রিসার্চ: গবেষণার যে ভয়ংকর দিকগুলো আপনি কখনোই দেখেননি
( আমার এই লেখাটি নতুন-পুরাতন, জানা-অজানা, পরিচিত অপরিচিত অথবা ভবিষ্যতের সমস্ত রিসার্চরদের প্রতি উৎসর্গকৃত... )
আপনার চারপাশে যারা আছেন, তারা হয়তো জানেই না — আপনি যে একটা পেপার পাবলিশ করতে গিয়ে কত রাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন। তারা জানে না, আপনি কিভাবে একটা পয়েন্ট প্রুভ করতে করতে নিজের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলেছেন... তারা জানে না, “তোর কাজ কী?” এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আপনি কতটা হিমশিম খান।
গবেষণা মানেই একাকীত্ব
Research মানে শুধু publication না, রিসার্চ মানে প্রতিদিন নিজেকে নতুন করে ভাঙা, গড়ার এক ভয়াবহ প্রক্রিয়া। মাস্টার্স বা পিএইচডি স্টুডেন্টদের জন্য গবেষণা মানে:
একই থিসিসের জন্য ১০ বার রিভিউ পড়া
শত শত লাইন কোড লেখা — আবার মুছে ফেলা
এক মাস ধরে ডেটা কালেকশন, অথচ শেষ মুহূর্তে সব অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া
supervisor  মুখের একটি “Not enough” শব্দ শুনে ছয় মাসের সমস্ত কাজ ডিলিট করে আবার শুরু করা...
অথচ এত কিছুর পরও, এক পৃষ্ঠা পেপার পাবলিশ হওয়া যেন একটা অলিম্পিক জেতার মতো অনুভূতি।
মানসিক চাপ, হতাশা আর অবমূল্যায়নের জগৎ
WHO-র রিপোর্ট অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা ও রিসার্চ ফিল্ডে ডিপ্রেশন, বার্নআউট, এমনকি আত্ম/হ/ত্যর হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
গবেষকরা সৃষ্টিশীল, তারা টাকার পেছনে না ছুটে ভবিষ্যতের পেছনে ছুটে। কিন্তু এর ফল কী?
1. স্বীকৃতি নেই: গবেষকদের আসল কোন স্বীকৃতি নেই এখানে তৈরি করার রিসার্চ আর্টিকেল বইগুলো অনলাইনে অথবা লাইব্রেরির কোনায় পড়ে থাকে ধুলো জমে যখন দরকার হয় তখন সেগুলো পড়া হয় অথবা দুই তিনটা সাইটেশনও করা হয় তারপরে সবাই চলে যায় কিন্তু এই মানুষগুলোর খোঁজ-খবর কেউ কখনোই রাখে না...
2. রেসপেক্ট নেই: মানুষগুলো অনেক সাদাসিধা জীবন যাপন করে বেশিরভাগ সময়ই লোকচক্ষু আড়ালে থাকেন আর এদেরকে নিয়ে তেমন কোনো কথা হয় না তেমন কোনো সম্মাননা প্রদান করা হয় না আর যদি দুর্ভাগ্যবশত আপনি বাংলাদেশ বা এখন তৃতীয় বিশ্বের কোন দেশে জন্ম নেন যে দেশে "viral topic" নিয়ে সারাদিন কথা বার্তা হয় তারা আপনাকে কোনদিন বুঝবে না আপনি বড় কিছু করলে হয়তো বা আপনাকে নিয়ে দুই একটা ফেসবুকে পোস্ট হবে ...
3. পরিবার বুঝে না, সমাজ তো দূরের কথা, সবচেয়ে ভয়াবহতা তখন আসে যখন কোন কারণে আপনার রিসার্চ ফেল হয় এবং আপনি যে ফান্ড বা যে position উপর ডিপেন্ড করে চলতেছেন সেটা বন্ধ হয়ে যায়
4. যারা বোঝে, তারাও নিজের স্ট্রাগলে ব্যস্ত, একজন রিসার্চররে মানসিক অবস্থা শুধুমাত্র আরেকজনরে অনুধাবন করতে পারবে কিন্তু দুঃখজনক হলো এটা যে অনুধাবন করতেছে সে নিজেও অনেক বেশি সমস্যায় আছে আপনাকে কিভাবে সাহায্য করবে....
