• ভেবেছিলাম বুয়েটে CSE তে পড়ব।
    ওমেকাতে পজিশনও খারাপ ছিল না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন কী হলো কয়েকটা অঙ্ক কোনোভাবেই মিলাতে পারলাম না। মনে করেছিলাম হয়তো চান্সই পাব না। রেজাল্টের পর দেখলাম কোনরকমে পেয়েছি, কিন্তু সিরিয়াল অনেক পেছনে। টেনেটুনে মেকানিকাল এ আসে, আরেকদিকে আর্কিটেকচার।

    এর মাঝে আবার ঢাকা ভার্সিটির IBA এর BBA তে রিটেনএ টিকলাম। তখন IBA এর গ্রাজুয়েটদের অনেক দাম। ভাবলাম IBA তে হয়ে গেলে সেখানেই পড়ব, কিন্তু কিভাবে যেন সেখানেও ভাইভা তে বাদ পড়ে গেলাম।

    তারপর ভাবলাম, আর্কিটেকচারে পড়ে দেশে একটা ফার্ম দিব, Creativity দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব। তাই মেকানিকাল এর এর চেয়ে আর্কিটেকচারই ভালো অপশন। ভর্তি হয়ে গেলাম সেখানেই। বন্ধুবান্ধব, বুয়েটে লাইফ ভালোই চলছিলো, কিন্তু অনেক আগে থেকেই বাইরে পড়তে যাবার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। শুরু করলাম বাইরে অ্যাডমিশন এর চেষ্টার।

    অনেকেই বললো এখন গিয়ে কী করবা, বুয়েটে শেষ করে মাস্টার্সএ যাও, Undergraduate এ গেলে নিজে টাকা দিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়লাম না। গেলাম ঢাকার idp তে, বললাম যে ANU তে নাকি ফুল স্কলারশিপ দেয়, কিভাবে কি করতে হবে? তারা বলল যে ইংলিশ মিডিয়াম হলে লাভ ছিল, বাংলা মিডিয়াম এর A+ এর দাম নাই। তারপরও নিজে থেকেই IELTS দিলাম, ANU তে অ্যাপ্লাই করলাম। কিন্তু লাভ হলোনা, শেষমেশ রিজেক্ট।

    অস্ট্রেলিয়া তো আমাকে পাত্তা দিলোনা, ভাবলাম আমেরিকায় চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু সেখানে আবার SAT আর TOEFL ছাড়া কিছু হয়না। সেগুলোও দিলাম। খুঁজে পেতে দেখলাম যে টপ ভার্সিটিগুলো চান্স পেলে financial aid দেয়। তাই ভাবলাম এবার তাহলে MIT তেই যাবো, বুয়েটে, ANU তো আর আমাকে বুঝলো না। 😛 সব ঠিকঠাক করে MIT তে অ্যাপ্লিকেশনও জমা দিলাম। (যদিও হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া এটা কেউ জানতো না)
    কিন্তু শেষমেশ এখানেও রিজেক্ট।

    এবার ঠিক করলাম জাপানে মনবসু (আসল উচ্চারণ "মনবুকাগাকুশো") স্কলারশিপে পড়তে যাব। অ্যাপ্লাই করলাম, রিটেনএ টিক লাম, আমাদের ৪ জনকে এম্ব্যাসি থেকে সিলেক্ট করে ভাইভা তে ডাকলো। ভাইভাও খুব ভালো হলো। আমাদের কজনের নাম জাপানের মিনিস্ট্রিতে পাঠালো। কিন্তু এবার কি হলো, বাংলাদেশ থেকে ওরা একজন কেও সিলেক্ট করলো না আর আমার জাপানের সপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।

    জাপানি rejection এর কদিনপরে দেখলাম Korean Government Scholarship এর সার্কুলার। এবার ভাবলাম তাহলে কোরিয়াতেই যাই, SNU বা KAIST এ পড়বো, খারাপ কি। আসার আগে অনেকেই বলেছিল, বুয়েট ছেড়ে যাচ্ছ, ঠিক করছো তো? Korean ডিগ্রির আবার দাম আছে নাকি? ওখানে তো মানুষ কুকুরের মাংস খায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে যে যেকোনো গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অনেক গর্বের একটা বিষয়, এখানে একজন স্টুডেন্ট তার দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পারে। এরকম সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক না। তাই সবকিছু উপেক্ষা করে বুয়েট ছেড়ে চলে আসলাম South Korea তে পড়তে।

    এখানে এসে ১ বছর language course এর পরে বুঝতে পারলাম যে আমি SNU বা KAIST এ পড়তে পারবো না, কারণ আমি ভার্সিটি ট্র্যাকে অ্যাপ্লাই করেছি। যেই ভার্সিটির মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করেছি সেখানেই পড়তে হবে। আর SNU বা KAIST এ পড়ার ইচ্ছাও আমার অপূর্ণই থেকে গেল।

    পাস করার আগে/পরে Google, Facebook, Apple, LinkedIn এ অনেক cv জমা দিয়েছি। কিন্তু কোথাও থেকেই কখনো কল পাইনি। মাঝে কল পেয়েছিলাম ThinkCell নামে ছোট একটা জার্মান কোম্পানি থেকে। সেখানে ইন্টারভিউও দিয়েছিলাম। আবারও প্রথম রাউন্ডেই বাদ।

    এর পরে একসময় গ্র্যাব থেকে ইন্টারভিউ এর কল পেয়েছিলাম। সেখানেও ইন্টারভিউ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়লাম।

    তারপরও হাল ছাড়িনি, চেষ্টা করে গিয়েছি।
    প্রথমেই থেমে গেলে হয়তো এতদূর আসা হতো না।

    বুয়েট এর CSE কিংবা এমআই টি তে পড়ার সুযোগ হয়তো হয়নি কিন্তু আজ যতদূর আসতে পেরেছি সেটাও বা খারাপ কী?

    যেকোনো সাকসেস এর পেছনে এরকম হাজারো ব্যার্থতা থাকবে।

    So, don't let your failures define who you are.

    © Zulkarnine Mahmud (06-08)
    Software Engineer, Google
    ভেবেছিলাম বুয়েটে CSE তে পড়ব। ওমেকাতে পজিশনও খারাপ ছিল না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন কী হলো কয়েকটা অঙ্ক কোনোভাবেই মিলাতে পারলাম না। মনে করেছিলাম হয়তো চান্সই পাব না। রেজাল্টের পর দেখলাম কোনরকমে পেয়েছি, কিন্তু সিরিয়াল অনেক পেছনে। টেনেটুনে মেকানিকাল এ আসে, আরেকদিকে আর্কিটেকচার। এর মাঝে আবার ঢাকা ভার্সিটির IBA এর BBA তে রিটেনএ টিকলাম। তখন IBA এর গ্রাজুয়েটদের অনেক দাম। ভাবলাম IBA তে হয়ে গেলে সেখানেই পড়ব, কিন্তু কিভাবে যেন সেখানেও ভাইভা তে বাদ পড়ে গেলাম। তারপর ভাবলাম, আর্কিটেকচারে পড়ে দেশে একটা ফার্ম দিব, Creativity দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব। তাই মেকানিকাল এর এর চেয়ে আর্কিটেকচারই ভালো অপশন। ভর্তি হয়ে গেলাম সেখানেই। বন্ধুবান্ধব, বুয়েটে লাইফ ভালোই চলছিলো, কিন্তু অনেক আগে থেকেই বাইরে পড়তে যাবার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। শুরু করলাম বাইরে অ্যাডমিশন এর চেষ্টার। অনেকেই বললো এখন গিয়ে কী করবা, বুয়েটে শেষ করে মাস্টার্সএ যাও, Undergraduate এ গেলে নিজে টাকা দিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়লাম না। গেলাম ঢাকার idp তে, বললাম যে ANU তে নাকি ফুল স্কলারশিপ দেয়, কিভাবে কি করতে হবে? তারা বলল যে ইংলিশ মিডিয়াম হলে লাভ ছিল, বাংলা মিডিয়াম এর A+ এর দাম নাই। তারপরও নিজে থেকেই IELTS দিলাম, ANU তে অ্যাপ্লাই করলাম। কিন্তু লাভ হলোনা, শেষমেশ রিজেক্ট। অস্ট্রেলিয়া তো আমাকে পাত্তা দিলোনা, ভাবলাম আমেরিকায় চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু সেখানে আবার SAT আর TOEFL ছাড়া কিছু হয়না। সেগুলোও দিলাম। খুঁজে পেতে দেখলাম যে টপ ভার্সিটিগুলো চান্স পেলে financial aid দেয়। তাই ভাবলাম এবার তাহলে MIT তেই যাবো, বুয়েটে, ANU তো আর আমাকে বুঝলো না। 😛 সব ঠিকঠাক করে MIT তে অ্যাপ্লিকেশনও জমা দিলাম। (যদিও হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া এটা কেউ জানতো না) কিন্তু শেষমেশ এখানেও রিজেক্ট। এবার ঠিক করলাম জাপানে মনবসু (আসল উচ্চারণ "মনবুকাগাকুশো") স্কলারশিপে পড়তে যাব। অ্যাপ্লাই করলাম, রিটেনএ টিক লাম, আমাদের ৪ জনকে এম্ব্যাসি থেকে সিলেক্ট করে ভাইভা তে ডাকলো। ভাইভাও খুব ভালো হলো। আমাদের কজনের নাম জাপানের মিনিস্ট্রিতে পাঠালো। কিন্তু এবার কি হলো, বাংলাদেশ থেকে ওরা একজন কেও সিলেক্ট করলো না আর আমার জাপানের সপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। জাপানি rejection এর কদিনপরে দেখলাম Korean Government Scholarship এর সার্কুলার। এবার ভাবলাম তাহলে কোরিয়াতেই যাই, SNU বা KAIST এ পড়বো, খারাপ কি। আসার আগে অনেকেই বলেছিল, বুয়েট ছেড়ে যাচ্ছ, ঠিক করছো তো? Korean ডিগ্রির আবার দাম আছে নাকি? ওখানে তো মানুষ কুকুরের মাংস খায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে যে যেকোনো গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অনেক গর্বের একটা বিষয়, এখানে একজন স্টুডেন্ট তার দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পারে। এরকম সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক না। তাই সবকিছু উপেক্ষা করে বুয়েট ছেড়ে চলে আসলাম South Korea তে পড়তে। এখানে এসে ১ বছর language course এর পরে বুঝতে পারলাম যে আমি SNU বা KAIST এ পড়তে পারবো না, কারণ আমি ভার্সিটি ট্র্যাকে অ্যাপ্লাই করেছি। যেই ভার্সিটির মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করেছি সেখানেই পড়তে হবে। আর SNU বা KAIST এ পড়ার ইচ্ছাও আমার অপূর্ণই থেকে গেল। পাস করার আগে/পরে Google, Facebook, Apple, LinkedIn এ অনেক cv জমা দিয়েছি। কিন্তু কোথাও থেকেই কখনো কল পাইনি। মাঝে কল পেয়েছিলাম ThinkCell নামে ছোট একটা জার্মান কোম্পানি থেকে। সেখানে ইন্টারভিউও দিয়েছিলাম। আবারও প্রথম রাউন্ডেই বাদ। এর পরে একসময় গ্র্যাব থেকে ইন্টারভিউ এর কল পেয়েছিলাম। সেখানেও ইন্টারভিউ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়লাম। তারপরও হাল ছাড়িনি, চেষ্টা করে গিয়েছি। প্রথমেই থেমে গেলে হয়তো এতদূর আসা হতো না। বুয়েট এর CSE কিংবা এমআই টি তে পড়ার সুযোগ হয়তো হয়নি কিন্তু আজ যতদূর আসতে পেরেছি সেটাও বা খারাপ কী? যেকোনো সাকসেস এর পেছনে এরকম হাজারো ব্যার্থতা থাকবে। So, don't let your failures define who you are. © Zulkarnine Mahmud (06-08) Software Engineer, Google
    0 التعليقات 0 المشاركات 1كيلو بايت مشاهدة
  • আমার যে বন্ধুটি কোনদিন গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ দেখেননি এবং সেখানে ডুব দিবেন না তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি মাউন্ট এভারেস্টের চকচকে চূড়া দূর থেকে দেখেননি তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি বিস্তীর্ণ প্রেইরীর তেপান্তরের মাঠ আর সেখানে চরে বেড়ানো বাইসনের পাল দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি আকাশ ঝলমল করা সবুজ অরোরার (মেরুজ্যোতি) আলোর নিচে বসে হতবাক গগন পানে তাকিয়ে থাকবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জিনিস কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি সুন্দরবনের গভীর নিস্তব্ধতা চিরে ঈগলের তীক্ষ ডাক আর বাঘের ছমছমে গর্জন শুনবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি সাহারা মরুভূমির বালিয়াড়িতে বিমুগ্ধ বিস্ময়ে আরোহণ করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি আন্দেজের ইনকা শহর মাচু পিচুর চাতালে দাঁড়িয়ে মেঘের চাদরে নিজেকে জড়াবেন না কোনদিন, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি উত্তরের পাতাঝরা বনের শরতের রঙবেরঙের ক্যানভাসে শুয়ে শরতকে অনুভব করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি আফ্রিকার লিমপোপো নদীর তীরে লক্ষ লক্ষ হরিণ, জেব্রার গ্রেট মাইগ্রেশন দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    আমার যে বন্ধুটি নীল নদের জলে পা ভিজিয়ে পিরামিডের দিকে মানুষের সৃষ্টিশীলতায় বোবা বিস্ময় নিয়ে তাকায় নাই তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়।

