• পৃথিবী প্রতি ২৬ সেকেন্ডে একবার করে কেঁপে উঠছে! এই কম্পন এতটাই মৃদু যে আমরা টের পাই না, কিন্তু সিসমোমিটার (ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র) এটা বুঝতে পারে। এটি আবিস্কারের ৬৫ বছরের মধ্যে নানা গবেষণা হলেও এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি পৃথিবী কেন এমনভাবে বারবার কেঁপে ওঠে।

    এই কম্পন প্রথম শনাক্ত করেন বিজ্ঞানী জ্যাক অলিভার। তিনি দেখেন, এটি আসছে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। পরে ১৯৮০ সালে ভূতত্ত্ববিদ গ্যারি হোলকম্ব আবিষ্কার করেন, ঝড়ের সময় এই কম্পন সবচেয়ে শক্তিশালী হয়।

    দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবারও এটি শনাক্ত করেন এবং উৎস নির্ধারণ করেন আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের গিনি উপসাগরে। ঠিক কী কারণে এটি হচ্ছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।

    ২০১১ সালে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষক গ্যারেট ইউলার আরও নির্দিষ্টভাবে দেখান, এর উৎস গিনি উপসাগরের "বাইট অব বনি" এলাকা। তার মতে, সমুদ্রের ঢেউ যখন মহাদেশীয় প্রান্তে আঘাত করে, তখন সমুদ্রতল কেঁপে ওঠার কারণে এই কম্পন হয়। তবে চীনের কিছু বিজ্ঞানীর মতে, এর পেছনে কারণ হতে পারে কাছের সাও টোমে (Sao Tome) দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। জাপানের আসো (Aso) আগ্নেয়গিরি থেকেও একই ধরনের কম্পন পাওয়া গেছে।

    তবুও প্রশ্ন রয়েই গেছে, বিশ্বে আরও অনেক মহাদেশীয় প্রান্ত ও আগ্নেয়গিরি থাকলেও এমন স্পন্দন সেখান থেকে আসে না। শুধু এই বিশেষ জায়গাতেই কেনো? প্রায় ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও এর আসল কারণ অজানা, যা ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের জন্য কৌতূহল ও অনুসন্ধানের বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।

    তাসিনুল সাকিফ
    লেখক, বিজ্ঞান্বেষী

    সূত্র : পপুলার মেকানিকস

    #EarthScience #Geology #SeismicMystery #26SecondPulse #ScienceUnsolved #গবেষণা
    পৃথিবী প্রতি ২৬ সেকেন্ডে একবার করে কেঁপে উঠছে! এই কম্পন এতটাই মৃদু যে আমরা টের পাই না, কিন্তু সিসমোমিটার (ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র) এটা বুঝতে পারে। এটি আবিস্কারের ৬৫ বছরের মধ্যে নানা গবেষণা হলেও এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি পৃথিবী কেন এমনভাবে বারবার কেঁপে ওঠে। এই কম্পন প্রথম শনাক্ত করেন বিজ্ঞানী জ্যাক অলিভার। তিনি দেখেন, এটি আসছে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। পরে ১৯৮০ সালে ভূতত্ত্ববিদ গ্যারি হোলকম্ব আবিষ্কার করেন, ঝড়ের সময় এই কম্পন সবচেয়ে শক্তিশালী হয়। দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবারও এটি শনাক্ত করেন এবং উৎস নির্ধারণ করেন আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের গিনি উপসাগরে। ঠিক কী কারণে এটি হচ্ছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি তারা। ২০১১ সালে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষক গ্যারেট ইউলার আরও নির্দিষ্টভাবে দেখান, এর উৎস গিনি উপসাগরের "বাইট অব বনি" এলাকা। তার মতে, সমুদ্রের ঢেউ যখন মহাদেশীয় প্রান্তে আঘাত করে, তখন সমুদ্রতল কেঁপে ওঠার কারণে এই কম্পন হয়। তবে চীনের কিছু বিজ্ঞানীর মতে, এর পেছনে কারণ হতে পারে কাছের সাও টোমে (Sao Tome) দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। জাপানের আসো (Aso) আগ্নেয়গিরি থেকেও একই ধরনের কম্পন পাওয়া গেছে। তবুও প্রশ্ন রয়েই গেছে, বিশ্বে আরও অনেক মহাদেশীয় প্রান্ত ও আগ্নেয়গিরি থাকলেও এমন স্পন্দন সেখান থেকে আসে না। শুধু এই বিশেষ জায়গাতেই কেনো? প্রায় ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও এর আসল কারণ অজানা, যা ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের জন্য কৌতূহল ও অনুসন্ধানের বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তাসিনুল সাকিফ লেখক, বিজ্ঞান্বেষী সূত্র : পপুলার মেকানিকস #EarthScience #Geology #SeismicMystery #26SecondPulse #ScienceUnsolved #গবেষণা
    0 Комментарии 0 Поделились 3Кб Просмотры
  • মা এখনও অংক বোঝেনা, ১টা রুটি চাইলে ২টা নিয়ে আসে। কোথাও যাওয়ার সময় ২০ টাকা চাইলে ৫০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়।

    মা ইংরেজিও বোঝে না, I h ‘a ‘t ‘e u বললে উ ‘ল্টো না বুঝে ছেলেকে ভালোবেসে বুকে টেনে নেয়।

    মা মি /থ্যে /বা /দী, না খেয়ে বলে খেয়েছি। পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবারটা ছেলের জন্য যত্ন করে তুলে রাখে।

    মা বো 'কা, সারাজীবন বো 'কা 'র মতো রান্নাঘর আর আমাদের ভা ‘লো ‘ম ‘ন্দে ‘র পিছনে কাটিয়ে দেয়।

    মা চো /র, বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাবো বললে রাতেই বাবার পকেট থেকে টাকা চু /রি করে আমাকে দিয়ে দেয়।

    মা নি /র্ল /জ্জ, মাকে কতবার বলি আমার জিনিসে যেন হাত না দেয়। তবুও মা নি /র্ল /জ্জে /র মতো আমার পড়ে থাকা এলোমেলো জিনিসগুলো নিজের হাতে গুছিয়ে রাখে।

    মা বে /হা /য়া, আমি কথা না বললেও জোর করে এসে বে /হা /য়া /র মতো গায়ে পড়ে কথা বলে। রাতে ঘুমের ঘোরে আমাকে দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে যায়।

    মায়ের কোন ক 'ম 'ন 'সে 'ন্স নেই, আমার প্লেটে খাবার কম দেখলে কেমন জানি করে। খোকা এতো খাবার কম কেন? এই বলে প্লেটটা ভর্তি করে দেয়। এতো খাওয়ার পরেও মায়ের চোখে যেন কত দিনের না খাওয়া ছেলে।

    মা কে 'য়া 'র 'লে 'স, নিজের কোমর ও পিঠের ব্য /থা /য় ধুঁকে ধুঁকে মা /রা গেলেও কখনো ঔষধের কথা বলে না। অথচ আমাদের একটা কাশিতে তাঁর দিনটা যেন ওলটপালট হয়ে যায়। ডাক্তার, হাকিম সব এক করে বসে।

