• “খারাপ সময়ে যিনি ছিলেন ইস্পোর্টসের কণ্ঠস্বর—তিনি আব্দুল্লাহ আল জাবের!”
    তার লেখনীতে উঠে এসেছে গেমারদের গল্প, বাস্তবতা ও ভবিষ্যতের আশা।

    বাংলাদেশে যখন ইস্পোর্টস বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যখন পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমগুলো ব্যান হয়েছে, তখন অধিকাংশ মানুষ চুপ ছিলেন। মিডিয়ার বেশিরভাগ অংশ গেমিংকে দেখেছিল একধরনের ‘নেশা’ বা নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে। কিন্তু সেই কঠিন সময়ে একজন মানুষ কলম তুলে নিয়েছিলেন ইস্পোর্টসের পক্ষে—তিনি আব্দুল্লাহ আল জাবের।

    আব্দুল্লাহ আল জাবের বিশ্বাস করেন, ইস্পোর্টস আমাদের নতুন প্রজন্মের সম্ভাবনা বহন করে। তার লেখাগুলোতে আমরা দেখেছি দেশের গেমারদের বাস্তব কাহিনি, তাদের সংগ্রাম, সাফল্য ও স্বপ্নের কথা।
    “খারাপ সময়ে যিনি ছিলেন ইস্পোর্টসের কণ্ঠস্বর—তিনি আব্দুল্লাহ আল জাবের!” তার লেখনীতে উঠে এসেছে গেমারদের গল্প, বাস্তবতা ও ভবিষ্যতের আশা। বাংলাদেশে যখন ইস্পোর্টস বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যখন পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমগুলো ব্যান হয়েছে, তখন অধিকাংশ মানুষ চুপ ছিলেন। মিডিয়ার বেশিরভাগ অংশ গেমিংকে দেখেছিল একধরনের ‘নেশা’ বা নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে। কিন্তু সেই কঠিন সময়ে একজন মানুষ কলম তুলে নিয়েছিলেন ইস্পোর্টসের পক্ষে—তিনি আব্দুল্লাহ আল জাবের। আব্দুল্লাহ আল জাবের বিশ্বাস করেন, ইস্পোর্টস আমাদের নতুন প্রজন্মের সম্ভাবনা বহন করে। তার লেখাগুলোতে আমরা দেখেছি দেশের গেমারদের বাস্তব কাহিনি, তাদের সংগ্রাম, সাফল্য ও স্বপ্নের কথা।
    Love
    2
    0 Comments 0 Shares 31 Views 0 Reviews
  • বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানী প্রমিত ঘোষ ইতিহাস গড়েছেন ১৬৫ বছরের পুরনো তাপ বিকিরণ সূত্র (Kirchhoff’s Law of Thermal Radiation) ভেঙে। তিনি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গবেষণারত।

    প্রমিত ও তাঁর টিম এমন একটি অত্যন্ত পাতলা (মাত্র ২ মাইক্রোমিটার) মেটামেটেরিয়াল তৈরি করেছেন, যা একইসাথে কম তাপ শোষণ করে কিন্তু বেশি তাপ বিকিরণ করতে পারে—যা Kirchhoff এর সূত্রকে চ্যালেঞ্জ করে। এই যুগান্তকারী আবিষ্কার প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ জার্নাল Physical Review Letters-এ এবং ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে।

    তাঁরা একটি নতুন যন্ত্র "Magnetic Thermal Spectrophotometer" ব্যবহার করে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রের মাধ্যমে এই গবেষণার ফলাফল নিশ্চিত করেছেন।

    এই নতুন প্রযুক্তি ভবিষ্যতে সোলার প্যানেল, ইনফ্রারেড সেন্সর, থার্মাল ব্যাটারি ও হিট কন্ট্রোলিং ডিভাইসসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। এমনকি এমন কিছু প্রযুক্তি সম্ভব হতে পারে, যা এতদিন কেবল কল্পনাতেই ছিল।

    প্রমিত ঘোষের এই অসাধারণ অর্জন শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক দারুণ উদাহরণ। বাংলাদেশের বিজ্ঞানচর্চায় এটি এক নতুন আশার আলো, যা দেশের তরুণদের বিজ্ঞান ও গবেষণার পথে আরও সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।
    বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানী প্রমিত ঘোষ ইতিহাস গড়েছেন ১৬৫ বছরের পুরনো তাপ বিকিরণ সূত্র (Kirchhoff’s Law of Thermal Radiation) ভেঙে। তিনি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গবেষণারত। প্রমিত ও তাঁর টিম এমন একটি অত্যন্ত পাতলা (মাত্র ২ মাইক্রোমিটার) মেটামেটেরিয়াল তৈরি করেছেন, যা একইসাথে কম তাপ শোষণ করে কিন্তু বেশি তাপ বিকিরণ করতে পারে—যা Kirchhoff এর সূত্রকে চ্যালেঞ্জ করে। এই যুগান্তকারী আবিষ্কার প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ জার্নাল Physical Review Letters-এ এবং ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে। তাঁরা একটি নতুন যন্ত্র "Magnetic Thermal Spectrophotometer" ব্যবহার করে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রের মাধ্যমে এই গবেষণার ফলাফল নিশ্চিত করেছেন। এই নতুন প্রযুক্তি ভবিষ্যতে সোলার প্যানেল, ইনফ্রারেড সেন্সর, থার্মাল ব্যাটারি ও হিট কন্ট্রোলিং ডিভাইসসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। এমনকি এমন কিছু প্রযুক্তি সম্ভব হতে পারে, যা এতদিন কেবল কল্পনাতেই ছিল। প্রমিত ঘোষের এই অসাধারণ অর্জন শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক দারুণ উদাহরণ। বাংলাদেশের বিজ্ঞানচর্চায় এটি এক নতুন আশার আলো, যা দেশের তরুণদের বিজ্ঞান ও গবেষণার পথে আরও সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।
    Wow
    1
    0 Comments 0 Shares 22 Views 0 Reviews
  • বিশ্বের সবচেয়ে বড় হরিণ – মুস (Moose)!
    আপনি কি জানেন, গরুর থেকেও বড় একটা হরিণ আছে? নাম তার Moose – পৃথিবীর সবচেয়ে বিশাল হরিণ।

    কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা প্রায় ৬.৫ ফুট – মানে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের থেকেও লম্বা!
    ওজন হয় প্রায় ৭০০ কেজি পর্যন্ত – অনেক গরুর থেকেও বেশি।
    পুরুষ মুসের শিং দুই পাশে পাখার মতো চওড়া হয় – প্রায় ৬ ফুট পর্যন্ত ছড়ানো থাকতে পারে!
    এদের গলা লম্বা, ঠোঁট মোটা, আর সামনের পা পিছনের চেয়ে লম্বা – দেখতে বেশ রাজকীয় ও ভয়ংকর গাম্ভীর্যপূর্ণ।

    কোথায় পাওয়া যায়?
    মুস মূলত দেখা যায় কানাডা, আলাস্কা, স্ক্যান্ডিনেভিয়া (নরওয়ে, সুইডেন) ও রাশিয়ার উত্তর অংশে।

    #Moose #বিশ্বের_সবচেয়ে_বড়_হরিণ #প্রকৃতি #বন্যপ্রাণী #বড়_হরিণ #বিজ্ঞান #আশ্চর্যজনক_তথ্য #বন্যজীবন
    🦌 বিশ্বের সবচেয়ে বড় হরিণ – মুস (Moose)! আপনি কি জানেন, গরুর থেকেও বড় একটা হরিণ আছে? নাম তার Moose – পৃথিবীর সবচেয়ে বিশাল হরিণ। 🔸 কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা প্রায় ৬.৫ ফুট – মানে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের থেকেও লম্বা! 🔸 ওজন হয় প্রায় ৭০০ কেজি পর্যন্ত – অনেক গরুর থেকেও বেশি। 🔸 পুরুষ মুসের শিং দুই পাশে পাখার মতো চওড়া হয় – প্রায় ৬ ফুট পর্যন্ত ছড়ানো থাকতে পারে! 🔸 এদের গলা লম্বা, ঠোঁট মোটা, আর সামনের পা পিছনের চেয়ে লম্বা – দেখতে বেশ রাজকীয় ও ভয়ংকর গাম্ভীর্যপূর্ণ। 🌍 কোথায় পাওয়া যায়? মুস মূলত দেখা যায় কানাডা, আলাস্কা, স্ক্যান্ডিনেভিয়া (নরওয়ে, সুইডেন) ও রাশিয়ার উত্তর অংশে। #Moose #বিশ্বের_সবচেয়ে_বড়_হরিণ #প্রকৃতি #বন্যপ্রাণী #বড়_হরিণ #বিজ্ঞান #আশ্চর্যজনক_তথ্য #বন্যজীবন
    Love
    2
    0 Comments 0 Shares 28 Views 0 Reviews
  • বাজার থেকে যে প্যাকেটজাত তরল দুধ কিনে আনেন তার গায়ে লেখা থাকে ‘পাস্তুরিত তরল দুধ’ বা ‘পাস্তুরাইজড মিল্ক’। জানেন কি? এই ‘পাস্তুরিত’ শব্দটির সাথে একজন বিজ্ঞানীর নাম লুকিয়ে আছে? তার নাম লুই পাস্তুর।
    বিশ্ববরেণ্য ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন, অণুজীবই অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়ের পচনের জন্য দায়ী। তিনি নিজে চিকিৎসক ছিলেন না, কিন্তু চিকিৎসা জগতে রেখে গেছেন সবচেয়ে অমূল্য অবদান। আবিস্কার করে গেছেন জলাতঙ্ক রোগের কারণ এবং তার মহামুল্যবান প্রতিষেধক টিকা।
    আজকের এই দিনে জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কার করে তিনি পৃথিবীর সর্বকালের সর্বাধিক মানুষের কল্যাণ সাধন করে অমর হয়ে আছেন "লুই পাস্তুর"।
    ঘটনাস্থল ফ্রান্সের প‍্যারিস নগরী।
    দিনটি ছিল ৬ জুলাই ১৮৮৫, বহুদূর থেকে একজন মা উপস্থিত হলেন প্যারিসে বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরের গবেষণাগারে। তাঁর সঙ্গে ৯ বছরের সন্তান জোসেফ মিয়েস্টার। দুদিন আগে স্কুলে যাওয়ার পথে এই বালকটিকে পাগলা (সংক্রামিত) কুকুর ভীষণভাবে কামড়ে দিয়েছে। ডাক্তাররা একবাক্যে বলে দিয়েছেন, ছেলেটির বাঁচার মোটেই কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ বালকটির দেহে মোট ১৪টি কামড়ের দগদগে দাগ। এমন কামড়ে অচিরেই তার ভাইরাসজনিত রোগ জলাতঙ্ক দেখা দেবে এবং অসহনীয় যন্ত্রণায় তিলে তিলে মারা যাবে ছেলেটি। সে সময় তা-ই হতো, জলাতঙ্কের রেবিস ভাইরাস ঠেকাবার কোনো উপায় জানা ছিল না মানুষের। রেবিসের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তীব্র খিঁচুনি ও পক্ষাঘাতে দুঃসহ কষ্টে রোগীর মৃত্যু হয়। প্রতিবছর জলাতঙ্কে অগণিত মানুষ প্রাণ হারায়।
    দিশেহারা জননী কেঁদেই আকুল। চিকিৎসককে জানালেন, সত্যিই কি কোনো উপায় নেই? যত টাকা লাগে, লাগুক। কিন্তু আমার ছেলেকে বাঁচাতে হবে।
    চিকিৎসক পরামর্শ দিলেন, কাছাকাছি একজন রসায়নবিদ রয়েছেন, নাম— লুই পাস্তুর এবং শুনেছি তিনি জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন, আপনি বরং আপনার ছেলেকে তাঁর কাছেই নিয়ে যান।
    আশায় বুক বেঁধে মা ছেলেকে নিয়ে ছুটলেন লুই পাস্তুরের কাছে।
    লুই পাস্তুর অনেক দিন আগে থেকেই এমন মারাত্মক রোগের প্রতিষেধক উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি রেবিস ভাইরাসে সংক্রামিত খরগোশের অস্থি-মজ্জা শুকিয়ে নিয়ে (দুর্বল) রেবিস ভাইরাসকে টিকা হিসেবে সংক্রামিত কুকুরের দেহে প্রয়োগ করে বেশ কিছু কুকুরকে সংক্রমণমুক্ত করেছিলেন। অনেকটা বিষে বিষক্ষয়। তিনি বুঝতে পারলেন, জলাতঙ্ক নিরাময়ে মহৌষধের সন্ধান তিনি পেয়েছেন। এখন বাকি শুধু মানবদেহে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
    পাস্তুর যোসেফ জননীকে জানালেন, তিনি জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন, ঠিক কথা। কিছুটা সাফল্যও এসেছে। কিন্তু মানুষের শরীরে এর পরীক্ষা হয়নি। তাই আপনার ছেলেকে তিনি টিকা দেব কি করে? যদি ভয়ংকর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তখন ওইটুকু ছেলে তা সহ‍্য করবে কি করে?
    যোশেফের মা জানালেন, তাঁর ছেলে তো এমনিতেই মারা যাবে, তাহলে ওর শরীরেই আপনি আপনার প্রতিষেধক প্রয়োগ করুন।
    অবশেষে মায়ের পীড়াপিড়িতে যোশেফকে টিকা দিলেন লুই পাস্তুর। এদিকে সন্তানকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার একান্ত আশা নিয়ে একজন অসহায় মা যখন তাঁর দ্বারে এসে দাঁড়ালেন, তখন তিনি অনেকটা বাধ্য হয়েই বালকটির দেহে নিজের উদ্ভাবিত প্রতিষেধক প্রয়োগ করলেন। পরবর্তী কয়েক দিন ধরে নির্দিষ্ট মাত্রার প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ করে বালকটিকে সুস্থ করে তুললেন আর আতঙ্কগ্রস্ত মায়ের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনলেন। আবিষ্কার হলো জলাতঙ্কের কার্যকর প্রতিষেধক টিকা, মানুষের হাতে পরাভূত হলো আরেকটি অতি ভয়ংকর ভাইরাসঘটিত রোগ।
    আর জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কারক হিসেবে অমর হয়ে রইলেন লুই পাস্তুর (ডিসেম্বর ২৭, ১৮২২ – সেপ্টেম্বর ২৮, ১৮৯৫)।

