• অ্যামাজনের গভীর অরণ্যে বিজ্ঞানীরা Pestalotiopsis microspora নামের এক বিস্ময়কর ছত্রাক আবিষ্কার করেছেন, যা প্রাকৃতিকভাবে প্লাস্টিক ভেঙে ফেলতে সক্ষম। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, এই ছত্রাক শুধুমাত্র প্লাস্টিককে কার্বনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে বেঁচে থাকতে পারে এবং এমনকি অক্সিজেনবিহীন পরিবেশেও কাজ করে, যেমন: ল্যান্ডফিলের গভীর স্তর।

    এটি প্লাস্টিক হজম করে নিরাপদ জৈব যৌবে রূপান্তরিত করে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। এই প্রক্রিয়াটি সম্ভব হয় ছত্রাকের তৈরি বিশেষ এনজাইমের মাধ্যমে, যা প্লাস্টিকের জটিল রাসায়নিক বন্ধন ভেঙে ফেলে। এই আবিষ্কার জীবদ্রব্য ব্যবহার করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ (bioremediation) পদ্ধতির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিয়েছে।

    #scirovers #science #facts #AmazonFungus #Bioremediation #greensolutions
    অ্যামাজনের গভীর অরণ্যে বিজ্ঞানীরা Pestalotiopsis microspora নামের এক বিস্ময়কর ছত্রাক আবিষ্কার করেছেন, যা প্রাকৃতিকভাবে প্লাস্টিক ভেঙে ফেলতে সক্ষম। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, এই ছত্রাক শুধুমাত্র প্লাস্টিককে কার্বনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে বেঁচে থাকতে পারে এবং এমনকি অক্সিজেনবিহীন পরিবেশেও কাজ করে, যেমন: ল্যান্ডফিলের গভীর স্তর। এটি প্লাস্টিক হজম করে নিরাপদ জৈব যৌবে রূপান্তরিত করে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। এই প্রক্রিয়াটি সম্ভব হয় ছত্রাকের তৈরি বিশেষ এনজাইমের মাধ্যমে, যা প্লাস্টিকের জটিল রাসায়নিক বন্ধন ভেঙে ফেলে। এই আবিষ্কার জীবদ্রব্য ব্যবহার করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ (bioremediation) পদ্ধতির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিয়েছে। #scirovers #science #facts #AmazonFungus #Bioremediation #greensolutions
    0 Comments 0 Shares 0 Views
  • গল্প: “স্কারলেট: এক মায়ের নাম”

    সে ছিল স্রেফ এক পথবেড়াল।

    আজ, সে ইতিহাসে বেঁচে আছে এক সাহসী মায়ের প্রতীক হয়ে—
    একজন মা, যে অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপ দিয়েছিল শুধু তার সন্তানদের রক্ষা করার জন্য।

    আমার নাম ক্যারেন ওয়েলেন।
    ১৯৯৬ সালে আমি ব্রুকলিনের এক পশু আশ্রয়কেন্দ্রে কাজ করতাম।
    প্রতিদিনই কিছু না কিছু চ্যালেঞ্জ আসত, কিন্তু সেদিনের ঘটনার জন্য আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না।

    হঠাৎ খবর এল—ইস্ট নিউইয়র্কের একটি পুরনো গ্যারেজে আগুন লেগেছে।
    আমরা দমকল বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছালাম।
    মেটালের দরজার ফাঁক দিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসছে, বাতাসে পোড়া প্লাস্টিকের কটু গন্ধ আর ধোঁয়ার ঘন আস্তরণ।

    এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই আমি ওকে প্রথম দেখি।

    একটা ছোট, পাতলা, ময়লা মাখা বেড়াল। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোম নেই—তাপে ঝলসে গেছে। চোখ দুটো প্রায় বন্ধ, পোড়ার জ্বালায় ফুলে উঠেছে। তবুও সে এগিয়ে আসছিল—নির্ভুলভাবে, আস্তে করে মুখে করে একটি ছোট্ট বিড়ালছানা নিয়ে।

    তারপর... সে আবার ভেতরে গেল।
    একবার।
    দু’বার।
    তিন… চার… পাঁচ বার!

    আমরা স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম। ধোঁয়ার ভেতর সে বারবার হারিয়ে যাচ্ছিল, আর প্রতিবারই আরও দুর্বল হয়ে বেরিয়ে আসছিল।
    শেষবার ফিরে এসে সে একে একে তার বাচ্চাগুলোকে নাক দিয়ে ছুঁয়ে দেখল, যেন গুনে নিচ্ছে—এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ...

    তারপর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল।

    আমরা ভাবছিলাম, সে হয়তো আর বাঁচবে না। কিন্তু সে বেঁচে ছিল।
    আমরা ওকে ‘স্কারলেট’ নাম দিলাম।

    তার কান পুড়ে গিয়েছিল, পায়ের তলার নরম অংশ ছিঁড়ে গিয়েছিল, মুখের চামড়া ছিল সম্পূর্ণ ঝলসে যাওয়া।
    তবুও সে কাঁদেনি। শুধু ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিচ্ছিল।

    মনে হচ্ছিল, সে বুঝে গেছে—
    "যতক্ষণ সন্তানরা নিরাপদ, ততক্ষণ সবকিছু সার্থক।"

    আমরা তাকে একটি ভেজা কাপড়ে জড়িয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এলাম।
    চিকিৎসা চলল অনেক দিন—ড্রেসিং, মলম, ছোট ছোট অস্ত্রোপচার।
    একটি ছানা বাঁচল না, কিন্তু চারটি টিকে গেল। আর স্কারলেটও।

    সে পোষা বিড়াল ছিলো না। রাস্তায় কাটত তার দিন।
    তবুও তার মধ্যে এমন ভালোবাসা আর সাহস ছিল—যা আমাদের অনেক মানুষের মাঝেও দেখা যায় না।

    তার গল্প ছড়িয়ে পড়ল সারা বিশ্বে।
    পত্রিকার প্রথম পাতায় তার ছবি ছাপা হলো।
    একটি ভালোবাসাময় পরিবার তাকে দত্তক নিল।
    আর সে হয়ে উঠল সাহস ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতীক।

    স্কারলেট আমাদের শিখিয়ে গেল—
    নায়ক হতে ইউনিফর্ম লাগে না, অস্ত্র লাগে না।
    হৃদয় লাগে।।

