বের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করছে।

    TSMC কোনো সাধারণ কোম্পানি নয়।
    এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা আধুনিক বিশ্বের প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অন্তরালে নিরব but অপরিহার্য ভূমিকা রাখছে।
    যদি একদিন TSMC থেমে যায়, তাহলে থেমে যাবে আপনার ফোন, আপনার ল্যাপটপ, এমনকি আপনার গাড়িও!

    তাই বলা হয়—TSMC মানেই আধুনিক বিশ্বের ‘সিলিকন হৃদয়’।
    এটি কেবল একটি কোম্পানি নয়, বরং ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি।

    লেখায়-ফ্লোরা
    TSMC (Taiwan Semiconductor Manufacturing Company) — নামটি শুনে সাধারণ অনেকেই ভাবেন, এটি বোধহয় আরেকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাস্তবে, এই কোম্পানিটি পুরো আধুনিক প্রযুক্তি বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র। আপনি যেই স্মার্টফোনটা হাতে ধরেছেন, ল্যাপটপ, গাড়ি, ড্রোন, এআই চিপ—সবকিছুর মস্তিষ্ক অর্থাৎ ‘চিপ’ তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠানই। TSMC ছাড়া আজকের প্রযুক্তির গতি যেন অক্সিজেন ছাড়াই দৌড়ানোর চেষ্টা। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান? TSMC শুধুমাত্র তাইওয়ান নয়, বরং সারা বিশ্বের ৫০% এর বেশি অ্যাডভান্সড চিপ একা তৈরি করে। বিশেষ করে Apple, AMD, Nvidia, Qualcomm, Intel-এর মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলো তাদের চিপ ডিজাইন TSMC-কে দেয় এবং TSMC সেই ডিজাইন অনুযায়ী ন্যানো-স্কেলে চিপ বানায়। এটাই বলা হয়, “Apple হয়তো চিপ ডিজাইন করে, কিন্তু তা প্রাণ পায় TSMC-র স্পর্শে।” এআই যুগে TSMC-এর গুরুত্ব বর্তমানে AI (Artificial Intelligence) ভিত্তিক যেসব সুপার কম্পিউটার, ডেটা সেন্টার, এবং স্মার্ট ডিভাইস চলছে—তাদের চিপের ৭০% এর বেশি বানিয়েছে TSMC। বিশ্বজুড়ে AI-চালিত ভবিষ্যতের যত সম্ভাবনা, তার প্রায় সবই TSMC-এর সিলিকন জাদুর উপর নির্ভর করে। কেন পশ্চিমা বিশ্ব TSMC-এর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত? TSMC-এর প্রধান কারখানাগুলো তাইওয়ানে অবস্থিত। আর তাইওয়ান-চীন উত্তেজনার কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে—যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে পুরো পৃথিবীর চিপ সাপ্লাই থমকে যাবে। এই আশঙ্কায় আমেরিকা, জাপান, জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশ TSMC-কে নিজেদের দেশে কারখানা তৈরির জন্য বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা দিচ্ছে। বাজারমূল্যে রেকর্ড TSMC-এর বাজারমূল্য প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার, যা একে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কিছু কোম্পানির কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছে। এটি এমন একটি কোম্পানি, যা অদৃশ্যভাবে সারা বিশ্বের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করছে। TSMC কোনো সাধারণ কোম্পানি নয়। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা আধুনিক বিশ্বের প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অন্তরালে নিরব but অপরিহার্য ভূমিকা রাখছে। যদি একদিন TSMC থেমে যায়, তাহলে থেমে যাবে আপনার ফোন, আপনার ল্যাপটপ, এমনকি আপনার গাড়িও! তাই বলা হয়—TSMC মানেই আধুনিক বিশ্বের ‘সিলিকন হৃদয়’। এটি কেবল একটি কোম্পানি নয়, বরং ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি। লেখায়-ফ্লোরা
    0 Комментарии 0 Поделились 30 Просмотры
  • হরিতকি পাতার ও ফলের ৫০টি গুণাগুণ ও ব্যাখ্যা

    শরীরের ভিতরের যত্নে (Internal Health Benefits):

    1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: হরিতকি গুঁড়া রাতে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।

    2. হজমশক্তি বাড়ায়: খাওয়ার পরে হরিতকি খেলে খাবার সহজে হজম হয়।

    3. গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল কমায়: পেটের এসিড ব্যালান্স করে।

    4. লিভার সুস্থ রাখে: লিভারের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে।

    5. রক্ত পরিশোধন করে: শরীরের টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করে।

    6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।

    7. কোলেস্টেরল কমায়: খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

    8. ওজন কমাতে সাহায্য করে: বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে মেদ ঝরে।

    9. বমি ভাব কমায়: পেট ঠান্ডা করে বমি বমি ভাব দূর করে।

    10. শরীরে শক্তি জোগায়: নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয়।

    রোগ প্রতিরোধে (Immunity & Infection):

    11. ইমিউনিটি বাড়ায়: সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।

    12. কাশি ও সর্দি কমায়: গলায় কফ কমায় ও স্বস্তি দেয়।

    13. ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী: পাতার রস বা বাটা কণ্ঠনালীকে প্রশমিত করে।

    14. গলার ব্যথা উপশম করে: গরম জলে পাতার রস মিশিয়ে গার্গল করুন।

    15. জ্বর কমায়: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

    16. অ্যালার্জি রোধ করে: অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করে।

    17. ফুসফুসের যত্ন নেয়: শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে।

    18. হাঁপানিতে উপকারী: শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে।

    19. পাইলস ও ফিস্টুলা উপকারী: বাওয়েল মুভমেন্ট সহজ করে।

    20. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।

    মানসিক স্বাস্থ্যে (Mind & Nerve):

    21. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্নায়ু সতেজ রাখে ও মনোযোগ বাড়ায়।

    22. ঘুমের সমস্যা দূর করে: রাতে খেলে ঘুম ভালো হয়।

    23. স্ট্রেস কমায়: মানসিক প্রশান্তি আনে।

    24. মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে: অতিরিক্ত উত্তেজনা কমায়।

    25. মাইগ্রেন উপশমে কার্যকর: মাথা ব্যথা কমায় নিয়মিত খেলে।

    চুল ও ত্বকের যত্নে (Beauty & Hair):

    26. চুল পড়া কমায়: চুলের গোড়া মজবুত করে।

    27. খুশকি দূর করে: স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে।

    28. চুল ঘন করে: প্যাক হিসেবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

    29. ব্রণ কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে।

    30. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

    31. চুলের আগা ফাটা কমায়: তেলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

    32. ফোড়া ঘা শুকায়: পাতার পেস্ট ঘায়ের উপর লাগান।

    33. চুল কালো করে: নিয়মিত ব্যবহারে স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে।

    34. চুলে চকমক ভাব আনে: হরিতকি প্যাক দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝলমলে হয়।

    35. ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায়: আক্রান্ত স্থানে পাতা বাটা লাগান।

    মুখ ও দাঁতের যত্নে (Oral Care):

    36. মাড়ির রক্ত পড়া কমায়: হরিতকি গুঁড়া দিয়ে কুলকুচি করুন।

    37. দাঁতের ব্যথা উপশম করে: গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করুন হালকা করে।

    38. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করুন।

    39. ক্যানকার সোর কমায়: পাতার রস তুলোয় নিয়ে লাগান।

    40. দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা দূর করে: হরিতকি গুঁড়ার কুলকুচি সাহায্য করে।

    পেট ও হজমতন্ত্রের যত্নে (Digestive Health):

    41. বদহজম দূর করে: খাওয়ার পর অল্প হরিতকি খেলে উপকার মেলে।

    42. গ্যাস কমায়: পেট ফাঁপা হলে হরিতকি উপকারী।

    43. ডায়রিয়ায় উপকারী: পাতার রস সামান্য হালকা করে খাওয়ানো যেতে পারে।

    44. পেট ব্যথা উপশম করে: সেদ্ধ পানি পান করলে আরাম মেলে।

    45. অজীর্ণতা দূর করে: অতিরিক্ত খাওয়ার পর হরিতকি খেলে হজম সহজ হয়।

    বিভিন্ন সাধারণ উপকারিতা (General Benefits):

    46. বয়সের ছাপ কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে।

    47. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম থাকার কারণে।

    48. জীবনীশক্তি বাড়ায়: দুর্বল শরীরে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে।

    49. মাংসপেশি শক্ত করে: শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

    50. প্রাকৃতিক টনিক: প্রতিদিন খেলে পুরো শরীর সতেজ থাকে।

    ব্যবহার ও খাওয়ার ফর্মুলা (Usage Formula):

    পাতা:

    1. পাতার রস: ৫–৬টি পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান।

    2. পাতা সেদ্ধ: ঠান্ডা/গলা ব্যথায় পানির সঙ্গে সেদ্ধ করে গার্গল করুন।

    3. চর্মরোগে: পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান দিনে ২ বার।

    4. মুখের যত্নে: পাতার রস কুলকুচি হিসেবে ব্যবহার করুন।

    ফল/গুঁড়া:

    1. কোষ্ঠকাঠিন্য/পেট: ১ চা চামচ হরিতকি গুঁড়া রাতে গরম পানির সাথে।

    2. ডায়াবেটিস: সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ হরিতকি গুঁড়া।

    3. ত্বকের জন্য: মধু + হরিতকি গুঁড়া + গোলাপ জল = ফেসপ্যাক

    4. চুলের যত্নে: নারকেল তেলে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান।

    Haritaki - Nature’s Secret for Total Wellness!
    প্রতিদিন ১ চামচ হরিতকি = পেট, চুল, ত্বক, মন ও শক্তির যত্ন একসাথে!
    এখনই শুরু করুন আপনার হেলদি লাইফের যাত্রা!