    এখন অবশ্য জলাতঙ্কের চিকিৎসায় হিউম্যান ডিপ্লয়েড সেল্ কালচার ভ‍্যাকসিন ব‍্যবহৃত হয়। তবে পথপ্রদর্শক হিসেবে লুই পাস্তুর এবং যোশেফের জননী দুজনেই আজ চির স্মরণীয়।

    গুগল সহায়তায়
    সংগৃহীত।
    #viralpost2025シ #viralpost2025シ2025 #viralpost2025 #educationalcontent
    বাজার থেকে যে প্যাকেটজাত তরল দুধ কিনে আনেন তার গায়ে লেখা থাকে ‘পাস্তুরিত তরল দুধ’ বা ‘পাস্তুরাইজড মিল্ক’। জানেন কি? এই ‘পাস্তুরিত’ শব্দটির সাথে একজন বিজ্ঞানীর নাম লুকিয়ে আছে? তার নাম লুই পাস্তুর। বিশ্ববরেণ্য ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন, অণুজীবই অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়ের পচনের জন্য দায়ী। তিনি নিজে চিকিৎসক ছিলেন না, কিন্তু চিকিৎসা জগতে রেখে গেছেন সবচেয়ে অমূল্য অবদান। আবিস্কার করে গেছেন জলাতঙ্ক রোগের কারণ এবং তার মহামুল্যবান প্রতিষেধক টিকা। আজকের এই দিনে জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কার করে তিনি পৃথিবীর সর্বকালের সর্বাধিক মানুষের কল্যাণ সাধন করে অমর হয়ে আছেন "লুই পাস্তুর"। ঘটনাস্থল ফ্রান্সের প‍্যারিস নগরী। দিনটি ছিল ৬ জুলাই ১৮৮৫, বহুদূর থেকে একজন মা উপস্থিত হলেন প্যারিসে বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরের গবেষণাগারে। তাঁর সঙ্গে ৯ বছরের সন্তান জোসেফ মিয়েস্টার। দুদিন আগে স্কুলে যাওয়ার পথে এই বালকটিকে পাগলা (সংক্রামিত) কুকুর ভীষণভাবে কামড়ে দিয়েছে। ডাক্তাররা একবাক্যে বলে দিয়েছেন, ছেলেটির বাঁচার মোটেই কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ বালকটির দেহে মোট ১৪টি কামড়ের দগদগে দাগ। এমন কামড়ে অচিরেই তার ভাইরাসজনিত রোগ জলাতঙ্ক দেখা দেবে এবং অসহনীয় যন্ত্রণায় তিলে তিলে মারা যাবে ছেলেটি। সে সময় তা-ই হতো, জলাতঙ্কের রেবিস ভাইরাস ঠেকাবার কোনো উপায় জানা ছিল না মানুষের। রেবিসের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তীব্র খিঁচুনি ও পক্ষাঘাতে দুঃসহ কষ্টে রোগীর মৃত্যু হয়। প্রতিবছর জলাতঙ্কে অগণিত মানুষ প্রাণ হারায়। দিশেহারা জননী কেঁদেই আকুল। চিকিৎসককে জানালেন, সত্যিই কি কোনো উপায় নেই? যত টাকা লাগে, লাগুক। কিন্তু আমার ছেলেকে বাঁচাতে হবে। চিকিৎসক পরামর্শ দিলেন, কাছাকাছি একজন রসায়নবিদ রয়েছেন, নাম— লুই পাস্তুর এবং শুনেছি তিনি জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন, আপনি বরং আপনার ছেলেকে তাঁর কাছেই নিয়ে যান। আশায় বুক বেঁধে মা ছেলেকে নিয়ে ছুটলেন লুই পাস্তুরের কাছে। লুই পাস্তুর অনেক দিন আগে থেকেই এমন মারাত্মক রোগের প্রতিষেধক উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি রেবিস ভাইরাসে সংক্রামিত খরগোশের অস্থি-মজ্জা শুকিয়ে নিয়ে (দুর্বল) রেবিস ভাইরাসকে টিকা হিসেবে সংক্রামিত কুকুরের দেহে প্রয়োগ করে বেশ কিছু কুকুরকে সংক্রমণমুক্ত করেছিলেন। অনেকটা বিষে বিষক্ষয়। তিনি বুঝতে পারলেন, জলাতঙ্ক নিরাময়ে মহৌষধের সন্ধান তিনি পেয়েছেন। এখন বাকি শুধু মানবদেহে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা। পাস্তুর যোসেফ জননীকে জানালেন, তিনি জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন, ঠিক কথা। কিছুটা সাফল্যও এসেছে। কিন্তু মানুষের শরীরে এর পরীক্ষা হয়নি। তাই আপনার ছেলেকে তিনি টিকা দেব কি করে? যদি ভয়ংকর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তখন ওইটুকু ছেলে তা সহ‍্য করবে কি করে? যোশেফের মা জানালেন, তাঁর ছেলে তো এমনিতেই মারা যাবে, তাহলে ওর শরীরেই আপনি আপনার প্রতিষেধক প্রয়োগ করুন। অবশেষে মায়ের পীড়াপিড়িতে যোশেফকে টিকা দিলেন লুই পাস্তুর। এদিকে সন্তানকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার একান্ত আশা নিয়ে একজন অসহায় মা যখন তাঁর দ্বারে এসে দাঁড়ালেন, তখন তিনি অনেকটা বাধ্য হয়েই বালকটির দেহে নিজের উদ্ভাবিত প্রতিষেধক প্রয়োগ করলেন। পরবর্তী কয়েক দিন ধরে নির্দিষ্ট মাত্রার প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ করে বালকটিকে সুস্থ করে তুললেন আর আতঙ্কগ্রস্ত মায়ের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনলেন। আবিষ্কার হলো জলাতঙ্কের কার্যকর প্রতিষেধক টিকা, মানুষের হাতে পরাভূত হলো আরেকটি অতি ভয়ংকর ভাইরাসঘটিত রোগ। আর জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কারক হিসেবে অমর হয়ে রইলেন লুই পাস্তুর (ডিসেম্বর ২৭, ১৮২২ – সেপ্টেম্বর ২৮, ১৮৯৫)। এখন অবশ্য জলাতঙ্কের চিকিৎসায় হিউম্যান ডিপ্লয়েড সেল্ কালচার ভ‍্যাকসিন ব‍্যবহৃত হয়। তবে পথপ্রদর্শক হিসেবে লুই পাস্তুর এবং যোশেফের জননী দুজনেই আজ চির স্মরণীয়। গুগল সহায়তায় সংগৃহীত। #viralpost2025シ #viralpost2025シ2025 #viralpost2025 #educationalcontent
    0 Comments 0 Shares 94 Views 0 Reviews
  • বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে আম শীর্ষে। ফলের রাজা আম শুধু স্বাদের জন্যই নয়, অসংখ্য পুষ্টিগুনাগুণের জন্যও বিখ্যাত। উষ্ণ আবহাওয়া এবং উর্বর মাটির জন্য বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার আবহাওয়া আম চাষের জন্য আদর্শ।

    বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, সাতক্ষীরা এবং দিনাজপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আমের উৎপাদন ব্যাপক। তবে বর্তমানে এটি প্রায় সারা বিশ্বেই চাষ করা হয়। খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ এই ফলের বিভিন্ন জাত বা প্রকারভেদ রয়েছে, যা তাদের আকার, স্বাদ, রঙ ও ঘ্রানের ভিন্নতার ভিত্তিতে আলাদা করে চেনা যায়।

    আমের কিছু উল্লেখযোগ্য জাত হল- হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি, হাড়িভাঙ্গা, আশ্বিনা, গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, ক্ষীরসাপাতি, সুবর্ণরেখা, গৌড়মতি, মল্লিকা ইত্যাদি।

    আমের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
    চলুন জেনে নিই আম খাওয়ার অজানা কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।

    ১. কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ
    আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং ফোলেট। এতে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফাইবারও রয়েছে। এই পুষ্টিগুলো দেহের সার্বিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

    ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
    আমে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ভিটামিন সি শরীরের সাদা রক্তকণিকা উৎপাদন বাড়িয়ে ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, যা শরীরকে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং মৌসুমী রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

    এছাড়া, আমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলি কোষকে ক্ষতিকারক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে।

    ৩. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃ
    আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন এ চোখের কোণিকাতে থাকা রেটিনায় লাল এবং সবুজ আলো শোষণ করতে সহায়ক, যা দৃষ্টি পরিষ্কার রাখতে এবং চোখের অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

    ৪. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ
    আমে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে উজ্জ্বল ও তরতাজা রাখে। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

    আমে বিটা-ক্যারোটিন ও পলিফেনল জাতীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয় এবং বয়সের ছাপ কমাতে সহায়ক। এছাড়াও, আমের প্রাকৃতিক হাইড্রেটিং উপাদান ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং এটি গভীর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে।

    ৫. হজমশক্তি উন্নত করেঃ
    আমে উপস্থিত এনজাইমগুলি প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এছাড়াও, আমে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। এটি পেট পরিষ্কার রাখে, এবং খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ করে, ফলে বিপাকের গতিও বাড়ে। তাই নিয়মিত আম খাওয়া হজমের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

    ৬. হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ
    পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্টের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আমে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হার্টের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    পটাশিয়াম রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখে এবং অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন প্রতিরোধ করে।

    ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ
    আমে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে, যা মিষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এটি সঠিক পরিমাণে খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে না।

    ৮. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ
    পরিমিত পরিমাণে আম খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী হতে পারে। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলকভাবে কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এতে থাকা ফাইবার রক্তের শর্করার স্তর ধীরে ধীরে বাড়তে দেয়, ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল হতে পারে। তবে, অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