    কিন্তু আমার যে বন্ধুটা সূর্যোদয় দেখেনি, দেখেনি কী করে পূর্ব দিগন্ত থেকে বিন্দু বিন্দু আলো জমে তীরের মত তারা দিগন্ত দখল করে নেয়, কিভাবে অন্ধকার এক জগত অপূর্ব আলোয় হেসে ওঠে- তার জন্য আমার মন খারাপ হয়।

    কারণ সে পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন, একটু ভোরে উঠলেই দিনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টা দেখতে পারত। একটা নতুন দিনের জন্ম দেখতে পারত।

    তার এবং তাদের জন্য আমার মন খারাপ হয়।

    আপনি কবে শেষবারের মতো সূর্যোদয় দেখেছেন?

    Good morning, Planet Earth!

    তাবুর মধ্যে থেকে দেখা দৃশ্য
    আমার যে বন্ধুটি কোনদিন গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ দেখেননি এবং সেখানে ডুব দিবেন না তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি মাউন্ট এভারেস্টের চকচকে চূড়া দূর থেকে দেখেননি তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি বিস্তীর্ণ প্রেইরীর তেপান্তরের মাঠ আর সেখানে চরে বেড়ানো বাইসনের পাল দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি আকাশ ঝলমল করা সবুজ অরোরার (মেরুজ্যোতি) আলোর নিচে বসে হতবাক গগন পানে তাকিয়ে থাকবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জিনিস কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি সুন্দরবনের গভীর নিস্তব্ধতা চিরে ঈগলের তীক্ষ ডাক আর বাঘের ছমছমে গর্জন শুনবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি সাহারা মরুভূমির বালিয়াড়িতে বিমুগ্ধ বিস্ময়ে আরোহণ করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি আন্দেজের ইনকা শহর মাচু পিচুর চাতালে দাঁড়িয়ে মেঘের চাদরে নিজেকে জড়াবেন না কোনদিন, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি উত্তরের পাতাঝরা বনের শরতের রঙবেরঙের ক্যানভাসে শুয়ে শরতকে অনুভব করবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি আফ্রিকার লিমপোপো নদীর তীরে লক্ষ লক্ষ হরিণ, জেব্রার গ্রেট মাইগ্রেশন দেখবেন না, তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। আমার যে বন্ধুটি নীল নদের জলে পা ভিজিয়ে পিরামিডের দিকে মানুষের সৃষ্টিশীলতায় বোবা বিস্ময় নিয়ে তাকায় নাই তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই জায়গাটা কোনদিন দেখবে না। এটা আসলেই অনেক দূরের যাত্রা। এটা দেখতে পারা অপূর্ব একটা ব্যাপার, কিন্তু না দেখেও জীবন বেশ সুন্দর ভাবেই আনন্দ নিয়ে কাটানো যায়। কিন্তু আমার যে বন্ধুটা সূর্যোদয় দেখেনি, দেখেনি কী করে পূর্ব দিগন্ত থেকে বিন্দু বিন্দু আলো জমে তীরের মত তারা দিগন্ত দখল করে নেয়, কিভাবে অন্ধকার এক জগত অপূর্ব আলোয় হেসে ওঠে- তার জন্য আমার মন খারাপ হয়। কারণ সে পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন, একটু ভোরে উঠলেই দিনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টা দেখতে পারত। একটা নতুন দিনের জন্ম দেখতে পারত। তার এবং তাদের জন্য আমার মন খারাপ হয়। আপনি কবে শেষবারের মতো সূর্যোদয় দেখেছেন? Good morning, Planet Earth! তাবুর মধ্যে থেকে দেখা দৃশ্য
    0 التعليقات 0 المشاركات 462 مشاهدة
  • সম্প্রতি ফেসবুকে বিপাশা হায়াত ও জয়া আহসানকে নিয়ে তুলনা করে কিছু পোস্ট দেখে সত্যি বলতে খুবই হতাশ হয়েছি। আমরা আসলে কথা বলার সময় খেয়ালই করি না কাকে নিয়ে বলছি, কেন বলছি, আমি কে বলার? পোস্ট টাইটেল, বিপাশা হায়াত আর জয়া আহসান সেইম এইজের হলেও জয়া আহসান glamorous আর বিপাশা হায়াত নাকি নিজের যত্ন নেন না, তাই নাকি এখন এমন দেখাচ্ছে ! আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কেমন দেখাচ্ছে?

    বিপাশা হায়াত চোখে মুখে ইনজেকশন দিয়ে ফ্রেশ থাকা ট্রেন্ডে হাঁটেননি, কারণ তাঁর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আছে। উনি চুলে কালার করেন না, কারণ বয়স ঢেকে রাখার মধ্যে হয়ত তিনি সৌন্দর্য খোঁজেন না। তার চোখেমুখে যে আত্মতৃপ্তি ও ভারসাম্য আছে, সেটা তো আজকের দিনে চকচকে চেহারার (ফিলার, ফিল্টার দেয়া) অনেকের মাঝেই নেই। একজন নারী ৫০ পেরিয়ে এসেও কি দারুন ফিটনেস, কি সুন্দর স্কিন!

    জয়া আহসান নিজের মতো করে গ্ল্যামার ধরে রেখেছেন, ক্যারিয়ারে এখনও অসাধারণ পারফর্ম করছেন। সেটাও প্রশংসনীয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, বিপাশা হায়াত পিছিয়ে পড়েছেন। যিনি নিজের শিল্পচর্চা, পরিবার, সন্তানদের প্রতিষ্ঠা আর শান্তিপূর্ণ জীবনকে বেছে নিয়েছেন। বিদেশে থাকেন, স্বনামধন‍্য পরিবারের শিক্ষিত নারী তিনি, নিজে এত বড় celebrity! সে তার যত্ন নেন না, যত্ন নেন আপনি? আপনারা?

    আমাদের মত দেশের সমস্যা হলো কাউকে নার্সি%^সিস্টিক গ্ল্যামার না দেখলেই ধরে নেই, তার সব শেষ। বয়স বাড়া, চুল পাকা হওয়া, স্কিনে ভাঁজ আসা, এসব কি অপরাধ? মানুষ কি প্লাস্টিকের তৈরি? বয়সের ছাপ সবার পরবে এতে সমস‍্যা কি? যে বয়সের যে সৌন্দর্য সেটা দেখানোকে অযত্ন বলে না, বলে Confidence!

    আত্মবিশ্বাস মানে হলো নিজের বয়সকে সম্মান করে, নিজের অস্তিত্বকে ভালোবেসে বাঁচা। বিপাশা হায়াত সেটা করে দেখাচ্ছেন, আর সেটা অনেকের চোখে সহ্য হচ্ছে না কারণ মানুষ আজকাল মেকি পারফেকশন ছাড়া সৌন্দর্য চিনতে শেখেনি।আর যারা এসব লিখছে আর প্রচার করছে তাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও রুচি যে আসলে নিম্নমানের এতে কোন সন্দেহ নাই, কি জঘন‍্য comparison, কি বাজে concept!

    আমি বলবো তুলনা না করে, নারীদের স্বতন্ত্রতাকে সম্মান করতে শিখুন। Whether it’s Jaya Ahsan’s timeless glamor or Bipasha Hayat’s graceful simplicity, both are powerful in their own right.

    বয়সের সৌন্দর্য আছে, অভিজ্ঞতার দীপ্তি আছে। আত্মবিশ্বাসই আসল গ্ল্যামার। And if appreciation feels too heavy, silence is always a wiser choice.

