• একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

    এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে।

    গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়।

    গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা।

    তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়।

    এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা।

    একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
    একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে। গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা। তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়। এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা। একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
    0 Commentaires 0 Parts 3 Vue
  • শিয়ারগাও পরবর্তী বালি না। আমার জন্য এটি বালির চেয়েও ভালো ছিল যেহেতু আমি আইল্যান্ডটাতে ৬ সপ্তাহ ছিলাম, শিয়ারগাও এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি এবং অনেক সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছি। এই ফিলিপাইন ২০২৩ ট্র্যাভেল ভ্লগে, আমি আপনাদেরকে দেখাবো শিয়ারগাও আইল্যান্ডে জীবন কেমন হয় এবং এর কিছু সেরা হাইলাইট।
    শিয়ারগাও পরবর্তী বালি না। আমার জন্য এটি বালির চেয়েও ভালো ছিল যেহেতু আমি আইল্যান্ডটাতে ৬ সপ্তাহ ছিলাম, শিয়ারগাও এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি এবং অনেক সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছি। এই ফিলিপাইন ২০২৩ ট্র্যাভেল ভ্লগে, আমি আপনাদেরকে দেখাবো শিয়ারগাও আইল্যান্ডে জীবন কেমন হয় এবং এর কিছু সেরা হাইলাইট।
    0 Commentaires 0 Parts 33 Vue
  • ভারতের ইসলামিক সাম্রাজ্যের রাজধানী - আগ্রার কাহিনী
    এই আগ্রা ভ্লগে আমরা মুঘল সাম্রাজ্যের প্রাক্তন রাজধানীর সবচেয়ে ঐতিহাসিক স্থান এবং সমাধিগুলি ঘুরে দেখবো৷ আমরা পাঁচজন সম্রাটের অধীনে এই শহরের উত্থান এবং পতন সম্পর্কেও শিখবো। আমরা সম্রাট বাবর, হুমায়ুন, আকবর, জাহাঙ্গীর এবং শাহজাহানের জীবন ও মৃত্যু নিয়ে জানবো।

    আগ্রায় তাজমহল ছাড়াও আরও অনেক কিছু আছে; তাই আমরা আরামবাগ, আকবরের সমাধি এবং আগ্রা ফোর্টও দেখবো।
    ভারতের ইসলামিক সাম্রাজ্যের রাজধানী - আগ্রার কাহিনী 🇮🇳 এই আগ্রা ভ্লগে আমরা মুঘল সাম্রাজ্যের প্রাক্তন রাজধানীর সবচেয়ে ঐতিহাসিক স্থান এবং সমাধিগুলি ঘুরে দেখবো৷ আমরা পাঁচজন সম্রাটের অধীনে এই শহরের উত্থান এবং পতন সম্পর্কেও শিখবো। আমরা সম্রাট বাবর, হুমায়ুন, আকবর, জাহাঙ্গীর এবং শাহজাহানের জীবন ও মৃত্যু নিয়ে জানবো। আগ্রায় তাজমহল ছাড়াও আরও অনেক কিছু আছে; তাই আমরা আরামবাগ, আকবরের সমাধি এবং আগ্রা ফোর্টও দেখবো।
    0 Commentaires 0 Parts 33 Vue
  • সৌদি আরবে প্রথম দিন
    সৌদি আরবে আমার প্রথম দিনে, আমি জেদ্দাকে এক্সপ্লোর করি যেটা কিনা বিশাল জাতির একটা বাণিজ্যিক রাজধানী। পুরানো এবং নতুন বিল্ডিংগুলোর মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পর আমি যাই বন্দর সমুদ্রের রেড সীতে।
    সৌদি আরবে প্রথম দিন 🇸🇦 সৌদি আরবে আমার প্রথম দিনে, আমি জেদ্দাকে এক্সপ্লোর করি যেটা কিনা বিশাল জাতির একটা বাণিজ্যিক রাজধানী। পুরানো এবং নতুন বিল্ডিংগুলোর মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পর আমি যাই বন্দর সমুদ্রের রেড সীতে।
    0 Commentaires 0 Parts 34 Vue
  • আমি গিয়েছিলাম আমার সবচেয়ে বড় বাকেট লিস্টের গন্তব্যে , ডলোমাইটস্‌ (ইটালিয়ান আল্পস্‌) এ, যেটা ইটালির দক্ষিন টাইরল এ। আমাদের ৩ দিনের রোড ট্রিপটা আমি এই ভিডিওটির মাধ্যমে আমার যাত্রাকে ডকুমেন্ট করেছি। আমরা ইটালিয়ান শহর বেলুনোতে থেকেছি এবং প্রথম দিন গিয়েছি অসাধারণ লাগো দি ব্রায়েস (লেক ব্রায়েস) , দ্বিতীয় দিন গিয়েছি সেচেদা (আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটা) এবং শেষ দিনে অবশেষে গিয়েছি জনপ্রিয় ট্রে চিমে দি লাভারেদো (তিন চূড়া)। আমি মনে প্রাণে চেষ্টা করেছি (বা ৩ দিনে যতটা পেরেছি) এই ভিডিওটি ফিল্ম করার জন্য এবং সর্বোচ্চটা দিয়েছি ভিডিও এডিট করার জন্য। আশা করি ভিডিওটি আপনাদের পছন্দ হবে :)))

