• অদ্ভুত এক রহস্য!!!
    লিওনার্দো ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ের ছবি বলা হয়। কিন্তু মোনালিসার ছবিতে টর্চলাইট দিয়ে খুজেও সৌন্দর্য খুজে পাওয়াটা কঠিন!

    কিন্তু মোনালিসার ছবির সৌন্দর্য ঠিক মোনালিসাতে নয়। সৌন্দর্যটা এই ছবির রহস্যে! রং তুলিতে এই ছবি আকতে গিয়ে ভিঞ্চি জন্ম দিয়ে গেছেন অসংখ্য রহস্যের…

    ১৫০৩ সালে ভিঞ্চি মোনালিসা আকা শুরু করেন।
    ১৫১৫ সালে মোনালিসা আকার সময় তিনি রহস্যজনক ভাবে মৃত্যবরণ করেন।১২ বছর সময় নিয়ে আকা মোনালিসার ছবি সম্পূর্ণ না করেই তিনি মারা যান!

    অর্থাৎ আমরা মোনালিসার যে ছবিটি এখন দেখি
    সেটিতে আরো কিছু আঁকার বাকি ছিল...

    ভিঞ্চি মোনালিসাকে কোন কাগজ বা কাপড়ে নয়,
    এঁকেছিলেন পাতলা কাঠের উপর।অবাক করার বিষয় হলো মোনালিসার ছবিটিকে যদি বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে দেখা হয় তবে মোনালিসা তার হাসি পরিবর্তন করে!

    এ যেন এক রহস্যময়ী মোনালিসা!
    ১৭৭৪ সালে সর্বপ্রথম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে মোনালিসার ছবিটির দেখা মিলে।কিন্তু ছবিটা মিউজিয়ামে কিভাবে এল কিংবা কে আনল এমন প্রশ্নের উত্তর মিউজিয়ামের কর্মীরাই জানতোনা! কারণ তারা কাউকে ছবিটি নিয়ে আসতে দেখিনি!

    রহস্যময়ভাবে লুভর মিউজিয়ামে পৌছানো এই ছবি ১৯১১ সালে চুরি হয়ে যায়! রাতের আধারে চোরকে দেখে মিউজিয়ামের এক কর্মী পরদিনই চাকড়ি
    ছেড়ে পালিয়ে যায়।পরে সে বলেছিল সে চোরকে দেখেছে। সেই চোর আর কেউ নয়।প্রায় ৩৫০ বছর আগে মারা যাওয়া ভিঞ্চি!!

    ১০ বছর পর এই ছবিটি আবার ওই মিউজিয়ামে পাওয়া যায়।লুভর মিউজিয়াম কতৃপক্ষ ছবিটি সংরক্ষনের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে একটি নিরাপদ
    কক্ষ তৈরী করে। হয়ত ভাবছেন একটা ছবির জন্য এতো টাকা খরচ!! এই ছবির বর্তমান মূল্যের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা কিছুই নয়। মোনালিসা ছবির বর্তমান অর্থমূল্য ৭৯০ মিলিয়ন ডলার।টাকায় পরিমানটা ৫৩৮০ কোটি টাকা!!

    মোনালিসা কে? প্রশ্নটির উত্তর ভিঞ্চি নিজেও দিয়ে যাননি।২০০৫ সালে খুজে পাওয়া এক চিঠিতে অনেকে মোনালিসার পরিচয় খুজে পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

    ১৫০৩ সালে লেখা এই চিঠিতে ভিঞ্চির বন্ধু ফ্রান্সিস জিয়াকন্ড তার স্ত্রী লিসা জিয়াকন্ডের একটি ছবি আঁকতে ভিঞ্চিকে অনুরোধ করেন। আর ওই সময় ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি আঁকা শুরু করেন।

    ২০০৪ সালে বিজ্ঞানী পাস্কেল পাটে মোনালিসার ছবিকে আলাদা ভাগে ভাগ করে হাইডেফিনেশন ক্যামেরায় ছবি তোলেন। পাস্কেল আবিষ্কার করেন যে ভিঞ্চি যে রং ব্যাবহার করেছিলেন তার স্তর ৪০ মাইক্রোমিটার। অর্থাৎ একটি চিকন চুলের থেকেও পাতলা! পাস্কেল আরো আবিষ্কার করেন যে মোনালিসার ছবিতে আরো ৩টি চিত্র আছে। তাদের একটি সাথে লিসা জিয়াকন্ডের মুখের মিল খুজে পাওয়া যায়।সম্ভবত ভিঞ্চি বন্ধুর অনুরোধে লিসার ছবিটিই আঁকছিলেন। কিন্তু তিনি এমন কিছু দেখেছিলেন যা পুরো ছবিতে অন্য এক নতুন মুখের জন্ম দিয়ে দিয়েছে!

    সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক সার্ভেতে মোনালিসা সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য পাওয়া যায়।মোনালিসাকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় সে হাসছে। কিন্তু কাছে গিয়ে তার দিকে তাকালে মনে হয় সে গভীরভাবে কোন কিছু চিন্তা করছে। মোনালিসার চোখের দিকে তাকালে তাকে হাসিখুশি মনে হয়। কিন্তু তার ঠোটের দিকে তাকালেই সে হাসি গায়েব!

    সান্দারলেন্ড ভার্সিটির ছাত্ররা মোনালিসার ছবির বামপাশ থেকে আল্ট্রা ভায়োলেট পদ্ধতি ব্যাবহার করে ভিঞ্চির লেখা একটি বার্তা উদ্ধার করে। বার্তাটি ছিল " লারিস্পোস্তা তোভাকি"। যার অর্থ "উত্তরটা এখানেই আছে।"

    যুগের পর যুগ মানুষকে মুগ্ধ করে আসা মোনালিসার এই ছবি দেখে জন্ম নেয়া হাজার প্রশ্নের মাঝে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, এই ছবি দিয়ে ভিঞ্চি কি বোঝাতে চেয়েছিলেন?"

    প্যারানোরমাল ম্যাগাজিনের একদল তরুন ছাত্র উত্তরটা বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। অবশেষে তারা যা জানিয়েছে সেটাও চমকে দেয়ার মত!

    ভিঞ্চি মোনালিসার ছবির বামপাশে গোপন বার্তা
    দিয়েছিলেন "উত্তর টা এখানেই আছে"।

    সে বাম পাশকে আয়নার কাছে আনলে একটা ছবি
    তৈরী হয়। অবাক করার বিষয় এই তৈরী হওয়া ছবির জীবটিকে ভিঞ্চি ১৫০০ সালের দিকে দেখেছিলেন!

    ছবিটা একটা এলিয়েনের!!!

