• আপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন, সাপ তার নিজের চামড়া ফেলে দেয়? এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং এটি তার জীবনের একটি স্বাভাবিক ও দরকারি অংশ। সাপের চামড়া বদলানো বা যাকে বলে molting বা ecdysis, তা কেবল একটা শারীরিক প্রক্রিয়া নয়। এতে লুকিয়ে আছে এক গভীর বার্তা, যেটা শুধু প্রাণিবিজ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং ছড়িয়ে পড়ে সমাজ, সংস্কৃতি আর মানুষের মনোজগত পর্যন্ত।

    সাপের শরীর যখন বাড়তে থাকে, তখন তার পুরনো চামড়া আর সহ্য করতে পারে না সেই বিস্তৃতি। সেটা আঁটসাঁট হয়ে যায়, দাগ পড়ে, আর কখনও কখনও হয়তো ক্ষতও তৈরি হয়। এই পুরনো আবরণ তখন আর কাজে আসে না। সাপ তখন ধীরে ধীরে গা ঘেঁষে, গাছের গুঁড়িতে ঘষে বা মাটির খোঁচায় ফেলে দেয় সেই পুরনো চামড়া। তার নিচে থাকে একেবারে নতুন, উজ্জ্বল আর সতেজ একটি আবরণ।

    এখন আপনি ভাবতে পারেন, প্রাণীজগতের এই স্বাভাবিক বিষয় আমাদের সমাজের সঙ্গে কেমন করে মিলে যায়? এখানেই আসল কথাটা। প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি রাষ্ট্র বা জাতিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সেই বদলটা বাধা পায় পুরনো কাঠামো, পুরনো চিন্তা আর পুরনো অভ্যাসে। যেমন পুরনো চামড়া সাপের শরীরকে আটকে রাখে, তেমনই পুরনো পদ্ধতি কোনো একটি জাতিকে আটকে রাখে তার সম্ভাবনার পথে।

    একটা সময় আসে, যখন সেই জাতির সাধারণ মানুষ অনুভব করে যে তারা আর আগের মতো থাকতে পারছে না। চারপাশে অন্যায়, অবিচার, অন্যরকম চাপ যেন তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে তুলেছে। তখনই শুরু হয় মনোজাগতিক চাপ, যেটা ধীরে ধীরে গড়িয়ে পড়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়ায়। পুরনো শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতি কিংবা মিথ্যার চাদর আর ধরা থাকে না। মানুষ তখন সেই চামড়া ছাড়তে চায়। যেটা এখন আর মানানসই নয়, যেটা গলা টিপে ধরেছে, সেটা তারা সরিয়ে ফেলতে চায়।

    আপনি যদি ভেবে দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই পরিবর্তনও একধরনের molting। শুধু পার্থক্য হলো, এখানে রক্তমাংসের চামড়া নয়, বদলায় চিন্তা, বদলায় মূল্যবোধ, বদলায় নেতৃত্ব আর সমাজের চালচিত্র। এই বদল সহজে আসে না, কারণ পুরনো কিছু শক্তি সবসময়ই আঁকড়ে থাকতে চায় সেই পুরনো অবস্থান। কিন্তু ঠিক যেমন সাপ চাইলেই তার চামড়া ধরে রাখতে পারে না, তেমনি একসময় সমাজও আর আগের রূপে থাকতে পারে না। সময় তাকে বদলে দেয়।

    এখানে বিজ্ঞানের একটা দারুণ ব্যাখ্যা আছে। প্রাণীজগতে ecdysis হলো টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। কারণ পুরনো চামড়া ধরে রাখলে সাপ অসুস্থ হয়ে পড়ে, চলাফেরা করতে পারে না, এমনকি মা-রা যেতে পারে। সমাজেও একই নিয়ম চলে। পরিবর্তনের দরজা বন্ধ থাকলে সেখানে এক ধরনের পচন শুরু হয়। মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, মনের ভেতর জমতে থাকে ক্ষোভ আর হতাশা। এসব একসময় বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণ হয়তো একদিনে আসে না, কিন্তু আসে ঠিক তখনই, যখন আর ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না।

    আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন এমন উদাহরণ অসংখ্য। ছোট-বড় সব সমাজেই সময় এসে গেছে যখন মানুষ বলেছে, এভাবে আর চলবে না। তারা নতুন কিছু চেয়েছে, একটা সতেজ শ্বাস নিতে চেয়েছে। সেই চাওয়াটাই হয় সমাজের নতুন চামড়া। আর যারা পুরনোটা আঁকড়ে ধরে রাখে, তারা একসময় হারিয়ে যায়।

    তাই, সাপের এই চামড়া বদলের ঘটনা শুধু প্রকৃতির একটা বিস্ময় নয়, এটা আমাদের জন্য এক শিক্ষাও। আপনার সমাজ, আপনার দেশ, এমনকি আপনার নিজের জীবনও হয়তো এমন এক পর্যায়ে আছে যেখানে পুরনো কিছু ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। প্রশ্ন হলো, আপনি সেটা অনুভব করতে পারছেন কি না।

    Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    আপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন, সাপ তার নিজের চামড়া ফেলে দেয়? এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং এটি তার জীবনের একটি স্বাভাবিক ও দরকারি অংশ। সাপের চামড়া বদলানো বা যাকে বলে molting বা ecdysis, তা কেবল একটা শারীরিক প্রক্রিয়া নয়। এতে লুকিয়ে আছে এক গভীর বার্তা, যেটা শুধু প্রাণিবিজ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং ছড়িয়ে পড়ে সমাজ, সংস্কৃতি আর মানুষের মনোজগত পর্যন্ত। সাপের শরীর যখন বাড়তে থাকে, তখন তার পুরনো চামড়া আর সহ্য করতে পারে না সেই বিস্তৃতি। সেটা আঁটসাঁট হয়ে যায়, দাগ পড়ে, আর কখনও কখনও হয়তো ক্ষতও তৈরি হয়। এই পুরনো আবরণ তখন আর কাজে আসে না। সাপ তখন ধীরে ধীরে গা ঘেঁষে, গাছের গুঁড়িতে ঘষে বা মাটির খোঁচায় ফেলে দেয় সেই পুরনো চামড়া। তার নিচে থাকে একেবারে নতুন, উজ্জ্বল আর সতেজ একটি আবরণ। এখন আপনি ভাবতে পারেন, প্রাণীজগতের এই স্বাভাবিক বিষয় আমাদের সমাজের সঙ্গে কেমন করে মিলে যায়? এখানেই আসল কথাটা। প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি রাষ্ট্র বা জাতিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সেই বদলটা বাধা পায় পুরনো কাঠামো, পুরনো চিন্তা আর পুরনো অভ্যাসে। যেমন পুরনো চামড়া সাপের শরীরকে আটকে রাখে, তেমনই পুরনো পদ্ধতি কোনো একটি জাতিকে আটকে রাখে তার সম্ভাবনার পথে। একটা সময় আসে, যখন সেই জাতির সাধারণ মানুষ অনুভব করে যে তারা আর আগের মতো থাকতে পারছে না। চারপাশে অন্যায়, অবিচার, অন্যরকম চাপ যেন তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে তুলেছে। তখনই শুরু হয় মনোজাগতিক চাপ, যেটা ধীরে ধীরে গড়িয়ে পড়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়ায়। পুরনো শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতি কিংবা মিথ্যার চাদর আর ধরা থাকে না। মানুষ তখন সেই চামড়া ছাড়তে চায়। যেটা এখন আর মানানসই নয়, যেটা গলা টিপে ধরেছে, সেটা তারা সরিয়ে ফেলতে চায়। আপনি যদি ভেবে দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই পরিবর্তনও একধরনের molting। শুধু পার্থক্য হলো, এখানে রক্তমাংসের চামড়া নয়, বদলায় চিন্তা, বদলায় মূল্যবোধ, বদলায় নেতৃত্ব আর সমাজের চালচিত্র। এই বদল সহজে আসে না, কারণ পুরনো কিছু শক্তি সবসময়ই আঁকড়ে থাকতে চায় সেই পুরনো অবস্থান। কিন্তু ঠিক যেমন সাপ চাইলেই তার চামড়া ধরে রাখতে পারে না, তেমনি একসময় সমাজও আর আগের রূপে থাকতে পারে না। সময় তাকে বদলে দেয়। এখানে বিজ্ঞানের একটা দারুণ ব্যাখ্যা আছে। প্রাণীজগতে ecdysis হলো টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। কারণ পুরনো চামড়া ধরে রাখলে সাপ অসুস্থ হয়ে পড়ে, চলাফেরা করতে পারে না, এমনকি মা-রা যেতে পারে। সমাজেও একই নিয়ম চলে। পরিবর্তনের দরজা বন্ধ থাকলে সেখানে এক ধরনের পচন শুরু হয়। মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, মনের ভেতর জমতে থাকে ক্ষোভ আর হতাশা। এসব একসময় বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণ হয়তো একদিনে আসে না, কিন্তু আসে ঠিক তখনই, যখন আর ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না। আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন এমন উদাহরণ অসংখ্য। ছোট-বড় সব সমাজেই সময় এসে গেছে যখন মানুষ বলেছে, এভাবে আর চলবে না। তারা নতুন কিছু চেয়েছে, একটা সতেজ শ্বাস নিতে চেয়েছে। সেই চাওয়াটাই হয় সমাজের নতুন চামড়া। আর যারা পুরনোটা আঁকড়ে ধরে রাখে, তারা একসময় হারিয়ে যায়। তাই, সাপের এই চামড়া বদলের ঘটনা শুধু প্রকৃতির একটা বিস্ময় নয়, এটা আমাদের জন্য এক শিক্ষাও। আপনার সমাজ, আপনার দেশ, এমনকি আপনার নিজের জীবনও হয়তো এমন এক পর্যায়ে আছে যেখানে পুরনো কিছু ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। প্রশ্ন হলো, আপনি সেটা অনুভব করতে পারছেন কি না। Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    0 التعليقات 0 المشاركات 211 مشاهدة
  • আপনাদের কল্পনাতেও আসবে না, কিন্তু সত্যিই এমন এক ঘটনা ঘটেছিল যেখানে একজন সাধারণ ব্যক্তি মাত্র ১২ ডলার খরচ করে এক মিনিটের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওয়েবসাইট ডোমেইন, Google. com এর মালিক হয়ে গিয়েছিলেন! ঘটনাটি ঘটে ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। যিনি এটি করেছিলেন, তাঁর নাম সানমে বেদ। তিনি ছিলেন গুগলেরই একজন প্রাক্তন কর্মচারী।