    মা আ ‘ন ‘স্মা ‘র্ট, অনেকের মায়ের মতো আমার মা দামি শাড়ি পড়ে না। ভ্যানিটিব্যাগ ঝুলিয়ে, স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘুরতেও যায়না। সারাদিন খালি রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের চিন্তায় পুরোনো হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেয়।

    মা স্বা /র্থ /প /র, নিজের সন্তান ও স্বামীর জন্য মা দুনিয়ার সব কিছু ত্যা ’গ করতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে খা /রা /প বোধহয় মা। তাই বুঝি আমরা তাঁদের এত ক /ষ্ট দেই। তবুও তাঁদের পরিবর্তন হয়না।

    প্রতিদিন এসব আচরণগুলো বারবার তাঁরা করে। একটু বড় হয়ে গেলেই আমরা তাদের বৃ /দ্ধা /শ্র /মে বা জীবন থেকে দূরে রাখি। তবুও তারা বো ‘কা ‘র মতো আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করে।

    সারাজীবনটা আমাদের খালি ভালোবাসা দিয়ে যায়, বিনিময়ে দিনে একবার হলেও সন্তানের মুখে আদর করে 'মা' ডাক শুনতে চায়। তাঁরা কত নি /র্বো /ধ, তাই না?
    মা এখনও অংক বোঝেনা, ১টা রুটি চাইলে ২টা নিয়ে আসে। কোথাও যাওয়ার সময় ২০ টাকা চাইলে ৫০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। মা ইংরেজিও বোঝে না, I h ‘a ‘t ‘e u বললে উ ‘ল্টো না বুঝে ছেলেকে ভালোবেসে বুকে টেনে নেয়। মা মি /থ্যে /বা /দী, না খেয়ে বলে খেয়েছি। পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবারটা ছেলের জন্য যত্ন করে তুলে রাখে। মা বো 'কা, সারাজীবন বো 'কা 'র মতো রান্নাঘর আর আমাদের ভা ‘লো ‘ম ‘ন্দে ‘র পিছনে কাটিয়ে দেয়। মা চো /র, বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাবো বললে রাতেই বাবার পকেট থেকে টাকা চু /রি করে আমাকে দিয়ে দেয়। মা নি /র্ল /জ্জ, মাকে কতবার বলি আমার জিনিসে যেন হাত না দেয়। তবুও মা নি /র্ল /জ্জে /র মতো আমার পড়ে থাকা এলোমেলো জিনিসগুলো নিজের হাতে গুছিয়ে রাখে। মা বে /হা /য়া, আমি কথা না বললেও জোর করে এসে বে /হা /য়া /র মতো গায়ে পড়ে কথা বলে। রাতে ঘুমের ঘোরে আমাকে দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে যায়। মায়ের কোন ক 'ম 'ন 'সে 'ন্স নেই, আমার প্লেটে খাবার কম দেখলে কেমন জানি করে। খোকা এতো খাবার কম কেন? এই বলে প্লেটটা ভর্তি করে দেয়। এতো খাওয়ার পরেও মায়ের চোখে যেন কত দিনের না খাওয়া ছেলে। মা কে 'য়া 'র 'লে 'স, নিজের কোমর ও পিঠের ব্য /থা /য় ধুঁকে ধুঁকে মা /রা গেলেও কখনো ঔষধের কথা বলে না। অথচ আমাদের একটা কাশিতে তাঁর দিনটা যেন ওলটপালট হয়ে যায়। ডাক্তার, হাকিম সব এক করে বসে। মা আ ‘ন ‘স্মা ‘র্ট, অনেকের মায়ের মতো আমার মা দামি শাড়ি পড়ে না। ভ্যানিটিব্যাগ ঝুলিয়ে, স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘুরতেও যায়না। সারাদিন খালি রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের চিন্তায় পুরোনো হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেয়। মা স্বা /র্থ /প /র, নিজের সন্তান ও স্বামীর জন্য মা দুনিয়ার সব কিছু ত্যা ’গ করতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে খা /রা /প বোধহয় মা। তাই বুঝি আমরা তাঁদের এত ক /ষ্ট দেই। তবুও তাঁদের পরিবর্তন হয়না। প্রতিদিন এসব আচরণগুলো বারবার তাঁরা করে। একটু বড় হয়ে গেলেই আমরা তাদের বৃ /দ্ধা /শ্র /মে বা জীবন থেকে দূরে রাখি। তবুও তারা বো ‘কা ‘র মতো আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করে। সারাজীবনটা আমাদের খালি ভালোবাসা দিয়ে যায়, বিনিময়ে দিনে একবার হলেও সন্তানের মুখে আদর করে 'মা' ডাক শুনতে চায়। তাঁরা কত নি /র্বো /ধ, তাই না?
    0 Комментарии 0 Поделились 2Кб Просмотры
  • আমরা ঘুমকে প্রায়ই অবহেলা করি। ভাবি, একটু কম ঘুম হলে তেমন কিছু হবে না।
    কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। ঘুম শুধু বিশ্রামের সময় নয়, এটি আমাদের মস্তিষ্কের পরিচ্ছন্নতা ও পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। যখন আমরা ঘুমাই, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে পরিষ্কার করে, ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করে এবং স্মৃতিকে সংগঠিত করে। কিন্তু ঘুমের অভাবে এই প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়, এমনকি ভয়ঙ্করভাবে উল্টেও যেতে পারে। গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কোষগুলো এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করতে শুরু করে, নিজের কাঠামো ধ্বংস করে ফেলে।

    - ভালো ঘুমে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে ফেলে।

    - ঘুম কম হলে, এই কোষগুলো অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে নিজেদেরই ক্ষতি করে।

    - অ্যাস্ট্রোসাইট কোষ "স্নায়ু সংযোগ" খেয়ে ফেলতে পারে—মনে রাখার ক্ষমতা কমে।

    - মাইক্রোগ্লিয়াল কোষের অতিরিক্ত কাজ অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি বাড়ায়।

    - পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে নিজের কাঠামো নষ্ট করতে শুরু করে।
    আমরা ঘুমকে প্রায়ই অবহেলা করি। ভাবি, একটু কম ঘুম হলে তেমন কিছু হবে না। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। ঘুম শুধু বিশ্রামের সময় নয়, এটি আমাদের মস্তিষ্কের পরিচ্ছন্নতা ও পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। যখন আমরা ঘুমাই, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে পরিষ্কার করে, ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করে এবং স্মৃতিকে সংগঠিত করে। কিন্তু ঘুমের অভাবে এই প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়, এমনকি ভয়ঙ্করভাবে উল্টেও যেতে পারে। গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কোষগুলো এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করতে শুরু করে, নিজের কাঠামো ধ্বংস করে ফেলে। - ভালো ঘুমে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে ফেলে। - ঘুম কম হলে, এই কোষগুলো অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে নিজেদেরই ক্ষতি করে। - অ্যাস্ট্রোসাইট কোষ "স্নায়ু সংযোগ" খেয়ে ফেলতে পারে—মনে রাখার ক্ষমতা কমে। - মাইক্রোগ্লিয়াল কোষের অতিরিক্ত কাজ অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি বাড়ায়। - পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে নিজের কাঠামো নষ্ট করতে শুরু করে।
    0 Комментарии 0 Поделились 2Кб Просмотры
  • সময় সংবাদ | দুপুর ১২টা | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | Somoy TV Bulletin 12pm | Latest Bangladeshi News
    সময় সংবাদ | দুপুর ১২টা | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | Somoy TV Bulletin 12pm | Latest Bangladeshi News
    0 Комментарии 0 Поделились 1Кб Просмотры
  • আন্তর্জাতিক সময় | | ১৩ আগস্ট ২০২৫ | Somoy TV International Bulletin 4pm| Somoy TV
    আন্তর্জাতিক সময় | | ১৩ আগস্ট ২০২৫ | Somoy TV International Bulletin 4pm| Somoy TV
    0 Комментарии 0 Поделились 291 Просмотры
  • আধুনিক মনোবিজ্ঞান বলছে, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার মস্তিষ্কে ডোপামিন (dopamine) নামের রাসায়নিকের অতিরিক্ত নিঃসরণ ঘটায়। এটি অল্প সময়ের আনন্দ দেয়, কিন্তু ধীরে ধীরে মনোযোগ নষ্ট করে এবং পড়াশোনায় মন বসানো কঠিন হয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে ৫–৬ ঘণ্টার বেশি ফোন ব্যবহার করে, তাদের স্মৃতিশক্তি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতা কমে যায়।
    মোবাইলের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো (blue light) ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, ফলে রাতে ঘুম হয় দেরিতে—আর দিনে ক্লান্তি এসে ভর করে। এই ক্লান্তি একাডেমিক পারফরম্যান্সের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
    আধুনিক মনোবিজ্ঞান বলছে, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার মস্তিষ্কে ডোপামিন (dopamine) নামের রাসায়নিকের অতিরিক্ত নিঃসরণ ঘটায়। এটি অল্প সময়ের আনন্দ দেয়, কিন্তু ধীরে ধীরে মনোযোগ নষ্ট করে এবং পড়াশোনায় মন বসানো কঠিন হয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে ৫–৬ ঘণ্টার বেশি ফোন ব্যবহার করে, তাদের স্মৃতিশক্তি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতা কমে যায়। মোবাইলের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো (blue light) ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, ফলে রাতে ঘুম হয় দেরিতে—আর দিনে ক্লান্তি এসে ভর করে। এই ক্লান্তি একাডেমিক পারফরম্যান্সের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
    0 Комментарии 0 Поделились 445 Просмотры
  • রবার্ট হাউজ তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে নিক্কি এবং তার দুই বন্ধু সমুদ্রের তীর থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে সাঁতার কাটছিলেন। হঠাৎ একদল ডলফিন তাদের ঘিরে ধরে। প্রথমে হাউজ ভাবেন, ডলফিনগুলো হয়তো খেলতে চাইছে, কিন্তু ডলফিনগুলো খুব জোরে জোরে বৃত্তাকারে ঘুরছিল এবং তাদের লেজ দিয়ে জলকে আঘাত করছিল। হাউজ যখন দল থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তখন দুটি বড় ডলফিন তাকে আবার দলের মধ্যে ঠেলে দেয়।
    এরপরই তিনি পানির নিচে প্রায় ৩ মিটার (১০ ফুট) লম্বা একটি গ্রেট হোয়াইট হাঙর দেখতে পান। তখন তিনি বুঝতে পারেন, ডলফিনগুলো তাদের রক্ষা করার জন্যই ঘিরে ধরেছে।
    প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ডলফিনগুলো সাঁতারুদের ঘিরে রেখেছিল। এই সময়ের মধ্যে লাইফগার্ড ম্যাট ফ্লিট একটি উদ্ধারকারী নৌকায় করে কাছে এসে ডলফিন এবং হাঙর উভয়কেই দেখতে পান।
    ৪০ মিনিট পর হাঙরটি চলে গেলে ডলফিনগুলো সাঁতারুদের তীরে ফিরে যেতে সাহায্য করে এবং তারা নিরাপদে তীরে পৌঁছায়।

    কেন ডলফিন এমন আচরণ করে?
    বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডলফিনরা তাদের নিজেদের এবং তাদের শাবকদের রক্ষা করার জন্য হাঙরের ওপর আক্রমণ করে। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও তারা সম্ভবত বিপদ বুঝতে পেরেছিল এবং তাদের সেই সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই সাঁতারুদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছিল। এই ধরনের ঘটনা আগেও বিশ্বে একাধিকবার ঘটেছে, যেখানে ডলফিন বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করেছে। ডলফিনদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বুদ্ধিমান আচরণ তাদের 'সমুদ্রের বন্ধু' হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।

    স্থান ও সময়: নিউজিল্যান্ডের ওশান বিচ (Ocean Beach) এর কাছে, ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর। তবে ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসে নভেম্বরে।

    এই ঘটনা সম্পর্কিত কিছু নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের লিংক নিচে দেওয়া হলো:
    * Dolphins save swimmers from shark | News | Al Jazeera
    * Dolphins save swimmers from shark attack | World news | The Guardian
    * Dolphins save swimmers from shark | CBC News
    * Dolphins saved us from shark, lifeguards say - NZ Herald
    রবার্ট হাউজ তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে নিক্কি এবং তার দুই বন্ধু সমুদ্রের তীর থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে সাঁতার কাটছিলেন। হঠাৎ একদল ডলফিন তাদের ঘিরে ধরে। প্রথমে হাউজ ভাবেন, ডলফিনগুলো হয়তো খেলতে চাইছে, কিন্তু ডলফিনগুলো খুব জোরে জোরে বৃত্তাকারে ঘুরছিল এবং তাদের লেজ দিয়ে জলকে আঘাত করছিল। হাউজ যখন দল থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তখন দুটি বড় ডলফিন তাকে আবার দলের মধ্যে ঠেলে দেয়। এরপরই তিনি পানির নিচে প্রায় ৩ মিটার (১০ ফুট) লম্বা একটি গ্রেট হোয়াইট হাঙর দেখতে পান। তখন তিনি বুঝতে পারেন, ডলফিনগুলো তাদের রক্ষা করার জন্যই ঘিরে ধরেছে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ডলফিনগুলো সাঁতারুদের ঘিরে রেখেছিল। এই সময়ের মধ্যে লাইফগার্ড ম্যাট ফ্লিট একটি উদ্ধারকারী নৌকায় করে কাছে এসে ডলফিন এবং হাঙর উভয়কেই দেখতে পান। ৪০ মিনিট পর হাঙরটি চলে গেলে ডলফিনগুলো সাঁতারুদের তীরে ফিরে যেতে সাহায্য করে এবং তারা নিরাপদে তীরে পৌঁছায়। কেন ডলফিন এমন আচরণ করে? বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডলফিনরা তাদের নিজেদের এবং তাদের শাবকদের রক্ষা করার জন্য হাঙরের ওপর আক্রমণ করে। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও তারা সম্ভবত বিপদ বুঝতে পেরেছিল এবং তাদের সেই সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই সাঁতারুদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছিল। এই ধরনের ঘটনা আগেও বিশ্বে একাধিকবার ঘটেছে, যেখানে ডলফিন বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করেছে। ডলফিনদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বুদ্ধিমান আচরণ তাদের 'সমুদ্রের বন্ধু' হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। স্থান ও সময়: নিউজিল্যান্ডের ওশান বিচ (Ocean Beach) এর কাছে, ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর। তবে ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসে নভেম্বরে। এই ঘটনা সম্পর্কিত কিছু নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের লিংক নিচে দেওয়া হলো: * Dolphins save swimmers from shark | News | Al Jazeera * Dolphins save swimmers from shark attack | World news | The Guardian * Dolphins save swimmers from shark | CBC News * Dolphins saved us from shark, lifeguards say - NZ Herald
    0 Комментарии 0 Поделились 455 Просмотры
  • আপনি যদি ভেবে থাকেন বিমান সংরক্ষণ মানেই স্রেফ এটিকে কোথাও পার্ক করে রাখা, তাহলে আপনি একদম ভুল করছেন না, আবার একদম ঠিকও করছেন না। কারণ, বিমান হলো এমন এক বস্তু, যাকে ঠিক গ্যারাজে ঢুকিয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা যায় না। এতে থাকে ৬০ ফুট লম্বা ডানা, একেকটি ইঞ্জিনের ওজন প্রায় ৪,০০০ কেজি, আর প্রতিটি ছোটখাট বিমানেরও ন্যূনতম ১০ লাখের ওপরে যন্ত্রাংশ থাকে।