    #HaritakiBenefits #HerbalPower #NaturalWellness #HolisticHealing #DetoxNaturally #AyurvedicRemedy #HealthyFromWithin #PlantBasedHealing #AncientMedicine #RashidasRemedies #GreenHealthTips #DailyDetox #ImmunityBoost #SkincareNaturally #HairCareWithNature
    🌿 হরিতকি পাতার ও ফলের ৫০টি গুণাগুণ ও ব্যাখ্যা 🩺 শরীরের ভিতরের যত্নে (Internal Health Benefits): 1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: হরিতকি গুঁড়া রাতে খেলে পেট পরিষ্কার হয়। 2. হজমশক্তি বাড়ায়: খাওয়ার পরে হরিতকি খেলে খাবার সহজে হজম হয়। 3. গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল কমায়: পেটের এসিড ব্যালান্স করে। 4. লিভার সুস্থ রাখে: লিভারের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে। 5. রক্ত পরিশোধন করে: শরীরের টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করে। 6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। 7. কোলেস্টেরল কমায়: খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। 8. ওজন কমাতে সাহায্য করে: বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে মেদ ঝরে। 9. বমি ভাব কমায়: পেট ঠান্ডা করে বমি বমি ভাব দূর করে। 10. শরীরে শক্তি জোগায়: নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয়। 😷 রোগ প্রতিরোধে (Immunity & Infection): 11. ইমিউনিটি বাড়ায়: সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। 12. কাশি ও সর্দি কমায়: গলায় কফ কমায় ও স্বস্তি দেয়। 13. ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী: পাতার রস বা বাটা কণ্ঠনালীকে প্রশমিত করে। 14. গলার ব্যথা উপশম করে: গরম জলে পাতার রস মিশিয়ে গার্গল করুন। 15. জ্বর কমায়: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। 16. অ্যালার্জি রোধ করে: অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করে। 17. ফুসফুসের যত্ন নেয়: শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে। 18. হাঁপানিতে উপকারী: শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে। 19. পাইলস ও ফিস্টুলা উপকারী: বাওয়েল মুভমেন্ট সহজ করে। 20. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। 🧠 মানসিক স্বাস্থ্যে (Mind & Nerve): 21. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্নায়ু সতেজ রাখে ও মনোযোগ বাড়ায়। 22. ঘুমের সমস্যা দূর করে: রাতে খেলে ঘুম ভালো হয়। 23. স্ট্রেস কমায়: মানসিক প্রশান্তি আনে। 24. মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে: অতিরিক্ত উত্তেজনা কমায়। 25. মাইগ্রেন উপশমে কার্যকর: মাথা ব্যথা কমায় নিয়মিত খেলে। 💇‍♀️ চুল ও ত্বকের যত্নে (Beauty & Hair): 26. চুল পড়া কমায়: চুলের গোড়া মজবুত করে। 27. খুশকি দূর করে: স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে। 28. চুল ঘন করে: প্যাক হিসেবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। 29. ব্রণ কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। 30. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। 31. চুলের আগা ফাটা কমায়: তেলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। 32. ফোড়া ঘা শুকায়: পাতার পেস্ট ঘায়ের উপর লাগান। 33. চুল কালো করে: নিয়মিত ব্যবহারে স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে। 34. চুলে চকমক ভাব আনে: হরিতকি প্যাক দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝলমলে হয়। 35. ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায়: আক্রান্ত স্থানে পাতা বাটা লাগান। 🦷 মুখ ও দাঁতের যত্নে (Oral Care): 36. মাড়ির রক্ত পড়া কমায়: হরিতকি গুঁড়া দিয়ে কুলকুচি করুন। 37. দাঁতের ব্যথা উপশম করে: গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করুন হালকা করে। 38. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করুন। 39. ক্যানকার সোর কমায়: পাতার রস তুলোয় নিয়ে লাগান। 40. দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা দূর করে: হরিতকি গুঁড়ার কুলকুচি সাহায্য করে। 🍽️ পেট ও হজমতন্ত্রের যত্নে (Digestive Health): 41. বদহজম দূর করে: খাওয়ার পর অল্প হরিতকি খেলে উপকার মেলে। 42. গ্যাস কমায়: পেট ফাঁপা হলে হরিতকি উপকারী। 43. ডায়রিয়ায় উপকারী: পাতার রস সামান্য হালকা করে খাওয়ানো যেতে পারে। 44. পেট ব্যথা উপশম করে: সেদ্ধ পানি পান করলে আরাম মেলে। 45. অজীর্ণতা দূর করে: অতিরিক্ত খাওয়ার পর হরিতকি খেলে হজম সহজ হয়। 🌿 বিভিন্ন সাধারণ উপকারিতা (General Benefits): 46. বয়সের ছাপ কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে। 47. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম থাকার কারণে। 48. জীবনীশক্তি বাড়ায়: দুর্বল শরীরে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে। 49. মাংসপেশি শক্ত করে: শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়। 50. প্রাকৃতিক টনিক: প্রতিদিন খেলে পুরো শরীর সতেজ থাকে। 🥄 ব্যবহার ও খাওয়ার ফর্মুলা (Usage Formula): 🟩 পাতা: 1. পাতার রস: ৫–৬টি পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান। 2. পাতা সেদ্ধ: ঠান্ডা/গলা ব্যথায় পানির সঙ্গে সেদ্ধ করে গার্গল করুন। 3. চর্মরোগে: পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান দিনে ২ বার। 4. মুখের যত্নে: পাতার রস কুলকুচি হিসেবে ব্যবহার করুন। 🟨 ফল/গুঁড়া: 1. কোষ্ঠকাঠিন্য/পেট: ১ চা চামচ হরিতকি গুঁড়া রাতে গরম পানির সাথে। 2. ডায়াবেটিস: সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ হরিতকি গুঁড়া। 3. ত্বকের জন্য: মধু + হরিতকি গুঁড়া + গোলাপ জল = ফেসপ্যাক 4. চুলের যত্নে: নারকেল তেলে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। 🌿 Haritaki - Nature’s Secret for Total Wellness! প্রতিদিন ১ চামচ হরিতকি = পেট, চুল, ত্বক, মন ও শক্তির যত্ন একসাথে! 🧠💪 এখনই শুরু করুন আপনার হেলদি লাইফের যাত্রা! 🍀 #HaritakiBenefits #HerbalPower #NaturalWellness #HolisticHealing #DetoxNaturally #AyurvedicRemedy #HealthyFromWithin #PlantBasedHealing #AncientMedicine #RashidasRemedies #GreenHealthTips #DailyDetox #ImmunityBoost #SkincareNaturally #HairCareWithNature
    0 Комментарии 0 Поделились 44 Просмотры
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। বার্মার ঘন জঙ্গলে চলাফেরার জন্য ভারতীয় সেনাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে মধ্য ভারতের মাউয়ের সামরিক ছাউনিতে। সেই সেনাবিভাগে এক ভারতীয় রাজ্যের যুবরাজ ছিলেন। ছাউনির সবাই তাঁকে ‘প্রিন্স’ বলে ডাকত। প্রিন্স নিজে শিকারি, আর তা নিয়ে প্রায়ই মহা আস্ফালন করতেন। কিছু পেটোয়া চ্যালাচামুণ্ডা ছিল তাঁর। সবাইকে নিয়ে বিকেলে ক্লাবঘরে বসে নরক গুলজার হতো। বক্তা মূলত প্রিন্স, বাকিরা মুগ্ধ শ্রোতা। একদিন প্রসঙ্গ উঠল শিকারে অব্যর্থ হতে হলে কী দরকার? নিমেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, নাকি অব্যর্থ নিশানা? এক একজন এক একরকম মত দিলেন। কেউ বললেন তিনটি অথবা দু’টির যোগফল। প্রিন্স নিজে বললেন, ‘ওসব বাজে গল্প। অব্যর্থ নিশানাই শেষ কথা নয়।’ ঠিক তখনই ছাউনির ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ অফিসার বলে উঠলেন, ‘আরে! আজ দেখি আমাদের মধ্যে এক এক্সপার্ট রয়েছেন। শোনাই যাক না উনি কী বলেন?’

    সবাই তাকিয়ে দেখল এককোণে চুপচাপ বসে এতক্ষণ নির্বাক রোদে-পোড়া, শক্ত চেহারার বলিষ্ঠ এক প্রৌঢ় তাঁদের তর্ক শুনে মিটিমিটি হাসছেন। তাঁর উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন করায় এককথায় উত্তর দিলেন, ‘অব্যর্থ নিশানা। আর কিচ্ছু না!’ এই প্রথম প্রিন্সের কথাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলেন। যথারীতি তিনি ভয়ানক রেগে গেলেন। কে এই বৃদ্ধ! এত সাহসই বা তাঁর হয় কী করে? কোনওমতে রাগ চেপে প্রিন্স বললেন ‘আপনি প্রমাণ করতে পারবেন?’

    প্রৌঢ় আঙুল তুলে দেখালেন, ‘আচ্ছা, ওই দূরের গাছটা দেখ। একটা ওয়াই Y আকারের সরু ডালের মাঝের খাঁজে ছোট্ট একখানা পাখি বসে আছে। ডাল ভাঙবে না, কিন্তু পাখিটাকে মারতে হবে। পারবে?’ বিকেলের আলো পড়ে আসছে। চারিদিক ধোঁয়াটে ধূসর। প্রিন্স বললেন, ‘অসম্ভব! এই আলোতে নজরই চলে না, পাখি মারব কি করে?’

    উত্তরে প্রৌঢ় হাত বাড়িয়ে গাড়োয়ালী অনুচরের কাছ থেকে হেলায় একটা রাইফেল নিলেন, তুললেন, গুলি ছুঁড়লেন, বললেন, ‘কেন, এমনি করে?’ সবাই ছুটে গেলেন সেখানে। গিয়ে দেখা গেল ডালটি অভগ্ন, পাখিটি মৃত। কারও মুখে কথাটি সরে না। শেষে প্রিন্স কোনমতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এ কেমন করে সম্ভব?’ প্রৌঢ় মুচকি হেসে উত্তর দিলেন ‘শোন তবে, যখন রুদ্রপ্রয়াগের চিতাটাকে মারি..’ এইটুকু শুনেই প্রিন্স যা বোঝার বুঝে গিয়েছেন ‘বলেন কী!! আপনিই তবে...’

