• বাঘের জিহ্বা কিন্তু সাধারণ কোনো প্রাণীর মতো নয়। এই জিহ্বার গায়ে থাকে কেরাটিনে তৈরি ধারালো কাঁটা, একেবারে মাংস ছেঁড়ার মতন!

    একবার চাটা দিয়েই বাঘ মাংস, পালক কিংবা লোম- সব কিছু হাড় থেকে তুলে ফেলতে পারে! ঠিক যেন মাংস ধরার হুকের মতো কাজ করে ওর জিভটা!

    এই জিহ্বাই ওদের জন্য একদিকে গ্রুমিং টুল, আবার অন্যদিকে বেঁচে থাকার অস্ত্র। সৃষ্টিকর্তার অনন্য সৃষ্টি বাঘের এই 'স্যান্ডপেপার' জিহবা, যা দিয়ে বাঘ নিজের খাবারও ঠিকঠাক গুছিয়ে নেয়, আবার নিজের শরীরও পরিষ্কার রাখে।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    বাঘের জিহ্বা কিন্তু সাধারণ কোনো প্রাণীর মতো নয়। এই জিহ্বার গায়ে থাকে কেরাটিনে তৈরি ধারালো কাঁটা, একেবারে মাংস ছেঁড়ার মতন! একবার চাটা দিয়েই বাঘ মাংস, পালক কিংবা লোম- সব কিছু হাড় থেকে তুলে ফেলতে পারে! ঠিক যেন মাংস ধরার হুকের মতো কাজ করে ওর জিভটা! এই জিহ্বাই ওদের জন্য একদিকে গ্রুমিং টুল, আবার অন্যদিকে বেঁচে থাকার অস্ত্র। সৃষ্টিকর্তার অনন্য সৃষ্টি বাঘের এই 'স্যান্ডপেপার' জিহবা, যা দিয়ে বাঘ নিজের খাবারও ঠিকঠাক গুছিয়ে নেয়, আবার নিজের শরীরও পরিষ্কার রাখে। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 التعليقات 0 المشاركات 6 مشاهدة
  • বিষাক্ত + বিষধর
    লাল গলা ঢোড়া বা লাল ঘাড় ঢোড়া ( Red necked keelback )
    Scientific name: Rhabdophis Subminiatus
    বাসস্থান- সাধারণত বনজঙ্গল, তৃণভূমি, পুকুর, ডোবায় এদের দেখা মেলে। এই সাপ দিবাচর হয়।
    খাদ‍্য- ব‍্যাঙ, টিকটিকি, ইদুর, ছোটো প্রাণী এদের প্রধান খাদ‍্য। (জুন-জুলাই এদের প্রজননকাল। স্ত্রী সাপ ৫-১৭ টি ডিম পাড়ে। পুরুষ সাপ অপেক্ষা স্ত্রী সাপ কিছুটা বড়ো হয়।)
    গঠন- মাঝারি আকৃতির সাপটির শরীরের উপরের অংশ জলপাই বাদামী অথবা সবুজ রঙের এবং হলুদ ও কালো রঙের জালিকা আকারের ছোপ পুরো শরীরে বিদ‍্যমান। ঘাড় সিঁদুর রঙের, চোখের নীচে একটি কালো দাগ বিদ‍্যমান। শরীরের নীচের অংশ হলদেটে।
    এই সাপের কামড়ে মৃত্যুর রেকর্ড আছে। এবং এটি একাধারে Venomous এবংPoisonous দুইই।
    'Venom' এবং 'Poison' কি?
    যখন দাঁত/ অন্য অঙ্গের মাধ্যমে কোনো প্রাণী চামড়া ভেদ করে অন্য কোনো প্রাণীর রক্তের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয়। তখন সেই বিষকে ইংরেজিতে ভেনম (Venom) বলে। তাই সব সাপের বিষ ভেনম।
    যে সকল বিষ স্পর্শ বা অন‍্যভাবে চামড়ার সংস্পর্শে বা পেটে গিয়ে ক্ষতি করে। তাকে মূলত ইংরেজিতে পয়জন (Poison) বলে।
    এই সাপটি উভয় প্রকার। কারণ, এই সাপের মুখের ভিতর বিষগ্ৰন্থি রয়েছে, সঙ্গে এর ঘাড়েও একপ্রকার বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে যা পতঙ্গ সহ ছোটো প্রাণী মেরে ফেলতে সক্ষম। এবং মানুষের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ক্ষতিকর। বিষধর সাপের সাধারণত সামনের দিকে দুটি বিষদাঁত রয়েছে, এদের কোনো সুগঠিত বিষদাঁত নেই। পেছনের দিকের দাঁত এরা বিষদাঁত হিসেবে ব‍্যবহৃত করে। সাপের শরীরে যেসব আঁশ থাকে তার একটি হল Loreal. যেটি সাধারণত বিষধর সাপের ক্ষেত্রে থাকে না। কিন্তু লাল গলা ঢোড়া সাপের এই আঁশ আছে। এর শরীরের অন‍্যান‍্য আঁশ বিন‍্যাসও অন‍্যান‍্য সাপেদের মতোন। এর ফণা অনেকটা শঙ্খচূড়ের মতোন।
    এর বিষ আরও রহস্যময়। সাধারণত বিষধর সাপের বিষ তিনপ্রকার। Haemotoxic, Neaurotoxic, Cytotoxic. লাল গলা ঢোড়া সাপের বিষ এর মধ্যে কোনোটিই নয়। এর বিষ সরাসরি কিডনিকে নষ্ট করে দেয়। প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। এর এন্টিভেনম আমাদের কোনো দেশেই নেই। শুধুমাত্র জাপানে 'Anti - Yamakagashi Antivenom' নামে এন্টিভেনম পাওয়া যায়।
    তবে আমরা একটু সচেতন হলেই যেকোনো বিষধর সাপের কামড় থেকে বাঁচতে পারি। দয়া করে আপনার খুব ক্ষতি না করলে কখনোই সাপ মারবেন না। ইকোসিস্টেমে সাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    তথ্য-গুগল

    বিষাক্ত + বিষধর লাল গলা ঢোড়া বা লাল ঘাড় ঢোড়া ( Red necked keelback ) Scientific name: Rhabdophis Subminiatus বাসস্থান- সাধারণত বনজঙ্গল, তৃণভূমি, পুকুর, ডোবায় এদের দেখা মেলে। এই সাপ দিবাচর হয়। খাদ‍্য- ব‍্যাঙ, টিকটিকি, ইদুর, ছোটো প্রাণী এদের প্রধান খাদ‍্য। (জুন-জুলাই এদের প্রজননকাল। স্ত্রী সাপ ৫-১৭ টি ডিম পাড়ে। পুরুষ সাপ অপেক্ষা স্ত্রী সাপ কিছুটা বড়ো হয়।) গঠন- মাঝারি আকৃতির সাপটির শরীরের উপরের অংশ জলপাই বাদামী অথবা সবুজ রঙের এবং হলুদ ও কালো রঙের জালিকা আকারের ছোপ পুরো শরীরে বিদ‍্যমান। ঘাড় সিঁদুর রঙের, চোখের নীচে একটি কালো দাগ বিদ‍্যমান। শরীরের নীচের অংশ হলদেটে। এই সাপের কামড়ে মৃত্যুর রেকর্ড আছে। এবং এটি একাধারে Venomous এবংPoisonous দুইই। 'Venom' এবং 'Poison' কি? যখন দাঁত/ অন্য অঙ্গের মাধ্যমে কোনো প্রাণী চামড়া ভেদ করে অন্য কোনো প্রাণীর রক্তের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয়। তখন সেই বিষকে ইংরেজিতে ভেনম (Venom) বলে। তাই সব সাপের বিষ ভেনম। যে সকল বিষ স্পর্শ বা অন‍্যভাবে চামড়ার সংস্পর্শে বা পেটে গিয়ে ক্ষতি করে। তাকে মূলত ইংরেজিতে পয়জন (Poison) বলে। এই সাপটি উভয় প্রকার। কারণ, এই সাপের মুখের ভিতর বিষগ্ৰন্থি রয়েছে, সঙ্গে এর ঘাড়েও একপ্রকার বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে যা পতঙ্গ সহ ছোটো প্রাণী মেরে ফেলতে সক্ষম। এবং মানুষের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ক্ষতিকর। বিষধর সাপের সাধারণত সামনের দিকে দুটি বিষদাঁত রয়েছে, এদের কোনো সুগঠিত বিষদাঁত নেই। পেছনের দিকের দাঁত এরা বিষদাঁত হিসেবে ব‍্যবহৃত করে। সাপের শরীরে যেসব আঁশ থাকে তার একটি হল Loreal. যেটি সাধারণত বিষধর সাপের ক্ষেত্রে থাকে না। কিন্তু লাল গলা ঢোড়া সাপের এই আঁশ আছে। এর শরীরের অন‍্যান‍্য আঁশ বিন‍্যাসও অন‍্যান‍্য সাপেদের মতোন। এর ফণা অনেকটা শঙ্খচূড়ের মতোন। এর বিষ আরও রহস্যময়। সাধারণত বিষধর সাপের বিষ তিনপ্রকার। Haemotoxic, Neaurotoxic, Cytotoxic. লাল গলা ঢোড়া সাপের বিষ এর মধ্যে কোনোটিই নয়। এর বিষ সরাসরি কিডনিকে নষ্ট করে দেয়। প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। এর এন্টিভেনম আমাদের কোনো দেশেই নেই। শুধুমাত্র জাপানে 'Anti - Yamakagashi Antivenom' নামে এন্টিভেনম পাওয়া যায়। তবে আমরা একটু সচেতন হলেই যেকোনো বিষধর সাপের কামড় থেকে বাঁচতে পারি। দয়া করে আপনার খুব ক্ষতি না করলে কখনোই সাপ মারবেন না। ইকোসিস্টেমে সাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তথ্য-গুগল
    0 التعليقات 0 المشاركات 7 مشاهدة
  • গুগলের কথা বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, গুগলের কথা অনুযায়ী, এআই ওভারভিউয়ের জন্যে বিশেষ কিছু করতে হবে না।

