• ঢাকায় একটা অসাধারণ ঘটনা ঘটছে। যেটি বাংলাদেশের প্যারাডাইম শিফট ঘটাতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, সেমিকন্ডাক্টর চিপ মেনুফেকচার ও ফ্যাব্রিকেশন, বিজনেস ইত্যাদি নিয়ে সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট এটি। বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ায় এর কোন প্রতিফলন দেখছেন? এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া, বাংলাদেশের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একদল স্কলার আছে যারা বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন UC Berkeley, Purdue University) বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা জায়ান্ট সেমিকন্ডাক্টর চিপ কোম্পানির বড় কেউ ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদেশি হলেন সায়ীফ সালাউদ্দিন যিনি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে—UC Berkeley-তে TSMC Distinguished Professor! তিনি এখন বাংলাদেশে। Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের আরেক অধ্যাপক Muhammad Mustafa Hussain এর নেতৃত্বে Bangladesh National Semiconductor Symposium শিরোনামে একটি সামিটের আয়োজন করেছেন। এই সামিটে বাংলাদেশী অনেক বড় বড় একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কলার যোগ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আয়োজকরা আমাকেও নিমন্ত্রণ করেছিল কিন্তু জুলাই অভ্যুথান নিয়ে নানা অনুষ্ঠান, ক্লাস ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজের কারণে সশরীরে থাকতে পারিনি। তাছাড়া এটি সরাসরি আমার ফিল্ডেরও না। তবে গতকাল অনলাইনে অধ্যাপক সায়ীফ সালাউদ্দিনের লেকচারটি শুনলাম। কমেন্ট থ্রেডে এর লিংক দিলাম চাইলে আপনারাও শুনতে পারেন।

    অধ্যাপক সালাউদ্দিনের গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি-দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ও নতুন ধরনের ট্রানজিস্টর ডিজাইন। তিনি উদ্ভাবন করেছেন Negative Capacitance Transistor, যা কম শক্তিতে আরও কার্যকর কম্পিউটিং সম্ভব করে তুলছে। একদম কাটিং এজ রিসার্চ যার জন্য জায়ান্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফান্ড দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি Presidential Early Career Award (PECASE), IEEE Andrew S. Grove Award, NSF CAREER Award সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত। এছাড়া তিনি IEEE, APS, AAAS-এর ফেলো এবং Berkeley Device Modeling Center ও Center for Negative Capacitance Transistors-এর সহ-পরিচালক।

    একজন প্রকৃত বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং গবেষক হিসেবে তিনি আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো মানুষদের অর্জনই প্রমাণ করে, বাংলাদেশি প্রতিভা সঠিক সুযোগ পেলে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। তার এই লেকচারটি শুনলে বুঝতে পারবেন এনট্রপি, তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র বা সাধারণভাবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো জানা কতটা জরুরি। তার লেকচারে বারবার ফান্ডামেন্টাল সাইন্স শব্দটি এসেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যে প্ৰযুক্তির জ্বালানি সেটা তার লেকচার থেকে একদম স্পষ্ট।

    তাহলে আমাদেরকে কি করতে হবে? বাংলাদেশের উচিত অতি দ্রুত দুটো ইনস্টিটিউট গড়া। একটি ফান্ডামেন্টাল সাইন্সের উপর এবং অন্যটি প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর। দুটি আলাদা হলেও তাদের মধ্যে কলাবোরেশন অত্যন্ত জরুরি। এই দুই ইনস্টিটিউট যখন হাত ধরাধরি করে গবেষণা করবে তখন মিরাকেল ঘটবে। এই দুই ইনস্টিটিউট হবে বিশ্ব মানের। সেখানে থাকবে বিশ্বমানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও গবেষণার ওয়ার্ল্ড ক্লাস সুবিধা যাতে সায়ীফ সালাউদ্দিন, প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের মুস্তাফা হোসাইনদের মত অসংখ্য স্কলার যারা আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা জায়গায় আছেন তারা যেন তাদের সুবিধা মত এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন, কলাবোরেশন গড়ে তুলে desruptive গবেষণা করতে পারে NOT repeatitive গবেষণা।

    আজকের চীনের উন্নতির পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নোবেল জয়ী সি এন ইয়াং এর ভূমিকা অসাধারণ। সেই ৬০ থেকে ৮০-র দশকে তিনি আমেরিকা থেকে বিশাল দলবল নিয়ে প্রতি বছর ৩ মাসের জন্য চীনে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে সেখানকার ইয়ং ছেলেমেয়েদের নিয়ে গবেষণা করতেন, উৎসাহ দিতেন। আমাদের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খ্যাতিমান গবেষক যারা আছেন আশা করি তারাও এই ভূমিকা পালন করবেন।
    ঢাকায় একটা অসাধারণ ঘটনা ঘটছে। যেটি বাংলাদেশের প্যারাডাইম শিফট ঘটাতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, সেমিকন্ডাক্টর চিপ মেনুফেকচার ও ফ্যাব্রিকেশন, বিজনেস ইত্যাদি নিয়ে সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট এটি। বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ায় এর কোন প্রতিফলন দেখছেন? এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া, বাংলাদেশের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একদল স্কলার আছে যারা বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন UC Berkeley, Purdue University) বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা জায়ান্ট সেমিকন্ডাক্টর চিপ কোম্পানির বড় কেউ ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদেশি হলেন সায়ীফ সালাউদ্দিন যিনি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে—UC Berkeley-তে TSMC Distinguished Professor! তিনি এখন বাংলাদেশে। Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের আরেক অধ্যাপক Muhammad Mustafa Hussain এর নেতৃত্বে Bangladesh National Semiconductor Symposium শিরোনামে একটি সামিটের আয়োজন করেছেন। এই সামিটে বাংলাদেশী অনেক বড় বড় একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কলার যোগ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আয়োজকরা আমাকেও নিমন্ত্রণ করেছিল কিন্তু জুলাই অভ্যুথান নিয়ে নানা অনুষ্ঠান, ক্লাস ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজের কারণে সশরীরে থাকতে পারিনি। তাছাড়া এটি সরাসরি আমার ফিল্ডেরও না। তবে গতকাল অনলাইনে অধ্যাপক সায়ীফ সালাউদ্দিনের লেকচারটি শুনলাম। কমেন্ট থ্রেডে এর লিংক দিলাম চাইলে আপনারাও শুনতে পারেন। অধ্যাপক সালাউদ্দিনের গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি-দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ও নতুন ধরনের ট্রানজিস্টর ডিজাইন। তিনি উদ্ভাবন করেছেন Negative Capacitance Transistor, যা কম শক্তিতে আরও কার্যকর কম্পিউটিং সম্ভব করে তুলছে। একদম কাটিং এজ রিসার্চ যার জন্য জায়ান্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফান্ড দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি Presidential Early Career Award (PECASE), IEEE Andrew S. Grove Award, NSF CAREER Award সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত। এছাড়া তিনি IEEE, APS, AAAS-এর ফেলো এবং Berkeley Device Modeling Center ও Center for Negative Capacitance Transistors-এর সহ-পরিচালক। একজন প্রকৃত বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং গবেষক হিসেবে তিনি আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো মানুষদের অর্জনই প্রমাণ করে, বাংলাদেশি প্রতিভা সঠিক সুযোগ পেলে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। তার এই লেকচারটি শুনলে বুঝতে পারবেন এনট্রপি, তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র বা সাধারণভাবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো জানা কতটা জরুরি। তার লেকচারে বারবার ফান্ডামেন্টাল সাইন্স শব্দটি এসেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যে প্ৰযুক্তির জ্বালানি সেটা তার লেকচার থেকে একদম স্পষ্ট। তাহলে আমাদেরকে কি করতে হবে? বাংলাদেশের উচিত অতি দ্রুত দুটো ইনস্টিটিউট গড়া। একটি ফান্ডামেন্টাল সাইন্সের উপর এবং অন্যটি প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর। দুটি আলাদা হলেও তাদের মধ্যে কলাবোরেশন অত্যন্ত জরুরি। এই দুই ইনস্টিটিউট যখন হাত ধরাধরি করে গবেষণা করবে তখন মিরাকেল ঘটবে। এই দুই ইনস্টিটিউট হবে বিশ্ব মানের। সেখানে থাকবে বিশ্বমানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও গবেষণার ওয়ার্ল্ড ক্লাস সুবিধা যাতে সায়ীফ সালাউদ্দিন, প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের মুস্তাফা হোসাইনদের মত অসংখ্য স্কলার যারা আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা জায়গায় আছেন তারা যেন তাদের সুবিধা মত এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন, কলাবোরেশন গড়ে তুলে desruptive গবেষণা করতে পারে NOT repeatitive গবেষণা। আজকের চীনের উন্নতির পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নোবেল জয়ী সি এন ইয়াং এর ভূমিকা অসাধারণ। সেই ৬০ থেকে ৮০-র দশকে তিনি আমেরিকা থেকে বিশাল দলবল নিয়ে প্রতি বছর ৩ মাসের জন্য চীনে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে সেখানকার ইয়ং ছেলেমেয়েদের নিয়ে গবেষণা করতেন, উৎসাহ দিতেন। আমাদের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খ্যাতিমান গবেষক যারা আছেন আশা করি তারাও এই ভূমিকা পালন করবেন।
    0 Comments 0 Shares 2 Views 0 Reviews
  • আপনার জীবনের উদ্দেশ্য আছে? জীবনের অর্থ আবিষ্কার করুন এবং অর্থপূর্ণ উত্তর খুঁজুন।
    আপনার জীবনের উদ্দেশ্য আছে? জীবনের অর্থ আবিষ্কার করুন এবং অর্থপূর্ণ উত্তর খুঁজুন।
    0 Comments 0 Shares 12 Views 0 Reviews
  • আলু, ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট, এবং পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের গল্প