    ‘হ্যাঁ, এই অধমের নামই এডোয়ার্ড জেমস করবেট। সবাই ভালবেসে জিম নামে ডাকে।’

    জিম করবেট জন্মেছিলেন পাহাড়ঘেরা নৈনিতালে। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে। এই জুলাই মাসেরই ২৫ তারিখ। বাবা নৈনিতালের পোস্টমাস্টার। হ্রদ, নৈনিদেবীর মন্দির আর তার চারপাশের বন জঙ্গলে ঘুরে ঘুরেই করবেটের প্রথম প্রকৃতি প্রেম। তিনি লিখছেন, ‘দেবীর মন্দিরের চার মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে অন্যান্য জীবজন্তু ছাড়াও আমি বাঘ, চিতা, ভালুক আর সম্বর হরিণ দেখেছি, এবং একশো আটাশ জাতের পাখি চিনতে পেরেছি।’ করবেট জাতে সাহেব হলেও ছিলেন নিম্নবিত্ত ঘরের। পড়া স্কুলেই শেষ। আর বাল্যকাল কেটেছে নৈনিতালের তরাই অঞ্চলের সাধারণ, দরিদ্র কুমায়ুনীদের সঙ্গে—যাদের জন্য শেষজীবন পর্যন্ত অন্তরের টান বজায় ছিল তাঁর ।

    ১৮৯৫ সালে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে করবেট বেঙ্গল অ্যান্ড নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়েতে শর্তাধীন কাজে ঢুকে পড়েন। এই করবেট লাজুক, স্বল্পভাষী আর কঠোর পরিশ্রমী। সঙ্গে শিকারের অদম্য নেশা। যাকে বলে ইন্ট্রোভার্ট, তার আদর্শ উদাহরণ। ভবিষ্যতের যে করবেট শত শত মাইল হেঁটে রুদ্রপ্রয়াগের চিতাকে একটি গুলিতে মারেন, অথবা অরণ্য ও অরণ্যপ্রাণী বাঁচাতে প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেন, কিংবা গ্রামের বাংলোর বারান্দায় বসে গ্রামীণ মানুষদের ওষুধ-পথ্য-সুশ্রুষার ব্যবস্থা করেন কিন্তু বিন্দুমাত্র যশপ্রার্থী হন না, তাঁর শুরু কিন্তু এখান থেকেই।
    বিশ শতকের শুরুর দিকে চম্পাবতের এক বাঘিনি গোটা উত্তরাঞ্চলে ভয়ানক ত্রাসের সৃষ্টি করল। প্রায় এক দশক ধরে পুলিস, গুপ্ত শিকারি, এমনকী নেপালি গোর্খা রেজিমেন্ট পর্যন্ত সেটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। অনেকে বিশ্বাস করত এ কোন পশু নয়, কোন অতৃপ্ত আত্মা। ওই বাঘিনির আক্রমণে শুধুমাত্র নথিভূক্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩৬। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী আজ অবধি সর্বোচ্চ। যখন সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন তখন একেবারে নবিশ শিকারী তরুণ জিম করবেট চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলেন। তাঁর হাতেই খতম হল চম্পাবতের মানুষখাকী। ‘কুমায়ুনের মানুষখেকো’ (ম্যান-ইটার্স অব কুমায়ুন) বইতে একেবারে ছবির মত বর্ণনা আছে সেই হাড়হিম করা ঘটনার।

    ‘নদীর কাছে এগলাম যখন, ঝোপ ছেড়ে বাঘিনীনিটি সেই উঁচানে পাথরের উপর, আমি যে দিকে আছি সে দিকে বেরিয়ে এল। যখন ও বিশ ফুটের মধ্যে, বন্দুকটি তুললাম এবং আতঙ্কে দেখলাম যে নল দু’টি এবং ব্রিচ-ব্লকের মাঝখানে এক ইঞ্চির আট-তৃতীয়াংশ এক ফাঁক আছে। যখন দু’টি নলে ফায়ার করা হয় তখন বন্দুক ফাটেনি, সম্ভবত এখনও ফাটবে না, কিন্তু পিছু ধাক্কা খেয়ে কানা হয়ে যাবার বিপদ আছে। যাই হক, সে ঝুঁকি নিতেই হচ্ছে এবং যে পেল্লায় পুঁতিটি সাইটের কাজ করছিল, সেটি বাঘিনির হাঁ-করা মুখের দিকে নিশানা করে বসিয়ে আমি গুলি ছুঁড়লাম। হয়তো আমি উপর-নীচে নড়ে গিয়েছিলাম কিংবা হয়তো বেলনাকার বুলেটটি বিশ ফুট নির্ভুল পাঠাবার ক্ষমতা বন্দুকটির ছিল না। যাই হোক গুলিটি বাঘিনির মুখ ফসকাল এবং বিঁধল ওর ডান থাবায়, সেখান থেকে পরে আমি আঙুলের নখ দিয়ে সেটি সরিয়েছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে ও তখন শেষ অবস্থায় পৌঁছেছিল এবং পায়ের উপর আঘাতটি ওঁকে সমুখপানে টলিয়ে ফেলে দেবার কাজ যথেষ্টই করল। পাথরটার এক ধার দিয়ে মাথাটি ঝুঁকিয়ে ও মৃত্যুতে শান্ত হল।’

    রাতারাতি জিম করবেট এক কিংবদন্তিতে পরিণত হলেন। সেই শুরু। তারপর যেখানেই মানুষখেকো বাঘের অত্যাচার শুরু হতো, জিমকে ডেকে পাঠাতেন সেখানকার শাসক। কিংবা জিম নিজেই চলে যেতেন। ১৯০৭ থেকে ১৯৩৮’এর মধ্যে তিনি মোট ৩৩টি মানুষখেকোর শিকার করেন, যারা সব মিলিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষ মেরেছিল। এদের মধ্যে দু’খানি মানুষখেকো চিতাবাঘ। রুদ্রপ্রয়াগের মানুষখেকো চিতাবাঘ ভারতের ইতিহাসে প্রায় অমর হয়ে গেছে।

    ১২৬ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা চিতাটিকে নিয়ে করবেট নিজে লিখেছেন, ‘বাঘেরা যে-কারণে নরখাদক হয়, চিতারা সে-কারণে হয় না। আমাদের জঙ্গলের সকল জন্তুর মধ্যে চিতা সবচেয়ে সুন্দর, সাবলীল। জখম হলে, বা কোণঠাসা হলে সাহসে সে কারও চেয়ে কম যায় না। তবে এরা এমন মড়াখেকো, যে খিদের জ্বালায় জঙ্গলে যে মড়া পায়, তা-ই খায়। ঠিক আফ্রিকার জঙ্গলের সিংহদের মতো... ১৯১৮ সালে দেশ জুড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার মড়ক দেখা দেয়। ভারতে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা পড়ে। এ মড়কের কঠিন মূল্য দিতে হয় গাড়োয়ালকে। মহামারীর শেষে গাড়োয়ালের নরখাদক আত্মপ্রকাশ করে। ১৯১৮ সালের ৯ই জুন, বৈঁজি গ্রামে রুদ্রপ্রয়াগের নরখাদক চিতা প্রথম মানুষ মারে, নথিতে লেখা আছে। সর্বশেষ যে মৃত্যুর জন্য নরখাদকটি দায়ী, তা ১৯২৬ সালের ১৪ই এপ্রিল ভৈঁসোয়ারা গ্রামে ঘটে। সরকারি নথিতে লেখা আছে। এই দু’টি তারিখের মধ্যে ১২৫ জন মানুষ মারা পড়ে।’

    মাইলের পর মাইল হেঁটে প্রায় হতাশ হয়ে যখন ভাবছেন শিকারই ছেড়ে দেবেন, প্রায় দৈবক্রমে তিনি চিতাটিকে শিকার করলেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, ঠিক তারপরেই যা লিখলেন তা কোন দক্ষ শিকারীর দম্ভের আস্ফালন না, বরং পড়লে আজও মন ভিজে ওঠে।

    ‘এখানে পড়ে আছে একটি বুড়ো চিতা, অন্য চিতাদের সঙ্গে ওর এইমাত্র তফাত, যে ওর মুখটা ধূসর, ঠোঁটের উপর গোঁফ নেই। ভারতবর্ষে সবার চেয়ে ঘৃণ্য এবং সন্ত্রাসকারী জন্তু, যার একমাত্র অপরাধ—প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু মানুষের নিয়মের বিরুদ্ধে—সে মানুষের রক্তপাত করেছে। মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য নয়, শুধু নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য। সে এখন গর্তের ধারে থুতনি রেখে শুয়ে আছে, চোখদু’টি আধবোজা, তার শেষ ঘুমে শান্তি মগ্ন।’ অন্য আর দশটা শিকারীর থেকে এক মূহূর্তে জিম করবেট আলাদা হয়ে যান এখানেই। তাঁর শিকার নিতান্ত অভিযান, অ্যাডভেঞ্চার কিংবা স্পোর্টের জন্য নয়। মনেপ্রাণে তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘বাঘ উদারহৃদয় ভদ্রলোক। সীমাহীন তার সাহস। যে দিন বাঘকে বিলোপ করে দেওয়া হবে, যদি বাঘের সপক্ষে জনমত গড়ে না ওঠে বাঘ লোপ পাবেই, তা হলে ভারতের শ্রেষ্ঠতম প্রাণীর বিলোপে ভারত দরিদ্রতরই হবে।’ একমাত্র যখনই কোন বাঘ সাধারণ, নিরপরাধ মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, একমাত্র তখনই ঝলসে উঠেছে তাঁর রাইফেল। ১৯৩৮ সালের ৩০ নভেম্বর থাক-এর মানুষখেকো বাঘিনিকে হত্যার পর অফিসিয়ালি শিকার ত্যাগ করলেন। তারপর মেতে উঠলেন বাঘেদের অভয়াশ্রম তৈরির কাজে। বহু ভারতীয়কে নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করেছেন শুধু এই বিশ্বাসে, ‘ভারতীয়রা বেইমানি করে না।’

    ১৯৪৪ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশ পায় রেমন্ড শেপার্ডের ছবিতে সাজানো তাঁর লেখা বই ‘Man-Eaters of Kumaon’। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বেস্ট সেলার। এক বছরের মধ্যে হু-হু করে বিক্রি হয়ে যায় প্রায় লাখ পাঁচেক বই। এই বইয়েরই বাংলা অনুবাদের অদ্ভুত সুন্দর এক মলাট করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৫৩-এ প্রকাশিত প্রচ্ছদে দু’-মলাট জোড়া কালো আর হলদে বাঘের ছাল যেন ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। নীচের দিকে গুলির গর্ত যা পিছনের দিকে ফুঁড়ে চলে গেছে। গুলি ঢোকার সময় ফুটো ছোটো হয়। ফুঁড়ে বেরোবার সময় চ্যাপ্টা ও বড়ো হয়। সেটাও প্রচ্ছদ তৈরির সময় মাথায় রেখেছেন সত্যজিৎ। লেখক হলেও বেস্ট সেলার হতেন জিম। কিন্তু বই লিখলেন মাত্র ছ’টি।

    ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হল। নভেম্বরে বোন ম্যাগিকে সঙ্গে নিয়ে এস. এস. অ্যারোন্দা জাহাজে মোম্বাসা আর সেখান থেকে নাইরোবি হয়ে নায়েরি শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলেন জিম। ১৯৫৫ সালে আচমকা না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ওখানেই ছিলেন। আসলে জিমের ভয় ছিল স্বাধীন ভারতে হয়তো তাঁর উপরে অত্যাচার নেমে আসবে । জন্মসূত্রে ইংরেজ হওয়ায় তিনি হয়তো সুবিচার পাবেন না। তাঁর প্রিয় ভারতভূমি ছেড়ে যাবার আগে নৈনিতালের বাড়ি বিক্রি করে বহুদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী রাইফেল ও বন্দুকগুলো গভীর জঙ্গলে ‘সমাধিস্থ’ করে এসেছিলেন ভারতের সেরা শিকারী, যিনি মনেপ্রাণে চিরকাল এক ভারতীয় হয়েই থেকে গিয়েছেন। তা না হলে কে এমন করে লিখতে পারে-
    ‘আমার ভারত, যে ভারতকে আমি জানি, সেই ভারতে যে চল্লিশ কোটি মানুষের বাস, তার মধ্যে শতকরা নব্বই জনই সরল, সৎ, সাহসী, আর কঠোর পরিশ্রমী। ... সত্যিই এরা বড় গরিব। এদের প্রায়শই ‘ভারতের বুভুক্ষু কোটি-কোটি মানুষ’ বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যেই আমি বাস করেছি এবং এদের আমি ভালোবাসি। এই নরনারীদের কথাই এই বইয়ের পাতায় বলার চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধু, ভারতের সেই গরিবদের উদ্দেশে আমি আমার এই বইখানি শ্রদ্ধাভরে উৎসর্গ করলাম।’

    জন্মের সার্ধশতবর্ষে এই মনীষীকে প্রণাম।

    জিম করবেট ১৫০। বর্তমান পত্রিকায় গত ২০ জুলাই প্রকাশিত।

    লেখক - কৌশিক মজুমদার
    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। বার্মার ঘন জঙ্গলে চলাফেরার জন্য ভারতীয় সেনাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে মধ্য ভারতের মাউয়ের সামরিক ছাউনিতে। সেই সেনাবিভাগে এক ভারতীয় রাজ্যের যুবরাজ ছিলেন। ছাউনির সবাই তাঁকে ‘প্রিন্স’ বলে ডাকত। প্রিন্স নিজে শিকারি, আর তা নিয়ে প্রায়ই মহা আস্ফালন করতেন। কিছু পেটোয়া চ্যালাচামুণ্ডা ছিল তাঁর। সবাইকে নিয়ে বিকেলে ক্লাবঘরে বসে নরক গুলজার হতো। বক্তা মূলত প্রিন্স, বাকিরা মুগ্ধ শ্রোতা। একদিন প্রসঙ্গ উঠল শিকারে অব্যর্থ হতে হলে কী দরকার? নিমেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, নাকি অব্যর্থ নিশানা? এক একজন এক একরকম মত দিলেন। কেউ বললেন তিনটি অথবা দু’টির যোগফল। প্রিন্স নিজে বললেন, ‘ওসব বাজে গল্প। অব্যর্থ নিশানাই শেষ কথা নয়।’ ঠিক তখনই ছাউনির ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ অফিসার বলে উঠলেন, ‘আরে! আজ দেখি আমাদের মধ্যে এক এক্সপার্ট রয়েছেন। শোনাই যাক না উনি কী বলেন?’ সবাই তাকিয়ে দেখল এককোণে চুপচাপ বসে এতক্ষণ নির্বাক রোদে-পোড়া, শক্ত চেহারার বলিষ্ঠ এক প্রৌঢ় তাঁদের তর্ক শুনে মিটিমিটি হাসছেন। তাঁর উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন করায় এককথায় উত্তর দিলেন, ‘অব্যর্থ নিশানা। আর কিচ্ছু না!’ এই প্রথম প্রিন্সের কথাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলেন। যথারীতি তিনি ভয়ানক রেগে গেলেন। কে এই বৃদ্ধ! এত সাহসই বা তাঁর হয় কী করে? কোনওমতে রাগ চেপে প্রিন্স বললেন ‘আপনি প্রমাণ করতে পারবেন?’ প্রৌঢ় আঙুল তুলে দেখালেন, ‘আচ্ছা, ওই দূরের গাছটা দেখ। একটা ওয়াই Y আকারের সরু ডালের মাঝের খাঁজে ছোট্ট একখানা পাখি বসে আছে। ডাল ভাঙবে না, কিন্তু পাখিটাকে মারতে হবে। পারবে?’ বিকেলের আলো পড়ে আসছে। চারিদিক ধোঁয়াটে ধূসর। প্রিন্স বললেন, ‘অসম্ভব! এই আলোতে নজরই চলে না, পাখি মারব কি করে?’ উত্তরে প্রৌঢ় হাত বাড়িয়ে গাড়োয়ালী অনুচরের কাছ থেকে হেলায় একটা রাইফেল নিলেন, তুললেন, গুলি ছুঁড়লেন, বললেন, ‘কেন, এমনি করে?’ সবাই ছুটে গেলেন সেখানে। গিয়ে দেখা গেল ডালটি অভগ্ন, পাখিটি মৃত। কারও মুখে কথাটি সরে না। শেষে প্রিন্স কোনমতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এ কেমন করে সম্ভব?’ প্রৌঢ় মুচকি হেসে উত্তর দিলেন ‘শোন তবে, যখন রুদ্রপ্রয়াগের চিতাটাকে মারি..’ এইটুকু শুনেই প্রিন্স যা বোঝার বুঝে গিয়েছেন ‘বলেন কী!! আপনিই তবে...’ ‘হ্যাঁ, এই অধমের নামই এডোয়ার্ড জেমস করবেট। সবাই ভালবেসে জিম নামে ডাকে।’ জিম করবেট জন্মেছিলেন পাহাড়ঘেরা নৈনিতালে। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে। এই জুলাই মাসেরই ২৫ তারিখ। বাবা নৈনিতালের পোস্টমাস্টার। হ্রদ, নৈনিদেবীর মন্দির আর তার চারপাশের বন জঙ্গলে ঘুরে ঘুরেই করবেটের প্রথম প্রকৃতি প্রেম। তিনি লিখছেন, ‘দেবীর মন্দিরের চার মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে অন্যান্য জীবজন্তু ছাড়াও আমি বাঘ, চিতা, ভালুক আর সম্বর হরিণ দেখেছি, এবং একশো আটাশ জাতের পাখি চিনতে পেরেছি।’ করবেট জাতে সাহেব হলেও ছিলেন নিম্নবিত্ত ঘরের। পড়া স্কুলেই শেষ। আর বাল্যকাল কেটেছে নৈনিতালের তরাই অঞ্চলের সাধারণ, দরিদ্র কুমায়ুনীদের সঙ্গে—যাদের জন্য শেষজীবন পর্যন্ত অন্তরের টান বজায় ছিল তাঁর । ১৮৯৫ সালে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে করবেট বেঙ্গল অ্যান্ড নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়েতে শর্তাধীন কাজে ঢুকে পড়েন। এই করবেট লাজুক, স্বল্পভাষী আর কঠোর পরিশ্রমী। সঙ্গে শিকারের অদম্য নেশা। যাকে বলে ইন্ট্রোভার্ট, তার আদর্শ উদাহরণ। ভবিষ্যতের যে করবেট শত শত মাইল হেঁটে রুদ্রপ্রয়াগের চিতাকে একটি গুলিতে মারেন, অথবা অরণ্য ও অরণ্যপ্রাণী বাঁচাতে প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেন, কিংবা গ্রামের বাংলোর বারান্দায় বসে গ্রামীণ মানুষদের ওষুধ-পথ্য-সুশ্রুষার ব্যবস্থা করেন কিন্তু বিন্দুমাত্র যশপ্রার্থী হন না, তাঁর শুরু কিন্তু এখান থেকেই। বিশ শতকের শুরুর দিকে চম্পাবতের এক বাঘিনি গোটা উত্তরাঞ্চলে ভয়ানক ত্রাসের সৃষ্টি করল। প্রায় এক দশক ধরে পুলিস, গুপ্ত শিকারি, এমনকী নেপালি গোর্খা রেজিমেন্ট পর্যন্ত সেটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। অনেকে বিশ্বাস করত এ কোন পশু নয়, কোন অতৃপ্ত আত্মা। ওই বাঘিনির আক্রমণে শুধুমাত্র নথিভূক্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩৬। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী আজ অবধি সর্বোচ্চ। যখন সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন তখন একেবারে নবিশ শিকারী তরুণ জিম করবেট চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলেন। তাঁর হাতেই খতম হল চম্পাবতের মানুষখাকী। ‘কুমায়ুনের মানুষখেকো’ (ম্যান-ইটার্স অব কুমায়ুন) বইতে একেবারে ছবির মত বর্ণনা আছে সেই হাড়হিম করা ঘটনার। ‘নদীর কাছে এগলাম যখন, ঝোপ ছেড়ে বাঘিনীনিটি সেই উঁচানে পাথরের উপর, আমি যে দিকে আছি সে দিকে বেরিয়ে এল। যখন ও বিশ ফুটের মধ্যে, বন্দুকটি তুললাম এবং আতঙ্কে দেখলাম যে নল দু’টি এবং ব্রিচ-ব্লকের মাঝখানে এক ইঞ্চির আট-তৃতীয়াংশ এক ফাঁক আছে। যখন দু’টি নলে ফায়ার করা হয় তখন বন্দুক ফাটেনি, সম্ভবত এখনও ফাটবে না, কিন্তু পিছু ধাক্কা খেয়ে কানা হয়ে যাবার বিপদ আছে। যাই হক, সে ঝুঁকি নিতেই হচ্ছে এবং যে পেল্লায় পুঁতিটি সাইটের কাজ করছিল, সেটি বাঘিনির হাঁ-করা মুখের দিকে নিশানা করে বসিয়ে আমি গুলি ছুঁড়লাম। হয়তো আমি উপর-নীচে নড়ে গিয়েছিলাম কিংবা হয়তো বেলনাকার বুলেটটি বিশ ফুট নির্ভুল পাঠাবার ক্ষমতা বন্দুকটির ছিল না। যাই হোক গুলিটি বাঘিনির মুখ ফসকাল এবং বিঁধল ওর ডান থাবায়, সেখান থেকে পরে আমি আঙুলের নখ দিয়ে সেটি সরিয়েছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে ও তখন শেষ অবস্থায় পৌঁছেছিল এবং পায়ের উপর আঘাতটি ওঁকে সমুখপানে টলিয়ে ফেলে দেবার কাজ যথেষ্টই করল। পাথরটার এক ধার দিয়ে মাথাটি ঝুঁকিয়ে ও মৃত্যুতে শান্ত হল।’ রাতারাতি জিম করবেট এক কিংবদন্তিতে পরিণত হলেন। সেই শুরু। তারপর যেখানেই মানুষখেকো বাঘের অত্যাচার শুরু হতো, জিমকে ডেকে পাঠাতেন সেখানকার শাসক। কিংবা জিম নিজেই চলে যেতেন। ১৯০৭ থেকে ১৯৩৮’এর মধ্যে তিনি মোট ৩৩টি মানুষখেকোর শিকার করেন, যারা সব মিলিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষ মেরেছিল। এদের মধ্যে দু’খানি মানুষখেকো চিতাবাঘ। রুদ্রপ্রয়াগের মানুষখেকো চিতাবাঘ ভারতের ইতিহাসে প্রায় অমর হয়ে গেছে। ১২৬ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা চিতাটিকে নিয়ে করবেট নিজে লিখেছেন, ‘বাঘেরা যে-কারণে নরখাদক হয়, চিতারা সে-কারণে হয় না। আমাদের জঙ্গলের সকল জন্তুর মধ্যে চিতা সবচেয়ে সুন্দর, সাবলীল। জখম হলে, বা কোণঠাসা হলে সাহসে সে কারও চেয়ে কম যায় না। তবে এরা এমন মড়াখেকো, যে খিদের জ্বালায় জঙ্গলে যে মড়া পায়, তা-ই খায়। ঠিক আফ্রিকার জঙ্গলের সিংহদের মতো... ১৯১৮ সালে দেশ জুড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার মড়ক দেখা দেয়। ভারতে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা পড়ে। এ মড়কের কঠিন মূল্য দিতে হয় গাড়োয়ালকে। মহামারীর শেষে গাড়োয়ালের নরখাদক আত্মপ্রকাশ করে। ১৯১৮ সালের ৯ই জুন, বৈঁজি গ্রামে রুদ্রপ্রয়াগের নরখাদক চিতা প্রথম মানুষ মারে, নথিতে লেখা আছে। সর্বশেষ যে মৃত্যুর জন্য নরখাদকটি দায়ী, তা ১৯২৬ সালের ১৪ই এপ্রিল ভৈঁসোয়ারা গ্রামে ঘটে। সরকারি নথিতে লেখা আছে। এই দু’টি তারিখের মধ্যে ১২৫ জন মানুষ মারা পড়ে।’ মাইলের পর মাইল হেঁটে প্রায় হতাশ হয়ে যখন ভাবছেন শিকারই ছেড়ে দেবেন, প্রায় দৈবক্রমে তিনি চিতাটিকে শিকার করলেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, ঠিক তারপরেই যা লিখলেন তা কোন দক্ষ শিকারীর দম্ভের আস্ফালন না, বরং পড়লে আজও মন ভিজে ওঠে। ‘এখানে পড়ে আছে একটি বুড়ো চিতা, অন্য চিতাদের সঙ্গে ওর এইমাত্র তফাত, যে ওর মুখটা ধূসর, ঠোঁটের উপর গোঁফ নেই। ভারতবর্ষে সবার চেয়ে ঘৃণ্য এবং সন্ত্রাসকারী জন্তু, যার একমাত্র অপরাধ—প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু মানুষের নিয়মের বিরুদ্ধে—সে মানুষের রক্তপাত করেছে। মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য নয়, শুধু নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য। সে এখন গর্তের ধারে থুতনি রেখে শুয়ে আছে, চোখদু’টি আধবোজা, তার শেষ ঘুমে শান্তি মগ্ন।’ অন্য আর দশটা শিকারীর থেকে এক মূহূর্তে জিম করবেট আলাদা হয়ে যান এখানেই। তাঁর শিকার নিতান্ত অভিযান, অ্যাডভেঞ্চার কিংবা স্পোর্টের জন্য নয়। মনেপ্রাণে তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘বাঘ উদারহৃদয় ভদ্রলোক। সীমাহীন তার সাহস। যে দিন বাঘকে বিলোপ করে দেওয়া হবে, যদি বাঘের সপক্ষে জনমত গড়ে না ওঠে বাঘ লোপ পাবেই, তা হলে ভারতের শ্রেষ্ঠতম প্রাণীর বিলোপে ভারত দরিদ্রতরই হবে।’ একমাত্র যখনই কোন বাঘ সাধারণ, নিরপরাধ মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, একমাত্র তখনই ঝলসে উঠেছে তাঁর রাইফেল। ১৯৩৮ সালের ৩০ নভেম্বর থাক-এর মানুষখেকো বাঘিনিকে হত্যার পর অফিসিয়ালি শিকার ত্যাগ করলেন। তারপর মেতে উঠলেন বাঘেদের অভয়াশ্রম তৈরির কাজে। বহু ভারতীয়কে নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করেছেন শুধু এই বিশ্বাসে, ‘ভারতীয়রা বেইমানি করে না।’ ১৯৪৪ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশ পায় রেমন্ড শেপার্ডের ছবিতে সাজানো তাঁর লেখা বই ‘Man-Eaters of Kumaon’। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বেস্ট সেলার। এক বছরের মধ্যে হু-হু করে বিক্রি হয়ে যায় প্রায় লাখ পাঁচেক বই। এই বইয়েরই বাংলা অনুবাদের অদ্ভুত সুন্দর এক মলাট করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৫৩-এ প্রকাশিত প্রচ্ছদে দু’-মলাট জোড়া কালো আর হলদে বাঘের ছাল যেন ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। নীচের দিকে গুলির গর্ত যা পিছনের দিকে ফুঁড়ে চলে গেছে। গুলি ঢোকার সময় ফুটো ছোটো হয়। ফুঁড়ে বেরোবার সময় চ্যাপ্টা ও বড়ো হয়। সেটাও প্রচ্ছদ তৈরির সময় মাথায় রেখেছেন সত্যজিৎ। লেখক হলেও বেস্ট সেলার হতেন জিম। কিন্তু বই লিখলেন মাত্র ছ’টি। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হল। নভেম্বরে বোন ম্যাগিকে সঙ্গে নিয়ে এস. এস. অ্যারোন্দা জাহাজে মোম্বাসা আর সেখান থেকে নাইরোবি হয়ে নায়েরি শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলেন জিম। ১৯৫৫ সালে আচমকা না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ওখানেই ছিলেন। আসলে জিমের ভয় ছিল স্বাধীন ভারতে হয়তো তাঁর উপরে অত্যাচার নেমে আসবে । জন্মসূত্রে ইংরেজ হওয়ায় তিনি হয়তো সুবিচার পাবেন না। তাঁর প্রিয় ভারতভূমি ছেড়ে যাবার আগে নৈনিতালের বাড়ি বিক্রি করে বহুদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী রাইফেল ও বন্দুকগুলো গভীর জঙ্গলে ‘সমাধিস্থ’ করে এসেছিলেন ভারতের সেরা শিকারী, যিনি মনেপ্রাণে চিরকাল এক ভারতীয় হয়েই থেকে গিয়েছেন। তা না হলে কে এমন করে লিখতে পারে- ‘আমার ভারত, যে ভারতকে আমি জানি, সেই ভারতে যে চল্লিশ কোটি মানুষের বাস, তার মধ্যে শতকরা নব্বই জনই সরল, সৎ, সাহসী, আর কঠোর পরিশ্রমী। ... সত্যিই এরা বড় গরিব। এদের প্রায়শই ‘ভারতের বুভুক্ষু কোটি-কোটি মানুষ’ বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যেই আমি বাস করেছি এবং এদের আমি ভালোবাসি। এই নরনারীদের কথাই এই বইয়ের পাতায় বলার চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধু, ভারতের সেই গরিবদের উদ্দেশে আমি আমার এই বইখানি শ্রদ্ধাভরে উৎসর্গ করলাম।’ জন্মের সার্ধশতবর্ষে এই মনীষীকে প্রণাম। জিম করবেট ১৫০। বর্তমান পত্রিকায় গত ২০ জুলাই প্রকাশিত। লেখক - কৌশিক মজুমদার
    0 Комментарии 0 Поделились 26 Просмотры
  • বাংলাদেশি মেরিন ক্যাডেটদের চাকরির সংকট বাস্তবতা ও কারণসমূহ