    আপনার ওয়েবসাইটের এসইও ভালো হলেই, সেটা এআই ওভারভিউতে স্থান পাবার সম্ভাবনা বাড়বে।

    ------------

    ট্রাফিক কমছে, কিংবা ইমপ্রেশন বাড়ছে কিন্তু ক্লিক কমছে, সেটা এআই ওভারভিউয়ের দোষ।

    আসলে এটাকেই বাস্তব বলে এগিয়ে যেতে হবে।

    সার্চের ধরন পরিবর্তন হইছে, আল্গরিথম পরিবর্তন হইছে, গুগল এই সুযোগে কন্টেন্ট খেয়ে দেয়ার শার্প বানাইছে।

    আগের মতো আর ক্লিক আসবে না। এভাবে সাধারণ সার্চ রেজাল্ট ধীরে ধীরে আরও ড্রপ করবে।

    তাই এসইওর ধরন পরিবর্তন করতে হবে।

    ------------

    সম্প্রতি গুগলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সারমর্ম এখানে দিলাম।

    At the Search Central Deep Dive event, Gary Illyes from Google confirmed that AI Overviews (AIO) use the same core ranking systems as the traditional organic search results.

    This means that the signals, systems, and overall evaluation, like Helpful Content, E-E-A-T, PageRank, and core ranking algorithms, also apply to what’s surfaced in AI-generated summaries.

    What This Means:

    * SEO best practices still apply to content shown in AI Overviews.

    * You don’t need to create “AIO-optimised” content separately—follow what already works for search.

    * Ranking in the top results is likely a key trigger for inclusion in AI Overviews.

    * Technical SEO, structured data, and strong topical authority are just as important as ever.

    If you’re already doing good SEO, you’re probably already eligible to be featured in AIO.
    গুগলের কথা বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, গুগলের কথা অনুযায়ী, এআই ওভারভিউয়ের জন্যে বিশেষ কিছু করতে হবে না। আপনার ওয়েবসাইটের এসইও ভালো হলেই, সেটা এআই ওভারভিউতে স্থান পাবার সম্ভাবনা বাড়বে। ------------ ট্রাফিক কমছে, কিংবা ইমপ্রেশন বাড়ছে কিন্তু ক্লিক কমছে, সেটা এআই ওভারভিউয়ের দোষ। আসলে এটাকেই বাস্তব বলে এগিয়ে যেতে হবে। সার্চের ধরন পরিবর্তন হইছে, আল্গরিথম পরিবর্তন হইছে, গুগল এই সুযোগে কন্টেন্ট খেয়ে দেয়ার শার্প বানাইছে। আগের মতো আর ক্লিক আসবে না। এভাবে সাধারণ সার্চ রেজাল্ট ধীরে ধীরে আরও ড্রপ করবে। তাই এসইওর ধরন পরিবর্তন করতে হবে। ------------ সম্প্রতি গুগলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সারমর্ম এখানে দিলাম। At the Search Central Deep Dive event, Gary Illyes from Google confirmed that AI Overviews (AIO) use the same core ranking systems as the traditional organic search results. This means that the signals, systems, and overall evaluation, like Helpful Content, E-E-A-T, PageRank, and core ranking algorithms, also apply to what’s surfaced in AI-generated summaries. What This Means: * SEO best practices still apply to content shown in AI Overviews. * You don’t need to create “AIO-optimised” content separately—follow what already works for search. * Ranking in the top results is likely a key trigger for inclusion in AI Overviews. * Technical SEO, structured data, and strong topical authority are just as important as ever. If you’re already doing good SEO, you’re probably already eligible to be featured in AIO.
    0 التعليقات 0 المشاركات 8 مشاهدة
  • বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মুখ – অ্যাম্বার হার্ড? গোল্ডেন রেশিও ভিত্তিক দাবির পিছনের সত্য ও বাস্তবতা ।।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি দাবি ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে:

    > “অ্যাম্বার হার্ডের মুখ বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর – কারণ তার মুখের গঠন গ্রীক গোল্ডেন রেশিও অনুসারে নিখুঁতভাবে পারফেক্ট।”

    এই দাবি আংশিক সত্য, তবে এর পিছনে কিছু বিজ্ঞান, কিছু সংস্কৃতি, এবং কিছু অতিরঞ্জন রয়েছে। আসুন, বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা যাক।

    গোল্ডেন রেশিও (Phi = 1.618) কী?

    গোল্ডেন রেশিও একটি গাণিতিক অনুপাত, যা প্রকৃতি, শিল্পকলা, স্থাপত্য এবং সৌন্দর্য বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। বহু প্রাচীন শিল্পকর্ম এবং স্থাপত্যে এই অনুপাতের নিদর্শন পাওয়া যায়। বলা হয়, এই রেশিও অনুযায়ী যদি মুখমণ্ডলের অঙ্গগুলো সজ্জিত থাকে, তবে তা মানুষের চোখে অধিকতর "সুন্দর" বলে বিবেচিত হয়।

    Dr. Julian De Silva-এর গবেষণা

    ২০১৬ সালে লন্ডনের একজন কসমেটিক সার্জন Dr. Julian De Silva আধুনিক ফেস-ম্যাপিং টেকনোলজি ব্যবহার করে কিছু বিখ্যাত হলিউড তারকার মুখ বিশ্লেষণ করেন। এই গবেষণায় তিনি গোল্ডেন রেশিও ব্যবহার করেন সৌন্দর্য মাপার একটি মানদণ্ড হিসেবে।

    এই গবেষণায় দেখা যায়:

    Amber Heard-এর মুখ 91.85% গোল্ডেন রেশিওর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

    ফলে তাকে বলা হয়: "Scientifically most beautiful face among the tested celebrities."

    তবে এই দাবির সীমাবদ্ধতা ও অতিরঞ্জন কোথায়?

    1. ব্যক্তিগত গবেষণা:
    এটি একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসকের একক গবেষণা – সারা বিশ্বের মান্য বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে এটি যায়নি।

    2. সৌন্দর্য মানে শুধু মাপ-জোক নয়:
    বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা আলাদা। কারো জন্য যা সুন্দর, অন্যের জন্য তা নয়। তাই "বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মুখ" বলা সম্পূর্ণভাবে সাবজেক্টিভ (subjective)।

    3. জনপ্রিয়তা ও মিডিয়া প্রভাব:
    গবেষণায় যেসব সেলিব্রিটিদের বেছে নেওয়া হয়েছে, তারা সবাই পশ্চিমা মিডিয়া-ভিত্তিক জনপ্রিয় মুখ। এতে বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক প্রতিনিধিত্বের অভাব রয়েছে।

    4. বৈজ্ঞানিক কঠোরতার অভাব:
    এই গবেষণা সৌন্দর্য মাপার একটি দৃষ্টিভঙ্গি হলেও, এটি মূলধারার বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত বা সমালোচনার ভিত্তিতে যাচাইকৃত নয়।

    তাহলে কি বলা যায়?

    Amber Heard-এর মুখ নিশ্চিতভাবেই গোল্ডেন রেশিও অনুযায়ী যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সিমেট্রিক।

    তাকে “scientifically beautiful” বলা যেতে পারে – তবে কেবল এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে।

    কিন্তু “বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মুখ” — এটি একটি অতিরঞ্জিত, সাবজেক্টিভ ও সাংস্কৃতিকভাবে সীমিত দাবি।

    সৌন্দর্য একটি বহুমাত্রিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। যদিও গোল্ডেন রেশিও সৌন্দর্য বিচার করার একটি আকর্ষণীয় পদ্ধতি, তবে সেটিই একমাত্র মাপকাঠি নয়। অ্যাম্বার হার্ড নিঃসন্দেহে একজন সুন্দরী তারকা, তবে বিশ্বজুড়ে হাজারো মুখ রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে সমান বা আরও বেশি সুন্দর বলে মনে হতে পারে।

    তথ্যসূত্র:

    Times of India – Golden Ratio Beauty List

    Dr. Julian De Silva’s Facial Mapping Research (2016)

