• BadBox 2.0: ভয়ঙ্কর Android Malware – আপনার মোবাইল কি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত?

    Badbox 2.0 হলো একধরনের ম্যালওয়্যার-ভিত্তিক বটনেট, যেটি মূলত সস্তা Android চালিত ডিভাইসগুলিতে (যেমন: টিভি বক্স, প্রোজেক্টর, ডিজিটাল ফটো ফ্রেম ইত্যাদি) প্রি-ইনস্টল করা অবস্থায় আসে এবং বিশ্বব্যাপী ১ কোটিরও বেশি ডিভাইস ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে।

    কি করে Badbox 2.0?
    BadBox সংক্রামিত ডিভাইসকে বটনেটে পরিণত করে – অর্থাৎ হ্যাকারদের কমান্ডে চলে।
    এটি ব্যবহারকারীর অজান্তে অ্যাড ফ্রড, ডিভাইস ট্র্যাকিং, রেসিডেনশিয়াল প্রক্সি তৈরি ও অন্যান্য অসৎ কাজ করে।
    সংক্রামিত ডিভাইসগুলোতে দৃশ্যমান কিছুই হয় না, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত হয়।

    কে তৈরি করেছে?
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের FBI এবং Google এর তদন্ত অনুযায়ী, Badbox 2.0 এর পিছনে রয়েছে চীনা সাইবার অপরাধী চক্র।
    এই অপরাধচক্রটি মূলত চীনের শেনজেন (Shenzhen) শহরের কিছু কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে যারা সস্তা Android ডিভাইস তৈরি ও বিক্রি করে।

    কোন কোন ডিভাইস ঝুঁকিতে?
    অজানা কোম্পানির Android TV Box
    সস্তা স্মার্ট প্রোজেক্টর
    ডিজিটাল ফটো ফ্রেম
    অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট
    ফ্রি VPN বা ক্লোন অ্যাপ ইনস্টল করা ফোন

    এসব ডিভাইসে Malware প্রি-ইনস্টল করা থাকে, ব্যবহারকারী জানতেই পারে না।

    কেন ভয়ংকর?
    ব্যবহারকারীর বাসার IP ব্যবহার করে হ্যাকাররা অন্যকে হ্যাক করতে পারে!
    Google ও FBI বলেছে, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় Android botnet!
    ১ কোটি ডিভাইস এর মাধ্যমে Massive Ad Fraud এবং Proxy Network চালানো হচ্ছে!

    আপনি কী করবেন?

    অজানা বা ব্র্যান্ডহীন Android ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
    শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডের ফোন/টিভি বক্স কিনুন
    ফোনে অজানা অ্যাপ ইনস্টল করবেন না
    সেটিংসে গিয়ে ADB Debugging বন্ধ রাখুন
    নিজের WiFi ট্রাফিক মনিটর করুন
    Follow Blackbd
    #BlackBD #Badbox2 #CyberAwareness #AndroidMalware #CyberSecurity #EthicalHacking #বাংলা_সাইবার_নিউজ
    🛑 BadBox 2.0: ভয়ঙ্কর Android Malware – আপনার মোবাইল কি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত? 🔍 Badbox 2.0 হলো একধরনের ম্যালওয়্যার-ভিত্তিক বটনেট, যেটি মূলত সস্তা Android চালিত ডিভাইসগুলিতে (যেমন: টিভি বক্স, প্রোজেক্টর, ডিজিটাল ফটো ফ্রেম ইত্যাদি) প্রি-ইনস্টল করা অবস্থায় আসে এবং বিশ্বব্যাপী ১ কোটিরও বেশি ডিভাইস ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে। 📌 কি করে Badbox 2.0? BadBox সংক্রামিত ডিভাইসকে বটনেটে পরিণত করে – অর্থাৎ হ্যাকারদের কমান্ডে চলে। এটি ব্যবহারকারীর অজান্তে অ্যাড ফ্রড, ডিভাইস ট্র্যাকিং, রেসিডেনশিয়াল প্রক্সি তৈরি ও অন্যান্য অসৎ কাজ করে। সংক্রামিত ডিভাইসগুলোতে দৃশ্যমান কিছুই হয় না, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত হয়। 🧠 কে তৈরি করেছে? 👉 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের FBI এবং Google এর তদন্ত অনুযায়ী, Badbox 2.0 এর পিছনে রয়েছে চীনা সাইবার অপরাধী চক্র। এই অপরাধচক্রটি মূলত চীনের শেনজেন (Shenzhen) শহরের কিছু কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে যারা সস্তা Android ডিভাইস তৈরি ও বিক্রি করে। 📱 কোন কোন ডিভাইস ঝুঁকিতে? অজানা কোম্পানির Android TV Box সস্তা স্মার্ট প্রোজেক্টর ডিজিটাল ফটো ফ্রেম অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট ফ্রি VPN বা ক্লোন অ্যাপ ইনস্টল করা ফোন 🧪 এসব ডিভাইসে Malware প্রি-ইনস্টল করা থাকে, ব্যবহারকারী জানতেই পারে না। ⚠️ কেন ভয়ংকর? ব্যবহারকারীর বাসার IP ব্যবহার করে হ্যাকাররা অন্যকে হ্যাক করতে পারে! Google ও FBI বলেছে, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় Android botnet! ১ কোটি ডিভাইস এর মাধ্যমে Massive Ad Fraud এবং Proxy Network চালানো হচ্ছে! 🔐 আপনি কী করবেন? ✅ অজানা বা ব্র্যান্ডহীন Android ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন ✅ শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডের ফোন/টিভি বক্স কিনুন ✅ ফোনে অজানা অ্যাপ ইনস্টল করবেন না ✅ সেটিংসে গিয়ে ADB Debugging বন্ধ রাখুন ✅ নিজের WiFi ট্রাফিক মনিটর করুন Follow Blackbd #BlackBD #Badbox2 #CyberAwareness #AndroidMalware #CyberSecurity #EthicalHacking #বাংলা_সাইবার_নিউজ
    0 Comments 0 Shares 42 Views
  • সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়।

    ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়।

    তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর।

    ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়।

    ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে।

    জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি।
    #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়। তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর। ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি। #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    0 Comments 0 Shares 47 Views
  • সূর্য এর মা (Sharmin Sathi) আন্টির স্টাটাস...
    Brave Kid
    "আমার ছেলে সূর্য সময়ের একটা ভিডিও দেখলাম। সেখানে সূর্য ওর স্কুল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে।
    এই ভিডিওটা অনেকে হয়তো দেখেছেন। সূর্য কীভাবে বেঁচে গেলো সে কথা বলি। সূর্য রবিবারে ক্লাসে না যাওয়ায় হোমওয়ার্ক ছাড়াই পরের দিন ২১ জুলাই সোমবার ক্লাসে গিয়েছে। সেজন্য ডিটেনশন ক্লাসে ওর ক্লাস টিচার যেতে বলে। ডিটেনশন ক্লাস বলতে যারা হোমওয়ার্ক করে না বা ক্লাসে পড়া দিতে পারে না তাদেরকে ছুটির পরে এক্সট্রা টাইম স্কুলে রেখে পড়া আদায় করে বাসায় পাঠানো হয়।
    সূর্যের ক্লাস টিচার বাপ্পি স্যার সূর্যসহ পাঁচজনকে বলে, তোমরা ওই কর্নারের ক্লাস রুমে যাও। আমি একটু পরে আসছি। সূর্যসহ পাঁচজন একেবারে ভবনের শেষ রুমের আগের রুমে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে বিকট আওয়াজ শুনে সূর্য পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে ওরই ক্লাসরুমের সামনে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। একজন ক্লাস রুম থেকে বের হতে গিয়ে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। ওরা ঘাবড়ে গিয়ে দ্রুত কর্নারের ক্লাস রুমে ঢুকে গেলো।
    ওদের ডিটেনশন রুম পর্যন্ত আগুন পৌঁছোতে পারেনি। রুমের ভেতর আগুনের তাপ এসে তাপমাত্রা ৭০° সেন্টিগ্রেডের মতো ছিল (সূর্যের কথা অনুযায়ী)। সূর্যের মনে হচ্ছিল শরীর তাপে পুড়ে যাচ্ছে। ওরা পাঁচজন জানালার কাছে গিয়ে শ্বাস নেবার চেষ্টা করছিল। কারণ তখন রুমের ভেতর কালো ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলো না। শ্বাস নিতে গেলে মনে হচ্ছিল ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে।
    পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হবার পর সূর্য ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই কয়েকজন ছাত্র ভীড়ের ভেতর থেকে হাত দিয়ে ইশারা করছে ডান দিকে যাবার জন্য। সূর্য ডান দিকে তাকাতেই দেখে ওখানে গ্রিল কেটে একটা বের হবার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ও দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে, আপনারা দাঁড়ান। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে আসছি। সূর্য তাড়াতাড়ি ওর বন্ধুদের ডেকে বাইরে নিয়ে আসলো। এরপর কার্নিশের ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে আগে বন্ধুদের নামার সুযোগ করে দিলো।
    আমার ছেলেকে আমি যে শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি তার যথাযথ ব্যবহার ও করে দেখালো জাতিকে। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার আর কোনো চিন্তা নেই। আমি কখনো ওকে বলিনি, বাবা, তোমাকে এ প্লাস পেতে হবে। কখনো বলিনি তোমাকে ফার্স্ট হতে হবে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম আমার ছেলে সূর্য যেন একজন মানবিক মানুষ হয়।"
    সূর্য এর মা (Sharmin Sathi) আন্টির স্টাটাস... Brave Kid ❤️ "আমার ছেলে সূর্য সময়ের একটা ভিডিও দেখলাম। সেখানে সূর্য ওর স্কুল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে। এই ভিডিওটা অনেকে হয়তো দেখেছেন। সূর্য কীভাবে বেঁচে গেলো সে কথা বলি। সূর্য রবিবারে ক্লাসে না যাওয়ায় হোমওয়ার্ক ছাড়াই পরের দিন ২১ জুলাই সোমবার ক্লাসে গিয়েছে। সেজন্য ডিটেনশন ক্লাসে ওর ক্লাস টিচার যেতে বলে। ডিটেনশন ক্লাস বলতে যারা হোমওয়ার্ক করে না বা ক্লাসে পড়া দিতে পারে না তাদেরকে ছুটির পরে এক্সট্রা টাইম স্কুলে রেখে পড়া আদায় করে বাসায় পাঠানো হয়। সূর্যের ক্লাস টিচার বাপ্পি স্যার সূর্যসহ পাঁচজনকে বলে, তোমরা ওই কর্নারের ক্লাস রুমে যাও। আমি একটু পরে আসছি। সূর্যসহ পাঁচজন একেবারে ভবনের শেষ রুমের আগের রুমে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে বিকট আওয়াজ শুনে সূর্য পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে ওরই ক্লাসরুমের সামনে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। একজন ক্লাস রুম থেকে বের হতে গিয়ে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। ওরা ঘাবড়ে গিয়ে দ্রুত কর্নারের ক্লাস রুমে ঢুকে গেলো। ওদের ডিটেনশন রুম পর্যন্ত আগুন পৌঁছোতে পারেনি। রুমের ভেতর আগুনের তাপ এসে তাপমাত্রা ৭০° সেন্টিগ্রেডের মতো ছিল (সূর্যের কথা অনুযায়ী)। সূর্যের মনে হচ্ছিল শরীর তাপে পুড়ে যাচ্ছে। ওরা পাঁচজন জানালার কাছে গিয়ে শ্বাস নেবার চেষ্টা করছিল। কারণ তখন রুমের ভেতর কালো ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলো না। শ্বাস নিতে গেলে মনে হচ্ছিল ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হবার পর সূর্য ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই কয়েকজন ছাত্র ভীড়ের ভেতর থেকে হাত দিয়ে ইশারা করছে ডান দিকে যাবার জন্য। সূর্য ডান দিকে তাকাতেই দেখে ওখানে গ্রিল কেটে একটা বের হবার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ও দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে, আপনারা দাঁড়ান। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে আসছি। সূর্য তাড়াতাড়ি ওর বন্ধুদের ডেকে বাইরে নিয়ে আসলো। এরপর কার্নিশের ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে আগে বন্ধুদের নামার সুযোগ করে দিলো। আমার ছেলেকে আমি যে শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি তার যথাযথ ব্যবহার ও করে দেখালো জাতিকে। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার আর কোনো চিন্তা নেই। আমি কখনো ওকে বলিনি, বাবা, তোমাকে এ প্লাস পেতে হবে। কখনো বলিনি তোমাকে ফার্স্ট হতে হবে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম আমার ছেলে সূর্য যেন একজন মানবিক মানুষ হয়।"
    0 Comments 0 Shares 38 Views
  • বাইরের সৌন্দর্যচর্চার পাশাপাশি শরীরের ভেতরেরও যত্নের প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজন সুষম ও পুষ্টিকর খাবার। শরীরের ভেতর ও বাইরে—দুটোই ভালো রাখে এমন একটি পানীয় হলো ডাবের পানি।

    চলুন জেনে নেই ডাবের পানি খেলে যেসব উপকার পাবেন —

    #CareBoxLtd #greencoconut #greencoconutwater #greencoconutjuice #greencoconutbenefits
    বাইরের সৌন্দর্যচর্চার পাশাপাশি শরীরের ভেতরেরও যত্নের প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজন সুষম ও পুষ্টিকর খাবার। শরীরের ভেতর ও বাইরে—দুটোই ভালো রাখে এমন একটি পানীয় হলো ডাবের পানি। 🥤☘️ চলুন জেনে নেই ডাবের পানি খেলে যেসব উপকার পাবেন — #CareBoxLtd #greencoconut #greencoconutwater #greencoconutjuice #greencoconutbenefits
    0 Comments 0 Shares 44 Views
  • আলোরনা দুর্গ:
    গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী।

    দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো।

    কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত।

    আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত।

    এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা।

    আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।

    সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান।

    আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত।

    আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ।
    #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    আলোরনা দুর্গ: গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী। দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো। কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত। আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত। এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা। আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান। আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ। #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    0 Comments 0 Shares 48 Views
  • টোলেন্স উপত্যকার নিঃশব্দ যুদ্ধ

    জার্মানির টোলেন্স উপত্যকা। আজ শান্ত আর সবুজে ঘেরা, কিন্তু প্রায় ৩২৫০ বছর আগে এই জায়গাটিই ছিল এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ময়দান।

    ১৯৯৬ সালে স্থানীয় কয়েকজন নদীর পাড়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ দেখতে পান একটি মানুষের হাড়। পরে সেখানে খনন শুরু হলে বেরিয়ে আসে এক চমকে দেওয়া ইতিহাস।

    পাওয়া যায় ১২,৫০০টি হাড়, ৩০০টিরও বেশি ব্রোঞ্জের অস্ত্র—তীর, তলোয়ার, ধনুক। আশ্চর্যের ব্যাপার, অনেক অস্ত্র এখনো কঙ্কালের মাথার খুলির মধ্যে আটকে আছে। স্পষ্ট বোঝা যায়, সেগুলোর আঘাতেই মৃত্যু হয়েছিল সেইসব যোদ্ধাদের।

