আলু, ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট, এবং পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের গল্প
সৌদি আরবে আলু যেন একপ্রকার জাতীয় খাবার। বিরিয়ানিতে হোক কিংবা হটডগে, শর্মায় হোক বা চিকেন গ্রেভিতে, প্রায় প্রতিটি খাবারে আলুর একটা টুকরো থাকবেই। আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই? যাকে আমরা হাসতে হাসতে “আলু ভাজা” বলি, সেটাই এখানে এক ক্লাসি খাবার, এককথায় সকল সৌদির প্রিয়।
এই দেশে আলুর চাহিদা আকাশচুম্বী। অথচ, দুঃখজনকভাবে সৌদি আরবের কোনো সুপারশপে আপনি “বাংলাদেশি আলু” খুঁজে পাবেন না। তাক ভরে আছে ভারতীয়, পাকিস্তানি, ইন্দোনেশিয়ান আলুতে। এদের রঙ চকচকে, আকার একরকম, লেবেল ঝকঝকে। কিন্তু যারা জানেন, তারা জানেন, বাংলাদেশি আলু কেমন স্বাদে অনন্য, কেমন প্রাকৃতিক গন্ধে হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
তবুও কেন বাংলাদেশি আলু এই বাজারে জায়গা করে নিতে পারছে না?
এক কথায় উত্তর: ব্র্যান্ডিং।
আমরা এখনও “কারওয়ান বাজার মডেল” থেকে বের হতে পারিনি। বস্তাভরে পাঠানো আলু সৌদিতে এলেও, সেই বস্তা থেকে তুলে ঝকঝকে প্যাকেটে ঢোকানোর চিন্তা করি না। কোনো মানসম্পন্ন প্যাকেজিং নেই, নেই গ্লোবাল মানের লেবেলিং, নেই ট্রেডমার্ক। অথচ এটাই তো আন্তর্জাতিক বাজারের প্রথম পাঠ দৃষ্টিতে ভালো না লাগলে পেটে যাবে না।
আমরা ভাবি, আলু তো আলুই, মাটি থেকে উঠেছে, মানুষ কিনবে। রাস্তার পাশে মাদুর বিছিয়ে বিক্রি করলেই চলবে। কিন্তু ভুলে যাই, আজকের দুনিয়ায় পণ্য নয়, প্রেজেন্টেশনই প্রোডাক্ট।
কিন্তু আমি দোষ দিচ্ছি না।
বাংলাদেশ থেকে যে মানুষগুলো সৌদি আরবে আসে, তাদের অধিকাংশই শ্রমজীবী। জীবনের চরম সংগ্রামে তারা কেউ আলু নিয়ে এসেছেন, কেউ পেঁয়াজ। নিজে হাতে বস্তা নামিয়ে, নিজের খরচে মার্কেটে গেছেন। এই মানুষগুলোকে আমি সালাম জানাই। তারা চেষ্টার কমতি রাখেন না।
কিন্তু এই যুদ্ধে যদি পাশে কেউ থাকত? কেউ যদি বলত “ভাই, আমি তোমার আলু ব্র্যান্ড করব। তোমার পণ্যকে প্যাকেট দিয়ে, নাম দিয়ে, গল্প দিয়ে মানুষকে দেখাব, এই আলুই সৌদি রাঁধুনিদের প্রথম পছন্দ।” তাহলেই হয়তো গল্পটা বদলাত।
ব্র্যান্ডিং মানে লোগো না, গল্প। যদি আমরা আমাদের পণ্যের পিছনে একটি গল্প জুড়তে পারি ‘ময়মনসিংহের কৃষক রশিদ আলী যে নিজের হাতেই আলু ফলান, সার কম দেন, বিষ দেন না’, আর যদি সেই গল্প একটি ব্র্যান্ডের প্যাকেটে মানুষ পড়ে তাহলেই তো বাংলাদেশি আলু হবে একটি অনুভূতির নাম।
এটাই দেশের আসল সেবা। যারা এই গেম বোঝেন, তারা এগিয়ে আসুন। কৃষকের ঘাম যেন শুধু বাজারে নয়, পৌঁছায় ভিনদেশি সুপারশপের তাকেও। আমরা শুধু শ্রমিক পাঠাব না, আমরা পণ্য পাঠাব, গল্প পাঠাব, গর্ব পাঠাব।
সৌদি আরবে আলু যেন একপ্রকার জাতীয় খাবার। বিরিয়ানিতে হোক কিংবা হটডগে, শর্মায় হোক বা চিকেন গ্রেভিতে, প্রায় প্রতিটি খাবারে আলুর একটা টুকরো থাকবেই। আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই? যাকে আমরা হাসতে হাসতে “আলু ভাজা” বলি, সেটাই এখানে এক ক্লাসি খাবার, এককথায় সকল সৌদির প্রিয়।
এই দেশে আলুর চাহিদা আকাশচুম্বী। অথচ, দুঃখজনকভাবে সৌদি আরবের কোনো সুপারশপে আপনি “বাংলাদেশি আলু” খুঁজে পাবেন না। তাক ভরে আছে ভারতীয়, পাকিস্তানি, ইন্দোনেশিয়ান আলুতে। এদের রঙ চকচকে, আকার একরকম, লেবেল ঝকঝকে। কিন্তু যারা জানেন, তারা জানেন, বাংলাদেশি আলু কেমন স্বাদে অনন্য, কেমন প্রাকৃতিক গন্ধে হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
তবুও কেন বাংলাদেশি আলু এই বাজারে জায়গা করে নিতে পারছে না?