    Geography zone- ভূগোল বলয়
    #AmberHeard #GoldenRatio #BeautyMyth #FaceSymmetry #ScienceVsPerception #ad
    #geographyzone #follow
    বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মুখ – অ্যাম্বার হার্ড? গোল্ডেন রেশিও ভিত্তিক দাবির পিছনের সত্য ও বাস্তবতা ।। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি দাবি ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে: > “অ্যাম্বার হার্ডের মুখ বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর – কারণ তার মুখের গঠন গ্রীক গোল্ডেন রেশিও অনুসারে নিখুঁতভাবে পারফেক্ট।” এই দাবি আংশিক সত্য, তবে এর পিছনে কিছু বিজ্ঞান, কিছু সংস্কৃতি, এবং কিছু অতিরঞ্জন রয়েছে। আসুন, বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা যাক। 🧪 গোল্ডেন রেশিও (Phi = 1.618) কী? গোল্ডেন রেশিও একটি গাণিতিক অনুপাত, যা প্রকৃতি, শিল্পকলা, স্থাপত্য এবং সৌন্দর্য বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। বহু প্রাচীন শিল্পকর্ম এবং স্থাপত্যে এই অনুপাতের নিদর্শন পাওয়া যায়। বলা হয়, এই রেশিও অনুযায়ী যদি মুখমণ্ডলের অঙ্গগুলো সজ্জিত থাকে, তবে তা মানুষের চোখে অধিকতর "সুন্দর" বলে বিবেচিত হয়। 👩‍⚕️ Dr. Julian De Silva-এর গবেষণা ২০১৬ সালে লন্ডনের একজন কসমেটিক সার্জন Dr. Julian De Silva আধুনিক ফেস-ম্যাপিং টেকনোলজি ব্যবহার করে কিছু বিখ্যাত হলিউড তারকার মুখ বিশ্লেষণ করেন। এই গবেষণায় তিনি গোল্ডেন রেশিও ব্যবহার করেন সৌন্দর্য মাপার একটি মানদণ্ড হিসেবে। 🔸এই গবেষণায় দেখা যায়: Amber Heard-এর মুখ 91.85% গোল্ডেন রেশিওর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে তাকে বলা হয়: "Scientifically most beautiful face among the tested celebrities." ❗ তবে এই দাবির সীমাবদ্ধতা ও অতিরঞ্জন কোথায়? 1. ব্যক্তিগত গবেষণা: এটি একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসকের একক গবেষণা – সারা বিশ্বের মান্য বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে এটি যায়নি। 2. সৌন্দর্য মানে শুধু মাপ-জোক নয়: বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা আলাদা। কারো জন্য যা সুন্দর, অন্যের জন্য তা নয়। তাই "বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মুখ" বলা সম্পূর্ণভাবে সাবজেক্টিভ (subjective)। 3. জনপ্রিয়তা ও মিডিয়া প্রভাব: গবেষণায় যেসব সেলিব্রিটিদের বেছে নেওয়া হয়েছে, তারা সবাই পশ্চিমা মিডিয়া-ভিত্তিক জনপ্রিয় মুখ। এতে বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক প্রতিনিধিত্বের অভাব রয়েছে। 4. বৈজ্ঞানিক কঠোরতার অভাব: এই গবেষণা সৌন্দর্য মাপার একটি দৃষ্টিভঙ্গি হলেও, এটি মূলধারার বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত বা সমালোচনার ভিত্তিতে যাচাইকৃত নয়। ✅ তাহলে কি বলা যায়? Amber Heard-এর মুখ নিশ্চিতভাবেই গোল্ডেন রেশিও অনুযায়ী যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সিমেট্রিক। তাকে “scientifically beautiful” বলা যেতে পারে – তবে কেবল এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু “বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মুখ” — এটি একটি অতিরঞ্জিত, সাবজেক্টিভ ও সাংস্কৃতিকভাবে সীমিত দাবি। 🔸সৌন্দর্য একটি বহুমাত্রিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। যদিও গোল্ডেন রেশিও সৌন্দর্য বিচার করার একটি আকর্ষণীয় পদ্ধতি, তবে সেটিই একমাত্র মাপকাঠি নয়। অ্যাম্বার হার্ড নিঃসন্দেহে একজন সুন্দরী তারকা, তবে বিশ্বজুড়ে হাজারো মুখ রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে সমান বা আরও বেশি সুন্দর বলে মনে হতে পারে। 📚 তথ্যসূত্র: Times of India – Golden Ratio Beauty List Dr. Julian De Silva’s Facial Mapping Research (2016) Geography zone- ভূগোল বলয় #AmberHeard #GoldenRatio #BeautyMyth #FaceSymmetry #ScienceVsPerception #ad #geographyzone #follow
    0 التعليقات 0 المشاركات 28 مشاهدة
  • বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ দেখতে কেমন এবং চর্যাপদ এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব।

    চর্যাপদ ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোঁহা নামক গ্রন্থের সাড়ে ছেচল্লিশটি গান। চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের সাধনপ্রণালী ও দর্শনতত্ত্ব নানা প্রকার রূপকের মাধ্যমে আভাসে ইঙ্গিতে ব্যক্ত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ। তাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস চর্যাপদ থেকেই শুরু।

    মূলত ১৮৮২সালে রাজা রাজেন্দ্র লাল মিত্র নেপালে সংস্কৃত বৌদ্ধ সাহিত্য গ্রন্থে চর্যাপদের অস্তিত্বের কথা বলেন। ১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৃতীয়বার নেপাল ভ্রমণকালে চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামক একটি পুঁথি নেপাল রাজদরবারের অভিলিপিশালায় আবিষ্কার করেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মোট ৪৬টি পূর্ণাঙ্গ ও একটি খণ্ডিত পদ পেয়েছিলেন। পুঁথির কয়েকটি পাতা ছেঁড়া ছিল। মূলপুঁথির পদের সংখ্যা ৫১। এর নাম চর্যাগীতিকোষ যাতে ১০০টি পদ ছিল।

    চর্যাপদের ভাষা প্রতীকী প্রকৃতির। অনেক ক্ষেত্রে কিছু শব্দের আভিধানিক অর্থের কোনো মানে হয় না। অনেকে বিশ্বাস করেন, এটি ছিল অপ্রশিক্ষিতদের কাছ থেকে পবিত্র জ্ঞান গোপন করার জন্য, অন্যরা মনে করে যে এটি ধর্মীয় নিপীড়ন এড়াতে করা হয়েছে। চর্যাপদের ভাষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল পরবর্তীকালে যার অবসান হয়েছে। চর্যাপদের রচয়িতাগণ সংস্কৃতে পারদর্শী হলেও তৎকালীন অপরিণত বাংলাতেই পদগুলি রচনা করেছিলেন। প্রাচীন কবিদের মতে এতে সন্ধ্যা বা আলোআঁধারি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

    কাব্যকলা কালোত্তীর্ণ হলেও তা সমকালীন সমাজ ও জীবনের প্রতিচ্ছবি। সেই দৃষ্টিতে চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। পাল ও সেন রাজাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক উত্থান পতনের অস্থিরতায় বাংলার সমাজ জীবনে যে ভাঙা-গড়া, চর্যাপদে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।

    চর্যাযুগের বাংলাদেশে বিভিন্ন আদর্শ সমন্বয়ের আত্মব্যাপ্তি ও আত্মস্বাতন্ত্র রক্ষার প্রবল সচেতনা প্রচলিত ছিল। চর্যার ধর্মমতের মধ্যে ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক দেহবাদের ধারা অনেকটাই প্রবেশ করেছিল। নীহাররঞ্জন রায়ের মতে এই মিলন পাল পর্বের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল। বৌদ্ধ সাধনার সঙ্গে বাংলার এই তান্ত্রিক সহজ সাধনার যোগবন্ধন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

    ভিন্ন ধর্মের সাধন পদ্ধতির সমন্বয় ঘটলেও আর্য ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি স্বাতন্ত্রপ্রিয় বাংলায় সাদর অভ্যর্থনা লাভ করেনি। কিন্তু বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাধনা খুব সহজেই স্বাতন্ত্রপ্রিয় বাঙালির হৃদয় জয় করেছিল।

    চর্যাপদ আবিষ্কারের পূর্বে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম যুগ সীমানা ছিল মনসামঙ্গল। কিন্তু চর্যাপদ আবিষ্কৃত হওয়ায় তা প্রায় আড়াইশো বছর অতীতে সম্প্রসারিত হয়। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

    তৎকালীন বঙ্গালদেশ বা পূর্ববঙ্গেও বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার লাভ করেছিল- এ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষ্য বহন করে - "আদি ভুসুক বঙ্গালি ভইলী" পদটি। তখনকার উচ্চ- নীচ, স্পৃশ্য, অস্পৃশ্য, ভেদাভেদ বিদীর্ণ সমাজের কলঙ্কিত মুখচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে চর্চার কোনো কোনো পদে। অস্পৃশ্য বলে একঘরে করে রাখার প্রথাও প্রচলিত ছিল। "টালতো ঘর মোর নাহি পড়বেষী"- পদটিতে তার প্রমাণ মেলে।

    সমকালীন জীবনচিত্রও ইতিহাসের একটি অংশ। নদীমাতৃক বাংলার খেয়া ও সাঁকো পারাপারের দৃশ্য, নৌকার বিভিন্ন অংশের বর্ণনা, মানুষের আমোদ-প্রমোদ, পোশাক-পরিচ্ছদ, নৃত্যগীত, অভাব-অনটন এমনকি শুঁড়িখানার মদ্যপানের চিত্রও অংকিত হয়েছে। এ সকল খণ্ডচিত্রে তৎকালীন যুগ, সমাজ ও জীবনচিত্র আমাদের সামনে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

