• একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

    এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে।

    গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়।

    গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা।

    তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়।

    এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা।

    একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
    একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে। গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা। তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়। এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা। একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
    0 Kommentare 0 Geteilt 4 Ansichten
  • পৃথিবীর একমাত্র ভাসমান শহরে - ভেনিস
    ২০২৩ এর সর্বশেষ ইটালি ভ্লগ-এ, আমি ভেনিসীয় রাজ্যের প্রাচীন রাজধানী ভেনিস এক্সপ্লোর করি এবং এর কিছু জনপ্রিয় এবং অ-জনপ্রিয় ল্যান্ডমার্কের মধ্য দিয়ে যাই। সরু রাস্তাগুলোয় আমরা পায়ে হেঁটে এবং বিখ্যাত ক্যানেলগুলোতে একটি গন্ডোলায় ঘুরে বেড়িয়ে গল্পটি বলি যে কীভাবে এই শহরটি ৪০০টি ইউরোপের জন্য ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী শহর হয়ে ওঠে যখন আশ্চর্যজনকভাবে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এর যায়গা শাসন করা হয় এবং কেন এটি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে অনন্য একটি ভাসমান শহর। আমরা পরিদর্শন করি বিখ্যাত ব্রিজ, ক্যানেল, মার্কেট, জনপ্রিয় সেন্ট মার্কস স্কয়ার, দ্য গ্র্যান্ড আর্সেনাল সহ আরও অনেক কিছু।
    পৃথিবীর একমাত্র ভাসমান শহরে - ভেনিস 🇮🇹 ২০২৩ এর সর্বশেষ ইটালি ভ্লগ-এ, আমি ভেনিসীয় রাজ্যের প্রাচীন রাজধানী ভেনিস এক্সপ্লোর করি এবং এর কিছু জনপ্রিয় এবং অ-জনপ্রিয় ল্যান্ডমার্কের মধ্য দিয়ে যাই। সরু রাস্তাগুলোয় আমরা পায়ে হেঁটে এবং বিখ্যাত ক্যানেলগুলোতে একটি গন্ডোলায় ঘুরে বেড়িয়ে গল্পটি বলি যে কীভাবে এই শহরটি ৪০০টি ইউরোপের জন্য ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী শহর হয়ে ওঠে যখন আশ্চর্যজনকভাবে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এর যায়গা শাসন করা হয় এবং কেন এটি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে অনন্য একটি ভাসমান শহর। আমরা পরিদর্শন করি বিখ্যাত ব্রিজ, ক্যানেল, মার্কেট, জনপ্রিয় সেন্ট মার্কস স্কয়ার, দ্য গ্র্যান্ড আর্সেনাল সহ আরও অনেক কিছু।
    0 Kommentare 0 Geteilt 33 Ansichten
  • আমি গিয়েছিলাম আমার সবচেয়ে বড় বাকেট লিস্টের গন্তব্যে , ডলোমাইটস্‌ (ইটালিয়ান আল্পস্‌) এ, যেটা ইটালির দক্ষিন টাইরল এ। আমাদের ৩ দিনের রোড ট্রিপটা আমি এই ভিডিওটির মাধ্যমে আমার যাত্রাকে ডকুমেন্ট করেছি। আমরা ইটালিয়ান শহর বেলুনোতে থেকেছি এবং প্রথম দিন গিয়েছি অসাধারণ লাগো দি ব্রায়েস (লেক ব্রায়েস) , দ্বিতীয় দিন গিয়েছি সেচেদা (আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটা) এবং শেষ দিনে অবশেষে গিয়েছি জনপ্রিয় ট্রে চিমে দি লাভারেদো (তিন চূড়া)। আমি মনে প্রাণে চেষ্টা করেছি (বা ৩ দিনে যতটা পেরেছি) এই ভিডিওটি ফিল্ম করার জন্য এবং সর্বোচ্চটা দিয়েছি ভিডিও এডিট করার জন্য। আশা করি ভিডিওটি আপনাদের পছন্দ হবে :)))

    ডলোমাইটস্‌ ইটালি ২০২৩ ভ্লগ
    আমি গিয়েছিলাম আমার সবচেয়ে বড় বাকেট লিস্টের গন্তব্যে , ডলোমাইটস্‌ (ইটালিয়ান আল্পস্‌) এ, যেটা ইটালির দক্ষিন টাইরল এ। আমাদের ৩ দিনের রোড ট্রিপটা আমি এই ভিডিওটির মাধ্যমে আমার যাত্রাকে ডকুমেন্ট করেছি। আমরা ইটালিয়ান শহর বেলুনোতে থেকেছি এবং প্রথম দিন গিয়েছি অসাধারণ লাগো দি ব্রায়েস (লেক ব্রায়েস) , দ্বিতীয় দিন গিয়েছি সেচেদা (আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটা) এবং শেষ দিনে অবশেষে গিয়েছি জনপ্রিয় ট্রে চিমে দি লাভারেদো (তিন চূড়া)। আমি মনে প্রাণে চেষ্টা করেছি (বা ৩ দিনে যতটা পেরেছি) এই ভিডিওটি ফিল্ম করার জন্য এবং সর্বোচ্চটা দিয়েছি ভিডিও এডিট করার জন্য। আশা করি ভিডিওটি আপনাদের পছন্দ হবে :))) ডলোমাইটস্‌ ইটালি ২০২৩ ভ্লগ
    Wow
    1
    0 Kommentare 0 Geteilt 33 Ansichten
  • সেদিন ছিল ২০০৯ সালের ১৫ই জানুয়ারি, নিউইয়র্কের কনকনে শীতের এক দুপুর। লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে মাত্রই উড্ডয়ন করেছে ইউএস এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ১৫৪৯। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায় এক ঝাঁক পাখির সঙ্গে ধাক্কায় বিমানের দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। ককপিটে ক্যাপ্টেন চেসলি "সালি" সালেনবার্গার এবং ফার্স্ট অফিসার জেফরি স্কাইলস বুঝতে পারেন, বিমানবন্দরে ফেরা অসম্ভব।

    ১৫৫ জন যাত্রীর জীবন যখন সুতোয় ঝুলছে, ক্যাপ্টেন সালি এক দুঃসাহসিক কিন্তু একমাত্র উপায়টি বেছে নেন-বিমানটিকে তিনি নিউইয়র্কের বুক চিরে বয়ে চলা হিমশীতল হাডসন নদীতে অবতরণ করাবেন। তাঁর অবিশ্বাস্য দক্ষতা, অবিচল মনোযোগ এবং অসীম সাহসিকতায় বিমানটি একটি নৌকার মতো নদীর জলে নেমে আসে। কোনো বিস্ফোরণ ঘটেনি, বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়নি।

