• ১৬ বছর একা, সঙ্গী নেই, তবু ডিম পাড়ল কুমির!

    ২০১৮ সালে এক আশ্চর্য ঘটনা চমকে দেয় বিজ্ঞানী সমাজকে। একটি স্ত্রী আমেরিকান কুমির, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সম্পূর্ণ একা থেকেছে সে, কোনো পুরুষ কুমিরের সংস্পর্শ ছাড়াই ডিম পাড়ে!

    প্রথমে মনে হয়েছিল- এটা হয়তো নিছক কাকতালীয়। কিন্তু যখন ডিমগুলোর জিনগত পরীক্ষা করা হয়, তখন বেরিয়ে আসে এক বিস্ময়কর সত্য- একটি ডিমে সম্পূর্ণ সুগঠিত ভ্রূণ ছিল, যার জিনগত গঠন প্রায় ১০০% তার মায়ের মতো ছিল।

    এটা হলো পার্থেনোজেনেসিস, অর্থাৎ 'ভার্জিন বার্থ' বা কুমারী থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা।

    পার্থেনোজেনেসিস আগে পাখি, সাপ এবং কিছু মাছের মধ্যে দেখা গেছে, কিন্তু কখনোই কুমিরের মতো প্রাচীন এবং শীর্ষস্তরের শিকারী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়নি।

    যদিও সেই কুমিরের বাচ্চাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এবং ডিমগুলোও ফোটেনি, তবু এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে প্রতিকূল পরিবেশে কুমিরের মতো প্রাণীও একা থাকলে জিনগতভাবে নিজেকে পুনরুৎপাদন করতে পারে।

    আরও রোমাঞ্চকর বিষয় হলো- বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ক্ষমতা হয়তো এসেছে কোটি কোটি বছর আগের ডাইনোসরের যুগ থেকে। কুমির, পাখি, এমনকি ডাইনোসরের পূর্বপুরুষদের মধ্যে এই আত্মপ্রজননের সক্ষমতা ছিল।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    ১৬ বছর একা, সঙ্গী নেই, তবু ডিম পাড়ল কুমির! ২০১৮ সালে এক আশ্চর্য ঘটনা চমকে দেয় বিজ্ঞানী সমাজকে। একটি স্ত্রী আমেরিকান কুমির, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সম্পূর্ণ একা থেকেছে সে, কোনো পুরুষ কুমিরের সংস্পর্শ ছাড়াই ডিম পাড়ে! প্রথমে মনে হয়েছিল- এটা হয়তো নিছক কাকতালীয়। কিন্তু যখন ডিমগুলোর জিনগত পরীক্ষা করা হয়, তখন বেরিয়ে আসে এক বিস্ময়কর সত্য- একটি ডিমে সম্পূর্ণ সুগঠিত ভ্রূণ ছিল, যার জিনগত গঠন প্রায় ১০০% তার মায়ের মতো ছিল। এটা হলো পার্থেনোজেনেসিস, অর্থাৎ 'ভার্জিন বার্থ' বা কুমারী থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা। পার্থেনোজেনেসিস আগে পাখি, সাপ এবং কিছু মাছের মধ্যে দেখা গেছে, কিন্তু কখনোই কুমিরের মতো প্রাচীন এবং শীর্ষস্তরের শিকারী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়নি। যদিও সেই কুমিরের বাচ্চাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, এবং ডিমগুলোও ফোটেনি, তবু এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে প্রতিকূল পরিবেশে কুমিরের মতো প্রাণীও একা থাকলে জিনগতভাবে নিজেকে পুনরুৎপাদন করতে পারে। আরও রোমাঞ্চকর বিষয় হলো- বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ক্ষমতা হয়তো এসেছে কোটি কোটি বছর আগের ডাইনোসরের যুগ থেকে। কুমির, পাখি, এমনকি ডাইনোসরের পূর্বপুরুষদের মধ্যে এই আত্মপ্রজননের সক্ষমতা ছিল। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 Commentarios 0 Acciones 339 Views
  • আলি এক্সপ্রেস থেকে অনলাইনে ড্রিল মেশিন আর প্রেশার ওয়াশার অর্ডার করেছিলেন সিলভেস্টার ফ্রাঙ্কলিন নামের এই ব্যক্তি। খরচ করেছিলেন সব মিলিয়ে ৪০ ডলার। কিন্তু অনলাইনে তিনি কী পেয়েছিলেন জানেন? ড্রিল মেশিনের পরিবর্তে ওটার প্রিন্ট করা ছবি, আর প্রেশার ওয়াশারের বদলে একটা স্ক্রু!
    .
    .
    #itihasergolpo #itihaser_golpo #Aliexpress
    আলি এক্সপ্রেস থেকে অনলাইনে ড্রিল মেশিন আর প্রেশার ওয়াশার অর্ডার করেছিলেন সিলভেস্টার ফ্রাঙ্কলিন নামের এই ব্যক্তি। খরচ করেছিলেন সব মিলিয়ে ৪০ ডলার। কিন্তু অনলাইনে তিনি কী পেয়েছিলেন জানেন? ড্রিল মেশিনের পরিবর্তে ওটার প্রিন্ট করা ছবি, আর প্রেশার ওয়াশারের বদলে একটা স্ক্রু! . . #itihasergolpo #itihaser_golpo #Aliexpress
    0 Commentarios 0 Acciones 291 Views
  • ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মার্ক জাকারবার্গ একটা ছোট্ট অনলাইন প্রজেক্ট শুরু করেন। নাম ছিল “Thefacebook”। ওটা ছিল মূলত হার্ভার্ডের ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে যুক্ত হতে সাহায্য করার জন্য তৈরি একটি ডিজিটাল ডিরেক্টরি।