    সৌদি আরবে আলু যেন একপ্রকার জাতীয় খাবার। বিরিয়ানিতে হোক কিংবা হটডগে, শর্মায় হোক বা চিকেন গ্রেভিতে, প্রায় প্রতিটি খাবারে আলুর একটা টুকরো থাকবেই। আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই? যাকে আমরা হাসতে হাসতে “আলু ভাজা” বলি, সেটাই এখানে এক ক্লাসি খাবার, এককথায় সকল সৌদির প্রিয়।

    এই দেশে আলুর চাহিদা আকাশচুম্বী। অথচ, দুঃখজনকভাবে সৌদি আরবের কোনো সুপারশপে আপনি “বাংলাদেশি আলু” খুঁজে পাবেন না। তাক ভরে আছে ভারতীয়, পাকিস্তানি, ইন্দোনেশিয়ান আলুতে। এদের রঙ চকচকে, আকার একরকম, লেবেল ঝকঝকে। কিন্তু যারা জানেন, তারা জানেন, বাংলাদেশি আলু কেমন স্বাদে অনন্য, কেমন প্রাকৃতিক গন্ধে হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

    তবুও কেন বাংলাদেশি আলু এই বাজারে জায়গা করে নিতে পারছে না?

    এক কথায় উত্তর: ব্র্যান্ডিং।

    আমরা এখনও “কারওয়ান বাজার মডেল” থেকে বের হতে পারিনি। বস্তাভরে পাঠানো আলু সৌদিতে এলেও, সেই বস্তা থেকে তুলে ঝকঝকে প্যাকেটে ঢোকানোর চিন্তা করি না। কোনো মানসম্পন্ন প্যাকেজিং নেই, নেই গ্লোবাল মানের লেবেলিং, নেই ট্রেডমার্ক। অথচ এটাই তো আন্তর্জাতিক বাজারের প্রথম পাঠ দৃষ্টিতে ভালো না লাগলে পেটে যাবে না।

    আমরা ভাবি, আলু তো আলুই, মাটি থেকে উঠেছে, মানুষ কিনবে। রাস্তার পাশে মাদুর বিছিয়ে বিক্রি করলেই চলবে। কিন্তু ভুলে যাই, আজকের দুনিয়ায় পণ্য নয়, প্রেজেন্টেশনই প্রোডাক্ট।

    কিন্তু আমি দোষ দিচ্ছি না।
    বাংলাদেশ থেকে যে মানুষগুলো সৌদি আরবে আসে, তাদের অধিকাংশই শ্রমজীবী। জীবনের চরম সংগ্রামে তারা কেউ আলু নিয়ে এসেছেন, কেউ পেঁয়াজ। নিজে হাতে বস্তা নামিয়ে, নিজের খরচে মার্কেটে গেছেন। এই মানুষগুলোকে আমি সালাম জানাই। তারা চেষ্টার কমতি রাখেন না।

    কিন্তু এই যুদ্ধে যদি পাশে কেউ থাকত? কেউ যদি বলত “ভাই, আমি তোমার আলু ব্র্যান্ড করব। তোমার পণ্যকে প্যাকেট দিয়ে, নাম দিয়ে, গল্প দিয়ে মানুষকে দেখাব, এই আলুই সৌদি রাঁধুনিদের প্রথম পছন্দ।” তাহলেই হয়তো গল্পটা বদলাত।

    ব্র্যান্ডিং মানে লোগো না, গল্প। যদি আমরা আমাদের পণ্যের পিছনে একটি গল্প জুড়তে পারি ‘ময়মনসিংহের কৃষক রশিদ আলী যে নিজের হাতেই আলু ফলান, সার কম দেন, বিষ দেন না’, আর যদি সেই গল্প একটি ব্র্যান্ডের প্যাকেটে মানুষ পড়ে তাহলেই তো বাংলাদেশি আলু হবে একটি অনুভূতির নাম।

    এটাই দেশের আসল সেবা। যারা এই গেম বোঝেন, তারা এগিয়ে আসুন। কৃষকের ঘাম যেন শুধু বাজারে নয়, পৌঁছায় ভিনদেশি সুপারশপের তাকেও। আমরা শুধু শ্রমিক পাঠাব না, আমরা পণ্য পাঠাব, গল্প পাঠাব, গর্ব পাঠাব।
    আলু, ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট, এবং পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের গল্প সৌদি আরবে আলু যেন একপ্রকার জাতীয় খাবার। বিরিয়ানিতে হোক কিংবা হটডগে, শর্মায় হোক বা চিকেন গ্রেভিতে, প্রায় প্রতিটি খাবারে আলুর একটা টুকরো থাকবেই। আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই? যাকে আমরা হাসতে হাসতে “আলু ভাজা” বলি, সেটাই এখানে এক ক্লাসি খাবার, এককথায় সকল সৌদির প্রিয়। এই দেশে আলুর চাহিদা আকাশচুম্বী। অথচ, দুঃখজনকভাবে সৌদি আরবের কোনো সুপারশপে আপনি “বাংলাদেশি আলু” খুঁজে পাবেন না। তাক ভরে আছে ভারতীয়, পাকিস্তানি, ইন্দোনেশিয়ান আলুতে। এদের রঙ চকচকে, আকার একরকম, লেবেল ঝকঝকে। কিন্তু যারা জানেন, তারা জানেন, বাংলাদেশি আলু কেমন স্বাদে অনন্য, কেমন প্রাকৃতিক গন্ধে হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তবুও কেন বাংলাদেশি আলু এই বাজারে জায়গা করে নিতে পারছে না? এক কথায় উত্তর: ব্র্যান্ডিং। আমরা এখনও “কারওয়ান বাজার মডেল” থেকে বের হতে পারিনি। বস্তাভরে পাঠানো আলু সৌদিতে এলেও, সেই বস্তা থেকে তুলে ঝকঝকে প্যাকেটে ঢোকানোর চিন্তা করি না। কোনো মানসম্পন্ন প্যাকেজিং নেই, নেই গ্লোবাল মানের লেবেলিং, নেই ট্রেডমার্ক। অথচ এটাই তো আন্তর্জাতিক বাজারের প্রথম পাঠ দৃষ্টিতে ভালো না লাগলে পেটে যাবে না। আমরা ভাবি, আলু তো আলুই, মাটি থেকে উঠেছে, মানুষ কিনবে। রাস্তার পাশে মাদুর বিছিয়ে বিক্রি করলেই চলবে। কিন্তু ভুলে যাই, আজকের দুনিয়ায় পণ্য নয়, প্রেজেন্টেশনই প্রোডাক্ট। কিন্তু আমি দোষ দিচ্ছি না। বাংলাদেশ থেকে যে মানুষগুলো সৌদি আরবে আসে, তাদের অধিকাংশই শ্রমজীবী। জীবনের চরম সংগ্রামে তারা কেউ আলু নিয়ে এসেছেন, কেউ পেঁয়াজ। নিজে হাতে বস্তা নামিয়ে, নিজের খরচে মার্কেটে গেছেন। এই মানুষগুলোকে আমি সালাম জানাই। তারা চেষ্টার কমতি রাখেন না। কিন্তু এই যুদ্ধে যদি পাশে কেউ থাকত? কেউ যদি বলত “ভাই, আমি তোমার আলু ব্র্যান্ড করব। তোমার পণ্যকে প্যাকেট দিয়ে, নাম দিয়ে, গল্প দিয়ে মানুষকে দেখাব, এই আলুই সৌদি রাঁধুনিদের প্রথম পছন্দ।” তাহলেই হয়তো গল্পটা বদলাত। ব্র্যান্ডিং মানে লোগো না, গল্প। যদি আমরা আমাদের পণ্যের পিছনে একটি গল্প জুড়তে পারি ‘ময়মনসিংহের কৃষক রশিদ আলী যে নিজের হাতেই আলু ফলান, সার কম দেন, বিষ দেন না’, আর যদি সেই গল্প একটি ব্র্যান্ডের প্যাকেটে মানুষ পড়ে তাহলেই তো বাংলাদেশি আলু হবে একটি অনুভূতির নাম। এটাই দেশের আসল সেবা। যারা এই গেম বোঝেন, তারা এগিয়ে আসুন। কৃষকের ঘাম যেন শুধু বাজারে নয়, পৌঁছায় ভিনদেশি সুপারশপের তাকেও। আমরা শুধু শ্রমিক পাঠাব না, আমরা পণ্য পাঠাব, গল্প পাঠাব, গর্ব পাঠাব।
    0 Comments 0 Shares 16 Views 0 Reviews
  • – ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো’।

