• সম্প্রতি গবেষকরা এমন এক কোয়ান্টাম ম্যাটেরিয়াল দ্বারা গঠিত সুইচ তৈরি করেছে যেটা শুধু আলো ও তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে আপনার ডিভাইসকে হাজার হাজার গুন বেশি দ্রুত করে তুলতে পারে। হয়তো ভবিষ্যতে এই কোয়ান্টাম সুইচ হতে চলেছে সেন্ট্রাল প্রসেস যেখানে সিলিকনের আর প্রয়োজন পড়বেনা।

    নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্টো দে লা তোরে থার্মাল কোয়েঞ্চিং নামক একটি কৌশল এর মাধ্যমে একটি কোয়ান্টাম ম্যাটারিয়াল সুইচ তৈরি করতে পদার্থকে নিয়ন্ত্রিতভাবে উত্তপ্ত ও শীতল করে এমনভাবে প্রস্তুত করেছে যাতে সেটি একই মুহূর্তে সুপরিবাহী ও নিরোধক অবস্থার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।

    প্রযুক্তির বিপ্লবে সিলিকনের গতি ও শক্তি দিন দিন সীমিত সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে বিধায় বিজ্ঞানীরা এমন এক বিকল্পের সন্ধানে ছিলেন যেটি হবে আকারে খুবই ছোট আরো শক্তিশালী এবং অবিশ্বাস্যরকম দ্রুত। এই কোয়ান্টাম সুইচই হল তার এক অনন্য উদাহরণ।

    গবেষকরা IT-TaS2 নামক এমন এক পদার্থ কাজে লাগিয়েছেন যেটি মুহূর্তের মধ্যে দারুণভাবে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে এবং তৎক্ষনাৎ তা একেবারে বন্ধ ও করে দিতে পারে ঠিক যেমনভাবে একটি সুইচ কাজ করে।

    এখানে আগে এমনটা সম্ভব হতো শুধুমাত্র কিছু সেকেন্ডের জন্য খুব ঠান্ডা ও কাজেনিক তাপমাত্রায় সে গানের তারা এটি সম্ভব করে দেখিয়েছেন শুধুমাত্র আলো ব্যবহার করে তাও আবার কক্ষ তাপমাত্রায়।শুধু তাই নয় এটির স্থায়িত্ব ও এখন মাসের পর মাস ধরে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

    যেখানে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বিদ্যুৎ চালানোর জন্য কন্ডাক্টর ও আটকানোর জন্য ইনসুলেটর নামক দুটি উপাদান জরুরী সেখানে এই নতুন প্রযুক্তিতে কেবল আলোর দ্বারা কোয়ান্টাম সুইচ একাই দুটি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যার ফলে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যন্ত্রটির আকার ও আরো ক্ষুদ্র হয়ে যায়।

    কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা সবাই এমন মূহুর্তে পড়েছি যখন আমরা ভাবি ইস! যদি এটা আরও একটু তাড়াতাড়ি লোড হতো! ঠিক এই সমস্যাটির সমাধান হিসেবেই নতুন পথ হলো এই আগাম সম্ভাবনাটি। পদার্থবিদ গ্রেগরি ফিয়েটের মতে আলোর চেয়ে দ্রুত কিছু নেই। আর সেই আলো দিয়েই পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করছে তারা তাও আবার পদার্থবিদ্যার সর্বোচ্চ গতি দিয়ে।

    বর্তমানে প্রচলিত প্রসেসর গুলি কাজ করে গিগাহার্জ গতিতে কিন্তু এই প্রযুক্তি তা নিয়ে যেতে পারে টেরাহার্জ পর্যায়ে অর্থাৎ আগের তুলনায় হাজার গুণ বেশি গতি। এই আবিষ্কার কেবল ইলেকট্রনিক্সের গতি বাড়াবে না বরং আমাদের সামনে খুলে দিচ্ছে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার যা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে পুরো শিল্পখাতের গতি নিয়মই পাল্টে দিতে পারে!

    সাদিয়া সুলতানা হিমু
    লেখক, বিজ্ঞান্বেষী

    #বিজ্ঞান্বেষী #KBKh #quantumphysics #silicone
    সম্প্রতি গবেষকরা এমন এক কোয়ান্টাম ম্যাটেরিয়াল দ্বারা গঠিত সুইচ তৈরি করেছে যেটা শুধু আলো ও তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে আপনার ডিভাইসকে হাজার হাজার গুন বেশি দ্রুত করে তুলতে পারে। হয়তো ভবিষ্যতে এই কোয়ান্টাম সুইচ হতে চলেছে সেন্ট্রাল প্রসেস যেখানে সিলিকনের আর প্রয়োজন পড়বেনা। নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্টো দে লা তোরে থার্মাল কোয়েঞ্চিং নামক একটি কৌশল এর মাধ্যমে একটি কোয়ান্টাম ম্যাটারিয়াল সুইচ তৈরি করতে পদার্থকে নিয়ন্ত্রিতভাবে উত্তপ্ত ও শীতল করে এমনভাবে প্রস্তুত করেছে যাতে সেটি একই মুহূর্তে সুপরিবাহী ও নিরোধক অবস্থার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। প্রযুক্তির বিপ্লবে সিলিকনের গতি ও শক্তি দিন দিন সীমিত সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে বিধায় বিজ্ঞানীরা এমন এক বিকল্পের সন্ধানে ছিলেন যেটি হবে আকারে খুবই ছোট আরো শক্তিশালী এবং অবিশ্বাস্যরকম দ্রুত। এই কোয়ান্টাম সুইচই হল তার এক অনন্য উদাহরণ। গবেষকরা IT-TaS2 নামক এমন এক পদার্থ কাজে লাগিয়েছেন যেটি মুহূর্তের মধ্যে দারুণভাবে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে এবং তৎক্ষনাৎ তা একেবারে বন্ধ ও করে দিতে পারে ঠিক যেমনভাবে একটি সুইচ কাজ করে। এখানে আগে এমনটা সম্ভব হতো শুধুমাত্র কিছু সেকেন্ডের জন্য খুব ঠান্ডা ও কাজেনিক তাপমাত্রায় সে গানের তারা এটি সম্ভব করে দেখিয়েছেন শুধুমাত্র আলো ব্যবহার করে তাও আবার কক্ষ তাপমাত্রায়।শুধু তাই নয় এটির স্থায়িত্ব ও এখন মাসের পর মাস ধরে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। যেখানে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বিদ্যুৎ চালানোর জন্য কন্ডাক্টর ও আটকানোর জন্য ইনসুলেটর নামক দুটি উপাদান জরুরী সেখানে এই নতুন প্রযুক্তিতে কেবল আলোর দ্বারা কোয়ান্টাম সুইচ একাই দুটি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যার ফলে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যন্ত্রটির আকার ও আরো ক্ষুদ্র হয়ে যায়। কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা সবাই এমন মূহুর্তে পড়েছি যখন আমরা ভাবি ইস! যদি এটা আরও একটু তাড়াতাড়ি লোড হতো! ঠিক এই সমস্যাটির সমাধান হিসেবেই নতুন পথ হলো এই আগাম সম্ভাবনাটি। পদার্থবিদ গ্রেগরি ফিয়েটের মতে আলোর চেয়ে দ্রুত কিছু নেই। আর সেই আলো দিয়েই পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করছে তারা তাও আবার পদার্থবিদ্যার সর্বোচ্চ গতি দিয়ে। বর্তমানে প্রচলিত প্রসেসর গুলি কাজ করে গিগাহার্জ গতিতে কিন্তু এই প্রযুক্তি তা নিয়ে যেতে পারে টেরাহার্জ পর্যায়ে অর্থাৎ আগের তুলনায় হাজার গুণ বেশি গতি। এই আবিষ্কার কেবল ইলেকট্রনিক্সের গতি বাড়াবে না বরং আমাদের সামনে খুলে দিচ্ছে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার যা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে পুরো শিল্পখাতের গতি নিয়মই পাল্টে দিতে পারে! সাদিয়া সুলতানা হিমু লেখক, বিজ্ঞান্বেষী #বিজ্ঞান্বেষী #KBKh #quantumphysics #silicone
    0 Kommentare 0 Geteilt 923 Ansichten
  • আমরা ঘুমকে প্রায়ই অবহেলা করি। ভাবি, একটু কম ঘুম হলে তেমন কিছু হবে না।
    কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। ঘুম শুধু বিশ্রামের সময় নয়, এটি আমাদের মস্তিষ্কের পরিচ্ছন্নতা ও পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। যখন আমরা ঘুমাই, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে পরিষ্কার করে, ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করে এবং স্মৃতিকে সংগঠিত করে। কিন্তু ঘুমের অভাবে এই প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়, এমনকি ভয়ঙ্করভাবে উল্টেও যেতে পারে। গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কোষগুলো এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করতে শুরু করে, নিজের কাঠামো ধ্বংস করে ফেলে।