    ৯. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ
    আমে ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মানসিক চাপ কমাতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি সেরোটোনিন এবং ডোপামিন উৎপাদন বাড়িয়ে মেজাজ উন্নত করতে সহায়ক।
    বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে আম শীর্ষে। ফলের রাজা আম শুধু স্বাদের জন্যই নয়, অসংখ্য পুষ্টিগুনাগুণের জন্যও বিখ্যাত। উষ্ণ আবহাওয়া এবং উর্বর মাটির জন্য বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার আবহাওয়া আম চাষের জন্য আদর্শ। বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, সাতক্ষীরা এবং দিনাজপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আমের উৎপাদন ব্যাপক। তবে বর্তমানে এটি প্রায় সারা বিশ্বেই চাষ করা হয়। খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ এই ফলের বিভিন্ন জাত বা প্রকারভেদ রয়েছে, যা তাদের আকার, স্বাদ, রঙ ও ঘ্রানের ভিন্নতার ভিত্তিতে আলাদা করে চেনা যায়। আমের কিছু উল্লেখযোগ্য জাত হল- হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি, হাড়িভাঙ্গা, আশ্বিনা, গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, ক্ষীরসাপাতি, সুবর্ণরেখা, গৌড়মতি, মল্লিকা ইত্যাদি। আমের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ চলুন জেনে নিই আম খাওয়ার অজানা কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। ১. কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং ফোলেট। এতে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফাইবারও রয়েছে। এই পুষ্টিগুলো দেহের সার্বিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আমে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ভিটামিন সি শরীরের সাদা রক্তকণিকা উৎপাদন বাড়িয়ে ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, যা শরীরকে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং মৌসুমী রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এছাড়া, আমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলি কোষকে ক্ষতিকারক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে। ৩. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়ঃ আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন এ চোখের কোণিকাতে থাকা রেটিনায় লাল এবং সবুজ আলো শোষণ করতে সহায়ক, যা দৃষ্টি পরিষ্কার রাখতে এবং চোখের অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ৪. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ আমে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে উজ্জ্বল ও তরতাজা রাখে। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমে বিটা-ক্যারোটিন ও পলিফেনল জাতীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয় এবং বয়সের ছাপ কমাতে সহায়ক। এছাড়াও, আমের প্রাকৃতিক হাইড্রেটিং উপাদান ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং এটি গভীর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে। ৫. হজমশক্তি উন্নত করেঃ আমে উপস্থিত এনজাইমগুলি প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এছাড়াও, আমে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। এটি পেট পরিষ্কার রাখে, এবং খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ করে, ফলে বিপাকের গতিও বাড়ে। তাই নিয়মিত আম খাওয়া হজমের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ৬. হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্টের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আমে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হার্টের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পটাশিয়াম রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখে এবং অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন প্রতিরোধ করে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ আমে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে, যা মিষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এটি সঠিক পরিমাণে খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে না। ৮. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ পরিমিত পরিমাণে আম খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী হতে পারে। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলকভাবে কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এতে থাকা ফাইবার রক্তের শর্করার স্তর ধীরে ধীরে বাড়তে দেয়, ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল হতে পারে। তবে, অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ৯. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ আমে ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মানসিক চাপ কমাতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি সেরোটোনিন এবং ডোপামিন উৎপাদন বাড়িয়ে মেজাজ উন্নত করতে সহায়ক।
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 113 Views 0 Reviews
  • 2026 IPL এ রিশাদ হোসেইনের পাঞ্জাব কিংসে খেলার বড় একটা সম্ভাবনা রয়েছে।

    আইপিএল এ কোনো প্লেয়ারের দল পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এফেক্টিভ দুইটা ওয়ে আছে। একট হলো অই ফ্রাঞ্চাইজির অধীনে থাকা অন্য লিগের দলে ভালো পারফরম্যান্স করে নিজেকে গেইম চ্যাঞ্জার প্রমাণ করা, আরেকটা হলো আই পি এল এর কোচদের নজরে আসা।

    রিশাদ হোসেইন 2026 BBL এ হোবার্ট হারিকেন দ্বারা সিলেক্টেড হয়েছেন। এই সিলেকশনের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল রিকি পন্টিং এর। এরন ফিঞ্চ একটা লাইভে বলেছেন যে রিকি পন্টিং রিশাদ কে খুবই হাইলি
    রেট করেছেন,বিশেষ করে 2024 T20 বিশ্বকাপের পারফর্মেন্স দেখার পর। আর রিকি পনটিং, যে কিনা 2028 সাল পর্যন্ত পাঞ্জাব কিংস এর হেড কোচ, 2026 IPL এ পাঞ্জাব কিংস এর মেনেজ মেন্টের কাছে রিশাদ কে রিকমেন্ড করলেই রিশাদের IPL খেলা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে।

    কিন্তু এজন্য রিশাদ কে BBL এ ভালো পারফরম্যান্স করে নিজেকে আরো একটু প্রমাণ করতে হবে। এজন্য সবার আগে রিশাদকে BBL খেলার জন্য BCB থেকে NOC দিতে হবে। নয়তো অতীতের ন্যয় আমাদের অন্যান্য প্লেয়ারদের মতো রিশাদের দিক থেকেও বড় বড় কোচ রা দৃষ্টি সরিয়ে নিবেন। রিকি পন্টিং এর মতো বড় মাপের মানুষদের পছন্দের তালিকায় আসা সহজ কোনো কথা না, আশা করি BCB রিশাদের এই সুযোগটা হেলায় হারাতে দিবে না। এমন কি BPL এর সাথে সিডিউল নিয়ে কনফ্লিক্ট হলেও যেন রিশাদকে BPL এর বদলে BBL খেলতে পাঠানো হয়। মিরপুরের ক্ষেতে খেলে রিশাদ কখনো ওয়ার্ল্ড ক্লাস এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারবে না, ব্যাটিং পিচে ইকোনোমিক্যাল বল করা শিখতে পারবে না।

    রিশাদের ক্যারিয়ারের একটা হিউজ টার্নিং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে 2026 BBL.
    2026 IPL এ রিশাদ হোসেইনের পাঞ্জাব কিংসে খেলার বড় একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আইপিএল এ কোনো প্লেয়ারের দল পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এফেক্টিভ দুইটা ওয়ে আছে। একট হলো অই ফ্রাঞ্চাইজির অধীনে থাকা অন্য লিগের দলে ভালো পারফরম্যান্স করে নিজেকে গেইম চ্যাঞ্জার প্রমাণ করা, আরেকটা হলো আই পি এল এর কোচদের নজরে আসা। রিশাদ হোসেইন 2026 BBL এ হোবার্ট হারিকেন দ্বারা সিলেক্টেড হয়েছেন। এই সিলেকশনের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল রিকি পন্টিং এর। এরন ফিঞ্চ একটা লাইভে বলেছেন যে রিকি পন্টিং রিশাদ কে খুবই হাইলি রেট করেছেন,বিশেষ করে 2024 T20 বিশ্বকাপের পারফর্মেন্স দেখার পর। আর রিকি পনটিং, যে কিনা 2028 সাল পর্যন্ত পাঞ্জাব কিংস এর হেড কোচ, 2026 IPL এ পাঞ্জাব কিংস এর মেনেজ মেন্টের কাছে রিশাদ কে রিকমেন্ড করলেই রিশাদের IPL খেলা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। কিন্তু এজন্য রিশাদ কে BBL এ ভালো পারফরম্যান্স করে নিজেকে আরো একটু প্রমাণ করতে হবে। এজন্য সবার আগে রিশাদকে BBL খেলার জন্য BCB থেকে NOC দিতে হবে। নয়তো অতীতের ন্যয় আমাদের অন্যান্য প্লেয়ারদের মতো রিশাদের দিক থেকেও বড় বড় কোচ রা দৃষ্টি সরিয়ে নিবেন। রিকি পন্টিং এর মতো বড় মাপের মানুষদের পছন্দের তালিকায় আসা সহজ কোনো কথা না, আশা করি BCB রিশাদের এই সুযোগটা হেলায় হারাতে দিবে না। এমন কি BPL এর সাথে সিডিউল নিয়ে কনফ্লিক্ট হলেও যেন রিশাদকে BPL এর বদলে BBL খেলতে পাঠানো হয়। মিরপুরের ক্ষেতে খেলে রিশাদ কখনো ওয়ার্ল্ড ক্লাস এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারবে না, ব্যাটিং পিচে ইকোনোমিক্যাল বল করা শিখতে পারবে না। রিশাদের ক্যারিয়ারের একটা হিউজ টার্নিং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে 2026 BBL.
    0 Comments 0 Shares 123 Views 0 Reviews
  • জীবনের কঠিন সময়টাই
    তোমার সবচেয়ে বড় সুযোগ!

