-
-
Explore Our Features
-
-
-
-
-
-
-
-
-
Ai and Tools
-
-
-
-
-
দি গ্রেট স্প্যারো ক্যাম্পেইন অফ চায়না

=============================
চড়ুই পাখি আমাদের জন্য কতটা উপকারী, এটা চীন বুঝতে পেরেছিল একটা ভূল সিদ্ধান্ত থেকে। চড়ুই পাখি ফসল খেয়ে সর্বনাশ ডেকে আনে ভেবে ১৯৫৮ সালে মাও-সে-তুং এর নির্দেশে অসংখ্য চড়ুই পাখি মেরে ফেলা হয়।
একটি চড়ুই বছরে ৪ থেকে ৫ কেজি শস্য খায়। সুতরাং,তারা ভেবে নিলো দশ লক্ষ চড়ুইয়ের খাবার বাঁচিয়ে প্রায় ৬০ হাজার ব্যক্তির খাদ্যের যোগান দেয়া যেতে পারে।যেমন ভাবনা তেমন কাজ। শুরু হলো চড়ুই নিধনের প্রচারণা। রাতারাতি তৈরি হল ১ লাখ রঙিন পতাকা।
চড়ুই মারার উৎসবে মেতে উঠল গোটা চীন দেশ। স্প্যারো আর্মিকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। পুরস্কার ঘোষণা করা হল চড়ুই মারার জন্য। বিভিন্ন পদ্ধতিতে চড়ুই নিধন করা শুরু করলো তারা। যেমন- খুব জোরে জোরে ড্রাম বাজিয়ে চড়ুই উড়িয়ে ক্লান্ত করে মাটিতে ফেলে মারতে লাগলো।
ডিম নষ্ট করলো। তছনছ করা হলো বাসা। জাল দিয়ে ধরা হলো অসংখ্য চড়ুই। বন্দুক দিয়ে মারা হল বাকি চড়ুই পাখি। এভাবে 'দ্য গ্রেট স্প্যারো ক্যাম্পেইন' নামে প্রচারণার মাধ্যমে চড়ুইশূন্য করা হল চীন।
এরপর ১৯৬১-৬২ সালে দেখা দিল দুর্ভিক্ষ। মারা গেল প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ।
ফসলের ক্ষেতে বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ এমনভাবে বেড়ে গেল যে- ক্ষেত থেকে ফসল আর ঘরেই তোলা গেলো না। খাদ্যাভাবে শুরু হলো দুর্ভিক্ষ আর মৃত্যুর মিছিল। টনক নড়ল দেশটির সরকারের। নিরুপায় হয়ে প্রকৃতিতে পুনরায় চড়ুই ফিরিয়ে আনতে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আমদানি করলো চড়ুই পাখি।
চড়ুই প্রধানত শস্যদানা, ঘাসের বিচির পাশাপাশি অসংখ্য পোকামাকড় খেয়ে থাকে। বিশেষ করে পোকার শুককীট, মুককীট বা লেদাপোকা যারা শস্য উৎপাদনের অন্তরায়।
এরা যেসব প্রজাতির পোকামাকড় খায় তাদের মধ্যে বিটল পোকা, ছাড়পোকা, পিঁপড়া, মাছি উল্লেখযোগ্য। চড়ুই এসব পোকার ক্ষতিকর আক্রমণ থেকে ফসল, সবজির ক্ষেত, বনাঞ্চল বাঁচিয়ে পরিবেশ ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
-- Meherun Queen