• বাঘের জিহ্বা কিন্তু সাধারণ কোনো প্রাণীর মতো নয়। এই জিহ্বার গায়ে থাকে কেরাটিনে তৈরি ধারালো কাঁটা, একেবারে মাংস ছেঁড়ার মতন!

    একবার চাটা দিয়েই বাঘ মাংস, পালক কিংবা লোম- সব কিছু হাড় থেকে তুলে ফেলতে পারে! ঠিক যেন মাংস ধরার হুকের মতো কাজ করে ওর জিভটা!

    এই জিহ্বাই ওদের জন্য একদিকে গ্রুমিং টুল, আবার অন্যদিকে বেঁচে থাকার অস্ত্র। সৃষ্টিকর্তার অনন্য সৃষ্টি বাঘের এই 'স্যান্ডপেপার' জিহবা, যা দিয়ে বাঘ নিজের খাবারও ঠিকঠাক গুছিয়ে নেয়, আবার নিজের শরীরও পরিষ্কার রাখে।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    বাঘের জিহ্বা কিন্তু সাধারণ কোনো প্রাণীর মতো নয়। এই জিহ্বার গায়ে থাকে কেরাটিনে তৈরি ধারালো কাঁটা, একেবারে মাংস ছেঁড়ার মতন! একবার চাটা দিয়েই বাঘ মাংস, পালক কিংবা লোম- সব কিছু হাড় থেকে তুলে ফেলতে পারে! ঠিক যেন মাংস ধরার হুকের মতো কাজ করে ওর জিভটা! এই জিহ্বাই ওদের জন্য একদিকে গ্রুমিং টুল, আবার অন্যদিকে বেঁচে থাকার অস্ত্র। সৃষ্টিকর্তার অনন্য সৃষ্টি বাঘের এই 'স্যান্ডপেপার' জিহবা, যা দিয়ে বাঘ নিজের খাবারও ঠিকঠাক গুছিয়ে নেয়, আবার নিজের শরীরও পরিষ্কার রাখে। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 Commentaires 0 Parts 6 Vue
  • কেভিন স্মিড্‌ট এমন এক কাজের জন্য বছরে ৪৪ হাজার ডলার পান, যা অনেকে কল্পনাও করতে পারবে না! তিনি ১,৫০০ ফুট ওপরে উঠে একটা বাতি বদলান!

    প্রতি ছয় মাসে একবার কেভিন উঠে যান এমন এক টাওয়ারের চূড়ায়, যা এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের চেয়েও উঁচু। তার সঙ্গে থাকে শুধু একটা হারনেস, আর বুকভরা সাহস। কারণ, ওই টাওয়ারের মাথায় লাল বাতিটা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মাঝ আকাশে থাকা বিমানের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ব্যাপারটা। তাই কাজটা ভয়ংকর হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

    এই কাজের মাধ্যমে তার বার্ষিক আয় প্রায় ৪৪ হাজার ডলার। কারও চোখে এটা অনেক, আবার কারও মতে- জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় এটা খুব কম। তবে কেভিনের কাছে এটা কেবল একটা চাকরি নয়, বরং একধরনের অ্যাডভেঞ্চার যার পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য আছে।

    আর হ্যাঁ, এই দুঃসাহসিক অভিযানের মাঝেও কখনও কখনও থেমে যান তিনি, শুধু স্ত্রীর জন্য একটা ছবি তোলার খাতিরে!
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    কেভিন স্মিড্‌ট এমন এক কাজের জন্য বছরে ৪৪ হাজার ডলার পান, যা অনেকে কল্পনাও করতে পারবে না! তিনি ১,৫০০ ফুট ওপরে উঠে একটা বাতি বদলান! প্রতি ছয় মাসে একবার কেভিন উঠে যান এমন এক টাওয়ারের চূড়ায়, যা এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের চেয়েও উঁচু। তার সঙ্গে থাকে শুধু একটা হারনেস, আর বুকভরা সাহস। কারণ, ওই টাওয়ারের মাথায় লাল বাতিটা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মাঝ আকাশে থাকা বিমানের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ব্যাপারটা। তাই কাজটা ভয়ংকর হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজের মাধ্যমে তার বার্ষিক আয় প্রায় ৪৪ হাজার ডলার। কারও চোখে এটা অনেক, আবার কারও মতে- জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় এটা খুব কম। তবে কেভিনের কাছে এটা কেবল একটা চাকরি নয়, বরং একধরনের অ্যাডভেঞ্চার যার পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য আছে। আর হ্যাঁ, এই দুঃসাহসিক অভিযানের মাঝেও কখনও কখনও থেমে যান তিনি, শুধু স্ত্রীর জন্য একটা ছবি তোলার খাতিরে! . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 Commentaires 0 Parts 23 Vue
  • সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়।

    ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়।

    তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর।

    ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়।

    ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে।

    জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি।
    #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়। তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর। ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি। #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    0 Commentaires 0 Parts 83 Vue
  • আলোরনা দুর্গ:
    গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী।

    দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো।

    কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত।

    আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত।

    এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা।

    আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।

    সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান।

    আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত।

    আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ।
    #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    আলোরনা দুর্গ: গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী। দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো। কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত। আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত। এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা। আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান। আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ। #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    0 Commentaires 0 Parts 84 Vue
  • চীনের ১৮ বছর বয়সী স্মার্ট তরুণ চেন ভেবেছিল, এই গ্রীষ্ম ছোট ছোট বাচ্চাদের সাঁতার শিখিয়ে কাটিয়ে দেবে, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। সহজ-সরল একটা আইডিয়া। কিন্তু বাস্তবে ঘটল ঠিক তার উল্টোটা।

    দেশটির হ্যাংঝু চেন জিংলুন স্পোর্টস স্কুলে ক্লাস নেওয়ার সময় কিছু বাচ্চার মা তাদের সন্তানদের ভিডিও করতে শুরু করেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো, ক্যামেরা বাচ্চাদের রেখে বার বার চেনের উপর ফোকাস করছিল!

    সুদর্শন সুইমিং টিচার চেনের ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকে যা ঘটছে, তা রীতিমতো নাটকীয়—

    একজন মা জিজ্ঞেস করেন, “আমার ২৬৪ মাস বয়সী শিশুটি কি আপনার ক্লাসে আসতে পারবে?” হিসেব করে বললে, ওই "শিশুটির" বয়স ২২ বছর!

    আরেকজন লিখেছেন, “আগে বুঝতে পারিনি, আমি সাঁতার পছন্দ করতাম না, কারণ আমার কোনো হ্যান্ডসাম কোচ ছিল না!”

    একদিকে চেন বাচ্চাদের সাঁতার শেখাচ্ছে। অন্যদিকে অভিভাবকরা ইনবক্সে এসে তাকে প্রেমের প্রস্তাব, হ্যাংআউট প্রপোজাল, এমনকি বিনা নোটিশে ফোন নাম্বার পাঠিয়ে দিচ্ছেন!

    শেষ পর্যন্ত বেচারা চেন বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেয়, “দয়া করে আমাকে ব্যক্তিগত মেসেজ পাঠানো বন্ধ করুন। এটা আমার দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা তৈরি করছে।”

    ভাইরাল হওয়াটা অনেক সময় আশীর্বাদ না হয়ে একটা বাজে অভিজ্ঞতাও হয়ে দাঁড়াতে পারে- চেন এখন সেটা হাড়ে হাড়েই টের পাচ্ছে।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    চীনের ১৮ বছর বয়সী স্মার্ট তরুণ চেন ভেবেছিল, এই গ্রীষ্ম ছোট ছোট বাচ্চাদের সাঁতার শিখিয়ে কাটিয়ে দেবে, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। সহজ-সরল একটা আইডিয়া। কিন্তু বাস্তবে ঘটল ঠিক তার উল্টোটা। দেশটির হ্যাংঝু চেন জিংলুন স্পোর্টস স্কুলে ক্লাস নেওয়ার সময় কিছু বাচ্চার মা তাদের সন্তানদের ভিডিও করতে শুরু করেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো, ক্যামেরা বাচ্চাদের রেখে বার বার চেনের উপর ফোকাস করছিল! সুদর্শন সুইমিং টিচার চেনের ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকে যা ঘটছে, তা রীতিমতো নাটকীয়— একজন মা জিজ্ঞেস করেন, “আমার ২৬৪ মাস বয়সী শিশুটি কি আপনার ক্লাসে আসতে পারবে?” হিসেব করে বললে, ওই "শিশুটির" বয়স ২২ বছর! আরেকজন লিখেছেন, “আগে বুঝতে পারিনি, আমি সাঁতার পছন্দ করতাম না, কারণ আমার কোনো হ্যান্ডসাম কোচ ছিল না!” একদিকে চেন বাচ্চাদের সাঁতার শেখাচ্ছে। অন্যদিকে অভিভাবকরা ইনবক্সে এসে তাকে প্রেমের প্রস্তাব, হ্যাংআউট প্রপোজাল, এমনকি বিনা নোটিশে ফোন নাম্বার পাঠিয়ে দিচ্ছেন! শেষ পর্যন্ত বেচারা চেন বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেয়, “দয়া করে আমাকে ব্যক্তিগত মেসেজ পাঠানো বন্ধ করুন। এটা আমার দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা তৈরি করছে।” ভাইরাল হওয়াটা অনেক সময় আশীর্বাদ না হয়ে একটা বাজে অভিজ্ঞতাও হয়ে দাঁড়াতে পারে- চেন এখন সেটা হাড়ে হাড়েই টের পাচ্ছে। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 Commentaires 0 Parts 69 Vue
BlackBird Ai
https://bbai.shop