    চর্যাপদ যদিও বৌদ্ধ সাধন সঙ্গীত তা সত্বেও তা সমকালীন ইতিহাসের জীবন্ত দলিল।

    #viewers #highlight #virals #everyone #followers
    #প্রত্নতত্ত্ব #ইতিহাস #archaeology #সাহিত্য #virals
    বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ দেখতে কেমন এবং চর্যাপদ এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব। চর্যাপদ ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোঁহা নামক গ্রন্থের সাড়ে ছেচল্লিশটি গান। চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের সাধনপ্রণালী ও দর্শনতত্ত্ব নানা প্রকার রূপকের মাধ্যমে আভাসে ইঙ্গিতে ব্যক্ত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ। তাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস চর্যাপদ থেকেই শুরু। মূলত ১৮৮২সালে রাজা রাজেন্দ্র লাল মিত্র নেপালে সংস্কৃত বৌদ্ধ সাহিত্য গ্রন্থে চর্যাপদের অস্তিত্বের কথা বলেন। ১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৃতীয়বার নেপাল ভ্রমণকালে চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামক একটি পুঁথি নেপাল রাজদরবারের অভিলিপিশালায় আবিষ্কার করেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মোট ৪৬টি পূর্ণাঙ্গ ও একটি খণ্ডিত পদ পেয়েছিলেন। পুঁথির কয়েকটি পাতা ছেঁড়া ছিল। মূলপুঁথির পদের সংখ্যা ৫১। এর নাম চর্যাগীতিকোষ যাতে ১০০টি পদ ছিল। চর্যাপদের ভাষা প্রতীকী প্রকৃতির। অনেক ক্ষেত্রে কিছু শব্দের আভিধানিক অর্থের কোনো মানে হয় না। অনেকে বিশ্বাস করেন, এটি ছিল অপ্রশিক্ষিতদের কাছ থেকে পবিত্র জ্ঞান গোপন করার জন্য, অন্যরা মনে করে যে এটি ধর্মীয় নিপীড়ন এড়াতে করা হয়েছে। চর্যাপদের ভাষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল পরবর্তীকালে যার অবসান হয়েছে। চর্যাপদের রচয়িতাগণ সংস্কৃতে পারদর্শী হলেও তৎকালীন অপরিণত বাংলাতেই পদগুলি রচনা করেছিলেন। প্রাচীন কবিদের মতে এতে সন্ধ্যা বা আলোআঁধারি ভাষা ব্যবহার করা হয়। কাব্যকলা কালোত্তীর্ণ হলেও তা সমকালীন সমাজ ও জীবনের প্রতিচ্ছবি। সেই দৃষ্টিতে চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। পাল ও সেন রাজাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক উত্থান পতনের অস্থিরতায় বাংলার সমাজ জীবনে যে ভাঙা-গড়া, চর্যাপদে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। চর্যাযুগের বাংলাদেশে বিভিন্ন আদর্শ সমন্বয়ের আত্মব্যাপ্তি ও আত্মস্বাতন্ত্র রক্ষার প্রবল সচেতনা প্রচলিত ছিল। চর্যার ধর্মমতের মধ্যে ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক দেহবাদের ধারা অনেকটাই প্রবেশ করেছিল। নীহাররঞ্জন রায়ের মতে এই মিলন পাল পর্বের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল। বৌদ্ধ সাধনার সঙ্গে বাংলার এই তান্ত্রিক সহজ সাধনার যোগবন্ধন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ভিন্ন ধর্মের সাধন পদ্ধতির সমন্বয় ঘটলেও আর্য ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি স্বাতন্ত্রপ্রিয় বাংলায় সাদর অভ্যর্থনা লাভ করেনি। কিন্তু বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাধনা খুব সহজেই স্বাতন্ত্রপ্রিয় বাঙালির হৃদয় জয় করেছিল। চর্যাপদ আবিষ্কারের পূর্বে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম যুগ সীমানা ছিল মনসামঙ্গল। কিন্তু চর্যাপদ আবিষ্কৃত হওয়ায় তা প্রায় আড়াইশো বছর অতীতে সম্প্রসারিত হয়। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তৎকালীন বঙ্গালদেশ বা পূর্ববঙ্গেও বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার লাভ করেছিল- এ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষ্য বহন করে - "আদি ভুসুক বঙ্গালি ভইলী" পদটি। তখনকার উচ্চ- নীচ, স্পৃশ্য, অস্পৃশ্য, ভেদাভেদ বিদীর্ণ সমাজের কলঙ্কিত মুখচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে চর্চার কোনো কোনো পদে। অস্পৃশ্য বলে একঘরে করে রাখার প্রথাও প্রচলিত ছিল। "টালতো ঘর মোর নাহি পড়বেষী"- পদটিতে তার প্রমাণ মেলে। সমকালীন জীবনচিত্রও ইতিহাসের একটি অংশ। নদীমাতৃক বাংলার খেয়া ও সাঁকো পারাপারের দৃশ্য, নৌকার বিভিন্ন অংশের বর্ণনা, মানুষের আমোদ-প্রমোদ, পোশাক-পরিচ্ছদ, নৃত্যগীত, অভাব-অনটন এমনকি শুঁড়িখানার মদ্যপানের চিত্রও অংকিত হয়েছে। এ সকল খণ্ডচিত্রে তৎকালীন যুগ, সমাজ ও জীবনচিত্র আমাদের সামনে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। চর্যাপদ যদিও বৌদ্ধ সাধন সঙ্গীত তা সত্বেও তা সমকালীন ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। #viewers #highlight #virals #everyone #followers #প্রত্নতত্ত্ব #ইতিহাস #archaeology #সাহিত্য #virals
    0 التعليقات 0 المشاركات 24 مشاهدة
  • ইতালি— বেইলর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যঅনুযায়ী সান জুলিয়ানো আর্কিওলজিক্যাল রিসার্চ প্রজেক্টের প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটা বিরল ইট্রাসকান কবর আবিষ্কার করে ফেলেছেন। বলা যেতে পারে বর্তমান সময়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে এটি একটি।

    ২০১৬ সালে রোম শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে সান জুলিয়ানো এলাকায় খনন কাজ চলছিল। খনন কাজ চলার সময় প্রাচীন ইট্রাসকান শহরটির চারপাশে ৬০০-রও বেশি কবর তারা চিহ্নিত করেছিলেন। কিন্তু এই প্রথম তারা সম্পূর্ণ অক্ষত এবং সিল করা একটি কবর তারা খুঁজে পেয়েছেন। সবচাইতে ভাগ্যের বিষয় এটি এর আগে কেউ খুঁড়েও দেখেনি বা এটাকে লুটও করা হয়নি।

    প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ সালের দিকে ছোট্ট সাদামাটা একটা বাড়ির মতন করে পাথর কেটে এই কবরটি তৈরি করা হয়েছে। করব খুলে চারজন ব্যক্তিকে পাথরের খোদাই করা এক বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে । আর কবরের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ১১০টিরও বেশি নিদর্শন। মাটির তৈরি পাত্র, লোহার অস্ত্র, ব্রোঞ্জের অলংকার এবং রূপার তৈরি সূক্ষ্ম চুলের ক্লিপও সেখানে ছিল।

    প্রত্নতত্ত্ববিদ ডাভিদে জোরি বলেন, ইট্রাসকান সভ্যতা জানার জন্য এটি একটি অত্যন্ত দুর্লভ আবিষ্কার। রোম পূর্ব সময়ে এই ইট্রাসকানরা কিভাবে তাদের জীবন যাপন করতো, কি ধরনের সংস্কৃতির ধারক বাহক তারা ছিল, কেমন ভাবে তাদের কবর দেওয়া হতো তার একটা চাক্ষুষ প্রমাণ তার কাছে ধরা পরলো। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ৪ জন মৃতব্যক্তি রয়েছে এই সমাধিতে। তাদের মধ্যে সম্ভবত দুজন নারী এবং পুরুষ জুটি ছিলেন। তবে গবেষণা চলছে। বিস্তারিত আরো তথ্য সামনে পাওয়া যাবে l

    https://www.livescience.com/archaeology/pristine-etruscan-tomb-discovered-in-italy-contains-more-than-100-untouched-artifacts