কিছুদিন আগে রাত সাড়ে তিনটায় আমাদের এক পরিচিত ভাই হুট করে ডিপ্রেশন এটাক হয়ে পড়ে গেছেন, জানিনা কেমন ভাবে উনি আমাকে কল দিয়েছিলেন কিন্তু আমি ঘুমিয়ে থাকার কারণে তার সাহায্যে যেতে পারিনি.. সৌভাগ্যবশত এক পাকিস্তানি ছেলে পরবর্তীতে তাকে হসপিটালে ভর্তি করায় রাতে..
এ ঘটনার পর থেকে আমি আর ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করিনা এবং নিচে স্ট্রিটলি বলা হয়েছে যদি ১২ ঘণ্টার উপরে আমাকে কখনোই দেখতে পাওয়া না যায় তাহলে তারা যেন আমার রুমে আসে চেক করে....
মিলিয়ন ডলারের মাথা, অথচ নামহীন
বিশ্বের টপ ১%-২% গবেষকরা বছরে মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন তাদের নাম?
না, কারণ তারা সেলিব্রেটি না
তাদের আবিষ্কারেই আমরা কোভিডের ভ্যাকসিন পেয়েছি, আমরা AI ব্যবহার করতে পারি, আমরা স্পেসে যাই।
তারা যখন একটা সিস্টেম ডিজাইন করেন, তখন আপনি ফেসবুক স্ক্রল করেন। তারা যখন কোড রিভিউ করেন, তখন আপনি শপিং মলে যান। তাদের বুদ্ধিতেই এই পৃথিবী চলছে, কিন্তু তারা থাকে আড়ালে।
আর টাকার কথা আসলে এমাউন্টটা মিলিয়নের উপরে হয় অনেক সময়.. রিসার্চরা অনেক বুদ্ধিমান তাই শো অফ করে না কিন্তু চালচলনে কিছু না কিছু তো বোঝা যায়...
আমি কেন টেক জয়েন্ট গুলোর অফার রিজেক্ট করে এখনো এই জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছি সেটা বুঝতে আপনাদের আরো চার বছর সময় লাগবে
সম্মান পেতে হলে, ঐ লেভেলেই উঠতে হয়
রিসার্চারদের কাজ সাধারণ মানুষ বুঝবে না — কারণ এদের কাজ সাধারণ নয়। তাদের সম্মান করতে হলে আপনাকেও সেই গভীরতা ছুঁতে হবে।
সম্মান দিতে ‘সমঝদার’ হতে হয়....
পেতে হলে "যোগ্যতাবান" হতে হয়.....
তাই রিসার্চার ভাই ও বোনেরা, হতাশ হবেন না!
আপনার আইডিয়া কেউ বুঝছে না , হয়তো এই সমাজ আপনাকে বুঝবে না।
হয়তো পেপার পাবলিশ হলেও কেউ লাইক দেবে না।
হয়তো বন্ধুদের সাফল্য দেখে আপনি কষ্ট পাবেন।
কিন্তু মনে রাখুন — আপনি যে লেভেলে চিন্তা করেন, সেখানে সবাই উঠতে পারে না। আপনার স্ট্রাগল একদিন পৃথিবী বদলে দেবে — শুধু এখন নয়, ভবিষ্যতে।
আপনার গবেষণার প্রতি পৃথিবীর দৃষ্টি না থাকলেও, ভবিষ্যৎ আপনার নাম জানবে।
আর কেউ না জানলেও, আজ আমি বলছি —
“Salute to every researcher, scientist, and quiet warrior of knowledge.”
