• গুগলের কথা বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, গুগলের কথা অনুযায়ী, এআই ওভারভিউয়ের জন্যে বিশেষ কিছু করতে হবে না।

    আপনার ওয়েবসাইটের এসইও ভালো হলেই, সেটা এআই ওভারভিউতে স্থান পাবার সম্ভাবনা বাড়বে।

    ------------

    ট্রাফিক কমছে, কিংবা ইমপ্রেশন বাড়ছে কিন্তু ক্লিক কমছে, সেটা এআই ওভারভিউয়ের দোষ।

    আসলে এটাকেই বাস্তব বলে এগিয়ে যেতে হবে।

    সার্চের ধরন পরিবর্তন হইছে, আল্গরিথম পরিবর্তন হইছে, গুগল এই সুযোগে কন্টেন্ট খেয়ে দেয়ার শার্প বানাইছে।

    আগের মতো আর ক্লিক আসবে না। এভাবে সাধারণ সার্চ রেজাল্ট ধীরে ধীরে আরও ড্রপ করবে।

    তাই এসইওর ধরন পরিবর্তন করতে হবে।

    ------------

    সম্প্রতি গুগলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সারমর্ম এখানে দিলাম।

    At the Search Central Deep Dive event, Gary Illyes from Google confirmed that AI Overviews (AIO) use the same core ranking systems as the traditional organic search results.

    This means that the signals, systems, and overall evaluation, like Helpful Content, E-E-A-T, PageRank, and core ranking algorithms, also apply to what’s surfaced in AI-generated summaries.

    What This Means:

    * SEO best practices still apply to content shown in AI Overviews.

    * You don’t need to create “AIO-optimised” content separately—follow what already works for search.

    * Ranking in the top results is likely a key trigger for inclusion in AI Overviews.

    * Technical SEO, structured data, and strong topical authority are just as important as ever.

    If you’re already doing good SEO, you’re probably already eligible to be featured in AIO.
    গুগলের কথা বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, গুগলের কথা অনুযায়ী, এআই ওভারভিউয়ের জন্যে বিশেষ কিছু করতে হবে না। আপনার ওয়েবসাইটের এসইও ভালো হলেই, সেটা এআই ওভারভিউতে স্থান পাবার সম্ভাবনা বাড়বে। ------------ ট্রাফিক কমছে, কিংবা ইমপ্রেশন বাড়ছে কিন্তু ক্লিক কমছে, সেটা এআই ওভারভিউয়ের দোষ। আসলে এটাকেই বাস্তব বলে এগিয়ে যেতে হবে। সার্চের ধরন পরিবর্তন হইছে, আল্গরিথম পরিবর্তন হইছে, গুগল এই সুযোগে কন্টেন্ট খেয়ে দেয়ার শার্প বানাইছে। আগের মতো আর ক্লিক আসবে না। এভাবে সাধারণ সার্চ রেজাল্ট ধীরে ধীরে আরও ড্রপ করবে। তাই এসইওর ধরন পরিবর্তন করতে হবে। ------------ সম্প্রতি গুগলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সারমর্ম এখানে দিলাম। At the Search Central Deep Dive event, Gary Illyes from Google confirmed that AI Overviews (AIO) use the same core ranking systems as the traditional organic search results. This means that the signals, systems, and overall evaluation, like Helpful Content, E-E-A-T, PageRank, and core ranking algorithms, also apply to what’s surfaced in AI-generated summaries. What This Means: * SEO best practices still apply to content shown in AI Overviews. * You don’t need to create “AIO-optimised” content separately—follow what already works for search. * Ranking in the top results is likely a key trigger for inclusion in AI Overviews. * Technical SEO, structured data, and strong topical authority are just as important as ever. If you’re already doing good SEO, you’re probably already eligible to be featured in AIO.
    0 Kommentare 0 Geteilt 11 Ansichten
  • বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ দেখতে কেমন এবং চর্যাপদ এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব।

    চর্যাপদ ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোঁহা নামক গ্রন্থের সাড়ে ছেচল্লিশটি গান। চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের সাধনপ্রণালী ও দর্শনতত্ত্ব নানা প্রকার রূপকের মাধ্যমে আভাসে ইঙ্গিতে ব্যক্ত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ। তাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস চর্যাপদ থেকেই শুরু।

    মূলত ১৮৮২সালে রাজা রাজেন্দ্র লাল মিত্র নেপালে সংস্কৃত বৌদ্ধ সাহিত্য গ্রন্থে চর্যাপদের অস্তিত্বের কথা বলেন। ১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৃতীয়বার নেপাল ভ্রমণকালে চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামক একটি পুঁথি নেপাল রাজদরবারের অভিলিপিশালায় আবিষ্কার করেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মোট ৪৬টি পূর্ণাঙ্গ ও একটি খণ্ডিত পদ পেয়েছিলেন। পুঁথির কয়েকটি পাতা ছেঁড়া ছিল। মূলপুঁথির পদের সংখ্যা ৫১। এর নাম চর্যাগীতিকোষ যাতে ১০০টি পদ ছিল।

    চর্যাপদের ভাষা প্রতীকী প্রকৃতির। অনেক ক্ষেত্রে কিছু শব্দের আভিধানিক অর্থের কোনো মানে হয় না। অনেকে বিশ্বাস করেন, এটি ছিল অপ্রশিক্ষিতদের কাছ থেকে পবিত্র জ্ঞান গোপন করার জন্য, অন্যরা মনে করে যে এটি ধর্মীয় নিপীড়ন এড়াতে করা হয়েছে। চর্যাপদের ভাষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল পরবর্তীকালে যার অবসান হয়েছে। চর্যাপদের রচয়িতাগণ সংস্কৃতে পারদর্শী হলেও তৎকালীন অপরিণত বাংলাতেই পদগুলি রচনা করেছিলেন। প্রাচীন কবিদের মতে এতে সন্ধ্যা বা আলোআঁধারি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

    কাব্যকলা কালোত্তীর্ণ হলেও তা সমকালীন সমাজ ও জীবনের প্রতিচ্ছবি। সেই দৃষ্টিতে চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। পাল ও সেন রাজাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক উত্থান পতনের অস্থিরতায় বাংলার সমাজ জীবনে যে ভাঙা-গড়া, চর্যাপদে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।

    চর্যাযুগের বাংলাদেশে বিভিন্ন আদর্শ সমন্বয়ের আত্মব্যাপ্তি ও আত্মস্বাতন্ত্র রক্ষার প্রবল সচেতনা প্রচলিত ছিল। চর্যার ধর্মমতের মধ্যে ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক দেহবাদের ধারা অনেকটাই প্রবেশ করেছিল। নীহাররঞ্জন রায়ের মতে এই মিলন পাল পর্বের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল। বৌদ্ধ সাধনার সঙ্গে বাংলার এই তান্ত্রিক সহজ সাধনার যোগবন্ধন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

    ভিন্ন ধর্মের সাধন পদ্ধতির সমন্বয় ঘটলেও আর্য ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি স্বাতন্ত্রপ্রিয় বাংলায় সাদর অভ্যর্থনা লাভ করেনি। কিন্তু বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাধনা খুব সহজেই স্বাতন্ত্রপ্রিয় বাঙালির হৃদয় জয় করেছিল।

    চর্যাপদ আবিষ্কারের পূর্বে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম যুগ সীমানা ছিল মনসামঙ্গল। কিন্তু চর্যাপদ আবিষ্কৃত হওয়ায় তা প্রায় আড়াইশো বছর অতীতে সম্প্রসারিত হয়। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

    তৎকালীন বঙ্গালদেশ বা পূর্ববঙ্গেও বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার লাভ করেছিল- এ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষ্য বহন করে - "আদি ভুসুক বঙ্গালি ভইলী" পদটি। তখনকার উচ্চ- নীচ, স্পৃশ্য, অস্পৃশ্য, ভেদাভেদ বিদীর্ণ সমাজের কলঙ্কিত মুখচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে চর্চার কোনো কোনো পদে। অস্পৃশ্য বলে একঘরে করে রাখার প্রথাও প্রচলিত ছিল। "টালতো ঘর মোর নাহি পড়বেষী"- পদটিতে তার প্রমাণ মেলে।

    সমকালীন জীবনচিত্রও ইতিহাসের একটি অংশ। নদীমাতৃক বাংলার খেয়া ও সাঁকো পারাপারের দৃশ্য, নৌকার বিভিন্ন অংশের বর্ণনা, মানুষের আমোদ-প্রমোদ, পোশাক-পরিচ্ছদ, নৃত্যগীত, অভাব-অনটন এমনকি শুঁড়িখানার মদ্যপানের চিত্রও অংকিত হয়েছে। এ সকল খণ্ডচিত্রে তৎকালীন যুগ, সমাজ ও জীবনচিত্র আমাদের সামনে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

