• “ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে রান্নায় ভালো হয় — এর পেছনে লুকিয়ে আছে সায়েন্স!”

    গবেষণা বলছে, ছেলেরা রান্নাকে অনেক সময় ‘শখ’ ও ‘ক্রিয়েটিভ এক্সপেরিমেন্ট’ হিসেবে দেখে — ফলে তারা রেসিপির বাইরেও চিন্তা করে, নতুন কিছু চেষ্টা করে এবং ফ্লেভারের পেছনের বৈজ্ঞানিক যুক্তি বোঝার চেষ্টা করে। একে বলা হয় cognitive experimentation, যা একধরনের সমস্যার সমাধানমূলক চিন্তা (problem-solving approach)। ২০১0 সালে Journal of Culinary Science & Technology-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ রাঁধুনিরা রান্নার ক্ষেত্রে more likely to experiment and take creative risks — যেখানে নারী রাঁধুনিরা প্রচলিত ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে রান্না করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
    এছাড়া রান্না করতে গিয়ে খাবারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সময় হিসাব, উপাদানের অনুপাত — সবই scientific precision এর উপর নির্ভর করে। ছেলেরা যখন রান্নায় মন দেয়, তারা এইগুলোতে বেশি মনোযোগ দেয়, যেটা ব্রেইনের logical এবং spatial reasoning অংশের সক্রিয়তার সাথে সম্পর্কিত। Harvard Medical School-এর 2008 সালের এক গবেষণা বলছে, পুরুষদের prefrontal cortex (যা সিদ্ধান্ত ও বিশ্লেষণ সংক্রান্ত) কিছু কিছু ক্ষেত্রে রান্নার মতো structured task-এ বেশি অ্যাক্টিভ হয়, যদি তারা তাতে আগ্রহী হয়।
    আরেকটি বড় কারণ হলো — রান্না মেয়েদের জন্য প্রায়ই বাধ্যতামূলক কাজ এবং মেয়েদেরকে ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় যে এটা তাদের দায়িত্ব এবং বাধ্য তারা করতে, যেখানে ছেলেরা এটা করে আনন্দ ও প্রশান্তির জন্য। যখন কেউ চাপহীন পরিবেশে কিছু করে, তখন তার dopamine এবং serotonin নিঃসরণ বাড়ে, যা সৃজনশীলতা ও কার্যদক্ষতা বাড়ায় (Neuroscience & Biobehavioral Reviews, 2014)। ফলে ছেলেরা রান্নার প্রতিটি ধাপে মনোযোগ দেয় এবং নিখুঁত করতে চায়।

    তবে, এটা মনে রাখা জরুরি যে — রান্নায় ভালো হওয়ার সাথে লিঙ্গের কোনো জৈবিক সম্পর্ক নেই। বরং এটি নির্ভর করে কার মধ্যে ধৈর্য, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং শিখতে আগ্রহ বেশি — ছেলে হোক বা মেয়ে, যে এই মানসিকতা নিয়ে রান্না করে, সাফল্য তার হাতেই।
    “ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে রান্নায় ভালো হয় — এর পেছনে লুকিয়ে আছে সায়েন্স!” গবেষণা বলছে, ছেলেরা রান্নাকে অনেক সময় ‘শখ’ ও ‘ক্রিয়েটিভ এক্সপেরিমেন্ট’ হিসেবে দেখে — ফলে তারা রেসিপির বাইরেও চিন্তা করে, নতুন কিছু চেষ্টা করে এবং ফ্লেভারের পেছনের বৈজ্ঞানিক যুক্তি বোঝার চেষ্টা করে। একে বলা হয় cognitive experimentation, যা একধরনের সমস্যার সমাধানমূলক চিন্তা (problem-solving approach)। ২০১0 সালে Journal of Culinary Science & Technology-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ রাঁধুনিরা রান্নার ক্ষেত্রে more likely to experiment and take creative risks — যেখানে নারী রাঁধুনিরা প্রচলিত ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে রান্না করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এছাড়া রান্না করতে গিয়ে খাবারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সময় হিসাব, উপাদানের অনুপাত — সবই scientific precision এর উপর নির্ভর করে। ছেলেরা যখন রান্নায় মন দেয়, তারা এইগুলোতে বেশি মনোযোগ দেয়, যেটা ব্রেইনের logical এবং spatial reasoning অংশের সক্রিয়তার সাথে সম্পর্কিত। Harvard Medical School-এর 2008 সালের এক গবেষণা বলছে, পুরুষদের prefrontal cortex (যা সিদ্ধান্ত ও বিশ্লেষণ সংক্রান্ত) কিছু কিছু ক্ষেত্রে রান্নার মতো structured task-এ বেশি অ্যাক্টিভ হয়, যদি তারা তাতে আগ্রহী হয়। আরেকটি বড় কারণ হলো — রান্না মেয়েদের জন্য প্রায়ই বাধ্যতামূলক কাজ এবং মেয়েদেরকে ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় যে এটা তাদের দায়িত্ব এবং বাধ্য তারা করতে, যেখানে ছেলেরা এটা করে আনন্দ ও প্রশান্তির জন্য। যখন কেউ চাপহীন পরিবেশে কিছু করে, তখন তার dopamine এবং serotonin নিঃসরণ বাড়ে, যা সৃজনশীলতা ও কার্যদক্ষতা বাড়ায় (Neuroscience & Biobehavioral Reviews, 2014)। ফলে ছেলেরা রান্নার প্রতিটি ধাপে মনোযোগ দেয় এবং নিখুঁত করতে চায়। তবে, এটা মনে রাখা জরুরি যে — রান্নায় ভালো হওয়ার সাথে লিঙ্গের কোনো জৈবিক সম্পর্ক নেই। বরং এটি নির্ভর করে কার মধ্যে ধৈর্য, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং শিখতে আগ্রহ বেশি — ছেলে হোক বা মেয়ে, যে এই মানসিকতা নিয়ে রান্না করে, সাফল্য তার হাতেই।
    Love
    2
    0 Commentarios 0 Acciones 92 Views
  • একটা বাজপাখি সাউথ আফ্রিকা থেকে ফিনল্যান্ডে উড়ে যাওয়ার সময় তার শরীরে কিছু ছোট যন্ত্র বসানো হয়, আর এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে স্যাটেলাইট থেকে তার যাত্রাপথ।

