• 13 Posts
  • 1 Photos
  • 0 Videos
  • Followed by 0 people
Search
Recent Updates
  • "বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের কাজ চলছে" - শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরার।

    নিঃসন্দেহে অত্যন্ত যুগোপযুগী উদ্যোগ। কিন্তু এই উদ্যোগ কোন সুফল বয়ে আনবে না যদি সত্যিকারের মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হই। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যেমন উচ্চ শিক্ষার মান বাড়ার বদলে কমেছে যেমনি প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল করে লাভ হবে না। প্রথমেই সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে না যেয়ে মানের দিকে নজর দেন প্লিজ।

    টেকনিকাল স্কুলের শিক্ষকদের বেতন সাধারণ স্কুলের বেতন স্কেল থেকে ভিন্ন এবং বেশ বেশি হতে হবে। সত্যিকারের মানসম্পন্ন শিক্ষক পেতে চাইলে টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বেশি দিতে হবে কারণ এরা অন্যত্র চাকুরী করলে আমাদের স্কুল কলেজের যেই বেতন তার চেয়ে অনেকগুন বেশি টাকা আয় করবে। তবে কেন তারা টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষক হবে। ইন ফ্যাক্ট, একবারে অনেক টেকনিক্যাল স্কুল না করে প্রথম পর্যায়ে জেলা লেভেলে করুন।

    প্রয়োজনে চীন থেকে বেশি বেতনে ভালো শিক্ষক আনুন। দেখবেন বাংলাদেশের বেকার সমস্যা অতি দ্রুত কমে যাবে। বর্তমানে টেকনিক্যাল শিক্ষার প্রতি মানুষের কোন আস্থা নাই। আপনারা যদি কয়েকটি মডেল টেকনিকাল স্কুল করে সেখানে চীন থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষক এনে নিয়োগ দেন দেখবেন মানুষের আস্থা এসেছে। এই শিক্ষকদের দ্বারা নিজের দেশের ছেলেমেয়েদের দক্ষ শিক্ষক হিসাবে তৈরী করুন। এক সময় আমাদেরকে আর বিদেশী শিক্ষকদের উপর আর নির্ভর করতে হবে না। কিন্তু যাই করেন এই সেক্টরে মানসম্মত ভালো শিক্ষক পেতে হলে অবশ্যই উন্নত বেতন স্কেল দিতে হবে। আমার এই প্রেসক্রিপশন যদি না মানেন তাহলে উপজেলা কেন প্রতিটি ইউনিয়ন লেভেলে ও যদি একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল খুলেন কাঙ্খিত লেভার কাছাকাছিও পাবেন না। এই ক্ষেত্রে জার্মানি ও চীন আমাদেরকে সহায়তা করতে পারবে।
    "বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের কাজ চলছে" - শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরার। নিঃসন্দেহে অত্যন্ত যুগোপযুগী উদ্যোগ। কিন্তু এই উদ্যোগ কোন সুফল বয়ে আনবে না যদি সত্যিকারের মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হই। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যেমন উচ্চ শিক্ষার মান বাড়ার বদলে কমেছে যেমনি প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল করে লাভ হবে না। প্রথমেই সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে না যেয়ে মানের দিকে নজর দেন প্লিজ। টেকনিকাল স্কুলের শিক্ষকদের বেতন সাধারণ স্কুলের বেতন স্কেল থেকে ভিন্ন এবং বেশ বেশি হতে হবে। সত্যিকারের মানসম্পন্ন শিক্ষক পেতে চাইলে টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বেশি দিতে হবে কারণ এরা অন্যত্র চাকুরী করলে আমাদের স্কুল কলেজের যেই বেতন তার চেয়ে অনেকগুন বেশি টাকা আয় করবে। তবে কেন তারা টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষক হবে। ইন ফ্যাক্ট, একবারে অনেক টেকনিক্যাল স্কুল না করে প্রথম পর্যায়ে জেলা লেভেলে করুন। প্রয়োজনে চীন থেকে বেশি বেতনে ভালো শিক্ষক আনুন। দেখবেন বাংলাদেশের বেকার সমস্যা অতি দ্রুত কমে যাবে। বর্তমানে টেকনিক্যাল শিক্ষার প্রতি মানুষের কোন আস্থা নাই। আপনারা যদি কয়েকটি মডেল টেকনিকাল স্কুল করে সেখানে চীন থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষক এনে নিয়োগ দেন দেখবেন মানুষের আস্থা এসেছে। এই শিক্ষকদের দ্বারা নিজের দেশের ছেলেমেয়েদের দক্ষ শিক্ষক হিসাবে তৈরী করুন। এক সময় আমাদেরকে আর বিদেশী শিক্ষকদের উপর আর নির্ভর করতে হবে না। কিন্তু যাই করেন এই সেক্টরে মানসম্মত ভালো শিক্ষক পেতে হলে অবশ্যই উন্নত বেতন স্কেল দিতে হবে। আমার এই প্রেসক্রিপশন যদি না মানেন তাহলে উপজেলা কেন প্রতিটি ইউনিয়ন লেভেলে ও যদি একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল খুলেন কাঙ্খিত লেভার কাছাকাছিও পাবেন না। এই ক্ষেত্রে জার্মানি ও চীন আমাদেরকে সহায়তা করতে পারবে।
    0 Comments 0 Shares 3 Views 0 Reviews
  • বাংলাদেশের মতো একটি দেশ কেবল তখনই আবার বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারে, যখন এর প্রতিভাবান ও শিক্ষিত মানুষদের—শিক্ষক, গবেষক, শিল্পী, কবি, লেখক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের—একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আবার সক্রিয়ভাবে সমাজজীবনে ফিরে আসবেন। যদি তা ঘটে, তাহলে বর্তমানে যারা অযোগ্যতা ও মধ্যম মান নিয়ে জনজীবনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তারা আপনাআপনি কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। তখন এই দেশের শিশু-কিশোরেরা পাবে অনুপ্রেরণাদায়ী মানুষদের উদাহরণ।

    একটি জাতি যদি সত্যিকারের উন্নতির পথে এগোতে চায়, তবে সেখানে একটি ক্রিটিক্যাল সংখ্যক মেধাবী, আদর্শবান ও অনুকরণীয় মানুষের সক্রিয় উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। কোনো দেশে যদি ভালো ও সম্মানযোগ্য মানুষের সংখ্যা সেই প্রয়োজনীয় সীমার নিচে নেমে যায়, তাহলে সে দেশ কখনোই সত্যিকারের বাসযোগ্য হতে পারে না। এই কারণেই, আজকের দিনে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে অবাসযোগ্য শহরের তালিকায় তৃতীয়—সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত রাজধানী দামেস্ক ও ধ্বংসপ্রাপ্ত লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলীর পরেই।

    আমরা যারা পূর্ববর্তী প্রজন্মে বড় হয়েছি, তারা সৌভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, আমরা এমন এক সময়ে বড় হয়েছি, যখন টেলিভিশনে সত্যিকারের গুণী ব্যক্তিত্বরা ছিলেন, যখন সমাজে ছিলেন গভীর ভাবনাসম্পন্ন লেখক, নিষ্ঠাবান শিক্ষক, সৎ ও প্রজ্ঞাবান শিল্পী ও কবি। আমরা টেলিভিশনে ফজলে লোহানীর বুদ্ধিদীপ্ত অনুষ্ঠান দেখেছি। শুনেছি ড. আলাউদ্দিন আল-আজাদের সাহিত্য আলোচনা। আবু হেনা মুস্তাফা কামালের সঞ্চালনায় সংগীত অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি, আর কবি আসাদ চৌধুরীর উপস্থাপনায় দেখেছি মননশীল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