    চর্যাপদ যদিও বৌদ্ধ সাধন সঙ্গীত তা সত্বেও তা সমকালীন ইতিহাসের জীবন্ত দলিল।

    #viewers #highlight #virals #everyone #followers
    #প্রত্নতত্ত্ব #ইতিহাস #archaeology #সাহিত্য #virals
    বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ দেখতে কেমন এবং চর্যাপদ এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব। চর্যাপদ ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোঁহা নামক গ্রন্থের সাড়ে ছেচল্লিশটি গান। চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের সাধনপ্রণালী ও দর্শনতত্ত্ব নানা প্রকার রূপকের মাধ্যমে আভাসে ইঙ্গিতে ব্যক্ত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ। তাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস চর্যাপদ থেকেই শুরু। মূলত ১৮৮২সালে রাজা রাজেন্দ্র লাল মিত্র নেপালে সংস্কৃত বৌদ্ধ সাহিত্য গ্রন্থে চর্যাপদের অস্তিত্বের কথা বলেন। ১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৃতীয়বার নেপাল ভ্রমণকালে চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামক একটি পুঁথি নেপাল রাজদরবারের অভিলিপিশালায় আবিষ্কার করেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মোট ৪৬টি পূর্ণাঙ্গ ও একটি খণ্ডিত পদ পেয়েছিলেন। পুঁথির কয়েকটি পাতা ছেঁড়া ছিল। মূলপুঁথির পদের সংখ্যা ৫১। এর নাম চর্যাগীতিকোষ যাতে ১০০টি পদ ছিল। চর্যাপদের ভাষা প্রতীকী প্রকৃতির। অনেক ক্ষেত্রে কিছু শব্দের আভিধানিক অর্থের কোনো মানে হয় না। অনেকে বিশ্বাস করেন, এটি ছিল অপ্রশিক্ষিতদের কাছ থেকে পবিত্র জ্ঞান গোপন করার জন্য, অন্যরা মনে করে যে এটি ধর্মীয় নিপীড়ন এড়াতে করা হয়েছে। চর্যাপদের ভাষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল পরবর্তীকালে যার অবসান হয়েছে। চর্যাপদের রচয়িতাগণ সংস্কৃতে পারদর্শী হলেও তৎকালীন অপরিণত বাংলাতেই পদগুলি রচনা করেছিলেন। প্রাচীন কবিদের মতে এতে সন্ধ্যা বা আলোআঁধারি ভাষা ব্যবহার করা হয়। কাব্যকলা কালোত্তীর্ণ হলেও তা সমকালীন সমাজ ও জীবনের প্রতিচ্ছবি। সেই দৃষ্টিতে চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। পাল ও সেন রাজাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক উত্থান পতনের অস্থিরতায় বাংলার সমাজ জীবনে যে ভাঙা-গড়া, চর্যাপদে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। চর্যাযুগের বাংলাদেশে বিভিন্ন আদর্শ সমন্বয়ের আত্মব্যাপ্তি ও আত্মস্বাতন্ত্র রক্ষার প্রবল সচেতনা প্রচলিত ছিল। চর্যার ধর্মমতের মধ্যে ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক দেহবাদের ধারা অনেকটাই প্রবেশ করেছিল। নীহাররঞ্জন রায়ের মতে এই মিলন পাল পর্বের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল। বৌদ্ধ সাধনার সঙ্গে বাংলার এই তান্ত্রিক সহজ সাধনার যোগবন্ধন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ভিন্ন ধর্মের সাধন পদ্ধতির সমন্বয় ঘটলেও আর্য ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি স্বাতন্ত্রপ্রিয় বাংলায় সাদর অভ্যর্থনা লাভ করেনি। কিন্তু বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাধনা খুব সহজেই স্বাতন্ত্রপ্রিয় বাঙালির হৃদয় জয় করেছিল। চর্যাপদ আবিষ্কারের পূর্বে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম যুগ সীমানা ছিল মনসামঙ্গল। কিন্তু চর্যাপদ আবিষ্কৃত হওয়ায় তা প্রায় আড়াইশো বছর অতীতে সম্প্রসারিত হয়। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তৎকালীন বঙ্গালদেশ বা পূর্ববঙ্গেও বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার লাভ করেছিল- এ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষ্য বহন করে - "আদি ভুসুক বঙ্গালি ভইলী" পদটি। তখনকার উচ্চ- নীচ, স্পৃশ্য, অস্পৃশ্য, ভেদাভেদ বিদীর্ণ সমাজের কলঙ্কিত মুখচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে চর্চার কোনো কোনো পদে। অস্পৃশ্য বলে একঘরে করে রাখার প্রথাও প্রচলিত ছিল। "টালতো ঘর মোর নাহি পড়বেষী"- পদটিতে তার প্রমাণ মেলে। সমকালীন জীবনচিত্রও ইতিহাসের একটি অংশ। নদীমাতৃক বাংলার খেয়া ও সাঁকো পারাপারের দৃশ্য, নৌকার বিভিন্ন অংশের বর্ণনা, মানুষের আমোদ-প্রমোদ, পোশাক-পরিচ্ছদ, নৃত্যগীত, অভাব-অনটন এমনকি শুঁড়িখানার মদ্যপানের চিত্রও অংকিত হয়েছে। এ সকল খণ্ডচিত্রে তৎকালীন যুগ, সমাজ ও জীবনচিত্র আমাদের সামনে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। চর্যাপদ যদিও বৌদ্ধ সাধন সঙ্গীত তা সত্বেও তা সমকালীন ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। #viewers #highlight #virals #everyone #followers #প্রত্নতত্ত্ব #ইতিহাস #archaeology #সাহিত্য #virals
    0 Kommentare 0 Geteilt 29 Ansichten
  • ইতালি— বেইলর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যঅনুযায়ী সান জুলিয়ানো আর্কিওলজিক্যাল রিসার্চ প্রজেক্টের প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটা বিরল ইট্রাসকান কবর আবিষ্কার করে ফেলেছেন। বলা যেতে পারে বর্তমান সময়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে এটি একটি।

    ২০১৬ সালে রোম শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে সান জুলিয়ানো এলাকায় খনন কাজ চলছিল। খনন কাজ চলার সময় প্রাচীন ইট্রাসকান শহরটির চারপাশে ৬০০-রও বেশি কবর তারা চিহ্নিত করেছিলেন। কিন্তু এই প্রথম তারা সম্পূর্ণ অক্ষত এবং সিল করা একটি কবর তারা খুঁজে পেয়েছেন। সবচাইতে ভাগ্যের বিষয় এটি এর আগে কেউ খুঁড়েও দেখেনি বা এটাকে লুটও করা হয়নি।

    প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ সালের দিকে ছোট্ট সাদামাটা একটা বাড়ির মতন করে পাথর কেটে এই কবরটি তৈরি করা হয়েছে। করব খুলে চারজন ব্যক্তিকে পাথরের খোদাই করা এক বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে । আর কবরের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ১১০টিরও বেশি নিদর্শন। মাটির তৈরি পাত্র, লোহার অস্ত্র, ব্রোঞ্জের অলংকার এবং রূপার তৈরি সূক্ষ্ম চুলের ক্লিপও সেখানে ছিল।

    প্রত্নতত্ত্ববিদ ডাভিদে জোরি বলেন, ইট্রাসকান সভ্যতা জানার জন্য এটি একটি অত্যন্ত দুর্লভ আবিষ্কার। রোম পূর্ব সময়ে এই ইট্রাসকানরা কিভাবে তাদের জীবন যাপন করতো, কি ধরনের সংস্কৃতির ধারক বাহক তারা ছিল, কেমন ভাবে তাদের কবর দেওয়া হতো তার একটা চাক্ষুষ প্রমাণ তার কাছে ধরা পরলো। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ৪ জন মৃতব্যক্তি রয়েছে এই সমাধিতে। তাদের মধ্যে সম্ভবত দুজন নারী এবং পুরুষ জুটি ছিলেন। তবে গবেষণা চলছে। বিস্তারিত আরো তথ্য সামনে পাওয়া যাবে l

    https://www.livescience.com/archaeology/pristine-etruscan-tomb-discovered-in-italy-contains-more-than-100-untouched-artifacts