    গবেষকদের ধারণা, খ্রিস্টপূর্ব ১২৫০ সালের দিকে এখানে বড় ধরনের একটি সংঘর্ষ হয়েছিল, সম্ভবত কোনো অঞ্চল বা নদী দখলের লড়াই।

    আজ টোলেন্স উপত্যকা নীরব। কিন্তু সেই নিঃশব্দতার নিচে লুকিয়ে আছে এক হারিয়ে যাওয়া যুদ্ধের অমোচনীয় ছাপ।

    Note এই ৩,০০০ বছরের পুরনো তীরগুলি 'ইউরোপের প্রাচীনতম যুদ্ধক্ষেত্রের' রহস্যের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। এ বিষয়ে যদিও কোনও লিখিত রেকর্ড নেই, তবে এই খুলি বা তীরগুলি নতুন গবেষণার জন্য খ্রিস্টপূর্ব ১৩ শতকে উত্তর জার্মানিতে সংঘটিত যুদ্ধের মূল পথনির্দেশক l
    https://www.smithsonianmag.com/smart-news/these-3000-year-old-arrowheads-are-pivotal-clues-in-the-mystery-of-europes-oldest-known-battlefield-180985142/
    Rabab Ahmed
    Stay Curious SIS
    টোলেন্স উপত্যকার নিঃশব্দ যুদ্ধ 🔷 জার্মানির টোলেন্স উপত্যকা। আজ শান্ত আর সবুজে ঘেরা, কিন্তু প্রায় ৩২৫০ বছর আগে এই জায়গাটিই ছিল এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ময়দান। ১৯৯৬ সালে স্থানীয় কয়েকজন নদীর পাড়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ দেখতে পান একটি মানুষের হাড়। পরে সেখানে খনন শুরু হলে বেরিয়ে আসে এক চমকে দেওয়া ইতিহাস। পাওয়া যায় ১২,৫০০টি হাড়, ৩০০টিরও বেশি ব্রোঞ্জের অস্ত্র—তীর, তলোয়ার, ধনুক। আশ্চর্যের ব্যাপার, অনেক অস্ত্র এখনো কঙ্কালের মাথার খুলির মধ্যে আটকে আছে। স্পষ্ট বোঝা যায়, সেগুলোর আঘাতেই মৃত্যু হয়েছিল সেইসব যোদ্ধাদের। গবেষকদের ধারণা, খ্রিস্টপূর্ব ১২৫০ সালের দিকে এখানে বড় ধরনের একটি সংঘর্ষ হয়েছিল, সম্ভবত কোনো অঞ্চল বা নদী দখলের লড়াই। আজ টোলেন্স উপত্যকা নীরব। কিন্তু সেই নিঃশব্দতার নিচে লুকিয়ে আছে এক হারিয়ে যাওয়া যুদ্ধের অমোচনীয় ছাপ। Note 🔷এই ৩,০০০ বছরের পুরনো তীরগুলি 'ইউরোপের প্রাচীনতম যুদ্ধক্ষেত্রের' রহস্যের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। এ বিষয়ে যদিও কোনও লিখিত রেকর্ড নেই, তবে এই খুলি বা তীরগুলি নতুন গবেষণার জন্য খ্রিস্টপূর্ব ১৩ শতকে উত্তর জার্মানিতে সংঘটিত যুদ্ধের মূল পথনির্দেশক l 🌷🟥 https://www.smithsonianmag.com/smart-news/these-3000-year-old-arrowheads-are-pivotal-clues-in-the-mystery-of-europes-oldest-known-battlefield-180985142/ Rabab Ahmed Stay Curious SIS
    0 Comments 0 Shares 62 Views
  • উল কাঁটা বিশ্বযুদ্ধের(World War) সাক্ষী!
    না, যুদ্ধ করে রক্তারক্তির সাক্ষী উল কাঁটা
    নয়, এই যুগলবন্দি ছিল সেনাদের গুপ্তচর
    (Spy) আর কোডের বাহক হিসেবে।

    যুদ্ধকালীন সময়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সেনাদের পোশাক সরবরাহ করতেন ঘরের মায়েরা। সোয়েটার, টুপি, মজা বুনে প্রায়ই পাঠাতেন তাঁরা। কিন্তু এই শীতপোশাকগুলি যে শুধুই শীতপোশাক ছিল, তা কিন্তু নয়। আসলে এই সব বুননের মধ্যে ফুটে ওঠা নকশাগুলি ছিল এক-একটা কোড, খবর ব্যাপারটা বলতে পারেন আজকের দিনের স্টেনগ্রাফির মত। স্টেনগ্রাফি বা শর্টহ্যান্ডে যেমন যে কোনও তথ্য স্বল্প সময়ে মাত্র কয়েকটি কোডের মাধ্যমে একটা বড় লাইন লিখে ফেলা যায়, এই শীতপোশাকের উপর বুননের নকশাটাও ছিল আসলে এইরকম। এক-একটা নকশা আসলে খবর হয়ে পৌঁছে যেত দেশীয় সেনাদের কাছে। আর এই কোড যে শুধু মহিলা বা সেনারাই জানতেন তা কিন্তু নয়। বাচ্চা থেকে শুরু করে মুমূর্ষু রোগী সবাইকেই শিখিয়ে দেওয়া হত এই কোড।

    এই উল বোনা নিয়ে একটা দারুণ গল্পও শোনা যায়। মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফিলাদেলফিয়ার বাসিন্দা মলি নামের এক গৃহবধূ দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। একদিন মলির বাড়িতে হামলা করে ইংরেজ সেনা। বাড়িতে মলিকে আটকে রেখে সবাইকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে। মলিকে তারা রেখেছিল তাদের সেবা করার জন্য। মলি তাতে ঘাবড়ে না গিয়ে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ফেলে। কাজ করতে করতে সেনাদের সব কথা সে শুনতে থাকে। আর সেই সব তথ্য কাগজে লিখে সেই কাগজ মুড়িয়ে তাকে পুরে ফেলত উলের গোলার ভিতরে। সেই গোলা পাচার করে দিত বাইরে, দেশীয় সেনাদের কাছে।