    Stay Curious SIS
    Siddique’s international school
    🔺 ইতালি— বেইলর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যঅনুযায়ী সান জুলিয়ানো আর্কিওলজিক্যাল রিসার্চ প্রজেক্টের প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটা বিরল ইট্রাসকান কবর আবিষ্কার করে ফেলেছেন। বলা যেতে পারে বর্তমান সময়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে এটি একটি। ২০১৬ সালে রোম শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে সান জুলিয়ানো এলাকায় খনন কাজ চলছিল। খনন কাজ চলার সময় প্রাচীন ইট্রাসকান শহরটির চারপাশে ৬০০-রও বেশি কবর তারা চিহ্নিত করেছিলেন। কিন্তু এই প্রথম তারা সম্পূর্ণ অক্ষত এবং সিল করা একটি কবর তারা খুঁজে পেয়েছেন। সবচাইতে ভাগ্যের বিষয় এটি এর আগে কেউ খুঁড়েও দেখেনি বা এটাকে লুটও করা হয়নি। প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ সালের দিকে ছোট্ট সাদামাটা একটা বাড়ির মতন করে পাথর কেটে এই কবরটি তৈরি করা হয়েছে। করব খুলে চারজন ব্যক্তিকে পাথরের খোদাই করা এক বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে । আর কবরের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ১১০টিরও বেশি নিদর্শন। মাটির তৈরি পাত্র, লোহার অস্ত্র, ব্রোঞ্জের অলংকার এবং রূপার তৈরি সূক্ষ্ম চুলের ক্লিপও সেখানে ছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদ ডাভিদে জোরি বলেন, ইট্রাসকান সভ্যতা জানার জন্য এটি একটি অত্যন্ত দুর্লভ আবিষ্কার। রোম পূর্ব সময়ে এই ইট্রাসকানরা কিভাবে তাদের জীবন যাপন করতো, কি ধরনের সংস্কৃতির ধারক বাহক তারা ছিল, কেমন ভাবে তাদের কবর দেওয়া হতো তার একটা চাক্ষুষ প্রমাণ তার কাছে ধরা পরলো। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ৪ জন মৃতব্যক্তি রয়েছে এই সমাধিতে। তাদের মধ্যে সম্ভবত দুজন নারী এবং পুরুষ জুটি ছিলেন। তবে গবেষণা চলছে। বিস্তারিত আরো তথ্য সামনে পাওয়া যাবে l https://www.livescience.com/archaeology/pristine-etruscan-tomb-discovered-in-italy-contains-more-than-100-untouched-artifacts Stay Curious SIS Siddique’s international school
    0 التعليقات 0 المشاركات 30 مشاهدة
  • আপনি না থাকলে আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রতিশোধের কাহিনি পেতাম না, যে কাহিনি ভেঙে ভেঙে আজও সিনেমা-গল্পে রোজ নতুন করে বলা হচ্ছে। আপনি না থাকলে যমজ ভাইদের নিয়ে সাহিত্যে এতটা উৎসাহই তৈরি হত না বোধ হয়। আর ঢালতরোয়ালের ঝনঝনানির মতো গাদাবন্দুকের গুলিকেও রোমান্টিক করে তোলার ক্ষমতা আপনার মতো ছিল না স্যার ওয়াল্টার স্কটের। কিন্তু আপনি যে রবিন হুডের কাহিনিও লিখেছেন তা ভুলে যাই আমরা অনেক সময়েই। আবার ডার্ট্যানিয়ানকে নিয়ে গোয়েন্দাগল্পও লিখেছেন।

    একের পর এক তাক লাগানো নাটকীয় কাহিনি লিখেছেন, কিন্তু আপনার নিজের পারিবারিক ইতিহাসও তো কম গল্পের মতো ছিল না। পিতামহ ছিলেন ফরাসী অভিজাত পুরুষ, পিতামহী কৃষ্ণাঙ্গী ক্রীতদাসী। পিতা থমাস-আলেক্সান্দারের নিজের পিতৃ-পদবী ব্যবহারের অধিকার ছিল না। তিনি মায়ের পদবীকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন। যে পদবীকে বিশ্ববিখ্যাত করবেন আপনি। পিতা কৃষ্ণাঙ্গ, অভিজাতের জারজ সন্তান হয়েও হয়ে উঠেছিলেন ফরাসী সেনাবাহিনীর ডাকসাইটে সেনাপতি। বিপ্লব-পরবর্তী ফ্রান্সের সেনাবাহিনীতে কৃষ্ণাঙ্গ হয়েও সেনাপতি হয়ে ওঠা সম্ভব ছিল, কিন্তু সম্মান পাওয়া ততখানি সম্ভব ছিল না। চিরকাল নেপোলিয়নের চক্ষুশূল হয়েই কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। আর আপনি? ফরাসী সাহিত্যের রাজপুত্র। ফরাসী রোমান্টিসিজমের দিকপাল। ঐতিহাসিক উপন্যাসের নেপোলিয়ন। তুখোড় নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, সমালোচক। উদ্দাম নারীসঙ্গ করার জন্যও বিখ্যাত।

    অথচ আপনাকে নিজের পরিচয় গড়ে তোলার জন্য সমাজের পাথরও কম কাটতে হয়নি। আপনার চামড়ার রং কালো, মাথার চুল কোঁকড়া, বাবা ঘোষিত ভাবেই দাসীর সন্তান। আপনি যখন খ্যাতির মধ্যগগনে তখনও ফরাসী অভিজাতদের কাছ থেকে 'নিগ্রো' বলে টিটকিরি শুনেছেন। কিন্তু ফরাসী নীল রক্তের সমাজ এটাও ভুলতে পারেনি যে আপনার ধমনীতে বয়ে চলেছিল যে 'নিগ্রো'-র লাল রক্ত, সেই মানুষটির তেজস্বিতার সামনে ফণা নামাতে হয়েছিল খোদ নেপোলিয়ন বোনাপার্টকেও। আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে কায়রো অভিযানের পথে নিজের সৈন্যদের নাজেহাল অবস্থা দেখে ঠোঁটকাটা সেনাপতি থমাস-আলেক্সান্দার ঝগড়া বাধিয়ে বসেন স্বয়ং সর্বাধিনায়ক নেপোলিয়নের সঙ্গে। পরিণামে ক্রুদ্ধ নেপোলিয়ন দেশে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তাঁকে, নিতান্ত দৈববশে কিংবা ইংরেজ সেনাপতি নেলসনের দরুনই দেশে ফেরা হল না তাঁর। ফেরার পথে জাহাজ বানচাল হয়ে বীর সেনাপতির অনেকগুলো বছর কাটে শত্রু দেশের এক জেলখানায়, অসুস্থ দেহে-মনে। দেশে ফেরার পর বাকি জীবনে তিনি আর হারানো সম্মান ফিরে পাননি, আর আপনার লড়াইটাও তাই বেড়েও গিয়েছিল বহুগুণ। 'কাউন্ট অফ মন্টি ক্রিস্টো' লেখার সময় এই ঘটনার ছায়াও কি আপনার মনের উপর পড়েছিল? প্রবল ঝড়ের সামনেও মাথা না নোয়ানোর শিক্ষা বুঝি আপনি বাবার থেকেই পেয়েছিলেন। তাই বুঝি আপনার কিশোর নায়ক ডার্ট্যানিয়ান গ্যাস্কনি থেকে প্যারিসে রওনা দেওয়ার আগে তার বাবা উপদেশ দেন, 'বিন্দুমাত্র অসম্মান দেখলেই রুখে দাঁড়াবে। লড়াই করবে। সাহস না দেখালে এই সমাজে উন্নতি করতে পারবে না।'

    সমাজের উপরতলা থেকে নেমে আসা চরম বিশ্বাসঘাতকতা, আর তার প্রতিবাদে চরমতম প্রতিহিংসা নেওয়া তো আপনার সব কাহিনিতেই দেখতে পাই। এক অদ্ভুত দেশাত্মবোধ বুঝি তাই খেলা করে বেড়ায় আপনার লেখা জুড়ে। দেশের উপরে কেউ নয়, এমন কী দেশের সর্বোচ্চ শক্তি রাজাও নন। মন্টি ক্রিস্টোর বজ্র নেমে আসে সমাজের কর্তাব্যক্তিদের উপরে। অ্যাথোস-পোর্থস-অ্যারামিস-ডার্ট্যানিয়ান রাজা ত্রয়োদশ লুই আর কার্ডিনাল রিশলিউয়ের হাজারটা খুঁত খুঁজে বার করেও সেগুলো ঢাকাচাপা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কারণ তারা কর্তব্যে বাঁধা। আর বৃদ্ধ মাস্কেটিয়াররা খোদ রাজাকেই পালটে দিতে চায় নিঃশব্দে বিপ্লব ঘটিয়ে। এবং এ সবই আপনি দেখান--হচ্ছে ফ্রান্সের জন্য, দেশের স্বার্থে। এর পিছনেও কি আপনার বাবারই ছায়া, দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী মানুষটির দ্বারা বঞ্চিত হয়েও দেশের প্রতি যাঁর ভালোবাসা ছিল অটুট?

    আপনি আমার অনেক উপকার করেছেন। আমার নিজের একটা দিক এক্সপ্লোর করতে সাহায্য করেছেন। আমিও অবশ্য আপনাকে কিছুটা সাহায্য করেছি। অনেকটা সেই মঁসিয়ে অগুস্ত ম্যাকের মতো - সেই যে, সেই ইতিহাসের শিক্ষক যাঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আপনি আপনার বিখ্যাততম উপন্যাসগুলো লিখেছিলেন। যিনি সেগুলোর প্লট খুঁজে এনে পরিচ্ছেদ ভাগ করে স্টোরিলাইন সাজিয়ে দিতেন আর আপনি মাসিক পত্রিকার পাতার দাবী মেনে সেই পরিচ্ছেদগুলিকে বাড়িয়ে যেতেন। বাচ্চা মাস্কেটিয়ারের প্রেম, বুড়ো মাস্কেটিয়ারের আত্মসম্মান, অন্ধকার জগতের বেতাজ বাদশার প্রতিশোধ - এ সব দিয়ে যে কী রোমান্সের মায়াকাজল পরিয়ে দিলেন আপনি বিশ্বের চোখে! এখনও আপনি ফ্রান্সের সব চেয়ে বেশি অনূদিত লেখকদের একজন।

    বহুকাল ধরে বাঙালিও মজেছে আপনার লেখায়। গত কয়েক বছর ধরে আমার চেয়ে ভালো আর কে জানে সে কথা? আপনাকে কেটেকুটে মশলা মাখিয়ে রাঁধতে হয়েছে আমায়। লোকে বলে খোশবাই না কি বেরিয়েছিল বেশ। কিন্তু আমি নিজে জানি আমি কোথায় কতটা বোকার মতো দুঃসাহস দেখিয়ে ফেলেছি। খোদার উপর খোদকারি করতে গিয়ে স্পর্ধাজনিত রসাভাস ঘটিয়ে ফেলে থাকলে নিজগুণে এ ক্ষুদ্র ভক্তকে ক্ষমা করবেন হে মায়েস্ত্রো।

