• বিষাক্ত + বিষধর
    লাল গলা ঢোড়া বা লাল ঘাড় ঢোড়া ( Red necked keelback )
    Scientific name: Rhabdophis Subminiatus
    বাসস্থান- সাধারণত বনজঙ্গল, তৃণভূমি, পুকুর, ডোবায় এদের দেখা মেলে। এই সাপ দিবাচর হয়।
    খাদ‍্য- ব‍্যাঙ, টিকটিকি, ইদুর, ছোটো প্রাণী এদের প্রধান খাদ‍্য। (জুন-জুলাই এদের প্রজননকাল। স্ত্রী সাপ ৫-১৭ টি ডিম পাড়ে। পুরুষ সাপ অপেক্ষা স্ত্রী সাপ কিছুটা বড়ো হয়।)
    গঠন- মাঝারি আকৃতির সাপটির শরীরের উপরের অংশ জলপাই বাদামী অথবা সবুজ রঙের এবং হলুদ ও কালো রঙের জালিকা আকারের ছোপ পুরো শরীরে বিদ‍্যমান। ঘাড় সিঁদুর রঙের, চোখের নীচে একটি কালো দাগ বিদ‍্যমান। শরীরের নীচের অংশ হলদেটে।
    এই সাপের কামড়ে মৃত্যুর রেকর্ড আছে। এবং এটি একাধারে Venomous এবংPoisonous দুইই।
    'Venom' এবং 'Poison' কি?
    যখন দাঁত/ অন্য অঙ্গের মাধ্যমে কোনো প্রাণী চামড়া ভেদ করে অন্য কোনো প্রাণীর রক্তের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয়। তখন সেই বিষকে ইংরেজিতে ভেনম (Venom) বলে। তাই সব সাপের বিষ ভেনম।
    যে সকল বিষ স্পর্শ বা অন‍্যভাবে চামড়ার সংস্পর্শে বা পেটে গিয়ে ক্ষতি করে। তাকে মূলত ইংরেজিতে পয়জন (Poison) বলে।
    এই সাপটি উভয় প্রকার। কারণ, এই সাপের মুখের ভিতর বিষগ্ৰন্থি রয়েছে, সঙ্গে এর ঘাড়েও একপ্রকার বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে যা পতঙ্গ সহ ছোটো প্রাণী মেরে ফেলতে সক্ষম। এবং মানুষের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ক্ষতিকর। বিষধর সাপের সাধারণত সামনের দিকে দুটি বিষদাঁত রয়েছে, এদের কোনো সুগঠিত বিষদাঁত নেই। পেছনের দিকের দাঁত এরা বিষদাঁত হিসেবে ব‍্যবহৃত করে। সাপের শরীরে যেসব আঁশ থাকে তার একটি হল Loreal. যেটি সাধারণত বিষধর সাপের ক্ষেত্রে থাকে না। কিন্তু লাল গলা ঢোড়া সাপের এই আঁশ আছে। এর শরীরের অন‍্যান‍্য আঁশ বিন‍্যাসও অন‍্যান‍্য সাপেদের মতোন। এর ফণা অনেকটা শঙ্খচূড়ের মতোন।
    এর বিষ আরও রহস্যময়। সাধারণত বিষধর সাপের বিষ তিনপ্রকার। Haemotoxic, Neaurotoxic, Cytotoxic. লাল গলা ঢোড়া সাপের বিষ এর মধ্যে কোনোটিই নয়। এর বিষ সরাসরি কিডনিকে নষ্ট করে দেয়। প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। এর এন্টিভেনম আমাদের কোনো দেশেই নেই। শুধুমাত্র জাপানে 'Anti - Yamakagashi Antivenom' নামে এন্টিভেনম পাওয়া যায়।
    তবে আমরা একটু সচেতন হলেই যেকোনো বিষধর সাপের কামড় থেকে বাঁচতে পারি। দয়া করে আপনার খুব ক্ষতি না করলে কখনোই সাপ মারবেন না। ইকোসিস্টেমে সাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    তথ্য-গুগল

    বিষাক্ত + বিষধর লাল গলা ঢোড়া বা লাল ঘাড় ঢোড়া ( Red necked keelback ) Scientific name: Rhabdophis Subminiatus বাসস্থান- সাধারণত বনজঙ্গল, তৃণভূমি, পুকুর, ডোবায় এদের দেখা মেলে। এই সাপ দিবাচর হয়। খাদ‍্য- ব‍্যাঙ, টিকটিকি, ইদুর, ছোটো প্রাণী এদের প্রধান খাদ‍্য। (জুন-জুলাই এদের প্রজননকাল। স্ত্রী সাপ ৫-১৭ টি ডিম পাড়ে। পুরুষ সাপ অপেক্ষা স্ত্রী সাপ কিছুটা বড়ো হয়।) গঠন- মাঝারি আকৃতির সাপটির শরীরের উপরের অংশ জলপাই বাদামী অথবা সবুজ রঙের এবং হলুদ ও কালো রঙের জালিকা আকারের ছোপ পুরো শরীরে বিদ‍্যমান। ঘাড় সিঁদুর রঙের, চোখের নীচে একটি কালো দাগ বিদ‍্যমান। শরীরের নীচের অংশ হলদেটে। এই সাপের কামড়ে মৃত্যুর রেকর্ড আছে। এবং এটি একাধারে Venomous এবংPoisonous দুইই। 'Venom' এবং 'Poison' কি? যখন দাঁত/ অন্য অঙ্গের মাধ্যমে কোনো প্রাণী চামড়া ভেদ করে অন্য কোনো প্রাণীর রক্তের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয়। তখন সেই বিষকে ইংরেজিতে ভেনম (Venom) বলে। তাই সব সাপের বিষ ভেনম। যে সকল বিষ স্পর্শ বা অন‍্যভাবে চামড়ার সংস্পর্শে বা পেটে গিয়ে ক্ষতি করে। তাকে মূলত ইংরেজিতে পয়জন (Poison) বলে। এই সাপটি উভয় প্রকার। কারণ, এই সাপের মুখের ভিতর বিষগ্ৰন্থি রয়েছে, সঙ্গে এর ঘাড়েও একপ্রকার বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে যা পতঙ্গ সহ ছোটো প্রাণী মেরে ফেলতে সক্ষম। এবং মানুষের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ক্ষতিকর। বিষধর সাপের সাধারণত সামনের দিকে দুটি বিষদাঁত রয়েছে, এদের কোনো সুগঠিত বিষদাঁত নেই। পেছনের দিকের দাঁত এরা বিষদাঁত হিসেবে ব‍্যবহৃত করে। সাপের শরীরে যেসব আঁশ থাকে তার একটি হল Loreal. যেটি সাধারণত বিষধর সাপের ক্ষেত্রে থাকে না। কিন্তু লাল গলা ঢোড়া সাপের এই আঁশ আছে। এর শরীরের অন‍্যান‍্য আঁশ বিন‍্যাসও অন‍্যান‍্য সাপেদের মতোন। এর ফণা অনেকটা শঙ্খচূড়ের মতোন। এর বিষ আরও রহস্যময়। সাধারণত বিষধর সাপের বিষ তিনপ্রকার। Haemotoxic, Neaurotoxic, Cytotoxic. লাল গলা ঢোড়া সাপের বিষ এর মধ্যে কোনোটিই নয়। এর বিষ সরাসরি কিডনিকে নষ্ট করে দেয়। প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। এর এন্টিভেনম আমাদের কোনো দেশেই নেই। শুধুমাত্র জাপানে 'Anti - Yamakagashi Antivenom' নামে এন্টিভেনম পাওয়া যায়। তবে আমরা একটু সচেতন হলেই যেকোনো বিষধর সাপের কামড় থেকে বাঁচতে পারি। দয়া করে আপনার খুব ক্ষতি না করলে কখনোই সাপ মারবেন না। ইকোসিস্টেমে সাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তথ্য-গুগল
    0 Comments 0 Shares 10 Views
  • BadBox 2.0: ভয়ঙ্কর Android Malware – আপনার মোবাইল কি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত?