    - ভালো ঘুমে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে ফেলে।

    - ঘুম কম হলে, এই কোষগুলো অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে নিজেদেরই ক্ষতি করে।

    - অ্যাস্ট্রোসাইট কোষ "স্নায়ু সংযোগ" খেয়ে ফেলতে পারে—মনে রাখার ক্ষমতা কমে।

    - মাইক্রোগ্লিয়াল কোষের অতিরিক্ত কাজ অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি বাড়ায়।

    - পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে নিজের কাঠামো নষ্ট করতে শুরু করে।
    আমরা ঘুমকে প্রায়ই অবহেলা করি। ভাবি, একটু কম ঘুম হলে তেমন কিছু হবে না। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। ঘুম শুধু বিশ্রামের সময় নয়, এটি আমাদের মস্তিষ্কের পরিচ্ছন্নতা ও পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। যখন আমরা ঘুমাই, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে পরিষ্কার করে, ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করে এবং স্মৃতিকে সংগঠিত করে। কিন্তু ঘুমের অভাবে এই প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়, এমনকি ভয়ঙ্করভাবে উল্টেও যেতে পারে। গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কোষগুলো এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করতে শুরু করে, নিজের কাঠামো ধ্বংস করে ফেলে। - ভালো ঘুমে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে ফেলে। - ঘুম কম হলে, এই কোষগুলো অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে নিজেদেরই ক্ষতি করে। - অ্যাস্ট্রোসাইট কোষ "স্নায়ু সংযোগ" খেয়ে ফেলতে পারে—মনে রাখার ক্ষমতা কমে। - মাইক্রোগ্লিয়াল কোষের অতিরিক্ত কাজ অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি বাড়ায়। - পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে নিজের কাঠামো নষ্ট করতে শুরু করে।
    0 Kommentare 0 Geteilt 824 Ansichten
  • আধুনিক মনোবিজ্ঞান বলছে, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার মস্তিষ্কে ডোপামিন (dopamine) নামের রাসায়নিকের অতিরিক্ত নিঃসরণ ঘটায়। এটি অল্প সময়ের আনন্দ দেয়, কিন্তু ধীরে ধীরে মনোযোগ নষ্ট করে এবং পড়াশোনায় মন বসানো কঠিন হয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে ৫–৬ ঘণ্টার বেশি ফোন ব্যবহার করে, তাদের স্মৃতিশক্তি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতা কমে যায়।
    মোবাইলের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো (blue light) ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, ফলে রাতে ঘুম হয় দেরিতে—আর দিনে ক্লান্তি এসে ভর করে। এই ক্লান্তি একাডেমিক পারফরম্যান্সের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
    আধুনিক মনোবিজ্ঞান বলছে, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার মস্তিষ্কে ডোপামিন (dopamine) নামের রাসায়নিকের অতিরিক্ত নিঃসরণ ঘটায়। এটি অল্প সময়ের আনন্দ দেয়, কিন্তু ধীরে ধীরে মনোযোগ নষ্ট করে এবং পড়াশোনায় মন বসানো কঠিন হয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে ৫–৬ ঘণ্টার বেশি ফোন ব্যবহার করে, তাদের স্মৃতিশক্তি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতা কমে যায়। মোবাইলের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো (blue light) ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, ফলে রাতে ঘুম হয় দেরিতে—আর দিনে ক্লান্তি এসে ভর করে। এই ক্লান্তি একাডেমিক পারফরম্যান্সের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
    0 Kommentare 0 Geteilt 233 Ansichten
  • জার্মানিতে একটি অসাধারণ রূপান্তর ঘটছে, যেখানে পুরনো কয়লা খনিগুলো — যা এক সময় ভারী শিল্প ও দূষণের প্রতীক ছিল — সেগুলোকে বিশাল আকারের ভূগর্ভস্থ পার্কে রূপান্তর করা হচ্ছে। এই বিশাল পরিত্যক্ত সুড়ঙ্গ ও কক্ষগুলো, যেখানে এক সময় খননকাজের শব্দ প্রতিধ্বনিত হতো, এখন বিনোদন, সংস্কৃতি এবং প্রকৃতি পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

    প্রকৌশলী ও স্থপতিরা এই ভূগর্ভস্থ নেটওয়ার্কগুলোকে নতুনভাবে নকশা করছেন, যেখানে হাঁটার রাস্তা, সাইকেল চালানোর পথ, শিল্প গ্যালারি এবং উন্নত এলইডি আলোয় সজ্জিত উদ্ভিদ উদ্যান পর্যন্ত থাকবে। স্থিতিশীল ভূগর্ভস্থ জলবায়ু বছরের সব ঋতুতেই যেকোনো আবহাওয়ায় কার্যক্রমের জন্য উপযোগী করে তোলে। কিছু প্রকল্পে খনি খাদ থেকে ভূতাপীয় তাপ ব্যবস্থাও যুক্ত করা হয়েছে, যা এই স্থানগুলোকে শক্তি-সাশ্রয়ী ও টেকসই করে তুলছে।

    এই রূপান্তর শুধু অঞ্চলটির শিল্প ঐতিহ্য সংরক্ষণ করছে না, বরং খনি-পরবর্তী জনপদগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করছে। পূর্বের খনি শহরগুলো এখন পর্যটকদের আকর্ষণ করছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করছে। এই পার্কগুলো অনন্য সাংস্কৃতিক ভেন্যু হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে, যেখানে এক সময় কয়লা উত্তোলন হতো, এখন সেখানেই কনসার্ট, প্রদর্শনী এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে।