    পাখিটি ৪২ দিনে এই ১৫,০০০কিলোমিটার পথ উড়ে পারি দিয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৩৫৭ কিলোমিটার উড়েছে প্রায় সমান্তরালভাবে।
    স্যাটেলাইটে তার যাত্রাপথ ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বড় জলাশয় বা সমুদ্র সামনে আসলে সে সেখান থেকে পথ পরিবর্তন করেছে যেন বিশ্রাম নিতে চাইলে স্থলভুমি পায়।
    আবার, মিশর-সুদানের মরুভূমিকেও পাশ কাটিয়ে গিয়েছে যেন তৃষ্ণা পেলে পানির অভাবে না পরতে হয়।
    কঠিন কঠিন এসব ম্যাপিং, রাউটিং, আল্টিটিঊড জ্ঞান বিজ্ঞানীরা যুগের পর যুগ ধরে যেখানে আয়ত্ব করে, পাইলটদের এসব শিখতে যেখানে বছরের পর বছর লেগে যায়, এই ছোট্ট পাখিকে তাহলে কে শেখালো এতো কিছু?
    আরও মজার কথা হল, হাই আল্টিটিঊডে উড়ার সময় এদের ১% এনার্জিও খরচ হয়না, শুধু ভেসে ভেসে, অনেক সময় ঘুমাচ্ছন্ন হয়েও এরা শত শত মাইল পাড়ি দিতে পারে। এই অদ্ভুত ক্ষমতা ও নিখুঁত টেকনোলজি কিভাবেই বা এদের শরীরে এলো?
    এ সবই মহান রবের কুদরত ও অপরিসীম দয়া, যিনি প্রত্যেকটি জিনিস পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সৃষ্টি করেছেন।
    সুবহান আল্লাহ!

    #sciencefacts #educational #educationalcontent #teachingtips
    একটা বাজপাখি সাউথ আফ্রিকা থেকে ফিনল্যান্ডে উড়ে যাওয়ার সময় তার শরীরে কিছু ছোট যন্ত্র বসানো হয়, আর এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে স্যাটেলাইট থেকে তার যাত্রাপথ। পাখিটি ৪২ দিনে এই ১৫,০০০কিলোমিটার পথ উড়ে পারি দিয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৩৫৭ কিলোমিটার উড়েছে প্রায় সমান্তরালভাবে। স্যাটেলাইটে তার যাত্রাপথ ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বড় জলাশয় বা সমুদ্র সামনে আসলে সে সেখান থেকে পথ পরিবর্তন করেছে যেন বিশ্রাম নিতে চাইলে স্থলভুমি পায়। আবার, মিশর-সুদানের মরুভূমিকেও পাশ কাটিয়ে গিয়েছে যেন তৃষ্ণা পেলে পানির অভাবে না পরতে হয়। কঠিন কঠিন এসব ম্যাপিং, রাউটিং, আল্টিটিঊড জ্ঞান বিজ্ঞানীরা যুগের পর যুগ ধরে যেখানে আয়ত্ব করে, পাইলটদের এসব শিখতে যেখানে বছরের পর বছর লেগে যায়, এই ছোট্ট পাখিকে তাহলে কে শেখালো এতো কিছু? আরও মজার কথা হল, হাই আল্টিটিঊডে উড়ার সময় এদের ১% এনার্জিও খরচ হয়না, শুধু ভেসে ভেসে, অনেক সময় ঘুমাচ্ছন্ন হয়েও এরা শত শত মাইল পাড়ি দিতে পারে। এই অদ্ভুত ক্ষমতা ও নিখুঁত টেকনোলজি কিভাবেই বা এদের শরীরে এলো? এ সবই মহান রবের কুদরত ও অপরিসীম দয়া, যিনি প্রত্যেকটি জিনিস পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সৃষ্টি করেছেন। সুবহান আল্লাহ! #sciencefacts #educational #educationalcontent #teachingtips
    Wow
    1
    0 Commentarios 0 Acciones 66 Views
  • প্রকৃতিতে কিছু মাছ আছে যারা পরিবেশগত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে। বিজ্ঞানীরা একে বলেন 'সিকোয়েনশিয়াল হারমাফ্রোডিটিজম'। মূলত কোনো প্রজাতির মধ্যে নির্দিষ্ট লিঙ্গের সংখ্যা কমে গেলে বা গোষ্ঠীর সামাজিক কাঠামো বদলে গেলে এই পরিবর্তন ঘটে।

    সমুদ্রের অনেক মাছ, যেমন ক্লাউনফিশ, প্যারটফিশ এবং র‍্যাস এই আচরণে বিশেষভাবে পরিচিত। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায় ‌Finding Nemo অ্যানিমেটেড সিনেমার ক্লাউনফিশ। বাস্তবে এই মাছগুলো প্রথমে পুরুষ হিসেবে জন্মায়। যদি দলে প্রধান স্ত্রী ক্লাউনফিশ মা'রা যায়, তাহলে সবচেয়ে শক্তিশালী পুরুষটি স্ত্রীতে রূপান্তরিত হয়। এই পরিবর্তনের পেছনে ব্যাখ্যা হলো তাদের দেহে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে যা তাদের গোন্যাডস বা লিঙ্গ গ্রন্থিকে নতুনভাবে গঠন করে।

    প্যারটফিশ ও র‍্যাস প্রজাতির মধ্যেও এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। বড় দলে যদি আলফা ফিমেল বা আলফা মেইল অনুপস্থিত হয়, তাহলে অন্য সদস্যরা সামাজিক হায়ারার্কি বজায় রাখতে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এতে প্রজাতির প্রজনন ব্যাহত হয় না এবং নতুন সঙ্গীর খোঁজে সময় নষ্ট হয় না। ফলে টিকে থাকা সহজ হয়।