    Stay Curious SIS
    Siddique’s international school
    🔺 ইতালি— বেইলর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যঅনুযায়ী সান জুলিয়ানো আর্কিওলজিক্যাল রিসার্চ প্রজেক্টের প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটা বিরল ইট্রাসকান কবর আবিষ্কার করে ফেলেছেন। বলা যেতে পারে বর্তমান সময়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে এটি একটি। ২০১৬ সালে রোম শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে সান জুলিয়ানো এলাকায় খনন কাজ চলছিল। খনন কাজ চলার সময় প্রাচীন ইট্রাসকান শহরটির চারপাশে ৬০০-রও বেশি কবর তারা চিহ্নিত করেছিলেন। কিন্তু এই প্রথম তারা সম্পূর্ণ অক্ষত এবং সিল করা একটি কবর তারা খুঁজে পেয়েছেন। সবচাইতে ভাগ্যের বিষয় এটি এর আগে কেউ খুঁড়েও দেখেনি বা এটাকে লুটও করা হয়নি। প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ সালের দিকে ছোট্ট সাদামাটা একটা বাড়ির মতন করে পাথর কেটে এই কবরটি তৈরি করা হয়েছে। করব খুলে চারজন ব্যক্তিকে পাথরের খোদাই করা এক বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে । আর কবরের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ১১০টিরও বেশি নিদর্শন। মাটির তৈরি পাত্র, লোহার অস্ত্র, ব্রোঞ্জের অলংকার এবং রূপার তৈরি সূক্ষ্ম চুলের ক্লিপও সেখানে ছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদ ডাভিদে জোরি বলেন, ইট্রাসকান সভ্যতা জানার জন্য এটি একটি অত্যন্ত দুর্লভ আবিষ্কার। রোম পূর্ব সময়ে এই ইট্রাসকানরা কিভাবে তাদের জীবন যাপন করতো, কি ধরনের সংস্কৃতির ধারক বাহক তারা ছিল, কেমন ভাবে তাদের কবর দেওয়া হতো তার একটা চাক্ষুষ প্রমাণ তার কাছে ধরা পরলো। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ৪ জন মৃতব্যক্তি রয়েছে এই সমাধিতে। তাদের মধ্যে সম্ভবত দুজন নারী এবং পুরুষ জুটি ছিলেন। তবে গবেষণা চলছে। বিস্তারিত আরো তথ্য সামনে পাওয়া যাবে l https://www.livescience.com/archaeology/pristine-etruscan-tomb-discovered-in-italy-contains-more-than-100-untouched-artifacts Stay Curious SIS Siddique’s international school
    0 Kommentare 0 Geteilt 32 Ansichten
  • সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়।

    ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়।

    তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর।

    ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়।

    ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে।

    জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি।
    #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়। তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর। ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি। #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    0 Kommentare 0 Geteilt 85 Ansichten
  • সূর্য এর মা (Sharmin Sathi) আন্টির স্টাটাস...
    Brave Kid
    "আমার ছেলে সূর্য সময়ের একটা ভিডিও দেখলাম। সেখানে সূর্য ওর স্কুল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে।
    এই ভিডিওটা অনেকে হয়তো দেখেছেন। সূর্য কীভাবে বেঁচে গেলো সে কথা বলি। সূর্য রবিবারে ক্লাসে না যাওয়ায় হোমওয়ার্ক ছাড়াই পরের দিন ২১ জুলাই সোমবার ক্লাসে গিয়েছে। সেজন্য ডিটেনশন ক্লাসে ওর ক্লাস টিচার যেতে বলে। ডিটেনশন ক্লাস বলতে যারা হোমওয়ার্ক করে না বা ক্লাসে পড়া দিতে পারে না তাদেরকে ছুটির পরে এক্সট্রা টাইম স্কুলে রেখে পড়া আদায় করে বাসায় পাঠানো হয়।
    সূর্যের ক্লাস টিচার বাপ্পি স্যার সূর্যসহ পাঁচজনকে বলে, তোমরা ওই কর্নারের ক্লাস রুমে যাও। আমি একটু পরে আসছি। সূর্যসহ পাঁচজন একেবারে ভবনের শেষ রুমের আগের রুমে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে বিকট আওয়াজ শুনে সূর্য পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে ওরই ক্লাসরুমের সামনে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। একজন ক্লাস রুম থেকে বের হতে গিয়ে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। ওরা ঘাবড়ে গিয়ে দ্রুত কর্নারের ক্লাস রুমে ঢুকে গেলো।
    ওদের ডিটেনশন রুম পর্যন্ত আগুন পৌঁছোতে পারেনি। রুমের ভেতর আগুনের তাপ এসে তাপমাত্রা ৭০° সেন্টিগ্রেডের মতো ছিল (সূর্যের কথা অনুযায়ী)। সূর্যের মনে হচ্ছিল শরীর তাপে পুড়ে যাচ্ছে। ওরা পাঁচজন জানালার কাছে গিয়ে শ্বাস নেবার চেষ্টা করছিল। কারণ তখন রুমের ভেতর কালো ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলো না। শ্বাস নিতে গেলে মনে হচ্ছিল ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে।
    পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হবার পর সূর্য ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই কয়েকজন ছাত্র ভীড়ের ভেতর থেকে হাত দিয়ে ইশারা করছে ডান দিকে যাবার জন্য। সূর্য ডান দিকে তাকাতেই দেখে ওখানে গ্রিল কেটে একটা বের হবার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ও দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে, আপনারা দাঁড়ান। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে আসছি। সূর্য তাড়াতাড়ি ওর বন্ধুদের ডেকে বাইরে নিয়ে আসলো। এরপর কার্নিশের ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে আগে বন্ধুদের নামার সুযোগ করে দিলো।
    আমার ছেলেকে আমি যে শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি তার যথাযথ ব্যবহার ও করে দেখালো জাতিকে। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার আর কোনো চিন্তা নেই। আমি কখনো ওকে বলিনি, বাবা, তোমাকে এ প্লাস পেতে হবে। কখনো বলিনি তোমাকে ফার্স্ট হতে হবে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম আমার ছেলে সূর্য যেন একজন মানবিক মানুষ হয়।"
    সূর্য এর মা (Sharmin Sathi) আন্টির স্টাটাস... Brave Kid ❤️ "আমার ছেলে সূর্য সময়ের একটা ভিডিও দেখলাম। সেখানে সূর্য ওর স্কুল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে। এই ভিডিওটা অনেকে হয়তো দেখেছেন। সূর্য কীভাবে বেঁচে গেলো সে কথা বলি। সূর্য রবিবারে ক্লাসে না যাওয়ায় হোমওয়ার্ক ছাড়াই পরের দিন ২১ জুলাই সোমবার ক্লাসে গিয়েছে। সেজন্য ডিটেনশন ক্লাসে ওর ক্লাস টিচার যেতে বলে। ডিটেনশন ক্লাস বলতে যারা হোমওয়ার্ক করে না বা ক্লাসে পড়া দিতে পারে না তাদেরকে ছুটির পরে এক্সট্রা টাইম স্কুলে রেখে পড়া আদায় করে বাসায় পাঠানো হয়। সূর্যের ক্লাস টিচার বাপ্পি স্যার সূর্যসহ পাঁচজনকে বলে, তোমরা ওই কর্নারের ক্লাস রুমে যাও। আমি একটু পরে আসছি। সূর্যসহ পাঁচজন একেবারে ভবনের শেষ রুমের আগের রুমে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে বিকট আওয়াজ শুনে সূর্য পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে ওরই ক্লাসরুমের সামনে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। একজন ক্লাস রুম থেকে বের হতে গিয়ে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। ওরা ঘাবড়ে গিয়ে দ্রুত কর্নারের ক্লাস রুমে ঢুকে গেলো। ওদের ডিটেনশন রুম পর্যন্ত আগুন পৌঁছোতে পারেনি। রুমের ভেতর আগুনের তাপ এসে তাপমাত্রা ৭০° সেন্টিগ্রেডের মতো ছিল (সূর্যের কথা অনুযায়ী)। সূর্যের মনে হচ্ছিল শরীর তাপে পুড়ে যাচ্ছে। ওরা পাঁচজন জানালার কাছে গিয়ে শ্বাস নেবার চেষ্টা করছিল। কারণ তখন রুমের ভেতর কালো ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলো না। শ্বাস নিতে গেলে মনে হচ্ছিল ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হবার পর সূর্য ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই কয়েকজন ছাত্র ভীড়ের ভেতর থেকে হাত দিয়ে ইশারা করছে ডান দিকে যাবার জন্য। সূর্য ডান দিকে তাকাতেই দেখে ওখানে গ্রিল কেটে একটা বের হবার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ও দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে, আপনারা দাঁড়ান। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে আসছি। সূর্য তাড়াতাড়ি ওর বন্ধুদের ডেকে বাইরে নিয়ে আসলো। এরপর কার্নিশের ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে আগে বন্ধুদের নামার সুযোগ করে দিলো। আমার ছেলেকে আমি যে শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি তার যথাযথ ব্যবহার ও করে দেখালো জাতিকে। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার আর কোনো চিন্তা নেই। আমি কখনো ওকে বলিনি, বাবা, তোমাকে এ প্লাস পেতে হবে। কখনো বলিনি তোমাকে ফার্স্ট হতে হবে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম আমার ছেলে সূর্য যেন একজন মানবিক মানুষ হয়।"
    0 Kommentare 0 Geteilt 77 Ansichten
  • আলোরনা দুর্গ:
    গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী।

    দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো।

    কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত।

    আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত।

    এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা।

    আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।

    সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান।

    আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত।

    আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ।
    #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    আলোরনা দুর্গ: গোয়ার উত্তরের অর্পোরা নদীর ধারে, সবুজ বনবিথিকার মাঝে নির্জনে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন স্থাপনা—আলোরনা দুর্গ। স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় 'Alorna Fort', যাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে পর্তুগিজ উপনিবেশ, মারাঠা সেনাদল, স্থানীয় রাজবংশ এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সময়ের প্রবাহে যেখানে গোয়ার সমুদ্রতীর ভরে উঠেছে পর্যটনের গর্জনে, সেখানে আলোরনা দুর্গ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে, যেন কেবল ইতিহাসই যার সঙ্গী। দুর্গটির নির্মাণকাল আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন গোয়ায় ক্ষমতার পালা বদলের খেলা চলছে—কখনও মুসলিম শাসক, কখনও হিন্দু রাজা, আবার কখনও পর্তুগিজদের ছায়া বিস্তার করছে উপকূল থেকে অভ্যন্তরভাগে। আলোরনা দুর্গের নির্মাতা হিসেবে মূলত ভীম রাজবংশকে ধরা হয়—যারা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান—কোনো বহির্শত্রু পশ্চিম উপকূল দিয়ে আসলে, উত্তর থেকে এই দুর্গের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হতো। কিন্তু সময় বদলাল। সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা গোয়ায় তাদের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। 1746 সালে তারা আলোরনা দুর্গ দখল করে নেয়, আর তখন থেকে এটি হয়ে ওঠে পর্তুগিজ সামরিক ঘাঁটি। দুর্গের ভিতরে নির্মিত হয় স্নানঘর, অস্ত্রাগার, খাদ্য মজুদের কুঠুরি, এমনকি একটি ছোট্ট উপাসনালয়ও—যার ভগ্নাংশ এখনও দেখা যায়। পর্তুগিজ স্থাপত্যের অনন্য ছাপ পাওয়া যায় দুর্গের দেওয়ালে—মসৃণ প্রস্তরখণ্ড, মোটা ইটের বাঁধাই, এবং কাঠের বিমযুক্ত ছাদ, যা আজ ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত। আলোরনা দুর্গের একটি অনন্য দিক হলো এর অবস্থান—পাহাড়ের ঢালে এবং নদীঘেঁষা উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গ থেকে চারপাশের বিস্তৃত এলাকা দেখা যেত। সৈনিকরা দূর থেকে শত্রুর আগমন দেখতে পেত এবং সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত। এমনকি নদীপথে আগত জলযানেরও গতিপথ নজরে রাখা যেত। এখন, সেই প্রহরীদের নেই, নেই কোনো ঢাল-তলোয়ারের ঝংকার। রয়েছে কেবল শ্যাওলা ধরা দেয়াল, গাছগাছালির বিস্তার, আর বাতাসে ভেসে আসা নিস্তব্ধতার এক অপূর্ব সংগীত। ইতিহাসপ্রেমী ও অভিযাত্রীরা আজও মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন এই ধ্বংসাবশেষের পাশে—কখনও একাকী, কখনও কৌতূহলী চোখে। কেউ কেউ বলেন, সন্ধ্যায় নাকি দুর্গের ভিতরে বাতাস একটু অদ্ভুতভাবে বয়ে যায়—যেন প্রাচীন কোনো শ্বাস ফেলে গেছে তার গোপন বার্তা। আলোরনা দুর্গকে ঘিরে স্থানিক মানুষের মধ্যেও এক ধরণের মিথ বিরাজমান। কেউ বলেন এখানে গুপ্তধন লুকানো ছিল, কেউ বলেন এক যুদ্ধবন্দী রানীকে এখানেই বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও এসব কাহিনির ঐতিহাসিক সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ, তবুও তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি গোয়া পর্যটন বিভাগ এই দুর্গটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তাঘাট কিছুটা উন্নত হয়েছে, প্রাচীরের কিছু অংশ নতুন করে বাঁধাই করা হয়েছে, এবং একটি দর্শনার্থী করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তবু, এখনো অধিকাংশ মানুষ এই দুর্গের নাম শোনেনি—গোয়ার কোলাহলময় সৈকত, ক্যাসিনো আর উৎসবের পেছনে যেন চাপা পড়ে গেছে ইতিহাসের এই নিঃশব্দ অভিমান। আলোরনা দুর্গ আসলে একটি প্রাচীন কাব্যের মতো—যার প্রতিটি ইটের গায়ে লেখা রয়েছে এক একটি যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম, এবং প্রতিরোধের অদৃশ্য পঙক্তি। এই দুর্গ কেবল অতীতের সঙ্গেই নয়, গোয়ার ঐতিহ্যিক আত্মার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। আমরা যদি একটিবারও থেমে দাঁড়াই, কোলাহলের বাইরে গিয়ে এই দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অথচ গর্বিত প্রাচীরগুলোর দিকে তাকাই, তাহলে বুঝতে পারব—ইতিহাস কেবল রাজাদের নয়, ইট-পাথরেরও হয়। আলোরনা দুর্গ সেই ইতিহাসেরই এক নীরব অথচ অমোঘ অনুচ্চারণ। #itihaser_golpo #প্রত্নতত্ত্ব #itihasergolpo
    0 Kommentare 0 Geteilt 84 Ansichten
  • উল কাঁটা বিশ্বযুদ্ধের(World War) সাক্ষী!
    না, যুদ্ধ করে রক্তারক্তির সাক্ষী উল কাঁটা
    নয়, এই যুগলবন্দি ছিল সেনাদের গুপ্তচর
    (Spy) আর কোডের বাহক হিসেবে।

    যুদ্ধকালীন সময়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সেনাদের পোশাক সরবরাহ করতেন ঘরের মায়েরা। সোয়েটার, টুপি, মজা বুনে প্রায়ই পাঠাতেন তাঁরা। কিন্তু এই শীতপোশাকগুলি যে শুধুই শীতপোশাক ছিল, তা কিন্তু নয়। আসলে এই সব বুননের মধ্যে ফুটে ওঠা নকশাগুলি ছিল এক-একটা কোড, খবর ব্যাপারটা বলতে পারেন আজকের দিনের স্টেনগ্রাফির মত। স্টেনগ্রাফি বা শর্টহ্যান্ডে যেমন যে কোনও তথ্য স্বল্প সময়ে মাত্র কয়েকটি কোডের মাধ্যমে একটা বড় লাইন লিখে ফেলা যায়, এই শীতপোশাকের উপর বুননের নকশাটাও ছিল আসলে এইরকম। এক-একটা নকশা আসলে খবর হয়ে পৌঁছে যেত দেশীয় সেনাদের কাছে। আর এই কোড যে শুধু মহিলা বা সেনারাই জানতেন তা কিন্তু নয়। বাচ্চা থেকে শুরু করে মুমূর্ষু রোগী সবাইকেই শিখিয়ে দেওয়া হত এই কোড।

    এই উল বোনা নিয়ে একটা দারুণ গল্পও শোনা যায়। মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফিলাদেলফিয়ার বাসিন্দা মলি নামের এক গৃহবধূ দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। একদিন মলির বাড়িতে হামলা করে ইংরেজ সেনা। বাড়িতে মলিকে আটকে রেখে সবাইকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে। মলিকে তারা রেখেছিল তাদের সেবা করার জন্য। মলি তাতে ঘাবড়ে না গিয়ে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ফেলে। কাজ করতে করতে সেনাদের সব কথা সে শুনতে থাকে। আর সেই সব তথ্য কাগজে লিখে সেই কাগজ মুড়িয়ে তাকে পুরে ফেলত উলের গোলার ভিতরে। সেই গোলা পাচার করে দিত বাইরে, দেশীয় সেনাদের কাছে।

