• ভেবেছিলাম বুয়েটে CSE তে পড়ব।
    ওমেকাতে পজিশনও খারাপ ছিল না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন কী হলো কয়েকটা অঙ্ক কোনোভাবেই মিলাতে পারলাম না। মনে করেছিলাম হয়তো চান্সই পাব না। রেজাল্টের পর দেখলাম কোনরকমে পেয়েছি, কিন্তু সিরিয়াল অনেক পেছনে। টেনেটুনে মেকানিকাল এ আসে, আরেকদিকে আর্কিটেকচার।

    এর মাঝে আবার ঢাকা ভার্সিটির IBA এর BBA তে রিটেনএ টিকলাম। তখন IBA এর গ্রাজুয়েটদের অনেক দাম। ভাবলাম IBA তে হয়ে গেলে সেখানেই পড়ব, কিন্তু কিভাবে যেন সেখানেও ভাইভা তে বাদ পড়ে গেলাম।

    তারপর ভাবলাম, আর্কিটেকচারে পড়ে দেশে একটা ফার্ম দিব, Creativity দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব। তাই মেকানিকাল এর এর চেয়ে আর্কিটেকচারই ভালো অপশন। ভর্তি হয়ে গেলাম সেখানেই। বন্ধুবান্ধব, বুয়েটে লাইফ ভালোই চলছিলো, কিন্তু অনেক আগে থেকেই বাইরে পড়তে যাবার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। শুরু করলাম বাইরে অ্যাডমিশন এর চেষ্টার।

    অনেকেই বললো এখন গিয়ে কী করবা, বুয়েটে শেষ করে মাস্টার্সএ যাও, Undergraduate এ গেলে নিজে টাকা দিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়লাম না। গেলাম ঢাকার idp তে, বললাম যে ANU তে নাকি ফুল স্কলারশিপ দেয়, কিভাবে কি করতে হবে? তারা বলল যে ইংলিশ মিডিয়াম হলে লাভ ছিল, বাংলা মিডিয়াম এর A+ এর দাম নাই। তারপরও নিজে থেকেই IELTS দিলাম, ANU তে অ্যাপ্লাই করলাম। কিন্তু লাভ হলোনা, শেষমেশ রিজেক্ট।

    অস্ট্রেলিয়া তো আমাকে পাত্তা দিলোনা, ভাবলাম আমেরিকায় চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু সেখানে আবার SAT আর TOEFL ছাড়া কিছু হয়না। সেগুলোও দিলাম। খুঁজে পেতে দেখলাম যে টপ ভার্সিটিগুলো চান্স পেলে financial aid দেয়। তাই ভাবলাম এবার তাহলে MIT তেই যাবো, বুয়েটে, ANU তো আর আমাকে বুঝলো না। 😛 সব ঠিকঠাক করে MIT তে অ্যাপ্লিকেশনও জমা দিলাম। (যদিও হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া এটা কেউ জানতো না)
    কিন্তু শেষমেশ এখানেও রিজেক্ট।

    এবার ঠিক করলাম জাপানে মনবসু (আসল উচ্চারণ "মনবুকাগাকুশো") স্কলারশিপে পড়তে যাব। অ্যাপ্লাই করলাম, রিটেনএ টিক লাম, আমাদের ৪ জনকে এম্ব্যাসি থেকে সিলেক্ট করে ভাইভা তে ডাকলো। ভাইভাও খুব ভালো হলো। আমাদের কজনের নাম জাপানের মিনিস্ট্রিতে পাঠালো। কিন্তু এবার কি হলো, বাংলাদেশ থেকে ওরা একজন কেও সিলেক্ট করলো না আর আমার জাপানের সপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।

    জাপানি rejection এর কদিনপরে দেখলাম Korean Government Scholarship এর সার্কুলার। এবার ভাবলাম তাহলে কোরিয়াতেই যাই, SNU বা KAIST এ পড়বো, খারাপ কি। আসার আগে অনেকেই বলেছিল, বুয়েট ছেড়ে যাচ্ছ, ঠিক করছো তো? Korean ডিগ্রির আবার দাম আছে নাকি? ওখানে তো মানুষ কুকুরের মাংস খায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে যে যেকোনো গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অনেক গর্বের একটা বিষয়, এখানে একজন স্টুডেন্ট তার দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পারে। এরকম সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক না। তাই সবকিছু উপেক্ষা করে বুয়েট ছেড়ে চলে আসলাম South Korea তে পড়তে।

    এখানে এসে ১ বছর language course এর পরে বুঝতে পারলাম যে আমি SNU বা KAIST এ পড়তে পারবো না, কারণ আমি ভার্সিটি ট্র্যাকে অ্যাপ্লাই করেছি। যেই ভার্সিটির মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করেছি সেখানেই পড়তে হবে। আর SNU বা KAIST এ পড়ার ইচ্ছাও আমার অপূর্ণই থেকে গেল।

    পাস করার আগে/পরে Google, Facebook, Apple, LinkedIn এ অনেক cv জমা দিয়েছি। কিন্তু কোথাও থেকেই কখনো কল পাইনি। মাঝে কল পেয়েছিলাম ThinkCell নামে ছোট একটা জার্মান কোম্পানি থেকে। সেখানে ইন্টারভিউও দিয়েছিলাম। আবারও প্রথম রাউন্ডেই বাদ।

    এর পরে একসময় গ্র্যাব থেকে ইন্টারভিউ এর কল পেয়েছিলাম। সেখানেও ইন্টারভিউ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়লাম।

    তারপরও হাল ছাড়িনি, চেষ্টা করে গিয়েছি।
    প্রথমেই থেমে গেলে হয়তো এতদূর আসা হতো না।

    বুয়েট এর CSE কিংবা এমআই টি তে পড়ার সুযোগ হয়তো হয়নি কিন্তু আজ যতদূর আসতে পেরেছি সেটাও বা খারাপ কী?

    যেকোনো সাকসেস এর পেছনে এরকম হাজারো ব্যার্থতা থাকবে।

    So, don't let your failures define who you are.

    © Zulkarnine Mahmud (06-08)
    Software Engineer, Google
    ভেবেছিলাম বুয়েটে CSE তে পড়ব। ওমেকাতে পজিশনও খারাপ ছিল না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন কী হলো কয়েকটা অঙ্ক কোনোভাবেই মিলাতে পারলাম না। মনে করেছিলাম হয়তো চান্সই পাব না। রেজাল্টের পর দেখলাম কোনরকমে পেয়েছি, কিন্তু সিরিয়াল অনেক পেছনে। টেনেটুনে মেকানিকাল এ আসে, আরেকদিকে আর্কিটেকচার। এর মাঝে আবার ঢাকা ভার্সিটির IBA এর BBA তে রিটেনএ টিকলাম। তখন IBA এর গ্রাজুয়েটদের অনেক দাম। ভাবলাম IBA তে হয়ে গেলে সেখানেই পড়ব, কিন্তু কিভাবে যেন সেখানেও ভাইভা তে বাদ পড়ে গেলাম। তারপর ভাবলাম, আর্কিটেকচারে পড়ে দেশে একটা ফার্ম দিব, Creativity দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব। তাই মেকানিকাল এর এর চেয়ে আর্কিটেকচারই ভালো অপশন। ভর্তি হয়ে গেলাম সেখানেই। বন্ধুবান্ধব, বুয়েটে লাইফ ভালোই চলছিলো, কিন্তু অনেক আগে থেকেই বাইরে পড়তে যাবার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। শুরু করলাম বাইরে অ্যাডমিশন এর চেষ্টার। অনেকেই বললো এখন গিয়ে কী করবা, বুয়েটে শেষ করে মাস্টার্সএ যাও, Undergraduate এ গেলে নিজে টাকা দিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়লাম না। গেলাম ঢাকার idp তে, বললাম যে ANU তে নাকি ফুল স্কলারশিপ দেয়, কিভাবে কি করতে হবে? তারা বলল যে ইংলিশ মিডিয়াম হলে লাভ ছিল, বাংলা মিডিয়াম এর A+ এর দাম নাই। তারপরও নিজে থেকেই IELTS দিলাম, ANU তে অ্যাপ্লাই করলাম। কিন্তু লাভ হলোনা, শেষমেশ রিজেক্ট। অস্ট্রেলিয়া তো আমাকে পাত্তা দিলোনা, ভাবলাম আমেরিকায় চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু সেখানে আবার SAT আর TOEFL ছাড়া কিছু হয়না। সেগুলোও দিলাম। খুঁজে পেতে দেখলাম যে টপ ভার্সিটিগুলো চান্স পেলে financial aid দেয়। তাই ভাবলাম এবার তাহলে MIT তেই যাবো, বুয়েটে, ANU তো আর আমাকে বুঝলো না। 😛 সব ঠিকঠাক করে MIT তে অ্যাপ্লিকেশনও জমা দিলাম। (যদিও হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া এটা কেউ জানতো না) কিন্তু শেষমেশ এখানেও রিজেক্ট। এবার ঠিক করলাম জাপানে মনবসু (আসল উচ্চারণ "মনবুকাগাকুশো") স্কলারশিপে পড়তে যাব। অ্যাপ্লাই করলাম, রিটেনএ টিক লাম, আমাদের ৪ জনকে এম্ব্যাসি থেকে সিলেক্ট করে ভাইভা তে ডাকলো। ভাইভাও খুব ভালো হলো। আমাদের কজনের নাম জাপানের মিনিস্ট্রিতে পাঠালো। কিন্তু এবার কি হলো, বাংলাদেশ থেকে ওরা একজন কেও সিলেক্ট করলো না আর আমার জাপানের সপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। জাপানি rejection এর কদিনপরে দেখলাম Korean Government Scholarship এর সার্কুলার। এবার ভাবলাম তাহলে কোরিয়াতেই যাই, SNU বা KAIST এ পড়বো, খারাপ কি। আসার আগে অনেকেই বলেছিল, বুয়েট ছেড়ে যাচ্ছ, ঠিক করছো তো? Korean ডিগ্রির আবার দাম আছে নাকি? ওখানে তো মানুষ কুকুরের মাংস খায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে যে যেকোনো গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অনেক গর্বের একটা বিষয়, এখানে একজন স্টুডেন্ট তার দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পারে। এরকম সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক না। তাই সবকিছু উপেক্ষা করে বুয়েট ছেড়ে চলে আসলাম South Korea তে পড়তে। এখানে এসে ১ বছর language course এর পরে বুঝতে পারলাম যে আমি SNU বা KAIST এ পড়তে পারবো না, কারণ আমি ভার্সিটি ট্র্যাকে অ্যাপ্লাই করেছি। যেই ভার্সিটির মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করেছি সেখানেই পড়তে হবে। আর SNU বা KAIST এ পড়ার ইচ্ছাও আমার অপূর্ণই থেকে গেল। পাস করার আগে/পরে Google, Facebook, Apple, LinkedIn এ অনেক cv জমা দিয়েছি। কিন্তু কোথাও থেকেই কখনো কল পাইনি। মাঝে কল পেয়েছিলাম ThinkCell নামে ছোট একটা জার্মান কোম্পানি থেকে। সেখানে ইন্টারভিউও দিয়েছিলাম। আবারও প্রথম রাউন্ডেই বাদ। এর পরে একসময় গ্র্যাব থেকে ইন্টারভিউ এর কল পেয়েছিলাম। সেখানেও ইন্টারভিউ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়লাম। তারপরও হাল ছাড়িনি, চেষ্টা করে গিয়েছি। প্রথমেই থেমে গেলে হয়তো এতদূর আসা হতো না। বুয়েট এর CSE কিংবা এমআই টি তে পড়ার সুযোগ হয়তো হয়নি কিন্তু আজ যতদূর আসতে পেরেছি সেটাও বা খারাপ কী? যেকোনো সাকসেস এর পেছনে এরকম হাজারো ব্যার্থতা থাকবে। So, don't let your failures define who you are. © Zulkarnine Mahmud (06-08) Software Engineer, Google
    0 Комментарии 0 Поделились 1Кб Просмотры
  • ২০০৭ সালে ডেভিড বেকহ্যাম এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন যা ফুটবল দুনিয়াকে অবাক করে দিল।
    তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারকা সমৃদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস এর এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিবেন। যেখানে বছরে তার বেতন মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার।

    সবাই ভাবল এ তো পাগলামি! কারণ রিয়ালে তিনি বছরে ১৮ মিলিয়ন ডলার পেতেন, মানে প্রায় ৭০% কম বেতন নিতে রাজি হলেন তাও আবার বিশ্বসেরা কোনো দলের জন্য না,না বিশ্বসেরা কোনো লিগও সেটি ছিলো না।
    তাহলে কেন গেলেন বেকহ্যাম? এর পিছনে ছিলো বেকহ্যাম এর এক ব্যবসায়িক মাস্টারক্লাস প্ল্যান।

    বেতন কম হলেও বেকহ্যামের চুক্তিতে ছিল এক অদ্ভুত শর্ত তিনি এলএ গ্যালাক্সির সব রকম আয়ের একটা অংশ পাবেন।
    যেমন: টিকিট বিক্রি, জার্সি ও সামগ্রী বিক্রি, খাবার-পানীয় বিক্রি, স্পনসরশিপ চুক্তি সব কিছুর থেকে তার ভাগ আসবে। এমন চুক্তি আগে কোনো ফুটবলার করেননি।

    কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরেকটা গোপন শর্ত ছিল।
    চুক্তি অনুযায়ী বেকহ্যাম অবসরের পর মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে এমএলএসএর একটি নতুন দল কেনার অধিকার পাবেন।

    যখন এমএলএস তখনও তেমন জনপ্রিয় নয়, তখন এমন সুযোগ কেউ কেন চাইবে এ নিয়ে অনেক সমালোচনা তো ছিলোই। কিন্ত বেকহ্যাম এর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী।

    বেকহ্যাম সই করার পরপরই এলএ গ্যালাক্সি হঠাৎ করে ১১,০০০ নতুন সিজন টিকিট বিক্রি করলো, অথচ তিনি তখনো জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি।
    তার জার্সি এমএলএস এর ইতিহাসে দ্রুততম বিক্রি হওয়া জার্সি বনে গেল।

    যেখানে গ্যালাক্সির স্টেডিয়ামে কেবল ১২,০০০ দর্শক খেলা দেখতে আসতো। বেকহ্যাম এর প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামে ভিড় জমলো প্রায় ৬৬,০০০ মানুষের।
    টিভি রেটিং তিন গুণ বাড়ল।
    স্পনসরশিপ চুক্তি একের পর এক আসতে লাগল।

