• ভেবেছিলাম বুয়েটে CSE তে পড়ব।
    ওমেকাতে পজিশনও খারাপ ছিল না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন কী হলো কয়েকটা অঙ্ক কোনোভাবেই মিলাতে পারলাম না। মনে করেছিলাম হয়তো চান্সই পাব না। রেজাল্টের পর দেখলাম কোনরকমে পেয়েছি, কিন্তু সিরিয়াল অনেক পেছনে। টেনেটুনে মেকানিকাল এ আসে, আরেকদিকে আর্কিটেকচার।

    এর মাঝে আবার ঢাকা ভার্সিটির IBA এর BBA তে রিটেনএ টিকলাম। তখন IBA এর গ্রাজুয়েটদের অনেক দাম। ভাবলাম IBA তে হয়ে গেলে সেখানেই পড়ব, কিন্তু কিভাবে যেন সেখানেও ভাইভা তে বাদ পড়ে গেলাম।

    তারপর ভাবলাম, আর্কিটেকচারে পড়ে দেশে একটা ফার্ম দিব, Creativity দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব। তাই মেকানিকাল এর এর চেয়ে আর্কিটেকচারই ভালো অপশন। ভর্তি হয়ে গেলাম সেখানেই। বন্ধুবান্ধব, বুয়েটে লাইফ ভালোই চলছিলো, কিন্তু অনেক আগে থেকেই বাইরে পড়তে যাবার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। শুরু করলাম বাইরে অ্যাডমিশন এর চেষ্টার।

    অনেকেই বললো এখন গিয়ে কী করবা, বুয়েটে শেষ করে মাস্টার্সএ যাও, Undergraduate এ গেলে নিজে টাকা দিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়লাম না। গেলাম ঢাকার idp তে, বললাম যে ANU তে নাকি ফুল স্কলারশিপ দেয়, কিভাবে কি করতে হবে? তারা বলল যে ইংলিশ মিডিয়াম হলে লাভ ছিল, বাংলা মিডিয়াম এর A+ এর দাম নাই। তারপরও নিজে থেকেই IELTS দিলাম, ANU তে অ্যাপ্লাই করলাম। কিন্তু লাভ হলোনা, শেষমেশ রিজেক্ট।

    অস্ট্রেলিয়া তো আমাকে পাত্তা দিলোনা, ভাবলাম আমেরিকায় চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু সেখানে আবার SAT আর TOEFL ছাড়া কিছু হয়না। সেগুলোও দিলাম। খুঁজে পেতে দেখলাম যে টপ ভার্সিটিগুলো চান্স পেলে financial aid দেয়। তাই ভাবলাম এবার তাহলে MIT তেই যাবো, বুয়েটে, ANU তো আর আমাকে বুঝলো না। সব ঠিকঠাক করে MIT তে অ্যাপ্লিকেশনও জমা দিলাম। (যদিও হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া এটা কেউ জানতো না)
    কিন্তু শেষমেশ এখানেও রিজেক্ট।

    এবার ঠিক করলাম জাপানে মনবসু (আসল উচ্চারণ "মনবুকাগাকুশো") স্কলারশিপে পড়তে যাব। অ্যাপ্লাই করলাম, রিটেনএ টিক লাম, আমাদের ৪ জনকে এম্ব্যাসি থেকে সিলেক্ট করে ভাইভা তে ডাকলো। ভাইভাও খুব ভালো হলো। আমাদের কজনের নাম জাপানের মিনিস্ট্রিতে পাঠালো। কিন্তু এবার কি হলো, বাংলাদেশ থেকে ওরা একজন কেও সিলেক্ট করলো না আর আমার জাপানের সপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।

    জাপানি rejection এর কদিনপরে দেখলাম Korean Government Scholarship এর সার্কুলার। এবার ভাবলাম তাহলে কোরিয়াতেই যাই, SNU বা KAIST এ পড়বো, খারাপ কি। আসার আগে অনেকেই বলেছিল, বুয়েট ছেড়ে যাচ্ছ, ঠিক করছো তো? Korean ডিগ্রির আবার দাম আছে নাকি? ওখানে তো মানুষ কুকুরের মাংস খায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে যে যেকোনো গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অনেক গর্বের একটা বিষয়, এখানে একজন স্টুডেন্ট তার দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পারে। এরকম সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক না। তাই সবকিছু উপেক্ষা করে বুয়েট ছেড়ে চলে আসলাম South Korea তে পড়তে।

    এখানে এসে ১ বছর language course এর পরে বুঝতে পারলাম যে আমি SNU বা KAIST এ পড়তে পারবো না, কারণ আমি ভার্সিটি ট্র্যাকে অ্যাপ্লাই করেছি। যেই ভার্সিটির মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করেছি সেখানেই পড়তে হবে। আর SNU বা KAIST এ পড়ার ইচ্ছাও আমার অপূর্ণই থেকে গেল।

    পাস করার আগে/পরে Google, Facebook, Apple, LinkedIn এ অনেক cv জমা দিয়েছি। কিন্তু কোথাও থেকেই কখনো কল পাইনি। মাঝে কল পেয়েছিলাম ThinkCell নামে ছোট একটা জার্মান কোম্পানি থেকে। সেখানে ইন্টারভিউও দিয়েছিলাম। আবারও প্রথম রাউন্ডেই বাদ।

    এর পরে একসময় গ্র্যাব থেকে ইন্টারভিউ এর কল পেয়েছিলাম। সেখানেও ইন্টারভিউ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়লাম।

    তারপরও হাল ছাড়িনি, চেষ্টা করে গিয়েছি।
    প্রথমেই থেমে গেলে হয়তো এতদূর আসা হতো না।

    বুয়েট এর CSE কিংবা এমআই টি তে পড়ার সুযোগ হয়তো হয়নি কিন্তু আজ যতদূর আসতে পেরেছি সেটাও বা খারাপ কী?

    যেকোনো সাকসেস এর পেছনে এরকম হাজারো ব্যার্থতা থাকবে।

    So, don't let your failures define who you are.

    © Zulkarnine Mahmud (06-08)
    Software Engineer, Google
    ভেবেছিলাম বুয়েটে CSE তে পড়ব। ওমেকাতে পজিশনও খারাপ ছিল না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন কী হলো কয়েকটা অঙ্ক কোনোভাবেই মিলাতে পারলাম না। মনে করেছিলাম হয়তো চান্সই পাব না। রেজাল্টের পর দেখলাম কোনরকমে পেয়েছি, কিন্তু সিরিয়াল অনেক পেছনে। টেনেটুনে মেকানিকাল এ আসে, আরেকদিকে আর্কিটেকচার। এর মাঝে আবার ঢাকা ভার্সিটির IBA এর BBA তে রিটেনএ টিকলাম। তখন IBA এর গ্রাজুয়েটদের অনেক দাম। ভাবলাম IBA তে হয়ে গেলে সেখানেই পড়ব, কিন্তু কিভাবে যেন সেখানেও ভাইভা তে বাদ পড়ে গেলাম। তারপর ভাবলাম, আর্কিটেকচারে পড়ে দেশে একটা ফার্ম দিব, Creativity দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব। তাই মেকানিকাল এর এর চেয়ে আর্কিটেকচারই ভালো অপশন। ভর্তি হয়ে গেলাম সেখানেই। বন্ধুবান্ধব, বুয়েটে লাইফ ভালোই চলছিলো, কিন্তু অনেক আগে থেকেই বাইরে পড়তে যাবার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। শুরু করলাম বাইরে অ্যাডমিশন এর চেষ্টার। অনেকেই বললো এখন গিয়ে কী করবা, বুয়েটে শেষ করে মাস্টার্সএ যাও, Undergraduate এ গেলে নিজে টাকা দিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়লাম না। গেলাম ঢাকার idp তে, বললাম যে ANU তে নাকি ফুল স্কলারশিপ দেয়, কিভাবে কি করতে হবে? তারা বলল যে ইংলিশ মিডিয়াম হলে লাভ ছিল, বাংলা মিডিয়াম এর A+ এর দাম নাই। তারপরও নিজে থেকেই IELTS দিলাম, ANU তে অ্যাপ্লাই করলাম। কিন্তু লাভ হলোনা, শেষমেশ রিজেক্ট। অস্ট্রেলিয়া তো আমাকে পাত্তা দিলোনা, ভাবলাম আমেরিকায় চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু সেখানে আবার SAT আর TOEFL ছাড়া কিছু হয়না। সেগুলোও দিলাম। খুঁজে পেতে দেখলাম যে টপ ভার্সিটিগুলো চান্স পেলে financial aid দেয়। তাই ভাবলাম এবার তাহলে MIT তেই যাবো, বুয়েটে, ANU তো আর আমাকে বুঝলো না। 😛 সব ঠিকঠাক করে MIT তে অ্যাপ্লিকেশনও জমা দিলাম। (যদিও হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া এটা কেউ জানতো না) কিন্তু শেষমেশ এখানেও রিজেক্ট। এবার ঠিক করলাম জাপানে মনবসু (আসল উচ্চারণ "মনবুকাগাকুশো") স্কলারশিপে পড়তে যাব। অ্যাপ্লাই করলাম, রিটেনএ টিক লাম, আমাদের ৪ জনকে এম্ব্যাসি থেকে সিলেক্ট করে ভাইভা তে ডাকলো। ভাইভাও খুব ভালো হলো। আমাদের কজনের নাম জাপানের মিনিস্ট্রিতে পাঠালো। কিন্তু এবার কি হলো, বাংলাদেশ থেকে ওরা একজন কেও সিলেক্ট করলো না আর আমার জাপানের সপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। জাপানি rejection এর কদিনপরে দেখলাম Korean Government Scholarship এর সার্কুলার। এবার ভাবলাম তাহলে কোরিয়াতেই যাই, SNU বা KAIST এ পড়বো, খারাপ কি। আসার আগে অনেকেই বলেছিল, বুয়েট ছেড়ে যাচ্ছ, ঠিক করছো তো? Korean ডিগ্রির আবার দাম আছে নাকি? ওখানে তো মানুষ কুকুরের মাংস খায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে যে যেকোনো গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অনেক গর্বের একটা বিষয়, এখানে একজন স্টুডেন্ট তার দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পারে। এরকম সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক না। তাই সবকিছু উপেক্ষা করে বুয়েট ছেড়ে চলে আসলাম South Korea তে পড়তে। এখানে এসে ১ বছর language course এর পরে বুঝতে পারলাম যে আমি SNU বা KAIST এ পড়তে পারবো না, কারণ আমি ভার্সিটি ট্র্যাকে অ্যাপ্লাই করেছি। যেই ভার্সিটির মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করেছি সেখানেই পড়তে হবে। আর SNU বা KAIST এ পড়ার ইচ্ছাও আমার অপূর্ণই থেকে গেল। পাস করার আগে/পরে Google, Facebook, Apple, LinkedIn এ অনেক cv জমা দিয়েছি। কিন্তু কোথাও থেকেই কখনো কল পাইনি। মাঝে কল পেয়েছিলাম ThinkCell নামে ছোট একটা জার্মান কোম্পানি থেকে। সেখানে ইন্টারভিউও দিয়েছিলাম। আবারও প্রথম রাউন্ডেই বাদ। এর পরে একসময় গ্র্যাব থেকে ইন্টারভিউ এর কল পেয়েছিলাম। সেখানেও ইন্টারভিউ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়লাম। তারপরও হাল ছাড়িনি, চেষ্টা করে গিয়েছি। প্রথমেই থেমে গেলে হয়তো এতদূর আসা হতো না। বুয়েট এর CSE কিংবা এমআই টি তে পড়ার সুযোগ হয়তো হয়নি কিন্তু আজ যতদূর আসতে পেরেছি সেটাও বা খারাপ কী? যেকোনো সাকসেস এর পেছনে এরকম হাজারো ব্যার্থতা থাকবে। So, don't let your failures define who you are. © Zulkarnine Mahmud (06-08) Software Engineer, Google
    0 Commentaires 0 Parts 829 Vue
  • ২,০০০ বছর আগে রোমানরা ইতিমধ্যেই ডাইভিং ও পানির নিচে প্রকৌশলবিদ্যায় দক্ষতা অর্জন করেছিল।
    অক্সিজেন ট্যাংক, আধুনিক স্যুট কিংবা উন্নত প্রযুক্তি ছাড়াই, তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল—বন্দর নির্মাণ, জাহাজের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান, এমনকি সাগরের তলায় বিশাল স্থাপনা দাঁড় করানো।

    • প্রাচীন যন্ত্র দিয়ে পানির নিচে শ্বাস নেওয়া
    পানির নিচে দীর্ঘক্ষণ থাকতে, রোমান ডুবুরিরা বাঁশের নল বা ধাতব টিউব ব্যবহার করে পৃষ্ঠ থেকে বাতাস টানত। কিছু ক্ষেত্রে তারা "ডাইভিং বেল" ব্যবহার করত—বাতাস ভর্তি পাত্র মাথার ওপর বসানো হতো, যা আধুনিক ডাইভিং হেলমেটের মতো কাজ করত। এই পদ্ধতিতে তারা প্রায় ৩০ মিটার গভীরে নামতে পারত।

    • গভীর থেকে দৈত্য তুলতে পারা
    সবচেয়ে বিস্ময়কর সাফল্যের একটি ছিল প্রাচীন কিসারিয়ার ("বর্তমান ইসরায়েলের উপকূলে, ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের অংশে অবস্থিত কিসারিয়া") বন্দর, যা খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে হেরড দ্য গ্রেট নির্মাণ করেছিলেন। এটি বিশাল এক প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্মিত, যা সরাসরি পানির নিচে ঢালা হয়েছিল—এমন একটি কাজ যা আজকের প্রকৌশলীরাও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখবে।

    • তারা উদ্ভাবন করেছিল এমন কংক্রিট, যা পানিতে শক্ত হয়
    রোমের সবচেয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার ছিল হাইড্রোলিক কংক্রিট—চুন, আগ্নেয়গিরির ছাই ও কাঁকর মিশ্রণ, যা পানির সংস্পর্শে শক্ত হয়ে যায়। এই উপাদান হাজার বছর পরেও স্থিতিশীল ও টেকসই থাকে, এবং অনেক রোমান স্থাপনা আজও দাঁড়িয়ে আছে।

    • রোম শুধু সাম্রাজ্য গড়েনি—তারা গড়েছিল অসম্ভবকেও
    রোমানদের পানির নিচে নির্মাণ প্রযুক্তি এতটাই উন্নত ছিল যে আধুনিক বিজ্ঞান প্রায় ২,০০০ বছর পরে এসে তা বুঝতে ও নকল করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের উত্তরাধিকার শুধু স্থাপত্যেই নয়, সেই প্রকৌশল গোপনীয়তাতেও বেঁচে আছে, যা আমরা এখনও আবিষ্কার করে চলেছি।
    History Hunters
    ২,০০০ বছর আগে রোমানরা ইতিমধ্যেই ডাইভিং ও পানির নিচে প্রকৌশলবিদ্যায় দক্ষতা অর্জন করেছিল। অক্সিজেন ট্যাংক, আধুনিক স্যুট কিংবা উন্নত প্রযুক্তি ছাড়াই, তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল—বন্দর নির্মাণ, জাহাজের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান, এমনকি সাগরের তলায় বিশাল স্থাপনা দাঁড় করানো। • প্রাচীন যন্ত্র দিয়ে পানির নিচে শ্বাস নেওয়া পানির নিচে দীর্ঘক্ষণ থাকতে, রোমান ডুবুরিরা বাঁশের নল বা ধাতব টিউব ব্যবহার করে পৃষ্ঠ থেকে বাতাস টানত। কিছু ক্ষেত্রে তারা "ডাইভিং বেল" ব্যবহার করত—বাতাস ভর্তি পাত্র মাথার ওপর বসানো হতো, যা আধুনিক ডাইভিং হেলমেটের মতো কাজ করত। এই পদ্ধতিতে তারা প্রায় ৩০ মিটার গভীরে নামতে পারত। • গভীর থেকে দৈত্য তুলতে পারা সবচেয়ে বিস্ময়কর সাফল্যের একটি ছিল প্রাচীন কিসারিয়ার ("বর্তমান ইসরায়েলের উপকূলে, ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের অংশে অবস্থিত কিসারিয়া") বন্দর, যা খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে হেরড দ্য গ্রেট নির্মাণ করেছিলেন। এটি বিশাল এক প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্মিত, যা সরাসরি পানির নিচে ঢালা হয়েছিল—এমন একটি কাজ যা আজকের প্রকৌশলীরাও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখবে। • তারা উদ্ভাবন করেছিল এমন কংক্রিট, যা পানিতে শক্ত হয় রোমের সবচেয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার ছিল হাইড্রোলিক কংক্রিট—চুন, আগ্নেয়গিরির ছাই ও কাঁকর মিশ্রণ, যা পানির সংস্পর্শে শক্ত হয়ে যায়। এই উপাদান হাজার বছর পরেও স্থিতিশীল ও টেকসই থাকে, এবং অনেক রোমান স্থাপনা আজও দাঁড়িয়ে আছে। • রোম শুধু সাম্রাজ্য গড়েনি—তারা গড়েছিল অসম্ভবকেও রোমানদের পানির নিচে নির্মাণ প্রযুক্তি এতটাই উন্নত ছিল যে আধুনিক বিজ্ঞান প্রায় ২,০০০ বছর পরে এসে তা বুঝতে ও নকল করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের উত্তরাধিকার শুধু স্থাপত্যেই নয়, সেই প্রকৌশল গোপনীয়তাতেও বেঁচে আছে, যা আমরা এখনও আবিষ্কার করে চলেছি। History Hunters
    0 Commentaires 0 Parts 788 Vue
  • ২০০৭ সালে ডেভিড বেকহ্যাম এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন যা ফুটবল দুনিয়াকে অবাক করে দিল।
    তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারকা সমৃদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস এর এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিবেন। যেখানে বছরে তার বেতন মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার।