    এই রকম আরও একটা গল্প প্রচলন আছে ল্যাভেঙ্গেল নামে এক ফরাসি মহিলাকে নিয়ে। তার দোতলার ঘরের জানলার পাশে বসে সারাদিন ধরে উল বুনতেন তিনি। আর বাইরের দিকে নজর রাখতেন জার্মান সেনাদের উপরে। তার ঘরের ঠিক নীচের ঘরটাতেই গোপনে থাকত কিছু বিপ্লবী কিশোর কিশোরী। ল্যাভেঙ্গেল ও ওই বিপ্লবীদের মধ্যে কিছু কোড তৈরি ছিল। ম্যাডাম মেঝেতে পা ঠুকে ঠুকে সেই শব্দ কোডের মাধ্যমে খবর পৌঁছে দিত নীচের তলায়। জার্মান সেনারা এইসব গুপ্তচরদের টিকিও ছুঁতে পারেনি কোনও দিন।
    এলিজাবেথ বেন্টলে নামে এক মার্কিন গুপ্তচর এই উল কাঁটাকে হাতিয়ার করেই দুটো গুপ্তচর সংস্থা চালাতেন। কিছু মহিলাও ছিলেন তাঁর দলে। যাঁদের কাজই ছিল ট্রেনের কামরায় বসে উল কাঁটা বুনতে থাকা আর রেলে মার্কিন সেনাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করা। তারপর সেই খবর বুননের মাধ্যমে বিভিন্ন কোডের মাধ্যমে লিখে দিত শীত পোশাকের গায়ে।
    সুত্র...আমেজিং ফ্যাক্টস
    উল কাঁটা বিশ্বযুদ্ধের(World War) সাক্ষী! না, যুদ্ধ করে রক্তারক্তির সাক্ষী উল কাঁটা নয়, এই যুগলবন্দি ছিল সেনাদের গুপ্তচর (Spy) আর কোডের বাহক হিসেবে। যুদ্ধকালীন সময়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সেনাদের পোশাক সরবরাহ করতেন ঘরের মায়েরা। সোয়েটার, টুপি, মজা বুনে প্রায়ই পাঠাতেন তাঁরা। কিন্তু এই শীতপোশাকগুলি যে শুধুই শীতপোশাক ছিল, তা কিন্তু নয়। আসলে এই সব বুননের মধ্যে ফুটে ওঠা নকশাগুলি ছিল এক-একটা কোড, খবর ব্যাপারটা বলতে পারেন আজকের দিনের স্টেনগ্রাফির মত। স্টেনগ্রাফি বা শর্টহ্যান্ডে যেমন যে কোনও তথ্য স্বল্প সময়ে মাত্র কয়েকটি কোডের মাধ্যমে একটা বড় লাইন লিখে ফেলা যায়, এই শীতপোশাকের উপর বুননের নকশাটাও ছিল আসলে এইরকম। এক-একটা নকশা আসলে খবর হয়ে পৌঁছে যেত দেশীয় সেনাদের কাছে। আর এই কোড যে শুধু মহিলা বা সেনারাই জানতেন তা কিন্তু নয়। বাচ্চা থেকে শুরু করে মুমূর্ষু রোগী সবাইকেই শিখিয়ে দেওয়া হত এই কোড। এই উল বোনা নিয়ে একটা দারুণ গল্পও শোনা যায়। মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফিলাদেলফিয়ার বাসিন্দা মলি নামের এক গৃহবধূ দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। একদিন মলির বাড়িতে হামলা করে ইংরেজ সেনা। বাড়িতে মলিকে আটকে রেখে সবাইকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে। মলিকে তারা রেখেছিল তাদের সেবা করার জন্য। মলি তাতে ঘাবড়ে না গিয়ে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ফেলে। কাজ করতে করতে সেনাদের সব কথা সে শুনতে থাকে। আর সেই সব তথ্য কাগজে লিখে সেই কাগজ মুড়িয়ে তাকে পুরে ফেলত উলের গোলার ভিতরে। সেই গোলা পাচার করে দিত বাইরে, দেশীয় সেনাদের কাছে। এই রকম আরও একটা গল্প প্রচলন আছে ল্যাভেঙ্গেল নামে এক ফরাসি মহিলাকে নিয়ে। তার দোতলার ঘরের জানলার পাশে বসে সারাদিন ধরে উল বুনতেন তিনি। আর বাইরের দিকে নজর রাখতেন জার্মান সেনাদের উপরে। তার ঘরের ঠিক নীচের ঘরটাতেই গোপনে থাকত কিছু বিপ্লবী কিশোর কিশোরী। ল্যাভেঙ্গেল ও ওই বিপ্লবীদের মধ্যে কিছু কোড তৈরি ছিল। ম্যাডাম মেঝেতে পা ঠুকে ঠুকে সেই শব্দ কোডের মাধ্যমে খবর পৌঁছে দিত নীচের তলায়। জার্মান সেনারা এইসব গুপ্তচরদের টিকিও ছুঁতে পারেনি কোনও দিন। এলিজাবেথ বেন্টলে নামে এক মার্কিন গুপ্তচর এই উল কাঁটাকে হাতিয়ার করেই দুটো গুপ্তচর সংস্থা চালাতেন। কিছু মহিলাও ছিলেন তাঁর দলে। যাঁদের কাজই ছিল ট্রেনের কামরায় বসে উল কাঁটা বুনতে থাকা আর রেলে মার্কিন সেনাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করা। তারপর সেই খবর বুননের মাধ্যমে বিভিন্ন কোডের মাধ্যমে লিখে দিত শীত পোশাকের গায়ে। সুত্র...আমেজিং ফ্যাক্টস
    0 Kommentare 0 Geteilt 74 Ansichten
  • সম্প্রতি ২৫ বছর বয়সী এক জাপানি যুবককে নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত স্মার্টফোন গেমিংয়ের কারণে তিনি এক বিরল ও মারাত্মক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন – যার নাম 'ড্রপড হেড সিন্ড্রোম' (Dropped Head Syndrome)।
    এই যুবক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথা নিচু করে ফোন দেখতেন, বিশেষ করে মোবাইল গেম খেলার সময়। এর ফলে তার ঘাড়ের পেশী এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তিনি আর মাথা সোজা করে রাখতে পারছিলেন না। তার ঘাড়ের পেছনে একটি স্পষ্ট স্ফীতি দেখা দেয় এবং এক্স-রেতে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো বিকৃত ও স্থানচ্যুত হওয়ার প্রমাণ মেলে। এমনকি তার গিলতেও সমস্যা হচ্ছিল, যার ফলে ওজনও কমে যায়।
    সাধারণত, ‘ড্রপড হেড সিন্ড্রোম’ স্নায়বিক বা পেশী সংক্রান্ত গুরুতর রোগের কারণে হয়, যেখানে ঘাড়ের পেশীগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে মাথা বুকের উপর ঝুঁকে থাকে। কিন্তু এই যুবকের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে দীর্ঘদিনের ভুল ভঙ্গিমার কারণে, যাকে চিকিৎসকরা ‘পোস্টুরাল ডিএইচএস’ (Postural DHS) বলছেন।
    কেন এমন হয়?
    আমাদের মাথার ওজন প্রায় ৪.৫-৫.৪ কেজি। কিন্তু যখন আমরা ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা নিচু করে স্মার্টফোন দেখি, তখন ঘাড়ের উপর প্রায় ২৭ কেজি (৬০ পাউন্ড) চাপ পড়ে! ভাবুন তো, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার ঘাড় একজন ৮ বছরের শিশুকে বহন করছে! এই দীর্ঘস্থায়ী চাপ মেরুদণ্ডের হাড়ের বিকৃতি, স্কার টিস্যু তৈরি এবং মারাত্মক ব্যথার কারণ হতে পারে।
    এই জাপানি যুবককে তার মাথা সোজা করার জন্য একাধিক জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তার মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অপসারণ করে ধাতব রড ও স্ক্রু বসানো হয়েছে।
    এই ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও, এর অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ‘টেক নেক’ (Tech Neck) এখন একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা।
    নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে?
    ১. ২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারের
    পর, ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকান।
    ২. ফোন বা ট্যাবলেট চোখের স্তরে রাখুন, প্রয়োজনে
    স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন।
    ৩. ঘাড়ের ব্যায়াম: ঘাড়ের পেশী শক্তিশালী করার
    ব্যায়াম করুন।
    ৪. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: বিশেষ করে দীর্ঘ গেমিং
    বা পড়ার সেশনগুলো ছোট ছোট বিরতি দিয়ে
    করুন।