    এই অন্ধকার, ফাঁকা স্থানগুলোকে জীবনের প্রাণবন্ত কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তর করে জার্মানি প্রমাণ করছে যে পরিবেশ পুনর্জাগরণ এবং সাংস্কৃতিক উদ্ভাবন একসাথে সম্ভব — শিল্প বিপ্লবের ক্ষতচিহ্নে নতুন প্রাণ সঞ্চার করছে।
    জার্মানিতে একটি অসাধারণ রূপান্তর ঘটছে, যেখানে পুরনো কয়লা খনিগুলো — যা এক সময় ভারী শিল্প ও দূষণের প্রতীক ছিল — সেগুলোকে বিশাল আকারের ভূগর্ভস্থ পার্কে রূপান্তর করা হচ্ছে। এই বিশাল পরিত্যক্ত সুড়ঙ্গ ও কক্ষগুলো, যেখানে এক সময় খননকাজের শব্দ প্রতিধ্বনিত হতো, এখন বিনোদন, সংস্কৃতি এবং প্রকৃতি পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রকৌশলী ও স্থপতিরা এই ভূগর্ভস্থ নেটওয়ার্কগুলোকে নতুনভাবে নকশা করছেন, যেখানে হাঁটার রাস্তা, সাইকেল চালানোর পথ, শিল্প গ্যালারি এবং উন্নত এলইডি আলোয় সজ্জিত উদ্ভিদ উদ্যান পর্যন্ত থাকবে। স্থিতিশীল ভূগর্ভস্থ জলবায়ু বছরের সব ঋতুতেই যেকোনো আবহাওয়ায় কার্যক্রমের জন্য উপযোগী করে তোলে। কিছু প্রকল্পে খনি খাদ থেকে ভূতাপীয় তাপ ব্যবস্থাও যুক্ত করা হয়েছে, যা এই স্থানগুলোকে শক্তি-সাশ্রয়ী ও টেকসই করে তুলছে। এই রূপান্তর শুধু অঞ্চলটির শিল্প ঐতিহ্য সংরক্ষণ করছে না, বরং খনি-পরবর্তী জনপদগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করছে। পূর্বের খনি শহরগুলো এখন পর্যটকদের আকর্ষণ করছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করছে। এই পার্কগুলো অনন্য সাংস্কৃতিক ভেন্যু হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে, যেখানে এক সময় কয়লা উত্তোলন হতো, এখন সেখানেই কনসার্ট, প্রদর্শনী এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। এই অন্ধকার, ফাঁকা স্থানগুলোকে জীবনের প্রাণবন্ত কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তর করে জার্মানি প্রমাণ করছে যে পরিবেশ পুনর্জাগরণ এবং সাংস্কৃতিক উদ্ভাবন একসাথে সম্ভব — শিল্প বিপ্লবের ক্ষতচিহ্নে নতুন প্রাণ সঞ্চার করছে।
    0 Kommentare 0 Geteilt 92 Ansichten
  • "আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
    কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
    মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন
    “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!!"

    কবিতা টি নিশ্চই সবার চেনা.....কবির নাম বলতে পারবেন ?
    ......চলুন আমিই বলে দিচ্ছি!

    ---
    ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে, বাংলার সমাজে যখন নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি এক ক্রমবর্ধমান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, তখনই উদিত হয়েছিলেন এক বিশিষ্ট কবি, সমাজসেবিকা ও একজন আদর্শ মাতার প্রতিচ্ছবি—কুসুমকুমারী দাস (১৮৭৫–১৯৪৮)। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের জননী, কিন্তু তাঁর নিজের জীবন, সাহিত্যচর্চা ও সমাজসেবামূলক কাজও তাঁকে স্বতন্ত্র মহিমায় অধিষ্ঠিত করে।

    কুসুমকুমারীর জন্ম হয় ১৮৭৫ সালে। তিনি কলকাতার বিথুন স্কুলে শিক্ষালাভ করেন, যা ছিল সে সময়ে নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান। তাঁর সাহিত্যচর্চার বীজ রোপিত হয় পিতার হাতে। তাঁর পিতা চন্দ্রনাথ দাস হালকা রচনার কবি ছিলেন এবং তাঁর কাছ থেকেই কুসুমকুমারী লেখালেখির প্রতি আকৃষ্ট হন।
    ১৮৯৪ সালে, ১৯ বছর বয়সে, কুসুমকুমারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সত্যানন্দ দাস-এর সঙ্গে। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান জন্মগ্রহণ করেন—প্রখ্যাত কবি জীবনানন্দ দাস, অশোকানন্দ দাস, ও কন্যা সুচরিতা দাস। জীবনানন্দের আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গঠনে কুসুমকুমারীর প্রভাব গভীর ও স্থায়ী ছিল।
    --
    কুসুমকুমারী দাস নিয়মিত কবিতা লিখতেন। তাঁর রচনাগুলি প্রকাশিত হত সে সময়কার উল্লেখযোগ্য পত্র-পত্রিকায়—‘মুকুল’, ‘ব্রাহ্মবাদী’ ও ‘প্রবাসী’-তে। তিনি নিয়মিত ব্যক্তিগত ডায়েরি লিখতেন, যদিও দুর্ভাগ্যবশত সেসবের বেশিরভাগই তাঁর নিজের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত বা হারিয়ে যায়।

    তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা “আদর্শ ছেলে”, যা বাংলার শিশুসাহিত্যে এক অমর স্থান লাভ করেছে। এই কবিতার প্রথম দুটি চরণ আজও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য ও নৈতিক শিক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়—

    > আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
    কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
    মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন
    “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!!

    এই কবিতা একটি আদর্শ মানবিক চরিত্রের দিকনির্দেশনা দেয়, যা বাংলার শিশুদের মনে মূল্যবোধ গঠন করতে সাহায্য করেছে যুগ যুগ ধরে।
    -
    কেবল গৃহিণী ও কবি নন, কুসুমকুমারী দাস ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজসেবিকা। বরিশাল মহিলা সভা (Barisal Women Society)-র তিনি সম্পাদক ছিলেন। এই সংগঠন সমাজকল্যাণে অসামান্য অবদান রাখে—অভাবী কন্যাদের সাহায্য, ধাত্রী প্রশিক্ষণ, বালিকাদের বিদ্যালয় স্থাপন, এবং নারীদের গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা ছিল এর মূল লক্ষ্য।
    তিনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সদস্য, এবং ১৩১৯ থেকে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত নারী দিবস প্রার্থনায় আচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি কখনো কখনো তিনি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সমাবেশেও আচার্য পদে অভিষিক্ত হন, যা সে সময়কার সমাজে নারীদের জন্য এক বিরল সম্মান।
    --
    কুসুমকুমারী দাস তাঁর সময়ের একজন প্রগতিশীল নারী ছিলেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও মাতৃত্ব একত্রে তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি ছিলেন নারী শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নের এক নিঃশব্দ যোদ্ধা, যাঁর জীবনপ্রবাহ পরোক্ষে হলেও জীবনানন্দ দাশের মতো কবির মানসগঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।

    তাঁর রেখে যাওয়া “মানুষ হইতে হবে”-র পণ আজও আমাদের সমাজে নৈতিক চেতনার এক অনন্য বার্তা হিসেবে প্রতিধ্বনিত হয়।

    কলমে সুরজ মন্ডল
    Mr. Hotch Potch

    চিত্র ও তথ্য - উইকিপিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম

    ইতিহাসের নানা অধ্যায় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন..

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেল -
    https://youtube.com/@talpata_mr.hotchpotch?si=GH6oNo0zh1SSkB8b

    WhatsApp Channel
    https://whatsapp.com/channel/0029Vaa7cYoJ93wOSMU4ku1I

    Follow Us on Instagram
    https://www.instagram.com/talpata_history?igsh=Z3Z5N21qNnRsbWxx