    গবেষকরা বলছেন, এই সেক্স-চেইঞ্জিং বিহেভিয়ার জলজ ইকোসিস্টেমে বায়োডাইভার্সিটি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, কোরাল রিফ ধ্বংস, ও ওভারফিশিং-এর কারণে অনেক প্রজাতির সেক্স রেশিও বিঘ্নিত হচ্ছে, যা তাদের জনসংখ্যাগত স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

    আর্থ ডট কম এবং ডিসকভার ওয়াইল্ডলাইফের মতে, এই সেক্স-সুইচিং প্রক্রিয়া জলজ প্রাণীদের মধ্যে সামাজিক কাঠামো, হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং অভিযোজনের এক জটিল উদাহরণ, যা প্রকৃতির বিস্ময়কর জটিলতাকে তুলে ধরে। তাই এ ধরনের মাছ সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি, যাতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য অটুট থাকে। (বিজ্ঞান্বেষী)

    লেখা: মেহেদী হাসান অভি
    #science #Bigganneshi #clownfish #FindingNemo
    প্রকৃতিতে কিছু মাছ আছে যারা পরিবেশগত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে। বিজ্ঞানীরা একে বলেন 'সিকোয়েনশিয়াল হারমাফ্রোডিটিজম'। মূলত কোনো প্রজাতির মধ্যে নির্দিষ্ট লিঙ্গের সংখ্যা কমে গেলে বা গোষ্ঠীর সামাজিক কাঠামো বদলে গেলে এই পরিবর্তন ঘটে। সমুদ্রের অনেক মাছ, যেমন ক্লাউনফিশ, প্যারটফিশ এবং র‍্যাস এই আচরণে বিশেষভাবে পরিচিত। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায় ‌Finding Nemo অ্যানিমেটেড সিনেমার ক্লাউনফিশ। বাস্তবে এই মাছগুলো প্রথমে পুরুষ হিসেবে জন্মায়। যদি দলে প্রধান স্ত্রী ক্লাউনফিশ মা'রা যায়, তাহলে সবচেয়ে শক্তিশালী পুরুষটি স্ত্রীতে রূপান্তরিত হয়। এই পরিবর্তনের পেছনে ব্যাখ্যা হলো তাদের দেহে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে যা তাদের গোন্যাডস বা লিঙ্গ গ্রন্থিকে নতুনভাবে গঠন করে। প্যারটফিশ ও র‍্যাস প্রজাতির মধ্যেও এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। বড় দলে যদি আলফা ফিমেল বা আলফা মেইল অনুপস্থিত হয়, তাহলে অন্য সদস্যরা সামাজিক হায়ারার্কি বজায় রাখতে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এতে প্রজাতির প্রজনন ব্যাহত হয় না এবং নতুন সঙ্গীর খোঁজে সময় নষ্ট হয় না। ফলে টিকে থাকা সহজ হয়। গবেষকরা বলছেন, এই সেক্স-চেইঞ্জিং বিহেভিয়ার জলজ ইকোসিস্টেমে বায়োডাইভার্সিটি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, কোরাল রিফ ধ্বংস, ও ওভারফিশিং-এর কারণে অনেক প্রজাতির সেক্স রেশিও বিঘ্নিত হচ্ছে, যা তাদের জনসংখ্যাগত স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। আর্থ ডট কম এবং ডিসকভার ওয়াইল্ডলাইফের মতে, এই সেক্স-সুইচিং প্রক্রিয়া জলজ প্রাণীদের মধ্যে সামাজিক কাঠামো, হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং অভিযোজনের এক জটিল উদাহরণ, যা প্রকৃতির বিস্ময়কর জটিলতাকে তুলে ধরে। তাই এ ধরনের মাছ সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি, যাতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য অটুট থাকে। (বিজ্ঞান্বেষী) লেখা: মেহেদী হাসান অভি #science #Bigganneshi #clownfish #FindingNemo
    0 Commentarios 0 Acciones 53 Views
  • শতাব্দি পুরনো ধারণা ভুল প্রমাণ করে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো খুঁজে পেলেন এমন এক প্রাণী, যা অক্সিজেন ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে। নাম এইচ. সালমিনিকোলা (Henneguya salminicola), যা স্যামন মাছের শরীরে বসবাস করে।

    অনেক এককোষী জীব যেমন ব্যাকটেরিয়া ও আর্কিয়া অক্সিজেন ছাড়াই শক্তি উৎপাদন করতে পারে। একে বলা হয় anaerobic respiration। কিন্তু বহুকোষী প্রাণীও এমনভাবে অভিযোজিত হতে পারে, এটা ছিল প্রায় অকল্পনীয়।

    গবেষণায় দেখা গেছে এইচ. সালমিনিকোলার শরীরে নেই কোনো মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ, যা সাধারণত প্রাণীর কোষে শক্তি উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য। সাধারণত প্রাণী মাইটোকন্ড্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন ব্যবহার করে শক্তি তৈরি করে। কিন্তু এই পরজীবী প্রাণীটি সেই ব্যবস্থাই হারিয়ে ফেলেছে। অর্থাৎ বহুকোষী হয়েও এদের শক্তি উৎপাদনের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে না।

    মাছের দেহের অভ্যন্তরে যেখানে অক্সিজেনের পরিমাণ অত্যন্ত কম, সেখানে টিকে থাকার জন্য এই প্রাণী শ্বাস না নিয়ে বেঁচে থাকার কৌশল রপ্ত করে। ফলস্বরূপ এটি মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোম হারিয়ে এমনভাবে বিবর্তিত হয়েছে, যাতে শক্তি উৎপাদনে আর অক্সিজেনের উপর নির্ভর করতে না হয়।

    এই আবিষ্কার প্রাণীজগতের সংজ্ঞাকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। জীবন এখন শুধুই শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর নির্ভর করে না, বরং একটি অভিযোজিত লড়াইয়ে বেঁচে থাকার কৌশল। সমগ্র প্রাণীকূলকে অবাক করে দেওয়া এই গবেষণাটি PNAS জার্নালে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। (বিজ্ঞান্বেষী)