    সবাই ভাবল এ তো পাগলামি! কারণ রিয়ালে তিনি বছরে ১৮ মিলিয়ন ডলার পেতেন, মানে প্রায় ৭০% কম বেতন নিতে রাজি হলেন তাও আবার বিশ্বসেরা কোনো দলের জন্য না,না বিশ্বসেরা কোনো লিগও সেটি ছিলো না।
    তাহলে কেন গেলেন বেকহ্যাম? এর পিছনে ছিলো বেকহ্যাম এর এক ব্যবসায়িক মাস্টারক্লাস প্ল্যান।

    বেতন কম হলেও বেকহ্যামের চুক্তিতে ছিল এক অদ্ভুত শর্ত তিনি এলএ গ্যালাক্সির সব রকম আয়ের একটা অংশ পাবেন।
    যেমন: টিকিট বিক্রি, জার্সি ও সামগ্রী বিক্রি, খাবার-পানীয় বিক্রি, স্পনসরশিপ চুক্তি সব কিছুর থেকে তার ভাগ আসবে। এমন চুক্তি আগে কোনো ফুটবলার করেননি।

    কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরেকটা গোপন শর্ত ছিল।
    চুক্তি অনুযায়ী বেকহ্যাম অবসরের পর মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে এমএলএসএর একটি নতুন দল কেনার অধিকার পাবেন।

    যখন এমএলএস তখনও তেমন জনপ্রিয় নয়, তখন এমন সুযোগ কেউ কেন চাইবে এ নিয়ে অনেক সমালোচনা তো ছিলোই। কিন্ত বেকহ্যাম এর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী।

    বেকহ্যাম সই করার পরপরই এলএ গ্যালাক্সি হঠাৎ করে ১১,০০০ নতুন সিজন টিকিট বিক্রি করলো, অথচ তিনি তখনো জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি।
    তার জার্সি এমএলএস এর ইতিহাসে দ্রুততম বিক্রি হওয়া জার্সি বনে গেল।

    যেখানে গ্যালাক্সির স্টেডিয়ামে কেবল ১২,০০০ দর্শক খেলা দেখতে আসতো। বেকহ্যাম এর প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামে ভিড় জমলো প্রায় ৬৬,০০০ মানুষের।
    টিভি রেটিং তিন গুণ বাড়ল।
    স্পনসরশিপ চুক্তি একের পর এক আসতে লাগল।

    এমএলএস তখন এক নতুন নিয়ম চালু করল 'বেকহ্যাম রুল' যার ফলে দলগুলো বেতন সীমার বাইরে গিয়ে বড় তারকা সই করাতে পারবে।
    ফলে লিগ, যা ২০০২ সালে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলো।

    ২০১২ সালের মধ্যে বেকহ্যাম দুইবার এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হলেন এবং লিগের অর্থনৈতিক কাঠামো পাল্টে দিলেন।
    তার বছরে আয় আসতে লাগলো প্রায় ৪২ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলারের মতো। যা রিয়ালে পাওয়া বেতনের প্রায় আড়াই গুণ। যেই মিডিয়া তার ক্যারিয়ার শেষ হবে এমন তকমা দিচ্ছিলো,সেই মিডিয়ার কাছে তিনি হয়ে উঠলেন মার্কেটিং জিনিয়াস।

    ২০১৪ সালে তিনি চমক দিয়ে তার ২৫ মিলিয়ন ডলারের অপশন ব্যবহার করে মায়ামিতে একটি এমএলএস দল (ইন্টার মায়ামি) নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। তখন অন্যরা নতুন দল কিনতে দিচ্ছিল ২০০–৩২৫ মিলিয়ন ডলার, আর তিনি কিনলেন মাত্র ২৫ মিলিয়নে।

    তবে দল গড়া সহজ ছিল না শুরুতে। স্টেডিয়াম চুক্তি ভেঙে গেল, বিনিয়োগকারী পালাল, সমালোচনা চলল। ছয় বছর ধরে প্রায় থেমে ছিল প্রকল্প,কিন্তু বেকহ্যাম হাল ছাড়েননি।

    ২০২০ সালে ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ খেলল।
    মাত্র দুই বছরের মধ্যে ক্লাবের মূল্য পৌঁছে গেল ৬০০ মিলিয়ন ডলারে অর্থাৎ তার বিনিয়োগের উপর ২,২০০% লাভ।

    ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বেকহ্যাম সবচাইতে বড় মাস্টারস্ট্রোক গেইমটা খেললেন। লিওনেল মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে নিয়ে এসে।
    না বার্সেলোনা, না সৌদি আরবের কোটি কোটি ডলার। মেসি এলেন বেকহ্যামের দলে, যা দশ বছর আগে অস্তিত্বই রাখত না।

    মেসি আসার পর ক্লাবের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো। বার্ষিক আয় ৬০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়নে পৌঁছালো। সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারী বেড়ে গেল ৫৫০%। টিকিটের দাম বেড়ে গেল ১,০৩৪%।

    অন্যরা যেখানে বেশি বেতন বেছে নিয়েছিল, বেকহ্যাম তখন বেছে নিলেন মালিকানা ও আয়ের অংশীদারিত্ব। অন্যরা ভেবেছে এক-দুই বছরের জন্য, তিনি ভেবেছেন পুরো ভবিষ্যৎ নিয়ে।
    তিনি শুধু একজন খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী। এভাবে বেকহ্যাম শুধু মাঠের খেলায় না জিতলেন মাঠের বাহিরের খেলায়ও।
    ২০০৭ সালে ডেভিড বেকহ্যাম এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন যা ফুটবল দুনিয়াকে অবাক করে দিল। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারকা সমৃদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস এর এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিবেন। যেখানে বছরে তার বেতন মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার। সবাই ভাবল এ তো পাগলামি! কারণ রিয়ালে তিনি বছরে ১৮ মিলিয়ন ডলার পেতেন, মানে প্রায় ৭০% কম বেতন নিতে রাজি হলেন তাও আবার বিশ্বসেরা কোনো দলের জন্য না,না বিশ্বসেরা কোনো লিগও সেটি ছিলো না। তাহলে কেন গেলেন বেকহ্যাম? এর পিছনে ছিলো বেকহ্যাম এর এক ব্যবসায়িক মাস্টারক্লাস প্ল্যান। বেতন কম হলেও বেকহ্যামের চুক্তিতে ছিল এক অদ্ভুত শর্ত তিনি এলএ গ্যালাক্সির সব রকম আয়ের একটা অংশ পাবেন। যেমন: টিকিট বিক্রি, জার্সি ও সামগ্রী বিক্রি, খাবার-পানীয় বিক্রি, স্পনসরশিপ চুক্তি সব কিছুর থেকে তার ভাগ আসবে। এমন চুক্তি আগে কোনো ফুটবলার করেননি। কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরেকটা গোপন শর্ত ছিল। চুক্তি অনুযায়ী বেকহ্যাম অবসরের পর মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে এমএলএসএর একটি নতুন দল কেনার অধিকার পাবেন। যখন এমএলএস তখনও তেমন জনপ্রিয় নয়, তখন এমন সুযোগ কেউ কেন চাইবে এ নিয়ে অনেক সমালোচনা তো ছিলোই। কিন্ত বেকহ্যাম এর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। বেকহ্যাম সই করার পরপরই এলএ গ্যালাক্সি হঠাৎ করে ১১,০০০ নতুন সিজন টিকিট বিক্রি করলো, অথচ তিনি তখনো জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি। তার জার্সি এমএলএস এর ইতিহাসে দ্রুততম বিক্রি হওয়া জার্সি বনে গেল। যেখানে গ্যালাক্সির স্টেডিয়ামে কেবল ১২,০০০ দর্শক খেলা দেখতে আসতো। বেকহ্যাম এর প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামে ভিড় জমলো প্রায় ৬৬,০০০ মানুষের। টিভি রেটিং তিন গুণ বাড়ল। স্পনসরশিপ চুক্তি একের পর এক আসতে লাগল। এমএলএস তখন এক নতুন নিয়ম চালু করল 'বেকহ্যাম রুল' যার ফলে দলগুলো বেতন সীমার বাইরে গিয়ে বড় তারকা সই করাতে পারবে। ফলে লিগ, যা ২০০২ সালে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলো। ২০১২ সালের মধ্যে বেকহ্যাম দুইবার এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হলেন এবং লিগের অর্থনৈতিক কাঠামো পাল্টে দিলেন। তার বছরে আয় আসতে লাগলো প্রায় ৪২ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলারের মতো। যা রিয়ালে পাওয়া বেতনের প্রায় আড়াই গুণ। যেই মিডিয়া তার ক্যারিয়ার শেষ হবে এমন তকমা দিচ্ছিলো,সেই মিডিয়ার কাছে তিনি হয়ে উঠলেন মার্কেটিং জিনিয়াস। ২০১৪ সালে তিনি চমক দিয়ে তার ২৫ মিলিয়ন ডলারের অপশন ব্যবহার করে মায়ামিতে একটি এমএলএস দল (ইন্টার মায়ামি) নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। তখন অন্যরা নতুন দল কিনতে দিচ্ছিল ২০০–৩২৫ মিলিয়ন ডলার, আর তিনি কিনলেন মাত্র ২৫ মিলিয়নে। তবে দল গড়া সহজ ছিল না শুরুতে। স্টেডিয়াম চুক্তি ভেঙে গেল, বিনিয়োগকারী পালাল, সমালোচনা চলল। ছয় বছর ধরে প্রায় থেমে ছিল প্রকল্প,কিন্তু বেকহ্যাম হাল ছাড়েননি। ২০২০ সালে ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ খেলল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে ক্লাবের মূল্য পৌঁছে গেল ৬০০ মিলিয়ন ডলারে অর্থাৎ তার বিনিয়োগের উপর ২,২০০% লাভ। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বেকহ্যাম সবচাইতে বড় মাস্টারস্ট্রোক গেইমটা খেললেন। লিওনেল মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে নিয়ে এসে। না বার্সেলোনা, না সৌদি আরবের কোটি কোটি ডলার। মেসি এলেন বেকহ্যামের দলে, যা দশ বছর আগে অস্তিত্বই রাখত না। মেসি আসার পর ক্লাবের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো। বার্ষিক আয় ৬০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়নে পৌঁছালো। সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারী বেড়ে গেল ৫৫০%। টিকিটের দাম বেড়ে গেল ১,০৩৪%। অন্যরা যেখানে বেশি বেতন বেছে নিয়েছিল, বেকহ্যাম তখন বেছে নিলেন মালিকানা ও আয়ের অংশীদারিত্ব। অন্যরা ভেবেছে এক-দুই বছরের জন্য, তিনি ভেবেছেন পুরো ভবিষ্যৎ নিয়ে। তিনি শুধু একজন খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী। এভাবে বেকহ্যাম শুধু মাঠের খেলায় না জিতলেন মাঠের বাহিরের খেলায়ও।
    0 Commentaires 0 Parts 773 Vue
  • এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবে না! তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।"

    এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় "এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স''।

    ধরুন, আমার দেহে এক লক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক। আপনি খেলেন ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আপনি সুস্থ হয়ে গেলেন। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেল। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করল নিজেরা নিজেরা।

    তারা ভাবল, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকে না এরা, বরং সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়।
    এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা আর কাজ করে না!

    সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়াগুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকে না। তিনি যখন হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ওই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। যারা খুব নিয়ম করে ওষুধ খান তারাও বিপদে পড়ে যান সবার সাথে।

    আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন 'জ্যাকেট'এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব বেশি না। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করে না, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হাসপাতাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবে না। সামান্য সর্দিতেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে।

    উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা। "মেডিসিনের বাইবেল" নামে পরিচিত ডেভিডসের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের উল্লেখ আছে আলাদা করে। অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে,
    "This organism is registant against this Drugs in the subcontinent'' অর্থাৎ এই জীবাণুটি উপমহাদেশের এই ওষুধগুলোকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

    টিভি পত্রিকায় নানান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। বাথরুম করে হাত ধুতে হবে, কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে হবে, নিরাপদ পানি খেতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এন্টিবায়োটিক নিয়ে কোনো কিছু আজও চোখে পড়েনি। অথচ এটা অন্যগুলোর চেয়ে বেশি জরুরি। এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে এত সচেতনতা দিয়েও আর লাভ হবেনা। আগুন নিয়ে খেলছে ফার্মেসিওয়ালারা।

    রোগী ফার্মেসীতে গিয়ে একটু জ্বরের কথা বললেই ফার্মেসিতে বসে থাকা সেই লোকটি দিয়ে দিচ্ছে Azithromycin, Cefixime, Cefuroxime অথবা Levofloxacin নামক কিছু নামকরা দামী এন্টিবায়োটিক, কিন্তুু কত দিন খেতে হবে সেটা না জানিয়ে সুন্দর করে বলে দেয় এই ওষুধটি ১ ডোজ খাবেন, সব রোগ ভালো হয়ে যাবে আর এই ভাবেই আস্তে আস্তে Resistance হচ্ছে সব এন্টিবায়োটিক।

    চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।
    এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবে না! তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।" এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় "এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স''। ধরুন, আমার দেহে এক লক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক। আপনি খেলেন ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আপনি সুস্থ হয়ে গেলেন। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেল। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করল নিজেরা নিজেরা। তারা ভাবল, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকে না এরা, বরং সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়। এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা আর কাজ করে না! সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়াগুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকে না। তিনি যখন হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ওই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। যারা খুব নিয়ম করে ওষুধ খান তারাও বিপদে পড়ে যান সবার সাথে। আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন 'জ্যাকেট'এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব বেশি না। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করে না, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হাসপাতাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবে না। সামান্য সর্দিতেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে। উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা। "মেডিসিনের বাইবেল" নামে পরিচিত ডেভিডসের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের উল্লেখ আছে আলাদা করে। অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে, "This organism is registant against this Drugs in the subcontinent'' অর্থাৎ এই জীবাণুটি উপমহাদেশের এই ওষুধগুলোকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। টিভি পত্রিকায় নানান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। বাথরুম করে হাত ধুতে হবে, কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে হবে, নিরাপদ পানি খেতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এন্টিবায়োটিক নিয়ে কোনো কিছু আজও চোখে পড়েনি। অথচ এটা অন্যগুলোর চেয়ে বেশি জরুরি। এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে এত সচেতনতা দিয়েও আর লাভ হবেনা। আগুন নিয়ে খেলছে ফার্মেসিওয়ালারা। রোগী ফার্মেসীতে গিয়ে একটু জ্বরের কথা বললেই ফার্মেসিতে বসে থাকা সেই লোকটি দিয়ে দিচ্ছে Azithromycin, Cefixime, Cefuroxime অথবা Levofloxacin নামক কিছু নামকরা দামী এন্টিবায়োটিক, কিন্তুু কত দিন খেতে হবে সেটা না জানিয়ে সুন্দর করে বলে দেয় এই ওষুধটি ১ ডোজ খাবেন, সব রোগ ভালো হয়ে যাবে আর এই ভাবেই আস্তে আস্তে Resistance হচ্ছে সব এন্টিবায়োটিক। চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।
    0 Commentaires 0 Parts 196 Vue
  • আওকিগাহারা বা সু ইসাইড ফরেস্ট
    জাপানের “সু ইসাইড ফরেস্ট” নামে পরিচিত অরণ্যটির প্রকৃত নাম আওকিগাহারা (Aokigahara)। এটি বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় এবং মর্মান্তিক স্থান হিসেবে পরিচিত। নিচে আওকিগাহারা বন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:

    নাম: আওকিগাহারা (Aokigahara), অর্থ "নীল গাছের সমুদ্র"

    অন্য নাম: "সুই সাইড ফরেস্ট" বা "জঙ্গলের আ ত্মহ ত্যা ক্ষেত্র"
    ফুজি পর্বতের পাদদেশে, জাপানের হনশু দ্বীপে।

    প্রায় ৩০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

    আওকিগাহারা বনটি অত্যন্ত ঘন এবং নীরব। এখানকার গাছগুলো এত ঘন যে বাতাস এবং আলো ভেতরে খুব কম প্রবেশ করে।

    লাভা বেড়ে গঠিত হওয়ায় এখানে কম্পাস কাজ করে না—এটা অনেক অভিযাত্রী ও পর্যটকদের পথ হারানোর একটি কারণ।

    এটি একটি "Soundproof Forest", কারণ গাছের ঘনত্ব শব্দ শোষণ করে ফেলে।


    আ ত্মহ ত্যার ইতিহাস:
    এটি বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আ ত্মহ ত্যার স্থান (প্রথম: গোল্ডেন গেট ব্রিজ, USA)।

    প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ এই বনে গিয়ে আ ত্মহ ত্যা করেন।

    স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিতভাবে "দেহ উদ্ধার অভিযান" চালায়।

    বনের প্রবেশপথে সতর্কতামূলক বোর্ড ঝোলানো থাকে, যাতে লেখা থাকে:

    > “আপনার জীবন আপনার মূল্যবান। আপনার পরিবারের কথা ভাবুন। দয়া করে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।”

    সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পটভূমি:

    কিছু গবেষক মনে করেন, এই বনের খা রাপ খ্যাতির উৎস হতে পারে "উবাসুতে" নামক একটি প্রাচীন প্রথা, যেখানে বৃদ্ধ বা অসুস্থ আত্মীয়দের পর্বতের জঙ্গলে ফেলে রাখা হতো।

    মিচিও সুই (Seicho Matsumoto) নামক এক জাপানি লেখক তাঁর উপন্যাস "Tower of Waves" (1959)-এ এই বনের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে এক দম্পতি এখানে আ ত্মহ ত্যা করে।

    আধুনিক যুগে অনেক ইউটিউবার ও পর্যটক বনের ভিতরে ভিডিও করে, যার কারণে এটিকে আরও রহস্যময় ও বিতর্কিত করে তোলে।

    চলচ্চিত্র ও মিডিয়া:

    "The Forest" (2016) নামক একটি হলিউড হরর সিনেমা এই জঙ্গলকে কেন্দ্র করে নির্মিত।

    অনেক ডকুমেন্টারি ও ইউটিউব চ্যানেল আওকিগাহারার আতঙ্ক এবং সত্য ঘটনা তুলে ধরেছে।

    জাপান সরকার কী করে?