    সম্প্রতি ২৫ বছর বয়সী এক জাপানি যুবককে নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত স্মার্টফোন গেমিংয়ের কারণে তিনি এক বিরল ও মারাত্মক শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন – যার নাম 'ড্রপড হেড সিন্ড্রোম' (Dropped Head Syndrome)। এই যুবক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথা নিচু করে ফোন দেখতেন, বিশেষ করে মোবাইল গেম খেলার সময়। এর ফলে তার ঘাড়ের পেশী এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তিনি আর মাথা সোজা করে রাখতে পারছিলেন না। তার ঘাড়ের পেছনে একটি স্পষ্ট স্ফীতি দেখা দেয় এবং এক্স-রেতে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো বিকৃত ও স্থানচ্যুত হওয়ার প্রমাণ মেলে। এমনকি তার গিলতেও সমস্যা হচ্ছিল, যার ফলে ওজনও কমে যায়। সাধারণত, ‘ড্রপড হেড সিন্ড্রোম’ স্নায়বিক বা পেশী সংক্রান্ত গুরুতর রোগের কারণে হয়, যেখানে ঘাড়ের পেশীগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে মাথা বুকের উপর ঝুঁকে থাকে। কিন্তু এই যুবকের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে দীর্ঘদিনের ভুল ভঙ্গিমার কারণে, যাকে চিকিৎসকরা ‘পোস্টুরাল ডিএইচএস’ (Postural DHS) বলছেন। কেন এমন হয়? আমাদের মাথার ওজন প্রায় ৪.৫-৫.৪ কেজি। কিন্তু যখন আমরা ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা নিচু করে স্মার্টফোন দেখি, তখন ঘাড়ের উপর প্রায় ২৭ কেজি (৬০ পাউন্ড) চাপ পড়ে! ভাবুন তো, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার ঘাড় একজন ৮ বছরের শিশুকে বহন করছে! এই দীর্ঘস্থায়ী চাপ মেরুদণ্ডের হাড়ের বিকৃতি, স্কার টিস্যু তৈরি এবং মারাত্মক ব্যথার কারণ হতে পারে। এই জাপানি যুবককে তার মাথা সোজা করার জন্য একাধিক জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তার মেরুদণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ অপসারণ করে ধাতব রড ও স্ক্রু বসানো হয়েছে। এই ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও, এর অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ‘টেক নেক’ (Tech Neck) এখন একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা। নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? ১. ২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারের পর, ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকান। ২. ফোন বা ট্যাবলেট চোখের স্তরে রাখুন, প্রয়োজনে স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন। ৩. ঘাড়ের ব্যায়াম: ঘাড়ের পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম করুন। ৪. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: বিশেষ করে দীর্ঘ গেমিং বা পড়ার সেশনগুলো ছোট ছোট বিরতি দিয়ে করুন।
    0 Kommentare 0 Geteilt 77 Ansichten
  • এক সময় খুব দেখতাম Mr. Bean নির্বাক হাসির এক কিংবদন্তি। উনার আসল নাম রোয়ান অ্যাটকিনসন।কোনো ধরনের অ-লীল অভিনয়, কিংবা মুখে কথা না বলেও রোয়ান অ্যাটকিনসন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
    ••
    রোয়ান অ্যাটকিনসনের জন্ম ৬ জানুয়ারি ১৯৫৫ সালে, ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল শহরে। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ছোটবেলায় রোয়ান ছিলেন খুব লাজুক ও তোতলানো স্বভাবের। এই তোতলামিই এক সময় হয়ে উঠেছিল তার বড় দুর্বলতা — কিন্তু সেখান থেকেই জন্ম নেয় এক অভিনয় প্রতিভা।
    ••
    তিনি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে মাস্টার্স করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক থাকলেও, তিনি কোনোদিনও ভাবেননি যে বিশ্ব তাকে একজন নির্বাক কমেডি কিংবদন্তি হিসেবে মনে রাখবে।
    ••
    অক্সফোর্ডে পড়াকালীন সময়ে থিয়েটার ও কমেডিতে অংশ নিতে শুরু করেন রোয়ান। এক সময় BBC-র জনপ্রিয় শো "Not the Nine O'Clock News"-এ অভিনয় করে নজর কাড়েন। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ১৯৯০ সালে, যখন তিনি ও তাঁর বন্ধু রিচার্ড কার্টিস মিলে তৈরি করেন 'Mr. Bean' নামের এক চরিত্র — একজন অদ্ভুত, নির্বাক, শিশুসুলভ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ।
    ••
    Mr. Bean মুখে কিছু না বলেই হাজার কথা বলে ফেলেন — একমাত্র তার শারীরিক ভাষা, মুখভঙ্গি ও টাইমিং দিয়ে। এই চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে মাত্র ১৪টি এপিসোড দিয়েই সে হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেডি চরিত্রগুলোর একটি।
    ••
    Mr. Bean-এর জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নিয়ে ১৯৯৭ সালে তৈরি হয় "Bean The Movie এরপর আসে Mr. Bean’s Holiday" (2007)। এছাড়া Mr. Bean-এর কার্টুন সিরিজও তৈরি হয়, যেখানে রোয়ান নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন।
    ••
    ব্যক্তি রোয়ান অ্যাটকিনসন বাস্তবে অত্যন্ত গম্ভীর, বুদ্ধিমান ও মিডিয়া-এভয়েডিং মানুষ। তিনি ব্যক্তিগত জীবনকে সবসময় মিডিয়ার আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি, তিনি একজন বিশাল গাড়িপ্রেমী (car enthusiast), এবং তার সংগ্রহে রয়েছে অসংখ্য বিলাসবহুল স্পোর্টস কার।
    ••
    রোয়ান অ্যাটকিনসনের জীবন একটি দারুণ শিক্ষা দেয় আমাদের দুর্বলতা থেকেই জন্ম নিতে পারে সবচেয়ে বড় শক্তি। একজন তোতলানো, লাজুক ছেলে হয়ে উঠেছেন বিশ্বখ্যাত কমেডিয়ান। Mr. Bean কেবল একটি চরিত্র নয়, এটি এক নিরব ভাষা — যা মুখে কিছু না বলেই কোটি হৃদয়ে জায়গা করে নেয়।তার বর্তমান বয়স প্রায় ৭০ বছর।
    এক সময় খুব দেখতাম Mr. Bean নির্বাক হাসির এক কিংবদন্তি। উনার আসল নাম রোয়ান অ্যাটকিনসন।কোনো ধরনের অ-লীল অভিনয়, কিংবা মুখে কথা না বলেও রোয়ান অ্যাটকিনসন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। •• রোয়ান অ্যাটকিনসনের জন্ম ৬ জানুয়ারি ১৯৫৫ সালে, ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল শহরে। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ছোটবেলায় রোয়ান ছিলেন খুব লাজুক ও তোতলানো স্বভাবের। এই তোতলামিই এক সময় হয়ে উঠেছিল তার বড় দুর্বলতা — কিন্তু সেখান থেকেই জন্ম নেয় এক অভিনয় প্রতিভা। •• তিনি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে মাস্টার্স করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক থাকলেও, তিনি কোনোদিনও ভাবেননি যে বিশ্ব তাকে একজন নির্বাক কমেডি কিংবদন্তি হিসেবে মনে রাখবে। •• অক্সফোর্ডে পড়াকালীন সময়ে থিয়েটার ও কমেডিতে অংশ নিতে শুরু করেন রোয়ান। এক সময় BBC-র জনপ্রিয় শো "Not the Nine O'Clock News"-এ অভিনয় করে নজর কাড়েন। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ১৯৯০ সালে, যখন তিনি ও তাঁর বন্ধু রিচার্ড কার্টিস মিলে তৈরি করেন 'Mr. Bean' নামের এক চরিত্র — একজন অদ্ভুত, নির্বাক, শিশুসুলভ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। •• Mr. Bean মুখে কিছু না বলেই হাজার কথা বলে ফেলেন — একমাত্র তার শারীরিক ভাষা, মুখভঙ্গি ও টাইমিং দিয়ে। এই চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে মাত্র ১৪টি এপিসোড দিয়েই সে হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেডি চরিত্রগুলোর একটি। •• Mr. Bean-এর জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নিয়ে ১৯৯৭ সালে তৈরি হয় "Bean The Movie এরপর আসে Mr. Bean’s Holiday" (2007)। এছাড়া Mr. Bean-এর কার্টুন সিরিজও তৈরি হয়, যেখানে রোয়ান নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। •• ব্যক্তি রোয়ান অ্যাটকিনসন বাস্তবে অত্যন্ত গম্ভীর, বুদ্ধিমান ও মিডিয়া-এভয়েডিং মানুষ। তিনি ব্যক্তিগত জীবনকে সবসময় মিডিয়ার আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি, তিনি একজন বিশাল গাড়িপ্রেমী (car enthusiast), এবং তার সংগ্রহে রয়েছে অসংখ্য বিলাসবহুল স্পোর্টস কার। •• রোয়ান অ্যাটকিনসনের জীবন একটি দারুণ শিক্ষা দেয় আমাদের দুর্বলতা থেকেই জন্ম নিতে পারে সবচেয়ে বড় শক্তি। একজন তোতলানো, লাজুক ছেলে হয়ে উঠেছেন বিশ্বখ্যাত কমেডিয়ান। Mr. Bean কেবল একটি চরিত্র নয়, এটি এক নিরব ভাষা — যা মুখে কিছু না বলেই কোটি হৃদয়ে জায়গা করে নেয়।তার বর্তমান বয়স প্রায় ৭০ বছর।
    0 Kommentare 0 Geteilt 55 Ansichten
  • ক্যালিসথেনিক্স কী?