    – (সূরা জুমা, আয়াত : ৯)।
    – ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো’। – (সূরা জুমা, আয়াত : ৯)।
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 16 Views 0 Reviews
  • #pumasneakers #adidas #SneakerWars
    #pumasneakers #adidas #EnemyBrothers
    অনেকসময় শত্রুতাও যে সফলতার কারণ হয়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ বিশ্বখ্যাত দুই জুতার ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস ও পুমা। দুই ভাইয়ের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ছোট দুটি ব্র্যান্ডকে আজ কোথায় নিয়ে গেছে তা সবারই জানা। এই দ্বন্দ্বের শুরু কোথায়? কিভাবে তারা একসাথে সাসসেফুল হলো- সে গল্প নিয়েই আজকের ভিডিও।

    ভিডিওটি আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই আমাদের সফলতা। চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। আপনার দিনটি শুভ হোক।
    #SneakerWars #shoeware #SneakerHistory
    #pumasneakers #adidas #SneakerWars #pumasneakers #adidas #EnemyBrothers অনেকসময় শত্রুতাও যে সফলতার কারণ হয়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ বিশ্বখ্যাত দুই জুতার ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস ও পুমা। দুই ভাইয়ের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ছোট দুটি ব্র্যান্ডকে আজ কোথায় নিয়ে গেছে তা সবারই জানা। এই দ্বন্দ্বের শুরু কোথায়? কিভাবে তারা একসাথে সাসসেফুল হলো- সে গল্প নিয়েই আজকের ভিডিও। ভিডিওটি আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই আমাদের সফলতা। চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। আপনার দিনটি শুভ হোক। #SneakerWars #shoeware #SneakerHistory
    0 Comments 0 Shares 27 Views 0 Reviews
  • আপনি কি সারাদিন ব্যস্ত থাকার পরেও দিনশেষে হতাশায় ভোগেন? মনে হয়, এত খেটেও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো কিছুই এগোচ্ছে না? এর কারণ, আপনি হয়তো ব্যস্ততা আর অগ্রগতির মধ্যে পার্থক্যটাই করতে পারছেন না।

    লাইফস্টাইল ডিজাইন এবং প্রোডাক্টিভিটির অন্যতম পথপ্রদর্শক টিম ফেরিস ঠিক এই ফাঁদটিই ধরিয়ে দিয়েছেন। ক্রিস উইলিয়ামসনের "Modern Wisdom" পডকাস্টে টিম ফেরিস তার এক দশকের আত্ন-উন্নতির journey থেকে এমন কিছু গভীর দর্শন তুলে ধরেছেন, যা আমাদের শেখানো কঠোর পরিশ্রম এবং সফলতার গতানুগতিক ধারণাকে নাড়িয়ে দেবে।

    বাইরে থেকে টিম ফেরিসকে একজন হাইপার-প্রোডাক্টিভ Efficiency মেশিন মনে হলেও, তিনি নিজেকে দক্ষ এর চেয়ে বেশি কার্যকরী মনে করেন। তার মতে:

    দক্ষতা (Efficiency): কোনো একটি কাজ কত ভালোভাবে বা দ্রুত করা যায়।
    কার্যকারিতা (Effectiveness): সঠিক কাজটি বেছে নেওয়া, যা অন্য অনেক কাজকে অপ্রয়োজনীয় করে দেয়। একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ নিখুঁতভাবে করার চেয়ে, একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ মোটামুটিভাবে করাও হাজার গুণ ভালো। বেশিরভাগ মানুষ ভুল কাজে নিজের সেরাটা দিয়ে জীবন পার করে দেয়, কারণ ব্যস্ত থাকাকেই তারা সফলতা মনে করে।

    আপনার কি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের উপর ফোকাস করা উচিত?
    টিম ফেরিস ৫ বা ১০ বছরের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বিশ্বাসী নন। কারণ জীবন unpredictable এবং এতে অপ্রত্যাশিত সুযোগ আসতেই থাকে। স্বল্পমেয়াদী পরীক্ষা: তিনি ৩-৬ মাসের ছোট ছোট experiments চালান। এর ফলে, ব্যর্থ হলেও মানসিক চাপ কম থাকে এবং শেখার সুযোগ বেশি থাকে।

    "সফল ব্যর্থতা" (Successful Failure): তিনি এমন কাজ বেছে নেন, যা ব্যর্থ হলেও তাকে নতুন কোনো দক্ষতা বা সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করবে। এই দুটিই জীবনের আসল সম্পদ, যা একটি প্রজেক্ট শেষ হলেও আপনার সাথে থেকে যায় এবং ভবিষ্যতের বড় কোনো সাফল্যের দরজা খুলে দেয়।

    তার দৈনন্দিন রুটিনের মূল ভিত্তি হলো: State → Story → Strategy.
    অর্থাৎ, আগে নিজের মানসিক এবং শারীরিক অবস্থাকে (State) সঠিক করুন, তাহলে আপনার চিন্তাভাবনা (Story) ইতিবাচক হবে এবং সবশেষে আপনার কাজের পরিকল্পনা (Strategy) সেরা হবে।

    সকালের রুটিন: দিন শুরু হয় কোল্ড প্লাঞ্জ, হট টাব এবং জার্নালিং দিয়ে। দিনের প্রথম ঘণ্টায় তিনি কোনো তাড়াহুড়ো করেন না, কারণ সকালটা তাড়াহুড়োয় কাটলে পুরো দিনটাই বিশৃঙ্খল মনে হয়।

    সাপ্তাহিক রুটিন: প্রতিদিনের রুটিনের চেয়ে সাপ্তাহিক আর্কিটেকচার তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিন তিনি শুধুমাত্র টিম কল এবং মিটিং-এর জন্য রাখেন। এতে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে কোনো বাধা ছাড়াই deep work মনোযোগ দেওয়া যায়।

    খ্যাতি, টাকা বা ক্ষমতার মতো একটি "অ্যামপ্লিফায়ার"। এটি আপনার ভেতরের ভালো এবং খারাপ দুই দিককেই বড় করে তোলে। খ্যাতির সবচেয়ে বড় ট্রেড-অফ হলো প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তা। টিম ফেরিসের পরামর্শ: আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে কঠোরভাবে ব্যক্তিগত রাখুন। পরিবার বা বন্ধুদের অনলাইন জগতে টেনে আনবেন না, কারণ এর কোনো পজিটিভ দিক নেই, কিন্তু ঝুঁকি অপরিসীম।

    সম্পর্কের ক্ষেত্রে টিম ফেরিসের দর্শন খুবই বাস্তবসম্মত।
    পরিপূরক, কার্বন-কপি নয়: এমন সঙ্গী খুঁজুন যার শক্তি আপনার দুর্বলতাকে পূরণ করে। তিনি অ্যানালিটিক্যাল হওয়ায়, এমন সঙ্গী খোঁজেন যার ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (EQ) অনেক বেশি।
    শ্রদ্ধা যথেষ্ট নয়, মুগ্ধতা প্রয়োজন: এমন সঙ্গী খুঁজুন যাকে নিয়ে আপনি বন্ধুদের কাছে গর্ব করতে পারেন।