    যাত্রীরা বিমানের ডানায় এবং উদ্ধারকারী নৌকায় আশ্রয় নেন। চারপাশের ফেরি এবং উদ্ধারকারী দলগুলো মুহূর্তের মধ্যে ছুটে আসে। হিমাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রার তীব্রতা উপেক্ষা করে চলে উদ্ধারকাজ। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের ১৫৫ জন যাত্রীর সকলেই সেদিন প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন। ক্যাপ্টেন সালির এই অসামান্য কীর্তি শুধু আমেরিকায় নয়, গোটা বিশ্বে বিমানচালনার ইতিহাসে এক বীরত্বগাথা হয়ে রয়েছে।
    সেদিন ছিল ২০০৯ সালের ১৫ই জানুয়ারি, নিউইয়র্কের কনকনে শীতের এক দুপুর। লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে মাত্রই উড্ডয়ন করেছে ইউএস এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ১৫৪৯। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায় এক ঝাঁক পাখির সঙ্গে ধাক্কায় বিমানের দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। ককপিটে ক্যাপ্টেন চেসলি "সালি" সালেনবার্গার এবং ফার্স্ট অফিসার জেফরি স্কাইলস বুঝতে পারেন, বিমানবন্দরে ফেরা অসম্ভব। ১৫৫ জন যাত্রীর জীবন যখন সুতোয় ঝুলছে, ক্যাপ্টেন সালি এক দুঃসাহসিক কিন্তু একমাত্র উপায়টি বেছে নেন-বিমানটিকে তিনি নিউইয়র্কের বুক চিরে বয়ে চলা হিমশীতল হাডসন নদীতে অবতরণ করাবেন। তাঁর অবিশ্বাস্য দক্ষতা, অবিচল মনোযোগ এবং অসীম সাহসিকতায় বিমানটি একটি নৌকার মতো নদীর জলে নেমে আসে। কোনো বিস্ফোরণ ঘটেনি, বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়নি। যাত্রীরা বিমানের ডানায় এবং উদ্ধারকারী নৌকায় আশ্রয় নেন। চারপাশের ফেরি এবং উদ্ধারকারী দলগুলো মুহূর্তের মধ্যে ছুটে আসে। হিমাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রার তীব্রতা উপেক্ষা করে চলে উদ্ধারকাজ। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের ১৫৫ জন যাত্রীর সকলেই সেদিন প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন। ক্যাপ্টেন সালির এই অসামান্য কীর্তি শুধু আমেরিকায় নয়, গোটা বিশ্বে বিমানচালনার ইতিহাসে এক বীরত্বগাথা হয়ে রয়েছে।
    0 Kommentare 0 Geteilt 44 Ansichten
  • ভাবুন তো হেডফোন বা ইয়ারবাড ছাড়াই আপনি গান শুনছেন কিংবা ভিড়ের মাঝে কাউকে ব্যক্তিগত কথা বলছেন অথচ আশেপাশে কেউ কিছুই শুনতে পাচ্ছে না!

    হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, এমনি এক সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যেটা শব্দকে পৌঁছে দিতে পারে ঠিক নির্দিষ্ট জায়গায়। কাউকে বিরক্ত না করে, কারো কানে পৌঁছানো ছাড়াই।

    কিন্তু এই প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে?

    আমরা সবাই জানি শব্দ একধরনের কম্পন যা বাতাসের মধ্যে তরঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তবে সমস্যা হলো শব্দকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কারণ এটা সহজে ছড়িয়ে পড়ে। এর পেছনে রয়েছে ডিফ্র্যাকশন নামের একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, যা শব্দ তরঙ্গকে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি যত কম, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য তত বেশি। ফলে শব্দ তত বেশি দূরে ছড়ায়।

    সাধারণত শব্দ তরঙ্গ একসাথে কাজ করে লিনিয়ার উপায়ে। কিন্তু যদি তারা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়, তখন তারা ননলিনিয়ার আচরণ করে এবং নতুন নতুন ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করে। আর এখানেই গবেষকদের অভিনব আইডিয়ার শুরু।

    গবেষকরা হাই ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ড (ultrasound) ব্যবহার করেছেন যা মানুষের শ্রবণ সীমার বাইরে (20 kHz এর ওপরে)। তারা দুটি আল্ট্রাসাউন্ড বিম ব্যবহার করেছেন। এই বিমগুলো মানুষ শুনতে পায় না, কিন্তু যখন এগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মিলিত হয়, তখন একসাথে একধরনের ননলিনিয়ার প্রভাব তৈরি করে। এর ফলে সেখানে তৈরি হয় শ্রবণযোগ্য একটি শব্দ তরঙ্গ। যা কেবল সেই নির্দিষ্ট জায়গাতেই শোনা যায়।

    গবেষকরা অ্যাকাউস্টিক মেটাসারফেস নামে আরও একটি বিশেষ উপাদান ব্যবহার করেছেন যা শব্দ তরঙ্গের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন অপটিক্যাল লেন্স আলোকে বাঁকায়, তেমনি এই মেটাসারফেস শব্দ তরঙ্গকে বাঁকিয়ে নির্দিষ্ট শ্রোতার দিকে পৌঁছে দিতে পারে নিখুঁতভাবে।

    আগেই খুশি হবেন না কারণ প্রযুক্তিটা এখনও বাজারে আসার মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি। কারণ এতে শব্দের গুণমানে সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে ননলিনিয়ার ডিসটরশন এর কারণে। আর আল্ট্রাসাউন্ডকে শ্রবণযোগ্য শব্দে রূপান্তর করতে অনেক শক্তি লাগে, যা এখনো বেশ ব্যয়বহুল।

    তবে যদি ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে, তাহলে তা প্রযুক্তি জগতে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা করতে পারে।

    সূত্র: দ্য কনভারসেশন
    ভাবুন তো হেডফোন বা ইয়ারবাড ছাড়াই আপনি গান শুনছেন কিংবা ভিড়ের মাঝে কাউকে ব্যক্তিগত কথা বলছেন অথচ আশেপাশে কেউ কিছুই শুনতে পাচ্ছে না! হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, এমনি এক সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যেটা শব্দকে পৌঁছে দিতে পারে ঠিক নির্দিষ্ট জায়গায়। কাউকে বিরক্ত না করে, কারো কানে পৌঁছানো ছাড়াই। কিন্তু এই প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে? আমরা সবাই জানি শব্দ একধরনের কম্পন যা বাতাসের মধ্যে তরঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তবে সমস্যা হলো শব্দকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কারণ এটা সহজে ছড়িয়ে পড়ে। এর পেছনে রয়েছে ডিফ্র্যাকশন নামের একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, যা শব্দ তরঙ্গকে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি যত কম, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য তত বেশি। ফলে শব্দ তত বেশি দূরে ছড়ায়। সাধারণত শব্দ তরঙ্গ একসাথে কাজ করে লিনিয়ার উপায়ে। কিন্তু যদি তারা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়, তখন তারা ননলিনিয়ার আচরণ করে এবং নতুন নতুন ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করে। আর এখানেই গবেষকদের অভিনব আইডিয়ার শুরু। গবেষকরা হাই ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ড (ultrasound) ব্যবহার করেছেন যা মানুষের শ্রবণ সীমার বাইরে (20 kHz এর ওপরে)। তারা দুটি আল্ট্রাসাউন্ড বিম ব্যবহার করেছেন। এই বিমগুলো মানুষ শুনতে পায় না, কিন্তু যখন এগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মিলিত হয়, তখন একসাথে একধরনের ননলিনিয়ার প্রভাব তৈরি করে। এর ফলে সেখানে তৈরি হয় শ্রবণযোগ্য একটি শব্দ তরঙ্গ। যা কেবল সেই নির্দিষ্ট জায়গাতেই শোনা যায়। গবেষকরা অ্যাকাউস্টিক মেটাসারফেস নামে আরও একটি বিশেষ উপাদান ব্যবহার করেছেন যা শব্দ তরঙ্গের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন অপটিক্যাল লেন্স আলোকে বাঁকায়, তেমনি এই মেটাসারফেস শব্দ তরঙ্গকে বাঁকিয়ে নির্দিষ্ট শ্রোতার দিকে পৌঁছে দিতে পারে নিখুঁতভাবে। আগেই খুশি হবেন না কারণ প্রযুক্তিটা এখনও বাজারে আসার মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি। কারণ এতে শব্দের গুণমানে সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে ননলিনিয়ার ডিসটরশন এর কারণে। আর আল্ট্রাসাউন্ডকে শ্রবণযোগ্য শব্দে রূপান্তর করতে অনেক শক্তি লাগে, যা এখনো বেশ ব্যয়বহুল। তবে যদি ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে, তাহলে তা প্রযুক্তি জগতে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা করতে পারে। সূত্র: দ্য কনভারসেশন
    0 Kommentare 0 Geteilt 51 Ansichten
  • আমাদের সমাজে শ্রবণহীনতা একটি সাধারণ সমস্যা। প্রতি হাজারে প্রায় তিনজন নবজাতক জন্মায় এক বা উভয় কানে শ্রবণ সমস্যার সঙ্গে। অনেকের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি কার্যকর সমাধান হলেও, এটি ডিভাইসের মাধ্যমে কাজ করে। তাই প্রাকৃতিকভাবে শোনার সূক্ষ্মতা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে পারে না।