    Badbox 2.0 হলো একধরনের ম্যালওয়্যার-ভিত্তিক বটনেট, যেটি মূলত সস্তা Android চালিত ডিভাইসগুলিতে (যেমন: টিভি বক্স, প্রোজেক্টর, ডিজিটাল ফটো ফ্রেম ইত্যাদি) প্রি-ইনস্টল করা অবস্থায় আসে এবং বিশ্বব্যাপী ১ কোটিরও বেশি ডিভাইস ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে।

    কি করে Badbox 2.0?
    BadBox সংক্রামিত ডিভাইসকে বটনেটে পরিণত করে – অর্থাৎ হ্যাকারদের কমান্ডে চলে।
    এটি ব্যবহারকারীর অজান্তে অ্যাড ফ্রড, ডিভাইস ট্র্যাকিং, রেসিডেনশিয়াল প্রক্সি তৈরি ও অন্যান্য অসৎ কাজ করে।
    সংক্রামিত ডিভাইসগুলোতে দৃশ্যমান কিছুই হয় না, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত হয়।

    কে তৈরি করেছে?
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের FBI এবং Google এর তদন্ত অনুযায়ী, Badbox 2.0 এর পিছনে রয়েছে চীনা সাইবার অপরাধী চক্র।
    এই অপরাধচক্রটি মূলত চীনের শেনজেন (Shenzhen) শহরের কিছু কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে যারা সস্তা Android ডিভাইস তৈরি ও বিক্রি করে।

    কোন কোন ডিভাইস ঝুঁকিতে?
    অজানা কোম্পানির Android TV Box
    সস্তা স্মার্ট প্রোজেক্টর
    ডিজিটাল ফটো ফ্রেম
    অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট
    ফ্রি VPN বা ক্লোন অ্যাপ ইনস্টল করা ফোন

    এসব ডিভাইসে Malware প্রি-ইনস্টল করা থাকে, ব্যবহারকারী জানতেই পারে না।

    কেন ভয়ংকর?
    ব্যবহারকারীর বাসার IP ব্যবহার করে হ্যাকাররা অন্যকে হ্যাক করতে পারে!
    Google ও FBI বলেছে, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় Android botnet!
    ১ কোটি ডিভাইস এর মাধ্যমে Massive Ad Fraud এবং Proxy Network চালানো হচ্ছে!

    আপনি কী করবেন?

    অজানা বা ব্র্যান্ডহীন Android ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
    শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডের ফোন/টিভি বক্স কিনুন
    ফোনে অজানা অ্যাপ ইনস্টল করবেন না
    সেটিংসে গিয়ে ADB Debugging বন্ধ রাখুন
    নিজের WiFi ট্রাফিক মনিটর করুন
    Follow Blackbd
    #BlackBD #Badbox2 #CyberAwareness #AndroidMalware #CyberSecurity #EthicalHacking #বাংলা_সাইবার_নিউজ
    🛑 BadBox 2.0: ভয়ঙ্কর Android Malware – আপনার মোবাইল কি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত? 🔍 Badbox 2.0 হলো একধরনের ম্যালওয়্যার-ভিত্তিক বটনেট, যেটি মূলত সস্তা Android চালিত ডিভাইসগুলিতে (যেমন: টিভি বক্স, প্রোজেক্টর, ডিজিটাল ফটো ফ্রেম ইত্যাদি) প্রি-ইনস্টল করা অবস্থায় আসে এবং বিশ্বব্যাপী ১ কোটিরও বেশি ডিভাইস ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে। 📌 কি করে Badbox 2.0? BadBox সংক্রামিত ডিভাইসকে বটনেটে পরিণত করে – অর্থাৎ হ্যাকারদের কমান্ডে চলে। এটি ব্যবহারকারীর অজান্তে অ্যাড ফ্রড, ডিভাইস ট্র্যাকিং, রেসিডেনশিয়াল প্রক্সি তৈরি ও অন্যান্য অসৎ কাজ করে। সংক্রামিত ডিভাইসগুলোতে দৃশ্যমান কিছুই হয় না, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত হয়। 🧠 কে তৈরি করেছে? 👉 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের FBI এবং Google এর তদন্ত অনুযায়ী, Badbox 2.0 এর পিছনে রয়েছে চীনা সাইবার অপরাধী চক্র। এই অপরাধচক্রটি মূলত চীনের শেনজেন (Shenzhen) শহরের কিছু কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে যারা সস্তা Android ডিভাইস তৈরি ও বিক্রি করে। 📱 কোন কোন ডিভাইস ঝুঁকিতে? অজানা কোম্পানির Android TV Box সস্তা স্মার্ট প্রোজেক্টর ডিজিটাল ফটো ফ্রেম অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট ফ্রি VPN বা ক্লোন অ্যাপ ইনস্টল করা ফোন 🧪 এসব ডিভাইসে Malware প্রি-ইনস্টল করা থাকে, ব্যবহারকারী জানতেই পারে না। ⚠️ কেন ভয়ংকর? ব্যবহারকারীর বাসার IP ব্যবহার করে হ্যাকাররা অন্যকে হ্যাক করতে পারে! Google ও FBI বলেছে, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় Android botnet! ১ কোটি ডিভাইস এর মাধ্যমে Massive Ad Fraud এবং Proxy Network চালানো হচ্ছে! 🔐 আপনি কী করবেন? ✅ অজানা বা ব্র্যান্ডহীন Android ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন ✅ শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডের ফোন/টিভি বক্স কিনুন ✅ ফোনে অজানা অ্যাপ ইনস্টল করবেন না ✅ সেটিংসে গিয়ে ADB Debugging বন্ধ রাখুন ✅ নিজের WiFi ট্রাফিক মনিটর করুন Follow Blackbd #BlackBD #Badbox2 #CyberAwareness #AndroidMalware #CyberSecurity #EthicalHacking #বাংলা_সাইবার_নিউজ
    Wow
    1
    0 Comments 0 Shares 93 Views
  • বাংলাদেশি মেরিন ক্যাডেটদের চাকরির সংকট বাস্তবতা ও কারণসমূহ