আপনার নীরব যুদ্ধই একদিন ইতিহাস লিখবে।
— লিখেছেন, চেহেরাবিহীন একজন সৈনিক
Naem Azam Chowdhury
Security Researcher, China
#nac_research #ResearchOpportunity #researchanddevelopment#ResearchChallenge #research #bangladesh #naemazam
( আমার এই লেখাটি নতুন-পুরাতন, জানা-অজানা, পরিচিত অপরিচিত অথবা ভবিষ্যতের সমস্ত রিসার্চরদের প্রতি উৎসর্গকৃত... )
আপনার চারপাশে যারা আছেন, তারা হয়তো জানেই না — আপনি যে একটা পেপার পাবলিশ করতে গিয়ে কত রাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন। তারা জানে না, আপনি কিভাবে একটা পয়েন্ট প্রুভ করতে করতে নিজের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলেছেন... তারা জানে না, “তোর কাজ কী?” এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আপনি কতটা হিমশিম খান।
গবেষণা মানেই একাকীত্ব
Research মানে শুধু publication না, রিসার্চ মানে প্রতিদিন নিজেকে নতুন করে ভাঙা, গড়ার এক ভয়াবহ প্রক্রিয়া। মাস্টার্স বা পিএইচডি স্টুডেন্টদের জন্য গবেষণা মানে:
একই থিসিসের জন্য ১০ বার রিভিউ পড়া
শত শত লাইন কোড লেখা — আবার মুছে ফেলা
এক মাস ধরে ডেটা কালেকশন, অথচ শেষ মুহূর্তে সব অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া
supervisor  মুখের একটি “Not enough” শব্দ শুনে ছয় মাসের সমস্ত কাজ ডিলিট করে আবার শুরু করা...
অথচ এত কিছুর পরও, এক পৃষ্ঠা পেপার পাবলিশ হওয়া যেন একটা অলিম্পিক জেতার মতো অনুভূতি।
মানসিক চাপ, হতাশা আর অবমূল্যায়নের জগৎ
WHO-র রিপোর্ট অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা ও রিসার্চ ফিল্ডে ডিপ্রেশন, বার্নআউট, এমনকি আত্ম/হ/ত্যর হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
গবেষকরা সৃষ্টিশীল, তারা টাকার পেছনে না ছুটে ভবিষ্যতের পেছনে ছুটে। কিন্তু এর ফল কী?
1. স্বীকৃতি নেই: গবেষকদের আসল কোন স্বীকৃতি নেই এখানে তৈরি করার রিসার্চ আর্টিকেল বইগুলো অনলাইনে অথবা লাইব্রেরির কোনায় পড়ে থাকে ধুলো জমে যখন দরকার হয় তখন সেগুলো পড়া হয় অথবা দুই তিনটা সাইটেশনও করা হয় তারপরে সবাই চলে যায় কিন্তু এই মানুষগুলোর খোঁজ-খবর কেউ কখনোই রাখে না...
2. রেসপেক্ট নেই: মানুষগুলো অনেক সাদাসিধা জীবন যাপন করে বেশিরভাগ সময়ই লোকচক্ষু আড়ালে থাকেন আর এদেরকে নিয়ে তেমন কোনো কথা হয় না তেমন কোনো সম্মাননা প্রদান করা হয় না আর যদি দুর্ভাগ্যবশত আপনি বাংলাদেশ বা এখন তৃতীয় বিশ্বের কোন দেশে জন্ম নেন যে দেশে "viral topic" নিয়ে সারাদিন কথা বার্তা হয় তারা আপনাকে কোনদিন বুঝবে না আপনি বড় কিছু করলে হয়তো বা আপনাকে নিয়ে দুই একটা ফেসবুকে পোস্ট হবে ...
3. পরিবার বুঝে না, সমাজ তো দূরের কথা, সবচেয়ে ভয়াবহতা তখন আসে যখন কোন কারণে আপনার রিসার্চ ফেল হয় এবং আপনি যে ফান্ড বা যে position উপর ডিপেন্ড করে চলতেছেন সেটা বন্ধ হয়ে যায়
4. যারা বোঝে, তারাও নিজের স্ট্রাগলে ব্যস্ত, একজন রিসার্চররে মানসিক অবস্থা শুধুমাত্র আরেকজনরে অনুধাবন করতে পারবে কিন্তু দুঃখজনক হলো এটা যে অনুধাবন করতেছে সে নিজেও অনেক বেশি সমস্যায় আছে আপনাকে কিভাবে সাহায্য করবে....
