আমেরিকার মন্ত্রণালয় কয়টি? ১৫টি। অথচ আমেরিকার অর্থনীতির সাইজ, আয়তন হিসাবে আমেরিকার সাইজ বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক গুন বড়। ইউরোপের দেশগুলোর গড়ে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যাও ১৫-২০! বাংলাদেশের ৫৪টি। তার উপর আছে অধিদপ্তর। ভারত আমাদের চেয়ে কম পক্ষে ২২ গুন বড়! অথচ সেই দেশে মন্ত্রণালয় মাত্র ৫৪টি। বাংলাদেশে কেন এত মন্ত্রণালয় এবং এত অধিদপ্তর। এত মন্ত্রণালয় মানে হাজার হাজার আমলা আর ৫০ এর অধিক মন্ত্রী। এইসব করাই হয়েছে পদ পদবি বিলানোর জন্য। বেশি করে বিসিএস আমলা নিয়োগের জন্য।

খেয়াল করবেন গত ১৫ বছর ধরে বিসিএস চাকুরীকে এক অনন্য উচ্চতায় তোলা হয়েছে। এরও কারণ আছে। ছাত্রছাত্রীরাতো বেকার। তারা যাতে অসহিষ্ণু না হয়ে উঠে তার জন্য বিসিএস পরীক্ষাকে ব্যবহার করা হয়।এই পরীক্ষা সিস্টেমকে যতটা সম্ভব লম্বা করা হয়েছে যাতে এক পরীক্ষাতে দীর্ঘ সময় ধরে আশা নিয়ে বাঁচে। ছাত্রছাত্রীরাদেরকে ব্যস্ত রাখতে বিসিএস প্রস্তুতি খুব ভালো কাজে দেয়। পরীক্ষা মানে আশা। তাছাড়া এই পরীক্ষাকে এমনভাবে গড়া হয়েছে যে চাকুরী তারাই পাবে যারা সরকারি দল করবে বা সরকারের বিরুদ্ধে যাদের কোন অভিযোগ নাই। ছাত্ররা ইচ্ছে করে সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলনে যোগ সহজে দিত না কারণ এইসব নাকি মনিটর করা হয় এই ভয়ে।

গরিব দেশের ছোট অর্থনীতিতে এত মন্ত্রী, এত প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এত সচিব, উপসচিব কর্মকর্তা, এত গাড়ি, ফ্রীতে ড্রাইভার ও তেল, গাড়ির আগে পিছে বাঁশি হাতে পুলিশ ও গাড়ি কল্পনা করতে পারেন? কিন্তু শিক্ষায় বরাদ্দের টাকা নাই। এত মন্ত্রণালয় দিয়ে দেশের মানুষ কি সার্ভিস পাচ্ছে? রেল মন্ত্রণালয় কি সফল? বিমান মন্ত্রণালয় কি সফল? সড়ক মন্ত্রণালয় কি সফল? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি সফল? এমন একটি মন্ত্রণালয় পাবেন যেই মন্ত্রণালয় সফল। তাহলে সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ কি হলো? আমরা মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে দেশকে অনাবাসযোগ্য বানিয়ে ফেলেছি। সরকারে মন্ত্রণালয় বাড়িয়ে অযথা খরচ বাড়িয়েছি কিন্তু সেবা কমেছে।