    ডলোমাইটস্‌ ইটালি ২০২৩ ভ্লগ
    আমি গিয়েছিলাম আমার সবচেয়ে বড় বাকেট লিস্টের গন্তব্যে , ডলোমাইটস্‌ (ইটালিয়ান আল্পস্‌) এ, যেটা ইটালির দক্ষিন টাইরল এ। আমাদের ৩ দিনের রোড ট্রিপটা আমি এই ভিডিওটির মাধ্যমে আমার যাত্রাকে ডকুমেন্ট করেছি। আমরা ইটালিয়ান শহর বেলুনোতে থেকেছি এবং প্রথম দিন গিয়েছি অসাধারণ লাগো দি ব্রায়েস (লেক ব্রায়েস) , দ্বিতীয় দিন গিয়েছি সেচেদা (আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটা) এবং শেষ দিনে অবশেষে গিয়েছি জনপ্রিয় ট্রে চিমে দি লাভারেদো (তিন চূড়া)। আমি মনে প্রাণে চেষ্টা করেছি (বা ৩ দিনে যতটা পেরেছি) এই ভিডিওটি ফিল্ম করার জন্য এবং সর্বোচ্চটা দিয়েছি ভিডিও এডিট করার জন্য। আশা করি ভিডিওটি আপনাদের পছন্দ হবে :))) ডলোমাইটস্‌ ইটালি ২০২৩ ভ্লগ
    Wow
    1
    0 Commentaires 0 Parts 32 Vue
  • আমরা সুইজারল্যান্ডের লাওটারব্রুনেন থেকে "টপ অফ ইউরোপ" পর্যন্ত জনপ্রিয় এবং ব্যয়বহুল ট্রেনে চড়েছিলাম, যা ইয়াংফ্রাউইয়োখ নামেও পরিচিত। এটি ইউরোপের সর্বোচ্চ ট্রেন স্টেশন যা ৩৫০০ মিটার উচ্চতায় নির্মিত। আর স্টেশন এবং লাইনগুলি এক শতাব্দী আগে সুইসদের দ্বারা চমৎকারভাবে নির্মিত হয়েছিল! গ্ল্যাশিয়ারের মাঝে ভ্রমণের সময় আমাকে জয়েন করুন, দেখুন কিছু মেহ সুইস চকোলেট এবং এক্সপ্লোর করুন সাদা সুইস আল্পসের গভীরে থাকা ইয়াংফ্রাউইয়োখ এর অন্যান্য সকল বিস্ময়কর জিনিস। এটা সত্যিই জীবনে একবার অভিজ্ঞতা নেয়ার মতো ছিল এবং সেটা শুধুমাত্র টিকিটের মূল্যের (ডিস্কাউন্ট??) কারণে না
    আমরা সুইজারল্যান্ডের লাওটারব্রুনেন থেকে "টপ অফ ইউরোপ" পর্যন্ত জনপ্রিয় এবং ব্যয়বহুল ট্রেনে চড়েছিলাম, যা ইয়াংফ্রাউইয়োখ নামেও পরিচিত। এটি ইউরোপের সর্বোচ্চ ট্রেন স্টেশন যা ৩৫০০ মিটার উচ্চতায় নির্মিত। আর স্টেশন এবং লাইনগুলি এক শতাব্দী আগে সুইসদের দ্বারা চমৎকারভাবে নির্মিত হয়েছিল! গ্ল্যাশিয়ারের মাঝে ভ্রমণের সময় আমাকে জয়েন করুন, দেখুন কিছু মেহ সুইস চকোলেট এবং এক্সপ্লোর করুন সাদা সুইস আল্পসের গভীরে থাকা ইয়াংফ্রাউইয়োখ এর অন্যান্য সকল বিস্ময়কর জিনিস। এটা সত্যিই জীবনে একবার অভিজ্ঞতা নেয়ার মতো ছিল এবং সেটা শুধুমাত্র টিকিটের মূল্যের (ডিস্কাউন্ট??) কারণে না
    Fire
    1
    0 Commentaires 0 Parts 32 Vue
  • প্রথম সন্তানের জন্মের পরই এই নারী বুঝতে পারেন, তাঁর শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বুকের দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১০ সালের কথা। টেক্সাসের অ্যালিস ওগলেট্রির বুকের এই বাড়তি দুধ নিয়ে শুরু করেন এক অবিশ্বাস্য সাধনা। অক্লান্ত শৃঙ্খলা, অন্যের প্রতি সাহায্যের তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং এমন এক কঠিন পাম্পিং রুটিন যা খুব কম মানুষই সহ্য করতে পারতো - এই সবকিছুর মাধ্যমে তিনি ২,৬০০ লিটারেরও বেশি বুকের দুধ দান করেছেন। এই পরিমাণ দুধ দেশজুড়ে প্রায় ৩,৫০,০০০ অপরিণত শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট।