    ঐতিহাসিক রোমান্সের রাজা, রাজকল্পনার জাদুকর, আজ থেকে ঠিক ২২৩ বছর আগে আপনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন ইতিহাস আর সাহিত্যের মেলবন্ধন ঘটাবেন বলে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানবেন মঁসিয়ে আলেক্সান্দার দুমা (২৪ জুলাই ১৮০২ - ৫ ডিসেম্বর ১৮৭০)। ভালো থাকবেন, আশীর্বাদ করবেন।

    "One for all, and all for one!" 🙏🏼

    #শুভজন্মদিন #স্মরণ #happybirthday #alexandredumas #ব্যক্তিগত #thecountofmontecristo #thethreemusketeers #TheManInTheIronMask
    আপনি না থাকলে আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রতিশোধের কাহিনি পেতাম না, যে কাহিনি ভেঙে ভেঙে আজও সিনেমা-গল্পে রোজ নতুন করে বলা হচ্ছে। আপনি না থাকলে যমজ ভাইদের নিয়ে সাহিত্যে এতটা উৎসাহই তৈরি হত না বোধ হয়। আর ঢালতরোয়ালের ঝনঝনানির মতো গাদাবন্দুকের গুলিকেও রোমান্টিক করে তোলার ক্ষমতা আপনার মতো ছিল না স্যার ওয়াল্টার স্কটের। কিন্তু আপনি যে রবিন হুডের কাহিনিও লিখেছেন তা ভুলে যাই আমরা অনেক সময়েই। আবার ডার্ট্যানিয়ানকে নিয়ে গোয়েন্দাগল্পও লিখেছেন। একের পর এক তাক লাগানো নাটকীয় কাহিনি লিখেছেন, কিন্তু আপনার নিজের পারিবারিক ইতিহাসও তো কম গল্পের মতো ছিল না। পিতামহ ছিলেন ফরাসী অভিজাত পুরুষ, পিতামহী কৃষ্ণাঙ্গী ক্রীতদাসী। পিতা থমাস-আলেক্সান্দারের নিজের পিতৃ-পদবী ব্যবহারের অধিকার ছিল না। তিনি মায়ের পদবীকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন। যে পদবীকে বিশ্ববিখ্যাত করবেন আপনি। পিতা কৃষ্ণাঙ্গ, অভিজাতের জারজ সন্তান হয়েও হয়ে উঠেছিলেন ফরাসী সেনাবাহিনীর ডাকসাইটে সেনাপতি। বিপ্লব-পরবর্তী ফ্রান্সের সেনাবাহিনীতে কৃষ্ণাঙ্গ হয়েও সেনাপতি হয়ে ওঠা সম্ভব ছিল, কিন্তু সম্মান পাওয়া ততখানি সম্ভব ছিল না। চিরকাল নেপোলিয়নের চক্ষুশূল হয়েই কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। আর আপনি? ফরাসী সাহিত্যের রাজপুত্র। ফরাসী রোমান্টিসিজমের দিকপাল। ঐতিহাসিক উপন্যাসের নেপোলিয়ন। তুখোড় নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, সমালোচক। উদ্দাম নারীসঙ্গ করার জন্যও বিখ্যাত। অথচ আপনাকে নিজের পরিচয় গড়ে তোলার জন্য সমাজের পাথরও কম কাটতে হয়নি। আপনার চামড়ার রং কালো, মাথার চুল কোঁকড়া, বাবা ঘোষিত ভাবেই দাসীর সন্তান। আপনি যখন খ্যাতির মধ্যগগনে তখনও ফরাসী অভিজাতদের কাছ থেকে 'নিগ্রো' বলে টিটকিরি শুনেছেন। কিন্তু ফরাসী নীল রক্তের সমাজ এটাও ভুলতে পারেনি যে আপনার ধমনীতে বয়ে চলেছিল যে 'নিগ্রো'-র লাল রক্ত, সেই মানুষটির তেজস্বিতার সামনে ফণা নামাতে হয়েছিল খোদ নেপোলিয়ন বোনাপার্টকেও। আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে কায়রো অভিযানের পথে নিজের সৈন্যদের নাজেহাল অবস্থা দেখে ঠোঁটকাটা সেনাপতি থমাস-আলেক্সান্দার ঝগড়া বাধিয়ে বসেন স্বয়ং সর্বাধিনায়ক নেপোলিয়নের সঙ্গে। পরিণামে ক্রুদ্ধ নেপোলিয়ন দেশে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তাঁকে, নিতান্ত দৈববশে কিংবা ইংরেজ সেনাপতি নেলসনের দরুনই দেশে ফেরা হল না তাঁর। ফেরার পথে জাহাজ বানচাল হয়ে বীর সেনাপতির অনেকগুলো বছর কাটে শত্রু দেশের এক জেলখানায়, অসুস্থ দেহে-মনে। দেশে ফেরার পর বাকি জীবনে তিনি আর হারানো সম্মান ফিরে পাননি, আর আপনার লড়াইটাও তাই বেড়েও গিয়েছিল বহুগুণ। 'কাউন্ট অফ মন্টি ক্রিস্টো' লেখার সময় এই ঘটনার ছায়াও কি আপনার মনের উপর পড়েছিল? প্রবল ঝড়ের সামনেও মাথা না নোয়ানোর শিক্ষা বুঝি আপনি বাবার থেকেই পেয়েছিলেন। তাই বুঝি আপনার কিশোর নায়ক ডার্ট্যানিয়ান গ্যাস্কনি থেকে প্যারিসে রওনা দেওয়ার আগে তার বাবা উপদেশ দেন, 'বিন্দুমাত্র অসম্মান দেখলেই রুখে দাঁড়াবে। লড়াই করবে। সাহস না দেখালে এই সমাজে উন্নতি করতে পারবে না।' সমাজের উপরতলা থেকে নেমে আসা চরম বিশ্বাসঘাতকতা, আর তার প্রতিবাদে চরমতম প্রতিহিংসা নেওয়া তো আপনার সব কাহিনিতেই দেখতে পাই। এক অদ্ভুত দেশাত্মবোধ বুঝি তাই খেলা করে বেড়ায় আপনার লেখা জুড়ে। দেশের উপরে কেউ নয়, এমন কী দেশের সর্বোচ্চ শক্তি রাজাও নন। মন্টি ক্রিস্টোর বজ্র নেমে আসে সমাজের কর্তাব্যক্তিদের উপরে। অ্যাথোস-পোর্থস-অ্যারামিস-ডার্ট্যানিয়ান রাজা ত্রয়োদশ লুই আর কার্ডিনাল রিশলিউয়ের হাজারটা খুঁত খুঁজে বার করেও সেগুলো ঢাকাচাপা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কারণ তারা কর্তব্যে বাঁধা। আর বৃদ্ধ মাস্কেটিয়াররা খোদ রাজাকেই পালটে দিতে চায় নিঃশব্দে বিপ্লব ঘটিয়ে। এবং এ সবই আপনি দেখান--হচ্ছে ফ্রান্সের জন্য, দেশের স্বার্থে। এর পিছনেও কি আপনার বাবারই ছায়া, দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী মানুষটির দ্বারা বঞ্চিত হয়েও দেশের প্রতি যাঁর ভালোবাসা ছিল অটুট? আপনি আমার অনেক উপকার করেছেন। আমার নিজের একটা দিক এক্সপ্লোর করতে সাহায্য করেছেন। আমিও অবশ্য আপনাকে কিছুটা সাহায্য করেছি। অনেকটা সেই মঁসিয়ে অগুস্ত ম্যাকের মতো - সেই যে, সেই ইতিহাসের শিক্ষক যাঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আপনি আপনার বিখ্যাততম উপন্যাসগুলো লিখেছিলেন। যিনি সেগুলোর প্লট খুঁজে এনে পরিচ্ছেদ ভাগ করে স্টোরিলাইন সাজিয়ে দিতেন আর আপনি মাসিক পত্রিকার পাতার দাবী মেনে সেই পরিচ্ছেদগুলিকে বাড়িয়ে যেতেন। বাচ্চা মাস্কেটিয়ারের প্রেম, বুড়ো মাস্কেটিয়ারের আত্মসম্মান, অন্ধকার জগতের বেতাজ বাদশার প্রতিশোধ - এ সব দিয়ে যে কী রোমান্সের মায়াকাজল পরিয়ে দিলেন আপনি বিশ্বের চোখে! এখনও আপনি ফ্রান্সের সব চেয়ে বেশি অনূদিত লেখকদের একজন। বহুকাল ধরে বাঙালিও মজেছে আপনার লেখায়। গত কয়েক বছর ধরে আমার চেয়ে ভালো আর কে জানে সে কথা? আপনাকে কেটেকুটে মশলা মাখিয়ে রাঁধতে হয়েছে আমায়। লোকে বলে খোশবাই না কি বেরিয়েছিল বেশ। কিন্তু আমি নিজে জানি আমি কোথায় কতটা বোকার মতো দুঃসাহস দেখিয়ে ফেলেছি। খোদার উপর খোদকারি করতে গিয়ে স্পর্ধাজনিত রসাভাস ঘটিয়ে ফেলে থাকলে নিজগুণে এ ক্ষুদ্র ভক্তকে ক্ষমা করবেন হে মায়েস্ত্রো। ঐতিহাসিক রোমান্সের রাজা, রাজকল্পনার জাদুকর, আজ থেকে ঠিক ২২৩ বছর আগে আপনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন ইতিহাস আর সাহিত্যের মেলবন্ধন ঘটাবেন বলে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানবেন মঁসিয়ে আলেক্সান্দার দুমা (২৪ জুলাই ১৮০২ - ৫ ডিসেম্বর ১৮৭০)। ভালো থাকবেন, আশীর্বাদ করবেন। "One for all, and all for one!" 💐🙏🏼❤️ #শুভজন্মদিন #স্মরণ #happybirthday #alexandredumas #ব্যক্তিগত #thecountofmontecristo #thethreemusketeers #TheManInTheIronMask
    0 التعليقات 0 المشاركات 26 مشاهدة
  • কেভিন স্মিড্‌ট এমন এক কাজের জন্য বছরে ৪৪ হাজার ডলার পান, যা অনেকে কল্পনাও করতে পারবে না! তিনি ১,৫০০ ফুট ওপরে উঠে একটা বাতি বদলান!