    ঘটনার শুরুটা ছিল একেবারে সাধারণ। সানমে রাতের বেলা গুগলের ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস, Google Domains এ ঘাঁটাঘাঁটি করছিলেন। হঠাৎ তিনি খেয়াল করেন, Google. com নামের ডোমেইনটি available দেখাচ্ছে। আপনি ভাবতেই পারেন, এটা নিশ্চয়ই কোনো সফটওয়্যারের ত্রুটি বা দেখার ভুল। কিন্তু না, তিনি চেষ্টা করে দেখলেন এবং চমকপ্রদভাবে Google. com সত্যিই তাঁর কেনার জন্য উন্মুক্ত।

    তিনি দেরি না করে ১২ ডলার দিয়ে ডোমেইনটি কিনে ফেললেন। মুহূর্তেই তিনি Google. com এর মালিক হয়ে গেলেন। শুধু মালিকই না, তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেই ডোমেইনের অ্যাডমিন প্যানেলে প্রবেশ করতে পারলেন। গুগলের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ মেইল, অ্যালার্ট, এমনকি কিছু নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্য তাঁর সামনে ভেসে উঠতে লাগল।

    তবে ঘটনাটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রায় এক মিনিট পরেই গুগল বুঝতে পারে কী ঘটেছে। তারা দ্রুত ডোমেইনটির মালিকানা ফিরিয়ে নেয় এবং সানমের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গুগল তখনো জানত না, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা কোনো হ্যাকিং ছিল না, বরং এটি ছিল তাদের নিজেদের সিস্টেমের একটি ফাঁকফোকর। আর সানমে পুরো বিষয়টি একেবারেই স্বচ্ছভাবে গুগলকে জানিয়ে দেন।

    এই সততার জন্য গুগল তাঁকে পুরস্কৃত করে। গুগলের বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামের আওতায় তাঁকে প্রথমে ৬০০৬.১৩ ডলার দেওয়া হয়। এই সংখ্যাটিকে উল্টোভাবে পড়লে দাঁড়ায় Google। পরবর্তীতে যখন গুগল জানতে পারে যে সানমে পুরস্কারটা পুরোটা দান করে দিয়েছেন একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে, তখন গুগল সেই অর্থ দ্বিগুণ করে দেয়।

    এই ঘটনাটি শুধু মজারই নয়, গুরুত্বপূর্ণও বটে। এটি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যেও কখনো কখনো মানবিক ভুল হতে পারে। আর একজন সচেতন, দায়িত্ববান ব্যক্তি সেই ভুল থেকে কোম্পানিকে বাঁচাতে কতটা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।

    Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    আপনাদের কল্পনাতেও আসবে না, কিন্তু সত্যিই এমন এক ঘটনা ঘটেছিল যেখানে একজন সাধারণ ব্যক্তি মাত্র ১২ ডলার খরচ করে এক মিনিটের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওয়েবসাইট ডোমেইন, Google. com এর মালিক হয়ে গিয়েছিলেন! ঘটনাটি ঘটে ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। যিনি এটি করেছিলেন, তাঁর নাম সানমে বেদ। তিনি ছিলেন গুগলেরই একজন প্রাক্তন কর্মচারী। ঘটনার শুরুটা ছিল একেবারে সাধারণ। সানমে রাতের বেলা গুগলের ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস, Google Domains এ ঘাঁটাঘাঁটি করছিলেন। হঠাৎ তিনি খেয়াল করেন, Google. com নামের ডোমেইনটি available দেখাচ্ছে। আপনি ভাবতেই পারেন, এটা নিশ্চয়ই কোনো সফটওয়্যারের ত্রুটি বা দেখার ভুল। কিন্তু না, তিনি চেষ্টা করে দেখলেন এবং চমকপ্রদভাবে Google. com সত্যিই তাঁর কেনার জন্য উন্মুক্ত। তিনি দেরি না করে ১২ ডলার দিয়ে ডোমেইনটি কিনে ফেললেন। মুহূর্তেই তিনি Google. com এর মালিক হয়ে গেলেন। শুধু মালিকই না, তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেই ডোমেইনের অ্যাডমিন প্যানেলে প্রবেশ করতে পারলেন। গুগলের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ মেইল, অ্যালার্ট, এমনকি কিছু নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্য তাঁর সামনে ভেসে উঠতে লাগল। তবে ঘটনাটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রায় এক মিনিট পরেই গুগল বুঝতে পারে কী ঘটেছে। তারা দ্রুত ডোমেইনটির মালিকানা ফিরিয়ে নেয় এবং সানমের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গুগল তখনো জানত না, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা কোনো হ্যাকিং ছিল না, বরং এটি ছিল তাদের নিজেদের সিস্টেমের একটি ফাঁকফোকর। আর সানমে পুরো বিষয়টি একেবারেই স্বচ্ছভাবে গুগলকে জানিয়ে দেন। এই সততার জন্য গুগল তাঁকে পুরস্কৃত করে। গুগলের বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামের আওতায় তাঁকে প্রথমে ৬০০৬.১৩ ডলার দেওয়া হয়। এই সংখ্যাটিকে উল্টোভাবে পড়লে দাঁড়ায় Google। পরবর্তীতে যখন গুগল জানতে পারে যে সানমে পুরস্কারটা পুরোটা দান করে দিয়েছেন একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে, তখন গুগল সেই অর্থ দ্বিগুণ করে দেয়। এই ঘটনাটি শুধু মজারই নয়, গুরুত্বপূর্ণও বটে। এটি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যেও কখনো কখনো মানবিক ভুল হতে পারে। আর একজন সচেতন, দায়িত্ববান ব্যক্তি সেই ভুল থেকে কোম্পানিকে বাঁচাতে কতটা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    0 التعليقات 0 المشاركات 230 مشاهدة
  • বর্তমানে স্মার্টওয়াচ ও ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যান্ড আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই ব্যান্ডে ব্যবহৃত কিছু মেটেরিয়ালে রয়েছে PFAS অর্থাৎ Per- and Polyfluoroalkyl Substances ।

    এটি এক ধরনের বিষাক্ত চিরস্থায়ী রাসায়নিক, যা ত্বক থেকে শোষিত হয়ে শরীরে ক্যানসার, লিভার ও কিডনির রোগের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, এমনটাই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা।

    এই রাসায়নিক সাধারণত ব্যান্ড, কেসিং বা স্ক্রিন কোটিংয়ে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি পানি, তেল ও ঘাম প্রতিরোধ করে এবং পণ্যকে টেকসই ও মসৃণ রাখে। তবে PFAS খুবই স্থিতিশীল, সহজে ভাঙে না—বরং শরীরে ও পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় থাকে। ঘাম এর শোষণ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে।

    গবেষণায় Nike, Apple, Fitbit, Google সহ ২২টি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ব্যান্ড পরীক্ষা করে ১৫ টিতেই PFAS শনাক্ত হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই মাত্রা ছিল বিপজ্জনকভাবে বেশি। যদিও কোন ব্যান্ডগুলোতে পাওয়া যায় সেটা উল্লেখ করা হয়নি।