    এই শিশুদের অনেকেই জন্মেছিল অত্যন্ত নাজুক অবস্থায়, জীবনের জন্য লড়ছিল প্রতিনিয়ত। তাদের কাছে অ্যালিসের এই দান শুধু সাধারণ কোনো দান ছিল না - এটি ছিল তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন, এক সঞ্জীবনী সুধা।

    তাঁর এই অমূল্য দান 'মাদার্স মিল্ক ব্যাংক অফ নর্থ টেক্সাস' এবং 'টাইনি ট্রেজারস মিল্ক ব্যাংক'-এর মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাসপাতালের NICU-তে থাকা শিশুদের এবং সংকটাপন্ন পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে গেছে। এবং এটিই প্রথম নয়; ২০১৪ সালেও তিনি নিজের গড়া রেকর্ড ভেঙেছিলেন, যা প্রমাণ করে যে, মমতা যখন লক্ষ্যে পরিণত হয়, তখন কোনো সীমাই আর বাধা থাকে না।

    ৩৬ বছর বয়সী অ্যালিস এই কাজ কোনো হাততালি বা প্রশংসার জন্য করেননি। তিনি এটা করেছেন সেই শিশুদের জন্য, যাদের সাথে তাঁর হয়তো কোনোদিন দেখাই হবে না। তিনি এটা করেছেন সেই সব মায়েদের জন্য, যারা চরম অসহায়ত্বের মুহূর্তে নিজের সন্তানকে দুধ খাওয়াতে পারছিলেন না। তিনি এটা করেছেন এই বিশ্বাস থেকে যে, প্রতিটি শিশুরই পৃথিবীতে একটি সুযোগ প্রাপ্য।

    সব নায়কেরাই বিশেষ পোশাক পরে আসে না। কিছু নায়ক হাতে একটি পাম্প নিয়ে, শুধুমাত্র লক্ষ্যের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে, দিনের পর দিন নীরবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যায়। অ্যালিস ওগলেট্রি সেই নায়কদেরই একজন।
    প্রথম সন্তানের জন্মের পরই এই নারী বুঝতে পারেন, তাঁর শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বুকের দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১০ সালের কথা। টেক্সাসের অ্যালিস ওগলেট্রির বুকের এই বাড়তি দুধ নিয়ে শুরু করেন এক অবিশ্বাস্য সাধনা। অক্লান্ত শৃঙ্খলা, অন্যের প্রতি সাহায্যের তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং এমন এক কঠিন পাম্পিং রুটিন যা খুব কম মানুষই সহ্য করতে পারতো - এই সবকিছুর মাধ্যমে তিনি ২,৬০০ লিটারেরও বেশি বুকের দুধ দান করেছেন। এই পরিমাণ দুধ দেশজুড়ে প্রায় ৩,৫০,০০০ অপরিণত শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট। এই শিশুদের অনেকেই জন্মেছিল অত্যন্ত নাজুক অবস্থায়, জীবনের জন্য লড়ছিল প্রতিনিয়ত। তাদের কাছে অ্যালিসের এই দান শুধু সাধারণ কোনো দান ছিল না - এটি ছিল তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন, এক সঞ্জীবনী সুধা। তাঁর এই অমূল্য দান 'মাদার্স মিল্ক ব্যাংক অফ নর্থ টেক্সাস' এবং 'টাইনি ট্রেজারস মিল্ক ব্যাংক'-এর মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাসপাতালের NICU-তে থাকা শিশুদের এবং সংকটাপন্ন পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে গেছে। এবং এটিই প্রথম নয়; ২০১৪ সালেও তিনি নিজের গড়া রেকর্ড ভেঙেছিলেন, যা প্রমাণ করে যে, মমতা যখন লক্ষ্যে পরিণত হয়, তখন কোনো সীমাই আর বাধা থাকে না। ৩৬ বছর বয়সী অ্যালিস এই কাজ কোনো হাততালি বা প্রশংসার জন্য করেননি। তিনি এটা করেছেন সেই শিশুদের জন্য, যাদের সাথে তাঁর হয়তো কোনোদিন দেখাই হবে না। তিনি এটা করেছেন সেই সব মায়েদের জন্য, যারা চরম অসহায়ত্বের মুহূর্তে নিজের সন্তানকে দুধ খাওয়াতে পারছিলেন না। তিনি এটা করেছেন এই বিশ্বাস থেকে যে, প্রতিটি শিশুরই পৃথিবীতে একটি সুযোগ প্রাপ্য। সব নায়কেরাই বিশেষ পোশাক পরে আসে না। কিছু নায়ক হাতে একটি পাম্প নিয়ে, শুধুমাত্র লক্ষ্যের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে, দিনের পর দিন নীরবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যায়। অ্যালিস ওগলেট্রি সেই নায়কদেরই একজন।
    Love
    3
    0 Commentaires 0 Parts 35 Vue
  • এক অবিশ্বাস্য এবং হৃদয়বিদারক সংবাদে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে স্তম্ভিত করে ভক্ত আর আপনজনদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন কিংবদন্তী ফেলিক্স বমগার্টনার। মাত্র ৫৬ বছর বয়সে ইতালিতে এক মর্মান্তিক প্যারাগ্লাইডিং দুর্ঘটনায় নিভে গেল মানব সাহসিকতার এক উজ্জ্বল শিখা।