কিছুদিন আগে রাত সাড়ে তিনটায় আমাদের এক পরিচিত ভাই হুট করে ডিপ্রেশন এটাক হয়ে পড়ে গেছেন, জানিনা কেমন ভাবে উনি আমাকে কল দিয়েছিলেন কিন্তু আমি ঘুমিয়ে থাকার কারণে তার সাহায্যে যেতে পারিনি.. সৌভাগ্যবশত এক পাকিস্তানি ছেলে পরবর্তীতে তাকে হসপিটালে ভর্তি করায় রাতে..
এ ঘটনার পর থেকে আমি আর ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করিনা এবং নিচে স্ট্রিটলি বলা হয়েছে যদি ১২ ঘণ্টার উপরে আমাকে কখনোই দেখতে পাওয়া না যায় তাহলে তারা যেন আমার রুমে আসে চেক করে....
মিলিয়ন ডলারের মাথা, অথচ নামহীন
বিশ্বের টপ ১%-২% গবেষকরা বছরে মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন তাদের নাম?
না, কারণ তারা সেলিব্রেটি না
তাদের আবিষ্কারেই আমরা কোভিডের ভ্যাকসিন পেয়েছি, আমরা AI ব্যবহার করতে পারি, আমরা স্পেসে যাই।
তারা যখন একটা সিস্টেম ডিজাইন করেন, তখন আপনি ফেসবুক স্ক্রল করেন। তারা যখন কোড রিভিউ করেন, তখন আপনি শপিং মলে যান। তাদের বুদ্ধিতেই এই পৃথিবী চলছে, কিন্তু তারা থাকে আড়ালে।
আর টাকার কথা আসলে এমাউন্টটা মিলিয়নের উপরে হয় অনেক সময়.. রিসার্চরা অনেক বুদ্ধিমান তাই শো অফ করে না কিন্তু চালচলনে কিছু না কিছু তো বোঝা যায়...
আমি কেন টেক জয়েন্ট গুলোর অফার রিজেক্ট করে এখনো এই জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছি সেটা বুঝতে আপনাদের আরো চার বছর সময় লাগবে
সম্মান পেতে হলে, ঐ লেভেলেই উঠতে হয়
রিসার্চারদের কাজ সাধারণ মানুষ বুঝবে না — কারণ এদের কাজ সাধারণ নয়। তাদের সম্মান করতে হলে আপনাকেও সেই গভীরতা ছুঁতে হবে।
সম্মান দিতে ‘সমঝদার’ হতে হয়....
পেতে হলে "যোগ্যতাবান" হতে হয়.....
তাই রিসার্চার ভাই ও বোনেরা, হতাশ হবেন না!
আপনার আইডিয়া কেউ বুঝছে না , হয়তো এই সমাজ আপনাকে বুঝবে না।
হয়তো পেপার পাবলিশ হলেও কেউ লাইক দেবে না।
হয়তো বন্ধুদের সাফল্য দেখে আপনি কষ্ট পাবেন।
কিন্তু মনে রাখুন — আপনি যে লেভেলে চিন্তা করেন, সেখানে সবাই উঠতে পারে না। আপনার স্ট্রাগল একদিন পৃথিবী বদলে দেবে — শুধু এখন নয়, ভবিষ্যতে।
আপনার গবেষণার প্রতি পৃথিবীর দৃষ্টি না থাকলেও, ভবিষ্যৎ আপনার নাম জানবে।
আর কেউ না জানলেও, আজ আমি বলছি —
“Salute to every researcher, scientist, and quiet warrior of knowledge.”