    তাছাড়া গবেষণায় PFHxA-এর মতো কিছু রাসায়নিকও পাওয়া গেছে, যা সাধারণত কীটনাশক বা কার্পেটে ব্যবহৃত হয় এবং সরাসরি লিভার ক্ষতির সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংস্থা (EPA) বলেছে, এসব রাসায়নিকের কোনো মাত্রাই শরীরের জন্য নিরাপদ নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটছে।

    তাই স্মার্টওয়াচ বা ব্যান্ড কেনার সময় সচেতন হোন। PFAS-মুক্ত কি না, দেখে নিন। নিরাপদ বিকল্প হিসেবে সিলিকন ব্যান্ড বেছে নেওয়াই উত্তম।

    Compiled by: বিজ্ঞান্বেষী
    Source: American Chemical Society (ACS)
    #Bigganneshi
    বর্তমানে স্মার্টওয়াচ ও ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যান্ড আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই ব্যান্ডে ব্যবহৃত কিছু মেটেরিয়ালে রয়েছে PFAS অর্থাৎ Per- and Polyfluoroalkyl Substances । এটি এক ধরনের বিষাক্ত চিরস্থায়ী রাসায়নিক, যা ত্বক থেকে শোষিত হয়ে শরীরে ক্যানসার, লিভার ও কিডনির রোগের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, এমনটাই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা। এই রাসায়নিক সাধারণত ব্যান্ড, কেসিং বা স্ক্রিন কোটিংয়ে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি পানি, তেল ও ঘাম প্রতিরোধ করে এবং পণ্যকে টেকসই ও মসৃণ রাখে। তবে PFAS খুবই স্থিতিশীল, সহজে ভাঙে না—বরং শরীরে ও পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় থাকে। ঘাম এর শোষণ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে। গবেষণায় Nike, Apple, Fitbit, Google সহ ২২টি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ব্যান্ড পরীক্ষা করে ১৫ টিতেই PFAS শনাক্ত হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই মাত্রা ছিল বিপজ্জনকভাবে বেশি। যদিও কোন ব্যান্ডগুলোতে পাওয়া যায় সেটা উল্লেখ করা হয়নি। তাছাড়া গবেষণায় PFHxA-এর মতো কিছু রাসায়নিকও পাওয়া গেছে, যা সাধারণত কীটনাশক বা কার্পেটে ব্যবহৃত হয় এবং সরাসরি লিভার ক্ষতির সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংস্থা (EPA) বলেছে, এসব রাসায়নিকের কোনো মাত্রাই শরীরের জন্য নিরাপদ নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটছে। তাই স্মার্টওয়াচ বা ব্যান্ড কেনার সময় সচেতন হোন। PFAS-মুক্ত কি না, দেখে নিন। নিরাপদ বিকল্প হিসেবে সিলিকন ব্যান্ড বেছে নেওয়াই উত্তম। Compiled by: বিজ্ঞান্বেষী Source: American Chemical Society (ACS) #Bigganneshi
    Love
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 251 مشاهدة
  • খেয়াল করেছেন কখনও? বেশিরভাগ প্যাকেটজাত খাবারের প্যাকেটে একটা ছোট্ট সাদা বক্সের ভেতর গোল বৃত্ত থাকে। বৃত্তটা হয়তো সবুজ, নয়তো বাদামি বা লালচে। এই ছোট চিহ্নটার একটা নির্দিষ্ট মানে আছে।
    সাদা বর্গের মধ্যে সবুজ বৃত্ত নির্দেশ করে খাবারটি সম্পূর্ণ উদ্ভিজ্জ উপাদানে তৈরি। এতে কোনো প্রাণিজ উপাদান নেই। তাই নিরামিষভোজীরা অনায়াসে খেতে পারেন। আর যদি বাদামি বা লালচে বৃত্ত থাকে, তবে বুঝতে হবে এতে প্রাণিজ উপাদান রয়েছে। অর্থাৎ এটা নিরামিষভোজী ব্যক্তিরা খেতে পারবেন না।

    এই বিশেষ চিহ্নের প্রচলন প্রথম শুরু হয় ভারতে ২০১১ সালে নিরামিষভোজী ভোক্তাদের জন্য। এখন বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন।

    #bigganneshi #বিজ্ঞান্বেষী #science

    #sciencebee_কি_বিজ্ঞানওমহাকাশখুঁজছেন
    খেয়াল করেছেন কখনও? বেশিরভাগ প্যাকেটজাত খাবারের প্যাকেটে একটা ছোট্ট সাদা বক্সের ভেতর গোল বৃত্ত থাকে। বৃত্তটা হয়তো সবুজ, নয়তো বাদামি বা লালচে। এই ছোট চিহ্নটার একটা নির্দিষ্ট মানে আছে। সাদা বর্গের মধ্যে সবুজ বৃত্ত নির্দেশ করে খাবারটি সম্পূর্ণ উদ্ভিজ্জ উপাদানে তৈরি। এতে কোনো প্রাণিজ উপাদান নেই। তাই নিরামিষভোজীরা অনায়াসে খেতে পারেন। আর যদি বাদামি বা লালচে বৃত্ত থাকে, তবে বুঝতে হবে এতে প্রাণিজ উপাদান রয়েছে। অর্থাৎ এটা নিরামিষভোজী ব্যক্তিরা খেতে পারবেন না। এই বিশেষ চিহ্নের প্রচলন প্রথম শুরু হয় ভারতে ২০১১ সালে নিরামিষভোজী ভোক্তাদের জন্য। এখন বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন। #bigganneshi #বিজ্ঞান্বেষী #science #sciencebee_কি_বিজ্ঞানওমহাকাশখুঁজছেন
    0 التعليقات 0 المشاركات 237 مشاهدة
  • অনেক চিকিৎসাবিদদের মতে আগুনে পু'ড়ে যাওয়া মৃ'ত্যু মানুষের জন্য সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার একটি। এর গভীরতা বোঝা যায় তখনই, যখন আগুনের তাপে ত্বকের একের পর এক স্তর, মাং'সপেশি এবং স্নায়ু কোষ ক্ষতি'গ্রস্থ হতে থাকে। সম্পূর্ণভাবে জ্ঞান হারা'নোর আগ পর্যন্ত এই যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকে। তবে একটা সময় পর আর এই ব্যথার অনুভূতি থাকে না কারণ স্নায়ুর সঞ্চালন ক্ষমতা আগুনে পো'ড়ার কারণে নষ্ট হয়।

    আগুনে পোড়ার ধরন সাধারণত চারটি স্তরে ভাগ করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রি বার্ন। প্রথম ডিগ্রি বা'র্ন এর ক্ষেত্রে কেবল ত্বকের উপরিভাগ অর্থাৎ এপিডার্মিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চামড়ায় একটুখানি লালচে ভাব এবং হালকা ব্যথা অনুভূত হয়। তবে এটা সাধারণত দ্রুত সেরে যায়। এই অভিজ্ঞতা মোটামুটি সবারই আছে। আর দ্বিতীয় ডিগ্রি বা'র্নে আগুন ত্বকের নিচের স্তর ডার্মিস অবধি পৌঁছায়। এসময় ফোসকা পড়ে, প্রচণ্ড জ্বা'লা হয়। কারণ এই স্তরে তখনো স্নায়ু সক্রিয় থাকে।

    ভয়াবহতা শুরু হয় তৃতীয় ডিগ্রি বা'র্ন থেকে। এই পর্যায়ে ত্বকের এপিডার্মিস ও ডার্মিস উভয় স্তরই পু'ড়ে যায়। অনেক সময় নিচের চর্বিও ক্ষতি'গ্রস্ত হয়। আক্রান্ত অংশ দেখতে কখনো সাদা, বাদামি বা কালো রঙের হয়। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এই ধাপে অনেক রোগী ব্যথা টের পাননা, কারণ সংবেদন রিসেপ্টরগুলোও পু'ড়ে গিয়ে নি'স্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ফলে শরীর ব্যথার সংকেত মস্তিষ্কে পাঠাতে পারে না।

    সবচেয়ে মারাত্মক হলো চতুর্থ ডিগ্রি বার্ন। তখন আগুন ত্ব'ক ছাড়িয়ে গিয়ে পেশি, টেন্ডন এমনকি হাড় পর্যন্ত পৌঁছায়। পোড়া অংশটা তখন অনেকটা কালচে, কাঠকয়লার মতো হয়ে যায়। এই অবস্থায় সেই জায়গায় কোনো অনুভূতি আর থাকে না। এমনকি র''ক্ত চলা'চলও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    পাশাপাশি আগুনে পো'ড়ার ফলে শরীর থেকে বিপুল পরিমাণে তরল বেরিয়ে যায়। ফলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, রক্তচাপ কমে যায় এবং কি'ডনি কাজ ব'ন্ধ করে দিতে পারে। এই অবস্থাকে বা'র্ন শক বলা হয় যা জীব'নহানির বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

    তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রির বা'র্নে মৃ'ত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। তবে সেটা নির্ভর করে পোড়ার স্থান, মাত্রা, রোগীর বয়স এবং কত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছে তার ওপর। অনেকেই বিশাল ক্ষয়'ক্ষতির মধ্যেও বেঁচে ফেরেন শুধুমাত্র দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য।

    ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় প্রহরী। কিন্তু আগুনে পু'ড়ে যাওয়ার পর এই প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর ভেঙে যায়। ফলে ইনফে'কশনের ঝুঁকি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া সহজেই শরীরে ঢুকে পড়ে এবং গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

    যারা বড় ধরনের বা'র্ন সারভাইভর, তাদের অনেকেই পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রে'সে ভোগেন। আয়নায় নিজেকে দেখা, সমাজের দৃষ্টি'ভঙ্গি সবকিছু মিলিয়ে মানসি'কভাবে ভেঙে পড়েন অনেকে। তাই বা'র্ন ট্রিটমেন্টে শুধু ওষুধ বা অ'স্ত্রোপ'চার নয়, মানসিক সহায়তাও জরুরি।(বিজ্ঞান্বেষী)

    #Bigganneshi #science #burn #Mlinestone
    অনেক চিকিৎসাবিদদের মতে আগুনে পু'ড়ে যাওয়া মৃ'ত্যু মানুষের জন্য সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার একটি। এর গভীরতা বোঝা যায় তখনই, যখন আগুনের তাপে ত্বকের একের পর এক স্তর, মাং'সপেশি এবং স্নায়ু কোষ ক্ষতি'গ্রস্থ হতে থাকে। সম্পূর্ণভাবে জ্ঞান হারা'নোর আগ পর্যন্ত এই যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকে। তবে একটা সময় পর আর এই ব্যথার অনুভূতি থাকে না কারণ স্নায়ুর সঞ্চালন ক্ষমতা আগুনে পো'ড়ার কারণে নষ্ট হয়। আগুনে পোড়ার ধরন সাধারণত চারটি স্তরে ভাগ করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রি বার্ন। প্রথম ডিগ্রি বা'র্ন এর ক্ষেত্রে কেবল ত্বকের উপরিভাগ অর্থাৎ এপিডার্মিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চামড়ায় একটুখানি লালচে ভাব এবং হালকা ব্যথা অনুভূত হয়। তবে এটা সাধারণত দ্রুত সেরে যায়। এই অভিজ্ঞতা মোটামুটি সবারই আছে। আর দ্বিতীয় ডিগ্রি বা'র্নে আগুন ত্বকের নিচের স্তর ডার্মিস অবধি পৌঁছায়। এসময় ফোসকা পড়ে, প্রচণ্ড জ্বা'লা হয়। কারণ এই স্তরে তখনো স্নায়ু সক্রিয় থাকে। ভয়াবহতা শুরু হয় তৃতীয় ডিগ্রি বা'র্ন থেকে। এই পর্যায়ে ত্বকের এপিডার্মিস ও ডার্মিস উভয় স্তরই পু'ড়ে যায়। অনেক সময় নিচের চর্বিও ক্ষতি'গ্রস্ত হয়। আক্রান্ত অংশ দেখতে কখনো সাদা, বাদামি বা কালো রঙের হয়। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এই ধাপে অনেক রোগী ব্যথা টের পাননা, কারণ সংবেদন রিসেপ্টরগুলোও পু'ড়ে গিয়ে নি'স্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ফলে শরীর ব্যথার সংকেত মস্তিষ্কে পাঠাতে পারে না। সবচেয়ে মারাত্মক হলো চতুর্থ ডিগ্রি বার্ন। তখন আগুন ত্ব'ক ছাড়িয়ে গিয়ে পেশি, টেন্ডন এমনকি হাড় পর্যন্ত পৌঁছায়। পোড়া অংশটা তখন অনেকটা কালচে, কাঠকয়লার মতো হয়ে যায়। এই অবস্থায় সেই জায়গায় কোনো অনুভূতি আর থাকে না। এমনকি র''ক্ত চলা'চলও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি আগুনে পো'ড়ার ফলে শরীর থেকে বিপুল পরিমাণে তরল বেরিয়ে যায়। ফলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, রক্তচাপ কমে যায় এবং কি'ডনি কাজ ব'ন্ধ করে দিতে পারে। এই অবস্থাকে বা'র্ন শক বলা হয় যা জীব'নহানির বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রির বা'র্নে মৃ'ত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। তবে সেটা নির্ভর করে পোড়ার স্থান, মাত্রা, রোগীর বয়স এবং কত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছে তার ওপর। অনেকেই বিশাল ক্ষয়'ক্ষতির মধ্যেও বেঁচে ফেরেন শুধুমাত্র দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য। ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় প্রহরী। কিন্তু আগুনে পু'ড়ে যাওয়ার পর এই প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর ভেঙে যায়। ফলে ইনফে'কশনের ঝুঁকি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া সহজেই শরীরে ঢুকে পড়ে এবং গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যারা বড় ধরনের বা'র্ন সারভাইভর, তাদের অনেকেই পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রে'সে ভোগেন। আয়নায় নিজেকে দেখা, সমাজের দৃষ্টি'ভঙ্গি সবকিছু মিলিয়ে মানসি'কভাবে ভেঙে পড়েন অনেকে। তাই বা'র্ন ট্রিটমেন্টে শুধু ওষুধ বা অ'স্ত্রোপ'চার নয়, মানসিক সহায়তাও জরুরি।(বিজ্ঞান্বেষী) #Bigganneshi #science #burn #Mlinestone
    Sad
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 303 مشاهدة
  • মৌমাছির হুল ফুটানো বিষ যে বেশ যন্ত্রণাদায়ক এটা সবারই জানা। কিন্তু সেই বিষেই লুকিয়ে থাকতে পারে ক্যা'ন'সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক সম্ভাবনাময় অস্ত্র।

    অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি পারকিনস ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল রিসার্চ এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছির বিষে থাকা মেলিটিন নামক একটি যৌগ মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ব্রেস্ট ক্যান'সা'রের কিছু আক্রমণাত্মক কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম। অবাক করার বিষয় হলো এই বিষ আশেপাশের সুস্থ কোষগুলোর উপর তেমন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।

    গবেষণায় বিশেষ করে ট্রিপল-নেগেটিভ এবং এইচইআর ২ পজিটিভ ধরনের ব্রেস্ট ক্যা'ন'সার কোষে মেলিটিনের শক্তিশালী কার্যকারিতা দেখা গেছে। এই দুই ধরনের ক্যা'ন'সার সাধারণত চিকিৎসা প্রতিরোধী এবং মৃ'ত্যু'ঝুঁকি বেশি।

    গবেষকদের মতে, মেলিটিন কোষের বাইরের ঝিল্লিতে ছিদ্র তৈরি করে, যার ফলে কোষের ভেতরের কার্যপ্রক্রিয়া দ্রুত ভেঙে পড়ে। শুধু তাই নয়, বিষ প্রয়োগের মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই এটি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সংকেত বন্ধ করে দিতে পারে।

    এই গবেষণাটি ২০২০ সালে npj Precision Oncology জার্নালে প্রকাশিত হয়। তবে ২৫ এ এসেও মেলিটিন নিয়ে গবেষণা থেমে নেই। কিছু গবেষণায় মেলিটিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে।

    তাই ভবিষ্যতের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই এমন প্রযুক্তি দরকার হবে যা সরাসরি টিউমারকে লক্ষ্য করে বিষ প্রয়োগ করতে পারবে। হয়তো একদিন প্রকৃতিরই এই উপাদান ম'র'ণব্যাধির চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। (বিজ্ঞান্বেষী)