    সংবাদ সূত্রে জানা যায়, মাঝ আকাশে জ্ঞান হারানোর পর তিনি একটি হোটেলের সুইমিং পুলে আছড়ে পড়েন। এই আঘাতই কেড়ে নেয় তাঁর প্রাণ।

    ফেলিক্স শুধু একজন মানুষ ছিলেন না, ছিলেন অসীম সাহসিকতার এক জীবন্ত প্রতীক। ২০১২ সালে প্রায় ৩৯,০০০ মিটার (১,২৮,০০০ ফুট) উচ্চতা থেকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে তাঁর সেই ঐতিহাসিক লাফ কে ভুলতে পারে? তিনিই ছিলেন প্রথম মানব যিনি মুক্ত পতনের সময় শব্দের গতিকে হার মানিয়েছিলেন। ওই একটি লাফ তাঁকে শুধু খ্যাতি দেয়নি, পরিণত করেছিল এক জীবন্ত কিংবদন্তীতে - মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তির এক মূর্ত প্রতীক হিসেবে।

    তাঁর জীবন ছিল প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ জানানোর এক মহাকাব্য। পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভবনগুলোতে আরোহণ, পেট্রোনাস টাওয়ার বা রিওর ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি থেকে বেস জাম্পিং, কিংবা একজন দক্ষ পাইলট হিসেবে অ্যাক্রোবেটিক হেলিকপ্টার চালানো - সবখানেই তিনি ছিলেন নির্ভীক, উদ্দাম এবং অপ্রতিরোধ্য। তিনি প্রতিটি সেকেন্ড বাঁচতেন তীব্রতার সাথে, সবসময় বিপদের কিনারে দাঁড়িয়ে।

    কিন্তু ফেলিক্স শুধু দুঃসাহসী ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক গভীর অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি বিশ্বকে দেখিয়ে গেছেন যে, স্বপ্ন দিয়ে ভয়কে জয় করা যায়। তিনি শিখিয়েছেন, আকাশ কোনো সীমা নয়, বরং তা এক নতুন পথের আমন্ত্রণ।