    স্পষ্ট যোগাযোগ: সম্পর্কের শুরুতেই নিজের চাওয়া-পাওয়া, সীমাবদ্ধতা এবং নন-নেগোশিয়েবল বিষয়গুলো পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। তার মতে, না বলা প্রত্যাশাগুলোই ভবিষ্যতের বিরক্তির পূর্বপরিকল্পনা।

    ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি আসার পর ব্যবস্থা নেওয়ার চেয়ে, আগে থেকে প্রতিরোধের উপর জোর দেন টিম ফেরিস।

    প্রোফাইলেকটিক রুটিন: নিয়মিত ব্যায়াম, কোল্ড শাওয়ার, বন্ধুদের সাথে ডিনার এবং প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটানোকে তিনি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখেন।

    আইডেন্টিটি ডাইভারসিফিকেশন: নিজের পরিচয়কে শুধু একটি কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখা। কাজ ছাড়াও খেলাধুলা, হবি বা অন্য কোনো পরিচয়ের উপর বিনিয়োগ করা। এতে জীবনের একটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতা এলেও অন্য ক্ষেত্রগুলো আপনাকে মানসিক শক্তি জোগাবে।

    টিম ফেরিসের মতে, একাকীত্ব আসলে চিন্তার সমস্যা নয়, এটি ক্যালেন্ডারের সমস্যা। অর্থাৎ, আপনি কতটা একা বোধ করছেন তা নির্ভর করে আপনার জীবনে অর্থপূর্ণ সামাজিক কার্যক্রম কতটা আছে তার উপর। এর সমাধান হলো, নিজের পছন্দের মানুষদের খুঁজে বের করা এবং তাদের সাথে নিয়মিত গ্রুপ অ্যাক্টিভিটিতে অংশ নেওয়া।

    বার্নআউট এড়ানোর উপায় কী? "Don't rely on discipline, rely on systems and scheduling." ইচ্ছাশক্তির উপর ভরসা না করে সিস্টেম তৈরি করুন। দিনের কাজকে সীমাবদ্ধ করার জন্য আগে থেকেই ব্যক্তিগত বা সামাজিক কার্যক্রম (যেমন বন্ধুর সাথে ডিনার বা খেলা) ক্যালেন্ডারে বুক করে রাখুন। এতে কাজ আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে গ্রাস করতে পারবে না।

    যারা বড় স্বপ্ন দেখতে চান তাদের জন্য পরামর্শ
    ১. মনে রাখবেন, পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ব্যক্তিরাও সাধারণ মানুষ, তারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
    ২. বড় লক্ষ্য স্থির করুন। কারণ ছোট বা মাঝারি লক্ষ্য নিয়ে বেশিরভাগ মানুষ প্রতিযোগিতা করে, কিন্তু বড় লক্ষ্যের পথে ভিড় কম।
    ৩. বড় স্বপ্নকে ছোট ছোট দৈনন্দিন পদক্ষেপে ভাগ করে নিন।
    ৪. এমন একটি ক্ষেত্র খুঁজুন যেখানে আপনি সেরা না হয়েও "অনন্য" হতে পারবেন (Be the only, not the best)।

    টিম ফেরিসের এই দর্শনগুলো আমাদের শেখায় যে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্ধভাবে পরিশ্রম না করে, কৌশলগতভাবে চিন্তা করা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের চাবিকাঠি।
    আপনি কি সারাদিন ব্যস্ত থাকার পরেও দিনশেষে হতাশায় ভোগেন? মনে হয়, এত খেটেও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো কিছুই এগোচ্ছে না? এর কারণ, আপনি হয়তো ব্যস্ততা আর অগ্রগতির মধ্যে পার্থক্যটাই করতে পারছেন না। লাইফস্টাইল ডিজাইন এবং প্রোডাক্টিভিটির অন্যতম পথপ্রদর্শক টিম ফেরিস ঠিক এই ফাঁদটিই ধরিয়ে দিয়েছেন। ক্রিস উইলিয়ামসনের "Modern Wisdom" পডকাস্টে টিম ফেরিস তার এক দশকের আত্ন-উন্নতির journey থেকে এমন কিছু গভীর দর্শন তুলে ধরেছেন, যা আমাদের শেখানো কঠোর পরিশ্রম এবং সফলতার গতানুগতিক ধারণাকে নাড়িয়ে দেবে। বাইরে থেকে টিম ফেরিসকে একজন হাইপার-প্রোডাক্টিভ Efficiency মেশিন মনে হলেও, তিনি নিজেকে দক্ষ এর চেয়ে বেশি কার্যকরী মনে করেন। তার মতে: ✅দক্ষতা (Efficiency): কোনো একটি কাজ কত ভালোভাবে বা দ্রুত করা যায়। ✅কার্যকারিতা (Effectiveness): সঠিক কাজটি বেছে নেওয়া, যা অন্য অনেক কাজকে অপ্রয়োজনীয় করে দেয়। একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ নিখুঁতভাবে করার চেয়ে, একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ মোটামুটিভাবে করাও হাজার গুণ ভালো। বেশিরভাগ মানুষ ভুল কাজে নিজের সেরাটা দিয়ে জীবন পার করে দেয়, কারণ ব্যস্ত থাকাকেই তারা সফলতা মনে করে। আপনার কি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের উপর ফোকাস করা উচিত? টিম ফেরিস ৫ বা ১০ বছরের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বিশ্বাসী নন। কারণ জীবন unpredictable এবং এতে অপ্রত্যাশিত সুযোগ আসতেই থাকে। স্বল্পমেয়াদী পরীক্ষা: তিনি ৩-৬ মাসের ছোট ছোট experiments চালান। এর ফলে, ব্যর্থ হলেও মানসিক চাপ কম থাকে এবং শেখার সুযোগ বেশি থাকে। "সফল ব্যর্থতা" (Successful Failure): তিনি এমন কাজ বেছে নেন, যা ব্যর্থ হলেও তাকে নতুন কোনো দক্ষতা বা সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করবে। এই দুটিই জীবনের আসল সম্পদ, যা একটি প্রজেক্ট শেষ হলেও আপনার সাথে থেকে যায় এবং ভবিষ্যতের বড় কোনো সাফল্যের দরজা খুলে দেয়। তার দৈনন্দিন রুটিনের মূল ভিত্তি হলো: State → Story → Strategy. অর্থাৎ, আগে নিজের মানসিক এবং শারীরিক অবস্থাকে (State) সঠিক করুন, তাহলে আপনার চিন্তাভাবনা (Story) ইতিবাচক হবে এবং সবশেষে আপনার কাজের পরিকল্পনা (Strategy) সেরা হবে। ✅সকালের রুটিন: দিন শুরু হয় কোল্ড প্লাঞ্জ, হট টাব এবং জার্নালিং দিয়ে। দিনের প্রথম ঘণ্টায় তিনি কোনো তাড়াহুড়ো করেন না, কারণ সকালটা তাড়াহুড়োয় কাটলে পুরো দিনটাই বিশৃঙ্খল মনে হয়। ✅সাপ্তাহিক রুটিন: প্রতিদিনের রুটিনের চেয়ে সাপ্তাহিক আর্কিটেকচার তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিন তিনি শুধুমাত্র টিম কল এবং মিটিং-এর জন্য রাখেন। এতে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে কোনো বাধা ছাড়াই deep work মনোযোগ দেওয়া যায়। 🟣খ্যাতি, টাকা বা ক্ষমতার মতো একটি "অ্যামপ্লিফায়ার"। এটি আপনার ভেতরের ভালো এবং খারাপ দুই দিককেই বড় করে তোলে। খ্যাতির সবচেয়ে বড় ট্রেড-অফ হলো প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তা। টিম ফেরিসের পরামর্শ: আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে কঠোরভাবে ব্যক্তিগত রাখুন। পরিবার বা বন্ধুদের অনলাইন জগতে টেনে আনবেন না, কারণ এর কোনো পজিটিভ দিক নেই, কিন্তু ঝুঁকি অপরিসীম। সম্পর্কের ক্ষেত্রে টিম ফেরিসের দর্শন খুবই বাস্তবসম্মত। পরিপূরক, কার্বন-কপি নয়: এমন সঙ্গী খুঁজুন যার শক্তি আপনার দুর্বলতাকে পূরণ করে। তিনি অ্যানালিটিক্যাল হওয়ায়, এমন সঙ্গী খোঁজেন যার ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (EQ) অনেক বেশি। শ্রদ্ধা যথেষ্ট নয়, মুগ্ধতা প্রয়োজন: এমন সঙ্গী খুঁজুন যাকে নিয়ে আপনি বন্ধুদের কাছে গর্ব করতে পারেন। স্পষ্ট যোগাযোগ: সম্পর্কের শুরুতেই নিজের চাওয়া-পাওয়া, সীমাবদ্ধতা এবং নন-নেগোশিয়েবল বিষয়গুলো পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। তার মতে, না বলা প্রত্যাশাগুলোই ভবিষ্যতের বিরক্তির পূর্বপরিকল্পনা। ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি আসার পর ব্যবস্থা নেওয়ার চেয়ে, আগে থেকে প্রতিরোধের উপর জোর দেন টিম ফেরিস। প্রোফাইলেকটিক রুটিন: নিয়মিত ব্যায়াম, কোল্ড শাওয়ার, বন্ধুদের সাথে ডিনার এবং প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটানোকে তিনি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখেন। আইডেন্টিটি ডাইভারসিফিকেশন: নিজের পরিচয়কে শুধু একটি কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখা। কাজ ছাড়াও খেলাধুলা, হবি বা অন্য কোনো পরিচয়ের উপর বিনিয়োগ করা। এতে জীবনের একটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতা এলেও অন্য ক্ষেত্রগুলো আপনাকে মানসিক শক্তি জোগাবে। টিম ফেরিসের মতে, একাকীত্ব আসলে চিন্তার সমস্যা নয়, এটি ক্যালেন্ডারের সমস্যা। অর্থাৎ, আপনি কতটা একা বোধ করছেন তা নির্ভর করে আপনার জীবনে অর্থপূর্ণ সামাজিক কার্যক্রম কতটা আছে তার উপর। এর সমাধান হলো, নিজের পছন্দের মানুষদের খুঁজে বের করা এবং তাদের সাথে নিয়মিত গ্রুপ অ্যাক্টিভিটিতে অংশ নেওয়া। বার্নআউট এড়ানোর উপায় কী? "Don't rely on discipline, rely on systems and scheduling." ইচ্ছাশক্তির উপর ভরসা না করে সিস্টেম তৈরি করুন। দিনের কাজকে সীমাবদ্ধ করার জন্য আগে থেকেই ব্যক্তিগত বা সামাজিক কার্যক্রম (যেমন বন্ধুর সাথে ডিনার বা খেলা) ক্যালেন্ডারে বুক করে রাখুন। এতে কাজ আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে গ্রাস করতে পারবে না। যারা বড় স্বপ্ন দেখতে চান তাদের জন্য পরামর্শ ১. মনে রাখবেন, পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ব্যক্তিরাও সাধারণ মানুষ, তারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। ২. বড় লক্ষ্য স্থির করুন। কারণ ছোট বা মাঝারি লক্ষ্য নিয়ে বেশিরভাগ মানুষ প্রতিযোগিতা করে, কিন্তু বড় লক্ষ্যের পথে ভিড় কম। ৩. বড় স্বপ্নকে ছোট ছোট দৈনন্দিন পদক্ষেপে ভাগ করে নিন। ৪. এমন একটি ক্ষেত্র খুঁজুন যেখানে আপনি সেরা না হয়েও "অনন্য" হতে পারবেন (Be the only, not the best)। টিম ফেরিসের এই দর্শনগুলো আমাদের শেখায় যে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্ধভাবে পরিশ্রম না করে, কৌশলগতভাবে চিন্তা করা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের চাবিকাঠি।
    0 Comments 0 Shares 44 Views 0 Reviews
  • নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে যখন বন্দী করে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অসংখ্য মানুষ হা করে নীরব দর্শকের মতো সেই দৃশ্য উপভোগ করেছিল। শুধু তাই নয়, পিঠে ছুরিকাঘাত করার পূর্বে নবাবকে কাঁটাওয়ালা সিংহাসনে বসিয়ে ও ছেঁড়া জুতা দিয়ে পিটিয়ে যখন অপমান করা হচ্ছিল, তখন হাজার হাজার মানুষ সেই তামাশা দেখে ব্যাপক বিনোদিত হয়েছিল! মাস সাইকোলজিটা একটু খেয়াল করে দেখুন, এই জাতি দুইশত বছরের গোলামি সাদরে গ্রহণ করেছিল ওভাবেই।