    ভিনগ্রহের এলিয়েন...!!!
    অদ্ভুত এক রহস্য!!! লিওনার্দো ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ের ছবি বলা হয়। কিন্তু মোনালিসার ছবিতে টর্চলাইট দিয়ে খুজেও সৌন্দর্য খুজে পাওয়াটা কঠিন! কিন্তু মোনালিসার ছবির সৌন্দর্য ঠিক মোনালিসাতে নয়। সৌন্দর্যটা এই ছবির রহস্যে! রং তুলিতে এই ছবি আকতে গিয়ে ভিঞ্চি জন্ম দিয়ে গেছেন অসংখ্য রহস্যের… ১৫০৩ সালে ভিঞ্চি মোনালিসা আকা শুরু করেন। ১৫১৫ সালে মোনালিসা আকার সময় তিনি রহস্যজনক ভাবে মৃত্যবরণ করেন।১২ বছর সময় নিয়ে আকা মোনালিসার ছবি সম্পূর্ণ না করেই তিনি মারা যান! অর্থাৎ আমরা মোনালিসার যে ছবিটি এখন দেখি সেটিতে আরো কিছু আঁকার বাকি ছিল... ভিঞ্চি মোনালিসাকে কোন কাগজ বা কাপড়ে নয়, এঁকেছিলেন পাতলা কাঠের উপর।অবাক করার বিষয় হলো মোনালিসার ছবিটিকে যদি বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে দেখা হয় তবে মোনালিসা তার হাসি পরিবর্তন করে! এ যেন এক রহস্যময়ী মোনালিসা! ১৭৭৪ সালে সর্বপ্রথম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে মোনালিসার ছবিটির দেখা মিলে।কিন্তু ছবিটা মিউজিয়ামে কিভাবে এল কিংবা কে আনল এমন প্রশ্নের উত্তর মিউজিয়ামের কর্মীরাই জানতোনা! কারণ তারা কাউকে ছবিটি নিয়ে আসতে দেখিনি! রহস্যময়ভাবে লুভর মিউজিয়ামে পৌছানো এই ছবি ১৯১১ সালে চুরি হয়ে যায়! রাতের আধারে চোরকে দেখে মিউজিয়ামের এক কর্মী পরদিনই চাকড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।পরে সে বলেছিল সে চোরকে দেখেছে। সেই চোর আর কেউ নয়।প্রায় ৩৫০ বছর আগে মারা যাওয়া ভিঞ্চি!! ১০ বছর পর এই ছবিটি আবার ওই মিউজিয়ামে পাওয়া যায়।লুভর মিউজিয়াম কতৃপক্ষ ছবিটি সংরক্ষনের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে একটি নিরাপদ কক্ষ তৈরী করে। হয়ত ভাবছেন একটা ছবির জন্য এতো টাকা খরচ!! এই ছবির বর্তমান মূল্যের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা কিছুই নয়। মোনালিসা ছবির বর্তমান অর্থমূল্য ৭৯০ মিলিয়ন ডলার।টাকায় পরিমানটা ৫৩৮০ কোটি টাকা!! মোনালিসা কে? প্রশ্নটির উত্তর ভিঞ্চি নিজেও দিয়ে যাননি।২০০৫ সালে খুজে পাওয়া এক চিঠিতে অনেকে মোনালিসার পরিচয় খুজে পেয়েছেন বলে দাবি করেন। ১৫০৩ সালে লেখা এই চিঠিতে ভিঞ্চির বন্ধু ফ্রান্সিস জিয়াকন্ড তার স্ত্রী লিসা জিয়াকন্ডের একটি ছবি আঁকতে ভিঞ্চিকে অনুরোধ করেন। আর ওই সময় ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি আঁকা শুরু করেন। ২০০৪ সালে বিজ্ঞানী পাস্কেল পাটে মোনালিসার ছবিকে আলাদা ভাগে ভাগ করে হাইডেফিনেশন ক্যামেরায় ছবি তোলেন। পাস্কেল আবিষ্কার করেন যে ভিঞ্চি যে রং ব্যাবহার করেছিলেন তার স্তর ৪০ মাইক্রোমিটার। অর্থাৎ একটি চিকন চুলের থেকেও পাতলা! পাস্কেল আরো আবিষ্কার করেন যে মোনালিসার ছবিতে আরো ৩টি চিত্র আছে। তাদের একটি সাথে লিসা জিয়াকন্ডের মুখের মিল খুজে পাওয়া যায়।সম্ভবত ভিঞ্চি বন্ধুর অনুরোধে লিসার ছবিটিই আঁকছিলেন। কিন্তু তিনি এমন কিছু দেখেছিলেন যা পুরো ছবিতে অন্য এক নতুন মুখের জন্ম দিয়ে দিয়েছে! সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক সার্ভেতে মোনালিসা সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য পাওয়া যায়।মোনালিসাকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় সে হাসছে। কিন্তু কাছে গিয়ে তার দিকে তাকালে মনে হয় সে গভীরভাবে কোন কিছু চিন্তা করছে। মোনালিসার চোখের দিকে তাকালে তাকে হাসিখুশি মনে হয়। কিন্তু তার ঠোটের দিকে তাকালেই সে হাসি গায়েব! সান্দারলেন্ড ভার্সিটির ছাত্ররা মোনালিসার ছবির বামপাশ থেকে আল্ট্রা ভায়োলেট পদ্ধতি ব্যাবহার করে ভিঞ্চির লেখা একটি বার্তা উদ্ধার করে। বার্তাটি ছিল " লারিস্পোস্তা তোভাকি"। যার অর্থ "উত্তরটা এখানেই আছে।" যুগের পর যুগ মানুষকে মুগ্ধ করে আসা মোনালিসার এই ছবি দেখে জন্ম নেয়া হাজার প্রশ্নের মাঝে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, এই ছবি দিয়ে ভিঞ্চি কি বোঝাতে চেয়েছিলেন?" প্যারানোরমাল ম্যাগাজিনের একদল তরুন ছাত্র উত্তরটা বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। অবশেষে তারা যা জানিয়েছে সেটাও চমকে দেয়ার মত! ভিঞ্চি মোনালিসার ছবির বামপাশে গোপন বার্তা দিয়েছিলেন "উত্তর টা এখানেই আছে"। সে বাম পাশকে আয়নার কাছে আনলে একটা ছবি তৈরী হয়। অবাক করার বিষয় এই তৈরী হওয়া ছবির জীবটিকে ভিঞ্চি ১৫০০ সালের দিকে দেখেছিলেন! ছবিটা একটা এলিয়েনের!!! ভিনগ্রহের এলিয়েন...!!! ©️
    0 Comments 0 Shares 688 Views
  • আওকিগাহারা বা সু ইসাইড ফরেস্ট
    জাপানের “সু ইসাইড ফরেস্ট” নামে পরিচিত অরণ্যটির প্রকৃত নাম আওকিগাহারা (Aokigahara)। এটি বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় এবং মর্মান্তিক স্থান হিসেবে পরিচিত। নিচে আওকিগাহারা বন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:

    নাম: আওকিগাহারা (Aokigahara), অর্থ "নীল গাছের সমুদ্র"

    অন্য নাম: "সুই সাইড ফরেস্ট" বা "জঙ্গলের আ ত্মহ ত্যা ক্ষেত্র"
    ফুজি পর্বতের পাদদেশে, জাপানের হনশু দ্বীপে।

    প্রায় ৩০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

    আওকিগাহারা বনটি অত্যন্ত ঘন এবং নীরব। এখানকার গাছগুলো এত ঘন যে বাতাস এবং আলো ভেতরে খুব কম প্রবেশ করে।

    লাভা বেড়ে গঠিত হওয়ায় এখানে কম্পাস কাজ করে না—এটা অনেক অভিযাত্রী ও পর্যটকদের পথ হারানোর একটি কারণ।

    এটি একটি "Soundproof Forest", কারণ গাছের ঘনত্ব শব্দ শোষণ করে ফেলে।


    আ ত্মহ ত্যার ইতিহাস:
    এটি বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আ ত্মহ ত্যার স্থান (প্রথম: গোল্ডেন গেট ব্রিজ, USA)।

    প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ এই বনে গিয়ে আ ত্মহ ত্যা করেন।

    স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিতভাবে "দেহ উদ্ধার অভিযান" চালায়।

    বনের প্রবেশপথে সতর্কতামূলক বোর্ড ঝোলানো থাকে, যাতে লেখা থাকে:

    > “আপনার জীবন আপনার মূল্যবান। আপনার পরিবারের কথা ভাবুন। দয়া করে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।”

    সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পটভূমি:

    কিছু গবেষক মনে করেন, এই বনের খা রাপ খ্যাতির উৎস হতে পারে "উবাসুতে" নামক একটি প্রাচীন প্রথা, যেখানে বৃদ্ধ বা অসুস্থ আত্মীয়দের পর্বতের জঙ্গলে ফেলে রাখা হতো।

    মিচিও সুই (Seicho Matsumoto) নামক এক জাপানি লেখক তাঁর উপন্যাস "Tower of Waves" (1959)-এ এই বনের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে এক দম্পতি এখানে আ ত্মহ ত্যা করে।

    আধুনিক যুগে অনেক ইউটিউবার ও পর্যটক বনের ভিতরে ভিডিও করে, যার কারণে এটিকে আরও রহস্যময় ও বিতর্কিত করে তোলে।

    চলচ্চিত্র ও মিডিয়া:

    "The Forest" (2016) নামক একটি হলিউড হরর সিনেমা এই জঙ্গলকে কেন্দ্র করে নির্মিত।

    অনেক ডকুমেন্টারি ও ইউটিউব চ্যানেল আওকিগাহারার আতঙ্ক এবং সত্য ঘটনা তুলে ধরেছে।

    জাপান সরকার কী করে?

    প্রশাসন আ ত্মহ ত্যা নিরুৎসাহিত করতে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালায়।

    বনের কিছু এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

    স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা বনে টহল দেন এবং সন্দেহভাজনদের সহায়তা করেন।

    (Collected from various websites)

    So Ny
    Paranormal Society BD

    NOTE : THIS POST IS COPYRIGHT PROTECTED
    ©

    Don't try to copy without permission...
    Otherwise Facebook community can take actions .
    আওকিগাহারা বা সু ইসাইড ফরেস্ট ☠️ জাপানের “সু ইসাইড ফরেস্ট” নামে পরিচিত অরণ্যটির প্রকৃত নাম আওকিগাহারা (Aokigahara)। এটি বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় এবং মর্মান্তিক স্থান হিসেবে পরিচিত। নিচে আওকিগাহারা বন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো: নাম: আওকিগাহারা (Aokigahara), অর্থ "নীল গাছের সমুদ্র" অন্য নাম: "সুই সাইড ফরেস্ট" বা "জঙ্গলের আ ত্মহ ত্যা ক্ষেত্র" ফুজি পর্বতের পাদদেশে, জাপানের হনশু দ্বীপে। প্রায় ৩০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত। আওকিগাহারা বনটি অত্যন্ত ঘন এবং নীরব। এখানকার গাছগুলো এত ঘন যে বাতাস এবং আলো ভেতরে খুব কম প্রবেশ করে। লাভা বেড়ে গঠিত হওয়ায় এখানে কম্পাস কাজ করে না—এটা অনেক অভিযাত্রী ও পর্যটকদের পথ হারানোর একটি কারণ। এটি একটি "Soundproof Forest", কারণ গাছের ঘনত্ব শব্দ শোষণ করে ফেলে। আ ত্মহ ত্যার ইতিহাস: এটি বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আ ত্মহ ত্যার স্থান (প্রথম: গোল্ডেন গেট ব্রিজ, USA)। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ এই বনে গিয়ে আ ত্মহ ত্যা করেন। স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিতভাবে "দেহ উদ্ধার অভিযান" চালায়। বনের প্রবেশপথে সতর্কতামূলক বোর্ড ঝোলানো থাকে, যাতে লেখা থাকে: > “আপনার জীবন আপনার মূল্যবান। আপনার পরিবারের কথা ভাবুন। দয়া করে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।” সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পটভূমি: কিছু গবেষক মনে করেন, এই বনের খা রাপ খ্যাতির উৎস হতে পারে "উবাসুতে" নামক একটি প্রাচীন প্রথা, যেখানে বৃদ্ধ বা অসুস্থ আত্মীয়দের পর্বতের জঙ্গলে ফেলে রাখা হতো। মিচিও সুই (Seicho Matsumoto) নামক এক জাপানি লেখক তাঁর উপন্যাস "Tower of Waves" (1959)-এ এই বনের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে এক দম্পতি এখানে আ ত্মহ ত্যা করে। আধুনিক যুগে অনেক ইউটিউবার ও পর্যটক বনের ভিতরে ভিডিও করে, যার কারণে এটিকে আরও রহস্যময় ও বিতর্কিত করে তোলে। 🎥 চলচ্চিত্র ও মিডিয়া: "The Forest" (2016) নামক একটি হলিউড হরর সিনেমা এই জঙ্গলকে কেন্দ্র করে নির্মিত। অনেক ডকুমেন্টারি ও ইউটিউব চ্যানেল আওকিগাহারার আতঙ্ক এবং সত্য ঘটনা তুলে ধরেছে। 🛑 জাপান সরকার কী করে? প্রশাসন আ ত্মহ ত্যা নিরুৎসাহিত করতে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালায়। বনের কিছু এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা বনে টহল দেন এবং সন্দেহভাজনদের সহায়তা করেন। (Collected from various websites) So Ny Paranormal Society BD NOTE : THIS POST IS COPYRIGHT PROTECTED © Don't try to copy without permission... Otherwise Facebook community can take actions .
    0 Comments 0 Shares 327 Views
  • The 10 Most Dangerous Bridges in China | রহস্য রিসার্চThe 10 Most Dangerous Bridges in China | রহস্য রিসার্চ
    The 10 Most Dangerous Bridges in China | রহস্য রিসার্চThe 10 Most Dangerous Bridges in China | রহস্য রিসার্চ
    0 Comments 0 Shares 107 Views
  • কালাচ সাপঃ নিরবঘাতক বিষধরের ভয়ংকর রহস্য

    ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশ ও ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশই ঘটে কালাচ সাপের কারণে। এ সাপটিকে অনেকে বলেন “নীরব ঘাতক”, কারণ এরা তাদের শিকার বেছে নেয় রাতের আঁধারে, যখন সবাই নিশ্চিন্ত ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো—কালাচের কামড় অনেক সময় মানুষ টেরই পায় না, অথচ মুহূর্তের মধ্যে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। মাত্র ২০ মিলিগ্রাম নিউরোটক্সিন ইনজেক্ট করতে সক্ষম এ সাপ, যা একজন মানুষকে মারার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

    কালাচ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus caeruleus। “Bungarus” শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে, যার অর্থ বাঁকানো বা সর্পিল, আর “caeruleus” লাতিন শব্দ, যার মানে নীলাভ রঙ। বাংলাদেশে এদের কালো ঝকঝকে শরীর এবং সাদা আড়াআড়ি দাগের জন্য সহজেই চেনা যায়। দৈর্ঘ্য সাধারণত দেড় থেকে দুই মিটার হয়ে থাকে।

    কালাচ মূলত নিশাচর প্রাণী। দিনে এরা ঝোপঝাড়, ইঁদুরের গর্ত কিংবা মানুষের বসতবাড়ির অন্ধকার কোণে লুকিয়ে থাকে। রাতে বেরিয়ে শিকার করে প্রধানত অন্য সাপ, ব্যাঙ, গিরগিটি এবং মাঝে মাঝে ইঁদুর। এদের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো অত্যন্ত ধীরস্থির ও অল্প নড়াচড়ার স্বভাব, যা অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়।

    তাদের বিষের প্রকৃতি নিউরোটক্সিক। অর্থাৎ, এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ চালায়। প্রথমে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, পরে শ্বাসপ্রশ্বাসের পেশি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রে কামড় ব্যথাহীন হওয়ায় ভুক্তভোগী বিষক্রিয়ার শুরুটা বোঝতেই পারে না, ফলে চিকিৎসা বিলম্বিত হয়।

    বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষা ও শরৎকালে কালাচ সাপ বেশি সক্রিয় থাকে। গ্রামীণ এলাকায় ধানক্ষেত, পুকুরপাড় এবং মানুষের ঘরের ভেতরেও এদের দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সাপের কামড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো কালাচ সাপ।

    তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা ও প্রতিরোধই এ সমস্যার সমাধান। রাতে মশারি ব্যবহার, ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা কালাচ সাপের আক্রমণ কমাতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়, যা দ্রুত প্রয়োগ করলে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।

    কালাচ সাপের অস্তিত্ব আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, বিষধর হলেও প্রতিটি প্রাণীই প্রকৃতির ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ। ইঁদুর ও অন্যান্য ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে এরা পরিবেশকে পরোক্ষভাবে মানুষের জন্য নিরাপদ রাখে। তাই এদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেয়ে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

    বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো প্রকৃতিকে বোঝা, ভয় না পেয়ে সচেতন হওয়া এবং সাপের কামড় প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা।

    “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান।

    #ঘড়িয়ালবাংলা #কালাচসাপ #CommonKrait #বিষধরসরীসৃপ #SnakeBiteAwareness #ScienceFacts #WildlifeBangladesh #GhorialBangla
    কালাচ সাপঃ নিরবঘাতক বিষধরের ভয়ংকর রহস্য ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশ ও ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশই ঘটে কালাচ সাপের কারণে। এ সাপটিকে অনেকে বলেন “নীরব ঘাতক”, কারণ এরা তাদের শিকার বেছে নেয় রাতের আঁধারে, যখন সবাই নিশ্চিন্ত ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো—কালাচের কামড় অনেক সময় মানুষ টেরই পায় না, অথচ মুহূর্তের মধ্যে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। মাত্র ২০ মিলিগ্রাম নিউরোটক্সিন ইনজেক্ট করতে সক্ষম এ সাপ, যা একজন মানুষকে মারার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। কালাচ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus caeruleus। “Bungarus” শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে, যার অর্থ বাঁকানো বা সর্পিল, আর “caeruleus” লাতিন শব্দ, যার মানে নীলাভ রঙ। বাংলাদেশে এদের কালো ঝকঝকে শরীর এবং সাদা আড়াআড়ি দাগের জন্য সহজেই চেনা যায়। দৈর্ঘ্য সাধারণত দেড় থেকে দুই মিটার হয়ে থাকে। কালাচ মূলত নিশাচর প্রাণী। দিনে এরা ঝোপঝাড়, ইঁদুরের গর্ত কিংবা মানুষের বসতবাড়ির অন্ধকার কোণে লুকিয়ে থাকে। রাতে বেরিয়ে শিকার করে প্রধানত অন্য সাপ, ব্যাঙ, গিরগিটি এবং মাঝে মাঝে ইঁদুর। এদের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো অত্যন্ত ধীরস্থির ও অল্প নড়াচড়ার স্বভাব, যা অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়। তাদের বিষের প্রকৃতি নিউরোটক্সিক। অর্থাৎ, এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ চালায়। প্রথমে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, পরে শ্বাসপ্রশ্বাসের পেশি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রে কামড় ব্যথাহীন হওয়ায় ভুক্তভোগী বিষক্রিয়ার শুরুটা বোঝতেই পারে না, ফলে চিকিৎসা বিলম্বিত হয়। বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষা ও শরৎকালে কালাচ সাপ বেশি সক্রিয় থাকে। গ্রামীণ এলাকায় ধানক্ষেত, পুকুরপাড় এবং মানুষের ঘরের ভেতরেও এদের দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সাপের কামড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো কালাচ সাপ। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা ও প্রতিরোধই এ সমস্যার সমাধান। রাতে মশারি ব্যবহার, ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা কালাচ সাপের আক্রমণ কমাতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়, যা দ্রুত প্রয়োগ করলে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। কালাচ সাপের অস্তিত্ব আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, বিষধর হলেও প্রতিটি প্রাণীই প্রকৃতির ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ। ইঁদুর ও অন্যান্য ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে এরা পরিবেশকে পরোক্ষভাবে মানুষের জন্য নিরাপদ রাখে। তাই এদের নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেয়ে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো প্রকৃতিকে বোঝা, ভয় না পেয়ে সচেতন হওয়া এবং সাপের কামড় প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা। “ঘড়িয়াল বাংলা” পেজটি লাইক ও ফলো করুন আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করে আলোচনায় যুক্ত হয়ে আপনার মতামত জানান। #ঘড়িয়ালবাংলা #কালাচসাপ #CommonKrait #বিষধরসরীসৃপ #SnakeBiteAwareness #ScienceFacts #WildlifeBangladesh #GhorialBangla
    0 Comments 0 Shares 404 Views
  • ম্যানটিস শ্রিম্প: যার ঘুষি ভাঙে কাঁচ, আর চোখ হার মানায় রোবটকেও!

    সমুদ্রের নীচে, যেখানে আলো ম্লান, শব্দ নিঃশব্দ আর বেঁচে থাকার জন্য যা দরকার তা হলো চতুরতা! সেখানেই বাস করে একটা রহস্যময় প্রাণী। খুব ছোট দেখতে, একটা চিংড়ির মতো। নাম Mantis Shrimp। কিন্তু এই নামের মধ্যে লুকিয়ে আছে যে শক্তি, যে রহস্য, তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।

    এর ঘুষি এতটাই জোরালো, যে তা দিয়ে অ্যাকুরিয়ামের কাঁচ ফেটে যায়। আর চোখ? আপনি, আমি, ক্যামেরা, এমনকি কিছু রোবট সেন্সর কেউই এদের চোখের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে না।

    এরা ঘুষি মারে ৮০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে! Mantis Shrimp-এর সামনে থাকে দুইটা শক্তিশালী ক্লাব যেন পাথরের হাতুড়ি! শিকার দেখলেই সে এত জোরে আঘাত করে, যে পানির নিচে সেই ঘুষির গতিতে একপ্রকার ছোট্ট শকওয়েভ তৈরি হয়। এটাই বলা হয় Cavitation Bubble। এই বুদবুদের বিস্ফোরণ এত তীব্র যে, যদি ঘুষি থেকে কেউ বেঁচেও যায়, এই শকওয়েভেই সে শেষ!

    এরা ঘুষি মারার সময় মাত্র ৩ মিলিসেকেন্ডে (এক চোখের পলকের চেয়েও কম) শক্তি ছুড়ে মারে, যার গতি বুলেটের সমান। পানির নিচে এত জোরে কেউ কিভাবে আঘাত করতে পারে এটাই বিজ্ঞানীদের এক বিশাল বিস্ময়!

    চোখে যে জিনিস এরা দেখে, আমরা তা কল্পনাও করতে পারি না! আপনার চোখে আছে মাত্র ৩ ধরনের রঙ শনাক্তকারী কোষ লাল, সবুজ আর নীল। কিন্তু ম্যানটিস শ্রিম্পের চোখে আছে ১৬টি!

    এরা শুধু আলাদা রঙ না, অতিবেগুনি রশ্মি (UV) এমনকি পোলারাইজড আলোও দেখতে পারে যা মানুষের পক্ষে একেবারেই অদৃশ্য!