    তবে সম্প্রতি এক যুগান্তকারী জিন থেরাপি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র একবারের জিন থেরাপি ইনজেকশনই জন্মগত বধিরতার বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে OTOF জিনে মিউটেশন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন থেরাপি আশার আলো দেখাচ্ছে।

    OTOF জিন ওটোফেরলিন নামের একটি প্রোটিন তৈরি করে, যা কানের ভেতর থেকে মস্তিষ্কে শব্দের সংকেত পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এই জিনে সমস্যা থাকলে শব্দ সংকেত পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটে এবং জন্ম থেকেই শিশুরা গভীর শ্রবণহীনতায় ভোগে।

    এজন্য গবেষকরা একটি সংশোধিত ভাইরাস ব্যবহার করেছেন, যা শ্রবণ কোষের উপর সংযুক্ত হয়ে কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করে নতুন OTOF জিনের নির্দেশনা পৌঁছে দেয়। এর ফলে কোষগুলো আবার ওটোফেরলিন প্রোটিন উৎপাদন শুরু করে এবং রোগীর শ্রবণশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে ফিরে আসে।

    পরীক্ষাটি চালানো হয় ১ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১০ জন রোগীর ওপর। অধিকাংশ রোগী মাত্র এক মাসের মধ্যে শ্রবণশক্তির উন্নতি অনুভব করেন। শিশুদের ক্ষেত্রে ফলাফল ছিল সবচেয়ে ভালো। সাত বছরের এক মেয়ে মাত্র চার মাসের মধ্যে তার মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলতে শুরু করে। গবেষণায় গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, শুধুমাত্র কিছু ক্ষেত্রে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা সামান্য হ্রাস লক্ষ করা গেছে।

    এই সফলতা জিনগত বধিরতার চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। ভবিষ্যতে আরও সাধারণ জিন যেমন GJB2 ও TMC1 এর ওপর কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও সেগুলো একটু বেশি জটিল, প্রাণী মডেলগুলোতে ইতিমধ্যেই আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে।

    যদি ভবিষ্যতে এই থেরাপি ব্যাপকভাবে সফল হয়, তবে এটি শুধুমাত্র শ্রবণহীনতা নিরাময়ে নয়, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে। (বিজ্ঞান্বেষী)

    লেখা: নূসাইবা হাসান
    সূত্র: দ্য কনভারসেশন
    #Bigganneshi #GeneTherapy #HearingLoss #OTOFgene
    আমাদের সমাজে শ্রবণহীনতা একটি সাধারণ সমস্যা। প্রতি হাজারে প্রায় তিনজন নবজাতক জন্মায় এক বা উভয় কানে শ্রবণ সমস্যার সঙ্গে। অনেকের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি কার্যকর সমাধান হলেও, এটি ডিভাইসের মাধ্যমে কাজ করে। তাই প্রাকৃতিকভাবে শোনার সূক্ষ্মতা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে পারে না। তবে সম্প্রতি এক যুগান্তকারী জিন থেরাপি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র একবারের জিন থেরাপি ইনজেকশনই জন্মগত বধিরতার বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে OTOF জিনে মিউটেশন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন থেরাপি আশার আলো দেখাচ্ছে। OTOF জিন ওটোফেরলিন নামের একটি প্রোটিন তৈরি করে, যা কানের ভেতর থেকে মস্তিষ্কে শব্দের সংকেত পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এই জিনে সমস্যা থাকলে শব্দ সংকেত পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটে এবং জন্ম থেকেই শিশুরা গভীর শ্রবণহীনতায় ভোগে। এজন্য গবেষকরা একটি সংশোধিত ভাইরাস ব্যবহার করেছেন, যা শ্রবণ কোষের উপর সংযুক্ত হয়ে কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করে নতুন OTOF জিনের নির্দেশনা পৌঁছে দেয়। এর ফলে কোষগুলো আবার ওটোফেরলিন প্রোটিন উৎপাদন শুরু করে এবং রোগীর শ্রবণশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে ফিরে আসে। পরীক্ষাটি চালানো হয় ১ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১০ জন রোগীর ওপর। অধিকাংশ রোগী মাত্র এক মাসের মধ্যে শ্রবণশক্তির উন্নতি অনুভব করেন। শিশুদের ক্ষেত্রে ফলাফল ছিল সবচেয়ে ভালো। সাত বছরের এক মেয়ে মাত্র চার মাসের মধ্যে তার মায়ের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলতে শুরু করে। গবেষণায় গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, শুধুমাত্র কিছু ক্ষেত্রে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা সামান্য হ্রাস লক্ষ করা গেছে। এই সফলতা জিনগত বধিরতার চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। ভবিষ্যতে আরও সাধারণ জিন যেমন GJB2 ও TMC1 এর ওপর কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও সেগুলো একটু বেশি জটিল, প্রাণী মডেলগুলোতে ইতিমধ্যেই আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। যদি ভবিষ্যতে এই থেরাপি ব্যাপকভাবে সফল হয়, তবে এটি শুধুমাত্র শ্রবণহীনতা নিরাময়ে নয়, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে। (বিজ্ঞান্বেষী) লেখা: নূসাইবা হাসান সূত্র: দ্য কনভারসেশন #Bigganneshi #GeneTherapy #HearingLoss #OTOFgene
    0 Kommentare 0 Geteilt 52 Ansichten
  • একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

    এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে।

    গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়।

    গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা।

    তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়।

    এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা।

    একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী)