    ১. প্রতিবছর শত শত তরুণ ক্যাডেট দেশের Marine Academy গুলো থেকে পাস করে জীবনের প্রথম জাহাজে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রথম বছরেই তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও কম চাকরি পায়। বাকিরা বছরের পর বছর Sea Time-এর জন্য অপেক্ষা করে। অনেকেই হতাশ হয়ে ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়। এই তরুণরা কিন্তু একটি বিশেষায়িত ট্রেনিং সম্পন্ন করে শুধুমাত্র মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার উপযোগী হয়েছে। অন্য কোনো সেক্টরে তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রায় অসম্ভব। আরও দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, চার বছরের অনার্স কোর্সে মাত্র দুই বছর একাডেমিক ট্রেনিং করিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি এক বছর জাহাজে ইন্টার্নশিপ (Cadetship) এবং শেষের এক বছর একাডেমিতে ফিরে দুইটি সেমিস্টার কমপ্লিট করে তবেই তারা অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারে। ফলে এই পড়াশোনা সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে তারা বিসিএস কিংবা মাস্টার্সে পর্যন্ত আবেদন করতে পারে না। এটি নিঃসন্দেহে তাদের জন্য এক করুণ বাস্তবতা।
    ২. সরকারি ও বেসরকারি Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে, অথচ আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে সেই পরিমাণ চাহিদা নেই। Supply & Demand এর ভারসাম্য না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। অথচ এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে দেশের একমাত্র কর্তৃপক্ষ DG Shipping কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
    ৩. বাংলাদেশের পতাকাবাহী (BD Flag) জাহাজের সংখ্যা যেমন কম, তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো, এগুলোর অনেক মালিকই নিয়ম অনুযায়ী ক্যাডেট নিতে চান না। আবার ক্যাডেট নিয়োগ দিলে তাঁদের জন্য কোনো সরকারি প্রণোদনাও নেই, ফলে মালিকরা একে বোঝা হিসেবে দেখেন।
    ৪. অনেক বিদেশি কোম্পানির জাহাজ বাংলাদেশে আসে, কিন্তু আমাদের ক্যাডেটরা সেখানে সুযোগ পায় না। যদি সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করে, তাহলে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানির ম্যানেজার, ক্যাপ্টেন ও চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে এসব কোম্পানিকে রাজি করানো সম্ভব।
    ৫. চাকরির আশায় অনেক ক্যাডেট ম্যানিং এজেন্সিগুলোর শরণাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু যথাযথ মনিটরিং-এর অভাবে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সার্ভিস চার্জের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে, অথচ চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। একাডেমি কিংবা DG Shipping এর এই বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ বা দায়বদ্ধতা নেই। ফলে ক্যাডেটরা অসহায়। যারা সামর্থ্যবান তারা বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে জাহাজে ওঠার চেষ্টা করছে।
    ৬. Marine Academy গুলোর কারিকুলাম অনেকটাই পুরনো এবং নিয়মিত আপডেট হচ্ছে না। Maritime English, Soft Skills, Interview Preparation ও বাস্তবভিত্তিক ট্রেনিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। যার কারণে তারা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে ভালো করতে পারছে না। যেমন, এই বছর Oldendorff, OSM Thome, Hafnia এর মত কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে সাকসেস রেট ছিল ৫০ শতাংশেরও কম। কোম্পানিগুলো আশানুরূপ জ্ঞান ও দক্ষতা না পেয়ে হতাশ হয়েছে।
    ৭. সিঙ্গাপুর, ইউএই, ওমান, কাতারসহ গুরুত্বপূর্ণ Sign-on/Sign-off পোর্টগুলোতে Seafarer Visa পাওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। এই ভিসা জটিলতা চাকরি পাওয়ার পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার দ্রুত সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
    ৮. দেশে এমন অনেক সরকারি-বেসরকারি Maritime Academy গড়ে উঠেছে যাদের মান নিয়ন্ত্রণ নেই। অনুমোদন পেলেই তারা Intake শুরু করে দেয়, অথচ নেই যথাযথ ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি, ল্যাব, লাইব্রেরি বা অভিজ্ঞ শিক্ষক। এর ফলে প্রশিক্ষণের মান পড়ে যাচ্ছে, এবং দুর্বল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের কারণে চাকরির বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
    ৯. Institute of Marine Technology (IMT) মূলত Inland Shipping ও Shipbuilding সেক্টরের জন্য শিক্ষার্থী তৈরি করে। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে CDC সংগ্রহ এবং সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে মূল Marine Cadet দের চাকরি হরণ হওয়ার পাশাপাশি চাকরির বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তার চেয়েও বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, STCW রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ট্রেনিং ব্যতীত কাউকে Sea-going Vessel-এ জয়েন করালে IMO কর্তৃক বাংলাদেশ ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এর ফলে ভালো শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি Seafarer নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।