    Sajia Tonny
    সম্প্রতি ফেসবুকে বিপাশা হায়াত ও জয়া আহসানকে নিয়ে তুলনা করে কিছু পোস্ট দেখে সত্যি বলতে খুবই হতাশ হয়েছি। আমরা আসলে কথা বলার সময় খেয়ালই করি না কাকে নিয়ে বলছি, কেন বলছি, আমি কে বলার? পোস্ট টাইটেল, বিপাশা হায়াত আর জয়া আহসান সেইম এইজের হলেও জয়া আহসান glamorous আর বিপাশা হায়াত নাকি নিজের যত্ন নেন না, তাই নাকি এখন এমন দেখাচ্ছে ! আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কেমন দেখাচ্ছে? বিপাশা হায়াত চোখে মুখে ইনজেকশন দিয়ে ফ্রেশ থাকা ট্রেন্ডে হাঁটেননি, কারণ তাঁর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আছে। উনি চুলে কালার করেন না, কারণ বয়স ঢেকে রাখার মধ্যে হয়ত তিনি সৌন্দর্য খোঁজেন না। তার চোখেমুখে যে আত্মতৃপ্তি ও ভারসাম্য আছে, সেটা তো আজকের দিনে চকচকে চেহারার (ফিলার, ফিল্টার দেয়া) অনেকের মাঝেই নেই। একজন নারী ৫০ পেরিয়ে এসেও কি দারুন ফিটনেস, কি সুন্দর স্কিন! জয়া আহসান নিজের মতো করে গ্ল্যামার ধরে রেখেছেন, ক্যারিয়ারে এখনও অসাধারণ পারফর্ম করছেন। সেটাও প্রশংসনীয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, বিপাশা হায়াত পিছিয়ে পড়েছেন। যিনি নিজের শিল্পচর্চা, পরিবার, সন্তানদের প্রতিষ্ঠা আর শান্তিপূর্ণ জীবনকে বেছে নিয়েছেন। বিদেশে থাকেন, স্বনামধন‍্য পরিবারের শিক্ষিত নারী তিনি, নিজে এত বড় celebrity! সে তার যত্ন নেন না, যত্ন নেন আপনি? আপনারা? আমাদের মত দেশের সমস্যা হলো কাউকে নার্সি%^সিস্টিক গ্ল্যামার না দেখলেই ধরে নেই, তার সব শেষ। বয়স বাড়া, চুল পাকা হওয়া, স্কিনে ভাঁজ আসা, এসব কি অপরাধ? মানুষ কি প্লাস্টিকের তৈরি? বয়সের ছাপ সবার পরবে এতে সমস‍্যা কি? যে বয়সের যে সৌন্দর্য সেটা দেখানোকে অযত্ন বলে না, বলে Confidence! আত্মবিশ্বাস মানে হলো নিজের বয়সকে সম্মান করে, নিজের অস্তিত্বকে ভালোবেসে বাঁচা। বিপাশা হায়াত সেটা করে দেখাচ্ছেন, আর সেটা অনেকের চোখে সহ্য হচ্ছে না কারণ মানুষ আজকাল মেকি পারফেকশন ছাড়া সৌন্দর্য চিনতে শেখেনি।আর যারা এসব লিখছে আর প্রচার করছে তাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও রুচি যে আসলে নিম্নমানের এতে কোন সন্দেহ নাই, কি জঘন‍্য comparison, কি বাজে concept! আমি বলবো তুলনা না করে, নারীদের স্বতন্ত্রতাকে সম্মান করতে শিখুন। Whether it’s Jaya Ahsan’s timeless glamor or Bipasha Hayat’s graceful simplicity, both are powerful in their own right. বয়সের সৌন্দর্য আছে, অভিজ্ঞতার দীপ্তি আছে। আত্মবিশ্বাসই আসল গ্ল্যামার। And if appreciation feels too heavy, silence is always a wiser choice. Sajia Tonny
    0 التعليقات 0 المشاركات 346 مشاهدة
  • বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই, ২০২৫) নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে পার্কচেস্টার জামে মসজিদে নিহত NYPD পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন।

    বৃষ্টি উপেক্ষা করে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাকে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন।
    জানাজা শেষে দিদারুল ইসলামকে নিউ জার্সির লোরেল গ্রোভ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

    জানাজার আগে নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ দিদারুলের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি দিদারুল ইসলামকে মরণোত্তর 'ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেড' পদে পদোন্নতি দেওয়ার ঘোষণা দেন।

    উল্লেখ্য, ২৮ জুলাই ম্যানহাটনের একটি ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে দিদারুল ইসলাম নিহত হন। তিনি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়ে এসেছিলেন এবং সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে NYPD-তে কর্মরত ছিলেন। তিনি দুই সন্তানের বাবা ছিলেন এবং তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের প্রত্যাশা করছিলেন।
    বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই, ২০২৫) নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে পার্কচেস্টার জামে মসজিদে নিহত NYPD পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাকে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে দিদারুল ইসলামকে নিউ জার্সির লোরেল গ্রোভ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজার আগে নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ দিদারুলের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি দিদারুল ইসলামকে মরণোত্তর 'ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেড' পদে পদোন্নতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, ২৮ জুলাই ম্যানহাটনের একটি ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে দিদারুল ইসলাম নিহত হন। তিনি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়ে এসেছিলেন এবং সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে NYPD-তে কর্মরত ছিলেন। তিনি দুই সন্তানের বাবা ছিলেন এবং তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের প্রত্যাশা করছিলেন।
    Sad
    3
    0 التعليقات 0 المشاركات 303 مشاهدة
  • লন্ডন এক্সিবিশনে প্রদর্শনের জন্য বুয়েট আর্কিটেকচারের এলামনাই দৃষ্টি চাকমার আঁকা স্থাপত্য চিত্রাঙ্কনটি সারা পৃথিবীর ৭,০০০ চিত্রাঙ্কন থেকে সেরা নির্বাচিত হয়েছে!

    তিনি এই অঙ্কনটি মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যামুয়েল হান্টারের নেতৃত্বে এম.আর্চ ডিজাইন স্টুডিও 'আর্ট, কালচার অ্যান্ড আদার থিংস'-এর সময় তৈরি করেছিল। দৃষ্টির আঁকা স্থাপত্য চিত্রাঙ্কনটি সেরা নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল সম্মানিত জুরি নারিন্দর সাগু এমবিই (ফস্টার + পার্টনার্স), জিম হেভেরিন (জাহা হাদিদ আর্কিটেক্টস), উইল জনস্টন (আরএসএইচপি), স্যাম কনওয়ে (হেইস ডেভিডসন), এলিজা গ্রোসভেনর (লন্ডন ফেস্টিভ্যাল অফ আর্কিটেকচার) এবং আর্কিসোর্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ম্যানসেল হেইনস এবং এমিলি গ্লি।

    অভিনন্দন দৃষ্টি ✨
    ছবি কৃতজ্ঞতা: দৃষ্টি চাকমা
    লন্ডন এক্সিবিশনে প্রদর্শনের জন্য বুয়েট আর্কিটেকচারের এলামনাই দৃষ্টি চাকমার আঁকা স্থাপত্য চিত্রাঙ্কনটি সারা পৃথিবীর ৭,০০০ চিত্রাঙ্কন থেকে সেরা নির্বাচিত হয়েছে! তিনি এই অঙ্কনটি মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যামুয়েল হান্টারের নেতৃত্বে এম.আর্চ ডিজাইন স্টুডিও 'আর্ট, কালচার অ্যান্ড আদার থিংস'-এর সময় তৈরি করেছিল। দৃষ্টির আঁকা স্থাপত্য চিত্রাঙ্কনটি সেরা নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল সম্মানিত জুরি নারিন্দর সাগু এমবিই (ফস্টার + পার্টনার্স), জিম হেভেরিন (জাহা হাদিদ আর্কিটেক্টস), উইল জনস্টন (আরএসএইচপি), স্যাম কনওয়ে (হেইস ডেভিডসন), এলিজা গ্রোসভেনর (লন্ডন ফেস্টিভ্যাল অফ আর্কিটেকচার) এবং আর্কিসোর্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ম্যানসেল হেইনস এবং এমিলি গ্লি। অভিনন্দন দৃষ্টি ✨ ছবি কৃতজ্ঞতা: দৃষ্টি চাকমা
    0 التعليقات 0 المشاركات 183 مشاهدة
  • অটোম্যান সুলতানদের সাথে তাদের মা অর্থাৎ ভালিদে সুলতানের সম্পর্কের রুপরেখাটা বেশ ইন্টারেস্টিং।

    প্রথমতঃ পিক মোমেন্টে, অটোম্যান সুলতানরা ছিলেন নিজের একচ্ছত্র ক্ষমতা সম্পর্কে প্রচন্ডরকমের আত্মসচেতন, নিজের ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, উপাধিতে কাউকে ভাগ দিতে নারাজ ছিলেন। তারা কখনোই দাঁড়িয়ে কাউকে সম্মান দেখাতেন না। কারো কাছে মাথা নত করতেন না।

    ভালিদে সুলতানই সাম্রাজ্যের মধ্যে একমাত্র ব্যক্তি, যার উপস্থিতিতে সুলতান দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতেন। মাথা খানিকটা ঝুকিয়ে বাউ করা বা হাতে চুমু খেয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতেন। এটা একেবারেই ইউনিক, কারণ সাম্রাজ্যের আর কোন ব্যক্তি এই সম্মান পেতেন না। আবার ভালিদে সুলতানকে বলা যেতো লাস্ট সোলেস, কারণ সুলতান সাম্রাজ্যের জন্য আত্মঘাতী কোন সিদ্ধান্ত নিলে সাম্রাজ্যের উজির, উলেমারা ভালিদে সুলতানের শরণাপন্ন হতেন, যাতে করে তিনি সুলতানকে বোঝাতে পারেন।

    ভালিদে সুলতানের ক্ষমতার এই উৎস হচ্ছে, অটোম্যান ও মুসলিমদের মায়ের প্রতি ইউনিক অনুরক্তি। ইসলাম ধর্মে মায়ের বিশেষ অধিকারের কথা উল্লেখ আছে, হাদিসে বলা আছে, "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।" আর তুর্কীতে একটা কথা প্রচলিত আছে, "মায়ের হকই আল্লাহের হক"।

    তবে সুলতানের মায়েরা প্রথম দিকেই এই বিশেষ সম্মান পেতেন না। তাদেরকে বেশ অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে এই বিশেষ সম্মান পেতে। আর এই ট্রান্সফর্মেশনটা খুব একটা সুইফট ছিল না। কারণ, অটোম্যান সুলতানদের বেশিরভাগ সুলতানেরই জন্ম হয় তার পিতার উপপত্নী অর্থাৎ দাসীর গর্ভে। সেক্ষেত্রে মর্যাদার দিক থেকে সম্পর্কে মা হলেও সুলতানের মা সুলতানের অধীনস্থ হিসেবেই টৃটেড হতেন। সেক্ষেত্রে তার সন্তান সিংহাসনে বসার পর থেকে, সেখানে মা-ছেলে সম্পর্ক থেকে সুলতান-অধীনস্থ সম্পর্কটাই প্রাধান্য পেতো। অন্তত অফিশিয়ালি। তবে ধীরে ধীরে সম্পর্কের এই ভেদ ঘুচতে থাকে।

    এই ট্রান্সফর্মেশনের পার্থক্যটা টের পাওয়া যায় সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিতের মা গুলবাহার হাতুনের চিঠিতে সম্বোধন এবং সুলতান মুরাদের সময়ে ভালিদে কোসেম সুলতানের সম্বোধনে।

    গুলবাহার হাতুনের একটি চিঠি যেটা তার সন্তান সুলতান বায়েজিতের উদ্দেশ্যে লেখা, সেটা এখনো তোপকাপি আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। সেটার সম্বোধনের ভাষা যদি ডিকোড করি, এমন দাঁড়ায়, "Benim
    devletlimi göresim geldi/Benim beyciğezim.."(Oh my lord!)। (১)

    কিন্তু কোসেম সুলতান বা তুরহান সুলতানকে তাদের সন্তান(সুলতান)কে "Aslanim"(আমার সিংহ)/oglum(আমার ছেলে) হিসেবে সম্বোধন করতে দেখা যায়, যেটা স্পষ্টভাবে তাদের মর্যাদার রুপান্তরের দিকে নির্দেশ করে। (২)