    #KusumkumariDas
    #BengaliPoet
    #WomenInLiterature
    #LegacyOfWords
    #PoetAndMother
    #VoiceOfBengal
    #UnsungHeroine
    #untoldhistory #UntoldStory #history
    "আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে? মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!!" কবিতা টি নিশ্চই সবার চেনা.....কবির নাম বলতে পারবেন ? ......চলুন আমিই বলে দিচ্ছি! --- ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে, বাংলার সমাজে যখন নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি এক ক্রমবর্ধমান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, তখনই উদিত হয়েছিলেন এক বিশিষ্ট কবি, সমাজসেবিকা ও একজন আদর্শ মাতার প্রতিচ্ছবি—কুসুমকুমারী দাস (১৮৭৫–১৯৪৮)। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের জননী, কিন্তু তাঁর নিজের জীবন, সাহিত্যচর্চা ও সমাজসেবামূলক কাজও তাঁকে স্বতন্ত্র মহিমায় অধিষ্ঠিত করে। কুসুমকুমারীর জন্ম হয় ১৮৭৫ সালে। তিনি কলকাতার বিথুন স্কুলে শিক্ষালাভ করেন, যা ছিল সে সময়ে নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান। তাঁর সাহিত্যচর্চার বীজ রোপিত হয় পিতার হাতে। তাঁর পিতা চন্দ্রনাথ দাস হালকা রচনার কবি ছিলেন এবং তাঁর কাছ থেকেই কুসুমকুমারী লেখালেখির প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৮৯৪ সালে, ১৯ বছর বয়সে, কুসুমকুমারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সত্যানন্দ দাস-এর সঙ্গে। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান জন্মগ্রহণ করেন—প্রখ্যাত কবি জীবনানন্দ দাস, অশোকানন্দ দাস, ও কন্যা সুচরিতা দাস। জীবনানন্দের আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গঠনে কুসুমকুমারীর প্রভাব গভীর ও স্থায়ী ছিল। -- কুসুমকুমারী দাস নিয়মিত কবিতা লিখতেন। তাঁর রচনাগুলি প্রকাশিত হত সে সময়কার উল্লেখযোগ্য পত্র-পত্রিকায়—‘মুকুল’, ‘ব্রাহ্মবাদী’ ও ‘প্রবাসী’-তে। তিনি নিয়মিত ব্যক্তিগত ডায়েরি লিখতেন, যদিও দুর্ভাগ্যবশত সেসবের বেশিরভাগই তাঁর নিজের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত বা হারিয়ে যায়। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা “আদর্শ ছেলে”, যা বাংলার শিশুসাহিত্যে এক অমর স্থান লাভ করেছে। এই কবিতার প্রথম দুটি চরণ আজও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য ও নৈতিক শিক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়— > আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে? মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!! এই কবিতা একটি আদর্শ মানবিক চরিত্রের দিকনির্দেশনা দেয়, যা বাংলার শিশুদের মনে মূল্যবোধ গঠন করতে সাহায্য করেছে যুগ যুগ ধরে। - কেবল গৃহিণী ও কবি নন, কুসুমকুমারী দাস ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজসেবিকা। বরিশাল মহিলা সভা (Barisal Women Society)-র তিনি সম্পাদক ছিলেন। এই সংগঠন সমাজকল্যাণে অসামান্য অবদান রাখে—অভাবী কন্যাদের সাহায্য, ধাত্রী প্রশিক্ষণ, বালিকাদের বিদ্যালয় স্থাপন, এবং নারীদের গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা ছিল এর মূল লক্ষ্য। তিনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সদস্য, এবং ১৩১৯ থেকে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত নারী দিবস প্রার্থনায় আচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি কখনো কখনো তিনি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সমাবেশেও আচার্য পদে অভিষিক্ত হন, যা সে সময়কার সমাজে নারীদের জন্য এক বিরল সম্মান। -- কুসুমকুমারী দাস তাঁর সময়ের একজন প্রগতিশীল নারী ছিলেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও মাতৃত্ব একত্রে তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি ছিলেন নারী শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নের এক নিঃশব্দ যোদ্ধা, যাঁর জীবনপ্রবাহ পরোক্ষে হলেও জীবনানন্দ দাশের মতো কবির মানসগঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। তাঁর রেখে যাওয়া “মানুষ হইতে হবে”-র পণ আজও আমাদের সমাজে নৈতিক চেতনার এক অনন্য বার্তা হিসেবে প্রতিধ্বনিত হয়। কলমে ✍️ সুরজ মন্ডল ©️Mr. Hotch Potch চিত্র ও তথ্য - উইকিপিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম ইতিহাসের নানা অধ্যায় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন.. আমাদের ইউটিউব চ্যানেল - https://youtube.com/@talpata_mr.hotchpotch?si=GH6oNo0zh1SSkB8b WhatsApp Channel https://whatsapp.com/channel/0029Vaa7cYoJ93wOSMU4ku1I Follow Us on Instagram https://www.instagram.com/talpata_history?igsh=Z3Z5N21qNnRsbWxx #KusumkumariDas #BengaliPoet #WomenInLiterature #LegacyOfWords #PoetAndMother #VoiceOfBengal #UnsungHeroine #untoldhistory #UntoldStory #history
    0 Kommentare 0 Geteilt 308 Ansichten
  • ২০০৯ সালের ২৪শে নভেম্বর, ২৬ বছর বয়সী মেডিকেল ছাত্র জন এডওয়ার্ড জোনস তার ভাই ও বন্ধুদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা অঙ্গরাজ্যের “নাটি পাটি” (Nutty Putty) গুহা অন্বেষণে যান। গুহার ভেতরের “বার্থ ক্যানেল” নামক একটি সরু পথ অতিক্রম করার সময় তিনি ভুল করে আরেকটি অনাবিষ্কৃত সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েন।

    পথটি এতটাই সংকীর্ণ ছিল যে, জন মাত্র ১০ ইঞ্চি চওড়া ও ১৮ ইঞ্চি উঁচু একটি স্থানে মাথা নিচে ও পা উপরে থাকা অবস্থায় আটকে যান। প্রায় ৪০০ ফুট গভীরে, এক ভয়ংকর ফাঁ/দে আটকা পড়েন তিনি।

    খবর পেয়ে উদ্ধারকারীরা দ্রুত চলে আসেন। প্রায় ২৮ ঘন্টা ধরে চলে শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধার অভিযান। রশি এবং পুলির সাহায্যে একটি জটিল সিস্টেম তৈরি করে তাকে বের করার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, একটি পুলি ছিঁড়ে গেলে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

    বিজ্ঞানের চোখে এই মৃ/'ত্যু কতটা ভয়াবহ?

    দীর্ঘ সময় ধরে উল্টো অবস্থায় ঝুলে থাকায় জনের শরীরের সমস্ত রক্ত মাথায় জমা হতে শুরু করে। এর ফলে মস্তিষ্কে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয় এবং হৃদপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে পারছিল না। সোজা কথায়, তার হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুস ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ছিল। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘কম্প্রেশনাল অ্যাসফিক্সিয়া (Compressional Asphyxia)’। টানা ২৮ ঘন্টা এই অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করার পর জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা/রা যান।

    উদ্ধারকাজ এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল যে, তার মৃ/তদেহ বের করে আনা সম্ভব ছিল না। পরিবারের সাথে আলোচনা করে এক হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গু/হাটিকেই জনের স/মাধি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

    পরবর্তীতে, বি/স্ফোর/ক ব্যবহার করে গুহার ওই অংশটি ধসি/য়ে দেওয়া হয় এবং প্রবেশমুখ কংক্রিট দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সেই থেকে নাটি পাটি গুহা একাধারে একটি সমা/ধি এবং এক অব্যক্ত বেদনার স্মৃ/তিস্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

    অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique

    NOTE : THIS POST IS COPYRIGHT PROTECTED
    Don’t try to copy without permission..
    otherwise Facebook community can take actions.