    লেখা: তাসিনুল সাকিফ
    #বিজ্ঞান্বেষী #Bigganneshi #মৌমাছি #venom
    মৌমাছির হুল ফুটানো বিষ যে বেশ যন্ত্রণাদায়ক এটা সবারই জানা। কিন্তু সেই বিষেই লুকিয়ে থাকতে পারে ক্যা'ন'সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক সম্ভাবনাময় অস্ত্র। অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি পারকিনস ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল রিসার্চ এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছির বিষে থাকা মেলিটিন নামক একটি যৌগ মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ব্রেস্ট ক্যান'সা'রের কিছু আক্রমণাত্মক কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম। অবাক করার বিষয় হলো এই বিষ আশেপাশের সুস্থ কোষগুলোর উপর তেমন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। গবেষণায় বিশেষ করে ট্রিপল-নেগেটিভ এবং এইচইআর ২ পজিটিভ ধরনের ব্রেস্ট ক্যা'ন'সার কোষে মেলিটিনের শক্তিশালী কার্যকারিতা দেখা গেছে। এই দুই ধরনের ক্যা'ন'সার সাধারণত চিকিৎসা প্রতিরোধী এবং মৃ'ত্যু'ঝুঁকি বেশি। গবেষকদের মতে, মেলিটিন কোষের বাইরের ঝিল্লিতে ছিদ্র তৈরি করে, যার ফলে কোষের ভেতরের কার্যপ্রক্রিয়া দ্রুত ভেঙে পড়ে। শুধু তাই নয়, বিষ প্রয়োগের মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই এটি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সংকেত বন্ধ করে দিতে পারে। এই গবেষণাটি ২০২০ সালে npj Precision Oncology জার্নালে প্রকাশিত হয়। তবে ২৫ এ এসেও মেলিটিন নিয়ে গবেষণা থেমে নেই। কিছু গবেষণায় মেলিটিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে। তাই ভবিষ্যতের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই এমন প্রযুক্তি দরকার হবে যা সরাসরি টিউমারকে লক্ষ্য করে বিষ প্রয়োগ করতে পারবে। হয়তো একদিন প্রকৃতিরই এই উপাদান ম'র'ণব্যাধির চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। (বিজ্ঞান্বেষী) লেখা: তাসিনুল সাকিফ #বিজ্ঞান্বেষী #Bigganneshi #মৌমাছি #venom
    Love
    2
    0 التعليقات 0 المشاركات 406 مشاهدة
  • চশমা এখন আমাদের অনেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী! কিন্তু কয়জনই বা জানি এর প্রকৃত ব্যবহার? চশমা কি আদৌ আমার চোখকে 'সুস্থ' করে তোলে? নাকি এটা শুধুই মিথ! চলুন জেনে নেই চশমার আদ্যোপান্ত!

    চশমা হলো একটি অপটিক্যাল যন্ত্র, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি সংশোধন, চোখ রক্ষা, বা নিতান্তই ফ্যাশন হিসেবে পরিধান করা হয়। বিভিন্ন প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন চশমা প্রচলিত।

    ◑ চশমার ধরণ :
    ১. পাওয়ার চশমা:
    মাইনাস পাওয়ার: মায়োপিয়া বা কাছের জিনিস দেখা যায়, দূরেরটা ঝাপসা।
    প্লাস পাওয়ার: হাইপারমেট্রোপিয়া বা দূরের দেখা যায়, কাছেরটা ঝাপসা।
    সিলিন্ডার পাওয়ার: চোখের কর্নিয়ার বক্রতার সমস্যায় (Astigmatism)।
    বাইফোকাল চশমা: একই লেন্সে দূর ও কাছে দেখার সুবিধা।
    প্রগ্রেসিভ লেন্স: বাইফোকালের উন্নত সংস্করণ, কোনো বিভাজন লাইন ছাড়া সব দূরত্বে স্পষ্ট।
    ২. সানগ্লাস (Sunglass): UV প্রটেকশন, পোলারাইজড, ফটোক্রোমিক (সানলাইটে কালো হয়)।
    ৩. কম্পিউটার গ্লাস (Blue Cut): স্ক্রিনের ব্লু লাইট থেকে চোখ রক্ষা করে।
    ৪. সেফটি গ্লাস: ধুলাবালি, কেমিক্যাল, নির্মাণসাইটে চোখ রক্ষায়।

    ◑ চশমা কি চোখকে সুস্থ করে তোলে?
    না, চশমা সাধারণত দৃষ্টিশক্তি ঠিক করে না, বরং:
    চোখের পাওয়ার অনুযায়ী দেখার সক্ষমতা বাড়ায়।আর চোখের পাওয়ার স্থির রাখতে সাহায্য করে বিশেষত ছোটবেলায় নিয়মিত পড়লে, যদি প্রোগ্রেসিভ মায়োপিয়ার জন্য বিশেষায়িত হয়ে থাকে, অন্য ক্ষেত্রে শুধু স্থিতিশীল রাখে। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে পাওয়ার বৃদ্ধি কিছুটা রোধ করতে পারে। যদি পার্মানেন্ট সমাধান প্রয়োজন হয়, তাহলে চশমার বিকল্প আরো উন্নত কিছু ব্যবস্থা আছে, যেমন - লেজার সার্জারি (LASIK), থেরাপি, কিছু বিশেষ চোখের এক্সারসাইজ ইত্যাদি।

    ◑ চশমার ব্যবহারবিধি :
    একজন চোখ বিষেষজ্ঞ (অপথালমোলজিস্ট) ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চশমা ব্যবহার করা আবশ্যক। নাহলে উল্টো চোখের ক্ষতি হতে পারে।আর চোখের স্ক্রিনিং করা উচিত বছরে ১বার। চশমা খোলার পর কেসে রাখা উচিত। ঘাম, ধুলা, তেল থেকে লেন্স দূরে রাখতে হবে।

    ◑ চশমা পরিষ্কার করার উপায় :
    লেন্স ক্লিনার স্প্রে + মাইক্রোফাইবার কাপড় সবচেয়ে নিরাপদ। সাধারণ পানি ব্যবহার করা যায়। তেল বা হার্ড সাবান ক্ষতিকর, লেন্সের কোটিং নষ্ট হতে পারে।

    ◑ চশমার কোটিং :
    Anti-Reflective (AR): প্রতিফলন কমায়।
    Blue Cut Coating: ব্লু লাইট প্রতিরোধ।
    UV Protection Coating: সূর্য ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা।
    Anti-Scratch Coating: লেন্সে আঁচড় পড়া রোধ।
    Water Repellent Coating: পানির দাগ পড়ে না।

    ◑ চশমা সংরক্ষণের উপায় :
    সবসময় হার্ড কেসে রাখতে হবে, যতক্ষণ চোখ থেকে খোলা থাকে। পকেটে বা খোলা ব্যাগে না রাখা। এতে অসতর্কতাবশত ভেঙে যেতে পারে।
    গরম পানিতে ধোয়া যাবে না। লেন্স নিচের দিকে বসিয়ে রাখা যাবে না। ফ্রেমের বল্টুতে মাঝে মাঝে সিলিকন তেল/মেশিন অয়েল দিলে স্ক্রু ঢিলা হয় না।

    ◑ চশমার ফ্রেম :
    মেটাল ফ্রেম: স্টাইলিশ, টেকসই কিন্তু ভারী।
    প্লাস্টিক ফ্রেম: হালকা, সস্তা, কিন্তু সহজে ভেঙে যায়।
    TR90/ Ultem ফ্রেম: হালকা, নমনীয়, টেকসই।
    Titanium ফ্রেম: প্রিমিয়াম, হালকা ও অ্যান্টি-অ্যালার্জিক।

    ◑ ফ্রেম বাছাই :
    গোল চেহারা → স্কয়ার/রেকটেঙ্গুলার ফ্রেম।
    লম্বা মুখ → গোলাকার ফ্রেম।
    চওড়া মুখ → স্লিম ফ্রেম।
    ছোট মুখ → পাতলা হালকা ফ্রেম।

    অনেকের নাকে দাগ পড়ে যায় দীর্ঘ সময় চশমা ব্যবহার করার জন্য। সেক্ষেত্রে সিলিকন নোসপ্যাড ব্যবহার করতে পারেন। আর পাতলা, হালকা ফ্রেম বাছুন। ফ্রি সময়ে চশমা মাঝেমধ্যে খোলেন। Customizable Nose Pad বানিয়ে নিতে পারেন যদি লং টাইম চশমা ব্যবহার করেন।

    চশমা স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রতীক। নিয়মিত ব্যবহার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সংরক্ষণ এবং সময়মতো চেকআপ করলে চোখের ক্ষতি কমানো যায়। তবে চশমা ব্যবহারেও আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। কখন কোন চশমা, লেন্স, কোটিং, পাওয়ার ব্যবহার করতে হবে তা অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে বাছাই করতে হবে, নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে!