    প্রশাসন আ ত্মহ ত্যা নিরুৎসাহিত করতে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালায়।

    বনের কিছু এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

    স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা বনে টহল দেন এবং সন্দেহভাজনদের সহায়তা করেন।

    (Collected from various websites)

    So Ny
    Paranormal Society BD

    NOTE : THIS POST IS COPYRIGHT PROTECTED
    ©

    Don't try to copy without permission...
    Otherwise Facebook community can take actions .
    আওকিগাহারা বা সু ইসাইড ফরেস্ট ☠️ জাপানের “সু ইসাইড ফরেস্ট” নামে পরিচিত অরণ্যটির প্রকৃত নাম আওকিগাহারা (Aokigahara)। এটি বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় এবং মর্মান্তিক স্থান হিসেবে পরিচিত। নিচে আওকিগাহারা বন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো: নাম: আওকিগাহারা (Aokigahara), অর্থ "নীল গাছের সমুদ্র" অন্য নাম: "সুই সাইড ফরেস্ট" বা "জঙ্গলের আ ত্মহ ত্যা ক্ষেত্র" ফুজি পর্বতের পাদদেশে, জাপানের হনশু দ্বীপে। প্রায় ৩০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত। আওকিগাহারা বনটি অত্যন্ত ঘন এবং নীরব। এখানকার গাছগুলো এত ঘন যে বাতাস এবং আলো ভেতরে খুব কম প্রবেশ করে। লাভা বেড়ে গঠিত হওয়ায় এখানে কম্পাস কাজ করে না—এটা অনেক অভিযাত্রী ও পর্যটকদের পথ হারানোর একটি কারণ। এটি একটি "Soundproof Forest", কারণ গাছের ঘনত্ব শব্দ শোষণ করে ফেলে। আ ত্মহ ত্যার ইতিহাস: এটি বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আ ত্মহ ত্যার স্থান (প্রথম: গোল্ডেন গেট ব্রিজ, USA)। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ এই বনে গিয়ে আ ত্মহ ত্যা করেন। স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিতভাবে "দেহ উদ্ধার অভিযান" চালায়। বনের প্রবেশপথে সতর্কতামূলক বোর্ড ঝোলানো থাকে, যাতে লেখা থাকে: > “আপনার জীবন আপনার মূল্যবান। আপনার পরিবারের কথা ভাবুন। দয়া করে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।” সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পটভূমি: কিছু গবেষক মনে করেন, এই বনের খা রাপ খ্যাতির উৎস হতে পারে "উবাসুতে" নামক একটি প্রাচীন প্রথা, যেখানে বৃদ্ধ বা অসুস্থ আত্মীয়দের পর্বতের জঙ্গলে ফেলে রাখা হতো। মিচিও সুই (Seicho Matsumoto) নামক এক জাপানি লেখক তাঁর উপন্যাস "Tower of Waves" (1959)-এ এই বনের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে এক দম্পতি এখানে আ ত্মহ ত্যা করে। আধুনিক যুগে অনেক ইউটিউবার ও পর্যটক বনের ভিতরে ভিডিও করে, যার কারণে এটিকে আরও রহস্যময় ও বিতর্কিত করে তোলে। 🎥 চলচ্চিত্র ও মিডিয়া: "The Forest" (2016) নামক একটি হলিউড হরর সিনেমা এই জঙ্গলকে কেন্দ্র করে নির্মিত। অনেক ডকুমেন্টারি ও ইউটিউব চ্যানেল আওকিগাহারার আতঙ্ক এবং সত্য ঘটনা তুলে ধরেছে। 🛑 জাপান সরকার কী করে? প্রশাসন আ ত্মহ ত্যা নিরুৎসাহিত করতে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালায়। বনের কিছু এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা বনে টহল দেন এবং সন্দেহভাজনদের সহায়তা করেন। (Collected from various websites) So Ny Paranormal Society BD NOTE : THIS POST IS COPYRIGHT PROTECTED © Don't try to copy without permission... Otherwise Facebook community can take actions .
    0 Commentaires 0 Parts 326 Vue
  • আপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন, সাপ তার নিজের চামড়া ফেলে দেয়? এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং এটি তার জীবনের একটি স্বাভাবিক ও দরকারি অংশ। সাপের চামড়া বদলানো বা যাকে বলে molting বা ecdysis, তা কেবল একটা শারীরিক প্রক্রিয়া নয়। এতে লুকিয়ে আছে এক গভীর বার্তা, যেটা শুধু প্রাণিবিজ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং ছড়িয়ে পড়ে সমাজ, সংস্কৃতি আর মানুষের মনোজগত পর্যন্ত।

    সাপের শরীর যখন বাড়তে থাকে, তখন তার পুরনো চামড়া আর সহ্য করতে পারে না সেই বিস্তৃতি। সেটা আঁটসাঁট হয়ে যায়, দাগ পড়ে, আর কখনও কখনও হয়তো ক্ষতও তৈরি হয়। এই পুরনো আবরণ তখন আর কাজে আসে না। সাপ তখন ধীরে ধীরে গা ঘেঁষে, গাছের গুঁড়িতে ঘষে বা মাটির খোঁচায় ফেলে দেয় সেই পুরনো চামড়া। তার নিচে থাকে একেবারে নতুন, উজ্জ্বল আর সতেজ একটি আবরণ।

    এখন আপনি ভাবতে পারেন, প্রাণীজগতের এই স্বাভাবিক বিষয় আমাদের সমাজের সঙ্গে কেমন করে মিলে যায়? এখানেই আসল কথাটা। প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি রাষ্ট্র বা জাতিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সেই বদলটা বাধা পায় পুরনো কাঠামো, পুরনো চিন্তা আর পুরনো অভ্যাসে। যেমন পুরনো চামড়া সাপের শরীরকে আটকে রাখে, তেমনই পুরনো পদ্ধতি কোনো একটি জাতিকে আটকে রাখে তার সম্ভাবনার পথে।

    একটা সময় আসে, যখন সেই জাতির সাধারণ মানুষ অনুভব করে যে তারা আর আগের মতো থাকতে পারছে না। চারপাশে অন্যায়, অবিচার, অন্যরকম চাপ যেন তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে তুলেছে। তখনই শুরু হয় মনোজাগতিক চাপ, যেটা ধীরে ধীরে গড়িয়ে পড়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়ায়। পুরনো শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতি কিংবা মিথ্যার চাদর আর ধরা থাকে না। মানুষ তখন সেই চামড়া ছাড়তে চায়। যেটা এখন আর মানানসই নয়, যেটা গলা টিপে ধরেছে, সেটা তারা সরিয়ে ফেলতে চায়।

    আপনি যদি ভেবে দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই পরিবর্তনও একধরনের molting। শুধু পার্থক্য হলো, এখানে রক্তমাংসের চামড়া নয়, বদলায় চিন্তা, বদলায় মূল্যবোধ, বদলায় নেতৃত্ব আর সমাজের চালচিত্র। এই বদল সহজে আসে না, কারণ পুরনো কিছু শক্তি সবসময়ই আঁকড়ে থাকতে চায় সেই পুরনো অবস্থান। কিন্তু ঠিক যেমন সাপ চাইলেই তার চামড়া ধরে রাখতে পারে না, তেমনি একসময় সমাজও আর আগের রূপে থাকতে পারে না। সময় তাকে বদলে দেয়।

    এখানে বিজ্ঞানের একটা দারুণ ব্যাখ্যা আছে। প্রাণীজগতে ecdysis হলো টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। কারণ পুরনো চামড়া ধরে রাখলে সাপ অসুস্থ হয়ে পড়ে, চলাফেরা করতে পারে না, এমনকি মা-রা যেতে পারে। সমাজেও একই নিয়ম চলে। পরিবর্তনের দরজা বন্ধ থাকলে সেখানে এক ধরনের পচন শুরু হয়। মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, মনের ভেতর জমতে থাকে ক্ষোভ আর হতাশা। এসব একসময় বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণ হয়তো একদিনে আসে না, কিন্তু আসে ঠিক তখনই, যখন আর ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না।

    আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন এমন উদাহরণ অসংখ্য। ছোট-বড় সব সমাজেই সময় এসে গেছে যখন মানুষ বলেছে, এভাবে আর চলবে না। তারা নতুন কিছু চেয়েছে, একটা সতেজ শ্বাস নিতে চেয়েছে। সেই চাওয়াটাই হয় সমাজের নতুন চামড়া। আর যারা পুরনোটা আঁকড়ে ধরে রাখে, তারা একসময় হারিয়ে যায়।

    তাই, সাপের এই চামড়া বদলের ঘটনা শুধু প্রকৃতির একটা বিস্ময় নয়, এটা আমাদের জন্য এক শিক্ষাও। আপনার সমাজ, আপনার দেশ, এমনকি আপনার নিজের জীবনও হয়তো এমন এক পর্যায়ে আছে যেখানে পুরনো কিছু ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। প্রশ্ন হলো, আপনি সেটা অনুভব করতে পারছেন কি না।

    Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    আপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন, সাপ তার নিজের চামড়া ফেলে দেয়? এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং এটি তার জীবনের একটি স্বাভাবিক ও দরকারি অংশ। সাপের চামড়া বদলানো বা যাকে বলে molting বা ecdysis, তা কেবল একটা শারীরিক প্রক্রিয়া নয়। এতে লুকিয়ে আছে এক গভীর বার্তা, যেটা শুধু প্রাণিবিজ্ঞানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং ছড়িয়ে পড়ে সমাজ, সংস্কৃতি আর মানুষের মনোজগত পর্যন্ত। সাপের শরীর যখন বাড়তে থাকে, তখন তার পুরনো চামড়া আর সহ্য করতে পারে না সেই বিস্তৃতি। সেটা আঁটসাঁট হয়ে যায়, দাগ পড়ে, আর কখনও কখনও হয়তো ক্ষতও তৈরি হয়। এই পুরনো আবরণ তখন আর কাজে আসে না। সাপ তখন ধীরে ধীরে গা ঘেঁষে, গাছের গুঁড়িতে ঘষে বা মাটির খোঁচায় ফেলে দেয় সেই পুরনো চামড়া। তার নিচে থাকে একেবারে নতুন, উজ্জ্বল আর সতেজ একটি আবরণ। এখন আপনি ভাবতে পারেন, প্রাণীজগতের এই স্বাভাবিক বিষয় আমাদের সমাজের সঙ্গে কেমন করে মিলে যায়? এখানেই আসল কথাটা। প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি রাষ্ট্র বা জাতিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সেই বদলটা বাধা পায় পুরনো কাঠামো, পুরনো চিন্তা আর পুরনো অভ্যাসে। যেমন পুরনো চামড়া সাপের শরীরকে আটকে রাখে, তেমনই পুরনো পদ্ধতি কোনো একটি জাতিকে আটকে রাখে তার সম্ভাবনার পথে। একটা সময় আসে, যখন সেই জাতির সাধারণ মানুষ অনুভব করে যে তারা আর আগের মতো থাকতে পারছে না। চারপাশে অন্যায়, অবিচার, অন্যরকম চাপ যেন তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে তুলেছে। তখনই শুরু হয় মনোজাগতিক চাপ, যেটা ধীরে ধীরে গড়িয়ে পড়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়ায়। পুরনো শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতি কিংবা মিথ্যার চাদর আর ধরা থাকে না। মানুষ তখন সেই চামড়া ছাড়তে চায়। যেটা এখন আর মানানসই নয়, যেটা গলা টিপে ধরেছে, সেটা তারা সরিয়ে ফেলতে চায়। আপনি যদি ভেবে দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই পরিবর্তনও একধরনের molting। শুধু পার্থক্য হলো, এখানে রক্তমাংসের চামড়া নয়, বদলায় চিন্তা, বদলায় মূল্যবোধ, বদলায় নেতৃত্ব আর সমাজের চালচিত্র। এই বদল সহজে আসে না, কারণ পুরনো কিছু শক্তি সবসময়ই আঁকড়ে থাকতে চায় সেই পুরনো অবস্থান। কিন্তু ঠিক যেমন সাপ চাইলেই তার চামড়া ধরে রাখতে পারে না, তেমনি একসময় সমাজও আর আগের রূপে থাকতে পারে না। সময় তাকে বদলে দেয়। এখানে বিজ্ঞানের একটা দারুণ ব্যাখ্যা আছে। প্রাণীজগতে ecdysis হলো টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। কারণ পুরনো চামড়া ধরে রাখলে সাপ অসুস্থ হয়ে পড়ে, চলাফেরা করতে পারে না, এমনকি মা-রা যেতে পারে। সমাজেও একই নিয়ম চলে। পরিবর্তনের দরজা বন্ধ থাকলে সেখানে এক ধরনের পচন শুরু হয়। মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, মনের ভেতর জমতে থাকে ক্ষোভ আর হতাশা। এসব একসময় বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণ হয়তো একদিনে আসে না, কিন্তু আসে ঠিক তখনই, যখন আর ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না। আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন এমন উদাহরণ অসংখ্য। ছোট-বড় সব সমাজেই সময় এসে গেছে যখন মানুষ বলেছে, এভাবে আর চলবে না। তারা নতুন কিছু চেয়েছে, একটা সতেজ শ্বাস নিতে চেয়েছে। সেই চাওয়াটাই হয় সমাজের নতুন চামড়া। আর যারা পুরনোটা আঁকড়ে ধরে রাখে, তারা একসময় হারিয়ে যায়। তাই, সাপের এই চামড়া বদলের ঘটনা শুধু প্রকৃতির একটা বিস্ময় নয়, এটা আমাদের জন্য এক শিক্ষাও। আপনার সমাজ, আপনার দেশ, এমনকি আপনার নিজের জীবনও হয়তো এমন এক পর্যায়ে আছে যেখানে পুরনো কিছু ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। প্রশ্ন হলো, আপনি সেটা অনুভব করতে পারছেন কি না। Join: KBKh | Bigganneshi - বিজ্ঞান্বেষী
    0 Commentaires 0 Parts 224 Vue
  • "আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
    কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
    মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন
    “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!!"

    কবিতা টি নিশ্চই সবার চেনা.....কবির নাম বলতে পারবেন ?
    ......চলুন আমিই বলে দিচ্ছি!

    ---
    ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে, বাংলার সমাজে যখন নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি এক ক্রমবর্ধমান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, তখনই উদিত হয়েছিলেন এক বিশিষ্ট কবি, সমাজসেবিকা ও একজন আদর্শ মাতার প্রতিচ্ছবি—কুসুমকুমারী দাস (১৮৭৫–১৯৪৮)। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের জননী, কিন্তু তাঁর নিজের জীবন, সাহিত্যচর্চা ও সমাজসেবামূলক কাজও তাঁকে স্বতন্ত্র মহিমায় অধিষ্ঠিত করে।

    কুসুমকুমারীর জন্ম হয় ১৮৭৫ সালে। তিনি কলকাতার বিথুন স্কুলে শিক্ষালাভ করেন, যা ছিল সে সময়ে নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান। তাঁর সাহিত্যচর্চার বীজ রোপিত হয় পিতার হাতে। তাঁর পিতা চন্দ্রনাথ দাস হালকা রচনার কবি ছিলেন এবং তাঁর কাছ থেকেই কুসুমকুমারী লেখালেখির প্রতি আকৃষ্ট হন।
    ১৮৯৪ সালে, ১৯ বছর বয়সে, কুসুমকুমারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সত্যানন্দ দাস-এর সঙ্গে। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান জন্মগ্রহণ করেন—প্রখ্যাত কবি জীবনানন্দ দাস, অশোকানন্দ দাস, ও কন্যা সুচরিতা দাস। জীবনানন্দের আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গঠনে কুসুমকুমারীর প্রভাব গভীর ও স্থায়ী ছিল।
    --
    কুসুমকুমারী দাস নিয়মিত কবিতা লিখতেন। তাঁর রচনাগুলি প্রকাশিত হত সে সময়কার উল্লেখযোগ্য পত্র-পত্রিকায়—‘মুকুল’, ‘ব্রাহ্মবাদী’ ও ‘প্রবাসী’-তে। তিনি নিয়মিত ব্যক্তিগত ডায়েরি লিখতেন, যদিও দুর্ভাগ্যবশত সেসবের বেশিরভাগই তাঁর নিজের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত বা হারিয়ে যায়।

    তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা “আদর্শ ছেলে”, যা বাংলার শিশুসাহিত্যে এক অমর স্থান লাভ করেছে। এই কবিতার প্রথম দুটি চরণ আজও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য ও নৈতিক শিক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়—

    > আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
    কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
    মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন
    “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!!