    গল্প: “স্কারলেট: এক মায়ের নাম” সে ছিল স্রেফ এক পথবেড়াল। আজ, সে ইতিহাসে বেঁচে আছে এক সাহসী মায়ের প্রতীক হয়ে— একজন মা, যে অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপ দিয়েছিল শুধু তার সন্তানদের রক্ষা করার জন্য। আমার নাম ক্যারেন ওয়েলেন। ১৯৯৬ সালে আমি ব্রুকলিনের এক পশু আশ্রয়কেন্দ্রে কাজ করতাম। প্রতিদিনই কিছু না কিছু চ্যালেঞ্জ আসত, কিন্তু সেদিনের ঘটনার জন্য আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। হঠাৎ খবর এল—ইস্ট নিউইয়র্কের একটি পুরনো গ্যারেজে আগুন লেগেছে। আমরা দমকল বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছালাম। মেটালের দরজার ফাঁক দিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসছে, বাতাসে পোড়া প্লাস্টিকের কটু গন্ধ আর ধোঁয়ার ঘন আস্তরণ। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই আমি ওকে প্রথম দেখি। একটা ছোট, পাতলা, ময়লা মাখা বেড়াল। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোম নেই—তাপে ঝলসে গেছে। চোখ দুটো প্রায় বন্ধ, পোড়ার জ্বালায় ফুলে উঠেছে। তবুও সে এগিয়ে আসছিল—নির্ভুলভাবে, আস্তে করে মুখে করে একটি ছোট্ট বিড়ালছানা নিয়ে। তারপর... সে আবার ভেতরে গেল। একবার। দু’বার। তিন… চার… পাঁচ বার! আমরা স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম। ধোঁয়ার ভেতর সে বারবার হারিয়ে যাচ্ছিল, আর প্রতিবারই আরও দুর্বল হয়ে বেরিয়ে আসছিল। শেষবার ফিরে এসে সে একে একে তার বাচ্চাগুলোকে নাক দিয়ে ছুঁয়ে দেখল, যেন গুনে নিচ্ছে—এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ... তারপর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। আমরা ভাবছিলাম, সে হয়তো আর বাঁচবে না। কিন্তু সে বেঁচে ছিল। আমরা ওকে ‘স্কারলেট’ নাম দিলাম। তার কান পুড়ে গিয়েছিল, পায়ের তলার নরম অংশ ছিঁড়ে গিয়েছিল, মুখের চামড়া ছিল সম্পূর্ণ ঝলসে যাওয়া। তবুও সে কাঁদেনি। শুধু ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, সে বুঝে গেছে— "যতক্ষণ সন্তানরা নিরাপদ, ততক্ষণ সবকিছু সার্থক।" আমরা তাকে একটি ভেজা কাপড়ে জড়িয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এলাম। চিকিৎসা চলল অনেক দিন—ড্রেসিং, মলম, ছোট ছোট অস্ত্রোপচার। একটি ছানা বাঁচল না, কিন্তু চারটি টিকে গেল। আর স্কারলেটও। সে পোষা বিড়াল ছিলো না। রাস্তায় কাটত তার দিন। তবুও তার মধ্যে এমন ভালোবাসা আর সাহস ছিল—যা আমাদের অনেক মানুষের মাঝেও দেখা যায় না। তার গল্প ছড়িয়ে পড়ল সারা বিশ্বে। পত্রিকার প্রথম পাতায় তার ছবি ছাপা হলো। একটি ভালোবাসাময় পরিবার তাকে দত্তক নিল। আর সে হয়ে উঠল সাহস ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতীক। স্কারলেট আমাদের শিখিয়ে গেল— নায়ক হতে ইউনিফর্ম লাগে না, অস্ত্র লাগে না। হৃদয় লাগে।।
    0 Comments 0 Shares 0 Views
  • পোস্ট ব্যাবহৃত ছবিটি সারা পৃথিবী জুড়ে সরাসরি সম্প্রচারকৃত ভিডিও হতে নেয়া স্থিরচিত্রের একটি।
    পোস্ট ব্যাবহৃত ছবিটি সারা পৃথিবী জুড়ে সরাসরি সম্প্রচারকৃত ভিডিও হতে নেয়া স্থিরচিত্রের একটি।
    0 Comments 0 Shares 1 Views
  • “হাডসনের মিরাকল” নামটা হয়তো অনেকেরই শুনে থাকবেন , এইটা এয়ার ক্র্যাস ইতিহাসের বিখ্যাত ঘটনা ।
    ২০০৯ সালে ১৫৫ জন যাত্রীবাহী একটি এয়ারবাস এ ৩২০ এর দুইটি ইঞ্জিন নিউ ইয়র্কের লা গারডিয়া এয়াপোর্ট থেকে উড্ডয়নের কিছু ক্ষণের মধ্যেই পাখির ঝাকের আঘাতে বিকল হয়ে যায়।
    কিন্তু সেই বিকল হওয়া ইঞ্জিন সহ, ১৫৫ জন যাত্রি নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন সালি সুলেনবার্গার (Sully), নিউইয়র্ক শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া হাডসন নদীর বরফঠান্ডা জলে অবতরণ করেন। বিমানের প্রতিটি যাত্রী ও ক্রু বেঁচে যান। কেউ মারা যায়নি।
    দুইটি উদ্ধারকারী ফেরি প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে।

    ৮–১০ বছর আগে এই ঘটনাটা আমাকে অসম্ভব টেনেছিল।
    ভিডিও, ডকুমেন্টারি, রিপোর্ট—যা পেয়েছি সব দেখেছি।
    পাইলট সালির একটা লেকচার শুনেছিলাম, যেটা এখনো মনে গেঁথে আছে।

    তিনি বলেছিলেন, “Miracle on the Hudson কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না।”

    তিনি ব্যাখ্যা করছিলেন—

    “ আমি আর কোপাইলট যেফ্রি স্কাইলসের ফ্লাইট রেকর্ডার পরবর্তীতে চেক করা হয় । আমরা দুই জন প্রায় কথাই বলি নাই। স্কাইলস জানতো আমার কি কাজ, আমি জানতাম স্কালির কি দায়িত্ব।

    ইঞ্জিন লুজ করার পর বা পানিতে ল্যান্ডিনে এর বিষয়ে আমাদের চেকলিস্ট ছিল, আমরা দুই জনেই ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করেছি।

    এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেয়—‘২০০ ডিগ্রি বাঁ দিকে ঘুরুন’, যেটা Laguardia-র ইমার্জেন্সি রুট।

    যখন আমি বলি ‘Brace for impact’—তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা নিজেরাই পুরো ক্যাবিনকে প্রস্তুত করে ফেলে।
    যখন বলি ‘Evacuate’—দরজা খোলে, রাফট বের করে।
    তারা জানতও না যে আমরা নদীর ওপর, দরজা খুলে হাডসন দেখে কমান্ড পাল্টায়—‘লাইফ ভেস্ট পরুন, এইদিকে আসুন’।

    ফেরি বোট চালকেরা যারা প্রতি মাসে ট্রেনিং নেয়, বছরে একবার সিমুলেটর দিয়ে রেসকিউ ড্রিল করে।
    ফায়ারবোট, পুলিশ হেলিকপ্টার, এক ফ্রগম্যান (সে কোথা থেকে এলো জানি না, কিন্তু সে ছিল),
    এবং এমনকি শহরের হাসপাতালগুলো—সবাই প্রস্তুত ছিল।
    তারা অফ-ডিউটি ডাক্তার, নার্সদের পর্যন্ত ডেকে এনেছিল।

    সালি আর আমি আমাদের কাজ করেছি, কিন্তু ডোনা, ডোরিন, শীলা (ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট), ১৫০ জন যাত্রী—সবাই তাদের কাজ নিখুঁতভাবে করেছে। কেউ হট্টগোল করেনি, সবাই একে অন্যকে সাহায্য করেছে।

    উদ্ধারকারী বোটগুলো সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে,
    জল ও স্থল উভয় জায়গার ফার্স্ট রেসপন্ডাররা সাড়া দিয়েছেন নিখুঁতভাবে।

    হয়তো আপনি বলবেন এটা মিরাকল,
    কিন্তু বাস্তবে এখানে এতগুলো মানুষকে তাদের কাজ নিখুঁতভাবে করতে হয়েছে যেন একটা ফলাফল পাওয়া যায়।
    সেই নিখুঁত প্রস্তুতির ফলাফলই ছিল ‘মিরাকল’।”
    এই মিরাকল ছিল ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা প্রস্তুতির ফলাফল’।"

    আর আজ, বাংলাদেশে আমরা দেখলাম মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা।
    একটি ট্রেনিং জেট ভেঙে পড়ল স্কুলের ওপর। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জীবন, ভবিষ্যৎ এক মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল।

    কিন্তু তার পরে যা হলো, তা যেন "হাডসনের মিরাকল"–এর সম্পূর্ণ বিপরীত এক চিত্র।
    উদ্ধার ব্যবস্থায় সমন্বয় নেই, জরুরি চিকিৎসা নেই, সেনাবাহিনী শিক্ষার্থীদের মারধর করছে, ,দুর্ঘটনার সময় উদ্ধার না করে, ছবি তুলেছে অনেকে ,
    সেনাবাহিনীর হাতে মৃতদেহ গুম করার গুজব এসেছে , আইসিইউ রোগীদের নিয়ে হাসপাতাল দখলে রাজনৈতিক শো করেছে দেশের শীর্ষ নেতারা ।

    দুর্ঘটনা যে কোনো দেশে ঘটতে পারে।
    কয়েক দিন আগেই ভারতের বিমান একটি ক্যাফেটেরিয়ায় ভেঙে পড়েছিল।

    কিন্তু আসল প্রশ্ন হল—দুর্ঘটনার পর সমাজ ও রাষ্ট্র কিভাবে রিএক্ট করে।
    কোনো কোন দেশ প্রস্তুত থাকে, যাতে প্রাণহানি কমানো যায়, আর কোন কোন দেশে বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়।

    পাইলট সালি বলেছিলেন—
    “১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে হাডসনে বিমান নামানোর পরেও কোন প্রান হানি না হওয়া কোনো অলৌকিকতা ছিল না।
    এটা ছিল সিস্টেম, বছরের পর বছর ট্রেনিং, প্রস্তুতি আর দায়িত্বশীলতার ফলাফল।”

    আর আমাদের আজকের বাস্তবতা—
    একটি স্কুলের ছাদে বিমান পড়ার পর যা দেখেছি, সেটাই হয়েছে
    বছরের পর বছরের প্রস্তুতিহীনতা, অব্যবস্থা আর অযোগ্যতার বাস্তব প্রতিচ্ছবি।