    লেখা: সাদিয়া সুলতানা হিমু
    সূত্র: লাইভ সায়েন্স , সিএনএন
    #biology #science #salminicola
    শতাব্দি পুরনো ধারণা ভুল প্রমাণ করে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো খুঁজে পেলেন এমন এক প্রাণী, যা অক্সিজেন ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে। নাম এইচ. সালমিনিকোলা (Henneguya salminicola), যা স্যামন মাছের শরীরে বসবাস করে। অনেক এককোষী জীব যেমন ব্যাকটেরিয়া ও আর্কিয়া অক্সিজেন ছাড়াই শক্তি উৎপাদন করতে পারে। একে বলা হয় anaerobic respiration। কিন্তু বহুকোষী প্রাণীও এমনভাবে অভিযোজিত হতে পারে, এটা ছিল প্রায় অকল্পনীয়। গবেষণায় দেখা গেছে এইচ. সালমিনিকোলার শরীরে নেই কোনো মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ, যা সাধারণত প্রাণীর কোষে শক্তি উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য। সাধারণত প্রাণী মাইটোকন্ড্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন ব্যবহার করে শক্তি তৈরি করে। কিন্তু এই পরজীবী প্রাণীটি সেই ব্যবস্থাই হারিয়ে ফেলেছে। অর্থাৎ বহুকোষী হয়েও এদের শক্তি উৎপাদনের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে না। মাছের দেহের অভ্যন্তরে যেখানে অক্সিজেনের পরিমাণ অত্যন্ত কম, সেখানে টিকে থাকার জন্য এই প্রাণী শ্বাস না নিয়ে বেঁচে থাকার কৌশল রপ্ত করে। ফলস্বরূপ এটি মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোম হারিয়ে এমনভাবে বিবর্তিত হয়েছে, যাতে শক্তি উৎপাদনে আর অক্সিজেনের উপর নির্ভর করতে না হয়। এই আবিষ্কার প্রাণীজগতের সংজ্ঞাকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। জীবন এখন শুধুই শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর নির্ভর করে না, বরং একটি অভিযোজিত লড়াইয়ে বেঁচে থাকার কৌশল। সমগ্র প্রাণীকূলকে অবাক করে দেওয়া এই গবেষণাটি PNAS জার্নালে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। (বিজ্ঞান্বেষী) লেখা: সাদিয়া সুলতানা হিমু সূত্র: লাইভ সায়েন্স , সিএনএন #biology #science #salminicola
    0 Commentarios 0 Acciones 63 Views
  • একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

    এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে।

    গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়।

    গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা।

    তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়।

    এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা।

    একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী)

    তথ্যসূত্র: সায়েন্স এলার্ট, সায়েন্টিফিক রিপোর্টস
    #Bigganneshi #neuroscience #brain #zombie
    একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে। গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা। তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়। এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা। একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী) তথ্যসূত্র: সায়েন্স এলার্ট, সায়েন্টিফিক রিপোর্টস #Bigganneshi #neuroscience #brain #zombie
    0 Commentarios 0 Acciones 70 Views
  • দুঃস্বপ্ন শুধু রাতের ঘুম কেড়ে নেয় না বরং নিয়ে আসতে পারে আপনার জীবনের জন্য নীরব হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বড় গবেষণার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যাঁরা সপ্তাহে একাধিকবার দুঃস্বপ্নে ভোগেন তাঁদের অকাল মৃত্যুর (৭৫ বছরের আগেই) সম্ভাবনা তিন গুণ পর্যন্ত বেশি। এমনকি বয়স, ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য বা ধূমপানের মতো ঝুঁকির বিষয় হিসেবে নিয়েও। গবেষণাটি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ৪,০০০ জনেরও বেশি মানুষের উপর চালানো হয়।

    গবেষকরা ডিএনএতে থাকা বিশেষ রাসায়নিক চিহ্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন, দুঃস্বপ্নে ভোগা মানুষেরা প্রকৃত বয়সের তুলনায় জৈবিকভাবে বেশি বয়স্ক। ঘুমের সময়ের তীব্র মানসিক চাপ ও অনিদ্রা কোষের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে, শরীরের মেরামত প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

    REM (Rapid Eye Movement) চক্রে ঘুমের সময় যখন দুঃস্বপ্ন দেখা হয় তখন শরীরে অ্যাড্রেনালিন ও কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটা নিয়মিত হলে শরীর দিনভর একটা চাপের মধ্যে থাকে যা প্রদাহ ও রক্তচাপ বাড়ায় এবং কোষের ক্ষয় ত্বরান্বিত করে।

    এখানেই শেষ নয়। নিয়মিত দুঃস্বপ্ন ভবিষ্যতে পারকিনসন কিংবা ডিমেনশিয়ার মতো জটিল স্নায়বিক রোগের সম্ভাবনাও বাড়ায়। কারণ স্বপ্নের জন্য মস্তিষ্কের যে অংশগুলো দায়ী সেগুলোই এ ধরনের রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    তবে আশার কথা এই যে দুঃস্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসার মাধ্যমে ঘুমের মান উন্নত করার পাশাপাশি দীর্ঘায়ু অর্জনও সম্ভব। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি বা CBT এবং ইমেজরি রিহার্সাল থেরাপি নামের এক ধরনের পদ্ধতিতে দুঃস্বপ্নের দৃশ্য কল্পনা করে তার পরিণতি পাল্টে ফেলার চর্চা করা হয়। এটা ভয়কে হার মানানোর একটি সহজ উপায়!