    এই কবিতা একটি আদর্শ মানবিক চরিত্রের দিকনির্দেশনা দেয়, যা বাংলার শিশুদের মনে মূল্যবোধ গঠন করতে সাহায্য করেছে যুগ যুগ ধরে।
    -
    কেবল গৃহিণী ও কবি নন, কুসুমকুমারী দাস ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজসেবিকা। বরিশাল মহিলা সভা (Barisal Women Society)-র তিনি সম্পাদক ছিলেন। এই সংগঠন সমাজকল্যাণে অসামান্য অবদান রাখে—অভাবী কন্যাদের সাহায্য, ধাত্রী প্রশিক্ষণ, বালিকাদের বিদ্যালয় স্থাপন, এবং নারীদের গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা ছিল এর মূল লক্ষ্য।
    তিনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সদস্য, এবং ১৩১৯ থেকে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত নারী দিবস প্রার্থনায় আচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি কখনো কখনো তিনি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সমাবেশেও আচার্য পদে অভিষিক্ত হন, যা সে সময়কার সমাজে নারীদের জন্য এক বিরল সম্মান।
    --
    কুসুমকুমারী দাস তাঁর সময়ের একজন প্রগতিশীল নারী ছিলেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও মাতৃত্ব একত্রে তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি ছিলেন নারী শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নের এক নিঃশব্দ যোদ্ধা, যাঁর জীবনপ্রবাহ পরোক্ষে হলেও জীবনানন্দ দাশের মতো কবির মানসগঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।

    তাঁর রেখে যাওয়া “মানুষ হইতে হবে”-র পণ আজও আমাদের সমাজে নৈতিক চেতনার এক অনন্য বার্তা হিসেবে প্রতিধ্বনিত হয়।

    কলমে সুরজ মন্ডল
    Mr. Hotch Potch

    চিত্র ও তথ্য - উইকিপিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম

    ইতিহাসের নানা অধ্যায় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন..

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেল -
    https://youtube.com/@talpata_mr.hotchpotch?si=GH6oNo0zh1SSkB8b

    WhatsApp Channel
    https://whatsapp.com/channel/0029Vaa7cYoJ93wOSMU4ku1I

    Follow Us on Instagram
    https://www.instagram.com/talpata_history?igsh=Z3Z5N21qNnRsbWxx

    #KusumkumariDas
    #BengaliPoet
    #WomenInLiterature
    #LegacyOfWords
    #PoetAndMother
    #VoiceOfBengal
    #UnsungHeroine
    #untoldhistory #UntoldStory #history
    "আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে? মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!!" কবিতা টি নিশ্চই সবার চেনা.....কবির নাম বলতে পারবেন ? ......চলুন আমিই বলে দিচ্ছি! --- ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে, বাংলার সমাজে যখন নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি এক ক্রমবর্ধমান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, তখনই উদিত হয়েছিলেন এক বিশিষ্ট কবি, সমাজসেবিকা ও একজন আদর্শ মাতার প্রতিচ্ছবি—কুসুমকুমারী দাস (১৮৭৫–১৯৪৮)। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের জননী, কিন্তু তাঁর নিজের জীবন, সাহিত্যচর্চা ও সমাজসেবামূলক কাজও তাঁকে স্বতন্ত্র মহিমায় অধিষ্ঠিত করে। কুসুমকুমারীর জন্ম হয় ১৮৭৫ সালে। তিনি কলকাতার বিথুন স্কুলে শিক্ষালাভ করেন, যা ছিল সে সময়ে নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান। তাঁর সাহিত্যচর্চার বীজ রোপিত হয় পিতার হাতে। তাঁর পিতা চন্দ্রনাথ দাস হালকা রচনার কবি ছিলেন এবং তাঁর কাছ থেকেই কুসুমকুমারী লেখালেখির প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৮৯৪ সালে, ১৯ বছর বয়সে, কুসুমকুমারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সত্যানন্দ দাস-এর সঙ্গে। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান জন্মগ্রহণ করেন—প্রখ্যাত কবি জীবনানন্দ দাস, অশোকানন্দ দাস, ও কন্যা সুচরিতা দাস। জীবনানন্দের আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গঠনে কুসুমকুমারীর প্রভাব গভীর ও স্থায়ী ছিল। -- কুসুমকুমারী দাস নিয়মিত কবিতা লিখতেন। তাঁর রচনাগুলি প্রকাশিত হত সে সময়কার উল্লেখযোগ্য পত্র-পত্রিকায়—‘মুকুল’, ‘ব্রাহ্মবাদী’ ও ‘প্রবাসী’-তে। তিনি নিয়মিত ব্যক্তিগত ডায়েরি লিখতেন, যদিও দুর্ভাগ্যবশত সেসবের বেশিরভাগই তাঁর নিজের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত বা হারিয়ে যায়। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা “আদর্শ ছেলে”, যা বাংলার শিশুসাহিত্যে এক অমর স্থান লাভ করেছে। এই কবিতার প্রথম দুটি চরণ আজও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য ও নৈতিক শিক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়— > আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে? মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন “মানুষ হইতে হবে”—এই তার পণ!! এই কবিতা একটি আদর্শ মানবিক চরিত্রের দিকনির্দেশনা দেয়, যা বাংলার শিশুদের মনে মূল্যবোধ গঠন করতে সাহায্য করেছে যুগ যুগ ধরে। - কেবল গৃহিণী ও কবি নন, কুসুমকুমারী দাস ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজসেবিকা। বরিশাল মহিলা সভা (Barisal Women Society)-র তিনি সম্পাদক ছিলেন। এই সংগঠন সমাজকল্যাণে অসামান্য অবদান রাখে—অভাবী কন্যাদের সাহায্য, ধাত্রী প্রশিক্ষণ, বালিকাদের বিদ্যালয় স্থাপন, এবং নারীদের গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা ছিল এর মূল লক্ষ্য। তিনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সদস্য, এবং ১৩১৯ থেকে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত নারী দিবস প্রার্থনায় আচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি কখনো কখনো তিনি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সমাবেশেও আচার্য পদে অভিষিক্ত হন, যা সে সময়কার সমাজে নারীদের জন্য এক বিরল সম্মান। -- কুসুমকুমারী দাস তাঁর সময়ের একজন প্রগতিশীল নারী ছিলেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও মাতৃত্ব একত্রে তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি ছিলেন নারী শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নের এক নিঃশব্দ যোদ্ধা, যাঁর জীবনপ্রবাহ পরোক্ষে হলেও জীবনানন্দ দাশের মতো কবির মানসগঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। তাঁর রেখে যাওয়া “মানুষ হইতে হবে”-র পণ আজও আমাদের সমাজে নৈতিক চেতনার এক অনন্য বার্তা হিসেবে প্রতিধ্বনিত হয়। কলমে ✍️ সুরজ মন্ডল ©️Mr. Hotch Potch চিত্র ও তথ্য - উইকিপিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম ইতিহাসের নানা অধ্যায় জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন.. আমাদের ইউটিউব চ্যানেল - https://youtube.com/@talpata_mr.hotchpotch?si=GH6oNo0zh1SSkB8b WhatsApp Channel https://whatsapp.com/channel/0029Vaa7cYoJ93wOSMU4ku1I Follow Us on Instagram https://www.instagram.com/talpata_history?igsh=Z3Z5N21qNnRsbWxx #KusumkumariDas #BengaliPoet #WomenInLiterature #LegacyOfWords #PoetAndMother #VoiceOfBengal #UnsungHeroine #untoldhistory #UntoldStory #history
    0 Commentaires 0 Parts 309 Vue
  • এই হল পারস্যসম্রাট দারায়ুসের সোনার ফলক। বেশ কয়েক দশক আগে ইরানের পার্শিপোলিসে অবস্থিত অপাদানা প্রাসাদে খননকার্যের সময় দুটি একই রকম সোনার ফলক খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তার মধ্যে এটি একটি। অন্যটার হদিশ আজ আর কারো কাছে নেই।
    প্রাচীন পারস্য সাম্রাজ্যর ইতিহাস ভবিষ্যতের কাছে পৌঁছে দেবার উদ্দেশ্য নিয়েই টাইম ক্যাপসুল হিসাবে কিছু মুদ্রা এবং এই ফলক দুটি পাথরের বাক্সে ভরে তাদের মাটির নিচে রাখা হয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এমনটাই দাবী করেছেন।
    বর্তমানে তেহরানের অর্থাৎ প্রাচীন পারস্যের প্রধান শহরের জাতীয় মিউজিয়ামে রাখা রয়েছে এই ঐতিহাসিক সোনার ফলক...

    https://www.reddit.com/r/exmormon/comments/qn9url/the_gold_and_silver_foundation_tablets_of_the/

    Rabab Ahmed
    Stay Curious SIS
    এই হল পারস্যসম্রাট দারায়ুসের সোনার ফলক। বেশ কয়েক দশক আগে ইরানের পার্শিপোলিসে অবস্থিত অপাদানা প্রাসাদে খননকার্যের সময় দুটি একই রকম সোনার ফলক খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তার মধ্যে এটি একটি। অন্যটার হদিশ আজ আর কারো কাছে নেই। প্রাচীন পারস্য সাম্রাজ্যর ইতিহাস ভবিষ্যতের কাছে পৌঁছে দেবার উদ্দেশ্য নিয়েই টাইম ক্যাপসুল হিসাবে কিছু মুদ্রা এবং এই ফলক দুটি পাথরের বাক্সে ভরে তাদের মাটির নিচে রাখা হয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এমনটাই দাবী করেছেন। বর্তমানে তেহরানের অর্থাৎ প্রাচীন পারস্যের প্রধান শহরের জাতীয় মিউজিয়ামে রাখা রয়েছে এই ঐতিহাসিক সোনার ফলক... https://www.reddit.com/r/exmormon/comments/qn9url/the_gold_and_silver_foundation_tablets_of_the/ Rabab Ahmed Stay Curious SIS
    0 Commentaires 0 Parts 125 Vue
  • আপনার গবেষণা পদ্ধতির সাতকাহন: লিনিয়ার রিগ্রেশন
    (Linear Regression in Research methodology)

    ধরুন, আপনি অনেকগুলো কাঁচামাল জোগাড় করেছেন। এখন সেই কাঁচামাল দিয়ে কী বানাবেন, কীভাবে বানাবেন, সেটাই হলো বিশ্লেষণের কাজ। আর এই বিশ্লেষণের দুনিয়ায় একটা দারুণ 'ম্যাজিক টুল' আছে, যার নাম লিনিয়ার রিগ্রেশন। এর নামটা একটু জটিল শোনালেও, এর কাজটা কিন্তু খুবই সহজ আর কাজের। চলুন, আজ আমরা এই লিনিয়ার রিগ্রেশনের আদ্যোপান্ত জেনে নিই, একদম A2Z!

    লিনিয়ার রিগ্রেশন আসলে কী? (What is Linear Regression?)
    আচ্ছা, আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, একজন শিক্ষার্থী যত বেশি সময় পড়াশোনা করে, তার পরীক্ষার নম্বর তত বাড়ে কেন? অথবা, একটি পণ্যের দাম বাড়লে তার বিক্রি কমে যায় কেন? এই 'কেন' আর 'কীভাবে'র সম্পর্কটা খুঁজে বের করার জন্যই লিনিয়ার রিগ্রেশনকে আমরা ব্যবহার করি।

    সহজ করে বললে, লিনিয়ার রিগ্রেশন হলো এমন একটি পরিসংখ্যানগত কৌশল, যা দুটি বা তার বেশি বিষয়ের মধ্যে একটা সরলরেখার মতো সম্পর্ক খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা একটা অদৃশ্য সুতো খুঁজে বের করার মতো, যা দুটি জিনিসকে একসঙ্গে বেঁধে রাখে। যেমন, পড়াশোনার সময় আর পরীক্ষার নম্বরের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে, তাই না? লিনিয়ার রিগ্রেশন সেই সম্পর্কটাকে একটা সরলরেখা দিয়ে প্রকাশ করে।

    এখানে দুটো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আছে, যাদেরকে আমরা 'চলক' (Variables) বলি:

    ১। স্বাধীন চলক (Independent Variable): এই হলো সেই 'কারণ' বা 'ইনপুট'। একে আপনি পরিবর্তন করতে পারেন, বা এটি নিজে নিজেই পরিবর্তিত হয় এবং অন্য কোনো কিছুকে প্রভাবিত করে। যেমন, পড়াশোনার সময়, বিজ্ঞাপনের খরচ, বা একটি বাড়ির আকার। ভাবুন তো, পড়াশোনার সময় বাড়লে বা কমলে পরীক্ষার নম্বরের ওপর একটা প্রভাব পড়ে, তাই না?

    ২। নির্ভরশীল চলক (Dependent Variable): আর এই হলো সেই 'ফলাফল' বা 'আউটপুট', যা স্বাধীন চলকের পরিবর্তনের কারণে প্রভাবিত হয়। যেমন, পরীক্ষার নম্বর, পণ্যের বিক্রি, বা বাড়ির দাম। এই চলকটি স্বাধীন চলকের উপর 'নির্ভর' করে।

    লিনিয়ার রিগ্রেশনের মূল লক্ষ্য হলো এই স্বাধীন ও নির্ভরশীল চলকের মধ্যে একটা গাণিতিক সম্পর্ক খুঁজে বের করা, যা দেখতে একটা সরলরেখার মতো। এই রেখার একটা সমীকরণ থাকে: Y=a+bX

    এখানে: Y হলো নির্ভরশীল চলক (ফলাফল): অর্থাৎ, আপনি যে জিনিসটা অনুমান করতে চান বা যার পরিবর্তন মাপতে চান।

    X হলো স্বাধীন চলক (কারণ): অর্থাৎ, যে জিনিসটা পরিবর্তনের কারণ হিসেবে কাজ করছে।

    a হলো ইন্টারসেপ্ট (Intercept): এটি অনেকটা গ্রাফের Y-অক্ষকে রেখাটি যেখানে ছেদ করে সেই বিন্দু। সহজ ভাষায়, যখন স্বাধীন চলক (X) এর মান শূন্য হয়, তখন নির্ভরশীল চলক (Y) এর আনুমানিক মান কত হবে, সেটাই a। যেমন, যদি আপনি একদমই পড়াশোনা না করেন (X=0), তাহলে আপনার পরীক্ষার নম্বর কত হতে পারে, তার একটা আনুমানিক ধারণা।

    b হলো স্লপ (Slope): এটি রেখার ঢাল বা খাড়া হওয়ার পরিমাণ নির্দেশ করে। এটি দেখায়, স্বাধীন চলক (X) এর মান যখন এক ইউনিট বাড়ে, তখন নির্ভরশীল চলক (Y) এর মান কতটুকু পরিবর্তন হয়। যেমন, যদি b এর মান ২ হয়, তার মানে পড়াশোনার সময় এক ঘণ্টা বাড়ালে পরীক্ষার নম্বর আনুমানিক ২ বাড়বে।

    কেন আমরা লিনিয়ার রিগ্রেশন ব্যবহার করি? (Why Use It?)