    মাইলস্টোনের নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবার এই শোক কীভাবে সহ্য করবে, আমরা জানি না।
    যেসব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন,তারা যেন সর্বোচ্চ চিকিৎসা, সেবা ও দ্রুত আরোগ্য দান করেন, এই দোয়া করি।
    আমিন।
    “হাডসনের মিরাকল” নামটা হয়তো অনেকেরই শুনে থাকবেন , এইটা এয়ার ক্র্যাস ইতিহাসের বিখ্যাত ঘটনা । ২০০৯ সালে ১৫৫ জন যাত্রীবাহী একটি এয়ারবাস এ ৩২০ এর দুইটি ইঞ্জিন নিউ ইয়র্কের লা গারডিয়া এয়াপোর্ট থেকে উড্ডয়নের কিছু ক্ষণের মধ্যেই পাখির ঝাকের আঘাতে বিকল হয়ে যায়। কিন্তু সেই বিকল হওয়া ইঞ্জিন সহ, ১৫৫ জন যাত্রি নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন সালি সুলেনবার্গার (Sully), নিউইয়র্ক শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া হাডসন নদীর বরফঠান্ডা জলে অবতরণ করেন। বিমানের প্রতিটি যাত্রী ও ক্রু বেঁচে যান। কেউ মারা যায়নি। দুইটি উদ্ধারকারী ফেরি প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে। ৮–১০ বছর আগে এই ঘটনাটা আমাকে অসম্ভব টেনেছিল। ভিডিও, ডকুমেন্টারি, রিপোর্ট—যা পেয়েছি সব দেখেছি। পাইলট সালির একটা লেকচার শুনেছিলাম, যেটা এখনো মনে গেঁথে আছে। তিনি বলেছিলেন, “Miracle on the Hudson কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না।” তিনি ব্যাখ্যা করছিলেন— “ আমি আর কোপাইলট যেফ্রি স্কাইলসের ফ্লাইট রেকর্ডার পরবর্তীতে চেক করা হয় । আমরা দুই জন প্রায় কথাই বলি নাই। স্কাইলস জানতো আমার কি কাজ, আমি জানতাম স্কালির কি দায়িত্ব। ইঞ্জিন লুজ করার পর বা পানিতে ল্যান্ডিনে এর বিষয়ে আমাদের চেকলিস্ট ছিল, আমরা দুই জনেই ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করেছি। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেয়—‘২০০ ডিগ্রি বাঁ দিকে ঘুরুন’, যেটা Laguardia-র ইমার্জেন্সি রুট। যখন আমি বলি ‘Brace for impact’—তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা নিজেরাই পুরো ক্যাবিনকে প্রস্তুত করে ফেলে। যখন বলি ‘Evacuate’—দরজা খোলে, রাফট বের করে। তারা জানতও না যে আমরা নদীর ওপর, দরজা খুলে হাডসন দেখে কমান্ড পাল্টায়—‘লাইফ ভেস্ট পরুন, এইদিকে আসুন’। ফেরি বোট চালকেরা যারা প্রতি মাসে ট্রেনিং নেয়, বছরে একবার সিমুলেটর দিয়ে রেসকিউ ড্রিল করে। ফায়ারবোট, পুলিশ হেলিকপ্টার, এক ফ্রগম্যান (সে কোথা থেকে এলো জানি না, কিন্তু সে ছিল), এবং এমনকি শহরের হাসপাতালগুলো—সবাই প্রস্তুত ছিল। তারা অফ-ডিউটি ডাক্তার, নার্সদের পর্যন্ত ডেকে এনেছিল। সালি আর আমি আমাদের কাজ করেছি, কিন্তু ডোনা, ডোরিন, শীলা (ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট), ১৫০ জন যাত্রী—সবাই তাদের কাজ নিখুঁতভাবে করেছে। কেউ হট্টগোল করেনি, সবাই একে অন্যকে সাহায্য করেছে। উদ্ধারকারী বোটগুলো সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, জল ও স্থল উভয় জায়গার ফার্স্ট রেসপন্ডাররা সাড়া দিয়েছেন নিখুঁতভাবে। হয়তো আপনি বলবেন এটা মিরাকল, কিন্তু বাস্তবে এখানে এতগুলো মানুষকে তাদের কাজ নিখুঁতভাবে করতে হয়েছে যেন একটা ফলাফল পাওয়া যায়। সেই নিখুঁত প্রস্তুতির ফলাফলই ছিল ‘মিরাকল’।” এই মিরাকল ছিল ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা প্রস্তুতির ফলাফল’।" আর আজ, বাংলাদেশে আমরা দেখলাম মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা। একটি ট্রেনিং জেট ভেঙে পড়ল স্কুলের ওপর। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জীবন, ভবিষ্যৎ এক মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল। কিন্তু তার পরে যা হলো, তা যেন "হাডসনের মিরাকল"–এর সম্পূর্ণ বিপরীত এক চিত্র। উদ্ধার ব্যবস্থায় সমন্বয় নেই, জরুরি চিকিৎসা নেই, সেনাবাহিনী শিক্ষার্থীদের মারধর করছে, ,দুর্ঘটনার সময় উদ্ধার না করে, ছবি তুলেছে অনেকে , সেনাবাহিনীর হাতে মৃতদেহ গুম করার গুজব এসেছে , আইসিইউ রোগীদের নিয়ে হাসপাতাল দখলে রাজনৈতিক শো করেছে দেশের শীর্ষ নেতারা । দুর্ঘটনা যে কোনো দেশে ঘটতে পারে। কয়েক দিন আগেই ভারতের বিমান একটি ক্যাফেটেরিয়ায় ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু আসল প্রশ্ন হল—দুর্ঘটনার পর সমাজ ও রাষ্ট্র কিভাবে রিএক্ট করে। কোনো কোন দেশ প্রস্তুত থাকে, যাতে প্রাণহানি কমানো যায়, আর কোন কোন দেশে বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়। পাইলট সালি বলেছিলেন— “১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে হাডসনে বিমান নামানোর পরেও কোন প্রান হানি না হওয়া কোনো অলৌকিকতা ছিল না। এটা ছিল সিস্টেম, বছরের পর বছর ট্রেনিং, প্রস্তুতি আর দায়িত্বশীলতার ফলাফল।” আর আমাদের আজকের বাস্তবতা— একটি স্কুলের ছাদে বিমান পড়ার পর যা দেখেছি, সেটাই হয়েছে বছরের পর বছরের প্রস্তুতিহীনতা, অব্যবস্থা আর অযোগ্যতার বাস্তব প্রতিচ্ছবি। মাইলস্টোনের নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবার এই শোক কীভাবে সহ্য করবে, আমরা জানি না। যেসব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন,তারা যেন সর্বোচ্চ চিকিৎসা, সেবা ও দ্রুত আরোগ্য দান করেন, এই দোয়া করি। আমিন।
    0 Comments 0 Shares 0 Views
  • নটরডেম কলেজের এক ভাইকে দেখেছিলাম। পড়াশুনার ধরনটা বলি। কলেজ থেকে এসে সে ঘুমাতো। এরপর রাতের ডিনার করে পড়তে বসতো। ড্রয়ারে থাকতো ৩০/৩৫ বিভিন্ন ধরনের কলম। বিভিন্ন ব্রান্ডের অগনিত পেন্সিল। দিস্তা দিস্তা খাতা টেবিলের পাশে রাখা ছিল। কলেজ লেভেলের সবগুলা বই সুন্দর করে বাধাই করে নতুন মলাট করা। প্যাকেট ভর্তি দামী ইরেজার।

    এই মানুষটা পড়ত আর লিখতো। লিখতো আর পড়তো। বিরক্ত লাগলে উঠে গোসল করে আবার পড়তে বসতো। এভাবে চলতো সারা রাত। খালি কলমগুলো পড়ে থাকতো টেবিলের পাশে। দিস্তা দিস্তা খাতা শেষ হয়ে টেবিলের নিচে জমতো।

    এরকম ভয়ঙ্কর ধরনের পড়াশুনা করেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে সে বুয়েট, ঢাবি, জাবি, রাবি, চবি থেকে শুরু করে কোথাও চান্স পায় নি। আমি আজও হিসাব মেলাতে পারি না কেন সে চান্স পায় নি। কি এমন বাকি ছিল যা সে করে নি? আর কিভাবে পরিশ্রম করলে ভালো করা যেতো? এখন সে কি করে জানেন?

    সে কোন পড়াশুনাই করে না। একটা বেসরকারী ভার্সিটি থেকে নামমাত্র ডিগ্রি নিয়ে সে কোন রকমে আছে। আগের সেই তেজ নাই। নটরডেমিয়ান বলে আলাদা কোন ভাবও নাই।

    আরেকটা ছেলে।

    SSC তে এভারেজ রেজাল্ট।

    ইন্টারে এ মাইনাস।

    কোন রকমে ওয়েটিং থেকে ঢাবিতে চান্স পেয়েছে।

    এরপরেরটা ইতিহাস। ডিপার্টমেন্টে রেকর্ড রেজাল্ট।

    অনার্সে ফাস্ট। মাস্টার্সে ফাস্ট। বাইরের কোন নামী দামী ক্যাম্পাসে ডক্টরেট করা এখন তার জন্য কোন ইস্যু না। চবিতে এপ্লাইড ফিজিক্সে এক ভাই ছিল। কোন রকমে এসএসসি আর ইন্টারের বাধা পেরিয়ে এখানে এসে এপ্লাইডে ভর্তি হয়েছে। বাকিটা ইতিহাস। ডিপার্টমেন্টে রেজাল্ট 3.89 !!!