    এছাড়াও গবেষণাটি এখনো পিয়ার রিভিউড নয় এবং অংশগ্রহণকারীদের ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য কিছুটা কম ছিল। তাই ফলাফল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তবুও দীর্ঘমেয়াদি তথ্য, সরকারি মৃত্যুর নথি আর বিভিন্ন দল থেকে সংগৃহীত উপাত্ত ব্যবহার করায় এই গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী)
    #nightmare #science #Bigganneshi
    দুঃস্বপ্ন শুধু রাতের ঘুম কেড়ে নেয় না বরং নিয়ে আসতে পারে আপনার জীবনের জন্য নীরব হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বড় গবেষণার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যাঁরা সপ্তাহে একাধিকবার দুঃস্বপ্নে ভোগেন তাঁদের অকাল মৃত্যুর (৭৫ বছরের আগেই) সম্ভাবনা তিন গুণ পর্যন্ত বেশি। এমনকি বয়স, ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য বা ধূমপানের মতো ঝুঁকির বিষয় হিসেবে নিয়েও। গবেষণাটি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ৪,০০০ জনেরও বেশি মানুষের উপর চালানো হয়। গবেষকরা ডিএনএতে থাকা বিশেষ রাসায়নিক চিহ্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন, দুঃস্বপ্নে ভোগা মানুষেরা প্রকৃত বয়সের তুলনায় জৈবিকভাবে বেশি বয়স্ক। ঘুমের সময়ের তীব্র মানসিক চাপ ও অনিদ্রা কোষের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে, শরীরের মেরামত প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। REM (Rapid Eye Movement) চক্রে ঘুমের সময় যখন দুঃস্বপ্ন দেখা হয় তখন শরীরে অ্যাড্রেনালিন ও কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটা নিয়মিত হলে শরীর দিনভর একটা চাপের মধ্যে থাকে যা প্রদাহ ও রক্তচাপ বাড়ায় এবং কোষের ক্ষয় ত্বরান্বিত করে। এখানেই শেষ নয়। নিয়মিত দুঃস্বপ্ন ভবিষ্যতে পারকিনসন কিংবা ডিমেনশিয়ার মতো জটিল স্নায়বিক রোগের সম্ভাবনাও বাড়ায়। কারণ স্বপ্নের জন্য মস্তিষ্কের যে অংশগুলো দায়ী সেগুলোই এ ধরনের রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আশার কথা এই যে দুঃস্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসার মাধ্যমে ঘুমের মান উন্নত করার পাশাপাশি দীর্ঘায়ু অর্জনও সম্ভব। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি বা CBT এবং ইমেজরি রিহার্সাল থেরাপি নামের এক ধরনের পদ্ধতিতে দুঃস্বপ্নের দৃশ্য কল্পনা করে তার পরিণতি পাল্টে ফেলার চর্চা করা হয়। এটা ভয়কে হার মানানোর একটি সহজ উপায়! এছাড়াও গবেষণাটি এখনো পিয়ার রিভিউড নয় এবং অংশগ্রহণকারীদের ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য কিছুটা কম ছিল। তাই ফলাফল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তবুও দীর্ঘমেয়াদি তথ্য, সরকারি মৃত্যুর নথি আর বিভিন্ন দল থেকে সংগৃহীত উপাত্ত ব্যবহার করায় এই গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী) #nightmare #science #Bigganneshi
    0 Commentarios 0 Acciones 63 Views
  • চেরনোবিল, যেখানে একসময় একটি ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে ছিল, তা এখন একটি মৃত প্রান্তরে পরিণত হয়েছে। তবে ভয়াবহ এই পরিবেশেও কিছু জীবিত সত্তা শেষ পর্যন্ত রেখেছে তাদের অস্তিত্ব। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একটি কালো রঙের ছত্রাক। নাম Cladosporium sphaerospermum।

    এটি সাধারণ ছত্রাকের মতো নয়। বাতাস বা সূর্যের আলো থেকে নয় বরং চেরনোবিলের বিপজ্জনক রেডিয়েশন (তেজস্ক্রিয় রশ্মি) শোষণ করেই বেঁচে থাকে! এর মধ্যে এক বিশেষ মৌলিক উপাদান মেলানিন বিদ্যমান, যা আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে। এই মেলানিন রেডিয়েশন শোষণ করে এবং সেই শক্তির মাধ্যমে ছত্রাকটি বৃদ্ধি পায়।

    যদিও এটি চেরনোবিলের পরিবেশকে পুরোপুরি পুনরুজ্জীবিত করছে না। তবুও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রেডিয়েশনকে কাজে লাগাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ছত্রাক পারমাণবিক দুর্ঘটনার প্রভাবে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হতে পারে। এমনকি মহাকাশ ভ্রমণের সময় রেডিয়েশন সুরক্ষার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।

    এই ক্ষুদ্র ছত্রাকটি প্রমাণ করে, প্রকৃতি কখনো সহজে হার মানে না। ধ্বংসের মাঝেও সে নতুন সম্ভাবনার বীজ বোনে।

    লেখা: আহনাফ তাহমিদ রহমান
    #Bigganneshi #nature #chernobyl #radiation #science
    চেরনোবিল, যেখানে একসময় একটি ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে ছিল, তা এখন একটি মৃত প্রান্তরে পরিণত হয়েছে। তবে ভয়াবহ এই পরিবেশেও কিছু জীবিত সত্তা শেষ পর্যন্ত রেখেছে তাদের অস্তিত্ব। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একটি কালো রঙের ছত্রাক। নাম Cladosporium sphaerospermum। এটি সাধারণ ছত্রাকের মতো নয়। বাতাস বা সূর্যের আলো থেকে নয় বরং চেরনোবিলের বিপজ্জনক রেডিয়েশন (তেজস্ক্রিয় রশ্মি) শোষণ করেই বেঁচে থাকে! এর মধ্যে এক বিশেষ মৌলিক উপাদান মেলানিন বিদ্যমান, যা আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে। এই মেলানিন রেডিয়েশন শোষণ করে এবং সেই শক্তির মাধ্যমে ছত্রাকটি বৃদ্ধি পায়। যদিও এটি চেরনোবিলের পরিবেশকে পুরোপুরি পুনরুজ্জীবিত করছে না। তবুও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রেডিয়েশনকে কাজে লাগাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ছত্রাক পারমাণবিক দুর্ঘটনার প্রভাবে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হতে পারে। এমনকি মহাকাশ ভ্রমণের সময় রেডিয়েশন সুরক্ষার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এই ক্ষুদ্র ছত্রাকটি প্রমাণ করে, প্রকৃতি কখনো সহজে হার মানে না। ধ্বংসের মাঝেও সে নতুন সম্ভাবনার বীজ বোনে। লেখা: আহনাফ তাহমিদ রহমান #Bigganneshi #nature #chernobyl #radiation #science
    0 Commentarios 0 Acciones 54 Views
  • ম্যাটিয়াস শ্লিটে জার্মানির একজন পেশাদার আর্ম রেসলিং তারকা, যিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত তার ডান হাতের অস্বাভাবিক আকারের জন্য। জন্মগতভাবে তার ডান হাত বাম হাতের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বড়। যার কারণ একটি বিরল জিনগত ত্রুটি — Klumpke-Dejerine syndrome।

