১০ বছর নিষিদ্ধ আর্সেনাল ⚠️

ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ফুটবল বিশ্বে নেমে এলো আরও একটি বড় শাস্তির খাঁড়া। এবার অভিযুক্ত মন্টেনেগ্রোর ক্লাব এফকে আর্সেনাল তিভাত। তবে ক্লাবকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার চেয়েও বড় খবর হলো, এই ঘটনায় জড়িত একজন খেলোয়াড় ও একজন ক্লাব কর্মকর্তাকে ফুটবল থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা।
নিষিদ্ধ হওয়া ব্যক্তিরা হলেন খেলোয়াড় নিকোলা সেলেবিচ এবং ক্লাব কর্মকর্তা রানকো ক্রাগোভিচ। ফুটবল-সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে তাদের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। শুধু তাই নয়, আরও তিন খেলোয়াড়—চেটকো মানোজলোভিচ, দুসান পুলেতিচ এবং রাদুলে জিভকোভিচ—প্রত্যেককে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মূল ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালের জুলাই মাসে, উয়েফা কনফারেন্স লিগের বাছাইপর্বের একটি ম্যাচ ঘিরে। আর্মেনিয়ার ক্লাব আলাশকার্টের বিপক্ষে প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করার পর, দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরে যায় আর্সেনাল তিভাত। এই ম্যাচের ফলাফল নিয়েই সন্দেহের দানা বাঁধে এবং উয়েফা তদন্ত শুরু করে।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে উয়েফার কন্ট্রোল, এথিকস অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি বডি (সিইডিবি) এই কঠিন শাস্তির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ক্লাবটিকে আগামী ১০ বছরের জন্য ইউরোপীয় কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি পাঁচ লাখ ইউরো জরিমানাও করা হয়েছে। এই শাস্তির মেয়াদ ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে শুরু হয়ে ২০৩৪-৩৫ মৌসুম পর্যন্ত চলবে।
উয়েফার পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আর্সেনাল তিভাত উয়েফার শৃঙ্খলাবিধির ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে, যেখানে ম্যাচ ও প্রতিযোগিতার নৈতিকতা রক্ষা এবং সাধারণ আদর্শিক আচরণ মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।
এই শাস্তিটিকে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে ২০১৭ সালে আলবেনিয়ার ক্লাব স্কেন্দেরবুকে একই ধরনের অভিযোগে ১২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল উয়েফা।
উয়েফা জানিয়েছে, তারা বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাকেও এই শাস্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর করার জন্য অনুরোধ জানাবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে আর্সেনাল তিভাতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
তবে ঠিক কীভাবে বা কোন আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ম্যাচটি পাতানো হয়েছিল, সে বিষয়ে উয়েফা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