এক কথায় উত্তর: ব্র্যান্ডিং।
আমরা এখনও “কারওয়ান বাজার মডেল” থেকে বের হতে পারিনি। বস্তাভরে পাঠানো আলু সৌদিতে এলেও, সেই বস্তা থেকে তুলে ঝকঝকে প্যাকেটে ঢোকানোর চিন্তা করি না। কোনো মানসম্পন্ন প্যাকেজিং নেই, নেই গ্লোবাল মানের লেবেলিং, নেই ট্রেডমার্ক। অথচ এটাই তো আন্তর্জাতিক বাজারের প্রথম পাঠ দৃষ্টিতে ভালো না লাগলে পেটে যাবে না।
আমরা ভাবি, আলু তো আলুই, মাটি থেকে উঠেছে, মানুষ কিনবে। রাস্তার পাশে মাদুর বিছিয়ে বিক্রি করলেই চলবে। কিন্তু ভুলে যাই, আজকের দুনিয়ায় পণ্য নয়, প্রেজেন্টেশনই প্রোডাক্ট।
কিন্তু আমি দোষ দিচ্ছি না।
বাংলাদেশ থেকে যে মানুষগুলো সৌদি আরবে আসে, তাদের অধিকাংশই শ্রমজীবী। জীবনের চরম সংগ্রামে তারা কেউ আলু নিয়ে এসেছেন, কেউ পেঁয়াজ। নিজে হাতে বস্তা নামিয়ে, নিজের খরচে মার্কেটে গেছেন। এই মানুষগুলোকে আমি সালাম জানাই। তারা চেষ্টার কমতি রাখেন না।
কিন্তু এই যুদ্ধে যদি পাশে কেউ থাকত? কেউ যদি বলত “ভাই, আমি তোমার আলু ব্র্যান্ড করব। তোমার পণ্যকে প্যাকেট দিয়ে, নাম দিয়ে, গল্প দিয়ে মানুষকে দেখাব, এই আলুই সৌদি রাঁধুনিদের প্রথম পছন্দ।” তাহলেই হয়তো গল্পটা বদলাত।
ব্র্যান্ডিং মানে লোগো না, গল্প। যদি আমরা আমাদের পণ্যের পিছনে একটি গল্প জুড়তে পারি ‘ময়মনসিংহের কৃষক রশিদ আলী যে নিজের হাতেই আলু ফলান, সার কম দেন, বিষ দেন না’, আর যদি সেই গল্প একটি ব্র্যান্ডের প্যাকেটে মানুষ পড়ে তাহলেই তো বাংলাদেশি আলু হবে একটি অনুভূতির নাম।
এটাই দেশের আসল সেবা। যারা এই গেম বোঝেন, তারা এগিয়ে আসুন। কৃষকের ঘাম যেন শুধু বাজারে নয়, পৌঁছায় ভিনদেশি সুপারশপের তাকেও। আমরা শুধু শ্রমিক পাঠাব না, আমরা পণ্য পাঠাব, গল্প পাঠাব, গর্ব পাঠাব।
আলু, ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট, এবং পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের গল্প
সৌদি আরবে আলু যেন একপ্রকার জাতীয় খাবার। বিরিয়ানিতে হোক কিংবা হটডগে, শর্মায় হোক বা চিকেন গ্রেভিতে, প্রায় প্রতিটি খাবারে আলুর একটা টুকরো থাকবেই। আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই? যাকে আমরা হাসতে হাসতে “আলু ভাজা” বলি, সেটাই এখানে এক ক্লাসি খাবার, এককথায় সকল সৌদির প্রিয়।
এই দেশে আলুর চাহিদা আকাশচুম্বী। অথচ, দুঃখজনকভাবে সৌদি আরবের কোনো সুপারশপে আপনি “বাংলাদেশি আলু” খুঁজে পাবেন না। তাক ভরে আছে ভারতীয়, পাকিস্তানি, ইন্দোনেশিয়ান আলুতে। এদের রঙ চকচকে, আকার একরকম, লেবেল ঝকঝকে। কিন্তু যারা জানেন, তারা জানেন, বাংলাদেশি আলু কেমন স্বাদে অনন্য, কেমন প্রাকৃতিক গন্ধে হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
তবুও কেন বাংলাদেশি আলু এই বাজারে জায়গা করে নিতে পারছে না?