    এমএলএস তখন এক নতুন নিয়ম চালু করল 'বেকহ্যাম রুল' যার ফলে দলগুলো বেতন সীমার বাইরে গিয়ে বড় তারকা সই করাতে পারবে।
    ফলে লিগ, যা ২০০২ সালে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলো।

    ২০১২ সালের মধ্যে বেকহ্যাম দুইবার এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হলেন এবং লিগের অর্থনৈতিক কাঠামো পাল্টে দিলেন।
    তার বছরে আয় আসতে লাগলো প্রায় ৪২ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলারের মতো। যা রিয়ালে পাওয়া বেতনের প্রায় আড়াই গুণ। যেই মিডিয়া তার ক্যারিয়ার শেষ হবে এমন তকমা দিচ্ছিলো,সেই মিডিয়ার কাছে তিনি হয়ে উঠলেন মার্কেটিং জিনিয়াস।

    ২০১৪ সালে তিনি চমক দিয়ে তার ২৫ মিলিয়ন ডলারের অপশন ব্যবহার করে মায়ামিতে একটি এমএলএস দল (ইন্টার মায়ামি) নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। তখন অন্যরা নতুন দল কিনতে দিচ্ছিল ২০০–৩২৫ মিলিয়ন ডলার, আর তিনি কিনলেন মাত্র ২৫ মিলিয়নে।

    তবে দল গড়া সহজ ছিল না শুরুতে। স্টেডিয়াম চুক্তি ভেঙে গেল, বিনিয়োগকারী পালাল, সমালোচনা চলল। ছয় বছর ধরে প্রায় থেমে ছিল প্রকল্প,কিন্তু বেকহ্যাম হাল ছাড়েননি।

    ২০২০ সালে ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ খেলল।
    মাত্র দুই বছরের মধ্যে ক্লাবের মূল্য পৌঁছে গেল ৬০০ মিলিয়ন ডলারে অর্থাৎ তার বিনিয়োগের উপর ২,২০০% লাভ।

    ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বেকহ্যাম সবচাইতে বড় মাস্টারস্ট্রোক গেইমটা খেললেন। লিওনেল মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে নিয়ে এসে।
    না বার্সেলোনা, না সৌদি আরবের কোটি কোটি ডলার। মেসি এলেন বেকহ্যামের দলে, যা দশ বছর আগে অস্তিত্বই রাখত না।

    মেসি আসার পর ক্লাবের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো। বার্ষিক আয় ৬০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়নে পৌঁছালো। সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারী বেড়ে গেল ৫৫০%। টিকিটের দাম বেড়ে গেল ১,০৩৪%।

    অন্যরা যেখানে বেশি বেতন বেছে নিয়েছিল, বেকহ্যাম তখন বেছে নিলেন মালিকানা ও আয়ের অংশীদারিত্ব। অন্যরা ভেবেছে এক-দুই বছরের জন্য, তিনি ভেবেছেন পুরো ভবিষ্যৎ নিয়ে।
    তিনি শুধু একজন খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী। এভাবে বেকহ্যাম শুধু মাঠের খেলায় না জিতলেন মাঠের বাহিরের খেলায়ও।
    ২০০৭ সালে ডেভিড বেকহ্যাম এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন যা ফুটবল দুনিয়াকে অবাক করে দিল। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারকা সমৃদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস এর এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিবেন। যেখানে বছরে তার বেতন মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার। সবাই ভাবল এ তো পাগলামি! কারণ রিয়ালে তিনি বছরে ১৮ মিলিয়ন ডলার পেতেন, মানে প্রায় ৭০% কম বেতন নিতে রাজি হলেন তাও আবার বিশ্বসেরা কোনো দলের জন্য না,না বিশ্বসেরা কোনো লিগও সেটি ছিলো না। তাহলে কেন গেলেন বেকহ্যাম? এর পিছনে ছিলো বেকহ্যাম এর এক ব্যবসায়িক মাস্টারক্লাস প্ল্যান। বেতন কম হলেও বেকহ্যামের চুক্তিতে ছিল এক অদ্ভুত শর্ত তিনি এলএ গ্যালাক্সির সব রকম আয়ের একটা অংশ পাবেন। যেমন: টিকিট বিক্রি, জার্সি ও সামগ্রী বিক্রি, খাবার-পানীয় বিক্রি, স্পনসরশিপ চুক্তি সব কিছুর থেকে তার ভাগ আসবে। এমন চুক্তি আগে কোনো ফুটবলার করেননি। কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরেকটা গোপন শর্ত ছিল। চুক্তি অনুযায়ী বেকহ্যাম অবসরের পর মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে এমএলএসএর একটি নতুন দল কেনার অধিকার পাবেন। যখন এমএলএস তখনও তেমন জনপ্রিয় নয়, তখন এমন সুযোগ কেউ কেন চাইবে এ নিয়ে অনেক সমালোচনা তো ছিলোই। কিন্ত বেকহ্যাম এর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। বেকহ্যাম সই করার পরপরই এলএ গ্যালাক্সি হঠাৎ করে ১১,০০০ নতুন সিজন টিকিট বিক্রি করলো, অথচ তিনি তখনো জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি। তার জার্সি এমএলএস এর ইতিহাসে দ্রুততম বিক্রি হওয়া জার্সি বনে গেল। যেখানে গ্যালাক্সির স্টেডিয়ামে কেবল ১২,০০০ দর্শক খেলা দেখতে আসতো। বেকহ্যাম এর প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামে ভিড় জমলো প্রায় ৬৬,০০০ মানুষের। টিভি রেটিং তিন গুণ বাড়ল। স্পনসরশিপ চুক্তি একের পর এক আসতে লাগল। এমএলএস তখন এক নতুন নিয়ম চালু করল 'বেকহ্যাম রুল' যার ফলে দলগুলো বেতন সীমার বাইরে গিয়ে বড় তারকা সই করাতে পারবে। ফলে লিগ, যা ২০০২ সালে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলো। ২০১২ সালের মধ্যে বেকহ্যাম দুইবার এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হলেন এবং লিগের অর্থনৈতিক কাঠামো পাল্টে দিলেন। তার বছরে আয় আসতে লাগলো প্রায় ৪২ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলারের মতো। যা রিয়ালে পাওয়া বেতনের প্রায় আড়াই গুণ। যেই মিডিয়া তার ক্যারিয়ার শেষ হবে এমন তকমা দিচ্ছিলো,সেই মিডিয়ার কাছে তিনি হয়ে উঠলেন মার্কেটিং জিনিয়াস। ২০১৪ সালে তিনি চমক দিয়ে তার ২৫ মিলিয়ন ডলারের অপশন ব্যবহার করে মায়ামিতে একটি এমএলএস দল (ইন্টার মায়ামি) নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। তখন অন্যরা নতুন দল কিনতে দিচ্ছিল ২০০–৩২৫ মিলিয়ন ডলার, আর তিনি কিনলেন মাত্র ২৫ মিলিয়নে। তবে দল গড়া সহজ ছিল না শুরুতে। স্টেডিয়াম চুক্তি ভেঙে গেল, বিনিয়োগকারী পালাল, সমালোচনা চলল। ছয় বছর ধরে প্রায় থেমে ছিল প্রকল্প,কিন্তু বেকহ্যাম হাল ছাড়েননি। ২০২০ সালে ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ খেলল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে ক্লাবের মূল্য পৌঁছে গেল ৬০০ মিলিয়ন ডলারে অর্থাৎ তার বিনিয়োগের উপর ২,২০০% লাভ। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বেকহ্যাম সবচাইতে বড় মাস্টারস্ট্রোক গেইমটা খেললেন। লিওনেল মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে নিয়ে এসে। না বার্সেলোনা, না সৌদি আরবের কোটি কোটি ডলার। মেসি এলেন বেকহ্যামের দলে, যা দশ বছর আগে অস্তিত্বই রাখত না। মেসি আসার পর ক্লাবের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো। বার্ষিক আয় ৬০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়নে পৌঁছালো। সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারী বেড়ে গেল ৫৫০%। টিকিটের দাম বেড়ে গেল ১,০৩৪%। অন্যরা যেখানে বেশি বেতন বেছে নিয়েছিল, বেকহ্যাম তখন বেছে নিলেন মালিকানা ও আয়ের অংশীদারিত্ব। অন্যরা ভেবেছে এক-দুই বছরের জন্য, তিনি ভেবেছেন পুরো ভবিষ্যৎ নিয়ে। তিনি শুধু একজন খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী। এভাবে বেকহ্যাম শুধু মাঠের খেলায় না জিতলেন মাঠের বাহিরের খেলায়ও।
    0 Комментарии 0 Поделились 1Кб Просмотры
  • ✈️ তুরস্কের বিস্ময় – TALAY 🌊
    বিশ্বের প্রথম সমুদ্র-সংলগ্ন (Sea-Skimming) মাল্টি-পারপাস ড্রোন উন্মোচন করল তুরস্ক।
    মাত্র ৩ মিটার (প্রায় ৯.৮ ফুট) সমুদ্রের উপর দিয়ে উড়ে চলা এই ড্রোন গোপনীয়তা, গতি ও বহুমুখী সক্ষমতার এক অনন্য সমন্বয়।

    ⚡ সর্বোচ্চ গতি: ২০০ কিমি/ঘণ্টা (১২৪ মাইল/ঘণ্টা)
    ⏳ ফ্লাইট সময়: ৩ ঘণ্টা
    📦 পেলোড ক্ষমতা: ৩০ কেজি (৬৬ পাউন্ড)
    🔋 ইঞ্জিন: বৈদ্যুতিক + AI নিয়ন্ত্রিত ফ্লাইট সিস্টেম

    তীরে পাহারা, নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—TALAY অশান্ত সমুদ্রেও কার্যকরভাবে উড়তে পারে এবং প্রায় রাডারে ধরা পড়ে না। নৌযুদ্ধের কৌশলে এটি হতে পারে গেম-চেঞ্জার।

    -
    Turkey has unveiled the world’s first Sea-Skimming multipurpose drone.
    Flying just 3 meters (about 9.8 feet) above the sea, this drone combines stealth, speed, and versatile capabilities in a single platform.

    ⚡ Top Speed: 200 km/h (124 mph)
    ⏳ Flight Time: 3 hours
    📦 Payload Capacity: 30 kg (66 lbs)
    🔋 Engine: Electric + AI-controlled flight system

    From coastal patrols and surveillance to precision strikes—TALAY can operate effectively even in rough seas while remaining almost invisible to radar. It could be a true game-changer in naval warfare strategy.

    #Turkey #TALAY #SeaSkimming #MilitaryDrone #NavalInnovation #DroneTechnology #DefenceTech #Aerospace #NextGenWarfare #NavalWarfare #Drone
    ✈️ তুরস্কের বিস্ময় – TALAY 🌊 বিশ্বের প্রথম সমুদ্র-সংলগ্ন (Sea-Skimming) মাল্টি-পারপাস ড্রোন উন্মোচন করল তুরস্ক। মাত্র ৩ মিটার (প্রায় ৯.৮ ফুট) সমুদ্রের উপর দিয়ে উড়ে চলা এই ড্রোন গোপনীয়তা, গতি ও বহুমুখী সক্ষমতার এক অনন্য সমন্বয়। ⚡ সর্বোচ্চ গতি: ২০০ কিমি/ঘণ্টা (১২৪ মাইল/ঘণ্টা) ⏳ ফ্লাইট সময়: ৩ ঘণ্টা 📦 পেলোড ক্ষমতা: ৩০ কেজি (৬৬ পাউন্ড) 🔋 ইঞ্জিন: বৈদ্যুতিক + AI নিয়ন্ত্রিত ফ্লাইট সিস্টেম তীরে পাহারা, নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—TALAY অশান্ত সমুদ্রেও কার্যকরভাবে উড়তে পারে এবং প্রায় রাডারে ধরা পড়ে না। নৌযুদ্ধের কৌশলে এটি হতে পারে গেম-চেঞ্জার। - Turkey has unveiled the world’s first Sea-Skimming multipurpose drone. Flying just 3 meters (about 9.8 feet) above the sea, this drone combines stealth, speed, and versatile capabilities in a single platform. ⚡ Top Speed: 200 km/h (124 mph) ⏳ Flight Time: 3 hours 📦 Payload Capacity: 30 kg (66 lbs) 🔋 Engine: Electric + AI-controlled flight system From coastal patrols and surveillance to precision strikes—TALAY can operate effectively even in rough seas while remaining almost invisible to radar. It could be a true game-changer in naval warfare strategy. #Turkey #TALAY #SeaSkimming #MilitaryDrone #NavalInnovation #DroneTechnology #DefenceTech #Aerospace #NextGenWarfare #NavalWarfare #Drone।
    0 Комментарии 0 Поделились 943 Просмотры
  • রবার্ট হাউজ তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে নিক্কি এবং তার দুই বন্ধু সমুদ্রের তীর থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে সাঁতার কাটছিলেন। হঠাৎ একদল ডলফিন তাদের ঘিরে ধরে। প্রথমে হাউজ ভাবেন, ডলফিনগুলো হয়তো খেলতে চাইছে, কিন্তু ডলফিনগুলো খুব জোরে জোরে বৃত্তাকারে ঘুরছিল এবং তাদের লেজ দিয়ে জলকে আঘাত করছিল। হাউজ যখন দল থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তখন দুটি বড় ডলফিন তাকে আবার দলের মধ্যে ঠেলে দেয়।
    এরপরই তিনি পানির নিচে প্রায় ৩ মিটার (১০ ফুট) লম্বা একটি গ্রেট হোয়াইট হাঙর দেখতে পান। তখন তিনি বুঝতে পারেন, ডলফিনগুলো তাদের রক্ষা করার জন্যই ঘিরে ধরেছে।
    প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ডলফিনগুলো সাঁতারুদের ঘিরে রেখেছিল। এই সময়ের মধ্যে লাইফগার্ড ম্যাট ফ্লিট একটি উদ্ধারকারী নৌকায় করে কাছে এসে ডলফিন এবং হাঙর উভয়কেই দেখতে পান।
    ৪০ মিনিট পর হাঙরটি চলে গেলে ডলফিনগুলো সাঁতারুদের তীরে ফিরে যেতে সাহায্য করে এবং তারা নিরাপদে তীরে পৌঁছায়।