    যার মানে, এই প্রাণীটা আমাদের চেনা দুনিয়ার বাইরেও কিছু দেখে! যেন সে সমুদ্রের নিচে এক বিকল্প বাস্তবতা দেখতে পায়। এটাই এমন একটা স্তর, যা বিজ্ঞানের সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরাও পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারেনি।

    এদের প্রতিটি চোখ ঘোরে আলাদাভাবে এবং প্রতিটি চোখেই এমন গঠন আছে যা দিয়ে তারা depth, movement, এমনকি পোলারিটি আলাদাভাবে চিনতে পারে। প্রতিটা চোখে যেন একটা করে ছোট কম্পিউটার বসানো!

    সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, এরা চোখেই অনেক কিছু প্রক্রিয়া করে ফেলে সেটা মস্তিষ্কে না পাঠিয়েই! অর্থাৎ চোখ-ই এদের অর্ধেক বুদ্ধির জায়গা!

    মানুষ ভাবে সে-ই সবকিছু জানে, কিন্তু প্রকৃতি চুপচাপ এমন সব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে একটা ছোট্ট প্রাণীর ভেতরে, যা পুরো বিজ্ঞানের চেহারাই বদলে দিতে পারে। একটা চিংড়ির মতো ছোট্ট প্রাণী, কিন্তু তার চোখ আর ঘুষি নিয়
    ম্যানটিস শ্রিম্প: যার ঘুষি ভাঙে কাঁচ, আর চোখ হার মানায় রোবটকেও! সমুদ্রের নীচে, যেখানে আলো ম্লান, শব্দ নিঃশব্দ আর বেঁচে থাকার জন্য যা দরকার তা হলো চতুরতা! সেখানেই বাস করে একটা রহস্যময় প্রাণী। খুব ছোট দেখতে, একটা চিংড়ির মতো। নাম Mantis Shrimp। কিন্তু এই নামের মধ্যে লুকিয়ে আছে যে শক্তি, যে রহস্য, তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। এর ঘুষি এতটাই জোরালো, যে তা দিয়ে অ্যাকুরিয়ামের কাঁচ ফেটে যায়। আর চোখ? আপনি, আমি, ক্যামেরা, এমনকি কিছু রোবট সেন্সর কেউই এদের চোখের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে না। এরা ঘুষি মারে ৮০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে! Mantis Shrimp-এর সামনে থাকে দুইটা শক্তিশালী ক্লাব যেন পাথরের হাতুড়ি! শিকার দেখলেই সে এত জোরে আঘাত করে, যে পানির নিচে সেই ঘুষির গতিতে একপ্রকার ছোট্ট শকওয়েভ তৈরি হয়। এটাই বলা হয় Cavitation Bubble। এই বুদবুদের বিস্ফোরণ এত তীব্র যে, যদি ঘুষি থেকে কেউ বেঁচেও যায়, এই শকওয়েভেই সে শেষ! এরা ঘুষি মারার সময় মাত্র ৩ মিলিসেকেন্ডে (এক চোখের পলকের চেয়েও কম) শক্তি ছুড়ে মারে, যার গতি বুলেটের সমান। পানির নিচে এত জোরে কেউ কিভাবে আঘাত করতে পারে এটাই বিজ্ঞানীদের এক বিশাল বিস্ময়! চোখে যে জিনিস এরা দেখে, আমরা তা কল্পনাও করতে পারি না! আপনার চোখে আছে মাত্র ৩ ধরনের রঙ শনাক্তকারী কোষ লাল, সবুজ আর নীল। কিন্তু ম্যানটিস শ্রিম্পের চোখে আছে ১৬টি! এরা শুধু আলাদা রঙ না, অতিবেগুনি রশ্মি (UV) এমনকি পোলারাইজড আলোও দেখতে পারে যা মানুষের পক্ষে একেবারেই অদৃশ্য! যার মানে, এই প্রাণীটা আমাদের চেনা দুনিয়ার বাইরেও কিছু দেখে! যেন সে সমুদ্রের নিচে এক বিকল্প বাস্তবতা দেখতে পায়। এটাই এমন একটা স্তর, যা বিজ্ঞানের সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরাও পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারেনি। এদের প্রতিটি চোখ ঘোরে আলাদাভাবে এবং প্রতিটি চোখেই এমন গঠন আছে যা দিয়ে তারা depth, movement, এমনকি পোলারিটি আলাদাভাবে চিনতে পারে। প্রতিটা চোখে যেন একটা করে ছোট কম্পিউটার বসানো! সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, এরা চোখেই অনেক কিছু প্রক্রিয়া করে ফেলে সেটা মস্তিষ্কে না পাঠিয়েই! অর্থাৎ চোখ-ই এদের অর্ধেক বুদ্ধির জায়গা! মানুষ ভাবে সে-ই সবকিছু জানে, কিন্তু প্রকৃতি চুপচাপ এমন সব অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে একটা ছোট্ট প্রাণীর ভেতরে, যা পুরো বিজ্ঞানের চেহারাই বদলে দিতে পারে। একটা চিংড়ির মতো ছোট্ট প্রাণী, কিন্তু তার চোখ আর ঘুষি নিয়
    0 Comments 0 Shares 253 Views
  • বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় দ্বীপ – সোকোত্রা (Socotra Island), ইয়েমেন

    পৃথিবীর বুকে যেন অন্য এক গ্রহ!
    সোকোত্রা দ্বীপকে বলা হয় "আর্থের এলিয়েন দ্বীপ",।

    এলিয়েন দ্বীপ বলার কারণ বুঝতে হলে জানতে হবে এখানকার গাছগুলো সম্পর্কে। এ দ্বীপের বেশিরভাগ উদ্ভিদই স্থানীয়। পৃথিবীর কোথাও এগুলোর দেখা মেলে না। এই স্থানীয় উদ্ভিদগুলো গড়ন এতটাই অদ্ভুত যে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের জীববিজ্ঞানীগণ জরিপ করে প্রায় ৭০০ প্রজাতির স্থানীয় উদ্ভিদ পেয়েছেন সারা পৃথিবীতে। আর সুকাত্রা দ্বীপে ৮২৫ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ৩০৭টি প্রজাতিই স্থানীয়, অর্থাৎ প্রায় ৩৭ শতাংশ উদ্ভিদ আপনি পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখতে পাবেন না। ২০০৪ সালে IUCN এর লাল তালিকায় সুকাত্রার ৩টি অতিবিপন্ন এবং ২৭টি বিপন্ন উদ্ভিদের নাম রয়েছে।

    এই দ্বীপের সবচেয়ে অদ্ভুত গাছ হলো ড্রাগন-ব্লাড ট্রি। হঠাৎ করে দেখলে ভয় পেয়ে যেতে পারেন বৃহৎ আকৃতির ব্যাঙের ছাতা ভেবে। অদ্ভুত গড়নের ছাতাকৃতির এই গাছটি থেকে লাল বর্ণের আঠালো পদার্থ বের হয়। ধারণা করা হয়, বহুকাল আগের ড্রাগনের রক্ত থেকে এই গাছের উৎপত্তি এবং সে অনুযায়ী এর নামকরণ! এই গাছের আঠা এখন রঙ তৈরিতে এবং বার্নিশের কাজে ব্যবহৃত হয়। খুব সম্ভবত ওষুধ হিসেবে এবং প্রসাধনী হিসেবেও এই উদ্ভিদের ব্যবহার ছিল।

    আরেকটি বিশেষ উদ্ভিদ হলো ডেন্ড্রোসসিয়াস। এটি এক প্রকারের শশা গাছ। বিভিন্ন আকৃতির কান্ডটি লম্বা হয়ে চূড়া তৈরি করে, যেখানে হলুদ, গোলাপী ফুল ফোটে। উভলিঙ্গ এই গাছের জন্ম এই দ্বীপের বয়সের দ্বিগুণ আগে বলে গবেষকদের ধারণা। ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এদের বংশবিস্তারের অনুকূল। এই উদ্ভিদগুলোর অদ্ভুত গড়নই এই দ্বীপকে ভিনগ্রহীদের দ্বীপ হিসেবে আখ্যায়িত করার মূল কারণ।