    ১. প্রতিবছর শত শত তরুণ ক্যাডেট দেশের Marine Academy গুলো থেকে পাস করে জীবনের প্রথম জাহাজে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রথম বছরেই তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও কম চাকরি পায়। বাকিরা বছরের পর বছর Sea Time-এর জন্য অপেক্ষা করে। অনেকেই হতাশ হয়ে ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়। এই তরুণরা কিন্তু একটি বিশেষায়িত ট্রেনিং সম্পন্ন করে শুধুমাত্র মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার উপযোগী হয়েছে। অন্য কোনো সেক্টরে তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রায় অসম্ভব। আরও দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, চার বছরের অনার্স কোর্সে মাত্র দুই বছর একাডেমিক ট্রেনিং করিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি এক বছর জাহাজে ইন্টার্নশিপ (Cadetship) এবং শেষের এক বছর একাডেমিতে ফিরে দুইটি সেমিস্টার কমপ্লিট করে তবেই তারা অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারে। ফলে এই পড়াশোনা সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে তারা বিসিএস কিংবা মাস্টার্সে পর্যন্ত আবেদন করতে পারে না। এটি নিঃসন্দেহে তাদের জন্য এক করুণ বাস্তবতা।
    ২. সরকারি ও বেসরকারি Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে, অথচ আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে সেই পরিমাণ চাহিদা নেই। Supply & Demand এর ভারসাম্য না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। অথচ এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে দেশের একমাত্র কর্তৃপক্ষ DG Shipping কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
    ৩. বাংলাদেশের পতাকাবাহী (BD Flag) জাহাজের সংখ্যা যেমন কম, তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো, এগুলোর অনেক মালিকই নিয়ম অনুযায়ী ক্যাডেট নিতে চান না। আবার ক্যাডেট নিয়োগ দিলে তাঁদের জন্য কোনো সরকারি প্রণোদনাও নেই, ফলে মালিকরা একে বোঝা হিসেবে দেখেন।
    ৪. অনেক বিদেশি কোম্পানির জাহাজ বাংলাদেশে আসে, কিন্তু আমাদের ক্যাডেটরা সেখানে সুযোগ পায় না। যদি সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করে, তাহলে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানির ম্যানেজার, ক্যাপ্টেন ও চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে এসব কোম্পানিকে রাজি করানো সম্ভব।
    ৫. চাকরির আশায় অনেক ক্যাডেট ম্যানিং এজেন্সিগুলোর শরণাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু যথাযথ মনিটরিং-এর অভাবে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সার্ভিস চার্জের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে, অথচ চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। একাডেমি কিংবা DG Shipping এর এই বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ বা দায়বদ্ধতা নেই। ফলে ক্যাডেটরা অসহায়। যারা সামর্থ্যবান তারা বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে জাহাজে ওঠার চেষ্টা করছে।
    ৬. Marine Academy গুলোর কারিকুলাম অনেকটাই পুরনো এবং নিয়মিত আপডেট হচ্ছে না। Maritime English, Soft Skills, Interview Preparation ও বাস্তবভিত্তিক ট্রেনিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। যার কারণে তারা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে ভালো করতে পারছে না। যেমন, এই বছর Oldendorff, OSM Thome, Hafnia এর মত কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে সাকসেস রেট ছিল ৫০ শতাংশেরও কম। কোম্পানিগুলো আশানুরূপ জ্ঞান ও দক্ষতা না পেয়ে হতাশ হয়েছে।
    ৭. সিঙ্গাপুর, ইউএই, ওমান, কাতারসহ গুরুত্বপূর্ণ Sign-on/Sign-off পোর্টগুলোতে Seafarer Visa পাওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। এই ভিসা জটিলতা চাকরি পাওয়ার পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার দ্রুত সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
    ৮. দেশে এমন অনেক সরকারি-বেসরকারি Maritime Academy গড়ে উঠেছে যাদের মান নিয়ন্ত্রণ নেই। অনুমোদন পেলেই তারা Intake শুরু করে দেয়, অথচ নেই যথাযথ ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি, ল্যাব, লাইব্রেরি বা অভিজ্ঞ শিক্ষক। এর ফলে প্রশিক্ষণের মান পড়ে যাচ্ছে, এবং দুর্বল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের কারণে চাকরির বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
    ৯. Institute of Marine Technology (IMT) মূলত Inland Shipping ও Shipbuilding সেক্টরের জন্য শিক্ষার্থী তৈরি করে। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে CDC সংগ্রহ এবং সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে মূল Marine Cadet দের চাকরি হরণ হওয়ার পাশাপাশি চাকরির বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তার চেয়েও বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, STCW রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ট্রেনিং ব্যতীত কাউকে Sea-going Vessel-এ জয়েন করালে IMO কর্তৃক বাংলাদেশ ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এর ফলে ভালো শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি Seafarer নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।