    আজ সেই আকাশই আজ তাঁকে নিজের বুকে ফিরিয়ে নিল।
    শান্তিতে ঘুমান, ফেলিক্স। আপনি অসীমকে ছুঁয়ে গিয়েছিলেন, আবার সেখানেই ফেরত গেলেন।
    এক অবিশ্বাস্য এবং হৃদয়বিদারক সংবাদে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে স্তম্ভিত করে ভক্ত আর আপনজনদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন কিংবদন্তী ফেলিক্স বমগার্টনার। মাত্র ৫৬ বছর বয়সে ইতালিতে এক মর্মান্তিক প্যারাগ্লাইডিং দুর্ঘটনায় নিভে গেল মানব সাহসিকতার এক উজ্জ্বল শিখা। সংবাদ সূত্রে জানা যায়, মাঝ আকাশে জ্ঞান হারানোর পর তিনি একটি হোটেলের সুইমিং পুলে আছড়ে পড়েন। এই আঘাতই কেড়ে নেয় তাঁর প্রাণ। ফেলিক্স শুধু একজন মানুষ ছিলেন না, ছিলেন অসীম সাহসিকতার এক জীবন্ত প্রতীক। ২০১২ সালে প্রায় ৩৯,০০০ মিটার (১,২৮,০০০ ফুট) উচ্চতা থেকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে তাঁর সেই ঐতিহাসিক লাফ কে ভুলতে পারে? তিনিই ছিলেন প্রথম মানব যিনি মুক্ত পতনের সময় শব্দের গতিকে হার মানিয়েছিলেন। ওই একটি লাফ তাঁকে শুধু খ্যাতি দেয়নি, পরিণত করেছিল এক জীবন্ত কিংবদন্তীতে - মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তির এক মূর্ত প্রতীক হিসেবে। তাঁর জীবন ছিল প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ জানানোর এক মহাকাব্য। পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভবনগুলোতে আরোহণ, পেট্রোনাস টাওয়ার বা রিওর ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি থেকে বেস জাম্পিং, কিংবা একজন দক্ষ পাইলট হিসেবে অ্যাক্রোবেটিক হেলিকপ্টার চালানো - সবখানেই তিনি ছিলেন নির্ভীক, উদ্দাম এবং অপ্রতিরোধ্য। তিনি প্রতিটি সেকেন্ড বাঁচতেন তীব্রতার সাথে, সবসময় বিপদের কিনারে দাঁড়িয়ে। কিন্তু ফেলিক্স শুধু দুঃসাহসী ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক গভীর অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি বিশ্বকে দেখিয়ে গেছেন যে, স্বপ্ন দিয়ে ভয়কে জয় করা যায়। তিনি শিখিয়েছেন, আকাশ কোনো সীমা নয়, বরং তা এক নতুন পথের আমন্ত্রণ। আজ সেই আকাশই আজ তাঁকে নিজের বুকে ফিরিয়ে নিল। শান্তিতে ঘুমান, ফেলিক্স। আপনি অসীমকে ছুঁয়ে গিয়েছিলেন, আবার সেখানেই ফেরত গেলেন।
    Sad
    2
    0 Commentaires 0 Parts 36 Vue
  • AI কিভাবে আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ করছে? | আপনি ভাবতেও পারবেন না | AI Explained in Bangla | রহস্যযাত্রা
    AI কিভাবে আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ করছে? | আপনি ভাবতেও পারবেন না | AI Explained in Bangla | রহস্যযাত্রা
    Wow
    1
    0 Commentaires 0 Parts 43 Vue
  • সেদিন ছিল ২০০৯ সালের ১৫ই জানুয়ারি, নিউইয়র্কের কনকনে শীতের এক দুপুর। লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে মাত্রই উড্ডয়ন করেছে ইউএস এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ১৫৪৯। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায় এক ঝাঁক পাখির সঙ্গে ধাক্কায় বিমানের দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। ককপিটে ক্যাপ্টেন চেসলি "সালি" সালেনবার্গার এবং ফার্স্ট অফিসার জেফরি স্কাইলস বুঝতে পারেন, বিমানবন্দরে ফেরা অসম্ভব।

    ১৫৫ জন যাত্রীর জীবন যখন সুতোয় ঝুলছে, ক্যাপ্টেন সালি এক দুঃসাহসিক কিন্তু একমাত্র উপায়টি বেছে নেন-বিমানটিকে তিনি নিউইয়র্কের বুক চিরে বয়ে চলা হিমশীতল হাডসন নদীতে অবতরণ করাবেন। তাঁর অবিশ্বাস্য দক্ষতা, অবিচল মনোযোগ এবং অসীম সাহসিকতায় বিমানটি একটি নৌকার মতো নদীর জলে নেমে আসে। কোনো বিস্ফোরণ ঘটেনি, বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়নি।

