-
Кошелек
-
Explore Our Features
-
Маркет
-
Страницы
-
Группы
-
Reels
-
Gossip
-
Статьи пользователей
-
Мероприятия
-
Статьи пользователей
-
Ai and Tools
-
Donation
-
Jobs
-
Courses
-
Игры
-
Feed
জিমে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক – বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
ব্যায়ামের সময় হঠাৎ হৃদ্রোগজনিত মৃত্যু (Sudden Cardiac Death) ঘটে যখন হৃদ্যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সংকেতের গোলযোগ (Arrhythmia) বা করোনারি ধমনীর ব্লকেজের কারণে হার্ট পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। হঠাৎ অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে অক্সিজেনের চাহিদা তীব্রভাবে বেড়ে যায়। যাদের করোনারি আর্টারি ডিজিজ রয়েছে, তাদের সংকীর্ণ ধমনীগুলো এই চাহিদা পূরণ করতে পারে না, ফলস্বরূপ মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (হার্ট অ্যাটাক) ঘটতে পারে।
সঠিক ওয়ার্ম-আপ ছাড়া হাই-ইন্টেনসিটি ট্রেনিং শুরু করলে হার্টের ওপর হঠাৎ চাপ পড়ে এবং হৃদ্যন্ত্রের হিমোডাইনামিক রেসপন্সের (রক্তচাপ ও হার্ট রেটের দ্রুত পরিবর্তন) কারণে অ্যারিথমিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত ঘামের ফলে ডিহাইড্রেশন ও সোডিয়াম-পটাসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হলে হৃদ্যন্ত্রের বৈদ্যুতিক কার্যক্রম অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।
অনেকের অজানা হৃদ্রোগ থাকে, যেমন সাবক্লিনিক্যাল করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা অ্যারিথমিয়া, যা ব্যায়ামের সময় প্রাণঘাতী ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন সৃষ্টি করতে পারে। এনার্জি বুস্টার, স্টেরয়েড বা অন্যান্য পারফরম্যান্স-এনহ্যান্সিং ড্রাগ (PEDs) হৃদ্যন্ত্রের ইলেক্ট্রোফিজিওলজিক্যাল স্থিতিশীলতা ব্যাহত করে, ঝুঁকি আরও বাড়ায়।
শরীরের সতর্ক সংকেত উপেক্ষা না করাই নিরাপত্তার মূল চাবিকাঠি। বুকে ব্যথা, অস্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, বা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম বন্ধ করতে হবে। প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত কার্ডিয়াক স্ক্রিনিং, পর্যাপ্ত ওয়ার্ম-আপ, ধীরে ধীরে ব্যায়ামের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং সঠিক হাইড্রেশন বজায় রাখা অপরিহার্য।