শুধু শিক্ষা গ্রহণ করলেই শিক্ষিত হয় না.

টাকা দিয়ে আপনার সন্তানকে সব কিছু দিতে পারলে ও, বিনয়ী হওয়া কখনো শিখাতে পারবেন না। জীবনে আপনার সন্তানকে আর কিছু দেন আর না দেন, অন্তত বিনয়ী হওয়ার শিক্ষা টা দিয়েন। এটা তার জন্য জীবনের সবচেয়ে জরুরি শিক্ষা।
"অন্যদের সম্মান করতে শেখাবেন। ভিন্নমতকে সহ্য করতে শেখাবেন। সাফল্য পেলে বা টাকা পয়সার মালিক হলে সে যেন অন্ধ না হয়ে যায়। এই সমাজে আমরা এমন মানুষ তৈরি করছি, যাদের হাতে দামি মোবাইল আছে কিন্তু মুখে ভদ্রতা নেই। যাদের পায়ে ব্র্যান্ডেড জুতা আছে কিন্তু হৃদয়ে শ্রদ্ধা নেই।"
আপনার সন্তান যদি শিক্ষক,গৃহকর্মী,রিকশাওয়ালা,কিংবা অফিসের চৌকিদার কাউকে সম্মান করতে না শেখে,তাহলে আপনি তাকে মানুষ নয়,একটা ‘অহঙ্কারী রোবট’ বানিয়ে দিচ্ছেন।
অনেক বাবা-মা সন্তানের অশ্রদ্ধা দেখে হাসেন,বলে, “আমার ছেলেটা একটু স্মার্ট,জবাব দিতে জানে। না আপনি ভুল বুঝছেন। এটা স্মার্টনেস না, এটা ‘অভদ্রতা’।
আপনি সন্তানকে গাড়ি দিতে পারেন, বাড়ি দিতে পারেন, টাকা দিতে পারেন, কিন্তু বিনয়, সহানুভূতি, আর আদব এই জিনিসগুলো তাকে হাতে ধরে শেখাতে হয়।
"এই শিক্ষাটা আপনি যদি না দেন, তাহলে একদিন সমাজ তার দামি জামা-কাপড় দেখে না,তার ব্যাবহার দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেবে। সন্তানকে মানুষ বানান। শুধু সফল না,বিনয়ী মানুষ।
কারণ সফল মানুষকে মানুষ একবার দেখে,আর বিনয়ী মানুষকে বারবার মনে রাখে।"
সমাজে এখনকার সময়ে ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা এবং নৈতিক শিক্ষা প্রত্যেক এর মধ্যে গড়ে তুলার মাধ্যমে ই ভালো কিছু করা সম্ভব। আমরা সকলেই আমাদের সন্তানদের বিনয়ী হওয়ার জন্য চেষ্টা করি।