    এর প্রধান কাজ দুটো, যা গবেষণায় দারুণ কাজে আসে:
    A) সম্পর্ক বোঝা (Understanding Relationships): এটি আপনাকে বলে দেবে, আপনার চলকগুলোর মধ্যে আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি না, এবং সেই সম্পর্কটা কতটা শক্তিশালী। ধরুন, আপনি জানতে চান, বিজ্ঞাপনে খরচ বাড়ালে পণ্যের বিক্রি কি সত্যিই বাড়ে? যদি বাড়ে, তাহলে কতটা বাড়ে? লিনিয়ার রিগ্রেশন আপনাকে এই 'কতটা'র একটা সংখ্যাগত পরিমাপ দেবে।

    B) ভবিষ্যৎ অনুমান করা (Making Predictions): একবার সম্পর্কটা বুঝে গেলে, আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু অনুমান করতে পারি। ধরুন, আপনি দেখলেন যে, তাপমাত্রা বাড়লে আইসক্রিমের বিক্রি বাড়ে। লিনিয়ার রিগ্রেশন আপনাকে একটি মডেল দেবে, যার মাধ্যমে আপনি হয়তো বলতে পারবেন, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা যদি আরও বাড়ে, তাহলে আইসক্রিমের বিক্রি কেমন হতে পারে। এটি অনেকটা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার মতো, যেখানে আমরা অতীতের ডেটা ব্যবহার করে ভবিষ্যতের একটা ধারণা পাই।

    লিনিয়ার রিগ্রেশন কীভাবে কাজ করে? (How Does It Work?)
    লিনিয়ার রিগ্রেশন কাজ করে একটা সরলরেখা ব্যবহার করে। ভাবুন, আপনার কাছে কিছু ডেটা পয়েন্ট আছে, যেমন গ্রাফ পেপারে ছড়ানো কিছু বিন্দু। লিনিয়ার রিগ্রেশনের কাজ হলো এই বিন্দুগুলোর মাঝখান দিয়ে এমন একটা সরলরেখা আঁকা, যা সব বিন্দু থেকে 'গড়ে' সবচেয়ে কম দূরত্বে থাকে। এই 'সবচেয়ে কম দূরত্ব' খুঁজে বের করার জন্য কিছু গাণিতিক হিসাব-নিকাশ করা হয়, যাকে আমরা 'এরর মিনিমাইজেশন' বা 'অবশিষ্ট কমানো' বলি। অর্থাৎ, ডেটা পয়েন্টগুলো থেকে রেখার যে দূরত্ব, সেই দূরত্বগুলোকে যতটা সম্ভব ছোট করা হয়, যাতে রেখাটি ডেটার 'প্রবণতা' বা 'ট্রেন্ড'কে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখাতে পারে। এই রেখাটিই হলো আপনার রিগ্রেশন লাইন, যা আপনার ডেটার গল্পটা বলে।

    লিনিয়ার রিগ্রেশনের প্রকারভেদ (Types of Linear Regression)
    লিনিয়ার রিগ্রেশন মূলত দুটি প্রধান ধরনে বিভক্ত, নির্ভর করে আপনি কতগুলো স্বাধীন চলক ব্যবহার করছেন তার উপর:

    সাধারণ লিনিয়ার রিগ্রেশন (Simple Linear Regression): এখানে শুধু একটি স্বাধীন চলক এবং একটি নির্ভরশীল চলক থাকে।

    উদাহরণ: একজন ছাত্রের পড়াশোনার সময়ের (স্বাধীন চলক) সাথে তার পরীক্ষার নম্বরের (নির্ভরশীল চলক) সম্পর্ক। এখানে আপনি শুধু একটি কারণ (পড়াশোনার সময়) দিয়ে একটি ফলাফল (পরীক্ষার নম্বর) বোঝার চেষ্টা করছেন।

    মাল্টিপল লিনিয়ার রিগ্রেশন (Multiple Linear Regression): এখানে একাধিক স্বাধীন চলক এবং একটি নির্ভরশীল চলক থাকে।

    উদাহরণ: একটি বাড়ির দাম (নির্ভরশীল চলক) শুধু তার আকারের উপর নির্ভর করে না, বরং এলাকার অবস্থান, বাড়ির বয়স, রুমের সংখ্যা, বাথরুমের সংখ্যা – এই সবকিছুর উপর নির্ভর করে। মাল্টিপল রিগ্রেশন এই সব কারণ একসঙ্গে বিশ্লেষণ করে দেখায় যে, কোন কারণটি বাড়ির দামের উপর কতটা প্রভাব ফেলছে। এটি অনেকটা অনেকগুলো কারণ একসঙ্গে একটি ফলাফলের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা দেখার মতো।

    কিছু জরুরি কথা (Key Concepts): অবশিষ্ট (Residuals): রিগ্রেশন রেখাটি সব ডেটা পয়েন্টের উপর দিয়ে যায় না, কিছু পয়েন্ট রেখার উপরে বা নিচে থাকে। এই ডেটা পয়েন্ট এবং রেখার মধ্যে যে দূরত্ব, সেটিই হলো অবশিষ্ট বা এরর (error)। এটি দেখায়, আমাদের মডেল কতটা নিখুঁতভাবে অনুমান করতে পারছে। যত কম অবশিষ্ট, মডেল তত ভালো।

    সহসম্পর্ক (Correlation): এটি লিনিয়ার রিগ্রেশনের সাথে জড়িত একটি ধারণা। সহসম্পর্ক (যেমন পিয়ারসন কোরিলেশন কোএফিশিয়েন্ট) দুটি চলকের মধ্যে সম্পর্কের শক্তি এবং দিক (ইতিবাচক বা নেতিবাচক) পরিমাপ করে। লিনিয়ার রিগ্রেশন এই সম্পর্ককে একটি মডেলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। সহসম্পর্ক আপনাকে বলবে সম্পর্ক আছে কিনা, আর রিগ্রেশন আপনাকে বলবে সেই সম্পর্কটা কেমন এবং কীভাবে কাজ করে।

    অনুমান (Assumptions): লিনিয়ার রিগ্রেশন কিছু নির্দিষ্ট শর্তের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। যেমন, চলকগুলোর মধ্যে সম্পর্কটা যেন সত্যিই সরলরৈখিক হয়, ডেটা পয়েন্টগুলো যেন খুব বেশি ছড়ানো-ছিটানো না থাকে (আউটলায়ার না থাকে), এবং এররগুলো যেন এলোমেলোভাবে ছড়ানো থাকে। এই শর্তগুলো পূরণ হলে মডেলের ফলাফল আরও নির্ভরযোগ্য হয়।

    কখন ব্যবহার করবেন, কখন করবেন না? (When to Use, When Not to Use?)

    কখন ব্যবহার করবেন?: যখন আপনি দুটি বা তার বেশি চলকের মধ্যে একটি সরলরৈখিক সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন এবং সেই সম্পর্কটা বুঝতে চান। যখন আপনি একটি চলকের মান ব্যবহার করে অন্য একটি চলকের মান অনুমান করতে চান।

    যখন আপনি জানতে চান, কোন কারণগুলো (স্বাধীন চলক) একটি নির্দিষ্ট ফলাফলের (নির্ভরশীল চলক) উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে। যখন আপনি কোনো ধারাবাহিক ফলাফল (continuous outcome) যেমন, তাপমাত্রা, বিক্রি, নম্বর ইত্যাদি অনুমান করতে চান।

    কখন করবেন না?
    যদি চলকগুলোর মধ্যে কোনো সরলরৈখিক সম্পর্ক না থাকে (যেমন, সম্পর্কটি বক্ররেখার মতো বা এলোমেলো)। এক্ষেত্রে অন্য ধরনের রিগ্রেশন মডেল ব্যবহার করতে হতে পারে। যদি আপনার ডেটায় অনেক বেশি অস্বাভাবিক বা ভুল ডেটা (outliers) থাকে, যা রেখাটিকে ভুলভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই 'আউটলায়ার'গুলো ফলাফলকে ভুল পথে চালিত করতে পারে।

    যদি আপনার স্বাধীন চলকগুলো একে অপরের সাথে খুব বেশি সম্পর্কিত হয় (multicollinearity), তাহলে মাল্টিপল রিগ্রেশন ব্যবহার করা কঠিন হতে পারে। এটি অনেকটা এমন যে, দুটি কারণ একই রকম প্রভাব ফেলছে, তখন বোঝা কঠিন হয়ে যায় কোনটি আসল প্রভাবক।

    লিনিয়ার রিগ্রেশন হলো ডেটা বিশ্লেষণের এক দারুণ হাতিয়ার, যা আপনাকে ডেটার ভেতরের লুকানো গল্পগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। এটি শুধু সংখ্যা নয়, বরং সংখ্যার পেছনের কারণ ও প্রভাবকে বুঝতে শেখায়। আশা করি, এই বিস্তারিত আলোচনা আপনার লিনিয়ার রিগ্রেশন সম্পর্কে ধারণা আরও পরিষ্কার করেছে। আপনার যদি আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন!

    Md. Rony Masud
    BBA, MBA (DU), MS (Japan)
    আপনার গবেষণা পদ্ধতির সাতকাহন: লিনিয়ার রিগ্রেশন (Linear Regression in Research methodology) ধরুন, আপনি অনেকগুলো কাঁচামাল জোগাড় করেছেন। এখন সেই কাঁচামাল দিয়ে কী বানাবেন, কীভাবে বানাবেন, সেটাই হলো বিশ্লেষণের কাজ। আর এই বিশ্লেষণের দুনিয়ায় একটা দারুণ 'ম্যাজিক টুল' আছে, যার নাম লিনিয়ার রিগ্রেশন। এর নামটা একটু জটিল শোনালেও, এর কাজটা কিন্তু খুবই সহজ আর কাজের। চলুন, আজ আমরা এই লিনিয়ার রিগ্রেশনের আদ্যোপান্ত জেনে নিই, একদম A2Z! লিনিয়ার রিগ্রেশন আসলে কী? (What is Linear Regression?) আচ্ছা, আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, একজন শিক্ষার্থী যত বেশি সময় পড়াশোনা করে, তার পরীক্ষার নম্বর তত বাড়ে কেন? অথবা, একটি পণ্যের দাম বাড়লে তার বিক্রি কমে যায় কেন? এই 'কেন' আর 'কীভাবে'র সম্পর্কটা খুঁজে বের করার জন্যই লিনিয়ার রিগ্রেশনকে আমরা ব্যবহার করি। সহজ করে বললে, লিনিয়ার রিগ্রেশন হলো এমন একটি পরিসংখ্যানগত কৌশল, যা দুটি বা তার বেশি বিষয়ের মধ্যে একটা সরলরেখার মতো সম্পর্ক খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা একটা অদৃশ্য সুতো খুঁজে বের করার মতো, যা দুটি জিনিসকে একসঙ্গে বেঁধে রাখে। যেমন, পড়াশোনার সময় আর পরীক্ষার নম্বরের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে, তাই না? লিনিয়ার রিগ্রেশন সেই সম্পর্কটাকে একটা সরলরেখা দিয়ে প্রকাশ করে। এখানে দুটো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আছে, যাদেরকে আমরা 'চলক' (Variables) বলি: ১। স্বাধীন চলক (Independent Variable): এই হলো সেই 'কারণ' বা 'ইনপুট'। একে আপনি পরিবর্তন করতে পারেন, বা এটি নিজে নিজেই পরিবর্তিত হয় এবং অন্য কোনো কিছুকে প্রভাবিত করে। যেমন, পড়াশোনার সময়, বিজ্ঞাপনের খরচ, বা একটি বাড়ির আকার। ভাবুন তো, পড়াশোনার সময় বাড়লে বা কমলে পরীক্ষার নম্বরের ওপর একটা প্রভাব পড়ে, তাই না? ২। নির্ভরশীল চলক (Dependent Variable): আর এই হলো সেই 'ফলাফল' বা 'আউটপুট', যা স্বাধীন চলকের পরিবর্তনের কারণে প্রভাবিত হয়। যেমন, পরীক্ষার নম্বর, পণ্যের বিক্রি, বা বাড়ির দাম। এই চলকটি স্বাধীন চলকের উপর 'নির্ভর' করে। লিনিয়ার রিগ্রেশনের মূল লক্ষ্য হলো এই স্বাধীন ও নির্ভরশীল চলকের মধ্যে একটা গাণিতিক সম্পর্ক খুঁজে বের করা, যা দেখতে একটা সরলরেখার মতো। এই রেখার একটা সমীকরণ থাকে: Y=a+bX এখানে: Y হলো নির্ভরশীল চলক (ফলাফল): অর্থাৎ, আপনি যে জিনিসটা অনুমান করতে চান বা যার পরিবর্তন মাপতে চান। X হলো স্বাধীন চলক (কারণ): অর্থাৎ, যে জিনিসটা পরিবর্তনের কারণ হিসেবে কাজ করছে। a হলো ইন্টারসেপ্ট (Intercept): এটি অনেকটা গ্রাফের Y-অক্ষকে রেখাটি যেখানে ছেদ করে সেই বিন্দু। সহজ ভাষায়, যখন স্বাধীন চলক (X) এর মান শূন্য হয়, তখন নির্ভরশীল চলক (Y) এর আনুমানিক মান কত হবে, সেটাই a। যেমন, যদি আপনি একদমই পড়াশোনা না করেন (X=0), তাহলে আপনার পরীক্ষার নম্বর কত হতে পারে, তার একটা আনুমানিক ধারণা। b হলো স্লপ (Slope): এটি রেখার ঢাল বা খাড়া হওয়ার পরিমাণ নির্দেশ করে। এটি দেখায়, স্বাধীন চলক (X) এর মান যখন এক ইউনিট বাড়ে, তখন নির্ভরশীল চলক (Y) এর মান কতটুকু পরিবর্তন হয়। যেমন, যদি b এর মান ২ হয়, তার মানে পড়াশোনার সময় এক ঘণ্টা বাড়ালে পরীক্ষার নম্বর আনুমানিক ২ বাড়বে। কেন আমরা লিনিয়ার রিগ্রেশন ব্যবহার করি? (Why Use It?) এর প্রধান কাজ দুটো, যা গবেষণায় দারুণ কাজে আসে: A) সম্পর্ক বোঝা (Understanding Relationships): এটি আপনাকে বলে দেবে, আপনার চলকগুলোর মধ্যে আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি না, এবং সেই সম্পর্কটা কতটা শক্তিশালী। ধরুন, আপনি জানতে চান, বিজ্ঞাপনে খরচ বাড়ালে পণ্যের বিক্রি কি সত্যিই বাড়ে? যদি বাড়ে, তাহলে কতটা বাড়ে? লিনিয়ার রিগ্রেশন আপনাকে এই 'কতটা'র একটা সংখ্যাগত পরিমাপ দেবে। B) ভবিষ্যৎ অনুমান করা (Making Predictions): একবার সম্পর্কটা বুঝে গেলে, আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু অনুমান করতে পারি। ধরুন, আপনি দেখলেন যে, তাপমাত্রা বাড়লে আইসক্রিমের বিক্রি বাড়ে। লিনিয়ার রিগ্রেশন আপনাকে একটি মডেল দেবে, যার মাধ্যমে আপনি হয়তো বলতে পারবেন, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা যদি আরও বাড়ে, তাহলে আইসক্রিমের বিক্রি কেমন হতে পারে। এটি অনেকটা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার মতো, যেখানে আমরা অতীতের ডেটা ব্যবহার করে ভবিষ্যতের একটা ধারণা পাই। লিনিয়ার রিগ্রেশন কীভাবে কাজ করে? (How Does It Work?) লিনিয়ার রিগ্রেশন কাজ করে একটা সরলরেখা ব্যবহার করে। ভাবুন, আপনার কাছে কিছু ডেটা পয়েন্ট আছে, যেমন গ্রাফ পেপারে ছড়ানো কিছু বিন্দু। লিনিয়ার রিগ্রেশনের কাজ হলো এই বিন্দুগুলোর মাঝখান দিয়ে এমন একটা সরলরেখা আঁকা, যা সব বিন্দু থেকে 'গড়ে' সবচেয়ে কম দূরত্বে থাকে। এই 'সবচেয়ে কম দূরত্ব' খুঁজে বের করার জন্য কিছু গাণিতিক হিসাব-নিকাশ করা হয়, যাকে আমরা 'এরর মিনিমাইজেশন' বা 'অবশিষ্ট কমানো' বলি। অর্থাৎ, ডেটা পয়েন্টগুলো থেকে রেখার যে দূরত্ব, সেই দূরত্বগুলোকে যতটা সম্ভব ছোট করা হয়, যাতে রেখাটি ডেটার 'প্রবণতা' বা 'ট্রেন্ড'কে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখাতে পারে। এই রেখাটিই হলো আপনার রিগ্রেশন লাইন, যা আপনার ডেটার গল্পটা বলে। লিনিয়ার রিগ্রেশনের প্রকারভেদ (Types of Linear Regression) লিনিয়ার রিগ্রেশন মূলত দুটি প্রধান ধরনে বিভক্ত, নির্ভর করে আপনি কতগুলো স্বাধীন চলক ব্যবহার করছেন তার উপর: সাধারণ লিনিয়ার রিগ্রেশন (Simple Linear Regression): এখানে শুধু একটি স্বাধীন চলক এবং একটি নির্ভরশীল চলক থাকে। উদাহরণ: একজন ছাত্রের পড়াশোনার সময়ের (স্বাধীন চলক) সাথে তার পরীক্ষার নম্বরের (নির্ভরশীল চলক) সম্পর্ক। এখানে আপনি শুধু একটি কারণ (পড়াশোনার সময়) দিয়ে একটি ফলাফল (পরীক্ষার নম্বর) বোঝার চেষ্টা করছেন। মাল্টিপল লিনিয়ার রিগ্রেশন (Multiple Linear Regression): এখানে একাধিক স্বাধীন চলক এবং একটি নির্ভরশীল চলক থাকে। উদাহরণ: একটি বাড়ির দাম (নির্ভরশীল চলক) শুধু তার আকারের উপর নির্ভর করে না, বরং এলাকার অবস্থান, বাড়ির বয়স, রুমের সংখ্যা, বাথরুমের সংখ্যা – এই সবকিছুর উপর নির্ভর করে। মাল্টিপল রিগ্রেশন এই সব কারণ একসঙ্গে বিশ্লেষণ করে দেখায় যে, কোন কারণটি বাড়ির দামের উপর কতটা প্রভাব ফেলছে। এটি অনেকটা অনেকগুলো কারণ একসঙ্গে একটি ফলাফলের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা দেখার মতো। কিছু জরুরি কথা (Key Concepts): অবশিষ্ট (Residuals): রিগ্রেশন রেখাটি সব ডেটা পয়েন্টের উপর দিয়ে যায় না, কিছু পয়েন্ট রেখার উপরে বা নিচে থাকে। এই ডেটা পয়েন্ট এবং রেখার মধ্যে যে দূরত্ব, সেটিই হলো অবশিষ্ট বা এরর (error)। এটি দেখায়, আমাদের মডেল কতটা নিখুঁতভাবে অনুমান করতে পারছে। যত কম অবশিষ্ট, মডেল তত ভালো। সহসম্পর্ক (Correlation): এটি লিনিয়ার রিগ্রেশনের সাথে জড়িত একটি ধারণা। সহসম্পর্ক (যেমন পিয়ারসন কোরিলেশন কোএফিশিয়েন্ট) দুটি চলকের মধ্যে সম্পর্কের শক্তি এবং দিক (ইতিবাচক বা নেতিবাচক) পরিমাপ করে। লিনিয়ার রিগ্রেশন এই সম্পর্ককে একটি মডেলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। সহসম্পর্ক আপনাকে বলবে সম্পর্ক আছে কিনা, আর রিগ্রেশন আপনাকে বলবে সেই সম্পর্কটা কেমন এবং কীভাবে কাজ করে। অনুমান (Assumptions): লিনিয়ার রিগ্রেশন কিছু নির্দিষ্ট শর্তের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। যেমন, চলকগুলোর মধ্যে সম্পর্কটা যেন সত্যিই সরলরৈখিক হয়, ডেটা পয়েন্টগুলো যেন খুব বেশি ছড়ানো-ছিটানো না থাকে (আউটলায়ার না থাকে), এবং এররগুলো যেন এলোমেলোভাবে ছড়ানো থাকে। এই শর্তগুলো পূরণ হলে মডেলের ফলাফল আরও নির্ভরযোগ্য হয়। কখন ব্যবহার করবেন, কখন করবেন না? (When to Use, When Not to Use?) কখন ব্যবহার করবেন?: যখন আপনি দুটি বা তার বেশি চলকের মধ্যে একটি সরলরৈখিক সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন এবং সেই সম্পর্কটা বুঝতে চান। যখন আপনি একটি চলকের মান ব্যবহার করে অন্য একটি চলকের মান অনুমান করতে চান। যখন আপনি জানতে চান, কোন কারণগুলো (স্বাধীন চলক) একটি নির্দিষ্ট ফলাফলের (নির্ভরশীল চলক) উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে। যখন আপনি কোনো ধারাবাহিক ফলাফল (continuous outcome) যেমন, তাপমাত্রা, বিক্রি, নম্বর ইত্যাদি অনুমান করতে চান। কখন করবেন না? যদি চলকগুলোর মধ্যে কোনো সরলরৈখিক সম্পর্ক না থাকে (যেমন, সম্পর্কটি বক্ররেখার মতো বা এলোমেলো)। এক্ষেত্রে অন্য ধরনের রিগ্রেশন মডেল ব্যবহার করতে হতে পারে। যদি আপনার ডেটায় অনেক বেশি অস্বাভাবিক বা ভুল ডেটা (outliers) থাকে, যা রেখাটিকে ভুলভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই 'আউটলায়ার'গুলো ফলাফলকে ভুল পথে চালিত করতে পারে। যদি আপনার স্বাধীন চলকগুলো একে অপরের সাথে খুব বেশি সম্পর্কিত হয় (multicollinearity), তাহলে মাল্টিপল রিগ্রেশন ব্যবহার করা কঠিন হতে পারে। এটি অনেকটা এমন যে, দুটি কারণ একই রকম প্রভাব ফেলছে, তখন বোঝা কঠিন হয়ে যায় কোনটি আসল প্রভাবক। লিনিয়ার রিগ্রেশন হলো ডেটা বিশ্লেষণের এক দারুণ হাতিয়ার, যা আপনাকে ডেটার ভেতরের লুকানো গল্পগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। এটি শুধু সংখ্যা নয়, বরং সংখ্যার পেছনের কারণ ও প্রভাবকে বুঝতে শেখায়। আশা করি, এই বিস্তারিত আলোচনা আপনার লিনিয়ার রিগ্রেশন সম্পর্কে ধারণা আরও পরিষ্কার করেছে। আপনার যদি আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন! Md. Rony Masud BBA, MBA (DU), MS (Japan)
    0 Commentaires 0 Parts 285 Vue
  • ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ঘটে যাওয়া একটি বজ্রপাত বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ৫১৫ মাইল বা ৮২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বজ্রপাতকে ইতিহাসের দীর্ঘতম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

    ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে মিসৌরির কানসাস সিটি পর্যন্ত বিস্তৃত। যা ইউরোপের প্যারিস থেকে ভেনিস পর্যন্ত দূরত্বের সমান। এই বজ্রপাতটি পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের বজ্রপাত। এর আগের রেকর্ডটিও গ্রেট প্লেইন্স নামের একই অঞ্চলে ঘটেছিল। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিলের ওই বজ্রপাতটি ছিল ৭৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ।

    ২০১৬ সাল থেকে স্যাটেলাইটভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন বিস্তৃত বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সর্বশেষ ভূ-স্থির কক্ষপথে থাকা আবহাওয়া স্যাটেলাইটের সহায়তায় ২০১৭ সালের বজ্রপাতটি শনাক্ত করা হয়।

    স্যাটেলাইট চিত্র দিয়ে বজ্রপাতের বিভিন্ন অংশে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক শাখাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে স্থলভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে বজ্রপাতের সময় ও দূরত্ব পরিমাপ করা হতো, তবে এতে সীমাবদ্ধতা থাকত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    -

    #বিজ্ঞানপোকা #BigyanPoka
    ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ঘটে যাওয়া একটি বজ্রপাত বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ৫১৫ মাইল বা ৮২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বজ্রপাতকে ইতিহাসের দীর্ঘতম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে মিসৌরির কানসাস সিটি পর্যন্ত বিস্তৃত। যা ইউরোপের প্যারিস থেকে ভেনিস পর্যন্ত দূরত্বের সমান। এই বজ্রপাতটি পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের বজ্রপাত। এর আগের রেকর্ডটিও গ্রেট প্লেইন্স নামের একই অঞ্চলে ঘটেছিল। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিলের ওই বজ্রপাতটি ছিল ৭৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। ২০১৬ সাল থেকে স্যাটেলাইটভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন বিস্তৃত বজ্রপাত পর্যবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সর্বশেষ ভূ-স্থির কক্ষপথে থাকা আবহাওয়া স্যাটেলাইটের সহায়তায় ২০১৭ সালের বজ্রপাতটি শনাক্ত করা হয়। স্যাটেলাইট চিত্র দিয়ে বজ্রপাতের বিভিন্ন অংশে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক শাখাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে স্থলভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে বজ্রপাতের সময় ও দূরত্ব পরিমাপ করা হতো, তবে এতে সীমাবদ্ধতা থাকত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। - #বিজ্ঞানপোকা #BigyanPoka
    0 Commentaires 0 Parts 141 Vue
  • ❝দিলীপ কুমার ❞
    ~ দ্যা ট্রাজেডি কিং অফ বলিউড

    সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেভিকা রানী তার স্টুডিও " বোম্বে টকিজ" এ বসে আছেন। হঠাৎ ই তার কাছে এক ছেলে আসে অভিনয় করার আশায়। অনেক বাছ - বিচার করার পড়ে তিনি ছেলেটিকে নামমাত্র স্যালারির এক জব অফার করেন। কিন্তু ছেলের নাম নিয়েই পড়েন ঝামেলায় । তখনকার সময়ে সে ছেলের ফ্যামিলির দেয়া নাম " মোহাম্মদ ইউসুফ খান " নিয়ে এই ছেলে যে বেশিদূর যেতে পারবে না তা তিনি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন। এ জন্যে সে তাকে তিনটি নাম দিয়ে যেকোন একটি বেছে নেয়ার কথা বলেন। প্রথম দুই নাম পছন্দ না হওয়ায় সেই ছেলে তৃতীয় নামটিই বেছে নেন যে নাম দিয়ে আজকে তিনি সবার পরিচিত - " দিলীপ কুমার " .
    -
    ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক অঞ্চলে দিলীপ কুমারের জন্ম। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তার পিতা তার ১১ ভাইবোনের সাথে তাকেও মুম্বাই নিয়ে এসে থাকতে থাকেন। প্রথম জীবনে পারিবারিক ফলের ব্যবসায় যোগ দিলেও দিলীপ কুমারের মন পড়ে থাকতো অন্য কোন জায়গায়। তাই সে পুনেতে চলে যায় আর সেখানে এক ক্যান্টিনে কাজ করা শুরু করে এবং পরে সেখানে এক স্যান্ডউইচ শপ ও খোলে। কিন্তু দোকানের কন্ট্রাক্ট শেষ হবার পরে আবারো মুম্বাই ফিরে আসে আর সেখানে একদিন সে ড. মাসানীর সাথে সে "বোম্বে টকিজ " এ যায়। সেখানেই দেভিকা রানীর সাথে তার দেখা হয় যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

    দেভিকা রানীর ষ্টুডিও থেকেই তার প্রথম ছবি
    " জোয়ার ভাটা " মুক্তি পায় কিন্তু দিলীপ কুমার সে রকম পরিচিতি পায় না। তবে সে ঠিকই তখনকার সময়ের ষ্টার " অশোক কুমার " এর নজরে পড়ে যায় ।ফলে আরো কয়েকটি রোলের অফার আসে। আরো কয়েকটি অসফল ছবির পরে " জুগনু " ছবি দিয়ে সে খানিকটা পরিচিতি পায়।আর তার পরবর্তী দুই ছবি " শহীদ " আর মেহবুব খানের " আন্তাজ " এর পরে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি যার ভিতরে আন্তাজ ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি।
    -
    ৫০ এর দশকেই তার আসল স্টারডম শুরু হয়। দিলীপ কুমার অভিনয় করতে থাকেন একের পর এক ট্রাজিক মুভিতে যা তাকে ট্রাজেডি কিং এর উপাধি এনে দেয়। এ সময়েই তিনি যোগান ,বাবুল ,দিদার ,দাগ, উড়ান খোটালা ,দেবদাস ,ইহুদি ,মধুমতি ইত্যাদি ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করেন। দাগ ছবিতে শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রথম filmfare best actor award জিতে নেন। দেবদাস ছবিতে সুচিত্রা সেন আর ভৈজন্তিমালার বিপরীতে করা দেবদাস চরিত্রকে বর্তমানে পঞ্চাশ এর দশকের বলিউডের অন্যতম সেরা চরিত্র হিসেবে ধরা হয়।
    -
    তবে শুধু ট্রাজিক রোলেই নয় ,বিভিন্ন সামাজিক ছবি যেমন ফুটপাথ , নয়া দৌড় , মুসাফির ,পয়গাম এর মতো ছবিতে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেও দিলীপ কুমার দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয় কেড়ে নেন। এছাড়াও আজাদ আর কোহিনুর ছবিতেও তার দুর্দান্ত অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। দিলীপ কুমারকে " ট্রাজেডি কিং " নামে বলার কারণে তার বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল রোলগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসেনি।সে সময়ে " কোহিনুর " ছবিতে সীতার বাজানোর জন্য সীতার শেখা থেকে নয়া দৌড় এ রিকশা চালানো সহ বিভিন্ন রকমের মেথড এক্টিং এর কারণে তাকে ভারতের অন্যতম সেরা মেথড এক্টরের ভিতরেও রাখা যায়।
    -
    ষাটের দশকের শুরুতেই তার অভিনীত কে.আসিফের " মুঘল - ই - আজম " মুক্তি পায় যা ভারতীয় ছবির ইতিহাসের সব বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দেয়। শাহজাদা সেলিমের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তায় দিলীপ কুমার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।এর পরের বছর সে "গঙ্গা যমুনা" নামের আরেক বিখ্যাত ছবিতে প্রযোজনা আর অভিনয় করেন যা তাকে ন্যাশনাল এওয়ার্ড পাইয়ে দেয়। এর পরে কয়েকটি অসফল ছবির পড়ে সে "রাম অউর শাম " এ ডাবল চরিত্রে অভিনয় করে আবারো বিশাল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়াও ১৯৬৮ সালে তার আরো দুই ছবি " আদমি "এবং " সংঘর্ষ " বক্স অফিসে হিট হয় যা তাকে আইকনে পরিণত করে ।
    -
    সত্তরের দশকে দিলীপ কুমার বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্টাল রোল করেন,যার ভিতরে এক বাংলা ভাষার ছবি " সাগিনা" ও ছিল।এর ভিতরে দাস্তান আর বৈরাগ বক্স অফিসে খুব বেশি আয় না করলেও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। এদিকে তার আরেক ছবি " গোপী " বেশ ভালো ব্যবসা করলেও ১৯৭৬ সালে তিনি অভিনয় থেকে পাঁচ বছরের অবসর নেন।
    -
    আশির দশকে ফিরে আসার পরপরই সে ক্রান্তি নামের ছবিতে অভিনয় করেন যা ঐবছরের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবিতে পরিণত হয়। এর পরেই সে বিধাতা , শক্তি ,মশাল ,দুনিয়া নামক ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন যার বেশিরভাই ব্যবসাসফল হয়।১৯৮৬ সালে তিনি অভিনয় করেন সুভাষ ঘাই এর " কার্মা " নামক ছবিতে যাকে আশির দশকের অন্যতম সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে বর্তমানে মানা হয় । তবে ৯০ এর দশকে তিনি খুব বেশি ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেননি। তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি " কিলা " তে সে ডাবল রোলে অভিনয় করেন যা খুব বেশি সাফল্য পায়নি।
    -
    পর্দার ভিতরের সাথে সাথে পর্দার বাইরেও দিলীপ কুমার তার
    সময়ে ছিলেন সমান জনপ্রিয়। দিলীপ কুমারের সাথে প্রথম রোমান্সের খবর শোনা যায় কামিনী কৌশালের সাথে। পরে ভৈজন্তিমালার সাথে তার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোনটিই মধুবালার মত জনপ্রিয় হতে পারেনি। পর্দার ট্রাজিক কাহিনীর মতো তাদের বাস্তব জীবনের কাহিনীও ট্রাজিক। মধুবালার বাবার অমতে তাদের বিয়ে সে সময়ে হয় না। তার আর মধুবালার রোমান্স এবং বিচ্ছেদের কাহিনী সে সময়ে বলিউডে ছিল " টক অফ দ্যা টাউন " .পরে সে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে সে তাকে ছেড়ে আসমা খানের সাথে ঘর বাধে। সে বিয়েও অবশ্য খুব বেশিদিন টিকেনি।
    -
    মূলত অভিনেতা হলেও দিলীপ কুমার একই সাথে লেখক ,চিত্রনাট্যকার , এমনকি কবি ও । বিভিন্ন ছবিতে তার পোয়েটিক ডায়লগ তার সিগনেচার স্টাইল বলা যায়।
    "Kaun kambakth hai jo bardasht karne ke liye peeta hai ,main to peeta hoon ke bas saans le sakoon" এর মতো আইকনিক ডায়লগ কে তিনি তার তার পোয়েটিক স্টাইলে বলে অন্যরকম জনপ্রিয়তায় নিয়ে গেছেন। আর তার মেথড এক্টিং সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় ভাষায় বলা যায় সে হলো আল্টিমেট মেথড এক্টর , আর জাভেদ আখতারের ভাষায় বলা যায় সে হলো মেথড এক্টিং এর জন্মদাতা।
    -
    সম্মাননার দিক থেকে দিলীপ কুমার অদ্বিতীয়।তিনি মোটমাট ১৯ বার filmfare best actor এর নমিনেশন পান যার ভিতরে আটবার ( দাগ ,আজাদ , দেবদাস ,নয়া দৌড় ,কোহিনুর , লিডার , রাম অউর শাম ,শক্তি ) তা জিতে নেন। এছাড়াও "গঙ্গা যমুনা " ছবির জন্য তিনি ন্যাশনাল এওয়ার্ড ও পান। দাদাসাহেব ফালকে ,পদ্ম বিভূষণ , CNN-IBN Lifetime Achievement Award থেকে শুরু করে দেশে বিদেশে আরো নানা ধরণের এওয়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন তিনি।