    একটি মজার তথ্য দেই। লর্ড ক্লাইভ তার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখেছেন, নবাবকে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন দাঁড়িয়ে থেকে যারা এসব প্রত্যক্ষ করেছিল তারা যদি একটি করেও ঢিল ছুঁড়ত তবে ইংরেজদের করুণ পরাজয় বরণ করতে হতো। আরো চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার অশ্বারোহী, ৩০ হাজার পদাতিক এবং অসংখ্য কামান, গোলাবারুদ সহ বিশাল সুসজ্জিত সৈন্যবাহিনী নিয়েই পলাশীর ময়দানে এসেছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা । কিন্তু তার বিপরীতে রবার্ট ক্লাইভের সৈন্যসংখ্যা ছিলো মাত্র ৩ হাজার, যার মধ্যে ৯ শত জনই ছিল হাতেপায়ে ধরে নিয়ে আসা সৌখিন ব্রিটিশ অফিসার যাদের অধিকাংশেরই তলোয়ার ধরার মতো সুপ্রশিক্ষণ ছিল না, এরা কোনোদিন যুদ্ধও করেনি।

    এত কিছু জেনেও রবার্ট ক্লাইভ যুদ্ধে নেমেছিলেন এবং জিতবেন জেনেই নেমেছিলেন। কারণ, তিনি খুব ভালো করেই জানতেন একটি হীনমন্য ব্যক্তিস্বার্থলোভী দ্বিধাগ্রস্ত জাতিকে পরাস্ত করতে খুব বেশি আয়োজনের প্রয়োজন নেই, বড় সৈন্যবাহিনী এদের জন্য মশা মারতে কামান দাগার মতো। যাদেরকে সামান্য দাবার চালেই মাত করে দেয়া যায়, তাদের জন্য হাজার হাজার সৈন্যের জীবনের ঝুঁকি তিনি কেন নেবেন? এছাড়াও, মীরজাফরকে যখন নবাবীর টোপ গেলানো হয়, রবার্ট ক্লাইভ তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন যে, সিরাজকে পরাজিত করার পর এই বদমাশটি সহ বাকিগুলোর পরিণতিও তাদের নবাবের মতোই হবে এবং হয়েছেও তাই। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মীরজাফর, উমিচাঁদ, রায়বল্লভ, ঘষেটি বেগম সহ প্রত্যেকটি বেইমানের করুণ মৃত্যু হয়েছে।