এক কথায় উত্তর: ব্র্যান্ডিং।
আমরা এখনও “কারওয়ান বাজার মডেল” থেকে বের হতে পারিনি। বস্তাভরে পাঠানো আলু সৌদিতে এলেও, সেই বস্তা থেকে তুলে ঝকঝকে প্যাকেটে ঢোকানোর চিন্তা করি না। কোনো মানসম্পন্ন প্যাকেজিং নেই, নেই গ্লোবাল মানের লেবেলিং, নেই ট্রেডমার্ক। অথচ এটাই তো আন্তর্জাতিক বাজারের প্রথম পাঠ দৃষ্টিতে ভালো না লাগলে পেটে যাবে না।
আমরা ভাবি, আলু তো আলুই, মাটি থেকে উঠেছে, মানুষ কিনবে। রাস্তার পাশে মাদুর বিছিয়ে বিক্রি করলেই চলবে। কিন্তু ভুলে যাই, আজকের দুনিয়ায় পণ্য নয়, প্রেজেন্টেশনই প্রোডাক্ট।
কিন্তু আমি দোষ দিচ্ছি না।
বাংলাদেশ থেকে যে মানুষগুলো সৌদি আরবে আসে, তাদের অধিকাংশই শ্রমজীবী। জীবনের চরম সংগ্রামে তারা কেউ আলু নিয়ে এসেছেন, কেউ পেঁয়াজ। নিজে হাতে বস্তা নামিয়ে, নিজের খরচে মার্কেটে গেছেন। এই মানুষগুলোকে আমি সালাম জানাই। তারা চেষ্টার কমতি রাখেন না।
কিন্তু এই যুদ্ধে যদি পাশে কেউ থাকত? কেউ যদি বলত “ভাই, আমি তোমার আলু ব্র্যান্ড করব। তোমার পণ্যকে প্যাকেট দিয়ে, নাম দিয়ে, গল্প দিয়ে মানুষকে দেখাব, এই আলুই সৌদি রাঁধুনিদের প্রথম পছন্দ।” তাহলেই হয়তো গল্পটা বদলাত।
ব্র্যান্ডিং মানে লোগো না, গল্প। যদি আমরা আমাদের পণ্যের পিছনে একটি গল্প জুড়তে পারি ‘ময়মনসিংহের কৃষক রশিদ আলী যে নিজের হাতেই আলু ফলান, সার কম দেন, বিষ দেন না’, আর যদি সেই গল্প একটি ব্র্যান্ডের প্যাকেটে মানুষ পড়ে তাহলেই তো বাংলাদেশি আলু হবে একটি অনুভূতির নাম।
এটাই দেশের আসল সেবা। যারা এই গেম বোঝেন, তারা এগিয়ে আসুন। কৃষকের ঘাম যেন শুধু বাজারে নয়, পৌঁছায় ভিনদেশি সুপারশপের তাকেও। আমরা শুধু শ্রমিক পাঠাব না, আমরা পণ্য পাঠাব, গল্প পাঠাব, গর্ব পাঠাব।
0 Comments
0 Shares
6 Views
0 Reviews