    #kbkh

    | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    চশমা এখন আমাদের অনেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী! কিন্তু কয়জনই বা জানি এর প্রকৃত ব্যবহার? চশমা কি আদৌ আমার চোখকে 'সুস্থ' করে তোলে? নাকি এটা শুধুই মিথ! চলুন জেনে নেই চশমার আদ্যোপান্ত! চশমা হলো একটি অপটিক্যাল যন্ত্র, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি সংশোধন, চোখ রক্ষা, বা নিতান্তই ফ্যাশন হিসেবে পরিধান করা হয়। বিভিন্ন প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন চশমা প্রচলিত। ◑ চশমার ধরণ : ১. পাওয়ার চশমা: মাইনাস পাওয়ার: মায়োপিয়া বা কাছের জিনিস দেখা যায়, দূরেরটা ঝাপসা। প্লাস পাওয়ার: হাইপারমেট্রোপিয়া বা দূরের দেখা যায়, কাছেরটা ঝাপসা। সিলিন্ডার পাওয়ার: চোখের কর্নিয়ার বক্রতার সমস্যায় (Astigmatism)। বাইফোকাল চশমা: একই লেন্সে দূর ও কাছে দেখার সুবিধা। প্রগ্রেসিভ লেন্স: বাইফোকালের উন্নত সংস্করণ, কোনো বিভাজন লাইন ছাড়া সব দূরত্বে স্পষ্ট। ২. সানগ্লাস (Sunglass): UV প্রটেকশন, পোলারাইজড, ফটোক্রোমিক (সানলাইটে কালো হয়)। ৩. কম্পিউটার গ্লাস (Blue Cut): স্ক্রিনের ব্লু লাইট থেকে চোখ রক্ষা করে। ৪. সেফটি গ্লাস: ধুলাবালি, কেমিক্যাল, নির্মাণসাইটে চোখ রক্ষায়। ◑ চশমা কি চোখকে সুস্থ করে তোলে? না, চশমা সাধারণত দৃষ্টিশক্তি ঠিক করে না, বরং: চোখের পাওয়ার অনুযায়ী দেখার সক্ষমতা বাড়ায়।আর চোখের পাওয়ার স্থির রাখতে সাহায্য করে বিশেষত ছোটবেলায় নিয়মিত পড়লে, যদি প্রোগ্রেসিভ মায়োপিয়ার জন্য বিশেষায়িত হয়ে থাকে, অন্য ক্ষেত্রে শুধু স্থিতিশীল রাখে। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে পাওয়ার বৃদ্ধি কিছুটা রোধ করতে পারে। যদি পার্মানেন্ট সমাধান প্রয়োজন হয়, তাহলে চশমার বিকল্প আরো উন্নত কিছু ব্যবস্থা আছে, যেমন - লেজার সার্জারি (LASIK), থেরাপি, কিছু বিশেষ চোখের এক্সারসাইজ ইত্যাদি। ◑ চশমার ব্যবহারবিধি : একজন চোখ বিষেষজ্ঞ (অপথালমোলজিস্ট) ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চশমা ব্যবহার করা আবশ্যক। নাহলে উল্টো চোখের ক্ষতি হতে পারে।আর চোখের স্ক্রিনিং করা উচিত বছরে ১বার। চশমা খোলার পর কেসে রাখা উচিত। ঘাম, ধুলা, তেল থেকে লেন্স দূরে রাখতে হবে। ◑ চশমা পরিষ্কার করার উপায় : লেন্স ক্লিনার স্প্রে + মাইক্রোফাইবার কাপড় সবচেয়ে নিরাপদ। সাধারণ পানি ব্যবহার করা যায়। তেল বা হার্ড সাবান ক্ষতিকর, লেন্সের কোটিং নষ্ট হতে পারে। ◑ চশমার কোটিং : Anti-Reflective (AR): প্রতিফলন কমায়। Blue Cut Coating: ব্লু লাইট প্রতিরোধ। UV Protection Coating: সূর্য ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা। Anti-Scratch Coating: লেন্সে আঁচড় পড়া রোধ। Water Repellent Coating: পানির দাগ পড়ে না। ◑ চশমা সংরক্ষণের উপায় : সবসময় হার্ড কেসে রাখতে হবে, যতক্ষণ চোখ থেকে খোলা থাকে। পকেটে বা খোলা ব্যাগে না রাখা। এতে অসতর্কতাবশত ভেঙে যেতে পারে। গরম পানিতে ধোয়া যাবে না। লেন্স নিচের দিকে বসিয়ে রাখা যাবে না। ফ্রেমের বল্টুতে মাঝে মাঝে সিলিকন তেল/মেশিন অয়েল দিলে স্ক্রু ঢিলা হয় না। ◑ চশমার ফ্রেম : মেটাল ফ্রেম: স্টাইলিশ, টেকসই কিন্তু ভারী। প্লাস্টিক ফ্রেম: হালকা, সস্তা, কিন্তু সহজে ভেঙে যায়। TR90/ Ultem ফ্রেম: হালকা, নমনীয়, টেকসই। Titanium ফ্রেম: প্রিমিয়াম, হালকা ও অ্যান্টি-অ্যালার্জিক। ◑ ফ্রেম বাছাই : গোল চেহারা → স্কয়ার/রেকটেঙ্গুলার ফ্রেম। লম্বা মুখ → গোলাকার ফ্রেম। চওড়া মুখ → স্লিম ফ্রেম। ছোট মুখ → পাতলা হালকা ফ্রেম। অনেকের নাকে দাগ পড়ে যায় দীর্ঘ সময় চশমা ব্যবহার করার জন্য। সেক্ষেত্রে সিলিকন নোসপ্যাড ব্যবহার করতে পারেন। আর পাতলা, হালকা ফ্রেম বাছুন। ফ্রি সময়ে চশমা মাঝেমধ্যে খোলেন। Customizable Nose Pad বানিয়ে নিতে পারেন যদি লং টাইম চশমা ব্যবহার করেন। চশমা স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রতীক। নিয়মিত ব্যবহার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সংরক্ষণ এবং সময়মতো চেকআপ করলে চোখের ক্ষতি কমানো যায়। তবে চশমা ব্যবহারেও আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। কখন কোন চশমা, লেন্স, কোটিং, পাওয়ার ব্যবহার করতে হবে তা অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে বাছাই করতে হবে, নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে! #kbkh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    Love
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 431 مشاهدة
  • প্রকৃতিতে কিছু মাছ আছে যারা পরিবেশগত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে। বিজ্ঞানীরা একে বলেন 'সিকোয়েনশিয়াল হারমাফ্রোডিটিজম'। মূলত কোনো প্রজাতির মধ্যে নির্দিষ্ট লিঙ্গের সংখ্যা কমে গেলে বা গোষ্ঠীর সামাজিক কাঠামো বদলে গেলে এই পরিবর্তন ঘটে।

    সমুদ্রের অনেক মাছ, যেমন ক্লাউনফিশ, প্যারটফিশ এবং র‍্যাস এই আচরণে বিশেষভাবে পরিচিত। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায় ‌Finding Nemo অ্যানিমেটেড সিনেমার ক্লাউনফিশ। বাস্তবে এই মাছগুলো প্রথমে পুরুষ হিসেবে জন্মায়। যদি দলে প্রধান স্ত্রী ক্লাউনফিশ মা'রা যায়, তাহলে সবচেয়ে শক্তিশালী পুরুষটি স্ত্রীতে রূপান্তরিত হয়। এই পরিবর্তনের পেছনে ব্যাখ্যা হলো তাদের দেহে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে যা তাদের গোন্যাডস বা লিঙ্গ গ্রন্থিকে নতুনভাবে গঠন করে।

    প্যারটফিশ ও র‍্যাস প্রজাতির মধ্যেও এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। বড় দলে যদি আলফা ফিমেল বা আলফা মেইল অনুপস্থিত হয়, তাহলে অন্য সদস্যরা সামাজিক হায়ারার্কি বজায় রাখতে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এতে প্রজাতির প্রজনন ব্যাহত হয় না এবং নতুন সঙ্গীর খোঁজে সময় নষ্ট হয় না। ফলে টিকে থাকা সহজ হয়।

    গবেষকরা বলছেন, এই সেক্স-চেইঞ্জিং বিহেভিয়ার জলজ ইকোসিস্টেমে বায়োডাইভার্সিটি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, কোরাল রিফ ধ্বংস, ও ওভারফিশিং-এর কারণে অনেক প্রজাতির সেক্স রেশিও বিঘ্নিত হচ্ছে, যা তাদের জনসংখ্যাগত স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

    আর্থ ডট কম এবং ডিসকভার ওয়াইল্ডলাইফের মতে, এই সেক্স-সুইচিং প্রক্রিয়া জলজ প্রাণীদের মধ্যে সামাজিক কাঠামো, হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং অভিযোজনের এক জটিল উদাহরণ, যা প্রকৃতির বিস্ময়কর জটিলতাকে তুলে ধরে। তাই এ ধরনের মাছ সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি, যাতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য অটুট থাকে। (বিজ্ঞান্বেষী)