    এই রকম আরও একটা গল্প প্রচলন আছে ল্যাভেঙ্গেল নামে এক ফরাসি মহিলাকে নিয়ে। তার দোতলার ঘরের জানলার পাশে বসে সারাদিন ধরে উল বুনতেন তিনি। আর বাইরের দিকে নজর রাখতেন জার্মান সেনাদের উপরে। তার ঘরের ঠিক নীচের ঘরটাতেই গোপনে থাকত কিছু বিপ্লবী কিশোর কিশোরী। ল্যাভেঙ্গেল ও ওই বিপ্লবীদের মধ্যে কিছু কোড তৈরি ছিল। ম্যাডাম মেঝেতে পা ঠুকে ঠুকে সেই শব্দ কোডের মাধ্যমে খবর পৌঁছে দিত নীচের তলায়। জার্মান সেনারা এইসব গুপ্তচরদের টিকিও ছুঁতে পারেনি কোনও দিন।
    এলিজাবেথ বেন্টলে নামে এক মার্কিন গুপ্তচর এই উল কাঁটাকে হাতিয়ার করেই দুটো গুপ্তচর সংস্থা চালাতেন। কিছু মহিলাও ছিলেন তাঁর দলে। যাঁদের কাজই ছিল ট্রেনের কামরায় বসে উল কাঁটা বুনতে থাকা আর রেলে মার্কিন সেনাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করা। তারপর সেই খবর বুননের মাধ্যমে বিভিন্ন কোডের মাধ্যমে লিখে দিত শীত পোশাকের গায়ে।
    সুত্র...আমেজিং ফ্যাক্টস
    উল কাঁটা বিশ্বযুদ্ধের(World War) সাক্ষী! না, যুদ্ধ করে রক্তারক্তির সাক্ষী উল কাঁটা নয়, এই যুগলবন্দি ছিল সেনাদের গুপ্তচর (Spy) আর কোডের বাহক হিসেবে। যুদ্ধকালীন সময়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সেনাদের পোশাক সরবরাহ করতেন ঘরের মায়েরা। সোয়েটার, টুপি, মজা বুনে প্রায়ই পাঠাতেন তাঁরা। কিন্তু এই শীতপোশাকগুলি যে শুধুই শীতপোশাক ছিল, তা কিন্তু নয়। আসলে এই সব বুননের মধ্যে ফুটে ওঠা নকশাগুলি ছিল এক-একটা কোড, খবর ব্যাপারটা বলতে পারেন আজকের দিনের স্টেনগ্রাফির মত। স্টেনগ্রাফি বা শর্টহ্যান্ডে যেমন যে কোনও তথ্য স্বল্প সময়ে মাত্র কয়েকটি কোডের মাধ্যমে একটা বড় লাইন লিখে ফেলা যায়, এই শীতপোশাকের উপর বুননের নকশাটাও ছিল আসলে এইরকম। এক-একটা নকশা আসলে খবর হয়ে পৌঁছে যেত দেশীয় সেনাদের কাছে। আর এই কোড যে শুধু মহিলা বা সেনারাই জানতেন তা কিন্তু নয়। বাচ্চা থেকে শুরু করে মুমূর্ষু রোগী সবাইকেই শিখিয়ে দেওয়া হত এই কোড। এই উল বোনা নিয়ে একটা দারুণ গল্পও শোনা যায়। মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফিলাদেলফিয়ার বাসিন্দা মলি নামের এক গৃহবধূ দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। একদিন মলির বাড়িতে হামলা করে ইংরেজ সেনা। বাড়িতে মলিকে আটকে রেখে সবাইকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে। মলিকে তারা রেখেছিল তাদের সেবা করার জন্য। মলি তাতে ঘাবড়ে না গিয়ে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ফেলে। কাজ করতে করতে সেনাদের সব কথা সে শুনতে থাকে। আর সেই সব তথ্য কাগজে লিখে সেই কাগজ মুড়িয়ে তাকে পুরে ফেলত উলের গোলার ভিতরে। সেই গোলা পাচার করে দিত বাইরে, দেশীয় সেনাদের কাছে। এই রকম আরও একটা গল্প প্রচলন আছে ল্যাভেঙ্গেল নামে এক ফরাসি মহিলাকে নিয়ে। তার দোতলার ঘরের জানলার পাশে বসে সারাদিন ধরে উল বুনতেন তিনি। আর বাইরের দিকে নজর রাখতেন জার্মান সেনাদের উপরে। তার ঘরের ঠিক নীচের ঘরটাতেই গোপনে থাকত কিছু বিপ্লবী কিশোর কিশোরী। ল্যাভেঙ্গেল ও ওই বিপ্লবীদের মধ্যে কিছু কোড তৈরি ছিল। ম্যাডাম মেঝেতে পা ঠুকে ঠুকে সেই শব্দ কোডের মাধ্যমে খবর পৌঁছে দিত নীচের তলায়। জার্মান সেনারা এইসব গুপ্তচরদের টিকিও ছুঁতে পারেনি কোনও দিন। এলিজাবেথ বেন্টলে নামে এক মার্কিন গুপ্তচর এই উল কাঁটাকে হাতিয়ার করেই দুটো গুপ্তচর সংস্থা চালাতেন। কিছু মহিলাও ছিলেন তাঁর দলে। যাঁদের কাজই ছিল ট্রেনের কামরায় বসে উল কাঁটা বুনতে থাকা আর রেলে মার্কিন সেনাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করা। তারপর সেই খবর বুননের মাধ্যমে বিভিন্ন কোডের মাধ্যমে লিখে দিত শীত পোশাকের গায়ে। সুত্র...আমেজিং ফ্যাক্টস
    0 Comments 0 Shares 48 Views
  • হরিতকি পাতার ও ফলের ৫০টি গুণাগুণ ও ব্যাখ্যা

    শরীরের ভিতরের যত্নে (Internal Health Benefits):

    1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: হরিতকি গুঁড়া রাতে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।

    2. হজমশক্তি বাড়ায়: খাওয়ার পরে হরিতকি খেলে খাবার সহজে হজম হয়।

    3. গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল কমায়: পেটের এসিড ব্যালান্স করে।

    4. লিভার সুস্থ রাখে: লিভারের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে।

    5. রক্ত পরিশোধন করে: শরীরের টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করে।

    6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।

    7. কোলেস্টেরল কমায়: খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

    8. ওজন কমাতে সাহায্য করে: বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে মেদ ঝরে।

    9. বমি ভাব কমায়: পেট ঠান্ডা করে বমি বমি ভাব দূর করে।

    10. শরীরে শক্তি জোগায়: নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয়।

    রোগ প্রতিরোধে (Immunity & Infection):

    11. ইমিউনিটি বাড়ায়: সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।

    12. কাশি ও সর্দি কমায়: গলায় কফ কমায় ও স্বস্তি দেয়।

    13. ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী: পাতার রস বা বাটা কণ্ঠনালীকে প্রশমিত করে।

    14. গলার ব্যথা উপশম করে: গরম জলে পাতার রস মিশিয়ে গার্গল করুন।

    15. জ্বর কমায়: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

    16. অ্যালার্জি রোধ করে: অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করে।

    17. ফুসফুসের যত্ন নেয়: শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে।

    18. হাঁপানিতে উপকারী: শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে।

    19. পাইলস ও ফিস্টুলা উপকারী: বাওয়েল মুভমেন্ট সহজ করে।

    20. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।

    মানসিক স্বাস্থ্যে (Mind & Nerve):

    21. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্নায়ু সতেজ রাখে ও মনোযোগ বাড়ায়।

    22. ঘুমের সমস্যা দূর করে: রাতে খেলে ঘুম ভালো হয়।

    23. স্ট্রেস কমায়: মানসিক প্রশান্তি আনে।

    24. মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে: অতিরিক্ত উত্তেজনা কমায়।

    25. মাইগ্রেন উপশমে কার্যকর: মাথা ব্যথা কমায় নিয়মিত খেলে।

    চুল ও ত্বকের যত্নে (Beauty & Hair):

    26. চুল পড়া কমায়: চুলের গোড়া মজবুত করে।

    27. খুশকি দূর করে: স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে।

    28. চুল ঘন করে: প্যাক হিসেবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

    29. ব্রণ কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে।

    30. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

    31. চুলের আগা ফাটা কমায়: তেলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

    32. ফোড়া ঘা শুকায়: পাতার পেস্ট ঘায়ের উপর লাগান।

    33. চুল কালো করে: নিয়মিত ব্যবহারে স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে।

    34. চুলে চকমক ভাব আনে: হরিতকি প্যাক দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝলমলে হয়।

    35. ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায়: আক্রান্ত স্থানে পাতা বাটা লাগান।

    মুখ ও দাঁতের যত্নে (Oral Care):