    ক্যালিসথেনিক্স হলো এমন এক ধরনের শরীরচর্চা, যেখানে নিজের শরীরের ওজনকেই প্রধানভাবে "প্রতিরোধ" বা "রেজিস্ট্যান্স" হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, এখানে কোনো জিমের ভারী ডাম্বেল বা মেশিন লাগে না।
    এটি একেবারে প্রাচীন গ্রিস এবং প্রাচীন চীনে প্রচলিত ছিল। এখন আধুনিক সময়ে এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফিটনেস এবং শরীর গঠন

    কীভাবে কাজ করে?**
    শরীরের ওজন ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যায়াম করার মাধ্যমে:

    * পেশি শক্ত হয়
    * হাড় শক্ত হয়
    * হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুস সুস্থ থাকে
    * শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ে

    মুখ্য ব্যায়ামগুলো**

    প্রধান ব্যায়ামগুলো কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়:
    পুশিং ব্যায়াম:
    পুশ-আপ (Push-ups)
    ডিপস (Dips)

    পুলিং ব্যায়াম:
    পুল-আপ (Pull-ups)
    চীন-আপ (Chin-ups)
    বডি রো

    লোয়ার বডির জন্য:

    স্কোয়াট (Squats)
    ঞ্জেস (Lunges)
    পিস্তল স্কোয়াট

    কোর বা পেটের জন্য:
    প্ল্যাঙ্ক (Plank)
    লেগ রেইজ
    সিট-আপ

    উপকারিতা**
    যেকোনো জায়গায় করা যায় (পার্ক, বাড়ির ছাদ, রুম)
    খরচ লাগে না – যন্ত্রপাতি প্রয়োজন নেই
    শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
    মনোযোগ, ধৈর্য ও মানসিক শক্তি বাড়ায়
    শারীরিক গঠন সুন্দর হয়


    যা খেয়াল রাখতে হবে
    * সঠিক ফর্ম শিখতে হবে, নাহলে চোট পেতে পারো
    * শুরুতে হালকা লেভেল থেকে করতে হবে
    * পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সঠিক খাবার জরুর
    ক্যালিসথেনিক্স কী? ক্যালিসথেনিক্স হলো এমন এক ধরনের শরীরচর্চা, যেখানে নিজের শরীরের ওজনকেই প্রধানভাবে "প্রতিরোধ" বা "রেজিস্ট্যান্স" হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, এখানে কোনো জিমের ভারী ডাম্বেল বা মেশিন লাগে না। এটি একেবারে প্রাচীন গ্রিস এবং প্রাচীন চীনে প্রচলিত ছিল। এখন আধুনিক সময়ে এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফিটনেস এবং শরীর গঠন কীভাবে কাজ করে?** শরীরের ওজন ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যায়াম করার মাধ্যমে: * পেশি শক্ত হয় * হাড় শক্ত হয় * হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুস সুস্থ থাকে * শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ে মুখ্য ব্যায়ামগুলো** প্রধান ব্যায়ামগুলো কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়: পুশিং ব্যায়াম: পুশ-আপ (Push-ups) ডিপস (Dips) পুলিং ব্যায়াম: পুল-আপ (Pull-ups) চীন-আপ (Chin-ups) বডি রো লোয়ার বডির জন্য: স্কোয়াট (Squats) ঞ্জেস (Lunges) পিস্তল স্কোয়াট কোর বা পেটের জন্য: প্ল্যাঙ্ক (Plank) লেগ রেইজ সিট-আপ উপকারিতা** যেকোনো জায়গায় করা যায় (পার্ক, বাড়ির ছাদ, রুম) খরচ লাগে না – যন্ত্রপাতি প্রয়োজন নেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে মনোযোগ, ধৈর্য ও মানসিক শক্তি বাড়ায় শারীরিক গঠন সুন্দর হয় যা খেয়াল রাখতে হবে * সঠিক ফর্ম শিখতে হবে, নাহলে চোট পেতে পারো * শুরুতে হালকা লেভেল থেকে করতে হবে * পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সঠিক খাবার জরুর
    Love
    1
    0 Kommentare 0 Geteilt 31 Ansichten
  • পুরান ঢাকার অলিগলি, শুধু ইতিহাস আর হালুয়া-রুটি নয়—এখানে বাস করে বহু প্রজন্ম ধরে বয়ে আসা কাহিনি, লোকবিশ্বাস আর গা ছমছমে মিথ। এর মধ্যে অন্যতম হলো—‘অন্ধকারে আসা মিষ্টির ক্রেতা’র গল্প।

    বলা হয়, পুরান ঢাকার কিছু নির্দিষ্ট মিষ্টির দোকানে প্রতি কয়েকদিন পরপর রাত ৮টার দিকে হাজির হন একদল অদ্ভুত মানুষ।
    তারা ঢোকার আগে দোকানের মালিককে বলেন—

    “লাইট নিভিয়ে দিন।”
    আর তারপর?
    দোকান অন্ধকার হয়ে যায়।
    আর সেই অন্ধকারেই তারা নিয়ে যান ১০–১২ কেজি মিষ্টি।
    নগদ টাকাও দেন, কিন্তু কেউ সে টাকা ভালো করে দেখতে পায় না।
    সবকিছু হয় যেন নিঃশব্দ, নিঃছায়া, নিখুঁত।

    এদের গড়ন খুব লম্বা, চলাফেরা নিরব ও অস্বাভাবিক।
    তারা মাথা নিচু করে হাঁটে, কারো সঙ্গে কথা বলে না, কারো চোখে চোখ রাখে না।
    দোকানদারেরা বলে—

    “এদের মুখ আজ পর্যন্ত কেউ ভালো করে দেখে নাই।”
    কিছু দোকানদার স্বীকার করেন—

    “হ্যাঁ, তারা আসে। কিন্তু আমরা কিছু জিজ্ঞেস করি না। সবকিছু ঠিকঠাক করে চলে যায়।”
    আবার কেউ কেউ সরাসরি অস্বীকার করেন—

    “এসব কিছুই না। মিষ্টির বিক্রির গল্প বানিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।”
    তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রায় সব পুরান ঢাকার মিষ্টির দোকানে এই গল্প কোনো না কোনোভাবে ঘুরে ফিরে আসে।
    পুরান ঢাকার অলিগলি, শুধু ইতিহাস আর হালুয়া-রুটি নয়—এখানে বাস করে বহু প্রজন্ম ধরে বয়ে আসা কাহিনি, লোকবিশ্বাস আর গা ছমছমে মিথ। এর মধ্যে অন্যতম হলো—‘অন্ধকারে আসা মিষ্টির ক্রেতা’র গল্প। বলা হয়, পুরান ঢাকার কিছু নির্দিষ্ট মিষ্টির দোকানে প্রতি কয়েকদিন পরপর রাত ৮টার দিকে হাজির হন একদল অদ্ভুত মানুষ। তারা ঢোকার আগে দোকানের মালিককে বলেন— “লাইট নিভিয়ে দিন।” আর তারপর? দোকান অন্ধকার হয়ে যায়। আর সেই অন্ধকারেই তারা নিয়ে যান ১০–১২ কেজি মিষ্টি। নগদ টাকাও দেন, কিন্তু কেউ সে টাকা ভালো করে দেখতে পায় না। সবকিছু হয় যেন নিঃশব্দ, নিঃছায়া, নিখুঁত। এদের গড়ন খুব লম্বা, চলাফেরা নিরব ও অস্বাভাবিক। তারা মাথা নিচু করে হাঁটে, কারো সঙ্গে কথা বলে না, কারো চোখে চোখ রাখে না। দোকানদারেরা বলে— “এদের মুখ আজ পর্যন্ত কেউ ভালো করে দেখে নাই।” কিছু দোকানদার স্বীকার করেন— “হ্যাঁ, তারা আসে। কিন্তু আমরা কিছু জিজ্ঞেস করি না। সবকিছু ঠিকঠাক করে চলে যায়।” আবার কেউ কেউ সরাসরি অস্বীকার করেন— “এসব কিছুই না। মিষ্টির বিক্রির গল্প বানিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।” তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রায় সব পুরান ঢাকার মিষ্টির দোকানে এই গল্প কোনো না কোনোভাবে ঘুরে ফিরে আসে।
    Wow
    1
    0 Kommentare 0 Geteilt 43 Ansichten
  • পর্দার বাইরের এক মহানায়ক: পল নিউম্যান