    লেখা: মেহেদী হাসান অভি
    #science #Bigganneshi #clownfish #FindingNemo
    প্রকৃতিতে কিছু মাছ আছে যারা পরিবেশগত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে। বিজ্ঞানীরা একে বলেন 'সিকোয়েনশিয়াল হারমাফ্রোডিটিজম'। মূলত কোনো প্রজাতির মধ্যে নির্দিষ্ট লিঙ্গের সংখ্যা কমে গেলে বা গোষ্ঠীর সামাজিক কাঠামো বদলে গেলে এই পরিবর্তন ঘটে। সমুদ্রের অনেক মাছ, যেমন ক্লাউনফিশ, প্যারটফিশ এবং র‍্যাস এই আচরণে বিশেষভাবে পরিচিত। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায় ‌Finding Nemo অ্যানিমেটেড সিনেমার ক্লাউনফিশ। বাস্তবে এই মাছগুলো প্রথমে পুরুষ হিসেবে জন্মায়। যদি দলে প্রধান স্ত্রী ক্লাউনফিশ মা'রা যায়, তাহলে সবচেয়ে শক্তিশালী পুরুষটি স্ত্রীতে রূপান্তরিত হয়। এই পরিবর্তনের পেছনে ব্যাখ্যা হলো তাদের দেহে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে যা তাদের গোন্যাডস বা লিঙ্গ গ্রন্থিকে নতুনভাবে গঠন করে। প্যারটফিশ ও র‍্যাস প্রজাতির মধ্যেও এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। বড় দলে যদি আলফা ফিমেল বা আলফা মেইল অনুপস্থিত হয়, তাহলে অন্য সদস্যরা সামাজিক হায়ারার্কি বজায় রাখতে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এতে প্রজাতির প্রজনন ব্যাহত হয় না এবং নতুন সঙ্গীর খোঁজে সময় নষ্ট হয় না। ফলে টিকে থাকা সহজ হয়। গবেষকরা বলছেন, এই সেক্স-চেইঞ্জিং বিহেভিয়ার জলজ ইকোসিস্টেমে বায়োডাইভার্সিটি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, কোরাল রিফ ধ্বংস, ও ওভারফিশিং-এর কারণে অনেক প্রজাতির সেক্স রেশিও বিঘ্নিত হচ্ছে, যা তাদের জনসংখ্যাগত স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। আর্থ ডট কম এবং ডিসকভার ওয়াইল্ডলাইফের মতে, এই সেক্স-সুইচিং প্রক্রিয়া জলজ প্রাণীদের মধ্যে সামাজিক কাঠামো, হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং অভিযোজনের এক জটিল উদাহরণ, যা প্রকৃতির বিস্ময়কর জটিলতাকে তুলে ধরে। তাই এ ধরনের মাছ সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি, যাতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য অটুট থাকে। (বিজ্ঞান্বেষী) লেখা: মেহেদী হাসান অভি #science #Bigganneshi #clownfish #FindingNemo
    0 التعليقات 0 المشاركات 333 مشاهدة
  • আমাদের সমাজে শ্রবণহীনতা একটি সাধারণ সমস্যা। প্রতি হাজারে প্রায় তিনজন নবজাতক জন্মায় এক বা উভয় কানে শ্রবণ সমস্যার সঙ্গে। অনেকের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি কার্যকর সমাধান হলেও, এটি ডিভাইসের মাধ্যমে কাজ করে। তাই প্রাকৃতিকভাবে শোনার সূক্ষ্মতা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে পারে না।

    তবে সম্প্রতি এক যুগান্তকারী জিন থেরাপি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র একবারের জিন থেরাপি ইনজেকশনই জন্মগত বধিরতার বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে OTOF জিনে মিউটেশন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন থেরাপি আশার আলো দেখাচ্ছে।

    OTOF জিন ওটোফেরলিন নামের একটি প্রোটিন তৈরি করে, যা কানের ভেতর থেকে মস্তিষ্কে শব্দের সংকেত পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এই জিনে সমস্যা থাকলে শব্দ সংকেত পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটে এবং জন্ম থেকেই শিশুরা গভীর শ্রবণহীনতায় ভোগে।

    এজন্য গবেষকরা একটি সংশোধিত ভাইরাস ব্যবহার করেছেন, যা শ্রবণ কোষের উপর সংযুক্ত হয়ে কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করে নতুন OTOF জিনের নির্দেশনা পৌঁছে দেয়। এর ফলে কোষগুলো আবার ওটোফেরলিন প্রোটিন উৎপাদন শুরু করে এবং রোগীর শ্রবণশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে ফিরে আসে।

    পরীক্ষাটি চালানো হয় ১ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১০ জন রোগীর ওপর। অধিকাংশ রোগী মাত্র এক মাসের মধ্যে শ্রবণশক্তির উন্নতি অনুভব করেন। শিশুদের ক্ষেত্রে ফলাফল ছিল সবচেয়ে ভালো। সাত বছরের এক মেয়ে মাত্র চার মাসের মধ্যে তার মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলতে শুরু করে। গবেষণায় গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, শুধুমাত্র কিছু ক্ষেত্রে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা সামান্য হ্রাস লক্ষ করা গেছে।

    এই সফলতা জিনগত বধিরতার চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। ভবিষ্যতে আরও সাধারণ জিন যেমন GJB2 ও TMC1 এর ওপর কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও সেগুলো একটু বেশি জটিল, প্রাণী মডেলগুলোতে ইতিমধ্যেই আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে।

    যদি ভবিষ্যতে এই থেরাপি ব্যাপকভাবে সফল হয়, তবে এটি শুধুমাত্র শ্রবণহীনতা নিরাময়ে নয়, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে। (বিজ্ঞান্বেষী)

    লেখা: নূসাইবা হাসান
    সূত্র: দ্য কনভারসেশন
    #Bigganneshi #GeneTherapy #HearingLoss #OTOFgene
    আমাদের সমাজে শ্রবণহীনতা একটি সাধারণ সমস্যা। প্রতি হাজারে প্রায় তিনজন নবজাতক জন্মায় এক বা উভয় কানে শ্রবণ সমস্যার সঙ্গে। অনেকের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি কার্যকর সমাধান হলেও, এটি ডিভাইসের মাধ্যমে কাজ করে। তাই প্রাকৃতিকভাবে শোনার সূক্ষ্মতা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে পারে না। তবে সম্প্রতি এক যুগান্তকারী জিন থেরাপি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র একবারের জিন থেরাপি ইনজেকশনই জন্মগত বধিরতার বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে OTOF জিনে মিউটেশন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন থেরাপি আশার আলো দেখাচ্ছে। OTOF জিন ওটোফেরলিন নামের একটি প্রোটিন তৈরি করে, যা কানের ভেতর থেকে মস্তিষ্কে শব্দের সংকেত পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এই জিনে সমস্যা থাকলে শব্দ সংকেত পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটে এবং জন্ম থেকেই শিশুরা গভীর শ্রবণহীনতায় ভোগে। এজন্য গবেষকরা একটি সংশোধিত ভাইরাস ব্যবহার করেছেন, যা শ্রবণ কোষের উপর সংযুক্ত হয়ে কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করে নতুন OTOF জিনের নির্দেশনা পৌঁছে দেয়। এর ফলে কোষগুলো আবার ওটোফেরলিন প্রোটিন উৎপাদন শুরু করে এবং রোগীর শ্রবণশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে ফিরে আসে। পরীক্ষাটি চালানো হয় ১ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১০ জন রোগীর ওপর। অধিকাংশ রোগী মাত্র এক মাসের মধ্যে শ্রবণশক্তির উন্নতি অনুভব করেন। শিশুদের ক্ষেত্রে ফলাফল ছিল সবচেয়ে ভালো। সাত বছরের এক মেয়ে মাত্র চার মাসের মধ্যে তার মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলতে শুরু করে। গবেষণায় গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, শুধুমাত্র কিছু ক্ষেত্রে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা সামান্য হ্রাস লক্ষ করা গেছে। এই সফলতা জিনগত বধিরতার চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। ভবিষ্যতে আরও সাধারণ জিন যেমন GJB2 ও TMC1 এর ওপর কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও সেগুলো একটু বেশি জটিল, প্রাণী মডেলগুলোতে ইতিমধ্যেই আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। যদি ভবিষ্যতে এই থেরাপি ব্যাপকভাবে সফল হয়, তবে এটি শুধুমাত্র শ্রবণহীনতা নিরাময়ে নয়, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে। (বিজ্ঞান্বেষী) লেখা: নূসাইবা হাসান সূত্র: দ্য কনভারসেশন #Bigganneshi #GeneTherapy #HearingLoss #OTOFgene
    0 التعليقات 0 المشاركات 347 مشاهدة
  • একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

    এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে।

    গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়।

    গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা।

    তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়।

    এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা।

    একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী)