    কেন ডলফিন এমন আচরণ করে?
    বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডলফিনরা তাদের নিজেদের এবং তাদের শাবকদের রক্ষা করার জন্য হাঙরের ওপর আক্রমণ করে। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও তারা সম্ভবত বিপদ বুঝতে পেরেছিল এবং তাদের সেই সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই সাঁতারুদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছিল। এই ধরনের ঘটনা আগেও বিশ্বে একাধিকবার ঘটেছে, যেখানে ডলফিন বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করেছে। ডলফিনদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বুদ্ধিমান আচরণ তাদের 'সমুদ্রের বন্ধু' হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।

    স্থান ও সময়: নিউজিল্যান্ডের ওশান বিচ (Ocean Beach) এর কাছে, ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর। তবে ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসে নভেম্বরে।

    এই ঘটনা সম্পর্কিত কিছু নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের লিংক নিচে দেওয়া হলো:
    * Dolphins save swimmers from shark | News | Al Jazeera
    * Dolphins save swimmers from shark attack | World news | The Guardian
    * Dolphins save swimmers from shark | CBC News
    * Dolphins saved us from shark, lifeguards say - NZ Herald
    রবার্ট হাউজ তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে নিক্কি এবং তার দুই বন্ধু সমুদ্রের তীর থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে সাঁতার কাটছিলেন। হঠাৎ একদল ডলফিন তাদের ঘিরে ধরে। প্রথমে হাউজ ভাবেন, ডলফিনগুলো হয়তো খেলতে চাইছে, কিন্তু ডলফিনগুলো খুব জোরে জোরে বৃত্তাকারে ঘুরছিল এবং তাদের লেজ দিয়ে জলকে আঘাত করছিল। হাউজ যখন দল থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তখন দুটি বড় ডলফিন তাকে আবার দলের মধ্যে ঠেলে দেয়। এরপরই তিনি পানির নিচে প্রায় ৩ মিটার (১০ ফুট) লম্বা একটি গ্রেট হোয়াইট হাঙর দেখতে পান। তখন তিনি বুঝতে পারেন, ডলফিনগুলো তাদের রক্ষা করার জন্যই ঘিরে ধরেছে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ডলফিনগুলো সাঁতারুদের ঘিরে রেখেছিল। এই সময়ের মধ্যে লাইফগার্ড ম্যাট ফ্লিট একটি উদ্ধারকারী নৌকায় করে কাছে এসে ডলফিন এবং হাঙর উভয়কেই দেখতে পান। ৪০ মিনিট পর হাঙরটি চলে গেলে ডলফিনগুলো সাঁতারুদের তীরে ফিরে যেতে সাহায্য করে এবং তারা নিরাপদে তীরে পৌঁছায়। কেন ডলফিন এমন আচরণ করে? বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডলফিনরা তাদের নিজেদের এবং তাদের শাবকদের রক্ষা করার জন্য হাঙরের ওপর আক্রমণ করে। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও তারা সম্ভবত বিপদ বুঝতে পেরেছিল এবং তাদের সেই সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই সাঁতারুদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছিল। এই ধরনের ঘটনা আগেও বিশ্বে একাধিকবার ঘটেছে, যেখানে ডলফিন বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করেছে। ডলফিনদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বুদ্ধিমান আচরণ তাদের 'সমুদ্রের বন্ধু' হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। স্থান ও সময়: নিউজিল্যান্ডের ওশান বিচ (Ocean Beach) এর কাছে, ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর। তবে ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসে নভেম্বরে। এই ঘটনা সম্পর্কিত কিছু নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের লিংক নিচে দেওয়া হলো: * Dolphins save swimmers from shark | News | Al Jazeera * Dolphins save swimmers from shark attack | World news | The Guardian * Dolphins save swimmers from shark | CBC News * Dolphins saved us from shark, lifeguards say - NZ Herald
    0 Комментарии 0 Поделились 455 Просмотры
  • আপনি যদি ভেবে থাকেন বিমান সংরক্ষণ মানেই স্রেফ এটিকে কোথাও পার্ক করে রাখা, তাহলে আপনি একদম ভুল করছেন না, আবার একদম ঠিকও করছেন না। কারণ, বিমান হলো এমন এক বস্তু, যাকে ঠিক গ্যারাজে ঢুকিয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা যায় না। এতে থাকে ৬০ ফুট লম্বা ডানা, একেকটি ইঞ্জিনের ওজন প্রায় ৪,০০০ কেজি, আর প্রতিটি ছোটখাট বিমানেরও ন্যূনতম ১০ লাখের ওপরে যন্ত্রাংশ থাকে।

    এখানে আসল চ্যালেঞ্জটা হলো—এই বিমানের শরীর যেন মরিচা না ধরে, ইঞ্জিন যেন উল্টাপাল্টা না করে, আর ককপিটের নেভিগেশনগুলো যাতে ঠিকঠাক থাকে।। এজন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর গাণিতিক হিসাব।

    প্রথমত, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। বিমানের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেন ঘামতে না শুরু করে, তার জন্য হ্যাঙ্গারে তাপমাত্রা রাখতে হয় ২১ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। যদি এটি এক ডিগ্রি বাড়ে, তাহলে বিমানের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশের সম্প্রসারণ ঘটে ০.০০০১২ মিটার প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে। এটা শুনে মনে হতে পারে তেমন কিছু না, কিন্তু একটা বোয়িং ৭৭৭-এর ডানার দৈর্ঘ্য ৬০.৯ মিটার। কাজেই এক ডিগ্রিতে সেটি প্রায় ০.০০৭৩ মিটার বা ৭.৩ মিলিমিটার বাড়ে—মানে প্রায় একটা জামার বোতামের সমান। আর একটা জামার বোতামের সমান উল্টাপাল্টা ঘটনা মানেই মাঝ আকাশে বিশাল বিপদ।

    এবার আসি আর্দ্রতার কথায়। বিমানের ভেতর যদি বেশি আর্দ্রতা থাকে, তাহলে ইলেকট্রনিক সার্কিট বোর্ডে পানির কণা জমে গিয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে যেতে পারে। আর বিমানে শর্ট সার্কিট মানে অনেক সময় ‘আউচ!’ নয়, বরং ‘আউট!’ বলা। তাই আর্দ্রতা রাখতে হয় ৪৫% থেকে ৫০% এর মধ্যে। যদি ৫৫% হয়, তাহলে ককপিটের কাচে পানি জমে এবং পাইলটকে তখন নিজ হাতে উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়—যা সাধারণত তাদের জিএমএস (গ্লোবাল মেস সেন্স) স্কোরের সাথে যায় না।

    আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—টায়ারের সংরক্ষণ। বিমানের টায়ার দেখতে যতটা বড় এবং গম্ভীর, ততটাই সংবেদনশীল। একটি বিমানের টায়ার প্রতি স্কয়ার ইঞ্চিতে ২০০ PSI চাপ সহ্য করতে পারে, যা এক হাড়ভাঙা টেনিস বলের চাপের ১৪ গুণ বেশি। তাই দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলে টায়ার সমানভাবে চাপ না পেলে তা একপাশে বসে যেতে পারে। সমাধান? প্রতি ১৮ দিন অন্তর টায়ার ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে হয়, যেন সব অংশ সমানভাবে বসে। বিমানের টায়ার যেন “চেয়ার পটেটো” না হয়ে পড়ে!

    বিমানের ইঞ্জিন হলো এই গল্পের রাজা। ইঞ্জিন ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা হয়ে উঠতে পারে একজন সর্দিলাগা রোগীর মত। আপনি জানেন কি, প্রতি ৬ দিন অন্তর ইঞ্জিন ঘোরানো না হলে তার টারবাইন ব্লেডে ধুলো জমে গিয়ে ৪.৫% কর্মক্ষমতা কমে যায়? এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি ৩০ দিন ইঞ্জিন বন্ধ থাকে, তাহলে তাতে খনিজ তেল জমে গিয়ে একধরনের “অ্যালগেব্রিক ক্লগিং” হয়, যেখানে তেলের ঘনত্বের মান চলে যায় ১.৩৮ cP থেকে ২.২৯ cP—মানে এটি ঘন হয়ে আঠার মতো হয়ে যায়। তেল দিয়ে বিমান চালানো যায়, আঠা দিয়ে নয়।

    অনেকেই ভাবেন, বিমানের পেইন্ট বা রং শুধু দেখতে ভালো লাগার জন্য। আসলে এটি হল একধরনের তাপ-নিয়ন্ত্রক শিল্ড। যদি আপনি একটি সাদা রঙের বিমানকে মরুভূমিতে ফেলে রাখেন, তাও সে অন্তত ৪.৮ ডিগ্রি কম গরম হবে কালো রঙের তুলনায়। আর এই গরমের পার্থক্য মানে বিমানের ফিউজেলাজে প্রতি বর্গমিটারে ১২.৬ নিউটন অতিরিক্ত বল পড়বে—যা একেকটা স্ক্রুর ওপর ১.৮ কেজির চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি ভাবেন "বাহ! এটাও কি হিসাব করার জিনিস?"—তাহলে আপনি সম্ভবত বিমান প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করেননি, তাই আপনাকে দোষ দেওয়া যায় না।

    আর হ্যাঁ, পাখি! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—পাখি। আপনি যতই বিমানকে হ্যাঙ্গারে রাখুন না কেন, পাখিরা পছন্দ করে এর গা বেয়ে উঠে বসে থাকতে। প্রতি বছর শুধু এই পাখির বিষ্ঠার কারণে বিমানের বাহ্যিক অংশ পরিষ্কার করতে ব্যয় হয় প্রায় $১.৭ মিলিয়ন। আর বিমানে যদি পাখি বাসা বাঁধে, তবে সেটা হয় একেবারে জ্বালানি পাম্পের পাশে। একবার এক বিমানে ১৪টি চড়ুইয়ের বাসা পাওয়া গিয়েছিল—একটি ইঞ্জিনের মধ্যে। এতে শুধু পরিষ্কারের খরচই যায় $২৩,০০০।

    এবার আসি অদ্ভুত এক গবেষণায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে থাকা বিমানগুলোর ইন্টারনাল সেন্সররা ‌মানসিকভাবে‌ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একে বলে “instrument lag depression syndrome”—একধরনের অবস্থান যেখানে Altimeter বা উচ্চতা মাপার যন্ত্র ভুল তথ্য দিতে শুরু করে। ৩০ দিন পর দেখা যায়, প্রকৃত উচ্চতা ৩০০০ ফুট হলেও সেন্সর দেখায় ২৫০০ বা ৩৫০০।

    এই অবস্থায় কিছু বিমান সংস্থা তাদের বিমানগুলিকে "ঘুরতে" বের করে—মানে, সপ্তাহে একবার অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য আকাশে ওড়ানো হয়। যাতে বিমানের যন্ত্রপাতি মনে করে তারা এখনও জীবিত, এবং তাদের চাকরি এখনও আছে। একে বলে “maintenance flight,” কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে এটিকে ডাকা হয় “mental health flight.”

    মজার কথা হলো, বেশ কিছু সংস্থা আবার বিমানের মধ্যে “আনান্দ উৎসব” করে বিমান চালু রাখে—মানে ইঞ্জিন স্টার্ট করে, এয়ার কন্ডিশন চালায়, আলো জ্বালে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভুয়া বোর্ডিং করিয়ে ছবি তোলে। এসব কিছুই শুধুমাত্র যন্ত্রগুলোকে বোঝাতে যে, তারা অবহেলিত নয়। আপনি যদি ভাবেন, “বাহ, বিমানেরও অনুভূতি আছে?”—তাহলে আপনি একধাপ এগিয়ে আছেন মানবিক প্রযুক্তির দৃষ্টিভঙ্গিতে।

    এখন প্রশ্ন আসে—এই বিমানের সব কিছুর হিসাব রাখে কে? উত্তর—এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স লগ। এটি হলো একধরনের বিমান ডায়েরি, যেখানে লেখা থাকে—“আজ ডানার নিচে ২.১ মিলিমিটার চিপ দেখা গেছে। সম্ভবত লেজ ঘষা লেগেছে।” এটি প্রতি দিন, প্রতি ঘণ্টা, এমনকি প্রতি মিনিটে আপডেট করতে হয়। গড়পড়তা একটি বোয়িং ৭৮৭-এর মেইন্টেন্যান্স রিপোর্ট বছরে প্রায় ২,৩০০ পৃষ্ঠার হয়ে থাকে। এতো বড় বই লেখার জন্য একজন সাহিত্যের লোকের চেয়ে একজন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বেশি প্রয়োজন হয়।

    শেষমেশ, একটি বিষয় বলা দরকার—বিমান সংরক্ষণ মানেই শুধু যন্ত্রপাতির যত্ন নয়, বরং এটি একধরনের পোষ্য পালনের মতো। আপনি যেমন আপনার বিড়ালকে খাওয়ান, তার গায়ে হাত বুলান, মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান—তেমনি বিমানকেও “খাওয়াতে” হয় (ফুয়েল দিয়ে), তার শরীর ঘষে পরিষ্কার করতে হয়, এবং মাঝে মাঝে ওড়াতে হয় যেন তার মন খারাপ না হয়।

    তাই পরিশেষে বলা যায়, বিমান সংরক্ষণ শুধু বিজ্ঞান নয়, এটি শিল্প। এটি এমন এক ললিতকলা যেখানে গণিতের সূত্র, পদার্থবিদ্যার নিয়ম এবং খানিকটা হৃদয়ের আবেগ মিশে তৈরি হয় এক সুপ্ত ও শক্তিশালী জীবনরক্ষা প্রক্রিয়া। যদি কখনো কোনো বিমানে উঠে বসেন, মনে রাখবেন—এই উড়ন্ত দৈত্যটা অনেক গুনতি, অনেক ঘাম এবং শ্রমের বিনিময়েই আপনাকে নিয়ে উড়াল দিতে যাচ্ছে।

    আপনি যখন জানালার বাইরে তাকিয়ে ভাববেন, “আহা! আকাশ কত নীল!”—ঠিক তখনই বিমানের সেন্সররা হিসাব কষছে, “আমি কি এখনও উচ্চতায় ৩২,০০০ ফুটে, নাকি পাইলট কফির সময় ভুলে গেছেন অটোপাইলট অন করতে?”

    © Tubelight Media 2025

    ✨ আরও সুন্দর সুন্দর গল্প পড়তে চাইলে এখনই 👉 Taking Over BD 👈 পেজে যোগ দিন!

