ঢাকায় একটা অসাধারণ ঘটনা ঘটছে। যেটি বাংলাদেশের প্যারাডাইম শিফট ঘটাতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, সেমিকন্ডাক্টর চিপ মেনুফেকচার ও ফ্যাব্রিকেশন, বিজনেস ইত্যাদি নিয়ে সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট এটি। বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ায় এর কোন প্রতিফলন দেখছেন? এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া, বাংলাদেশের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একদল স্কলার আছে যারা বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন UC Berkeley, Purdue University) বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা জায়ান্ট সেমিকন্ডাক্টর চিপ কোম্পানির বড় কেউ ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদেশি হলেন সায়ীফ সালাউদ্দিন যিনি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে—UC Berkeley-তে TSMC Distinguished Professor! তিনি এখন বাংলাদেশে। Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের আরেক অধ্যাপক Muhammad Mustafa Hussain এর নেতৃত্বে Bangladesh National Semiconductor Symposium শিরোনামে একটি সামিটের আয়োজন করেছেন। এই সামিটে বাংলাদেশী অনেক বড় বড় একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কলার যোগ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আয়োজকরা আমাকেও নিমন্ত্রণ করেছিল কিন্তু জুলাই অভ্যুথান নিয়ে নানা অনুষ্ঠান, ক্লাস ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজের কারণে সশরীরে থাকতে পারিনি। তাছাড়া এটি সরাসরি আমার ফিল্ডেরও না। তবে গতকাল অনলাইনে অধ্যাপক সায়ীফ সালাউদ্দিনের লেকচারটি শুনলাম। কমেন্ট থ্রেডে এর লিংক দিলাম চাইলে আপনারাও শুনতে পারেন।
অধ্যাপক সালাউদ্দিনের গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি-দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ও নতুন ধরনের ট্রানজিস্টর ডিজাইন। তিনি উদ্ভাবন করেছেন Negative Capacitance Transistor, যা কম শক্তিতে আরও কার্যকর কম্পিউটিং সম্ভব করে তুলছে। একদম কাটিং এজ রিসার্চ যার জন্য জায়ান্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফান্ড দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি Presidential Early Career Award (PECASE), IEEE Andrew S. Grove Award, NSF CAREER Award সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত। এছাড়া তিনি IEEE, APS, AAAS-এর ফেলো এবং Berkeley Device Modeling Center ও Center for Negative Capacitance Transistors-এর সহ-পরিচালক।
একজন প্রকৃত বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং গবেষক হিসেবে তিনি আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো মানুষদের অর্জনই প্রমাণ করে, বাংলাদেশি প্রতিভা সঠিক সুযোগ পেলে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। তার এই লেকচারটি শুনলে বুঝতে পারবেন এনট্রপি, তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র বা সাধারণভাবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো জানা কতটা জরুরি। তার লেকচারে বারবার ফান্ডামেন্টাল সাইন্স শব্দটি এসেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যে প্ৰযুক্তির জ্বালানি সেটা তার লেকচার থেকে একদম স্পষ্ট।
তাহলে আমাদেরকে কি করতে হবে? বাংলাদেশের উচিত অতি দ্রুত দুটো ইনস্টিটিউট গড়া। একটি ফান্ডামেন্টাল সাইন্সের উপর এবং অন্যটি প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর। দুটি আলাদা হলেও তাদের মধ্যে কলাবোরেশন অত্যন্ত জরুরি। এই দুই ইনস্টিটিউট যখন হাত ধরাধরি করে গবেষণা করবে তখন মিরাকেল ঘটবে। এই দুই ইনস্টিটিউট হবে বিশ্ব মানের। সেখানে থাকবে বিশ্বমানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও গবেষণার ওয়ার্ল্ড ক্লাস সুবিধা যাতে সায়ীফ সালাউদ্দিন, প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের মুস্তাফা হোসাইনদের মত অসংখ্য স্কলার যারা আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা জায়গায় আছেন তারা যেন তাদের সুবিধা মত এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন, কলাবোরেশন গড়ে তুলে desruptive গবেষণা করতে পারে NOT repeatitive গবেষণা।