    FJ
    ২০০৯ সালের ২৪শে নভেম্বর, ২৬ বছর বয়সী মেডিকেল ছাত্র জন এডওয়ার্ড জোনস তার ভাই ও বন্ধুদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা অঙ্গরাজ্যের “নাটি পাটি” (Nutty Putty) গুহা অন্বেষণে যান। গুহার ভেতরের “বার্থ ক্যানেল” নামক একটি সরু পথ অতিক্রম করার সময় তিনি ভুল করে আরেকটি অনাবিষ্কৃত সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েন। পথটি এতটাই সংকীর্ণ ছিল যে, জন মাত্র ১০ ইঞ্চি চওড়া ও ১৮ ইঞ্চি উঁচু একটি স্থানে মাথা নিচে ও পা উপরে থাকা অবস্থায় আটকে যান। প্রায় ৪০০ ফুট গভীরে, এক ভয়ংকর ফাঁ/দে আটকা পড়েন তিনি। খবর পেয়ে উদ্ধারকারীরা দ্রুত চলে আসেন। প্রায় ২৮ ঘন্টা ধরে চলে শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধার অভিযান। রশি এবং পুলির সাহায্যে একটি জটিল সিস্টেম তৈরি করে তাকে বের করার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, একটি পুলি ছিঁড়ে গেলে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিজ্ঞানের চোখে এই মৃ/'ত্যু কতটা ভয়াবহ? দীর্ঘ সময় ধরে উল্টো অবস্থায় ঝুলে থাকায় জনের শরীরের সমস্ত রক্ত মাথায় জমা হতে শুরু করে। এর ফলে মস্তিষ্কে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয় এবং হৃদপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে পারছিল না। সোজা কথায়, তার হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুস ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ছিল। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘কম্প্রেশনাল অ্যাসফিক্সিয়া (Compressional Asphyxia)’। টানা ২৮ ঘন্টা এই অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করার পর জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা/রা যান। উদ্ধারকাজ এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল যে, তার মৃ/তদেহ বের করে আনা সম্ভব ছিল না। পরিবারের সাথে আলোচনা করে এক হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গু/হাটিকেই জনের স/মাধি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, বি/স্ফোর/ক ব্যবহার করে গুহার ওই অংশটি ধসি/য়ে দেওয়া হয় এবং প্রবেশমুখ কংক্রিট দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সেই থেকে নাটি পাটি গুহা একাধারে একটি সমা/ধি এবং এক অব্যক্ত বেদনার স্মৃ/তিস্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique 🔔🔔 NOTE : THIS POST IS COPYRIGHT PROTECTED ©️ Don’t try to copy without permission.. otherwise Facebook community can take actions. 🌸FJ🌸
    0 Kommentare 0 Geteilt 247 Ansichten
  • চাঁদের মাটিতে পা রাখা ১২ জন নভোচারী:
    01. Neil Armstrong/নিল আর্মস্ট্রং: July 20, 1969 (Apollo 11)
    02. Buzz Aldrin/বাজ অলড্রিন: July 20, 1969 (Apollo 11)
    03. Pete Conrad/পিটার কনরাড: November 19, 1969 (Apollo 12)
    04. Alan Bean/অ্যালান বিন: November 19, 1969 (Apollo 12)
    05. Alan Shepard/অ্যালান শেফার্ড: February 5, 1971 (Apollo 14)
    06. Edgar Mitchell/এডগার মিচেল: February 5, 1971 (Apollo 14)
    07. David Scott/ডেভিড স্কট: July 30, 1971 (Apollo 15)
    08. James Irwin/জেমস ইরউইন: July 30, 1971 (Apollo 15)
    09. John Young/জন ইয়ং: April 21, 1972 (Apollo 16)
    10. Charles Duke/চার্লস ডিউক: April 21, 1972 (Apollo 16)
    11. Eugene Cernan/জিন সারনান: December 11, 1972 (Apollo 17)
    12. Harrison Schmitt/হ্যারিসন শ্মিট: December 11, 1972 (Apollo 17)
    চাঁদের মাটিতে পা রাখা ১২ জন নভোচারী: 01. Neil Armstrong/নিল আর্মস্ট্রং: July 20, 1969 (Apollo 11) 02. Buzz Aldrin/বাজ অলড্রিন: July 20, 1969 (Apollo 11) 03. Pete Conrad/পিটার কনরাড: November 19, 1969 (Apollo 12) 04. Alan Bean/অ্যালান বিন: November 19, 1969 (Apollo 12) 05. Alan Shepard/অ্যালান শেফার্ড: February 5, 1971 (Apollo 14) 06. Edgar Mitchell/এডগার মিচেল: February 5, 1971 (Apollo 14) 07. David Scott/ডেভিড স্কট: July 30, 1971 (Apollo 15) 08. James Irwin/জেমস ইরউইন: July 30, 1971 (Apollo 15) 09. John Young/জন ইয়ং: April 21, 1972 (Apollo 16) 10. Charles Duke/চার্লস ডিউক: April 21, 1972 (Apollo 16) 11. Eugene Cernan/জিন সারনান: December 11, 1972 (Apollo 17) 12. Harrison Schmitt/হ্যারিসন শ্মিট: December 11, 1972 (Apollo 17)
    0 Kommentare 0 Geteilt 89 Ansichten
  • রাগ শুধু মনকে নয়, শরীরকেও কষ্ট দেয়। আবেগের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের ভেতর নানা জৈবিক পরিবর্তন ঘটে। আপনি যদি মাত্র এক মিনিটও প্রচণ্ড রাগ করে থাকেন তাহলে তখনই আপনার শরীরে স্ট্রেস হরমোন যেমন কর্টিসল হঠাৎ বেড়ে যায়। হার্টবিট দ্রুত হয়ে যায়, শরীরের ভেতরে প্রদাহের প্রক্রিয়া বাড়তে শুরু করে। এর ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম কয়েক ঘণ্টার জন্য দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন আপনার শরীর ভাইরাস বা জীবাণুর আক্রমণের জন্য আরও অসহায় হয়ে যায়।

    সমস্যা এখানেই শেষ হয় না। যদি আপনি প্রায়ই রেগে যান বা দীর্ঘদিন ধরে চাপ আর রাগ নিজের ভেতরে জমিয়ে রাখেন, সেটা আপনার জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি রাগ আর মানসিক চাপ হার্টের অসুখ, হজমের সমস্যা, উদ্বেগ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে। কিন্তু সুখবর হলো—রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখলে শরীরও সুস্থ থাকবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, কিছু সহজ অভ্যাস যেমন প্রতিদিন কিছুক্ষণ মননশীলতা বা mindfulness অনুশীলন, গভীর শ্বাস নেওয়া বা নিয়মিত ব্যায়াম আপনার মনকে শান্ত করবে এবং শরীরের ভেতর থেকে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করবে।

    তাই রেগে গিয়ে কিছু ভাঙচুর করার আগে বা চিৎকার করার আগে মনে রাখুন এই রাগ শুধু আপনার মেজাজ নষ্ট করছে না, আপনার শরীরের সুরক্ষা ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে দিচ্ছে।
    রাগ শুধু মনকে নয়, শরীরকেও কষ্ট দেয়। আবেগের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের ভেতর নানা জৈবিক পরিবর্তন ঘটে। আপনি যদি মাত্র এক মিনিটও প্রচণ্ড রাগ করে থাকেন তাহলে তখনই আপনার শরীরে স্ট্রেস হরমোন যেমন কর্টিসল হঠাৎ বেড়ে যায়। হার্টবিট দ্রুত হয়ে যায়, শরীরের ভেতরে প্রদাহের প্রক্রিয়া বাড়তে শুরু করে। এর ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম কয়েক ঘণ্টার জন্য দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন আপনার শরীর ভাইরাস বা জীবাণুর আক্রমণের জন্য আরও অসহায় হয়ে যায়। সমস্যা এখানেই শেষ হয় না। যদি আপনি প্রায়ই রেগে যান বা দীর্ঘদিন ধরে চাপ আর রাগ নিজের ভেতরে জমিয়ে রাখেন, সেটা আপনার জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি রাগ আর মানসিক চাপ হার্টের অসুখ, হজমের সমস্যা, উদ্বেগ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে। কিন্তু সুখবর হলো—রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখলে শরীরও সুস্থ থাকবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, কিছু সহজ অভ্যাস যেমন প্রতিদিন কিছুক্ষণ মননশীলতা বা mindfulness অনুশীলন, গভীর শ্বাস নেওয়া বা নিয়মিত ব্যায়াম আপনার মনকে শান্ত করবে এবং শরীরের ভেতর থেকে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করবে। তাই রেগে গিয়ে কিছু ভাঙচুর করার আগে বা চিৎকার করার আগে মনে রাখুন এই রাগ শুধু আপনার মেজাজ নষ্ট করছে না, আপনার শরীরের সুরক্ষা ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে দিচ্ছে।
    Love
    Wow
    2
    0 Kommentare 0 Geteilt 248 Ansichten
  • কালাচ সাপঃ নিরবঘাতক বিষধরের ভয়ংকর রহস্য

    ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশ ও ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশই ঘটে কালাচ সাপের কারণে। এ সাপটিকে অনেকে বলেন “নীরব ঘাতক”, কারণ এরা তাদের শিকার বেছে নেয় রাতের আঁধারে, যখন সবাই নিশ্চিন্ত ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো—কালাচের কামড় অনেক সময় মানুষ টেরই পায় না, অথচ মুহূর্তের মধ্যে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। মাত্র ২০ মিলিগ্রাম নিউরোটক্সিন ইনজেক্ট করতে সক্ষম এ সাপ, যা একজন মানুষকে মারার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

    কালাচ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus caeruleus। “Bungarus” শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে, যার অর্থ বাঁকানো বা সর্পিল, আর “caeruleus” লাতিন শব্দ, যার মানে নীলাভ রঙ। বাংলাদেশে এদের কালো ঝকঝকে শরীর এবং সাদা আড়াআড়ি দাগের জন্য সহজেই চেনা যায়। দৈর্ঘ্য সাধারণত দেড় থেকে দুই মিটার হয়ে থাকে।

    কালাচ মূলত নিশাচর প্রাণী। দিনে এরা ঝোপঝাড়, ইঁদুরের গর্ত কিংবা মানুষের বসতবাড়ির অন্ধকার কোণে লুকিয়ে থাকে। রাতে বেরিয়ে শিকার করে প্রধানত অন্য সাপ, ব্যাঙ, গিরগিটি এবং মাঝে মাঝে ইঁদুর। এদের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো অত্যন্ত ধীরস্থির ও অল্প নড়াচড়ার স্বভাব, যা অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়।

    তাদের বিষের প্রকৃতি নিউরোটক্সিক। অর্থাৎ, এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ চালায়। প্রথমে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, পরে শ্বাসপ্রশ্বাসের পেশি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রে কামড় ব্যথাহীন হওয়ায় ভুক্তভোগী বিষক্রিয়ার শুরুটা বোঝতেই পারে না, ফলে চিকিৎসা বিলম্বিত হয়।

    বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষা ও শরৎকালে কালাচ সাপ বেশি সক্রিয় থাকে। গ্রামীণ এলাকায় ধানক্ষেত, পুকুরপাড় এবং মানুষের ঘরের ভেতরেও এদের দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সাপের কামড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো কালাচ সাপ।

    তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা ও প্রতিরোধই এ সমস্যার সমাধান। রাতে মশারি ব্যবহার, ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা কালাচ সাপের আক্রমণ কমাতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়, যা দ্রুত প্রয়োগ করলে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।

    কালাচ সাপের অস্তিত্ব আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, বিষধর হলেও প্রতিটি প্রাণীই প্রকৃতির ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ। ইঁদুর ও অন্যান্য ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে এরা পরিবেশকে পরোক্ষভাবে মানুষের জন্য নিরাপদ রাখে। তাই এদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেয়ে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

    বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো প্রকৃতিকে বোঝা, ভয় না পেয়ে সচেতন হওয়া এবং সাপের কামড় প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা।

    “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান।

    #ঘড়িয়ালবাংলা #কালাচসাপ #CommonKrait #বিষধরসরীসৃপ #SnakeBiteAwareness #ScienceFacts #WildlifeBangladesh #GhorialBangla
    কালাচ সাপঃ নিরবঘাতক বিষধরের ভয়ংকর রহস্য ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশ ও ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশই ঘটে কালাচ সাপের কারণে। এ সাপটিকে অনেকে বলেন “নীরব ঘাতক”, কারণ এরা তাদের শিকার বেছে নেয় রাতের আঁধারে, যখন সবাই নিশ্চিন্ত ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো—কালাচের কামড় অনেক সময় মানুষ টেরই পায় না, অথচ মুহূর্তের মধ্যে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। মাত্র ২০ মিলিগ্রাম নিউরোটক্সিন ইনজেক্ট করতে সক্ষম এ সাপ, যা একজন মানুষকে মারার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। কালাচ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus caeruleus। “Bungarus” শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে, যার অর্থ বাঁকানো বা সর্পিল, আর “caeruleus” লাতিন শব্দ, যার মানে নীলাভ রঙ। বাংলাদেশে এদের কালো ঝকঝকে শরীর এবং সাদা আড়াআড়ি দাগের জন্য সহজেই চেনা যায়। দৈর্ঘ্য সাধারণত দেড় থেকে দুই মিটার হয়ে থাকে। কালাচ মূলত নিশাচর প্রাণী। দিনে এরা ঝোপঝাড়, ইঁদুরের গর্ত কিংবা মানুষের বসতবাড়ির অন্ধকার কোণে লুকিয়ে থাকে। রাতে বেরিয়ে শিকার করে প্রধানত অন্য সাপ, ব্যাঙ, গিরগিটি এবং মাঝে মাঝে ইঁদুর। এদের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো অত্যন্ত ধীরস্থির ও অল্প নড়াচড়ার স্বভাব, যা অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়। তাদের বিষের প্রকৃতি নিউরোটক্সিক। অর্থাৎ, এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ চালায়। প্রথমে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, পরে শ্বাসপ্রশ্বাসের পেশি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রে কামড় ব্যথাহীন হওয়ায় ভুক্তভোগী বিষক্রিয়ার শুরুটা বোঝতেই পারে না, ফলে চিকিৎসা বিলম্বিত হয়। বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষা ও শরৎকালে কালাচ সাপ বেশি সক্রিয় থাকে। গ্রামীণ এলাকায় ধানক্ষেত, পুকুরপাড় এবং মানুষের ঘরের ভেতরেও এদের দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সাপের কামড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো কালাচ সাপ। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা ও প্রতিরোধই এ সমস্যার সমাধান। রাতে মশারি ব্যবহার, ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা কালাচ সাপের আক্রমণ কমাতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়, যা দ্রুত প্রয়োগ করলে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। কালাচ সাপের অস্তিত্ব আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, বিষধর হলেও প্রতিটি প্রাণীই প্রকৃতির ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ। ইঁদুর ও অন্যান্য ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে এরা পরিবেশকে পরোক্ষভাবে মানুষের জন্য নিরাপদ রাখে। তাই এদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেয়ে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো প্রকৃতিকে বোঝা, ভয় না পেয়ে সচেতন হওয়া এবং সাপের কামড় প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা। “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান। #ঘড়িয়ালবাংলা #কালাচসাপ #CommonKrait #বিষধরসরীসৃপ #SnakeBiteAwareness #ScienceFacts #WildlifeBangladesh #GhorialBangla
    0 Kommentare 0 Geteilt 402 Ansichten
  • ম্যানটিস শ্রিম্প: যার ঘুষি ভাঙে কাঁচ, আর চোখ হার মানায় রোবটকেও!

    সমুদ্রের নীচে, যেখানে আলো ম্লান, শব্দ নিঃশব্দ আর বেঁচে থাকার জন্য যা দরকার তা হলো চতুরতা! সেখানেই বাস করে একটা রহস্যময় প্রাণী। খুব ছোট দেখতে, একটা চিংড়ির মতো। নাম Mantis Shrimp। কিন্তু এই নামের মধ্যে লুকিয়ে আছে যে শক্তি, যে রহস্য, তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।

    এর ঘুষি এতটাই জোরালো, যে তা দিয়ে অ্যাকুরিয়ামের কাঁচ ফেটে যায়। আর চোখ? আপনি, আমি, ক্যামেরা, এমনকি কিছু রোবট সেন্সর কেউই এদের চোখের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে না।

    এরা ঘুষি মারে ৮০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে! Mantis Shrimp-এর সামনে থাকে দুইটা শক্তিশালী ক্লাব যেন পাথরের হাতুড়ি! শিকার দেখলেই সে এত জোরে আঘাত করে, যে পানির নিচে সেই ঘুষির গতিতে একপ্রকার ছোট্ট শকওয়েভ তৈরি হয়। এটাই বলা হয় Cavitation Bubble। এই বুদবুদের বিস্ফোরণ এত তীব্র যে, যদি ঘুষি থেকে কেউ বেঁচেও যায়, এই শকওয়েভেই সে শেষ!