    আমাদের পোস্টে 🎈 শেয়ার করুন, 👍 লাইক দিন, আর 🗣️ কমেন্ট করে যুক্ত হয়ে যান।
    আশা করি ❤️ আমাদের প্রতিটি গল্প 🌙 আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবে।

    🔥 চলুন, গল্পের জগতে হারিয়ে যাই! ❤️
    আপনি যদি ভেবে থাকেন বিমান সংরক্ষণ মানেই স্রেফ এটিকে কোথাও পার্ক করে রাখা, তাহলে আপনি একদম ভুল করছেন না, আবার একদম ঠিকও করছেন না। কারণ, বিমান হলো এমন এক বস্তু, যাকে ঠিক গ্যারাজে ঢুকিয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা যায় না। এতে থাকে ৬০ ফুট লম্বা ডানা, একেকটি ইঞ্জিনের ওজন প্রায় ৪,০০০ কেজি, আর প্রতিটি ছোটখাট বিমানেরও ন্যূনতম ১০ লাখের ওপরে যন্ত্রাংশ থাকে। এখানে আসল চ্যালেঞ্জটা হলো—এই বিমানের শরীর যেন মরিচা না ধরে, ইঞ্জিন যেন উল্টাপাল্টা না করে, আর ককপিটের নেভিগেশনগুলো যাতে ঠিকঠাক থাকে।। এজন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর গাণিতিক হিসাব। প্রথমত, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। বিমানের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেন ঘামতে না শুরু করে, তার জন্য হ্যাঙ্গারে তাপমাত্রা রাখতে হয় ২১ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। যদি এটি এক ডিগ্রি বাড়ে, তাহলে বিমানের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশের সম্প্রসারণ ঘটে ০.০০০১২ মিটার প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে। এটা শুনে মনে হতে পারে তেমন কিছু না, কিন্তু একটা বোয়িং ৭৭৭-এর ডানার দৈর্ঘ্য ৬০.৯ মিটার। কাজেই এক ডিগ্রিতে সেটি প্রায় ০.০০৭৩ মিটার বা ৭.৩ মিলিমিটার বাড়ে—মানে প্রায় একটা জামার বোতামের সমান। আর একটা জামার বোতামের সমান উল্টাপাল্টা ঘটনা মানেই মাঝ আকাশে বিশাল বিপদ। এবার আসি আর্দ্রতার কথায়। বিমানের ভেতর যদি বেশি আর্দ্রতা থাকে, তাহলে ইলেকট্রনিক সার্কিট বোর্ডে পানির কণা জমে গিয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে যেতে পারে। আর বিমানে শর্ট সার্কিট মানে অনেক সময় ‘আউচ!’ নয়, বরং ‘আউট!’ বলা। তাই আর্দ্রতা রাখতে হয় ৪৫% থেকে ৫০% এর মধ্যে। যদি ৫৫% হয়, তাহলে ককপিটের কাচে পানি জমে এবং পাইলটকে তখন নিজ হাতে উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়—যা সাধারণত তাদের জিএমএস (গ্লোবাল মেস সেন্স) স্কোরের সাথে যায় না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—টায়ারের সংরক্ষণ। বিমানের টায়ার দেখতে যতটা বড় এবং গম্ভীর, ততটাই সংবেদনশীল। একটি বিমানের টায়ার প্রতি স্কয়ার ইঞ্চিতে ২০০ PSI চাপ সহ্য করতে পারে, যা এক হাড়ভাঙা টেনিস বলের চাপের ১৪ গুণ বেশি। তাই দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলে টায়ার সমানভাবে চাপ না পেলে তা একপাশে বসে যেতে পারে। সমাধান? প্রতি ১৮ দিন অন্তর টায়ার ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে হয়, যেন সব অংশ সমানভাবে বসে। বিমানের টায়ার যেন “চেয়ার পটেটো” না হয়ে পড়ে! বিমানের ইঞ্জিন হলো এই গল্পের রাজা। ইঞ্জিন ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা হয়ে উঠতে পারে একজন সর্দিলাগা রোগীর মত। আপনি জানেন কি, প্রতি ৬ দিন অন্তর ইঞ্জিন ঘোরানো না হলে তার টারবাইন ব্লেডে ধুলো জমে গিয়ে ৪.৫% কর্মক্ষমতা কমে যায়? এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি ৩০ দিন ইঞ্জিন বন্ধ থাকে, তাহলে তাতে খনিজ তেল জমে গিয়ে একধরনের “অ্যালগেব্রিক ক্লগিং” হয়, যেখানে তেলের ঘনত্বের মান চলে যায় ১.৩৮ cP থেকে ২.২৯ cP—মানে এটি ঘন হয়ে আঠার মতো হয়ে যায়। তেল দিয়ে বিমান চালানো যায়, আঠা দিয়ে নয়। অনেকেই ভাবেন, বিমানের পেইন্ট বা রং শুধু দেখতে ভালো লাগার জন্য। আসলে এটি হল একধরনের তাপ-নিয়ন্ত্রক শিল্ড। যদি আপনি একটি সাদা রঙের বিমানকে মরুভূমিতে ফেলে রাখেন, তাও সে অন্তত ৪.৮ ডিগ্রি কম গরম হবে কালো রঙের তুলনায়। আর এই গরমের পার্থক্য মানে বিমানের ফিউজেলাজে প্রতি বর্গমিটারে ১২.৬ নিউটন অতিরিক্ত বল পড়বে—যা একেকটা স্ক্রুর ওপর ১.৮ কেজির চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি ভাবেন "বাহ! এটাও কি হিসাব করার জিনিস?"—তাহলে আপনি সম্ভবত বিমান প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করেননি, তাই আপনাকে দোষ দেওয়া যায় না। আর হ্যাঁ, পাখি! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—পাখি। আপনি যতই বিমানকে হ্যাঙ্গারে রাখুন না কেন, পাখিরা পছন্দ করে এর গা বেয়ে উঠে বসে থাকতে। প্রতি বছর শুধু এই পাখির বিষ্ঠার কারণে বিমানের বাহ্যিক অংশ পরিষ্কার করতে ব্যয় হয় প্রায় $১.৭ মিলিয়ন। আর বিমানে যদি পাখি বাসা বাঁধে, তবে সেটা হয় একেবারে জ্বালানি পাম্পের পাশে। একবার এক বিমানে ১৪টি চড়ুইয়ের বাসা পাওয়া গিয়েছিল—একটি ইঞ্জিনের মধ্যে। এতে শুধু পরিষ্কারের খরচই যায় $২৩,০০০। এবার আসি অদ্ভুত এক গবেষণায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে থাকা বিমানগুলোর ইন্টারনাল সেন্সররা ‌মানসিকভাবে‌ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একে বলে “instrument lag depression syndrome”—একধরনের অবস্থান যেখানে Altimeter বা উচ্চতা মাপার যন্ত্র ভুল তথ্য দিতে শুরু করে। ৩০ দিন পর দেখা যায়, প্রকৃত উচ্চতা ৩০০০ ফুট হলেও সেন্সর দেখায় ২৫০০ বা ৩৫০০। এই অবস্থায় কিছু বিমান সংস্থা তাদের বিমানগুলিকে "ঘুরতে" বের করে—মানে, সপ্তাহে একবার অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য আকাশে ওড়ানো হয়। যাতে বিমানের যন্ত্রপাতি মনে করে তারা এখনও জীবিত, এবং তাদের চাকরি এখনও আছে। একে বলে “maintenance flight,” কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে এটিকে ডাকা হয় “mental health flight.” মজার কথা হলো, বেশ কিছু সংস্থা আবার বিমানের মধ্যে “আনান্দ উৎসব” করে বিমান চালু রাখে—মানে ইঞ্জিন স্টার্ট করে, এয়ার কন্ডিশন চালায়, আলো জ্বালে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভুয়া বোর্ডিং করিয়ে ছবি তোলে। এসব কিছুই শুধুমাত্র যন্ত্রগুলোকে বোঝাতে যে, তারা অবহেলিত নয়। আপনি যদি ভাবেন, “বাহ, বিমানেরও অনুভূতি আছে?”—তাহলে আপনি একধাপ এগিয়ে আছেন মানবিক প্রযুক্তির দৃষ্টিভঙ্গিতে। এখন প্রশ্ন আসে—এই বিমানের সব কিছুর হিসাব রাখে কে? উত্তর—এয়ারক্রাফট মেইন্টেন্যান্স লগ। এটি হলো একধরনের বিমান ডায়েরি, যেখানে লেখা থাকে—“আজ ডানার নিচে ২.১ মিলিমিটার চিপ দেখা গেছে। সম্ভবত লেজ ঘষা লেগেছে।” এটি প্রতি দিন, প্রতি ঘণ্টা, এমনকি প্রতি মিনিটে আপডেট করতে হয়। গড়পড়তা একটি বোয়িং ৭৮৭-এর মেইন্টেন্যান্স রিপোর্ট বছরে প্রায় ২,৩০০ পৃষ্ঠার হয়ে থাকে। এতো বড় বই লেখার জন্য একজন সাহিত্যের লোকের চেয়ে একজন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বেশি প্রয়োজন হয়। শেষমেশ, একটি বিষয় বলা দরকার—বিমান সংরক্ষণ মানেই শুধু যন্ত্রপাতির যত্ন নয়, বরং এটি একধরনের পোষ্য পালনের মতো। আপনি যেমন আপনার বিড়ালকে খাওয়ান, তার গায়ে হাত বুলান, মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান—তেমনি বিমানকেও “খাওয়াতে” হয় (ফুয়েল দিয়ে), তার শরীর ঘষে পরিষ্কার করতে হয়, এবং মাঝে মাঝে ওড়াতে হয় যেন তার মন খারাপ না হয়। তাই পরিশেষে বলা যায়, বিমান সংরক্ষণ শুধু বিজ্ঞান নয়, এটি শিল্প। এটি এমন এক ললিতকলা যেখানে গণিতের সূত্র, পদার্থবিদ্যার নিয়ম এবং খানিকটা হৃদয়ের আবেগ মিশে তৈরি হয় এক সুপ্ত ও শক্তিশালী জীবনরক্ষা প্রক্রিয়া। যদি কখনো কোনো বিমানে উঠে বসেন, মনে রাখবেন—এই উড়ন্ত দৈত্যটা অনেক গুনতি, অনেক ঘাম এবং শ্রমের বিনিময়েই আপনাকে নিয়ে উড়াল দিতে যাচ্ছে। আপনি যখন জানালার বাইরে তাকিয়ে ভাববেন, “আহা! আকাশ কত নীল!”—ঠিক তখনই বিমানের সেন্সররা হিসাব কষছে, “আমি কি এখনও উচ্চতায় ৩২,০০০ ফুটে, নাকি পাইলট কফির সময় ভুলে গেছেন অটোপাইলট অন করতে?” © Tubelight Media 2025 ✨ আরও সুন্দর সুন্দর গল্প পড়তে চাইলে এখনই 👉 Taking Over BD 👈 পেজে যোগ দিন! আমাদের পোস্টে 🎈 শেয়ার করুন, 👍 লাইক দিন, আর 🗣️ কমেন্ট করে যুক্ত হয়ে যান। আশা করি ❤️ আমাদের প্রতিটি গল্প 🌙 আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবে। 🔥 চলুন, গল্পের জগতে হারিয়ে যাই! ❤️
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 629 Просмотры
  • যখন ব্যাংকের মালিক বৃদ্ধ সেজে ব্যাংকে এলেন, ম্যানেজার তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল — তারপর যা ঘটল।
    যখন ব্যাংকের মালিক বৃদ্ধ সেজে ব্যাংকে এলেন, ম্যানেজার তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল — তারপর যা ঘটল।
    0 Комментарии 0 Поделились 206 Просмотры
  • এক গাছ, যার প্রতি বজ্রপাত যেন এক নিখুঁত লক্ষ্যভেদ! এই গাছটিকে বলা হয় "Lightning Tree" — এবং এটি অবস্থিত জিম্বাবুয়ের মনোয়ারা (Manoora), ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের আশপাশে। এই গাছের প্রতি বছর ২০ বার বা তারও বেশি বজ্রপাত হয়, যা একে প্রকৃতির বিস্ময়কর এক উপাদানে পরিণত করেছে।

    কেন এই গাছে বারবার বজ্র পড়ে?
    Lightning Tree এতবার বজ্রপাতের শিকার হওয়ার পেছনে একাধিক বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে:

    1. অবস্থান ও উচ্চতা:
    এই গাছটি এমন উঁচু ও খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে চারপাশে অন্য কোনো উঁচু অবজেক্ট নেই। ফলে বজ্রপাতের সময় এটি সহজেই “টার্গেট” হয়ে দাঁড়ায়।

    2. জলের উপস্থিতি ও পরিবাহিতা:
    এই গাছ হয়তো এমন প্রজাতির যা জল ধরে রাখতে পারে বা যার ছাল ও কাঠ বজ্রের তড়িৎ পরিবাহী।

    মাটি বা আশেপাশের অঞ্চলে আর্দ্রতা বজ্রপাতের প্রবাহ আরও বাড়িয়ে তোলে।

    3. ম্যাগনেটিক ফিল্ড এবং আয়ন:
    কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন, এই গাছের চারপাশের আবহাওয়া, বিদ্যুৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং আয়নকণার কারণে বজ্রপাত এখানে আকৃষ্ট হয়।

    গাছটি কি জীবিত?
    হ্যাঁ, আশ্চর্যজনকভাবে এত বজ্রপাতের পরেও গাছটি বেঁচে আছে! কারণ:

    বজ্রপাত সাধারণত গাছের বাইরের অংশে আঘাত করে।

    অনেক সময় গাছের ভিতরের পানি তাৎক্ষণিক বাষ্প হয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়, তবে এই গাছ বারবার বেঁচে যায় — যা তাকে "Nature's Lightning Rod" নাম এনে দিয়েছে।

    দর্শনীয় আকর্ষণ:
    Lightning Tree এখন একটি পর্যটক আকর্ষণ, অনেকেই দেখতে যান এমন এক গাছ যা প্রকৃতির সবচেয়ে ভয়ানক শক্তিকে সহ্য করে দাঁড়িয়ে আছে।