    রবার্ট ক্লাইভ মীরজাফরের বেঈমানির উপর ভরসা করে যুদ্ধ করতে আসেননি। তিনি যুদ্ধে নেমেছিলেন বাঙালির মানসিকতা নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ আন্দাজ করে। তিনি জানতন, যুদ্ধশেষে জনসম্মুখে নবাবকে হেনস্থা করলে এই জাতি বিনোদনে দাঁত কেলাবে কিংবা হা করে চেয়ে চেয়ে দেখবে। তাই বিনা দ্বিধায় সার্টিফিকেট দেয়াই যায়, বাঙালি জাতির মানসিকতা সবচেয়ে নিখুঁতভাবে মাপতে পারা ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তিটির নাম রবার্ট ক্লাইভ!
    নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে যখন বন্দী করে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অসংখ্য মানুষ হা করে নীরব দর্শকের মতো সেই দৃশ্য উপভোগ করেছিল। শুধু তাই নয়, পিঠে ছুরিকাঘাত করার পূর্বে নবাবকে কাঁটাওয়ালা সিংহাসনে বসিয়ে ও ছেঁড়া জুতা দিয়ে পিটিয়ে যখন অপমান করা হচ্ছিল, তখন হাজার হাজার মানুষ সেই তামাশা দেখে ব্যাপক বিনোদিত হয়েছিল! মাস সাইকোলজিটা একটু খেয়াল করে দেখুন, এই জাতি দুইশত বছরের গোলামি সাদরে গ্রহণ করেছিল ওভাবেই। একটি মজার তথ্য দেই। লর্ড ক্লাইভ তার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখেছেন, নবাবকে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন দাঁড়িয়ে থেকে যারা এসব প্রত্যক্ষ করেছিল তারা যদি একটি করেও ঢিল ছুঁড়ত তবে ইংরেজদের করুণ পরাজয় বরণ করতে হতো। আরো চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার অশ্বারোহী, ৩০ হাজার পদাতিক এবং অসংখ্য কামান, গোলাবারুদ সহ বিশাল সুসজ্জিত সৈন্যবাহিনী নিয়েই পলাশীর ময়দানে এসেছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা । কিন্তু তার বিপরীতে রবার্ট ক্লাইভের সৈন্যসংখ্যা ছিলো মাত্র ৩ হাজার, যার মধ্যে ৯ শত জনই ছিল হাতেপায়ে ধরে নিয়ে আসা সৌখিন ব্রিটিশ অফিসার যাদের অধিকাংশেরই তলোয়ার ধরার মতো সুপ্রশিক্ষণ ছিল না, এরা কোনোদিন যুদ্ধও করেনি। এত কিছু জেনেও রবার্ট ক্লাইভ যুদ্ধে নেমেছিলেন এবং জিতবেন জেনেই নেমেছিলেন। কারণ, তিনি খুব ভালো করেই জানতেন একটি হীনমন্য ব্যক্তিস্বার্থলোভী দ্বিধাগ্রস্ত জাতিকে পরাস্ত করতে খুব বেশি আয়োজনের প্রয়োজন নেই, বড় সৈন্যবাহিনী এদের জন্য মশা মারতে কামান দাগার মতো। যাদেরকে সামান্য দাবার চালেই মাত করে দেয়া যায়, তাদের জন্য হাজার হাজার সৈন্যের জীবনের ঝুঁকি তিনি কেন নেবেন? এছাড়াও, মীরজাফরকে যখন নবাবীর টোপ গেলানো হয়, রবার্ট ক্লাইভ তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন যে, সিরাজকে পরাজিত করার পর এই বদমাশটি সহ বাকিগুলোর পরিণতিও তাদের নবাবের মতোই হবে এবং হয়েছেও তাই। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মীরজাফর, উমিচাঁদ, রায়বল্লভ, ঘষেটি বেগম সহ প্রত্যেকটি বেইমানের করুণ মৃত্যু হয়েছে। রবার্ট ক্লাইভ মীরজাফরের বেঈমানির উপর ভরসা করে যুদ্ধ করতে আসেননি। তিনি যুদ্ধে নেমেছিলেন বাঙালির মানসিকতা নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ আন্দাজ করে। তিনি জানতন, যুদ্ধশেষে জনসম্মুখে নবাবকে হেনস্থা করলে এই জাতি বিনোদনে দাঁত কেলাবে কিংবা হা করে চেয়ে চেয়ে দেখবে। তাই বিনা দ্বিধায় সার্টিফিকেট দেয়াই যায়, বাঙালি জাতির মানসিকতা সবচেয়ে নিখুঁতভাবে মাপতে পারা ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তিটির নাম রবার্ট ক্লাইভ!
    Sad
    2
    0 Comments 0 Shares 49 Views 0 Reviews
  • বিরল খনিজ উপাদান আসলে কী ?
    পৃথিবীর বুকে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যেগুলো কিছুটা দুষ্প্রাপ্য হলেও, আমাদের আধুনিক জীবনের জন্য এগুলো অপরিহার্য। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইলেকট্রিক গাড়ি থেকে শুরু করে উইন্ডমিল, স্যাটেলাইট কিংবা মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম পর্যন্ত প্রায় সকল প্রযুক্তিপন্যেই এই উপাদানগুলোর ব্যবহার রয়েছে। এসব উপাদানকেই বলা হয় Rare Earth Elements বা বিরল খনিজ উপাদান। এগুলো টেকনোলজির হীরা হিসেবেও পরিচিত।
    এই উপাদানগুলো পৃথিবীর ভূত্বকে এমনভাবে ছড়িয়ে রয়েছে যে, এগুলোকে সহজে আলাদা করা যায় না, সে জন্যই এগুলো ‘বিরল’ হিসেবে পরিচিত। শুধুমাত্র এইসব খনিজ পদার্থের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র বানাম চীনের মধ্যকার বানিজ্য যুদ্ধ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌছে গেছে।
    Rare Earth Elements বা বিরল খনিজ উপাদানগুলো আসলে কী এবং এগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ন, সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে কিকেনকিভাবে র এই পর্বে।
    বিরল খনিজ উপাদান আসলে কী ? পৃথিবীর বুকে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যেগুলো কিছুটা দুষ্প্রাপ্য হলেও, আমাদের আধুনিক জীবনের জন্য এগুলো অপরিহার্য। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইলেকট্রিক গাড়ি থেকে শুরু করে উইন্ডমিল, স্যাটেলাইট কিংবা মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম পর্যন্ত প্রায় সকল প্রযুক্তিপন্যেই এই উপাদানগুলোর ব্যবহার রয়েছে। এসব উপাদানকেই বলা হয় Rare Earth Elements বা বিরল খনিজ উপাদান। এগুলো টেকনোলজির হীরা হিসেবেও পরিচিত। এই উপাদানগুলো পৃথিবীর ভূত্বকে এমনভাবে ছড়িয়ে রয়েছে যে, এগুলোকে সহজে আলাদা করা যায় না, সে জন্যই এগুলো ‘বিরল’ হিসেবে পরিচিত। শুধুমাত্র এইসব খনিজ পদার্থের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র বানাম চীনের মধ্যকার বানিজ্য যুদ্ধ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌছে গেছে। Rare Earth Elements বা বিরল খনিজ উপাদানগুলো আসলে কী এবং এগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ন, সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে কিকেনকিভাবে র এই পর্বে।
    0 Comments 0 Shares 47 Views 0 Reviews
  • কোয়ান্টাম কম্পিউটার কি এবং কিভাবে কাজ করে ?
    একসময় কম্পিউটার বলতে বোঝাতো একটি বড়সড় যন্ত্র, যা ধীরে ধীরে আমাদের টেবিলের ওপর এসেছে, তারপর একেবারে আমাদের হাতের মুঠোয়। কিন্তু প্রযুক্তি থেমে নেই, এবার বিজ্ঞানীরা এমন এক বিস্ময়কর যন্ত্র তৈরি করছেন, যা সাধারণ কম্পিউটারের কাজের সময়, গতি ও ক্ষমতার সকল ধারণা বদলে দিতে পারে। এর নাম কোয়ান্টাম কম্পিউটার।
    কোয়ান্টাম কম্পিউটার আমাদের পরিচিত ক্লাসিকাল কম্পিউটারের তুলনায় লাখো গুণ বেশি শক্তিশালী হতে পারে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অদ্ভুত নিয়মকে ব্যবহার করে এইসব যন্ত্র একসঙ্গে হাজারো হিসাব করতে পারে, যেসব সমস্যা সাধারণ কম্পিউটারের পক্ষে সমাধান করাটা ছিল প্রায় অসম্ভব। এই প্রযুক্তি কেবল ভবিষ্যতের একটি সম্ভাবনা নয়, বরং ইতোমধ্যেই গবেষণাগারে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে।
    কোয়ান্টাম কম্পিউটার আসলে কী এবং এসব উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে কিকেনকিভাবে র এই পর্বে।
    কোয়ান্টাম কম্পিউটার কি এবং কিভাবে কাজ করে ? একসময় কম্পিউটার বলতে বোঝাতো একটি বড়সড় যন্ত্র, যা ধীরে ধীরে আমাদের টেবিলের ওপর এসেছে, তারপর একেবারে আমাদের হাতের মুঠোয়। কিন্তু প্রযুক্তি থেমে নেই, এবার বিজ্ঞানীরা এমন এক বিস্ময়কর যন্ত্র তৈরি করছেন, যা সাধারণ কম্পিউটারের কাজের সময়, গতি ও ক্ষমতার সকল ধারণা বদলে দিতে পারে। এর নাম কোয়ান্টাম কম্পিউটার। কোয়ান্টাম কম্পিউটার আমাদের পরিচিত ক্লাসিকাল কম্পিউটারের তুলনায় লাখো গুণ বেশি শক্তিশালী হতে পারে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অদ্ভুত নিয়মকে ব্যবহার করে এইসব যন্ত্র একসঙ্গে হাজারো হিসাব করতে পারে, যেসব সমস্যা সাধারণ কম্পিউটারের পক্ষে সমাধান করাটা ছিল প্রায় অসম্ভব। এই প্রযুক্তি কেবল ভবিষ্যতের একটি সম্ভাবনা নয়, বরং ইতোমধ্যেই গবেষণাগারে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার আসলে কী এবং এসব উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে কিকেনকিভাবে র এই পর্বে।
    Love
    2
    0 Comments 0 Shares 47 Views 0 Reviews
  • আপনার সন্তানের জন্য সারাজীবন ধরে জমানো টাকা আর সম্পদ কি তাদের উপকার করছে, নাকি ভবিষ্যৎ পঙ্গু করে দিচ্ছে? পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তি বিল গেটস মনে করেন দ্বিতীয়টিই সত্যি। তার মতে, সন্তানদেরকে পাহাড়সমান সম্পদ দিয়ে যাওয়া তাদের জন্য কোনো আনুকূল্য নয়, বরং একটি অভিশাপ।