    যাত্রীরা বিমানের ডানায় এবং উদ্ধারকারী নৌকায় আশ্রয় নেন। চারপাশের ফেরি এবং উদ্ধারকারী দলগুলো মুহূর্তের মধ্যে ছুটে আসে। হিমাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রার তীব্রতা উপেক্ষা করে চলে উদ্ধারকাজ। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের ১৫৫ জন যাত্রীর সকলেই সেদিন প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন। ক্যাপ্টেন সালির এই অসামান্য কীর্তি শুধু আমেরিকায় নয়, গোটা বিশ্বে বিমানচালনার ইতিহাসে এক বীরত্বগাথা হয়ে রয়েছে।
    সেদিন ছিল ২০০৯ সালের ১৫ই জানুয়ারি, নিউইয়র্কের কনকনে শীতের এক দুপুর। লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে মাত্রই উড্ডয়ন করেছে ইউএস এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ১৫৪৯। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায় এক ঝাঁক পাখির সঙ্গে ধাক্কায় বিমানের দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। ককপিটে ক্যাপ্টেন চেসলি "সালি" সালেনবার্গার এবং ফার্স্ট অফিসার জেফরি স্কাইলস বুঝতে পারেন, বিমানবন্দরে ফেরা অসম্ভব। ১৫৫ জন যাত্রীর জীবন যখন সুতোয় ঝুলছে, ক্যাপ্টেন সালি এক দুঃসাহসিক কিন্তু একমাত্র উপায়টি বেছে নেন-বিমানটিকে তিনি নিউইয়র্কের বুক চিরে বয়ে চলা হিমশীতল হাডসন নদীতে অবতরণ করাবেন। তাঁর অবিশ্বাস্য দক্ষতা, অবিচল মনোযোগ এবং অসীম সাহসিকতায় বিমানটি একটি নৌকার মতো নদীর জলে নেমে আসে। কোনো বিস্ফোরণ ঘটেনি, বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়নি। যাত্রীরা বিমানের ডানায় এবং উদ্ধারকারী নৌকায় আশ্রয় নেন। চারপাশের ফেরি এবং উদ্ধারকারী দলগুলো মুহূর্তের মধ্যে ছুটে আসে। হিমাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রার তীব্রতা উপেক্ষা করে চলে উদ্ধারকাজ। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের ১৫৫ জন যাত্রীর সকলেই সেদিন প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন। ক্যাপ্টেন সালির এই অসামান্য কীর্তি শুধু আমেরিকায় নয়, গোটা বিশ্বে বিমানচালনার ইতিহাসে এক বীরত্বগাথা হয়ে রয়েছে।
    0 Commentaires 0 Parts 43 Vue
  • "সব সময় সকলকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাববেন না......!!!!!!!!"
    _______________________________________
    যাত্রীবাহী বিশাল বিমানটি সুস্থির গতিতে উড়ে চলেছে আটলান্টিকের উপর দিয়ে, ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায়, ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটারে। হঠাৎ, একটি এয়ারক্রাফট-জেট এসে গেলো ওটার পাশে।
    জেট-পাইলট গতি কমালো, চলতে আরম্ভ করলো যাত্রীবিমানের পাশাপাশি, এবং রেডিয়োর মাধ্যমে যাত্রীবিমানের পাইলটকে শুভেচ্ছা জানানো শেষে, বললো— "বোরিং লাগছে, হাহ্‌?... দেখুন, আমি কী করছি!"🫣
    বলেই, সে তার জেট নিয়ে সাঁই করে পেছনে চলে গেলো, আবার সামনে এলো বিদ্যুৎগতিতে, ছুটে গেলো বহুদূরে, পুনরায় ফিরে এসে বিমানের চারপাশে পাক দিলো কয়েকটা, স্যাঁৎ করে নেমে গেলো নিচে... বহু নিচে... আরও নিচে... আটলান্টিকের প্রায় বুকে, আবার উঠে এলো চোখের নিমিষে যাত্রীবিমানের প্রায় নাকের ডগায়, তারপর আবারও বিমানের পাশাপাশি ভাসতে-ভাসতে রেডিয়োতে জানতে চাইলো— "তা, কেমন লাগলো?"
    যাত্রীবিমানের পাইলট জবাব দিলো— "দারুণ! আমি কী করছি দেখো এবার।"🫣
    জেট-পাইলট তাকিয়ে রইলো যাত্রীবিমানটির দিকে, তাকিয়ে রইলো... তাকিয়েই রইলো।... কিন্তু কিছুই ঘটলো না! বিমানটি যেভাবে চলছিলো, ঠিক তেমনিভাবেই চললো, সোজা, একই গতিতে। এভাবে, প্রায় ১৫ মিনিট পার হওয়ার পরে, যাত্রীবিমানের পাইলট রেডিয়োর মাধ্যমে জানতে চাইলো— "তা, কেমন লাগলো?"
    জেট-পাইলট কনফিউজড! জিজ্ঞেস করলো— "মূলত, করলেনটা কী আপনি!"
    বিমান-পাইলট হেসে দিলো— "আমি বসা থেকে উঠলাম, পা ঝাঁকি দিলাম, বিমানের পেছনের দিকে হেঁটে গিয়ে ওয়াশরুম ব্যবহার করলাম, তারপর এককাপ কফি পান করলাম, সাথে খেলাম একটা চকোলেট-পেস্ট্রি।"