    আজ টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে বটে, কিন্তু ঐ ধরনের গুণী ও অর্থবহ অনুষ্ঠান আর চোখে পড়ে না। টক-শোতে দিনভর তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কথার লড়াই—জ্ঞানার্জনের কিছু নেই, কেবল মোসাহেবি আর আত্মমুগ্ধতা। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি, তখন দেখেছি সত্যিকারের বিদ্বান শিক্ষকদের। আমাদের নিজেদের বিভাগেও পেয়েছি খ্যাতিমান, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-পরিচালকদের। আজকাল সেই জায়গাগুলো যেন ফাঁকা। অথচ এমন গুণী মানুষের সংখ্যা তো আরও বাড়ার কথা ছিল।
    বাংলাদেশের মতো একটি দেশ কেবল তখনই আবার বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারে, যখন এর প্রতিভাবান ও শিক্ষিত মানুষদের—শিক্ষক, গবেষক, শিল্পী, কবি, লেখক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের—একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আবার সক্রিয়ভাবে সমাজজীবনে ফিরে আসবেন। যদি তা ঘটে, তাহলে বর্তমানে যারা অযোগ্যতা ও মধ্যম মান নিয়ে জনজীবনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তারা আপনাআপনি কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। তখন এই দেশের শিশু-কিশোরেরা পাবে অনুপ্রেরণাদায়ী মানুষদের উদাহরণ। একটি জাতি যদি সত্যিকারের উন্নতির পথে এগোতে চায়, তবে সেখানে একটি ক্রিটিক্যাল সংখ্যক মেধাবী, আদর্শবান ও অনুকরণীয় মানুষের সক্রিয় উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। কোনো দেশে যদি ভালো ও সম্মানযোগ্য মানুষের সংখ্যা সেই প্রয়োজনীয় সীমার নিচে নেমে যায়, তাহলে সে দেশ কখনোই সত্যিকারের বাসযোগ্য হতে পারে না। এই কারণেই, আজকের দিনে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে অবাসযোগ্য শহরের তালিকায় তৃতীয়—সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত রাজধানী দামেস্ক ও ধ্বংসপ্রাপ্ত লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলীর পরেই। আমরা যারা পূর্ববর্তী প্রজন্মে বড় হয়েছি, তারা সৌভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, আমরা এমন এক সময়ে বড় হয়েছি, যখন টেলিভিশনে সত্যিকারের গুণী ব্যক্তিত্বরা ছিলেন, যখন সমাজে ছিলেন গভীর ভাবনাসম্পন্ন লেখক, নিষ্ঠাবান শিক্ষক, সৎ ও প্রজ্ঞাবান শিল্পী ও কবি। আমরা টেলিভিশনে ফজলে লোহানীর বুদ্ধিদীপ্ত অনুষ্ঠান দেখেছি। শুনেছি ড. আলাউদ্দিন আল-আজাদের সাহিত্য আলোচনা। আবু হেনা মুস্তাফা কামালের সঞ্চালনায় সংগীত অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি, আর কবি আসাদ চৌধুরীর উপস্থাপনায় দেখেছি মননশীল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে বটে, কিন্তু ঐ ধরনের গুণী ও অর্থবহ অনুষ্ঠান আর চোখে পড়ে না। টক-শোতে দিনভর তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কথার লড়াই—জ্ঞানার্জনের কিছু নেই, কেবল মোসাহেবি আর আত্মমুগ্ধতা। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি, তখন দেখেছি সত্যিকারের বিদ্বান শিক্ষকদের। আমাদের নিজেদের বিভাগেও পেয়েছি খ্যাতিমান, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-পরিচালকদের। আজকাল সেই জায়গাগুলো যেন ফাঁকা। অথচ এমন গুণী মানুষের সংখ্যা তো আরও বাড়ার কথা ছিল।
    0 Comments 0 Shares 5 Views 0 Reviews
  • "বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের বদলে ভোটার নিয়োগ হয়েছে": শিক্ষা উপদেষ্টা

    খুবই সত্য কথা বলছেন। শুধু বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে না। এর আগে বিএনপি এবং বিএনপি-জামাত সরকারের আমলেও শিক্ষক নিয়োগের পরিবর্তে ভোটার নিয়োগ করা হয়েছে। তবে গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ সরকার শিক্ষক নিয়োগের বদলে ভোটার নিয়োগকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। শিক্ষক নিয়োগের নানা ফন্দি ফিকির তারা আবিষ্কার করেছে। এই জন্য তারা নতুন নতুন বিভাগ খুলেছে। ২০০৯ এর আগের গত ৫০ বছরে যত বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হয়েছিল আওয়ামীলীগ সরকার তার ১৫ বছরের আমলে তার চেয়ে বেশি বিভাগ খুলেছে। এরা দেশকে এতটাই ভালোবেসেছিল।

    তারা এত ভোটার নিয়োগ দিয়েছে যে গত বছর বর্তমান প্রশাসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন করতে পর্যন্ত সাহস পায়নি। সাধারণত ডিসেম্বর মাসে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয় কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কোন নির্বাচন হয়নি। হয়ত অপেক্ষা করছে এমন পরিস্থিতির যেই পরিস্থিতিতে তারা যথেষ্ট সংখ্যক ভোটার নিয়োগ দিতে পারবে এবং তারপর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন দিবে। এর অর্থ কি? এর অর্থ হলো ভোটার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবেই। শুধু জাতীয় নির্বাচন শেষে দলীয় সরকারকে ক্ষমতায় আসতে দিন তারপর দেখবেন।

    কিন্তু আমরাতো এইটা চাই না। এইজন্য কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই এইটা নিয়ে ৫ আগস্টের পর সভা সেমিনারে এবং ফেইসবুকে অনেকবার বলেছি ও লিখেছি। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন পরিবর্তন হয়েছে? সারা বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয় ন্যূনতম ৩ থেকে ৪টি স্তরে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় উপাচার্য বা উপ উপাচার্যের উপস্থিতিতে ২০ মিনিটের একটি ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে। যতদিন না ইউনিভার্সিটির নিয়োগ প্রক্রিয়া ইউনিভার্সাল হবে ততদিন শিক্ষক নিয়োগের বদলে ভোটার নিয়োগ হতেই থাকবে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের এক এবং একমাত্র শর্ত যেটি পূরণ করতে হয় সেটি হলো মেধা। কারো ধর্ম, রাজনৈতিক পরিচয়, শ্রেণী, বরং, দেশ কাল এইসব কোন কিছুই বিবেচনায় আসতে পারে না। প্রার্থী হিন্দু, না মুসলিম, না বৌদ্ধ, না খৃস্টান, না আদিবাসী, না আওয়ামীলীগ, না জামাত, না বিএনপি এইসব কিছুই বিবেচনায় না নিয়ে যেদিন কেবল মেধা দেখে নিয়োগ হবে সেইদিন হবে বিশ্ববিদ্যালয়।
    "বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের বদলে ভোটার নিয়োগ হয়েছে": শিক্ষা উপদেষ্টা খুবই সত্য কথা বলছেন। শুধু বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে না। এর আগে বিএনপি এবং বিএনপি-জামাত সরকারের আমলেও শিক্ষক নিয়োগের পরিবর্তে ভোটার নিয়োগ করা হয়েছে। তবে গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ সরকার শিক্ষক নিয়োগের বদলে ভোটার নিয়োগকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। শিক্ষক নিয়োগের নানা ফন্দি ফিকির তারা আবিষ্কার করেছে। এই জন্য তারা নতুন নতুন বিভাগ খুলেছে। ২০০৯ এর আগের গত ৫০ বছরে যত বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হয়েছিল আওয়ামীলীগ সরকার তার ১৫ বছরের আমলে তার চেয়ে বেশি বিভাগ খুলেছে। এরা দেশকে এতটাই ভালোবেসেছিল। তারা এত ভোটার নিয়োগ দিয়েছে যে গত বছর বর্তমান প্রশাসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন করতে পর্যন্ত সাহস পায়নি। সাধারণত ডিসেম্বর মাসে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয় কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কোন নির্বাচন হয়নি। হয়ত অপেক্ষা করছে এমন পরিস্থিতির যেই পরিস্থিতিতে তারা যথেষ্ট সংখ্যক ভোটার নিয়োগ দিতে পারবে এবং তারপর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন দিবে। এর অর্থ কি? এর অর্থ হলো ভোটার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবেই। শুধু জাতীয় নির্বাচন শেষে দলীয় সরকারকে ক্ষমতায় আসতে দিন তারপর দেখবেন। কিন্তু আমরাতো এইটা চাই না। এইজন্য কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই এইটা নিয়ে ৫ আগস্টের পর সভা সেমিনারে এবং ফেইসবুকে অনেকবার বলেছি ও লিখেছি। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন পরিবর্তন হয়েছে? সারা বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয় ন্যূনতম ৩ থেকে ৪টি স্তরে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় উপাচার্য বা উপ উপাচার্যের উপস্থিতিতে ২০ মিনিটের একটি ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে। যতদিন না ইউনিভার্সিটির নিয়োগ প্রক্রিয়া ইউনিভার্সাল হবে ততদিন শিক্ষক নিয়োগের বদলে ভোটার নিয়োগ হতেই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের এক এবং একমাত্র শর্ত যেটি পূরণ করতে হয় সেটি হলো মেধা। কারো ধর্ম, রাজনৈতিক পরিচয়, শ্রেণী, বরং, দেশ কাল এইসব কোন কিছুই বিবেচনায় আসতে পারে না। প্রার্থী হিন্দু, না মুসলিম, না বৌদ্ধ, না খৃস্টান, না আদিবাসী, না আওয়ামীলীগ, না জামাত, না বিএনপি এইসব কিছুই বিবেচনায় না নিয়ে যেদিন কেবল মেধা দেখে নিয়োগ হবে সেইদিন হবে বিশ্ববিদ্যালয়।
    0 Comments 0 Shares 3 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 20 Views 0 Reviews
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকে এমন অনেক শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ হলো। সবাই বললো হলে এখন আর গেস্ট রুম টর্চার নাই, জোর করে মিছিল মিটিং-এ যাওয়ার ডাক নাই, আদবকায়দা শেখানোর নামে সারা রাত দাঁড় করিয়ে রাখা নাই, সিট দখল ও আন অফিসিয়াললি ছাত্রনেতাদের দ্বারা সিট বরাদ্দ ইত্যাদি নাই। শিক্ষার্থীরা বললো এখন অনেক ভালো আছে। আবাসিক হল এখন সম্পূর্ণ আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এই ভালো থাকার মধ্যেও তারা ভয়ে আছে এই ভেবে নির্বাচনের পর যখন দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসবে তখন কি আবার সেই বিভীষিকাময় জীবন ফিরে আসবে? আবার মারামারি, দলাদলি, টর্চার, সিট দখল ও বন্টন, জোর করে মিছিল মিটিং-এ নেওয়া ফিরে আসবে? ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া ফিরে আসবে?