    এখানে আসল চ্যালেঞ্জটা হলো—এই বিমানের শরীর যেন মরিচা না ধরে, ইঞ্জিন যেন উল্টাপাল্টা না করে, আর ককপিটের নেভিগেশনগুলো যাতে ঠিকঠাক থাকে।। এজন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর গাণিতিক হিসাব।

    প্রথমত, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। বিমানের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেন ঘামতে না শুরু করে, তার জন্য হ্যাঙ্গারে তাপমাত্রা রাখতে হয় ২১ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। যদি এটি এক ডিগ্রি বাড়ে, তাহলে বিমানের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশের সম্প্রসারণ ঘটে ০.০০০১২ মিটার প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে। এটা শুনে মনে হতে পারে তেমন কিছু না, কিন্তু একটা বোয়িং ৭৭৭-এর ডানার দৈর্ঘ্য ৬০.৯ মিটার। কাজেই এক ডিগ্রিতে সেটি প্রায় ০.০০৭৩ মিটার বা ৭.৩ মিলিমিটার বাড়ে—মানে প্রায় একটা জামার বোতামের সমান। আর একটা জামার বোতামের সমান উল্টাপাল্টা ঘটনা মানেই মাঝ আকাশে বিশাল বিপদ।

    এবার আসি আর্দ্রতার কথায়। বিমানের ভেতর যদি বেশি আর্দ্রতা থাকে, তাহলে ইলেকট্রনিক সার্কিট বোর্ডে পানির কণা জমে গিয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে যেতে পারে। আর বিমানে শর্ট সার্কিট মানে অনেক সময় ‘আউচ!’ নয়, বরং ‘আউট!’ বলা। তাই আর্দ্রতা রাখতে হয় ৪৫% থেকে ৫০% এর মধ্যে। যদি ৫৫% হয়, তাহলে ককপিটের কাচে পানি জমে এবং পাইলটকে তখন নিজ হাতে উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়—যা সাধারণত তাদের জিএমএস (গ্লোবাল মেস সেন্স) স্কোরের সাথে যায় না।

    আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—টায়ারের সংরক্ষণ। বিমানের টায়ার দেখতে যতটা বড় এবং গম্ভীর, ততটাই সংবেদনশীল। একটি বিমানের টায়ার প্রতি স্কয়ার ইঞ্চিতে ২০০ PSI চাপ সহ্য করতে পারে, যা এক হাড়ভাঙা টেনিস বলের চাপের ১৪ গুণ বেশি। তাই দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলে টায়ার সমানভাবে চাপ না পেলে তা একপাশে বসে যেতে পারে। সমাধান? প্রতি ১৮ দিন অন্তর টায়ার ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে হয়, যেন সব অংশ সমানভাবে বসে। বিমানের টায়ার যেন “চেয়ার পটেটো” না হয়ে পড়ে!

    বিমানের ইঞ্জিন হলো এই গল্পের রাজা। ইঞ্জিন ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা হয়ে উঠতে পারে একজন সর্দিলাগা রোগীর মত। আপনি জানেন কি, প্রতি ৬ দিন অন্তর ইঞ্জিন ঘোরানো না হলে তার টারবাইন ব্লেডে ধুলো জমে গিয়ে ৪.৫% কর্মক্ষমতা কমে যায়? এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি ৩০ দিন ইঞ্জিন বন্ধ থাকে, তাহলে তাতে খনিজ তেল জমে গিয়ে একধরনের “অ্যালগেব্রিক ক্লগিং” হয়, যেখানে তেলের ঘনত্বের মান চলে যায় ১.৩৮ cP থেকে ২.২৯ cP—মানে এটি ঘন হয়ে আঠার মতো হয়ে যায়। তেল দিয়ে বিমান চালানো যায়, আঠা দিয়ে নয়।

    অনেকেই ভাবেন, বিমানের পেইন্ট বা রং শুধু দেখতে ভালো লাগার জন্য। আসলে এটি হল একধরনের তাপ-নিয়ন্ত্রক শিল্ড। যদি আপনি একটি সাদা রঙের বিমানকে মরুভূমিতে ফেলে রাখেন, তাও সে অন্তত ৪.৮ ডিগ্রি কম গরম হবে কালো রঙের তুলনায়। আর এই গরমের পার্থক্য মানে বিমানের ফিউজেলাজে প্রতি বর্গমিটারে ১২.৬ নিউটন অতিরিক্ত বল পড়বে—যা একেকটা স্ক্রুর ওপর ১.৮ কেজির চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি ভাবেন "বাহ! এটাও কি হিসাব করার জিনিস?"—তাহলে আপনি সম্ভবত বিমান প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করেননি, তাই আপনাকে দোষ দেওয়া যায় না।

    আর হ্যাঁ, পাখি! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—পাখি। আপনি যতই বিমানকে হ্যাঙ্গারে রাখুন না কেন, পাখিরা পছন্দ করে এর গা বেয়ে উঠে বসে থাকতে। প্রতি বছর শুধু এই পাখির বিষ্ঠার কারণে বিমানের বাহ্যিক অংশ পরিষ্কার করতে ব্যয় হয় প্রায় $১.৭ মিলিয়ন। আর বিমানে যদি পাখি বাসা বাঁধে, তবে সেটা হয় একেবারে জ্বালানি পাম্পের পাশে। একবার এক বিমানে ১৪টি চড়ুইয়ের বাসা পাওয়া গিয়েছিল—একটি ইঞ্জিনের মধ্যে। এতে শুধু পরিষ্কারের খরচই যায় $২৩,০০০।

    এবার আসি অদ্ভুত এক গবেষণায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে থাকা বিমানগুলোর ইন্টারনাল সেন্সররা ‌মানসিকভাবে‌ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একে বলে “instrument lag depression syndrome”—একধরনের অবস্থান যেখানে Altimeter বা উচ্চতা মাপার যন্ত্র ভুল তথ্য দিতে শুরু করে। ৩০ দিন পর দেখা যায়, প্রকৃত উচ্চতা ৩০০০ ফুট হলেও সেন্সর দেখায় ২৫০০ বা ৩৫০০।

    এই অবস্থায় কিছু বিমান সংস্থা তাদের বিমানগুলিকে "ঘুরতে" বের করে—মানে, সপ্তাহে একবার অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য আকাশে ওড়ানো হয়। যাতে বিমানের যন্ত্রপাতি মনে করে তারা এখনও জীবিত, এবং তাদের চাকরি এখনও আছে। একে বলে “maintenance flight,” কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে এটিকে ডাকা হয় “mental health flight.”