    হয়তো এখন চারপাশে কেবল অন্ধকার।
    নেই কোনো আশার আলো।
    তুমি একা, ক্লান্ত, ভেঙে পড়া—মনে হচ্ছে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।

    কিন্তু...
    এটাই শুরু!
    এই ভাঙনের মধ্যেই গড়ে উঠছে এক অদম্য শক্তি,
    যেটা এখন তুমি বুঝতে পারছো না,
    কিন্তু একদিন—তুমিই অবাক হয়ে যাবে!

    পাহাড় গড়ার আগে যেমন ভূমিকম্প হয়,
    ঠিক তেমনি, বড় কিছু গড়তে গেলে
    আগে মাটির গভীর থেকে কাঁপুনি শুরু হয়।

    এই দুঃসময়টা তোমার ভিতরের দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলার সময়।
    জীবন তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে না,
    জীবন তোমাকে গড়ছে!

    অনেকে সবকিছু নিয়েই জন্মায়—সুযোগ, সমর্থন, টাকা, পরিচিতি।
    তারা গণ্ডির মধ্যে ঘুরে বেড়ায়।
    আর তুমি—তুমি শূন্য থেকে শুরু করছো,
    নতুন গন্তব্য তৈরি করছো!

    আজ হয়তো তোমার হাতে কিছু নেই—
    না টাকা, না চেনা মানুষ, না কোনো বড় প্ল্যাটফর্ম।
    তবু বিশ্বাস রেখো—
    একদিন তোমার নামেই গড়ে উঠবে ভবন, বই, প্রতিষ্ঠান কিংবা ইতিহাস!

    তোমার এই লড়াই এখন কেউ দেখছে না।
    কেউ জানে না, তুমি রাতে কতটা কাঁদো, দিনে কতটা লড়ো।
    কিন্তু…
    সময় সব মনে রাখে!
    একদিন এই গল্পই হবে অনুপ্রেরণার বাতিঘর।

    তাই এখন ভেঙে পড়ার সময় নয়।
    তুমি আলাদা। তুমি বিশেষ।
    তোমার রক্তে বয়ে চলেছে সংগ্রামের ইতিহাস।
    তোমার চোখে জমে আছে হাজারো স্বপ্নের মানচিত্র।

    তুমি যদি আজ লড়াই চালিয়ে যাও, আগামীকাল তোমার নামেই লেখা হবে ইতিহাস।

    হাল ছেড়ো না। ভয় পেও না রাফি।
    কারণ তুমিই সেই ঝড়ের নাবিক, যে দিক হারায় না—দিক বানায়!

    জীবনের কঠিন সময়টাই তোমার সবচেয়ে বড় সুযোগ! হয়তো এখন চারপাশে কেবল অন্ধকার। নেই কোনো আশার আলো। তুমি একা, ক্লান্ত, ভেঙে পড়া—মনে হচ্ছে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু... এটাই শুরু! এই ভাঙনের মধ্যেই গড়ে উঠছে এক অদম্য শক্তি, যেটা এখন তুমি বুঝতে পারছো না, কিন্তু একদিন—তুমিই অবাক হয়ে যাবে! পাহাড় গড়ার আগে যেমন ভূমিকম্প হয়, ঠিক তেমনি, বড় কিছু গড়তে গেলে আগে মাটির গভীর থেকে কাঁপুনি শুরু হয়। এই দুঃসময়টা তোমার ভিতরের দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলার সময়। জীবন তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে না, জীবন তোমাকে গড়ছে! অনেকে সবকিছু নিয়েই জন্মায়—সুযোগ, সমর্থন, টাকা, পরিচিতি। তারা গণ্ডির মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। আর তুমি—তুমি শূন্য থেকে শুরু করছো, নতুন গন্তব্য তৈরি করছো! আজ হয়তো তোমার হাতে কিছু নেই— না টাকা, না চেনা মানুষ, না কোনো বড় প্ল্যাটফর্ম। তবু বিশ্বাস রেখো— একদিন তোমার নামেই গড়ে উঠবে ভবন, বই, প্রতিষ্ঠান কিংবা ইতিহাস! তোমার এই লড়াই এখন কেউ দেখছে না। কেউ জানে না, তুমি রাতে কতটা কাঁদো, দিনে কতটা লড়ো। কিন্তু… সময় সব মনে রাখে! একদিন এই গল্পই হবে অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তাই এখন ভেঙে পড়ার সময় নয়। তুমি আলাদা। তুমি বিশেষ। তোমার রক্তে বয়ে চলেছে সংগ্রামের ইতিহাস। তোমার চোখে জমে আছে হাজারো স্বপ্নের মানচিত্র। তুমি যদি আজ লড়াই চালিয়ে যাও, আগামীকাল তোমার নামেই লেখা হবে ইতিহাস। হাল ছেড়ো না। ভয় পেও না রাফি। কারণ তুমিই সেই ঝড়ের নাবিক, যে দিক হারায় না—দিক বানায়!
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 189 Views 0 Reviews
  • বর্তমান সময়ে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি বড় কারণ। হার্ট অ্যাটাক বা অন্য কোনো কারণে হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা নিরাময় হওয়া কঠিন। তবে অক্সিটোসিন নামের হরমোন যা ভালোবাসার হরমোন নামে পরিচিত—হার্টের বাইরের কোষগুলোকে আবার সক্রিয় করে তুলতে পারে। সাধারণত কাউকে জড়িয়ে ধরা, ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটানো বা অর্গাজমের সময়, এমনকি প্রসব ও দুধ পান করানোর সময়ও অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়।
    মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণায় ২০২২ সালে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে মানবদেহের স্টেম সেল থেকে তৈরি হার্টের কোষে অক্সিটোসিন প্রয়োগ করে দেখেছেন যে এটি হার্টের এপিকার্ডিয়াল কোষ বা বাইরের স্তরের কোষগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। এই কোষগুলো তখন দ্রুত সংখ্যায় বাড়তে থাকে এবং হার্টের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করতে শুরু করে। অনেকটা আমাদের ত্বক কেটে গেলে নতুন কোষ তৈরি হয়ে ক্ষত সেরে উঠার মত প্রক্রিয়া।
    অক্সিটোসিনের আরেকটি বিস্ময়কর গুণ হলো এটি শুধু হার্টের পেশীই নয়, হার্টের রক্তনালী গঠনেও সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের পর রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেখানে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। অক্সিটোসিন এই রক্তনালীগুলো পুনর্গঠনেও ভূমিকা রাখে।
    চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই আবিষ্কার হৃদরোগীদের জন্য নতুন চিকিৎসার পথ খুলে দিতে পারে বলে আশাবাদী গবেষকগণ। অক্সিটোসিন ইতিমধ্যে চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তাই এর প্রয়োগও সহজ হবে। তবে হরমোনটির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
    বর্তমান সময়ে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি বড় কারণ। হার্ট অ্যাটাক বা অন্য কোনো কারণে হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা নিরাময় হওয়া কঠিন। তবে অক্সিটোসিন নামের হরমোন যা ভালোবাসার হরমোন নামে পরিচিত—হার্টের বাইরের কোষগুলোকে আবার সক্রিয় করে তুলতে পারে। সাধারণত কাউকে জড়িয়ে ধরা, ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটানো বা অর্গাজমের সময়, এমনকি প্রসব ও দুধ পান করানোর সময়ও অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণায় ২০২২ সালে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে মানবদেহের স্টেম সেল থেকে তৈরি হার্টের কোষে অক্সিটোসিন প্রয়োগ করে দেখেছেন যে এটি হার্টের এপিকার্ডিয়াল কোষ বা বাইরের স্তরের কোষগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। এই কোষগুলো তখন দ্রুত সংখ্যায় বাড়তে থাকে এবং হার্টের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করতে শুরু করে। অনেকটা আমাদের ত্বক কেটে গেলে নতুন কোষ তৈরি হয়ে ক্ষত সেরে উঠার মত প্রক্রিয়া। অক্সিটোসিনের আরেকটি বিস্ময়কর গুণ হলো এটি শুধু হার্টের পেশীই নয়, হার্টের রক্তনালী গঠনেও সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের পর রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেখানে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। অক্সিটোসিন এই রক্তনালীগুলো পুনর্গঠনেও ভূমিকা রাখে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই আবিষ্কার হৃদরোগীদের জন্য নতুন চিকিৎসার পথ খুলে দিতে পারে বলে আশাবাদী গবেষকগণ। অক্সিটোসিন ইতিমধ্যে চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তাই এর প্রয়োগও সহজ হবে। তবে হরমোনটির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
    Wow
    1
    0 Comments 0 Shares 188 Views 0 Reviews