    মোরাল অফ দ্য স্টোরি: যৌবনকালে, আপনার গতি আর অ্যাড্রেনালিন হরমোনের স্বতস্ফুর্ততা, চূড়ান্তেই থাকবে। কিন্তু, যতোই বয়স বাড়তে থাকবে, ততোই বাড়তে থাকবে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা, এবং তখনই আপনি ধীরে ধীরে বুঝতে শিখবেন— মনোযোগ আকর্ষণের চেয়ে আত্মপ্রশান্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
    "সব সময় সকলকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাববেন না......!!!!!!!!" _______________________________________ যাত্রীবাহী বিশাল বিমানটি সুস্থির গতিতে উড়ে চলেছে আটলান্টিকের উপর দিয়ে, ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায়, ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটারে। হঠাৎ, একটি এয়ারক্রাফট-জেট এসে গেলো ওটার পাশে।😳 জেট-পাইলট গতি কমালো, চলতে আরম্ভ করলো যাত্রীবিমানের পাশাপাশি, এবং রেডিয়োর মাধ্যমে যাত্রীবিমানের পাইলটকে শুভেচ্ছা জানানো শেষে, বললো— "বোরিং লাগছে, হাহ্‌?... দেখুন, আমি কী করছি!"🤔🫣 বলেই, সে তার জেট নিয়ে সাঁই করে পেছনে চলে গেলো, আবার সামনে এলো বিদ্যুৎগতিতে, ছুটে গেলো বহুদূরে, পুনরায় ফিরে এসে বিমানের চারপাশে পাক দিলো কয়েকটা, স্যাঁৎ করে নেমে গেলো নিচে... বহু নিচে... আরও নিচে... আটলান্টিকের প্রায় বুকে, আবার উঠে এলো চোখের নিমিষে যাত্রীবিমানের প্রায় নাকের ডগায়, তারপর আবারও বিমানের পাশাপাশি ভাসতে-ভাসতে রেডিয়োতে জানতে চাইলো— "তা, কেমন লাগলো?"😳 যাত্রীবিমানের পাইলট জবাব দিলো— "দারুণ! আমি কী করছি দেখো এবার।"🫣 জেট-পাইলট তাকিয়ে রইলো যাত্রীবিমানটির দিকে, তাকিয়ে রইলো... তাকিয়েই রইলো।... কিন্তু কিছুই ঘটলো না! বিমানটি যেভাবে চলছিলো, ঠিক তেমনিভাবেই চললো, সোজা, একই গতিতে। এভাবে, প্রায় ১৫ মিনিট পার হওয়ার পরে, যাত্রীবিমানের পাইলট রেডিয়োর মাধ্যমে জানতে চাইলো— "তা, কেমন লাগলো?"🤔 জেট-পাইলট কনফিউজড! জিজ্ঞেস করলো— "মূলত, করলেনটা কী আপনি!" বিমান-পাইলট হেসে দিলো— "আমি বসা থেকে উঠলাম, পা ঝাঁকি দিলাম, বিমানের পেছনের দিকে হেঁটে গিয়ে ওয়াশরুম ব্যবহার করলাম, তারপর এককাপ কফি পান করলাম, সাথে খেলাম একটা চকোলেট-পেস্ট্রি।"😁 মোরাল অফ দ্য স্টোরি: যৌবনকালে, আপনার গতি আর অ্যাড্রেনালিন হরমোনের স্বতস্ফুর্ততা, চূড়ান্তেই থাকবে। কিন্তু, যতোই বয়স বাড়তে থাকবে, ততোই বাড়তে থাকবে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা, এবং তখনই আপনি ধীরে ধীরে বুঝতে শিখবেন— মনোযোগ আকর্ষণের চেয়ে আত্মপ্রশান্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।🥰😍😃😀☺️😊
    0 Commentaires 0 Parts 44 Vue
  • ভাবুন তো হেডফোন বা ইয়ারবাড ছাড়াই আপনি গান শুনছেন কিংবা ভিড়ের মাঝে কাউকে ব্যক্তিগত কথা বলছেন অথচ আশেপাশে কেউ কিছুই শুনতে পাচ্ছে না!

    হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, এমনি এক সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যেটা শব্দকে পৌঁছে দিতে পারে ঠিক নির্দিষ্ট জায়গায়। কাউকে বিরক্ত না করে, কারো কানে পৌঁছানো ছাড়াই।

    কিন্তু এই প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে?

    আমরা সবাই জানি শব্দ একধরনের কম্পন যা বাতাসের মধ্যে তরঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তবে সমস্যা হলো শব্দকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কারণ এটা সহজে ছড়িয়ে পড়ে। এর পেছনে রয়েছে ডিফ্র্যাকশন নামের একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, যা শব্দ তরঙ্গকে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি যত কম, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য তত বেশি। ফলে শব্দ তত বেশি দূরে ছড়ায়।

    সাধারণত শব্দ তরঙ্গ একসাথে কাজ করে লিনিয়ার উপায়ে। কিন্তু যদি তারা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়, তখন তারা ননলিনিয়ার আচরণ করে এবং নতুন নতুন ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করে। আর এখানেই গবেষকদের অভিনব আইডিয়ার শুরু।