    Some Facts about Dilip Kumar

    ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ড জেতার জন্য "গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস " এ তার নাম আছে।
    -
    বিভিন্ন ছবিতে ট্রাজিক রোল প্লে করতে করতে সে ডিপ্রেশনে পরে যান এবং সাইক্রিয়াটিস্ট তাকে এ ধরণের রোল করা থেকে বিরত থাকতে বলেন।
    -
    স্ক্রিপ্ট চুজিং এর ক্ষেত্রে দিলীপ কুমার বরাবরই খুঁতখুঁতে ছিলেন। এ স্বভাবের কারণে তিনি "মাদার ইন্ডিয়া" এর আইকনিক রোল বিরজু থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেন যা পরবতীতে বিশাল হিট হয়েছিল। শুধু বলিউড নয় , পরিচালক ডেভিড লিন তাকে তার বিখ্যাত ছবি "লরেন্স অফ আরাবিয়া " তে অভিনয়ের অফার দিলে সেটাও তিনি ফিরিয়ে দেন।
    -
    একমাত্র ব্যক্তি যে পাকিস্তানের নিশান - ই- ইমতিয়াজ আর ভারতের পদ্ম বিভূষণ এ ভূষিত হয়েছেন।
    -
    পাঁচ দশকের ও বেশি সময় ধরে চলা মুভি ক্যারিয়ারে মোট ৬৩ টি ছবিতে অভিনয় করেন।
    -
    মাঝে রাজনীতিতে ঢুকে তিনি একবার রাজ্যসভার সদস্য ও হয়েছেন।
    -
    সত্যজিৎ রায়ের মতে "the ultimate method actor" খ্যাত দিলীপ কুমার অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান সহ অসংখ্য অভিনেতার আইডল।
    -
    দিলীপ কুমারের বায়োগ্রাফি নিয়ে লেখা বই "The Substance and the Shadow" ওই বছরের অন্যতম সেরা বিক্রিত বায়োগ্রাফি যা আমাজনে দুই সপ্তাহ বেস্ট সেলার লিস্টে ছিল।
    ❝দিলীপ কুমার ❞ ~ দ্যা ট্রাজেডি কিং অফ বলিউড সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেভিকা রানী তার স্টুডিও " বোম্বে টকিজ" এ বসে আছেন। হঠাৎ ই তার কাছে এক ছেলে আসে অভিনয় করার আশায়। অনেক বাছ - বিচার করার পড়ে তিনি ছেলেটিকে নামমাত্র স্যালারির এক জব অফার করেন। কিন্তু ছেলের নাম নিয়েই পড়েন ঝামেলায় । তখনকার সময়ে সে ছেলের ফ্যামিলির দেয়া নাম " মোহাম্মদ ইউসুফ খান " নিয়ে এই ছেলে যে বেশিদূর যেতে পারবে না তা তিনি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন। এ জন্যে সে তাকে তিনটি নাম দিয়ে যেকোন একটি বেছে নেয়ার কথা বলেন। প্রথম দুই নাম পছন্দ না হওয়ায় সেই ছেলে তৃতীয় নামটিই বেছে নেন যে নাম দিয়ে আজকে তিনি সবার পরিচিত - " দিলীপ কুমার " . - ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক অঞ্চলে দিলীপ কুমারের জন্ম। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তার পিতা তার ১১ ভাইবোনের সাথে তাকেও মুম্বাই নিয়ে এসে থাকতে থাকেন। প্রথম জীবনে পারিবারিক ফলের ব্যবসায় যোগ দিলেও দিলীপ কুমারের মন পড়ে থাকতো অন্য কোন জায়গায়। তাই সে পুনেতে চলে যায় আর সেখানে এক ক্যান্টিনে কাজ করা শুরু করে এবং পরে সেখানে এক স্যান্ডউইচ শপ ও খোলে। কিন্তু দোকানের কন্ট্রাক্ট শেষ হবার পরে আবারো মুম্বাই ফিরে আসে আর সেখানে একদিন সে ড. মাসানীর সাথে সে "বোম্বে টকিজ " এ যায়। সেখানেই দেভিকা রানীর সাথে তার দেখা হয় যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দেভিকা রানীর ষ্টুডিও থেকেই তার প্রথম ছবি " জোয়ার ভাটা " মুক্তি পায় কিন্তু দিলীপ কুমার সে রকম পরিচিতি পায় না। তবে সে ঠিকই তখনকার সময়ের ষ্টার " অশোক কুমার " এর নজরে পড়ে যায় ।ফলে আরো কয়েকটি রোলের অফার আসে। আরো কয়েকটি অসফল ছবির পরে " জুগনু " ছবি দিয়ে সে খানিকটা পরিচিতি পায়।আর তার পরবর্তী দুই ছবি " শহীদ " আর মেহবুব খানের " আন্তাজ " এর পরে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি যার ভিতরে আন্তাজ ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি। - ৫০ এর দশকেই তার আসল স্টারডম শুরু হয়। দিলীপ কুমার অভিনয় করতে থাকেন একের পর এক ট্রাজিক মুভিতে যা তাকে ট্রাজেডি কিং এর উপাধি এনে দেয়। এ সময়েই তিনি যোগান ,বাবুল ,দিদার ,দাগ, উড়ান খোটালা ,দেবদাস ,ইহুদি ,মধুমতি ইত্যাদি ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করেন। দাগ ছবিতে শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রথম filmfare best actor award জিতে নেন। দেবদাস ছবিতে সুচিত্রা সেন আর ভৈজন্তিমালার বিপরীতে করা দেবদাস চরিত্রকে বর্তমানে পঞ্চাশ এর দশকের বলিউডের অন্যতম সেরা চরিত্র হিসেবে ধরা হয়। - তবে শুধু ট্রাজিক রোলেই নয় ,বিভিন্ন সামাজিক ছবি যেমন ফুটপাথ , নয়া দৌড় , মুসাফির ,পয়গাম এর মতো ছবিতে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেও দিলীপ কুমার দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয় কেড়ে নেন। এছাড়াও আজাদ আর কোহিনুর ছবিতেও তার দুর্দান্ত অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। দিলীপ কুমারকে " ট্রাজেডি কিং " নামে বলার কারণে তার বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল রোলগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসেনি।সে সময়ে " কোহিনুর " ছবিতে সীতার বাজানোর জন্য সীতার শেখা থেকে নয়া দৌড় এ রিকশা চালানো সহ বিভিন্ন রকমের মেথড এক্টিং এর কারণে তাকে ভারতের অন্যতম সেরা মেথড এক্টরের ভিতরেও রাখা যায়। - ষাটের দশকের শুরুতেই তার অভিনীত কে.আসিফের " মুঘল - ই - আজম " মুক্তি পায় যা ভারতীয় ছবির ইতিহাসের সব বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দেয়। শাহজাদা সেলিমের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তায় দিলীপ কুমার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।এর পরের বছর সে "গঙ্গা যমুনা" নামের আরেক বিখ্যাত ছবিতে প্রযোজনা আর অভিনয় করেন যা তাকে ন্যাশনাল এওয়ার্ড পাইয়ে দেয়। এর পরে কয়েকটি অসফল ছবির পড়ে সে "রাম অউর শাম " এ ডাবল চরিত্রে অভিনয় করে আবারো বিশাল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়াও ১৯৬৮ সালে তার আরো দুই ছবি " আদমি "এবং " সংঘর্ষ " বক্স অফিসে হিট হয় যা তাকে আইকনে পরিণত করে । - সত্তরের দশকে দিলীপ কুমার বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্টাল রোল করেন,যার ভিতরে এক বাংলা ভাষার ছবি " সাগিনা" ও ছিল।এর ভিতরে দাস্তান আর বৈরাগ বক্স অফিসে খুব বেশি আয় না করলেও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। এদিকে তার আরেক ছবি " গোপী " বেশ ভালো ব্যবসা করলেও ১৯৭৬ সালে তিনি অভিনয় থেকে পাঁচ বছরের অবসর নেন। - আশির দশকে ফিরে আসার পরপরই সে ক্রান্তি নামের ছবিতে অভিনয় করেন যা ঐবছরের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবিতে পরিণত হয়। এর পরেই সে বিধাতা , শক্তি ,মশাল ,দুনিয়া নামক ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন যার বেশিরভাই ব্যবসাসফল হয়।১৯৮৬ সালে তিনি অভিনয় করেন সুভাষ ঘাই এর " কার্মা " নামক ছবিতে যাকে আশির দশকের অন্যতম সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে বর্তমানে মানা হয় । তবে ৯০ এর দশকে তিনি খুব বেশি ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেননি। তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি " কিলা " তে সে ডাবল রোলে অভিনয় করেন যা খুব বেশি সাফল্য পায়নি। - পর্দার ভিতরের সাথে সাথে পর্দার বাইরেও দিলীপ কুমার তার সময়ে ছিলেন সমান জনপ্রিয়। দিলীপ কুমারের সাথে প্রথম রোমান্সের খবর শোনা যায় কামিনী কৌশালের সাথে। পরে ভৈজন্তিমালার সাথে তার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোনটিই মধুবালার মত জনপ্রিয় হতে পারেনি। পর্দার ট্রাজিক কাহিনীর মতো তাদের বাস্তব জীবনের কাহিনীও ট্রাজিক। মধুবালার বাবার অমতে তাদের বিয়ে সে সময়ে হয় না। তার আর মধুবালার রোমান্স এবং বিচ্ছেদের কাহিনী সে সময়ে বলিউডে ছিল " টক অফ দ্যা টাউন " .পরে সে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে সে তাকে ছেড়ে আসমা খানের সাথে ঘর বাধে। সে বিয়েও অবশ্য খুব বেশিদিন টিকেনি। - মূলত অভিনেতা হলেও দিলীপ কুমার একই সাথে লেখক ,চিত্রনাট্যকার , এমনকি কবি ও । বিভিন্ন ছবিতে তার পোয়েটিক ডায়লগ তার সিগনেচার স্টাইল বলা যায়। "Kaun kambakth hai jo bardasht karne ke liye peeta hai ,main to peeta hoon ke bas saans le sakoon" এর মতো আইকনিক ডায়লগ কে তিনি তার তার পোয়েটিক স্টাইলে বলে অন্যরকম জনপ্রিয়তায় নিয়ে গেছেন। আর তার মেথড এক্টিং সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় ভাষায় বলা যায় সে হলো আল্টিমেট মেথড এক্টর , আর জাভেদ আখতারের ভাষায় বলা যায় সে হলো মেথড এক্টিং এর জন্মদাতা। - সম্মাননার দিক থেকে দিলীপ কুমার অদ্বিতীয়।তিনি মোটমাট ১৯ বার filmfare best actor এর নমিনেশন পান যার ভিতরে আটবার ( দাগ ,আজাদ , দেবদাস ,নয়া দৌড় ,কোহিনুর , লিডার , রাম অউর শাম ,শক্তি ) তা জিতে নেন। এছাড়াও "গঙ্গা যমুনা " ছবির জন্য তিনি ন্যাশনাল এওয়ার্ড ও পান। দাদাসাহেব ফালকে ,পদ্ম বিভূষণ , CNN-IBN Lifetime Achievement Award থেকে শুরু করে দেশে বিদেশে আরো নানা ধরণের এওয়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন তিনি। 📌Some Facts about Dilip Kumar ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ড জেতার জন্য "গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস " এ তার নাম আছে। - বিভিন্ন ছবিতে ট্রাজিক রোল প্লে করতে করতে সে ডিপ্রেশনে পরে যান এবং সাইক্রিয়াটিস্ট তাকে এ ধরণের রোল করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। - স্ক্রিপ্ট চুজিং এর ক্ষেত্রে দিলীপ কুমার বরাবরই খুঁতখুঁতে ছিলেন। এ স্বভাবের কারণে তিনি "মাদার ইন্ডিয়া" এর আইকনিক রোল বিরজু থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেন যা পরবতীতে বিশাল হিট হয়েছিল। শুধু বলিউড নয় , পরিচালক ডেভিড লিন তাকে তার বিখ্যাত ছবি "লরেন্স অফ আরাবিয়া " তে অভিনয়ের অফার দিলে সেটাও তিনি ফিরিয়ে দেন। - একমাত্র ব্যক্তি যে পাকিস্তানের নিশান - ই- ইমতিয়াজ আর ভারতের পদ্ম বিভূষণ এ ভূষিত হয়েছেন। - পাঁচ দশকের ও বেশি সময় ধরে চলা মুভি ক্যারিয়ারে মোট ৬৩ টি ছবিতে অভিনয় করেন। - মাঝে রাজনীতিতে ঢুকে তিনি একবার রাজ্যসভার সদস্য ও হয়েছেন। - সত্যজিৎ রায়ের মতে "the ultimate method actor" খ্যাত দিলীপ কুমার অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান সহ অসংখ্য অভিনেতার আইডল। - দিলীপ কুমারের বায়োগ্রাফি নিয়ে লেখা বই "The Substance and the Shadow" ওই বছরের অন্যতম সেরা বিক্রিত বায়োগ্রাফি যা আমাজনে দুই সপ্তাহ বেস্ট সেলার লিস্টে ছিল।
    0 Commentaires 0 Parts 220 Vue
  • ❝দিলীপ কুমার ❞
    ~ দ্যা ট্রাজেডি কিং অফ বলিউড

    সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেভিকা রানী তার স্টুডিও " বোম্বে টকিজ" এ বসে আছেন। হঠাৎ ই তার কাছে এক ছেলে আসে অভিনয় করার আশায়। অনেক বাছ - বিচার করার পড়ে তিনি ছেলেটিকে নামমাত্র স্যালারির এক জব অফার করেন। কিন্তু ছেলের নাম নিয়েই পড়েন ঝামেলায় । তখনকার সময়ে সে ছেলের ফ্যামিলির দেয়া নাম " মোহাম্মদ ইউসুফ খান " নিয়ে এই ছেলে যে বেশিদূর যেতে পারবে না তা তিনি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন। এ জন্যে সে তাকে তিনটি নাম দিয়ে যেকোন একটি বেছে নেয়ার কথা বলেন। প্রথম দুই নাম পছন্দ না হওয়ায় সেই ছেলে তৃতীয় নামটিই বেছে নেন যে নাম দিয়ে আজকে তিনি সবার পরিচিত - " দিলীপ কুমার " .
    -
    ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক অঞ্চলে দিলীপ কুমারের জন্ম। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তার পিতা তার ১১ ভাইবোনের সাথে তাকেও মুম্বাই নিয়ে এসে থাকতে থাকেন। প্রথম জীবনে পারিবারিক ফলের ব্যবসায় যোগ দিলেও দিলীপ কুমারের মন পড়ে থাকতো অন্য কোন জায়গায়। তাই সে পুনেতে চলে যায় আর সেখানে এক ক্যান্টিনে কাজ করা শুরু করে এবং পরে সেখানে এক স্যান্ডউইচ শপ ও খোলে। কিন্তু দোকানের কন্ট্রাক্ট শেষ হবার পরে আবারো মুম্বাই ফিরে আসে আর সেখানে একদিন সে ড. মাসানীর সাথে সে "বোম্বে টকিজ " এ যায়। সেখানেই দেভিকা রানীর সাথে তার দেখা হয় যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