    যখন থেকে সুলতানের মায়েরা "সুলতান" টাইটেল পেতে শুরু করেন মূলতঃ তখন থেকেই এই ট্রান্সফর্মেশনটা হওয়া শুরু করে। অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রথম দিকে নারীরা "হাতুন" টাইটেল পেতেন, অর্থাৎ রাজপরিবারের সুলতানিক উপাধি পেতেন। কিন্তু পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তারা রাজপরিবারের সুলতানিক ক্ষমতা এবং"সুলতান" টাইটেলের অফিশিয়াল অংশীদার হওয়া শুরু করেন। সুলতান সুলেয়মানের মা ভালিদে হাফসা সুলতানের আমল থেকে এই ক্ষমতা সুসংহত হওয়া শুরু হয়। এর সর্বোচ্চ রূপ দেখা যায় সুলতান তৃতীয় মুরাতের আমলে তার মা ভালিদে নূরবানু সুলতানের আমলে। (৩)

    সুলতান মুরাতের আমলেই অটোম্যান রাজরীতিতে ভালিদে সুলতানকে ঘিরে এক নতুন উদযাপন শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানের নাম "ভালিদে-ই-আলাঈ"। এই উদযাপনের উপলক্ষ হচ্ছে, ভালিদে সুলতানের ঘোড়ার জুড়িগাড়িতে চড়ে পুরনো প্রাসাদ(এস্কি সারায়ি) থেকে নতুন প্রাসাদে আগমন। এই উদযাপনের সবচেয়ে সম্মানজনক অনুষঙ্গটা হচ্ছে, খোদ সুলতান তার মাকে তোপকাপিতে স্বাগত জানানোর জন্য দাড়িয়ে থাকতেন এবং তার মা গাড়ি থেকে নামামাত্রই তাকে বাউ করে হাতে চুমু খেয়ে "ভালিদে সুলতান"এর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য স্বাগত জানাতেন। (৪)

    সুলতান চতুর্থ মেহমেত তার মা ভালিদে তুরহান হাতিজে সুলতানের সাথে সিংহাসন ভাগাভাগি করে বসার নজির আছে, এমনকি তার আমলেই সুলতান এবং ভালিদে সুলতানকে অফিশিয়ালি সমান ক্ষমতাধর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে পরবর্তীতে এই প্যারাডাইম বদলে যায়, ভালিদে সুলতানের ক্ষমতা কমে আসে, তবে সম্মান বা মর্যাদা একইরকম থেকে যায়। (৫)
    অটোম্যান সুলতানদের সাথে তাদের মা অর্থাৎ ভালিদে সুলতানের সম্পর্কের রুপরেখাটা বেশ ইন্টারেস্টিং। প্রথমতঃ পিক মোমেন্টে, অটোম্যান সুলতানরা ছিলেন নিজের একচ্ছত্র ক্ষমতা সম্পর্কে প্রচন্ডরকমের আত্মসচেতন, নিজের ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, উপাধিতে কাউকে ভাগ দিতে নারাজ ছিলেন। তারা কখনোই দাঁড়িয়ে কাউকে সম্মান দেখাতেন না। কারো কাছে মাথা নত করতেন না। ভালিদে সুলতানই সাম্রাজ্যের মধ্যে একমাত্র ব্যক্তি, যার উপস্থিতিতে সুলতান দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতেন। মাথা খানিকটা ঝুকিয়ে বাউ করা বা হাতে চুমু খেয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতেন। এটা একেবারেই ইউনিক, কারণ সাম্রাজ্যের আর কোন ব্যক্তি এই সম্মান পেতেন না। আবার ভালিদে সুলতানকে বলা যেতো লাস্ট সোলেস, কারণ সুলতান সাম্রাজ্যের জন্য আত্মঘাতী কোন সিদ্ধান্ত নিলে সাম্রাজ্যের উজির, উলেমারা ভালিদে সুলতানের শরণাপন্ন হতেন, যাতে করে তিনি সুলতানকে বোঝাতে পারেন। ভালিদে সুলতানের ক্ষমতার এই উৎস হচ্ছে, অটোম্যান ও মুসলিমদের মায়ের প্রতি ইউনিক অনুরক্তি। ইসলাম ধর্মে মায়ের বিশেষ অধিকারের কথা উল্লেখ আছে, হাদিসে বলা আছে, "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।" আর তুর্কীতে একটা কথা প্রচলিত আছে, "মায়ের হকই আল্লাহের হক"। তবে সুলতানের মায়েরা প্রথম দিকেই এই বিশেষ সম্মান পেতেন না। তাদেরকে বেশ অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে এই বিশেষ সম্মান পেতে। আর এই ট্রান্সফর্মেশনটা খুব একটা সুইফট ছিল না। কারণ, অটোম্যান সুলতানদের বেশিরভাগ সুলতানেরই জন্ম হয় তার পিতার উপপত্নী অর্থাৎ দাসীর গর্ভে। সেক্ষেত্রে মর্যাদার দিক থেকে সম্পর্কে মা হলেও সুলতানের মা সুলতানের অধীনস্থ হিসেবেই টৃটেড হতেন। সেক্ষেত্রে তার সন্তান সিংহাসনে বসার পর থেকে, সেখানে মা-ছেলে সম্পর্ক থেকে সুলতান-অধীনস্থ সম্পর্কটাই প্রাধান্য পেতো। অন্তত অফিশিয়ালি। তবে ধীরে ধীরে সম্পর্কের এই ভেদ ঘুচতে থাকে। এই ট্রান্সফর্মেশনের পার্থক্যটা টের পাওয়া যায় সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিতের মা গুলবাহার হাতুনের চিঠিতে সম্বোধন এবং সুলতান মুরাদের সময়ে ভালিদে কোসেম সুলতানের সম্বোধনে। গুলবাহার হাতুনের একটি চিঠি যেটা তার সন্তান সুলতান বায়েজিতের উদ্দেশ্যে লেখা, সেটা এখনো তোপকাপি আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। সেটার সম্বোধনের ভাষা যদি ডিকোড করি, এমন দাঁড়ায়, "Benim devletlimi göresim geldi/Benim beyciğezim.."(Oh my lord!)। (১) কিন্তু কোসেম সুলতান বা তুরহান সুলতানকে তাদের সন্তান(সুলতান)কে "Aslanim"(আমার সিংহ)/oglum(আমার ছেলে) হিসেবে সম্বোধন করতে দেখা যায়, যেটা স্পষ্টভাবে তাদের মর্যাদার রুপান্তরের দিকে নির্দেশ করে। (২) যখন থেকে সুলতানের মায়েরা "সুলতান" টাইটেল পেতে শুরু করেন মূলতঃ তখন থেকেই এই ট্রান্সফর্মেশনটা হওয়া শুরু করে। অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রথম দিকে নারীরা "হাতুন" টাইটেল পেতেন, অর্থাৎ রাজপরিবারের সুলতানিক উপাধি পেতেন। কিন্তু পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তারা রাজপরিবারের সুলতানিক ক্ষমতা এবং"সুলতান" টাইটেলের অফিশিয়াল অংশীদার হওয়া শুরু করেন। সুলতান সুলেয়মানের মা ভালিদে হাফসা সুলতানের আমল থেকে এই ক্ষমতা সুসংহত হওয়া শুরু হয়। এর সর্বোচ্চ রূপ দেখা যায় সুলতান তৃতীয় মুরাতের আমলে তার মা ভালিদে নূরবানু সুলতানের আমলে। (৩) সুলতান মুরাতের আমলেই অটোম্যান রাজরীতিতে ভালিদে সুলতানকে ঘিরে এক নতুন উদযাপন শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানের নাম "ভালিদে-ই-আলাঈ"। এই উদযাপনের উপলক্ষ হচ্ছে, ভালিদে সুলতানের ঘোড়ার জুড়িগাড়িতে চড়ে পুরনো প্রাসাদ(এস্কি সারায়ি) থেকে নতুন প্রাসাদে আগমন। এই উদযাপনের সবচেয়ে সম্মানজনক অনুষঙ্গটা হচ্ছে, খোদ সুলতান তার মাকে তোপকাপিতে স্বাগত জানানোর জন্য দাড়িয়ে থাকতেন এবং তার মা গাড়ি থেকে নামামাত্রই তাকে বাউ করে হাতে চুমু খেয়ে "ভালিদে সুলতান"এর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য স্বাগত জানাতেন। (৪) সুলতান চতুর্থ মেহমেত তার মা ভালিদে তুরহান হাতিজে সুলতানের সাথে সিংহাসন ভাগাভাগি করে বসার নজির আছে, এমনকি তার আমলেই সুলতান এবং ভালিদে সুলতানকে অফিশিয়ালি সমান ক্ষমতাধর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে পরবর্তীতে এই প্যারাডাইম বদলে যায়, ভালিদে সুলতানের ক্ষমতা কমে আসে, তবে সম্মান বা মর্যাদা একইরকম থেকে যায়। (৫)
    0 التعليقات 0 المشاركات 188 مشاهدة
  • 🌿 তেলাকুচা পাতার ৩০টি দৈনন্দিন ব্যবহারের টিপস

    🏥 স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

    1. 🤒 জ্বর কমাতে
    ব্যবহার পদ্ধতি: ৫-৭টি তেলাকুচা পাতা ১ কাপ পানিতে সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা করে দিনে ২-৩ বার পান করুন।

    2. 🤧 সর্দি-কাশিতে
    ব্যবহার পদ্ধতি:* তেলাকুচা পাতার রস ১ চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার খান।

    3. 🩸 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
    ব্যবহার পদ্ধতি:প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩-৪টি কাঁচা তেলাকুচা পাতা চিবিয়ে খান।

    4. 💊 উচ্চ রক্তচাপ কমাতে
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস ২ চা চামচ দিনে একবার পান করুন।

    5. 🦷 দাঁতের ব্যথায়
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা চিবিয়ে রস দাঁতের ব্যথার স্থানে লাগান।

    6. 🔥 পেট জ্বালাপোড়ায়
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস ১ চা চামচ ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে পান করুন।

    7. 🤕 মাথাব্যথায়
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা বেটে কপালে লেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

    8. 💔 হৃদরোগ প্রতিরোধে
    ব্যবহার পদ্ধতি: সপ্তাহে ৩-৪ দিন তেলাকুচা পাতার চা পান করুন।

    🌟 ত্বক ও সৌন্দর্য

    9. ✨ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে
    ব্যবহার পদ্ধতি:তেলাকুচা পাতা বেটে মুখে মাস্ক হিসেবে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

    10. 🎯 ব্রণের দাগ দূর করতে
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস সরাসরি ব্রণের দাগে লাগান। রাতে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন।

    11. 🌺 ত্বকের কালো দাগ দূর করতে
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে দাগে লাগান।

    12. 💆‍♀️ চুলের স্বাস্থ্যের জন্য
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস মাথার ত্বকে মালিশ করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন।