    কখনো সুযোগ পেলে সোকোত্রার এই বিস্ময়কে চোখে দেখার অভিজ্ঞতা নিন!
    #Socotra #Yemen #NatureWonder #DragonBloodTree #Biodiversity #UnescoHeritage
    🌴 বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় দ্বীপ – সোকোত্রা (Socotra Island), ইয়েমেন🦎🦋 পৃথিবীর বুকে যেন অন্য এক গ্রহ! সোকোত্রা দ্বীপকে বলা হয় "আর্থের এলিয়েন দ্বীপ",। 🧬 এলিয়েন দ্বীপ বলার কারণ বুঝতে হলে জানতে হবে এখানকার গাছগুলো সম্পর্কে। এ দ্বীপের বেশিরভাগ উদ্ভিদই স্থানীয়। পৃথিবীর কোথাও এগুলোর দেখা মেলে না। এই স্থানীয় উদ্ভিদগুলো গড়ন এতটাই অদ্ভুত যে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের জীববিজ্ঞানীগণ জরিপ করে প্রায় ৭০০ প্রজাতির স্থানীয় উদ্ভিদ পেয়েছেন সারা পৃথিবীতে। আর সুকাত্রা দ্বীপে ৮২৫ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ৩০৭টি প্রজাতিই স্থানীয়, অর্থাৎ প্রায় ৩৭ শতাংশ উদ্ভিদ আপনি পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখতে পাবেন না। ২০০৪ সালে IUCN এর লাল তালিকায় সুকাত্রার ৩টি অতিবিপন্ন এবং ২৭টি বিপন্ন উদ্ভিদের নাম রয়েছে। এই দ্বীপের সবচেয়ে অদ্ভুত গাছ হলো ড্রাগন-ব্লাড ট্রি। হঠাৎ করে দেখলে ভয় পেয়ে যেতে পারেন বৃহৎ আকৃতির ব্যাঙের ছাতা ভেবে। অদ্ভুত গড়নের ছাতাকৃতির এই গাছটি থেকে লাল বর্ণের আঠালো পদার্থ বের হয়। ধারণা করা হয়, বহুকাল আগের ড্রাগনের রক্ত থেকে এই গাছের উৎপত্তি এবং সে অনুযায়ী এর নামকরণ! এই গাছের আঠা এখন রঙ তৈরিতে এবং বার্নিশের কাজে ব্যবহৃত হয়। খুব সম্ভবত ওষুধ হিসেবে এবং প্রসাধনী হিসেবেও এই উদ্ভিদের ব্যবহার ছিল। আরেকটি বিশেষ উদ্ভিদ হলো ডেন্ড্রোসসিয়াস। এটি এক প্রকারের শশা গাছ। বিভিন্ন আকৃতির কান্ডটি লম্বা হয়ে চূড়া তৈরি করে, যেখানে হলুদ, গোলাপী ফুল ফোটে। উভলিঙ্গ এই গাছের জন্ম এই দ্বীপের বয়সের দ্বিগুণ আগে বলে গবেষকদের ধারণা। ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এদের বংশবিস্তারের অনুকূল। এই উদ্ভিদগুলোর অদ্ভুত গড়নই এই দ্বীপকে ভিনগ্রহীদের দ্বীপ হিসেবে আখ্যায়িত করার মূল কারণ। 👉 কখনো সুযোগ পেলে সোকোত্রার এই বিস্ময়কে চোখে দেখার অভিজ্ঞতা নিন! #Socotra #Yemen #NatureWonder #DragonBloodTree #Biodiversity #UnescoHeritage
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 312 Views
  • আগের পোস্টে জায়গাটি সম্পর্কে গেস করতে বলেছিলাম। অনেকেই সঠিকটা জানিয়েছেন... ❤
    এবার আমি বলি।
    প্যারিসের প্রাণবন্ত রাস্তার নীচে রয়েছে আশ্চর্য এই ছায়াময় পৃথিবী, যা ক্যাটাকম্বস নামে পরিচিত। প্রাচীন রহস্যে ঘেরা একটি ভূগর্ভস্থ অস্থি সংরক্ষণাগার যেখানে রয়েছে ষাট মিলিয়নেরও বেশি মানুষের দেহাবশেষ।
    এখন প্রশ্ন হল মাটির নিচে একই জায়গায় এতো মানুষের দেহাবশেষ কেন?
    আঠেরো শতকের শেষের দিকে প্যারিস শহর একটি দারুণ সমস্যার সম্মুখীন হয়। কবরস্থান উপচে পড়ার কারণে সেখানে মৃত মানুষ কবর দেবার জন্য জায়গা কম পড়ে। কিন্তু প্রাচীন কবরগুলিকে ডিসপোজ করার কথাও কর্তৃপক্ষ ভাবতে পারছিলো না। তখন শহরের রাস্তার নিচে তৈরি করা হয়েছিল এই যায়গা যেখানে মাথার খুলি এবং হাড়গুলিকে খুব সাবধানতার সাথে দেয়ালের গায়ে দারুণ নকশায় সাজানো হয়েছিল। আজ এই জায়গাটি প্যারিস শহরের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান যেখান দিয়ে হেঁটে যাবার সময় মনে হয় এটি নীরবতার ভয়ঙ্কর এক করিডোর মাত্র।
    মাথার খুলি এবং উরুর হাড়গুলি সুড়ঙ্গের মধ্যে দারুণ প্রতিসাম্যের সাথে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, যা আসলে মৃত্যুই যে জীবনের পরিণতি সেই কথাই বারবার মনে করায়। সুড়ঙ্গের মধ্যেকার শীতল বাতাস, গভীর নীরবতা এবং এখানে চলা প্রতিটি পদক্ষেপ এক অবিস্মরণীয় ইতিহাসের গাথা প্রতিধ্বনিত করে। এখান দিয়ে হেঁটে যাওয়া মৃতদের কোনো শহর অতিক্রম করার মতো এক বিরল অভিজ্ঞতা যাকে ডিফাইন করতে গেলে বলতে হবে - ভুতুড়ে সুন্দর এবং অস্থিরভাবে শান্তিপূর্ণ। এখানে শিল্প এবং মৃত্যু মিলেমিশে আছে পাথর এবং হাড়ের মধ্যে...
    আগের পোস্টে জায়গাটি সম্পর্কে গেস করতে বলেছিলাম। অনেকেই সঠিকটা জানিয়েছেন... ❤ এবার আমি বলি। প্যারিসের প্রাণবন্ত রাস্তার নীচে রয়েছে আশ্চর্য এই ছায়াময় পৃথিবী, যা ক্যাটাকম্বস নামে পরিচিত। প্রাচীন রহস্যে ঘেরা একটি ভূগর্ভস্থ অস্থি সংরক্ষণাগার যেখানে রয়েছে ষাট মিলিয়নেরও বেশি মানুষের দেহাবশেষ। এখন প্রশ্ন হল মাটির নিচে একই জায়গায় এতো মানুষের দেহাবশেষ কেন? আঠেরো শতকের শেষের দিকে প্যারিস শহর একটি দারুণ সমস্যার সম্মুখীন হয়। কবরস্থান উপচে পড়ার কারণে সেখানে মৃত মানুষ কবর দেবার জন্য জায়গা কম পড়ে। কিন্তু প্রাচীন কবরগুলিকে ডিসপোজ করার কথাও কর্তৃপক্ষ ভাবতে পারছিলো না। তখন শহরের রাস্তার নিচে তৈরি করা হয়েছিল এই যায়গা যেখানে মাথার খুলি এবং হাড়গুলিকে খুব সাবধানতার সাথে দেয়ালের গায়ে দারুণ নকশায় সাজানো হয়েছিল। আজ এই জায়গাটি প্যারিস শহরের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান যেখান দিয়ে হেঁটে যাবার সময় মনে হয় এটি নীরবতার ভয়ঙ্কর এক করিডোর মাত্র। মাথার খুলি এবং উরুর হাড়গুলি সুড়ঙ্গের মধ্যে দারুণ প্রতিসাম্যের সাথে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, যা আসলে মৃত্যুই যে জীবনের পরিণতি সেই কথাই বারবার মনে করায়। সুড়ঙ্গের মধ্যেকার শীতল বাতাস, গভীর নীরবতা এবং এখানে চলা প্রতিটি পদক্ষেপ এক অবিস্মরণীয় ইতিহাসের গাথা প্রতিধ্বনিত করে। এখান দিয়ে হেঁটে যাওয়া মৃতদের কোনো শহর অতিক্রম করার মতো এক বিরল অভিজ্ঞতা যাকে ডিফাইন করতে গেলে বলতে হবে - ভুতুড়ে সুন্দর এবং অস্থিরভাবে শান্তিপূর্ণ। এখানে শিল্প এবং মৃত্যু মিলেমিশে আছে পাথর এবং হাড়ের মধ্যে...
    0 Comments 0 Shares 101 Views
  • ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় ভৌতিক চলচ্চিত্র “Candyman”-এ অভিনেতা Tony Todd মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রটি ছিল ভয়ঙ্কর, রক্তমুখী ও রহস্যময় এক আত্মার, যার চারপাশে সবসময় মৌমাছিরা ঘিরে থাকে। সিনেমার এক বিশেষ দৃশ্যে, তাঁকে মুখের ভেতর বাস্তব মৌমাছি রাখতে হয়েছিল — CGI বা কম্পিউটার গ্রাফিক্সের পরিবর্তে বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে ভয় ধরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।

    এই দৃশ্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, কারণ মৌমাছির কামড়ে অ্যালার্জি বা বিপজ্জনক শারীরিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই অভিনেতা Tony Todd প্রযোজকদের সঙ্গে একটি বিশেষ চুক্তি করেন — যতবার তাকে মৌমাছি কামড়াবে, প্রতিবার তিনি $1,000 পাবেন।

    চিত্রগ্রহণ চলাকালীন তিনি মোট ২৩ বার মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত হন, যার ফলে তিনি $23,000 অতিরিক্ত আয় করেন শুধু মৌমাছির দংশনের কারণে।

    লেখা: সালেহ আহমেদ, টিম - বিজ্ঞানচক্র
    ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় ভৌতিক চলচ্চিত্র “Candyman”-এ অভিনেতা Tony Todd মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রটি ছিল ভয়ঙ্কর, রক্তমুখী ও রহস্যময় এক আত্মার, যার চারপাশে সবসময় মৌমাছিরা ঘিরে থাকে। সিনেমার এক বিশেষ দৃশ্যে, তাঁকে মুখের ভেতর বাস্তব মৌমাছি রাখতে হয়েছিল — CGI বা কম্পিউটার গ্রাফিক্সের পরিবর্তে বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে ভয় ধরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এই দৃশ্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, কারণ মৌমাছির কামড়ে অ্যালার্জি বা বিপজ্জনক শারীরিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই অভিনেতা Tony Todd প্রযোজকদের সঙ্গে একটি বিশেষ চুক্তি করেন — যতবার তাকে মৌমাছি কামড়াবে, প্রতিবার তিনি $1,000 পাবেন। চিত্রগ্রহণ চলাকালীন তিনি মোট ২৩ বার মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত হন, যার ফলে তিনি $23,000 অতিরিক্ত আয় করেন শুধু মৌমাছির দংশনের কারণে। লেখা: সালেহ আহমেদ, টিম - বিজ্ঞানচক্র
    0 Comments 0 Shares 118 Views
  • বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত মাছ – Stonefish (স্টোনফিশ)
    আপনি কি জানেন?
    সমুদ্রের তলার পাথরের মতো দেখতে Stonefish পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত মাছগুলোর একটি।
    এদের শরীরে থাকা বিষ এতটাই শক্তিশালী, যে শুধু তাদের কাঁটায় আঘাত পেলেই জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে!