    তথ্যসূত্র: সায়েন্স এলার্ট, সায়েন্টিফিক রিপোর্টস
    #Bigganneshi #neuroscience #brain #zombie
    একজন মানুষ মা'রা গেলে সাধারণভাবে আমরা ধরেই নিই তার শরীরের সবকিছু থেমে গেছে—রক্ত সঞ্চালন নেই, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, কোষগুলো নিষ্ক্রিয়। কিন্তু শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিছু কোষ আছে যেগুলো মৃ'ত্যু পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত না শুধু টিকে থাকে বরং আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই কোষগুলোকেই বলা হচ্ছে জম্বি কোষ। এখানে জম্বি বলতে Walking De'ad টাইপ কিছু বোঝানো হচ্ছে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল লেভেলে। মৃ'ত্যুর পর নিউরোনাল (স্নায়ুকোষ) কোষগুলোর কার্যকলাপ কমে গেলে গ্লিয়াল কোষ নামে পরিচিত একধরনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোষ ঠিক উল্টোভাবে জেগে উঠে কাজ শুরু করে। গ্লিয়াল কোষ মূলত মস্তিষ্কে ক্ষত সারানো, বর্জ্য পরিষ্কার এবং ইনফ্ল্যামেশন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ব্রেইন ইনজুরি, স্ট্রোক বা অক্সিজেনের অভাবে এরা সক্রিয় হয়। মৃ'ত্যুর ঘটনাও তাদের কাছে একধরনের বিপর্যয় তাই তারা আপন তাগিদে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা শাখা-প্রশাখা তৈরি করে, আশপাশ পরিষ্কার করে, এমনকি জিন এক্সপ্রেশনও বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মৃ'ত্যুর পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই কোষগুলো সক্রিয় থাকে। অথচ স্নায়ু কোষগুলো সেই সময়েই কার্যত নীরব। এটা বোঝার জন্য একটা ব্যাপার পরিষ্কার রাখা দরকার। মৃ'ত্যু মানে শরীর এক ঝটকায় থেমে যাওয়া নয়। হৃদস্পন্দন থেমে গেলেও কিছু কোষের মৃ'ত্যু হতে সময় লাগে। এই সময়েই দেখা যায় এই অদ্ভুত জৈবিক তৎপরতা। তবে ভুল বোঝার সুযোগ আছে। এটা ভাবার কারণ নেই যে মস্তিষ্ক চিন্তা করে যাচ্ছে বা মানুষ আধামৃ'ত অবস্থায় আছে। জোম্বি কোষ মানে হচ্ছে কিছু কোষ জীবপ্রক্রিয়া বজায় রেখে একটা সীমিত সময় ধরে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়। এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটা বড় প্রশ্ন তুলেছেন। গবেষকরা যেসব ব্রেইন ডিজঅর্ডার নিয়ে গবেষণা করে যেমন অটিজম, অ্যালঝেইমার, স্কিজোফ্রেনিয়া, তার অনেকটাই করা হয় মৃ'ত্যুর পর সংগৃহীত মস্তিষ্কের টিস্যু ব্যবহার করে। কিন্তু যদি এই টিস্যু সংগ্রহে দেরি হয়, তাহলে গ্লিয়াল কোষের এই জেগে ওঠা আচরণ গবেষণার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই গবেষকদের উচিত পোস্টমর্টেম গবেষণার আগে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলো মাথায় রেখে গবেষণা করা। একটা বিষয় স্পষ্ট, মৃ'ত্যু মানেই সবকিছু থেমে যায় না। আমরা যাকে এক কথায় মৃ'ত বলি, আদতে শরীরের ভেতরে কিছু কোষ হয়তো তখনও নিজের শেষ কাজটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী) তথ্যসূত্র: সায়েন্স এলার্ট, সায়েন্টিফিক রিপোর্টস #Bigganneshi #neuroscience #brain #zombie
    0 Kommentare 0 Geteilt 57 Ansichten
  • দুঃস্বপ্ন শুধু রাতের ঘুম কেড়ে নেয় না বরং নিয়ে আসতে পারে আপনার জীবনের জন্য নীরব হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বড় গবেষণার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যাঁরা সপ্তাহে একাধিকবার দুঃস্বপ্নে ভোগেন তাঁদের অকাল মৃত্যুর (৭৫ বছরের আগেই) সম্ভাবনা তিন গুণ পর্যন্ত বেশি। এমনকি বয়স, ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য বা ধূমপানের মতো ঝুঁকির বিষয় হিসেবে নিয়েও। গবেষণাটি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ৪,০০০ জনেরও বেশি মানুষের উপর চালানো হয়।

    গবেষকরা ডিএনএতে থাকা বিশেষ রাসায়নিক চিহ্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন, দুঃস্বপ্নে ভোগা মানুষেরা প্রকৃত বয়সের তুলনায় জৈবিকভাবে বেশি বয়স্ক। ঘুমের সময়ের তীব্র মানসিক চাপ ও অনিদ্রা কোষের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে, শরীরের মেরামত প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

    REM (Rapid Eye Movement) চক্রে ঘুমের সময় যখন দুঃস্বপ্ন দেখা হয় তখন শরীরে অ্যাড্রেনালিন ও কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটা নিয়মিত হলে শরীর দিনভর একটা চাপের মধ্যে থাকে যা প্রদাহ ও রক্তচাপ বাড়ায় এবং কোষের ক্ষয় ত্বরান্বিত করে।

    এখানেই শেষ নয়। নিয়মিত দুঃস্বপ্ন ভবিষ্যতে পারকিনসন কিংবা ডিমেনশিয়ার মতো জটিল স্নায়বিক রোগের সম্ভাবনাও বাড়ায়। কারণ স্বপ্নের জন্য মস্তিষ্কের যে অংশগুলো দায়ী সেগুলোই এ ধরনের রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    তবে আশার কথা এই যে দুঃস্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসার মাধ্যমে ঘুমের মান উন্নত করার পাশাপাশি দীর্ঘায়ু অর্জনও সম্ভব। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি বা CBT এবং ইমেজরি রিহার্সাল থেরাপি নামের এক ধরনের পদ্ধতিতে দুঃস্বপ্নের দৃশ্য কল্পনা করে তার পরিণতি পাল্টে ফেলার চর্চা করা হয়। এটা ভয়কে হার মানানোর একটি সহজ উপায়!