    🏠 ঘরোয়া ব্যবহার

    13. 🦟 মশা তাড়ানোর জন্য
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া তৈরি করুন বা পানিতে সিদ্ধ করে স্প্রে করুন।

    14. 🐛 পোকামাকড় তাড়াতে
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা ঘরের কোণে রেখে দিন বা পাতার রস স্প্রে করুন।

    15. 🌿 প্রাকৃতিক এয়ার ফ্রেশনার
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি ঘরে ছিটিয়ে দিন।

    16. 🧽 প্রাকৃতিক ক্লিনার
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস পানির সাথে মিশিয়ে কাচ ও আয়না পরিষ্কার করুন।

    🍽️ খাবার ও পুষ্টি

    17. 🥗 সালাদে ব্যবহার
    ব্যবহার পদ্ধতি: কচি তেলাকুচা পাতা ধুয়ে সালাদের সাথে মিশিয়ে খান।

    18. 🍵 হারবাল চা তৈরি
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে চায়ের সাথে মিশিয়ে পান করুন।

    19. 🥘 তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে
    ব্যবহার পদ্ধতি: রান্নার শেষে কয়েকটি তেলাকুচা পাতা দিয়ে দিন।

    20. 🧄 মসলা হিসেবে
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে মসলা হিসেবে ব্যবহার করুন।

    🌱 বাগান ও কৃষি

    21. 🌾 প্রাকৃতিক কীটনাশক
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস পানিতে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করুন।

    22. 🌳 মাটির উর্বরতা বাড়াতে
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা পচিয়ে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করুন।

    23. 🐌 শামুক-গুগলি তাড়াতে
    ব্যবহার পদ্ধতি: গাছের গোড়ায় তেলাকুচা পাতা বিছিয়ে দিন।

    🚿 পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন

    24. 🛁 প্রাকৃতিক সাবান
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা বেটে গোসলের সময় সাবানের পরিবর্তে ব্যবহার করুন।

    25. 🦶 পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা সিদ্ধ পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন।

    26. 🧴 প্রাকৃতিক শ্যাম্পু
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস পানির সাথে মিশিয়ে চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন।

    🔧 বিশেষ প্রয়োগ

    27. 📦 খাবার সংরক্ষণে
    ব্যবহার পদ্ধতি: চাল, ডালের পাত্রে তেলাকুচা পাতা রেখে দিন পোকা থেকে রক্ষার জন্য।

    28. 🎨 প্রাকৃতিক রং তৈরি
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস থেকে সবুজ রং তৈরি করে কাপড় রাঙানোর কাজে ব্যবহার করুন।

    29. 🔥 প্রাকৃতিক জ্বালানি
    ব্যবহার পদ্ধতি: শুকনো তেলাকুচা পাতা চুলায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করুন।

    30. 🌊 পানি পরিশোধনে
    ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা পানিতে ফেলে রেখে দিলে পানির ক্ষতিকর জীবাণু মারা যায়।

    ⚠️ সতর্কতা:
    - প্রথমবার ব্যবহারের আগে অল্প পরিমাণে পরীক্ষা করুন
    - অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
    - গর্ভবতী মহিলারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
    - অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহার করবেন না

    💡 মনে রাখবেন:
    তেলাকুচা পাতা প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার। এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করে আমরা আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারি এবং রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার কমাতে পারি।
    🌿 তেলাকুচা পাতার ৩০টি দৈনন্দিন ব্যবহারের টিপস 🏥 স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা 1. 🤒 জ্বর কমাতে ব্যবহার পদ্ধতি: ৫-৭টি তেলাকুচা পাতা ১ কাপ পানিতে সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা করে দিনে ২-৩ বার পান করুন। 2. 🤧 সর্দি-কাশিতে ব্যবহার পদ্ধতি:* তেলাকুচা পাতার রস ১ চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার খান। 3. 🩸 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার পদ্ধতি:প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩-৪টি কাঁচা তেলাকুচা পাতা চিবিয়ে খান। 4. 💊 উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস ২ চা চামচ দিনে একবার পান করুন। 5. 🦷 দাঁতের ব্যথায় ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা চিবিয়ে রস দাঁতের ব্যথার স্থানে লাগান। 6. 🔥 পেট জ্বালাপোড়ায় ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস ১ চা চামচ ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে পান করুন। 7. 🤕 মাথাব্যথায় ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা বেটে কপালে লেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। 8. 💔 হৃদরোগ প্রতিরোধে ব্যবহার পদ্ধতি: সপ্তাহে ৩-৪ দিন তেলাকুচা পাতার চা পান করুন। 🌟 ত্বক ও সৌন্দর্য 9. ✨ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার পদ্ধতি:তেলাকুচা পাতা বেটে মুখে মাস্ক হিসেবে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। 10. 🎯 ব্রণের দাগ দূর করতে ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস সরাসরি ব্রণের দাগে লাগান। রাতে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন। 11. 🌺 ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে দাগে লাগান। 12. 💆‍♀️ চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস মাথার ত্বকে মালিশ করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন। 🏠 ঘরোয়া ব্যবহার 13. 🦟 মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া তৈরি করুন বা পানিতে সিদ্ধ করে স্প্রে করুন। 14. 🐛 পোকামাকড় তাড়াতে ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা ঘরের কোণে রেখে দিন বা পাতার রস স্প্রে করুন। 15. 🌿 প্রাকৃতিক এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি ঘরে ছিটিয়ে দিন। 16. 🧽 প্রাকৃতিক ক্লিনার ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস পানির সাথে মিশিয়ে কাচ ও আয়না পরিষ্কার করুন। 🍽️ খাবার ও পুষ্টি 17. 🥗 সালাদে ব্যবহার ব্যবহার পদ্ধতি: কচি তেলাকুচা পাতা ধুয়ে সালাদের সাথে মিশিয়ে খান। 18. 🍵 হারবাল চা তৈরি ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে চায়ের সাথে মিশিয়ে পান করুন। 19. 🥘 তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার পদ্ধতি: রান্নার শেষে কয়েকটি তেলাকুচা পাতা দিয়ে দিন। 20. 🧄 মসলা হিসেবে ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে মসলা হিসেবে ব্যবহার করুন। 🌱 বাগান ও কৃষি 21. 🌾 প্রাকৃতিক কীটনাশক ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস পানিতে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করুন। 22. 🌳 মাটির উর্বরতা বাড়াতে ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা পচিয়ে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করুন। 23. 🐌 শামুক-গুগলি তাড়াতে ব্যবহার পদ্ধতি: গাছের গোড়ায় তেলাকুচা পাতা বিছিয়ে দিন। 🚿 পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন 24. 🛁 প্রাকৃতিক সাবান ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা বেটে গোসলের সময় সাবানের পরিবর্তে ব্যবহার করুন। 25. 🦶 পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা সিদ্ধ পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। 26. 🧴 প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস পানির সাথে মিশিয়ে চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন। 🔧 বিশেষ প্রয়োগ 27. 📦 খাবার সংরক্ষণে ব্যবহার পদ্ধতি: চাল, ডালের পাত্রে তেলাকুচা পাতা রেখে দিন পোকা থেকে রক্ষার জন্য। 28. 🎨 প্রাকৃতিক রং তৈরি ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতার রস থেকে সবুজ রং তৈরি করে কাপড় রাঙানোর কাজে ব্যবহার করুন। 29. 🔥 প্রাকৃতিক জ্বালানি ব্যবহার পদ্ধতি: শুকনো তেলাকুচা পাতা চুলায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করুন। 30. 🌊 পানি পরিশোধনে ব্যবহার পদ্ধতি: তেলাকুচা পাতা পানিতে ফেলে রেখে দিলে পানির ক্ষতিকর জীবাণু মারা যায়। ⚠️ সতর্কতা: - প্রথমবার ব্যবহারের আগে অল্প পরিমাণে পরীক্ষা করুন - অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন - গর্ভবতী মহিলারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন - অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহার করবেন না 💡 মনে রাখবেন: তেলাকুচা পাতা প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার। এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করে আমরা আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারি এবং রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার কমাতে পারি।
    0 التعليقات 0 المشاركات 148 مشاهدة
  • ধোলাভিরা গুজরাট হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শনএখানে আজও আছে ।
    সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা (প্রায় 3300-1700 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), যা হরপ্পা সভ্যতা নামেও পরিচিত, এটি ছিল প্রাচীনতম নগর সভ্যতার মধ্যে একটি, যা মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং চীনের সভ্যতার সাথে মোটামুটি সমসাময়িক। এটি বর্তমানে পাকিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে সিন্ধু নদীর বন্যা সমভূমিতে অবস্থিত ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশে আরেকটি নগর সভ্যতার উত্থানের জন্য হরপ্পা সভ্যতার পতনের পর হাজার বছর সময় লেগেছে এই সত্য থেকে হরপ্পানদের পরিশীলিততা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রশংসা করা যায়। ধোলাভিরা হল একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যা ভারতের গুজরাটের কচ্ছের রণে অবস্থিত। প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎপতি যোশী এটি আবিষ্কার করেন। ধোলাভিরাকে সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং 27 জুলাই 2021-এ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের ট্যাগ দেওয়া ভারতের 40 তম সম্পদ হয়ে উঠেছে।
    ধোলাভিরা হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি নির্ভেজাল এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নগর বসতি।
    ধোলাভিরা 4500 বছর পুরানো বলে মনে করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক জগৎ পতি যোশী এটি 1967 সালে একটি টিলার উপর আবিষ্কার করেন। তবে, 1990 সালে এটির পদ্ধতিগত খনন করা হয়েছিল।
    ধোলাভিরা বর্তমান কালের ধোলাভিরা গ্রামের কাছে কর্কটক্রান্তির উপর অবস্থিত (এটির নাম ধোলাভিরা গ্রাম থেকে এসেছে), যা খাদির বেট দ্বীপে অবস্থিত। গুজরাটের কচ্ছ জেলায় এই দ্বীপটি অবস্থিত।
    যদিও বেশিরভাগ হরপ্পান শহরগুলি নদী বা অন্যান্য জলের উত্সের কাছে পাওয়া গিয়েছিল, ধোলাভীরা একটি দ্বীপে অবস্থিত। এর পেছনের প্রধান কারণগুলো হলো-
    কৌশলগতভাবে কাঁচামাল এবং বিভিন্ন খনিজ (স্টেটাইট, তামার খোল, অ্যাগেট-কারনেলিয়ান, সীসা, ব্যান্ডেড চুনাপাথর ইত্যাদি) ব্যবহার করা।
    অঞ্চলের মধ্যে একটি মসৃণ বাণিজ্য সহজতর করার জন্য এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চল এবং মেগানের সাথে বাহ্যিকভাবে বাণিজ্য করার জন্য। ধোলাভিরা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির মধ্যে একটি, প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎ পতি যোশী আবিষ্কৃত এবং এর স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। এর মধ্যে রয়েছে:
    বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে- সোনা ও তামা, মাছের হুক, সিল, পুঁতি, পোড়ামাটির মৃৎপাত্র, কলস, পশুর মূর্তি ইত্যাদি।
    কাঠের জীবাশ্মগুলি প্রাচীন শহরের কাছে একটি ফসিল পার্কে সংরক্ষিত ছিল।
    প্রত্নতত্ত্ববিদরা 10টি বড় পাথরের শিলালিপি খুঁজে পেয়েছেন। এগুলি সিন্ধু উপত্যকা লিপিতে খোদাই করা বিশ্বের প্রাচীনতম সাইন বোর্ড বলে মনে করা হয়।
    সেখানে কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
    এই আবিষ্কারগুলি ছাড়াও, ধোলাভিরা তার বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য বিখ্যাত যার মধ্যে রয়েছে
    বাইরের দুর্গ।
    9টি অনন্যভাবে ডিজাইন করা গেট।
    জলাধারের ক্যাসকেডিং সিরিজ।
    দুটি বহুমুখী স্থল।
    বহু-স্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
    অর্ধগোলাকার গঠন।
    #Harappa #indusvalleycivilization #indusvalley #gujarat
    ধোলাভিরা গুজরাট হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শনএখানে আজও আছে । সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা (প্রায় 3300-1700 খ্রিস্টপূর্বাব্দ), যা হরপ্পা সভ্যতা নামেও পরিচিত, এটি ছিল প্রাচীনতম নগর সভ্যতার মধ্যে একটি, যা মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং চীনের সভ্যতার সাথে মোটামুটি সমসাময়িক। এটি বর্তমানে পাকিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে সিন্ধু নদীর বন্যা সমভূমিতে অবস্থিত ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশে আরেকটি নগর সভ্যতার উত্থানের জন্য হরপ্পা সভ্যতার পতনের পর হাজার বছর সময় লেগেছে এই সত্য থেকে হরপ্পানদের পরিশীলিততা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রশংসা করা যায়। ধোলাভিরা হল একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যা ভারতের গুজরাটের কচ্ছের রণে অবস্থিত। প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎপতি যোশী এটি আবিষ্কার করেন। ধোলাভিরাকে সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং 27 জুলাই 2021-এ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের ট্যাগ দেওয়া ভারতের 40 তম সম্পদ হয়ে উঠেছে। ধোলাভিরা হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি নির্ভেজাল এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নগর বসতি। ধোলাভিরা 4500 বছর পুরানো বলে মনে করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক জগৎ পতি যোশী এটি 1967 সালে একটি টিলার উপর আবিষ্কার করেন। তবে, 1990 সালে এটির পদ্ধতিগত খনন করা হয়েছিল। ধোলাভিরা বর্তমান কালের ধোলাভিরা গ্রামের কাছে কর্কটক্রান্তির উপর অবস্থিত (এটির নাম ধোলাভিরা গ্রাম থেকে এসেছে), যা খাদির বেট দ্বীপে অবস্থিত। গুজরাটের কচ্ছ জেলায় এই দ্বীপটি অবস্থিত। যদিও বেশিরভাগ হরপ্পান শহরগুলি নদী বা অন্যান্য জলের উত্সের কাছে পাওয়া গিয়েছিল, ধোলাভীরা একটি দ্বীপে অবস্থিত। এর পেছনের প্রধান কারণগুলো হলো- কৌশলগতভাবে কাঁচামাল এবং বিভিন্ন খনিজ (স্টেটাইট, তামার খোল, অ্যাগেট-কারনেলিয়ান, সীসা, ব্যান্ডেড চুনাপাথর ইত্যাদি) ব্যবহার করা। অঞ্চলের মধ্যে একটি মসৃণ বাণিজ্য সহজতর করার জন্য এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চল এবং মেগানের সাথে বাহ্যিকভাবে বাণিজ্য করার জন্য। ধোলাভিরা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির মধ্যে একটি, প্রত্নতত্ত্ববিদ জগৎ পতি যোশী আবিষ্কৃত এবং এর স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। এর মধ্যে রয়েছে: বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে- সোনা ও তামা, মাছের হুক, সিল, পুঁতি, পোড়ামাটির মৃৎপাত্র, কলস, পশুর মূর্তি ইত্যাদি। কাঠের জীবাশ্মগুলি প্রাচীন শহরের কাছে একটি ফসিল পার্কে সংরক্ষিত ছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদরা 10টি বড় পাথরের শিলালিপি খুঁজে পেয়েছেন। এগুলি সিন্ধু উপত্যকা লিপিতে খোদাই করা বিশ্বের প্রাচীনতম সাইন বোর্ড বলে মনে করা হয়। সেখানে কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। এই আবিষ্কারগুলি ছাড়াও, ধোলাভিরা তার বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য বিখ্যাত যার মধ্যে রয়েছে বাইরের দুর্গ। 9টি অনন্যভাবে ডিজাইন করা গেট। জলাধারের ক্যাসকেডিং সিরিজ। দুটি বহুমুখী স্থল। বহু-স্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অর্ধগোলাকার গঠন। #Harappa #indusvalleycivilization #indusvalley #gujarat
    0 التعليقات 0 المشاركات 439 مشاهدة
  • এই হল দক্ষিণের ভূবনগরী দুর্গ যার অসাধারণ স্থাপত্য সম্পর্কে আমাদের ইতিহাস বই খুব বেশি কিছু বলে না, যতটা বলে দিল্লি অথবা আগ্রার যে কোনো একটি সাধারণ সৌধ সম্পর্কে। পশ্চিম চালুক্য রাজবংশের শাসক ত্রিভুবনমল্ল ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্য কর্তৃক তৈরী করা হয়েছিল এই মহান স্থাপত্য। এটি আসলে খোদাই করা হয়েছিল বিচ্ছিন্ন একটি মাত্র বিশাল আকারের শিলাখন্ড থেকে। যাকে বলে মনোলিথিক স্ট্রাকচার। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠাতা ত্রিভুবনমল্ল'এর নামানুসারে এই দুর্গের ত্রিভুবনগিরি নামকরণ করা হয়েছিল। তবে এই নামটি ধীরে ধীরে ভুবনগিরি এবং তারও পরে কেবল ভৌঙ্গির নামে পরিচিত হয়।
    পরবর্তী কালে অবশ্য দুর্গটি কাকাতীয় বংশের রানি রুদ্রমাদেবী এবং তার নাতি প্রতাপরুদ্রের শাসনের অধীনে চলে আসে।
    এই হল দক্ষিণের ভূবনগরী দুর্গ যার অসাধারণ স্থাপত্য সম্পর্কে আমাদের ইতিহাস বই খুব বেশি কিছু বলে না, যতটা বলে দিল্লি অথবা আগ্রার যে কোনো একটি সাধারণ সৌধ সম্পর্কে। পশ্চিম চালুক্য রাজবংশের শাসক ত্রিভুবনমল্ল ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্য কর্তৃক তৈরী করা হয়েছিল এই মহান স্থাপত্য। এটি আসলে খোদাই করা হয়েছিল বিচ্ছিন্ন একটি মাত্র বিশাল আকারের শিলাখন্ড থেকে। যাকে বলে মনোলিথিক স্ট্রাকচার। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠাতা ত্রিভুবনমল্ল'এর নামানুসারে এই দুর্গের ত্রিভুবনগিরি নামকরণ করা হয়েছিল। তবে এই নামটি ধীরে ধীরে ভুবনগিরি এবং তারও পরে কেবল ভৌঙ্গির নামে পরিচিত হয়। পরবর্তী কালে অবশ্য দুর্গটি কাকাতীয় বংশের রানি রুদ্রমাদেবী এবং তার নাতি প্রতাপরুদ্রের শাসনের অধীনে চলে আসে।
    Wow
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 164 مشاهدة
  • Irish Elk –আইরিশ হরিণঃ পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম হরিণ