    কেন স্টোনফিশ এত ভয়ংকর?
    ১৩টি বিষাক্ত কাঁটা থাকে শরীরের পিঠে

    পানির তলায় বালু বা পাথরের সঙ্গে মিশে থাকা কারণে খেয়াল না করলে পা দিয়ে ছুঁয়ে ফেলে আহত হতে পারেন

    বিষ দ্রুত নার্ভ সিস্টেমে আঘাত করে, শ্বাসকষ্ট, প্যারালাইসিস বা মারাত্মক অবস্থার কারণ হতে পারে

    সঠিক সময় চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে

    প্রকৃতির এক বিস্ময়, কিন্তু বিপজ্জনক!
    Stonefish আমাদের সতর্ক করে দেয়—প্রকৃতির সৌন্দর্য যখন রহস্যময়, তখন এর বিপদ থেকেও সাবধান থাকতে হয়।

    #Stonefish #সমুদ্রের_বিষাক্ত_মাছ #বিষাক্ত_জীব #OceanDanger #NatureFacts #বাংলাদেশ #SeaCreatures #SurvivalTips
    বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত মাছ – Stonefish (স্টোনফিশ) আপনি কি জানেন? সমুদ্রের তলার পাথরের মতো দেখতে Stonefish পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত মাছগুলোর একটি। এদের শরীরে থাকা বিষ এতটাই শক্তিশালী, যে শুধু তাদের কাঁটায় আঘাত পেলেই জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে! কেন স্টোনফিশ এত ভয়ংকর? ১৩টি বিষাক্ত কাঁটা থাকে শরীরের পিঠে পানির তলায় বালু বা পাথরের সঙ্গে মিশে থাকা কারণে খেয়াল না করলে পা দিয়ে ছুঁয়ে ফেলে আহত হতে পারেন বিষ দ্রুত নার্ভ সিস্টেমে আঘাত করে, শ্বাসকষ্ট, প্যারালাইসিস বা মারাত্মক অবস্থার কারণ হতে পারে সঠিক সময় চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে প্রকৃতির এক বিস্ময়, কিন্তু বিপজ্জনক! Stonefish আমাদের সতর্ক করে দেয়—প্রকৃতির সৌন্দর্য যখন রহস্যময়, তখন এর বিপদ থেকেও সাবধান থাকতে হয়। #Stonefish #সমুদ্রের_বিষাক্ত_মাছ #বিষাক্ত_জীব #OceanDanger #NatureFacts #বাংলাদেশ #SeaCreatures #SurvivalTips
    Wow
    2
    0 Comments 0 Shares 259 Views
  • জার্মানির অন্যতম রহস্যময় ও প্রাকৃতিকভাবে বিস্ময়কর স্থান — Zugspitze Glacier Cave (জুগস্পিৎস বরফ গুহা)

    Zugspitze — জার্মানির সর্বোচ্চ পর্বত
    অবস্থান: জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার সীমান্তে

    উচ্চতা: প্রায় ২,৯৬২ মিটার (৯,৭১৭ ফুট)

    এটি আল্পস পর্বতমালার অংশ, এবং জার্মানির সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ।

    কী আছে Zugspitze-এর নিচে?
    Zugspitze পাহাড়ের নিচে রয়েছে এক গোপন বরফের গুহা, যা:

    সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে গঠিত।

    গুহার দেয়াল, ছাদ এবং মেঝে — সবই বরফে মোড়া।

    গুহার মধ্যে ঢুকলেই অনুভব করা যায় এক আলোক ও ঠান্ডার জাদুময় অনুভূতি।

    জায়গাটিকে কখনও কখনও বলা হয় “Glacier Ice Cave” বা “Eisgrotte”।

    গুহার ভেতরে পরিবেশ:
    তাপমাত্রা প্রায় –৩°C থেকে –৬°C এর মধ্যে থাকে।

    ভিতরের বরফ বহু বছর ধরে জমে থাকা গ্লেসিয়ার বরফ, যা কখনো গলে না — বরং স্থির থাকে।

    কিছু অংশে বরফ কাঁচের মতো স্বচ্ছ, আবার কিছু জায়গায় বরফে নীল বা সবুজ আলো দেখা যায়।

    কীভাবে পৌঁছানো যায়?
    Zugspitze-এ উঠার জন্য রয়েছে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক কেবল কার (Seilbahn Zugspitze)।

    উপরে উঠেই Glacier Plateau তে পৌঁছালে, সেখানেই রয়েছে বরফে ঢাকা গুহার প্রবেশপথ।

    পর্যটকের প্রিয়:
    বরফের মধ্যে ঘোরাফেরা, ছবি তোলা, ও এক রহস্যময় পরিবেশ উপভোগের জন্য এটি পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।

    অনেক সময় আলোকসজ্জা ও সাউন্ড ইফেক্ট দিয়ে গুহাটিকে আরও জাদুকরী করে তোলা হয়।

    মজার তথ্য:
    Zugspitze গুহাটি “এক জীবন্ত বরফ জাদুঘর” বলেও পরিচিত।

    এটি বিজ্ঞানীদের কাছেও গবেষণার এক আকর্ষণীয় স্থান — কারণ গুহার বরফে বহু বছরের জলবায়ুর চিহ্ন লুকিয়ে আছে।

    উপসংহার:
    জার্মানির Zugspitze কেবল একটি পাহাড় নয় — এর পেটের ভেতর লুকিয়ে আছে এক সাদা বরফের স্বপ্নপুরী। যেখানে প্রকৃতি নিজের হাতে তৈরি করেছে এক রহস্যময় গুহা — শান্ত, শীতল এবং অলৌকিক।
    জার্মানির অন্যতম রহস্যময় ও প্রাকৃতিকভাবে বিস্ময়কর স্থান — Zugspitze Glacier Cave (জুগস্পিৎস বরফ গুহা) Zugspitze — জার্মানির সর্বোচ্চ পর্বত অবস্থান: জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার সীমান্তে উচ্চতা: প্রায় ২,৯৬২ মিটার (৯,৭১৭ ফুট) এটি আল্পস পর্বতমালার অংশ, এবং জার্মানির সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ। কী আছে Zugspitze-এর নিচে? Zugspitze পাহাড়ের নিচে রয়েছে এক গোপন বরফের গুহা, যা: সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে গঠিত। গুহার দেয়াল, ছাদ এবং মেঝে — সবই বরফে মোড়া। গুহার মধ্যে ঢুকলেই অনুভব করা যায় এক আলোক ও ঠান্ডার জাদুময় অনুভূতি। জায়গাটিকে কখনও কখনও বলা হয় “Glacier Ice Cave” বা “Eisgrotte”। গুহার ভেতরে পরিবেশ: তাপমাত্রা প্রায় –৩°C থেকে –৬°C এর মধ্যে থাকে। ভিতরের বরফ বহু বছর ধরে জমে থাকা গ্লেসিয়ার বরফ, যা কখনো গলে না — বরং স্থির থাকে। কিছু অংশে বরফ কাঁচের মতো স্বচ্ছ, আবার কিছু জায়গায় বরফে নীল বা সবুজ আলো দেখা যায়। কীভাবে পৌঁছানো যায়? Zugspitze-এ উঠার জন্য রয়েছে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক কেবল কার (Seilbahn Zugspitze)। উপরে উঠেই Glacier Plateau তে পৌঁছালে, সেখানেই রয়েছে বরফে ঢাকা গুহার প্রবেশপথ। পর্যটকের প্রিয়: বরফের মধ্যে ঘোরাফেরা, ছবি তোলা, ও এক রহস্যময় পরিবেশ উপভোগের জন্য এটি পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। অনেক সময় আলোকসজ্জা ও সাউন্ড ইফেক্ট দিয়ে গুহাটিকে আরও জাদুকরী করে তোলা হয়। মজার তথ্য: Zugspitze গুহাটি “এক জীবন্ত বরফ জাদুঘর” বলেও পরিচিত। এটি বিজ্ঞানীদের কাছেও গবেষণার এক আকর্ষণীয় স্থান — কারণ গুহার বরফে বহু বছরের জলবায়ুর চিহ্ন লুকিয়ে আছে। উপসংহার: জার্মানির Zugspitze কেবল একটি পাহাড় নয় — এর পেটের ভেতর লুকিয়ে আছে এক সাদা বরফের স্বপ্নপুরী। যেখানে প্রকৃতি নিজের হাতে তৈরি করেছে এক রহস্যময় গুহা — শান্ত, শীতল এবং অলৌকিক।
    0 Comments 0 Shares 99 Views
  • ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই যখন কর্নেল তাহেরকে বলা হলো'আজ আপনার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।' আবু তাহের শুনে সংবাদ বাহককে ধন্যবাদ দিলেন। এরপর সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় তিনি তাঁর খাবার শেষ করলেন। এক হুজুর তাঁকে তওবা পড়াতে এলো।
    .
    তওবার কথা শুনে কর্নেল তাহের বলছিলেন, 'তোমাদের সমাজের পাপাচার আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আমি কখনো কোনো পাপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি নিষ্পাপ। তুমি এখন যেতে পারো, আমি ঘুমাবো।’
    .
    এরপর তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে গেলেন। রাত ৩টার দিকে তাঁকে জাগানো হলো। সময় জেনে নিয়ে তিনি দাঁত মাজলেন। তারপর শেভ করে গোসল করলেন।
    .
    উপস্থিত সবাই তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এলে তিনি বললেন,
    ‘আমি আমার পবিত্র শরীরে তোমাদের হাত লাগাতে চাই না।’ তারপর নিজেই তিনি তাঁর কৃত্রিম পা খানি লাগিয়ে প্যান্ট-জুতা পরে নিলেন। চমৎকার একটা শার্ট পরলেন। ঘড়িটি হাতে দিয়ে মাথার চুল আঁচড়ে নিলেন। তারপর উপস্থিত সবার সামনে আম খেলেন, চা খেলেন এবং সিগারেট খেয়ে সবাইকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, ‘তোমরা এমন মনমরা হয়ে পড়েছো কেন? মৃত্যুর চেহারায় আমি হাসি ফোটাতে চেয়েছিলাম। মৃত্যু আমাকে পরাভূত করতে পারে না।’
    .

