স্মৃতির পাতায় বাংলাদেশের আলোচিত কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা
বিমান দুর্ঘটনা মানব ইতিহাসের এক নির্মম বাস্তবতা, যেখানে প্রকৃতির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া পাইলট বা ক্রুদের যেন কিছুই করার থাকে না। মুহূর্তেই সব স্বপ্ন আর জীবন বিলীন হয়ে যায়। বিশ্বজুড়ে এমন অসংখ্য ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী আমরা। বাংলাদেশের আকাশেও এমন কিছু শোকাবহ ঘটনা দাগ কেটেছে, যা ইতিহাসের পাতায় আলোচিত হয়ে আছে। আজকের আয়োজনে তুলে ধরা হলো তেমনই কিছু হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনার চিত্র।
১৯৮৪ সাল: ঢাকার আকাশে করুণ পরিণতি
১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট, এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঢাকার আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফকার এফ২৭-৬০০ বিমান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে ঘরোয়া যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছিল। বর্তমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি এসে বিমানটি একটি জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বিমানের ৪ জন ক্রু এবং ৪৫ জন যাত্রীসহ সবাই নিহত হন, যা ছিল বাংলাদেশের বিমান চলাচলের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়।
১৯৯৭ সাল: কুয়াশার চাদরে ঢাকা সিলেটের আকাশ
১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর, ৮৫ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০৯ ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। কুয়াশার ঘন চাদরে ঢাকা ছিল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অবতরণের সময় দৃশ্যমানতার অভাবে বিমানটি রানওয়ের পাদদেশ থেকে প্রায় ৫ থেকে ৫.৫ কিলোমিটার দূরে উমাইরগাঁও নামক স্থানে একটি ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। অলৌকিকভাবে প্রাণে বাঁচলেও এই দুর্ঘটনায় ১৭ জন যাত্রী আহত হন।
২০০৪ সাল: রানওয়ে থেকে ছিটকে খাঁদে
মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর, আবারও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এবারও একই মডেলের বিমান, ফকার এফ২৮-৪০০০। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০১ ঢাকা থেকে সিলেটে আসছিল। অবতরণের পর ভেজা রানওয়ের কারণে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পাশের একটি খাঁদে পড়ে যায়। এই ঘটনায় ৭৯ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুর মধ্যে মাত্র ২ জন যাত্রী আহত হন, যা ছিল একটি বড় স্বস্তির খবর।
২০১৫ সাল: পাখির আঘাত ও কার্গো বিমানের ট্র্যাজেডি
২০১৫ সালে দুটি উল্লেখযোগ্য বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। আগস্ট মাসে সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঘটে আরেকটি ঘটনা। দুবাই থেকে সরাসরি আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৫২-তে (২২০ জন যাত্রী বহনকারী) অবতরণের সময় এক অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানের ডানদিকের ইঞ্জিনের ভেতর একটি পাখি ঢুকে পড়ে, যার ফলে চারটি ব্লেড ভেঙে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। সেদিন সকাল ৭টায় রানওয়েতে এই ঘটনা ঘটলেও, সৌভাগ্যক্রমে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তবে, একই বছর ৯ মার্চ কক্সবাজারে একটি কার্গো বিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়। উড্ডয়নের মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় বিমানটি সাগরে আছড়ে পড়ে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পাইলটসহ ৩ জন নিহত হন।
সবশেষ ২০১৮ সালের ১২ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুবাহী বিমান থেকে ১৭ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআইএ।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো- ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ বিমানের একটি এফ-২৮ বিমান রাজশাহী বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। ২০০৭ সালের ১২ মার্চ দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানের এয়ারবাস এ-৩১০-৩০০ উড়োজাহাজ। ২০১৫ সালের ২৮ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পড়ে বিমানের একটি এয়ারবাস এ-৩১০ উড়োজাহাজ। ট্রু অ্যাভিয়েশনের একটি আন্তোনভ ২৬-বি মডেলের একটি উড়োজাহাজ ২০১৬ সালের ৯ মার্চ কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের পর পরই বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে কোনো যাত্রী ছিল না। তবে চার জন ক্রু’র মধ্যে তিন জনই নিহত হন।
শুভ/আজাদ
তথ্য: বাংলাদেশ বিমান দুর্ঘটনা ব্যুরো আর্কাইভ