    36. মাড়ির রক্ত পড়া কমায়: হরিতকি গুঁড়া দিয়ে কুলকুচি করুন।

    37. দাঁতের ব্যথা উপশম করে: গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করুন হালকা করে।

    38. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করুন।

    39. ক্যানকার সোর কমায়: পাতার রস তুলোয় নিয়ে লাগান।

    40. দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা দূর করে: হরিতকি গুঁড়ার কুলকুচি সাহায্য করে।

    পেট ও হজমতন্ত্রের যত্নে (Digestive Health):

    41. বদহজম দূর করে: খাওয়ার পর অল্প হরিতকি খেলে উপকার মেলে।

    42. গ্যাস কমায়: পেট ফাঁপা হলে হরিতকি উপকারী।

    43. ডায়রিয়ায় উপকারী: পাতার রস সামান্য হালকা করে খাওয়ানো যেতে পারে।

    44. পেট ব্যথা উপশম করে: সেদ্ধ পানি পান করলে আরাম মেলে।

    45. অজীর্ণতা দূর করে: অতিরিক্ত খাওয়ার পর হরিতকি খেলে হজম সহজ হয়।

    বিভিন্ন সাধারণ উপকারিতা (General Benefits):

    46. বয়সের ছাপ কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে।

    47. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম থাকার কারণে।

    48. জীবনীশক্তি বাড়ায়: দুর্বল শরীরে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে।

    49. মাংসপেশি শক্ত করে: শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

    50. প্রাকৃতিক টনিক: প্রতিদিন খেলে পুরো শরীর সতেজ থাকে।

    ব্যবহার ও খাওয়ার ফর্মুলা (Usage Formula):

    পাতা:

    1. পাতার রস: ৫–৬টি পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান।

    2. পাতা সেদ্ধ: ঠান্ডা/গলা ব্যথায় পানির সঙ্গে সেদ্ধ করে গার্গল করুন।

    3. চর্মরোগে: পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান দিনে ২ বার।

    4. মুখের যত্নে: পাতার রস কুলকুচি হিসেবে ব্যবহার করুন।

    ফল/গুঁড়া:

    1. কোষ্ঠকাঠিন্য/পেট: ১ চা চামচ হরিতকি গুঁড়া রাতে গরম পানির সাথে।

    2. ডায়াবেটিস: সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ হরিতকি গুঁড়া।

    3. ত্বকের জন্য: মধু + হরিতকি গুঁড়া + গোলাপ জল = ফেসপ্যাক

    4. চুলের যত্নে: নারকেল তেলে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান।

    Haritaki - Nature’s Secret for Total Wellness!
    প্রতিদিন ১ চামচ হরিতকি = পেট, চুল, ত্বক, মন ও শক্তির যত্ন একসাথে!
    এখনই শুরু করুন আপনার হেলদি লাইফের যাত্রা!