    বর্তমানে যেমন আছে তার সাথে আবাসিক ব্যবস্থা বাড়িয়ে, গরিব কিন্তু মেধাবী ছাত্রদের স্কলারশিপ দিয়ে, ভালো শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে, শিক্ষকদের ভালো বেতন দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটু ভালো করলে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের জীবন বদলে যেত। এই ধারা চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে দেশ বদলের ধারা শুরু হতো। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কি এইদিকে একটু নজর দিবে? তারাতো দেশের জন্যই রাজনীতি করে? যদি তাই হয় ছাত্রদের কেন মারামারির ক্যাডার বানাবেন? তাদেরকে লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত করে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সহযোগিতা করুন না। এইটা কি খুব বেশি চাওয়া? প্লিজ আপনারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগের সেই বিভীষিকাময় জীবন ফিরিয়ে আনবেন না।
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকে এমন অনেক শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ হলো। সবাই বললো হলে এখন আর গেস্ট রুম টর্চার নাই, জোর করে মিছিল মিটিং-এ যাওয়ার ডাক নাই, আদবকায়দা শেখানোর নামে সারা রাত দাঁড় করিয়ে রাখা নাই, সিট দখল ও আন অফিসিয়াললি ছাত্রনেতাদের দ্বারা সিট বরাদ্দ ইত্যাদি নাই। শিক্ষার্থীরা বললো এখন অনেক ভালো আছে। আবাসিক হল এখন সম্পূর্ণ আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এই ভালো থাকার মধ্যেও তারা ভয়ে আছে এই ভেবে নির্বাচনের পর যখন দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসবে তখন কি আবার সেই বিভীষিকাময় জীবন ফিরে আসবে? আবার মারামারি, দলাদলি, টর্চার, সিট দখল ও বন্টন, জোর করে মিছিল মিটিং-এ নেওয়া ফিরে আসবে? ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া ফিরে আসবে? বর্তমানে যেমন আছে তার সাথে আবাসিক ব্যবস্থা বাড়িয়ে, গরিব কিন্তু মেধাবী ছাত্রদের স্কলারশিপ দিয়ে, ভালো শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে, শিক্ষকদের ভালো বেতন দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটু ভালো করলে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের জীবন বদলে যেত। এই ধারা চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে দেশ বদলের ধারা শুরু হতো। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কি এইদিকে একটু নজর দিবে? তারাতো দেশের জন্যই রাজনীতি করে? যদি তাই হয় ছাত্রদের কেন মারামারির ক্যাডার বানাবেন? তাদেরকে লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত করে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সহযোগিতা করুন না। এইটা কি খুব বেশি চাওয়া? প্লিজ আপনারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগের সেই বিভীষিকাময় জীবন ফিরিয়ে আনবেন না।
    0 Comments 0 Shares 6 Views 0 Reviews
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ৫৬টি রিসার্চ সেন্টারের মধ্যে ৫০টিকেই বন্ধ করে খুব বেশি হলে ৬টি রাখা। ৫৬টিকে একটু একটু করে দিয়ে ৫৬টিকেই অপুষ্টিতে না ভুগিয়ে ৫৬টিকে যা দিতেন তা ৬টিকে দিন। এই ৬টি কে যথেষ্ট শিক্ষক, গবেষক, পোস্ট-ডক, পিএইচডি ছাত্র দিন। আর এমন বরাদ্দ দিন যেন গবেষণার জন্য যা লাগে কিনতে কোন অসুবিধা না হয়। ৬টি গবেষণা সেন্টারকে নামকাওয়াস্তে সেন্টার না বানিয়ে সত্যিকারের গবেষণা সেন্টারে পরিণত করুন। যেমন সেমিকন্ডাক্টর রিসার্চ সেন্টার, সত্যেন বোস সেন্টার। এইগুলোকে কেন বনসাই বানিয়ে রেখেছেন? এই দুইটা সেন্টারকে ওয়ার্ল্ড ক্লাস সেন্টারে পরিণত করুন।

    দ্বিতীয় আরেকটি কাজ করুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নাল প্রকাশনা বন্ধ করুন। এতে অনেক টাকা এবং অনেক কাগজ বাঁচবে। এই জার্নালগুলো নিম্নমানের আর্টিকেল প্রকাশ করে শিক্ষকদের প্রমোশন মেশিনে পরিণত করেছেন। এইগুলো বন্ধ করলে ভালো গবেষণা করে বিশ্বমানের জার্নালে চাপ তৈরী হতো। সেই প্রফেসর হতে হবে এই চাপে অন্তত ১২টি ভালো গবেষণা পত্র হতো।

    তৃতীয় আরেকটি কাজ করুন। অতি শীঘ্র গেস্ট শিক্ষক হিসাবে দেশের যারা বিদেশে আছে এবং একই সাথে বিদেশীদের এক সেমেস্টারের জন্য এনে রাখতে পারেন। এর জন্য দরকার উন্নতমানের গেস্ট হাউস তৈরী করা যেখানে গেস্ট অধ্যাপকরা এসে ৩ থেকে ৪ মাস থেকে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতো ও গবেষণা করাতো। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের চেহারাই বদলে যেত। এই তিনটি কাজ করলেইতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান অনেকটা বৃদ্ধি পেত।
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ৫৬টি রিসার্চ সেন্টারের মধ্যে ৫০টিকেই বন্ধ করে খুব বেশি হলে ৬টি রাখা। ৫৬টিকে একটু একটু করে দিয়ে ৫৬টিকেই অপুষ্টিতে না ভুগিয়ে ৫৬টিকে যা দিতেন তা ৬টিকে দিন। এই ৬টি কে যথেষ্ট শিক্ষক, গবেষক, পোস্ট-ডক, পিএইচডি ছাত্র দিন। আর এমন বরাদ্দ দিন যেন গবেষণার জন্য যা লাগে কিনতে কোন অসুবিধা না হয়। ৬টি গবেষণা সেন্টারকে নামকাওয়াস্তে সেন্টার না বানিয়ে সত্যিকারের গবেষণা সেন্টারে পরিণত করুন। যেমন সেমিকন্ডাক্টর রিসার্চ সেন্টার, সত্যেন বোস সেন্টার। এইগুলোকে কেন বনসাই বানিয়ে রেখেছেন? এই দুইটা সেন্টারকে ওয়ার্ল্ড ক্লাস সেন্টারে পরিণত করুন। দ্বিতীয় আরেকটি কাজ করুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নাল প্রকাশনা বন্ধ করুন। এতে অনেক টাকা এবং অনেক কাগজ বাঁচবে। এই জার্নালগুলো নিম্নমানের আর্টিকেল প্রকাশ করে শিক্ষকদের প্রমোশন মেশিনে পরিণত করেছেন। এইগুলো বন্ধ করলে ভালো গবেষণা করে বিশ্বমানের জার্নালে চাপ তৈরী হতো। সেই প্রফেসর হতে হবে এই চাপে অন্তত ১২টি ভালো গবেষণা পত্র হতো। তৃতীয় আরেকটি কাজ করুন। অতি শীঘ্র গেস্ট শিক্ষক হিসাবে দেশের যারা বিদেশে আছে এবং একই সাথে বিদেশীদের এক সেমেস্টারের জন্য এনে রাখতে পারেন। এর জন্য দরকার উন্নতমানের গেস্ট হাউস তৈরী করা যেখানে গেস্ট অধ্যাপকরা এসে ৩ থেকে ৪ মাস থেকে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতো ও গবেষণা করাতো। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের চেহারাই বদলে যেত। এই তিনটি কাজ করলেইতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান অনেকটা বৃদ্ধি পেত।
    0 Comments 0 Shares 6 Views 0 Reviews
  • এই মুহূর্তের পর থেকে আপনি যখন আপনার স্মার্ট ফোন স্ক্রিনে সোয়াইপ করবেন, ল্যাপটপে চার্জ দেবেন বা কখনো যদি বৈদ্যুতিক গাড়ি চালান — এক মুহূর্তের জন্য হলেও একটু থামুন আর ভাবুন। কি ভাববেন? ভাবুন যে এই চিপগুলোর গভীরে শুধু সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নয়, সেখানে আছে আমাদের নিজস্ব জাতিগত গৌরবেরও ধারক, সেখানে আছে বাংলাদেশি মেধার ছাপ।

    একটি প্রজন্ম — যারা অনেকেই জন্মসূত্রে বা শিকড়ে বাংলাদেশি — তারা দিয়েছেন ১,০০০-রও বেশি পেটেন্ট আর ৩,০০০-রও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ। তারা তৈরি করেছেন এমন সব প্রযুক্তি, যা আজকের আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের ভিত গড়ে দিয়েছে। এই চিপগুলোয় আছে সেই সব বাংলাদেশি মেধাবীদের ছাপ, যাঁরা ইউসি বার্কলে, স্ট্যানফোর্ড, গ্লোবালফাউন্ড্রিজ কিংবা অ্যাপ্লায়েড ম্যাটেরিয়ালস-এর মতো প্রতিষ্ঠান থেকে গ্লোবাল সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিকে গড়ে তুলেছেন। আগামী ১৬ থেকে ১৮ জুলাই সেমিকন্ডাক্টর ও চিপ ডিজাইনের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ সামিট হতে যাচ্ছে। এর মূল আয়োজক এরা।