    কিন্তু সেই সাধারণ আইডিয়া খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়েও।

    জাকারবার্গ তখন বন্ধুদের সঙ্গে হাত মেলান। ডাস্টিন মোস্কোভিটজ, এডুয়ার্ডো স্যাভেরিনসহ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিয়ে দিন-রাত কাজ করতে থাকেন প্রজেক্টটি বড় করার জন্য।

    একসময় সিদ্ধান্ত নেন- পুরোপুরি ফেসবুকেই মনোযোগ দেবেন। তাই হার্ভার্ড ছেড়ে চলে যান সিলিকন ভ্যালিতে। সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন অধ্যায়।

    যে জিনিসটি একসময় ছিল শুধুমাত্র ছাত্রদের জন্য বানানো একটি ক্যাম্পাস সোশ্যাল ডিরেক্টরি, সেটাই আজ হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- ফেসবুক।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo #MarkZuckerberg
    ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মার্ক জাকারবার্গ একটা ছোট্ট অনলাইন প্রজেক্ট শুরু করেন। নাম ছিল “Thefacebook”। ওটা ছিল মূলত হার্ভার্ডের ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে যুক্ত হতে সাহায্য করার জন্য তৈরি একটি ডিজিটাল ডিরেক্টরি। কিন্তু সেই সাধারণ আইডিয়া খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়েও। জাকারবার্গ তখন বন্ধুদের সঙ্গে হাত মেলান। ডাস্টিন মোস্কোভিটজ, এডুয়ার্ডো স্যাভেরিনসহ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিয়ে দিন-রাত কাজ করতে থাকেন প্রজেক্টটি বড় করার জন্য। একসময় সিদ্ধান্ত নেন- পুরোপুরি ফেসবুকেই মনোযোগ দেবেন। তাই হার্ভার্ড ছেড়ে চলে যান সিলিকন ভ্যালিতে। সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন অধ্যায়। যে জিনিসটি একসময় ছিল শুধুমাত্র ছাত্রদের জন্য বানানো একটি ক্যাম্পাস সোশ্যাল ডিরেক্টরি, সেটাই আজ হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- ফেসবুক। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo #MarkZuckerberg
    0 Commentarios 0 Acciones 352 Views
  • কেনিয়ার রিফট ভ্যালির প্রত্যন্ত অঞ্চলের কেরিকো মিক্সড ডে সেকেন্ডারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন পিটার তাবিচি। সেখানে শত শত শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র একটি কম্পিউটার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৫৮, এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তারা কলম, খাতা, খাবার- কিছুই কেনার সামর্থ্য রাখে না।