    #HaritakiBenefits #HerbalPower #NaturalWellness #HolisticHealing #DetoxNaturally #AyurvedicRemedy #HealthyFromWithin #PlantBasedHealing #AncientMedicine #RashidasRemedies #GreenHealthTips #DailyDetox #ImmunityBoost #SkincareNaturally #HairCareWithNature
    🌿 হরিতকি পাতার ও ফলের ৫০টি গুণাগুণ ও ব্যাখ্যা 🩺 শরীরের ভিতরের যত্নে (Internal Health Benefits): 1. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: হরিতকি গুঁড়া রাতে খেলে পেট পরিষ্কার হয়। 2. হজমশক্তি বাড়ায়: খাওয়ার পরে হরিতকি খেলে খাবার সহজে হজম হয়। 3. গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল কমায়: পেটের এসিড ব্যালান্স করে। 4. লিভার সুস্থ রাখে: লিভারের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে। 5. রক্ত পরিশোধন করে: শরীরের টক্সিন দূর করে রক্ত বিশুদ্ধ করে। 6. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। 7. কোলেস্টেরল কমায়: খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। 8. ওজন কমাতে সাহায্য করে: বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে মেদ ঝরে। 9. বমি ভাব কমায়: পেট ঠান্ডা করে বমি বমি ভাব দূর করে। 10. শরীরে শক্তি জোগায়: নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয়। 😷 রোগ প্রতিরোধে (Immunity & Infection): 11. ইমিউনিটি বাড়ায়: সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। 12. কাশি ও সর্দি কমায়: গলায় কফ কমায় ও স্বস্তি দেয়। 13. ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় উপকারী: পাতার রস বা বাটা কণ্ঠনালীকে প্রশমিত করে। 14. গলার ব্যথা উপশম করে: গরম জলে পাতার রস মিশিয়ে গার্গল করুন। 15. জ্বর কমায়: শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। 16. অ্যালার্জি রোধ করে: অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করে। 17. ফুসফুসের যত্ন নেয়: শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে। 18. হাঁপানিতে উপকারী: শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে। 19. পাইলস ও ফিস্টুলা উপকারী: বাওয়েল মুভমেন্ট সহজ করে। 20. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। 🧠 মানসিক স্বাস্থ্যে (Mind & Nerve): 21. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্নায়ু সতেজ রাখে ও মনোযোগ বাড়ায়। 22. ঘুমের সমস্যা দূর করে: রাতে খেলে ঘুম ভালো হয়। 23. স্ট্রেস কমায়: মানসিক প্রশান্তি আনে। 24. মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে: অতিরিক্ত উত্তেজনা কমায়। 25. মাইগ্রেন উপশমে কার্যকর: মাথা ব্যথা কমায় নিয়মিত খেলে। 💇‍♀️ চুল ও ত্বকের যত্নে (Beauty & Hair): 26. চুল পড়া কমায়: চুলের গোড়া মজবুত করে। 27. খুশকি দূর করে: স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে। 28. চুল ঘন করে: প্যাক হিসেবে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। 29. ব্রণ কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। 30. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: ফেসপ্যাকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। 31. চুলের আগা ফাটা কমায়: তেলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। 32. ফোড়া ঘা শুকায়: পাতার পেস্ট ঘায়ের উপর লাগান। 33. চুল কালো করে: নিয়মিত ব্যবহারে স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকে। 34. চুলে চকমক ভাব আনে: হরিতকি প্যাক দিয়ে মাথা ধুলে চুল ঝলমলে হয়। 35. ত্বকের জ্বালা-পোড়া কমায়: আক্রান্ত স্থানে পাতা বাটা লাগান। 🦷 মুখ ও দাঁতের যত্নে (Oral Care): 36. মাড়ির রক্ত পড়া কমায়: হরিতকি গুঁড়া দিয়ে কুলকুচি করুন। 37. দাঁতের ব্যথা উপশম করে: গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করুন হালকা করে। 38. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: পাতা সিদ্ধ করে কুলকুচি করুন। 39. ক্যানকার সোর কমায়: পাতার রস তুলোয় নিয়ে লাগান। 40. দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা দূর করে: হরিতকি গুঁড়ার কুলকুচি সাহায্য করে। 🍽️ পেট ও হজমতন্ত্রের যত্নে (Digestive Health): 41. বদহজম দূর করে: খাওয়ার পর অল্প হরিতকি খেলে উপকার মেলে। 42. গ্যাস কমায়: পেট ফাঁপা হলে হরিতকি উপকারী। 43. ডায়রিয়ায় উপকারী: পাতার রস সামান্য হালকা করে খাওয়ানো যেতে পারে। 44. পেট ব্যথা উপশম করে: সেদ্ধ পানি পান করলে আরাম মেলে। 45. অজীর্ণতা দূর করে: অতিরিক্ত খাওয়ার পর হরিতকি খেলে হজম সহজ হয়। 🌿 বিভিন্ন সাধারণ উপকারিতা (General Benefits): 46. বয়সের ছাপ কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে। 47. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাশিয়াম থাকার কারণে। 48. জীবনীশক্তি বাড়ায়: দুর্বল শরীরে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে। 49. মাংসপেশি শক্ত করে: শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়। 50. প্রাকৃতিক টনিক: প্রতিদিন খেলে পুরো শরীর সতেজ থাকে। 🥄 ব্যবহার ও খাওয়ার ফর্মুলা (Usage Formula): 🟩 পাতা: 1. পাতার রস: ৫–৬টি পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান। 2. পাতা সেদ্ধ: ঠান্ডা/গলা ব্যথায় পানির সঙ্গে সেদ্ধ করে গার্গল করুন। 3. চর্মরোগে: পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান দিনে ২ বার। 4. মুখের যত্নে: পাতার রস কুলকুচি হিসেবে ব্যবহার করুন। 🟨 ফল/গুঁড়া: 1. কোষ্ঠকাঠিন্য/পেট: ১ চা চামচ হরিতকি গুঁড়া রাতে গরম পানির সাথে। 2. ডায়াবেটিস: সকালে খালি পেটে আধা চা চামচ হরিতকি গুঁড়া। 3. ত্বকের জন্য: মধু + হরিতকি গুঁড়া + গোলাপ জল = ফেসপ্যাক 4. চুলের যত্নে: নারকেল তেলে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। 🌿 Haritaki - Nature’s Secret for Total Wellness! প্রতিদিন ১ চামচ হরিতকি = পেট, চুল, ত্বক, মন ও শক্তির যত্ন একসাথে! 🧠💪 এখনই শুরু করুন আপনার হেলদি লাইফের যাত্রা! 🍀 #HaritakiBenefits #HerbalPower #NaturalWellness #HolisticHealing #DetoxNaturally #AyurvedicRemedy #HealthyFromWithin #PlantBasedHealing #AncientMedicine #RashidasRemedies #GreenHealthTips #DailyDetox #ImmunityBoost #SkincareNaturally #HairCareWithNature
    0 Comments 0 Shares 80 Views
  • সম্প্রতি ২৫ বছর বয়সী এক জাপানি যুবককে নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত স্মার্টফোন গেমিংয়ের কারণে তিনি এক বিরল ও মারাত্মক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন – যার নাম 'ড্রপড হেড সিন্ড্রোম' (Dropped Head Syndrome)।
    এই যুবক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথা নিচু করে ফোন দেখতেন, বিশেষ করে মোবাইল গেম খেলার সময়। এর ফলে তার ঘাড়ের পেশী এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তিনি আর মাথা সোজা করে রাখতে পারছিলেন না। তার ঘাড়ের পেছনে একটি স্পষ্ট স্ফীতি দেখা দেয় এবং এক্স-রেতে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো বিকৃত ও স্থানচ্যুত হওয়ার প্রমাণ মেলে। এমনকি তার গিলতেও সমস্যা হচ্ছিল, যার ফলে ওজনও কমে যায়।
    সাধারণত, ‘ড্রপড হেড সিন্ড্রোম’ স্নায়বিক বা পেশী সংক্রান্ত গুরুতর রোগের কারণে হয়, যেখানে ঘাড়ের পেশীগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে মাথা বুকের উপর ঝুঁকে থাকে। কিন্তু এই যুবকের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে দীর্ঘদিনের ভুল ভঙ্গিমার কারণে, যাকে চিকিৎসকরা ‘পোস্টুরাল ডিএইচএস’ (Postural DHS) বলছেন।
    কেন এমন হয়?
    আমাদের মাথার ওজন প্রায় ৪.৫-৫.৪ কেজি। কিন্তু যখন আমরা ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা নিচু করে স্মার্টফোন দেখি, তখন ঘাড়ের উপর প্রায় ২৭ কেজি (৬০ পাউন্ড) চাপ পড়ে! ভাবুন তো, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার ঘাড় একজন ৮ বছরের শিশুকে বহন করছে! এই দীর্ঘস্থায়ী চাপ মেরুদণ্ডের হাড়ের বিকৃতি, স্কার টিস্যু তৈরি এবং মারাত্মক ব্যথার কারণ হতে পারে।
    এই জাপানি যুবককে তার মাথা সোজা করার জন্য একাধিক জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তার মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অপসারণ করে ধাতব রড ও স্ক্রু বসানো হয়েছে।
    এই ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও, এর অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ‘টেক নেক’ (Tech Neck) এখন একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা।
    নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে?
    ১. ২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারের
    পর, ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকান।
    ২. ফোন বা ট্যাবলেট চোখের স্তরে রাখুন, প্রয়োজনে
    স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন।
    ৩. ঘাড়ের ব্যায়াম: ঘাড়ের পেশী শক্তিশালী করার
    ব্যায়াম করুন।
    ৪. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: বিশেষ করে দীর্ঘ গেমিং
    বা পড়ার সেশনগুলো ছোট ছোট বিরতি দিয়ে
    করুন।
    সম্প্রতি ২৫ বছর বয়সী এক জাপানি যুবককে নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত স্মার্টফোন গেমিংয়ের কারণে তিনি এক বিরল ও মারাত্মক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন – যার নাম 'ড্রপড হেড সিন্ড্রোম' (Dropped Head Syndrome)। এই যুবক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথা নিচু করে ফোন দেখতেন, বিশেষ করে মোবাইল গেম খেলার সময়। এর ফলে তার ঘাড়ের পেশী এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তিনি আর মাথা সোজা করে রাখতে পারছিলেন না। তার ঘাড়ের পেছনে একটি স্পষ্ট স্ফীতি দেখা দেয় এবং এক্স-রেতে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো বিকৃত ও স্থানচ্যুত হওয়ার প্রমাণ মেলে। এমনকি তার গিলতেও সমস্যা হচ্ছিল, যার ফলে ওজনও কমে যায়। সাধারণত, ‘ড্রপড হেড সিন্ড্রোম’ স্নায়বিক বা পেশী সংক্রান্ত গুরুতর রোগের কারণে হয়, যেখানে ঘাড়ের পেশীগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে মাথা বুকের উপর ঝুঁকে থাকে। কিন্তু এই যুবকের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে দীর্ঘদিনের ভুল ভঙ্গিমার কারণে, যাকে চিকিৎসকরা ‘পোস্টুরাল ডিএইচএস’ (Postural DHS) বলছেন। কেন এমন হয়? আমাদের মাথার ওজন প্রায় ৪.৫-৫.৪ কেজি। কিন্তু যখন আমরা ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা নিচু করে স্মার্টফোন দেখি, তখন ঘাড়ের উপর প্রায় ২৭ কেজি (৬০ পাউন্ড) চাপ পড়ে! ভাবুন তো, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার ঘাড় একজন ৮ বছরের শিশুকে বহন করছে! এই দীর্ঘস্থায়ী চাপ মেরুদণ্ডের হাড়ের বিকৃতি, স্কার টিস্যু তৈরি এবং মারাত্মক ব্যথার কারণ হতে পারে। এই জাপানি যুবককে তার মাথা সোজা করার জন্য একাধিক জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তার মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অপসারণ করে ধাতব রড ও স্ক্রু বসানো হয়েছে। এই ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও, এর অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ‘টেক নেক’ (Tech Neck) এখন একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা। নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? ১. ২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারের পর, ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকান। ২. ফোন বা ট্যাবলেট চোখের স্তরে রাখুন, প্রয়োজনে স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন। ৩. ঘাড়ের ব্যায়াম: ঘাড়ের পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম করুন। ৪. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: বিশেষ করে দীর্ঘ গেমিং বা পড়ার সেশনগুলো ছোট ছোট বিরতি দিয়ে করুন।
    0 Comments 0 Shares 49 Views
  • এবার স্টকহোমের রাস্তাঘাট কিংবা সুইডেনের বন্যা প্রতিরোধ ব্যারিয়ার সবখানেই এখন পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার হচ্ছে এক ধরনের অত্যাধুনিক কংক্রিট, যেটি কিনা নিজে থেকেই নিজের ফাটল সারিয়ে নিতে পারে। মানে কংক্রিটে কোথাও ফাটল হলে নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায় সেই ফাটল ! ব্যাকটেরিয়া দিয়ে তৈরি এই ‘হিলিং কংক্রিট’ যেন ভবিষ্যতের অবকাঠামোগত বিপ্লবের এক জীবন্ত নমুনা।