    ভাবুন তো, একসময় পৃথিবীতে এমন এক হরিণ বিচরণ করত, যার উচ্চতা ছিল প্রায় দুই মিটার এবং শরীরের দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন মিটারেরও বেশি! শুধু তাই নয়, এদের শিংয়ের বিস্তৃতি ছিল প্রায় সাড়ে তিন মিটার, যা একটি ছোট গাড়ির প্রস্থের সমান। এরা হলো আইরিশ এলক বা আইরিশ হরিণ, বৈজ্ঞানিক নাম Megaloceros giganteus। এই নামের অর্থই হলো “বৃহৎ শিংওয়ালা দানব”। যদিও এরা এখন বিলুপ্ত, তবুও বিজ্ঞানীরা তাদেরকে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম হরিণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    আইরিশ এলক আসলে শুধুমাত্র আয়ারল্যান্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বরফ যুগে এরা ইউরোপ, এশিয়া এমনকি সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়েই বিচরণ করত। আয়ারল্যান্ডে তাদের জীবাশ্ম সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে বলেই এদের নাম হয়েছে আইরিশ এলক। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৭,৭০০ বছর আগে এই মহিমান্বিত প্রাণীর পৃথিবী থেকে বিলুপ্তি ঘটে।

    এদের শারীরিক গঠন ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। ওজন গড়ে ৫৪০ থেকে ৬০০ কেজি পর্যন্ত হতো। পুরুষ হরিণদের শিং এতটাই বিশাল ছিল যে, তার ওজনই হতে পারত প্রায় ৪০ কেজি। এই বিশাল শিং মূলত ছিল প্রদর্শনী ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য, যা স্ত্রী হরিণকে আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।

    বিজ্ঞানীরা ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, আইরিশ এলক বর্তমান হরিণ পরিবারের সাথেই সম্পর্কিত। তবে, আকারে তারা এতটাই বিশাল ছিল যে আজকের দিনে কোনো হরিণ প্রজাতিই তাদের সমকক্ষ নয়।

    তাদের খাদ্যাভ্যাস ছিল মূলত তৃণভোজী। গবেষণা বলছে, তারা খেত ঘাস, ঝোপঝাড় ও বনাঞ্চলের কচি ডালপালা। তবে বরফ যুগ শেষে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বনাঞ্চল কমে গিয়ে ঘাসভূমি বিলীন হতে শুরু করে। এর ফলে তাদের খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। একই সঙ্গে মানুষ যখন ধীরে ধীরে শিকার শুরু করল, তখন এই প্রাণীর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও মানুষের শিকারের চাপ—এই দুই কারণেই তাদের বিলুপ্তি ঘটে।

    আইরিশ এলক আমাদের জন্য এক বিরল শিক্ষা রেখে গেছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ প্রাণীও যদি পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারে, তবে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আজকের দিনে যখন জলবায়ু পরিবর্তন ও বন উজাড় আমাদের জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে, তখন আইরিশ হরিণের বিলুপ্তির গল্প আমাদের জন্য এক সতর্কবার্তা।

    আমরা যদি প্রকৃতির প্রতি যত্নবান হই এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সচেষ্ট হই, তবে বর্তমানের অনেক বিপন্ন প্রাণীকেও বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। তাই সচেতন হই, প্রকৃতিকে ভালোবাসি এবং প্রতিটি প্রাণীকে টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখি।