    মাত্র ১৬ বছর বয়সে শ্লিটে প্রথম আর্ম রেসলিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ওজন কম হওয়ায় (মাত্র ৬৫ কেজি) শুরুতে প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাকে নিয়ে উপহাস করত। কিন্তু প্রতিযোগিতায় একের পর এক সবাইকে হারিয়ে তিনি সবাইকে চমকে দেন আর সেই উপহাস তখন শ্রদ্ধায় পরিণত হয়। এ ঘটনার পর ২০০৪ সালে তিনি পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন।

    শ্লিটের পরিবার প্রথম তার ডান হাতের শক্তি টের পায় যখন সে ৩ বছর বয়সে একটি বড় কয়লার বালতি তুলেছিল। যা ছিল তার বয়সের তুলনায় খুবই অস্বাভাবিক ব্যাপার।

    ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ৭ বার জার্মান চ্যাম্পিয়ন ও ১৪ বার আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছেন। তার বিশাল হাতের জন্য তাকে মজা করে ‘হেলবয়’ বলা হয় জনপ্রিয় কমিক ক্যারেক্টার হেলবয়ের বিশাল ডান হাতের সঙ্গে মিল থাকায়। তবে কেউ কেউ তাকে বাস্তবের কার্টুন ক্যারেক্টার ‘পপাই’ এর সাথেও তুলনা করেন। (বিজ্ঞান্বেষী)

    লেখা: নাইমা জান্নাত সামিরা
    #Bigganneshi #science #MatthiasSchlitte
    ম্যাটিয়াস শ্লিটে জার্মানির একজন পেশাদার আর্ম রেসলিং তারকা, যিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত তার ডান হাতের অস্বাভাবিক আকারের জন্য। জন্মগতভাবে তার ডান হাত বাম হাতের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বড়। যার কারণ একটি বিরল জিনগত ত্রুটি — Klumpke-Dejerine syndrome। মাত্র ১৬ বছর বয়সে শ্লিটে প্রথম আর্ম রেসলিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ওজন কম হওয়ায় (মাত্র ৬৫ কেজি) শুরুতে প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাকে নিয়ে উপহাস করত। কিন্তু প্রতিযোগিতায় একের পর এক সবাইকে হারিয়ে তিনি সবাইকে চমকে দেন আর সেই উপহাস তখন শ্রদ্ধায় পরিণত হয়। এ ঘটনার পর ২০০৪ সালে তিনি পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন। শ্লিটের পরিবার প্রথম তার ডান হাতের শক্তি টের পায় যখন সে ৩ বছর বয়সে একটি বড় কয়লার বালতি তুলেছিল। যা ছিল তার বয়সের তুলনায় খুবই অস্বাভাবিক ব্যাপার। ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ৭ বার জার্মান চ্যাম্পিয়ন ও ১৪ বার আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছেন। তার বিশাল হাতের জন্য তাকে মজা করে ‘হেলবয়’ বলা হয় জনপ্রিয় কমিক ক্যারেক্টার হেলবয়ের বিশাল ডান হাতের সঙ্গে মিল থাকায়। তবে কেউ কেউ তাকে বাস্তবের কার্টুন ক্যারেক্টার ‘পপাই’ এর সাথেও তুলনা করেন। (বিজ্ঞান্বেষী) লেখা: নাইমা জান্নাত সামিরা #Bigganneshi #science #MatthiasSchlitte
    0 Commentarios 0 Acciones 64 Views
  • উদ্ভিদকে আমরা অনেকেই নিঃস্পন্দ, অনুভূতিহীন জীব মনে করি। উদ্ভিদ নড়াচড়া করা বা সাড়া দেয় না—এই ধারণা এতটাই সাধারণ যে আমরা জানতেই পারিনা উদ্ভিদ আমাদের চারপাশে কত সক্রিয়ভাবে পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে।

    সাম্প্রতিক দুটি গবেষণা আমাদের এই প্রচলিত ভাবনার বিপরীত এক বাস্তবতা তুলে ধরেছে। গাছপালা শব্দ শুনতে পারে। আর তা শুধু সাধারণ শব্দ নয়, বরং এমন সূক্ষ্ম শব্দও যা আমাদের শ্রবণের বাইরে পড়ে।

    গবেষণায় দেখা যায়, মৌমাছির মতো পরাগবাহী পোকার ডানার গুঞ্জন এক ধরনের সিগন্যাল তৈরি করে। এই সিগন্যাল সনাক্ত করে স্ন্যাপড্রাগন নামের একটি ফুল তার নেকটার বা মধুর ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়, যেন মৌমাছি তার কাছেই বেশি সময় থাকে। মূলত পরাগায়ন নিশ্চিত করতেই স্ন্যাপড্রাগন এই কৌশল অবলম্বন করে।

    অন্যদিকে আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাটারপিলার যখন Arabidopsis নামের একটি গাছের পাতা খায়, তখন সেই পাতাগুলো একধরনের কম্পন তৈরি করে। এই কম্পনের শব্দ রেকর্ড করে বিজ্ঞানীরা অন্য Arabidopsis গাছকে শোনান। আশ্চর্যজনকভাবে সেই গাছ তখনই প্রতিরক্ষামূলক রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে, যেটা পোকাদের জন্য অপছন্দনীয় বা ক্ষতিকর।

    মজার ব্যাপার হলো, এই প্রতিক্রিয়া শুধু তখনই দেখা যায়, যখন শব্দটা সত্যি আক্রমণাত্মক মনে হয়। বাতাসের শব্দ বা অন্য পোকার শব্দ শোনালে গাছ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