    তারা বিশ্বে পরিচিত, সম্মানিত। কিন্তু আমরা কি তাঁদের চিনেছি? তাঁদের উদযাপন করেছি? তাদের মেধাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ যাতে উন্নত হয় তার জন্য আমরা কি করেছি? কিছুই করিনি। এইবার তারা নিজেরা স্বপ্রনোদিত হয়ে দেশের তরে কাজ করতে আসছে। একটা জাতিকে বদলে দিতে সবসময় বড় পরিকল্পনা লাগে না—শুধু দরকার আত্মপরিচয়কে জাগিয়ে তোলা। এখন সময় জাগিয়ে তোলার। আজ যদি আমরা আমাদের প্রযুক্তিগত পূর্বসূরিদের চিনে নেই, তাঁদের সঙ্গে সংযোগ গড়ি, তাহলে আগামী প্রজন্ম শুধু কনজিউমার হবে না — তারা হবে নির্মাতা, উদ্ভাবক, পথপ্রদর্শক।

    দরকার বিনিয়োগের। দর্জিগিরি করে আর বেশিদিন টেকা যাবে না। বর্তমান জগ হাইটেকের। তার জন্য যেমন দরকার টেকনোলজি তেমনি দরকার তত্ত্বীয় জ্ঞান যার মাধ্যমে বিষয়ের গভীরে গিয়ে বোঝার মাধ্যমে ব্রেইনকে উন্নত হতে ট্রেনড করা হবে। এই মুহূর্তে দরকার সেমিকন্ডাক্টর টেকনোলজিতে বিনিয়োগ সাথে সাইন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এই দুই যখন হাতে হাত ধরে আগাবে তবেই দেশ উন্নত হবে। সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে। বুয়েট নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পারতো অগ্রণী ভূমিকা নিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যোগ দিলে চেষ্টাটা আরো শক্তি পেত। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আছে কেবল ছাত্র শিক্ষক আর জাতীয় রাজনীতি নিয়ে।
    এই মুহূর্তের পর থেকে আপনি যখন আপনার স্মার্ট ফোন স্ক্রিনে সোয়াইপ করবেন, ল্যাপটপে চার্জ দেবেন বা কখনো যদি বৈদ্যুতিক গাড়ি চালান — এক মুহূর্তের জন্য হলেও একটু থামুন আর ভাবুন। কি ভাববেন? ভাবুন যে এই চিপগুলোর গভীরে শুধু সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নয়, সেখানে আছে আমাদের নিজস্ব জাতিগত গৌরবেরও ধারক, সেখানে আছে বাংলাদেশি মেধার ছাপ। একটি প্রজন্ম — যারা অনেকেই জন্মসূত্রে বা শিকড়ে বাংলাদেশি — তারা দিয়েছেন ১,০০০-রও বেশি পেটেন্ট আর ৩,০০০-রও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ। তারা তৈরি করেছেন এমন সব প্রযুক্তি, যা আজকের আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের ভিত গড়ে দিয়েছে। এই চিপগুলোয় আছে সেই সব বাংলাদেশি মেধাবীদের ছাপ, যাঁরা ইউসি বার্কলে, স্ট্যানফোর্ড, গ্লোবালফাউন্ড্রিজ কিংবা অ্যাপ্লায়েড ম্যাটেরিয়ালস-এর মতো প্রতিষ্ঠান থেকে গ্লোবাল সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিকে গড়ে তুলেছেন। আগামী ১৬ থেকে ১৮ জুলাই সেমিকন্ডাক্টর ও চিপ ডিজাইনের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ সামিট হতে যাচ্ছে। এর মূল আয়োজক এরা। তারা বিশ্বে পরিচিত, সম্মানিত। কিন্তু আমরা কি তাঁদের চিনেছি? তাঁদের উদযাপন করেছি? তাদের মেধাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ যাতে উন্নত হয় তার জন্য আমরা কি করেছি? কিছুই করিনি। এইবার তারা নিজেরা স্বপ্রনোদিত হয়ে দেশের তরে কাজ করতে আসছে। একটা জাতিকে বদলে দিতে সবসময় বড় পরিকল্পনা লাগে না—শুধু দরকার আত্মপরিচয়কে জাগিয়ে তোলা। এখন সময় জাগিয়ে তোলার। আজ যদি আমরা আমাদের প্রযুক্তিগত পূর্বসূরিদের চিনে নেই, তাঁদের সঙ্গে সংযোগ গড়ি, তাহলে আগামী প্রজন্ম শুধু কনজিউমার হবে না — তারা হবে নির্মাতা, উদ্ভাবক, পথপ্রদর্শক। দরকার বিনিয়োগের। দর্জিগিরি করে আর বেশিদিন টেকা যাবে না। বর্তমান জগ হাইটেকের। তার জন্য যেমন দরকার টেকনোলজি তেমনি দরকার তত্ত্বীয় জ্ঞান যার মাধ্যমে বিষয়ের গভীরে গিয়ে বোঝার মাধ্যমে ব্রেইনকে উন্নত হতে ট্রেনড করা হবে। এই মুহূর্তে দরকার সেমিকন্ডাক্টর টেকনোলজিতে বিনিয়োগ সাথে সাইন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এই দুই যখন হাতে হাত ধরে আগাবে তবেই দেশ উন্নত হবে। সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে। বুয়েট নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পারতো অগ্রণী ভূমিকা নিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যোগ দিলে চেষ্টাটা আরো শক্তি পেত। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আছে কেবল ছাত্র শিক্ষক আর জাতীয় রাজনীতি নিয়ে।
    0 Comments 0 Shares 3 Views 0 Reviews
  • এই যে আগামী ১৬ থেকে ১৮ জুলাই সেমিকন্ডাক্টর ও চিপ ডিজাইনের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ সামিট হতে যাচ্ছে. এইটা নিয়ে মিডিয়ায় কোন আলোচনা দেখছেন? এই যে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া, এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি বা বিশ্বসেরা সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানির বড় বড় পদে থেকে সফলতার সাথে কাজ করা এত এত বিজ্ঞানী আসছে আমাদের মিডিয়া কি খবর রাখছে?

    এই দেশের মিডিয়া ব্যস্ত রাজনীতির কুটনামি নিয়ে। এই দেশের মিডিয়া ব্যস্ত কে বিসিএস ক্যাডার হলো সেইটা নিয়ে। তাও আবার প্রশাসন কিংবা টেক্স অথবা পুলিশ হলে। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে হলে কিন্তু না। আমাদের কত কত মেধাবী যে ফুল রাইড স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়তে যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কত শিক্ষক যে স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করতে যাচ্ছে এবং পিএইচডি শেষে সফলভাবে ফিরে আসছে এইগুলোর গল্প লেখে? সেমিকন্ডাক্টর চিপ ডিজাইন ও তৈরী নিয়ে জাতির জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটা সামিট হচ্ছে কোথাও আলোচনা নেই। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও না। অতিথি হিসাবে যারা আসছে তাদেরকে নিমন্ত্রণ করে বিভিন্ন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আমাদের তরুণদের সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে। তাদের সামনে বক্তৃতা দেওয়াতে পারে।

    কলকাতা বোস সেন্টার গত বছরের শেষে যখন সত্যেন বোসের কাজের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করেছিল সেখানে প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, আমার থিসিস স্যার অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন ও আমাকে নিমন্ত্রণ করেছিল। এর বাহিরে কলকাতার বিজ্ঞনীরা অধ্যাপক জাহিদ হাসানকে পেয়ে তারা আলাদা একটা অনুষ্ঠান করেছিল যেখানে কলকাতার কিশোর ও যুবকদের সামনে জাহিদ হাসানকে পরিচয় করিয়ে দিতে। কলকাতায়তো অনেক বড় বড় বিজ্ঞানী আছে। তবুও তারা জাহিদ হাসানকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে কারণ সে মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। যোগ্যদের সম্মান দিতে জানতে হয়।
    এই যে আগামী ১৬ থেকে ১৮ জুলাই সেমিকন্ডাক্টর ও চিপ ডিজাইনের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ সামিট হতে যাচ্ছে. এইটা নিয়ে মিডিয়ায় কোন আলোচনা দেখছেন? এই যে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া, এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি বা বিশ্বসেরা সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানির বড় বড় পদে থেকে সফলতার সাথে কাজ করা এত এত বিজ্ঞানী আসছে আমাদের মিডিয়া কি খবর রাখছে? এই দেশের মিডিয়া ব্যস্ত রাজনীতির কুটনামি নিয়ে। এই দেশের মিডিয়া ব্যস্ত কে বিসিএস ক্যাডার হলো সেইটা নিয়ে। তাও আবার প্রশাসন কিংবা টেক্স অথবা পুলিশ হলে। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে হলে কিন্তু না। আমাদের কত কত মেধাবী যে ফুল রাইড স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়তে যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কত শিক্ষক যে স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করতে যাচ্ছে এবং পিএইচডি শেষে সফলভাবে ফিরে আসছে এইগুলোর গল্প লেখে? সেমিকন্ডাক্টর চিপ ডিজাইন ও তৈরী নিয়ে জাতির জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটা সামিট হচ্ছে কোথাও আলোচনা নেই। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও না। অতিথি হিসাবে যারা আসছে তাদেরকে নিমন্ত্রণ করে বিভিন্ন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আমাদের তরুণদের সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে। তাদের সামনে বক্তৃতা দেওয়াতে পারে। কলকাতা বোস সেন্টার গত বছরের শেষে যখন সত্যেন বোসের কাজের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করেছিল সেখানে প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, আমার থিসিস স্যার অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন ও আমাকে নিমন্ত্রণ করেছিল। এর বাহিরে কলকাতার বিজ্ঞনীরা অধ্যাপক জাহিদ হাসানকে পেয়ে তারা আলাদা একটা অনুষ্ঠান করেছিল যেখানে কলকাতার কিশোর ও যুবকদের সামনে জাহিদ হাসানকে পরিচয় করিয়ে দিতে। কলকাতায়তো অনেক বড় বড় বিজ্ঞানী আছে। তবুও তারা জাহিদ হাসানকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে কারণ সে মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। যোগ্যদের সম্মান দিতে জানতে হয়।
    0 Comments 0 Shares 7 Views 0 Reviews
  • কোন রাজনৈতিক দলের ছাত্র, যুব, স্বেচ্ছাসেবক নামে কোন অঙ্গ সংগঠন থাকতে পারবে না। এইটুকু করলেই আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থেকে সত্যিকারের নাগরিক হিসাবে বড় হতে পারতো। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দিয়ে বড়রা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। এদেরকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি কিংবা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ক্যাডার হিসাবে ব্যবহার করে। এটি আর করতে দেওয়া যায় না। দেশে এমন রাজনীতি শুরু করতে হবে যেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে কিন্তু দলের ডানার ভিতরে ঢুকে নিজেকে মুক্ত স্বাধীন নাগরিক হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি করলে এক চোখা হয়ে যায়। এরা রাজনৈতিকভাবে অন্ধ হয়ে যায়। এরা কখনোই পুরো আকাশ দেখতে পারে না। যেই বয়সে সহপাঠীরা বন্ধু হওয়ার কথা সেই বয়সে রাজনীতির কারণে শত্রু হয়ে যায়। সেই শত্রুতার কারণে নৃশংসভাবে মেরে ফেলতেও কার্পণ্য করে না।