    সমস্যা সমাধানে ৯টি বাস্তবসম্মত সুপারিশঃ
    ১. দেশের Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা চাকরির বাজার বিশ্লেষণ করে প্রতি বছর DG Shipping কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে সব একাডেমির সঙ্গে বৈঠক করে unemployed ক্যাডেটদের তালিকা করে পরবর্তী বছরের Intake নির্ধারণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ডিজি শিপিং প্রত্যেকটা একাডেমি কে তাদের জন্য ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট intake নির্দিষ্ট করে দিতে পারে। সরকারি বেসরকারি কোন একাডেমীর উচিত হবে না সেই ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট Intake এর বাইরে ক্যাডেট নেওয়া করা!
    ২. BD Flag জাহাজে ৪ জন করে ক্যাডেট রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার পোর্ট ডিউস ছাড়, অগ্রাধিকার ভিত্তিক বার্থিং ইত্যাদি প্রণোদনা দিতে পারে।
    ৩. বাংলাদেশে আসা বিদেশি জাহাজগুলোতে আমাদের ক্যাডেট নিয়োগে উৎসাহ দিতে Incentive Program চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশে কর্মরত আমাদের সিনিয়র অফিসারদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।
    ৪. Marine Academy-এর মেধা তালিকা অনুযায়ী স্বচ্ছ একটি Central Cadet Placement Portal গঠন করে Sea Time-এর সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। একাডেমিগুলো কোম্পানিগুলোর কাছে আবেদনপত্র পাঠাতে পারে বা Manning Agent দের তালিকা দিতে পারে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একাডেমিগুলির কমান্ড্যান্টগণ তাদের তত্ত্বাবধানে একটা টিম গঠন করতে পারে যারা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ক্যাডেটদের জন্য চাকরির চেষ্টা করতে পারে। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজে দেয়। একাডেমী গুলি বিভিন্ন কোম্পানিতে কে তাদের একাডেমি ভিজিট এবং ক্যাডেট নেওয়ার জন্য MoU সাইন করার ব্যবস্থা করতে পারে। অনেক বড় বড় কোম্পানি বিভিন্ন দেশের একাডেমি গুলির সাথে Collanoration এর চুক্তি করে।
    ৫. MLC 2006 অনুযায়ী কোনো ম্যানিং এজেন্ট ক্যাডেট বা সিফেয়ারারদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না। সব ম্যানিং এজেন্সিকে সরকারি নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
    ৬. Maritime Education কারিকুলাম STCW কনভেনশন অনুসারে নিয়মিত আপডেট করতে হবে। Maritime English, Interview Skills, CBT, এবং সিমুলেটর ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে।
    ৭. Seafarer Visa সমস্যার সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। G2G, G2B এবং B2B আলোচনার মাধ্যমে Seafarer Visa সহজীকরণে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে OK to Board ভিসাসহ সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব, USA এবং শেঙ্গেন ভিসার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
    ৮. নতুন Maritime Academy অনুমোদনের আগে অভিজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে Infrastructure, কোর্স, শিক্ষক, চাকরির বাজার ও চাহিদা যাচাই করে অনুমোদন দিতে হবে।
    ৯. IMT এবং Shipbuilding & Inland Shipping সংক্রান্ত ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা Sea-going Vessel-এ চাকরির চেষ্টা করলে তা প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাদের জন্য আলাদা চাকরির ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে হবে। তাদেরকে সার্টিফাইড ওয়েল্ডিং এন্ড শিপ বিল্ডিং প্রফেশনাল হিসেবে উত্তম ভাবে trained up করে সিঙ্গাপুর, সাউথ কোরিয়া এবং জাপান সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চাকরির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়াও তাদেরকে জাহাজের দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম পড়িয়ে দক্ষ ETO হিসাবে Trained up করে জাহাজে চাকরির জন্য CDC প্রদান করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের STCW 2010 রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে ট্রেনিং নিশ্চিত করতে হবে। এরপরও যদি তারা ইন্টারন্যাশনাল শিপিং এ ডেক এবং ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসাবে চাকরির জন্য CDC পাওয়ার দাবি করে তবে তাদের কে ডিজি শিপিং এর মার্চেন্ডশিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এবং STCW 2010 ম্যানিলা আমেনমেন্ট অনুসারে Pre-sea training সম্পন্ন করে ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং থেকে তাদের ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে CDC এর জন্য আবেদন করতে হবে। শিপিং মিনিস্টারের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং ছাড়া অন্য কোন অথরিটির Seaman Book বা CDC ইস্যু করার এখতিয়ার নাই।
    পরিশেষে এটাই বলতে চাই, এখনই যদি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে আগামী কয়েক বছরে দেশের মেরিটাইম ক্যারিয়ার এক চরম হতাশার মধ্যে পড়বে। পরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তাই এখনই সময় দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
    বাংলাদেশি মেরিন ক্যাডেটদের চাকরির সংকট বাস্তবতা ও কারণসমূহ ১. প্রতিবছর শত শত তরুণ ক্যাডেট দেশের Marine Academy গুলো থেকে পাস করে জীবনের প্রথম জাহাজে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রথম বছরেই তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও কম চাকরি পায়। বাকিরা বছরের পর বছর Sea Time-এর জন্য অপেক্ষা করে। অনেকেই হতাশ হয়ে ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়। এই তরুণরা কিন্তু একটি বিশেষায়িত ট্রেনিং সম্পন্ন করে শুধুমাত্র মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার উপযোগী হয়েছে। অন্য কোনো সেক্টরে তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রায় অসম্ভব। আরও দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, চার বছরের অনার্স কোর্সে মাত্র দুই বছর একাডেমিক ট্রেনিং করিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি এক বছর জাহাজে ইন্টার্নশিপ (Cadetship) এবং শেষের এক বছর একাডেমিতে ফিরে দুইটি সেমিস্টার কমপ্লিট করে তবেই তারা অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারে। ফলে এই পড়াশোনা সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে তারা বিসিএস কিংবা মাস্টার্সে পর্যন্ত আবেদন করতে পারে না। এটি নিঃসন্দেহে তাদের জন্য এক করুণ বাস্তবতা। ২. সরকারি ও বেসরকারি Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে, অথচ আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে সেই পরিমাণ চাহিদা নেই। Supply & Demand এর ভারসাম্য না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। অথচ এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে দেশের একমাত্র কর্তৃপক্ষ DG Shipping কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। ৩. বাংলাদেশের পতাকাবাহী (BD Flag) জাহাজের সংখ্যা যেমন কম, তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো, এগুলোর অনেক মালিকই নিয়ম অনুযায়ী ক্যাডেট নিতে চান না। আবার ক্যাডেট নিয়োগ দিলে তাঁদের জন্য কোনো সরকারি প্রণোদনাও নেই, ফলে মালিকরা একে বোঝা হিসেবে দেখেন। ৪. অনেক বিদেশি কোম্পানির জাহাজ বাংলাদেশে আসে, কিন্তু আমাদের ক্যাডেটরা সেখানে সুযোগ পায় না। যদি সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করে, তাহলে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানির ম্যানেজার, ক্যাপ্টেন ও চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে এসব কোম্পানিকে রাজি করানো সম্ভব। ৫. চাকরির আশায় অনেক ক্যাডেট ম্যানিং এজেন্সিগুলোর শরণাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু যথাযথ মনিটরিং-এর অভাবে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সার্ভিস চার্জের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে, অথচ চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। একাডেমি কিংবা DG Shipping এর এই বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ বা দায়বদ্ধতা নেই। ফলে ক্যাডেটরা অসহায়। যারা সামর্থ্যবান তারা বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে জাহাজে ওঠার চেষ্টা করছে। ৬. Marine Academy গুলোর কারিকুলাম অনেকটাই পুরনো এবং নিয়মিত আপডেট হচ্ছে না। Maritime English, Soft Skills, Interview Preparation ও বাস্তবভিত্তিক ট্রেনিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। যার কারণে তারা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে ভালো করতে পারছে না। যেমন, এই বছর Oldendorff, OSM Thome, Hafnia এর মত কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে সাকসেস রেট ছিল ৫০ শতাংশেরও কম। কোম্পানিগুলো আশানুরূপ জ্ঞান ও দক্ষতা না পেয়ে হতাশ হয়েছে। ৭. সিঙ্গাপুর, ইউএই, ওমান, কাতারসহ গুরুত্বপূর্ণ Sign-on/Sign-off পোর্টগুলোতে Seafarer Visa পাওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। এই ভিসা জটিলতা চাকরি পাওয়ার পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার দ্রুত সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। ৮. দেশে এমন অনেক সরকারি-বেসরকারি Maritime Academy গড়ে উঠেছে যাদের মান নিয়ন্ত্রণ নেই। অনুমোদন পেলেই তারা Intake শুরু করে দেয়, অথচ নেই যথাযথ ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি, ল্যাব, লাইব্রেরি বা অভিজ্ঞ শিক্ষক। এর ফলে প্রশিক্ষণের মান পড়ে যাচ্ছে, এবং দুর্বল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের কারণে চাকরির বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ৯. Institute of Marine Technology (IMT) মূলত Inland Shipping ও Shipbuilding সেক্টরের জন্য শিক্ষার্থী তৈরি করে। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে CDC সংগ্রহ এবং সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে মূল Marine Cadet দের চাকরি হরণ হওয়ার পাশাপাশি চাকরির বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তার চেয়েও বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, STCW রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ট্রেনিং ব্যতীত কাউকে Sea-going Vessel-এ জয়েন করালে IMO কর্তৃক বাংলাদেশ ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এর ফলে ভালো শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি Seafarer নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। সমস্যা সমাধানে ৯টি বাস্তবসম্মত সুপারিশঃ ১. দেশের Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা চাকরির বাজার বিশ্লেষণ করে প্রতি বছর DG Shipping কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে সব একাডেমির সঙ্গে বৈঠক করে unemployed ক্যাডেটদের তালিকা করে পরবর্তী বছরের Intake নির্ধারণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ডিজি শিপিং প্রত্যেকটা একাডেমি কে তাদের জন্য ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট intake নির্দিষ্ট করে দিতে পারে। সরকারি বেসরকারি কোন একাডেমীর উচিত হবে না সেই ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট Intake এর বাইরে ক্যাডেট নেওয়া করা! ২. BD Flag জাহাজে ৪ জন করে ক্যাডেট রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার পোর্ট ডিউস ছাড়, অগ্রাধিকার ভিত্তিক বার্থিং ইত্যাদি প্রণোদনা দিতে পারে। ৩. বাংলাদেশে আসা বিদেশি জাহাজগুলোতে আমাদের ক্যাডেট নিয়োগে উৎসাহ দিতে Incentive Program চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশে কর্মরত আমাদের সিনিয়র অফিসারদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে। ৪. Marine Academy-এর মেধা তালিকা অনুযায়ী স্বচ্ছ একটি Central Cadet Placement Portal গঠন করে Sea Time-এর সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। একাডেমিগুলো কোম্পানিগুলোর কাছে আবেদনপত্র পাঠাতে পারে বা Manning Agent দের তালিকা দিতে পারে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একাডেমিগুলির কমান্ড্যান্টগণ তাদের তত্ত্বাবধানে একটা টিম গঠন করতে পারে যারা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ক্যাডেটদের জন্য চাকরির চেষ্টা করতে পারে। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজে দেয়। একাডেমী গুলি বিভিন্ন কোম্পানিতে কে তাদের একাডেমি ভিজিট এবং ক্যাডেট নেওয়ার জন্য MoU সাইন করার ব্যবস্থা করতে পারে। অনেক বড় বড় কোম্পানি বিভিন্ন দেশের একাডেমি গুলির সাথে Collanoration এর চুক্তি করে। ৫. MLC 2006 অনুযায়ী কোনো ম্যানিং এজেন্ট ক্যাডেট বা সিফেয়ারারদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না। সব ম্যানিং এজেন্সিকে সরকারি নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৬. Maritime Education কারিকুলাম STCW কনভেনশন অনুসারে নিয়মিত আপডেট করতে হবে। Maritime English, Interview Skills, CBT, এবং সিমুলেটর ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৭. Seafarer Visa সমস্যার সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। G2G, G2B এবং B2B আলোচনার মাধ্যমে Seafarer Visa সহজীকরণে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে OK to Board ভিসাসহ সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব, USA এবং শেঙ্গেন ভিসার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ৮. নতুন Maritime Academy অনুমোদনের আগে অভিজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে Infrastructure, কোর্স, শিক্ষক, চাকরির বাজার ও চাহিদা যাচাই করে অনুমোদন দিতে হবে। ৯. IMT এবং Shipbuilding & Inland Shipping সংক্রান্ত ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা Sea-going Vessel-এ চাকরির চেষ্টা করলে তা প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাদের জন্য আলাদা চাকরির ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে হবে। তাদেরকে সার্টিফাইড ওয়েল্ডিং এন্ড শিপ বিল্ডিং প্রফেশনাল হিসেবে উত্তম ভাবে trained up করে সিঙ্গাপুর, সাউথ কোরিয়া এবং জাপান সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চাকরির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়াও তাদেরকে জাহাজের দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম পড়িয়ে দক্ষ ETO হিসাবে Trained up করে জাহাজে চাকরির জন্য CDC প্রদান করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের STCW 2010 রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে ট্রেনিং নিশ্চিত করতে হবে। এরপরও যদি তারা ইন্টারন্যাশনাল শিপিং এ ডেক এবং ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসাবে চাকরির জন্য CDC পাওয়ার দাবি করে তবে তাদের কে ডিজি শিপিং এর মার্চেন্ডশিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এবং STCW 2010 ম্যানিলা আমেনমেন্ট অনুসারে Pre-sea training সম্পন্ন করে ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং থেকে তাদের ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে CDC এর জন্য আবেদন করতে হবে। শিপিং মিনিস্টারের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং ছাড়া অন্য কোন অথরিটির Seaman Book বা CDC ইস্যু করার এখতিয়ার নাই। পরিশেষে এটাই বলতে চাই, এখনই যদি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে আগামী কয়েক বছরে দেশের মেরিটাইম ক্যারিয়ার এক চরম হতাশার মধ্যে পড়বে। পরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তাই এখনই সময় দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
    0 Комментарии 0 Поделились 58 Просмотры
  • নিজেকে ভুলতে পারি, তোকে যাবেনা ভোলা
    এই হলো আরেক জিনিস। মেডিকেলে পড়তে এসেছেন যখন, ইহাকে ভুলিয়া থাকা যাইবে না। সে প্যাথলজি হোক, ফার্মাকোলজি হোক কিংবা মেডিসিনই হোক।
    রোগী ব্যথা নিয়ে এলেই তাকে যে মনমতো একটা পেইনকিলার ধরায়ে দেয়া যাবে না, সেটা বোঝার জন্যেও এই চার্টের গুরুত্ব সীমাহীন।
    Lets start
    এটাই কোয়াকের সাথে এমবিবিএসের পার্থক্য গড়ে দেবে!
    তো, শুরু করা যাক °°° Cyclooxygenase°°° এর সহজ পাঠ।
    পোস্টের শুরুতেই দেখে নেই Robbin's এর সেই বিখ্যাত চার্টটা...
    √ Cyclooxygenase (COX) কী?
    ইহা হল একটা এনজাইম যা arachidonic acid থেকে prostanoids ( prostaglandin, prostacyclin, thromboxane) তৈরি করে।
    সত্যিকার অর্থে COX সরাসরি prostanoids তৈরি করেনা। COX শুধু arachidonic acid(AA) থেকে prostaglandin H2 তৈরি করে। এখন এই PGH2 থেকে বিভিন্ন এনজাইম দিয়ে বিভিন্ন PG তৈরি হয়।
    যেমন, platelet এ thromboxane synthase থাকে, যা দিয়ে PGH2 থেকে TXA2 (thromboxane A2) তৈরি হয়।
    বা, microvascular endothelium এ PGI2 synthase থাকে, যা দিয়ে PGH2 থেকে PGI2(prostacyclin) তৈরি হয়।
    √ COX কয় ধরনের?
    COX-1 & COX-2
    COX-1 এমনিতেই দেহের অধিকাংশ কোষে থাকে। এরা হাউজ-কিপিং রোল প্লে করে। যেমন, GIT তে cryoprotective বা, কিডনিতে fluid, electrolyte balance মেইনটেইন করে বা, platelet এর aggregation বন্ধ রাখে।
    অপরদিকে, COX-2 এনজাইম ইনফ্ল্যামেশন বা ক্যান্সারের স্টিমুলেশন পেলেই তবে তৈরি হয়।(সামান্য পরিমাণে কিছু কোষে নরম্যালি থাকে। যেমন, কিডনি।)
    এই দুই প্রকার এনজাইমকেই inhibit করে non-selective cox inhibitors যেমন, Diclofenac, Ketorolac, Indomethacin, Ibuprofen...
    আর শুধু COX-2 কে inhibit করে cox-2 selective inhibitors বা coxib. যেমন, Celecoxib, Etoricoxib...
    √ COX-2 inhibitors(coxib) ব্যবহারের সুবিধা, অসুবিধা কী?
    উপরের আলোচনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, COX-2 এমন সব prostaglandins তৈরি করে যেগুলো সাধারণত inflammation এ কাজ করে। তাই COX-2 কে ইনহিবিট করলে anti-inflammatory action পাওয়া যায়, কিন্ত COX-1 এর হাউজ-কিপিং ফাংশন এর উপর কোন প্রভাব পড়েনা।
    তাই, সাধারণ NSAIDs এর মত gastric ulcer এর সম্ভাবনা coxib এর ক্ষেত্রে কম।
    ঠিক এই কারণেই একটা সমস্যাও হয়,,, COXIB ব্যবহারে cardiovascular/cerebrovascular disease যেমন thrombosis, hypertension, stroke হতে পারে।
    কারণ, COXIB, ইনহিবিট করে PGI2 synthesis কে। আর unaffected থাকে TXA2 synthesis.
    আর, ছবিতে দেখুন, PGI2 এর কাজ হল, vasodilation করা আর inhibit platet aggregation করা। তাহলে, এটাকে ইনহিবিট করলে vasoconstriction আর platelet aggregation হবে।
    আবার, TXA2 কে ইনহিবিট করেনা বলে, TXA2 তার কাজ vasoconstriction আর platelet aggregation করে
    নিজেকে ভুলতে পারি, তোকে যাবেনা ভোলা এই হলো আরেক জিনিস। মেডিকেলে পড়তে এসেছেন যখন, ইহাকে ভুলিয়া থাকা যাইবে না। সে প্যাথলজি হোক, ফার্মাকোলজি হোক কিংবা মেডিসিনই হোক। রোগী ব্যথা নিয়ে এলেই তাকে যে মনমতো একটা পেইনকিলার ধরায়ে দেয়া যাবে না, সেটা বোঝার জন্যেও এই চার্টের গুরুত্ব সীমাহীন। Lets start এটাই কোয়াকের সাথে এমবিবিএসের পার্থক্য গড়ে দেবে! তো, শুরু করা যাক °°° Cyclooxygenase°°° এর সহজ পাঠ। পোস্টের শুরুতেই দেখে নেই Robbin's এর সেই বিখ্যাত চার্টটা... √ Cyclooxygenase (COX) কী? ইহা হল একটা এনজাইম যা arachidonic acid থেকে prostanoids ( prostaglandin, prostacyclin, thromboxane) তৈরি করে। সত্যিকার অর্থে COX সরাসরি prostanoids তৈরি করেনা। COX শুধু arachidonic acid(AA) থেকে prostaglandin H2 তৈরি করে। এখন এই PGH2 থেকে বিভিন্ন এনজাইম দিয়ে বিভিন্ন PG তৈরি হয়। যেমন, platelet এ thromboxane synthase থাকে, যা দিয়ে PGH2 থেকে TXA2 (thromboxane A2) তৈরি হয়। বা, microvascular endothelium এ PGI2 synthase থাকে, যা দিয়ে PGH2 থেকে PGI2(prostacyclin) তৈরি হয়। √ COX কয় ধরনের? COX-1 & COX-2 COX-1 এমনিতেই দেহের অধিকাংশ কোষে থাকে। এরা হাউজ-কিপিং রোল প্লে করে। যেমন, GIT তে cryoprotective বা, কিডনিতে fluid, electrolyte balance মেইনটেইন করে বা, platelet এর aggregation বন্ধ রাখে। অপরদিকে, COX-2 এনজাইম ইনফ্ল্যামেশন বা ক্যান্সারের স্টিমুলেশন পেলেই তবে তৈরি হয়।(সামান্য পরিমাণে কিছু কোষে নরম্যালি থাকে। যেমন, কিডনি।) এই দুই প্রকার এনজাইমকেই inhibit করে non-selective cox inhibitors যেমন, Diclofenac, Ketorolac, Indomethacin, Ibuprofen... আর শুধু COX-2 কে inhibit করে cox-2 selective inhibitors বা coxib. যেমন, Celecoxib, Etoricoxib... √ COX-2 inhibitors(coxib) ব্যবহারের সুবিধা, অসুবিধা কী? উপরের আলোচনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, COX-2 এমন সব prostaglandins তৈরি করে যেগুলো সাধারণত inflammation এ কাজ করে। তাই COX-2 কে ইনহিবিট করলে anti-inflammatory action পাওয়া যায়, কিন্ত COX-1 এর হাউজ-কিপিং ফাংশন এর উপর কোন প্রভাব পড়েনা। তাই, সাধারণ NSAIDs এর মত gastric ulcer এর সম্ভাবনা coxib এর ক্ষেত্রে কম। ঠিক এই কারণেই একটা সমস্যাও হয়,,, COXIB ব্যবহারে cardiovascular/cerebrovascular disease যেমন thrombosis, hypertension, stroke হতে পারে। কারণ, COXIB, ইনহিবিট করে PGI2 synthesis কে। আর unaffected থাকে TXA2 synthesis. আর, ছবিতে দেখুন, PGI2 এর কাজ হল, vasodilation করা আর inhibit platet aggregation করা। তাহলে, এটাকে ইনহিবিট করলে vasoconstriction আর platelet aggregation হবে। আবার, TXA2 কে ইনহিবিট করেনা বলে, TXA2 তার কাজ vasoconstriction আর platelet aggregation করে
    0 Комментарии 0 Поделились 45 Просмотры
  • 𝙇𝙪𝙭𝙪𝙧𝙮 𝙏𝙧𝙖𝙥-এ ঢুইকো না জীবনে শান্তি চাইলে!