    এছাড়াও গবেষণাটি এখনো পিয়ার রিভিউড নয় এবং অংশগ্রহণকারীদের ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য কিছুটা কম ছিল। তাই ফলাফল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তবুও দীর্ঘমেয়াদি তথ্য, সরকারি মৃত্যুর নথি আর বিভিন্ন দল থেকে সংগৃহীত উপাত্ত ব্যবহার করায় এই গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী)
    #nightmare #science #Bigganneshi
    দুঃস্বপ্ন শুধু রাতের ঘুম কেড়ে নেয় না বরং নিয়ে আসতে পারে আপনার জীবনের জন্য নীরব হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বড় গবেষণার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যাঁরা সপ্তাহে একাধিকবার দুঃস্বপ্নে ভোগেন তাঁদের অকাল মৃত্যুর (৭৫ বছরের আগেই) সম্ভাবনা তিন গুণ পর্যন্ত বেশি। এমনকি বয়স, ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য বা ধূমপানের মতো ঝুঁকির বিষয় হিসেবে নিয়েও। গবেষণাটি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ৪,০০০ জনেরও বেশি মানুষের উপর চালানো হয়। গবেষকরা ডিএনএতে থাকা বিশেষ রাসায়নিক চিহ্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন, দুঃস্বপ্নে ভোগা মানুষেরা প্রকৃত বয়সের তুলনায় জৈবিকভাবে বেশি বয়স্ক। ঘুমের সময়ের তীব্র মানসিক চাপ ও অনিদ্রা কোষের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে, শরীরের মেরামত প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। REM (Rapid Eye Movement) চক্রে ঘুমের সময় যখন দুঃস্বপ্ন দেখা হয় তখন শরীরে অ্যাড্রেনালিন ও কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটা নিয়মিত হলে শরীর দিনভর একটা চাপের মধ্যে থাকে যা প্রদাহ ও রক্তচাপ বাড়ায় এবং কোষের ক্ষয় ত্বরান্বিত করে। এখানেই শেষ নয়। নিয়মিত দুঃস্বপ্ন ভবিষ্যতে পারকিনসন কিংবা ডিমেনশিয়ার মতো জটিল স্নায়বিক রোগের সম্ভাবনাও বাড়ায়। কারণ স্বপ্নের জন্য মস্তিষ্কের যে অংশগুলো দায়ী সেগুলোই এ ধরনের রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আশার কথা এই যে দুঃস্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসার মাধ্যমে ঘুমের মান উন্নত করার পাশাপাশি দীর্ঘায়ু অর্জনও সম্ভব। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি বা CBT এবং ইমেজরি রিহার্সাল থেরাপি নামের এক ধরনের পদ্ধতিতে দুঃস্বপ্নের দৃশ্য কল্পনা করে তার পরিণতি পাল্টে ফেলার চর্চা করা হয়। এটা ভয়কে হার মানানোর একটি সহজ উপায়! এছাড়াও গবেষণাটি এখনো পিয়ার রিভিউড নয় এবং অংশগ্রহণকারীদের ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য কিছুটা কম ছিল। তাই ফলাফল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তবুও দীর্ঘমেয়াদি তথ্য, সরকারি মৃত্যুর নথি আর বিভিন্ন দল থেকে সংগৃহীত উপাত্ত ব্যবহার করায় এই গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। (বিজ্ঞান্বেষী) #nightmare #science #Bigganneshi
    0 Kommentare 0 Geteilt 53 Ansichten
  • উদ্ভিদকে আমরা অনেকেই নিঃস্পন্দ, অনুভূতিহীন জীব মনে করি। উদ্ভিদ নড়াচড়া করা বা সাড়া দেয় না—এই ধারণা এতটাই সাধারণ যে আমরা জানতেই পারিনা উদ্ভিদ আমাদের চারপাশে কত সক্রিয়ভাবে পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে।

    সাম্প্রতিক দুটি গবেষণা আমাদের এই প্রচলিত ভাবনার বিপরীত এক বাস্তবতা তুলে ধরেছে। গাছপালা শব্দ শুনতে পারে। আর তা শুধু সাধারণ শব্দ নয়, বরং এমন সূক্ষ্ম শব্দও যা আমাদের শ্রবণের বাইরে পড়ে।

    গবেষণায় দেখা যায়, মৌমাছির মতো পরাগবাহী পোকার ডানার গুঞ্জন এক ধরনের সিগন্যাল তৈরি করে। এই সিগন্যাল সনাক্ত করে স্ন্যাপড্রাগন নামের একটি ফুল তার নেকটার বা মধুর ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়, যেন মৌমাছি তার কাছেই বেশি সময় থাকে। মূলত পরাগায়ন নিশ্চিত করতেই স্ন্যাপড্রাগন এই কৌশল অবলম্বন করে।

    অন্যদিকে আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাটারপিলার যখন Arabidopsis নামের একটি গাছের পাতা খায়, তখন সেই পাতাগুলো একধরনের কম্পন তৈরি করে। এই কম্পনের শব্দ রেকর্ড করে বিজ্ঞানীরা অন্য Arabidopsis গাছকে শোনান। আশ্চর্যজনকভাবে সেই গাছ তখনই প্রতিরক্ষামূলক রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে, যেটা পোকাদের জন্য অপছন্দনীয় বা ক্ষতিকর।

    মজার ব্যাপার হলো, এই প্রতিক্রিয়া শুধু তখনই দেখা যায়, যখন শব্দটা সত্যি আক্রমণাত্মক মনে হয়। বাতাসের শব্দ বা অন্য পোকার শব্দ শোনালে গাছ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

    তবে গাছ কি কানে শোনে? না। গাছের শোনার পদ্ধতি আমাদের মতো নয়। তারা শব্দতরঙ্গ বা কম্পন বুঝতে পারে মাটি, কান্ড বা পাতার মাধ্যমে। একে বলে vibroacoustic sensitivity। উদ্ভিদ পরিবেশের সঙ্গে খুব সূক্ষ্মভাবে যুক্ত। তারা শুধু আলো বা পানি নয়, শব্দ, কম্পন, এমনকি আশেপাশের প্রাণীর উপস্থিতিও অনুভব করতে পারে।

    এই তথ্য কৃষিক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। ভবিষ্যতে হয়তো এমন প্রযুক্তি আসবে, যেখানে গাছকে ভয় দেখিয়ে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাড়ানো যাবে কীটনাশক ছাড়াই। (বিজ্ঞান্বেষী)

