The Rosette Nebula / গোলাপ নীহারিকা আমার সবচেয়ে পছন্দের নীহারিকার একটি। এই নীহারিকাটি পৃথিবী থেকে ৫,২০০ আলোকবর্ষ দূরে। তার মানে আমরা ৫,২০০ বছর আগে এটাকে যেমন দেখা যেত সেটা দেখছি। এর কারণ হোল আলোর বেগ। আলো সেকেন্ডে ৩ লক্ষ্য কিমি. গতিতে চলে আর এই নেবুলাটি এতই দূরে যে সেখানকার আলো আমাদের কাছে পৌছাতে হাজার হাজার বছর লাগে।
আর যদি প্রশ্ন করেন এর রঙ কি এমন নাকি, তার উত্তরটাও একটু জটিল। প্রথমত এটাকে খালি চোখে, এমনকি শক্তিশালি টেলিস্কোপ দিয়েও দেখা কষ্টকর কারণ এটা খুবই অনুজ্জ্বল। আর যদি বিশাল একটা টেলিস্কোপ দিয়ে একদম অন্ধকার এলাকা থেকে দেখেন তাহলে খুব আবছা আর ফেকাসে দেখাবে। তাহলে এই ছবিতে রঙ আসলো কিভাবে? এসেছে কারণ আমি ৬ ঘণ্টা ধরে এর এক্সপোজার নিয়েছি তারপর ডাটা আমপ্লিফিকেশনের মাধ্যমে দৃশ্যমান করা হয়েছে। অনেকটা টিভির ভলিউম বারানর মতো ব্যাপারটা।
আর শহরের আলোকদূষণ এড়াতে আমি একটা ডুয়েল ন্যারোবান্ড ফিলটার ব্যাবহার করেছি যা দিয়ে আমি নেবুলার হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের আলো পৃথক ভাবে ধারন করেছি। এখানে কমলা রঙের অংশে হাইড্রোজেনের আলো আর নীলচে অংশে অক্সিজেনের আলো দেখছি। আমাদের একেকটা চোখ যদি ফুটবল মাঠের সমান হত আর আমরা মহাকাশ থেকে যদি এই নেবুলার দিকে তাকাতাম তাহলে এটা দেখতে লালচে দেখাত। তাহলে এমন রঙ কেন দিলাম? কারণ এটা এক নজরে আমাদের বলে দেয় কথায় কোন ধরনের গ্যাস আছে। এটা একটা বৈজ্ঞানিক ছবি যাকে ফলস কালার ইমেজ বলে। কিন্তু এখানে যে গঠন দেখছি সেটা সঠিক এবং বাস্তব।
যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন এখানে কিছু কালো কালো দানার মত ছোপ আছে। এগুলকে বলে বক গ্লবিউল (Bok Globule)। এখানে ঘনিভুত ধূলিকণা আর গ্যাস আছে আর এর ভেতরে জন্ম নিচ্ছে নতুন একেকটি তারা। ফিউশন রিয়েকশন শুরু হলে এই ধূলিকণা গুলো সরে যাবে আর তারপর আমরা তারাটিকে দেখতে পারবো। বেপারটা অনেকটা প্রজাপতির জন্মের মতো তাইনা?
ছবিটি কেমন লাগলো জানাবেন। :) আর ছবিটি ৯০° ঘুরিয়ে দেখুন তো একে কিসের মতো লাগে!
NERD SPECS:
Telescope/Lens: Canon 70-200L F4 at 200mm
Camera: QHY268C
Tracker: iOptron CEM40
Filter: Optolong L-eXtreme 2"
Total Exposure: 6hrs
Location: Dhaka, Bangladesh
Processing: DSS + PixInsight
আর যদি প্রশ্ন করেন এর রঙ কি এমন নাকি, তার উত্তরটাও একটু জটিল। প্রথমত এটাকে খালি চোখে, এমনকি শক্তিশালি টেলিস্কোপ দিয়েও দেখা কষ্টকর কারণ এটা খুবই অনুজ্জ্বল। আর যদি বিশাল একটা টেলিস্কোপ দিয়ে একদম অন্ধকার এলাকা থেকে দেখেন তাহলে খুব আবছা আর ফেকাসে দেখাবে। তাহলে এই ছবিতে রঙ আসলো কিভাবে? এসেছে কারণ আমি ৬ ঘণ্টা ধরে এর এক্সপোজার নিয়েছি তারপর ডাটা আমপ্লিফিকেশনের মাধ্যমে দৃশ্যমান করা হয়েছে। অনেকটা টিভির ভলিউম বারানর মতো ব্যাপারটা।
আর শহরের আলোকদূষণ এড়াতে আমি একটা ডুয়েল ন্যারোবান্ড ফিলটার ব্যাবহার করেছি যা দিয়ে আমি নেবুলার হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের আলো পৃথক ভাবে ধারন করেছি। এখানে কমলা রঙের অংশে হাইড্রোজেনের আলো আর নীলচে অংশে অক্সিজেনের আলো দেখছি। আমাদের একেকটা চোখ যদি ফুটবল মাঠের সমান হত আর আমরা মহাকাশ থেকে যদি এই নেবুলার দিকে তাকাতাম তাহলে এটা দেখতে লালচে দেখাত। তাহলে এমন রঙ কেন দিলাম? কারণ এটা এক নজরে আমাদের বলে দেয় কথায় কোন ধরনের গ্যাস আছে। এটা একটা বৈজ্ঞানিক ছবি যাকে ফলস কালার ইমেজ বলে। কিন্তু এখানে যে গঠন দেখছি সেটা সঠিক এবং বাস্তব।
যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন এখানে কিছু কালো কালো দানার মত ছোপ আছে। এগুলকে বলে বক গ্লবিউল (Bok Globule)। এখানে ঘনিভুত ধূলিকণা আর গ্যাস আছে আর এর ভেতরে জন্ম নিচ্ছে নতুন একেকটি তারা। ফিউশন রিয়েকশন শুরু হলে এই ধূলিকণা গুলো সরে যাবে আর তারপর আমরা তারাটিকে দেখতে পারবো। বেপারটা অনেকটা প্রজাপতির জন্মের মতো তাইনা?