    সমস্যা সমাধানে ৯টি বাস্তবসম্মত সুপারিশঃ
    ১. দেশের Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা চাকরির বাজার বিশ্লেষণ করে প্রতি বছর DG Shipping কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে সব একাডেমির সঙ্গে বৈঠক করে unemployed ক্যাডেটদের তালিকা করে পরবর্তী বছরের Intake নির্ধারণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ডিজি শিপিং প্রত্যেকটা একাডেমি কে তাদের জন্য ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট intake নির্দিষ্ট করে দিতে পারে। সরকারি বেসরকারি কোন একাডেমীর উচিত হবে না সেই ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট Intake এর বাইরে ক্যাডেট নেওয়া করা!
    ২. BD Flag জাহাজে ৪ জন করে ক্যাডেট রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার পোর্ট ডিউস ছাড়, অগ্রাধিকার ভিত্তিক বার্থিং ইত্যাদি প্রণোদনা দিতে পারে।
    ৩. বাংলাদেশে আসা বিদেশি জাহাজগুলোতে আমাদের ক্যাডেট নিয়োগে উৎসাহ দিতে Incentive Program চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশে কর্মরত আমাদের সিনিয়র অফিসারদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।
    ৪. Marine Academy-এর মেধা তালিকা অনুযায়ী স্বচ্ছ একটি Central Cadet Placement Portal গঠন করে Sea Time-এর সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। একাডেমিগুলো কোম্পানিগুলোর কাছে আবেদনপত্র পাঠাতে পারে বা Manning Agent দের তালিকা দিতে পারে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একাডেমিগুলির কমান্ড্যান্টগণ তাদের তত্ত্বাবধানে একটা টিম গঠন করতে পারে যারা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ক্যাডেটদের জন্য চাকরির চেষ্টা করতে পারে। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজে দেয়। একাডেমী গুলি বিভিন্ন কোম্পানিতে কে তাদের একাডেমি ভিজিট এবং ক্যাডেট নেওয়ার জন্য MoU সাইন করার ব্যবস্থা করতে পারে। অনেক বড় বড় কোম্পানি বিভিন্ন দেশের একাডেমি গুলির সাথে Collanoration এর চুক্তি করে।
    ৫. MLC 2006 অনুযায়ী কোনো ম্যানিং এজেন্ট ক্যাডেট বা সিফেয়ারারদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না। সব ম্যানিং এজেন্সিকে সরকারি নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
    ৬. Maritime Education কারিকুলাম STCW কনভেনশন অনুসারে নিয়মিত আপডেট করতে হবে। Maritime English, Interview Skills, CBT, এবং সিমুলেটর ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে।
    ৭. Seafarer Visa সমস্যার সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। G2G, G2B এবং B2B আলোচনার মাধ্যমে Seafarer Visa সহজীকরণে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে OK to Board ভিসাসহ সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব, USA এবং শেঙ্গেন ভিসার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
    ৮. নতুন Maritime Academy অনুমোদনের আগে অভিজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে Infrastructure, কোর্স, শিক্ষক, চাকরির বাজার ও চাহিদা যাচাই করে অনুমোদন দিতে হবে।
    ৯. IMT এবং Shipbuilding & Inland Shipping সংক্রান্ত ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা Sea-going Vessel-এ চাকরির চেষ্টা করলে তা প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাদের জন্য আলাদা চাকরির ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে হবে। তাদেরকে সার্টিফাইড ওয়েল্ডিং এন্ড শিপ বিল্ডিং প্রফেশনাল হিসেবে উত্তম ভাবে trained up করে সিঙ্গাপুর, সাউথ কোরিয়া এবং জাপান সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চাকরির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়াও তাদেরকে জাহাজের দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম পড়িয়ে দক্ষ ETO হিসাবে Trained up করে জাহাজে চাকরির জন্য CDC প্রদান করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের STCW 2010 রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে ট্রেনিং নিশ্চিত করতে হবে। এরপরও যদি তারা ইন্টারন্যাশনাল শিপিং এ ডেক এবং ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসাবে চাকরির জন্য CDC পাওয়ার দাবি করে তবে তাদের কে ডিজি শিপিং এর মার্চেন্ডশিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এবং STCW 2010 ম্যানিলা আমেনমেন্ট অনুসারে Pre-sea training সম্পন্ন করে ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং থেকে তাদের ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে CDC এর জন্য আবেদন করতে হবে। শিপিং মিনিস্টারের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং ছাড়া অন্য কোন অথরিটির Seaman Book বা CDC ইস্যু করার এখতিয়ার নাই।
    পরিশেষে এটাই বলতে চাই, এখনই যদি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে আগামী কয়েক বছরে দেশের মেরিটাইম ক্যারিয়ার এক চরম হতাশার মধ্যে পড়বে। পরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তাই এখনই সময় দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
    বাংলাদেশি মেরিন ক্যাডেটদের চাকরির সংকট বাস্তবতা ও কারণসমূহ ১. প্রতিবছর শত শত তরুণ ক্যাডেট দেশের Marine Academy গুলো থেকে পাস করে জীবনের প্রথম জাহাজে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রথম বছরেই তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও কম চাকরি পায়। বাকিরা বছরের পর বছর Sea Time-এর জন্য অপেক্ষা করে। অনেকেই হতাশ হয়ে ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়। এই তরুণরা কিন্তু একটি বিশেষায়িত ট্রেনিং সম্পন্ন করে শুধুমাত্র মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার উপযোগী হয়েছে। অন্য কোনো সেক্টরে তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রায় অসম্ভব। আরও দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, চার বছরের অনার্স কোর্সে মাত্র দুই বছর একাডেমিক ট্রেনিং করিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি এক বছর জাহাজে ইন্টার্নশিপ (Cadetship) এবং শেষের এক বছর একাডেমিতে ফিরে দুইটি সেমিস্টার কমপ্লিট করে তবেই তারা অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারে। ফলে এই পড়াশোনা সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে তারা বিসিএস কিংবা মাস্টার্সে পর্যন্ত আবেদন করতে পারে না। এটি নিঃসন্দেহে তাদের জন্য এক করুণ বাস্তবতা। ২. সরকারি ও বেসরকারি Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে, অথচ আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে সেই পরিমাণ চাহিদা নেই। Supply & Demand এর ভারসাম্য না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। অথচ এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে দেশের একমাত্র কর্তৃপক্ষ DG Shipping কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। ৩. বাংলাদেশের পতাকাবাহী (BD Flag) জাহাজের সংখ্যা যেমন কম, তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো, এগুলোর অনেক মালিকই নিয়ম অনুযায়ী ক্যাডেট নিতে চান না। আবার ক্যাডেট নিয়োগ দিলে তাঁদের জন্য কোনো সরকারি প্রণোদনাও নেই, ফলে মালিকরা একে বোঝা হিসেবে দেখেন। ৪. অনেক বিদেশি কোম্পানির জাহাজ বাংলাদেশে আসে, কিন্তু আমাদের ক্যাডেটরা সেখানে সুযোগ পায় না। যদি সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করে, তাহলে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানির ম্যানেজার, ক্যাপ্টেন ও চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে এসব কোম্পানিকে রাজি করানো সম্ভব। ৫. চাকরির আশায় অনেক ক্যাডেট ম্যানিং এজেন্সিগুলোর শরণাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু যথাযথ মনিটরিং-এর অভাবে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সার্ভিস