    (নামটা ভুলে গেছি। কেউ চিনলে আমাকে বলে দিয়েন) আবার এরকমও আছে।

    ক্যাম্পাসে সুপার রেজাল্ট। চাকুরীর পরীক্ষায় কোন সফলতা নাই। তিন বছর ধরে বেকার। লোকে এখন সন্দেহ করে ভার্সিটির রেজাল্ট কি আসলেই ঠিক? দুর্দান্ত মেধা নিয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। অথচ মেডিকেলে এখন ফাস্ট ইয়ারই পাস করতে পারে না। অন্যজন কোটা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল মেডিকেলে। এক চান্সেই MBBS পাশ করে ফেলেছে।

    এর নাম জীবন।

    একবার গ্রাফটা থাকে উপরে। আবার কখনো থাকে তলানীতে। একেবারে তলানী থেকে উঠে আসতে পারে খুব কম মানুষই। কিন্তু যারা উঠে আসে তারা হচ্ছে একেকটা ডায়মন্ড। একেবারে সবার উপরের জায়গাটাই দখল করে। জীবন আপনাকে তলানিতে এই জন্যই ফেলে দেয় যেন আপনি উঠে এসে সেরা জায়গাটা ধরতে পারেন।

    ধৈর্য রাখুন।
    ©
    নটরডেম কলেজের এক ভাইকে দেখেছিলাম। পড়াশুনার ধরনটা বলি। কলেজ থেকে এসে সে ঘুমাতো। এরপর রাতের ডিনার করে পড়তে বসতো। ড্রয়ারে থাকতো ৩০/৩৫ বিভিন্ন ধরনের কলম। বিভিন্ন ব্রান্ডের অগনিত পেন্সিল। দিস্তা দিস্তা খাতা টেবিলের পাশে রাখা ছিল। কলেজ লেভেলের সবগুলা বই সুন্দর করে বাধাই করে নতুন মলাট করা। প্যাকেট ভর্তি দামী ইরেজার। এই মানুষটা পড়ত আর লিখতো। লিখতো আর পড়তো। বিরক্ত লাগলে উঠে গোসল করে আবার পড়তে বসতো। এভাবে চলতো সারা রাত। খালি কলমগুলো পড়ে থাকতো টেবিলের পাশে। দিস্তা দিস্তা খাতা শেষ হয়ে টেবিলের নিচে জমতো। এরকম ভয়ঙ্কর ধরনের পড়াশুনা করেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে সে বুয়েট, ঢাবি, জাবি, রাবি, চবি থেকে শুরু করে কোথাও চান্স পায় নি। আমি আজও হিসাব মেলাতে পারি না কেন সে চান্স পায় নি। কি এমন বাকি ছিল যা সে করে নি? আর কিভাবে পরিশ্রম করলে ভালো করা যেতো? এখন সে কি করে জানেন? সে কোন পড়াশুনাই করে না। একটা বেসরকারী ভার্সিটি থেকে নামমাত্র ডিগ্রি নিয়ে সে কোন রকমে আছে। আগের সেই তেজ নাই। নটরডেমিয়ান বলে আলাদা কোন ভাবও নাই। আরেকটা ছেলে। SSC তে এভারেজ রেজাল্ট। ইন্টারে এ মাইনাস। কোন রকমে ওয়েটিং থেকে ঢাবিতে চান্স পেয়েছে। এরপরেরটা ইতিহাস। ডিপার্টমেন্টে রেকর্ড রেজাল্ট। অনার্সে ফাস্ট। মাস্টার্সে ফাস্ট। বাইরের কোন নামী দামী ক্যাম্পাসে ডক্টরেট করা এখন তার জন্য কোন ইস্যু না। চবিতে এপ্লাইড ফিজিক্সে এক ভাই ছিল। কোন রকমে এসএসসি আর ইন্টারের বাধা পেরিয়ে এখানে এসে এপ্লাইডে ভর্তি হয়েছে। বাকিটা ইতিহাস। ডিপার্টমেন্টে রেজাল্ট 3.89 !!! (নামটা ভুলে গেছি। কেউ চিনলে আমাকে বলে দিয়েন) আবার এরকমও আছে। ক্যাম্পাসে সুপার রেজাল্ট। চাকুরীর পরীক্ষায় কোন সফলতা নাই। তিন বছর ধরে বেকার। লোকে এখন সন্দেহ করে ভার্সিটির রেজাল্ট কি আসলেই ঠিক? দুর্দান্ত মেধা নিয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। অথচ মেডিকেলে এখন ফাস্ট ইয়ারই পাস করতে পারে না। অন্যজন কোটা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল মেডিকেলে। এক চান্সেই MBBS পাশ করে ফেলেছে। এর নাম জীবন। একবার গ্রাফটা থাকে উপরে। আবার কখনো থাকে তলানীতে। একেবারে তলানী থেকে উঠে আসতে পারে খুব কম মানুষই। কিন্তু যারা উঠে আসে তারা হচ্ছে একেকটা ডায়মন্ড। একেবারে সবার উপরের জায়গাটাই দখল করে। জীবন আপনাকে তলানিতে এই জন্যই ফেলে দেয় যেন আপনি উঠে এসে সেরা জায়গাটা ধরতে পারেন। ধৈর্য রাখুন। ©
    0 Comments 0 Shares 1 Views
  • এক্স-রে, সিটি এবং এমআরআই এর মধ্যে পার্থক্য কি জানেন?!

    এক্স-রে:
    দ্রুত এবং সাধারণ ছবি
    সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে বিখ্যাত চেক
    ফ্র্যাকচার, নিউমোনিয়া এবং কিছু টিউমার শনাক্ত করার জন্য চমৎকার
    একটি হালকা বিকিরণ অনুপাত রয়েছে
    নিয়মিত চেক আপের জন্য উপযুক্ত

    সিটি-স্ক্যান:
    সাধারণ বিমের চেয়ে আরো সঠিক এবং ব্যাপক
    এটা ৩৬০° কোণ থেকে শরীরের ছবি তোলে এবং একটি ৩ডি ছবি দেয়
    🩻 অঙ্গ, টিস্যু এবং হাড়ের সমস্যা শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়
    বিক্রিকরণের শতাংশ এক্স-রে থেকে বেশি
    জটিল বা জরুরী পরিস্থিতিতে প্রায়ই অনুরোধ করা হয়

    এমআরআই (এমআরআই):
    সর্বোচ্চ নির্ভুলতা, বিশেষ করে মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড এবং পেশীতে
    কখনো বিকিরণ নয় (চুম্বক এবং রেডিও ঢেউয়ের সাথে কাজ করে)
    এটা সময় নেয়, এবং সামান্য খরচ হয়
    স্নায়ু এবং নরম টিস্যু জন্য আদর্শ
    যাদের শরীরে ধাতব যন্ত্র লাগানো আছে তাদের জন্য হারাম (যেমন পেসমেকার)

    ঠিক আছে এবং পিইটি-স্ক্যান?
    একটি সাধারণ তেজস্ক্রিয় পদার্থের সাথে ইনজেক্ট করা হয়েছে
    ক্যান্সার সনাক্ত এবং ছড়াতে ব্যবহৃত
    কোষের কার্যকলাপ পরিমাপ করে এবং শরীর কতটা চিকিৎসায় সাড়া দেয়
    কেমোথেরাপি বা বিকিরণ এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার জন্য খুব দরকারী

    দ্রুত সারসংক্ষেপ:

    এক্স-রে = দ্রুত এবং প্রাকৃতিক

    সিটি = আরো সঠিক, পূর্ণ, কিন্তু আরো বিকিরণ আছে

    এমআরআই = কোন বিকিরণ এবং সর্বোচ্চ টিস্যু নির্ভুলতা নেই

    পিইটি = ক্যান্সার এবং কোষের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ
    🚨 এক্স-রে, সিটি এবং এমআরআই এর মধ্যে পার্থক্য কি জানেন?! 🔹 এক্স-রে: 📸 দ্রুত এবং সাধারণ ছবি 💵 সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে বিখ্যাত চেক 🦴 ফ্র্যাকচার, নিউমোনিয়া এবং কিছু টিউমার শনাক্ত করার জন্য চমৎকার ⚠️ একটি হালকা বিকিরণ অনুপাত রয়েছে নিয়মিত চেক আপের জন্য উপযুক্ত ✅ 🔹 সিটি-স্ক্যান: 🧠 সাধারণ বিমের চেয়ে আরো সঠিক এবং ব্যাপক 📷 এটা ৩৬০° কোণ থেকে শরীরের ছবি তোলে এবং একটি ৩ডি ছবি দেয় 🩻 অঙ্গ, টিস্যু এবং হাড়ের সমস্যা শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয় ⚠️বিক্রিকরণের শতাংশ এক্স-রে থেকে বেশি জটিল বা জরুরী পরিস্থিতিতে প্রায়ই অনুরোধ করা হয় 🔹 এমআরআই (এমআরআই): 🔍 সর্বোচ্চ নির্ভুলতা, বিশেষ করে মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড এবং পেশীতে 💫কখনো বিকিরণ নয় (চুম্বক এবং রেডিও ঢেউয়ের সাথে কাজ করে) এটা সময় নেয়, এবং সামান্য খরচ হয় ⌛ 🧠 স্নায়ু এবং নরম টিস্যু জন্য আদর্শ 🚫 যাদের শরীরে ধাতব যন্ত্র লাগানো আছে তাদের জন্য হারাম (যেমন পেসমেকার) 🔸 ঠিক আছে এবং পিইটি-স্ক্যান? 💉একটি সাধারণ তেজস্ক্রিয় পদার্থের সাথে ইনজেক্ট করা হয়েছে 🔥 ক্যান্সার সনাক্ত এবং ছড়াতে ব্যবহৃত 📊 কোষের কার্যকলাপ পরিমাপ করে এবং শরীর কতটা চিকিৎসায় সাড়া দেয় কেমোথেরাপি বা বিকিরণ এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার জন্য খুব দরকারী 🎯 দ্রুত সারসংক্ষেপ: এক্স-রে = দ্রুত এবং প্রাকৃতিক সিটি = আরো সঠিক, পূর্ণ, কিন্তু আরো বিকিরণ আছে এমআরআই = কোন বিকিরণ এবং সর্বোচ্চ টিস্যু নির্ভুলতা নেই পিইটি = ক্যান্সার এবং কোষের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ
    0 Comments 0 Shares 1 Views
  • উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি তারকা জেমস ও তার দল নগর বাউল। সবচেয়ে চমকপ্রদ খবর হলো, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের আসন্ন কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ এই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহায়তায় ব্যয় করা হবে।

    ফেসবুকে এক শোকবার্তায় জেমস লিখেছেন, “এ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের সেই অমূল্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের হৃদয়বিদারক সমবেদনা। আহত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার যেভাবে দুঃসহ সময় পার করছেন, আমরা তাদের পাশে আছি।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, যারা সাহসিকতার সঙ্গে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের দ্রুত আরোগ্য এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর জন্য প্রার্থনা করছি।”

    বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন জেমস ও তার গানের দল, যেখানে তারা একাধিক কনসার্টে অংশ নিচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘নগরবাউল জেমস লাইভ ইন ফিলাডেলফিয়া’ শিরোনামে একটি কনসার্ট।

    এই কনসার্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান রিভারাইন এন্টারটেইনমেন্ট এক ঘোষণায় জানিয়েছে, এই কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ সরাসরি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহায়তায় ব্যয় করা হবে।

    এক ফেসবুক পোস্টে আয়োজকেরা জানিয়েছেন, “ঢাকার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতির ঘটনায় আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। এই শোকের মুহূর্তে আমরা বাংলাদেশের মানুষের পাশে আছি। কনসার্টের টিকিট বিক্রির একটি অংশ সরাসরি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দেওয়া হবে।” এই উদ্যোগ জেমস ও তার দলের মানবিক দিকটি তুলে ধরছে এবং দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর এক অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
    উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি তারকা জেমস ও তার দল নগর বাউল। সবচেয়ে চমকপ্রদ খবর হলো, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের আসন্ন কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ এই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহায়তায় ব্যয় করা হবে। ফেসবুকে এক শোকবার্তায় জেমস লিখেছেন, “এ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের সেই অমূল্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের হৃদয়বিদারক সমবেদনা। আহত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার যেভাবে দুঃসহ সময় পার করছেন, আমরা তাদের পাশে আছি।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, যারা সাহসিকতার সঙ্গে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের দ্রুত আরোগ্য এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর জন্য প্রার্থনা করছি।” বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন জেমস ও তার গানের দল, যেখানে তারা একাধিক কনসার্টে অংশ নিচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘নগরবাউল জেমস লাইভ ইন ফিলাডেলফিয়া’ শিরোনামে একটি কনসার্ট। এই কনসার্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান রিভারাইন এন্টারটেইনমেন্ট এক ঘোষণায় জানিয়েছে, এই কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ সরাসরি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহায়তায় ব্যয় করা হবে। এক ফেসবুক পোস্টে আয়োজকেরা জানিয়েছেন, “ঢাকার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতির ঘটনায় আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। এই শোকের মুহূর্তে আমরা বাংলাদেশের মানুষের পাশে আছি। কনসার্টের টিকিট বিক্রির একটি অংশ সরাসরি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দেওয়া হবে।” এই উদ্যোগ জেমস ও তার দলের মানবিক দিকটি তুলে ধরছে এবং দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর এক অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
    0 Comments 0 Shares 1 Views
  • বিখ্যাত "ব্যর্থ ব্যক্তির গল্প" যারা পৃথিবী বদলে দিয়েছেন::

    ১) মাত্র চার মাস পর টমাস এডিসনকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল; তার শিক্ষক তাকে মানসিকভাবে দুর্বল বলে চিহ্নিত করেছিলেন। পরে তিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা আবিষ্কারক হয়ে ওঠেন।

    ২) চার্লস ডারউইনকে চিকিৎসাবিদ্যা ত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল, তার বাবা তিক্তভাবে বলেছিলেন: "তুমি তোমার কল্পনা ছাড়া আর কিছুই পরোয়া করো না!" তিনি শেষ পর্যন্ত জীববিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন।

    ৩) "সৃজনশীলতার অভাব" এর জন্য ওয়াল্ট ডিজনিকে একটি সংবাদপত্রের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর তিনি বিশ্বব্যাপী প্রজন্মের কাছে প্রিয় একটি বিনোদন সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন।

    ৪) বিথোভেনের সঙ্গীত শিক্ষক তাকে সম্পূর্ণ প্রতিভাহীন বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কালজয়ী কিছু মাস্টারপিস রচনা করেছিলেন।

    ৫) আলবার্ট আইনস্টাইন চার বছর বয়স পর্যন্ত কথা বলতেন না এবং তার শিক্ষক তাকে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হয়ে উঠেন।

    ৬) আর্ট স্কুলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় তিনবার ব্যর্থ হওয়ার পর অগাস্ট রডিনের বাবা তাকে "বোকা" ঘোষণা করেছিলেন। রডিন এখন সর্বকালের সেরা ভাস্করদের একজন হিসেবে পরিচিত।

    ৭) সম্রাট ফার্দিনান্দ বিখ্যাতভাবে মোজার্টের "দ্য ম্যারেজ অফ ফিগারো"-এর সমালোচনা করেছিলেন "অনেক বেশি নোট" হিসেবে। আজ, মোজার্টের প্রতিভা প্রশ্নাতীত।

    ৮) দিমিত্রি মেন্ডেলিফ রসায়নে গড় নম্বর অর্জন করেছিলেন, তবুও তিনি পরে পর্যায় সারণী তৈরি করেছিলেন, যা বিজ্ঞানকে মৌলিকভাবে রূপান্তরিত করেছিল।

    ৯) ফোর্ড অটোমোবাইলের কিংবদন্তি স্রষ্টা হেনরি ফোর্ড মৌলিক সাক্ষরতার সাথে লড়াই করেছিলেন এবং অসাধারণ সাফল্য অর্জনের আগে একাধিকবার দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন।

    ১০) যখন মার্কনি রেডিও আবিষ্কার করেছিলেন এবং বাতাসের মাধ্যমে শব্দ প্রেরণের বর্ণনা দিয়েছিলেন, তখন তার বন্ধুরা তাকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান, ভেবেছিলেন যে তিনি তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। কয়েক মাস পরে, তার আবিষ্কার সমুদ্রে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছিল।