    তথ্যসূত্র: সায়েন্স এলার্ট, সায়েন্টিফিক রিপোর্টস
    #Bigganneshi #neuroscience #brain #zombie
    একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে। গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা। তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়। এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা। একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী) তথ্যসূত্র: সায়েন্স এলার্ট, সায়েন্টিফিক রিপোর্টস #Bigganneshi #neuroscience #brain #zombie
    0 التعليقات 0 المشاركات 402 مشاهدة
  • পরিচিত হোন বিজ্ঞান্বেষীর অফিসিয়াল গ্রুপ কি....বিজ্ঞান খুঁজছেন!? (KBKh) এর নিবেদিত উত্তরদাতা টিমের সাথে যারা এই গ্রুপের বিজ্ঞান আলোচনাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।

    যখনই কেউ গ্রুপে বিজ্ঞানবিষয়ক কোনো প্রশ্ন করেন, এই টিমটাই সবার আগে প্রস্তুত থাকে সঠিক ও প্রাসঙ্গিক উত্তর নিয়ে। প্রতিটি প্রশ্নের পেছনের ব্যাখ্যা, যুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তি তারা আগেভাগেই খুঁজে বের করে—একাডেমিক নলেজ, অভিজ্ঞতা ও অনলাইন রিসার্চ এর সমন্বয়ে।

    তাদের দায়িত্ববোধ, নিয়মিত উত্তর তৈরির ধারা এবং বিজ্ঞানচর্চাকে সক্রিয় রাখার প্রচেষ্টা আমাদের কমিউনিটির জন্য সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমরা গর্বিত এই টিমকে আমাদের মাঝে পেয়ে। ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে শুধুমাত্র বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করে যাওয়ার জন্য আপনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
    #BigganneshiCore
    পরিচিত হোন বিজ্ঞান্বেষীর অফিসিয়াল গ্রুপ কি....বিজ্ঞান খুঁজছেন!? (KBKh) এর নিবেদিত উত্তরদাতা টিমের সাথে যারা এই গ্রুপের বিজ্ঞান আলোচনাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। যখনই কেউ গ্রুপে বিজ্ঞানবিষয়ক কোনো প্রশ্ন করেন, এই টিমটাই সবার আগে প্রস্তুত থাকে সঠিক ও প্রাসঙ্গিক উত্তর নিয়ে। প্রতিটি প্রশ্নের পেছনের ব্যাখ্যা, যুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তি তারা আগেভাগেই খুঁজে বের করে—একাডেমিক নলেজ, অভিজ্ঞতা ও অনলাইন রিসার্চ এর সমন্বয়ে। তাদের দায়িত্ববোধ, নিয়মিত উত্তর তৈরির ধারা এবং বিজ্ঞানচর্চাকে সক্রিয় রাখার প্রচেষ্টা আমাদের কমিউনিটির জন্য সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমরা গর্বিত এই টিমকে আমাদের মাঝে পেয়ে। ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে শুধুমাত্র বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করে যাওয়ার জন্য আপনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। #BigganneshiCore
    0 التعليقات 0 المشاركات 418 مشاهدة
  • দুঃস্বপ্ন শুধু রাতের ঘুম কেড়ে নেয় না বরং নিয়ে আসতে পারে আপনার জীবনের জন্য নীরব হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বড় গবেষণার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যাঁরা সপ্তাহে একাধিকবার দুঃস্বপ্নে ভোগেন তাঁদের অকাল মৃত্যুর (৭৫ বছরের আগেই) সম্ভাবনা তিন গুণ পর্যন্ত বেশি। এমনকি বয়স, ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য বা ধূমপানের মতো ঝুঁকির বিষয় হিসেবে নিয়েও। গবেষণাটি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ৪,০০০ জনেরও বেশি মানুষের উপর চালানো হয়।

    গবেষকরা ডিএনএতে থাকা বিশেষ রাসায়নিক চিহ্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন, দুঃস্বপ্নে ভোগা মানুষেরা প্রকৃত বয়সের তুলনায় জৈবিকভাবে বেশি বয়স্ক। ঘুমের সময়ের তীব্র মানসিক চাপ ও অনিদ্রা কোষের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে, শরীরের মেরামত প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

    REM (Rapid Eye Movement) চক্রে ঘুমের সময় যখন দুঃস্বপ্ন দেখা হয় তখন শরীরে অ্যাড্রেনালিন ও কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটা নিয়মিত হলে শরীর দিনভর একটা চাপের মধ্যে থাকে যা প্রদাহ ও রক্তচাপ বাড়ায় এবং কোষের ক্ষয় ত্বরান্বিত করে।

    এখানেই শেষ নয়। নিয়মিত দুঃস্বপ্ন ভবিষ্যতে পারকিনসন কিংবা ডিমেনশিয়ার মতো জটিল স্নায়বিক রোগের সম্ভাবনাও বাড়ায়। কারণ স্বপ্নের জন্য মস্তিষ্কের যে অংশগুলো দায়ী সেগুলোই এ ধরনের রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    তবে আশার কথা এই যে দুঃস্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসার মাধ্যমে ঘুমের মান উন্নত করার পাশাপাশি দীর্ঘায়ু অর্জনও সম্ভব। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি বা CBT এবং ইমেজরি রিহার্সাল থেরাপি নামের এক ধরনের পদ্ধতিতে দুঃস্বপ্নের দৃশ্য কল্পনা করে তার পরিণতি পাল্টে ফেলার চর্চা করা হয়। এটা ভয়কে হার মানানোর একটি সহজ উপায়!

    এছাড়াও গবেষণাটি এখনো পিয়ার রিভিউড নয় এবং অংশগ্রহণকারীদের ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য কিছুটা কম ছিল। তাই ফলাফল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তবুও দীর্ঘমেয়াদি তথ্য, সরকারি মৃত্যুর নথি আর বিভিন্ন দল থেকে সংগৃহীত উপাত্ত ব্যবহার করায় এই গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী)
    #nightmare #science #Bigganneshi
    দুঃস্বপ্ন শুধু রাতের ঘুম কেড়ে নেয় না বরং নিয়ে আসতে পারে আপনার জীবনের জন্য নীরব হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বড় গবেষণার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যাঁরা সপ্তাহে একাধিকবার দুঃস্বপ্নে ভোগেন তাঁদের অকাল মৃত্যুর (৭৫ বছরের আগেই) সম্ভাবনা তিন গুণ পর্যন্ত বেশি। এমনকি বয়স, ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য বা ধূমপানের মতো ঝুঁকির বিষয় হিসেবে নিয়েও। গবেষণাটি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ৪,০০০ জনেরও বেশি মানুষের উপর চালানো হয়। গবেষকরা ডিএনএতে থাকা বিশেষ রাসায়নিক চিহ্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন, দুঃস্বপ্নে ভোগা মানুষেরা প্রকৃত বয়সের তুলনায় জৈবিকভাবে বেশি বয়স্ক। ঘুমের সময়ের তীব্র মানসিক চাপ ও অনিদ্রা কোষের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে, শরীরের মেরামত প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। REM (Rapid Eye Movement) চক্রে ঘুমের সময় যখন দুঃস্বপ্ন দেখা হয় তখন শরীরে অ্যাড্রেনালিন ও কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটা নিয়মিত হলে শরীর দিনভর একটা চাপের মধ্যে থাকে যা প্রদাহ ও রক্তচাপ বাড়ায় এবং কোষের ক্ষয় ত্বরান্বিত করে। এখানেই শেষ নয়। নিয়মিত দুঃস্বপ্ন ভবিষ্যতে পারকিনসন কিংবা ডিমেনশিয়ার মতো জটিল স্নায়বিক রোগের সম্ভাবনাও বাড়ায়। কারণ স্বপ্নের জন্য মস্তিষ্কের যে অংশগুলো দায়ী সেগুলোই এ ধরনের রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আশার কথা এই যে দুঃস্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসার মাধ্যমে ঘুমের মান উন্নত করার পাশাপাশি দীর্ঘায়ু অর্জনও সম্ভব। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি বা CBT এবং ইমেজরি রিহার্সাল থেরাপি নামের এক ধরনের পদ্ধতিতে দুঃস্বপ্নের দৃশ্য কল্পনা করে তার পরিণতি পাল্টে ফেলার চর্চা করা হয়। এটা ভয়কে হার মানানোর একটি সহজ উপায়! এছাড়াও গবেষণাটি এখনো পিয়ার রিভিউড নয় এবং অংশগ্রহণকারীদের ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য কিছুটা কম ছিল। তাই ফলাফল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তবুও দীর্ঘমেয়াদি তথ্য, সরকারি মৃত্যুর নথি আর বিভিন্ন দল থেকে সংগৃহীত উপাত্ত ব্যবহার করায় এই গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী) #nightmare #science #Bigganneshi
    0 التعليقات 0 المشاركات 320 مشاهدة
الصفحات المعززة
BlackBird Ai
https://bbai.shop