-
-
Explore Our Features
-
-
-
-
-
-
-
-
-
Ai and Tools
-
-
-
-
-
রাতে ঘুম কম হলে দিনের বেলায় ঘুম পাওয়া বা ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও ক্লান্তি অনুভব করা, আরও ঘুমাতে চাওয়া হাইপারসমনিয়ার লক্ষণ।

এটি এমন একটি স্নায়বিক রোগ, যেখানে একজন ব্যক্তি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোনোর পরেও আরো ঘুমাতে চান।
NINDS অনুসারে, হাইপারসমনিয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ, বিরক্তি, অস্থিরতা, ক্ষুধামন্দা, হ্যালুসিনেশন, স্মৃতি সমস্যা। এছাড়াও ঘুম ভাঙার পরে প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব হওয়া হাইপারসোমনিয়ার লক্ষণ। ফলে পরিশ্রম না করলেও ক্লান্ত লাগে। ঘন ঘন হাই উঠে। কোনো কাজ ঠিকমতো মনোযোগ দিয়ে করা যায় না। মেজাজ খিটখিটে থাকে, বিরক্তি বা হতাশা কাজ করে। এগুলো মেজাজ, একাগ্রতা, সম্পর্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
হাইপারসোমনিয়া অনেক সময় কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা বিশেষ করে হাইপোথাইরয়েডিজম, মস্তিষ্কের আঘাত এবং স্নায়ুতন্ত্রের রোগ যেমন পার্কিনসন রোগ, মৃগীরোগ, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের ফলে দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব কিছু নির্দিষ্ট ঘুমের ওষুধ, অতিরিক্ত অ্যালকোহল ব্যবহারের ফলে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কতজন মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। তবে ইন্ডিয়ানা স্লিপ সেন্টারের মেডিকেল ডিরেক্টর ডঃ অভিনব সিং বলেন যে, হাইপারসোমনিয়া বিশ্বজুড়ে ১০% থেকে ২০% প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারস অ্যান্ড স্ট্রোক (NINDS) অনুসারে, হাইপারসোমনিয়ার চিকিৎসা এটি কেনো হয়েছে তার কারণের উপর নির্ভর করে। হাইপারসোমনিয়া রোগীদের প্রায়শই তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন যেমন- গভীর রাত অবধি জেগে কাজ না করা, মদ এবং ক্যাফেইন জাতীয় জিনিস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয় যেনো তাদের ঘুমের চক্রে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
Source- Live Science, Sleep Foundation