উদ্ভিদকে আমরা অনেকেই নিঃস্পন্দ, অনুভূতিহীন জীব মনে করি। উদ্ভিদ নড়াচড়া করা বা সাড়া দেয় না—এই ধারণা এতটাই সাধারণ যে আমরা জানতেই পারিনা উদ্ভিদ আমাদের চারপাশে কত সক্রিয়ভাবে পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে।
সাম্প্রতিক দুটি গবেষণা আমাদের এই প্রচলিত ভাবনার বিপরীত এক বাস্তবতা তুলে ধরেছে। গাছপালা শব্দ শুনতে পারে। আর তা শুধু সাধারণ শব্দ নয়, বরং এমন সূক্ষ্ম শব্দও যা আমাদের শ্রবণের বাইরে পড়ে।
গবেষণায় দেখা যায়, মৌমাছির মতো পরাগবাহী পোকার ডানার গুঞ্জন এক ধরনের সিগন্যাল তৈরি করে। এই সিগন্যাল সনাক্ত করে স্ন্যাপড্রাগন নামের একটি ফুল তার নেকটার বা মধুর ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়, যেন মৌমাছি তার কাছেই বেশি সময় থাকে। মূলত পরাগায়ন নিশ্চিত করতেই স্ন্যাপড্রাগন এই কৌশল অবলম্বন করে।
অন্যদিকে আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাটারপিলার যখন Arabidopsis নামের একটি গাছের পাতা খায়, তখন সেই পাতাগুলো একধরনের কম্পন তৈরি করে। এই কম্পনের শব্দ রেকর্ড করে বিজ্ঞানীরা অন্য Arabidopsis গাছকে শোনান। আশ্চর্যজনকভাবে সেই গাছ তখনই প্রতিরক্ষামূলক রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে, যেটা পোকাদের জন্য অপছন্দনীয় বা ক্ষতিকর।
মজার ব্যাপার হলো, এই প্রতিক্রিয়া শুধু তখনই দেখা যায়, যখন শব্দটা সত্যি আক্রমণাত্মক মনে হয়। বাতাসের শব্দ বা অন্য পোকার শব্দ শোনালে গাছ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
তবে গাছ কি কানে শোনে? না। গাছের শোনার পদ্ধতি আমাদের মতো নয়। তারা শব্দতরঙ্গ বা কম্পন বুঝতে পারে মাটি, কান্ড বা পাতার মাধ্যমে। একে বলে vibroacoustic sensitivity। উদ্ভিদ পরিবেশের সঙ্গে খুব সূক্ষ্মভাবে যুক্ত। তারা শুধু আলো বা পানি নয়, শব্দ, কম্পন, এমনকি আশেপাশের প্রাণীর উপস্থিতিও অনুভব করতে পারে।
এই তথ্য কৃষিক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। ভবিষ্যতে হয়তো এমন প্রযুক্তি আসবে, যেখানে গাছকে ভয় দেখিয়ে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাড়ানো যাবে কীটনাশক ছাড়াই। (বিজ্ঞান্বেষী)
লেখা: ইয়াসিন খন্দকার
#science #nature #Bigganneshi #bee #tree
উদ্ভিদকে আমরা অনেকেই নিঃস্পন্দ, অনুভূতিহীন জীব মনে করি। উদ্ভিদ নড়াচড়া করা বা সাড়া দেয় না—এই ধারণা এতটাই সাধারণ যে আমরা জানতেই পারিনা উদ্ভিদ আমাদের চারপাশে কত সক্রিয়ভাবে পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে।
সাম্প্রতিক দুটি গবেষণা আমাদের এই প্রচলিত ভাবনার বিপরীত এক বাস্তবতা তুলে ধরেছে। গাছপালা শব্দ শুনতে পারে। আর তা শুধু সাধারণ শব্দ নয়, বরং এমন সূক্ষ্ম শব্দও যা আমাদের শ্রবণের বাইরে পড়ে।
গবেষণায় দেখা যায়, মৌমাছির মতো পরাগবাহী পোকার ডানার গুঞ্জন এক ধরনের সিগন্যাল তৈরি করে। এই সিগন্যাল সনাক্ত করে স্ন্যাপড্রাগন নামের একটি ফুল তার নেকটার বা মধুর ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়, যেন মৌমাছি তার কাছেই বেশি সময় থাকে। মূলত পরাগায়ন নিশ্চিত করতেই স্ন্যাপড্রাগন এই কৌশল অবলম্বন করে।
অন্যদিকে আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাটারপিলার যখন Arabidopsis নামের একটি গাছের পাতা খায়, তখন সেই পাতাগুলো একধরনের কম্পন তৈরি করে। এই কম্পনের শব্দ রেকর্ড করে বিজ্ঞানীরা অন্য Arabidopsis গাছকে শোনান। আশ্চর্যজনকভাবে সেই গাছ তখনই প্রতিরক্ষামূলক রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে, যেটা পোকাদের জন্য অপছন্দনীয় বা ক্ষতিকর।
মজার ব্যাপার হলো, এই প্রতিক্রিয়া শুধু তখনই দেখা যায়, যখন শব্দটা সত্যি আক্রমণাত্মক মনে হয়। বাতাসের শব্দ বা অন্য পোকার শব্দ শোনালে গাছ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
তবে গাছ কি কানে শোনে? না। গাছের শোনার পদ্ধতি আমাদের মতো নয়। তারা শব্দতরঙ্গ বা কম্পন বুঝতে পারে মাটি, কান্ড বা পাতার মাধ্যমে। একে বলে vibroacoustic sensitivity। উদ্ভিদ পরিবেশের সঙ্গে খুব সূক্ষ্মভাবে যুক্ত। তারা শুধু আলো বা পানি নয়, শব্দ, কম্পন, এমনকি আশেপাশের প্রাণীর উপস্থিতিও অনুভব করতে পারে।
এই তথ্য কৃষিক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। ভবিষ্যতে হয়তো এমন প্রযুক্তি আসবে, যেখানে গাছকে ভয় দেখিয়ে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাড়ানো যাবে কীটনাশক ছাড়াই। (বিজ্ঞান্বেষী)
লেখা: ইয়াসিন খন্দকার
#science #nature #Bigganneshi #bee #tree