    মজার কথা হলো, বেশ কিছু সংস্থা আবার বিমানের মধ্যে “আনান্দ উৎসব” করে বিমান চালু রাখে—মানে ইঞ্জিন স্টার্ট করে, এয়ার কন্ডিশন চালায়, আলো জ্বালে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভুয়া বোর্ডিং করিয়ে ছবি তোলে। এসব কিছুই শুধুমাত্র যন্ত্রগুলোকে বোঝাতে যে, তারা অবহেলিত নয়। আপনি যদি ভাবেন, “বাহ, বিমানেরও অনুভূতি আছে?”—তাহলে আপনি একধাপ এগিয়ে আছেন মানবিক প্রযুক্তির দৃষ্টিভঙ্গিতে।

    এখন প্রশ্ন আসে—এই বিমানের সব কিছুর হিসাব রাখে কে? উত্তর—এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স লগ। এটি হলো একধরনের বিমান ডায়েরি, যেখানে লেখা থাকে—“আজ ডানার নিচে ২.১ মিলিমিটার চিপ দেখা গেছে। সম্ভবত লেজ ঘষা লেগেছে।” এটি প্রতি দিন, প্রতি ঘণ্টা, এমনকি প্রতি মিনিটে আপডেট করতে হয়। গড়পড়তা একটি বোয়িং ৭৮৭-এর মেইন্টেন্যান্স রিপোর্ট বছরে প্রায় ২,৩০০ পৃষ্ঠার হয়ে থাকে। এতো বড় বই লেখার জন্য একজন সাহিত্যের লোকের চেয়ে একজন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বেশি প্রয়োজন হয়।

    শেষমেশ, একটি বিষয় বলা দরকার—বিমান সংরক্ষণ মানেই শুধু যন্ত্রপাতির যত্ন নয়, বরং এটি একধরনের পোষ্য পালনের মতো। আপনি যেমন আপনার বিড়ালকে খাওয়ান, তার গায়ে হাত বুলান, মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান—তেমনি বিমানকেও “খাওয়াতে” হয় (ফুয়েল দিয়ে), তার শরীর ঘষে পরিষ্কার করতে হয়, এবং মাঝে মাঝে ওড়াতে হয় যেন তার মন খারাপ না হয়।

    তাই পরিশেষে বলা যায়, বিমান সংরক্ষণ শুধু বিজ্ঞান নয়, এটি শিল্প। এটি এমন এক ললিতকলা যেখানে গণিতের সূত্র, পদার্থবিদ্যার নিয়ম এবং খানিকটা হৃদয়ের আবেগ মিশে তৈরি হয় এক সুপ্ত ও শক্তিশালী জীবনরক্ষা প্রক্রিয়া। যদি কখনো কোনো বিমানে উঠে বসেন, মনে রাখবেন—এই উড়ন্ত দৈত্যটা অনেক গুনতি, অনেক ঘাম এবং শ্রমের বিনিময়েই আপনাকে নিয়ে উড়াল দিতে যাচ্ছে।

    আপনি যখন জানালার বাইরে তাকিয়ে ভাববেন, “আহা! আকাশ কত নীল!”—ঠিক তখনই বিমানের সেন্সররা হিসাব কষছে, “আমি কি এখনও উচ্চতায় ৩২,০০০ ফুটে, নাকি পাইলট কফির সময় ভুলে গেছেন অটোপাইলট অন করতে?”

    © Tubelight Media 2025

    ✨ আরও সুন্দর সুন্দর গল্প পড়তে চাইলে এখনই 👉 Taking Over BD 👈 পেজে যোগ দিন!

    আমাদের পোস্টে 🎈 শেয়ার করুন, 👍 লাইক দিন, আর 🗣️ কমেন্ট করে যুক্ত হয়ে যান।
    আশা করি ❤️ আমাদের প্রতিটি গল্প 🌙 আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবে।