#Bangladesh #planecrash #accident
বিমান দুর্ঘটনা মানব ইতিহাসের এক নির্মম বাস্তবতা, যেখানে প্রকৃতির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া পাইলট বা ক্রুদের যেন কিছুই করার থাকে না। মুহূর্তেই সব স্বপ্ন আর জীবন বিলীন হয়ে যায়। বিশ্বজুড়ে এমন অসংখ্য ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী আমরা। বাংলাদেশের আকাশেও এমন কিছু শোকাবহ ঘটনা দাগ কেটেছে, যা ইতিহাসের পাতায় আলোচিত হয়ে আছে। আজকের আয়োজনে তুলে ধরা হলো তেমনই কিছু হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনার চিত্র।
১৯৮৪ সাল: ঢাকার আকাশে করুণ পরিণতি
১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট, এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঢাকার আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফকার এফ২৭-৬০০ বিমান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে ঘরোয়া যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছিল। বর্তমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি এসে বিমানটি একটি জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বিমানের ৪ জন ক্রু এবং ৪৫ জন যাত্রীসহ সবাই নিহত হন, যা ছিল বাংলাদেশের বিমান চলাচলের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়।
১৯৯৭ সাল: কুয়াশার চাদরে ঢাকা সিলেটের আকাশ
১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর, ৮৫ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০৯ ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। কুয়াশার ঘন চাদরে ঢাকা ছিল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অবতরণের সময় দৃশ্যমানতার অভাবে বিমানটি রানওয়ের পাদদেশ থেকে প্রায় ৫ থেকে ৫.৫ কিলোমিটার দূরে উমাইরগাঁও নামক স্থানে একটি ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। অলৌকিকভাবে প্রাণে বাঁচলেও এই দুর্ঘটনায় ১৭ জন যাত্রী আহত হন।
২০০৪ সাল: রানওয়ে থেকে ছিটকে খাঁদে
মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর, আবারও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এবারও একই মডেলের বিমান, ফকার এফ২৮-৪০০০। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০১ ঢাকা থেকে সিলেটে আসছিল। অবতরণের পর ভেজা রানওয়ের কারণে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পাশের একটি খাঁদে পড়ে যায়। এই ঘটনায় ৭৯ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুর মধ্যে মাত্র ২ জন যাত্রী আহত হন, যা ছিল একটি বড় স্বস্তির খবর।
২০১৫ সাল: পাখির আঘাত ও কার্গো বিমানের ট্র্যাজেডি
২০১৫ সালে দুটি উল্লেখযোগ্য বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। আগস্ট মাসে সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঘটে আরেকটি ঘটনা। দুবাই থেকে সরাসরি আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৫২-তে (২২০ জন যাত্রী বহনকারী) অবতরণের সময় এক অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানের ডানদিকের ইঞ্জিনের ভেতর একটি পাখি ঢুকে পড়ে, যার ফলে চারটি ব্লেড ভেঙে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। সেদিন সকাল ৭টায় রানওয়েতে এই ঘটনা ঘটলেও, সৌভাগ্যক্রমে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তবে, একই বছর ৯ মার্চ কক্সবাজারে একটি কার্গো বিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়। উড্ডয়নের মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় বিমানটি সাগরে আছড়ে পড়ে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পাইলটসহ ৩ জন নিহত হন।
সবশেষ ২০১৮ সালের ১২ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুবাহী বিমান থেকে ১৭ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআইএ।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো- ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ বিমানের একটি এফ-২৮ বিমান রাজশাহী বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। ২০০৭ সালের ১২ মার্চ দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানের এয়ারবাস এ-৩১০-৩০০ উড়োজাহাজ। ২০১৫ সালের ২৮ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পড়ে বিমানের একটি এয়ারবাস এ-৩১০ উড়োজাহাজ। ট্রু অ্যাভিয়েশনের একটি আন্তোনভ ২৬-বি মডেলের একটি উড়োজাহাজ ২০১৬ সালের ৯ মার্চ কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের পর পরই বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে কোনো যাত্রী ছিল না। তবে চার জন ক্রু’র মধ্যে তিন জনই নিহত হন।
শুভ/আজাদ
তথ্য: বাংলাদেশ বিমান দুর্ঘটনা ব্যুরো আর্কাইভ
#Bangladesh #planecrash #accident
স্মৃতির পাতায় বাংলাদেশের আলোচিত কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা
বিমান দুর্ঘটনা মানব ইতিহাসের এক নির্মম বাস্তবতা, যেখানে প্রকৃতির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া পাইলট বা ক্রুদের যেন কিছুই করার থাকে না। মুহূর্তেই সব স্বপ্ন আর জীবন বিলীন হয়ে যায়। বিশ্বজুড়ে এমন অসংখ্য ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী আমরা। বাংলাদেশের আকাশেও এমন কিছু শোকাবহ ঘটনা দাগ কেটেছে, যা ইতিহাসের পাতায় আলোচিত হয়ে আছে। আজকের আয়োজনে তুলে ধরা হলো তেমনই কিছু হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনার চিত্র।
১৯৮৪ সাল: ঢাকার আকাশে করুণ পরিণতি
১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট, এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঢাকার আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফকার এফ২৭-৬০০ বিমান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে ঘরোয়া যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছিল। বর্তমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি এসে বিমানটি একটি জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বিমানের ৪ জন ক্রু এবং ৪৫ জন যাত্রীসহ সবাই নিহত হন, যা ছিল বাংলাদেশের বিমান চলাচলের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়।
১৯৯৭ সাল: কুয়াশার চাদরে ঢাকা সিলেটের আকাশ
১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর, ৮৫ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০৯ ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। কুয়াশার ঘন চাদরে ঢাকা ছিল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অবতরণের সময় দৃশ্যমানতার অভাবে বিমানটি রানওয়ের পাদদেশ থেকে প্রায় ৫ থেকে ৫.৫ কিলোমিটার দূরে উমাইরগাঁও নামক স্থানে একটি ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। অলৌকিকভাবে প্রাণে বাঁচলেও এই দুর্ঘটনায় ১৭ জন যাত্রী আহত হন।
২০০৪ সাল: রানওয়ে থেকে ছিটকে খাঁদে
মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর, আবারও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এবারও একই মডেলের বিমান, ফকার এফ২৮-৪০০০। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০১ ঢাকা থেকে সিলেটে আসছিল। অবতরণের পর ভেজা রানওয়ের কারণে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পাশের একটি খাঁদে পড়ে যায়। এই ঘটনায় ৭৯ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুর মধ্যে মাত্র ২ জন যাত্রী আহত হন, যা ছিল একটি বড় স্বস্তির খবর।
২০১৫ সাল: পাখির আঘাত ও কার্গো বিমানের ট্র্যাজেডি
২০১৫ সালে দুটি উল্লেখযোগ্য বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। আগস্ট মাসে সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঘটে আরেকটি ঘটনা। দুবাই থেকে সরাসরি আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৫২-তে (২২০ জন যাত্রী বহনকারী) অবতরণের সময় এক অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানের ডানদিকের ইঞ্জিনের ভেতর একটি পাখি ঢুকে পড়ে, যার ফলে চারটি ব্লেড ভেঙে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। সেদিন সকাল ৭টায় রানওয়েতে এই ঘটনা ঘটলেও, সৌভাগ্যক্রমে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তবে, একই বছর ৯ মার্চ কক্সবাজারে একটি কার্গো বিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়। উড্ডয়নের মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় বিমানটি সাগরে আছড়ে পড়ে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পাইলটসহ ৩ জন নিহত হন।
সবশেষ ২০১৮ সালের ১২ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুবাহী বিমান থেকে ১৭ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআইএ।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো- ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ বিমানের একটি এফ-২৮ বিমান রাজশাহী বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। ২০০৭ সালের ১২ মার্চ দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানের এয়ারবাস এ-৩১০-৩০০ উড়োজাহাজ। ২০১৫ সালের ২৮ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পড়ে বিমানের একটি এয়ারবাস এ-৩১০ উড়োজাহাজ। ট্রু অ্যাভিয়েশনের একটি আন্তোনভ ২৬-বি মডেলের একটি উড়োজাহাজ ২০১৬ সালের ৯ মার্চ কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের পর পরই বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে কোনো যাত্রী ছিল না। তবে চার জন ক্রু’র মধ্যে তিন জনই নিহত হন।
শুভ/আজাদ
তথ্য: বাংলাদেশ বিমান দুর্ঘটনা ব্যুরো আর্কাইভ
#Bangladesh #planecrash #accident
0 التعليقات
0 المشاركات
82 مشاهدة