    “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান।

    #ঘড়িয়ালবাংলা #IrishElk #আইরিশহরিণ #বিলুপ্তপ্রাণী #ScienceFacts #WildlifeHistory #NatureConservation #GhorialBangla
    Irish Elk –আইরিশ হরিণঃ পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম হরিণ ভাবুন তো, একসময় পৃথিবীতে এমন এক হরিণ বিচরণ করত, যার উচ্চতা ছিল প্রায় দুই মিটার এবং শরীরের দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন মিটারেরও বেশি! শুধু তাই নয়, এদের শিংয়ের বিস্তৃতি ছিল প্রায় সাড়ে তিন মিটার, যা একটি ছোট গাড়ির প্রস্থের সমান। এরা হলো আইরিশ এলক বা আইরিশ হরিণ, বৈজ্ঞানিক নাম Megaloceros giganteus। এই নামের অর্থই হলো “বৃহৎ শিংওয়ালা দানব”। যদিও এরা এখন বিলুপ্ত, তবুও বিজ্ঞানীরা তাদেরকে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম হরিণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আইরিশ এলক আসলে শুধুমাত্র আয়ারল্যান্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বরফ যুগে এরা ইউরোপ, এশিয়া এমনকি সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়েই বিচরণ করত। আয়ারল্যান্ডে তাদের জীবাশ্ম সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে বলেই এদের নাম হয়েছে আইরিশ এলক। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৭,৭০০ বছর আগে এই মহিমান্বিত প্রাণীর পৃথিবী থেকে বিলুপ্তি ঘটে। এদের শারীরিক গঠন ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। ওজন গড়ে ৫৪০ থেকে ৬০০ কেজি পর্যন্ত হতো। পুরুষ হরিণদের শিং এতটাই বিশাল ছিল যে, তার ওজনই হতে পারত প্রায় ৪০ কেজি। এই বিশাল শিং মূলত ছিল প্রদর্শনী ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য, যা স্ত্রী হরিণকে আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। বিজ্ঞানীরা ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, আইরিশ এলক বর্তমান হরিণ পরিবারের সাথেই সম্পর্কিত। তবে, আকারে তারা এতটাই বিশাল ছিল যে আজকের দিনে কোনো হরিণ প্রজাতিই তাদের সমকক্ষ নয়। তাদের খাদ্যাভ্যাস ছিল মূলত তৃণভোজী। গবেষণা বলছে, তারা খেত ঘাস, ঝোপঝাড় ও বনাঞ্চলের কচি ডালপালা। তবে বরফ যুগ শেষে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বনাঞ্চল কমে গিয়ে ঘাসভূমি বিলীন হতে শুরু করে। এর ফলে তাদের খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। একই সঙ্গে মানুষ যখন ধীরে ধীরে শিকার শুরু করল, তখন এই প্রাণীর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও মানুষের শিকারের চাপ—এই দুই কারণেই তাদের বিলুপ্তি ঘটে। আইরিশ এলক আমাদের জন্য এক বিরল শিক্ষা রেখে গেছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ প্রাণীও যদি পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারে, তবে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আজকের দিনে যখন জলবায়ু পরিবর্তন ও বন উজাড় আমাদের জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে, তখন আইরিশ হরিণের বিলুপ্তির গল্প আমাদের জন্য এক সতর্কবার্তা। আমরা যদি প্রকৃতির প্রতি যত্নবান হই এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সচেষ্ট হই, তবে বর্তমানের অনেক বিপন্ন প্রাণীকেও বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। তাই সচেতন হই, প্রকৃতিকে ভালোবাসি এবং প্রতিটি প্রাণীকে টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখি। “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান। #ঘড়িয়ালবাংলা #IrishElk #আইরিশহরিণ #বিলুপ্তপ্রাণী #ScienceFacts #WildlifeHistory #NatureConservation #GhorialBangla
    0 التعليقات 0 المشاركات 517 مشاهدة
  • যেটাকে আপনি “ফেলে দেওয়া জিনিস” ভাবছেন…
    সেটাই হয়তো হতে পারে আপনার জীবনের সবচেয়ে লাভজনক প্রোডাক্ট!

    মাছ নেয়ার পর ফেলে দেওয়া মাছের আশ (Fish Maw) বিদেশে বিক্রি হয় সোনার দামে।

    আর রাস্তার পাশে, পুকুরে ভেসে থাকা কচুরিপানা (Water Hyacinth) সেটা দিয়ে তৈরি হচ্ছে হোম ডেকোর, ব্যাগ, ম্যাট, এবং সবই যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার মার্কেট।

    মাছের আশ সাদা সোনা!

    যেটা আপনি বাজারে কাটার সময় ফেলে দেন, সেটা চায়না, হংকং, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডের রেস্টুরেন্টে ১০০ ডলারের উপরে বিক্রি হয়!

    ✅ মাছের পেটের ভেতর থাকা স্নায়বহুল অংশ
    ✅ শুকিয়ে, ক্লিন করে, গ্রেডিং করে রপ্তানি হয়
    ✅ ড্রাই ফুড, মেডিসিন, সুপ, কসমেটিকসেও ব্যবহার হয়
    ✅ প্রতি কেজি দাম ১০০০–৩০০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে!

    কচুরিপানা গৃহস্থের ঝামেলা নয়, এক্সপোর্টের সম্ভাবনা!

    আপনি যেটাকে আগাছা ভাবেন, সেটাই ইউরোপে ইকো-ফ্রেন্ডলি হ্যান্ডিক্রাফ্টস এর কাঁচামাল।

    ✅ কচুরিপানা শুকিয়ে বাঁশ/পাটের মতো ব্যবহার হয়
    ✅ ব্যাগ, ম্যাট, হোম ডেকোর, সোফা কাভার তৈরি হয়
    ✅ ইউরোপ, জার্মানি, সুইডেন, ইতালিতে রপ্তানি হয়
    ✅ বিদেশি বায়ারদের স্পেশাল অর্ডার আসে Eco Products হিসেবে

    আপনি যদি কম বাজেটের রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে চান…

    এই দুইটা পণ্য হতে পারে আপনার গেইমচেঞ্জার!

    ✈️ রপ্তানির জন্য দরকার নেই বিশাল টাকা।
    ✈️ দরকার নেই বড় টিম।
    ✈️ শুধু দরকার সঠিক প্যাকিং, সোর্সিং এবং একজান বায়ার।

    শুরু করবেন কীভাবে?

    ১. মাছ বাজারে/হ্যাচারিতে গিয়ে মাছের আশ আলাদা করে ক্লিন করা শিখুন
    ২. স্থানীয়ভাবে কচুরিপানা সংগ্রহ করে শুকানোর ও প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা নিন
    ৩. ফেসবুক, গুগল, আলিবাবা, এক্সপোর্ট ফোরাম বা বিজনেস মেলা থেকে বায়ার খুঁজুন
    ৪. ১০-২০ কেজি বা ছোট চালান দিয়েই শুরু করুন

    যারা আজ কোটি টাকার রপ্তানিকারক, তারা শুরু করেছিল সিম্পল একটা শিপমেন্ট থেকে ।

    আপনিও পারবেন।

    বাংলাদেশের মাটিতে এমন অনেক রপ্তানিযোগ্য পণ্য আছে, যেগুলো আমাদের চোখের সামনেই পড়ে থাকে, কিন্তু চাহিদা বিশ্বের বড় বড় মার্কেটে।

    এবার সময় নিজে কিছু করার।

    #রপ্তানি
    #মাছেরআশ
    #কচুরিপানা
    #bdexport
    #lowinvestmentbusiness
    #exportfrombangladesh
    #businessopportunity
    #ecoexport
    #byabshapath
    #localtointernational
    যেটাকে আপনি “ফেলে দেওয়া জিনিস” ভাবছেন… সেটাই হয়তো হতে পারে আপনার জীবনের সবচেয়ে লাভজনক প্রোডাক্ট! মাছ নেয়ার পর ফেলে দেওয়া মাছের আশ (Fish Maw) বিদেশে বিক্রি হয় সোনার দামে। আর রাস্তার পাশে, পুকুরে ভেসে থাকা কচুরিপানা (Water Hyacinth) সেটা দিয়ে তৈরি হচ্ছে হোম ডেকোর, ব্যাগ, ম্যাট, এবং সবই যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার মার্কেট। মাছের আশ সাদা সোনা! যেটা আপনি বাজারে কাটার সময় ফেলে দেন, সেটা চায়না, হংকং, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডের রেস্টুরেন্টে ১০০ ডলারের উপরে বিক্রি হয়! ✅ মাছের পেটের ভেতর থাকা স্নায়বহুল অংশ ✅ শুকিয়ে, ক্লিন করে, গ্রেডিং করে রপ্তানি হয় ✅ ড্রাই ফুড, মেডিসিন, সুপ, কসমেটিকসেও ব্যবহার হয় ✅ প্রতি কেজি দাম ১০০০–৩০০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে! কচুরিপানা গৃহস্থের ঝামেলা নয়, এক্সপোর্টের সম্ভাবনা! আপনি যেটাকে আগাছা ভাবেন, সেটাই ইউরোপে ইকো-ফ্রেন্ডলি হ্যান্ডিক্রাফ্টস এর কাঁচামাল। ✅ কচুরিপানা শুকিয়ে বাঁশ/পাটের মতো ব্যবহার হয় ✅ ব্যাগ, ম্যাট, হোম ডেকোর, সোফা কাভার তৈরি হয় ✅ ইউরোপ, জার্মানি, সুইডেন, ইতালিতে রপ্তানি হয় ✅ বিদেশি বায়ারদের স্পেশাল অর্ডার আসে Eco Products হিসেবে আপনি যদি কম বাজেটের রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে চান… এই দুইটা পণ্য হতে পারে আপনার গেইমচেঞ্জার! ✈️ রপ্তানির জন্য দরকার নেই বিশাল টাকা। ✈️ দরকার নেই বড় টিম। ✈️ শুধু দরকার সঠিক প্যাকিং, সোর্সিং এবং একজান বায়ার। শুরু করবেন কীভাবে? ১. মাছ বাজারে/হ্যাচারিতে গিয়ে মাছের আশ আলাদা করে ক্লিন করা শিখুন ২. স্থানীয়ভাবে কচুরিপানা সংগ্রহ করে শুকানোর ও প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা নিন ৩. ফেসবুক, গুগল, আলিবাবা, এক্সপোর্ট ফোরাম বা বিজনেস মেলা থেকে বায়ার খুঁজুন ৪. ১০-২০ কেজি বা ছোট চালান দিয়েই শুরু করুন যারা আজ কোটি টাকার রপ্তানিকারক, তারা শুরু করেছিল সিম্পল একটা শিপমেন্ট থেকে । আপনিও পারবেন। বাংলাদেশের মাটিতে এমন অনেক রপ্তানিযোগ্য পণ্য আছে, যেগুলো আমাদের চোখের সামনেই পড়ে থাকে, কিন্তু চাহিদা বিশ্বের বড় বড় মার্কেটে। এবার সময় নিজে কিছু করার। #রপ্তানি #মাছেরআশ #কচুরিপানা #bdexport #lowinvestmentbusiness #exportfrombangladesh #businessopportunity #ecoexport #byabshapath #localtointernational
    0 التعليقات 0 المشاركات 471 مشاهدة
  • বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, সৌদি আরবে এখনও হযরত ওসমান (রাঃ) এর নামে দলিল করা সম্পত্তি রয়েছে। রয়েছে ব্যাংক একাউন্টও। সম্প্রতি শুরু হয়েছে ওসমান (রাঃ) এর মালিকানাধীন বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণের কাজ!