    উত্তরাধিকার এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ
    আমাদের সমাজে যেখানে বাবা-মায়েরা তাদের সর্বস্ব সন্তানদের জন্য রেখে যাওয়াকে প্রধান দায়িত্ব মনে করেন, সেখানে বিল গেটস তার ৯৯% এরও বেশি সম্পদ দান করে দিচ্ছেন। কারণ?

    আত্মনির্ভরশীলতা: তিনি চান তার সন্তানরা নিজেদের পরিচয় এবং সাফল্য নিজেরাই তৈরি করুক। তার মতে, বিশাল উত্তরাধিকার সন্তানদের নিজস্ব অর্জনকে ম্লান করে দেয়।

    তিনি কোনো রাজবংশ তৈরি করতে চান না, যেখানে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে শুধু সম্পদই হস্তান্তর হয়।

    তিনি বিশ্বাস করেন যে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজে লাগানোই এর সর্বোচ্চ ব্যবহার।

    আজকের তরুণরা যখন 'work-life balance' এর কথা বলে, তখন বিল গেটস তার 20s কথা স্মরণ করে বলেন, সেই সময়টাতে আমি একজন পাগল বা ম্যানিয়াক ছিলাম এবং সেটাই আমার জন্য সঠিক ছিল।
    কেন? কারণ সেই বয়সে তার কোনো স্ত্রী বা সন্তান ছিল না, অর্থাৎ কাঁধে দায়িত্ব কম ছিল। এটাই ছিল জীবনের একমাত্র সময়, যখন তিনি সবকিছু ভুলে গিয়ে শুধু একটি লক্ষ্যের পিছনে দৌড়াতে পেরেছিলেন।

    বিল গেটসের পরামর্শ: যদি আপনি জীবনে বড় কোনো প্রতিযোগিতায় নামতে চান, তাহলে আপনার 20s হলো সর্বোচ্চ ঝুঁকি এবং পরিশ্রম করার সেরা সময়।

    মানুষ তাকে নিয়ে সবচেয়ে বড় কী ভুল ধারণা পোষণ করে?
    বিল গেটসের মতে, মানুষ প্রায়ই ভাবে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিদের মূল্যবোধ সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদা এবং তাদের নিজস্ব গোপন এজেন্ডা রয়েছে। কিন্তু তিনি মনে করেন, যারা তাকে কাছ থেকে চেনেন, তারা জানেন যে তার মূল চালিকাশক্তি হলো ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মানুষের জীবন পরিবর্তন করা, কোনো গোপন এজেন্ডা নয়।

    বিল গেটসের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল
    তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে, তার সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর মধ্যে একটি ছিল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের জগতে অ্যান্ড্রয়েডের কাছে হেরে যাওয়া। মাইক্রোসফট যখন ফোনের অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করছিল, তখন তারা অ্যান্ড্রয়েডের উত্থানকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেনি। এই ব্যর্থতা তাকে শিখিয়েছে যে, যেকোনো মুহূর্তে অসতর্ক হলেই বাজার থেকে হারিয়ে যাওয়া সম্ভব।

    যে সমস্যা টাকা দিয়ে সমাধান করা যায় না
    এত সম্পদ এবং প্রভাব থাকা সত্ত্বেও বিল গেটস মনে করেন, মানুষের আচরণ পরিবর্তন করা সবচেয়ে কঠিন কাজ। যেমন, স্থূলতা বা ওবেসিটির মতো সমস্যা সমাধানের জন্য শুধুমাত্র সচেতনতা বা অর্থই যথেষ্ট নয়, এর জন্য প্রয়োজন গভীর আচরণগত পরিবর্তন, যা অর্জন করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

    যে একটি অভ্যাস সবার গ্রহণ করা উচিত
    তার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো: সারাজীবন ছাত্র থাকা। তিনি সবসময় নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন এবং নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে নিজেকে ক্রমাগত প্রশ্ন করেন। তার মতে, নিরন্তর শেখার এই আগ্রহই তাকে প্রাসঙ্গিক থাকতে এবং নতুন উদ্ভাবন করতে সাহায্য করেছে।

    উচ্চতা, আগুন বা বিমান কোনো কিছুতেই তার ভয় নেই। তার সবচেয়ে বড় ভয় হলো, একদিন তার মস্তিষ্ক আগের মতো কাজ করবে না। শেখার এবং চিন্তা করার ক্ষমতা কমে যাওয়াটাই তাকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করে। এই ভয় তাকে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

    তিনি চান না যে মানুষ তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে মনে রাখুক। তার স্বপ্ন হলো, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যখন পোলিও বা ম্যালেরিয়ার মতো রোগের কথা শুনবে, তখন তারা অবাক হয়ে ভাববে, এই রোগগুলো আবার কী ছিল? তিনি চান, তাকে যেন সেই সমস্যাগুলোর সমাধানের একটি অংশ হিসেবে মনে রাখা হয়, যা একসময় মানবজাতির জন্য হুমকি ছিল।