    তুমি এখনো স্টুডেন্ট, সবে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট বা ক্যারিয়ারে ঢুকছো এই মুহূর্তে যদি চিন্তা করো "তিন ক্যামেরার ফোন ছাড়া চলবেনা", ব্র্যান্ডেড হেডফোন, এক্সপেন্সিভ রেস্টুরেন্ট, চকচকে শার্ট-প্যান্ট আর ক্যাফেতে ভাইরাল চা খাওয়া ছাড়া লাইফে কিছুই নাই..

    তাহলে ভাই, খবর আছে।

    তুমি LUXURY TRAP–এ ঢুকতেছ!

    বাংলাদেশে ৭৫% তরুণ ফিনান্সিয়াল স্ট্রেসে পড়ে তাদের ‘life-start তখনো properly শুরু হওয়ার আগেই’।

    (সূত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক, SME Youth Survey 2023)

    মানে, ইনকাম ১০ হাজার, খরচ ১৫ হাজার।

    এইটা সেই ফাঁদ, যেটা বাহির থেকে দেখে মনে হয় Luxury, ভেতরে ঢুকে বুঝবা Necessity নাই!

    এইটা ছাড়া জীবন খুব ভালোভাবে সুন্দরভাবে চলে যাবে।

    তোমার আশপাশে অনেকেই এই ফাঁদে পড়েছে।

    দেখবা

    🛍 স্টুডেন্ট হয়েও EMI দিয়ে ১ লাখ টাকার মোবাইল ইউজার।

    ব্যাকআপ ইনকাম নাই, তবুও কিস্তিতে বাইক কিনসে।

    অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সার হবো ভেবে DSLR নিয়ে খবর নাই।

    প্রতি সপ্তাহে টুংটাং হোটেলের রংচং হাইফাই ব্রেকফাস্ট বেদরকারে।

    এইগুলা আসলে লোহার হাতকড়া! এটা পরার পর তুমি আর ইনভেস্ট করতে পারবা না নিজের স্কিলে, নতুন কোর্সে, নিজের গ্রোথে!

    তুমি ইনভেস্ট করবা না সে প্রতিষ্ঠানে যা তোমার ইনকাম বাড়াবে, বরং তুমি খরচ করবা সেই জায়গায় যেখানে তোমাকে বাহির থেকে দেখতে "স্মার্ট" লাগে, কিন্তু ভেতরটা ফাঁকা রাখে।

    এটাই হলো Real Luxury Trap।

    তুমি ভাবতেছো তুমি এই বিলাসিতার মালিক।

    আসলে এসব লাক্সারি গুলাই তোমার মালিক হয়ে যাচ্ছে।

    একটা ছোট উদাহরণ দেই.

    তুমি যদি এখন প্রোগ্রামিং বা ডিজাইন শিখতে ৫-১০ হাজার টাকার একটা কোর্সে সময় দাও, সেটা দিতে পারবে না, কারণ তোমার টাকা নাই। কিন্তু এই মাসেই তুমি রেস্টুরেন্টে একবেলা খেয়ে ২০০০ বিল উড়াইসো।

    তুমি যদি এখন একটু কষ্ট করো, সাময়িক simple life চালাও, দুই বছর পর সেটাই তোমাকে দিয়েছে Skill যদি শিখো। পাবা Stability + Savings।

    আর সেখান থেকেই উঠে আসবে তোমার Real Freedom আর Real Luxury

    আমি বলতেসি না, বিলাসিতা করোনা।

    কিন্তু আগে বিল্ড হও।

    পরে বিলাসিতা করতেও মজা লাগবে, সমস্যাও হবেনা তেমন।
    𝙇𝙪𝙭𝙪𝙧𝙮 𝙏𝙧𝙖𝙥-এ ঢুইকো না জীবনে শান্তি চাইলে! তুমি এখনো স্টুডেন্ট, সবে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট বা ক্যারিয়ারে ঢুকছো এই মুহূর্তে যদি চিন্তা করো "তিন ক্যামেরার ফোন ছাড়া চলবেনা", ব্র্যান্ডেড হেডফোন, এক্সপেন্সিভ রেস্টুরেন্ট, চকচকে শার্ট-প্যান্ট আর ক্যাফেতে ভাইরাল চা খাওয়া ছাড়া লাইফে কিছুই নাই.. তাহলে ভাই, খবর আছে। তুমি LUXURY TRAP–এ ঢুকতেছ! বাংলাদেশে ৭৫% তরুণ ফিনান্সিয়াল স্ট্রেসে পড়ে তাদের ‘life-start তখনো properly শুরু হওয়ার আগেই’। (সূত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাংক, SME Youth Survey 2023) মানে, ইনকাম ১০ হাজার, খরচ ১৫ হাজার। এইটা সেই ফাঁদ, যেটা বাহির থেকে দেখে মনে হয় Luxury, ভেতরে ঢুকে বুঝবা Necessity নাই! এইটা ছাড়া জীবন খুব ভালোভাবে সুন্দরভাবে চলে যাবে। তোমার আশপাশে অনেকেই এই ফাঁদে পড়েছে। দেখবা 🛍 স্টুডেন্ট হয়েও EMI দিয়ে ১ লাখ টাকার মোবাইল ইউজার। 🛵 ব্যাকআপ ইনকাম নাই, তবুও কিস্তিতে বাইক কিনসে। 🎮 অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সার হবো ভেবে DSLR নিয়ে খবর নাই। ☕ প্রতি সপ্তাহে টুংটাং হোটেলের রংচং হাইফাই ব্রেকফাস্ট বেদরকারে। এইগুলা আসলে লোহার হাতকড়া! এটা পরার পর তুমি আর ইনভেস্ট করতে পারবা না নিজের স্কিলে, নতুন কোর্সে, নিজের গ্রোথে! তুমি ইনভেস্ট করবা না সে প্রতিষ্ঠানে যা তোমার ইনকাম বাড়াবে, বরং তুমি খরচ করবা সেই জায়গায় যেখানে তোমাকে বাহির থেকে দেখতে "স্মার্ট" লাগে, কিন্তু ভেতরটা ফাঁকা রাখে। এটাই হলো Real Luxury Trap। তুমি ভাবতেছো তুমি এই বিলাসিতার মালিক। আসলে এসব লাক্সারি গুলাই তোমার মালিক হয়ে যাচ্ছে। একটা ছোট উদাহরণ দেই. তুমি যদি এখন প্রোগ্রামিং বা ডিজাইন শিখতে ৫-১০ হাজার টাকার একটা কোর্সে সময় দাও, সেটা দিতে পারবে না, কারণ তোমার টাকা নাই। কিন্তু এই মাসেই তুমি রেস্টুরেন্টে একবেলা খেয়ে ২০০০ বিল উড়াইসো। তুমি যদি এখন একটু কষ্ট করো, সাময়িক simple life চালাও, দুই বছর পর সেটাই তোমাকে দিয়েছে Skill যদি শিখো। পাবা Stability + Savings। আর সেখান থেকেই উঠে আসবে তোমার Real Freedom আর Real Luxury 💎 আমি বলতেসি না, বিলাসিতা করোনা। কিন্তু আগে বিল্ড হও। পরে বিলাসিতা করতেও মজা লাগবে, সমস্যাও হবেনা তেমন।
    0 Комментарии 0 Поделились 46 Просмотры
Расширенные страницы
BlackBird Ai
https://bbai.shop