    এই কংক্রিটে সুপ্ত অবস্থায় মিশিয়ে রাখা হয় Bacillus pseudofirmus নামের এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া, যেগুলো উচ্চ pH-এর পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে। যখন কংক্রিটে ফাটল ধরে এবং তার ভিতর পানি প্রবেশ করে, তখন ব্যাকটেরিয়াগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা কংক্রিটে থাকা ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট খেয়ে উৎপন্ন করে চুনাপাথর (লিমেস্টোন), যা ফাটলের ভিতর জমা হয়ে অটোমেটিক্যালি ফাটল বন্ধ করে দেয়। এখন হয়তো আপনার মনে হতে পারে এই চুনাপাথর হয়তো অতটা মজবুত না । তবে আসলে এটি এতটাই মজবুত যে আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ আপনার থেকে অনেক গুণ বেশি শক্তিশালী ও মজবুত ।

    পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই জীবন্ত কংক্রিট মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে ০.৮ মিলিমিটার পর্যন্ত ফাটল পুরোপুরি বন্ধ করতে সক্ষম তাও আবার পানিরোধকভাবে। সাধারণ কংক্রিট যেখানে বারবার রক্ষণাবেক্ষণ ও লেপন প্রয়োজন, সেখানে এই নতুন কংক্রিট প্রাকৃতিকভাবে নিজেই নিজেকে সারিয়ে তোলে।

    এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় লাভ হলো স্থায়িত্ব। প্রকৌশলীরা বলছেন, এই কংক্রিট ব্যবহার করে নির্মিত ভবনগুলো ২০০ বছর বা তারও বেশি স্থায়ী হতে পারে। যার অর্থ কম মেরামত, কম খরচ, কম বর্জ্য।

    ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন দেশে এই প্রযুক্তির জন্য অর্থায়ন করছে এবং ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
    এবার স্টকহোমের রাস্তাঘাট কিংবা সুইডেনের বন্যা প্রতিরোধ ব্যারিয়ার সবখানেই এখন পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার হচ্ছে এক ধরনের অত্যাধুনিক কংক্রিট, যেটি কিনা নিজে থেকেই নিজের ফাটল সারিয়ে নিতে পারে। মানে কংক্রিটে কোথাও ফাটল হলে নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায় সেই ফাটল ! ব্যাকটেরিয়া দিয়ে তৈরি এই ‘হিলিং কংক্রিট’ যেন ভবিষ্যতের অবকাঠামোগত বিপ্লবের এক জীবন্ত নমুনা। এই কংক্রিটে সুপ্ত অবস্থায় মিশিয়ে রাখা হয় Bacillus pseudofirmus নামের এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া, যেগুলো উচ্চ pH-এর পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে। যখন কংক্রিটে ফাটল ধরে এবং তার ভিতর পানি প্রবেশ করে, তখন ব্যাকটেরিয়াগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা কংক্রিটে থাকা ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট খেয়ে উৎপন্ন করে চুনাপাথর (লিমেস্টোন), যা ফাটলের ভিতর জমা হয়ে অটোমেটিক্যালি ফাটল বন্ধ করে দেয়। এখন হয়তো আপনার মনে হতে পারে এই চুনাপাথর হয়তো অতটা মজবুত না । তবে আসলে এটি এতটাই মজবুত যে আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ আপনার থেকে অনেক গুণ বেশি শক্তিশালী ও মজবুত । পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই জীবন্ত কংক্রিট মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে ০.৮ মিলিমিটার পর্যন্ত ফাটল পুরোপুরি বন্ধ করতে সক্ষম তাও আবার পানিরোধকভাবে। সাধারণ কংক্রিট যেখানে বারবার রক্ষণাবেক্ষণ ও লেপন প্রয়োজন, সেখানে এই নতুন কংক্রিট প্রাকৃতিকভাবে নিজেই নিজেকে সারিয়ে তোলে। এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় লাভ হলো স্থায়িত্ব। প্রকৌশলীরা বলছেন, এই কংক্রিট ব্যবহার করে নির্মিত ভবনগুলো ২০০ বছর বা তারও বেশি স্থায়ী হতে পারে। যার অর্থ কম মেরামত, কম খরচ, কম বর্জ্য। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন দেশে এই প্রযুক্তির জন্য অর্থায়ন করছে এবং ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
    0 Comments 0 Shares 51 Views
  • শুধু শুনলে হবে না, বোঝার জন্য শুনুন।

    অনেক সময় আমরা কথোপকথনে থাকলেও, মনটা অন্য কোথাও থাকে। কেউ কিছু বলছে, আমরা মাথা নাড়ছি, “হুম হুম” বলছি—কিন্তু আদৌ কি আমরা শুনছি?

    Stanford Communication Lab বলছে, মানুষ তখনই সত্যিকারের "connect" করে, যখন আপনি intentional listening করেন। অর্থাৎ, আপনি মন দিয়ে, বুঝে শুনছেন।

    শুধু প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য না, বরং বুঝে follow-up করা—সেটাই সম্পর্কের আসল জায়গা।

    ভাবুন একবার:

    বন্ধু বলছে—
    “গত কিছুদিন ধরে কিছুই ভালো লাগছে না।”
    আপনি বললেন—
    “তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে তুমি চিন্তিত, ঠিক বলছি তো?”

    এই একটা প্রশ্ন, একটা বুঝে শোনা—ওই মানুষটার উপর কতখানি প্রভাব ফেলতে পারে, ভাবতে পারছেন?

    আমরা যদি সবাই একটু বুঝে শুনি, তাহলে অনেক সম্পর্ক হয়তো ভাঙত না।
    অনেক কষ্ট হয়তো ভাগাভাগি হয়ে কমে যেত।