    🔥 চলুন, গল্পের জগতে হারিয়ে যাই! ❤️
    আপনি যদি ভেবে থাকেন বিমান সংরক্ষণ মানেই স্রেফ এটিকে কোথাও পার্ক করে রাখা, তাহলে আপনি একদম ভুল করছেন না, আবার একদম ঠিকও করছেন না। কারণ, বিমান হলো এমন এক বস্তু, যাকে ঠিক গ্যারাজে ঢুকিয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা যায় না। এতে থাকে ৬০ ফুট লম্বা ডানা, একেকটি ইঞ্জিনের ওজন প্রায় ৪,০০০ কেজি, আর প্রতিটি ছোটখাট বিমানেরও ন্যূনতম ১০ লাখের ওপরে যন্ত্রাংশ থাকে। এখানে আসল চ্যালেঞ্জটা হলো—এই বিমানের শরীর যেন মরিচা না ধরে, ইঞ্জিন যেন উল্টাপাল্টা না করে, আর ককপিটের নেভিগেশনগুলো যাতে ঠিকঠাক থাকে।। এজন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর গাণিতিক হিসাব। প্রথমত, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। বিমানের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেন ঘামতে না শুরু করে, তার জন্য হ্যাঙ্গারে তাপমাত্রা রাখতে হয় ২১ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। যদি এটি এক ডিগ্রি বাড়ে, তাহলে বিমানের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশের সম্প্রসারণ ঘটে ০.০০০১২ মিটার প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে। এটা শুনে মনে হতে পারে তেমন কিছু না, কিন্তু একটা বোয়িং ৭৭৭-এর ডানার দৈর্ঘ্য ৬০.৯ মিটার। কাজেই এক ডিগ্রিতে সেটি প্রায় ০.০০৭৩ মিটার বা ৭.৩ মিলিমিটার বাড়ে—মানে প্রায় একটা জামার বোতামের সমান। আর একটা জামার বোতামের সমান উল্টাপাল্টা ঘটনা মানেই মাঝ আকাশে বিশাল বিপদ। এবার আসি আর্দ্রতার কথায়। বিমানের ভেতর যদি বেশি আর্দ্রতা থাকে, তাহলে ইলেকট্রনিক সার্কিট বোর্ডে পানির কণা জমে গিয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে যেতে পারে। আর বিমানে শর্ট সার্কিট মানে অনেক সময় ‘আউচ!’ নয়, বরং ‘আউট!’ বলা। তাই আর্দ্রতা রাখতে হয় ৪৫% থেকে ৫০% এর মধ্যে। যদি ৫৫% হয়, তাহলে ককপিটের কাচে পানি জমে এবং পাইলটকে তখন নিজ হাতে উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়—যা সাধারণত তাদের জিএমএস (গ্লোবাল মেস সেন্স) স্কোরের সাথে যায় না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—টায়ারের সংরক্ষণ। বিমানের টায়ার দেখতে যতটা বড় এবং গম্ভীর, ততটাই সংবেদনশীল। একটি বিমানের টায়ার প্রতি স্কয়ার ইঞ্চিতে ২০০ PSI চাপ সহ্য করতে পারে, যা এক হাড়ভাঙা টেনিস বলের চাপের ১৪ গুণ বেশি। তাই দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলে টায়ার সমানভাবে চাপ না পেলে তা একপাশে বসে যেতে পারে। সমাধান? প্রতি ১৮ দিন অন্তর টায়ার ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে হয়, যেন সব অংশ সমানভাবে বসে। বিমানের টায়ার যেন “চেয়ার পটেটো” না হয়ে পড়ে! বিমানের ইঞ্জিন হলো এই গল্পের রাজা। ইঞ্জিন ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা হয়ে উঠতে পারে একজন সর্দিলাগা রোগীর মত। আপনি জানেন কি, প্রতি ৬ দিন অন্তর ইঞ্জিন ঘোরানো না হলে তার টারবাইন ব্লেডে ধুলো জমে গিয়ে ৪.৫% কর্মক্ষমতা কমে যায়? এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি ৩০ দিন ইঞ্জিন বন্ধ থাকে, তাহলে তাতে খনিজ তেল জমে গিয়ে একধরনের “অ্যালগেব্রিক ক্লগিং” হয়, যেখানে তেলের ঘনত্বের মান চলে যায় ১.৩৮ cP থেকে ২.২৯ cP—মানে এটি ঘন হয়ে আঠার মতো হয়ে যায়। তেল দিয়ে বিমান চালানো যায়, আঠা দিয়ে নয়। অনেকেই ভাবেন, বিমানের পেইন্ট বা রং শুধু দেখতে ভালো লাগার জন্য। আসলে এটি হল একধরনের তাপ-নিয়ন্ত্রক শিল্ড। যদি আপনি একটি সাদা রঙের বিমানকে মরুভূমিতে ফেলে রাখেন, তাও সে অন্তত ৪.৮ ডিগ্রি কম গরম হবে কালো রঙের তুলনায়। আর এই গরমের পার্থক্য মানে বিমানের ফিউজেলাজে প্রতি বর্গমিটারে ১২.৬ নিউটন অতিরিক্ত বল পড়বে—যা একেকটা স্ক্রুর ওপর ১.৮ কেজির চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি ভাবেন "বাহ! এটাও কি হিসাব করার জিনিস?"—তাহলে আপনি সম্ভবত বিমান প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করেননি, তাই আপনাকে দোষ দেওয়া যায় না। আর হ্যাঁ, পাখি! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—পাখি। আপনি যতই বিমানকে হ্যাঙ্গারে রাখুন না কেন, পাখিরা পছন্দ করে এর গা বেয়ে উঠে বসে থাকতে। প্রতি বছর শুধু এই পাখির বিষ্ঠার কারণে বিমানের বাহ্যিক অংশ পরিষ্কার করতে ব্যয় হয় প্রায় $১.৭ মিলিয়ন। আর বিমানে যদি পাখি বাসা বাঁধে, তবে সেটা হয় একেবারে জ্বালানি পাম্পের পাশে। একবার এক বিমানে ১৪টি চড়ুইয়ের বাসা পাওয়া গিয়েছিল—একটি ইঞ্জিনের মধ্যে। এতে শুধু পরিষ্কারের খরচই যায় $২৩,০০০। এবার আসি অদ্ভুত এক গবেষণায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে থাকা বিমানগুলোর ইন্টারনাল সেন্সররা ‌মানসিকভাবে‌ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একে বলে “instrument lag depression syndrome”—একধরনের অবস্থান যেখানে Altimeter বা উচ্চতা মাপার যন্ত্র ভুল তথ্য দিতে শুরু করে। ৩০ দিন পর দেখা যায়, প্রকৃত উচ্চতা ৩০০০ ফুট হলেও সেন্সর দেখায় ২৫০০ বা ৩৫০০। এই অবস্থায় কিছু বিমান সংস্থা তাদের বিমানগুলিকে "ঘুরতে" বের করে—মানে, সপ্তাহে একবার অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য আকাশে ওড়ানো হয়। যাতে বিমানের যন্ত্রপাতি মনে করে তারা এখনও জীবিত, এবং তাদের চাকরি এখনও আছে। একে বলে “maintenance flight,” কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে এটিকে ডাকা হয় “mental health flight.” মজার কথা হলো, বেশ কিছু সংস্থা আবার বিমানের মধ্যে “আনান্দ উৎসব” করে বিমান চালু রাখে—মানে ইঞ্জিন স্টার্ট করে, এয়ার কন্ডিশন চালায়, আলো জ্বালে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভুয়া বোর্ডিং করিয়ে ছবি তোলে। এসব কিছুই শুধুমাত্র যন্ত্রগুলোকে বোঝাতে যে, তারা অবহেলিত নয়। আপনি যদি ভাবেন, “বাহ, বিমানেরও অনুভূতি আছে?”—তাহলে আপনি একধাপ এগিয়ে আছেন মানবিক প্রযুক্তির দৃষ্টিভঙ্গিতে। এখন প্রশ্ন আসে—এই বিমানের সব কিছুর হিসাব রাখে কে? উত্তর—এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স লগ। এটি হলো একধরনের বিমান ডায়েরি, যেখানে লেখা থাকে—“আজ ডানার নিচে ২.১ মিলিমিটার চিপ দেখা গেছে। সম্ভবত লেজ ঘষা লেগেছে।” এটি প্রতি দিন, প্রতি ঘণ্টা, এমনকি প্রতি মিনিটে আপডেট করতে হয়। গড়পড়তা একটি বোয়িং ৭৮৭-এর মেইন্টেন্যান্স রিপোর্ট বছরে প্রায় ২,৩০০ পৃষ্ঠার হয়ে থাকে। এতো বড় বই লেখার জন্য একজন সাহিত্যের লোকের চেয়ে একজন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বেশি প্রয়োজন হয়। শেষমেশ, একটি বিষয় বলা দরকার—বিমান সংরক্ষণ মানেই শুধু যন্ত্রপাতির যত্ন নয়, বরং এটি একধরনের পোষ্য পালনের মতো। আপনি যেমন আপনার বিড়ালকে খাওয়ান, তার গায়ে হাত বুলান, মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান—তেমনি বিমানকেও “খাওয়াতে” হয় (ফুয়েল দিয়ে), তার শরীর ঘষে পরিষ্কার করতে হয়, এবং মাঝে মাঝে ওড়াতে হয় যেন তার মন খারাপ না হয়। তাই পরিশেষে বলা যায়, বিমান সংরক্ষণ শুধু বিজ্ঞান নয়, এটি শিল্প। এটি এমন এক ললিতকলা যেখানে গণিতের সূত্র, পদার্থবিদ্যার নিয়ম এবং খানিকটা হৃদয়ের আবেগ মিশে তৈরি হয় এক সুপ্ত ও শক্তিশালী জীবনরক্ষা প্রক্রিয়া। যদি কখনো কোনো বিমানে উঠে বসেন, মনে রাখবেন—এই উড়ন্ত দৈত্যটা অনেক গুনতি, অনেক ঘাম এবং শ্রমের বিনিময়েই আপনাকে নিয়ে উড়াল দিতে যাচ্ছে। আপনি যখন জানালার বাইরে তাকিয়ে ভাববেন, “আহা! আকাশ কত নীল!”—ঠিক তখনই বিমানের সেন্সররা হিসাব কষছে, “আমি কি এখনও উচ্চতায় ৩২,০০০ ফুটে, নাকি পাইলট কফির সময় ভুলে গেছেন অটোপাইলট অন করতে?” © Tubelight Media 2025 ✨ আরও সুন্দর সুন্দর গল্প পড়তে চাইলে এখনই 👉 Taking Over BD 👈 পেজে যোগ দিন! আমাদের পোস্টে 🎈 শেয়ার করুন, 👍 লাইক দিন, আর 🗣️ কমেন্ট করে যুক্ত হয়ে যান। আশা করি ❤️ আমাদের প্রতিটি গল্প 🌙 আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবে। 🔥 চলুন, গল্পের জগতে হারিয়ে যাই! ❤️
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 629 Просмотры
  • ছেলেটার নাম হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স। মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবাকে হারান। ১৬ বছর বয়সে স্কুল থেকে ঝরে পড়েন। ১৭ বছরে ৪ বার চাকরি হারান। ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেন, ১৯-তে বাবা হন, আর ২০ বছরে স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে তাকে ছেড়ে চলে যান।