    সারা বিশ্বেতো এটাই হয়। এমআইটি, হার্ভার্ড, কলাম্বিয়া, স্ট্যান্ডফোর্ড, প্রিন্সটন, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর, ভারতের আইআইটি, চীনের পিকিং বা অন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কোথাও দেখেছেন রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের জীবন নিয়ে এইভাবে খেলতে। ছাত্ররা মেতে থাকে লেখাপড়া, গবেষণা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নানা কর্মকান্ডে। আমাদের দেশে কেন এমন? দোহাই লাগে আর না। Enough is enough!
    কোন রাজনৈতিক দলের ছাত্র, যুব, স্বেচ্ছাসেবক নামে কোন অঙ্গ সংগঠন থাকতে পারবে না। এইটুকু করলেই আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থেকে সত্যিকারের নাগরিক হিসাবে বড় হতে পারতো। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দিয়ে বড়রা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। এদেরকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি কিংবা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ক্যাডার হিসাবে ব্যবহার করে। এটি আর করতে দেওয়া যায় না। দেশে এমন রাজনীতি শুরু করতে হবে যেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে কিন্তু দলের ডানার ভিতরে ঢুকে নিজেকে মুক্ত স্বাধীন নাগরিক হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি করলে এক চোখা হয়ে যায়। এরা রাজনৈতিকভাবে অন্ধ হয়ে যায়। এরা কখনোই পুরো আকাশ দেখতে পারে না। যেই বয়সে সহপাঠীরা বন্ধু হওয়ার কথা সেই বয়সে রাজনীতির কারণে শত্রু হয়ে যায়। সেই শত্রুতার কারণে নৃশংসভাবে মেরে ফেলতেও কার্পণ্য করে না। সারা বিশ্বেতো এটাই হয়। এমআইটি, হার্ভার্ড, কলাম্বিয়া, স্ট্যান্ডফোর্ড, প্রিন্সটন, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর, ভারতের আইআইটি, চীনের পিকিং বা অন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কোথাও দেখেছেন রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের জীবন নিয়ে এইভাবে খেলতে। ছাত্ররা মেতে থাকে লেখাপড়া, গবেষণা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নানা কর্মকান্ডে। আমাদের দেশে কেন এমন? দোহাই লাগে আর না। Enough is enough!
    0 Comments 0 Shares 8 Views 0 Reviews
  • আমেরিকার মন্ত্রণালয় কয়টি? ১৫টি। অথচ আমেরিকার অর্থনীতির সাইজ, আয়তন হিসাবে আমেরিকার সাইজ বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক গুন বড়। ইউরোপের দেশগুলোর গড়ে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যাও ১৫-২০! বাংলাদেশের ৫৪টি। তার উপর আছে অধিদপ্তর। ভারত আমাদের চেয়ে কম পক্ষে ২২ গুন বড়! অথচ সেই দেশে মন্ত্রণালয় মাত্র ৫৪টি। বাংলাদেশে কেন এত মন্ত্রণালয় এবং এত অধিদপ্তর। এত মন্ত্রণালয় মানে হাজার হাজার আমলা আর ৫০ এর অধিক মন্ত্রী। এইসব করাই হয়েছে পদ পদবি বিলানোর জন্য। বেশি করে বিসিএস আমলা নিয়োগের জন্য।

    খেয়াল করবেন গত ১৫ বছর ধরে বিসিএস চাকুরীকে এক অনন্য উচ্চতায় তোলা হয়েছে। এরও কারণ আছে। ছাত্রছাত্রীরাতো বেকার। তারা যাতে অসহিষ্ণু না হয়ে উঠে তার জন্য বিসিএস পরীক্ষাকে ব্যবহার করা হয়।এই পরীক্ষা সিস্টেমকে যতটা সম্ভব লম্বা করা হয়েছে যাতে এক পরীক্ষাতে দীর্ঘ সময় ধরে আশা নিয়ে বাঁচে। ছাত্রছাত্রীরাদেরকে ব্যস্ত রাখতে বিসিএস প্রস্তুতি খুব ভালো কাজে দেয়। পরীক্ষা মানে আশা। তাছাড়া এই পরীক্ষাকে এমনভাবে গড়া হয়েছে যে চাকুরী তারাই পাবে যারা সরকারি দল করবে বা সরকারের বিরুদ্ধে যাদের কোন অভিযোগ নাই। ছাত্ররা ইচ্ছে করে সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলনে যোগ সহজে দিত না কারণ এইসব নাকি মনিটর করা হয় এই ভয়ে।

    গরিব দেশের ছোট অর্থনীতিতে এত মন্ত্রী, এত প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এত সচিব, উপসচিব কর্মকর্তা, এত গাড়ি, ফ্রীতে ড্রাইভার ও তেল, গাড়ির আগে পিছে বাঁশি হাতে পুলিশ ও গাড়ি কল্পনা করতে পারেন? কিন্তু শিক্ষায় বরাদ্দের টাকা নাই। এত মন্ত্রণালয় দিয়ে দেশের মানুষ কি সার্ভিস পাচ্ছে? রেল মন্ত্রণালয় কি সফল? বিমান মন্ত্রণালয় কি সফল? সড়ক মন্ত্রণালয় কি সফল? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি সফল? এমন একটি মন্ত্রণালয় পাবেন যেই মন্ত্রণালয় সফল। তাহলে সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ কি হলো? আমরা মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে দেশকে অনাবাসযোগ্য বানিয়ে ফেলেছি। সরকারে মন্ত্রণালয় বাড়িয়ে অযথা খরচ বাড়িয়েছি কিন্তু সেবা কমেছে।