চার্জের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে, অথচ চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। একাডেমি কিংবা DG Shipping এর এই বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ বা দায়বদ্ধতা নেই। ফলে ক্যাডেটরা অসহায়। যারা সামর্থ্যবান তারা বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে জাহাজে ওঠার চেষ্টা করছে। ৬. Marine Academy গুলোর কারিকুলাম অনেকটাই পুরনো এবং নিয়মিত আপডেট হচ্ছে না। Maritime English, Soft Skills, Interview Preparation ও বাস্তবভিত্তিক ট্রেনিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। যার কারণে তারা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে ভালো করতে পারছে না। যেমন, এই বছর Oldendorff, OSM Thome, Hafnia এর মত কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউতে সাকসেস রেট ছিল ৫০ শতাংশেরও কম। কোম্পানিগুলো আশানুরূপ জ্ঞান ও দক্ষতা না পেয়ে হতাশ হয়েছে। ৭. সিঙ্গাপুর, ইউএই, ওমান, কাতারসহ গুরুত্বপূর্ণ Sign-on/Sign-off পোর্টগুলোতে Seafarer Visa পাওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। এই ভিসা জটিলতা চাকরি পাওয়ার পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার দ্রুত সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। ৮. দেশে এমন অনেক সরকারি-বেসরকারি Maritime Academy গড়ে উঠেছে যাদের মান নিয়ন্ত্রণ নেই। অনুমোদন পেলেই তারা Intake শুরু করে দেয়, অথচ নেই যথাযথ ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি, ল্যাব, লাইব্রেরি বা অভিজ্ঞ শিক্ষক। এর ফলে প্রশিক্ষণের মান পড়ে যাচ্ছে, এবং দুর্বল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের কারণে চাকরির বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ৯. Institute of Marine Technology (IMT) মূলত Inland Shipping ও Shipbuilding সেক্টরের জন্য শিক্ষার্থী তৈরি করে। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে CDC সংগ্রহ এবং সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে মূল Marine Cadet দের চাকরি হরণ হওয়ার পাশাপাশি চাকরির বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তার চেয়েও বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, STCW রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ট্রেনিং ব্যতীত কাউকে Sea-going Vessel-এ জয়েন করালে IMO কর্তৃক বাংলাদেশ ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এর ফলে ভালো শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি Seafarer নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। সমস্যা সমাধানে ৯টি বাস্তবসম্মত সুপারিশঃ ১. দেশের Marine Academy গুলোর Intake সংখ্যা চাকরির বাজার বিশ্লেষণ করে প্রতি বছর DG Shipping কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে সব একাডেমির সঙ্গে বৈঠক করে unemployed ক্যাডেটদের তালিকা করে পরবর্তী বছরের Intake নির্ধারণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ডিজি শিপিং প্রত্যেকটা একাডেমি কে তাদের জন্য ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট intake নির্দিষ্ট করে দিতে পারে। সরকারি বেসরকারি কোন একাডেমীর উচিত হবে না সেই ম্যাক্সিমাম ক্যাডেট Intake এর বাইরে ক্যাডেট নেওয়া করা! ২. BD Flag জাহাজে ৪ জন করে ক্যাডেট রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার পোর্ট ডিউস ছাড়, অগ্রাধিকার ভিত্তিক বার্থিং ইত্যাদি প্রণোদনা দিতে পারে। ৩. বাংলাদেশে আসা বিদেশি জাহাজগুলোতে আমাদের ক্যাডেট নিয়োগে উৎসাহ দিতে Incentive Program চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশে কর্মরত আমাদের সিনিয়র অফিসারদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে। ৪. Marine Academy-এর মেধা তালিকা অনুযায়ী স্বচ্ছ একটি Central Cadet Placement Portal গঠন করে Sea Time-এর সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। একাডেমিগুলো কোম্পানিগুলোর কাছে আবেদনপত্র পাঠাতে পারে বা Manning Agent দের তালিকা দিতে পারে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একাডেমিগুলির কমান্ড্যান্টগণ তাদের তত্ত্বাবধানে একটা টিম গঠন করতে পারে যারা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ক্যাডেটদের জন্য চাকরির চেষ্টা করতে পারে। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজে দেয়। একাডেমী গুলি বিভিন্ন কোম্পানিতে কে তাদের একাডেমি ভিজিট এবং ক্যাডেট নেওয়ার জন্য MoU সাইন করার ব্যবস্থা করতে পারে। অনেক বড় বড় কোম্পানি বিভিন্ন দেশের একাডেমি গুলির সাথে Collanoration এর চুক্তি করে। ৫. MLC 2006 অনুযায়ী কোনো ম্যানিং এজেন্ট ক্যাডেট বা সিফেয়ারারদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না। সব ম্যানিং এজেন্সিকে সরকারি নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৬. Maritime Education কারিকুলাম STCW কনভেনশন অনুসারে নিয়মিত আপডেট করতে হবে। Maritime English, Interview Skills, CBT, এবং সিমুলেটর ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৭. Seafarer Visa সমস্যার সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। G2G, G2B এবং B2B আলোচনার মাধ্যমে Seafarer Visa সহজীকরণে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে OK to Board ভিসাসহ সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব, USA এবং শেঙ্গেন ভিসার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ৮. নতুন Maritime Academy অনুমোদনের আগে অভিজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে Infrastructure, কোর্স, শিক্ষক, চাকরির বাজার ও চাহিদা যাচাই করে অনুমোদন দিতে হবে। ৯. IMT এবং Shipbuilding & Inland Shipping সংক্রান্ত ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা Sea-going Vessel-এ চাকরির চেষ্টা করলে তা প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাদের জন্য আলাদা চাকরির ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে হবে। তাদেরকে সার্টিফাইড ওয়েল্ডিং এন্ড শিপ বিল্ডিং প্রফেশনাল হিসেবে উত্তম ভাবে trained up করে সিঙ্গাপুর, সাউথ কোরিয়া এবং জাপান সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চাকরির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়াও তাদেরকে জাহাজের দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম পড়িয়ে দক্ষ ETO হিসাবে Trained up করে জাহাজে চাকরির জন্য CDC প্রদান করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের STCW 2010 রিকোয়ারমেন্ট অনুসারে ট্রেনিং নিশ্চিত করতে হবে। এরপরও যদি তারা ইন্টারন্যাশনাল শিপিং এ ডেক এবং ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসাবে চাকরির জন্য CDC পাওয়ার দাবি করে তবে তাদের কে ডিজি শিপিং এর মার্চেন্ডশিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এবং STCW 2010 ম্যানিলা আমেনমেন্ট অনুসারে Pre-sea training সম্পন্ন করে ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং থেকে তাদের ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে CDC এর জন্য আবেদন করতে হবে। শিপিং মিনিস্টারের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ শিপিং ছাড়া অন্য কোন অথরিটির Seaman Book বা CDC ইস্যু করার এখতিয়ার নাই। পরিশেষে এটাই বলতে চাই, এখনই যদি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে আগামী কয়েক বছরে দেশের মেরিটাইম ক্যারিয়ার এক চরম হতাশার মধ্যে পড়বে। পরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তাই এখনই সময় দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
    0 Comments 0 Shares 90 Views
  • চলো, বড় দুর্ঘটনায় Burn Management নিয়ে জানি!
    গতকাল উত্তরা মাইলস্টোনের ভয়াবহ প্লেন ক্র্যাশ আমাদের মনে করিয়ে দিল, বড় অগ্নিকাণ্ডে শরীর পুড়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান কতটা জরুরি।