    জীবন থেমে থাকেনি —
    তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, ব্যর্থ হন। ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, রেললাইনের কন্ডাকটর— প্রতিটা জায়গাতেই ব্যর্থতা।

    এক সময় তিনি চাকরি নেন একটি ছোট ক্যাফের রাধুনি হিসেবে। এভাবে চলে যায় বয়স ৬৫। এবার অবসরে সরকারি ভাতা মাত্র ১০৫ ডলার।

    তিনি ভেঙে পড়লেন। চিন্তা করলেন — "এই জীবন রেখে আর কী হবে?" নিজেকে শেষ করতে চাইলেন।

    তখন গাছের নিচে বসে লিখে ফেললেন, "জীবনে আমি কী কী করতে পেরেছি?" মনে পড়ে গেল — তিনি একটাই জিনিস খুব ভালো পারেন — রান্না করতে! চিন্তাভাবনা করে শেষ বারের মত ৮৭ ডলার ধার নেন, মুরগি কেনেন, নিজের বিশেষ রেসিপিতে ফ্রাই করেন।

    Kentucky-তে প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেই চিকেন বিক্রি শুরু করেন।

    সেখান থেকেই জন্ম নেয় —
    🍗 Kentucky Fried Chicken (KFC)!

    যে মানুষটি ৬৫ বছর বয়সে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলেন, সে মানুষই ৮৮ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে ছিলেন কোটিপতিদের কাতারে!

    আর আজ তিনি আমাদের কাছে পরিচিত —
    🎖️ Colonel Sanders হিসেবে!

    🔥 এই গল্প থেকে আমরা কী শিখি?
    ✅ ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়, বরং নতুন শুরুর ইঙ্গিত।
    ✅ কখনো বয়সকে বাধা মনে কোরো না — শুরু করার জন্য কখনোই দেরি হয় না।
    ✅ জীবনের ছোট্ট দক্ষতাও বড় সুযোগে পরিণত হতে পারে, যদি তুমি সেটাকে ভালোবাসো ও বিশ্বাস করো।
    ✅ হার মানা নয়, চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই জীবনের আসল গল্প।

    🎯 আপনার বয়স যা-ই হোক, আপনি আজও শুরু করতে পারেন। হতাশ হবেন না, আপনি নিজেই একদিন অন্যের প্রেরণার উৎস হবেন। ইনশাআল্লাহ!
    লেখা - সংগৃহীত
    #RaisaAlam #motivational ##KFC #ColonelSanders #SuccessStory #BanglaMotivation #LifeLesson #NeverGiveUp #Inspiration #ব্যর্থতাথেকেসাফল্য
    ছেলেটার নাম হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স। মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবাকে হারান। ১৬ বছর বয়সে স্কুল থেকে ঝরে পড়েন। ১৭ বছরে ৪ বার চাকরি হারান। ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেন, ১৯-তে বাবা হন, আর ২০ বছরে স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে তাকে ছেড়ে চলে যান। জীবন থেমে থাকেনি — তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, ব্যর্থ হন। ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, রেললাইনের কন্ডাকটর— প্রতিটা জায়গাতেই ব্যর্থতা। এক সময় তিনি চাকরি নেন একটি ছোট ক্যাফের রাধুনি হিসেবে। এভাবে চলে যায় বয়স ৬৫। এবার অবসরে সরকারি ভাতা মাত্র ১০৫ ডলার। তিনি ভেঙে পড়লেন। চিন্তা করলেন — "এই জীবন রেখে আর কী হবে?" নিজেকে শেষ করতে চাইলেন। তখন গাছের নিচে বসে লিখে ফেললেন, "জীবনে আমি কী কী করতে পেরেছি?" মনে পড়ে গেল — তিনি একটাই জিনিস খুব ভালো পারেন — রান্না করতে! চিন্তাভাবনা করে শেষ বারের মত ৮৭ ডলার ধার নেন, মুরগি কেনেন, নিজের বিশেষ রেসিপিতে ফ্রাই করেন। Kentucky-তে প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেই চিকেন বিক্রি শুরু করেন। সেখান থেকেই জন্ম নেয় — 🍗 Kentucky Fried Chicken (KFC)! যে মানুষটি ৬৫ বছর বয়সে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলেন, সে মানুষই ৮৮ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে ছিলেন কোটিপতিদের কাতারে! আর আজ তিনি আমাদের কাছে পরিচিত — 🎖️ Colonel Sanders হিসেবে! 🔥 এই গল্প থেকে আমরা কী শিখি? ✅ ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়, বরং নতুন শুরুর ইঙ্গিত। ✅ কখনো বয়সকে বাধা মনে কোরো না — শুরু করার জন্য কখনোই দেরি হয় না। ✅ জীবনের ছোট্ট দক্ষতাও বড় সুযোগে পরিণত হতে পারে, যদি তুমি সেটাকে ভালোবাসো ও বিশ্বাস করো। ✅ হার মানা নয়, চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই জীবনের আসল গল্প। 🎯 আপনার বয়স যা-ই হোক, আপনি আজও শুরু করতে পারেন। হতাশ হবেন না, আপনি নিজেই একদিন অন্যের প্রেরণার উৎস হবেন। ইনশাআল্লাহ! লেখা - সংগৃহীত #RaisaAlam #motivational ##KFC #ColonelSanders #SuccessStory #BanglaMotivation #LifeLesson #NeverGiveUp #Inspiration #ব্যর্থতাথেকেসাফল্য
    0 Комментарии 0 Поделились 681 Просмотры
  • সময় সংবাদ | ৯ আগস্ট ২০২৫ | Somoy TV Bulletin 10am| Latest Bangladeshi News
    সময় সংবাদ | ৯ আগস্ট ২০২৫ | Somoy TV Bulletin 10am| Latest Bangladeshi News
    0 Комментарии 0 Поделились 278 Просмотры
  • আমরা জোনাকি পোকা। এই পৃথিবীতে আমরা দশ কোটি বছরেরও বেশি সময় ধরে আছি। কিন্তু গত দুইশ বছর ধরে আমাদের বেঁচে থাকাটা খুব কঠিন হয়ে গেছে! তাও কোনো না কোনোভাবে টিকে ছিলাম। তবে গত কয়েক বছরে তাপমাত্রা যেভাবে বেড়ে গেছে, আর সহ্য করতে পারছি না! এত গরম তো তোমরাও সহ্য করতে পারো না, আমরা কী করে পারব, বলো!