    তবে গাছ কি কানে শোনে? না। গাছের শোনার পদ্ধতি আমাদের মতো নয়। তারা শব্দতরঙ্গ বা কম্পন বুঝতে পারে মাটি, কান্ড বা পাতার মাধ্যমে। একে বলে vibroacoustic sensitivity। উদ্ভিদ পরিবেশের সঙ্গে খুব সূক্ষ্মভাবে যুক্ত। তারা শুধু আলো বা পানি নয়, শব্দ, কম্পন, এমনকি আশেপাশের প্রাণীর উপস্থিতিও অনুভব করতে পারে।

    এই তথ্য কৃষিক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। ভবিষ্যতে হয়তো এমন প্রযুক্তি আসবে, যেখানে গাছকে ভয় দেখিয়ে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাড়ানো যাবে কীটনাশক ছাড়াই। (বিজ্ঞান্বেষী)

    লেখা: ইয়াসিন খন্দকার

    #science #nature #Bigganneshi #bee #tree
    উদ্ভিদকে আমরা অনেকেই নিঃস্পন্দ, অনুভূতিহীন জীব মনে করি। উদ্ভিদ নড়াচড়া করা বা সাড়া দেয় না—এই ধারণা এতটাই সাধারণ যে আমরা জানতেই পারিনা উদ্ভিদ আমাদের চারপাশে কত সক্রিয়ভাবে পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে। সাম্প্রতিক দুটি গবেষণা আমাদের এই প্রচলিত ভাবনার বিপরীত এক বাস্তবতা তুলে ধরেছে। গাছপালা শব্দ শুনতে পারে। আর তা শুধু সাধারণ শব্দ নয়, বরং এমন সূক্ষ্ম শব্দও যা আমাদের শ্রবণের বাইরে পড়ে। গবেষণায় দেখা যায়, মৌমাছির মতো পরাগবাহী পোকার ডানার গুঞ্জন এক ধরনের সিগন্যাল তৈরি করে। এই সিগন্যাল সনাক্ত করে স্ন্যাপড্রাগন নামের একটি ফুল তার নেকটার বা মধুর ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়, যেন মৌমাছি তার কাছেই বেশি সময় থাকে। মূলত পরাগায়ন নিশ্চিত করতেই স্ন্যাপড্রাগন এই কৌশল অবলম্বন করে। অন্যদিকে আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাটারপিলার যখন Arabidopsis নামের একটি গাছের পাতা খায়, তখন সেই পাতাগুলো একধরনের কম্পন তৈরি করে। এই কম্পনের শব্দ রেকর্ড করে বিজ্ঞানীরা অন্য Arabidopsis গাছকে শোনান। আশ্চর্যজনকভাবে সেই গাছ তখনই প্রতিরক্ষামূলক রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে, যেটা পোকাদের জন্য অপছন্দনীয় বা ক্ষতিকর। মজার ব্যাপার হলো, এই প্রতিক্রিয়া শুধু তখনই দেখা যায়, যখন শব্দটা সত্যি আক্রমণাত্মক মনে হয়। বাতাসের শব্দ বা অন্য পোকার শব্দ শোনালে গাছ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে গাছ কি কানে শোনে? না। গাছের শোনার পদ্ধতি আমাদের মতো নয়। তারা শব্দতরঙ্গ বা কম্পন বুঝতে পারে মাটি, কান্ড বা পাতার মাধ্যমে। একে বলে vibroacoustic sensitivity। উদ্ভিদ পরিবেশের সঙ্গে খুব সূক্ষ্মভাবে যুক্ত। তারা শুধু আলো বা পানি নয়, শব্দ, কম্পন, এমনকি আশেপাশের প্রাণীর উপস্থিতিও অনুভব করতে পারে। এই তথ্য কৃষিক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। ভবিষ্যতে হয়তো এমন প্রযুক্তি আসবে, যেখানে গাছকে ভয় দেখিয়ে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাড়ানো যাবে কীটনাশক ছাড়াই। (বিজ্ঞান্বেষী) লেখা: ইয়াসিন খন্দকার #science #nature #Bigganneshi #bee #tree
    0 Commentarios 0 Acciones 70 Views
  • Harvard University-এর ফ্রি অনলাইন কোর্স

    বিশ্বখ্যাত Harvard University-এর রয়েছে অসাধারণ একটি ফ্রি লার্নিং প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৫০০-এরও বেশি কোর্স রয়েছে, যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ করতে পারবে। এখানে Science, Programming, Data Science, Computer Science, Health & Medicine, Mathematics, Computer Science, Humanities, Social Science, Art & Design, Theology, Business, Education & Teaching সহ বহু বিষয়ের কোর্স রয়েছে। যারা উচ্চশিক্ষা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা গবেষণার মানসম্মত কনটেন্ট খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি এক অনন্য সুযোগ। তাই যারা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে চান, তাদের জন্য Harvard University-এর এই ফ্রি কোর্সগুলো হতে পারে এক লাইফ চেঞ্জিং রিসোর্স।
    Harvard University-এর ফ্রি অনলাইন কোর্স বিশ্বখ্যাত Harvard University-এর রয়েছে অসাধারণ একটি ফ্রি লার্নিং প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৫০০-এরও বেশি কোর্স রয়েছে, যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ করতে পারবে। এখানে Science, Programming, Data Science, Computer Science, Health & Medicine, Mathematics, Computer Science, Humanities, Social Science, Art & Design, Theology, Business, Education & Teaching সহ বহু বিষয়ের কোর্স রয়েছে। যারা উচ্চশিক্ষা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা গবেষণার মানসম্মত কনটেন্ট খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি এক অনন্য সুযোগ। তাই যারা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে চান, তাদের জন্য Harvard University-এর এই ফ্রি কোর্সগুলো হতে পারে এক লাইফ চেঞ্জিং রিসোর্স।
    0 Commentarios 0 Acciones 79 Views
  • নতুন প্রযুক্তির ফাইবার অপটিক্যালের মাধ্যমে জাপান প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট বা ১,২৭,৫০০ গিগাবাইট (GB) ডেটা ১,৮০২ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী সব ইন্টারনেট স্পিড রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই গতির ইন্টারনেট স্পিড দিয়ে মাত্র চার মিনিটেরও কম সময়ে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট আর্কাইভ ডাউনলোড করা সম্ভব, যা একটি অভাবনীয় সাফল্য।