    সেবাতো নাই বরং ঘুষ বাণিজ্য বেড়েছে। তাই সংখ্যা না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে মানের দিকে নজর দেওয়া উচিত আমাদের। মান বাড়াতে হলে বিসিএস পরীক্ষার মান বাড়াতে হবে। ধরুন একজন ছাত্র হার্ভার্ড বা এমআইটি থেকে আন্ডার গ্রাজুয়েট করলো। সে যদি আমাদের বিসিএস পরীক্ষা দেয় পাশ করতে পারবে? ওখান থেকে পাশ করেও চটি মার্কা গাইড বই ও কোচিং করলে পেতে পারে। এর অর্থ বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতিতে সমস্যা আছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা দেশে বিদেশে ভালো করছে তাদেরকে কিভাবে সরকারি চাকুরীতে নেওয়া যায় সেটা গবেষণা করে একটা পদ্ধতি বের করতে হবে। তাতে ব্রেইন ড্রেইনের বদলে ব্রেইন গেইনের ধারা তৈরী হবে। এমন ছেলেমেয়েদের চাকুরী দিতে হবে যারা মানসিকতায় আধুনিক এবং AI, IT সহ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ভালো।
    আমেরিকার মন্ত্রণালয় কয়টি? ১৫টি। অথচ আমেরিকার অর্থনীতির সাইজ, আয়তন হিসাবে আমেরিকার সাইজ বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক গুন বড়। ইউরোপের দেশগুলোর গড়ে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যাও ১৫-২০! বাংলাদেশের ৫৪টি। তার উপর আছে অধিদপ্তর। ভারত আমাদের চেয়ে কম পক্ষে ২২ গুন বড়! অথচ সেই দেশে মন্ত্রণালয় মাত্র ৫৪টি। বাংলাদেশে কেন এত মন্ত্রণালয় এবং এত অধিদপ্তর। এত মন্ত্রণালয় মানে হাজার হাজার আমলা আর ৫০ এর অধিক মন্ত্রী। এইসব করাই হয়েছে পদ পদবি বিলানোর জন্য। বেশি করে বিসিএস আমলা নিয়োগের জন্য। খেয়াল করবেন গত ১৫ বছর ধরে বিসিএস চাকুরীকে এক অনন্য উচ্চতায় তোলা হয়েছে। এরও কারণ আছে। ছাত্রছাত্রীরাতো বেকার। তারা যাতে অসহিষ্ণু না হয়ে উঠে তার জন্য বিসিএস পরীক্ষাকে ব্যবহার করা হয়।এই পরীক্ষা সিস্টেমকে যতটা সম্ভব লম্বা করা হয়েছে যাতে এক পরীক্ষাতে দীর্ঘ সময় ধরে আশা নিয়ে বাঁচে। ছাত্রছাত্রীরাদেরকে ব্যস্ত রাখতে বিসিএস প্রস্তুতি খুব ভালো কাজে দেয়। পরীক্ষা মানে আশা। তাছাড়া এই পরীক্ষাকে এমনভাবে গড়া হয়েছে যে চাকুরী তারাই পাবে যারা সরকারি দল করবে বা সরকারের বিরুদ্ধে যাদের কোন অভিযোগ নাই। ছাত্ররা ইচ্ছে করে সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলনে যোগ সহজে দিত না কারণ এইসব নাকি মনিটর করা হয় এই ভয়ে। গরিব দেশের ছোট অর্থনীতিতে এত মন্ত্রী, এত প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এত সচিব, উপসচিব কর্মকর্তা, এত গাড়ি, ফ্রীতে ড্রাইভার ও তেল, গাড়ির আগে পিছে বাঁশি হাতে পুলিশ ও গাড়ি কল্পনা করতে পারেন? কিন্তু শিক্ষায় বরাদ্দের টাকা নাই। এত মন্ত্রণালয় দিয়ে দেশের মানুষ কি সার্ভিস পাচ্ছে? রেল মন্ত্রণালয় কি সফল? বিমান মন্ত্রণালয় কি সফল? সড়ক মন্ত্রণালয় কি সফল? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি সফল? এমন একটি মন্ত্রণালয় পাবেন যেই মন্ত্রণালয় সফল। তাহলে সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ কি হলো? আমরা মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে দেশকে অনাবাসযোগ্য বানিয়ে ফেলেছি। সরকারে মন্ত্রণালয় বাড়িয়ে অযথা খরচ বাড়িয়েছি কিন্তু সেবা কমেছে। সেবাতো নাই বরং ঘুষ বাণিজ্য বেড়েছে। তাই সংখ্যা না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে মানের দিকে নজর দেওয়া উচিত আমাদের। মান বাড়াতে হলে বিসিএস পরীক্ষার মান বাড়াতে হবে। ধরুন একজন ছাত্র হার্ভার্ড বা এমআইটি থেকে আন্ডার গ্রাজুয়েট করলো। সে যদি আমাদের বিসিএস পরীক্ষা দেয় পাশ করতে পারবে? ওখান থেকে পাশ করেও চটি মার্কা গাইড বই ও কোচিং করলে পেতে পারে। এর অর্থ বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতিতে সমস্যা আছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা দেশে বিদেশে ভালো করছে তাদেরকে কিভাবে সরকারি চাকুরীতে নেওয়া যায় সেটা গবেষণা করে একটা পদ্ধতি বের করতে হবে। তাতে ব্রেইন ড্রেইনের বদলে ব্রেইন গেইনের ধারা তৈরী হবে। এমন ছেলেমেয়েদের চাকুরী দিতে হবে যারা মানসিকতায় আধুনিক এবং AI, IT সহ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ভালো।
    0 Comments 0 Shares 8 Views 0 Reviews
  • আপনাদের মনে আছে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম, হঠাৎ করে ডিমের দাম কিংবা তেলের দাম অথবা অন্য কোন পণ্যের দাম অল্প কদিনের জন্য বেড়ে যেত? এই অল্প কদিনেই একদল মজুদদার কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত। বলা হচ্ছিল না এর পেছনে সিন্ডিকেট ছিল? গত এক বছরেতো এই উৎপাত তেমন দেখছি না। তার মানে সিন্ডিকেট করেই অত্যন্ত meticulously এইটা করা হতো এবং সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় ছিল। কি এক অদভুত টেকনিক তারা আবিষ্কার করেছিল। হঠাৎ করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিত। মানুষ এই নিয়ে সরব হলে সরকার ব্যবস্থা নিতে যেই সময়টুকু লাগতো সেই স্বল্প সময়েই বিপুল টাকা দুর্বৃত্তদের পকেটে ঢুকে যেত।

    এই টাকাগুলো কিন্তু বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এইভাবেই দেশকে ফোকলা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কি পরিমান টাকা ডলার হয়ে বিদেশে গেছে একবার ভাবুন। এই দেশ আসলে আজকের মততো থাকার কথা না। আবার রাজনৈতিক সরকার আসলে দেখবেন সেই পুরোনো মডেল ফিরে আসবে।
    আপনাদের মনে আছে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম, হঠাৎ করে ডিমের দাম কিংবা তেলের দাম অথবা অন্য কোন পণ্যের দাম অল্প কদিনের জন্য বেড়ে যেত? এই অল্প কদিনেই একদল মজুদদার কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত। বলা হচ্ছিল না এর পেছনে সিন্ডিকেট ছিল? গত এক বছরেতো এই উৎপাত তেমন দেখছি না। তার মানে সিন্ডিকেট করেই অত্যন্ত meticulously এইটা করা হতো এবং সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় ছিল। কি এক অদভুত টেকনিক তারা আবিষ্কার করেছিল। হঠাৎ করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিত। মানুষ এই নিয়ে সরব হলে সরকার ব্যবস্থা নিতে যেই সময়টুকু লাগতো সেই স্বল্প সময়েই বিপুল টাকা দুর্বৃত্তদের পকেটে ঢুকে যেত। এই টাকাগুলো কিন্তু বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এইভাবেই দেশকে ফোকলা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কি পরিমান টাকা ডলার হয়ে বিদেশে গেছে একবার ভাবুন। এই দেশ আসলে আজকের মততো থাকার কথা না। আবার রাজনৈতিক সরকার আসলে দেখবেন সেই পুরোনো মডেল ফিরে আসবে।
    0 Comments 0 Shares 11 Views 0 Reviews
  • বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সবচেয়ে বড় বাটপারিটা কোথায় জানেন? আমাদের শিক্ষার্থীরা সত্যিকারের শিক্ষক খুব কম পেয়েছে। আসলে শিক্ষক নিয়োগই দেওয়া হয় না। শিক্ষক নিয়োগ হবে কিভাবে? শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা কি সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালার সাথে যায়? সত্যিকারের মেধাবীরা কি বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চায়? আগে দেশে বা বিদেশে সুযোগ কম ছিল বলে আমাদের হারুন স্যার, আমাদের আহমেদ শফী স্যার, আমাদের কবির স্যারদের শিক্ষকরা বিদেশে না থেকে দেশে ফিরে এসেছিল। আরেকটা কারণ ছিল তাদের অধিকাংশই আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারের ছিলেন। ইন ফ্যাক্ট, আগের শিক্ষকদের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে দেখলে দেখবেন প্রায় সবাই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল পরিবার থেকে এসেছিলেন। তাছাড়া তখন শিক্ষকতা পেশায় বেতন কম হলেও সমাজে মর্যাদা ছিল। এখন অধিকাংশ শিক্ষকই এসেছেন অস্বচ্ছল পরিবার থেকে। কারণ স্বচ্ছল উচ্চবিত্তের ছেলেমেয়েরা এখন আর তেমন বাংলা মাধ্যমে পড়ে না। তারা ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে বিদেশে চলে যায় যাদের অধিকাংশই আর দেশে ফিরে না।

    দেখা যায় বাংলা মাধ্যমে পড়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের ছেলেমেয়েরা। এরাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে। তাদের মধ্যেও যারা মেধাবী এখন তারাও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেই না। মাস্টার্স এমনকি অনার্স পাশ করেই এখন মেধাবীদের একটা বড় অংশ বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে যাচ্ছে। আর গিয়ে প্রায় সবাই সেখানে থেকে যাচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্তের মধ্যেও গড়ে অপেক্ষাকৃত একটু কম মেধাবীদেরই আমরা শিক্ষক হিসাবে পাচ্ছি। আবার এই মধ্যবিত্ত ক্লাসের ছেলেমেয়েদের থেকেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বাসনা দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি, আবাসিক হলগুলোতে টর্চার, মিছিল মিটিং-এ নেয়ার চাপ, সেশন জ্যাম ইত্যাদিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। এই ঢাকা শহরে নামিদামি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন অনেক মেধাবী শিক্ষক আছে। পদার্থবিজ্ঞানে যারা খুবই মেধাবী তাদের অনেকের সাথেই আমার সখ্যতা আছে। আলাপে আলাপে জিজ্ঞেস করি তারা কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে ইচ্ছুক কিনা। কোন প্রকার দ্বিধা দন্দ্ব ছাড়া তাদের উত্তর "না"! এমন কি গত কয়েক বছরে আমাদের অনেক মেধাবী শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেছে। এইসব নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোন রকম চিন্তা আছে? একটু অসচ্ছল ও নিম্নবিত্ত থেকে আসার কারণে অধিকাংশ শিক্ষকই পার্ট-টাইম অন্যত্র পড়ায়। পড়াবে না কেন? সরকারি অন্যান্য চাকুরীতে বেতনের বাহিরে গাড়ি পায়, ড্রাইভার পায়, গাড়ির তেল পায়, সুদবিহীন লোন পায়, বাসা পায়, প্রতি মিটিং-এ সিটিং মানি পায়, বিদেশে ট্রেনিং এর নামে অনেক সুবিধা পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কি পায়?

