-
Кошелек
-
Explore Our Features
-
Маркет
-
Страницы
-
Группы
-
Reels
-
Gossip
-
Статьи пользователей
-
Мероприятия
-
Статьи пользователей
-
Ai and Tools
-
Donation
-
Jobs
-
Courses
-
Игры
-
Feed
ওয়াই-ফাই স্পাই: মানুষের উপর নজরদারির নতুন এক অস্ত্র
ওয়াই-ফাই স্পাই: মানুষের উপর নজরদারির নতুন এক অস্ত্র
ইতালির একদল গবেষক এমন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যার মাধ্যমে ওয়াই-ফাই সিগনালের মাধ্যমে মানুষের উপর সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো যাবে। আপনার কাছে কোনো ডিভাইস না থাকলেও এই নজরদারি চালানো যাবে৷
কারণ তারা যে পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে সেটা হচ্ছে চলাচলের সময় আমাদের দেহে ওয়াই-ফাই সিগনাল যখন বাধাগ্রস্ত হবে তার উপর ভিত্তি করে একটি ইউনিক বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটিফায়ার তৈরি করা হবে।
বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফায়ারটি মূলত ওয়াই-ফাই চ্যানেল স্টেট ইনফরমেশন (Channel State Information বা CSI) থেকে উদ্ভূত একটি প্যাটার্ন।
ফলে কোনো ফোন না থাকলেও, বিভিন্ন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সিগনালের মধ্য দিয়ে হাঁটলে কোনো ব্যক্তিকে ট্র্যাক করা সম্ভব হতে পারে।
গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছেন যে, পুনঃশনাক্তকরণ (Re-identification) ভিডিও নজরদারির একটি সাধারণ চ্যালেঞ্জ। কোনো ভিডিওতে ধরা পড়া ব্যক্তি আরেকটি ভিডিওতে দেখা সেই একই ব্যক্তি কিনা, তা সবসময় বোঝা যায় না।
পুনঃশনাক্তকরণ সবসময় ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করে না। বরং এটি শুধুই বলে দেয়, বিভিন্ন জায়গার নজরদারি ফুটেজে একই মানুষ দেখা গেছে। ভিডিও নজরদারিতে এটি অনেক সময় করা হয় ব্যক্তির পোশাক বা আলাদা বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তুলনা করে। কিন্তু তা সবসময় সম্ভব হয় না।
কিন্তু নতুন এই প্রযুক্তি সেই সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে তুলতে সক্ষম। কারণ ওয়াই-ফাই সিগনাল দেয়ালের মতো কাঠামোতে আটকে যায় না। আর যেহেতু ইউনিক বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটিফায়ার দিয়ে সনাক্ত করা হবে তাই এটা দিয়ে যতক্ষণ একজন মানুষ ওয়াই-ফাই সিগনালের ভেতর দিয়ে চলাচল করবেন ততক্ষণ তাকে সনাক্ত করা সম্ভব হবে।
রোমের লা সাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডানিলো অ্যাভোলা, ডানিয়েলে পানোনে, দারিও মন্তাগনিনি ও এমাদ এমাম তাদের এই প্রযুক্তিকে “WhoFi” নামে অভিহিত করেছেন।
২০২০ সালে গবেষকরা EyeFi নামক একটি অনুরূপ পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা প্রায় ৭৫ শতাংশ সঠিক ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল।
রোম-ভিত্তিক গবেষকরা বলছেন, তাদের প্রস্তাবিত WhoFi পদ্ধতি পাবলিক NTU-Fi ডেটাসেটে ৯৫.৫ শতাংশ পর্যন্ত সঠিক মেলানোর ক্ষমতা রাখে, যখন ডিপ নিউরাল নেটওয়ার্ক ট্রান্সফর্মার এনকোডিং আর্কিটেকচার ব্যবহার করা হয়।
দিন দিন আমাদের প্রাইভেসি খারাপ থেকে খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে। এসব প্রযুক্তি এক সময় এত এত বাজে কাজে ব্যবহার হবে যে কল্পনাও করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আর থাকবে না৷