    লেখা: ইয়াসিন খন্দকার

    #science #nature #Bigganneshi #bee #tree
    উদ্ভিদকে আমরা অনেকেই নিঃস্পন্দ, অনুভূতিহীন জীব মনে করি। উদ্ভিদ নড়াচড়া করা বা সাড়া দেয় না—এই ধারণা এতটাই সাধারণ যে আমরা জানতেই পারিনা উদ্ভিদ আমাদের চারপাশে কত সক্রিয়ভাবে পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে। সাম্প্রতিক দুটি গবেষণা আমাদের এই প্রচলিত ভাবনার বিপরীত এক বাস্তবতা তুলে ধরেছে। গাছপালা শব্দ শুনতে পারে। আর তা শুধু সাধারণ শব্দ নয়, বরং এমন সূক্ষ্ম শব্দও যা আমাদের শ্রবণের বাইরে পড়ে। গবেষণায় দেখা যায়, মৌমাছির মতো পরাগবাহী পোকার ডানার গুঞ্জন এক ধরনের সিগন্যাল তৈরি করে। এই সিগন্যাল সনাক্ত করে স্ন্যাপড্রাগন নামের একটি ফুল তার নেকটার বা মধুর ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়, যেন মৌমাছি তার কাছেই বেশি সময় থাকে। মূলত পরাগায়ন নিশ্চিত করতেই স্ন্যাপড্রাগন এই কৌশল অবলম্বন করে। অন্যদিকে আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাটারপিলার যখন Arabidopsis নামের একটি গাছের পাতা খায়, তখন সেই পাতাগুলো একধরনের কম্পন তৈরি করে। এই কম্পনের শব্দ রেকর্ড করে বিজ্ঞানীরা অন্য Arabidopsis গাছকে শোনান। আশ্চর্যজনকভাবে সেই গাছ তখনই প্রতিরক্ষামূলক রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে, যেটা পোকাদের জন্য অপছন্দনীয় বা ক্ষতিকর। মজার ব্যাপার হলো, এই প্রতিক্রিয়া শুধু তখনই দেখা যায়, যখন শব্দটা সত্যি আক্রমণাত্মক মনে হয়। বাতাসের শব্দ বা অন্য পোকার শব্দ শোনালে গাছ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে গাছ কি কানে শোনে? না। গাছের শোনার পদ্ধতি আমাদের মতো নয়। তারা শব্দতরঙ্গ বা কম্পন বুঝতে পারে মাটি, কান্ড বা পাতার মাধ্যমে। একে বলে vibroacoustic sensitivity। উদ্ভিদ পরিবেশের সঙ্গে খুব সূক্ষ্মভাবে যুক্ত। তারা শুধু আলো বা পানি নয়, শব্দ, কম্পন, এমনকি আশেপাশের প্রাণীর উপস্থিতিও অনুভব করতে পারে। এই তথ্য কৃষিক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। ভবিষ্যতে হয়তো এমন প্রযুক্তি আসবে, যেখানে গাছকে ভয় দেখিয়ে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাড়ানো যাবে কীটনাশক ছাড়াই। (বিজ্ঞান্বেষী) লেখা: ইয়াসিন খন্দকার #science #nature #Bigganneshi #bee #tree
    0 Kommentare 0 Geteilt 56 Ansichten
  • আমেরিকার মন্ত্রণালয় কয়টি? ১৫টি। অথচ আমেরিকার অর্থনীতির সাইজ, আয়তন হিসাবে আমেরিকার সাইজ বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক গুন বড়। ইউরোপের দেশগুলোর গড়ে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যাও ১৫-২০! বাংলাদেশের ৫৪টি। তার উপর আছে অধিদপ্তর। ভারত আমাদের চেয়ে কম পক্ষে ২২ গুন বড়! অথচ সেই দেশে মন্ত্রণালয় মাত্র ৫৪টি। বাংলাদেশে কেন এত মন্ত্রণালয় এবং এত অধিদপ্তর। এত মন্ত্রণালয় মানে হাজার হাজার আমলা আর ৫০ এর অধিক মন্ত্রী। এইসব করাই হয়েছে পদ পদবি বিলানোর জন্য। বেশি করে বিসিএস আমলা নিয়োগের জন্য।

    খেয়াল করবেন গত ১৫ বছর ধরে বিসিএস চাকুরীকে এক অনন্য উচ্চতায় তোলা হয়েছে। এরও কারণ আছে। ছাত্রছাত্রীরাতো বেকার। তারা যাতে অসহিষ্ণু না হয়ে উঠে তার জন্য বিসিএস পরীক্ষাকে ব্যবহার করা হয়।এই পরীক্ষা সিস্টেমকে যতটা সম্ভব লম্বা করা হয়েছে যাতে এক পরীক্ষাতে দীর্ঘ সময় ধরে আশা নিয়ে বাঁচে। ছাত্রছাত্রীরাদেরকে ব্যস্ত রাখতে বিসিএস প্রস্তুতি খুব ভালো কাজে দেয়। পরীক্ষা মানে আশা। তাছাড়া এই পরীক্ষাকে এমনভাবে গড়া হয়েছে যে চাকুরী তারাই পাবে যারা সরকারি দল করবে বা সরকারের বিরুদ্ধে যাদের কোন অভিযোগ নাই। ছাত্ররা ইচ্ছে করে সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলনে যোগ সহজে দিত না কারণ এইসব নাকি মনিটর করা হয় এই ভয়ে।

    গরিব দেশের ছোট অর্থনীতিতে এত মন্ত্রী, এত প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এত সচিব, উপসচিব কর্মকর্তা, এত গাড়ি, ফ্রীতে ড্রাইভার ও তেল, গাড়ির আগে পিছে বাঁশি হাতে পুলিশ ও গাড়ি কল্পনা করতে পারেন? কিন্তু শিক্ষায় বরাদ্দের টাকা নাই। এত মন্ত্রণালয় দিয়ে দেশের মানুষ কি সার্ভিস পাচ্ছে? রেল মন্ত্রণালয় কি সফল? বিমান মন্ত্রণালয় কি সফল? সড়ক মন্ত্রণালয় কি সফল? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি সফল? এমন একটি মন্ত্রণালয় পাবেন যেই মন্ত্রণালয় সফল। তাহলে সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ কি হলো? আমরা মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে দেশকে অনাবাসযোগ্য বানিয়ে ফেলেছি। সরকারে মন্ত্রণালয় বাড়িয়ে অযথা খরচ বাড়িয়েছি কিন্তু সেবা কমেছে।