    শিক্ষা: অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গিকে কখনই আপনার সম্ভাবনা সংজ্ঞায়িত করতে দেবেন না। মহত্ত্ব প্রায়শই ব্যর্থতা দিয়ে শুরু হয়। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন!
    বিখ্যাত "ব্যর্থ ব্যক্তির গল্প" যারা পৃথিবী বদলে দিয়েছেন::💠 ১) মাত্র চার মাস পর টমাস এডিসনকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল; তার শিক্ষক তাকে মানসিকভাবে দুর্বল বলে চিহ্নিত করেছিলেন। পরে তিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা আবিষ্কারক হয়ে ওঠেন। ২) চার্লস ডারউইনকে চিকিৎসাবিদ্যা ত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল, তার বাবা তিক্তভাবে বলেছিলেন: "তুমি তোমার কল্পনা ছাড়া আর কিছুই পরোয়া করো না!" তিনি শেষ পর্যন্ত জীববিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। ৩) "সৃজনশীলতার অভাব" এর জন্য ওয়াল্ট ডিজনিকে একটি সংবাদপত্রের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর তিনি বিশ্বব্যাপী প্রজন্মের কাছে প্রিয় একটি বিনোদন সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। ৪) বিথোভেনের সঙ্গীত শিক্ষক তাকে সম্পূর্ণ প্রতিভাহীন বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কালজয়ী কিছু মাস্টারপিস রচনা করেছিলেন। ৫) আলবার্ট আইনস্টাইন চার বছর বয়স পর্যন্ত কথা বলতেন না এবং তার শিক্ষক তাকে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হয়ে উঠেন। ৬) আর্ট স্কুলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় তিনবার ব্যর্থ হওয়ার পর অগাস্ট রডিনের বাবা তাকে "বোকা" ঘোষণা করেছিলেন। রডিন এখন সর্বকালের সেরা ভাস্করদের একজন হিসেবে পরিচিত। ৭) সম্রাট ফার্দিনান্দ বিখ্যাতভাবে মোজার্টের "দ্য ম্যারেজ অফ ফিগারো"-এর সমালোচনা করেছিলেন "অনেক বেশি নোট" হিসেবে। আজ, মোজার্টের প্রতিভা প্রশ্নাতীত। ৮) দিমিত্রি মেন্ডেলিফ রসায়নে গড় নম্বর অর্জন করেছিলেন, তবুও তিনি পরে পর্যায় সারণী তৈরি করেছিলেন, যা বিজ্ঞানকে মৌলিকভাবে রূপান্তরিত করেছিল। ৯) ফোর্ড অটোমোবাইলের কিংবদন্তি স্রষ্টা হেনরি ফোর্ড মৌলিক সাক্ষরতার সাথে লড়াই করেছিলেন এবং অসাধারণ সাফল্য অর্জনের আগে একাধিকবার দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন। ১০) যখন মার্কনি রেডিও আবিষ্কার করেছিলেন এবং বাতাসের মাধ্যমে শব্দ প্রেরণের বর্ণনা দিয়েছিলেন, তখন তার বন্ধুরা তাকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান, ভেবেছিলেন যে তিনি তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। কয়েক মাস পরে, তার আবিষ্কার সমুদ্রে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছিল। 🕊️শিক্ষা: অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গিকে কখনই আপনার সম্ভাবনা সংজ্ঞায়িত করতে দেবেন না। মহত্ত্ব প্রায়শই ব্যর্থতা দিয়ে শুরু হয়। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন!
    0 Comments 0 Shares 1 Views
  • সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৩৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার ৮৪৭ টাকা ব্যয়ে ২ কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নতুন পদক্ষেপ
    দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য দেশীয় উৎপাদনের পাশাপাশি কক্সবাজারের মহেশখালীতে স্থাপিত দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এর অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি ক্রয় করা হয়।

    ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের জন্য স্পট মার্কেট থেকে ৫৯ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন ছিল। এরই অংশ হিসেবে, ২১-২২ আগস্ট তারিখে ১ কার্গো এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাব পাঠায় পেট্রোবাংলা। তবে, প্রথম দফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোটেশন না পাওয়ায় কার্যক্রমটি স্থগিত হয়ে যায়।

    দুই কার্গো এলএনজির বিস্তারিত
    এরপর গত ১৪ জুলাই পুনরায় কোটেশন আহ্বান করা হয় এবং ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে ই-মেইলে পত্র পাঠানো হয়। নির্ধারিত সময়ে জমা পড়া ৭টি প্রতিষ্ঠানের কোটেশন যাচাই-বাছাই করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

    প্রথম কার্গো: সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ১২.২২ মার্কিন ডলার উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়। এই ১ কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি আমদানিতে ৫১৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮ টাকা ব্যয় হবে। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

    দ্বিতীয় কার্গো: এছাড়া, সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে আরও ১ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কার্গোর জন্য প্রতি এমএমবিটিইউর দাম ধরা হয়েছে ১২.৪৩ মার্কিন ডলার, এবং এর আমদানিতে ব্যয় হবে ৫২২ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৬৯ টাকা। এক্ষেত্রে ৫টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়, যার মধ্যে ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়।

    এই পদক্ষেপগুলো দেশের জ্বালানি সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
    সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৩৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার ৮৪৭ টাকা ব্যয়ে ২ কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নতুন পদক্ষেপ দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য দেশীয় উৎপাদনের পাশাপাশি কক্সবাজারের মহেশখালীতে স্থাপিত দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এর অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি ক্রয় করা হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের জন্য স্পট মার্কেট থেকে ৫৯ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন ছিল। এরই অংশ হিসেবে, ২১-২২ আগস্ট তারিখে ১ কার্গো এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাব পাঠায় পেট্রোবাংলা। তবে, প্রথম দফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোটেশন না পাওয়ায় কার্যক্রমটি স্থগিত হয়ে যায়। দুই কার্গো এলএনজির বিস্তারিত এরপর গত ১৪ জুলাই পুনরায় কোটেশন আহ্বান করা হয় এবং ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে ই-মেইলে পত্র পাঠানো হয়। নির্ধারিত সময়ে জমা পড়া ৭টি প্রতিষ্ঠানের কোটেশন যাচাই-বাছাই করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রথম কার্গো: সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ১২.২২ মার্কিন ডলার উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়। এই ১ কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি আমদানিতে ৫১৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮ টাকা ব্যয় হবে। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। দ্বিতীয় কার্গো: এছাড়া, সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে আরও ১ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কার্গোর জন্য প্রতি এমএমবিটিইউর দাম ধরা হয়েছে ১২.৪৩ মার্কিন ডলার, এবং এর আমদানিতে ব্যয় হবে ৫২২ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৬৯ টাকা। এক্ষেত্রে ৫টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়, যার মধ্যে ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়। এই পদক্ষেপগুলো দেশের জ্বালানি সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
    0 Comments 0 Shares 1 Views
  • বাংলাদেশি বিজ্ঞানী প্রমিত ঘোষ,,,,

    [প্রমিত ঘোষ তার উচ্চশিক্ষার প্রথম ধাপ পূরণ করেছেন বুয়েট (BUET)-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, যার ভিত্তিতেই তার গবেষণাকে তিনি শক্তিশালী করেছেন ।

    এরপর তিনি পিএইচডি করেছেন Penn State University-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে।]

    যেই গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহলে আলোড়ন তুলেছেন, তার মূল বিষয় ছিল:

    Nonreciprocal Thermal Radiation — অর্থাৎ "অপ্রতিসম তাপ বিকিরণ"।

    এই গবেষণাটি ১৬৫ বছরের পুরনো পদার্থবিজ্ঞানের একটি মূল সূত্র Kirchhoff's Law of Thermal Radiation-কে চ্যালেঞ্জ করেছে।

    গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি পদার্থ বা বস্তু তৈরি করা, যা একদিকে থেকে তাপ বিকিরণ বেশি করবে কিন্তু সেই দিকে তাপ শোষণ করবে কম — অর্থাৎ nonreciprocal (অপ্রতিসম) আচরণ করবে।

    Kirchhoff-এর সূত্র বলে —

    "যে বস্তু যতটা তাপ বিকিরণ করে, ঠিক ততটাই সে তাপ শোষণ করে।"

    এই সূত্র চিরকাল সত্য বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রমিত ঘোষ ও তার দল এই ধারনাটিকে সফলভাবে চ্যালেঞ্জ করেছেন।

    কিভাবে গবেষণা করা হয়:

    1. মেটামেটেরিয়াল তৈরি:

    প্রমিত ঘোষের দল একটি পাঁচ স্তরবিশিষ্ট পাতলা ফিল্ম (thin-film) তৈরি করেন, যা বিশেষভাবে ডিজাইন করা ছিল এমনভাবে, যেন সেটা তাপের নির্গমন একদিকে বেশি করে — কিন্তু বিপরীত দিকে কম।

    2. চুম্বকীয় ক্ষেত্র ব্যবহার:

    তাপ বিকিরণকে "অপ্রতিসম" করতে তারা চুম্বকীয় ক্ষেত্র (Magnetic Field) ব্যবহার করেন। এটি বস্তুটির তাপ বিকিরণ গুণকে পরিবর্তন করে, যাতে একদিকে emission বাড়ে কিন্তু absorption বাড়ে না।