    বিশেষ করে, দগ্ধ রোগীর শরীরে কত শতাংশ পুড়েছে – এটা জানা চিকিৎসকের জন্য জীবন বাঁচানোর প্রথম ধাপ।

    তাই আজ একটু stable হয়ে মেডিকেল স্টুডেন্ট হয়ে বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত লিখা।।

    শরীরের পুড়ার হিসাব করার সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ পদ্ধতি হলো - Rule of 9

    শরীরকে ভাগ ভাগ করে ধরা হয়ঃ

    • মাথা ও ঘাড় ৯% (বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১৮% )

    • একেকটা হাত ৯%

    • বুকের সামনের দিক (chest+abdomen) ১৮%

    • পিঠের দিক (Back of the trunk) ১৮%

    • একেকটা পা ১৮% (বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১৩.৫% করে)

    • গোপনাঙ্গ (Perineum) ১%

    ধরুন, যদি দুই হাত, বুকের সামনের দিক আর মুখ পুড়ে যায়, তাহলে = ৯% + ৯% + ১৮% + ৯% = ৪৫% দগ্ধ। ( শিশু হলে ৫৪% দগ্ধ)

    এই হিসাবের উপর নির্ভর করে রোগী ICU দরকার কি না, fluid কত দিতে হবে ইত্যাদি সিদ্ধান্ত হয়।

    Hospital Admit (বা ICU ) মূল শর্ত -

    Partial thickness বার্ণ (2nd degree burn) যদি ১৫% এর উপর হয় (Adult ) অথবা ১০% এর উপর ( Children )

    Full thickness (3rd degree burn) বার্ন হলে ৫% এর উপর হইলেই হাসপাতালে এডমিট করতে হয়।

    এছাড়াও শর্ত আছে , যা প্রাসঙ্গিক আজকের জন্য শুধু সেগুলো বললাম।

    গতকালকের ভিডিও তে দেখা প্রায় বেশিরভাগেরই ছিল 2nd degree & 3rd degree burn.

    এখন আসি, কীভাবে স্যালাইন দেওয়া হয় দগ্ধ রোগীকে?

    পুড়ে যাওয়ার পর দেহ প্রচুর পানি হারায়। বাঁচাতে হলে সেই পানি দ্রুত দিতে হয়।

    এই জন্য বিশ্বব্যাপী চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ঃ

    Parkland Formula:

    Fluid (ml) = 4 ml × Body weight (kg) × % Burn area

    কীভাবে দেবেন?

    প্রথম ৮ ঘণ্টায় অর্ধেক

    পরের ১৬ ঘণ্টায় বাকি অর্ধেক

    উদাহরণঃ

    ৬০ কেজি রোগী, ৪৫% পুড়েছে।

    = 4 × 60 × 45 = 10,800 ml স্যালাইন

    প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৫,৪০০ ml

    পরের ১৬ ঘণ্টায় ৫,৪০০ ml

    শেষ কথা:

    Burn Injury মানেই শুধু চামড়া পুড়েনি, পুরো শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ছে।

    সঠিক হিসাব আর দ্রুত স্যালাইনই জীবন বাঁচায়।

    একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট হিসেবে মনে করি, এই জ্ঞান আজকের বাংলাদেশে সবাইকে জানা উচিত।