    সেবাতো নাই বরং ঘুষ বাণিজ্য বেড়েছে। তাই সংখ্যা না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে মানের দিকে নজর দেওয়া উচিত আমাদের। মান বাড়াতে হলে বিসিএস পরীক্ষার মান বাড়াতে হবে। ধরুন একজন ছাত্র হার্ভার্ড বা এমআইটি থেকে আন্ডার গ্রাজুয়েট করলো। সে যদি আমাদের বিসিএস পরীক্ষা দেয় পাশ করতে পারবে? ওখান থেকে পাশ করেও চটি মার্কা গাইড বই ও কোচিং করলে পেতে পারে। এর অর্থ বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতিতে সমস্যা আছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা দেশে বিদেশে ভালো করছে তাদেরকে কিভাবে সরকারি চাকুরীতে নেওয়া যায় সেটা গবেষণা করে একটা পদ্ধতি বের করতে হবে। তাতে ব্রেইন ড্রেইনের বদলে ব্রেইন গেইনের ধারা তৈরী হবে। এমন ছেলেমেয়েদের চাকুরী দিতে হবে যারা মানসিকতায় আধুনিক এবং AI, IT সহ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ভালো।
    আমেরিকার মন্ত্রণালয় কয়টি? ১৫টি। অথচ আমেরিকার অর্থনীতির সাইজ, আয়তন হিসাবে আমেরিকার সাইজ বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক গুন বড়। ইউরোপের দেশগুলোর গড়ে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যাও ১৫-২০! বাংলাদেশের ৫৪টি। তার উপর আছে অধিদপ্তর। ভারত আমাদের চেয়ে কম পক্ষে ২২ গুন বড়! অথচ সেই দেশে মন্ত্রণালয় মাত্র ৫৪টি। বাংলাদেশে কেন এত মন্ত্রণালয় এবং এত অধিদপ্তর। এত মন্ত্রণালয় মানে হাজার হাজার আমলা আর ৫০ এর অধিক মন্ত্রী। এইসব করাই হয়েছে পদ পদবি বিলানোর জন্য। বেশি করে বিসিএস আমলা নিয়োগের জন্য। খেয়াল করবেন গত ১৫ বছর ধরে বিসিএস চাকুরীকে এক অনন্য উচ্চতায় তোলা হয়েছে। এরও কারণ আছে। ছাত্রছাত্রীরাতো বেকার। তারা যাতে অসহিষ্ণু না হয়ে উঠে তার জন্য বিসিএস পরীক্ষাকে ব্যবহার করা হয়।এই পরীক্ষা সিস্টেমকে যতটা সম্ভব লম্বা করা হয়েছে যাতে এক পরীক্ষাতে দীর্ঘ সময় ধরে আশা নিয়ে বাঁচে। ছাত্রছাত্রীরাদেরকে ব্যস্ত রাখতে বিসিএস প্রস্তুতি খুব ভালো কাজে দেয়। পরীক্ষা মানে আশা। তাছাড়া এই পরীক্ষাকে এমনভাবে গড়া হয়েছে যে চাকুরী তারাই পাবে যারা সরকারি দল করবে বা সরকারের বিরুদ্ধে যাদের কোন অভিযোগ নাই। ছাত্ররা ইচ্ছে করে সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলনে যোগ সহজে দিত না কারণ এইসব নাকি মনিটর করা হয় এই ভয়ে। গরিব দেশের ছোট অর্থনীতিতে এত মন্ত্রী, এত প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এত সচিব, উপসচিব কর্মকর্তা, এত গাড়ি, ফ্রীতে ড্রাইভার ও তেল, গাড়ির আগে পিছে বাঁশি হাতে পুলিশ ও গাড়ি কল্পনা করতে পারেন? কিন্তু শিক্ষায় বরাদ্দের টাকা নাই। এত মন্ত্রণালয় দিয়ে দেশের মানুষ কি সার্ভিস পাচ্ছে? রেল মন্ত্রণালয় কি সফল? বিমান মন্ত্রণালয় কি সফল? সড়ক মন্ত্রণালয় কি সফল? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি সফল? এমন একটি মন্ত্রণালয় পাবেন যেই মন্ত্রণালয় সফল। তাহলে সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ কি হলো? আমরা মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে দেশকে অনাবাসযোগ্য বানিয়ে ফেলেছি। সরকারে মন্ত্রণালয় বাড়িয়ে অযথা খরচ বাড়িয়েছি কিন্তু সেবা কমেছে। সেবাতো নাই বরং ঘুষ বাণিজ্য বেড়েছে। তাই সংখ্যা না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে মানের দিকে নজর দেওয়া উচিত আমাদের। মান বাড়াতে হলে বিসিএস পরীক্ষার মান বাড়াতে হবে। ধরুন একজন ছাত্র হার্ভার্ড বা এমআইটি থেকে আন্ডার গ্রাজুয়েট করলো। সে যদি আমাদের বিসিএস পরীক্ষা দেয় পাশ করতে পারবে? ওখান থেকে পাশ করেও চটি মার্কা গাইড বই ও কোচিং করলে পেতে পারে। এর অর্থ বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতিতে সমস্যা আছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা দেশে বিদেশে ভালো করছে তাদেরকে কিভাবে সরকারি চাকুরীতে নেওয়া যায় সেটা গবেষণা করে একটা পদ্ধতি বের করতে হবে। তাতে ব্রেইন ড্রেইনের বদলে ব্রেইন গেইনের ধারা তৈরী হবে। এমন ছেলেমেয়েদের চাকুরী দিতে হবে যারা মানসিকতায় আধুনিক এবং AI, IT সহ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ভালো।
    Wow
    1
    0 Kommentare 0 Geteilt 43 Ansichten
  • ঢাকায় একটা অসাধারণ ঘটনা ঘটছে। যেটি বাংলাদেশের প্যারাডাইম শিফট ঘটাতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, সেমিকন্ডাক্টর চিপ মেনুফেকচার ও ফ্যাব্রিকেশন, বিজনেস ইত্যাদি নিয়ে সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট এটি। বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ায় এর কোন প্রতিফলন দেখছেন? এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া, বাংলাদেশের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একদল স্কলার আছে যারা বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন UC Berkeley, Purdue University) বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা জায়ান্ট সেমিকন্ডাক্টর চিপ কোম্পানির বড় কেউ ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদেশি হলেন সায়ীফ সালাউদ্দিন যিনি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে—UC Berkeley-তে TSMC Distinguished Professor! তিনি এখন বাংলাদেশে। Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের আরেক অধ্যাপক Muhammad Mustafa Hussain এর নেতৃত্বে Bangladesh National Semiconductor Symposium শিরোনামে একটি সামিটের আয়োজন করেছেন। এই সামিটে বাংলাদেশী অনেক বড় বড় একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কলার যোগ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আয়োজকরা আমাকেও নিমন্ত্রণ করেছিল কিন্তু জুলাই অভ্যুথান নিয়ে নানা অনুষ্ঠান, ক্লাস ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজের কারণে সশরীরে থাকতে পারিনি। তাছাড়া এটি সরাসরি আমার ফিল্ডেরও না। তবে গতকাল অনলাইনে অধ্যাপক সায়ীফ সালাউদ্দিনের লেকচারটি শুনলাম। কমেন্ট থ্রেডে এর লিংক দিলাম চাইলে আপনারাও শুনতে পারেন।

    অধ্যাপক সালাউদ্দিনের গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি-দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ও নতুন ধরনের ট্রানজিস্টর ডিজাইন। তিনি উদ্ভাবন করেছেন Negative Capacitance Transistor, যা কম শক্তিতে আরও কার্যকর কম্পিউটিং সম্ভব করে তুলছে। একদম কাটিং এজ রিসার্চ যার জন্য জায়ান্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফান্ড দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি Presidential Early Career Award (PECASE), IEEE Andrew S. Grove Award, NSF CAREER Award সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত। এছাড়া তিনি IEEE, APS, AAAS-এর ফেলো এবং Berkeley Device Modeling Center ও Center for Negative Capacitance Transistors-এর সহ-পরিচালক।

    একজন প্রকৃত বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং গবেষক হিসেবে তিনি আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো মানুষদের অর্জনই প্রমাণ করে, বাংলাদেশি প্রতিভা সঠিক সুযোগ পেলে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। তার এই লেকচারটি শুনলে বুঝতে পারবেন এনট্রপি, তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র বা সাধারণভাবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো জানা কতটা জরুরি। তার লেকচারে বারবার ফান্ডামেন্টাল সাইন্স শব্দটি এসেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যে প্ৰযুক্তির জ্বালানি সেটা তার লেকচার থেকে একদম স্পষ্ট।

    তাহলে আমাদেরকে কি করতে হবে? বাংলাদেশের উচিত অতি দ্রুত দুটো ইনস্টিটিউট গড়া। একটি ফান্ডামেন্টাল সাইন্সের উপর এবং অন্যটি প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর। দুটি আলাদা হলেও তাদের মধ্যে কলাবোরেশন অত্যন্ত জরুরি। এই দুই ইনস্টিটিউট যখন হাত ধরাধরি করে গবেষণা করবে তখন মিরাকেল ঘটবে। এই দুই ইনস্টিটিউট হবে বিশ্ব মানের। সেখানে থাকবে বিশ্বমানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও গবেষণার ওয়ার্ল্ড ক্লাস সুবিধা যাতে সায়ীফ সালাউদ্দিন, প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের মুস্তাফা হোসাইনদের মত অসংখ্য স্কলার যারা আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা জায়গায় আছেন তারা যেন তাদের সুবিধা মত এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন, কলাবোরেশন গড়ে তুলে desruptive গবেষণা করতে পারে NOT repeatitive গবেষণা।