    এরা ঘুষি মারার সময় মাত্র ৩ মিলিসেকেন্ডে (এক চোখের পলকের চেয়েও কম) শক্তি ছুড়ে মারে, যার গতি বুলেটের সমান। পানির নিচে এত জোরে কেউ কিভাবে আঘাত করতে পারে এটাই বিজ্ঞানীদের এক বিশাল বিস্ময়!

    চোখে যে জিনিস এরা দেখে, আমরা তা কল্পনাও করতে পারি না! আপনার চোখে আছে মাত্র ৩ ধরনের রঙ শনাক্তকারী কোষ লাল, সবুজ আর নীল। কিন্তু ম্যানটিস শ্রিম্পের চোখে আছে ১৬টি!

    এরা শুধু আলাদা রঙ না, অতিবেগুনি রশ্মি (UV) এমনকি পোলারাইজড আলোও দেখতে পারে যা মানুষের পক্ষে একেবারেই অদৃশ্য!

    যার মানে, এই প্রাণীটা আমাদের চেনা দুনিয়ার বাইরেও কিছু দেখে! যেন সে সমুদ্রের নিচে এক বিকল্প বাস্তবতা দেখতে পায়। এটাই এমন একটা স্তর, যা বিজ্ঞানের সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরাও পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারেনি।

    এদের প্রতিটি চোখ ঘোরে আলাদাভাবে এবং প্রতিটি চোখেই এমন গঠন আছে যা দিয়ে তারা depth, movement, এমনকি পোলারিটি আলাদাভাবে চিনতে পারে। প্রতিটা চোখে যেন একটা করে ছোট কম্পিউটার বসানো!

    সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, এরা চোখেই অনেক কিছু প্রক্রিয়া করে ফেলে সেটা মস্তিষ্কে না পাঠিয়েই! অর্থাৎ চোখ-ই এদের অর্ধেক বুদ্ধির জায়গা!

    মানুষ ভাবে সে-ই সবকিছু জানে, কিন্তু প্রকৃতি চুপচাপ এমন সব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে একটা ছোট্ট প্রাণীর ভেতরে, যা পুরো বিজ্ঞানের চেহারাই বদলে দিতে পারে। একটা চিংড়ির মতো ছোট্ট প্রাণী, কিন্তু তার চোখ আর ঘুষি নিয়
    ম্যানটিস শ্রিম্প: যার ঘুষি ভাঙে কাঁচ, আর চোখ হার মানায় রোবটকেও! সমুদ্রের নীচে, যেখানে আলো ম্লান, শব্দ নিঃশব্দ আর বেঁচে থাকার জন্য যা দরকার তা হলো চতুরতা! সেখানেই বাস করে একটা রহস্যময় প্রাণী। খুব ছোট দেখতে, একটা চিংড়ির মতো। নাম Mantis Shrimp। কিন্তু এই নামের মধ্যে লুকিয়ে আছে যে শক্তি, যে রহস্য, তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। এর ঘুষি এতটাই জোরালো, যে তা দিয়ে অ্যাকুরিয়ামের কাঁচ ফেটে যায়। আর চোখ? আপনি, আমি, ক্যামেরা, এমনকি কিছু রোবট সেন্সর কেউই এদের চোখের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে না। এরা ঘুষি মারে ৮০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে! Mantis Shrimp-এর সামনে থাকে দুইটা শক্তিশালী ক্লাব যেন পাথরের হাতুড়ি! শিকার দেখলেই সে এত জোরে আঘাত করে, যে পানির নিচে সেই ঘুষির গতিতে একপ্রকার ছোট্ট শকওয়েভ তৈরি হয়। এটাই বলা হয় Cavitation Bubble। এই বুদবুদের বিস্ফোরণ এত তীব্র যে, যদি ঘুষি থেকে কেউ বেঁচেও যায়, এই শকওয়েভেই সে শেষ! এরা ঘুষি মারার সময় মাত্র ৩ মিলিসেকেন্ডে (এক চোখের পলকের চেয়েও কম) শক্তি ছুড়ে মারে, যার গতি বুলেটের সমান। পানির নিচে এত জোরে কেউ কিভাবে আঘাত করতে পারে এটাই বিজ্ঞানীদের এক বিশাল বিস্ময়! চোখে যে জিনিস এরা দেখে, আমরা তা কল্পনাও করতে পারি না! আপনার চোখে আছে মাত্র ৩ ধরনের রঙ শনাক্তকারী কোষ লাল, সবুজ আর নীল। কিন্তু ম্যানটিস শ্রিম্পের চোখে আছে ১৬টি! এরা শুধু আলাদা রঙ না, অতিবেগুনি রশ্মি (UV) এমনকি পোলারাইজড আলোও দেখতে পারে যা মানুষের পক্ষে একেবারেই অদৃশ্য! যার মানে, এই প্রাণীটা আমাদের চেনা দুনিয়ার বাইরেও কিছু দেখে! যেন সে সমুদ্রের নিচে এক বিকল্প বাস্তবতা দেখতে পায়। এটাই এমন একটা স্তর, যা বিজ্ঞানের সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরাও পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারেনি। এদের প্রতিটি চোখ ঘোরে আলাদাভাবে এবং প্রতিটি চোখেই এমন গঠন আছে যা দিয়ে তারা depth, movement, এমনকি পোলারিটি আলাদাভাবে চিনতে পারে। প্রতিটা চোখে যেন একটা করে ছোট কম্পিউটার বসানো! সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, এরা চোখেই অনেক কিছু প্রক্রিয়া করে ফেলে সেটা মস্তিষ্কে না পাঠিয়েই! অর্থাৎ চোখ-ই এদের অর্ধেক বুদ্ধির জায়গা! মানুষ ভাবে সে-ই সবকিছু জানে, কিন্তু প্রকৃতি চুপচাপ এমন সব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে একটা ছোট্ট প্রাণীর ভেতরে, যা পুরো বিজ্ঞানের চেহারাই বদলে দিতে পারে। একটা চিংড়ির মতো ছোট্ট প্রাণী, কিন্তু তার চোখ আর ঘুষি নিয়
    0 Kommentare 0 Geteilt 252 Ansichten
  • রিং অফ ফায়ার কি?