    কিন্তু ওসমান (রাঃ) এর প্রয়াণের এতো দিন পরেও কিভাবে তার নামে সহায় সম্পত্তি থেকে গেলো, তা কি আমরা জানি?

    সময়টা মহানবী (সাঃ) নবুওয়াত প্রাপ্তির ১৩তম বছর। মুসলমানরা মাত্র মক্কা ছেড়ে মদিনায় এসেছেন। অচেনা পরিবেশে দেখা দেয় সুপেয় পানির তীব্র সংকট। মদিনায় ‘বিরে রুমা’ বা রুমার কূপ নামে এক ইহুদির একটি কূপ ছিল। ইহুদি ব্যক্তিটি এ সুযোগে কূপের পানি মুসলমানদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করতে শুরু করলো।

    মক্কা থেকে সহায় সম্বল ছেড়ে দিয়ে আসা সাহাবাদের জন্য পানি কিনে আনাটা খুব কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো। সাহাবারা রাসূল (সাঃ) কে এই বিষয়ে অবগত করলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন- ‘তোমাদের মধ্যে কে আছো, যে এই কূপ মুসলমানদের জন্য ক্রয় করে দিবে। মুসলমানদের এই কূপ যে খরিদ করে দেবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে ঝর্ণা দান করবেন’। সুবহান আল্লাহ!

    রাসূল (সাঃ) এর কথায় হযরত ওসমান (রাঃ) ইহুদির কাছে এই কূপ ক্রয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করলে ইহুদি নাকচ করে দিলো। তখন তিনি বললেন- ‘পুরো কূপ বিক্রি না করলেও অর্ধেক বিক্রি করুন। এতে একদিন কূপের মালিক হব আমি আর আরেক দিন আপনি’।

    ইহুদি লোকটি তার প্রস্তাবে রাজি হলো। ওসমান (রাঃ) অর্ধেক কূপ ক্রয় করে বিনামূল্যে পানি বিতরণ করতে লাগলেন। লোকজন ওসমান (রাঃ) ক্রয় করা নির্ধারিত দিনে পানি সংগ্রহ করতো এবং পরের দিনের জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ করে রাখত।

    ইহুদির দিনে কেউ পানি সংগ্রহ করতে যেত না। ফলে তার পানির ব্যবসা মন্দা হওয়ায় নিজেই পুরো কূপ বিক্রির জন্য ওসমান (রাঃ) এর কাছে প্রস্তাব পেশ করে।

    ওসমান (রাঃ) সেই সময়ে ৩৫ হাজার রৌপ্য মুদ্রায় কূপটি কিনে মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ করে দেন।

    এ সময় এক ধনী লোক ওসমান (রাঃ) থেকে কূপটি দ্বিগুণ দামে খরিদ করতে চাইলে তিনি বলেন- ‘আমার চাহিদা এর চেয়ে আরও অনেক বেশি’। লোকটি মূল্য বাড়িয়ে বলতে লাগলো। ওসমান (রাঃ) জবাবে আবারো বলেলেন- ‘আমার চাহিদা এর চেয়ে আরও বেশি’।

    এভাবেই চলতে থাকলো কিছুক্ষণ। শেষে ধনী লোকটি জিজ্ঞেস করলো- ‘এমন কেউ কি আছে, যে আপনাকে কূপটির মূল্য ১০ গুণ বলেছে’? ওসমান (রাঃ) জবাবে বললেন- ‘আমার আল্লাহ আমাকে প্রতি নেকিতে ১০ গুণ বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছেন’। সুবহান আল্লাহ

    হযরত ওসমান (রাঃ) এর শাসনামলে এই কূপের চারপাশে খেজুর বাগান তৈরি হয়। সময়ের চাকা ঘুরে বহু উত্থান-পতনের পর সৌদি রাজপরিবার সৌদি আরবের রাজসিংহাসনে বসার সময় এই বাগানে খেজুর গাছের সংখ্যা ১৫৫০টিতে পৌঁছায়। সরকার বাগানের চারদিকে দেয়াল তৈরি করে দেয়।

    এরপর এই ভূসম্পত্তি হযরত ওসমান (রাঃ) এর নামে দলিল করে দেয় এবং তার নামে খুলে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। সৌদির কৃষি মন্ত্রণালয় এই বাগানের খেজুর বিক্রি করে অর্জিত অর্থ ওসমান (রাঃ) একাউন্টে জমা রাখে।

    সঞ্চিত অর্থ দিয়ে মদিনায় একটি বড় প্রপার্টি ক্রয় করা হয়েছে। যেখানে ‘হোটেল ওসমান বিন আফফান’ নামে একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণের কাজ চলছে। এই হোটেল থেকে প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন রিয়াল আয় হবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার। এই অর্থের অর্ধেক অসহায়-দুস্থদের মানবতার সেবায় ব্যয় করা হবে আর অর্ধেক হযরত ওসমান (রা.) ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে, যা দিয়ে বাগ্ন রক্ষণাবেক্ষন এবং বিভিন্ন ব্যয় নিরুপণ করা হবে।

    সুবহান আল্লাহ। ওসমান (রাঃ) এ দান আল্লাহ এমনভাবে গ্রহণ করে নিয়েছেন যে, কেয়ামত পর্যন্ত সেই দানের ধারা চালু থাকবে।
    বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, সৌদি আরবে এখনও হযরত ওসমান (রাঃ) এর নামে দলিল করা সম্পত্তি রয়েছে। রয়েছে ব্যাংক একাউন্টও। সম্প্রতি শুরু হয়েছে ওসমান (রাঃ) এর মালিকানাধীন বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণের কাজ! কিন্তু ওসমান (রাঃ) এর প্রয়াণের এতো দিন পরেও কিভাবে তার নামে সহায় সম্পত্তি থেকে গেলো, তা কি আমরা জানি? সময়টা মহানবী (সাঃ) নবুওয়াত প্রাপ্তির ১৩তম বছর। মুসলমানরা মাত্র মক্কা ছেড়ে মদিনায় এসেছেন। অচেনা পরিবেশে দেখা দেয় সুপেয় পানির তীব্র সংকট। মদিনায় ‘বিরে রুমা’ বা রুমার কূপ নামে এক ইহুদির একটি কূপ ছিল। ইহুদি ব্যক্তিটি এ সুযোগে কূপের পানি মুসলমানদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করতে শুরু করলো। মক্কা থেকে সহায় সম্বল ছেড়ে দিয়ে আসা সাহাবাদের জন্য পানি কিনে আনাটা খুব কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো। সাহাবারা রাসূল (সাঃ) কে এই বিষয়ে অবগত করলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন- ‘তোমাদের মধ্যে কে আছো, যে এই কূপ মুসলমানদের জন্য ক্রয় করে দিবে। মুসলমানদের এই কূপ যে খরিদ করে দেবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে ঝর্ণা দান করবেন’। সুবহান আল্লাহ! রাসূল (সাঃ) এর কথায় হযরত ওসমান (রাঃ) ইহুদির কাছে এই কূপ ক্রয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করলে ইহুদি নাকচ করে দিলো। তখন তিনি বললেন- ‘পুরো কূপ বিক্রি না করলেও অর্ধেক বিক্রি করুন। এতে একদিন কূপের মালিক হব আমি আর আরেক দিন আপনি’। ইহুদি লোকটি তার প্রস্তাবে রাজি হলো। ওসমান (রাঃ) অর্ধেক কূপ ক্রয় করে বিনামূল্যে পানি বিতরণ করতে লাগলেন। লোকজন ওসমান (রাঃ) ক্রয় করা নির্ধারিত দিনে পানি সংগ্রহ করতো এবং পরের দিনের জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ করে রাখত। ইহুদির দিনে কেউ পানি সংগ্রহ করতে যেত না। ফলে তার পানির ব্যবসা মন্দা হওয়ায় নিজেই পুরো কূপ বিক্রির জন্য ওসমান (রাঃ) এর কাছে প্রস্তাব পেশ করে। ওসমান (রাঃ) সেই সময়ে ৩৫ হাজার রৌপ্য মুদ্রায় কূপটি কিনে মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ করে দেন। এ সময় এক ধনী লোক ওসমান (রাঃ) থেকে কূপটি দ্বিগুণ দামে খরিদ করতে চাইলে তিনি বলেন- ‘আমার চাহিদা এর চেয়ে আরও অনেক বেশি’। লোকটি মূল্য বাড়িয়ে বলতে লাগলো। ওসমান (রাঃ) জবাবে আবারো বলেলেন- ‘আমার চাহিদা এর চেয়ে আরও বেশি’। এভাবেই চলতে থাকলো কিছুক্ষণ। শেষে ধনী লোকটি জিজ্ঞেস করলো- ‘এমন কেউ কি আছে, যে আপনাকে কূপটির মূল্য ১০ গুণ বলেছে’? ওসমান (রাঃ) জবাবে বললেন- ‘আমার আল্লাহ আমাকে প্রতি নেকিতে ১০ গুণ বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছেন’। সুবহান আল্লাহ হযরত ওসমান (রাঃ) এর শাসনামলে এই কূপের চারপাশে খেজুর বাগান তৈরি হয়। সময়ের চাকা ঘুরে বহু উত্থান-পতনের পর সৌদি রাজপরিবার সৌদি আরবের রাজসিংহাসনে বসার সময় এই বাগানে খেজুর গাছের সংখ্যা ১৫৫০টিতে পৌঁছায়। সরকার বাগানের চারদিকে দেয়াল তৈরি করে দেয়। এরপর এই ভূসম্পত্তি হযরত ওসমান (রাঃ) এর নামে দলিল করে দেয় এবং তার নামে খুলে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। সৌদির কৃষি মন্ত্রণালয় এই বাগানের খেজুর বিক্রি করে অর্জিত অর্থ ওসমান (রাঃ) একাউন্টে জমা রাখে। সঞ্চিত অর্থ দিয়ে মদিনায় একটি বড় প্রপার্টি ক্রয় করা হয়েছে। যেখানে ‘হোটেল ওসমান বিন আফফান’ নামে একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণের কাজ চলছে। এই হোটেল থেকে প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন রিয়াল আয় হবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার। এই অর্থের অর্ধেক অসহায়-দুস্থদের মানবতার সেবায় ব্যয় করা হবে আর অর্ধেক হযরত ওসমান (রা.) ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে, যা দিয়ে বাগ্ন রক্ষণাবেক্ষন এবং বিভিন্ন ব্যয় নিরুপণ করা হবে। সুবহান আল্লাহ। ওসমান (রাঃ) এ দান আল্লাহ এমনভাবে গ্রহণ করে নিয়েছেন যে, কেয়ামত পর্যন্ত সেই দানের ধারা চালু থাকবে।
    Love
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 355 مشاهدة
الصفحات المعززة
BlackBird Ai
https://bbai.shop