    মজার তথ্য:
    তথ্য বিস্তারিত
    অবস্থান জিম্বাবুয়ে, ভিক্টোরিয়া ফলস অঞ্চল
    গড় বজ্রপাত প্রতি বছর ২০–৩০ বার পর্যন্ত
    বৈশিষ্ট্য বজ্র সহ্য করার অসাধারণ ক্ষমতা
    বর্তমান অবস্থা জীবিত, শক্তিশালী এবং বিখ্যাত
    এক গাছ, যার প্রতি বজ্রপাত যেন এক নিখুঁত লক্ষ্যভেদ! এই গাছটিকে বলা হয় "Lightning Tree" — এবং এটি অবস্থিত জিম্বাবুয়ের মনোয়ারা (Manoora), ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের আশপাশে। এই গাছের প্রতি বছর ২০ বার বা তারও বেশি বজ্রপাত হয়, যা একে প্রকৃতির বিস্ময়কর এক উপাদানে পরিণত করেছে। কেন এই গাছে বারবার বজ্র পড়ে? Lightning Tree এতবার বজ্রপাতের শিকার হওয়ার পেছনে একাধিক বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে: 1. অবস্থান ও উচ্চতা: এই গাছটি এমন উঁচু ও খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে চারপাশে অন্য কোনো উঁচু অবজেক্ট নেই। ফলে বজ্রপাতের সময় এটি সহজেই “টার্গেট” হয়ে দাঁড়ায়। 2. জলের উপস্থিতি ও পরিবাহিতা: এই গাছ হয়তো এমন প্রজাতির যা জল ধরে রাখতে পারে বা যার ছাল ও কাঠ বজ্রের তড়িৎ পরিবাহী। মাটি বা আশেপাশের অঞ্চলে আর্দ্রতা বজ্রপাতের প্রবাহ আরও বাড়িয়ে তোলে। 3. ম্যাগনেটিক ফিল্ড এবং আয়ন: কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন, এই গাছের চারপাশের আবহাওয়া, বিদ্যুৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং আয়নকণার কারণে বজ্রপাত এখানে আকৃষ্ট হয়। গাছটি কি জীবিত? হ্যাঁ, আশ্চর্যজনকভাবে এত বজ্রপাতের পরেও গাছটি বেঁচে আছে! কারণ: বজ্রপাত সাধারণত গাছের বাইরের অংশে আঘাত করে। অনেক সময় গাছের ভিতরের পানি তাৎক্ষণিক বাষ্প হয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়, তবে এই গাছ বারবার বেঁচে যায় — যা তাকে "Nature's Lightning Rod" নাম এনে দিয়েছে। দর্শনীয় আকর্ষণ: Lightning Tree এখন একটি পর্যটক আকর্ষণ, অনেকেই দেখতে যান এমন এক গাছ যা প্রকৃতির সবচেয়ে ভয়ানক শক্তিকে সহ্য করে দাঁড়িয়ে আছে। মজার তথ্য: তথ্য বিস্তারিত অবস্থান জিম্বাবুয়ে, ভিক্টোরিয়া ফলস অঞ্চল গড় বজ্রপাত প্রতি বছর ২০–৩০ বার পর্যন্ত বৈশিষ্ট্য বজ্র সহ্য করার অসাধারণ ক্ষমতা বর্তমান অবস্থা জীবিত, শক্তিশালী এবং বিখ্যাত
    0 Комментарии 0 Поделились 467 Просмотры
  • আপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন, সাপ তার নিজের চামড়া ফেলে দেয়? এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং এটি তার জীবনের একটি স্বাভাবিক ও দরকারি অংশ। সাপের চামড়া বদলানো বা যাকে বলে molting বা ecdysis, তা কেবল একটা শারীরিক প্রক্রিয়া নয়। এতে লুকিয়ে আছে এক গভীর বার্তা, যেটা শুধু প্রাণিবিজ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং ছড়িয়ে পড়ে সমাজ, সংস্কৃতি আর মানুষের মনোজগত পর্যন্ত।

    সাপের শরীর যখন বাড়তে থাকে, তখন তার পুরনো চামড়া আর সহ্য করতে পারে না সেই বিস্তৃতি। সেটা আঁটসাঁট হয়ে যায়, দাগ পড়ে, আর কখনও কখনও হয়তো ক্ষতও তৈরি হয়। এই পুরনো আবরণ তখন আর কাজে আসে না। সাপ তখন ধীরে ধীরে গা ঘেঁষে, গাছের গুঁড়িতে ঘষে বা মাটির খোঁচায় ফেলে দেয় সেই পুরনো চামড়া। তার নিচে থাকে একেবারে নতুন, উজ্জ্বল আর সতেজ একটি আবরণ।

    এখন আপনি ভাবতে পারেন, প্রাণীজগতের এই স্বাভাবিক বিষয় আমাদের সমাজের সঙ্গে কেমন করে মিলে যায়? এখানেই আসল কথাটা। প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি রাষ্ট্র বা জাতিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সেই বদলটা বাধা পায় পুরনো কাঠামো, পুরনো চিন্তা আর পুরনো অভ্যাসে। যেমন পুরনো চামড়া সাপের শরীরকে আটকে রাখে, তেমনই পুরনো পদ্ধতি কোনো একটি জাতিকে আটকে রাখে তার সম্ভাবনার পথে।

    একটা সময় আসে, যখন সেই জাতির সাধারণ মানুষ অনুভব করে যে তারা আর আগের মতো থাকতে পারছে না। চারপাশে অন্যায়, অবিচার, অন্যরকম চাপ যেন তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে তুলেছে। তখনই শুরু হয় মনোজাগতিক চাপ, যেটা ধীরে ধীরে গড়িয়ে পড়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়ায়। পুরনো শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতি কিংবা মিথ্যার চাদর আর ধরা থাকে না। মানুষ তখন সেই চামড়া ছাড়তে চায়। যেটা এখন আর মানানসই নয়, যেটা গলা টিপে ধরেছে, সেটা তারা সরিয়ে ফেলতে চায়।

    আপনি যদি ভেবে দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই পরিবর্তনও একধরনের molting। শুধু পার্থক্য হলো, এখানে রক্তমাংসের চামড়া নয়, বদলায় চিন্তা, বদলায় মূল্যবোধ, বদলায় নেতৃত্ব আর সমাজের চালচিত্র। এই বদল সহজে আসে না, কারণ পুরনো কিছু শক্তি সবসময়ই আঁকড়ে থাকতে চায় সেই পুরনো অবস্থান। কিন্তু ঠিক যেমন সাপ চাইলেই তার চামড়া ধরে রাখতে পারে না, তেমনি একসময় সমাজও আর আগের রূপে থাকতে পারে না। সময় তাকে বদলে দেয়।

    এখানে বিজ্ঞানের একটা দারুণ ব্যাখ্যা আছে। প্রাণীজগতে ecdysis হলো টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। কারণ পুরনো চামড়া ধরে রাখলে সাপ অসুস্থ হয়ে পড়ে, চলাফেরা করতে পারে না, এমনকি মা-রা যেতে পারে। সমাজেও একই নিয়ম চলে। পরিবর্তনের দরজা বন্ধ থাকলে সেখানে এক ধরনের পচন শুরু হয়। মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, মনের ভেতর জমতে থাকে ক্ষোভ আর হতাশা। এসব একসময় বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণ হয়তো একদিনে আসে না, কিন্তু আসে ঠিক তখনই, যখন আর ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না।

    আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন এমন উদাহরণ অসংখ্য। ছোট-বড় সব সমাজেই সময় এসে গেছে যখন মানুষ বলেছে, এভাবে আর চলবে না। তারা নতুন কিছু চেয়েছে, একটা সতেজ শ্বাস নিতে চেয়েছে। সেই চাওয়াটাই হয় সমাজের নতুন চামড়া। আর যারা পুরনোটা আঁকড়ে ধরে রাখে, তারা একসময় হারিয়ে যায়।

    তাই, সাপের এই চামড়া বদলের ঘটনা শুধু প্রকৃতির একটা বিস্ময় নয়, এটা আমাদের জন্য এক শিক্ষাও। আপনার সমাজ, আপনার দেশ, এমনকি আপনার নিজের জীবনও হয়তো এমন এক পর্যায়ে আছে যেখানে পুরনো কিছু ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। প্রশ্ন হলো, আপনি সেটা অনুভব করতে পারছেন কি না।

    Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    আপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন, সাপ তার নিজের চামড়া ফেলে দেয়? এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং এটি তার জীবনের একটি স্বাভাবিক ও দরকারি অংশ। সাপের চামড়া বদলানো বা যাকে বলে molting বা ecdysis, তা কেবল একটা শারীরিক প্রক্রিয়া নয়। এতে লুকিয়ে আছে এক গভীর বার্তা, যেটা শুধু প্রাণিবিজ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং ছড়িয়ে পড়ে সমাজ, সংস্কৃতি আর মানুষের মনোজগত পর্যন্ত। সাপের শরীর যখন বাড়তে থাকে, তখন তার পুরনো চামড়া আর সহ্য করতে পারে না সেই বিস্তৃতি। সেটা আঁটসাঁট হয়ে যায়, দাগ পড়ে, আর কখনও কখনও হয়তো ক্ষতও তৈরি হয়। এই পুরনো আবরণ তখন আর কাজে আসে না। সাপ তখন ধীরে ধীরে গা ঘেঁষে, গাছের গুঁড়িতে ঘষে বা মাটির খোঁচায় ফেলে দেয় সেই পুরনো চামড়া। তার নিচে থাকে একেবারে নতুন, উজ্জ্বল আর সতেজ একটি আবরণ। এখন আপনি ভাবতে পারেন, প্রাণীজগতের এই স্বাভাবিক বিষয় আমাদের সমাজের সঙ্গে কেমন করে মিলে যায়? এখানেই আসল কথাটা। প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি রাষ্ট্র বা জাতিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সেই বদলটা বাধা পায় পুরনো কাঠামো, পুরনো চিন্তা আর পুরনো অভ্যাসে। যেমন পুরনো চামড়া সাপের শরীরকে আটকে রাখে, তেমনই পুরনো পদ্ধতি কোনো একটি জাতিকে আটকে রাখে তার সম্ভাবনার পথে। একটা সময় আসে, যখন সেই জাতির সাধারণ মানুষ অনুভব করে যে তারা আর আগের মতো থাকতে পারছে না। চারপাশে অন্যায়, অবিচার, অন্যরকম চাপ যেন তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে তুলেছে। তখনই শুরু হয় মনোজাগতিক চাপ, যেটা ধীরে ধীরে গড়িয়ে পড়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়ায়। পুরনো শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতি কিংবা মিথ্যার চাদর আর ধরা থাকে না। মানুষ তখন সেই চামড়া ছাড়তে চায়। যেটা এখন আর মানানসই নয়, যেটা গলা টিপে ধরেছে, সেটা তারা সরিয়ে ফেলতে চায়। আপনি যদি ভেবে দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই পরিবর্তনও একধরনের molting। শুধু পার্থক্য হলো, এখানে রক্তমাংসের চামড়া নয়, বদলায় চিন্তা, বদলায় মূল্যবোধ, বদলায় নেতৃত্ব আর সমাজের চালচিত্র। এই বদল সহজে আসে না, কারণ পুরনো কিছু শক্তি সবসময়ই আঁকড়ে থাকতে চায় সেই পুরনো অবস্থান। কিন্তু ঠিক যেমন সাপ চাইলেই তার চামড়া ধরে রাখতে পারে না, তেমনি একসময় সমাজও আর আগের রূপে থাকতে পারে না। সময় তাকে বদলে দেয়। এখানে বিজ্ঞানের একটা দারুণ ব্যাখ্যা আছে। প্রাণীজগতে ecdysis হলো টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। কারণ পুরনো চামড়া ধরে রাখলে সাপ অসুস্থ হয়ে পড়ে, চলাফেরা করতে পারে না, এমনকি মা-রা যেতে পারে। সমাজেও একই নিয়ম চলে। পরিবর্তনের দরজা বন্ধ থাকলে সেখানে এক ধরনের পচন শুরু হয়। মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, মনের ভেতর জমতে থাকে ক্ষোভ আর হতাশা। এসব একসময় বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণ হয়তো একদিনে আসে না, কিন্তু আসে ঠিক তখনই, যখন আর ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না। আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন এমন উদাহরণ অসংখ্য। ছোট-বড় সব সমাজেই সময় এসে গেছে যখন মানুষ বলেছে, এভাবে আর চলবে না। তারা নতুন কিছু চেয়েছে, একটা সতেজ শ্বাস নিতে চেয়েছে। সেই চাওয়াটাই হয় সমাজের নতুন চামড়া। আর যারা পুরনোটা আঁকড়ে ধরে রাখে, তারা একসময় হারিয়ে যায়। তাই, সাপের এই চামড়া বদলের ঘটনা শুধু প্রকৃতির একটা বিস্ময় নয়, এটা আমাদের জন্য এক শিক্ষাও। আপনার সমাজ, আপনার দেশ, এমনকি আপনার নিজের জীবনও হয়তো এমন এক পর্যায়ে আছে যেখানে পুরনো কিছু ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। প্রশ্ন হলো, আপনি সেটা অনুভব করতে পারছেন কি না। Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    0 Комментарии 0 Поделились 440 Просмотры
  • Repost.....
    🦴 বাচ্চার সন্ধ্যার পর হাত-পায়ে ব্যথা হলে (Growing pain):

    🔸 Tab. Calbo JR (250mg)
    রাতে ১ টা করে, ১ মাস খাওয়াবেন।

    ---

    🦷 যেসব বাচ্চার দাঁত উঠতে বা হাটা শিখতে দেরি করছে:

    🔸 Syp. D-Rise (2000 IU/5ml)
    ১ বেলা, ১ মিলি করে, ১ মাস খাওয়াবেন।

    ---

    😮‍💨 রাতে নাক বন্ধ হয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে:

    ✅ উঁচু বালিশে শোয়াবেন।
    ✅ তারপর Norsol/Solo Drop
    ১ ফোটা করে ২ নাকে দিবেন।

    ---

    🧷 Diaper rash হলে কী করবেন:

    🔹 প্রতি বার প্রস্রাব-পায়খানার পর Diaper বদলাবেন।
    🔹 De-rash Ointment দিনে ৩ বার Pampers পরানোর আগে লাগাবেন।
    🔹 Skin sensitive হলে Pampers পরাবেন না।

    ---

    🤮 নবজাতকের বমি হলে:

    🔸 Omidon Pediatric Drop (5mg/ml)
    ৪–৫ ফোটা করে, দিনে ৩ বার, ৩–৫ দিন

    ---

    🍃 Herbisol Syrup এর কাজ ও ডোজ:

    ✅ হজম শক্তি বাড়ায়
    ✅ পেটব্যথা-ফাঁপা কমায়
    ✅ রুচি বাড়ায় ও ওজন বৃদ্ধি করে
    ✅ রোগ প্রতিরোধ ও মানসিক বিকাশে সহায়ক

    ডোজ:
    🔹 ৬ মাসের নিচে: ½ চা চামচ (৩–৪ বার)
    🔹 ৬–১২ মাস: ১ চা চামচ (৩–৪ বার)
    🔹 ১ বছর+: ১–২ চা চামচ (৩–৪ বার)

    ---

    🪳 Scabies হলে ঘরেই চিকিৎসা:

    🔸 Xyril Syrup:
    ▪ ৬ বছরের নিচে: ১ চামচ – দিনে ২ বার – ৭ দিন
    ▪ ৬ বছরের বেশি: দেড় চামচ – দিনে ২ বার – ৭ দিন

    🔸 Elimate Plus Lotion / Lorix Cream
    ▪ মুখ-মাথা বাদে সারা শরীরে রাতে লাগাবেন
    ▪ ৮–১২ ঘণ্টা পর সকালে হালকা গরম পানিতে গোসল
    ▪ পরপর ৩ দিন
    ▪ পরিবারের সবার একই নিয়ম

    🧺 জামা-কাপড়, তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে। সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।

    ---

    🧸 পেটে ব্যথা হলে:

    🔸 Syp. Visral / Algin
    ▪ ৬ মাস–২ বছর: ½ চা চামচ × ৩ বার
    ▪ ২–৬ বছর: ১ চা চামচ × ৩ বার
    ▪ ৬–১০ বছর: ১.৫ চা চামচ × ৩ বার
    👉 ভরা পেটে, ৩–৫ দিন

    ---

    💩 বাচ্চার ডায়রিয়া হলে:

    ✅ ORS, ডাবের পানি, খিচুড়ি, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, আলু-কলার ভর্তা
    ✅ <৬ মাস: ORS নয়
    ✅ ৬ মাস+:
    ▪ <২ বছর: ১০–২০ চামচ প্রতিবার পায়খানার পর
    ▪ >২ বছর: ২০–৪০ চামচ

    🔸 Zinc Syrup (১৪ দিন):
    ▪ <৬ মাস: ½ চামচ × ২ বার
    ▪ >৬ মাস: ১ চামচ × ২ বার

    🔸 Probiotics (Enterogermina Sachet):
    ▪ ১ প্যাকেট পানিতে মিশিয়ে, দিনে ১ বার, ৫ দিন

    ---

    😷 কাশি হলে:

    🔹 শুষ্ক কাশি:
    Bukof/Mirakof (Butamirate Citrate)
    ▪ প্রতি ১০ কেজিতে ২.৫ মিলি × ৩ বার × ৫–৭ দিন
    👉 ১৫ কেজি হলে: ৩.৭৫ মিলি করে দিবেন

    🔹 কফযুক্ত কাশি:
    Syrup Brodil Levo (1mg/5ml)
    ▪ ১–৩ বছর: ২.৫ মিলি × ৩ বার × ৭ দিন

    ---

    🤧 সাধারণ সর্দি, হাঁচি, এলার্জি:

    🔸 Alatrol Pediatric Drop (Cetrizine group)
    ▪ প্রতি কেজিতে ৩ ফোটা
    ▪ যেমন: ৫ কেজি হলে ১৫ ফোটা/১ মিলি

    ---

    😴 রাতের ঘুম বারবার ভেঙে গেলে:

    ▪ উঁচু বালিশে শোয়ান
    ▪ Solo Nasal Drop: ১ ফোটা × ২ নাকে
    ▪ না কমলে: Solo Nasal Spray: ১ চাপ × ২ নাকে
    (স্প্রে ড্রপ থেকে বেশি কার্যকর)

    ---

    🧪 ক্রিমির ওষুধ:

    ❌ ১ বছরের আগে নয়
    ✅ ৩ মাস পরপর দিতে হবে

    ▪ ১৩–২৪ মাস:
    Syp. Delentin/Melphin – ১ চামচ × ১ বার, ৭ দিন পর আবার ১ চামচ

    ▪ >২৫ মাস:
    Syp. Solas: ১ চামচ সকাল-রাত × ৩ দিন
    অথবা
    Syp. Almex: ২ চামচ × ১ বার, ৭ দিন পর আবার ২ চামচ

    ---

    🌡️ Paracetamol Syrup ডোজ:

    👉 প্রতি ৮ কেজিতে ১ চামচ (৫ মিলি)
    ▪ ১২ কেজি হলে: দেড় চামচ (৭.৫ মিলি)
    ▪ ৪ কেজি হলে: ২.৫ মিলির কাছাকাছি
    👉 ওজন অনুযায়ী মিলিয়ে দিবেন

    ---

    🌬️ Afrin Nasal Drop (Oxymetazoline):

    ▪ নাক বন্ধ হলে ১ ফোটা × ২ নাকে × দিনে ৩ বার
    ⚠️ ৩ দিনের বেশি না ব্যবহার করা ভালো
    Repost..... 🦴 বাচ্চার সন্ধ্যার পর হাত-পায়ে ব্যথা হলে (Growing pain): 🔸 Tab. Calbo JR (250mg) রাতে ১ টা করে, ১ মাস খাওয়াবেন। --- 🦷 যেসব বাচ্চার দাঁত উঠতে বা হাটা শিখতে দেরি করছে: 🔸 Syp. D-Rise (2000 IU/5ml) ১ বেলা, ১ মিলি করে, ১ মাস খাওয়াবেন। --- 😮‍💨 রাতে নাক বন্ধ হয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে: ✅ উঁচু বালিশে শোয়াবেন। ✅ তারপর Norsol/Solo Drop ১ ফোটা করে ২ নাকে দিবেন। --- 🧷 Diaper rash হলে কী করবেন: 🔹 প্রতি বার প্রস্রাব-পায়খানার পর Diaper বদলাবেন। 🔹 De-rash Ointment দিনে ৩ বার Pampers পরানোর আগে লাগাবেন। 🔹 Skin sensitive হলে Pampers পরাবেন না। --- 🤮 নবজাতকের বমি হলে: 🔸 Omidon Pediatric Drop (5mg/ml) ৪–৫ ফোটা করে, দিনে ৩ বার, ৩–৫ দিন --- 🍃 Herbisol Syrup এর কাজ ও ডোজ: ✅ হজম শক্তি বাড়ায় ✅ পেটব্যথা-ফাঁপা কমায় ✅ রুচি বাড়ায় ও ওজন বৃদ্ধি করে ✅ রোগ প্রতিরোধ ও মানসিক বিকাশে সহায়ক ডোজ: 🔹 ৬ মাসের নিচে: ½ চা চামচ (৩–৪ বার) 🔹 ৬–১২ মাস: ১ চা চামচ (৩–৪ বার) 🔹 ১ বছর+: ১–২ চা চামচ (৩–৪ বার) --- 🪳 Scabies হলে ঘরেই চিকিৎসা: 🔸 Xyril Syrup: ▪ ৬ বছরের নিচে: ১ চামচ – দিনে ২ বার – ৭ দিন ▪ ৬ বছরের বেশি: দেড় চামচ – দিনে ২ বার – ৭ দিন 🔸 Elimate Plus Lotion / Lorix Cream ▪ মুখ-মাথা বাদে সারা শরীরে রাতে লাগাবেন ▪ ৮–১২ ঘণ্টা পর সকালে হালকা গরম পানিতে গোসল ▪ পরপর ৩ দিন ▪ পরিবারের সবার একই নিয়ম 🧺 জামা-কাপড়, তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে। সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। --- 🧸 পেটে ব্যথা হলে: 🔸 Syp. Visral / Algin ▪ ৬ মাস–২ বছর: ½ চা চামচ × ৩ বার ▪ ২–৬ বছর: ১ চা চামচ × ৩ বার ▪ ৬–১০ বছর: ১.৫ চা চামচ × ৩ বার 👉 ভরা পেটে, ৩–৫ দিন --- 💩 বাচ্চার ডায়রিয়া হলে: ✅ ORS, ডাবের পানি, খিচুড়ি, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, আলু-কলার ভর্তা ✅ <৬ মাস: ORS নয় ✅ ৬ মাস+: ▪ <২ বছর: ১০–২০ চামচ প্রতিবার পায়খানার পর ▪ >২ বছর: ২০–৪০ চামচ 🔸 Zinc Syrup (১৪ দিন): ▪ <৬ মাস: ½ চামচ × ২ বার ▪ >৬ মাস: ১ চামচ × ২ বার 🔸 Probiotics (Enterogermina Sachet): ▪ ১ প্যাকেট পানিতে মিশিয়ে, দিনে ১ বার, ৫ দিন --- 😷 কাশি হলে: 🔹 শুষ্ক কাশি: Bukof/Mirakof (Butamirate Citrate) ▪ প্রতি ১০ কেজিতে ২.৫ মিলি × ৩ বার × ৫–৭ দিন 👉 ১৫ কেজি হলে: ৩.৭৫ মিলি করে দিবেন 🔹 কফযুক্ত কাশি: Syrup Brodil Levo (1mg/5ml) ▪ ১–৩ বছর: ২.৫ মিলি × ৩ বার × ৭ দিন --- 🤧 সাধারণ সর্দি, হাঁচি, এলার্জি: 🔸 Alatrol Pediatric Drop (Cetrizine group) ▪ প্রতি কেজিতে ৩ ফোটা ▪ যেমন: ৫ কেজি হলে ১৫ ফোটা/১ মিলি --- 😴 রাতের ঘুম বারবার ভেঙে গেলে: ▪ উঁচু বালিশে শোয়ান ▪ Solo Nasal Drop: ১ ফোটা × ২ নাকে ▪ না কমলে: Solo Nasal Spray: ১ চাপ × ২ নাকে (স্প্রে ড্রপ থেকে বেশি কার্যকর) --- 🧪 ক্রিমির ওষুধ: ❌ ১ বছরের আগে নয় ✅ ৩ মাস পরপর দিতে হবে ▪ ১৩–২৪ মাস: Syp. Delentin/Melphin – ১ চামচ × ১ বার, ৭ দিন পর আবার ১ চামচ ▪ >২৫ মাস: Syp. Solas: ১ চামচ সকাল-রাত × ৩ দিন অথবা Syp. Almex: ২ চামচ × ১ বার, ৭ দিন পর আবার ২ চামচ --- 🌡️ Paracetamol Syrup ডোজ: 👉 প্রতি ৮ কেজিতে ১ চামচ (৫ মিলি) ▪ ১২ কেজি হলে: দেড় চামচ (৭.৫ মিলি) ▪ ৪ কেজি হলে: ২.৫ মিলির কাছাকাছি 👉 ওজন অনুযায়ী মিলিয়ে দিবেন --- 🌬️ Afrin Nasal Drop (Oxymetazoline): ▪ নাক বন্ধ হলে ১ ফোটা × ২ নাকে × দিনে ৩ বার ⚠️ ৩ দিনের বেশি না ব্যবহার করা ভালো
    0 Комментарии 0 Поделились 200 Просмотры
  • কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।

    কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল বিচিত্র আর বহুবর্ণিল। তাঁর সেই জীবনের কতটুকুই-বা আমরা জানি? আজ নজরুলজয়ন্তীতে নজরুল-গবেষকদের লেখা বিভিন্ন বই ও পত্রিকা ঘেঁটে এখানে বিদ্রোহী কবি-সম্পর্কিত এমন ২০টি তথ্য তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন!

    🌹১. নজরুলের জীবন কোনো নিয়মের জালে আটকা ছিল না। যখন যা ভালো লাগত, তিনি তা-ই করতেন। দিন নেই, রাত নেই হই হই রব তুলে উঠে পড়তেন কোনো বন্ধুর বাড়িতে। তারপর চলত অবিরাম আড্ডা আর গান!

    🌹২. নজরুলের লেখার জন্য কোনো বিশেষ পরিবেশ লাগত না। গাছতলায় বসে যেমন তিনি লিখতে পারতেন, তেমনি ঘরোয়া বৈঠকেও তাঁর ভেতর থেকে লেখা বের হয়ে আসত।

    🌹৩. নজরুল ইসলাম কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ঝলমলে রঙিন পোশাক পরতেন। কেউ তাঁকে রঙিন পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, রঙিন পোশাক পরি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তথ্য দিয়েছেন, নজরুল তাঁর ঝলমলে পোশাকের ব্যাপারে বলতেন, ‘আমার সম্ভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। আমার তো মানুষকে বিভ্রান্ত করবার কথা!’

    🌹৪. নজরুলের পাঠাভ্যাস ছিল বহুমুখী। তিনি পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, বেদ, ত্রিপিটক, মহাভারত, রামায়ণ যেমন পড়তেন, তেমন পড়তেন শেলি, কিটস, কার্ল মার্ক্স, ম্যাক্সিম গোর্কিসহ বিশ্বখ্যাত লেখকদের লেখা। রবীন্দ্রনাথের ‘গীতবিতান’-এর সব কটি গান মুখস্থ করে ফেলেছিলেন তিনি!

    🌹৫. বাংলা গানে নজরুলই একমাত্র ব‌্যক্তি, যিনি সব ধরনের বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন। তাঁর গানের সংখ্যা অনেকে চার হাজার বললেও আসলে তিনি গান লিখেছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো, যার অধিকাংশই সংরক্ষণ করা যায়নি।

    🌹৬. বাঙালি কবিদের মধ্যে নজরুলই ছিলেন সবচেয়ে বেশি রসিক। তাঁর কথায় হাসির ঢেউ উঠত। হিরণ্ময় ভট্টাচার্য ‘রসিক নজরুল’ নামে একটি বই লিখেছেন। যাঁরা বইটি পড়েননি, তাঁদের পক্ষে বোঝা কষ্টকর নজরুল কী পরিমাণ রসিক ছিলেন! একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, একবার এক ভদ্রমহিলা নজরুলকে খুব স্মার্টলি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি পানাসক্ত?’ নজরুল বললেন, ‘না, বেশ্যাসক্ত!’ কবির কথায় ভদ্রমহিলার মুখ কালো হয়ে গেল। আর তক্ষুনি ব্যাখ্যা করলেন নজরুল, ‘পান একটু বেশি খাই। তাই বেশ্যাসক্ত, অর্থাৎ বেশি+আসক্ত = বেশ্যাসক্ত!’