    ফাঁসির আগে স্ত্রী লুত্ফাকে লেখা শেষ চিঠিতে তাহের বলেছিলেন, ‘আমাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। আমি আমার সমগ্র জাতির মধ্যে প্রকাশিত। আমাকে হত্যা করতে হলে সমগ্র জাতিকে হত্যা করতে হবে।’

    যখন শেষ ইচ্ছে আছে কিনা তাহেরের জানতে চাওয়া হলো তখন তিনি বললেন, ‘আমার মৃত্যুর বদলে আমি সাধারণ মানুষের শান্তি কামনা করছি।’ এরপর ফাঁসির মঞ্চে আবৃত্তি করেন সেই অমর কবিতাখানি-
    .
    “জন্মেছি, সারা দেশটাকে কাঁপিয়ে তুলতে, কাঁপিয়ে দিলাম।
    জন্মেছি, তোদের শোষণের হাত দুটো ভাঙব বলে, ভেঙে দিলাম।
    জন্মেছি, মৃত্যুকে পরাজিত করব বলে, করেই গেলাম
    জন্ম আর মৃত্যুর বিশাল পাথর রেখে গেলাম
    পাথরের নিচে, শোষক আর শাসকের কবর দিলাম
    পৃথিবী, অবশেষে এবারের মতো বিদায় নিলাম।”
    .
    উনি সেই কর্নেল তাহের তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে একমাত্র বাঙালি অফিসার হিসেবে পেয়েছিলেন ''মেরুন প্যারাস্যুট উইং' সম্মাননা।
    .
    মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ কমান্ডারদের মধ্যে অন্যতম। যার অধীনে ছিলো ১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব।
    .
    জামালপুরের বক্সীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ছিলো পাকিস্তানি হানাদারদের শক্তিশালী বিওপি। আগেও ওখানে বেশ কয়েকটা অপারেশন হয়। সবগুলো ছিল অসফল। কিন্তু এবারের অপারেশনটা ছিলো ভিন্ন রকমের। তাঁদের সঙ্গে এসে যুক্ত হলো ভারতের মারাঠা রেজিমেন্ট, গোর্খা রেজিমেন্ট আর গার্ড রেজিমেন্ট। সবগুলোর কমান্ডে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার। সিদ্ধান্ত হয়েছিলো‌ নেতৃত্ব দিবেন সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের।
    .
    ১৩ নভেম্বর, ১৯৭১।
    দুপুরে আবু তাহের তাঁর অধীনস্থ কমান্ডারদের নিয়ে আলোচনায় বসলেন। ঠিক হলো এদিন রাত ১২টার কামালপুর আক্রমণ করা হবে। ১৪ই নভেম্বর ছিল তাহেরের জন্মদিনও। আগেই ঠিক করা ছিল কর্নেল তাহেরের কোড হবে ‘কর্তা’। যে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ‘কর্তা’ নামে সম্বোধন করবে। ১৩ই নভেম্বর রাত ১১টায় রওনা হলেন সবাই। কামালপুরের আগেই বানরোড। তারও পেছনে তাহেরের কমান্ড পোস্ট। সেখানেই অবস্থান নিলেন কেউ কেউ। পাশেই ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার, গোর্খা রেজিমেন্টে কর্নেল বারাখ, মারাঠা রেজিমেন্টের কর্নেল বুলবুল ও গার্টস রেজিমেন্টের বারাট।
    .
    ঠিক করা হলো আর্টিলারি ফায়ারের পর শুরু হবে অপারেশন। রাত তখন ১২টা। মুহুর্মূহু শেল পড়ছে কামালপুর বিওপির উপরে। কর্নেল তাহেরের নির্দেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আর্টিলারি নিক্ষেপ করা হয়েছিলো। উপরে আলোর ঝলকানি। পাকিস্তানি সেনারা একটানা গুলিবর্ষণ করছে এদিকে। নির্দেশ ছিলো মুক্তিযোদ্ধারা চার্জ করবে ‘জয় বাংলা’ বলে। কিছুক্ষণ পর চারপাশ থেকে ‘জয় বাংলা’র চিৎকার। কর্নেল তাহেরের কাছে ছিল একটি ওয়াকিটকি। সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট মিজান হঠাৎই বললেন ‘কর্তা আমরা পাকিস্তানিদের প্রথম লাইনের বাঙ্কার দখল করে নিয়েছি।’ তখন আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুললেন মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে।
    .
    রাত তখন তিনটার মতো মিজানের সঙ্গে তাহেরের যোগাযোগ হচ্ছে না। ওয়াকিটকিতে তাহের বার বার জিজ্ঞেস করছেন, ‘মিজান, তুমি কোথায়?’ ওপাশে কোনো সাড়া নেই। তিনি চিন্তিত হয়ে গেলেন। এদিকে ভোর হয়ে আসছে। হঠাৎ কর্নেল তাহের কমান্ড পোস্ট থেকে উঠে ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ারকে বললেন ‘আমি ফ্রন্টে যাব।’ ক্লেয়ার অবাক হয়ে বলেন, ‘কেন!’ জবাবে তাহের বললেন, 'আমি আমার ছেলেদের দেখতে চাই।’ শেলের আঘাতে পাকিস্তানিদের বাঙ্কারগুলো ভেঙে গেছে এরই মধ্যে । পাকিস্তানী সেনারা বেরিয়ে আখক্ষেতে লুকোচ্ছে।
    .
    তাহের পজিশন নিয়ে নিয়ে এগোলেন। বান সড়কের ঢালে এসে বসলেন দুই পা ভাঁজ করে। এক পাশে তাঁর ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল অন্যপাশে তাহেরের আরেক ভাই শাখাওয়াত হোসেন বাহার, পেছনে তিন-চারজন পজিশনে। তাহের কলফ স্টিক দিয়ে পাকিস্তানিদের দেখালেই, ওদিকে গুলি করছেন বেলাল। এরমধ্যেই হঠাৎ একটা আওয়াজ হলো। বেলাল খেয়াল করলেন তাহের বেলালের ওপর পড়ে যাচ্ছেন। তাহের দেখলেন তাঁর বাঁ পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে কোন প্রকার ঝুলে আছে।‌এদিকে দূর থেকে পাকিস্তানি সেনারা চিৎকার করছে। ওরা বুঝে গিয়েছিলো কমান্ডার ধরনের কেউ শেলের আঘাতে আহত হয়েছে। এদিকে কর্নেল তাহের নিস্তেজ গেছেন। বানের জলের মতো‌ রক্ত ঝরছে। হঠাৎই তাহেরের ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল হুট করে ভুল বুঝে ওয়াকিটকিতে বলে ফেললেন, ‘কর্তা ইজ ডেড।'
    .
    পাকিস্তানি সেনারা এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কর্নেল তাহেরের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখে মুক্তিযোদ্ধারা একটা কুঁড়েঘরের দরজা ভেঙে নিয়ে এলেন। সেখানে আবু তাহেরকে তুলে নেয়া হলো। কিন্তু এভাবে তো বেশি দূরে নেওয়া যাবে না। এরপর বেশ দূরে দৌড়ে গিয়ে বেলাল ভারতীয় বাহিনীর একটি জিপ এনে তুলে নিলেন। আবু তাহেরের তখনো মনোবল ভাঙ্গেনি। এরইমধ্যেই আনোয়ার দৌড়ে চলে আসলেন। তাঁকে দেখেই তাহের বললেন, ‘দেখো আমার মাথায় ওরা আঘাত করতে পারে নাই। তোমরা কামালপুর মুক্ত করবে। আমি ফিরে এসে যেন দেখি কামালপুর মুক্ত হয়েছে।’ এরপরই চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে কর্নেল তাহেরকে প্রথমে তুরা এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় গৌহাটিতে।
    .
    মুক্তিযুদ্ধে এই কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধার অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন তাঁর সব ভাইবোনেরা। তাহের ছাড়াও তাঁর ভাই আবু ইউসুফ পেয়েছেন বীরবিক্রম খেতাব। ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং শাখাওয়াত হোসেন বাহার পেয়েছিলেন বীর প্রতীক খেতাব। তাঁদের ভাই-বোনদের এই দলটিকে 'ব্রাদার্স প্লাটুন' নামে ডাকা হতো।
    .
    মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এই শ্রেষ্ঠ কমান্ডারকে ১৯৭৬ সালের আজকের দিনে এক মিথ্যা, প্রহসন ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিলো। যার সঙ্গে মুছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো তাঁর দুর্ধর্ষ আর বীরত্বগাঁথা।
    .
    মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে পা হারানো একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে তাঁরই মুক্ত করা স্বদেশভূমিতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হলো। এরচেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে!
    .
    আজ কর্নেল তাহেরের হত্যা দিবস। শ্রদ্ধায় স্মরণ করি বীরমুক্তিযোদ্ধা এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।