    গবেষকরা হাই ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ড (ultrasound) ব্যবহার করেছেন যা মানুষের শ্রবণ সীমার বাইরে (20 kHz এর ওপরে)। তারা দুটি আল্ট্রাসাউন্ড বিম ব্যবহার করেছেন। এই বিমগুলো মানুষ শুনতে পায় না, কিন্তু যখন এগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মিলিত হয়, তখন একসাথে একধরনের ননলিনিয়ার প্রভাব তৈরি করে। এর ফলে সেখানে তৈরি হয় শ্রবণযোগ্য একটি শব্দ তরঙ্গ। যা কেবল সেই নির্দিষ্ট জায়গাতেই শোনা যায়।

    গবেষকরা অ্যাকাউস্টিক মেটাসারফেস নামে আরও একটি বিশেষ উপাদান ব্যবহার করেছেন যা শব্দ তরঙ্গের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন অপটিক্যাল লেন্স আলোকে বাঁকায়, তেমনি এই মেটাসারফেস শব্দ তরঙ্গকে বাঁকিয়ে নির্দিষ্ট শ্রোতার দিকে পৌঁছে দিতে পারে নিখুঁতভাবে।

    আগেই খুশি হবেন না কারণ প্রযুক্তিটা এখনও বাজারে আসার মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি। কারণ এতে শব্দের গুণমানে সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে ননলিনিয়ার ডিসটরশন এর কারণে। আর আল্ট্রাসাউন্ডকে শ্রবণযোগ্য শব্দে রূপান্তর করতে অনেক শক্তি লাগে, যা এখনো বেশ ব্যয়বহুল।

    তবে যদি ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে, তাহলে তা প্রযুক্তি জগতে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা করতে পারে।

    সূত্র: দ্য কনভারসেশন
    ভাবুন তো হেডফোন বা ইয়ারবাড ছাড়াই আপনি গান শুনছেন কিংবা ভিড়ের মাঝে কাউকে ব্যক্তিগত কথা বলছেন অথচ আশেপাশে কেউ কিছুই শুনতে পাচ্ছে না! হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, এমনি এক সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যেটা শব্দকে পৌঁছে দিতে পারে ঠিক নির্দিষ্ট জায়গায়। কাউকে বিরক্ত না করে, কারো কানে পৌঁছানো ছাড়াই। কিন্তু এই প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে? আমরা সবাই জানি শব্দ একধরনের কম্পন যা বাতাসের মধ্যে তরঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তবে সমস্যা হলো শব্দকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কারণ এটা সহজে ছড়িয়ে পড়ে। এর পেছনে রয়েছে ডিফ্র্যাকশন নামের একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, যা শব্দ তরঙ্গকে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি যত কম, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য তত বেশি। ফলে শব্দ তত বেশি দূরে ছড়ায়। সাধারণত শব্দ তরঙ্গ একসাথে কাজ করে লিনিয়ার উপায়ে। কিন্তু যদি তারা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়, তখন তারা ননলিনিয়ার আচরণ করে এবং নতুন নতুন ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করে। আর এখানেই গবেষকদের অভিনব আইডিয়ার শুরু। গবেষকরা হাই ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ড (ultrasound) ব্যবহার করেছেন যা মানুষের শ্রবণ সীমার বাইরে (20 kHz এর ওপরে)। তারা দুটি আল্ট্রাসাউন্ড বিম ব্যবহার করেছেন। এই বিমগুলো মানুষ শুনতে পায় না, কিন্তু যখন এগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মিলিত হয়, তখন একসাথে একধরনের ননলিনিয়ার প্রভাব তৈরি করে। এর ফলে সেখানে তৈরি হয় শ্রবণযোগ্য একটি শব্দ তরঙ্গ। যা কেবল সেই নির্দিষ্ট জায়গাতেই শোনা যায়। গবেষকরা অ্যাকাউস্টিক মেটাসারফেস নামে আরও একটি বিশেষ উপাদান ব্যবহার করেছেন যা শব্দ তরঙ্গের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন অপটিক্যাল লেন্স আলোকে বাঁকায়, তেমনি এই মেটাসারফেস শব্দ তরঙ্গকে বাঁকিয়ে নির্দিষ্ট শ্রোতার দিকে পৌঁছে দিতে পারে নিখুঁতভাবে। আগেই খুশি হবেন না কারণ প্রযুক্তিটা এখনও বাজারে আসার মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি। কারণ এতে শব্দের গুণমানে সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে ননলিনিয়ার ডিসটরশন এর কারণে। আর আল্ট্রাসাউন্ডকে শ্রবণযোগ্য শব্দে রূপান্তর করতে অনেক শক্তি লাগে, যা এখনো বেশ ব্যয়বহুল। তবে যদি ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে, তাহলে তা প্রযুক্তি জগতে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা করতে পারে। সূত্র: দ্য কনভারসেশন
    0 Commentaires 0 Parts 50 Vue
Plus de résultats
BlackBird Ai
https://bbai.shop