    কিন্তু পিটার তাবিচি ভিন্ন ধাতুতে গড়া একজন মানুষ। তিনি নিজের বেতনের ৮০ ভাগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিফর্ম, বই আর খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তার নিঃস্বার্থ মনোভাব ও আত্মত্যাগ পুরো স্কুলের চেহারাই বদলে দিয়েছে।

    তার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করেছে, এমনকি আন্তর্জাতিক নানা বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও অপ্রত্যাশিতভাবে অন্যদের পেছনে ফেলে সাফল্য লাভ করেছে।

    এই অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে পিটার তাবিচি পান গ্লোবাল টিচার প্রাইজ, বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ১ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার, যা শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়।

    দুবাইয়ে আয়োজিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শুধুমাত্র একজন শিক্ষকের অর্জনের স্বীকৃতিই দেয়নি, বরং প্রমাণ করেছে- যখন একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের উপর ভরসা রাখেন, তাদের নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন ও তাদের জন্যই লড়াই করেন, তখন আসলে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা জয় করা সম্ভব।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo #PeterTabichi #schoollife #schooldays #teacherlife
    কেনিয়ার রিফট ভ্যালির প্রত্যন্ত অঞ্চলের কেরিকো মিক্সড ডে সেকেন্ডারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন পিটার তাবিচি। সেখানে শত শত শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র একটি কম্পিউটার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৫৮, এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তারা কলম, খাতা, খাবার- কিছুই কেনার সামর্থ্য রাখে না। কিন্তু পিটার তাবিচি ভিন্ন ধাতুতে গড়া একজন মানুষ। তিনি নিজের বেতনের ৮০ ভাগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিফর্ম, বই আর খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তার নিঃস্বার্থ মনোভাব ও আত্মত্যাগ পুরো স্কুলের চেহারাই বদলে দিয়েছে। তার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করেছে, এমনকি আন্তর্জাতিক নানা বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও অপ্রত্যাশিতভাবে অন্যদের পেছনে ফেলে সাফল্য লাভ করেছে। এই অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে পিটার তাবিচি পান গ্লোবাল টিচার প্রাইজ, বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ১ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার, যা শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়। দুবাইয়ে আয়োজিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শুধুমাত্র একজন শিক্ষকের অর্জনের স্বীকৃতিই দেয়নি, বরং প্রমাণ করেছে- যখন একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের উপর ভরসা রাখেন, তাদের নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন ও তাদের জন্যই লড়াই করেন, তখন আসলে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা জয় করা সম্ভব। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo #PeterTabichi #schoollife #schooldays #teacherlife
    0 Commentarios 0 Acciones 431 Views
  • সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়।

    ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়।

    তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর।

    ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়।

    ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে।

    জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি।
    #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়। তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর। ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি। #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    0 Commentarios 0 Acciones 281 Views
  • বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ব্যতিক্রমধর্মী এক পথ বেছে নিয়েছে জাপানের ট্রেনগুলো। ট্রেনগুলো এখন এমন বিশেষ শব্দ বাজায় যা হরিণের আওয়াজ ও কুকুরের ঘেউ ঘেউয়ের মতো শোনায়। এই পশুবান্ধব শব্দগুলো শুনে হরিণ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী ট্রেন লাইনের কাছাকাছি আসা থেকে বিরত থাকে, ফলে রেললাইনে প্রাণী সংঘর্ষের ঘটনা ৪৫% পর্যন্ত কমে গেছে।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ব্যতিক্রমধর্মী এক পথ বেছে নিয়েছে জাপানের ট্রেনগুলো। ট্রেনগুলো এখন এমন বিশেষ শব্দ বাজায় যা হরিণের আওয়াজ ও কুকুরের ঘেউ ঘেউয়ের মতো শোনায়। এই পশুবান্ধব শব্দগুলো শুনে হরিণ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী ট্রেন লাইনের কাছাকাছি আসা থেকে বিরত থাকে, ফলে রেললাইনে প্রাণী সংঘর্ষের ঘটনা ৪৫% পর্যন্ত কমে গেছে। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 Commentarios 0 Acciones 249 Views
  • এসটেল নামে ফ্রান্সের এই কিশোরী একবার চুলে রং লাগিয়ে ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। রঙে থাকা PPD (প্যারাফেনিলেনডায়ামিন) নামের এক রাসায়নিকের কারণে তার শরীরে মারাত্মক অ্যালার্জি দেখা দেয়। রাত পেরিয়ে সকালে উঠে সে দেখে- তার পুরো মাথা প্রায় দ্বিগুণ সাইজের হয়ে ফুলে গেছে! মুখ পর্যন্ত ফুলে এমন অবস্থা হয়েছিল যে তাকে চেনাই কঠিন হয়ে পড়েছিল। ভাগ্য ভালো, সময়মতো চিকিৎসা পাওয়ায় এসটেল বিপদ থেকে রক্ষা পায়।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo #beautyproducts
    এসটেল নামে ফ্রান্সের এই কিশোরী একবার চুলে রং লাগিয়ে ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। রঙে থাকা PPD (প্যারাফেনিলেনডায়ামিন) নামের এক রাসায়নিকের কারণে তার শরীরে মারাত্মক অ্যালার্জি দেখা দেয়। রাত পেরিয়ে সকালে উঠে সে দেখে- তার পুরো মাথা প্রায় দ্বিগুণ সাইজের হয়ে ফুলে গেছে! মুখ পর্যন্ত ফুলে এমন অবস্থা হয়েছিল যে তাকে চেনাই কঠিন হয়ে পড়েছিল। ভাগ্য ভালো, সময়মতো চিকিৎসা পাওয়ায় এসটেল বিপদ থেকে রক্ষা পায়। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo #beautyproducts
    0 Commentarios 0 Acciones 303 Views
  • ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক কিথ চেন ও লরি স্যান্টোস একটি ব্যতিক্রমী পরীক্ষা চালান। তারা কেপুচিন প্রজাতির কয়েকটি বানরকে ধাতব টোকেন দেন, যেগুলো দিয়ে বানররা খাবার কিনতে পারত।

    প্রথমদিকে মনে হয়েছিল ওরা শুধু খেলার ছলেই টোকেন নিচ্ছে, কিন্তু ধীরে ধীরে দেখা গেল- ওরা আসলেই হিসেব-নিকেশ করে কেনাকাটা করছে। কোনো প্রিয় খাবারের দাম কমলে সেটাই বেশি নিচ্ছে, আবার দাম বাড়লে বিকল্প বেছে নিচ্ছে। নির্দিষ্ট সংখ্যক টোকেন পেলে একেবারে সবখানেই সামঞ্জস্য রেখে খরচ করছে।

    সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো- ওরা মানুষদের মতোই কিছু মানসিক ফাঁদে পা দিচ্ছে। যেমন- “বোনাস” শব্দ শুনে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, যদিও সেটা “মূল্যছাড়” বললেও একই জিনিস থাকছে। এমনকি ‘লস অ্যাভার্সন’ বা ক্ষতি এড়ানোর প্রবণতাও ওদের মধ্যে দেখা গেছে, যা মানুষদের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে খুব বড় একটা বিষয়।

    আর এই গবেষণার সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মুহূর্ত কোনটি জানেন? একদিন এক পুরুষ বানর তার টোকেন দিয়ে এক মেয়ে বানরের সঙ্গে মিলিত হলো! তারপর সেই মেয়ে বানরটি সেই টোকেন নিয়ে গেল আর খাবার কিনল!