    দেভিকা রানীর ষ্টুডিও থেকেই তার প্রথম ছবি
    " জোয়ার ভাটা " মুক্তি পায় কিন্তু দিলীপ কুমার সে রকম পরিচিতি পায় না। তবে সে ঠিকই তখনকার সময়ের ষ্টার " অশোক কুমার " এর নজরে পড়ে যায় ।ফলে আরো কয়েকটি রোলের অফার আসে। আরো কয়েকটি অসফল ছবির পরে " জুগনু " ছবি দিয়ে সে খানিকটা পরিচিতি পায়।আর তার পরবর্তী দুই ছবি " শহীদ " আর মেহবুব খানের " আন্তাজ " এর পরে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি যার ভিতরে আন্তাজ ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি।
    -
    ৫০ এর দশকেই তার আসল স্টারডম শুরু হয়। দিলীপ কুমার অভিনয় করতে থাকেন একের পর এক ট্রাজিক মুভিতে যা তাকে ট্রাজেডি কিং এর উপাধি এনে দেয়। এ সময়েই তিনি যোগান ,বাবুল ,দিদার ,দাগ, উড়ান খোটালা ,দেবদাস ,ইহুদি ,মধুমতি ইত্যাদি ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করেন। দাগ ছবিতে শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রথম filmfare best actor award জিতে নেন। দেবদাস ছবিতে সুচিত্রা সেন আর ভৈজন্তিমালার বিপরীতে করা দেবদাস চরিত্রকে বর্তমানে পঞ্চাশ এর দশকের বলিউডের অন্যতম সেরা চরিত্র হিসেবে ধরা হয়।
    -
    তবে শুধু ট্রাজিক রোলেই নয় ,বিভিন্ন সামাজিক ছবি যেমন ফুটপাথ , নয়া দৌড় , মুসাফির ,পয়গাম এর মতো ছবিতে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেও দিলীপ কুমার দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয় কেড়ে নেন। এছাড়াও আজাদ আর কোহিনুর ছবিতেও তার দুর্দান্ত অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। দিলীপ কুমারকে " ট্রাজেডি কিং " নামে বলার কারণে তার বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল রোলগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসেনি।সে সময়ে " কোহিনুর " ছবিতে সীতার বাজানোর জন্য সীতার শেখা থেকে নয়া দৌড় এ রিকশা চালানো সহ বিভিন্ন রকমের মেথড এক্টিং এর কারণে তাকে ভারতের অন্যতম সেরা মেথড এক্টরের ভিতরেও রাখা যায়।
    -
    ষাটের দশকের শুরুতেই তার অভিনীত কে.আসিফের " মুঘল - ই - আজম " মুক্তি পায় যা ভারতীয় ছবির ইতিহাসের সব বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দেয়। শাহজাদা সেলিমের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তায় দিলীপ কুমার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।এর পরের বছর সে "গঙ্গা যমুনা" নামের আরেক বিখ্যাত ছবিতে প্রযোজনা আর অভিনয় করেন যা তাকে ন্যাশনাল এওয়ার্ড পাইয়ে দেয়। এর পরে কয়েকটি অসফল ছবির পড়ে সে "রাম অউর শাম " এ ডাবল চরিত্রে অভিনয় করে আবারো বিশাল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়াও ১৯৬৮ সালে তার আরো দুই ছবি " আদমি "এবং " সংঘর্ষ " বক্স অফিসে হিট হয় যা তাকে আইকনে পরিণত করে ।
    -
    সত্তরের দশকে দিলীপ কুমার বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্টাল রোল করেন,যার ভিতরে এক বাংলা ভাষার ছবি " সাগিনা" ও ছিল।এর ভিতরে দাস্তান আর বৈরাগ বক্স অফিসে খুব বেশি আয় না করলেও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। এদিকে তার আরেক ছবি " গোপী " বেশ ভালো ব্যবসা করলেও ১৯৭৬ সালে তিনি অভিনয় থেকে পাঁচ বছরের অবসর নেন।
    -
    আশির দশকে ফিরে আসার পরপরই সে ক্রান্তি নামের ছবিতে অভিনয় করেন যা ঐবছরের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবিতে পরিণত হয়। এর পরেই সে বিধাতা , শক্তি ,মশাল ,দুনিয়া নামক ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন যার বেশিরভাই ব্যবসাসফল হয়।১৯৮৬ সালে তিনি অভিনয় করেন সুভাষ ঘাই এর " কার্মা " নামক ছবিতে যাকে আশির দশকের অন্যতম সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে বর্তমানে মানা হয় । তবে ৯০ এর দশকে তিনি খুব বেশি ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেননি। তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি " কিলা " তে সে ডাবল রোলে অভিনয় করেন যা খুব বেশি সাফল্য পায়নি।
    -
    পর্দার ভিতরের সাথে সাথে পর্দার বাইরেও দিলীপ কুমার তার
    সময়ে ছিলেন সমান জনপ্রিয়। দিলীপ কুমারের সাথে প্রথম রোমান্সের খবর শোনা যায় কামিনী কৌশালের সাথে। পরে ভৈজন্তিমালার সাথে তার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোনটিই মধুবালার মত জনপ্রিয় হতে পারেনি। পর্দার ট্রাজিক কাহিনীর মতো তাদের বাস্তব জীবনের কাহিনীও ট্রাজিক। মধুবালার বাবার অমতে তাদের বিয়ে সে সময়ে হয় না। তার আর মধুবালার রোমান্স এবং বিচ্ছেদের কাহিনী সে সময়ে বলিউডে ছিল " টক অফ দ্যা টাউন " .পরে সে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে সে তাকে ছেড়ে আসমা খানের সাথে ঘর বাধে। সে বিয়েও অবশ্য খুব বেশিদিন টিকেনি।
    -
    মূলত অভিনেতা হলেও দিলীপ কুমার একই সাথে লেখক ,চিত্রনাট্যকার , এমনকি কবি ও । বিভিন্ন ছবিতে তার পোয়েটিক ডায়লগ তার সিগনেচার স্টাইল বলা যায়।
    "Kaun kambakth hai jo bardasht karne ke liye peeta hai ,main to peeta hoon ke bas saans le sakoon" এর মতো আইকনিক ডায়লগ কে তিনি তার তার পোয়েটিক স্টাইলে বলে অন্যরকম জনপ্রিয়তায় নিয়ে গেছেন। আর তার মেথড এক্টিং সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় ভাষায় বলা যায় সে হলো আল্টিমেট মেথড এক্টর , আর জাভেদ আখতারের ভাষায় বলা যায় সে হলো মেথড এক্টিং এর জন্মদাতা।
    -
    সম্মাননার দিক থেকে দিলীপ কুমার অদ্বিতীয়।তিনি মোটমাট ১৯ বার filmfare best actor এর নমিনেশন পান যার ভিতরে আটবার ( দাগ ,আজাদ , দেবদাস ,নয়া দৌড় ,কোহিনুর , লিডার , রাম অউর শাম ,শক্তি ) তা জিতে নেন। এছাড়াও "গঙ্গা যমুনা " ছবির জন্য তিনি ন্যাশনাল এওয়ার্ড ও পান। দাদাসাহেব ফালকে ,পদ্ম বিভূষণ , CNN-IBN Lifetime Achievement Award থেকে শুরু করে দেশে বিদেশে আরো নানা ধরণের এওয়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন তিনি।

    Some Facts about Dilip Kumar

    ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ড জেতার জন্য "গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস " এ তার নাম আছে।
    -
    বিভিন্ন ছবিতে ট্রাজিক রোল প্লে করতে করতে সে ডিপ্রেশনে পরে যান এবং সাইক্রিয়াটিস্ট তাকে এ ধরণের রোল করা থেকে বিরত থাকতে বলেন।
    -
    স্ক্রিপ্ট চুজিং এর ক্ষেত্রে দিলীপ কুমার বরাবরই খুঁতখুঁতে ছিলেন। এ স্বভাবের কারণে তিনি "মাদার ইন্ডিয়া" এর আইকনিক রোল বিরজু থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেন যা পরবতীতে বিশাল হিট হয়েছিল। শুধু বলিউড নয় , পরিচালক ডেভিড লিন তাকে তার বিখ্যাত ছবি "লরেন্স অফ আরাবিয়া " তে অভিনয়ের অফার দিলে সেটাও তিনি ফিরিয়ে দেন।
    -
    একমাত্র ব্যক্তি যে পাকিস্তানের নিশান - ই- ইমতিয়াজ আর ভারতের পদ্ম বিভূষণ এ ভূষিত হয়েছেন।
    -
    পাঁচ দশকের ও বেশি সময় ধরে চলা মুভি ক্যারিয়ারে মোট ৬৩ টি ছবিতে অভিনয় করেন।
    -
    মাঝে রাজনীতিতে ঢুকে তিনি একবার রাজ্যসভার সদস্য ও হয়েছেন।
    -
    সত্যজিৎ রায়ের মতে "the ultimate method actor" খ্যাত দিলীপ কুমার অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান সহ অসংখ্য অভিনেতার আইডল।
    -
    দিলীপ কুমারের বায়োগ্রাফি নিয়ে লেখা বই "The Substance and the Shadow" ওই বছরের অন্যতম সেরা বিক্রিত বায়োগ্রাফি যা আমাজনে দুই সপ্তাহ বেস্ট সেলার লিস্টে ছিল।
    ❝দিলীপ কুমার ❞ ~ দ্যা ট্রাজেডি কিং অফ বলিউড সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেভিকা রানী তার স্টুডিও " বোম্বে টকিজ" এ বসে আছেন। হঠাৎ ই তার কাছে এক ছেলে আসে অভিনয় করার আশায়। অনেক বাছ - বিচার করার পড়ে তিনি ছেলেটিকে নামমাত্র স্যালারির এক জব অফার করেন। কিন্তু ছেলের নাম নিয়েই পড়েন ঝামেলায় । তখনকার সময়ে সে ছেলের ফ্যামিলির দেয়া নাম " মোহাম্মদ ইউসুফ খান " নিয়ে এই ছেলে যে বেশিদূর যেতে পারবে না তা তিনি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন। এ জন্যে সে তাকে তিনটি নাম দিয়ে যেকোন একটি বেছে নেয়ার কথা বলেন। প্রথম দুই নাম পছন্দ না হওয়ায় সেই ছেলে তৃতীয় নামটিই বেছে নেন যে নাম দিয়ে আজকে তিনি সবার পরিচিত - " দিলীপ কুমার " . - ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক অঞ্চলে দিলীপ কুমারের জন্ম। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তার পিতা তার ১১ ভাইবোনের সাথে তাকেও মুম্বাই নিয়ে এসে থাকতে থাকেন। প্রথম জীবনে পারিবারিক ফলের ব্যবসায় যোগ দিলেও দিলীপ কুমারের মন পড়ে থাকতো অন্য কোন জায়গায়। তাই সে পুনেতে চলে যায় আর সেখানে এক ক্যান্টিনে কাজ করা শুরু করে এবং পরে সেখানে এক স্যান্ডউইচ শপ ও খোলে। কিন্তু দোকানের কন্ট্রাক্ট শেষ হবার পরে আবারো মুম্বাই ফিরে আসে আর সেখানে একদিন সে ড. মাসানীর সাথে সে "বোম্বে টকিজ " এ যায়। সেখানেই দেভিকা রানীর সাথে তার দেখা হয় যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দেভিকা রানীর ষ্টুডিও থেকেই তার প্রথম ছবি " জোয়ার ভাটা " মুক্তি পায় কিন্তু দিলীপ কুমার সে রকম পরিচিতি পায় না। তবে সে ঠিকই তখনকার সময়ের ষ্টার " অশোক কুমার " এর নজরে পড়ে যায় ।ফলে আরো কয়েকটি রোলের অফার আসে। আরো কয়েকটি অসফল ছবির পরে " জুগনু " ছবি দিয়ে সে খানিকটা পরিচিতি পায়।আর তার পরবর্তী দুই ছবি " শহীদ " আর মেহবুব খানের " আন্তাজ " এর পরে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি যার ভিতরে আন্তাজ ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি। - ৫০ এর দশকেই তার আসল স্টারডম শুরু হয়। দিলীপ কুমার অভিনয় করতে থাকেন একের পর এক ট্রাজিক মুভিতে যা তাকে ট্রাজেডি কিং এর উপাধি এনে দেয়। এ সময়েই তিনি যোগান ,বাবুল ,দিদার ,দাগ, উড়ান খোটালা ,দেবদাস ,ইহুদি ,মধুমতি ইত্যাদি ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করেন। দাগ ছবিতে শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রথম filmfare best actor award জিতে নেন। দেবদাস ছবিতে সুচিত্রা সেন আর ভৈজন্তিমালার বিপরীতে করা দেবদাস চরিত্রকে বর্তমানে পঞ্চাশ এর দশকের বলিউডের অন্যতম সেরা চরিত্র হিসেবে ধরা হয়। - তবে শুধু ট্রাজিক রোলেই নয় ,বিভিন্ন সামাজিক ছবি যেমন ফুটপাথ , নয়া দৌড় , মুসাফির ,পয়গাম এর মতো ছবিতে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেও দিলীপ কুমার দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয় কেড়ে নেন। এছাড়াও আজাদ আর কোহিনুর ছবিতেও তার দুর্দান্ত অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। দিলীপ কুমারকে " ট্রাজেডি কিং " নামে বলার কারণে তার বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল রোলগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসেনি।সে সময়ে " কোহিনুর " ছবিতে সীতার বাজানোর জন্য সীতার শেখা থেকে নয়া দৌড় এ রিকশা চালানো সহ বিভিন্ন রকমের মেথড এক্টিং এর কারণে তাকে ভারতের অন্যতম সেরা মেথড এক্টরের ভিতরেও রাখা যায়। - ষাটের দশকের শুরুতেই তার অভিনীত কে.আসিফের " মুঘল - ই - আজম " মুক্তি পায় যা ভারতীয় ছবির ইতিহাসের সব বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দেয়। শাহজাদা সেলিমের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তায় দিলীপ কুমার নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।এর পরের বছর সে "গঙ্গা যমুনা" নামের আরেক বিখ্যাত ছবিতে প্রযোজনা আর অভিনয় করেন যা তাকে ন্যাশনাল এওয়ার্ড পাইয়ে দেয়। এর পরে কয়েকটি অসফল ছবির পড়ে সে "রাম অউর শাম " এ ডাবল চরিত্রে অভিনয় করে আবারো বিশাল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়াও ১৯৬৮ সালে তার আরো দুই ছবি " আদমি "এবং " সংঘর্ষ " বক্স অফিসে হিট হয় যা তাকে আইকনে পরিণত করে । - সত্তরের দশকে দিলীপ কুমার বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্টাল রোল করেন,যার ভিতরে এক বাংলা ভাষার ছবি " সাগিনা" ও ছিল।এর ভিতরে দাস্তান আর বৈরাগ বক্স অফিসে খুব বেশি আয় না করলেও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। এদিকে তার আরেক ছবি " গোপী " বেশ ভালো ব্যবসা করলেও ১৯৭৬ সালে তিনি অভিনয় থেকে পাঁচ বছরের অবসর নেন। - আশির দশকে ফিরে আসার পরপরই সে ক্রান্তি নামের ছবিতে অভিনয় করেন যা ঐবছরের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবিতে পরিণত হয়। এর পরেই সে বিধাতা , শক্তি ,মশাল ,দুনিয়া নামক ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন যার বেশিরভাই ব্যবসাসফল হয়।১৯৮৬ সালে তিনি অভিনয় করেন সুভাষ ঘাই এর " কার্মা " নামক ছবিতে যাকে আশির দশকের অন্যতম সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে বর্তমানে মানা হয় । তবে ৯০ এর দশকে তিনি খুব বেশি ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেননি। তার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি " কিলা " তে সে ডাবল রোলে অভিনয় করেন যা খুব বেশি সাফল্য পায়নি। - পর্দার ভিতরের সাথে সাথে পর্দার বাইরেও দিলীপ কুমার তার সময়ে ছিলেন সমান জনপ্রিয়। দিলীপ কুমারের সাথে প্রথম রোমান্সের খবর শোনা যায় কামিনী কৌশালের সাথে। পরে ভৈজন্তিমালার সাথে তার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোনটিই মধুবালার মত জনপ্রিয় হতে পারেনি। পর্দার ট্রাজিক কাহিনীর মতো তাদের বাস্তব জীবনের কাহিনীও ট্রাজিক। মধুবালার বাবার অমতে তাদের বিয়ে সে সময়ে হয় না। তার আর মধুবালার রোমান্স এবং বিচ্ছেদের কাহিনী সে সময়ে বলিউডে ছিল " টক অফ দ্যা টাউন " .পরে সে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে সে তাকে ছেড়ে আসমা খানের সাথে ঘর বাধে। সে বিয়েও অবশ্য খুব বেশিদিন টিকেনি। - মূলত অভিনেতা হলেও দিলীপ কুমার একই সাথে লেখক ,চিত্রনাট্যকার , এমনকি কবি ও । বিভিন্ন ছবিতে তার পোয়েটিক ডায়লগ তার সিগনেচার স্টাইল বলা যায়। "Kaun kambakth hai jo bardasht karne ke liye peeta hai ,main to peeta hoon ke bas saans le sakoon" এর মতো আইকনিক ডায়লগ কে তিনি তার তার পোয়েটিক স্টাইলে বলে অন্যরকম জনপ্রিয়তায় নিয়ে গেছেন। আর তার মেথড এক্টিং সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় ভাষায় বলা যায় সে হলো আল্টিমেট মেথড এক্টর , আর জাভেদ আখতারের ভাষায় বলা যায় সে হলো মেথড এক্টিং এর জন্মদাতা। - সম্মাননার দিক থেকে দিলীপ কুমার অদ্বিতীয়।তিনি মোটমাট ১৯ বার filmfare best actor এর নমিনেশন পান যার ভিতরে আটবার ( দাগ ,আজাদ , দেবদাস ,নয়া দৌড় ,কোহিনুর , লিডার , রাম অউর শাম ,শক্তি ) তা জিতে নেন। এছাড়াও "গঙ্গা যমুনা " ছবির জন্য তিনি ন্যাশনাল এওয়ার্ড ও পান। দাদাসাহেব ফালকে ,পদ্ম বিভূষণ , CNN-IBN Lifetime Achievement Award থেকে শুরু করে দেশে বিদেশে আরো নানা ধরণের এওয়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন তিনি। 📌Some Facts about Dilip Kumar ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ড জেতার জন্য "গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস " এ তার নাম আছে। - বিভিন্ন ছবিতে ট্রাজিক রোল প্লে করতে করতে সে ডিপ্রেশনে পরে যান এবং সাইক্রিয়াটিস্ট তাকে এ ধরণের রোল করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। - স্ক্রিপ্ট চুজিং এর ক্ষেত্রে দিলীপ কুমার বরাবরই খুঁতখুঁতে ছিলেন। এ স্বভাবের কারণে তিনি "মাদার ইন্ডিয়া" এর আইকনিক রোল বিরজু থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেন যা পরবতীতে বিশাল হিট হয়েছিল। শুধু বলিউড নয় , পরিচালক ডেভিড লিন তাকে তার বিখ্যাত ছবি "লরেন্স অফ আরাবিয়া " তে অভিনয়ের অফার দিলে সেটাও তিনি ফিরিয়ে দেন। - একমাত্র ব্যক্তি যে পাকিস্তানের নিশান - ই- ইমতিয়াজ আর ভারতের পদ্ম বিভূষণ এ ভূষিত হয়েছেন। - পাঁচ দশকের ও বেশি সময় ধরে চলা মুভি ক্যারিয়ারে মোট ৬৩ টি ছবিতে অভিনয় করেন। - মাঝে রাজনীতিতে ঢুকে তিনি একবার রাজ্যসভার সদস্য ও হয়েছেন। - সত্যজিৎ রায়ের মতে "the ultimate method actor" খ্যাত দিলীপ কুমার অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান সহ অসংখ্য অভিনেতার আইডল। - দিলীপ কুমারের বায়োগ্রাফি নিয়ে লেখা বই "The Substance and the Shadow" ওই বছরের অন্যতম সেরা বিক্রিত বায়োগ্রাফি যা আমাজনে দুই সপ্তাহ বেস্ট সেলার লিস্টে ছিল।
    0 Commentaires 0 Parts 173 Vue
Plus de résultats
BlackBird Ai
https://bbai.shop