  • বন্যা হল জলের অতিরিক্ত প্রবাহ যা সাধারণত শুকনো ভূমিকে প্লাবিত করে। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলেই দেখা যায়। বন্যা সাধারণত বৃষ্টি, নদীর জল বৃদ্ধি, ভূমিধস, বা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। বন্যা মানুষের জীবন, সম্পদ এবং পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
    বন্যার কারণ:
    অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত: প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হলে নদীর জল ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে যায় এবং বন্যা দেখা দেয়।
    নদীর জল বৃদ্ধি: নদীর স্বাভাবিক জলপ্রবাহ বেড়ে গেলে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হয়।
    ভূমিধস: পাহাড়ী অঞ্চলে ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট বাঁধ বা প্রাকৃতিক বাধা ভেঙে গেলে আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
    বাঁধ ভাঙন: দুর্বল বা অপর্যাপ্ত বাঁধ ভেঙে গেলে বিশাল এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
    বন্যার প্রভাব:
    মানুষের জীবনহানি: বন্যা মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে, বিশেষ করে যারা দুর্বল বা প্রতিকূল পরিবেশে বসবাস করে।
    সম্পদের ক্ষতি: ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু, এবং অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
    কৃষির ক্ষতি: ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।
    স্বাস্থ্য ঝুঁকি: দূষিত পানি ও জলাবদ্ধতার কারণে রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি করে।
    পরিবেশের উপর প্রভাব: বন্যার ফলে মাটি ক্ষয়ে যাওয়া, গাছপালা ধ্বংস এবং বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন হতে পারে।
    বন্যা মোকাবিলা:
    পূর্বাভাস ও সতর্কতা: আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে আগে থেকে সতর্ক হওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া।
    উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম: বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে নেয়া এবং তাদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া।
    পুনর্বাসন: ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, যাতে তারা আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করতে পারে।
    পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা: বন্যা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
    বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা মোকাবেলা করা কঠিন, তবে সঠিক প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।
    বন্যা হল জলের অতিরিক্ত প্রবাহ যা সাধারণত শুকনো ভূমিকে প্লাবিত করে। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলেই দেখা যায়। বন্যা সাধারণত বৃষ্টি, নদীর জল বৃদ্ধি, ভূমিধস, বা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। বন্যা মানুষের জীবন, সম্পদ এবং পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বন্যার কারণ: অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত: প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হলে নদীর জল ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে যায় এবং বন্যা দেখা দেয়। নদীর জল বৃদ্ধি: নদীর স্বাভাবিক জলপ্রবাহ বেড়ে গেলে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হয়। ভূমিধস: পাহাড়ী অঞ্চলে ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট বাঁধ বা প্রাকৃতিক বাধা ভেঙে গেলে আকস্মিক বন্যা হতে পারে। বাঁধ ভাঙন: দুর্বল বা অপর্যাপ্ত বাঁধ ভেঙে গেলে বিশাল এলাকা প্লাবিত হতে পারে। বন্যার প্রভাব: মানুষের জীবনহানি: বন্যা মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে, বিশেষ করে যারা দুর্বল বা প্রতিকূল পরিবেশে বসবাস করে। সম্পদের ক্ষতি: ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু, এবং অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কৃষির ক্ষতি: ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি: দূষিত পানি ও জলাবদ্ধতার কারণে রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি করে। পরিবেশের উপর প্রভাব: বন্যার ফলে মাটি ক্ষয়ে যাওয়া, গাছপালা ধ্বংস এবং বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন হতে পারে। বন্যা মোকাবিলা: পূর্বাভাস ও সতর্কতা: আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে আগে থেকে সতর্ক হওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম: বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে নেয়া এবং তাদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া। পুনর্বাসন: ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, যাতে তারা আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করতে পারে। পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা: বন্যা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা। বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা মোকাবেলা করা কঠিন, তবে সঠিক প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 271 Views 0 Reviews
  • ডিওএইচএস ফিল্ড থেকে সরাসরি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন, তারপর বিপিএল, তারপর হঠাৎ নিরবে প্রস্থান! জাতীয় দলের তৎকালীন হেড কোচ জেমি ডে তখন দুজন প্রবাসী ফুটবলারকে জাতীয় দলে কল করেছিলেন, যার মধ্যে রাহবার খান ছিলেন একজন। সবাইকে চমকে দিয়ে অসাধারণ খেলেছিলেন তিনি। তারপর বিপিএলের মঞ্চে অভিষেক হলো শেখ জামাল ধানমন্ডির হয়ে। অল্প সময়ে এক স্বপ্নিল যাত্রার পথে হাঁটছিলেন। কিন্তু সেই যাত্রাটুকু আচমকাই থেমে যায়।