    #UttaraPlaneCrash #BurnAwareness #MedicalFacts #RuleOf9 #ParklandFormula #HealthEducation #EmergencyCare #milestonetragedy
    চলো, বড় দুর্ঘটনায় Burn Management নিয়ে জানি! গতকাল উত্তরা মাইলস্টোনের ভয়াবহ প্লেন ক্র্যাশ আমাদের মনে করিয়ে দিল, বড় অগ্নিকাণ্ডে শরীর পুড়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান কতটা জরুরি। বিশেষ করে, দগ্ধ রোগীর শরীরে কত শতাংশ পুড়েছে – এটা জানা চিকিৎসকের জন্য জীবন বাঁচানোর প্রথম ধাপ। তাই আজ একটু stable হয়ে মেডিকেল স্টুডেন্ট হয়ে বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত লিখা।। শরীরের পুড়ার হিসাব করার সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ পদ্ধতি হলো - Rule of 9 শরীরকে ভাগ ভাগ করে ধরা হয়ঃ • মাথা ও ঘাড় ➡️ ৯% (বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১৮% ) • একেকটা হাত ➡️ ৯% • বুকের সামনের দিক (chest+abdomen) ➡️ ১৮% • পিঠের দিক (Back of the trunk) ➡️ ১৮% • একেকটা পা ➡️ ১৮% (বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১৩.৫% করে) • গোপনাঙ্গ (Perineum) ➡️ ১% 👉 ধরুন, যদি দুই হাত, বুকের সামনের দিক আর মুখ পুড়ে যায়, তাহলে = ৯% + ৯% + ১৮% + ৯% = ৪৫% দগ্ধ। ( শিশু হলে ৫৪% দগ্ধ) এই হিসাবের উপর নির্ভর করে রোগী ICU দরকার কি না, fluid কত দিতে হবে ইত্যাদি সিদ্ধান্ত হয়। Hospital Admit (বা ICU ) মূল শর্ত - ☑️ Partial thickness বার্ণ (2nd degree burn) যদি ১৫% এর উপর হয় (Adult ) অথবা ১০% এর উপর ( Children ) ☑️ Full thickness (3rd degree burn) বার্ন হলে ৫% এর উপর হইলেই হাসপাতালে এডমিট করতে হয়। এছাড়াও শর্ত আছে , যা প্রাসঙ্গিক আজকের জন্য শুধু সেগুলো বললাম। গতকালকের ভিডিও তে দেখা প্রায় বেশিরভাগেরই ছিল 2nd degree & 3rd degree burn. 🙂🙂🙂 ✅ এখন আসি, কীভাবে স্যালাইন দেওয়া হয় দগ্ধ রোগীকে? পুড়ে যাওয়ার পর দেহ প্রচুর পানি হারায়। বাঁচাতে হলে সেই পানি দ্রুত দিতে হয়। এই জন্য বিশ্বব্যাপী চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ঃ 👉 Parkland Formula: Fluid (ml) = 4 ml × Body weight (kg) × % Burn area কীভাবে দেবেন? ⏳ প্রথম ৮ ঘণ্টায় অর্ধেক ⏳ পরের ১৬ ঘণ্টায় বাকি অর্ধেক ⚠️ উদাহরণঃ ৬০ কেজি রোগী, ৪৫% পুড়েছে। = 4 × 60 × 45 = 10,800 ml স্যালাইন প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৫,৪০০ ml পরের ১৬ ঘণ্টায় ৫,৪০০ ml 🔍 শেষ কথা: Burn Injury মানেই শুধু চামড়া পুড়েনি, পুরো শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। সঠিক হিসাব আর দ্রুত স্যালাইনই জীবন বাঁচায়। একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট হিসেবে মনে করি, এই জ্ঞান আজকের বাংলাদেশে সবাইকে জানা উচিত। #UttaraPlaneCrash #BurnAwareness #MedicalFacts #RuleOf9 #ParklandFormula #HealthEducation #EmergencyCare #milestonetragedy
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 226 Views
  • আমার বাবুটা আর আসবে না।
    আমার বাবুটা আর আসবে না।
    নিশব্দে ঝরে পড়ে
    একটা দুপুর—বিকেলের একফোঁটা মৃ*ত্যু।
    সকালবেলা স্কুলে দিয়ে এলাম—
    হাত নেড়ে বলেছি , “যা বাবা, দেরি হয়ে যাচ্ছে তো!”
    কে জানতো, ওইটাই শেষ দেখা,
    কে জানতো, ওই হাসির আড়ালেই
    লুকিয়ে ছিল চিরবিদায়ের ছায়া…
    আমার বাবুটা আর নেই।

    প্লেনের তেলে আগুন লেগে
    দ*গ্ধ হয়ে গিয়েছিল তার সারা দেহ ,
    চেনা মুখ, চেনা শরীর—সব পু*ড়ে ছাই,
    আমার বাবুটা আর নেই।

    সকালেও উঠতে চাইছিল না,
    আমি ডেকে তুলেছিলাম,
    “বাবা, দেরি হচ্ছে তো!”—
    নাস্তা খাইয়ে, আদর করে
    স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ,
    সেই বাবুটা, আজ আর নেই।

    ক’দিন পরই তো জন্মদিন ছিল,
    বন্ধুদের দাওয়াত দিয়ে রেখেছিলাম—
    প্ল্যান ছিল কেক, বেলুন আর বাবার হাসি।
    সব কিছু ভেসে গেল অশ্রুতে…
    এখন আর জন্মদিন হবে না,
    হবে শুধু জা*নাজা, মিলাদ, কুল*খানি।
    আমার বাবুটা আর আসবে না…

    আর কোনদিন সে ফোন করে বলব না—
    “বাবা, আজ পিৎজা খেতে মন চাইছে”
    আর কেউ উত্তরে বলবে না,
    “আচ্ছা, বাবু, অফিস থেকে ফিরেই নিয়ে আসব।”

    ঈদ আসবে, কিন্তু আমার বাবুটা আসবে না।
    বলবে না,
    “মা, নতুন পাঞ্জাবি লাগবে, জুতো লাগবে, টুপি লাগবে…”
    ঈদের আনন্দে থাকবে শুধু এক ফাঁকা চেয়ার,
    একটা নিঃশব্দ হাহাকার।

    আমার বাবুটা আর আসবে না।
    না, আর কোনদিন আসবে না।
    আমার বাবুটা…
    চিরতরে হারিয়ে গেছে…
    তবুও তার জন্য কাঁদবে আমার প্রতিটি সকাল,
    প্রতিটি বিকেল…
    আর আমি শুধু জানব —
    আমার বাবুটা আর আসবে না।
    আমার বাবুটা আর আসবে না।

