আমাদের সমাজে শ্রবণহীনতা একটি সাধারণ সমস্যা। প্রতি হাজারে প্রায় তিনজন নবজাতক জন্মায় এক বা উভয় কানে শ্রবণ সমস্যার সঙ্গে। অনেকের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি কার্যকর সমাধান হলেও, এটি ডিভাইসের মাধ্যমে কাজ করে। তাই প্রাকৃতিকভাবে শোনার সূক্ষ্মতা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে পারে না।

তবে সম্প্রতি এক যুগান্তকারী জিন থেরাপি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র একবারের জিন থেরাপি ইনজেকশনই জন্মগত বধিরতার বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে OTOF জিনে মিউটেশন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন থেরাপি আশার আলো দেখাচ্ছে।

OTOF জিন ওটোফেরলিন নামের একটি প্রোটিন তৈরি করে, যা কানের ভেতর থেকে মস্তিষ্কে শব্দের সংকেত পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এই জিনে সমস্যা থাকলে শব্দ সংকেত পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটে এবং জন্ম থেকেই শিশুরা গভীর শ্রবণহীনতায় ভোগে।

এজন্য গবেষকরা একটি সংশোধিত ভাইরাস ব্যবহার করেছেন, যা শ্রবণ কোষের উপর সংযুক্ত হয়ে কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করে নতুন OTOF জিনের নির্দেশনা পৌঁছে দেয়। এর ফলে কোষগুলো আবার ওটোফেরলিন প্রোটিন উৎপাদন শুরু করে এবং রোগীর শ্রবণশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে ফিরে আসে।

পরীক্ষাটি চালানো হয় ১ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১০ জন রোগীর ওপর। অধিকাংশ রোগী মাত্র এক মাসের মধ্যে শ্রবণশক্তির উন্নতি অনুভব করেন। শিশুদের ক্ষেত্রে ফলাফল ছিল সবচেয়ে ভালো। সাত বছরের এক মেয়ে মাত্র চার মাসের মধ্যে তার মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলতে শুরু করে। গবেষণায় গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, শুধুমাত্র কিছু ক্ষেত্রে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা সামান্য হ্রাস লক্ষ করা গেছে।

এই সফলতা জিনগত বধিরতার চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। ভবিষ্যতে আরও সাধারণ জিন যেমন GJB2 ও TMC1 এর ওপর কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও সেগুলো একটু বেশি জটিল, প্রাণী মডেলগুলোতে ইতিমধ্যেই আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে।

যদি ভবিষ্যতে এই থেরাপি ব্যাপকভাবে সফল হয়, তবে এটি শুধুমাত্র শ্রবণহীনতা নিরাময়ে নয়, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে। (বিজ্ঞান্বেষী)

লেখা: নূসাইবা হাসান
সূত্র: দ্য কনভারসেশন
#Bigganneshi #GeneTherapy #HearingLoss #OTOFgene
আমাদের সমাজে শ্রবণহীনতা একটি সাধারণ সমস্যা। প্রতি হাজারে প্রায় তিনজন নবজাতক জন্মায় এক বা উভয় কানে শ্রবণ সমস্যার সঙ্গে। অনেকের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি কার্যকর সমাধান হলেও, এটি ডিভাইসের মাধ্যমে কাজ করে। তাই প্রাকৃতিকভাবে শোনার সূক্ষ্মতা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে পারে না। তবে সম্প্রতি এক যুগান্তকারী জিন থেরাপি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র একবারের জিন থেরাপি ইনজেকশনই জন্মগত বধিরতার বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে OTOF জিনে মিউটেশন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন থেরাপি আশার আলো দেখাচ্ছে। OTOF জিন ওটোফেরলিন নামের একটি প্রোটিন তৈরি করে, যা কানের ভেতর থেকে মস্তিষ্কে শব্দের সংকেত পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এই জিনে সমস্যা থাকলে শব্দ সংকেত পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটে এবং জন্ম থেকেই শিশুরা গভীর শ্রবণহীনতায় ভোগে। এজন্য গবেষকরা একটি সংশোধিত ভাইরাস ব্যবহার করেছেন, যা শ্রবণ কোষের উপর সংযুক্ত হয়ে কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করে নতুন OTOF জিনের নির্দেশনা পৌঁছে দেয়। এর ফলে কোষগুলো আবার ওটোফেরলিন প্রোটিন উৎপাদন শুরু করে এবং রোগীর শ্রবণশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে ফিরে আসে। পরীক্ষাটি চালানো হয় ১ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১০ জন রোগীর ওপর। অধিকাংশ রোগী মাত্র এক মাসের মধ্যে শ্রবণশক্তির উন্নতি অনুভব করেন। শিশুদের ক্ষেত্রে ফলাফল ছিল সবচেয়ে ভালো। সাত বছরের এক মেয়ে মাত্র চার মাসের মধ্যে তার মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলতে শুরু করে। গবেষণায় গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, শুধুমাত্র কিছু ক্ষেত্রে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা সামান্য হ্রাস লক্ষ করা গেছে। এই সফলতা জিনগত বধিরতার চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। ভবিষ্যতে আরও সাধারণ জিন যেমন GJB2 ও TMC1 এর ওপর কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও সেগুলো একটু বেশি জটিল, প্রাণী মডেলগুলোতে ইতিমধ্যেই আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। যদি ভবিষ্যতে এই থেরাপি ব্যাপকভাবে সফল হয়, তবে এটি শুধুমাত্র শ্রবণহীনতা নিরাময়ে নয়, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে। (বিজ্ঞান্বেষী) লেখা: নূসাইবা হাসান সূত্র: দ্য কনভারসেশন #Bigganneshi #GeneTherapy #HearingLoss #OTOFgene
0 Comments 0 Shares 21 Views 0 Reviews
BlackBird Ai
https://bbai.shop