    3. নতুন যন্ত্র আবিষ্কার:

    তারা "Magnetic Thermal Spectrophotometer" নামে একটি নতুন যন্ত্র তৈরি করেন, যেটি এমন অপ্রতিসম তাপ বিকিরণ সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারে। এটাই ছিল প্রথম এই ধরনের যন্ত্র।

    এটি আধুনিক থার্মোডাইনামিক্সে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

    ভবিষ্যতে তাপ নির্গমন নিয়ন্ত্রণযোগ্য হবে — যা ব্যবহার হতে পারে:

    স্পেস টেকনোলজিতে (NASA, Satellites)

    থার্মাল ক্যামেরা ও সেন্সরে

    এনার্জি হারভেস্টিং ও তাপ ব্যবস্থাপনায়।

    Nusrat Chowdhury
    বাংলাদেশি বিজ্ঞানী প্রমিত ঘোষ,,,, 🙂 [প্রমিত ঘোষ তার উচ্চশিক্ষার প্রথম ধাপ পূরণ করেছেন বুয়েট (BUET)-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, যার ভিত্তিতেই তার গবেষণাকে তিনি শক্তিশালী করেছেন । এরপর তিনি পিএইচডি করেছেন Penn State University-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে।] যেই গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহলে আলোড়ন তুলেছেন, তার মূল বিষয় ছিল: Nonreciprocal Thermal Radiation — অর্থাৎ "অপ্রতিসম তাপ বিকিরণ"। এই গবেষণাটি ১৬৫ বছরের পুরনো পদার্থবিজ্ঞানের একটি মূল সূত্র Kirchhoff's Law of Thermal Radiation-কে চ্যালেঞ্জ করেছে। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি পদার্থ বা বস্তু তৈরি করা, যা একদিকে থেকে তাপ বিকিরণ বেশি করবে কিন্তু সেই দিকে তাপ শোষণ করবে কম — অর্থাৎ nonreciprocal (অপ্রতিসম) আচরণ করবে। Kirchhoff-এর সূত্র বলে — "যে বস্তু যতটা তাপ বিকিরণ করে, ঠিক ততটাই সে তাপ শোষণ করে।" এই সূত্র চিরকাল সত্য বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রমিত ঘোষ ও তার দল এই ধারনাটিকে সফলভাবে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ⚙️ কিভাবে গবেষণা করা হয়: 1. মেটামেটেরিয়াল তৈরি: প্রমিত ঘোষের দল একটি পাঁচ স্তরবিশিষ্ট পাতলা ফিল্ম (thin-film) তৈরি করেন, যা বিশেষভাবে ডিজাইন করা ছিল এমনভাবে, যেন সেটা তাপের নির্গমন একদিকে বেশি করে — কিন্তু বিপরীত দিকে কম। 2. চুম্বকীয় ক্ষেত্র ব্যবহার: তাপ বিকিরণকে "অপ্রতিসম" করতে তারা চুম্বকীয় ক্ষেত্র (Magnetic Field) ব্যবহার করেন। এটি বস্তুটির তাপ বিকিরণ গুণকে পরিবর্তন করে, যাতে একদিকে emission বাড়ে কিন্তু absorption বাড়ে না। 3. নতুন যন্ত্র আবিষ্কার: তারা "Magnetic Thermal Spectrophotometer" নামে একটি নতুন যন্ত্র তৈরি করেন, যেটি এমন অপ্রতিসম তাপ বিকিরণ সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারে। এটাই ছিল প্রথম এই ধরনের যন্ত্র। এটি আধুনিক থার্মোডাইনামিক্সে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ভবিষ্যতে তাপ নির্গমন নিয়ন্ত্রণযোগ্য হবে — যা ব্যবহার হতে পারে: স্পেস টেকনোলজিতে (NASA, Satellites) থার্মাল ক্যামেরা ও সেন্সরে এনার্জি হারভেস্টিং ও তাপ ব্যবস্থাপনায়। Nusrat Chowdhury
    0 Comments 0 Shares 0 Views
  • ক্রীড়া ও শিল্প জগতের এক অভাবনীয় সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা (১৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার) মূল্যে বিক্রি হয়েছে লিওনেল মেসির পছন্দের একটি গোলের ডিজিটাল শিল্পকর্ম! তুর্কি বংশোদ্ভূত আমেরিকান শিল্পী রেফিক আনাদোল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে এই অনন্য শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন, যার নাম ‘অ্যা গোল ইন লাইফ: মেসি x রেফিক আনাদোল’। ব্রিটেনের স্বনামধন্য নিলাম প্রতিষ্ঠান ‘ক্রিস্টিস’-এর নিলামে গতকাল এই চিত্রকর্মটি বিক্রি হয়েছে। তবে, নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রেতার নাম প্রকাশ করেনি।

    দাতব্য কাজে ব্যবহৃত হবে বিক্রির অর্থ
    এই শিল্পকর্ম বিক্রির পুরো অর্থই ইন্টার মিয়ামি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে। ফাউন্ডেশনটি বিভিন্ন দাতব্য কাজে অর্থ ব্যয় করে, যার মধ্যে আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, এল সালভাদর, হন্ডুরাস ও হাইতিতে শিক্ষার প্রসারে ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

    শিল্পীর ভাবনা: "খেলার সঙ্গে শিল্পের সাক্ষাৎ"
    নিলামের আগে ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিল্পী আনাদোল জানান, তার ইচ্ছা ছিল এই শিল্পকর্ম যেন কোনো ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় হারিয়ে না যায়। তিনি যুক্তি দেন, “এটা শুধু দুজন ব্যক্তির মাঝে সংযোগ নয়, এটা দুটি বিভাগের মাঝে সংলাপও। শিল্পীর সঙ্গে শিল্পীর সাক্ষাৎ নয়, খেলার সঙ্গে শিল্পের সাক্ষাৎ। এ কারণেই এটা এত সতেজ ও শক্তিশালী।”

    বিভিন্ন যন্ত্র ও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আনাদোল কয়েক সপ্তাহ সময় নিয়ে মেসির পছন্দের গোলটির ত্রিমাত্রিক রূপ দিয়েছেন।

    মেসির পছন্দের গোল: ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল
    আনাদোল যে গোলটিকে শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করেছেন, সেটি ছিল ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের গোল। রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেডে সেই গোলটি করেছিলেন মেসি। তখন তিনি পেপ গার্দিওলার বার্সেলোনার ‘ড্রিম টিম’-এর ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৭০ মিনিটে জাভি হার্নান্দেজের ক্রস থেকে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার মেসি লাফিয়ে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ডের (৬ ফুট ২ ইঞ্চি) চেয়েও বেশি উচ্চতায় উঠে হেডে গোলটি করেছিলেন। মেসি এতটাই ওপরে উঠেছিলেন যে তার পা থেকে বুটও খসে গিয়েছিল।

    এই গোলটি যে মেসির পছন্দের গোল, তা তিনি কয়েক মাস আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যা এখনো প্রকাশিত হয়নি। মেসি সেখানে বলেছিলেন, "(পছন্দের গোল হিসেবে কোনো) একটা বেছে নেওয়া কঠিন, কারণ অনেক (গোল) আছে। ওই গোলটি আমার পছন্দের। এটা সবচেয়ে সুন্দর ও অনন্য। কারণ হেডে করেছি, লাফিয়ে অনেক উঁচুতে উঠেছিলাম যেটা আমার ক্ষেত্রে বিরল।"