    এইটা কাঙ্খিত যে ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবীরা শিক্ষার্থী শিক্ষক হবে? প্রভাষকের বেতন কত? ৩০-৩৫ হাজার! সহকারী অধ্যাপকের বেতন কত? বড়জোর ৪০-৪৫ হাজার টাকা। অথচ অধিকাংশ সহকারী অধ্যাপকের পিএইচডি পর্যন্ত থাকে। সেই পিএইচডিও রাষ্ট্রের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় নয় বরং স্কলারশিপ বা ফেলোশিপ পেয়ে পিএইচডি করা। এই মেধাবীদের কি আমরা মূল্যায়ন করছি? এরপর আমাদের মেধাবীরা পিএইচডি শেষে ফিরে আসলেও রাজনীতির কারণে তাদের নিয়োগ হবে না। দেখা হবে প্রার্থীর বাবা, দাদা নানা কোন রাজনীতি করতো? চাকুরীর জন্য সুপারশি করার জন্য প্রার্থীর কোন গড ফাদার আছে কিনা। এইসব নানা কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা আসলে যাদের শিক্ষক হিসাবে পাচ্ছে তাদের একটা বড় অংশ আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ারই কথা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে এখন ন্যূনতম যোগ্যতা পিএইচডি যথেষ্ট না। সাথে থাকতে হয় পোস্ট-ডক। শুধু পিএইচডি থাকলে তাকে প্রমান করতে হয় তার যোগ্যতা। পিএইচডি ও পোস্ট-ডক শেষে যিনি নিয়োগ পায় তার বয়স ন্যূনতম ৩০-৩৫ বা তার বেশি। এত কিছু করার কারণে সে অলরেডি matured! এইরকম শিক্ষকদের যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব অন্যরকম হয়। এইরকম শিক্ষকদের দেখলে শিক্ষার্থীরা সম্মান করবে। আমরাতো আসলে সত্যিকারের শিক্ষক নিয়োগই দেইনি। বিশাল সংখ্যক অশিক্ষকদের শিক্ষক হিসাবে পেয়ে সমাজ এবং শিক্কার্থীদের মাঝে শিক্ষক সম্মন্ধে খারাপ ধারণা জন্মেছে। এই ধারণা নিয়ে ক্লাসে গেলে কদাচিৎ কেউ ভালো পড়ালেও শিক্ষার্থীরা ভেবে নেয় অন্যদের মতোই। ক্লাসে মনোযোগ দেয় না। এইভাবেই আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মকে নষ্ট করে ফেলছি।

    @highlight
    বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সবচেয়ে বড় বাটপারিটা কোথায় জানেন? আমাদের শিক্ষার্থীরা সত্যিকারের শিক্ষক খুব কম পেয়েছে। আসলে শিক্ষক নিয়োগই দেওয়া হয় না। শিক্ষক নিয়োগ হবে কিভাবে? শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা কি সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালার সাথে যায়? সত্যিকারের মেধাবীরা কি বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চায়? আগে দেশে বা বিদেশে সুযোগ কম ছিল বলে আমাদের হারুন স্যার, আমাদের আহমেদ শফী স্যার, আমাদের কবির স্যারদের শিক্ষকরা বিদেশে না থেকে দেশে ফিরে এসেছিল। আরেকটা কারণ ছিল তাদের অধিকাংশই আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারের ছিলেন। ইন ফ্যাক্ট, আগের শিক্ষকদের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে দেখলে দেখবেন প্রায় সবাই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল পরিবার থেকে এসেছিলেন। তাছাড়া তখন শিক্ষকতা পেশায় বেতন কম হলেও সমাজে মর্যাদা ছিল। এখন অধিকাংশ শিক্ষকই এসেছেন অস্বচ্ছল পরিবার থেকে। কারণ স্বচ্ছল উচ্চবিত্তের ছেলেমেয়েরা এখন আর তেমন বাংলা মাধ্যমে পড়ে না। তারা ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে বিদেশে চলে যায় যাদের অধিকাংশই আর দেশে ফিরে না। দেখা যায় বাংলা মাধ্যমে পড়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের ছেলেমেয়েরা। এরাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে। তাদের মধ্যেও যারা মেধাবী এখন তারাও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেই না। মাস্টার্স এমনকি অনার্স পাশ করেই এখন মেধাবীদের একটা বড় অংশ বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে যাচ্ছে। আর গিয়ে প্রায় সবাই সেখানে থেকে যাচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্তের মধ্যেও গড়ে অপেক্ষাকৃত একটু কম মেধাবীদেরই আমরা শিক্ষক হিসাবে পাচ্ছি। আবার এই মধ্যবিত্ত ক্লাসের ছেলেমেয়েদের থেকেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বাসনা দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি, আবাসিক হলগুলোতে টর্চার, মিছিল মিটিং-এ নেয়ার চাপ, সেশন জ্যাম ইত্যাদিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। এই ঢাকা শহরে নামিদামি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন অনেক মেধাবী শিক্ষক আছে। পদার্থবিজ্ঞানে যারা খুবই মেধাবী তাদের অনেকের সাথেই আমার সখ্যতা আছে। আলাপে আলাপে জিজ্ঞেস করি তারা কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে ইচ্ছুক কিনা। কোন প্রকার দ্বিধা দন্দ্ব ছাড়া তাদের উত্তর "না"! এমন কি গত কয়েক বছরে আমাদের অনেক মেধাবী শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেছে। এইসব নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোন রকম চিন্তা আছে? একটু অসচ্ছল ও নিম্নবিত্ত থেকে আসার কারণে অধিকাংশ শিক্ষকই পার্ট-টাইম অন্যত্র পড়ায়। পড়াবে না কেন? সরকারি অন্যান্য চাকুরীতে বেতনের বাহিরে গাড়ি পায়, ড্রাইভার পায়, গাড়ির তেল পায়, সুদবিহীন লোন পায়, বাসা পায়, প্রতি মিটিং-এ সিটিং মানি পায়, বিদেশে ট্রেনিং এর নামে অনেক সুবিধা পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কি পায়? এইটা কাঙ্খিত যে ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবীরা শিক্ষার্থী শিক্ষক হবে? প্রভাষকের বেতন কত? ৩০-৩৫ হাজার! সহকারী অধ্যাপকের বেতন কত? বড়জোর ৪০-৪৫ হাজার টাকা। অথচ অধিকাংশ সহকারী অধ্যাপকের পিএইচডি পর্যন্ত থাকে। সেই পিএইচডিও রাষ্ট্রের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় নয় বরং স্কলারশিপ বা ফেলোশিপ পেয়ে পিএইচডি করা। এই মেধাবীদের কি আমরা মূল্যায়ন করছি? এরপর আমাদের মেধাবীরা পিএইচডি শেষে ফিরে আসলেও রাজনীতির কারণে তাদের নিয়োগ হবে না। দেখা হবে প্রার্থীর বাবা, দাদা নানা কোন রাজনীতি করতো? চাকুরীর জন্য সুপারশি করার জন্য প্রার্থীর কোন গড ফাদার আছে কিনা। এইসব নানা কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা আসলে যাদের শিক্ষক হিসাবে পাচ্ছে তাদের একটা বড় অংশ আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ারই কথা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে এখন ন্যূনতম যোগ্যতা পিএইচডি যথেষ্ট না। সাথে থাকতে হয় পোস্ট-ডক। শুধু পিএইচডি থাকলে তাকে প্রমান করতে হয় তার যোগ্যতা। পিএইচডি ও পোস্ট-ডক শেষে যিনি নিয়োগ পায় তার বয়স ন্যূনতম ৩০-৩৫ বা তার বেশি। এত কিছু করার কারণে সে অলরেডি matured! এইরকম শিক্ষকদের যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব অন্যরকম হয়। এইরকম শিক্ষকদের দেখলে শিক্ষার্থীরা সম্মান করবে। আমরাতো আসলে সত্যিকারের শিক্ষক নিয়োগই দেইনি। বিশাল সংখ্যক অশিক্ষকদের শিক্ষক হিসাবে পেয়ে সমাজ এবং শিক্কার্থীদের মাঝে শিক্ষক সম্মন্ধে খারাপ ধারণা জন্মেছে। এই ধারণা নিয়ে ক্লাসে গেলে কদাচিৎ কেউ ভালো পড়ালেও শিক্ষার্থীরা ভেবে নেয় অন্যদের মতোই। ক্লাসে মনোযোগ দেয় না। এইভাবেই আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মকে নষ্ট করে ফেলছি। @highlight
    0 Comments 0 Shares 15 Views 0 Reviews
  • ঢাকায় একটা অসাধারণ ঘটনা ঘটছে। যেটি বাংলাদেশের প্যারাডাইম শিফট ঘটাতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, সেমিকন্ডাক্টর চিপ মেনুফেকচার ও ফ্যাব্রিকেশন, বিজনেস ইত্যাদি নিয়ে সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট এটি। বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ায় এর কোন প্রতিফলন দেখছেন? এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া, বাংলাদেশের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একদল স্কলার আছে যারা বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন UC Berkeley, Purdue University) বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা জায়ান্ট সেমিকন্ডাক্টর চিপ কোম্পানির বড় কেউ ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদেশি হলেন সায়ীফ সালাউদ্দিন যিনি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে—UC Berkeley-তে TSMC Distinguished Professor! তিনি এখন বাংলাদেশে। Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের আরেক অধ্যাপক Muhammad Mustafa Hussain এর নেতৃত্বে Bangladesh National Semiconductor Symposium শিরোনামে একটি সামিটের আয়োজন করেছেন। এই সামিটে বাংলাদেশী অনেক বড় বড় একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কলার যোগ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আয়োজকরা আমাকেও নিমন্ত্রণ করেছিল কিন্তু জুলাই অভ্যুথান নিয়ে নানা অনুষ্ঠান, ক্লাস ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজের কারণে সশরীরে থাকতে পারিনি। তাছাড়া এটি সরাসরি আমার ফিল্ডেরও না। তবে গতকাল অনলাইনে অধ্যাপক সায়ীফ সালাউদ্দিনের লেকচারটি শুনলাম। কমেন্ট থ্রেডে এর লিংক দিলাম চাইলে আপনারাও শুনতে পারেন।