ছবিটি কেমন লাগলো জানাবেন। :) আর ছবিটি ৯০° ঘুরিয়ে দেখুন তো একে কিসের মতো লাগে!
NERD SPECS:
Telescope/Lens: Canon 70-200L F4 at 200mm
Camera: QHY268C
Tracker: iOptron CEM40
Filter: Optolong L-eXtreme 2"
Total Exposure: 6hrs
Location: Dhaka, Bangladesh
Processing: DSS + PixInsight
The Rosette Nebula / গোলাপ নীহারিকা আমার সবচেয়ে পছন্দের নীহারিকার একটি। এই নীহারিকাটি পৃথিবী থেকে ৫,২০০ আলোকবর্ষ দূরে। তার মানে আমরা ৫,২০০ বছর আগে এটাকে যেমন দেখা যেত সেটা দেখছি। এর কারণ হোল আলোর বেগ। আলো সেকেন্ডে ৩ লক্ষ্য কিমি. গতিতে চলে আর এই নেবুলাটি এতই দূরে যে সেখানকার আলো আমাদের কাছে পৌছাতে হাজার হাজার বছর লাগে।
আর যদি প্রশ্ন করেন এর রঙ কি এমন নাকি, তার উত্তরটাও একটু জটিল। প্রথমত এটাকে খালি চোখে, এমনকি শক্তিশালি টেলিস্কোপ দিয়েও দেখা কষ্টকর কারণ এটা খুবই অনুজ্জ্বল। আর যদি বিশাল একটা টেলিস্কোপ দিয়ে একদম অন্ধকার এলাকা থেকে দেখেন তাহলে খুব আবছা আর ফেকাসে দেখাবে। তাহলে এই ছবিতে রঙ আসলো কিভাবে? এসেছে কারণ আমি ৬ ঘণ্টা ধরে এর এক্সপোজার নিয়েছি তারপর ডাটা আমপ্লিফিকেশনের মাধ্যমে দৃশ্যমান করা হয়েছে। অনেকটা টিভির ভলিউম বারানর মতো ব্যাপারটা।
আর শহরের আলোকদূষণ এড়াতে আমি একটা ডুয়েল ন্যারোবান্ড ফিলটার ব্যাবহার করেছি যা দিয়ে আমি নেবুলার হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের আলো পৃথক ভাবে ধারন করেছি। এখানে কমলা রঙের অংশে হাইড্রোজেনের আলো আর নীলচে অংশে অক্সিজেনের আলো দেখছি। আমাদের একেকটা চোখ যদি ফুটবল মাঠের সমান হত আর আমরা মহাকাশ থেকে যদি এই নেবুলার দিকে তাকাতাম তাহলে এটা দেখতে লালচে দেখাত। তাহলে এমন রঙ কেন দিলাম? কারণ এটা এক নজরে আমাদের বলে দেয় কথায় কোন ধরনের গ্যাস আছে। এটা একটা বৈজ্ঞানিক ছবি যাকে ফলস কালার ইমেজ বলে। কিন্তু এখানে যে গঠন দেখছি সেটা সঠিক এবং বাস্তব।
যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন এখানে কিছু কালো কালো দানার মত ছোপ আছে। এগুলকে বলে বক গ্লবিউল (Bok Globule)। এখানে ঘনিভুত ধূলিকণা আর গ্যাস আছে আর এর ভেতরে জন্ম নিচ্ছে নতুন একেকটি তারা। ফিউশন রিয়েকশন শুরু হলে এই ধূলিকণা গুলো সরে যাবে আর তারপর আমরা তারাটিকে দেখতে পারবো। বেপারটা অনেকটা প্রজাপতির জন্মের মতো তাইনা?
ছবিটি কেমন লাগলো জানাবেন। :) আর ছবিটি ৯০° ঘুরিয়ে দেখুন তো একে কিসের মতো লাগে! 💀
⚙️ NERD SPECS:
Telescope/Lens: Canon 70-200L F4 at 200mm
Camera: QHY268C
Tracker: iOptron CEM40
Filter: Optolong L-eXtreme 2"
Total Exposure: 6hrs
Location: Dhaka, Bangladesh
Processing: DSS + PixInsight
0 Comments
0 Shares
13 Views
0 Reviews