    © সৌজন্যে: আহমাদ ইশতিয়াক (বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র)
    ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই যখন কর্নেল তাহেরকে বলা হলো'আজ আপনার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।' আবু তাহের শুনে সংবাদ বাহককে ধন্যবাদ দিলেন। এরপর সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় তিনি তাঁর খাবার শেষ করলেন। এক হুজুর তাঁকে তওবা পড়াতে এলো। . তওবার কথা শুনে কর্নেল তাহের বলছিলেন, 'তোমাদের সমাজের পাপাচার আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আমি কখনো কোনো পাপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি নিষ্পাপ। তুমি এখন যেতে পারো, আমি ঘুমাবো।’ . এরপর তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে গেলেন। রাত ৩টার দিকে তাঁকে জাগানো হলো। সময় জেনে নিয়ে তিনি দাঁত মাজলেন। তারপর শেভ করে গোসল করলেন। . উপস্থিত সবাই তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এলে তিনি বললেন, ‘আমি আমার পবিত্র শরীরে তোমাদের হাত লাগাতে চাই না।’ তারপর নিজেই তিনি তাঁর কৃত্রিম পা খানি লাগিয়ে প্যান্ট-জুতা পরে নিলেন। চমৎকার একটা শার্ট পরলেন। ঘড়িটি হাতে দিয়ে মাথার চুল আঁচড়ে নিলেন। তারপর উপস্থিত সবার সামনে আম খেলেন, চা খেলেন এবং সিগারেট খেয়ে সবাইকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, ‘তোমরা এমন মনমরা হয়ে পড়েছো কেন? মৃত্যুর চেহারায় আমি হাসি ফোটাতে চেয়েছিলাম। মৃত্যু আমাকে পরাভূত করতে পারে না।’ . ফাঁসির আগে স্ত্রী লুত্ফাকে লেখা শেষ চিঠিতে তাহের বলেছিলেন, ‘আমাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। আমি আমার সমগ্র জাতির মধ্যে প্রকাশিত। আমাকে হত্যা করতে হলে সমগ্র জাতিকে হত্যা করতে হবে।’ যখন শেষ ইচ্ছে আছে কিনা তাহেরের জানতে চাওয়া হলো তখন তিনি বললেন, ‘আমার মৃত্যুর বদলে আমি সাধারণ মানুষের শান্তি কামনা করছি।’ এরপর ফাঁসির মঞ্চে আবৃত্তি করেন সেই অমর কবিতাখানি- . “জন্মেছি, সারা দেশটাকে কাঁপিয়ে তুলতে, কাঁপিয়ে দিলাম। জন্মেছি, তোদের শোষণের হাত দুটো ভাঙব বলে, ভেঙে দিলাম। জন্মেছি, মৃত্যুকে পরাজিত করব বলে, করেই গেলাম জন্ম আর মৃত্যুর বিশাল পাথর রেখে গেলাম পাথরের নিচে, শোষক আর শাসকের কবর দিলাম পৃথিবী, অবশেষে এবারের মতো বিদায় নিলাম।” . উনি সেই কর্নেল তাহের তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে একমাত্র বাঙালি অফিসার হিসেবে পেয়েছিলেন ''মেরুন প্যারাস্যুট উইং' সম্মাননা। . মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ কমান্ডারদের মধ্যে অন্যতম। যার অধীনে ছিলো ১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব। . জামালপুরের বক্সীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ছিলো পাকিস্তানি হানাদারদের শক্তিশালী বিওপি। আগেও ওখানে বেশ কয়েকটা অপারেশন হয়। সবগুলো ছিল অসফল। কিন্তু এবারের অপারেশনটা ছিলো ভিন্ন রকমের। তাঁদের সঙ্গে এসে যুক্ত হলো ভারতের মারাঠা রেজিমেন্ট, গোর্খা রেজিমেন্ট আর গার্ড রেজিমেন্ট। সবগুলোর কমান্ডে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার। সিদ্ধান্ত হয়েছিলো‌ নেতৃত্ব দিবেন সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের। . ১৩ নভেম্বর, ১৯৭১। দুপুরে আবু তাহের তাঁর অধীনস্থ কমান্ডারদের নিয়ে আলোচনায় বসলেন। ঠিক হলো এদিন রাত ১২টার কামালপুর আক্রমণ করা হবে। ১৪ই নভেম্বর ছিল তাহেরের জন্মদিনও। আগেই ঠিক করা ছিল কর্নেল তাহেরের কোড হবে ‘কর্তা’। যে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ‘কর্তা’ নামে সম্বোধন করবে। ১৩ই নভেম্বর রাত ১১টায় রওনা হলেন সবাই। কামালপুরের আগেই বানরোড। তারও পেছনে তাহেরের কমান্ড পোস্ট। সেখানেই অবস্থান নিলেন কেউ কেউ। পাশেই ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার, গোর্খা রেজিমেন্টে কর্নেল বারাখ, মারাঠা রেজিমেন্টের কর্নেল বুলবুল ও গার্টস রেজিমেন্টের বারাট। . ঠিক করা হলো আর্টিলারি ফায়ারের পর শুরু হবে অপারেশন। রাত তখন ১২টা। মুহুর্মূহু শেল পড়ছে কামালপুর বিওপির উপরে। কর্নেল তাহেরের নির্দেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আর্টিলারি নিক্ষেপ করা হয়েছিলো। উপরে আলোর ঝলকানি। পাকিস্তানি সেনারা একটানা গুলিবর্ষণ করছে এদিকে। নির্দেশ ছিলো মুক্তিযোদ্ধারা চার্জ করবে ‘জয় বাংলা’ বলে। কিছুক্ষণ পর চারপাশ থেকে ‘জয় বাংলা’র চিৎকার। কর্নেল তাহেরের কাছে ছিল একটি ওয়াকিটকি। সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট মিজান হঠাৎই বললেন ‘কর্তা আমরা পাকিস্তানিদের প্রথম লাইনের বাঙ্কার দখল করে নিয়েছি।’ তখন আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুললেন মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে। . রাত তখন তিনটার মতো মিজানের সঙ্গে তাহেরের যোগাযোগ হচ্ছে না। ওয়াকিটকিতে তাহের বার বার জিজ্ঞেস করছেন, ‘মিজান, তুমি কোথায়?’ ওপাশে কোনো সাড়া নেই। তিনি চিন্তিত হয়ে গেলেন। এদিকে ভোর হয়ে আসছে। হঠাৎ কর্নেল তাহের কমান্ড পোস্ট থেকে উঠে ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ারকে বললেন ‘আমি ফ্রন্টে যাব।’ ক্লেয়ার অবাক হয়ে বলেন, ‘কেন!’ জবাবে তাহের বললেন, 'আমি আমার ছেলেদের দেখতে চাই।’ শেলের আঘাতে পাকিস্তানিদের বাঙ্কারগুলো ভেঙে গেছে এরই মধ্যে । পাকিস্তানী সেনারা বেরিয়ে আখক্ষেতে লুকোচ্ছে। . তাহের পজিশন নিয়ে নিয়ে এগোলেন। বান সড়কের ঢালে এসে বসলেন দুই পা ভাঁজ করে। এক পাশে তাঁর ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল অন্যপাশে তাহেরের আরেক ভাই শাখাওয়াত হোসেন বাহার, পেছনে তিন-চারজন পজিশনে। তাহের কলফ স্টিক দিয়ে পাকিস্তানিদের দেখালেই, ওদিকে গুলি করছেন বেলাল। এরমধ্যেই হঠাৎ একটা আওয়াজ হলো। বেলাল খেয়াল করলেন তাহের বেলালের ওপর পড়ে যাচ্ছেন। তাহের দেখলেন তাঁর বাঁ পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে কোন প্রকার ঝুলে আছে।‌এদিকে দূর থেকে পাকিস্তানি সেনারা চিৎকার করছে। ওরা বুঝে গিয়েছিলো কমান্ডার ধরনের কেউ শেলের আঘাতে আহত হয়েছে। এদিকে কর্নেল তাহের নিস্তেজ গেছেন। বানের জলের মতো‌ রক্ত ঝরছে। হঠাৎই তাহেরের ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল হুট করে ভুল বুঝে ওয়াকিটকিতে বলে ফেললেন, ‘কর্তা ইজ ডেড।' . পাকিস্তানি সেনারা এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কর্নেল তাহেরের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখে মুক্তিযোদ্ধারা একটা কুঁড়েঘরের দরজা ভেঙে নিয়ে এলেন। সেখানে আবু তাহেরকে তুলে নেয়া হলো। কিন্তু এভাবে তো বেশি দূরে নেওয়া যাবে না। এরপর বেশ দূরে দৌড়ে গিয়ে বেলাল ভারতীয় বাহিনীর একটি জিপ এনে তুলে নিলেন। আবু তাহেরের তখনো মনোবল ভাঙ্গেনি। এরইমধ্যেই আনোয়ার দৌড়ে চলে আসলেন। তাঁকে দেখেই তাহের বললেন, ‘দেখো আমার মাথায় ওরা আঘাত করতে পারে নাই। তোমরা কামালপুর মুক্ত করবে। আমি ফিরে এসে যেন দেখি কামালপুর মুক্ত হয়েছে।’ এরপরই চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে কর্নেল তাহেরকে প্রথমে তুরা এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় গৌহাটিতে। . মুক্তিযুদ্ধে এই কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধার অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন তাঁর সব ভাইবোনেরা। তাহের ছাড়াও তাঁর ভাই আবু ইউসুফ পেয়েছেন বীরবিক্রম খেতাব। ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং শাখাওয়াত হোসেন বাহার পেয়েছিলেন বীর প্রতীক খেতাব। তাঁদের ভাই-বোনদের এই দলটিকে 'ব্রাদার্স প্লাটুন' নামে ডাকা হতো। . মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এই শ্রেষ্ঠ কমান্ডারকে ১৯৭৬ সালের আজকের দিনে এক মিথ্যা, প্রহসন ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিলো। যার সঙ্গে মুছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো তাঁর দুর্ধর্ষ আর বীরত্বগাঁথা। . মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে পা হারানো একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে তাঁরই মুক্ত করা স্বদেশভূমিতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হলো। এরচেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে! . আজ কর্নেল তাহেরের হত্যা দিবস। শ্রদ্ধায় স্মরণ করি বীরমুক্তিযোদ্ধা এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। 🙏💕 © সৌজন্যে: আহমাদ ইশতিয়াক (বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র)
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 153 Views
  • "নারীমন এক রহস্যময় সমুদ্র —যেখানে পুরুষ এক দিকভ্রান্ত এক ডুবুরি,
    নরমন এক বিরান মরুভূমি — যেখানে নারী ছায়ার খোঁজে এক তৃষিত পথিক।"
    "নারীমন এক রহস্যময় সমুদ্র —যেখানে পুরুষ এক দিকভ্রান্ত এক ডুবুরি, নরমন এক বিরান মরুভূমি — যেখানে নারী ছায়ার খোঁজে এক তৃষিত পথিক।"
    0 Comments 0 Shares 121 Views
More Results
BlackBird Ai
https://bbai.shop