• চেরনোবিল, যেখানে একসময় একটি ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে ছিল, তা এখন একটি মৃত প্রান্তরে পরিণত হয়েছে। তবে ভয়াবহ এই পরিবেশেও কিছু জীবিত সত্তা শেষ পর্যন্ত রেখেছে তাদের অস্তিত্ব। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একটি কালো রঙের ছত্রাক। নাম Cladosporium sphaerospermum।

    এটি সাধারণ ছত্রাকের মতো নয়। বাতাস বা সূর্যের আলো থেকে নয় বরং চেরনোবিলের বিপজ্জনক রেডিয়েশন (তেজস্ক্রিয় রশ্মি) শোষণ করেই বেঁচে থাকে! এর মধ্যে এক বিশেষ মৌলিক উপাদান মেলানিন বিদ্যমান, যা আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে। এই মেলানিন রেডিয়েশন শোষণ করে এবং সেই শক্তির মাধ্যমে ছত্রাকটি বৃদ্ধি পায়।

    যদিও এটি চেরনোবিলের পরিবেশকে পুরোপুরি পুনরুজ্জীবিত করছে না। তবুও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রেডিয়েশনকে কাজে লাগাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ছত্রাক পারমাণবিক দুর্ঘটনার প্রভাবে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হতে পারে। এমনকি মহাকাশ ভ্রমণের সময় রেডিয়েশন সুরক্ষার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।

    এই ক্ষুদ্র ছত্রাকটি প্রমাণ করে, প্রকৃতি কখনো সহজে হার মানে না। ধ্বংসের মাঝেও সে নতুন সম্ভাবনার বীজ বোনে।

    লেখা: আহনাফ তাহমিদ রহমান
    #Bigganneshi #nature #chernobyl #radiation #science
    চেরনোবিল, যেখানে একসময় একটি ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে ছিল, তা এখন একটি মৃত প্রান্তরে পরিণত হয়েছে। তবে ভয়াবহ এই পরিবেশেও কিছু জীবিত সত্তা শেষ পর্যন্ত রেখেছে তাদের অস্তিত্ব। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একটি কালো রঙের ছত্রাক। নাম Cladosporium sphaerospermum। এটি সাধারণ ছত্রাকের মতো নয়। বাতাস বা সূর্যের আলো থেকে নয় বরং চেরনোবিলের বিপজ্জনক রেডিয়েশন (তেজস্ক্রিয় রশ্মি) শোষণ করেই বেঁচে থাকে! এর মধ্যে এক বিশেষ মৌলিক উপাদান মেলানিন বিদ্যমান, যা আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে। এই মেলানিন রেডিয়েশন শোষণ করে এবং সেই শক্তির মাধ্যমে ছত্রাকটি বৃদ্ধি পায়। যদিও এটি চেরনোবিলের পরিবেশকে পুরোপুরি পুনরুজ্জীবিত করছে না। তবুও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রেডিয়েশনকে কাজে লাগাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ছত্রাক পারমাণবিক দুর্ঘটনার প্রভাবে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হতে পারে। এমনকি মহাকাশ ভ্রমণের সময় রেডিয়েশন সুরক্ষার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এই ক্ষুদ্র ছত্রাকটি প্রমাণ করে, প্রকৃতি কখনো সহজে হার মানে না। ধ্বংসের মাঝেও সে নতুন সম্ভাবনার বীজ বোনে। লেখা: আহনাফ তাহমিদ রহমান #Bigganneshi #nature #chernobyl #radiation #science
    0 Comments 0 Shares 32 Views
  • বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানী প্রমিত ঘোষ ইতিহাস গড়েছেন ১৬৫ বছরের পুরনো তাপ বিকিরণ সূত্র (Kirchhoff’s Law of Thermal Radiation) ভেঙে। তিনি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গবেষণারত।

    প্রমিত ও তাঁর টিম এমন একটি অত্যন্ত পাতলা (মাত্র ২ মাইক্রোমিটার) মেটামেটেরিয়াল তৈরি করেছেন, যা একইসাথে কম তাপ শোষণ করে কিন্তু বেশি তাপ বিকিরণ করতে পারে—যা Kirchhoff এর সূত্রকে চ্যালেঞ্জ করে। এই যুগান্তকারী আবিষ্কার প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ জার্নাল Physical Review Letters-এ এবং ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে।

    তাঁরা একটি নতুন যন্ত্র "Magnetic Thermal Spectrophotometer" ব্যবহার করে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রের মাধ্যমে এই গবেষণার ফলাফল নিশ্চিত করেছেন।

    এই নতুন প্রযুক্তি ভবিষ্যতে সোলার প্যানেল, ইনফ্রারেড সেন্সর, থার্মাল ব্যাটারি ও হিট কন্ট্রোলিং ডিভাইসসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। এমনকি এমন কিছু প্রযুক্তি সম্ভব হতে পারে, যা এতদিন কেবল কল্পনাতেই ছিল।

    প্রমিত ঘোষের এই অসাধারণ অর্জন শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক দারুণ উদাহরণ। বাংলাদেশের বিজ্ঞানচর্চায় এটি এক নতুন আশার আলো, যা দেশের তরুণদের বিজ্ঞান ও গবেষণার পথে আরও সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।
    বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানী প্রমিত ঘোষ ইতিহাস গড়েছেন ১৬৫ বছরের পুরনো তাপ বিকিরণ সূত্র (Kirchhoff’s Law of Thermal Radiation) ভেঙে। তিনি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গবেষণারত। প্রমিত ও তাঁর টিম এমন একটি অত্যন্ত পাতলা (মাত্র ২ মাইক্রোমিটার) মেটামেটেরিয়াল তৈরি করেছেন, যা একইসাথে কম তাপ শোষণ করে কিন্তু বেশি তাপ বিকিরণ করতে পারে—যা Kirchhoff এর সূত্রকে চ্যালেঞ্জ করে। এই যুগান্তকারী আবিষ্কার প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ জার্নাল Physical Review Letters-এ এবং ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে। তাঁরা একটি নতুন যন্ত্র "Magnetic Thermal Spectrophotometer" ব্যবহার করে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রের মাধ্যমে এই গবেষণার ফলাফল নিশ্চিত করেছেন। এই নতুন প্রযুক্তি ভবিষ্যতে সোলার প্যানেল, ইনফ্রারেড সেন্সর, থার্মাল ব্যাটারি ও হিট কন্ট্রোলিং ডিভাইসসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। এমনকি এমন কিছু প্রযুক্তি সম্ভব হতে পারে, যা এতদিন কেবল কল্পনাতেই ছিল। প্রমিত ঘোষের এই অসাধারণ অর্জন শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক দারুণ উদাহরণ। বাংলাদেশের বিজ্ঞানচর্চায় এটি এক নতুন আশার আলো, যা দেশের তরুণদের বিজ্ঞান ও গবেষণার পথে আরও সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।
    Wow
    1
    0 Comments 0 Shares 51 Views
BlackBird Ai
https://bbai.shop