    এই ঘটনা ছিল একেবারে আলাদা, কিন্তু এটা প্রমাণ কর- বানর বুঝতে পেরেছে যে টোকেন শুধু খাবার কেনার জন্য নয়, এর এক ভিন্ন মূল্য আছে, ঠিক মানুষের টাকার মতোই!
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক কিথ চেন ও লরি স্যান্টোস একটি ব্যতিক্রমী পরীক্ষা চালান। তারা কেপুচিন প্রজাতির কয়েকটি বানরকে ধাতব টোকেন দেন, যেগুলো দিয়ে বানররা খাবার কিনতে পারত। প্রথমদিকে মনে হয়েছিল ওরা শুধু খেলার ছলেই টোকেন নিচ্ছে, কিন্তু ধীরে ধীরে দেখা গেল- ওরা আসলেই হিসেব-নিকেশ করে কেনাকাটা করছে। কোনো প্রিয় খাবারের দাম কমলে সেটাই বেশি নিচ্ছে, আবার দাম বাড়লে বিকল্প বেছে নিচ্ছে। নির্দিষ্ট সংখ্যক টোকেন পেলে একেবারে সবখানেই সামঞ্জস্য রেখে খরচ করছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো- ওরা মানুষদের মতোই কিছু মানসিক ফাঁদে পা দিচ্ছে। যেমন- “বোনাস” শব্দ শুনে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, যদিও সেটা “মূল্যছাড়” বললেও একই জিনিস থাকছে। এমনকি ‘লস অ্যাভার্সন’ বা ক্ষতি এড়ানোর প্রবণতাও ওদের মধ্যে দেখা গেছে, যা মানুষদের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে খুব বড় একটা বিষয়। আর এই গবেষণার সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মুহূর্ত কোনটি জানেন? একদিন এক পুরুষ বানর তার টোকেন দিয়ে এক মেয়ে বানরের সঙ্গে মিলিত হলো! তারপর সেই মেয়ে বানরটি সেই টোকেন নিয়ে গেল আর খাবার কিনল! এই ঘটনা ছিল একেবারে আলাদা, কিন্তু এটা প্রমাণ কর- বানর বুঝতে পেরেছে যে টোকেন শুধু খাবার কেনার জন্য নয়, এর এক ভিন্ন মূল্য আছে, ঠিক মানুষের টাকার মতোই! . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 Commentarios 0 Acciones 264 Views
  • বাঘের জিহ্বা কিন্তু সাধারণ কোনো প্রাণীর মতো নয়। এই জিহ্বার গায়ে থাকে কেরাটিনে তৈরি ধারালো কাঁটা, একেবারে মাংস ছেঁড়ার মতন!

    একবার চাটা দিয়েই বাঘ মাংস, পালক কিংবা লোম- সব কিছু হাড় থেকে তুলে ফেলতে পারে! ঠিক যেন মাংস ধরার হুকের মতো কাজ করে ওর জিভটা!

    এই জিহ্বাই ওদের জন্য একদিকে গ্রুমিং টুল, আবার অন্যদিকে বেঁচে থাকার অস্ত্র। সৃষ্টিকর্তার অনন্য সৃষ্টি বাঘের এই 'স্যান্ডপেপার' জিহবা, যা দিয়ে বাঘ নিজের খাবারও ঠিকঠাক গুছিয়ে নেয়, আবার নিজের শরীরও পরিষ্কার রাখে।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    বাঘের জিহ্বা কিন্তু সাধারণ কোনো প্রাণীর মতো নয়। এই জিহ্বার গায়ে থাকে কেরাটিনে তৈরি ধারালো কাঁটা, একেবারে মাংস ছেঁড়ার মতন! একবার চাটা দিয়েই বাঘ মাংস, পালক কিংবা লোম- সব কিছু হাড় থেকে তুলে ফেলতে পারে! ঠিক যেন মাংস ধরার হুকের মতো কাজ করে ওর জিভটা! এই জিহ্বাই ওদের জন্য একদিকে গ্রুমিং টুল, আবার অন্যদিকে বেঁচে থাকার অস্ত্র। সৃষ্টিকর্তার অনন্য সৃষ্টি বাঘের এই 'স্যান্ডপেপার' জিহবা, যা দিয়ে বাঘ নিজের খাবারও ঠিকঠাক গুছিয়ে নেয়, আবার নিজের শরীরও পরিষ্কার রাখে। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 Commentarios 0 Acciones 258 Views
  • কেভিন স্মিড্‌ট এমন এক কাজের জন্য বছরে ৪৪ হাজার ডলার পান, যা অনেকে কল্পনাও করতে পারবে না! তিনি ১,৫০০ ফুট ওপরে উঠে একটা বাতি বদলান!