    এক নতুন দিগন্ত
    নিলামের পর কিউরেটর জিমেনা কামিনোস বলেছেন, "মেসির সবচেয়ে পছন্দের গোল থেকে এমন শিল্পকর্ম তৈরি হবে, সেটা শুধু হাজারো দর্শকদের আনন্দ দেবে না, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও এগিয়ে নেবে।" ক্রিস্টিসের ১০ম আর্ট+টেক সম্মেলনে গত ১২ জুলাই থেকে তাদের নিউইয়র্ক শাখায় এই শিল্পকর্মটি প্রদর্শিত হয়েছে। নিলাম প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সেলসের ব্যবস্থাপক সেবাস্তিয়ান সানচেজ জানান, ১৫ লাখ ডলার থেকে এই শিল্পকর্মের দাম হাঁকা শুরু হয়। ২০২২ বিশ্বকাপে মেসি যে ছয়টি জার্সি পরেছিলেন সেগুলো গত বছর খেলাধুলায় সবচেয়ে দামি স্মারক হিসেবে ৭৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
    ক্রীড়া ও শিল্প জগতের এক অভাবনীয় সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা (১৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার) মূল্যে বিক্রি হয়েছে লিওনেল মেসির পছন্দের একটি গোলের ডিজিটাল শিল্পকর্ম! তুর্কি বংশোদ্ভূত আমেরিকান শিল্পী রেফিক আনাদোল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে এই অনন্য শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন, যার নাম ‘অ্যা গোল ইন লাইফ: মেসি x রেফিক আনাদোল’। ব্রিটেনের স্বনামধন্য নিলাম প্রতিষ্ঠান ‘ক্রিস্টিস’-এর নিলামে গতকাল এই চিত্রকর্মটি বিক্রি হয়েছে। তবে, নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রেতার নাম প্রকাশ করেনি। দাতব্য কাজে ব্যবহৃত হবে বিক্রির অর্থ এই শিল্পকর্ম বিক্রির পুরো অর্থই ইন্টার মিয়ামি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে। ফাউন্ডেশনটি বিভিন্ন দাতব্য কাজে অর্থ ব্যয় করে, যার মধ্যে আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, এল সালভাদর, হন্ডুরাস ও হাইতিতে শিক্ষার প্রসারে ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শিল্পীর ভাবনা: "খেলার সঙ্গে শিল্পের সাক্ষাৎ" নিলামের আগে ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিল্পী আনাদোল জানান, তার ইচ্ছা ছিল এই শিল্পকর্ম যেন কোনো ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় হারিয়ে না যায়। তিনি যুক্তি দেন, “এটা শুধু দুজন ব্যক্তির মাঝে সংযোগ নয়, এটা দুটি বিভাগের মাঝে সংলাপও। শিল্পীর সঙ্গে শিল্পীর সাক্ষাৎ নয়, খেলার সঙ্গে শিল্পের সাক্ষাৎ। এ কারণেই এটা এত সতেজ ও শক্তিশালী।” বিভিন্ন যন্ত্র ও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আনাদোল কয়েক সপ্তাহ সময় নিয়ে মেসির পছন্দের গোলটির ত্রিমাত্রিক রূপ দিয়েছেন। মেসির পছন্দের গোল: ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল আনাদোল যে গোলটিকে শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করেছেন, সেটি ছিল ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের গোল। রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেডে সেই গোলটি করেছিলেন মেসি। তখন তিনি পেপ গার্দিওলার বার্সেলোনার ‘ড্রিম টিম’-এর ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৭০ মিনিটে জাভি হার্নান্দেজের ক্রস থেকে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার মেসি লাফিয়ে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ডের (৬ ফুট ২ ইঞ্চি) চেয়েও বেশি উচ্চতায় উঠে হেডে গোলটি করেছিলেন। মেসি এতটাই ওপরে উঠেছিলেন যে তার পা থেকে বুটও খসে গিয়েছিল। এই গোলটি যে মেসির পছন্দের গোল, তা তিনি কয়েক মাস আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যা এখনো প্রকাশিত হয়নি। মেসি সেখানে বলেছিলেন, "(পছন্দের গোল হিসেবে কোনো) একটা বেছে নেওয়া কঠিন, কারণ অনেক (গোল) আছে। ওই গোলটি আমার পছন্দের। এটা সবচেয়ে সুন্দর ও অনন্য। কারণ হেডে করেছি, লাফিয়ে অনেক উঁচুতে উঠেছিলাম যেটা আমার ক্ষেত্রে বিরল।" এক নতুন দিগন্ত নিলামের পর কিউরেটর জিমেনা কামিনোস বলেছেন, "মেসির সবচেয়ে পছন্দের গোল থেকে এমন শিল্পকর্ম তৈরি হবে, সেটা শুধু হাজারো দর্শকদের আনন্দ দেবে না, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও এগিয়ে নেবে।" ক্রিস্টিসের ১০ম আর্ট+টেক সম্মেলনে গত ১২ জুলাই থেকে তাদের নিউইয়র্ক শাখায় এই শিল্পকর্মটি প্রদর্শিত হয়েছে। নিলাম প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সেলসের ব্যবস্থাপক সেবাস্তিয়ান সানচেজ জানান, ১৫ লাখ ডলার থেকে এই শিল্পকর্মের দাম হাঁকা শুরু হয়। ২০২২ বিশ্বকাপে মেসি যে ছয়টি জার্সি পরেছিলেন সেগুলো গত বছর খেলাধুলায় সবচেয়ে দামি স্মারক হিসেবে ৭৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
    0 Comments 0 Shares 0 Views
  • চীনের ১৮ বছর বয়সী স্মার্ট তরুণ চেন ভেবেছিল, এই গ্রীষ্ম ছোট ছোট বাচ্চাদের সাঁতার শিখিয়ে কাটিয়ে দেবে, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। সহজ-সরল একটা আইডিয়া। কিন্তু বাস্তবে ঘটল ঠিক তার উল্টোটা।

    দেশটির হ্যাংঝু চেন জিংলুন স্পোর্টস স্কুলে ক্লাস নেওয়ার সময় কিছু বাচ্চার মা তাদের সন্তানদের ভিডিও করতে শুরু করেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো, ক্যামেরা বাচ্চাদের রেখে বার বার চেনের উপর ফোকাস করছিল!

    সুদর্শন সুইমিং টিচার চেনের ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকে যা ঘটছে, তা রীতিমতো নাটকীয়—

    একজন মা জিজ্ঞেস করেন, “আমার ২৬৪ মাস বয়সী শিশুটি কি আপনার ক্লাসে আসতে পারবে?” হিসেব করে বললে, ওই "শিশুটির" বয়স ২২ বছর!

    আরেকজন লিখেছেন, “আগে বুঝতে পারিনি, আমি সাঁতার পছন্দ করতাম না, কারণ আমার কোনো হ্যান্ডসাম কোচ ছিল না!”

    একদিকে চেন বাচ্চাদের সাঁতার শেখাচ্ছে। অন্যদিকে অভিভাবকরা ইনবক্সে এসে তাকে প্রেমের প্রস্তাব, হ্যাংআউট প্রপোজাল, এমনকি বিনা নোটিশে ফোন নাম্বার পাঠিয়ে দিচ্ছেন!

    শেষ পর্যন্ত বেচারা চেন বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেয়, “দয়া করে আমাকে ব্যক্তিগত মেসেজ পাঠানো বন্ধ করুন। এটা আমার দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা তৈরি করছে।”

    ভাইরাল হওয়াটা অনেক সময় আশীর্বাদ না হয়ে একটা বাজে অভিজ্ঞতাও হয়ে দাঁড়াতে পারে- চেন এখন সেটা হাড়ে হাড়েই টের পাচ্ছে।
    .
    .
    #itihaser_golpo #itihasergolpo
    চীনের ১৮ বছর বয়সী স্মার্ট তরুণ চেন ভেবেছিল, এই গ্রীষ্ম ছোট ছোট বাচ্চাদের সাঁতার শিখিয়ে কাটিয়ে দেবে, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। সহজ-সরল একটা আইডিয়া। কিন্তু বাস্তবে ঘটল ঠিক তার উল্টোটা। দেশটির হ্যাংঝু চেন জিংলুন স্পোর্টস স্কুলে ক্লাস নেওয়ার সময় কিছু বাচ্চার মা তাদের সন্তানদের ভিডিও করতে শুরু করেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো, ক্যামেরা বাচ্চাদের রেখে বার বার চেনের উপর ফোকাস করছিল! সুদর্শন সুইমিং টিচার চেনের ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকে যা ঘটছে, তা রীতিমতো নাটকীয়— একজন মা জিজ্ঞেস করেন, “আমার ২৬৪ মাস বয়সী শিশুটি কি আপনার ক্লাসে আসতে পারবে?” হিসেব করে বললে, ওই "শিশুটির" বয়স ২২ বছর! আরেকজন লিখেছেন, “আগে বুঝতে পারিনি, আমি সাঁতার পছন্দ করতাম না, কারণ আমার কোনো হ্যান্ডসাম কোচ ছিল না!” একদিকে চেন বাচ্চাদের সাঁতার শেখাচ্ছে। অন্যদিকে অভিভাবকরা ইনবক্সে এসে তাকে প্রেমের প্রস্তাব, হ্যাংআউট প্রপোজাল, এমনকি বিনা নোটিশে ফোন নাম্বার পাঠিয়ে দিচ্ছেন! শেষ পর্যন্ত বেচারা চেন বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেয়, “দয়া করে আমাকে ব্যক্তিগত মেসেজ পাঠানো বন্ধ করুন। এটা আমার দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা তৈরি করছে।” ভাইরাল হওয়াটা অনেক সময় আশীর্বাদ না হয়ে একটা বাজে অভিজ্ঞতাও হয়ে দাঁড়াতে পারে- চেন এখন সেটা হাড়ে হাড়েই টের পাচ্ছে। . . #itihaser_golpo #itihasergolpo
    0 Comments 0 Shares 2 Views
More Results
BlackBird Ai
https://bbai.shop