    তোমাদের কাছে আমাদের একটা প্রশ্ন আছে। একটু ভালো ফসলের জন্য তোমরা কত রকমের রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করো, সেই কীটনাশকে আমাদের মতো কত উপকারী আর নিরীহ পোকামাকড়ের প্রাণ যায়, সে হিসাব কি তোমরা রাখো কখনো? শোনো, বনজঙ্গল কেটে এবং খালবিল ভরাট করে তোমাদের ঘরবাড়ি উঠলেও ধ্বংস হচ্ছে আমাদের থাকার জায়গা।

    একসময় আমাদের আলো নিয়ে তোমাদের কত মাতামাতি ছিল, কত কাব্য-সাহিত্য করেছো! আর এখন তোমাদের ইলেকট্রিক লাইটের আলোয় আমরা ঠিকমতো দেখতেই পাই না! ছোটবেলায় আমাদের আলোয় তোমরা কত খেলেছো, কত স্মৃতি আমাদের সাথে; অথচ সামনের দিনগুলোতে তোমাদের সন্তানেরা হয়তো আমাদের আর কখনোই দেখতে পাবে না!

    সত্যি করে বলো তো, এটা ভেবে তোমাদের কি একটুও খারাপ লাগে না?

    লেখা এবং ছবি প্রাণীCool পেজ থেকে সংগৃহীত। ( কৃতজ্ঞতা )
    আমরা জোনাকি পোকা। এই পৃথিবীতে আমরা দশ কোটি বছরেরও বেশি সময় ধরে আছি। কিন্তু গত দুইশ বছর ধরে আমাদের বেঁচে থাকাটা খুব কঠিন হয়ে গেছে! তাও কোনো না কোনোভাবে টিকে ছিলাম। তবে গত কয়েক বছরে তাপমাত্রা যেভাবে বেড়ে গেছে, আর সহ্য করতে পারছি না! এত গরম তো তোমরাও সহ্য করতে পারো না, আমরা কী করে পারব, বলো! তোমাদের কাছে আমাদের একটা প্রশ্ন আছে। একটু ভালো ফসলের জন্য তোমরা কত রকমের রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করো, সেই কীটনাশকে আমাদের মতো কত উপকারী আর নিরীহ পোকামাকড়ের প্রাণ যায়, সে হিসাব কি তোমরা রাখো কখনো? শোনো, বনজঙ্গল কেটে এবং খালবিল ভরাট করে তোমাদের ঘরবাড়ি উঠলেও ধ্বংস হচ্ছে আমাদের থাকার জায়গা। একসময় আমাদের আলো নিয়ে তোমাদের কত মাতামাতি ছিল, কত কাব্য-সাহিত্য করেছো! আর এখন তোমাদের ইলেকট্রিক লাইটের আলোয় আমরা ঠিকমতো দেখতেই পাই না! ছোটবেলায় আমাদের আলোয় তোমরা কত খেলেছো, কত স্মৃতি আমাদের সাথে; অথচ সামনের দিনগুলোতে তোমাদের সন্তানেরা হয়তো আমাদের আর কখনোই দেখতে পাবে না! সত্যি করে বলো তো, এটা ভেবে তোমাদের কি একটুও খারাপ লাগে না? লেখা এবং ছবি প্রাণীCool পেজ থেকে সংগৃহীত। ( কৃতজ্ঞতা )
    0 Комментарии 0 Поделились 287 Просмотры
  • তাহাজ্জুদ প্রতিযোগিতা আমার শাশুড়ির সাথে

    যখন জানতে পারলাম আমি গর্ভবতী, আমি গোপনে একটি ছেলের জন্য দোয়া করতাম। আমি আমার ছোট বোনকে নিজের সন্তানের মতো বড় করেছি—তাই এবার আমি শুধু একজন ছেলেকে বড় করার আনন্দ অনুভব করতে চেয়েছিলাম।

    কিন্তু আমার শাশুড়ির ছিল অন্য পরিকল্পনা। তিনি সব সময় একটি কন্যা সন্তানের স্বপ্ন দেখতেন, কিন্তু কখনও তা পাননি।

    তিনি হাসলেন এবং বললেন, “চলো, তাহাজ্জুদের প্রতিযোগিতা করি। তুমি একটি ছেলের জন্য দোয়া করো, আমি একটি মেয়ের জন্য দোয়া করবো। দেখি কে জেতে।”
    আর সেই থেকেই আমরা দুজনেই রাতে শেষ অংশে আমাদের দোয়া ফিসফিস করে বলতে শুরু করলাম।

    প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড… যমজ!
    আমরা দুজনেই হাসলাম এবং কেঁদে ফেললাম। যেন আল্লাহ মৃদুস্বরে বললেন: প্রতিযোগিতার দরকার নেই। তোমরা দুজনেই জিতেছো।

    একটি কন্যা শিশু। একটি পুত্র সন্তান।
    আমার ছেলে দুর্বল ছিল এবং এনআইসিইউ-তে থাকতে হয়েছিল।
    কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আজ তারা দুজনেই সুস্থ এবং তিন বছর বয়সে পদার্পণ করছে—আমাদের দ্বিগুণ আনন্দ, আমাদের দ্বিগুণ দোয়ার ফল।

    তাহাজ্জুদ সত্যিই এক অসাধারণ কিছু!

    — ঘটনাটি সংগ্রহ করে অনুবাদ করা হয়েছে
    তাহাজ্জুদ প্রতিযোগিতা আমার শাশুড়ির সাথে যখন জানতে পারলাম আমি গর্ভবতী, আমি গোপনে একটি ছেলের জন্য দোয়া করতাম। আমি আমার ছোট বোনকে নিজের সন্তানের মতো বড় করেছি—তাই এবার আমি শুধু একজন ছেলেকে বড় করার আনন্দ অনুভব করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার শাশুড়ির ছিল অন্য পরিকল্পনা। তিনি সব সময় একটি কন্যা সন্তানের স্বপ্ন দেখতেন, কিন্তু কখনও তা পাননি। তিনি হাসলেন এবং বললেন, “চলো, তাহাজ্জুদের প্রতিযোগিতা করি। তুমি একটি ছেলের জন্য দোয়া করো, আমি একটি মেয়ের জন্য দোয়া করবো। দেখি কে জেতে।” আর সেই থেকেই আমরা দুজনেই রাতে শেষ অংশে আমাদের দোয়া ফিসফিস করে বলতে শুরু করলাম। প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড… যমজ! আমরা দুজনেই হাসলাম এবং কেঁদে ফেললাম। যেন আল্লাহ মৃদুস্বরে বললেন: প্রতিযোগিতার দরকার নেই। তোমরা দুজনেই জিতেছো। একটি কন্যা শিশু। একটি পুত্র সন্তান। আমার ছেলে দুর্বল ছিল এবং এনআইসিইউ-তে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আজ তারা দুজনেই সুস্থ এবং তিন বছর বয়সে পদার্পণ করছে—আমাদের দ্বিগুণ আনন্দ, আমাদের দ্বিগুণ দোয়ার ফল। তাহাজ্জুদ সত্যিই এক অসাধারণ কিছু! — ঘটনাটি সংগ্রহ করে অনুবাদ করা হয়েছে
    0 Комментарии 0 Поделились 256 Просмотры
Расширенные страницы
BlackBird Ai
https://bbai.shop