আপনার নীরব যুদ্ধই একদিন ইতিহাস লিখবে।
— লিখেছেন, চেহেরাবিহীন একজন সৈনিক
Naem Azam Chowdhury
Security Researcher, China
#nac_research #ResearchOpportunity #researchanddevelopment#ResearchChallenge #research #bangladesh #naemazam
🎓 রিসার্চ: গবেষণার যে ভয়ংকর দিকগুলো আপনি কখনোই দেখেননি
( আমার এই লেখাটি নতুন-পুরাতন, জানা-অজানা, পরিচিত অপরিচিত অথবা ভবিষ্যতের সমস্ত রিসার্চরদের প্রতি উৎসর্গকৃত... )
আপনার চারপাশে যারা আছেন, তারা হয়তো জানেই না — আপনি যে একটা পেপার পাবলিশ করতে গিয়ে কত রাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন। তারা জানে না, আপনি কিভাবে একটা পয়েন্ট প্রুভ করতে করতে নিজের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলেছেন... তারা জানে না, “তোর কাজ কী?” এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আপনি কতটা হিমশিম খান।
😔 গবেষণা মানেই একাকীত্ব
Research মানে শুধু publication না, রিসার্চ মানে প্রতিদিন নিজেকে নতুন করে ভাঙা, গড়ার এক ভয়াবহ প্রক্রিয়া। মাস্টার্স বা পিএইচডি স্টুডেন্টদের জন্য গবেষণা মানে:
একই থিসিসের জন্য ১০ বার রিভিউ পড়া
শত শত লাইন কোড লেখা — আবার মুছে ফেলা
এক মাস ধরে ডেটা কালেকশন, অথচ শেষ মুহূর্তে সব অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া
supervisor  মুখের একটি “Not enough” শব্দ শুনে ছয় মাসের সমস্ত কাজ ডিলিট করে আবার শুরু করা...
❗ অথচ এত কিছুর পরও, এক পৃষ্ঠা পেপার পাবলিশ হওয়া যেন একটা অলিম্পিক জেতার মতো অনুভূতি।
মানসিক চাপ, হতাশা আর অবমূল্যায়নের জগৎ 😢
WHO-র রিপোর্ট অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা ও রিসার্চ ফিল্ডে ডিপ্রেশন, বার্নআউট, এমনকি আত্ম/হ/ত্যর হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
গবেষকরা সৃষ্টিশীল, তারা টাকার পেছনে না ছুটে ভবিষ্যতের পেছনে ছুটে। কিন্তু এর ফল কী?
1. স্বীকৃতি নেই: গবেষকদের আসল কোন স্বীকৃতি নেই এখানে তৈরি করার রিসার্চ আর্টিকেল বইগুলো অনলাইনে অথবা লাইব্রেরির কোনায় পড়ে থাকে ধুলো জমে যখন দরকার হয় তখন সেগুলো পড়া হয় অথবা দুই তিনটা সাইটেশনও করা হয় তারপরে সবাই চলে যায় কিন্তু এই মানুষগুলোর খোঁজ-খবর কেউ কখনোই রাখে না...
2. রেসপেক্ট নেই: মানুষগুলো অনেক সাদাসিধা জীবন যাপন করে বেশিরভাগ সময়ই লোকচক্ষু আড়ালে থাকেন আর এদেরকে নিয়ে তেমন কোনো কথা হয় না তেমন কোনো সম্মাননা প্রদান করা হয় না আর যদি দুর্ভাগ্যবশত আপনি বাংলাদেশ বা এখন তৃতীয় বিশ্বের কোন দেশে জন্ম নেন যে দেশে "viral topic" নিয়ে সারাদিন কথা বার্তা হয় তারা আপনাকে কোনদিন বুঝবে না আপনি বড় কিছু করলে হয়তো বা আপনাকে নিয়ে দুই একটা ফেসবুকে পোস্ট হবে ...
3. পরিবার বুঝে না, সমাজ তো দূরের কথা, সবচেয়ে ভয়াবহতা তখন আসে যখন কোন কারণে আপনার রিসার্চ ফেল হয় এবং আপনি যে ফান্ড বা যে position উপর ডিপেন্ড করে চলতেছেন সেটা বন্ধ হয়ে যায়
4. যারা বোঝে, তারাও নিজের স্ট্রাগলে ব্যস্ত, একজন রিসার্চররে মানসিক অবস্থা শুধুমাত্র আরেকজনরে অনুধাবন করতে পারবে কিন্তু দুঃখজনক হলো এটা যে অনুধাবন করতেছে সে নিজেও অনেক বেশি সমস্যায় আছে আপনাকে কিভাবে সাহায্য করবে....