আজকের চীনের উন্নতির পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নোবেল জয়ী সি এন ইয়াং এর ভূমিকা অসাধারণ। সেই ৬০ থেকে ৮০-র দশকে তিনি আমেরিকা থেকে বিশাল দলবল নিয়ে প্রতি বছর ৩ মাসের জন্য চীনে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে সেখানকার ইয়ং ছেলেমেয়েদের নিয়ে গবেষণা করতেন, উৎসাহ দিতেন। আমাদের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খ্যাতিমান গবেষক যারা আছেন আশা করি তারাও এই ভূমিকা পালন করবেন।
অধ্যাপক সালাউদ্দিনের গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি-দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ও নতুন ধরনের ট্রানজিস্টর ডিজাইন। তিনি উদ্ভাবন করেছেন Negative Capacitance Transistor, যা কম শক্তিতে আরও কার্যকর কম্পিউটিং সম্ভব করে তুলছে। একদম কাটিং এজ রিসার্চ যার জন্য জায়ান্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফান্ড দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি Presidential Early Career Award (PECASE), IEEE Andrew S. Grove Award, NSF CAREER Award সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত। এছাড়া তিনি IEEE, APS, AAAS-এর ফেলো এবং Berkeley Device Modeling Center ও Center for Negative Capacitance Transistors-এর সহ-পরিচালক।
একজন প্রকৃত বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং গবেষক হিসেবে তিনি আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো মানুষদের অর্জনই প্রমাণ করে, বাংলাদেশি প্রতিভা সঠিক সুযোগ পেলে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। তার এই লেকচারটি শুনলে বুঝতে পারবেন এনট্রপি, তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র বা সাধারণভাবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো জানা কতটা জরুরি। তার লেকচারে বারবার ফান্ডামেন্টাল সাইন্স শব্দটি এসেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যে প্ৰযুক্তির জ্বালানি সেটা তার লেকচার থেকে একদম স্পষ্ট।
তাহলে আমাদেরকে কি করতে হবে? বাংলাদেশের উচিত অতি দ্রুত দুটো ইনস্টিটিউট গড়া। একটি ফান্ডামেন্টাল সাইন্সের উপর এবং অন্যটি প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর। দুটি আলাদা হলেও তাদের মধ্যে কলাবোরেশন অত্যন্ত জরুরি। এই দুই ইনস্টিটিউট যখন হাত ধরাধরি করে গবেষণা করবে তখন মিরাকেল ঘটবে। এই দুই ইনস্টিটিউট হবে বিশ্ব মানের। সেখানে থাকবে বিশ্বমানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও গবেষণার ওয়ার্ল্ড ক্লাস সুবিধা যাতে সায়ীফ সালাউদ্দিন, প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের মুস্তাফা হোসাইনদের মত অসংখ্য স্কলার যারা আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা জায়গায় আছেন তারা যেন তাদের সুবিধা মত এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন, কলাবোরেশন গড়ে তুলে desruptive গবেষণা করতে পারে NOT repeatitive গবেষণা।
আজকের চীনের উন্নতির পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নোবেল জয়ী সি এন ইয়াং এর ভূমিকা অসাধারণ। সেই ৬০ থেকে ৮০-র দশকে তিনি আমেরিকা থেকে বিশাল দলবল নিয়ে প্রতি বছর ৩ মাসের জন্য চীনে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে সেখানকার ইয়ং ছেলেমেয়েদের নিয়ে গবেষণা করতেন, উৎসাহ দিতেন। আমাদের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খ্যাতিমান গবেষক যারা আছেন আশা করি তারাও এই ভূমিকা পালন করবেন।
ঢাকায় একটা অসাধারণ ঘটনা ঘটছে। যেটি বাংলাদেশের প্যারাডাইম শিফট ঘটাতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, সেমিকন্ডাক্টর চিপ মেনুফেকচার ও ফ্যাব্রিকেশন, বিজনেস ইত্যাদি নিয়ে সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট এটি। বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ায় এর কোন প্রতিফলন দেখছেন? এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া, বাংলাদেশের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একদল স্কলার আছে যারা বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন UC Berkeley, Purdue University) বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা জায়ান্ট সেমিকন্ডাক্টর চিপ কোম্পানির বড় কেউ ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদেশি হলেন সায়ীফ সালাউদ্দিন যিনি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে—UC Berkeley-তে TSMC Distinguished Professor! তিনি এখন বাংলাদেশে। Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের আরেক অধ্যাপক Muhammad Mustafa Hussain এর নেতৃত্বে Bangladesh National Semiconductor Symposium শিরোনামে একটি সামিটের আয়োজন করেছেন। এই সামিটে বাংলাদেশী অনেক বড় বড় একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কলার যোগ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আয়োজকরা আমাকেও নিমন্ত্রণ করেছিল কিন্তু জুলাই অভ্যুথান নিয়ে নানা অনুষ্ঠান, ক্লাস ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজের কারণে সশরীরে থাকতে পারিনি। তাছাড়া এটি সরাসরি আমার ফিল্ডেরও না। তবে গতকাল অনলাইনে অধ্যাপক সায়ীফ সালাউদ্দিনের লেকচারটি শুনলাম। কমেন্ট থ্রেডে এর লিংক দিলাম চাইলে আপনারাও শুনতে পারেন।
অধ্যাপক সালাউদ্দিনের গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি-দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ও নতুন ধরনের ট্রানজিস্টর ডিজাইন। তিনি উদ্ভাবন করেছেন Negative Capacitance Transistor, যা কম শক্তিতে আরও কার্যকর কম্পিউটিং সম্ভব করে তুলছে। একদম কাটিং এজ রিসার্চ যার জন্য জায়ান্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফান্ড দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি Presidential Early Career Award (PECASE), IEEE Andrew S. Grove Award, NSF CAREER Award সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত। এছাড়া তিনি IEEE, APS, AAAS-এর ফেলো এবং Berkeley Device Modeling Center ও Center for Negative Capacitance Transistors-এর সহ-পরিচালক।
একজন প্রকৃত বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং গবেষক হিসেবে তিনি আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো মানুষদের অর্জনই প্রমাণ করে, বাংলাদেশি প্রতিভা সঠিক সুযোগ পেলে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। তার এই লেকচারটি শুনলে বুঝতে পারবেন এনট্রপি, তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র বা সাধারণভাবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো জানা কতটা জরুরি। তার লেকচারে বারবার ফান্ডামেন্টাল সাইন্স শব্দটি এসেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যে প্ৰযুক্তির জ্বালানি সেটা তার লেকচার থেকে একদম স্পষ্ট।
তাহলে আমাদেরকে কি করতে হবে? বাংলাদেশের উচিত অতি দ্রুত দুটো ইনস্টিটিউট গড়া। একটি ফান্ডামেন্টাল সাইন্সের উপর এবং অন্যটি প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর। দুটি আলাদা হলেও তাদের মধ্যে কলাবোরেশন অত্যন্ত জরুরি। এই দুই ইনস্টিটিউট যখন হাত ধরাধরি করে গবেষণা করবে তখন মিরাকেল ঘটবে। এই দুই ইনস্টিটিউট হবে বিশ্ব মানের। সেখানে থাকবে বিশ্বমানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও গবেষণার ওয়ার্ল্ড ক্লাস সুবিধা যাতে সায়ীফ সালাউদ্দিন, প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের মুস্তাফা হোসাইনদের মত অসংখ্য স্কলার যারা আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা জায়গায় আছেন তারা যেন তাদের সুবিধা মত এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন, কলাবোরেশন গড়ে তুলে desruptive গবেষণা করতে পারে NOT repeatitive গবেষণা।
আজকের চীনের উন্নতির পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নোবেল জয়ী সি এন ইয়াং এর ভূমিকা অসাধারণ। সেই ৬০ থেকে ৮০-র দশকে তিনি আমেরিকা থেকে বিশাল দলবল নিয়ে প্রতি বছর ৩ মাসের জন্য চীনে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে সেখানকার ইয়ং ছেলেমেয়েদের নিয়ে গবেষণা করতেন, উৎসাহ দিতেন। আমাদের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খ্যাতিমান গবেষক যারা আছেন আশা করি তারাও এই ভূমিকা পালন করবেন।
0 Comments
0 Shares
17 Views
0 Reviews