    প্রতি ছয় মাসে একবার কেভিন উঠে যান এমন এক টাওয়ারের চূড়ায়, যা এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের চেয়েও উঁচু। তার সঙ্গে থাকে শুধু একটা হারনেস, আর বুকভরা সাহস। কারণ, ওই টাওয়ারের মাথায় লাল বাতিটা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মাঝ আকাশে থাকা বিমানের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ব্যাপারটা। তাই কাজটা ভয়ংকর হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

    এই কাজের মাধ্যমে তার বার্ষিক আয় প্রায় ৪৪ হাজার ডলার। কারও চোখে এটা অনেক, আবার কারও মতে- জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় এটা খুব কম। তবে কেভিনের কাছে এটা কেবল একটা চাকরি নয়, বরং একধরনের অ্যাডভেঞ্চার যার পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য আছে।

    আর হ্যাঁ, এই দুঃসাহসিক অভিযানের মাঝেও কখনও কখনও থেমে যান তিনি, শুধু স্ত্রীর জন্য একটা ছবি তোলার খাতিরে!
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    কেভিন স্মিড্‌ট এমন এক কাজের জন্য বছরে ৪৪ হাজার ডলার পান, যা অনেকে কল্পনাও করতে পারবে না! তিনি ১,৫০০ ফুট ওপরে উঠে একটা বাতি বদলান! প্রতি ছয় মাসে একবার কেভিন উঠে যান এমন এক টাওয়ারের চূড়ায়, যা এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের চেয়েও উঁচু। তার সঙ্গে থাকে শুধু একটা হারনেস, আর বুকভরা সাহস। কারণ, ওই টাওয়ারের মাথায় লাল বাতিটা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মাঝ আকাশে থাকা বিমানের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ব্যাপারটা। তাই কাজটা ভয়ংকর হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজের মাধ্যমে তার বার্ষিক আয় প্রায় ৪৪ হাজার ডলার। কারও চোখে এটা অনেক, আবার কারও মতে- জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় এটা খুব কম। তবে কেভিনের কাছে এটা কেবল একটা চাকরি নয়, বরং একধরনের অ্যাডভেঞ্চার যার পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য আছে। আর হ্যাঁ, এই দুঃসাহসিক অভিযানের মাঝেও কখনও কখনও থেমে যান তিনি, শুধু স্ত্রীর জন্য একটা ছবি তোলার খাতিরে! . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 التعليقات 0 المشاركات 23 مشاهدة
  • BadBox 2.0: ভয়ঙ্কর Android Malware – আপনার মোবাইল কি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত?

    Badbox 2.0 হলো একধরনের ম্যালওয়্যার-ভিত্তিক বটনেট, যেটি মূলত সস্তা Android চালিত ডিভাইসগুলিতে (যেমন: টিভি বক্স, প্রোজেক্টর, ডিজিটাল ফটো ফ্রেম ইত্যাদি) প্রি-ইনস্টল করা অবস্থায় আসে এবং বিশ্বব্যাপী ১ কোটিরও বেশি ডিভাইস ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে।

    কি করে Badbox 2.0?
    BadBox সংক্রামিত ডিভাইসকে বটনেটে পরিণত করে – অর্থাৎ হ্যাকারদের কমান্ডে চলে।
    এটি ব্যবহারকারীর অজান্তে অ্যাড ফ্রড, ডিভাইস ট্র্যাকিং, রেসিডেনশিয়াল প্রক্সি তৈরি ও অন্যান্য অসৎ কাজ করে।
    সংক্রামিত ডিভাইসগুলোতে দৃশ্যমান কিছুই হয় না, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত হয়।

    কে তৈরি করেছে?
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের FBI এবং Google এর তদন্ত অনুযায়ী, Badbox 2.0 এর পিছনে রয়েছে চীনা সাইবার অপরাধী চক্র।
    এই অপরাধচক্রটি মূলত চীনের শেনজেন (Shenzhen) শহরের কিছু কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে যারা সস্তা Android ডিভাইস তৈরি ও বিক্রি করে।

    কোন কোন ডিভাইস ঝুঁকিতে?
    অজানা কোম্পানির Android TV Box
    সস্তা স্মার্ট প্রোজেক্টর
    ডিজিটাল ফটো ফ্রেম
    অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট
    ফ্রি VPN বা ক্লোন অ্যাপ ইনস্টল করা ফোন

    এসব ডিভাইসে Malware প্রি-ইনস্টল করা থাকে, ব্যবহারকারী জানতেই পারে না।

    কেন ভয়ংকর?
    ব্যবহারকারীর বাসার IP ব্যবহার করে হ্যাকাররা অন্যকে হ্যাক করতে পারে!
    Google ও FBI বলেছে, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় Android botnet!
    ১ কোটি ডিভাইস এর মাধ্যমে Massive Ad Fraud এবং Proxy Network চালানো হচ্ছে!

    আপনি কী করবেন?

    অজানা বা ব্র্যান্ডহীন Android ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
    শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডের ফোন/টিভি বক্স কিনুন
    ফোনে অজানা অ্যাপ ইনস্টল করবেন না
    সেটিংসে গিয়ে ADB Debugging বন্ধ রাখুন
    নিজের WiFi ট্রাফিক মনিটর করুন
    Follow Blackbd
    #BlackBD #Badbox2 #CyberAwareness #AndroidMalware #CyberSecurity #EthicalHacking #বাংলা_সাইবার_নিউজ
    🛑 BadBox 2.0: ভয়ঙ্কর Android Malware – আপনার মোবাইল কি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত? 🔍 Badbox 2.0 হলো একধরনের ম্যালওয়্যার-ভিত্তিক বটনেট, যেটি মূলত সস্তা Android চালিত ডিভাইসগুলিতে (যেমন: টিভি বক্স, প্রোজেক্টর, ডিজিটাল ফটো ফ্রেম ইত্যাদি) প্রি-ইনস্টল করা অবস্থায় আসে এবং বিশ্বব্যাপী ১ কোটিরও বেশি ডিভাইস ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে। 📌 কি করে Badbox 2.0? BadBox সংক্রামিত ডিভাইসকে বটনেটে পরিণত করে – অর্থাৎ হ্যাকারদের কমান্ডে চলে। এটি ব্যবহারকারীর অজান্তে অ্যাড ফ্রড, ডিভাইস ট্র্যাকিং, রেসিডেনশিয়াল প্রক্সি তৈরি ও অন্যান্য অসৎ কাজ করে। সংক্রামিত ডিভাইসগুলোতে দৃশ্যমান কিছুই হয় না, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত হয়। 🧠 কে তৈরি করেছে? 👉 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের FBI এবং Google এর তদন্ত অনুযায়ী, Badbox 2.0 এর পিছনে রয়েছে চীনা সাইবার অপরাধী চক্র। এই অপরাধচক্রটি মূলত চীনের শেনজেন (Shenzhen) শহরের কিছু কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে যারা সস্তা Android ডিভাইস তৈরি ও বিক্রি করে। 📱 কোন কোন ডিভাইস ঝুঁকিতে? অজানা কোম্পানির Android TV Box সস্তা স্মার্ট প্রোজেক্টর ডিজিটাল ফটো ফ্রেম অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট ফ্রি VPN বা ক্লোন অ্যাপ ইনস্টল করা ফোন 🧪 এসব ডিভাইসে Malware প্রি-ইনস্টল করা থাকে, ব্যবহারকারী জানতেই পারে না। ⚠️ কেন ভয়ংকর? ব্যবহারকারীর বাসার IP ব্যবহার করে হ্যাকাররা অন্যকে হ্যাক করতে পারে! Google ও FBI বলেছে, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় Android botnet! ১ কোটি ডিভাইস এর মাধ্যমে Massive Ad Fraud এবং Proxy Network চালানো হচ্ছে! 🔐 আপনি কী করবেন? ✅ অজানা বা ব্র্যান্ডহীন Android ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন ✅ শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ডের ফোন/টিভি বক্স কিনুন ✅ ফোনে অজানা অ্যাপ ইনস্টল করবেন না ✅ সেটিংসে গিয়ে ADB Debugging বন্ধ রাখুন ✅ নিজের WiFi ট্রাফিক মনিটর করুন Follow Blackbd #BlackBD #Badbox2 #CyberAwareness #AndroidMalware #CyberSecurity #EthicalHacking #বাংলা_সাইবার_নিউজ
    Wow
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 91 مشاهدة
  • সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়।

    ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়।

    তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর।

    ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়।

    ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে।

    জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি।
    #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    সবুজ আগাছায় ছেয়ে থাকা লালচে এ ভবনের নাম জলঘর। রাজবাড়ীর পাংশায় কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের তৈরি এ পানির ঘর। পাংশার ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে প্রথম ভারতের কলকাতা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার জগতি থেকে বর্তমানে রাজবাড়ীর (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (পদ্মা নদীর) ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক লাইনের রেলপথ বানানো হয়। তখনকার সময়ে রেলগাড়ি টানার জন্য কয়লাচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। কয়লাচালিত ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যেত। গরম ইঞ্জিন শীতল করার জন্য কুষ্টিয়ার জগতি ও দৌলতদিয়া ঘাট রেলস্টেশনের মাঝামাঝি পাংশা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হয় এ জলঘর। ১৮৬৯ সালে ইট, খোয়া ও চুনের সংমিশ্রণে গোলাকার ও লম্বা এ ভবন নির্মাণ করা হয়। ৩৫-৪০ ফুট উঁচু এ জলঘর। ঘরের দরজা রাখা হয় রেললাইনের দিকে। জলঘরের ওপরের দিকে ওঠা ও নিচে নামার জন্য লোহার পাত দিয়ে সিঁড়ি বানানো হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে এ জলঘর ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান শাসনামল শুরু হওয়ার পরপরই জলঘরটি থেকে রেলগাড়ির ইঞ্জিনে পানি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জলঘরের ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। জলঘরটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে পাংশার বুকে। এর লাল রং এখনো ঝকঝকে, দেয়ালের কোনো স্থান থেকেই এখন পর্যন্ত একটি ইট বা খোয়ার অংশবিশেষ খুলে পড়তে দেখা যায়নি। #itihaser_golpo #itihasergolpo #প্রত্নতত্ত্ব
    0 التعليقات 0 المشاركات 83 مشاهدة
  • সূর্য এর মা (Sharmin Sathi) আন্টির স্টাটাস...
    Brave Kid
    "আমার ছেলে সূর্য সময়ের একটা ভিডিও দেখলাম। সেখানে সূর্য ওর স্কুল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে।
    এই ভিডিওটা অনেকে হয়তো দেখেছেন। সূর্য কীভাবে বেঁচে গেলো সে কথা বলি। সূর্য রবিবারে ক্লাসে না যাওয়ায় হোমওয়ার্ক ছাড়াই পরের দিন ২১ জুলাই সোমবার ক্লাসে গিয়েছে। সেজন্য ডিটেনশন ক্লাসে ওর ক্লাস টিচার যেতে বলে। ডিটেনশন ক্লাস বলতে যারা হোমওয়ার্ক করে না বা ক্লাসে পড়া দিতে পারে না তাদেরকে ছুটির পরে এক্সট্রা টাইম স্কুলে রেখে পড়া আদায় করে বাসায় পাঠানো হয়।
    সূর্যের ক্লাস টিচার বাপ্পি স্যার সূর্যসহ পাঁচজনকে বলে, তোমরা ওই কর্নারের ক্লাস রুমে যাও। আমি একটু পরে আসছি। সূর্যসহ পাঁচজন একেবারে ভবনের শেষ রুমের আগের রুমে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে বিকট আওয়াজ শুনে সূর্য পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে ওরই ক্লাসরুমের সামনে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। একজন ক্লাস রুম থেকে বের হতে গিয়ে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। ওরা ঘাবড়ে গিয়ে দ্রুত কর্নারের ক্লাস রুমে ঢুকে গেলো।
    ওদের ডিটেনশন রুম পর্যন্ত আগুন পৌঁছোতে পারেনি। রুমের ভেতর আগুনের তাপ এসে তাপমাত্রা ৭০° সেন্টিগ্রেডের মতো ছিল (সূর্যের কথা অনুযায়ী)। সূর্যের মনে হচ্ছিল শরীর তাপে পুড়ে যাচ্ছে। ওরা পাঁচজন জানালার কাছে গিয়ে শ্বাস নেবার চেষ্টা করছিল। কারণ তখন রুমের ভেতর কালো ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলো না। শ্বাস নিতে গেলে মনে হচ্ছিল ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে।
    পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হবার পর সূর্য ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই কয়েকজন ছাত্র ভীড়ের ভেতর থেকে হাত দিয়ে ইশারা করছে ডান দিকে যাবার জন্য। সূর্য ডান দিকে তাকাতেই দেখে ওখানে গ্রিল কেটে একটা বের হবার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ও দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে, আপনারা দাঁড়ান। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে আসছি। সূর্য তাড়াতাড়ি ওর বন্ধুদের ডেকে বাইরে নিয়ে আসলো। এরপর কার্নিশের ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে আগে বন্ধুদের নামার সুযোগ করে দিলো।
    আমার ছেলেকে আমি যে শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি তার যথাযথ ব্যবহার ও করে দেখালো জাতিকে। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার আর কোনো চিন্তা নেই। আমি কখনো ওকে বলিনি, বাবা, তোমাকে এ প্লাস পেতে হবে। কখনো বলিনি তোমাকে ফার্স্ট হতে হবে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম আমার ছেলে সূর্য যেন একজন মানবিক মানুষ হয়।"
    সূর্য এর মা (Sharmin Sathi) আন্টির স্টাটাস... Brave Kid ❤️ "আমার ছেলে সূর্য সময়ের একটা ভিডিও দেখলাম। সেখানে সূর্য ওর স্কুল ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে। এই ভিডিওটা অনেকে হয়তো দেখেছেন। সূর্য কীভাবে বেঁচে গেলো সে কথা বলি। সূর্য রবিবারে ক্লাসে না যাওয়ায় হোমওয়ার্ক ছাড়াই পরের দিন ২১ জুলাই সোমবার ক্লাসে গিয়েছে। সেজন্য ডিটেনশন ক্লাসে ওর ক্লাস টিচার যেতে বলে। ডিটেনশন ক্লাস বলতে যারা হোমওয়ার্ক করে না বা ক্লাসে পড়া দিতে পারে না তাদেরকে ছুটির পরে এক্সট্রা টাইম স্কুলে রেখে পড়া আদায় করে বাসায় পাঠানো হয়। সূর্যের ক্লাস টিচার বাপ্পি স্যার সূর্যসহ পাঁচজনকে বলে, তোমরা ওই কর্নারের ক্লাস রুমে যাও। আমি একটু পরে আসছি। সূর্যসহ পাঁচজন একেবারে ভবনের শেষ রুমের আগের রুমে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে বিকট আওয়াজ শুনে সূর্য পেছন দিকে তাকিয়ে দেখে ওরই ক্লাসরুমের সামনে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। একজন ক্লাস রুম থেকে বের হতে গিয়ে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। ওরা ঘাবড়ে গিয়ে দ্রুত কর্নারের ক্লাস রুমে ঢুকে গেলো। ওদের ডিটেনশন রুম পর্যন্ত আগুন পৌঁছোতে পারেনি। রুমের ভেতর আগুনের তাপ এসে তাপমাত্রা ৭০° সেন্টিগ্রেডের মতো ছিল (সূর্যের কথা অনুযায়ী)। সূর্যের মনে হচ্ছিল শরীর তাপে পুড়ে যাচ্ছে। ওরা পাঁচজন জানালার কাছে গিয়ে শ্বাস নেবার চেষ্টা করছিল। কারণ তখন রুমের ভেতর কালো ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলো না। শ্বাস নিতে গেলে মনে হচ্ছিল ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হবার পর সূর্য ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই কয়েকজন ছাত্র ভীড়ের ভেতর থেকে হাত দিয়ে ইশারা করছে ডান দিকে যাবার জন্য। সূর্য ডান দিকে তাকাতেই দেখে ওখানে গ্রিল কেটে একটা বের হবার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ও দেখে এগিয়ে গিয়ে বলে, আপনারা দাঁড়ান। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে আসছি। সূর্য তাড়াতাড়ি ওর বন্ধুদের ডেকে বাইরে নিয়ে আসলো। এরপর কার্নিশের ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে আগে বন্ধুদের নামার সুযোগ করে দিলো। আমার ছেলেকে আমি যে শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি তার যথাযথ ব্যবহার ও করে দেখালো জাতিকে। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার আর কোনো চিন্তা নেই। আমি কখনো ওকে বলিনি, বাবা, তোমাকে এ প্লাস পেতে হবে। কখনো বলিনি তোমাকে ফার্স্ট হতে হবে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম আমার ছেলে সূর্য যেন একজন মানবিক মানুষ হয়।"
    0 التعليقات 0 المشاركات 76 مشاهدة
  • আজকাল অনেক অল্প বয়সেই মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হচ্ছেন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হৃদ্‌রোগ এবং স্ট্রোক হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চা এবং খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ।

    চলুন জেনে নেই যেসব খাবার রক্তচাপ বাড়ায় —

    #CareBoxLtd #highbloodpressure #highbloodpressureproblems #highbloodpressure #highbloodpressurediet
    আজকাল অনেক অল্প বয়সেই মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হচ্ছেন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হৃদ্‌রোগ এবং স্ট্রোক হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চা এবং খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ। 🥧🚫 চলুন জেনে নেই যেসব খাবার রক্তচাপ বাড়ায় — #CareBoxLtd #highbloodpressure #highbloodpressureproblems #highbloodpressure #highbloodpressurediet
    Fire
    1
    1 التعليقات 0 المشاركات 74 مشاهدة
الصفحات المعززة
BlackBird Ai
https://bbai.shop