    তাই বলি,
    শুধু শুনবেন না—মন দিয়ে, বুঝে শুনুন।
    সেই শোনাই একটা সম্পর্কের শুরু হতে পারে।
    শুধু শুনলে হবে না, বোঝার জন্য শুনুন। অনেক সময় আমরা কথোপকথনে থাকলেও, মনটা অন্য কোথাও থাকে। কেউ কিছু বলছে, আমরা মাথা নাড়ছি, “হুম হুম” বলছি—কিন্তু আদৌ কি আমরা শুনছি? Stanford Communication Lab বলছে, মানুষ তখনই সত্যিকারের "connect" করে, যখন আপনি intentional listening করেন। অর্থাৎ, আপনি মন দিয়ে, বুঝে শুনছেন। শুধু প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য না, বরং বুঝে follow-up করা—সেটাই সম্পর্কের আসল জায়গা। ভাবুন একবার: বন্ধু বলছে— “গত কিছুদিন ধরে কিছুই ভালো লাগছে না।” আপনি বললেন— “তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে তুমি চিন্তিত, ঠিক বলছি তো?” এই একটা প্রশ্ন, একটা বুঝে শোনা—ওই মানুষটার উপর কতখানি প্রভাব ফেলতে পারে, ভাবতে পারছেন? আমরা যদি সবাই একটু বুঝে শুনি, তাহলে অনেক সম্পর্ক হয়তো ভাঙত না। অনেক কষ্ট হয়তো ভাগাভাগি হয়ে কমে যেত। তাই বলি, শুধু শুনবেন না—মন দিয়ে, বুঝে শুনুন। সেই শোনাই একটা সম্পর্কের শুরু হতে পারে।
    0 Comments 0 Shares 32 Views
  • এক সময় খুব দেখতাম Mr. Bean নির্বাক হাসির এক কিংবদন্তি। উনার আসল নাম রোয়ান অ্যাটকিনসন।কোনো ধরনের অ-লীল অভিনয়, কিংবা মুখে কথা না বলেও রোয়ান অ্যাটকিনসন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
    ••
    রোয়ান অ্যাটকিনসনের জন্ম ৬ জানুয়ারি ১৯৫৫ সালে, ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল শহরে। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ছোটবেলায় রোয়ান ছিলেন খুব লাজুক ও তোতলানো স্বভাবের। এই তোতলামিই এক সময় হয়ে উঠেছিল তার বড় দুর্বলতা — কিন্তু সেখান থেকেই জন্ম নেয় এক অভিনয় প্রতিভা।
    ••
    তিনি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে মাস্টার্স করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক থাকলেও, তিনি কোনোদিনও ভাবেননি যে বিশ্ব তাকে একজন নির্বাক কমেডি কিংবদন্তি হিসেবে মনে রাখবে।
    ••
    অক্সফোর্ডে পড়াকালীন সময়ে থিয়েটার ও কমেডিতে অংশ নিতে শুরু করেন রোয়ান। এক সময় BBC-র জনপ্রিয় শো "Not the Nine O'Clock News"-এ অভিনয় করে নজর কাড়েন। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ১৯৯০ সালে, যখন তিনি ও তাঁর বন্ধু রিচার্ড কার্টিস মিলে তৈরি করেন 'Mr. Bean' নামের এক চরিত্র — একজন অদ্ভুত, নির্বাক, শিশুসুলভ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ।
    ••
    Mr. Bean মুখে কিছু না বলেই হাজার কথা বলে ফেলেন — একমাত্র তার শারীরিক ভাষা, মুখভঙ্গি ও টাইমিং দিয়ে। এই চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে মাত্র ১৪টি এপিসোড দিয়েই সে হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেডি চরিত্রগুলোর একটি।
    ••
    Mr. Bean-এর জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নিয়ে ১৯৯৭ সালে তৈরি হয় "Bean The Movie এরপর আসে Mr. Bean’s Holiday" (2007)। এছাড়া Mr. Bean-এর কার্টুন সিরিজও তৈরি হয়, যেখানে রোয়ান নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন।
    ••
    ব্যক্তি রোয়ান অ্যাটকিনসন বাস্তবে অত্যন্ত গম্ভীর, বুদ্ধিমান ও মিডিয়া-এভয়েডিং মানুষ। তিনি ব্যক্তিগত জীবনকে সবসময় মিডিয়ার আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি, তিনি একজন বিশাল গাড়িপ্রেমী (car enthusiast), এবং তার সংগ্রহে রয়েছে অসংখ্য বিলাসবহুল স্পোর্টস কার।
    ••
    রোয়ান অ্যাটকিনসনের জীবন একটি দারুণ শিক্ষা দেয় আমাদের দুর্বলতা থেকেই জন্ম নিতে পারে সবচেয়ে বড় শক্তি। একজন তোতলানো, লাজুক ছেলে হয়ে উঠেছেন বিশ্বখ্যাত কমেডিয়ান। Mr. Bean কেবল একটি চরিত্র নয়, এটি এক নিরব ভাষা — যা মুখে কিছু না বলেই কোটি হৃদয়ে জায়গা করে নেয়।তার বর্তমান বয়স প্রায় ৭০ বছর।
    এক সময় খুব দেখতাম Mr. Bean নির্বাক হাসির এক কিংবদন্তি। উনার আসল নাম রোয়ান অ্যাটকিনসন।কোনো ধরনের অ-লীল অভিনয়, কিংবা মুখে কথা না বলেও রোয়ান অ্যাটকিনসন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। •• রোয়ান অ্যাটকিনসনের জন্ম ৬ জানুয়ারি ১৯৫৫ সালে, ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল শহরে। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ছোটবেলায় রোয়ান ছিলেন খুব লাজুক ও তোতলানো স্বভাবের। এই তোতলামিই এক সময় হয়ে উঠেছিল তার বড় দুর্বলতা — কিন্তু সেখান থেকেই জন্ম নেয় এক অভিনয় প্রতিভা। •• তিনি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে মাস্টার্স করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক থাকলেও, তিনি কোনোদিনও ভাবেননি যে বিশ্ব তাকে একজন নির্বাক কমেডি কিংবদন্তি হিসেবে মনে রাখবে। •• অক্সফোর্ডে পড়াকালীন সময়ে থিয়েটার ও কমেডিতে অংশ নিতে শুরু করেন রোয়ান। এক সময় BBC-র জনপ্রিয় শো "Not the Nine O'Clock News"-এ অভিনয় করে নজর কাড়েন। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ১৯৯০ সালে, যখন তিনি ও তাঁর বন্ধু রিচার্ড কার্টিস মিলে তৈরি করেন 'Mr. Bean' নামের এক চরিত্র — একজন অদ্ভুত, নির্বাক, শিশুসুলভ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। •• Mr. Bean মুখে কিছু না বলেই হাজার কথা বলে ফেলেন — একমাত্র তার শারীরিক ভাষা, মুখভঙ্গি ও টাইমিং দিয়ে। এই চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে মাত্র ১৪টি এপিসোড দিয়েই সে হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেডি চরিত্রগুলোর একটি। •• Mr. Bean-এর জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নিয়ে ১৯৯৭ সালে তৈরি হয় "Bean The Movie এরপর আসে Mr. Bean’s Holiday" (2007)। এছাড়া Mr. Bean-এর কার্টুন সিরিজও তৈরি হয়, যেখানে রোয়ান নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। •• ব্যক্তি রোয়ান অ্যাটকিনসন বাস্তবে অত্যন্ত গম্ভীর, বুদ্ধিমান ও মিডিয়া-এভয়েডিং মানুষ। তিনি ব্যক্তিগত জীবনকে সবসময় মিডিয়ার আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি, তিনি একজন বিশাল গাড়িপ্রেমী (car enthusiast), এবং তার সংগ্রহে রয়েছে অসংখ্য বিলাসবহুল স্পোর্টস কার। •• রোয়ান অ্যাটকিনসনের জীবন একটি দারুণ শিক্ষা দেয় আমাদের দুর্বলতা থেকেই জন্ম নিতে পারে সবচেয়ে বড় শক্তি। একজন তোতলানো, লাজুক ছেলে হয়ে উঠেছেন বিশ্বখ্যাত কমেডিয়ান। Mr. Bean কেবল একটি চরিত্র নয়, এটি এক নিরব ভাষা — যা মুখে কিছু না বলেই কোটি হৃদয়ে জায়গা করে নেয়।তার বর্তমান বয়স প্রায় ৭০ বছর।
    0 Comments 0 Shares 40 Views
More Results
BlackBird Ai
https://bbai.shop