-
Кошелек
-
Explore Our Features
-
Маркет
-
Страницы
-
Группы
-
Reels
-
Gossip
-
Статьи пользователей
-
Мероприятия
-
Статьи пользователей
-
Ai and Tools
-
Donation
-
Jobs
-
Courses
-
Игры
-
Feed
বেতন ৩০ কোটি⚠️
বছরে ৩০ কোটি টাকার চাকরি করারও লোক পাওয়া যেতো না ... পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ
🚨প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম হিসেবে খ্যাত আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর শুধু একটি স্থাপত্য কীর্তি নয়, ছিল এক প্রাণরক্ষাকারী নৌদিশারী যন্ত্র। এটি তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টজন্মের প্রায় ৩০০ বছর আগে, মিশরের ফারাও প্রথম টলেমির নির্দেশে, বিখ্যাত স্থপতি সোস্ট্রেটস অফ ক্নিডাসের নকশায়। আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরের কাছে ফারোস দ্বীপে নির্মিত এই বাতিঘরটি শুধু প্রাচীন বিশ্বের নয়, মানব সভ্যতার স্থাপত্য ও প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
🚨 বিপুল বেতনেও লোক পাওয়া যেত না:-
▪️ এই বাতিঘরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল — ২৪ ঘণ্টা আলো জ্বালিয়ে রাখা, যাতে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে পথ হারানো জাহাজরা নিরাপদে বন্দরে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু এই কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। গভীর সমুদ্রের মাঝে, প্রবল ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মধ্যে একা বসবাস করে লাগাতার নজর রাখতে হত আলো জ্বলছে কি না। এক মুহূর্তের গাফিলতিতেই ঘটতে পারত ভয়াবহ জাহাজডুবি।
▪️ এই দায়িত্বের জন্য ফারাও যে বেতনের ঘোষণা করেছিলেন তার পরিমাণ আজকের অর্থমূল্যে প্রায় ৩০ কোটি টাকা! সেই সঙ্গে ছিল বিলাসবহুল থাকার ব্যবস্থা, খাবার, পোশাক, এমনকি চিকিৎসার সুবিধাও।
তবু, এই চাকরিকে বলা হত "বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কাজ"— কারণ কেউ একাকীত্ব, ভয় ও দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারতেন না।
🚨 এক জাহাজডুবির গল্প থেকে জন্ম নিয়েছিল বাতিঘর:-
▪️ আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘরের পেছনে রয়েছে এক বাস্তব গল্প। প্রাচীন নাবিক মোরেসিয়াস, একবার এই উপকূলে হারিকেনের কবলে পড়েন। উপকূলের কাছে লুকিয়ে থাকা পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তার জাহাজ ডুবে যায়। এরপর ফারাও উপলব্ধি করেন নিরাপদ জাহাজ চলাচলের জন্য একটি শক্তিশালী আলোকিত স্থাপনার প্রয়োজন, যার ফলে নির্মিত হয় এই বাতিঘর।
🚨 স্থাপত্যের অমর নিদর্শন:-
▪️ আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘরের উচ্চতা ছিল প্রায় ১৩৫ মিটার (৪৪০ ফুট), যা একাধিক স্তরে বিভক্ত ছিল। একেবারে ওপরে রাখা হত অগ্নিকুণ্ড, যেখান থেকে ধাতব আয়না দিয়ে আলো প্রতিফলিত করে দূরের সমুদ্রেও পাঠানো হত দিশা।
▪️ পরবর্তী সময়ে প্রযুক্তির উন্নয়নে এতে স্বয়ংক্রিয় আলো ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়। যদিও কয়েকটি ভূমিকম্পে এটি ধ্বংস হয়ে যায়, তবুও এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও স্থাপত্যগুণ আজও বিস্ময় জাগায়।
🚨 আজকের দিনে ঐতিহাসিক আকর্ষণ:-
▪️ বর্তমানে এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও এর ধ্বংসাবশেষ এখনও সমুদ্রতলে পাওয়া যায়। অনেক পর্যটক ও গবেষক সমুদ্রতলে ডাইভ করে এই নিদর্শন দেখতে যান। ইতিহাস, প্রকৌশল ও সাহসিকতার এক মিশ্র উপাখ্যান হয়ে আজও মানুষের কল্পনায় জায়গা করে নিয়েছে এই বাতিঘর।
🚨 আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর কেবল একটি আলোকস্তম্ভ নয়, এটি ছিল সাহস, আত্মত্যাগ এবং প্রযুক্তিগত দূরদর্শিতার এক অনন্য নিদর্শন। আজও এটি প্রমাণ করে, অর্থ দিয়ে সবকিছু কেনা যায় না—বিশেষ করে মানবিক সহনশীলতা ও মনোবল, যা এই কাজের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ছিল।
🏞️ এইধরনের নতুন নতুন তথ্যপূর্ণ পোস্ট পেতে হলে আমাদের পেজটিকে ফলো করবেন।।
#facts #maps #Amezing #followerseveryone #follower #viral #trendingpost #ad #lighthouse #jobs