    সম্প্রতি সময় গত ৩০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে, রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরে ৮.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ রাশিয়া, জাপান, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল। অঞ্চলটি রিং অফ ফায়ার এর অন্তর্ভুক্ত।

    রিং অফ ফায়ার হল, প্রশান্ত মহাসাগরের প্রান্ত বরাবর অবস্থিত বলিভিয়া, চিলি, ইকুয়েডর, পেরু, কোস্টারিকা, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বেশিরভাগ অংশের চারপাশে অবস্থিত প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘোড়ার নালের আকৃতির একটি বেল্ট, যা তার তীব্র ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চল যেখানে অনেকগুলি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং ভূমিকম্প হয়।

    পৃথিবীর সমস্ত সমস্ত ভূমিকম্পের প্রায় 90 শতাংশই রিং অফ ফায়ার বরাবর ঘটে এবং পৃথিবীর সমস্ত সক্রিয় আগ্নেয়গিরির 75 শতাংশ এই রিং দ্বারা চিহ্নিত।

    প্রশান্ত মহাসাগরের আগ্নেয়গিরি (রিং অফ ফায়ার) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:

    #অবস্থান:
    প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারপাশে একটি ঘোড়ার নালের মতো আকৃতির এলাকা জুড়ে রিং অফ ফায়ার বিস্তৃত। এই অঞ্চলে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ খুবই সাধারণ।

    #গঠন:
    রিং অফ ফায়ার মূলত টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের কারণে গঠিত হয়েছে। এখানে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট অন্যান্য প্লেটের নিচে প্রবেশ করে এবং গলিত শিলা (ম্যাগমা) উপরে উঠে এসে আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি করে।

    #ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত:
    এই অঞ্চলে প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে প্রচুর ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। রিং অফ ফায়ার পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি।

    #গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
    রিং অফ ফায়ার-এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো:
    ভূমিকম্প: এই অঞ্চলে প্রায়শই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

    #আগ্নেয়গিরি: এখানে অসংখ্য সক্রিয় ও সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে।

    #ভূ-তাপীয় কার্যকলাপ: এই অঞ্চলে ভূ-তাপীয় শক্তিও (geothermal energy) প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান।

    #উদাহরণ:
    রিং অফ ফায়ার-এর কিছু বিখ্যাত আগ্নেয়গিরি হলো:
    অ্যালিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ (Aleutian Islands)
    কিলুয়ার (Kilauea)
    ফুজিয়ামা (Mount Fuji)
    নতুন দ্বীপ (A new island formed by volcanic eruption)

    @ ফারুক হোসেন
    রিং অফ ফায়ার কি? সম্প্রতি সময় গত ৩০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে, রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরে ৮.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ রাশিয়া, জাপান, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল। অঞ্চলটি রিং অফ ফায়ার এর অন্তর্ভুক্ত। রিং অফ ফায়ার হল, প্রশান্ত মহাসাগরের প্রান্ত বরাবর অবস্থিত বলিভিয়া, চিলি, ইকুয়েডর, পেরু, কোস্টারিকা, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বেশিরভাগ অংশের চারপাশে অবস্থিত প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘোড়ার নালের আকৃতির একটি বেল্ট, যা তার তীব্র ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের জন্য পরিচিত একটি অঞ্চল যেখানে অনেকগুলি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং ভূমিকম্প হয়। পৃথিবীর সমস্ত সমস্ত ভূমিকম্পের প্রায় 90 শতাংশই রিং অফ ফায়ার বরাবর ঘটে এবং পৃথিবীর সমস্ত সক্রিয় আগ্নেয়গিরির 75 শতাংশ এই রিং দ্বারা চিহ্নিত। প্রশান্ত মহাসাগরের আগ্নেয়গিরি (রিং অফ ফায়ার) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য: #অবস্থান: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারপাশে একটি ঘোড়ার নালের মতো আকৃতির এলাকা জুড়ে রিং অফ ফায়ার বিস্তৃত। এই অঞ্চলে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ খুবই সাধারণ। #গঠন: রিং অফ ফায়ার মূলত টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের কারণে গঠিত হয়েছে। এখানে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট অন্যান্য প্লেটের নিচে প্রবেশ করে এবং গলিত শিলা (ম্যাগমা) উপরে উঠে এসে আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি করে। #ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত: এই অঞ্চলে প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে প্রচুর ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। রিং অফ ফায়ার পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি। #গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য: রিং অফ ফায়ার-এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো: ভূমিকম্প: এই অঞ্চলে প্রায়শই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। #আগ্নেয়গিরি: এখানে অসংখ্য সক্রিয় ও সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। #ভূ-তাপীয় কার্যকলাপ: এই অঞ্চলে ভূ-তাপীয় শক্তিও (geothermal energy) প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান। #উদাহরণ: রিং অফ ফায়ার-এর কিছু বিখ্যাত আগ্নেয়গিরি হলো: অ্যালিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ (Aleutian Islands) কিলুয়ার (Kilauea) ফুজিয়ামা (Mount Fuji) নতুন দ্বীপ (A new island formed by volcanic eruption) @ ফারুক হোসেন
    0 Kommentare 0 Geteilt 159 Ansichten
  • দক্ষিণ আফ্রিকার বাবেম্বা গোত্রে, কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ বা ভুল করলে, বাকি সবাই মিলে তাকে গ্রামের মধ্যিখানে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে, তারা সবাই মিলে টানা

    দুই দিন ওই ব্যক্তিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে এবং এপর্যন্ত করে আসা তার ভালো কাজ ও ভালো ব্যবহারগুলোর স্মৃতিচারণ করতে থাকে মুগ্ধ হয়ে।

    অপরাধ করা সেই ব্যক্তিটিকে তারা তিরস্কার করে না, লাঞ্ছিত করে না, অপমান করে না। তারা বিশ্বাস করে: পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই ভালো; কিন্তু, মাঝেমধ্যে ভুল করে ফেলে মানুষ, যে-ভুলের অর্থ─ মানুষটি আশেপাশের মানুষের সহযোগিতা আর ভালোবাসার অভাবে তীব্র যন্ত্রণায় কাঁদছে।

    মানুষটিকে তারা তার অতীতের সমস্ত ভালো'র স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে, সেই ভালোতে তার আশেপাশের অন্যদের জীবন কীভাবে পালটে গেছে, কতোটা উপকার হয়েছে অন্যের, সেসব গল্প বলতে-বলতে, বুকে জড়িয়ে নেয় একে-একে। ওসময়, ভুল করা মানুষটি, এতো মমতা, এমন প্রেম, মানবিকতার অমন রূপময়তা সহ্য করতে না-পেরে, ডুকরে ওঠে। সে তার ভুল বুঝতে পারে। সে, শুধরে যায়, মানুষের ভালোবাসায়। মানুষের ভালোবাসা কী না পারে!

    "মানুষকে অপমান কোরো না।"

    ─ বাবেম্বা
    দক্ষিণ আফ্রিকার বাবেম্বা গোত্রে, কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ বা ভুল করলে, বাকি সবাই মিলে তাকে গ্রামের মধ্যিখানে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে, তারা সবাই মিলে টানা দুই দিন ওই ব্যক্তিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে এবং এপর্যন্ত করে আসা তার ভালো কাজ ও ভালো ব্যবহারগুলোর স্মৃতিচারণ করতে থাকে মুগ্ধ হয়ে। অপরাধ করা সেই ব্যক্তিটিকে তারা তিরস্কার করে না, লাঞ্ছিত করে না, অপমান করে না। তারা বিশ্বাস করে: পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই ভালো; কিন্তু, মাঝেমধ্যে ভুল করে ফেলে মানুষ, যে-ভুলের অর্থ─ মানুষটি আশেপাশের মানুষের সহযোগিতা আর ভালোবাসার অভাবে তীব্র যন্ত্রণায় কাঁদছে। মানুষটিকে তারা তার অতীতের সমস্ত ভালো'র স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে, সেই ভালোতে তার আশেপাশের অন্যদের জীবন কীভাবে পালটে গেছে, কতোটা উপকার হয়েছে অন্যের, সেসব গল্প বলতে-বলতে, বুকে জড়িয়ে নেয় একে-একে। ওসময়, ভুল করা মানুষটি, এতো মমতা, এমন প্রেম, মানবিকতার অমন রূপময়তা সহ্য করতে না-পেরে, ডুকরে ওঠে। সে তার ভুল বুঝতে পারে। সে, শুধরে যায়, মানুষের ভালোবাসায়। মানুষের ভালোবাসা কী না পারে! "মানুষকে অপমান কোরো না।" ─ বাবেম্বা
    0 Kommentare 0 Geteilt 141 Ansichten
Weitere Ergebnisse
BlackBird Ai
https://bbai.shop