    এই অসাধ্য সাধন করেছে জাপানের National Institute of Information and Communications Technology (NICT)। তারা নতুন ধরনের একটি অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেছে, যার ব্যাস মাত্র ০.১২৫ মিলিমিটার, অথচ এটি প্রচলিত ফাইবারের চেয়ে ১৯ গুণ বেশি ডেটা প্রেরণে সক্ষম।

    তাদের উদ্ভাবিত এই ইন্টারনেট স্পিড যুক্তরাষ্ট্রের গড় ইন্টারনেট গতির চেয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ গুণ বেশি। এমনকি এই গতিতে নেটফ্লিক্সের পুরো ক্যাটালগ ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ডাউনলোড করা সম্ভব।

    বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ডেটার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে একটি অতুলনীয় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বে উচ্চক্ষমতার এবং স্কেলযোগ্য অপটিক্যাল কমিউনিকেশন সিস্টেম তৈরিতে।

    #Bigganneshi #science #japan #internet #Netflix
    নতুন প্রযুক্তির ফাইবার অপটিক্যালের মাধ্যমে জাপান প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট বা ১,২৭,৫০০ গিগাবাইট (GB) ডেটা ১,৮০২ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী সব ইন্টারনেট স্পিড রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই গতির ইন্টারনেট স্পিড দিয়ে মাত্র চার মিনিটেরও কম সময়ে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট আর্কাইভ ডাউনলোড করা সম্ভব, যা একটি অভাবনীয় সাফল্য। এই অসাধ্য সাধন করেছে জাপানের National Institute of Information and Communications Technology (NICT)। তারা নতুন ধরনের একটি অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেছে, যার ব্যাস মাত্র ০.১২৫ মিলিমিটার, অথচ এটি প্রচলিত ফাইবারের চেয়ে ১৯ গুণ বেশি ডেটা প্রেরণে সক্ষম। তাদের উদ্ভাবিত এই ইন্টারনেট স্পিড যুক্তরাষ্ট্রের গড় ইন্টারনেট গতির চেয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ গুণ বেশি। এমনকি এই গতিতে নেটফ্লিক্সের পুরো ক্যাটালগ ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ডাউনলোড করা সম্ভব। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ডেটার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে একটি অতুলনীয় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বে উচ্চক্ষমতার এবং স্কেলযোগ্য অপটিক্যাল কমিউনিকেশন সিস্টেম তৈরিতে। #Bigganneshi #science #japan #internet #Netflix
    0 Commentarios 0 Acciones 96 Views
  • The Ocean Is Deeper Than You Think. We Need Better Maps.Why deep sea maps are SO BAD (and how to fix it)...
    Subscribe for more optimistic science and tech stories.

    Our maps of the ocean are surprisingly bad! On Google Maps it looks like we know so much… but we know less about the ocean floor than we do the surface of Mars. And that’s a big problem, because we are using the ocean all the time: We’re laying internet cables across it, we fight wars in it, we search it during a crisis - like the imploded OceanGate Titan submersible or the missing Malaysia Airlines Flight 370. 71% of the surface of the Earth is water! And yet we have a surprisingly limited view of what’s below it.

    But that’s also understandable. Because cartographically speaking, water sucks. For Mars or Earth’s surface, we can take pictures. But light doesn’t get to the ocean floor, so we need other ways to see it. The good news is, we’re developing that tech right now, and an international group called Seabed 2030 is working to piece together a better map.

    There is a terrifying, incredible, alien world on our own planet, and we’re FINALLY using technology to see it more clearly.

    In this episode of Huge If True, I dive deep - with help from my friend and fellow video journalist ‪@johnnyharris‬
    to show you how we’re mapping the ocean, the surprising things we’ve discovered in the depths, and why this new technology could be… huge if true :)

    Chapters:
    00:00 How bad are our ocean maps?
    01:40 How deep is the ocean?
    03:05 What is the deepest part of the ocean?
    04:04 The craziest method to map the ocean
    06:20 How does sonar work?
    07:31 What did the first ocean maps look like?
    09:30 How do we map the ocean now?
    10:30 What is Seabed 2030?
    11:40 How do we use underwater robots?
    12:27 Concerns with mapping the deep ocean
    13:11 Why deep ocean mapping is huge if true

    The Ocean Is Deeper Than You Think. We Need Better Maps.Why deep sea maps are SO BAD (and how to fix it)... Subscribe for more optimistic science and tech stories. Our maps of the ocean are surprisingly bad! On Google Maps it looks like we know so much… but we know less about the ocean floor than we do the surface of Mars. And that’s a big problem, because we are using the ocean all the time: We’re laying internet cables across it, we fight wars in it, we search it during a crisis - like the imploded OceanGate Titan submersible or the missing Malaysia Airlines Flight 370. 71% of the surface of the Earth is water! And yet we have a surprisingly limited view of what’s below it. But that’s also understandable. Because cartographically speaking, water sucks. For Mars or Earth’s surface, we can take pictures. But light doesn’t get to the ocean floor, so we need other ways to see it. The good news is, we’re developing that tech right now, and an international group called Seabed 2030 is working to piece together a better map. There is a terrifying, incredible, alien world on our own planet, and we’re FINALLY using technology to see it more clearly. In this episode of Huge If True, I dive deep - with help from my friend and fellow video journalist ‪@johnnyharris‬ to show you how we’re mapping the ocean, the surprising things we’ve discovered in the depths, and why this new technology could be… huge if true :) Chapters: 00:00 How bad are our ocean maps? 01:40 How deep is the ocean? 03:05 What is the deepest part of the ocean? 04:04 The craziest method to map the ocean 06:20 How does sonar work? 07:31 What did the first ocean maps look like? 09:30 How do we map the ocean now? 10:30 What is Seabed 2030? 11:40 How do we use underwater robots? 12:27 Concerns with mapping the deep ocean 13:11 Why deep ocean mapping is huge if true
    Love
    Fire
    3
    0 Commentarios 0 Acciones 102 Views
Resultados de la búsqueda
BlackBird Ai
https://bbai.shop