    সম্পূর্ণ পডকাস্ট দেখতে পারবেন Raj Shamani ইউটিউব চ্যানেলে।
    আপনার সন্তানের জন্য সারাজীবন ধরে জমানো টাকা আর সম্পদ কি তাদের উপকার করছে, নাকি ভবিষ্যৎ পঙ্গু করে দিচ্ছে? পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তি বিল গেটস মনে করেন দ্বিতীয়টিই সত্যি। তার মতে, সন্তানদেরকে পাহাড়সমান সম্পদ দিয়ে যাওয়া তাদের জন্য কোনো আনুকূল্য নয়, বরং একটি অভিশাপ। উত্তরাধিকার এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ আমাদের সমাজে যেখানে বাবা-মায়েরা তাদের সর্বস্ব সন্তানদের জন্য রেখে যাওয়াকে প্রধান দায়িত্ব মনে করেন, সেখানে বিল গেটস তার ৯৯% এরও বেশি সম্পদ দান করে দিচ্ছেন। কারণ? আত্মনির্ভরশীলতা: তিনি চান তার সন্তানরা নিজেদের পরিচয় এবং সাফল্য নিজেরাই তৈরি করুক। তার মতে, বিশাল উত্তরাধিকার সন্তানদের নিজস্ব অর্জনকে ম্লান করে দেয়। তিনি কোনো রাজবংশ তৈরি করতে চান না, যেখানে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে শুধু সম্পদই হস্তান্তর হয়। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজে লাগানোই এর সর্বোচ্চ ব্যবহার। আজকের তরুণরা যখন 'work-life balance' এর কথা বলে, তখন বিল গেটস তার 20s কথা স্মরণ করে বলেন, সেই সময়টাতে আমি একজন পাগল বা ম্যানিয়াক ছিলাম এবং সেটাই আমার জন্য সঠিক ছিল। কেন? কারণ সেই বয়সে তার কোনো স্ত্রী বা সন্তান ছিল না, অর্থাৎ কাঁধে দায়িত্ব কম ছিল। এটাই ছিল জীবনের একমাত্র সময়, যখন তিনি সবকিছু ভুলে গিয়ে শুধু একটি লক্ষ্যের পিছনে দৌড়াতে পেরেছিলেন। বিল গেটসের পরামর্শ: যদি আপনি জীবনে বড় কোনো প্রতিযোগিতায় নামতে চান, তাহলে আপনার 20s হলো সর্বোচ্চ ঝুঁকি এবং পরিশ্রম করার সেরা সময়। মানুষ তাকে নিয়ে সবচেয়ে বড় কী ভুল ধারণা পোষণ করে? বিল গেটসের মতে, মানুষ প্রায়ই ভাবে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিদের মূল্যবোধ সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদা এবং তাদের নিজস্ব গোপন এজেন্ডা রয়েছে। কিন্তু তিনি মনে করেন, যারা তাকে কাছ থেকে চেনেন, তারা জানেন যে তার মূল চালিকাশক্তি হলো ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মানুষের জীবন পরিবর্তন করা, কোনো গোপন এজেন্ডা নয়। বিল গেটসের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে, তার সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর মধ্যে একটি ছিল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের জগতে অ্যান্ড্রয়েডের কাছে হেরে যাওয়া। মাইক্রোসফট যখন ফোনের অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করছিল, তখন তারা অ্যান্ড্রয়েডের উত্থানকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেনি। এই ব্যর্থতা তাকে শিখিয়েছে যে, যেকোনো মুহূর্তে অসতর্ক হলেই বাজার থেকে হারিয়ে যাওয়া সম্ভব। যে সমস্যা টাকা দিয়ে সমাধান করা যায় না এত সম্পদ এবং প্রভাব থাকা সত্ত্বেও বিল গেটস মনে করেন, মানুষের আচরণ পরিবর্তন করা সবচেয়ে কঠিন কাজ। যেমন, স্থূলতা বা ওবেসিটির মতো সমস্যা সমাধানের জন্য শুধুমাত্র সচেতনতা বা অর্থই যথেষ্ট নয়, এর জন্য প্রয়োজন গভীর আচরণগত পরিবর্তন, যা অর্জন করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। যে একটি অভ্যাস সবার গ্রহণ করা উচিত তার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো: সারাজীবন ছাত্র থাকা। তিনি সবসময় নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন এবং নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে নিজেকে ক্রমাগত প্রশ্ন করেন। তার মতে, নিরন্তর শেখার এই আগ্রহই তাকে প্রাসঙ্গিক থাকতে এবং নতুন উদ্ভাবন করতে সাহায্য করেছে। উচ্চতা, আগুন বা বিমান কোনো কিছুতেই তার ভয় নেই। তার সবচেয়ে বড় ভয় হলো, একদিন তার মস্তিষ্ক আগের মতো কাজ করবে না। শেখার এবং চিন্তা করার ক্ষমতা কমে যাওয়াটাই তাকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করে। এই ভয় তাকে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার জন্য অনুপ্রাণিত করে। তিনি চান না যে মানুষ তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে মনে রাখুক। তার স্বপ্ন হলো, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যখন পোলিও বা ম্যালেরিয়ার মতো রোগের কথা শুনবে, তখন তারা অবাক হয়ে ভাববে, এই রোগগুলো আবার কী ছিল? তিনি চান, তাকে যেন সেই সমস্যাগুলোর সমাধানের একটি অংশ হিসেবে মনে রাখা হয়, যা একসময় মানবজাতির জন্য হুমকি ছিল। সম্পূর্ণ পডকাস্ট দেখতে পারবেন Raj Shamani ইউটিউব চ্যানেলে।
    0 Comments 0 Shares 45 Views 0 Reviews
  • ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিমানবন্দরে ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে থাকার পর, একটি বিশাল অ্যানটোনভ এন-১২৪ কার্গো বিমান অবশেষে জার্মানির একটি নিরাপদ স্থানে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম এ ধরনের কোনো বিমান কিয়েভের ওপর দিয়ে উড়ে গেল।

    গত ১১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে ইউক্রেনীয় বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর ADB9154) কিয়েভ থেকে উড্ডয়ন করে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ ইউক্রেনের অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমা অতিক্রম করার পর এটিকে শনাক্ত করে।

    পরে পোল্যান্ডের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে বিমানটি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর UR-82073) জার্মানির লাইপজিগ বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩২ মিনিটে অবতরণ করে।

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে বেসামরিক বিমান চলাচল নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র সামরিক, রাষ্ট্রীয় এবং বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত মানবিক মিশনের ফ্লাইট কঠোর নিয়ন্ত্রণের অধীনে পরিচালিত হয়। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উইজএয়ার (Wizzair) তাদের একটি এ৩২০ বিমান একইভাবে ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
    ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিমানবন্দরে ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে থাকার পর, একটি বিশাল অ্যানটোনভ এন-১২৪ কার্গো বিমান অবশেষে জার্মানির একটি নিরাপদ স্থানে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম এ ধরনের কোনো বিমান কিয়েভের ওপর দিয়ে উড়ে গেল। গত ১১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে ইউক্রেনীয় বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর ADB9154) কিয়েভ থেকে উড্ডয়ন করে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ ইউক্রেনের অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমা অতিক্রম করার পর এটিকে শনাক্ত করে। পরে পোল্যান্ডের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে বিমানটি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর UR-82073) জার্মানির লাইপজিগ বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩২ মিনিটে অবতরণ করে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে বেসামরিক বিমান চলাচল নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র সামরিক, রাষ্ট্রীয় এবং বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত মানবিক মিশনের ফ্লাইট কঠোর নিয়ন্ত্রণের অধীনে পরিচালিত হয়। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উইজএয়ার (Wizzair) তাদের একটি এ৩২০ বিমান একইভাবে ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 48 Views 0 Reviews
  • নতুন প্রযুক্তির ফাইবার অপটিক্যালের মাধ্যমে জাপান প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট বা ১,২৭,৫০০ গিগাবাইট (GB) ডেটা ১,৮০২ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী সব ইন্টারনেট স্পিড রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই গতির ইন্টারনেট স্পিড দিয়ে মাত্র চার মিনিটেরও কম সময়ে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট আর্কাইভ ডাউনলোড করা সম্ভব, যা একটি অভাবনীয় সাফল্য।

    এই অসাধ্য সাধন করেছে জাপানের National Institute of Information and Communications Technology (NICT)। তারা নতুন ধরনের একটি অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেছে, যার ব্যাস মাত্র ০.১২৫ মিলিমিটার, অথচ এটি প্রচলিত ফাইবারের চেয়ে ১৯ গুণ বেশি ডেটা প্রেরণে সক্ষম।

    তাদের উদ্ভাবিত এই ইন্টারনেট স্পিড যুক্তরাষ্ট্রের গড় ইন্টারনেট গতির চেয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ গুণ বেশি। এমনকি এই গতিতে নেটফ্লিক্সের পুরো ক্যাটালগ ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ডাউনলোড করা সম্ভব।

    বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ডেটার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে একটি অতুলনীয় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বে উচ্চক্ষমতার এবং স্কেলযোগ্য অপটিক্যাল কমিউনিকেশন সিস্টেম তৈরিতে।

    #Bigganneshi #science #japan #internet #Netflix
    নতুন প্রযুক্তির ফাইবার অপটিক্যালের মাধ্যমে জাপান প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট বা ১,২৭,৫০০ গিগাবাইট (GB) ডেটা ১,৮০২ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী সব ইন্টারনেট স্পিড রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই গতির ইন্টারনেট স্পিড দিয়ে মাত্র চার মিনিটেরও কম সময়ে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট আর্কাইভ ডাউনলোড করা সম্ভব, যা একটি অভাবনীয় সাফল্য। এই অসাধ্য সাধন করেছে জাপানের National Institute of Information and Communications Technology (NICT)। তারা নতুন ধরনের একটি অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেছে, যার ব্যাস মাত্র ০.১২৫ মিলিমিটার, অথচ এটি প্রচলিত ফাইবারের চেয়ে ১৯ গুণ বেশি ডেটা প্রেরণে সক্ষম। তাদের উদ্ভাবিত এই ইন্টারনেট স্পিড যুক্তরাষ্ট্রের গড় ইন্টারনেট গতির চেয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ গুণ বেশি। এমনকি এই গতিতে নেটফ্লিক্সের পুরো ক্যাটালগ ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ডাউনলোড করা সম্ভব। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ডেটার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে একটি অতুলনীয় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বে উচ্চক্ষমতার এবং স্কেলযোগ্য অপটিক্যাল কমিউনিকেশন সিস্টেম তৈরিতে। #Bigganneshi #science #japan #internet #Netflix
    0 Comments 0 Shares 52 Views 0 Reviews
More Results
BlackBird Ai
https://bbai.shop