    (This is an artificially intelligent-generated picture used as a symbol.) #bd #বাংলাদেশ #Bangladesh #bangladeshi
    আমার বাবুটা আর আসবে না। আমার বাবুটা আর আসবে না। নিশব্দে ঝরে পড়ে একটা দুপুর—বিকেলের একফোঁটা মৃ*ত্যু। সকালবেলা স্কুলে দিয়ে এলাম— হাত নেড়ে বলেছি , “যা বাবা, দেরি হয়ে যাচ্ছে তো!” কে জানতো, ওইটাই শেষ দেখা, কে জানতো, ওই হাসির আড়ালেই লুকিয়ে ছিল চিরবিদায়ের ছায়া… আমার বাবুটা আর নেই। প্লেনের তেলে আগুন লেগে দ*গ্ধ হয়ে গিয়েছিল তার সারা দেহ , চেনা মুখ, চেনা শরীর—সব পু*ড়ে ছাই, আমার বাবুটা আর নেই। সকালেও উঠতে চাইছিল না, আমি ডেকে তুলেছিলাম, “বাবা, দেরি হচ্ছে তো!”— নাস্তা খাইয়ে, আদর করে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম , সেই বাবুটা, আজ আর নেই। ক’দিন পরই তো জন্মদিন ছিল, বন্ধুদের দাওয়াত দিয়ে রেখেছিলাম— প্ল্যান ছিল কেক, বেলুন আর বাবার হাসি। সব কিছু ভেসে গেল অশ্রুতে… এখন আর জন্মদিন হবে না, হবে শুধু জা*নাজা, মিলাদ, কুল*খানি। আমার বাবুটা আর আসবে না… আর কোনদিন সে ফোন করে বলব না— “বাবা, আজ পিৎজা খেতে মন চাইছে” আর কেউ উত্তরে বলবে না, “আচ্ছা, বাবু, অফিস থেকে ফিরেই নিয়ে আসব।” ঈদ আসবে, কিন্তু আমার বাবুটা আসবে না। বলবে না, “মা, নতুন পাঞ্জাবি লাগবে, জুতো লাগবে, টুপি লাগবে…” ঈদের আনন্দে থাকবে শুধু এক ফাঁকা চেয়ার, একটা নিঃশব্দ হাহাকার। আমার বাবুটা আর আসবে না। না, আর কোনদিন আসবে না। আমার বাবুটা… চিরতরে হারিয়ে গেছে… তবুও তার জন্য কাঁদবে আমার প্রতিটি সকাল, প্রতিটি বিকেল… আর আমি শুধু জানব — আমার বাবুটা আর আসবে না। আমার বাবুটা আর আসবে না। (This is an artificially intelligent-generated picture used as a symbol.) #bd #বাংলাদেশ #Bangladesh #bangladeshi
    0 Comments 0 Shares 142 Views
  • সেনাবাহিনীকে যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা | Yunus Speech | BD Army
    সেনাবাহিনীকে যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা | Yunus Speech | BD Army
    0 Comments 0 Shares 140 Views
  • বিশ্বের সেরা মোটিভেশনাল বক্তব্য | Dr. APJ Abdul Kalam Speech For Students In Bangla | Nagar Bioscope
    বিশ্বের সেরা মোটিভেশনাল বক্তব্য | Dr. APJ Abdul Kalam Speech For Students In Bangla | Nagar Bioscope
    Wow
    1
    0 Comments 0 Shares 195 Views
  • Abdullah Abu Sayeed Speech
    Abdullah Abu Sayeed Speech
    YOUTU.BE
    Abdullah Abu Sayeed Speech | অসাধারণ বক্তব্য | Motivational Speech | আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ | 2024
    Abdullah Abu Sayeed Speech 2020 | Motivational Speech Bengali | আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ | বক্তব্যAbdullah abu sayeed motivational speech bengali. Motivational s...
    0 Comments 0 Shares 141 Views

  • EPISODE - 01 | Bachelor Point | S5 | Kabila | Habu | Pasha | Shimul | Kajal Arefin Ome | Boom Films Welcome to Bachelor Point Season 5 – Episode 1, a hilarious favorite new chapter by Kajal Arefin Ome and Boom Films! Join Polash, Marzuk Russell, Chashi Alam, Shimul, and the entire gang as they embark on fresh comedic bachelor adventures.

    Drama: Bachelor Point Season 5 Episode 1
    Story, Screenplay, Direction: Kajal Arefin Ome

    Cast: Ziaul Hoque Polash, Marzuk Russell, Chashi Alam, Saidur Rahman Pavel, Shimul Sharma, Monira Mithu, Abdullah Rana, Musafire Syed Bacchu, Ishtiak Ahmed Rumel, Lamima Lam, And Many More

    Cinematography:Fuad Bin Alamgir & Vasker Joni
    Music: Sandhi
    Sound Design: Ripon Nath
    Edit: Arifin Sarkar
    Art & Production: Boom Films
    Publicity Design: Ekta Banarjee (India)
    Colorist: Ashraful Alom
    Make Up: Saddam Hossain Robi
    Costume Designer: Emon Khandaker
    Executive Producer: Touhid Hossain
    Producer: Kajal Arefin Ome
    Produced By: Boom Films
    EPISODE - 01 | Bachelor Point | S5 | Kabila | Habu | Pasha | Shimul | Kajal Arefin Ome | Boom Films Welcome to Bachelor Point Season 5 – Episode 1, a hilarious favorite new chapter by Kajal Arefin Ome and Boom Films! Join Polash, Marzuk Russell, Chashi Alam, Shimul, and the entire gang as they embark on fresh comedic bachelor adventures. Drama: Bachelor Point Season 5 Episode 1 Story, Screenplay, Direction: Kajal Arefin Ome Cast: Ziaul Hoque Polash, Marzuk Russell, Chashi Alam, Saidur Rahman Pavel, Shimul Sharma, Monira Mithu, Abdullah Rana, Musafire Syed Bacchu, Ishtiak Ahmed Rumel, Lamima Lam, And Many More Cinematography:Fuad Bin Alamgir & Vasker Joni Music: Sandhi Sound Design: Ripon Nath Edit: Arifin Sarkar Art & Production: Boom Films Publicity Design: Ekta Banarjee (India) Colorist: Ashraful Alom Make Up: Saddam Hossain Robi Costume Designer: Emon Khandaker Executive Producer: Touhid Hossain Producer: Kajal Arefin Ome Produced By: Boom Films
    0 Comments 0 Shares 156 Views
BlackBird Ai
https://bbai.shop