কিছুদিন আগে রাত সাড়ে তিনটায় আমাদের এক পরিচিত ভাই হুট করে ডিপ্রেশন এটাক হয়ে পড়ে গেছেন, জানিনা কেমন ভাবে উনি আমাকে কল দিয়েছিলেন কিন্তু আমি ঘুমিয়ে থাকার কারণে তার সাহায্যে যেতে পারিনি.. সৌভাগ্যবশত এক পাকিস্তানি ছেলে পরবর্তীতে তাকে হসপিটালে ভর্তি করায় রাতে..
এ ঘটনার পর থেকে আমি আর ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করিনা এবং নিচে স্ট্রিটলি বলা হয়েছে যদি ১২ ঘণ্টার উপরে আমাকে কখনোই দেখতে পাওয়া না যায় তাহলে তারা যেন আমার রুমে আসে চেক করে....
💸 মিলিয়ন ডলারের মাথা, অথচ নামহীন
বিশ্বের টপ ১%-২% গবেষকরা বছরে মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন তাদের নাম?
🤣 না, কারণ তারা সেলিব্রেটি না
তাদের আবিষ্কারেই আমরা কোভিডের ভ্যাকসিন পেয়েছি, আমরা AI ব্যবহার করতে পারি, আমরা স্পেসে যাই।
তারা যখন একটা সিস্টেম ডিজাইন করেন, তখন আপনি ফেসবুক স্ক্রল করেন। তারা যখন কোড রিভিউ করেন, তখন আপনি শপিং মলে যান। তাদের বুদ্ধিতেই এই পৃথিবী চলছে, কিন্তু তারা থাকে আড়ালে।
আর টাকার কথা আসলে এমাউন্টটা মিলিয়নের উপরে হয় অনেক সময়.. রিসার্চরা অনেক বুদ্ধিমান তাই শো অফ করে না কিন্তু চালচলনে কিছু না কিছু তো বোঝা যায়...
আমি কেন টেক জয়েন্ট গুলোর অফার রিজেক্ট করে এখনো এই জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছি সেটা বুঝতে আপনাদের আরো চার বছর সময় লাগবে👀
💔 সম্মান পেতে হলে, ঐ লেভেলেই উঠতে হয়
রিসার্চারদের কাজ সাধারণ মানুষ বুঝবে না — কারণ এদের কাজ সাধারণ নয়। তাদের সম্মান করতে হলে আপনাকেও সেই গভীরতা ছুঁতে হবে।
সম্মান দিতে ‘সমঝদার’ হতে হয়....
পেতে হলে "যোগ্যতাবান" হতে হয়.....
তাই রিসার্চার ভাই ও বোনেরা, হতাশ হবেন না! ❤️
আপনার আইডিয়া কেউ বুঝছে না , হয়তো এই সমাজ আপনাকে বুঝবে না।
হয়তো পেপার পাবলিশ হলেও কেউ লাইক দেবে না।
হয়তো বন্ধুদের সাফল্য দেখে আপনি কষ্ট পাবেন।
কিন্তু মনে রাখুন — আপনি যে লেভেলে চিন্তা করেন, সেখানে সবাই উঠতে পারে না। আপনার স্ট্রাগল একদিন পৃথিবী বদলে দেবে — শুধু এখন নয়, ভবিষ্যতে। ☠️
🔥 আপনার গবেষণার প্রতি পৃথিবীর দৃষ্টি না থাকলেও, ভবিষ্যৎ আপনার নাম জানবে।
👉 আর কেউ না জানলেও, আজ আমি বলছি —
“Salute to every researcher, scientist, and quiet warrior of knowledge.”
আপনার নীরব যুদ্ধই একদিন ইতিহাস লিখবে। ✊
🖊️ — লিখেছেন, চেহেরাবিহীন একজন সৈনিক
Naem Azam Chowdhury
Security Researcher, China 🇨🇳
#nac_research #ResearchOpportunity #researchanddevelopment#ResearchChallenge #research #bangladesh #naemazam