    ১৯৮৫ সাল। শিকাগোতে চলছে “The Color of Money” ছবির শুটিং। প্রস্তুতি পূর্ণমাত্রায়—তারকা, আলো, ক্যামেরা, বিলাসবহুল হোটেল, ব্যক্তিগত রাঁধুনি, ওয়াইনের তালিকা… চুক্তি অনুযায়ী সবই সাজানো।
    কিন্তু শুটিং শুরুর আগের দিন পল নিউম্যান হঠাৎ নিজেই বলে বসলেন—এই সব সুবিধা তিনি নিচ্ছেন না। আর যেই বাজেট তার জন্য বরাদ্দ ছিল, সেটা পাঠিয়ে দিলেন কাছের এক শিশু হাসপাতালের তহবিলে।
    একটি কথাও বললেন না।
    টিম অবাক হয়ে শুধু দেখল—কেউ চাইলে কতোটা নিঃস্বার্থ হতে পারে।

    সবসময়ই করতেন!
    আশি দশকের প্রায় প্রতিটি ছবিতেই নিউম্যান করতেন একই কাজ— প্রযোজকদের কাছে বিলাসের দাবি জানাতেন, তারপর সব বাতিল করে পুরো টাকা দান করে দিতেন শিশু হাসপাতালগুলোতে।
    একবার এক প্রযোজক বিস্ময়ে বলেছিলেন— “পল বলেছিল, যদি কেউ আমার জন্য কিছু করতেই চায়, তাহলে সেটা যেন হয় এমন কারও জন্য—যার জীবনে কোনো ন্যায্য সুযোগই ছিল না।” ‘Harper & Son’ সিনেমার সময়ও নিউ ইয়র্কের এক হাসপাতালে চলে যায় এমনই এক ‘নামহীন’ অনুদান।
    কে দিয়েছে, কেউ জানত না।

    পল নিউম্যান নিজের এই দানধর্মের কোনো প্রচার করতেন না। না কোনো হাসপাতালের দেয়ালে তার নাম,
    না কোনো প্ল্যাকার্ড, না কোনো “Paul Newman Pediatric Ward”।
    সেই দান ছিল নিঃশব্দ, নিঃস্বার্থ, নিরাভরণ—
    একটা ভালোবাসা, যেটা কেবল অনুভবেই ধরা দেয়।

    'Harry & Son’ ছবির সেটে এক সহকারী লক্ষ করেন—
    নিউম্যান এসেছেন একটা ভাড়া করা সাধারণ গাড়িতে,
    যেখানে চুক্তিতে ছিল লিমুজিন! জিজ্ঞেস করলে নিউম্যান হেসে উত্তর দেন— “যদি কারও দেখাতে ইচ্ছে করে, করুক।
    আমি চাই, একটা বাচ্চা যেন হাসপাতালের বিছানাটা পায়।”
    এই কথতেই তার মানবিকতার পরিচয় তোলার জন্য যথেষ্ট ।

    তাঁর এই মহত্ত্ব ছিল লোকদেখানো নয়, একেবারে ভিতর থেকে আসা। ‘Blaze’ সিনেমার সেটে তিনি ব্যস্ত ছিলেন চিত্রনাট্য নয়, লোকাল ক্লিনিকের ম্যাপ ঘাঁটতে। ‘The Verdict’ ছবির সময় বলেছিলেন— “এই বছরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সিনেমা নয়, একটা শিশুর হাঁটতে শেখার খবর শুনে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।”
    এই লাইনটিই হয়তো তাঁর জীবনের সারাংশ।

    সব নায়ক আলোয় দাঁড়িয়ে থাকেন না।
    কিছু নায়ক ছায়ায় থাকেন— তাঁরা মঞ্চে ওঠেন না, বরং অন্যদের জন্য মঞ্চ তৈরি করেন।
    যেখানে অন্যরা হাততালির খোঁজে থাকেন, তিনি খুঁজে ফিরতেন কোনো শিশুর মুখে ছোট্ট একটুখানি হাসি।
    তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থে এক মহানায়ক।
    ---
    🎬 পর্দার বাইরের এক মহানায়ক: পল নিউম্যান ১৯৮৫ সাল। শিকাগোতে চলছে “The Color of Money” ছবির শুটিং। প্রস্তুতি পূর্ণমাত্রায়—তারকা, আলো, ক্যামেরা, বিলাসবহুল হোটেল, ব্যক্তিগত রাঁধুনি, ওয়াইনের তালিকা… চুক্তি অনুযায়ী সবই সাজানো। কিন্তু শুটিং শুরুর আগের দিন পল নিউম্যান হঠাৎ নিজেই বলে বসলেন—এই সব সুবিধা তিনি নিচ্ছেন না। আর যেই বাজেট তার জন্য বরাদ্দ ছিল, সেটা পাঠিয়ে দিলেন কাছের এক শিশু হাসপাতালের তহবিলে। একটি কথাও বললেন না। টিম অবাক হয়ে শুধু দেখল—কেউ চাইলে কতোটা নিঃস্বার্থ হতে পারে। 📜 সবসময়ই করতেন! আশি দশকের প্রায় প্রতিটি ছবিতেই নিউম্যান করতেন একই কাজ— প্রযোজকদের কাছে বিলাসের দাবি জানাতেন, তারপর সব বাতিল করে পুরো টাকা দান করে দিতেন শিশু হাসপাতালগুলোতে। একবার এক প্রযোজক বিস্ময়ে বলেছিলেন— “পল বলেছিল, যদি কেউ আমার জন্য কিছু করতেই চায়, তাহলে সেটা যেন হয় এমন কারও জন্য—যার জীবনে কোনো ন্যায্য সুযোগই ছিল না।” ‘Harper & Son’ সিনেমার সময়ও নিউ ইয়র্কের এক হাসপাতালে চলে যায় এমনই এক ‘নামহীন’ অনুদান। কে দিয়েছে, কেউ জানত না। 🔇 পল নিউম্যান নিজের এই দানধর্মের কোনো প্রচার করতেন না। না কোনো হাসপাতালের দেয়ালে তার নাম, না কোনো প্ল্যাকার্ড, না কোনো “Paul Newman Pediatric Ward”। সেই দান ছিল নিঃশব্দ, নিঃস্বার্থ, নিরাভরণ— একটা ভালোবাসা, যেটা কেবল অনুভবেই ধরা দেয়। 🚗 'Harry & Son’ ছবির সেটে এক সহকারী লক্ষ করেন— নিউম্যান এসেছেন একটা ভাড়া করা সাধারণ গাড়িতে, যেখানে চুক্তিতে ছিল লিমুজিন! জিজ্ঞেস করলে নিউম্যান হেসে উত্তর দেন— “যদি কারও দেখাতে ইচ্ছে করে, করুক। আমি চাই, একটা বাচ্চা যেন হাসপাতালের বিছানাটা পায়।” এই কথতেই তার মানবিকতার পরিচয় তোলার জন্য যথেষ্ট । 📚 তাঁর এই মহত্ত্ব ছিল লোকদেখানো নয়, একেবারে ভিতর থেকে আসা। ‘Blaze’ সিনেমার সেটে তিনি ব্যস্ত ছিলেন চিত্রনাট্য নয়, লোকাল ক্লিনিকের ম্যাপ ঘাঁটতে। ‘The Verdict’ ছবির সময় বলেছিলেন— “এই বছরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সিনেমা নয়, একটা শিশুর হাঁটতে শেখার খবর শুনে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।” এই লাইনটিই হয়তো তাঁর জীবনের সারাংশ। 🎞️ সব নায়ক আলোয় দাঁড়িয়ে থাকেন না। কিছু নায়ক ছায়ায় থাকেন— তাঁরা মঞ্চে ওঠেন না, বরং অন্যদের জন্য মঞ্চ তৈরি করেন। যেখানে অন্যরা হাততালির খোঁজে থাকেন, তিনি খুঁজে ফিরতেন কোনো শিশুর মুখে ছোট্ট একটুখানি হাসি। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থে এক মহানায়ক। ❤️ ---
    0 Kommentare 0 Geteilt 41 Ansichten
Weitere Ergebnisse
BlackBird Ai
https://bbai.shop