    আজকের চীনের উন্নতির পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নোবেল জয়ী সি এন ইয়াং এর ভূমিকা অসাধারণ। সেই ৬০ থেকে ৮০-র দশকে তিনি আমেরিকা থেকে বিশাল দলবল নিয়ে প্রতি বছর ৩ মাসের জন্য চীনে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে সেখানকার ইয়ং ছেলেমেয়েদের নিয়ে গবেষণা করতেন, উৎসাহ দিতেন। আমাদের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খ্যাতিমান গবেষক যারা আছেন আশা করি তারাও এই ভূমিকা পালন করবেন।
    ঢাকায় একটা অসাধারণ ঘটনা ঘটছে। যেটি বাংলাদেশের প্যারাডাইম শিফট ঘটাতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, সেমিকন্ডাক্টর চিপ মেনুফেকচার ও ফ্যাব্রিকেশন, বিজনেস ইত্যাদি নিয়ে সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট এটি। বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ায় এর কোন প্রতিফলন দেখছেন? এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া, বাংলাদেশের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একদল স্কলার আছে যারা বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন UC Berkeley, Purdue University) বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা জায়ান্ট সেমিকন্ডাক্টর চিপ কোম্পানির বড় কেউ ঢাকায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদেশি হলেন সায়ীফ সালাউদ্দিন যিনি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে—UC Berkeley-তে TSMC Distinguished Professor! তিনি এখন বাংলাদেশে। Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের আরেক অধ্যাপক Muhammad Mustafa Hussain এর নেতৃত্বে Bangladesh National Semiconductor Symposium শিরোনামে একটি সামিটের আয়োজন করেছেন। এই সামিটে বাংলাদেশী অনেক বড় বড় একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কলার যোগ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আয়োজকরা আমাকেও নিমন্ত্রণ করেছিল কিন্তু জুলাই অভ্যুথান নিয়ে নানা অনুষ্ঠান, ক্লাস ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজের কারণে সশরীরে থাকতে পারিনি। তাছাড়া এটি সরাসরি আমার ফিল্ডেরও না। তবে গতকাল অনলাইনে অধ্যাপক সায়ীফ সালাউদ্দিনের লেকচারটি শুনলাম। কমেন্ট থ্রেডে এর লিংক দিলাম চাইলে আপনারাও শুনতে পারেন। অধ্যাপক সালাউদ্দিনের গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি-দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ও নতুন ধরনের ট্রানজিস্টর ডিজাইন। তিনি উদ্ভাবন করেছেন Negative Capacitance Transistor, যা কম শক্তিতে আরও কার্যকর কম্পিউটিং সম্ভব করে তুলছে। একদম কাটিং এজ রিসার্চ যার জন্য জায়ান্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলো ফান্ড দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি Presidential Early Career Award (PECASE), IEEE Andrew S. Grove Award, NSF CAREER Award সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত। এছাড়া তিনি IEEE, APS, AAAS-এর ফেলো এবং Berkeley Device Modeling Center ও Center for Negative Capacitance Transistors-এর সহ-পরিচালক। একজন প্রকৃত বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং গবেষক হিসেবে তিনি আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো মানুষদের অর্জনই প্রমাণ করে, বাংলাদেশি প্রতিভা সঠিক সুযোগ পেলে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। তার এই লেকচারটি শুনলে বুঝতে পারবেন এনট্রপি, তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র বা সাধারণভাবে পদার্থবিজ্ঞান ভালো জানা কতটা জরুরি। তার লেকচারে বারবার ফান্ডামেন্টাল সাইন্স শব্দটি এসেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যে প্ৰযুক্তির জ্বালানি সেটা তার লেকচার থেকে একদম স্পষ্ট। তাহলে আমাদেরকে কি করতে হবে? বাংলাদেশের উচিত অতি দ্রুত দুটো ইনস্টিটিউট গড়া। একটি ফান্ডামেন্টাল সাইন্সের উপর এবং অন্যটি প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর। দুটি আলাদা হলেও তাদের মধ্যে কলাবোরেশন অত্যন্ত জরুরি। এই দুই ইনস্টিটিউট যখন হাত ধরাধরি করে গবেষণা করবে তখন মিরাকেল ঘটবে। এই দুই ইনস্টিটিউট হবে বিশ্ব মানের। সেখানে থাকবে বিশ্বমানের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও গবেষণার ওয়ার্ল্ড ক্লাস সুবিধা যাতে সায়ীফ সালাউদ্দিন, প্রিন্সটনের জাহিদ হাসান, Purdue বিশ্ববিদ্যালয়ের মুস্তাফা হোসাইনদের মত অসংখ্য স্কলার যারা আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা জায়গায় আছেন তারা যেন তাদের সুবিধা মত এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন, কলাবোরেশন গড়ে তুলে desruptive গবেষণা করতে পারে NOT repeatitive গবেষণা। আজকের চীনের উন্নতির পেছনে চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নোবেল জয়ী সি এন ইয়াং এর ভূমিকা অসাধারণ। সেই ৬০ থেকে ৮০-র দশকে তিনি আমেরিকা থেকে বিশাল দলবল নিয়ে প্রতি বছর ৩ মাসের জন্য চীনে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে সেখানকার ইয়ং ছেলেমেয়েদের নিয়ে গবেষণা করতেন, উৎসাহ দিতেন। আমাদের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খ্যাতিমান গবেষক যারা আছেন আশা করি তারাও এই ভূমিকা পালন করবেন।
    Love
    1
    0 Kommentare 0 Geteilt 60 Ansichten
  • গোপালগঞ্জে জড়ো হয়েছিলো বহিরাগতরা; ছিলো চাপা উত্তেজনা | Gopalganj Clash Aftermath | Jamuna TV
    #jamunatv #news #নিউজ
    এনসিপির কর্মসূচির অন্তত চার দিন আগে থেকে গোপালগঞ্জজুড়ে ছিল চাপা উত্তেজনা৷ আশাপাশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে জড়ো করা হয়েছিল বহিরাগতদের। কর্মসূচির দিন গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলার অন্তত ১৪ টি স্পট ছিল মূল টার্গেট।


    গোপালগঞ্জে জড়ো হয়েছিলো বহিরাগতরা; ছিলো চাপা উত্তেজনা | Gopalganj Clash Aftermath | Jamuna TV
    গোপালগঞ্জে জড়ো হয়েছিলো বহিরাগতরা; ছিলো চাপা উত্তেজনা | Gopalganj Clash Aftermath | Jamuna TV #jamunatv #news #নিউজ এনসিপির কর্মসূচির অন্তত চার দিন আগে থেকে গোপালগঞ্জজুড়ে ছিল চাপা উত্তেজনা৷ আশাপাশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে জড়ো করা হয়েছিল বহিরাগতদের। কর্মসূচির দিন গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলার অন্তত ১৪ টি স্পট ছিল মূল টার্গেট। গোপালগঞ্জে জড়ো হয়েছিলো বহিরাগতরা; ছিলো চাপা উত্তেজনা | Gopalganj Clash Aftermath | Jamuna TV
    Haha
    1
    0 Kommentare 0 Geteilt 74 Ansichten
Weitere Ergebnisse
BlackBird Ai
https://bbai.shop