সেবাতো নাই বরং ঘুষ বাণিজ্য বেড়েছে। তাই সংখ্যা না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে মানের দিকে নজর দেওয়া উচিত আমাদের। মান বাড়াতে হলে বিসিএস পরীক্ষার মান বাড়াতে হবে। ধরুন একজন ছাত্র হার্ভার্ড বা এমআইটি থেকে আন্ডার গ্রাজুয়েট করলো। সে যদি আমাদের বিসিএস পরীক্ষা দেয় পাশ করতে পারবে? ওখান থেকে পাশ করেও চটি মার্কা গাইড বই ও কোচিং করলে পেতে পারে। এর অর্থ বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতিতে সমস্যা আছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা দেশে বিদেশে ভালো করছে তাদেরকে কিভাবে সরকারি চাকুরীতে নেওয়া যায় সেটা গবেষণা করে একটা পদ্ধতি বের করতে হবে। তাতে ব্রেইন ড্রেইনের বদলে ব্রেইন গেইনের ধারা তৈরী হবে। এমন ছেলেমেয়েদের চাকুরী দিতে হবে যারা মানসিকতায় আধুনিক এবং AI, IT সহ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ভালো।
আমেরিকার মন্ত্রণালয় কয়টি? ১৫টি। অথচ আমেরিকার অর্থনীতির সাইজ, আয়তন হিসাবে আমেরিকার সাইজ বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক গুন বড়। ইউরোপের দেশগুলোর গড়ে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যাও ১৫-২০! বাংলাদেশের ৫৪টি। তার উপর আছে অধিদপ্তর। ভারত আমাদের চেয়ে কম পক্ষে ২২ গুন বড়! অথচ সেই দেশে মন্ত্রণালয় মাত্র ৫৪টি। বাংলাদেশে কেন এত মন্ত্রণালয় এবং এত অধিদপ্তর। এত মন্ত্রণালয় মানে হাজার হাজার আমলা আর ৫০ এর অধিক মন্ত্রী। এইসব করাই হয়েছে পদ পদবি বিলানোর জন্য। বেশি করে বিসিএস আমলা নিয়োগের জন্য। খেয়াল করবেন গত ১৫ বছর ধরে বিসিএস চাকুরীকে এক অনন্য উচ্চতায় তোলা হয়েছে। এরও কারণ আছে। ছাত্রছাত্রীরাতো বেকার। তারা যাতে অসহিষ্ণু না হয়ে উঠে তার জন্য বিসিএস পরীক্ষাকে ব্যবহার করা হয়।এই পরীক্ষা সিস্টেমকে যতটা সম্ভব লম্বা করা হয়েছে যাতে এক পরীক্ষাতে দীর্ঘ সময় ধরে আশা নিয়ে বাঁচে। ছাত্রছাত্রীরাদেরকে ব্যস্ত রাখতে বিসিএস প্রস্তুতি খুব ভালো কাজে দেয়। পরীক্ষা মানে আশা। তাছাড়া এই পরীক্ষাকে এমনভাবে গড়া হয়েছে যে চাকুরী তারাই পাবে যারা সরকারি দল করবে বা সরকারের বিরুদ্ধে যাদের কোন অভিযোগ নাই। ছাত্ররা ইচ্ছে করে সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলনে যোগ সহজে দিত না কারণ এইসব নাকি মনিটর করা হয় এই ভয়ে। গরিব দেশের ছোট অর্থনীতিতে এত মন্ত্রী, এত প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এত সচিব, উপসচিব কর্মকর্তা, এত গাড়ি, ফ্রীতে ড্রাইভার ও তেল, গাড়ির আগে পিছে বাঁশি হাতে পুলিশ ও গাড়ি কল্পনা করতে পারেন? কিন্তু শিক্ষায় বরাদ্দের টাকা নাই। এত মন্ত্রণালয় দিয়ে দেশের মানুষ কি সার্ভিস পাচ্ছে? রেল মন্ত্রণালয় কি সফল? বিমান মন্ত্রণালয় কি সফল? সড়ক মন্ত্রণালয় কি সফল? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি সফল? এমন একটি মন্ত্রণালয় পাবেন যেই মন্ত্রণালয় সফল। তাহলে সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ কি হলো? আমরা মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে দেশকে অনাবাসযোগ্য বানিয়ে ফেলেছি। সরকারে মন্ত্রণালয় বাড়িয়ে অযথা খরচ বাড়িয়েছি কিন্তু সেবা কমেছে। সেবাতো নাই বরং ঘুষ বাণিজ্য বেড়েছে। তাই সংখ্যা না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে মানের দিকে নজর দেওয়া উচিত আমাদের। মান বাড়াতে হলে বিসিএস পরীক্ষার মান বাড়াতে হবে। ধরুন একজন ছাত্র হার্ভার্ড বা এমআইটি থেকে আন্ডার গ্রাজুয়েট করলো। সে যদি আমাদের বিসিএস পরীক্ষা দেয় পাশ করতে পারবে? ওখান থেকে পাশ করেও চটি মার্কা গাইড বই ও কোচিং করলে পেতে পারে। এর অর্থ বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতিতে সমস্যা আছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা দেশে বিদেশে ভালো করছে তাদেরকে কিভাবে সরকারি চাকুরীতে নেওয়া যায় সেটা গবেষণা করে একটা পদ্ধতি বের করতে হবে। তাতে ব্রেইন ড্রেইনের বদলে ব্রেইন গেইনের ধারা তৈরী হবে। এমন ছেলেমেয়েদের চাকুরী দিতে হবে যারা মানসিকতায় আধুনিক এবং AI, IT সহ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ভালো।
0 Comments 0 Shares 12 Views 0 Reviews
BlackBird Ai
https://bbai.shop