    অধ্যাপক সালাউদ্দিনের গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি-দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ও নতুন ধরনের ট্রানজিস্টর ডিজাইন। তিনি উদ্ভাবন করেছেন Negative Capacitance Transistor, যা কম শক্তিতে আরও কার্যকর কম্পিউটিং সম্ভব করে তুলছে। একদম কাটিং এজ রিসার্চ যার জন্য জায়ান্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফান্ড দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি Presidential Early Career Award (PECASE), IEEE Andrew S. Grove Award, NSF CAREER Award সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত। এছাড়া তিনি IEEE, APS, AAAS-এর ফেলো এবং Berkeley Device Modeling Center ও Center for Negative Capacitance Transistors-এর সহ-পরিচালক।

    একজন প্রকৃত বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং গবেষক হিসেবে তিনি আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো মানুষদের অর্জনই প্রমাণ করে, বাংলাদেশি প্রতিভা সঠিক সুযোগ পেলে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। তার এই লেকচারটি শুনলে বুঝতে পারবেন এনট্রপি, তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র বা সাধারণভাবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো জানা কতটা জরুরি। তার লেকচারে বারবার ফান্ডামেন্টাল সাইন্স শব্দটি এসেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যে প্ৰযুক্তির জ্বালানি সেটা তার লেকচার থেকে একদম স্পষ্ট।

    তাহলে আমাদেরকে কি করতে হবে? বাংলাদেশের উচিত অতি দ্রুত দুটো ইনস্টিটিউট গড়া। একটি ফান্ডামেন্টাল সাইন্সের উপর এবং অন্যটি প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর। দুটি আলাদা হলেও তাদের মধ্যে কলাবোরেশন অত্যন্ত জরুরি। এই দুই ইনস্টিটিউট যখন হাত ধরাধরি করে গবেষণা করবে তখন মিরাকেল ঘটবে। এই দুই ইনস্টিটিউট হবে বিশ্ব মানের। সেখানে থাকবে বিশ্বমানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও গবেষণার ওয়ার্ল্ড ক্লাস সুবিধা যাতে সায়ীফ সালাউদ্দিন, প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের মুস্তাফা হোসাইনদের মত অসংখ্য স্কলার যারা আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা জায়গায় আছেন তারা যেন তাদের সুবিধা মত এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন, কলাবোরেশন গড়ে তুলে desruptive গবেষণা করতে পারে NOT repeatitive গবেষণা।

    আজকের চীনের উন্নতির পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নোবেল জয়ী সি এন ইয়াং এর ভূমিকা অসাধারণ। সেই ৬০ থেকে ৮০-র দশকে তিনি আমেরিকা থেকে বিশাল দলবল নিয়ে প্রতি বছর ৩ মাসের জন্য চীনে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে সেখানকার ইয়ং ছেলেমেয়েদের নিয়ে গবেষণা করতেন, উৎসাহ দিতেন। আমাদের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খ্যাতিমান গবেষক যারা আছেন আশা করি তারাও এই ভূমিকা পালন করবেন।
    ঢাকায় একটা অসাধারণ ঘটনা ঘটছে। যেটি বাংলাদেশের প্যারাডাইম শিফট ঘটাতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, সেমিকন্ডাক্টর চিপ মেনুফেকচার ও ফ্যাব্রিকেশন, বিজনেস ইত্যাদি নিয়ে সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট এটি। বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ায় এর কোন প্রতিফলন দেখছেন? এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া, বাংলাদেশের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একদল স্কলার আছে যারা বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন UC Berkeley, Purdue University) বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা জায়ান্ট সেমিকন্ডাক্টর চিপ কোম্পানির বড় কেউ ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদেশি হলেন সায়ীফ সালাউদ্দিন যিনি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে—UC Berkeley-তে TSMC Distinguished Professor! তিনি এখন বাংলাদেশে। Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের আরেক অধ্যাপক Muhammad Mustafa Hussain এর নেতৃত্বে Bangladesh National Semiconductor Symposium শিরোনামে একটি সামিটের আয়োজন করেছেন। এই সামিটে বাংলাদেশী অনেক বড় বড় একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কলার যোগ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আয়োজকরা আমাকেও নিমন্ত্রণ করেছিল কিন্তু জুলাই অভ্যুথান নিয়ে নানা অনুষ্ঠান, ক্লাস ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজের কারণে সশরীরে থাকতে পারিনি। তাছাড়া এটি সরাসরি আমার ফিল্ডেরও না। তবে গতকাল অনলাইনে অধ্যাপক সায়ীফ সালাউদ্দিনের লেকচারটি শুনলাম। কমেন্ট থ্রেডে এর লিংক দিলাম চাইলে আপনারাও শুনতে পারেন। অধ্যাপক সালাউদ্দিনের গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি-দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ও নতুন ধরনের ট্রানজিস্টর ডিজাইন। তিনি উদ্ভাবন করেছেন Negative Capacitance Transistor, যা কম শক্তিতে আরও কার্যকর কম্পিউটিং সম্ভব করে তুলছে। একদম কাটিং এজ রিসার্চ যার জন্য জায়ান্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফান্ড দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি Presidential Early Career Award (PECASE), IEEE Andrew S. Grove Award, NSF CAREER Award সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত। এছাড়া তিনি IEEE, APS, AAAS-এর ফেলো এবং Berkeley Device Modeling Center ও Center for Negative Capacitance Transistors-এর সহ-পরিচালক। একজন প্রকৃত বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং গবেষক হিসেবে তিনি আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো মানুষদের অর্জনই প্রমাণ করে, বাংলাদেশি প্রতিভা সঠিক সুযোগ পেলে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। তার এই লেকচারটি শুনলে বুঝতে পারবেন এনট্রপি, তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র বা সাধারণভাবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো জানা কতটা জরুরি। তার লেকচারে বারবার ফান্ডামেন্টাল সাইন্স শব্দটি এসেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যে প্ৰযুক্তির জ্বালানি সেটা তার লেকচার থেকে একদম স্পষ্ট। তাহলে আমাদেরকে কি করতে হবে? বাংলাদেশের উচিত অতি দ্রুত দুটো ইনস্টিটিউট গড়া। একটি ফান্ডামেন্টাল সাইন্সের উপর এবং অন্যটি প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর। দুটি আলাদা হলেও তাদের মধ্যে কলাবোরেশন অত্যন্ত জরুরি। এই দুই ইনস্টিটিউট যখন হাত ধরাধরি করে গবেষণা করবে তখন মিরাকেল ঘটবে। এই দুই ইনস্টিটিউট হবে বিশ্ব মানের। সেখানে থাকবে বিশ্বমানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও গবেষণার ওয়ার্ল্ড ক্লাস সুবিধা যাতে সায়ীফ সালাউদ্দিন, প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের মুস্তাফা হোসাইনদের মত অসংখ্য স্কলার যারা আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা জায়গায় আছেন তারা যেন তাদের সুবিধা মত এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন, কলাবোরেশন গড়ে তুলে desruptive গবেষণা করতে পারে NOT repeatitive গবেষণা। আজকের চীনের উন্নতির পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নোবেল জয়ী সি এন ইয়াং এর ভূমিকা অসাধারণ। সেই ৬০ থেকে ৮০-র দশকে তিনি আমেরিকা থেকে বিশাল দলবল নিয়ে প্রতি বছর ৩ মাসের জন্য চীনে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে সেখানকার ইয়ং ছেলেমেয়েদের নিয়ে গবেষণা করতেন, উৎসাহ দিতেন। আমাদের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খ্যাতিমান গবেষক যারা আছেন আশা করি তারাও এই ভূমিকা পালন করবেন।
    0 Comments 0 Shares 24 Views 0 Reviews
More Stories
BlackBird Ai
https://bbai.shop