    🌹৭. নজরুলের প্রেমে পড়েননি, এমন পুরুষ কিংবা নারী খুঁজে পাওয়া ভার। তাঁর চরম শত্রুরাও তাঁর ভালোবাসার শক্তির কাছে হার মেনেছেন। কবি বুদ্ধদেব বসু নজরুলকে প্রথম দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। তিনি লিখেছেন, ‘সেই প্রথম আমি দেখলাম নজরুলকে। এবং অন্য অনেকের মতো যথারীতি তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম!’ শুধু বুদ্ধদেব বসু নন, তাঁর স্ত্রী প্রতিভা বসুও নজরুলের প্রেমে পড়েছিলেন। সেই কাহিনি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘আয়না’ নামে একটি গল্প। কী অবাক কাণ্ড! স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একই লেখকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন!

    🌹৮. কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর পান ও চা খেতেন। লিখতে বসার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ চা আর এক থালা পান নিয়ে বসতেন তিনি। পান শেষ করে চা, এরপর আবার চা শেষ করে পান খেতেন। তিনি বলতেন, ‘লেখক যদি হতে চান/ লাখ পেয়ালা চা খান!’

    🌹৯. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের হস্তরেখা বিশারদ। তিনি অনেকের হাত দেখে যা বলতেন, তা-ই ঘটতে দেখা গেছে। একবার এক লোককে বললেন, আপনার বিদেশযাত্রা আছে, লোকটি সত্যিই কয়েক দিনের মধ‌্যে বিদেশ চলে গেল! আরেকজনকে বললেন, ‘আপনি পৃথিবীর বাইরে চলে যেতে পারেন।’ পরে ওই লোকটির মৃত্যু ঘটেছিল!

    🌹১০. মাঝেমধ্যে রাগান্বিত হলে নজরুল তাঁর সামনে যদি কোনো বই-খাতা পেতেন বা কাগজ পেতেন, তা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতেন।

    🌹১১. অর্থের ব্যাপারে নজরুল ছিলেন ভয়াবহ বেহিসাবি। হাতে টাকা এলেই তা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমোদ-ফুর্তি করে শেষ করে দিতেন। আর বলতেন, ‘আমি আমার হাতের টাকা বন্ধুদের জন্য খরচ করছি। আর যখন ওদের টাকা হবে ওরাও আমার জন্য খরচ করবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই।’

    🌹১২. নজরুল তাঁর দুই পুত্রের ডাকনাম সানি (কাজী সব্যসাচী) আর নিনি (কাজী অনিরুদ্ধ) রেখেছিলেন তাঁর দুই প্রিয় মানুষ সান ইয়াত-সেন ও লেনিনের নামানুসারে।

    🌹১৩. নজরুল তাঁর সন্তানদের খুবই ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি তাঁদের নিজ হাতে খাওয়াতেন আর ছড়া কাটতেন, ‘সানি-নিনি দুই ভাই/ ব্যাঙ মারে ঠুই ঠাই।’ কিংবা ‘তোমার সানি যুদ্ধে যাবে মুখটি করে চাঁদপানা/ কোল-ন্যাওটা তোমার নিনি বোমার ভয়ে আধখানা।’

    🌹১৪. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের জনদরদি মানুষ। একটি ঘটনা দিয়ে তার প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার এক দরিদ্র হিন্দু মেয়ের বিবাহ। কোনোরকমে কন্যা বিদায়ের আয়োজন চলছে। নজরুল খবরটি পেলেন। তিনি দ্রুত বাজারে গেলেন। এক হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে বিয়ের বাজার করলেন। তারপর ধুমধাম করে মেয়েটির বিয়ে হলো। মেয়ের বাবা নজরুলকে প্রণাম করে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমরা আপনাকে ভুলব না কোনো দিন।’ এমনই ছিলেন কবি। তাঁর বাড়িতে সাঁওতাল, গারো, কোল—সবাই দল বেঁধে আসতেন। আপ্যায়িত হতেন উৎসবসহকারে।

    🌹১৫. নজরুল কবিতা ও গানের স্বত্ব বিক্রি করে উন্নত মানের একটি ক্রাইসলার গাড়ি কিনতে পেরেছিলেন। এই গাড়ি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি।

    🌹১৬. নজরুল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা ভাড়া করে মাঝেমধ্যে প্রমোদভ্রমণে যেতেন।

    🌹১৭. নজরুলের দৃষ্টিশক্তি ছিল অসামান্য। তিনি গভীর অন্ধকারেও বহুদূরের কোনো জিনিস স্পষ্ট দেখতে পেতেন।

    🌹১৮. নজরুল ছিলেন অসম্ভব রকমের ক্রীড়াপ্রেমী। সময় পেলেই তিনি ফুটবল খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ছুটতেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। যেদিন বাড়ি থেকে সোজা খেলা দেখতে যেতেন, সেদিন দুই পুত্র সানি আর নিনিকে সঙ্গে নিতেন। একবার খেলা দেখতে গেছেন। স্টেডিয়ামে পাশে বসে আছেন হুমায়ূন কবির। খেলা ভাঙার পর ভিড়ের মধ্যে দুই পুত্র খানিকটা আড়ালে চলে গেল। হঠাৎ পেছন থেকে নজরুলের হাঁকডাক শোনা গেল, ‘সানি কোথায়? নিনি কোথায়?’ মাঠসুদ্ধ লোক হাঁ হয়ে নজরুলকে দেখছে। এরই মধ্যে দুই পুত্রকে ঠেসে ধরে ট্যাক্সি করে বাড়ি নিয়ে এসে তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।

    🌹১৯. নজরুল বেশ দক্ষ দাবাড়ু ছিলেন। যেদিন বিশেষ কোনো কাজ থাকত না, সেদিন তিনি দাবা খেলতেন। খেলায় এমন মগ্ন হতেন যে খাওয়া-নাওয়ার খেয়ালও থাকত না। মাঝেমধ্যে নজরুলের বাড়িতে দাবার আসর বসাতে আসতেন কাজী মোহাতার হোসেন ও হেম সোম।

    🌹২০. কলকাতায় নজরুলের তিনতলা বাড়ির সামনে ছিল একটা ন্যাড়া মাঠ। খেলা নিয়ে বহু কাণ্ড ঘটেছে ওই মাঠে। একবার জোর ক্রিকেট খেলা চলছে। নজরুল গ্যালারি অর্থাৎ বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলারত তাঁর দুই পুত্রকে জোর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বড় পুত্র সানি এল ব্যাট করতে। প্রথম বলেই ছয়! নজরুলের সে কি দাপাদাপি! ঠিক পরের বল আসার আগে তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘সানি, ওই রকম আরেকটা মার।’ ব্যস বাবার কথায় উত্তেজিত হয়ে দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ব্যাট চালাল পুত্র। ব্যাট অবশ্য বলে লাগল না। লাগল উইকেটকিপারের চোয়ালে! বেশ রক্তারক্তি অবস্থা! অবশেষে খেলা বন্ধ করা হলো।

    এমনই নানা রঙের মানুষ ছিলেন নজরুল। যাঁর জীবনে দুঃখ-কষ্টের অভাব ছিল না, আবার রং-রূপেরও অভাব ছিল না। পৃথিবীর খুব কম মানুষই বোধ হয় এমন মহাজীবনের অধিকারী হন। বুদ্ধদেব বসু যথার্থই বলেছিলেন, ‘কণ্ঠে তাঁর হাসি, কণ্ঠে তাঁর গান, প্রাণে তাঁর অফুরান আনন্দ—সব মিলিয়ে মনোলুণ্ঠনকারী এক মানুষ।’

    সংগৃহীত
    #nonflowers
    #everyonehighlightsfollowers
    #Bmw #foryou #karimascreation
    কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন। কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল বিচিত্র আর বহুবর্ণিল। তাঁর সেই জীবনের কতটুকুই-বা আমরা জানি? আজ নজরুলজয়ন্তীতে নজরুল-গবেষকদের লেখা বিভিন্ন বই ও পত্রিকা ঘেঁটে এখানে বিদ্রোহী কবি-সম্পর্কিত এমন ২০টি তথ্য তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন! 🌹১. নজরুলের জীবন কোনো নিয়মের জালে আটকা ছিল না। যখন যা ভালো লাগত, তিনি তা-ই করতেন। দিন নেই, রাত নেই হই হই রব তুলে উঠে পড়তেন কোনো বন্ধুর বাড়িতে। তারপর চলত অবিরাম আড্ডা আর গান! 🌹২. নজরুলের লেখার জন্য কোনো বিশেষ পরিবেশ লাগত না। গাছতলায় বসে যেমন তিনি লিখতে পারতেন, তেমনি ঘরোয়া বৈঠকেও তাঁর ভেতর থেকে লেখা বের হয়ে আসত। 🌹৩. নজরুল ইসলাম কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ঝলমলে রঙিন পোশাক পরতেন। কেউ তাঁকে রঙিন পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, রঙিন পোশাক পরি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তথ্য দিয়েছেন, নজরুল তাঁর ঝলমলে পোশাকের ব্যাপারে বলতেন, ‘আমার সম্ভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। আমার তো মানুষকে বিভ্রান্ত করবার কথা!’ 🌹৪. নজরুলের পাঠাভ্যাস ছিল বহুমুখী। তিনি পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, বেদ, ত্রিপিটক, মহাভারত, রামায়ণ যেমন পড়তেন, তেমন পড়তেন শেলি, কিটস, কার্ল মার্ক্স, ম্যাক্সিম গোর্কিসহ বিশ্বখ্যাত লেখকদের লেখা। রবীন্দ্রনাথের ‘গীতবিতান’-এর সব কটি গান মুখস্থ করে ফেলেছিলেন তিনি! 🌹৫. বাংলা গানে নজরুলই একমাত্র ব‌্যক্তি, যিনি সব ধরনের বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন। তাঁর গানের সংখ্যা অনেকে চার হাজার বললেও আসলে তিনি গান লিখেছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো, যার অধিকাংশই সংরক্ষণ করা যায়নি। 🌹৬. বাঙালি কবিদের মধ্যে নজরুলই ছিলেন সবচেয়ে বেশি রসিক। তাঁর কথায় হাসির ঢেউ উঠত। হিরণ্ময় ভট্টাচার্য ‘রসিক নজরুল’ নামে একটি বই লিখেছেন। যাঁরা বইটি পড়েননি, তাঁদের পক্ষে বোঝা কষ্টকর নজরুল কী পরিমাণ রসিক ছিলেন! একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, একবার এক ভদ্রমহিলা নজরুলকে খুব স্মার্টলি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি পানাসক্ত?’ নজরুল বললেন, ‘না, বেশ্যাসক্ত!’ কবির কথায় ভদ্রমহিলার মুখ কালো হয়ে গেল। আর তক্ষুনি ব্যাখ্যা করলেন নজরুল, ‘পান একটু বেশি খাই। তাই বেশ্যাসক্ত, অর্থাৎ বেশি+আসক্ত = বেশ্যাসক্ত!’ 🌹৭. নজরুলের প্রেমে পড়েননি, এমন পুরুষ কিংবা নারী খুঁজে পাওয়া ভার। তাঁর চরম শত্রুরাও তাঁর ভালোবাসার শক্তির কাছে হার মেনেছেন। কবি বুদ্ধদেব বসু নজরুলকে প্রথম দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। তিনি লিখেছেন, ‘সেই প্রথম আমি দেখলাম নজরুলকে। এবং অন্য অনেকের মতো যথারীতি তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম!’ শুধু বুদ্ধদেব বসু নন, তাঁর স্ত্রী প্রতিভা বসুও নজরুলের প্রেমে পড়েছিলেন। সেই কাহিনি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘আয়না’ নামে একটি গল্প। কী অবাক কাণ্ড! স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একই লেখকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন! 🌹৮. কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর পান ও চা খেতেন। লিখতে বসার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ চা আর এক থালা পান নিয়ে বসতেন তিনি। পান শেষ করে চা, এরপর আবার চা শেষ করে পান খেতেন। তিনি বলতেন, ‘লেখক যদি হতে চান/ লাখ পেয়ালা চা খান!’ 🌹৯. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের হস্তরেখা বিশারদ। তিনি অনেকের হাত দেখে যা বলতেন, তা-ই ঘটতে দেখা গেছে। একবার এক লোককে বললেন, আপনার বিদেশযাত্রা আছে, লোকটি সত্যিই কয়েক দিনের মধ‌্যে বিদেশ চলে গেল! আরেকজনকে বললেন, ‘আপনি পৃথিবীর বাইরে চলে যেতে পারেন।’ পরে ওই লোকটির মৃত্যু ঘটেছিল! 🌹১০. মাঝেমধ্যে রাগান্বিত হলে নজরুল তাঁর সামনে যদি কোনো বই-খাতা পেতেন বা কাগজ পেতেন, তা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতেন। 🌹১১. অর্থের ব্যাপারে নজরুল ছিলেন ভয়াবহ বেহিসাবি। হাতে টাকা এলেই তা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমোদ-ফুর্তি করে শেষ করে দিতেন। আর বলতেন, ‘আমি আমার হাতের টাকা বন্ধুদের জন্য খরচ করছি। আর যখন ওদের টাকা হবে ওরাও আমার জন্য খরচ করবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ 🌹১২. নজরুল তাঁর দুই পুত্রের ডাকনাম সানি (কাজী সব্যসাচী) আর নিনি (কাজী অনিরুদ্ধ) রেখেছিলেন তাঁর দুই প্রিয় মানুষ সান ইয়াত-সেন ও লেনিনের নামানুসারে। 🌹১৩. নজরুল তাঁর সন্তানদের খুবই ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি তাঁদের নিজ হাতে খাওয়াতেন আর ছড়া কাটতেন, ‘সানি-নিনি দুই ভাই/ ব্যাঙ মারে ঠুই ঠাই।’ কিংবা ‘তোমার সানি যুদ্ধে যাবে মুখটি করে চাঁদপানা/ কোল-ন্যাওটা তোমার নিনি বোমার ভয়ে আধখানা।’ 🌹১৪. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের জনদরদি মানুষ। একটি ঘটনা দিয়ে তার প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার এক দরিদ্র হিন্দু মেয়ের বিবাহ। কোনোরকমে কন্যা বিদায়ের আয়োজন চলছে। নজরুল খবরটি পেলেন। তিনি দ্রুত বাজারে গেলেন। এক হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে বিয়ের বাজার করলেন। তারপর ধুমধাম করে মেয়েটির বিয়ে হলো। মেয়ের বাবা নজরুলকে প্রণাম করে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমরা আপনাকে ভুলব না কোনো দিন।’ এমনই ছিলেন কবি। তাঁর বাড়িতে সাঁওতাল, গারো, কোল—সবাই দল বেঁধে আসতেন। আপ্যায়িত হতেন উৎসবসহকারে। 🌹১৫. নজরুল কবিতা ও গানের স্বত্ব বিক্রি করে উন্নত মানের একটি ক্রাইসলার গাড়ি কিনতে পেরেছিলেন। এই গাড়ি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি। 🌹১৬. নজরুল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা ভাড়া করে মাঝেমধ্যে প্রমোদভ্রমণে যেতেন। 🌹১৭. নজরুলের দৃষ্টিশক্তি ছিল অসামান্য। তিনি গভীর অন্ধকারেও বহুদূরের কোনো জিনিস স্পষ্ট দেখতে পেতেন। 🌹১৮. নজরুল ছিলেন অসম্ভব রকমের ক্রীড়াপ্রেমী। সময় পেলেই তিনি ফুটবল খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ছুটতেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। যেদিন বাড়ি থেকে সোজা খেলা দেখতে যেতেন, সেদিন দুই পুত্র সানি আর নিনিকে সঙ্গে নিতেন। একবার খেলা দেখতে গেছেন। স্টেডিয়ামে পাশে বসে আছেন হুমায়ূন কবির। খেলা ভাঙার পর ভিড়ের মধ্যে দুই পুত্র খানিকটা আড়ালে চলে গেল। হঠাৎ পেছন থেকে নজরুলের হাঁকডাক শোনা গেল, ‘সানি কোথায়? নিনি কোথায়?’ মাঠসুদ্ধ লোক হাঁ হয়ে নজরুলকে দেখছে। এরই মধ্যে দুই পুত্রকে ঠেসে ধরে ট্যাক্সি করে বাড়ি নিয়ে এসে তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন। 🌹১৯. নজরুল বেশ দক্ষ দাবাড়ু ছিলেন। যেদিন বিশেষ কোনো কাজ থাকত না, সেদিন তিনি দাবা খেলতেন। খেলায় এমন মগ্ন হতেন যে খাওয়া-নাওয়ার খেয়ালও থাকত না। মাঝেমধ্যে নজরুলের বাড়িতে দাবার আসর বসাতে আসতেন কাজী মোহাতার হোসেন ও হেম সোম। 🌹২০. কলকাতায় নজরুলের তিনতলা বাড়ির সামনে ছিল একটা ন্যাড়া মাঠ। খেলা নিয়ে বহু কাণ্ড ঘটেছে ওই মাঠে। একবার জোর ক্রিকেট খেলা চলছে। নজরুল গ্যালারি অর্থাৎ বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলারত তাঁর দুই পুত্রকে জোর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বড় পুত্র সানি এল ব্যাট করতে। প্রথম বলেই ছয়! নজরুলের সে কি দাপাদাপি! ঠিক পরের বল আসার আগে তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘সানি, ওই রকম আরেকটা মার।’ ব্যস বাবার কথায় উত্তেজিত হয়ে দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ব্যাট চালাল পুত্র। ব্যাট অবশ্য বলে লাগল না। লাগল উইকেটকিপারের চোয়ালে! বেশ রক্তারক্তি অবস্থা! অবশেষে খেলা বন্ধ করা হলো। এমনই নানা রঙের মানুষ ছিলেন নজরুল। যাঁর জীবনে দুঃখ-কষ্টের অভাব ছিল না, আবার রং-রূপেরও অভাব ছিল না। পৃথিবীর খুব কম মানুষই বোধ হয় এমন মহাজীবনের অধিকারী হন। বুদ্ধদেব বসু যথার্থই বলেছিলেন, ‘কণ্ঠে তাঁর হাসি, কণ্ঠে তাঁর গান, প্রাণে তাঁর অফুরান আনন্দ—সব মিলিয়ে মনোলুণ্ঠনকারী এক মানুষ।’ সংগৃহীত #nonflowers #everyonehighlightsfollowers #Bmw #foryou #karimascreation
    0 Комментарии 0 Поделились 734 Просмотры
  • কালাচ সাপঃ নিরবঘাতক বিষধরের ভয়ংকর রহস্য

    ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশ ও ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশই ঘটে কালাচ সাপের কারণে। এ সাপটিকে অনেকে বলেন “নীরব ঘাতক”, কারণ এরা তাদের শিকার বেছে নেয় রাতের আঁধারে, যখন সবাই নিশ্চিন্ত ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো—কালাচের কামড় অনেক সময় মানুষ টেরই পায় না, অথচ মুহূর্তের মধ্যে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। মাত্র ২০ মিলিগ্রাম নিউরোটক্সিন ইনজেক্ট করতে সক্ষম এ সাপ, যা একজন মানুষকে মারার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

    কালাচ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus caeruleus। “Bungarus” শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে, যার অর্থ বাঁকানো বা সর্পিল, আর “caeruleus” লাতিন শব্দ, যার মানে নীলাভ রঙ। বাংলাদেশে এদের কালো ঝকঝকে শরীর এবং সাদা আড়াআড়ি দাগের জন্য সহজেই চেনা যায়। দৈর্ঘ্য সাধারণত দেড় থেকে দুই মিটার হয়ে থাকে।

    কালাচ মূলত নিশাচর প্রাণী। দিনে এরা ঝোপঝাড়, ইঁদুরের গর্ত কিংবা মানুষের বসতবাড়ির অন্ধকার কোণে লুকিয়ে থাকে। রাতে বেরিয়ে শিকার করে প্রধানত অন্য সাপ, ব্যাঙ, গিরগিটি এবং মাঝে মাঝে ইঁদুর। এদের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো অত্যন্ত ধীরস্থির ও অল্প নড়াচড়ার স্বভাব, যা অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়।

    তাদের বিষের প্রকৃতি নিউরোটক্সিক। অর্থাৎ, এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ চালায়। প্রথমে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, পরে শ্বাসপ্রশ্বাসের পেশি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রে কামড় ব্যথাহীন হওয়ায় ভুক্তভোগী বিষক্রিয়ার শুরুটা বোঝতেই পারে না, ফলে চিকিৎসা বিলম্বিত হয়।

    বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষা ও শরৎকালে কালাচ সাপ বেশি সক্রিয় থাকে। গ্রামীণ এলাকায় ধানক্ষেত, পুকুরপাড় এবং মানুষের ঘরের ভেতরেও এদের দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সাপের কামড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো কালাচ সাপ।

    তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা ও প্রতিরোধই এ সমস্যার সমাধান। রাতে মশারি ব্যবহার, ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা কালাচ সাপের আক্রমণ কমাতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়, যা দ্রুত প্রয়োগ করলে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।

    কালাচ সাপের অস্তিত্ব আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, বিষধর হলেও প্রতিটি প্রাণীই প্রকৃতির ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ। ইঁদুর ও অন্যান্য ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে এরা পরিবেশকে পরোক্ষভাবে মানুষের জন্য নিরাপদ রাখে। তাই এদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেয়ে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

    বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো প্রকৃতিকে বোঝা, ভয় না পেয়ে সচেতন হওয়া এবং সাপের কামড় প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা।

    “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান।

    #ঘড়িয়ালবাংলা #কালাচসাপ #CommonKrait #বিষধরসরীসৃপ #SnakeBiteAwareness #ScienceFacts #WildlifeBangladesh #GhorialBangla
    কালাচ সাপঃ নিরবঘাতক বিষধরের ভয়ংকর রহস্য ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশ ও ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশই ঘটে কালাচ সাপের কারণে। এ সাপটিকে অনেকে বলেন “নীরব ঘাতক”, কারণ এরা তাদের শিকার বেছে নেয় রাতের আঁধারে, যখন সবাই নিশ্চিন্ত ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো—কালাচের কামড় অনেক সময় মানুষ টেরই পায় না, অথচ মুহূর্তের মধ্যে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। মাত্র ২০ মিলিগ্রাম নিউরোটক্সিন ইনজেক্ট করতে সক্ষম এ সাপ, যা একজন মানুষকে মারার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। কালাচ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus caeruleus। “Bungarus” শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে, যার অর্থ বাঁকানো বা সর্পিল, আর “caeruleus” লাতিন শব্দ, যার মানে নীলাভ রঙ। বাংলাদেশে এদের কালো ঝকঝকে শরীর এবং সাদা আড়াআড়ি দাগের জন্য সহজেই চেনা যায়। দৈর্ঘ্য সাধারণত দেড় থেকে দুই মিটার হয়ে থাকে। কালাচ মূলত নিশাচর প্রাণী। দিনে এরা ঝোপঝাড়, ইঁদুরের গর্ত কিংবা মানুষের বসতবাড়ির অন্ধকার কোণে লুকিয়ে থাকে। রাতে বেরিয়ে শিকার করে প্রধানত অন্য সাপ, ব্যাঙ, গিরগিটি এবং মাঝে মাঝে ইঁদুর। এদের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো অত্যন্ত ধীরস্থির ও অল্প নড়াচড়ার স্বভাব, যা অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়। তাদের বিষের প্রকৃতি নিউরোটক্সিক। অর্থাৎ, এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ চালায়। প্রথমে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, পরে শ্বাসপ্রশ্বাসের পেশি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রে কামড় ব্যথাহীন হওয়ায় ভুক্তভোগী বিষক্রিয়ার শুরুটা বোঝতেই পারে না, ফলে চিকিৎসা বিলম্বিত হয়। বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষা ও শরৎকালে কালাচ সাপ বেশি সক্রিয় থাকে। গ্রামীণ এলাকায় ধানক্ষেত, পুকুরপাড় এবং মানুষের ঘরের ভেতরেও এদের দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সাপের কামড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো কালাচ সাপ। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা ও প্রতিরোধই এ সমস্যার সমাধান। রাতে মশারি ব্যবহার, ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা কালাচ সাপের আক্রমণ কমাতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়, যা দ্রুত প্রয়োগ করলে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। কালাচ সাপের অস্তিত্ব আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, বিষধর হলেও প্রতিটি প্রাণীই প্রকৃতির ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ। ইঁদুর ও অন্যান্য ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে এরা পরিবেশকে পরোক্ষভাবে মানুষের জন্য নিরাপদ রাখে। তাই এদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেয়ে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো প্রকৃতিকে বোঝা, ভয় না পেয়ে সচেতন হওয়া এবং সাপের কামড় প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা। “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান। #ঘড়িয়ালবাংলা #কালাচসাপ #CommonKrait #বিষধরসরীসৃপ #SnakeBiteAwareness #ScienceFacts #WildlifeBangladesh #GhorialBangla
    0 Комментарии 0 Поделились 601 Просмотры
  • 🌍 পৃথিবীর অক্ষ নড়ে গেছে! আমরা কি বুঝতেই পারছি না বিপদ আসছে?

    🔺জানলে আপনি চমকে যাবেন — পৃথিবীর অক্ষ ৩১.৫ ইঞ্চি সরে গেছে! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ৮০ সেন্টিমিটার যেন বেশি কিছু নয়, কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এর প্রভাব হতে পারে মারাত্মক।

    🔺কেন এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে?
    মানুষের লাগামহীন পানি উত্তোলনই মূল অপরাধী
    আমরা মাটির নিচ থেকে এত বিপুল পরিমাণ পানি তুলে নিচ্ছি, যে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
    🌐 এর ফলে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর ঘূর্ণনের অক্ষ — যা আগে সহস্র বছরেও ঘটত না, তা এখন ঘটছে কয়েক দশকের মধ্যে!

    ⚠️ কী কী ঘটতে পারে এর প্রভাবে?
    বিজ্ঞানীরা বলছেন এই অক্ষচ্যুতি প্রভাব ফেলতে পারে —
    1. 🌧️ আবহাওয়ার স্বাভাবিক ধারায়
    2. 🌊 সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায়
    3. 🌡️বিশ্ব জলবায়ুর স্থিতিশীলতায়
    এমনকি কোনো অঞ্চলে অসম বৃষ্টি, খরা, কিংবা চরম জলবায়ুর ঘটনাও বাড়তে পারে!

    আপনি কী ভাবছেন এই অক্ষচ্যুতি নিয়ে? নিচে কমেন্ট করে জানান আপনার মতামত।

    #Amezing #facts #earth #viralpost2025
    #highlightseveryonefollowers
    #likefollowsharecomment
    Geography zone- ভূগোল বলয়
    🌍 পৃথিবীর অক্ষ নড়ে গেছে! আমরা কি বুঝতেই পারছি না বিপদ আসছে? 🔺জানলে আপনি চমকে যাবেন — পৃথিবীর অক্ষ ৩১.৫ ইঞ্চি সরে গেছে! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ৮০ সেন্টিমিটার যেন বেশি কিছু নয়, কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এর প্রভাব হতে পারে মারাত্মক। 🔺কেন এই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে? মানুষের লাগামহীন পানি উত্তোলনই মূল অপরাধী আমরা মাটির নিচ থেকে এত বিপুল পরিমাণ পানি তুলে নিচ্ছি, যে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 🌐 এর ফলে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর ঘূর্ণনের অক্ষ — যা আগে সহস্র বছরেও ঘটত না, তা এখন ঘটছে কয়েক দশকের মধ্যে! ⚠️ কী কী ঘটতে পারে এর প্রভাবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন এই অক্ষচ্যুতি প্রভাব ফেলতে পারে — 1. 🌧️ আবহাওয়ার স্বাভাবিক ধারায় 2. 🌊 সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায় 3. 🌡️বিশ্ব জলবায়ুর স্থিতিশীলতায় এমনকি কোনো অঞ্চলে অসম বৃষ্টি, খরা, কিংবা চরম জলবায়ুর ঘটনাও বাড়তে পারে! আপনি কী ভাবছেন এই অক্ষচ্যুতি নিয়ে? নিচে কমেন্ট করে জানান আপনার মতামত। #Amezing #facts #earth #viralpost2025 #highlightseveryonefollowers #likefollowsharecomment Geography zone- ভূগোল বলয়
    0 Комментарии 0 Поделились 624 Просмотры
Расширенные страницы
BlackBird Ai
https://bbai.shop