    প্রতি ছয় মাসে একবার কেভিন উঠে যান এমন এক টাওয়ারের চূড়ায়, যা এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের চেয়েও উঁচু। তার সঙ্গে থাকে শুধু একটা হারনেস, আর বুকভরা সাহস। কারণ, ওই টাওয়ারের মাথায় লাল বাতিটা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মাঝ আকাশে থাকা বিমানের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ব্যাপারটা। তাই কাজটা ভয়ংকর হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

    এই কাজের মাধ্যমে তার বার্ষিক আয় প্রায় ৪৪ হাজার ডলার। কারও চোখে এটা অনেক, আবার কারও মতে- জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় এটা খুব কম। তবে কেভিনের কাছে এটা কেবল একটা চাকরি নয়, বরং একধরনের অ্যাডভেঞ্চার যার পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য আছে।

    আর হ্যাঁ, এই দুঃসাহসিক অভিযানের মাঝেও কখনও কখনও থেমে যান তিনি, শুধু স্ত্রীর জন্য একটা ছবি তোলার খাতিরে!
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    কেভিন স্মিড্‌ট এমন এক কাজের জন্য বছরে ৪৪ হাজার ডলার পান, যা অনেকে কল্পনাও করতে পারবে না! তিনি ১,৫০০ ফুট ওপরে উঠে একটা বাতি বদলান! প্রতি ছয় মাসে একবার কেভিন উঠে যান এমন এক টাওয়ারের চূড়ায়, যা এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের চেয়েও উঁচু। তার সঙ্গে থাকে শুধু একটা হারনেস, আর বুকভরা সাহস। কারণ, ওই টাওয়ারের মাথায় লাল বাতিটা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মাঝ আকাশে থাকা বিমানের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ব্যাপারটা। তাই কাজটা ভয়ংকর হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজের মাধ্যমে তার বার্ষিক আয় প্রায় ৪৪ হাজার ডলার। কারও চোখে এটা অনেক, আবার কারও মতে- জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় এটা খুব কম। তবে কেভিনের কাছে এটা কেবল একটা চাকরি নয়, বরং একধরনের অ্যাডভেঞ্চার যার পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য আছে। আর হ্যাঁ, এই দুঃসাহসিক অভিযানের মাঝেও কখনও কখনও থেমে যান তিনি, শুধু স্ত্রীর জন্য একটা ছবি তোলার খাতিরে! . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 Commentarios 0 Acciones 269 Views
  • সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়।

    ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়।

    তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর।

    ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়।

    ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে।

    জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি।
    #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়। তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর। ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি। #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    0 Commentarios 0 Acciones 319 Views
  • আলোরনা দুর্গ:
    গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী।

    দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো।

    কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত।

    আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত।

    এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা।

    আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।

    সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান।

    আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত।

    আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ।
    #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    আলোরনা দুর্গ: গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী। দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো। কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত। আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত। এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা। আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান। আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ। #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    0 Commentarios 0 Acciones 331 Views
Resultados de la búsqueda
BlackBird Ai
https://bbai.shop