এক ঘোড়ার ক্ষমতা আসলে ১ হর্সপাওয়ারের চেয়ে ও বেশি।একটি সুস্থ ঘোড়ার শক্তি ২৪ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত হতে পারে।

আমরা সাধারণত এক হর্সপাওয়ারকে (HP) ঘোরার স্বাভাবিক ক্ষমতায় হিসেবে জানি। শুনতে লজিক্যাল মনে হলেও আসলে ব্যাপারটা তেমন নয়। দৌড়ানোর সময় একটি ঘোড়া কয়েক সেকেন্ডের জন্য ১২ থেকে ১৫ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত শক্তি দিতে পারে। অর্থাৎ, নামের সাথে বাস্তবতার তফাৎ বেশ বড়।
হর্সপাওয়ার আসলে শক্তি মাপার একটি একক। গাড়ির ইঞ্জিনের ক্ষমতা বোঝাতে আমরা বেশি এটা ব্যবহার করি। কিন্তু প্রাণীর শক্তিও এই মাপে ধরা যায়। হিসাবটা হলো ২৪৯ কেজি ওজন এক ফুট দূরে এক সেকেন্ডে সরানোর মতো ক্ষমতা। সংখ্যায় প্রায় ৭৪৬ ওয়াট।
১৮শ শতাব্দীর দিকে স্কটিশ প্রকৌশলী জেমস ওয়াট স্টিম ইঞ্জিন বিক্রি করছিলেন। তখনকার দিনে অনেক কাজই হত ঘোড়ার ওপর নির্ভর করে। তাই তিনি চাইলেন এমন একটা মাপকাঠি তৈরি করতে যা দিয়ে মানুষ বুঝতে পারবে স্টিম ইঞ্জিন ঘোড়ার চেয়ে বেশি কাজে লাগে। কিছুটা শিথিল গণনা করে তিনি দেখালেন, একটা ঘোড়া সারাদিনে প্রায় ১ হর্সপাওয়ার শক্তি দিতে পারে। লক্ষ্য করুন, এটা গড় ক্ষমতা, সর্বোচ্চ নয়।
আমরা মূলত এখানেই বুঝতে ভুল করি। জেমস ওয়াটের দেওয়া গড় ক্ষমতাকেই আমরা ঘোরার আসল ক্ষমতা মনে করি। ১৯৯৩ সালের নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেন ৬০০ কেজি ওজনের একটি সুস্থ ঘোড়া তাত্ত্বিকভাবে ২৪ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত দিতে পারে।
যদিও বাস্তবে ঘোড়া টানা বা দৌড় প্রতিযোগিতায় ১২ থেকে ১৪.৯ হর্সপাওয়ারই দেখা গেছে। আর সেটাও কয়েক সেকেন্ডের জন্য। ১৯২৫ সালের আইওয়া স্টেট ফেয়ারের প্রতিযোগিতার তথ্যও এই পরিসংখ্যানকে সমর্থন করে।
তুলনায়, একটা সাধারণ গাড়ির শক্তি গড়ে ১৮০-২০০ হর্সপাওয়ার। তাই ‘একটি ঘোড়ার শক্তি = এক হর্সপাওয়ার’ আসলে একটা ঐতিহাসিক মার্কেটিং ফর্মুলা যা তখনকার যুগে কার্যকর ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘোড়া তার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। (বিজ্ঞান্বেষী)
সূত্র: আইএফএল সায়েন্স
#Bigganneshi #horse #HP #horsepower #physics #steamengine #kbkh #sciencebee_কি_বিজ্ঞানওমহাকাশখুঁজছে