    রাহবার খানের শুরুটা স্কুল ফুটবল দিয়ে হলেও ঢাকার মাঠে পরিচিতি পাওয়াটা ফুটসাল দিয়ে। বহু কর্পোরেট লীগ সহ বিজিএমইএ এমনকি ম্যানসিটির গ্রাউন্ডেও ফুটসাল চ্যাম্পিয়ন হবার কৃতিত্ব রয়েছে তার। গত এক যুগে বাংলাদেশের ফুটসালে যে কয়েকজনের নাম সবার আগে আসে, তার মধ্যে রাহবার ওয়াহেদ খান সর্বাগ্রে। তিনি শেহরান খান নামেও পরিচিত।

    প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পিতার হঠাৎ প্রয়াণের পর ব্যবসার হাল ধরতে দুই ভাইয়ের বড় রাহবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব কে অর্থাৎ প্রফেশনাল ফুটবলকেই বিদায় বলে দেন। অথচ তখন তিনি জাতীয় দলের নিয়মিত একজন মুখ। ব্যবসার পাশাপাশি এখনো ফুটসালের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেললেও বেশিরভাগ সময় ব্যবসাকেই দিচ্ছেন।

    বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এখন ফুটসাল রাজ্যে প্রবেশ করেছে। অচিরেই ফুটসাল দল ঘোষণা হবে। বাংলাদেশ ফুটসাল কমিটির উচিত ম্যাজিশিয়ান খ্যাত রাহবার কে ফুটসাল টিমের জন্য আহবান করা। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, ফুটসাল কমিটির চেয়ারম্যান জনাব ইমরানুর রহমানের সাথে রাহবারের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। প্রথম দায়িত্বের সফলতার জন্য উনার প্রতি আমাদের প্রত্যাশা একটি মানসম্মত টিম। আশা করি উনি হতাশ করবেন না।

    প্রিয় রাহবার, এবার ফিরে আসুন। আপনার অন্য আরেকটি প্রতিভা দেশবাসীকে দেখানো বাকি। এই ফুটসাল আপনি ভালোবাসেন। আপনার চেনা ময়দানে ফিরে আসুন। আমরা হতাশ হতে চাই না।
    ডিওএইচএস ফিল্ড থেকে সরাসরি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন, তারপর বিপিএল, তারপর হঠাৎ নিরবে প্রস্থান! জাতীয় দলের তৎকালীন হেড কোচ জেমি ডে তখন দুজন প্রবাসী ফুটবলারকে জাতীয় দলে কল করেছিলেন, যার মধ্যে রাহবার খান ছিলেন একজন। সবাইকে চমকে দিয়ে অসাধারণ খেলেছিলেন তিনি। তারপর বিপিএলের মঞ্চে অভিষেক হলো শেখ জামাল ধানমন্ডির হয়ে। অল্প সময়ে এক স্বপ্নিল যাত্রার পথে হাঁটছিলেন। কিন্তু সেই যাত্রাটুকু আচমকাই থেমে যায়। রাহবার খানের শুরুটা স্কুল ফুটবল দিয়ে হলেও ঢাকার মাঠে পরিচিতি পাওয়াটা ফুটসাল দিয়ে। বহু কর্পোরেট লীগ সহ বিজিএমইএ এমনকি ম্যানসিটির গ্রাউন্ডেও ফুটসাল চ্যাম্পিয়ন হবার কৃতিত্ব রয়েছে তার। গত এক যুগে বাংলাদেশের ফুটসালে যে কয়েকজনের নাম সবার আগে আসে, তার মধ্যে রাহবার ওয়াহেদ খান সর্বাগ্রে। তিনি শেহরান খান নামেও পরিচিত। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পিতার হঠাৎ প্রয়াণের পর ব্যবসার হাল ধরতে দুই ভাইয়ের বড় রাহবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব কে অর্থাৎ প্রফেশনাল ফুটবলকেই বিদায় বলে দেন। অথচ তখন তিনি জাতীয় দলের নিয়মিত একজন মুখ। ব্যবসার পাশাপাশি এখনো ফুটসালের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেললেও বেশিরভাগ সময় ব্যবসাকেই দিচ্ছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এখন ফুটসাল রাজ্যে প্রবেশ করেছে। অচিরেই ফুটসাল দল ঘোষণা হবে। বাংলাদেশ ফুটসাল কমিটির উচিত ম্যাজিশিয়ান খ্যাত রাহবার কে ফুটসাল টিমের জন্য আহবান করা। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, ফুটসাল কমিটির চেয়ারম্যান জনাব ইমরানুর রহমানের সাথে রাহবারের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। প্রথম দায়িত্বের সফলতার জন্য উনার প্রতি আমাদের প্রত্যাশা একটি মানসম্মত টিম। আশা করি উনি হতাশ করবেন না। প্রিয় রাহবার, এবার ফিরে আসুন। আপনার অন্য আরেকটি প্রতিভা দেশবাসীকে দেখানো বাকি। এই ফুটসাল আপনি ভালোবাসেন। আপনার চেনা ময়দানে ফিরে আসুন। আমরা হতাশ হতে চাই না।
    0 Comments 0 Shares 363 Views 0 Reviews
BlackBird Ai
https://bbai.shop